নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী দল সমূহ আল্লাহর কোন আইন চায়?

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭




সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।

* আল্লাহর দ্বীন পূর্ণাঙ্গ বিধায় তাঁর আইন পূর্ণাঙ্গ হবে। আল্লাহর আইন বিভিন্ন পথ দেখাবে না। আল্লাহর আইনে কোন মতভেদ থাকবে না। কোরআনের শর্ত মেনে ফিকহে আকবর নামে আল্লাহর দ্বীনের পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন করেছেন ইমাম আবু হানিফা (র.)। সবচেয়ে পরাক্রান্ত কুরাইশ আব্বাসীয় খলিফা আমির হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফা (র.) সংকলিত আল্লাহর দ্বীনের পূর্ণাঙ্গ আইন পরিশোধন করে অনুমোদন করেন। এ আইন বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম অনুসারিত। এর সাথে যে সব মতভেদ উপস্থাপিত হয়েছে তার কোনটি কোন কুরাইশ আমির কর্তৃক অনুমোদীত নয় বিধায় সেই সব আইন ইসলামী আইন হিসাবে বিবেচিত হবে না।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল (যুদ্ধ) করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দ্বীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

* ফিকাহ অর্জনের কথা আল্লাহ বলেছেন। এরজন্য ফিকাহ সংকলন ও এটা শিক্ষার সুব্যবস্থার দরকার ছিল। রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এ দরকারী কাজ না করায় ফিতনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের সময় সাহাবায়ে কেরাম (রা.) তাঁর ঘরেই ফিতনায় লিপ্ত হন। তারপর তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়েছেন। রাসূলের (সা.) পর সাহাবায়ে কেরাম (রা.) একশত বছর ফিতনার মধ্যেই ছিলেন। ফিতনা থেকে তাঁরা কখনই অবসর পাননি।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি কর।তোমার হাতেই মঙ্গল।নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।

সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।

* আল্লাহর আইন আল্লাহর সুন্নাত ফিকাহ, যার পরিবর্তে কোরআন মানসুখ ও হাদিস বাতিল হয়; তা’ সংকলন ও শিক্ষার ব্যবস্থা না করায় রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ফিতনায় আক্রান্ত হন। এমনকি সাহাবায়ে কেরাম (রা.)পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হন। এমতাবস্থায় ঈমান পৃথিবী ছেড়ে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায়। কারবালায় জান্নাতের যুব নেতা ইমাম হোসেন (রা.) তাঁর প্রতিপক্ষে কোন মুমিন খুঁজে পাননি। তারা ইমামের মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার দেয়। মদীনাবাসী এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ইয়াজিদ তাঁদেরকে লাঞ্চিত করে। অবশেষে একশতবার আল্লাহর দিদার প্রাপ্ত পারসিক ইমাম আবু হানিফা (র.) ফিকাহ সংকলন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করলে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ঈমান পৃথিবীতে ফিরে আসে। আব্বাসীয় আমির হরুনুর রশিদ এটি পরিশোধন করে অনুমোদন করলে ইসলামের স্বর্ণযুগ শুরু হয়। তারপর যারা মানসুখ আয়াত ও বাতিল হাদিস দিয়ে এর বিরোধীতা করে তারা আল্লাহর পথ ছেড়ে অন্য পথে চলে গেছে। আর আল্লাহর সুন্নাত ফিকাহের অনুসারী থাকায় আল্লাহ খোলাফায়ে রাশেদ ও উমাইয়াদের থেকে আব্বাসীয়দেরকে অনেক বেশী দিন ক্ষমতায় রাখেন। এখন যে ইসলামী দল গঠিত হবে তাদের আমির কুরাইশ হবে। তারপর তারা যে আইনে দেশ চালাবে বলছে তারা সেই আইনের সংকলন তৈরী করবে। তারপর মুসলিম জনগণ ভাববে তাদেরকে ভোট দিবে কি দিবে না।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজনের উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।

* ইসলামী দল সমূহের একদল যেটাকে আল্লাহর আইন বলছে অন্য দল বলছে সেটা আল্লাহর আইন নয়। এ জন্য বিরক্ত জনগণ তাদেরকে ভোট দিচ্ছে না। জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর আইন নামে আল্লাহর আইন সংকলন তৈরী করবে। যে সংকলনের মলাটে লেখা থাকবে “আল্লাহর আইন” নীচে লেখা থাকবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অন্য ইসলামী দলও এমন সংকলন তৈরী করবে। যাদের সংকলন জনগণের পছন্দ হবে জনগণ সেই দলকে ভোট দিবে। তবে দলটি জয়ী হতে মোট ভোটারের একতৃতীয়াংশ তাদের দলীয় সদস্য হতে হবে। যারা হবে ইসলামী অনুশাসন পালনকারী। জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রে এ শর্ত পূরণ আছে কি? তাদের ইসলামী জোটের ক্ষেত্রে এ শর্ত পূরণ আছে কি? উত্তর ‘না’ হলে ধরে নিন এবার তারা সরকার গঠন করছে না। আর যদিও বা তারা সরকার গঠন করে তবে সেই সরকার ইসলামী সরকার হবে না। সেজন্য এখন তাদেরকে ইসলাম নয় বরং ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।আল্লাহর আইন সংকলনের কাজে আমি সমম্বয়কের দায়িত্ব পালন করতে সম্মত আছি। কোন দল এ সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করলে আমি তাদেরকে সহায়তা প্রদান করতে প্রস্তুত আছি। ইসলামী দল সমূহ ক্ষমতা লাভের জন্য যতই ইচ্ছা পোষন করুক ক্ষমতা লাভের যোগ্যতা অর্জন না করলে আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমতা প্রদান করবে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আজে বাজে জিনিস।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৪২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিষয়টি আপনি বুঝতে পারেননি।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এসে দেশে আল্লাহর আইন চালায়া দেবে, এনশাল্লাহহ।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:

এখন ইসলাম নয় ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সময়

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজনের উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

সূরাঃ ৫৪, কামার ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। কোরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।

* ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করতে ইসলামী দলের বা জোটের সদস্য হতে হবে এক তৃতীয়াংশ ভোটার, যারা ইসলামী অনুশাসন পালনকারী হবেন। অথচ এখন ফয়জরের জামায়াতের উপস্থিতি ৫% ভোটার নয়।সুতরাং এখন ইসলাম কায়েম করা যাবে না।জবরদস্তি ইসলাম কায়েম করলেও ইসলাম কায়েম থাকবে না। ইসলামী অনুশাসন মানার হার কমে যাওয়ার কারণে রাসূল (সা.) প্রতিষ্ঠিত ইসলাম কায়েম থাকেনি। ইসলাম কায়েম রাখার ক্ষেত্রে আল্লাহর উপদেশ হলো একত্রিতভাবে বা সংগঠনের মাধ্যমে ইসলামের অনুশাসন মেনে চলা। ইমাম হোসেনের (রা.) এমন কোন সংগঠন ছিল না। সেজন্য তখন রাষ্ট্র ইমাম হুসেনী (রা.) শাসনের যোগ্য থাকেনি, বরং ইয়াজিদী শাসনের উপযুক্ত হয়ে গিয়েছিল। তখন ইমাম হোসেন (রা.) তাঁর প্রতিপক্ষে কোন মুমিন খুঁজে পাননি। যারা তখন মুমিন ছিল তারাও তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করার মত সাহসী ছিল না। সেজন্য তখন ইমাম হোসেন (রা.) খেলাফত প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হননি। তখন পাকাপোক্তভাবে বাদশাহী প্রতিষ্ঠিত হয়ে ছিল। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলাম বা অন্যান্য ইসলামী দল ইসলামী সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করলেও এর মাধ্যমে ৫% এর বেশী ভোটার ইসলামের অনুশাসন পালনকারী হয়েছে বলে মনে হয় না।উপদেশ গ্রহণের জন্য কোরআন আল্লাহ সহজ করলেও রাসূলের (সা.) মত প্রত্যেক নামাজের পর জনতাকে কোরআনের উপদেশ শুনানো হয় না। এমন হলে হয়ত নামাজীগণ তাদের পরিবারে কোরআনের উপদেশ শুনাতেন। তাতে হয়ত ইসলামের অনুশাসন পালনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেত। রাসূল (সা.) এ দায়িত্ব যেভাবে পালন করেছেন খলিফাগণ এ দায়িত্ব সেভাবে পালন করেননি বিধায় ইসলামের অনুশাসন পালনকারী কমে ইসলামী শাসনের অবশান হয়ে বাদশায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। হযরত মুয়াবিয়া না করলেও তাঁর বাইশ বছর ইমাম হোসেন (রা.) যদি খেলাফতের সকল মসজিদে প্রত্যেক নামাজের পর কোরআনের উপদেশ শুনানোর ব্যবস্থা করতেন তাহলে হয়ত মুসলিমদের মাঝে মুমিন সংখ্যা এভাবে কমে যেত না। মুসলিমদের মধ্যে সব সময় কিছু লোক মোনাফিক থাকে। কারবালার যুদ্ধের সময় এ সংখ্যা বেশী বেড়ে গিয়েছিল। এসময় কঠিন মোনাফিক তো ছিলই হযরত ইমাম হোসেনকে (রা.) সহায়তা করার মত শক্ত মুমিন কম ছিল। সেজন্য তাঁর খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা সফল হয়নি।এখনও বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মত ইসলামের অনুশাসন পালনকারী সংখ্যা বাড়েনি। যে সাংগঠিক ব্যবস্থায় এ সংখ্যা বাড়বে এখানে সে রকম সাংগঠনিক তৎপরতা নাই। সুতরাং এখন বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার তৎপরতা বাদ দিয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার তৎপরতা চালাতে হবে। আটটি ইসলামী দলের ঐক্য হয়েছে এটা ভালো সংবাদ। এ আটদলের সাথে অন্য যে সব দল ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী তাদেরকে যুক্ত করে তৎপরতা চালালে বাংলাদেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হলেও হতে পারে।এখানে সকল পক্ষ যদি ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তবে জনগণ ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় যাদের প্রতি আস্তা রাখবে তারা তাদেরকে ভোট দিবে।সাকুল্যে এখন আমাদের দেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করাই বেশী দরকার। আমি আজ স্বপ্নে দেখলাম সরকারি দল অপহরণ বানিজ্যে লিপ্ত। এমন হলে জনগণ অতিষ্ট হয়ে পড়বে। কোন দল এমন অকাজ করতে পারে সন্দেহ হলে তাদেরকে ভোট দান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.