নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহর সুন্নাত, হিকমাত ও ফিকাহের দায়িত্ব পালনে মুসলিমগণের অবহেলা তাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ নিবারণের কারণ

২৩ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:১৫



সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। আল্লাহ মানুষের প্রতি কোন অনুগ্রহ অবারিত করলে কেউ তা’ নিবারণকারী নেই। আর তিনি নিবারন করলে কেউ উহার উম্মুক্তকারী নেই।তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* আল্লাহর সুন্নাত, হিকমাত ও ফিকাহের দায়িত্ব পালনে মুসলিমগণের অবহেলা তাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ নিবারণের কারণ। তারা আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার অস্ত্রের মৌজুদ গড়ে তোলেনি। তাদেরকে আল্লাহর যে তৈল দিলেন তা’দিয়ে তারা বিলাশিতায় ডুবেছে। শুরুতেই তারা রাসূলের (সা.) সুন্নতে অধীক ঝুঁকেছে। সেই কাজটিও তারা রাসূলের (সা.) সুন্নত মেনে করেনি। রাসূলের (সা.) সুন্নাত হলো উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা। সুতরাং রাসূলের (সা.) নামে প্রচারিত যে সুন্নাত উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের আমলে নাই তা’ বাতিল। কারণ রাসূলের (সা.) নামে বহু মিথ্যা কথা ছড়ানো হয়েছে। এত্ত দোষের পর আল্লাহ মুসলিমদের প্রতি অনুগ্রহ নিবারন করলেন। তারপর কেউ এর উম্মুক্তকারী হতে পারছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় আহলে সুন্নাত হবে আল্লাহর সুন্নাত অনুযায়ী, নবির (সা.) নামে প্রচার করা মিথ্যা কথা অনুযায়ী আহলে সুন্নাত হবে না। প্রযুক্তি, চিকিৎষা ও অস্ত্র বিদ্যায় মুসলিমদেরকে শ্রেষ্ঠ হতে হবে।আর আমির অনুমোদীত ফিকাহ তথা হানাফী ফিকাহ হতে হবে তাদের ইবাদতের নিয়ম। এসব না হলে তারা আল্লহর অনুগ্রহ নিবারন চক্র থেকে বের হতে পারবে না। আমি এদেরকে দু’হাজার ষোল সাল থেকে সঠিক পথ দেখিয়ে আসছি। কিন্তু এদের আমার কথার কোন গুরুত্ব নাই। তাদের মনগড়া পথে দুনিয়ায় তাদের জন্য আল্লাহর গজব এবং পরকালে জাহান্নাম।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:২১

লোনার বলেছেন: অনেক বানান ভুল - ঠিক করে দিন।

২৩ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: একটা ঠিক করেছি। আরো থাকলে বলে দিন।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৫৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যারা ইসলামকে কেবল পরকেন্দ্রিক ধর্ম বানিয়েছে তাদের কারণেই মুসলমানদের উন্নয়ন থেমে গেছে।ধর্মকে কুসংস্কার থেকে মুক্ত করে যুক্তি ও প্রজ্ঞার আলোয় আনাই সত্যিকারের ইসলামী দায়িত্ব। কোনো জাতি দুর্দশায় পড়লে তা আল্লাহর ‘রাগ’ নয়, বরং তাদের জ্ঞানের অভাব, কর্মবিমুখতা ও দুর্বল নেতৃত্বের ফল। মানুষ তার নিজ চিন্তা ও কর্ম দ্বারা নিজের সমাজ ও রাষ্ট্রকে গঠন করে।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.