নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকল ক্ষেত্রে হিকমাত মানা গেলেও কোন কোন ক্ষেত্রে কিতাব মানা অসম্ভব

১৫ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:৩৫



সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

* রাসূল (সা.) কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দিলেও আল্লাহ রবের পথে ডাকতে বলেছেন হিকমাত দিয়ে। কারণ হিসাবে তিনি হিকমাতে প্রচুর কল্যাণ (খাইর) থাকার কথা বলেছেন।

সূরাঃ ৪ নিসার ১১ ও ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১। আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান; কিন্তু কেবল কন্যা দুইয়ের অধিক থাকলে, তাদের জন্য পরিত্যাক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ। আর মাত্র এক কন্যা থাকলে তার জন্য অর্ধাংশ। তার সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্য পরিত্যাক্ত সম্পত্তির এক-ষষ্ঠাংশ; সে নিঃসন্তান হলে পিতামতাই উত্তরাধীকারী হলে তার মাতার জন্য এক তৃতীয়াংশ। তার ভাইবোন থাকলে মাতার জন্য এক-ষষ্ঠাংশ।সবাই সে যা অসিয়ত করে তা’ দেওয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর।তোমাদের পিতা ও সন্তানের মধ্যে উপকারে কে তোমাদের নিকটতর তা’ তোমরা অবগত নও। নিশ্চয়ই এটা আল্লাহর বিধান: আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
১২।তোমাদের স্ত্রীদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ তোমাদের জন্য, যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে।আর তাদের সন্তান থাকলে তোমাদের জন্য তাদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ; ওসিয়ত পালন এবং ঋণ পরিশোধের পর।তোমাদের সন্তান না থাকলে তাদের জন্য তোমাদের সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ; আর তোমাদের সন্তান থাকলে তাদের জন্য তোমাদের সম্পত্তির এক-অষ্টমাংশ; তোমরা যা ওসিয়ত করবে তা’ ওেয়ার পর এবং ঋণ পরিশোধের পর।যদি পিতা-মাতা ও সন্তানহীন কোন পুরুষ অথবা নারীর উত্তরাধীকারী থাকে তার বৈপিত্রেয় ভাই অথবা বোন; তবে প্রত্যেকের জন্য এক-ষষ্ঠাংশ।তারা এর অধিক হলে সকলে সম অংশিদার হবে এক-তৃতীয়াংশে; এটা যা ওসিয়ত করা হয় তা’ দেওয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর, যদি কারো জন্য ক্ষতিকর না হয়।ইহা আল্লাহর নির্দেশ, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।

* কিতাব অনুযায়ী পিতা-মাতা, স্ত্রী ও দুই কন্যার প্রাপ্য অংশ চব্বিশের সাতাশ অংশ যার প্রাপ্যতা অসম্ভব। কারণ চব্বিশের চব্বিশ হলো এখানে একাংশ। কারো একাংশের বেশী মালিকানা অসম্ভব। কিতাব অনুযায়ী পিতা-মাতার প্রাপ্য অংশ চব্বিশের ছয় অংশ, কন্যাদের প্রাপ্য অংশ চব্বিশের যোল অংশ এবং স্ত্রীর প্রাপ্য অংশ চব্বিশের তিন অংশ। এখানে অংশ সমূহের যোগ ফল চব্বিশের সাতাশ অংশ। যা বন্টন অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে হিকমাত কি জিজ্ঞাস করলে হযরত আলী (রা.) বললেন, আওল। যাতে যোগ ফলের হর তিন বর্ধীত হয়ে পিতা-মাতার প্রাপ্য অংশ হবে সাতাশের ছয় অংশ, কন্যাদের প্রাপ্য অংশ হবে সাতাশের যোল অংশ এবং স্ত্রীর প্রাপ্য অংশ হবে সাতাশের তিন অংশ তথা নয়ের একাংশ। কিন্তু কিতাব অনুযায়ী স্ত্রীর প্রাপ্য ছিল আটের একাংশ। হিকমাত অনুযায়ী প্রাপকদের প্রাপ্য কমিয়ে বন্টন করার বিধান সাব্যস্ত হলো। আর বিধান সাব্যস্ত হলো হিকমাত অনুযায়ী। এ ক্ষেত্রে কিতাব মানসুখ হয়ে গেল।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল (যুদ্ধ) করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।

সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।
সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৪৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৪। নিশ্চয়ই আমরা তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম; তাতে ছিল পথনির্দেশ ও আলো। নবিগণ, যারা আল্লাহর অনুগত ছিল তারা ইয়াহুদীদিগকে তদনুসারে বিধান দিত, আরো বিধান দিত রব্বানীগণ, এবং বিদ্বানগণ। কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল। আর তারা ছিল উহার সাক্ষী।সুতরাং মানুষকে ভয় করবে না। আমাকেই ভয় কর। আর আমার আয়াতসমূহ তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করবে না। আল্লাহ যা নাজিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা হুকুম প্রদান করে না তারাই কাফির।

* এখানে কিতাব অনুযায়ী ফিতনা না থামতে কিতাল (যুদ্ধ) থামালে কাফের হওয়ার কথা। কিন্তু রব সবার কল্যাণ চান বিধায় হিকমাত হলো ইসলাহ সম্ভব হলে কিতাল (যুদ্ধ) থামালে মুমিন হবে। কিতাব অনুযায়ী যে কাফের হয় হিকমাত অনুযায়ী সে মুমিন হয়। সিফফিন যুদ্ধে হযরত আলী (রা.) ফিতনা শেষ না হতে কিতাল (যুদ্ধ) থামালে খারেজী তাঁকে কাফের ফতোয়া দিয়ে হত্যা করে ফেলে। কারবালায় প্রতিপক্ষ কিতাব অনুযায়ী হযরত ইমাম হোসেনকে (রা.) কাফের মনে করে হত্যা করে ফেলে, কিন্তু হিকমাত অনুযায়ী তিনি মুমিন ছিলেন। ২০২৫ এর পাক-ভারত যুদ্ধের হিকমাত ছিল যুদ্ধ বিরতি। নতুবা কিতাব অনুযায়ী ফিতনা শেষ করতে কিতাল (যুদ্ধ) চালিয়ে গেলে পরমাণূ যুদ্ধে উভয়দেশ তামা তামা হয়ে যেত।সুতরাং ইসলামে হিকমাত > কিতাব। কিন্তু ইবাদী, শিয়া, সালাফী, আহলে হাদিস, মালেকী, শাফেঈ, হাম্বলী ও জাহেরী সম্প্রদায় সমূহ কিতাব > হিকমাত সূত্রে মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে বহু কোটি লোক হত্যার ব্যবস্থা করেছে।

সূরাঃ ১৮ কাহফ, ৬০ থেকে ৮২ আয়াতের অনুবাদ-
৬০।যখন মূসা তাঁর সংগীকে বলেছিল, দুই সমুদ্রের সংগমস্থলে না পৌঁছে আমি থামব না অথবা আমি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকব।
৬১।তারা উভয়ে যখন দুই সমুদ্রের সংগমস্থলে পৌঁছল তারা নিজেদের মৎসের কথা ভুলেগেল।উহা সুড়ংগের মত নিজের পথ করে সমূদ্রে নেমে গেল।
৬২। যখন তারা আরো অগ্রসর হলো মূসা তার সংগীকে বলল আমাদের নাস্তা নিয়ে আস।আমরা তো আমাদের সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
৬৩। সে বলল, আপনি কি দেখেছেন? যখন আমরা শিলাখন্ডে বিশ্রাম নিতে ছিলাম তখন আমি মৎসের কথা ভুলে গিয়ে ছিলাম! শয়তান উহার কথা বলতে ভুলিয়ে দিয়েছিল।মৎসটি বিস্ময়করভাবে সমূদ্রে নিজের পথ করে নেমে গেল।
৬৪। মূসা বলল, আমরা তো সেই স্থানটিই খুঁজতেছিলাম।অতঃপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চলল।
৬৫। অতঃপর তারা সাক্ষাৎ পেল আমাদের বান্দাদের মধ্যে একজনের।যাকে আমরা আমাদের নিকট হতে অনুগ্রহ দান করে ছিলাম এবং আমরা তাকে আমাদের নিকট হতে শিক্ষা দিয়ে ছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান।
৬৬। মূসা তাকে বলল, সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে তা’ হতে আমাকে শিক্ষা দিবেন এ শর্তে আমি আপনার অনুসরন করব কি?
৬৭। সে বলল, আপনি কিছুতেই আমার সাথে ধৈর্য ধরে থাকতে পারবেন না।
৬৮। যে বিষয় আপনার জ্ঞানায়ত্ত নয় সে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধরবেন কেমন করে?
৬৯। মূসা বলল, আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন এবং আপনার কোন আদেশ আমি অমান্য করব না।
৭০। সে বলল, যেহেতু আপনি আমার অনুসরন করবেনই তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যতক্ষণ না আমি সে সম্বন্ধে আপনাকে কিছু বলি।
৭১।অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল। পরে যখন তারা নৌকায় চড়লো সে ইহা ফুটো করে দিল।মূসা বলল, আপনি কি আরোহীদিগকে নিমজ্জিত করে দেবার জন্য উহা ফুটো করলেন? আপনিতো গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন।
৭২। সে বলল, আমি কি বলিনি যে আপনি আমার সাথে ধৈর্য ধরতে পারবেন না?
৭৩। মূসা বলল, আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না এবং আমার বিষয়ে অত্যাধিক কঠোরতা অবলম্বন করবেন না।
৭৪। অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল।চলতে চলতে ইহাদের সাথে এক বালকের সাক্ষাত হলে সে উহাকে হত্যা করল। তখন মূসা বলল, আপনি এক নিস্পাপ জীবন নাশ করলেন হত্যার অপরাধ ছাড়াই। আপনিতো এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন।
৭৫।সে বলল, আমি কি বলিনি যে আপনি আমার সাথে ধৈর্য ধরতে পারবেন না?
৭৬।মূসা বলল, এরপর যদি আমি আপনাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাস করি তবে আপনি আমাকে সংগে রাখবেন না।আমার ওযর-আপত্তি চূড়ান্ত হয়েছে।
৭৭।অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল।চলতে চলতে তারা এক জনপদের অধিবাসীদের নিকট পৌঁছে তাদের নিকট খাদ্য চাইল।কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। অতঃপর তারা এক পতনোন্মুখ দেয়াল দেখতে পেল এবং সে উহা সুদৃঢ় করে দিল।মূসা বলল, আপনিতো ইচ্ছা করলে এর জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারতেন।
৭৮। সে বলল, এখানেই আপনার এবং আমার মধ্যে সম্পর্কছেদ হলো।যে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি আমি তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করছি।
৭৯।নৌকাটির ব্যাপার-এটা ছিল কতিপয় দরিদ্র ব্যক্তির, উহারা সমূদ্রে জীবিকা অন্বেষণ করত। আমি নৌকাটিতে ত্রুটিযুক্ত করতে ইচ্ছা করলাম। কারণ উহাদের সম্মুখে ছিল এক রাজা, যে বল প্রয়োগে নৌকা সকল ছিনিয়ে নিত।
৮০। আর বালকটি, তার পিতামাতা ছিল মু’মিন। আমি আশংকা করলাম যে সে বিদ্রোহাচরণ ও কূফুরি দ্বারা তাদেরকে বিব্রত করবে।
৮১। অতঃপর আমি চেয়েছি যে তাদের প্রতিপালক যেন তাদেরকে তার পরিবর্তে এক সন্তান দান করেন। যে হবে পবিত্রতায় উত্তম এবং ভক্তিতে ঘনিষ্ঠ।
৮২। আর ঐ দেয়ালটি ছিল নগরবাসী দুই পিতৃহীন বালকের।যার নীচে রয়েছে তাদের গুপ্তধন।আর তাদের পিতাছিল সালেহ বা সৎকর্মপরায়ন।সুতরাং আপনার প্রতিপালক দয়া পরবশ হয়ে ইচ্ছা করলেন যে তারা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে তাদের ধনভান্ডার উদ্ধার করুক।আমি নিজ হতে কিছু করিনি। আপনি যে বিষয়ে ধৈর্য ধরতে অপারগ হয়েছিলেন এটা তার ব্যাখ্যা।

* আল্লাহ যাঁকে বিশেষ জ্ঞান দিলেন তিনি হিকমাত অনুযায়ী বালক হত্যা করলেন, কিন্তু কিতাব অনুযায়ী হযরত মুসা (আ.) হিকমাতের বিরোধীতা করলেন। কিন্তু এখানে কিতাব নয়, বরং হিকমাত সঠিক ছিল।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

* কিতাবে মানসুখ থাকায় এবং হিকমাতে মানসুখ না থাকায় হিকমাতের পরিবর্তে কিতাব মানসুখ ও হাদিস বাতিল হবে। সুতরাং হিকমাত অনুযায়ী মোরতাদকে হত্যা না করে ছেড়ে দিতে হবে। কিতাব অনুযায়ী হযরত আলী (রা.) মোরতাদ হত্যার কথা বলেছেন। তারপর লোকেরা তিনি ও তাঁর দুই পুত্রকে মোরতাদ সাব্যস্ত করে হত্যা করে ফেলল। ভারতের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জঙ্গীরা ২৬ নিরপরাধ পর্যটক হত্যা করে।যাতে সৃষ্ট যুদ্ধে ২৬ কোটির প্রাণ নাশের সম্ভাবনা ছিল। ট্রাম্পের হিকমাতে যুদ্ধ বিরতি হয়। সুতরাং হিকমাত বিধর্মী কর্তৃক সাধীত হলেও তা’ পালনীয়। সে ক্ষেত্রে কিতাব অনুযায়ী ফতোয়া দেওয়া যাবে না যে বিধর্মীর অনুসরন হারাম। কারণ হিকমাতের পরিবর্তে কিতাব মানসুখ এবং হাদিস বাতিল। বাতিল হাদিসের পক্ষ নিয়ে সালাফী এক মসজিদে হিকমাতের অনুসারী ইমামকে হত্যা করে ফেলেছে। হিকমাত বিরোধী কিতাবের অনুসারীরা উগ্রবাদ পরিচালনা করে শান্তির ইসলামকে অশাস্তিময় করে তোলে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০১। আর তাদের মধ্যে কিছু লোক বলে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালে কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করুন।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

* হিকমাত দু’ প্রকার। ইহকালিন হিকমাত হলো জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং পরকালিন হিকমাত হলো ফিকাহ। যাতে আমিরের অনুমোদন লাগে। আমির অনুমোদীত পরকালিন হিকমাত হলো হানাফী ফিকাহ এটা দ্বীন। অন্য কোন ফিকাহ আমির অনমোদীত নয় বিধায় এসব হিকমাত বা দ্বীন নয়। এসব হলো বিদয়াত।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:৩৫

যামিনী সুধা বলেছেন:



দেশের সংবিধানের কিছু বুঝেন কিনা দেখেন; জীবনটা কাটালেন বেকুবদের নিয়ম কানুনের কথা পড়ে।

১৫ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীনরা এসব বেকুবী মন্তব্য করে। এসব হিসাবযোগ্য কোন বিষয় নয়।

২| ১৫ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



যামিনী সুধা বলেছেন: দেশের সংবিধানের কিছু বুঝেন কিনা দেখেন; জীবনটা কাটালেন বেকুবদের নিয়ম কানুনের কথা পড়ে।

@যামিনী সুধা,
আপনি কুরআন-হাদীসের নিয়মকে “বেকুবদের নিয়ম” বলে যে মন্তব্য করেছেন, তা স্পষ্টভাবে ইসলাম ধর্ম অবমাননার শামিল। এভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা অত্যন্ত ধৃষ্টতা।

এই পোস্টে এসে আপনার মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

১৫ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:১২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাঁর কিছু মানসিক সমস্যা আছে বলে মনে হয়।

৩| ১৫ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: উনি ধর্ম মানেন না ভালো কথা কিন্তু শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মই ওনার কাছে বেকুবী মনে হয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.