![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। আল্লাহ মানুষের প্রতি কোন অনুগ্রহ অবারিত করলে কেউ তা’ নিবারণকারী নেই। আর তিনি নিবারন করলে কেউ উহার উম্মুক্তকারী নেই।তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১।প্রশংসা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর, যিনি বার্তাবাহক করেন মালাইকাকে (ফেরেশতা) যারা দুই-দুই, তিন-তিন অথবা চার-চার পাখা বিশিষ্ট। তিনি তাঁর সৃষ্টিতে যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
* আল্লাহ ইহকালে হযরত আলী (রা.), তাঁর পরিবার ও বংশের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ অবারিত করলে তাঁদের বিপদে তাঁদের সহায়তায় আল্লাহ ফেরেশতা পাঠাতেন। তাঁদের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি। কিন্তু কেন?
সূরাঃ ৩৩ আহযাব, ৩২ নং ও ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩২। হে নবী পত্নিগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও। যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তবে পর পুরুষের সহিত কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলবে না, যাতে অন্তরে যার ব্যাধী আছে, সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায় সঙ্গত কথা বলবে।
৩৩। আর তোমরা নিজগৃহে অবস্থান করবে এবং প্রচীন যুগের মত নিজদিগকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।তোমরা সালাত কায়েম করবে ও যাকাত প্রদান করবে। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত থাকবে। হে আহলে বাইত (নবি পরিবার)! নিশ্চয়ই আল্লাহ চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।
# সূরাঃ ৩৩ আহযাব, ৩৩ নং আয়াতের তাফসির তাফসিরে ইবনে কাছির
৩৩। আহলাল বাইত আয়াতাংশ বিষয়ে ইকরিমা (রা.) বাজারে বাজারে বলে বেড়াতেন এ আয়াত রাসূলুল্লাহর (সা.) স্ত্রীদের জন্য বিশেষভাবে নাযিল হয়েছে। ইবনে আবী হাতিম (র.) বলেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসও (রা.) এ কথা বলেছেন।
ইবনে জারীর (র.) বর্ণনা করেন, সাফিয়াহ বিনতে শাইবাহ (র.) বলেন, আয়েশা (রা.) বলেছেন, একদা ভোরে রাসূলুল্লাহ (সা.) উটের চুলের তৈরী একটি ডোরাকাটা চাদর গায়ে জড়িয়ে বের হন। তখন তাঁর নিকট হাসান আসলে তিনি তাঁকে চাদরের মধ্যে জড়িয়েনেন। অতঃপর হুসাইন (রা.) তাঁর কাছে আসলে তাঁকেও তিনি চাদরে জড়িয়ে নেন। এরপর ফাতিমা (রা.) এলে তাঁকেও চাদরে জড়িয়ে নেন। অতঃপর আলী (রা.) তাঁর কাছে আসেন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকেও তাঁর চাদরে জড়িয়ে নেন। এরপর তিনি পাঠ করেন, আল্লাহতো শুধু চান তোমাদের হতে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।
* রাসূলের (সা.) অনেক দায়িত্বের একটি ছিল মাওলার দায়িত্ব। রাসূলের (সা.) পর সে দায়িত্ব পালন করার জন্য হযরত আলী (রা্.) এবং তাঁর পরিবারের অন্য দিন সদস্যকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করা হয়। কিন্তু তাঁরা সে দায়িত্ব পালন করেননি।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি কর।তোমার হাতেই মঙ্গল।নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
* মাওলার দায়িত্ব ছিল পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ সংকলন প্রস্তুত করে তা’ আমির কর্তৃক অনুমোদন করিয়ে সারা বিশ্বে এর শিক্ষা বিস্তার করা। কারণ আল্লাহ ফিকাহ দিয়ে ভয় প্রদর্শন করতে ও সাবধান হতে বলেছেন।হযরত আলী (রা.) ও তাঁর পরিবার এ দায়িত্ব পালন করলে সারা বিশ্বের ফিকাহ শিক্ষিত ও তাঁদের অনুগামীগণ তাঁদের পক্ষে যুদ্ধ করতেন এবং সেই সাথে তাঁরা ফেরেশতা সহায়তা পেতেন। ফলে তাঁদের বিপক্ষে অন্যদের জয়ী হওয়া সম্ভব হত না। ফিকাহ সংকলনের জন্য আলী (রা.) ও তাঁর পরিবারকে কোরআন ও হাদিস সংকলন করতে হত। তা’ না করে তাঁরা খলিফার দায়িত্বের জন্য প্রচারণা চালালেন। অথচ হযরত আলীর (রা.) রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের সময় খলিফা হওয়ার যোগ্যতা ছিল না। আল্লাহ রাসূলকে (সা.) তিপ্পান্ন বছরে শাসক বানালে হযরত আলী (রা.) তেত্রিশ বছর বয়সে শাসক হবেন কেন? সুতরাং তিনি সাতান্ন বছর বয়সে সঠিক সময়ে খলিফা হয়েছেন।তাঁর আগে চব্বিশ বছর তাঁর কোরআন, হাদিস ও ফিকাহ সংকলনের জন্য যথেষ্ট ছিল।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
* হযরত আলী (রা.) মাওলার দায়িত্ব পালন না করায় ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলেগেল এবং ইসলাম বিনষ্ট হলো। কারবালায় তাঁর পুত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) তাঁর প্রতিপক্ষে কোন মুমিন পেলেন না। তারা তাঁর মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার দেয়। অথচ তিনি সারা বিশ্বে ফিকাহ শিক্ষার ব্যবস্থা করলে তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করতে কয়েক লক্ষ লোক হাজির হত। আল্লাহ তাঁর প্রতি অনুগ্রহ নিবারন করায় তিনি তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করতে পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কোন লোক তেমন একটা পেলেন না।
সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
* হযরত আলীর (রা.) বংশে আল্লাহর অনুগ্রহ নিবারন থাকায় এ ইব্রাহীম (আ.) বংশিয়দের থেকে মুসলিম বিশ্ব ইমাম নিযুক্ত হওয়া বন্ধ আছে।আল্লাহ আর কি করবেন? অবশেষে তিনি পারসিক ইমাম আবু হানিফাকে (র.) একশত বার দিদার প্রদান করে তাঁকে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ সংকলন করালে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসে। এরপর সবচেয়ে পরাক্রান্ত কুরাইশ খলিফা হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফার (র.) ফিকাহ পরিশোধন করে অনুমোদন করলে ইসলামের স্বর্ণ যুগ শুরু হয়। সেই হানাফী ফিকাহের বিরোধীতার কারণে মধ্যপ্রাচ্য ইসরাইল কর্তৃক পদদলিত হচ্ছে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
* মধ্যপ্রাচ্য সঠিক ফিকাহের বিরোধীতার কঠিন শাস্তি পাচ্ছে।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:০০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সবকিছুতে সবার প্রয়োজন থাকে না। যেমন গরুর গোস্তের ও বাঘের ঘাসের প্রয়োজন নাই। আর গরুর প্রয়োজন না থাকলেও গোস্ত কিন্তু দামী। আর গরুরর প্রয়োজনীয় ঘাসের দাম কিন্তু অনেক কম।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:০৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনি যে কোথাথেকে কপিপেস্ট করেন আগাপাছা কিছুই বোঝা যায়না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট অপ্রয়োজনীয়।