| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাজাগতিক চিন্তা
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ১৫ হিজর, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯।যখন আমি উহাকে সুঠাম করব এবং উহাতে আমার পক্ষ হতে রূহ সঞ্চার করব (ফুঁকে দেব) তখন তোমরা তার প্রতি সিজদাবনত হবে।
সূরাঃ ১৭ বনি ইসরাঈল, ৮৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৫। তোমাকে তারা রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তুমি বল, রূহ আমার রবের আদেশ ঘটিত।এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দেওয়া হয়েছে।
সূরাঃ ৩০ রূম, ৩০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। তুমি একনিষ্ঠ হয়ে নিজেকে দীনে প্রতিষ্ঠিত কর।আল্লাহর ফিতরাতের অনুসরন কর, যে ফিতরাত অনুযায়ী তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই প্রতিষ্ঠিত দীন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।
* রূহ হলো আল্লাহর আদেশ। প্রোগামের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে প্রোগ্রাম ইজ এ গ্রুপ অফ কমান্ড- প্রোগ্রাম একগুচ্চ আদেশ। আদেশটি হলো ডান। আরবীতে এটিকে বলে কুন। কিন্তু ডান আদেশের আগে প্রয়োজনীয় লিমিট (সীমা) প্রদান করতে হয়। আমি একটি প্রোগ্রাম রচনা করেছিলাম। আমি প্রোগ্রামের লিমিট সমূহ দিয়ে ডান কমান্ড দেওয়ার পর প্রোগ্রামটি একটিভ হয়েছিল। অনেকগুলো প্রোগ্রাম একত্রিত করে বড় প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার নির্মাণ করা হয়। রূহের যাবতীয় লিমিট দিয়ে আদেশ দেওয়ার পর এটি নির্মাণ হলে আল্লাহ এটিকে ফুঁ এর মাধ্যমে মাটির দেহে স্থাপন করেন। তখন এটি মাটির দেহটিকে রক্তমাংসের দেহে পরিণত করে।আর প্রোগ্রামের ডিজাইন অনুযায়ী দেহটিকে গঠন করে। মানুষকে এ বিষয়ে সামান্য জ্ঞান দেওয়ায় তারা মানুষের মত আচরণকারী রোবট তৈরী করতে পারলেও রোবটের প্রোগ্রাম এর দেহকে রক্তমাংসের দেহে পরিণত করতে পারে না। তবে দাজ্জাল নামক মহাবিজ্ঞানী রূহকে দেহ থেকে বের করে নিজ আয়ত্বে নেওয়ার প্রযুক্তি আবিষ্কার করবে। তার হাতের দু’টি ডিভাইসের একটিতে জান্নাতের সফটওয়্যার ও অন্যটিতে জাহান্নামের সফটওয়্যার ইন্সটল করা থাকবে। তাতে সে মানুষের রূহ চালান করার দক্ষতা অর্জন করবে। তার এ দক্ষতা দিয়ে সে অনেকের ঈমান নষ্ট করবে। দাজ্জাল রূহ কবজ করে আবার ফেরত দিতে পারবে। এসবই অনেকের ঈমান নষ্টের কারণ হবে।
ফিতরাত হলো প্রকৃতি। আল্লাহর ফিতরাত হলো সত্যের সাথে সংযুক্তি। এ ফিতরাতেই তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু পারিপার্শিক অবস্থার কারণে মানুষের সত্যের সাথে সংযুক্তির ফিতরাত নষ্ট হয়ে তারা মিথ্যার দিকে ধাবিত হবে। তবে যারা সচেতন তারা তাদের সত্যের সাথে সংযুক্তির ফিতরাতে অবিচল থাকতে সক্ষম হবে।
বিদ্যমাণ হওয়ার পর আল্লাহ দেখেছেন তিনি ছাড়া কিছুই নাই।তার পর তিনি দেখলেন তিনি ছাড়া কিছু হচ্ছেও না। তিনি লিমিট দিয়ে প্রথমে রূহ বা সফটওয়্যার সমূহ তৈরী করলেন। সফটওয়্যার লিমিটের মাধ্যমে তিনি অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন তৈরী করে এর সম্বয়ে প্রথমে পানি তৈরী করলেন। তারপর ছয় দিন তথা তিন লক্ষ বছরে তিনি মহাজগত সাজালেন।প্রথমে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু না হওয়ার কারণ তখন সীমা দাতা বলতে কেউ না থাকায় তখন সবকিছু সীমাহীন হলো। সীমাহীনদের মাঝে সীমা দাতা না থাকায় সকল সীমাহীন একত্রে সীমাহীন আল্লাহ হয়ে তিনি নিজেই নিজের সীমা দিয়ে আগে নিজেকে স্থির করলেন। সীমা ছাড়া তিনি নিজে যেমন স্থির হতে পারেননি, তেমনি সীমা দেওয়া ছাড়া কোন কিছু হওয়ার অবস্থায় ছিল না।সংগত কারণে আল্লাহ সৃষ্টি করা ছাড়া কোন কিছুর উদ্ভব ঘটতে পারেনি। আমি সত্য ছাড়া কোন কিছু গ্রহণ করার ছিলাম না বলে আল্লাহ আমার ফিতরাত অনুযায়ী আমাকে সত্য জানিয়ে দিলেন। আমার জিজ্ঞাসা ছিল আল্লাহ কিভাবে হলেন? তখন আল্লাহ আমাকে স্বপ্নে বললেন, আমি কিভাবে হয়েছি সেটা আমি জানি না। সুতরাং তিনি কিভাবে হলেন সেটি ছিল তাঁর অনুমাণ। তবে বিষয়টি তাঁর অনুমাণ হলেও এটি সঠিক। কারণ তাঁর ফিতরাত সত্য ছাড়া কিছুই গ্রহণ করে না। একই ফিতরাতে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করলেও তাদের অসাবধানতার কারণে তারা এ ফিতরাত থেকে বিচ্যুত হয়েছে। এখানে তাদের দোষ অসাবধান থাকা। অসাবধান থাকা একটি বড় দোষ। এর দ্বারা অনেক এক্সিডেন্ট ঘটে। সেই এক্সিডেন্টেই মানুষ তার ফিতরাত থেকে বিচ্যুত হয়ে বিভ্রান্ত হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। কি অসাধারণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন !