![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ৪০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪০। যদি তোমরা তাঁকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহতো তাঁকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফিরগণ তাঁকে ধাওয়া করেছিল (হত্যা করার জন্য), আর তিনি ছিলেন দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় জন। যখন তাঁরা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিলেন, তিনি তখন তাঁর সঙ্গিকে বলেছিলেন, তুমি বিষণ্ন হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।অতঃপর তাঁর উপর আল্লাহ তাঁর প্রশান্তি নাজিল করেন এবং তাঁকে শক্তিশালী করেন এমন সৈন্যবাহিনী দ্বারা যা তোমরা দেখনি।আর তিনি কাফেরদের কথা তুচ্ছ করে দেন।আর আল্লাহর কথাই সুউচ্চ। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী সুবিজ্ঞ।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৭ থেকে ৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭।দেশে ব্যাপকভাবে শত্রুকে পরাভূত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবির উচিত নয়। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর। আল্লাহ চান পরকালের কল্যাণ। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৬৮। আল্লাহর পূর্ব বিধান না থাকলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ সেজন্য তোমরা মহাশাস্তিতে আক্রান্ত হতে।
৬৯। যুদ্ধে যা লাভ করেছ তা’ বৈধ ও উত্তম বলে ভোগ কর। আর আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।
* মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরাম (রা.)তাঁর সহায়ক বিধায় আল্লাহ তাঁদেরকে ক্ষমা করেছেন। আর রাসূলের (সা.) দ্বারাই অনুচিত কাজ হয়েছে, সুতরাং সেটা তাঁর সাহাবা (রা.) হওয়া অসম্ভব নয়। কিন্তু আল্লাহর ক্ষমার পর তাঁদের সমালোচনা করা সরাসরি আল্লাহর সাথে বেয়াদবী।রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের (রা.) পাপ নাই। তাঁদের মর্যাদা বেশী-কম হয় তাঁদের নেককাজ অনুযায়ী।হযরত মুয়াবিয়া (রা.) মোনাফেক নন কারণ তিনি হুনায়ন যুদ্ধে রাসূলের (সা.) সহায়ক হয়ে পুরস্কার পেয়েছেন। উহুদের যুদ্ধে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ও তার দল রাসূলের (সা.) সহায়ক না হয়ে মোনাফেক সাব্যস্ত হয়েছে।
সূরাঃ ২ বাকারা,৩১ নং থেকে ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩১। আর তিনি আদমেকে (আ.) সব জিনিসের নাম শিখালেন। তারপর সেগুলো ফেরেশতাদের সামনে হাজির করলেন। তারপর বললেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে আমাকে এসব বস্তুর নাম বলে দাও।
৩২। তারা বলেছিলো, আপনি মহান পবিত্রময়। আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন এর বাইরে আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব জ্ঞানী, মহাকৌশলী।
৩৩। তিনি বললেন হে আদম! তুমি তাদেরকে ঐসবের নাম বলে দাও!এরপর যখন সে তাদেরকে ঐগুলোর নাম বলে দিলো, তখন তিনি (আল্লাহ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানি। আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আমি তাও জানি।
সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ১৯ নং থেকে ২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর।আর যা খুশী খাও। আর এ গাছের কাছে যেও না।তাহলে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২০। অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান যা তাদের নিকট গোপন রাথা হয়েছিল তা’ তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল। আর সে বলল, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও, অথবা এখানে স্থায়ী হয়ে যাও সেজন্য তোমাদের রব এ গাছ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।
২১। সে তাদের নিকট কসম করে বলল, আমিতো তোমাদের নছিহতকারীদের একজন।
২২। এভাবে সে তাদেরকে ধোকা দিয়ে নীচু করল।তৎপর যখন তারা সে বৃক্ষফলের মজা গ্রহণ করল তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল।আর তারা নিজেদেরকে জান্নাতের পাতা দ্বারা আবৃত করতে লাগল।তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ গাছের কাছে যেতে মানা করিনি? আর আমি কি বলিনি যে শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন?
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি কর।তোমার হাতেই মঙ্গল।নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
* আল্লাহর ছাত্র হযরত আদম (আ.) শয়তানের ধোকায় পড়েছেন। সুতরাং রাসূলের (সা.) ছাত্র সাহাবায়ে কেরামের (রা.) শয়তানের ধোকায় পড়া অসম্ভব নয়। কিন্তু আল্লাহ তাঁদেরকে ক্ষমা করার পর তাঁদের সমালোচনা হারাম হয়ে গেল। এখন শুধু তাঁদের সুনাম করা যাবে, কোন বদনাম করা যাবে না।হযরত আলী (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়া (রা.) পরস্পর অভিশাপ করে উভয় অভিশাপে পড়েছেন। তাঁদের পরে তাঁদের বংশে রাজত্ব ছিল ছয়মাস ও চার বছর।তাঁদের বংশে আর মুসলিম বিশ্ব নেতা হয়নি। ইমাম মাহদীকে (আ.) রাসূল (সা.) হযরত ফাতেমার (রা.) বংশধর বলেছেন। অথচ রাসূলের (সা.) চাচা হযরত আব্বাসের (রা.) বংশে মুসলিম বিশ্ব নেতা হয়েছেন ছাপ্পান্ন জন।
হযরত আলী (রা.) হযরত ওসমান (রা.) হত্যার প্রধান আসামী মালেক উশতারকে খেলাফতের প্রধান সেনাপতি এবং হযরত আবু বকরের (রা.) ছেলে মোহাম্মদকে মিশরের শাসক পদে নিয়োগ দেন। কিন্তু তিনি জনপ্রিয় শাসক হযরত মুগিরা বিন শোবা (রা.), হযরত আমর ইবনুল আস (রা.), ও হযরত মুয়াবিয়াকে (রা.)শাসকের পদ থেকে বরখাস্ত করেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহ দেখা দেয়। জনতা তাঁর থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত মালেক উশতার ও হযরত আবু বকরের (রা.) ছেলে মোহাম্মদকে হত্যা করে এবং দলে দলে হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) পক্ষে যোগদান করে। অবশেষে হযরত আলী (রা.) বরখাস্ত শাসক হযরত মুয়াবিয়াকে (রা.) খেলাফতের একাংশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন এবং কারবালায় হযরত আলী (রা.) পুত্র হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) পক্ষে যুদ্ধে মুসলিমদের সাড়া মিলেনি। হযরত আলীর (রা.) বংশধর ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীর নেতৃত্বে মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে না। অথচ তাঁর কি সুন্দর নূরানী চেহারা।আর হযরত মুয়াবিয়ার বংশধর এখন পৃথিবীতে আছে কিনা সেটাই সবার অজানা।সুতরাং সাহাবায়ে কেরামের (রা.) ত্রুটির বিষয় আল্লাহ দেখছেন। এসব নিয়ে মাথানষ্ট করা আমাদের দায়িত্ব না। আমাদের দায়িত্ব তাঁদের ভালো দিক আলোচনা করা। হযরত আলী (রা.) খায়বর জয় করেছেন এবং হযরত মুয়াবিয়া (রা.) ইস্তাম্বুল জয় করেছেন। যারা তাঁদের সমালোচনা করে ইসলামে তাদের অবদান কি? সুতরাং তাঁদের সাথে তাদের বেয়াদবীর জন্য তাদেরকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলাম বিষয়ে আপনার কথা গ্রহণযোগ্য নয়।
২| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:১৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শিয়ারা মনে করে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর পর খেলাফতের অধিকার ছিল আলী (রাঃ) এবং তাঁর বংশধরদের। মুয়াবিয়া (রাঃ) আলী (রাঃ) এর খেলাফতকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তাঁর সাথে যুদ্ধও করেছিলেন, যা শিয়ারা পছন্দ করে না। শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, মুয়াবিয়া (রাঃ) ইমাম হাসান (রাঃ)-এর সাথে করা চুক্তি ভঙ্গ করেছিলেন, যেখানে শর্ত ছিল যে মুয়াবিয়ার পরে খেলাফত তাঁর বংশের কারো কাছে যাবে না। কিন্তু মুয়াবিয়া (রাঃ) তাঁর ছেলে ইয়াজিদকে পরবর্তী খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন। মুয়াবিয়া (রাঃ)-এর ছেলে ইয়াজিদের খেলাফতকালেই কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যেখানে ইমাম হুসাইন (রাঃ) এবং তাঁর পরিবার শহীদ হন। এই ঘটনা শিয়াদের কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মুয়াবিয়ার বংশের প্রতি তাদের বিরক্তি আরও বাড়িয়ে তোলে। কিছু শিয়া বর্ণনা অনুযায়ী, মুয়াবিয়ার শাসনামলে জুমার খুতবায় আলী (রাঃ) কে অভিশাপ দেওয়া হতো, যা শিয়াদের কাছে চরম আপত্তিকর।
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সাহাবায়ে কেরামের (রা) হিসাব আল্লাহর দায়িত্বে। এ বিষয়ে কথা বলা শিয়াদের দায়িত্ব নয়। হযরত মুয়াবিয়ার (রা।) ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে যে এখন কোন মুসলিম তাদের সন্তানের নাম মুয়াবিয়া (রা) ও ইয়াজিদ রাখে না।
৩| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হাররার যুদ্ধ , মক্কা অবরোধ , সিফফিনের যুদ্ধ ও জমলের যুদ্ধ নিয়ে লিখবেন। এসব নিয়ে মানুষের জানা দরকার।
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৪২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দুই হাজার ষোল শাল থেকে ফেসবুকের বড় বড় গ্রুপ সমূহে আমার পোষ্টের বিরোধীতা নেই। সেই রকম করে লিখতে গিয়ে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।
৪| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৩
অপু তানভীর বলেছেন:
কোন ধার্মিকের মুখে এমন কথা আমি এই প্রথম শুনলাম। কী কী অনুচিৎ কাজ হয়েছে একটা তালিকা দেন তো !
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৫২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৩৩ আহযাব, ৫২ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫২। এরপর তোমার জন্য কোন নারী বৈধ নয় এবং তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয়, যদিও তাদের সৌন্দর্য তোমাকে মুগ্ধ করে; তবে তোমার অধিকারভূক্ত দাসীদের ব্যাপারে এ বিধান প্রযোজ্য নয়। আল্লাহ সমস্ত কিছুর উপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন।
সূরাঃ ৪ নিসার ১২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৯। আর তোমরা যতই ইচ্ছা করনা কেন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার কখনোই করতে পারবে না, তবে তোমরা কোন এক জনের প্রতি সম্পূর্ণ ঝুঁকে পড়বে না ও অপরকে ঝুলিয়ে রাখবে না; যদি তোমরা নিজেদিগকে সংশোধন কর ও সাবধান হও তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
* যেহেতু স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার কখনোই করা যায় না সেহেতু একাধীক স্ত্রী থাকা ভালো কাজ না।
৫| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মূল ঝামেলা তো সিংহাসন নিয়ে।
নবীজীর মৃত্যুর পর সিংহাসনের বৈধ উত্তরাধিকারী ছিলেন মাওলা ইমাম আলী রাঃ
প্রাসাদ চক্রান্তের কারণে আবু বকর ক্ষমতা পান।
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১:০০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মাওলা আর খলিফা এক কথা না। হযরত আলীকে মাওলা বলা হয়েছে তাঁকে রক্ষা করার জন্য। নতুবা তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করার লোক খুঁজে পাওয়া যেত না। কারবালায় ইমাম হোসেনের (রা) পক্ষে যুদ্ধ করার লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাওলা আলী (রা) একাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় রাসূলকে (সা) সাহায্য করেছেন ঘটনা এমন নয়। রাসূলের (সা।) সব সাহাবা ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তাঁকে সাহায্য করেছেন। মাওলা আলীর (রা।) পক্ষ নিয়ে যখন অন্য দের অবদানকে খাট করা হলো তখন সবাই মাওলা আলী (রা) ও তাঁর পরিবারের পক্ষ ত্যাগ করলো। এ সুযোগে জনপ্রিয় হলো রাসূলের (সা) চাচা আব্বাসের পরিবার। তো ধর্ম বিরোধী হয়ে আপনি আবার মাওলা আলীর (রা।) পক্ষ নিলেন কি মনে করে। আমরা হযরত আবু বকর (রা), হযরত ওমর (রা) ও হযরত ওসমান (রা) থেকে মাওলা আলীকে (রা) বেশী মর্যাদাপন্ন মনে করি না।
৬| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১:২২
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: মুয়াবিয়া (রা.) ইস্তাম্বুল জয় করেছেন
- ইস্তাম্বুল জয়ের ইতিহাস নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। মুয়াবিয়া (রা.) অবশ্যই ইস্তাম্বুল জয়ের চেষ্টা করেছিলেন, সাহাবিরাও বিভিন্ন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু সফল হননি। অনেক মুসলিম শাসক এই ঐতিহাসিক শহরটি জয় করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন, তবে কেউই সক্ষম হননি। অবশেষে ১৪৫৩ সালে ওসমানি সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহ (মেহমেত ২) এই অদম্য শহরটি বিজয় করেন। আর তাই তাঁকেই ‘ইস্তাম্বুল বিজেতা’ (The Conqueror) বলা হয়। ইতিহাস স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, এই বিজয়ের কৃতিত্ব সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহেরই প্রাপ্য।
২৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৭৭৬ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৭৭৬। আনাস ইবনে মালেকের (রা.) খালা এবং মহানবির (সা.) দুধ খালা উম্মু হারাম বিনতে মিলহান (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অতঃপর তিনি হাসতে হাসতে জেগে উঠলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! কে আপনাকে হাসালো? তিনি বললেন, আমার উম্মতের কতক লোককে আমার নিকট এমন অবস্থায় পেশ করা হয়েছে যে, তারা এই সমূদ্রের উপর সওয়ার হয়েছে, যেমনভাবে বাদশাহ সিংহাসনে আরোহন করে। উম্মু হারাম বললেন, তিনি তাঁরজন্য দোয়া করলেন। এরপর পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর প্রথম বারের ন্যায় জাগ্রত হলেন। তারপর উম্মু হারাম (রা.) অনুরূপ বললেন, রাসূলও (সা.) প্রথমবারের অনুরূপ জবাব দিলেন। উম্মু হারাম (রা.) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বললেন, তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। আনাস (রা.) বলেন, অতঃপর তিনি তাঁর স্বামী উবাদা ইবনে সামিতের (রা.) সাথে বের হলেন জিহাদ করার জন্য, যখন মুসলিমগণ মু’আবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সাথে সর্ব প্রথম নৌযুদ্ধে রওয়ানা করে। অতঃপর তারা জিহাদ থেকে ফিরে এসে সিরিয়ায় অবতরণ করলেন তখন সওয়ার হওয়ার জন্য তাঁর কাছে একটা জন্তুযান আনা হলো। জন্তুযানটি তাকে ফেলে দিল। এতেই তিনি ইন্তিকাল করলেন।
* তাঁর এ চেষ্টাতেই আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন।
৭| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার লেখাটি ইসলাম বিদ্বেষী লেখা। তাছাড়া আপনি ইসলাম সম্পর্কে তেমন কিছু জানেনও না, অযথা অকারণ দিন রাত কি কি লিখছেন তা নিজেও হয়তা সঠিক জানেন না। এই যে ধর্ম নিয়ে এই ভুল তথ্য লিখছেন, ধর্ম তথ্য বিভ্রাট করছেন কাল কিয়ামতের দিন আপনি শেষ বিচারে! - বিচার দিনের মালিকের কাছে কি উত্তর দিবেন। - আপনি ধর্মের নামে ভুল তথ্য বিতরণ করেছেন! এই দায়ভার আপনার। কবর ও কিয়ামত আপনাকে ছাড়বে না।
ইসলাম ধর্মের শত্রু ইসলাম ধর্মেই আছে। ব্লগে তার বড় নমুনা আপনি নিজে। কথা সমাপ্ত। আপনার সাথে কথা বললেই গুনাহগার হতে হবে।
২৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি আমাকে অনেক দোষারোপ করলেন সেটা বুঝলাম। কিন্তু কেন দোষারোপ করলেন সেটা বুঝলাম না।
৮| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৩:৪৮
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
নবী(স: ) পারসিক ও বায়জান্টাইনদের মতো করে একটি "আরব রাজ্য" গঠনের জন্য ইসলামের অবতারণা করেন; তিনি জানতেন যে, জল্লাদ বেদুইনরা পারসিকদের থেকেও অনেক দক্ষ জল্লাদ। উনার প্ল্যান কাজ করেছে।
তখনকার দিনে সকালবেলা কে রাজা হবে, বিকালে কে রাজা থাকবে, তার ঠিকানা ছিলো না। রাজ্য যখন হয়ে গেছে, উহা দখল করার মতো লোকের অভাব ছিলো না।
২৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমার মাথার উপর দিয়ে গেছে।
৯| ২৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি কি মনে করেন যে ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেনকে হত্যা করা সঠিক কাজ ছিল?
এটা ইয়াজিদের কোন অন্যায় ছিল না?
আপনি কি এই হত্যা কান্ডকে বৈধ মনে করছেন?
২৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৫২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইমাম হাসান (রা) ও ইমাম হোসেনকে (রা) হত্যা করা সঠিক কাজ ছিল না। আমি এ হত্যাকান্ডকে জঘণ্যতম অপরাধ মনে করি।
১০| ২৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ফরিদ ভাই,
মুসলমানদের আকিদা বিশ্বাসকে আঘাত করে এই ধরনের আপত্তিকর বক্তব্য পরিহার করতে অনুরোধ করছি। পোস্ট সংশোধন করে দিবেন, আশা করি।
২৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৭ থেকে ৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭।দেশে ব্যাপকভাবে শত্রুকে পরাভূত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবির উচিত নয়। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর। আল্লাহ চান পরকালের কল্যাণ। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৬৮। আল্লাহর পূর্ব বিধান না থাকলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ সেজন্য তোমরা মহাশাস্তিতে আক্রান্ত হতে।
৬৯। যুদ্ধে যা লাভ করেছ তা’ বৈধ ও উত্তম বলে ভোগ কর। আর আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
# আয়াতের শানে নজুল-
মুসনাদে আহমদে রয়েছে যে, বদরের বন্দীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি তাদের বলেন, আল্লাহ তা’আলা এ বন্দীদেরকে তোমাদের অধিকারে দিয়েছেন। বল তোমাদের ইচ্ছা কি? ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) তাদেরকে হত্যা করা হোক। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পুনরায় রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহ তা’আলা এদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, এরা কাল পর্যন্তও তোমাদের ভাইই ছিল। এবারও ওমর (রা.) দাঁড়িয়ে একই উত্তর দিলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) তাদের ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হোক।রাসূলুল্লাহ (সা.) এবারও মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং পূণরায় ঐ একই কথা বললেন।এবার আবু বকর সিদ্দিক (রা.) দাঁড়িয়ে গিয়ে আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আমার মত এই যে, আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং তাদের থেকে মুক্তিপণ আদায় করুন। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহর (সা.) চেহারা থেকে চিন্তার ছাফ দূর হয়। তিনি সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করেন এবং মুক্তিপন নিয়ে সবাইকে মুক্ত করে দেন। তখন মহিমাম্বিত আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন। -তাফসিরে ইবনে কাছির।
* আল্লাহর কথা আমি সংশোধন করতে পারি কি?
১১| ২৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি কুরআনের একটি আয়াতকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে নবী মুহাম্মাদ ﷺ-কে (নাউযুবিল্লাহ) অভিযুক্ত করার মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে সঠিক জবাব প্রদান সংক্রান্ত। নিচে যুক্তিপূর্ণ, সংযত ও ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে জবাব দেওয়া হলো:
প্রথমত: বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি ও অপব্যাখ্যার ফল
যিনি বলেছেন “মুহাম্মাদ ﷺ অনুচিত কাজ করেছেন”, তিনি হয়তো আয়াতের প্রকৃত ব্যাখ্যা ও শানে নুযূল (অবতরণ-পটভূমি) জানেন না। কুরআনকে কেবল অনুবাদ পড়ে বোঝা যায় না — তাকে সহীহ তাফসীর, হাদীস ও সাহাবীদের বক্তব্য দিয়ে বুঝতে হয়।
দ্বিতীয়ত: এই আয়াতে কোনো 'ভুল' বলা হয়নি, বরং শিক্ষা দেওয়া হয়েছে
আল্লাহ তাআলা এখানে রাসূল ﷺ-কে কোনো গুনাহগারের মতো দোষারোপ করেননি; বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি আদর্শনীতি স্থাপন করেছেন। আয়াতের ভাষায় বলা হয়েছে:
"ما كان لنبي..."
অর্থ: “নবীর জন্য এটা শোভনীয় নয় যে…”
এটি ভবিষ্যৎ নির্দেশনার একটি বাক্য, যা বোঝায়—"এরপর এভাবে না হওয়া উচিত"। এটি প্রতিকারমূলক বিধান (preventive legislation), কোনো নীতিগত ভুলের নিন্দা নয়।
তৃতীয়ত: রাসূল ﷺ দুনিয়াবি লাভের উদ্দেশ্যে কিছুই করেননি
ইবনে কাসীর, তাবারী, কুরতুবীসহ প্রাচীন তাফসীরকারগণ বলেছেন—
রাসূল ﷺ যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে সাহাবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন (শূরা করেন), এবং多数 সাহাবা (বিশেষ করে আবু বকর রা.) মানবিক ও কৌশলগত কারণে মুক্তিপণ গ্রহণের পরামর্শ দেন। রাসূল ﷺ এ পরামর্শ গ্রহণ করেন।
অর্থাৎ, এটি ছিল ইজতিহাদ বা নীতিনির্ধারণমূলক সিদ্ধান্ত, যা পরবর্তীতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সংশোধন করে দেওয়া হয়।
ইজতিহাদে ভুল হলে গুনাহ হয় না। রাসূলদের ইজতিহাদে কোনো ভুল হলে আল্লাহ সাথে সাথেই সংশোধন করেন — এটিই এখানেও হয়েছে।
চতুর্থত: আল্লাহ রাসূল ﷺ-কে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং বন্দীদের মুক্তিপণ গ্রহণকে বৈধ করেছেন
"فكلوا مما غنمتم حلالا طيبا..." (আনফাল: ৬৯)
অর্থ: "তোমরা যা গনিমত পেয়েছো তা হালাল ও পবিত্রভাবে ভোগ করো।"
সুতরাং, আল্লাহ যদি এটি হালাল ও পবিত্র ঘোষণা করেন, তবে কেউ একে ‘ভুল’ বা ‘অনুচিত’ বললে সে কুরআনের বিরুদ্ধেই কথা বলছে।
পঞ্চমত: এমন মন্তব্য করা কুফরি ও মারাত্মক অপরাধের দিকে ধাবিত করতে পারে
রাসূল ﷺ সম্পর্কে সচেতনভাবে বলা যে "তিনি অনুচিত কাজ করেছেন" — এটি তাঁর আসমানী দায়িত্ব ও নবুয়তের মর্যাদা হেয় করার নামান্তর।
আল্লাহ বলেন:
"وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَىٰ، إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ" (সূরা নجم ৩-৪)
অর্থ:“তিনি নিজের খেয়াল থেকে কিছু বলেন না। এটা তো ওহী ছাড়া কিছু নয় যা তাঁর প্রতি প্রেরিত হয়।”
সুতরাং, এমন মন্তব্য নবী ﷺ-কে সাধারণ মানুষ হিসাবে দেখার মতো মারাত্মক ভুল। এমন ভুল করা থেকে অবশ্যই আমাদের সতর্কতার সাথে বেঁচে থাকতে হবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের হেফাজত করুন।
২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: উচিত নয় এবং অনুচিত একই কথা। এখানে গুনাহের কথা কেউ বলেনি। আর ক্ষমা করা হলে গুনাহ থাকেইবা কোথায়? ওহীতে তাঁকে এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে যে কোন একটি করার। আল্লাহ যা বলেছেন সেটা হলো এটা না করে সেটা করলে সঠিক হতো। পোষ্টের উদ্দেশ্য হলো কারো কাজ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করা যা শিয়া সম্প্রদায় করে থাকে।
১২| ২৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
মূলকথা, ফরিদ ভাই, আপনি যে বলছেন“মুহাম্মাদ ﷺ অনুচিত কাজ করেছেন", (নাউজুবিল্লাহ) এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও দায়িত্বহীন বক্তব্য।
বদর যুদ্ধের বন্দীদের ব্যাপারে তিনি সাহাবিদের সঙ্গে শূরা করে সিদ্ধান্ত নেন। এটা ছিল কৌশলগত ও মানবিক একটি ইজতিহাদি পদক্ষেপ।
আল্লাহ তাআলা এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য একটি আদর্শনীতি নির্ধারণ করেছেন, কোনো গুনাহর অভিযোগ আনেননি।
বরং পরে আল্লাহ নিজেই বলেন, "তোমরা যা পেয়েছো তা হালাল ও পবিত্র।"
তাই দয়া করে কুরআনের আয়াত ও রাসূল ﷺ-কে মূল্যায়ন করার আগে প্রামাণ্য তাফসীর দেখে একান্তভাবেই জরুরি। নচেৎ আপনি আমি অজান্তেই বড় ভুল করে ফেলতে পারি।
আল্লাহ তাআলা আপনাকে কল্যান দান করুন।
২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি আল্লাহর কথা থেকে বেশী কিছু বলিনি। এখানে গুনাহের কথা নাই। কারণ আল্লাহর কথা অনুযায়ী কাজ করলে গুনাহ হবে কেন? যা পাপ নয় তার মধ্যেও উচিত অনুচিত থাকতে পারে।এ আয়াত সেটাই শিক্ষা দিচ্ছে। আর ক্ষমাযোগ্য পাপ ক্ষমা করে দিলে এ নিয়ে ত্যানা প্যাচানো ঠিক না। হযরত মুয়াবিয়াকে (রা) আল্লাহ ক্ষমা করে দিলে শিয়াদের কি করার থাকবে? অথচ এরা অযথাই মুসলিমদের মাঝে বিভেদ তৈরী করেছে। সেজন্য ইরানের বিপদে অন্য মুসলিমকে দূরে দাঁড়িয়ে তামসাদেখতে দেখা যায়। এর জন্য ইরানী শিয়ারা দায়ী।
সূরাঃ ৫৪, কামার ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। কোরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
* কোরআ্ন সহজ। এরজন্য মানুষের ব্যখ্যার দরকার নাই।
১৩| ২৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪০
রাফখাতা- অপু তানভীর বলেছেন: তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন যে, মহানবী (স) এর একাধিক বিয়ের কাজটা অনুচিত হয়েছে?
আমি কোন ধার্মিকের মুখ দিয়ে এমন কথা এই প্রথম শুনলাম। বেশ পুলকিত বোধ করলাম যে আপনি এমন কথা বললেন!!
২৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
সূরাঃ ৪ নিসার ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমরা যদি আশংকা কর যে, ইয়াতিম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে, দুই তিন অথবা চার: আর যদি আশংকা কর যে সুবিচার করতে পারবে না তবে একজনকে অথবা তোমাদের অধিকারভূক্ত দাসীকে। এতে পক্ষপাতিত্ব না করার অধিকতর সম্ভাবনা।
সূরাঃ ৪ নিসার ১২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৯। আর তোমরা যতই ইচ্ছা করনা কেন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার কখনোই করতে পারবে না, তবে তোমরা কোন এক জনের প্রতি সম্পূর্ণ ঝুঁকে পড়বে না ও অপরকে ঝুলিয়ে রাখবে না; যদি তোমরা নিজেদিগকে সংশোধন কর ও সাবধান হও তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
* সুবিচার করতে না পারলে একজনকে বিয়ের কথা বলা হয়েছে। আর স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার অসম্ভব হলে আল্লাহ একাধীক বিয়ে সমর্থন করলেন কি? সুতরাং তাঁর জন্য সেটা জায়েজ রাখলেও সেটাকে ভালো কাজ বলা হয়নি। সুতরাং জায়েজ হলেই ভালো কাজ হবে ঘটনা এমন নয়। হযত দরকারী কাজ হতে পারে।
১৪| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধার্মিকদের সমস্যা হলো- এরা ''মানুষ''কে মানুষ হিসেবে দেখে না। সমস্যা এখানেই।
এরা হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- হিসেবে ভাগ করে দেয়। যেদিন ধার্মিকেরা মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখবে সেদিন অর্ধেক সমস্যা কেটে যাবে।
০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এরা ''মানুষ''কে মানুষ হিসেবে দেখে না। এ সমস্যা ধার্মিক-অধার্মিক সবার মাঝে আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:১০
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
ইাম মাহদী ১টি রূপকথার চরিত্র, অনেক জাতিতে, অনেক ধর্মে এই ধরণের রূপকথা চালু আছে।
এই মহুর্তে ইমাম মাহদী হচ্ছে "এটম বোমা" ও AI.