নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জান্নাতি নারীরাও হুর পাবে

৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:১৪



সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ৫৬ নং হতে ৬১ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৬। সেই সকলের মাঝে রয়েছে বহু আনত নয়না, যাদেরকে পূর্বে কোন মানুষ অথবা জ্বীন স্পর্শ করেনি।
৫৭। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
৫৮। তারা যেন পদ্মরাগ ও প্রবাল
৫৯।সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
৬০। উত্তম কাজের জন্য উত্তম পুরস্কার ব্যতীত কি হতে পারে?
৬১। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।

সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ৭০ নং হতে ৭৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭০। সেই উদ্যানসমুহেন মাঝে রয়েছে সুশীলা সুন্দরীগণ।
৭১।সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
৭২।তারা হুর, তাবুতে সুরক্ষিতা।
৭৩। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
৭৪। এদেরকে ইতিপূর্বে কোন মানুষ অথবা জ্বীন স্পর্শ করেনি।
৭৫। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
৭৬। ওরা হেলান দিয়ে বসবে সবুজ তাকিয়া ও সুন্দর গালিচার উপর।
৭৭। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।

সূরাঃ ৫৪, কামার ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। কোরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

* উভয় বলতে জ্বীন-ইনসান, নারী-পুরুষ সকল জান্নাতিকে বুঝায়। সুতরাং সকল জান্নাতি হুর পাবেন। কোরআন সহজ বিধায় আমরা সহজভাবে এটা বুঝি। শুধু পুরুষ হুর পাবে এমন কোন স্পষ্ট প্রমাণ কোরআনে নাই।আর সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া ইসলামে কোন বক্তব্য সাব্যস্ত হয় না। সুতরাং শুধু পুরুষ হুর পাবে আমরা এমন বক্তব্য বাতিল ঘোষণা করছি।

নারী হুর দিয়ে কি করবে? তারা যদি বালিকা মনের হয় তবে সখি বান্ধবী যে কাজে লাগে হুর নারীদের সেকাজে লাগবে। ভাত-কাপড়ের জন্য নারীরা আবুলের বাপদের সাথে ঘর বাঁধে। জান্নাতে ভাত-কাপড়ের জন্য নারীদের আবুলের বাপদের দারস্থ্য হতে হবে না। সুতরাং তারা তাদের হুরদের সাথে সুখেই থাকবে। তবে আবুলের বাপদের কথা মনে পড়লেই তারা তাদের কাছে এসে হাজির হবে।

একটা সময় আমরা কুকুরদেরকে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি খুব আকৃষ্ট দেখি। অন্য সময় আমরা তাদেরকে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি খুব একটা আকৃষ্ট দেখি না।তো পুরুষের প্রতি আকৃষ্টই যদি নারি না থাকে তবে আবুলের বাপদের নিয়ে তাদের কি কাজ? আবুলের বাপদের ছাড়াও তারা হুরদের সাথে জান্নাতে সুখে-শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারবে। গরু ঘাস খায় আমি ঘাস খাই না। সুতরাং ভোগ-উপভোগ রুচি অনুযায়ী হয়ে থাকে। আমার পছন্দের গান আমার স্ত্রীর পছন্দ নয়, আর আমার স্ত্রীর পছন্দের গান আমার পছন্দ নয়। তো নারীর পছন্দ পরিবর্তন হয়ে যদি তারা তাদের পছন্দ মতই সব পেয়ে যায় তবে আবুলের বাপেরা কি পেল তা’ নিয়ে নারীর কি কাজ?

আমি যখন খুব উত্তেজিক হয়ে ক্রিকেট খেলা দেখি তখন আমার স্ত্রী-কন্যা রেসিপি দেখে। অথচ রেসিপি দেখে আমি কোন মাজা পাই না। ক্ষণিক আগেও আমার স্ত্রী আমাকে খুব আগ্রহ সহকারে একটা রেসিপি দেখালেও মুলত আমি সে রেসিপি দেখা কোন দরকারী কাজ মনে করিনি। তো আবুলদের মায়েরা জান্নাতে কি নিয়ে ব্যস্ত থাকবে তা’ দিয়ে আবুলদের বাপের কি? আর তখন আবুলদের বাপ হুর দিয়ে ব্যস্ত থাকলে আবুলদের মায়ের সমস্যা কি? যদি তার থেকে সতীনের হিংসা তুলে নেওয়া হয়। তবেতো এতে সমস্যা হবার কথা নয়। আমার মা খুব ধার্মিকা ছিলেন। তিনি বলতেন জান্নাতে সতীনের হিংসা থাকবে না।আর জান্নাতেই যখন যাবে তবে সেখানে কষ্টে থাকার মত কিছুই নারীরা পাবে না- এমন বিশ্বাস তাদের আল্লাহর উপর থাকা উচিত।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন, "সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে, যা কিছু তোমাদের মন চাইবে এবং যা তোমরা দাবী করবে।" (সূরা হা-মীম সাজদা: ৩১) এই আয়াতটি নারী-পুরুষ সবার জন্য প্রযোজ্য ।

৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি আমার কম্পাউন্ডে বালিকাদেরকে বালিকাদের সাথে যথেষ্ট আনন্দের সময় কাটাতে দেখি। এখানে তারা সংসারের প্রয়োজনে পুরুষের কথা ভাবে। সংসারের প্রয়োজন না থাকায় জান্নাতে পুরুষের বিষয়টা তাদের নিকট গুরুত্বের নাও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তারা তাদের হুর গেলমান নিয়ে সুখী জীবন যাপন করতেই পারে।

২| ৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৫

অপলক বলেছেন: আমি কিছু বয়ান শুনেছি তবে রেফারেন্স দিতে অপারগ। সেটা হল,
১). জান্নাতি নারী তার দুনিয়ার বৈধ্য স্বামী গনের ভেতরে তার পছন্দের স্বামীর সাথে জান্নাতে থাকবেন। যেমন, খাদীজা (রা.) একাধিক স্বামী থাকা স্বত্তেও জান্নাতে মহানবী (সা.) এর সাথে থাকবেন।
২). একজন জান্নাতী তার নিকট আত্মীয়ের মধ্যে ৪০জন পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশের জন্যে আল্লাহর অনুমতি চাইবেন এবং আল্লাহ দয়া পরবেশ হয়ে কবুল করবেন। সে ক্ষেত্রেও দুনিয়ার স্বামী যদি জাহান্নামী হয় কিন্তু ঐ নারী ফরিয়াদ করে, তবে ঐ নারীর সঙ্গী হিসেবে জান্নাতে সেই পছন্দের স্বামীকে পাবে।
৩). মা মরিয়াম (আ.) জান্নাতে মহানবী (সা.) এর স্ত্রী হবেন। এর অর্থ দাড়ায়, অবিবাহিত নারী জান্নাতে কোন একজন পুরুষ সঙ্গী পাবেন। তবে সেটা হবে আল্লাহর অনুগ্রহ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী।

জান্নাতে হয়ত সমকামীতা বৈধ থাকবে বলে আমার ধারনা। নয়ত গীবান/গেলমান/প্রমোদ বালক দের খেদমতের সুযোগ কই। তাছাড়া কুরআনে বলা হচ্ছে, জান্নাতীরা তাই পাবে যা মনে চাইবে এবং যা তারা দাবী করবে।

তবে মূল কথা হল, আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার বুকেই জান্নাতীদের ফিলটারিং/বাছাই পর্ব শেষ করছেন। কাজেই যারা জান্নাতী হবে, তাদের মধ্যে অসুস্থ্য, অশোভন, ভোগ বিলাস বা আজাইরা কামনা বাসনা বা নোংরা মনোভাব থাকবে না। একটু ভেবে দেখা দরকার, দুনিয়াতেই যদি ইমানদাররা সমকামীতা বিরোধী হয়, মদ, জুয়া, পরনারী বিদ্বেষী হয়, তবে জান্নাতে তারা সে সব কেমন করে চাইতে পারে? দুনিয়াতেই যদি মনে মনে খারাপ ধরনের হত, জান্নাতে খারাপ অশোভন কিছু পাওয়ার বাঞ্চনা থাকত, তাহলে আল্লাহ কি সবার মনের খবর রাখেন না? যদি সেটাই হয়, তাহলে গোপন / অগোচরের পাপাত্মাকারী কি করে জান্নাতী হয়। আল্লাহ ন্যায় বিচারক। তিনি বলেছেন, সবকিছু একটি খোলা বইয়ে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে যা তোমরা গোপনে বা প্রকাশ্যে কর।

অতএব, বন্ধুরা তুচ্ছ জিনিস নিয়া ব্যানপেটি বাজাইয়ো না। ইসলাম অনেক সুন্দর ও সহজ। যতটুকু জানো ততটুকই আমল কর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.