নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ মারওয়ান ও হযরত আব্বাসের (রা.) বংশে তাঁর অনুগ্রহ অবারিত করে হযরত আলী (রা.), হযরত যুবাইর ইবনে আওয়াম (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) বংশে তাঁর অনুগ্রহ নিবারন করলেন কেন?

২৭ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:২৮




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি কর।তোমার হাতেই মঙ্গল।নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। আল্লাহ মানুষের প্রতি কোন অনুগ্রহ অবারিত করলে কেউ তা’ নিবারণকারী নেই। আর তিনি নিবারন করলে কেউ উহার উম্মুক্তকারী নেই।তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।

সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।

* ইব্রাহীম বংশিয় যাঁদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ নিবারন করলেন তাঁদের প্রত্যেকের সন্তান স্বল্প সময় মুসলিম শাসকের দায়িত্ব পালন করেন, তারপর আর তাঁদের বংশে মুসলিম বিশ্ব নেতৃত্ব ফিরেনি। কিন্তু মারওয়ান ও হযরত আব্বাসের (রা.) বংশে মুসলিম বিশ্বনেতৃত্ব ছিল বহু কাল। মারওয়ান বংশ স্পেন ও ভারতীয় উপমহাদেশের একাংশ জয় করে এবং আব্বসীয়রা জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নতি সাধন করে। এর কারণ কি?

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।

সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।

* যাঁদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ নিবারন করলেন তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়েছেন। যা নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল চরিত্রের পরিপন্থী। তাঁরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) না করলে আল্লাহ হয়ত তাঁদের ঈমানই কেড়ে নিতেন। অযোগ্য হওয়ার পরেও হযরত আবু বকর (রা.) পুত্র ও হযরত আলীর (রা.) পালক পুত্র মোহাম্মদ মিশরের শাসক হতে চেয়ে মারওয়ানের চক্রান্তে প্রাণ হারাতে বসে। ফিরে এসে সে মারওয়ানের প্রাণ নিতে গিয়ে খলিফা হযরত ওসমানের (রা.) হত্যাকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। সে বৃদ্ধ খলিফার দাঁড়ি ধরে টান মারে। এ বেয়াদবকে হযরত আলী (রা.) মিশরের শাসক নিযুক্ত করলে তার অযোগ্যতা ধরা পড়ে। অবশেষে সে পদ এবং প্রাণ দুটোই হারায়। এর কারণেই সাহাবায়ে কেরামের (রা.) তিনিটি দল পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়েছেন।

মারওয়ান তার কাজে যোগ্য ছিল। যোগ্যতার কারণেই তার বংশের লোকেরা রাজত্ব পেয়েছে। আব্বাসীয়রা তাদের চেয়ে বেশী যোগ্য হয়ে তাদের থেকে রাজত্ব কেড়ে নেয়। অটোমানরাও যোগ্যতার কারণে রাজত্ব পায়। হযরত আলী (রা.) পক্ষের আহলে বাইত যোগ্যতা ছাড়াই মুসলিমদের বিশ্ব নেতা হতে চেয়েছে। তবে কম যোগ্যতায় তারা মুসলিমদের আঞ্চলিক নেতা ছিল বা আছে।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ৪০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪০। যদি তোমরা তাঁকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহতো তাঁকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফিরগণ তাঁকে ধাওয়া করেছিল (হত্যা করার জন্য), আর তিনি ছিলেন দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় জন। যখন তাঁরা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিলেন, তিনি তখন তাঁর সঙ্গিকে বলেছিলেন, তুমি বিষণ্ন হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।অতঃপর তাঁর উপর আল্লাহ তাঁর প্রশান্তি নাজিল করেন এবং তাঁকে শক্তিশালী করেন এমন সৈন্যবাহিনী দ্বারা যা তোমরা দেখনি।আর তিনি কাফেরদের কথা তুচ্ছ করে দেন।আর আল্লাহর কথাই সুউচ্চ। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী সুবিজ্ঞ।

# সূরাঃ ৯ তাওবা, ৪০ নং আয়াতের তাফসির তাফসিরে ইবনে কাছির
৪০। আল্লাহ তা’আলা জিহাদ পরিত্যাগকারীদেরকে সম্বোধন করে বলেছেন, তোমরা যদি আমার মহান রাসূলের (সা.) সাহায্য সহযোগিতা ছেড়ে দাও তবে জেনে রেখ যে, আমি কারো মুখাপেক্ষী নই। আমি নিজে তাঁর সহায়ক ও পৃষ্ঠপোষক। ঐ সময়ের কথা তোমরা স্মরণ কর যখন হিজরতের সময় কাফেররা আমার রাসূলকে (সা.) হত্যা করা বা বন্দী করা বা দেশান্তর করার চক্রান্ত করেছিল। তখন তিনি প্রিয় সহচর আবু বকরকে (রা.) সঙ্গে নিয়ে গোপনে মক্কা থেকে বেরিয়ে যান। সেই সময় তাঁর সাহায্যকারী কে ছিল? তিনদিন পর্যন্ত তাঁরা সাওর পর্বতের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য এই যে, তাঁদের ধাওয়াকারীরা তাঁদেরকে না পেয়ে যখন নিরাশ হয়ে ফিরে যাবেন, তখন তাঁরা মদীনার পথ ধরবেন।ক্ষণে ক্ষণে আবু বকর (রা.) ভীত বিহবল হয়ে উঠেন যে, না জানি কেউ হয়ত জানতে পেরে রাসূলকে (সা.) কষ্ট দিবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে সান্তনা দিয়ে বললেন, হে আবু বকর! দু’জনের কথা চিন্তা করছ কেন? তৃতীয় জন যে আল্লাহ রয়েছেন।

* রাসূলের (সা.) আহলে বাইত থেকে রাসূলের (সা.) সাহয্যকারীর গুরুত্ব আল্লাহর নিকট কম নয়। আল্লাহর করা তিন জনের তালিকার একজন রাসূলের (সা.) সাহায্যকারী হযরত আবু বকর (রা.)। এ তালিকার অন্য দু’জন আল্লাহ এবং রাসূল (সা.)। রাসূলের (সা.) আরো দু’জন সাহায্যকারী হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.)।তাঁরা যখন রাসূলের (সা.) মহাবিপদে সাহায্যকারী ছিলেন তখন হযরত আলী (রা.) ছোট ছিলেন।সংগত কারণে তখন হযরত আলীর (রা.) চেয়ে রাসূলের (সা.) প্রতি তাঁদের সাহয্য বেশী ছিল। তাঁদের যোগ্যতাও বেশী ছিল। কারণ তাঁদের সময়ে খেলাফত খন্ডিত হয়নি, কিন্তু হযরত আলী (রা.) খেলাফত অখন্ড রাখতে পারেননি। সুতরাং আল্লাহর নেতৃত্ব প্রদানের বিষয়টি ন্যায় সঙ্গত ছিল। যারা প্রথম তিন খলিফার খেলাফত অস্বীকার করে তারা আল্লাহর ন্যায় পরায়নতার কুফুরী করে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৩৯

ইপিআর সৈনিক বলেছেন:



নবী (স: ) বেদুইনদের সমবেত করে, পরিত্যক্ত আরবে ১টি সামন্ত রাজ্য গঠন করেছিলেন; সেই সময় শক্তিশালী ছিলো পারসিক, রোমান/বায়জান্টাইন ও গ্রীকেরা।

সেই আরব সাম্রাজ্য নিয়ে হানহানীও হয়েছে; সেটা নিয়ে আরবী কবিতাও হয়েছে; এই তো? নাকি আরো কিছু আছে?

২| ২৮ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৪৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আল্লাহর অনুগ্রহ বংশগত নয়, বরং ঈমান ও কর্মের উপর ভিত্তি করে। অতএব, আল্লাহ কখনোই কোনো বংশকে সম্পূর্ণভাবে বরকত বা অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত করেন না, কিংবা অন্য বংশকে বিশেষ অনুগ্রহ দান করেন। ইতিহাসের রাজনৈতিক ঘটনাবলি থেকে এই বিষয় আলাদা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.