নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিআর পদ্ধতি বিএনপির ক্ষমতায় থাকার জন্য ভালো

১০ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:১৬



ছোট দলগুলো পিআর পদ্ধতি সমর্থন করে। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে পারলে এবং ভারত পাশে থাকলে পিআর পদ্ধতিতে বিএনপির ক্ষমায় আসতে বা থাকতে সমস্যা কমে।বিএনপি পিআর পদ্ধতির পাশে থাকলে ছোট দলগুলো তাদের পাশে থাকবে। আওয়ামী লীগসহ সব দল এক সাথে বিএনপিকে ধাওয়া দিলে ক্ষমতায় টিকে থাকার মত দল বিএনপি নয়। বিএনপি পিআর পদ্ধতি সমর্থন না করলে ছোট দলগুলো বিএনপিকে ধাওয়া দিলে এবং তাদের সাথে আওয়ামী লীগ থাকলে বিএনপির জন্য বিশাল সমস্যা। ক্ষমতায় গেলেও নেতা-কর্মীদের কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা হারাতে সময় লাগবে না। সেজন্য বিএনপির ছোট দলের সমীহ দরকার আছে। জামায়ত, ইসলামী আন্দোলন ও হেফাজত ছোট দল হলেও এদের মাঠে নামার মত লোকের অভাব নাই। পিআর পদ্ধতিতে এরা ক্ষমতার কিঞ্চিত ভাগ পেলে বিএনপির সেটা মানা উচিত। তাহলে হয়ত এরা বিএনপির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিবে না। তখন শুধু মাত্র বিএনপির আওয়ামী লীগ সামলাতে পারলেই হবে। তার জন্য হামলা-মামলা তো আছেই। আওয়ামী লীগ সেটা সবাইকে শিখিয়ে গেছে।

অতীতে বিএনপির কাজের যোগ্যতা কম থাকতে দেখা গেছে।বিদ্যুৎ সংক্রান্ত জনতার ধাওয়ায় বিএনপির এক নেতার নাম হয়েছে দৌড় সালাউদ্দিন। সেজন্য আওয়ামী বিরোধী বিএনপির ডাকে জনগণকে সাড়া দিতে দেখা যায়নি। এবার সবার সাথে বিএনপি শরীক হয়ে আওয়ামী লীগকে তাড়া দিলে আওয়ামী লীগ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সেই সবাই যদি পিআর সমর্থক হয় তবে সেই সবার সাথে বিএনপির থাকা উচিত।

বিদ্যমাণ পদ্ধতির সবচেয়ে ভালো ফসল স্বৈরাচার। সুতরাং পিআর চালু করে দেখা যেতে পারে স্বৈরাচার উৎপাদন বন্ধ হয় কিনা।কোন নেতার প্রতি এখন আর জনতার ভক্তি নাই। সুতরাং দল ভোট পেয়ে যাদেরকে তারা নেতা বানাবে তারাই জনতার নেতা হবে। তিনশত এমপি ঠিক হওয়ার পর তাদেরকে এলাকা ভাগকরে দিলে তারাই এলাকার নেতা হবে। টিএনও ডিসি তো জনতার ভোটে নেতা হয় না, তথাপি জনতা তাদেরকে নেতা মানে। এমপিও না হয় দল ঠিক করে দেক। জনগণ দলকে ভোট প্রদান করুক। এ পদ্ধতির ভালো দিক হলো দল সংসদে আসন পেলেই দলের প্রধান নেতা সংসদে আসন পাবেন এবং তিনি তাঁর দলের কথা সংসদে বলতে পারবেন।

পিআর পদ্ধতিতে যদি স্বৈরাচার উৎপাদন বন্ধ হয় তাহলে ক্ষতি কি? স্বৈরাচারতো গণতন্ত্রই ঝেটিয়ে বিদায় করে। প্রতি বছর নতুন ভোটার হয় কিন্তু স্বৈরাচারের কারণে তারা ভোট দিতে পারে না। এটা একটা হৃদয় বিদারক ঘটনা। এবার তারাই দলে দলে রাস্তায় নেমে স্বৈরাচার তাড়িয়ে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে।এখন সে নির্বাচন পদ্ধতি দরকার যাতে আর স্বৈরাচার গজাতে পারবে না।

পুরনো ইতিহাস ফিরে এলে লজ্জাকি তুমি পাবে না ও বন্ধু? পুরনো নির্বাচন পদ্ধতিতে পুরনো ইতিহাস ফিরে এলে জাতি চব্বিশের আন্দোলনের কারণে লজ্জা পাবে। যেমন আমরা নব্বই এর গণ আন্দোলনের কারণে লজ্জা পেয়েছি যখন দেখলাম আমরা ভোট দিতে পারছি না, বরং আমাদের ভোট অন্য কেউ দেয়। পিআর হলে যদি সব সময় ভোট দিতে পারি তবে এ পদ্ধতিকে স্বাগত জানাব।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কোনো নির্বাচনী পদ্ধতিই সব সমস্যার সমাধান নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো: শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, আইনের শাসন, এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নতি।

১০ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পুরাতন পদ্ধতিতে আমরা তো অনেক স্বৈরাচার দেখলাম সেজন্য নতুন পদ্ধতি ট্রাই করা যেতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.