নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী কথন

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩


আল্লাহ সংক্রান্ত
আল্লাহ বলেছেন, ক্বুলহু আল্লাহু আহাদ – বল আল্লাহ এক। কিন্তু নাস্তিকগন বলেন, আল্লাহ নেই। আস্তিকগনের মধ্যে অনেকে একাধীক আল্লাহ থাকার কথা বলেন।স্বপক্ষে আল্লাহর প্রমাণ, মহাজাগতিক শৃঙ্খলা। তাঁর যুক্তি হলো, আল্লাহ একাধীক অথবা না থাকলে মহা জগতে শৃঙ্খলা থাকতো না। এখন নাস্তিকদের এবং একাধীক আল্লায় বিশ্বাসীদের মহাজগতের শৃঙ্খলার ব্যাপারে যুক্তি কি? এ ব্যাপারে তারা গ্রহণযোগ্য যুক্তি উপস্থাপন করতে না পারা পর্যন্ত আল্লাহ এক না বলে উপায় কি? আল্লাহতো যুক্তি এবং প্রমাণ দুটোই দিলেন তবে তাদের অস্বীকৃতির ভিত্তিকি? ভিত্তিহীন কথাতো আর মানা যায়না।
আল্লাহ আরো বলেছেন, আল্লাহুছ ছামাদ – আল্লাহ নিরভাব।আর নিরভাব হতে হলে অসীম হতে হয়। কারণ সসীমের অসীমত্বের অভাব রয়েছে।সুতরাং বস্তু ও সসীম শক্তি নিরভাব নয়।সুতরাং আল্লাহ বস্তু ও সসীম শক্তি নন।সুতরাং আল্লাহ অসীম শক্তি।একাধীক অসীম শক্তি আলাদা থাকা সম্ভব নয়। কারণ আলাদা করতে সীমা দিতে হবে। আর সীমা দিলে আর অসীম থাকেনা। সুতরাং সকল অসীম শক্তি একসাথে মিলেমিশে আছে।বস্তু নিরভাব হতে হলে তাকে ভেঙ্গে শক্তি হয়ে অসীম হতে হবে।সসীম শক্তি যদি নিরভাব হতে হয় তবে তাকেও সীমা ভেঙ্গে অসীম হতে হবে।সুতরাং আল্লাহ নিরভাব এ কথার অর্থ আল্লাহর সত্ত্বায় সকল অসীম শক্তি অসীম মাত্রায় বিদ্যমান। আল্লাহর সত্ত্বায় সকল বস্তু অসীম শক্তি হিসেবে অসীম মাত্রায় বিদ্যমান।আল্লাহর সত্ত্বায় সকল সসীম শক্তি অসীম মাত্রায় বিদ্যমান।অসীমে সীমা দেওয়া অসম্ভব বিধায় সকল অসীম একত্রে মিলেমিশে এক আল্লাহ।
আল্লাহ আরো বলেছেন, অলামইয়া ক্বুল্লাহু ক্বুফুয়ান আহাদ - কেউ তাঁর মতো হতে পারেনি।কেন পারেনি? কারণ তিনি নিজে নিজে হয়েছেন।আর নিজে নিজে যে হবে, সে সসীম হবেনা। অসীম হতে পারলে সসীম হবে কেন? আর যে নিজে নিজে হচ্ছে সে অসীম হবেনাইবা কেন? সেতো নিজে নিজে হচ্ছে, আর কেউতো তাকে বাধা দিচ্ছেনা। আর যারাই অসীম হোক সবাইতো মিলেমিশে একজন হচ্ছে তাহলে আরেক জন হতে পারবে কোথা থেকে?সুতরাং আল্লাহর মতো অসীম এদাধীক হতে না পারায় কেউ তার মতো হতে পারেনি। কেউ তাঁর মতো নিজে নিজে হতে না পারায় এটা একেবারে স্বচ্চ পরিস্কার যে আর যা আছে তার সবটাই আল্লাহর সৃষ্টি।এখন বিজ্ঞানের গবেষণার বিষয় মহাজগত, সুতরাং বিজ্ঞান মহাজগতেরই একটা অংশ। সুতরাং মহাজগত > বিজ্ঞান, আর মহাজগত আল্লাহর সৃষ্টি বিধায়, আল্লাহ > মহাজগত। এখন মহাজগতে যদি বিজ্ঞান থাকে তবে আল্লাহতে রয়েছে মহা বিজ্ঞান। ক্বোরআন আল্লাহর বানী হিসেবে ক্বোরআন আল্লাহর সত্ত্বাগত।সুতরাং ক্বোরআনে রয়েছে মহা বিজ্ঞান। আর সে মহাবিজ্ঞান হলো মহাজগত সৃষ্টির রহস্য। যা উপরোক্ত ক্বোরআনের আয়াত সমূহে বর্ণীত হয়েছে।

আল্লাহ, ভাগ্য, ক্বোরআন ও মহানবী (সঃ)

মাধ্যমঃ গণিত, অংশ- জ্যামিতি

মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ১
নিজে নিজে শুধু এক জন অস্তিত্বলাভ করতে পারে, একাধীক কোন কিছুর নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করা অসম্ভব ।
প্রমাণঃ-
যখন কোনকিছু ছিলনা তখন ছিল একটা শূণ্য । কোন কিছু না থাকায় সে শূণ্যকে সীমা দিয়ে সীমাবদ্ধ করা যায়নি । সুতরাং উহা অসীম ছিল । অসীম কখনো ছোট হয়না, সুতরাং উহা ছিল অসীম মহা শূণ্য । সেখানে কোন কিছু না থাকায় সেখানে কোন কিছু নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করা ছাড়া উপায় ছিলনা । আবার নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে সেথায় কোন বাধাও ছিলনা । সেথায় নিজে নিজে যা অস্থিত্ব লাভ করেছে উহার সীমা নির্ধারক অনুপস্থিত ছিল। সুতরাং উহা অসীম হয়েছে । পদার্থ অসীম হতে পারেনা। সুতরাং উহা ছিল শক্তি । কোন শক্তির সেথায় নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে বাধা না থাকায় সেথায় সকল শক্তি নিজে নিজে অসীম রূপে অস্তিত্ব লাভ করেছে । কিন্তু তারা পরস্পর আলাদা হতে পারেনি । কারণ আলাদা করতে হলে এদের সীমা দেওয়ার দরকার ছিল । কিন্তু অসীমের সীমা দেওয়া যায়না । সুতরাং সকল অসীম শক্তি একত্রে মিলে মিশে একজন অসীম সর্ব শক্তিমান হয়েছেন । অসীম প্রাণ শক্তি থাকায় তিনি জড় জাতীয় কিছু হননি । অসীম সর্ব শক্তিমান নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভের সময় তার জন্য কোন বাধা ছিলনা এবং তাঁর অবস্থানের জন্য স্থানের অকুলান ছিলনা । তার জন্য ছিল অসীম স্থান । তিনি অস্তিত্ব লাভের পর এক অসীমে স্থান লাভ করল আরেক অসীম । সুতরাং নিজে নিজে অস্তীত্ব লাভের জন্য কোন স্থান আর অবশিষ্ট রইলনা । আবার নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে তিনি অসীম বাধা । অসীমকে অতিক্রম করা যায়না । সুতরাং নিজে নিজে শুধু এক জন অস্তিত্বলাভ করতে পারে, একাধীক কোন কিছুর নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করা অসম্ভব । (প্রমাণীত)

অনুসিদ্ধান্ত-১
মুসলমানগণ সর্ব শক্তিমানকে আল্লাহ বলেন, সুতরাং নিজে নিজে শুধু আল্লাহ অস্তিত্বলাভ করেছেন তিনি ছাড়া অন্যকিছু নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করতে পারেনি। এ কথাই আল্লাহ ক্বোরআন শরীফের সূরা ইখলাসে স্বগৌরবে এভাবে বলেছেন, অলামইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ, অর্থ – কেউ তাঁর মত হতে পারেনি।

মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ২
বিষয়ঃ আল্লাহ

অনিয়ন্ত্রিত এবং অসীমাবদ্ধ চলমান নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে তৎপর কোন কিছু কোন বাধাভিন্ন অসীম হতে বাধ্য

প্রমাণঃ-
কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন মহাশূণ্যে কোন কিছু অস্তিত্ব লাভ করতে গেলে উহাকে নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করতে হবে কারণ তার অস্তিত্ব প্রদান করার মত কোন কিছু তথায় বিদ্যমান নেই । উহা হবে চলমান কারণ এর পূর্ব অবস্থান ছিল শূণ্য নতুন অবস্থান অস্তিত্ব । সুতরাং অবস্থান পরিবর্তন সংক্রান্ত কারণে উহা চলমান । সীমা নির্ধারক না থাকায় উহা অসীমাবদ্ধ, নিয়ন্ত্রক না থাকায় উহা অনিয়ন্ত্রিত । এমন অবস্থায় উহা যদি বস্তু হয় তবে নিজ প্রকৃতি অনুযায়ী উহা নির্দিষ্ট স্থানের দিকে ধাবীত হতে বাধ্য । কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন মহাশূণ্যে এমন স্থান ছিল অনুপস্থিত । সেথায় স্থান ছিল সবদিক অসীম বিস্তৃত । প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী বস্তু বা পদার্থ সবদিক অসীম বিস্তৃত সেই স্থানের সবদিক ধাবিত হতে বাধ্য ছিল । পদার্থ এমন বাধ্য হলে উহা ভেঙ্গে যেতেও বাধ্য ছিল । আর পদার্থ এর অণু পরমাণু থেকে ভেঙ্গে গেলে উহা আর পদার্থ থাকেনা উহা শক্তিতে পরিণত হয় । শক্তির প্রকৃতি হল এটা যে স্থানে স্থান লাভ করে এটা সে স্থানের সবটা দখল করে । যেহেতু কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন মহাশূণ্য অসীম সুতরাং অস্তিত্ব লাভ কারীও অসীম হতে বাধ্য । আর সেথায় এমন অসীম হতে কোন বাধা বিদ্যমান ছিলনা । সুতরাং অনিয়ন্ত্রিত এবং অসীমাবদ্ধ চলমান নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে তৎপর কোন কিছু কোন বাধাভিন্ন অসীম হতে বাধ্য । (প্রমাণিত)
অনুসিদ্ধান্ত – ১
যেহেতু পদার্থ ও সীমাবদ্ধ শক্তি অসীম হতে অক্ষম , সুতরাং এগুলো নিজে নিজে বা এমনি এমনি অস্তিত্ব লাভে অক্ষম ।
অনুসিদ্ধান্ত – ২
যেহেতু কোন কিছুর অস্তিত্ব বিহীন মহাশূণ্যে কোন কিছুর অস্ত্বিলাভে কোন বাধা ছিলনা, আবার পদার্থ ও সীমাবদ্ধ শক্তি অসীম হতে অক্ষম ছিল, সেহেতু সকল পদার্থ ও সীমাবদ্ধ শক্তি কোন কিছুর অস্তিত্ব বিহীন মহাশূণ্যে অসীম শক্তিরূপে স্থান লাভ করেছে এবং উপপাদ্য-১ অনুযায়ী অসীম সর্বশক্তিমানের সত্ত্বায় মিশে গেছে ।

অনুসিদ্ধান্ত – ৩
যেহেতু পদার্থ ও সীমাবদ্ধ শক্তি নিজে নিজে বা এমনি এমনি অস্তিত্ব লাভে অক্ষম , সেহেতু এগুলোর একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন এবং তিনি হলেন একমাত্র নিজে নিজে বা এমনি এমনি অস্তিত্ব লাভকারী অসীম সর্বশক্তিমান ।

অনুসিদ্ধান্ত – ৪
মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ১ ও মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ২ ও
এদের অনুসিদ্ধান্ত অনুযায়ী নাস্তিক্যবাদ, ডারউইনবাদ, জড়বাদ বিজ্ঞান সম্মত ও যুক্তি সংগত কোন মতবাদ নয়।
এগুলো শতভাগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা । এসব মতবাদের অনুসারীরা অন্ধকারের যাত্রী ।

মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ৩

অসীম সর্ব শক্তিমান নিরভাব

নিজে নিজে শুধু এক জন অস্তিত্বলাভ করতে পারে, একাধীক কোন কিছুর নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করা অসম্ভব – মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ১ (প্রমাণীত)।
অনিয়ন্ত্রিত এবং অসীমাবদ্ধ চলমান নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভে তৎপর কোন কিছু কোন বাধাভিন্ন অসীম হতে বাধ্য -মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ২ (প্রমাণীত)।
মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ২ এর অনুসিদ্ধান্ত – ১
যেহেতু পদার্থ ও সীমাবদ্ধ শক্তি অসীম হতে অক্ষম , সুতরাং এগুলো নিজে নিজে বা এমনি এমনি অস্তিত্ব লাভে অক্ষম ।
মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ২ এর অনুসিদ্ধান্ত – ২
যেহেতু কোন কিছুর অস্তিত্ব বিহীন মহাশূণ্যে কোন কিছুর অস্ত্বিলাভে কোন বাধা ছিলনা, আবার পদার্থ ও সীমাবদ্ধ শক্তি অসীম হতে অক্ষম ছিল, সেহেতু সকল পদার্থ ও সীমাবদ্ধ শক্তি কোন কিছুর অস্তিত্ব বিহীন মহাশূণ্যে অসীম শক্তিরূপে স্থান লাভ করেছে এবং উপপাদ্য-১ অনুযায়ী অসীম সর্বশক্তিমানের সত্ত্বায় মিশে গেছে ।
মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ২ এর অনুসিদ্ধান্ত – ৩
যেহেতু পদার্থ ও সীমাবদ্ধ শক্তি নিজে নিজে বা এমনি এমনি অস্তিত্ব লাভে অক্ষম , সেহেতু এগুলোর একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন এবং তিনি হলেন একমাত্র নিজে নিজে বা এমনি এমনি অস্তিত্ব লাভকারী অসীম সর্বশক্তিমান ।
উপরোক্ত উপপাদ্য ও অনুসিদ্ধান্ত অনুযায়ী অসীম সর্বশক্তিমানে স্থান লাভ করেছে (১) অসীম রূপে সকল অসীম শক্তি , (২) অসীম রূপে রূপান্তরিত সকল সসীম শক্তি, (৩) অসীম রূপে রূপান্তরিত সকল পদার্থ । সুতরাং তাঁর কোন কিছুর অভাব নেই । সুতরাং অসীম সর্ব শক্তিমান নিরভাব (প্রমাণীত)।
অনু সিদ্ধান্ত - ১
অসীম সর্ব শক্তিমানের জ্ঞানের অভাব নেই
অনু সিদ্ধান্ত - ২
অসীম সর্ব শক্তিমানের বিদ্যার অভাব নেই
অনু সিদ্ধান্ত - ৩
অসীম সর্ব শক্তিমানের বুদ্ধির অভাব নেই
অনু সিদ্ধান্ত - ৪
অসীম সর্ব শক্তিমানের বিবেকের অভাব নেই
অনু সিদ্ধান্ত - ৫
অসীম সর্ব শক্তিমানের সম্পদের অভাব নেই
অনু সিদ্ধান্ত - ৬
মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ৩ ও এর ৫ টি অনুসিদ্ধন্ত এর যোগফল হল অসীম সর্ব শক্তিমান নিখুঁত ন্যায় বিচারী । সুতরাং অসীম সর্ব শক্তিমান কর্তৃক অন্যায় সংঘটন অসম্ভব।

মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ৪
ভাগ্যের দায় বিধাতার নয়
মহা জগতের নিজে নিজে অস্তিত্বলাভকারী একমাত্র সদস্য অসীম সর্ব শক্তিমান । তিনি নিরভাব ও নিখুঁত ন্যায় বিচারী । মহা জগতে তিনি ছাড়া অন্য কোন কিছুর নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ অসম্ভব হওয়ায় অন্য সব কিছু তিনি সৃষ্টি করলেন এবং এর কিছু কিছু তাঁর সৃষ্টি কর্তৃক সৃষ্টি করালেন (প্রমাণ – মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ১,২ ও ৩)। কিন্তু তাঁর সৃষ্টির সবার প্রাপ্য সমান নয় । যেমন খাদক ও খাদ্য সমান নয় । কুকুর ও মানুষ সমান নয় । এ অসমতা ছিল অনিবার্য প্রয়োজন । এ অসমতায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন ভাগ্য । সমার্থক বাংলায় যাকে বলে বরাদ্ধ । আর ইংরেজীতে বলে বাজেট । সৃষ্টির বরাদ্ধ নির্ণয়ের জন্য দরকার হল পরীক্ষার । যেহেতু দেহটাও একটা বরাদ্ধ সুতরাং পরীক্ষা চালানো হল দেহ লাভের পূর্বে আত্মার উপর । সকল আত্মাকে দেয়া হল স্বাধীন নির্বচন ক্ষমতা । কারণ এটা ছাড়া পরীক্ষার ফলাফলের ভিন্নতা সম্ভব নয় । প্রত্যেক নির্বাহী আত্মার সাথে আরো জুড়ে দেওয়া হল আরো দুটি আত্মা বিবেক ও রিপু । স্বাধীন নির্বচন ক্ষমতার প্রয়োগ ভিন্নতার জন্য এটা ছাড়া উপায় ছিলনা । ত্রিভুজের যে কোন দুই বাহুর সমষ্টি এর তৃতীয় বাহু অপেক্ষা বৃহত্তর বিধায় ত্রিভুজ আত্মার যে কোন দুটি এক সাথে মিলিত হলে দুই আত্মার সমষ্টি তৃতীয়টি থেকে প্রবল হবে । সুতরাং সবলের জয় দূর্বলের পরাজয় সুনিশ্চিত । ব্যাপার এমন দাঁড়াল যে নির্বাহী আত্মা যার সাথে যুক্ত হবে সেই জয়ী হবে । এখন দায়টা তাহলে কার ? বিধাতার না স্বাধীন নির্বচন ক্ষমতার অধিকারী নির্বাহী আত্মার ? পরীক্ষার বিষয়ছিল অসীম সর্ব শক্তিমানের ভবিষ্যত পরিকল্পনার প্রদর্শিত ছবি চিত্র পর্যবেক্ষণ । কারণ তখন এ ছাড়া আর অন্য কোন বিষয় ছিলনা । বিবেক স্বাধীন নির্বচন ক্ষমতার অধিকারী নির্বাহী আত্মাকে পর্যবেক্ষণ বিষয়ে মনোযোগী রাখতে চেষ্টা করেছে আর রিপু স্বাধীন নির্বচন ক্ষমতার অধিকারী নির্বাহী আত্মাকে পর্যবেক্ষণ বিষয়ে অমনোযোগী করতে চেষ্টা করেছে । স্বাধীন নির্বচন ক্ষমতার অধিকারী নির্বাহী আত্মা তখন যার সাথে যোগ দিয়েছে সে তখন সফল হয়েছে । স্বাধীন নির্বচন ক্ষমতার অধিকারী নির্বাহী আত্মা ইচ্ছা করলে বিবেকের সাথে থাকতে পারতো । কিন্তু রিপুর চটকদারী প্রচেষ্টায় স্বাধীন নির্বচন ক্ষমতার অধিকারী নির্বাহী আত্মা প্রতারিত হয়েছে । এর পর যখন প্রশ্ন উত্তর পর্ব শুরু হল তখন অধীকতর মনোযোগী আত্মা অধীক নম্বর পেল। আর অমনোযোগী আত্মা কম নম্বর পেল । প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে কেউ অধীক সুবিধাভোগী হল । আর কেউ কম সুবিধা ভোগী হল । এ হল ভাগ্য বা বরাদ্ধের প্রকৃত কারণ । এর দায় স্বাধীন নির্বচন ক্ষমতার অধিকারী নির্বাহী আত্মার । সুতরাং ভাগ্যের দায় বিধাতার নয়।(প্রমানীত)

মহা প্রকৃতি উপপাদ্য - ৫
ভাগ্য বা বরাদ্ধ যোগ্যতা ও ইচ্ছা অনুযায়ী সৃষ্টির অর্জন । ভাগ্য বা বরাদ্ধ সর্ব শক্তিমানের বা বিধাতার চাপিয়ে দেওয়া কিছু নয় ।
প্রমাণঃ
বৈচিত্র ছাড়া সৃষ্টি অসম্ভব । কারণ খাদ্য ছাড়া খাদক বাঁচেনা । আবার খাদক ছাড়া খাদ্য অপ্রয়োজনীয় । কিন্তু খাদ্য ও খাদকের মর্যাদা সমান নয় । সেই সাথে রয়েছে আনুসাঙ্গিক বিষয় । যাদের মর্যদা পরস্পর অসমান । সাম্যবাদ এখানে অকার্যকর । বিনা কারনে অসীম সর্ব শক্তিমান কারো মর্যাদা খাটো করবেন আর কারো মর্যাদা উন্নত করবেন এটা অসম্ভব (মহা প্রকৃতি উপপাদ্য - ৩) । সুতরাং সকল আত্মাকে তিনি কাজ দিলেন তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পর্যবেক্ষণ । তখন এ একটি বিষয় ছাড়া অন্য কোন বিষয় ছিলনা । তখন মনোযোগ ও অমনোযোগ সংক্রান্ত কারণে পরীক্ষায় সবার নম্বর প্রাপ্তি সমান হলনা (মহা প্রকৃতি উপপাদ্য - ৪) । এর পর হল পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা পর্বের প্রতিক্রিয়া । এটা পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রক্রিয়া । এতেও পূর্ব নম্বরের সাথে নতুন নম্বর যোগ হল । এর পর এল পুরস্কারের নির্বচন পর্ব । কারণ পুরস্কার এর প্রাপকের ইচ্ছামত প্রদান করাই সংগত । আর অসীম সর্ব শক্তিমান অসংগত কাজ করবেন এটা হতে পারেনা (মহা প্রকৃতি উপপাদ্য - ৩) । পরীক্ষায় উচ্চ শ্রেণী প্রাপ্তগণ নির্বচনের উপকরণ হিসাবে পেল উচ্চ শ্রেণীর উপকরণ । সেগুলো হল, (ক) মানুষ (খ) জ্বীন (গ) ফেরেশতা (ঘ) হুর (ঙ) গেলমান ( এ তথ্যের সত্যতা আমরা পরে প্রমাণ করব) । মানুষের জীবনে রয়েছে অধীক কষ্ট + ঝুঁকি + মর্যাদা, জ্বীনের জীবনে রয়েছে কম কষ্ট + ঝুঁকি + মর্যাদা । ফেরেশতা - ঝুঁকি বিহীন, অসীম সর্ব শক্তিমানের কর্মচারী । হুর ঝুঁকি বিহীন, মানুষ ও জ্বীনের সেবিকা । গেলমান ঝুঁকি বিহীন, মানুষ ও জ্বীনের সেবক । নির্বচন সংক্রান্ত কারণে মানুষ সর্বোচ্চ শ্রেণী ভুক্ত হল । মানুষ হল সৃষ্টির সেরা জীব এবং আল্লাহর প্রতিনিধি । এটা তার প্রতি অসীম সর্ব শক্তিমানের পক্ষপাতিত্ব বা দয়া নয় বরং এটা ছিল তার অধীকার । সংগত কারণে অসীম সর্ব শক্তিমান জ্বীন প্রতিনিধি আজাজীল ও ফেরেশতাদেরকে মানুষের প্রতিনিধি আদমকে সেজদা দিয়ে সম্মান জানাতে বল্লেন । এটা তাদের প্রতি অন্যায় আদেশ ছিলনা । কিন্তু আজাজীল সে আদেশ অমান্য করে শয়তানে পরিণত হল । অসীম সর্ব শক্তিমানের দ্বারা অন্যায় সংঘটন অসম্ভব, এটা তার মাথায় ধরেনি । অসীম সর্ব শক্তিমান আদমকে যা শিক্ষা দিলেন সেটা তাঁর পদ বা অসীম সর্ব শক্তিমানের প্রতিনিধির জানা প্রয়োজন ছিল । অসীম সর্ব শক্তিমানের কর্মচারী ফেরেশতাদের জন্য সেটা দরকারী ছিলনা । আদার বেপারীর জ্বাহাজের খবরদারী করার দরকার কি? এর পর প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে অসীম সর্ব শক্তিমান ফেরেশতাদের বুঝালেন তাঁর প্রতিনিধি যা জানে তারা তা জানেনা । আর এখন মানুষ যা করে দেখাচ্ছে ফেরেশতারা কি তা’পারে? সুতরাং ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশকে সংগত মেনে আদমকে সেজদা দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করে তাদের অবস্থান বজায় রাখল । আল্লাহর পরীক্ষায় নিম্নশ্রেণীরা নিম্নশ্রেণীর উপকরণ থেকে নির্বচন করার সুযোগ পেল, যেমনঃ পশু-পাখি, গাছ-পালা, কীট-পতঙ্গ, পোকা-মাকড়, মৎস্য ইত্যাদী । নারী-পুরুষ, সুন্দর-কূৎসিত, অন্ধ-খঞ্জ ইত্যাদীও সেই নির্বচনের ফল । তাই বেগম রোকেয়ার, “কত পাপ করেছিনু তাই হয়েছিনু নারী এবং নারীত্বের ব্যাপারে তসলিমার অভিযোগ সঠিক নয় । অতপর কে কোন কালে জন্মাবে, কে কোন দেশে জন্মাবে, কার ঘরে জন্মাবে, কেমন হবে সামাজিক পরিচয় এসবও নির্বচনের ফল । অসীম জ্ঞান শক্তির অধিকারী হওয়ায় ঝুঁকির শর্ত পূরণের জন্য পৃথিবীতে মানুষ কি করবে এবং এর ফল কি পাবে সেটা আল্লাহ আগে থেকেই জানতেন । আগে থেকে জানা কথা আগে থেকে লিখে রাখলে দোষের কিছু নেই । হাত পা বেঁধে সাতার কাটতে দেওয়া অর্থহীন । এমন অসংগত কার্য অসীম সর্বশক্তিমানের পক্ষে অসম্ভব (মহা প্রকৃতি উপপাদ্য - ৩) । মানুষের ইচ্ছার স্বাধীণতা রয়েছে । যৌথ কার্যে অনেক সময় মানুষের ইচ্ছা ফলবতি হয়না অপর পক্ষের ইচ্ছার কারণে এবং তার পূর্ব নির্বচনের কারণে । যেহেতু অসীম সর্বশক্তিমানের ইচ্ছার বাইরে কিছু হয়না । তাই সৃষ্টির ইচ্ছার সফল বাস্তবায়নে তার ইচ্ছার সাথে আল্লাহর ইচ্ছা নিয়ম অনুযায়ী যুক্ত হয় । কারণ সৃষ্টিকে ইচ্ছেমত কাজ করতে না দিলে তো আর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়না । এজন্য ডাকাতি সংঘটনের দায় সৃষ্টির ইচ্ছার, অসীম সর্ব শক্তিমানের ইচ্ছার নয় । সর্ব শক্তিমানের ইচ্ছা যুক্ত না হলে তো কার্যসংঘটনই হয়না । কাজেই তাঁর ইচ্ছা যুক্ত না হয়ে উপায় কি? তবে কোন ক্ষেত্রে যদি অপর পক্ষকে আল্লাহ রক্ষা করবেন বলে ইচ্ছা করেন, সে ক্ষেত্রে ডাকাত সফল হয়না । এখানে অপর পক্ষকে রক্ষা কারণ হতে পারে তার প্রতি কারো দোয়া । যেমন দানশীল ধনীকে গরীবরা দোয়া করে । এখানে ডাকতি সফল না হওয়াও সৃষ্টির ইচ্ছা । এখানে অসীম সর্ব শক্তিমানের ইচ্ছা ডাকাতের সাথে যুক্ত না হয়ে গরীবদের ইচ্ছার সাথে যুক্ত হয়েছে । কিন্তু যে ধনী গরীব বা অন্যকারো অভিশাপে অভিশপ্ত তার আত্মরক্ষার মিনতির সাথে সর্ব শক্তিমানের ইচ্ছা যুক্ত না হয়ে তাকে শায়েস্তা করা জন্য ডাকাতের ইচ্ছার সাথে সর্ব শক্তিমানের ইচ্ছা যুক্ত হয় । এ খানে ডাতাতি সংঘটনে সর্ব শক্তিমানের ইচ্ছা যুক্ত হলেও তাঁর ইচ্ছার দায় কোথায়? সুতরাং ভাগ্য বা বরাদ্ধ যোগ্যতা ও ইচ্ছা অনুযায়ী সৃষ্টির অর্জন । ভাগ্য বা বরাদ্ধ সর্ব শক্তিমানের বা বিধাতার চাপিয়ে দেওয়া কিছু নয় ।(প্রমাণীত)
বি.দ্রঃ আমি যা বুঝলাম সেটা সাধারণ মানুষ নাও বুঝতে পারে । যাদের বোধ ও জ্ঞানের স্বল্পতা আছে তাদের বিশ্বাস ছাড়া উপায় কি? সুতরাং যারা বিশ্বাসের সমালোচনা করে তারা অতিসয় নির্বোধ।

প্রঃ নাম উল্লেখ করেননি এমন একজন পাঠিকা আমাকে প্রশ্ন করেছেন, আপনি উত্তর দিন একজন সর্বশক্তিমান হলে তার পক্ষে কি এমন কোন বস্তু তইরি করা সম্ভব যেটা তিনি নিজেই ওঠাতে পারবেন না?

উঃ জনাবা নামহীনা, আপনি আমাকে শেষ পর্যন্ত গণিত থেকে যুক্তি বিদ্যায় নামিয়ে আনলেন । যুক্তি বিদ্যায় অবাস্তব যুক্তি, যুক্তি হিসাবে গণ্য নয় । যেমন ঘোড়ার প্রাণ, আছে মানুষের প্রাণ আছে, সুতরাং ঘোড়া হয় মানুষ । কিন্তু বাস্তবে ঘোড়া মানুষ নয় । যুক্তির বাস্তবতা না থাকায় এ যুক্তি গ্রহণ যোগ্য নয় । আপনার যুক্তিও তদরূপ, যেমন আপনার প্রশ্ন অনুযায়ী, সর্ব শক্তিমান যদি তিনি উত্তোলন করতে পারেন না এমন কিছু তৈরী করতে না পারেন অথবা তিনি তৈরী করতে পারলেও তিনি যদি তৈরী করার পর উহা উত্তোলন করতে না পারেন তাহলে তিনি সর্ব শক্তিমান নন । আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনার প্রশ্নের উত্তর ইয়েস অথবা নো যাই হোক না কেন উভয় অবস্থায় সর্বশক্তিমানের অস্তিত্ব অস্বিকার করা যায় । কিন্তু বাস্তবে এ যুক্তি দিয়ে সর্বশক্তিমানের অস্তিত্ব অস্বীকার করা যায়না। কারণ বাস্তবে সর্বশক্তিমান উত্তোলন করতে পারেননা এমন বস্তু নেই । আবার তিনি তৈরী করতে পারেনা এমন বস্তও নেই । যা আমরা ইতিপূর্বে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করেছি । সুতরাং আপনার উভয় যুক্তি, যুক্তি বিদ্যার নিয়ম অনুযায়ী অগ্রহণযোগ্য । আপনার যুক্তি মেনে নিলে ঘোড়াকেও আজ থেকে মানুষ বলতে হবে । যা সম্ভব নয় । সুতরাং আপনার যুক্তি দিয়ে সর্বশক্তিমানকে অস্বীকার করাও সম্ভব নয়। আশাকরি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর বুঝতে পারবেন । শুভ কামনা রইল ।

মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ৬
ক্বোরআন আল্লাহর বাণী
প্রমাণঃ
একমাত্র আল্লাহ নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করেছেন। তিনি অসীম সর্বশক্তিমান(মহা প্রকৃতি উপপাদ্য ১ ও ২)।সুতরাং তাঁর অসীম বাকশক্তি রয়েছে।তিনি নিরভাব। তাঁর মধ্যে সকল অসীম শক্তি অসীম মাত্রায় বিদ্যমান। তাঁর মধ্যে সকল সসীম শক্তি অসীম মাত্রায় বিদ্যমান। তাঁর মধ্যে সকল পদার্থ শক্তিরূপে অসীম মাত্রায় বিদ্যমান(মহা প্রকৃতি উপপাদ্য ৩)।সুতরাং তাঁর বিবেক ও বোধে কোন ঘাটতি নেই। সুতরাং তাঁর বিশেষ করুণা প্রাপ্তদের তাঁর আনুগত্যের পুরস্কার ও অবাধ্যতার শাস্তি তিনি তাদেরকে অবগত করবেন এটাই সংগত।তাঁর অসীম বোধ শক্তির মধ্যে রয়েছে অসীম অহংবোধ।সুতরাং তিনি জনে জনে কথা বলবেন না, এটাই সংগত।যে কথা কিছু সংখ্যকের নিকট বলা হয় এবং তাদের মাধ্যমে অন্যদের নিকট পোঁছিয়ে দেয়া হয় সে কথাকে বাণী বলে।আল্লাহর ক্ষেত্রে বাণী প্রদান একমাত্র সংগত।সুতরাং আল্লাহ তাঁর বিশেষ করুণা প্রাপ্ত মানব জাতির নিকট বাণী পাঠিয়েছেন এটা বাস্তব। নতুবা তাঁর বিবেক বোধে ঘাটতি স্বীকার করতে হয়, যা মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ৩ অনুযায়ী অসম্ভব।একই উপপাদ্য অনুযায়ী আল্লাহর বাণী বহন ও প্রচারের দায়িত্ব শুধুমাত্র তাঁরাই পেতে পারেন যাঁরা কোন মিথ্যা কথা বলেন না। মুহাম্মদ(সঃ) তাঁর সমাজ কর্তৃক সত্যবাধীতার সনদ প্রাপ্ত।সুতরাং তাঁর আল্লাহর বাণী বহন ও প্রচারের দায়িত্বলাভ অসংগত নয়।মুহাম্মদ(সঃ) আল্লাহর বাণী প্রচার করেছেন,যার সমষ্টি আল ক্বোরআন।যা একমাত্র বাকশক্তি সম্পন্ন প্রাণী মানুষের বাণীর সাথে মিলেনা।মানুষের সকল বাণীর অনুরুপ বাণী মানুষ তৈরী করেছে। এমনকি সনেটের মত কঠিন কবিতারও অনুরুপ কবিতা মানুষ তৈরী করেছে।একমাত্র ক্বোরআনের অনুরুপ ক্বোরআন ও এর সূরার অনুরুপ সূরা মানুষ তৈরী করতে পারেনি।ক্বোরআন বলছে কোনদিন মানুষ এমন করতে পারবেনা। কারণ অসীম সর্বশক্তিমান বাধা প্রদান করলে এমন করতে পারা অসম্ভব। ওয়ালান তাফয়ালু অর্থাৎ কোন দিন তোমারা এমন করতে পারবেনা, এমন কথা একমাত্র সর্বশক্তিমান বলতে পারেন।এ যাবৎ এ কথা কেউ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেনি।ক্বোরআনকে যারা মানুষের বাণী বলছে, তাদের কথার কোন ভিত্তি নেই। ভিত্তিহীন কথা সর্বদা পরিত্যাজ্য। সুতরাং ক্বোরআন মানুষের বাণী নয়। সুতরাং ক্বোরআন আল্লাহর বাণী।(প্রমাণীত)।

মহা প্রকৃতি উপপাদ্য – ৭
ক্বোরআন মুহাম্মদ(সঃ) এর বাণী নয়।
প্রমাণঃ
বাণী বহন প্রথা চিরন্তন সত্য। সত্যবাদী, আমানতদার ও যোগ্য লোককে বাণী বাহক বানানো হয়। বাণীবাহকের বাণীকে বাণীবাহকের বাণী বলা হয়না। বরং বাণীবাহক যার বাণী বহন করেন তাঁর বাণী বলাহয়।এটা সভ্যতার চিরন্তন রীতি।এর ব্যাতিক্রম অসভ্যতা।প্রবল রাজা যদি দূর্বল রাজার নিকট দূত বা বাণী বাহকের মাধ্যমে বাণী পাঠিয়ে বলেন যে, তুমি যদি আমার বশ্যতা স্বীকার না কর তাহলে আমি তোমাকে আক্রমন করব এবং তোমার রাজ্য কেড়ে নেব, দূর্বল রাজা এ বাণী অবিশ্বাস করলে, অথবা বাণী বাহককে অবিশ্বাস করলে, তার অবিশ্বাস তাকে প্রবল রাজার আক্রমণ থেকে রক্ষা করবেনা।সুতরাং অবিশ্বাস কোন সমাধান নয়। বাণী বাহকের শর্তপূরণ ছাড়া অসীম সর্বশক্তিমান কোন ব্যক্তিকে তাঁর বাণীবাহক বানাবেন এমন হওয়া অসম্ভব।মুহাম্মদ(সঃ) সত্যবাদীতা ও আমানতদারীর সনদ প্রদান করেছে তাঁর সমাজ এবং জীবনের শেষ দশ বছর বিশাল সম্রাজ্য স্থাপন করে তিনি তাঁর যোগ্যতার যথেষ্ট প্রমাণ দিয়েছেন। সুতরাং তাঁর মধ্যে আল্লাহর বাণী বহনের সকল শর্তপূরণছিল।তাছাড়া ব্যাক্তির সকল বক্তব্যে তার নিজস্ব ধাঁচ বিদ্যমান থাকে। যেমন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের সকল রচনায় তাদের নিজস্ব ধাঁচ বিদ্যমান।কিন্তু মুহাম্মদ(সঃ) এর বাণী হাদিস এবং তাঁর প্রচার করা আল্লাহর বাণী ক্বোরআনে এমন কোন মিল সামান্য পরিমাণেও বিদ্যমান নেই। আর নিজের বাণী অসীম সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে চালিয়ে দিলে আল্লাহ তাঁকে ছেড়ে দিতেন না। তাছাড়া তিনি মাত্র দশ বছরে যে কীর্তি গড়েছেন ঐশী সহায্য ছাড়া এটা সম্ভব নয়।আল্লাহর বানী বাহক মুহাম্মদ(সঃ) ছাড়া এমন আর কোন দৃষ্টান্ত নেই।দশ বছর, মাত্র দশ বছরে তিনি একটা জাতিকে আমূল বদলে দিয়েছেন। ভারতের মুসলিম শাসকেরা আটশত বছরেও তা পারেনি, এমনকি স্পেনের মুসলিম শাসকেরা কিছুই করতে পারেনি। অন্য কোন ধর্ম, এমনকি নাস্তিক লেনিনও তা পারেনি।সুতরাং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটা সাব্যস্ত যে, ক্বোরআন আল্লাহর বাণী, এটা মুহাম্মদ(সঃ) এর বাণী নয় (প্রমাণীত)।

মহা যুক্তিতে মহান আল্লাহ

# মহা যুক্তি - ১

যখন কিছুই ছিলনা তখন ছিল একটা শূণ্য, একাধীক শূণ্য ছিলনা।কারণ কিছুই না থাকায় পরস্পর আলাদা হয়ে একাধীক শূণ্য থাকা সম্ভব নয়।কারণ আলাদা হতে হলে শূণ্য গুলোর মাঝে সীমানা দেওয়ার দরকার ছিল।কিন্তু সীমানা দিবে কি দিয়ে, সীমানা দেওয়ার মতোতো কিছুই ছিলনা।কাজেই উহা একাধীক ছিলনা, উহা ছিল একটা। আবার সেই শূণ্য ছিল অসীম, কারণ সীমানা দিয়ে সীমাবদ্ধ করার মতো কোন কিছু না থাকায় সেই শূ্ণ্যকে সীমানা দিয়ে সীমাবদ্ধ করা অসম্ভব ছিল।অসীম কখনো ছোট হয়না সুতরাং সেই শূণ্য ছিল মহা শূণ্য।এবার সব গুণ একত্রে মিলে সেই শূণ্য ছিল কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন অসীম মহা শূণ্য।

* অপসংসয়

প্রঃ কিছুই ছিলনা এমন অবস্থা ছিল কি?
উঃ কোন কিছুর শুরুকে এক বলে।অস্তিত্বের জগতের শুরুটাকে এক ধরলে গাণিতিক নিয়মে এর পূর্ব অবস্থাকে শূণ্য বলতেই হবে। এটা গাণিতিক ও অনিবার্য সত্য।সুতরাং কিছুই ছিলনা এমন অবস্থা থাকা গাণিতিক ও অনিবার্য সত্য।
প্রঃ এমন কি কোন সময় ছিল, যখন আল্লাহ ছিলেননা।
উঃ সময় “কোন কিছুনা” এর মধ্যে পড়েনা।বরং সময় “কোন কিছু” এর মধ্যে পড়ে।সুতরাং সময় এর শুরু আল্লাহর সাথে।আল্লাহ যখন থেকে আছেন সময় তখন থেকে আছে।আল্লাহ বলেছেন, ইয়াছয়ালুনাকা আনিদ্দাহারি কুল আনাদ্দাহার - হে নবী আপনাকে মহাকাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, বলুন আমিই (আল্লাহ)মহাকাল। কাজেই সময়ের সাথে যুক্ত আল্লাহর সময়ের পূর্বে থাকার প্রশ্ন অবান্তর।

* ভুল ধারণা

নাস্তিক ব্লগার অভিজিৎ রায় তার শূণ্য থেকে মহাবিশ্ব গ্রন্থে একাধীক মহাশূণ্য থাকার ধারণা দিয়েছে, মহাযুক্তি - ১, সে ধারণা খন্ডন করে।সুতরাং এটা একটা ভুল ধারণা।

* যুক্তি কার্যকারিতা

মহাযুক্তি - ১, মহান আল্লাহকে প্রমাণে কাজে লাগবে।

* অপযুক্তি ও খন্ডন

নাস্তিকরা বলে, সত্য প্রমাণ করতে হয়না। অথচ দেখা যায় পিতৃত্বের দাবীর সত্যতা ডি এন এ টেস্টের মাধ্যমে অহরহ প্রমাণ করা হয়। আদালতে মোকদ্দমা প্রমাণ করা হয়।সত্য যদি প্রমাণ করতে না হয় তাহলে দেখা যায় আদালত বিনাদোষে সাজা দেয়।কাজেই যুক্তি হলো, সব সত্য প্রমাণ করতে হয়না তবে কিছু কিছু সত্য প্রমাণ করতে হয়। সুতরাং ছাঁছাছোলা কথা, সত্য প্রমাণ করতে হয়না, এটা যুক্তি নয় বরং অপযুক্তি।


# মহাযুক্তি - ২

কোন কিছুর অস্তিত্ব বিহীন অসীম মহা শূণ্যে যা অস্তিত্ব লাভ করেছে তা নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করেছে। কারণ উহাতে কোন কিছু না থাকায় যা অস্তিত্ব লাভ করেছে উহার কোন কিছু থেকে অস্তিত্ব লাভের কোন সুযুগ ছিলনা।আবার উহাতে কোন কিছু না থাকায় যা অস্তিত্ব লাভ করেছে উহাকে কেউ সৃষ্টি করেছে এমন কথা বলারও কোন সুযুগ নাই।সুতরাং এটা নিশ্চিত সত্য যে উহা নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করেছে।

* অপসংসয়

প্রঃ নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করার প্রমাণ কি?
উঃ কোন কিছুর অস্তিত্ব বিহীন অসীম মহা শূণ্য যেমন ছিল তেমন থাকেনি এর প্রমাণ আপনি এবং আমি, প্রশ্ন কর্তা ও উত্তর দাতা।আমরা আছি এর মানে কোন কিছুর অস্তিত্ব বিহীন অসীম মহা শূণ্য আর নেই। যদি মনে করেন যুক্তিতে যা বলা হয়েছে এমনটা ঘটেনি, তাহলে মনে করতেই হবে আপনি নেই। আর যদি মনে করেন আপনি আছেন তাহলে মেনে নিতেই হবে এমনটা ঘটেছে।এমনটা ঘটার সাথে আপনার অস্তিত্বের সাথে পাল্টা-পাল্টি সম্পর্ক।

* যুক্তি কার্যকারিতা

মহাযুক্তি - ২, মহান আল্লাহকে প্রমাণে কাজে লাগবে।

# মহাযুক্তি - ৩

কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন অসীম মহাশূণ্যে যা নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করেছে তা অসীম ও উত্তম হয়েছে। কারণ তার সীমা নির্ধারক ও প্রতিবন্ধক ছিলনা।সীমা নির্ধারক ও প্রতিবন্ধক থাকবে কেমন করে, তাতেতো কিছু ছিলইনা। কোন একটি জিনিস নিজে নিজে হচ্ছে, উহার সীমা নির্ধারক নেই, উহার প্রতিবন্ধক নেই, তো উহা কেমন হবে? সীমার বাঁধন না থাকায় উহা অবশ্যই সীমার বাঁধন ছেড়ে অসীম হবে। প্রতিবন্ধক না থাকায় উহা অবশ্যেই খুঁত বিশিষ্ট না হয়ে নিখুঁত হবে। অর্থাৎ উহা অধম না হয়ে উত্তম হবে।সুতরাং কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন অসীম মহাশূণ্যে যা নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করেছে তা অসীম ও উত্তম হয়েছে।
* অপসংসয়

প্রঃ যদি তার কথা অথবা কাজে তাকে অধম মনে হয়?
উঃ যদি এমন মনে হয় তাহলে বুঝতে হবে যার এমন মনে হয়েছে ত্রুটি তার মধ্যে যার ব্যাপারে এমন মনে হয়েছে তার এমন হওয়ার কোন সুযুগ নেই।অথবা সেই কথা এবং কাজ তাঁর নয় বরং অন্যকারো। যা তার নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

* যুক্তি কার্যকারিতা

মহাযুক্তি - ৩, মহান আল্লাহকে প্রমাণে কাজে লাগবে।

# মহাযুক্তি - ৪

কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন অসীম মহাশূণ্যে যা অসীম ও উত্তম রূপে অস্তিত্বলাভ করেছে উহা বস্তু নয়, উহা সসীম শক্তি নয় বরং উহা অসীম শক্তি। কারণ সকল প্রকার বস্তু সসীম, এটা বৈজ্ঞানিক সত্য, সর্বজন স্বীকৃত সত্য।আর গাড়িতে উৎপন্ন গতি শক্তি এর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অনুপাতে হয়। চুলায় উৎপন্ন অগ্নি শক্তি এর জ্বালানী সক্ষমতা অনুপাতে হয়।সুতরাং এগুলো সসীম শক্তি।এভাবে শর্তযুক্ত সকল শক্তি সসীম শক্তি।এসব শক্তি আবার বস্তু সংশ্লিষ্ট। এগুলো উৎপাদন, ব্যবহার ও সংরক্ষণে বস্তুর উপস্থিতি প্রয়োজন।সুতরাং এগুলো সসীম।সুতরাং কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন অসীম মহাশূণ্যে যা অসীম ও উত্তম রূপে অস্তিত্বলাভ করেছে উহা বস্তু নয়, উহা সসীম শক্তি নয় বরং উহা অসীম শক্তি।

* অপসংসয়

প্রঃ মহাযুক্তি - ৪ এর প্রমাণ কি?
উঃ মহাযুক্তি - ৩

* যুক্তি কার্যকারিতা

মহাযুক্তি - ৩, মহান আল্লাহকে প্রমাণে কাজে লাগবে।

# মহাযুক্তি - ৫

কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন মহাশূণ্যে নিজে নিজে অস্তিত্বলাভকারী অসীম শক্তি এক অসীম শক্তি নয় বরং উহা সর্ব অসীম শক্তি বা সর্ব শক্তিমান।কারণ সীমা নির্ধারক ও প্রতিবন্ধক না থাকায় কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন মহাশূণ্যে নিজে নিজে অস্তিত্বলাভে কোন অসীম শক্তির প্রকৃতিগত কোন বাধা ছিলনা।সুতরাং এমতাবস্থায় সকল অসীম শক্তির অস্তিত্বলাভ সংগত।এমতাবস্থায় সকল বস্তুর অসীমশক্তিরূপে অস্তিত্বলাভ সংগত।এমতাবস্থায় সকল সসীম শক্তির অসীম শক্তিরূপে অস্তিত্বলাভ সংগত।কারণ বস্তুর বস্তু হতে বাধা থাকলেও বস্তু ভেঙ্গে অসীম শক্তি হওয়াতে বাধা নেই।আবার সসীম শক্তির সসীম শক্তিরূপে বাধা থাকলেও সসীম শক্তি ভেঙ্গে অসীম শক্তি হওয়াতে বাধা নেই। আর বস্তু ভেঙ্গে শক্তিতে পরিণত হওয়ার বিষয়টি বৈজ্ঞানিক সত্য।সুতরাং কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন মহাশূণ্যে নিজে নিজে অস্তিত্বলাভকারী অসীম শক্তি এক অসীম শক্তি নয় বরং উহা সর্ব অসীম শক্তি বা সর্ব শক্তিমান।এবং সর্ব শক্তিমানের সত্ত্বায় বস্তু ও সসীম শক্তি অসীম রূপে বিদ্যমান বিধায় তার সত্ত্বায় কোন কিছুর কোন ঘাটতি নেই বিধায় তিনি নিরভাব।

* অপসংসয়
প্রঃ একজন সর্বশক্তিমান হলে তার পক্ষে কি এমন কোন বস্তু তইরি করা সম্ভব যেটা তিনি নিজেই ওঠাতে পারবেন না?
উঃ যুক্তি বিদ্যায় অবাস্তব যুক্তি, যুক্তি হিসাবে গণ্য নয় । যেমন ঘোড়ার প্রাণ, আছে মানুষের প্রাণ আছে, সুতরাং ঘোড়া হয় মানুষ । কিন্তু বাস্তবে ঘোড়া মানুষ নয় । যুক্তির বাস্তবতা না থাকায় এ যুক্তি গ্রহণ যোগ্য নয় । প্রশ্ন অনুযায়ী, সর্ব শক্তিমান যদি তিনি উত্তোলন করতে পারেন না এমন কিছু তৈরী করতে না পারেন অথবা তিনি তৈরী করতে পারলেও তিনি যদি তৈরী করার পর উহা উত্তোলন করতে না পারেন তাহলে তিনি সর্ব শক্তিমান নন । প্রশ্নের উত্তর ইয়েস অথবা নো যাই হোক না কেন উভয় অবস্থায় সর্বশক্তিমানের অস্তিত্ব অস্বিকার করা যায় । কিন্তু বাস্তবে এ যুক্তি দিয়ে সর্বশক্তিমানের অস্তিত্ব অস্বীকার করা যায়না। কারণ বাস্তবে সর্বশক্তিমান উত্তোলন করতে পারেননা এমন বস্তু নেই । আবার তিনি তৈরী করতে পারেনা এমন বস্তুও নেই । যা আমরা ইতিপূর্বে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করেছি । সুতরাং প্রশ্নে প্রদত্ত যুক্তি, যুক্তি বিদ্যার নিয়ম অনুযায়ী অগ্রহণযোগ্য । এ যুক্তি মেনে নিলে ঘোড়াকেও আজ থেকে মানুষ বলতে হবে । যা সম্ভব নয় । সুতরাং এ যুক্তি দিয়ে সর্বশক্তিমানকে অস্বীকার করাও সম্ভব নয়।

* যুক্তি ফল

ইসলামে বর্ণীত আল্লাহর সাথে সর্বশক্তিমানের সকল গুনাগুন মিলে যাওয়ায় সর্বশক্তিমাই হলেন মহান আল্লাহ। যা পঞ্চযুক্তিতে প্রমাণ করা হলো। সুতরাং মহান আল্লাহ প্রমাণীত সত্য।


# মহাযুক্তি - ৬

কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন মহাশূণ্যে নিজে নিজে অস্তিত্বলাভকারী অসীম সর্বশক্তিমান একজন, একাধীক নন।কারণ কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন মহাশূণ্যে নিজে নিজে অস্তিত্বলাভকারী অসীম সর্বশক্তিকে পরস্পর আলাদা করারমতো কিছুই সেখানে ছিলনা। তা ছাড়া সীমা দিয়ে আলাদা করা হলে অসীম শক্তি আর অসীম থাকেনা।সুতরাং সর্ব অসীম শক্তি পরস্পর আলাদা হওয়া অসম্ভবছিল বিধায় সর্ব অসীম শক্তি পরস্পর মিলেমিশে একাকার হয়ে একজন অসীম সর্বশক্তিমান হয়েছেন।অসীম প্রাণ শক্তি, অসীম অনুভব বা বোধ শক্তি, অসীম বিচার বা বিবেচনা শক্তি থাকায় তিনি বস্তু জাতীয় কিছু হননি বরং ব্যাক্তি জাতীয় হয়েছেন।কাজেই তিনি হয়েছেন একজন অসীম সর্বশক্তিমান।

* যুক্তি ফল

অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহ এক।

# মহাযুক্তি - ৭
অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহর অস্তিত্ব লাভের মধ্যদিয়ে নিজে নিজে অস্তিত্বলাভের ধারা চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ শক্তির প্রকৃতি হলো এটা যে স্থানে থাকে তার পুরোটা দখল করে। সুতরাং নিজে নিজে অসীম সর্বশক্তিমান রূপে অস্তিত্ব লাভের মধ্য দিয়ে অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহ কোন কিছুর অস্তিত্ববিহীন মহাশূণ্যের সবটা দখল করেছেন, নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভের আর কোন স্থান অবশিষ্ট না থাকায় নিজে নিজে অস্তিত্বলাভ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তা’ছাড়া অসীম সর্বশক্তিমানের অস্তিত্বলাভে কোন বাধা নাথাকায় তিনি নিজে নিজে অসীম সর্বশক্তিমান রূপে অস্তিত্বলাভে সক্ষম হয়েছেন, কিন্তু অন্যকারো এমন অস্তিত্বলাভে তিনি অসীম বাধা। যেহেতু অসীমকে অতিক্রমকরা অসম্ভব। সুতরাং নিজে নিজে শুধু একজন অস্তিত্বলাভ করতে পারে, একাধীক কোন কিছুর নিজে নিজে অস্তিত্বলাভ অসম্ভব। এবং অসীম সর্বশক্তিমানের নিজে নিজে অসীম সর্বশক্তিমান রূপে অস্তিত্ব লাভের মধ্য দিয়ে নিজে নিজে অস্তিত্বলাভের ধারা চির তরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

* অপসংসয়

প্রঃ সর্বশক্তিমান সর্বস্থানে থাকলে আমরা আছি কোথায়?
উঃ আপনার ঘর আলো দিয়ে ভরে দিন, আপনার ঘর শব্দ দিয়ে ভরে দিন। রোদন দিয়ে ভরে দিন আপনার উঠোন। এবার দেখুন এর মধ্যে আপনি থাকতে পারেন কি? বাস্তব এমনটাই শক্তির কোন স্থানে থাকায় তাতে বস্তু জাতীয় কোন কিছু থাকায় কোন সমস্যা নেই।তবে শক্তি যদি আপনার থাকার উপযোগীতা নষ্ট করে তবে আপনি স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য।সুতরাং সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনাকে থাকতে দিলে আপনি যে কোন স্থানে থাকতে পারবেন, কিন্তু তিনি না থাকতে দিলে আপনি কোথাও থাকতে পারবেননা।বরং আপনাকে তিনি যেথায় রাখবেন আপনি সেথায় থাকতে বাধ্য হবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার নিজের কিছুই করার সাধ্য নেই।

* যুক্তি ফল

অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই নিজে নিজে অস্তিত্বলাভ করেনি।সুতরাং বিবর্তন হয়ে থাকলে সেটা আল্লাহর কাজ। বিগ ব্যাং হয়ে থাকলে সেটা আল্লাহর কাজ। এবং জেনেটিক্স সংক্রান্ত বিষয়আদি আল্লাহর কাজ।কোয়ান্টাম ও ট্রিং থিওরী সংক্রান্ত কার্যাবলীও আল্লাহর কাজের বাইরে নয়।সুতরাং এগুলো আল্লাহর কার্যাবলী সংক্রান্ত বিষয় হতে পারে। তবে কোন ভাবেই এগুলো দিয়ে আল্লাহকে অস্বীকার করা যাবেনা।


# মহাযুক্তি - ৮

অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহ তাঁর অসীম সর্বশক্তি নিয়ে কি হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন? মহাজগৎ কিন্তু সে প্রমাণ বহন করেনা।যেহেতু মহাজগতের পূর্বে অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহ একাই ছিলেন আবার নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভের কাহিনীও নেই।সুতরাং অনিবার্য সত্য হলো অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহই মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা।

* অপসংসয়

প্রঃ অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহ যদি মহাজগতের সৃষ্টিকর্তা হয়ে থাকেন তাহলে বিবর্তনবাদ, বীগ ব্যাং, ট্রিং থিওরী, জেনেটিক্স ও কোয়ান্টাম মেথড ইত্যাদি বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মানে কি?
উঃ বিজ্ঞানের সাথে যুক্তির সংঘাত নেই।কারণ এসব সঠিক হলেও এসব যে অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহর কাজ নয় বিজ্ঞান সেটা প্রমাণ করেনি।বরং এসব সঠিক প্রমাণিত হওয়ার পর যুক্তি অনুযায়ী এগুলো আল্লাহর কাজ বলে বিবেচীত হবে। কাজেই এসব সঠিক প্রমাণীত হওয়া দ্বারা নাস্তিকগন কোন সুবিধা পাবেনা।কাজেই এসবের মানে হলো বিজ্ঞান আল্লাহর কাজের পদ্ধতি উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে।আমরা তাদের চেষ্টার সাফল্য কামনা করি।


# মহাযুক্তি - ৯

মহাজগত সৃষ্টির উপাদান অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহর সত্ত্বাগত।কারণ অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহ নিজে নিজে অস্তিত্বলাভের সময় সকল বস্তু ও সকল সসীম শক্তি নিজে নিজে অসীম রূপে অস্তিত্ব লাভ করে তাঁর সত্ত্বায় একিভূত হয়েছে।সীমা ও মাত্রা অনুযায়ী সৃষ্টির উপাদান অসীমত্ব থেকে সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা মাত্র সেগুলি অসীমত্ব হারায় এবং বস্তু ও সসীম শক্তিতে পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে সেগুলো অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিণত হয়।তখন এর সাথে অসীম সর্বশক্তিমানের সত্ত্বাগত সম্পর্ক থাকেনা।যেমন পানির উপাদানের সাথে পানির সম্পর্ক থাকেনা।পানি ভিন্ন জিনিস, এর উপাদান অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন ভিন্ন ভিন্ন জিনিস। পানিকে যেমন অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন বলা যাবেনা, তেমনি অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনকেও পানি বলা যাবেনা।

* অপসংসয়

প্রঃ যারা ঈশ্বর ভেবে বস্তু, বস্তুগত দেহধারী প্রাণী ও সসীম শক্তির আরাধনা করছে তারা তবে কি করছে?
উঃ এগুলো ঈশ্বরতো নয়, এসনকি তাঁর অংশও নয়।যেমন জ্বালানী জ্বালিয়ে প্রাপ্ত দাহিকা শক্তি বিশিষ্ট সসীম অগ্নি শক্তি।এটা তাপ, দাহিকা, আলো ও অগ্নি এ চার সসীম শক্তির সমম্বয়ে তৈরী সসীম যৌগ শক্তি যা অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহর সৃষ্টি।সুতরাং এর আরাধনা দ্বারা সৃষ্টির আরাধনা হয় সৃষ্টিকর্তার আরাধনা হয়না।





# মহাযুক্তি - ১০

অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহর কাজ অসীম শক্তি তাড়ীত।কারণ তিনি অসীম সর্বশক্তির সমম্বিত রূপ।সুতরাং তাঁর কাজে বস্তু বা সসীম শক্তির তাড়নার চিন্তা অবান্তর।সসীম শক্তির তাড়না আমরা বুঝি, যেমনঃ সসীম শক্তির তাড়নায় ফ্যান ও চাকা ঘুরে।তো অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহর তাড়নায় প্রদত্ত সীমা ও মাত্রায় প্রয়োজনীয় উপাদান যোগ হয়।না হয়ে উপায় নেই।কারণ অসীমের অসীম তাড়না অগ্রাহ্য করা অসম্বব। অতঃপর তাঁর হও নির্দেশে নির্দেশীত বস্তু ও সসীম শক্তি সৃষ্টি হয়।অর্থাৎ এ সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন হয়।যেমন, সূরা ইয়াছিনের শেষে তিনি বলেছেন, ফাইজা আমরুহু ইযা আরাদা সাইয়াও আঁইয়া ক্বুলা লাহু কুন, ফাইয়াকুন - তাঁর কাজ এমন, যখন তিনি কোন কিছু তৈরী করতে ইচ্ছা করেন তখন তিনি উহাকে বলেন হও, অতঃপর উহা হয়ে যায়।“তিনি উহাকে বলেন” কথা দ্বারা বুঝা যাচ্ছে সীমা ও মাত্রা অনুযায়ী উপাদান সন্নিবেশনের মাধ্যমে উহা হওয়ার মতো যোগ্যতা ও পরিচিতি অর্জন করে; নতুবা উহাকে উহা বলা যায়না।যেহেতু আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কিছু হয়না সেহেতু হওয়ার মতো যোগ্যতা লাভের পর উহা আল্লাহর ইচ্ছার অপেক্ষায় অপেক্ষমান থাকে। তাঁর ‘হও’ নির্দেশের মাধ্যমে তাঁর ইচ্ছা ব্যাক্ত হওয়ার পর উহা বিন্দুমাত্র অপেক্ষা না করে হয়ে যায়।কিন্তু আপনার রান্নার প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের পর আপনাকে ‘হও’ বলতে হয়না, কারণ সেটা আল্লাহ বলেন।এ জন্য আপনার কাজের প্রশংসা আল্লাহর আর আপনার প্রাপ্য আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিফল।আর কাজের জন্য এ জন্যই আপনাকে অহংকার করতে নিষেধ করা হয়েছে।কারণ আপনার অহংকার সত্য নয়।আর এটা যেহেতু অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহর কাজ সংক্রান্ত বিশেষ জ্ঞান এবং এটা মহা শক্তির বিশেষ জ্ঞান বিধায় এটা মহা বিজ্ঞান।সূরা ইয়াছিনের শুরুতে ক্বোরআনকে মহা বিজ্ঞান বলা হয়েছে, আর এ সূরাতেই সে মহা বিজ্ঞানের অনেক নমুনা রয়েছে।নাস্তিকরা এসব দেখতে পায়না বলে ক্বোরআনকে নিয়ে তামাশা করে।

* অপসংসয়

প্রঃ ক্বোরআনে মহাবিজ্ঞান কোথায়?
উঃ মহাযুক্তি - ১০ এ আমি মহা বিজ্ঞানের নমুনা উপস্থাপন শুরু করলাম। সময় পেলে এমন আরো উপস্থাপনের আশাকরি।

# মহাযুক্তি - ১১

অবাস্তব ক্রিয়ার সাথে অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহর কোন সম্পর্ক নেই।ব্যকরণেও অবাস্তব ক্রিয়া কিয়া নয়। আর যা মোটে ক্রিয়াই নয় তা আবার কেউ করবে কি? যেমন ঘোড়ার ডিমে প্রাণ সঞ্চার।ঘোড়ার যেখানে মোটে ডিমই নেই, তো সেখানে প্রাণ সঞ্চার করবে কোথায়? তেমনি যদি প্রশ্ন করা হয়, অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহ কি তাঁরমতো একাধীক কপি বানাতে পারবেন? এর উত্তর হলো, যদি এমন বানানো হয় তবে এক অসীম আরেক অসীমে মিশে একাকার হয়ে যাবে এবং অসীম সর্বশক্তিমানের সব কপি এক কপিতে পরিণত হবে। কারণ অসীমে সীমা দিয়ে এককে দুই করা যায়না। কারণ সীমা দিতে পারলেতো অসীম আর অসীমই থাকেনা।কাজেই এটা অবাস্তব ক্রিয়া।সুতরাং এর সাথে অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহর কোন সম্পর্ক নেই।আর অবাস্তব ক্রিয়া করতে না পারা অসীম সর্বশক্তিমান না হওয়ার কোন কারণ নয়।কাজেই কোন কাজ অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহ করতে পারেন কিনা এ প্রশ্নের পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে উহা কোন বাস্তব ক্রিয়া কিনা।যদি উহা অবাস্তব ক্রিয়া হয় তবে প্রশ্নটি অবান্তর বলে গন্য হবে।আর অবান্তর প্রশ্ন দ্বারা অসীম সর্বশক্তিমান বা আল্লাহর অসীম সর্বশক্তিমান হওয়া অস্বীকার করা যাবেনা।

* অপসংসয়

প্রঃ আল্লাহ কি উঁচু-নীচু ভেদাভেদ তুলে সবাইকে এক করতে পারবেন?
উঃ এটা অবাস্তব ক্রিয়া।কারণ উঁচু-নীচু ভেদাভেদ তুলতে গেলে সৃষ্টি জগতটাইতো আর থাকেনা।কারণ সবাই খাদক হলে তারা খাবে কি? আর সবাই খাদ্য হলে তাদের খাবে কে? এরপর খাদক ও খাদ্য থাকবে কোথায়? খাদক, খাদ্য ও এদের রাখার স্থানের মর্যাদাতো এক নয়। এরপর উঁচু-নীচু ভেদাভেদ তুলতে অপারগ হয়ে সৃষ্টিজগতটাকেই ভেনিশ করে দাও আরকি!

রসায়ন বিজ্ঞানে আল্লাহ

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বস্তুর অনুপাত সুনির্দৃষ্ট হয়। যেমনঃ দুই পরমাণু হাইড্রোজেন + এক পরমাণু অক্সিজেন = এক অণু পানি। রাসায়নিক বিক্রিয়ার অনুপাত ঠিক করা ও শক্তি তাড়িত করে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠনের ক্ষেত্রে বুদ্ধিমান প্রাণীর উপস্থিতি বিদ্যমান। মানুষ ও আল্লাহ ছাড়া তৃতীয় কোন বুদ্ধিমান প্রাণীর হদিস নেই। সুতরাং যে সব রাসায়নিক বিক্রিয়ার নেপথ্যে মানুষ নেই সে সব রাসায়নিক বিক্রিয়ার নেপথ্যে আল্লাহ রয়েছেন, বিষয়টি প্রমাণীত। কিন্তু যখন মানুষ ছিলনা তখন আল্লাহ একাই একাজ করেছেন। কাজেই রসায়ন বিজ্ঞান অনুযায়ী আল্লাহকে অস্বীকার করা যায়না।
অপসংসয়ঃ-
আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে?
উঃ তিনি নিজে নিজে সৃষ্টি হয়েছেন। এ যোগ্যতা শুধু এক জনের থাকা সম্ভব। এ জন্য আল্লাহ বলেছেন, অলাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ। কেউ তাঁর মতো (নিজে নিজে ও অসীম) হতে পারে নাই। কারণ যে নিজে নিজে হবে তার সীমা নির্ধারক ও নিয়ন্ত্রক নেই (ওটা থাকলে আর নিজে নিজে কেমন করে হলো?)। সুতরাং সে অসীম হবে। বস্তু অসীম হতে পারেনা, সুতরাং সে শক্তি হবে এবং অসীম হবে। এ ক্ষেত্রে কোন শক্তির বাধা নেই সুতরাং সে হবে অসীম সর্ব শক্তিমান। আর মুসলমানগন তাঁকে আল্লাহ বলে ডাকে।

ইসলামে যারা বাতিল পন্থি

হজরত ইব্রাহীম (আঃ) আল্লাহকে খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁর এ খুঁজে পাওয়ার মাধ্যমটি কি ছিল? ক্বোরআন, হাদীস ও ইজমা ছিল কি? সঠিক উত্তর ‘না’। তবে উহা কি ছিল? সঠিক উত্তর ‘কিয়াছ’। এ ঘটনা কোথায় আছে? সঠিক উত্তর ‘ক্বোরআনে’। এখন কিয়াছ অমান্য করা মানে ক্বোরআন অমান্য করা। সুতরাং যারা কিয়াছ অমান্য করে তারা বাতিল।
ক্বোরআন সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, ইহা মোত্তকীদের জন্য হেদায়েত।মোত্তাকী হলো, যারা আল্লাহকে ভয় পায়। কেউ আল্লাহকে বিশ্বাস না করলে তাঁকে কি ভয় পায়? সঠিক উত্তর ‘না’। অর্থাৎ আল্লাহকে বিশ্বাস করবে ভয় পাবে তার পর ক্বোরআন পড়ে হেদায়েত পাবে। সুতরাং বিশ্বাস ক্বোরআন ধরার আগে হতে হবে।যে ক্বোরআন মানেনা সে নবীকেও (সঃ) মানেনা, সুতরাং বিশ্বাস হাদীসের আগে হতে হবে।আর অদেখা বিষয়ে অনেক লোক কোন কথা বল্লে কি সেটা কেউ মানে? উত্তর ‘না’। সুতরাং বিশ্বাস ইজমার আগে হতে হবে এবং এটা অর্জীত হবে কিয়াছের মাধ্যমে। একটা পাঁচ বছরের বাচ্চাকে যেখানে ধর্মীয় কাজ করতে হয় সুতরাং সেবয়স থেকেই তার বিশ্বাসের যাত্রা শুরু হবে। একজন লেখাপড়া নাজানা লোককেও বিশ্বাস করতে হয়।সুতরাং বিশ্বাসের জন্য পুস্তকের ভরসায় বসে থাকলে চলবেনা। এক্ষেত্রে প্রকৃতি ও পরিবেশকে জ্ঞানের মাধ্যম ধরে নিজের বিশ্বাস নিজেকেই অর্জন করতে হবে। প্রকৃতি ও পরিবেশের জ্ঞানলাভের প্রধান উপায় কিয়াছ।প্রকৃতি আল্লাহর কাজের ফল এটা দেখেই অথবা অনুভব করেই আল্লাহ বিশ্বাস হাসিল করতে হবে। হজরত ইব্রহীম (আঃ) এমনটাই করেছিলেন।
ঈমান ছাড়া আমল মূল্যহীন, আর ঈমানের ভিত্তি কিয়াছ , সুতরাং কিয়াছ ছাড়া কোনভাবেই ইসলাম হতে পারেনা। তবে মাছালা নির্ণয় সংক্রান্ত কিয়াছের ভিত্তি আবার ক্বোরআন, হাদীস ও ইজমা। তাছাড়া ক্বোরআন হাদীস ঈমান সংক্রান্ত কিয়াছকে শক্তিশালী করে।
হজরত ওসমান (রাঃ) ক্বোরআন সংকলন করেছেন, এটা সঠিক হয়েছে, কে বলেছে? আল্লাহ বলেছেন? উত্তর ‘না’।এটা মহানবী (সঃ) বলেছেন? উত্তর ‘না’।তবে কে বলেছে? উত্তর ‘ইজমায়ে উম্মত’।ক্বোরআনের সেই কপি ছাড়া বর্তমানে ক্বোরআনের কোন কপি নেই। এখন ইজমা বাদ দিলে ইজমাতে সাব্যস্ত ক্বোরআনও বাদ হয়ে যায়।আর ক্বোরআন মানলে ইজমা মানতেই হবে। তাছাড়া ক্বোরআনে আল্লাহ, অয়াতাছিমু বিহাবলিল্লাহি জামিয়াও অলা তাফাররাকু - আয়াতে ইজমার নির্দেশ প্রদান করেছেন। অতিলকাল আমছালু নাদরিবুহা লিন্নাছি লায়াল্লাহুম ইয়াতাফাক্কারুন - আয়াতে আল্লাহ কিয়াছের নির্দেশ প্রদান করেছেন। আতিয়ুল্লাহা অআতিউয়র রাছুলা অ উলিল আমরে মিনকুম - আয়াতে আল্লাহ ক্বোরআন ও হাদীস মানার নির্দেশ প্রদান করেছেন। সুতরাং ইসলামের চার মূলনীতি ক্বোরআন হাদীস ইজমা ও কিয়াছ মানা ফরজ। এর একটাও যারা অমান্য করবে তারা পরিস্কার বাতিল পন্থি।
ক্বোরআন হাদীস ইজমা ও কিয়ছ এ চার মূলনীতি অনুযায়ী চার খলিফা (রাঃ) ও ইমাম আবু হানিফার(রঃ) অনুসরন ফরজ। এ পাঁচ জনের যে কোন একজনের অনুসরন বাদ দিলে তারা পরিস্কার বাতিল। ইসলামের মূলনীতি অনুযায়ী বাতিল বাদদিয়ে যা অবশিষ্ট থাকবে তারাই মুসলমানদের সঠিক কাতার।
হাদীস সংকলকগন হাদীস সংকলন করেছেন, তাদের সংকলন সঠিক হয়েছে, এ কথা আল্লাহ বলেছেন? উত্তর ‘না’। একথা মহানবী (সঃ) বলেছেন? উত্তর ‘না’।তবে এ কথা কে বলেছেন? উত্তর তাঁরা নিজেরা বলেছেন। তাঁদের বলার ভিত্তি কি? উত্তর ‘কিয়াছ’। তাদের সংকলন সঠিক মানে কে? উত্তর ‘ইজমায়ে উম্মত’। এখন ইজমা ও কিয়াছ বাদ দিলে হাদিস টিকে কি? তবে আহলে হাদীস ও আহলে ক্বোরআন কি বাদ দিয়ে কি মানে? আহলে হাদীসগন বলে মহানবী (সঃ) শুধু ক্বোরআন ও হাদীসের কথা বলেছেন। -সেটা এক হাদীসে কিন্তু তিনি ইজমা ও কিয়াছের কথাও বলেছেন, সেটা আপনারা খুঁজে না পেলে সেটা কার দোষ? নাস্তিকেরাওতো আল্লাহকে খুঁজে পায়না।
শেষ কথা মহানবী ৭৩ দলের কথা বলেছেন, বলেছেন ৭২ দল বাতিল এক দল সঠিক। কোন দল সঠিক সেটা স্পষ্ট। সুতরাং যার ইচ্ছা সে সঠিক দল খুঁজে বের করে সেটা মান্য করুক। আল্লাহর বাণী সঠিকতা নির্ণয়ে অক্ষম নয়। দুমাতুল জন্দলে ক্বোরআনকে শালিশ মানা হয়েছে। ক্বোরআনের শালিশ ছিল হজরত আলীকে (রাঃ)মান্য করা।এখন কেউ সেটা না মানলে ক্বোরআন কি করতে পারে? ক্বোরআন অনুযায়ী সাহাবাগনকে অভিযুক্ত করা যাবেনা। ভুলকরে যারা ইসলামের সঠিক দলের বাইরে থাকবে হাদীস অনুযায়ী তারাও পার পাবে। তবে জেনে বুঝে যারা উল্টা পথে চলবে ইসলামের চার মূলনীতি অনুযায়ী তারা অবশ্যই ধরা খাবে। আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত দান করুন, আমিন।

ক্বোরআন বুঝার শর্ত

এক জ্ঞানী লোক রেচন ক্রিয়ার পূর্বে সৌচকর্ম শুরু করল, তাঁর স্ত্রী বল্লেন ঘটনা কি? তিনি বল্লেন, বদনা ভাঙ্গা! আমাদের ইসলাম বিরোধীদের হয়েছে সেই দশা, ক্বোরআন বুঝার শর্ত পূরণ না করেই বলছে, ক্বোরআন বুঝেনা, আবার ক্বোরআন না বুঝেই বলছে, ইহা আল্লাহর বাণী নয়। কিন্তু যারা ক্বোরআন বুঝে, তাদের অবুঝদের কথা বুঝার দরকার কি? অথচ বুঝদারগন অবুঝদের কথা না বুঝায় তারা আবার রাগও হচ্ছে! কি মুশকিল! আরে বাপু আগে ক্বোরআন বুঝার শর্ত পালন করবি, তারপারতো ক্বোরআন বুঝার চেষ্টা করবি, তারপরতো বুঝবি। তা’নাকরে মাঝখানদিয়ে খাপছাড়া ক’টা কথা বলে দিলেইবা তা’ কে মানে?
আল্লাহ বলেছেন, ক্বোরআন মোত্তকীদের জন্য হেদায়েত। সুতরাং ক্বোরআন বুঝতে হলে আগে মোত্তাকী হতে হবে। যারা আল্লাহকে ভয় পায় তারা হলো মোত্তাকী। তারা আল্লাহকে ভয় পায় যারা তাঁকে বিশ্বাস করে। তারমানে আগে আল্লাহকে বিশ্বাস করতে হবে। তারপর তাঁর ইবাদত না করার শাস্তিকে ভয় পেতে হবে । তারপর ইবাদতের নিয়তে ক্বোরআন পড়লে উহা বুঝা যাবে।
এমন কোটি কোটি মানুষ আছেন যারা ক্বোরআন পড়তেই পারেননা, অনেকে আছেন পড়তে পারলেও ক্বোরআনের অর্থ বুঝেননা তথাপি তাঁরা মোমিন ও মোত্তাকী। এতে বুঝা গেল কিতাব ছাড়াও মোমিন ও মোত্তাকী হওয়া যায়। কিন্তু আবেদ বা ইবাদতকারী হতে কিতাব লাগে।
কিতাব ছাড়াও জ্ঞানের আরো দুটি বড় মাধ্যম হচ্ছে, প্রকৃতি ও পরিবেশ। এ দুটি মাধ্যম থেকে জ্ঞান অর্জন করে মানুষ মোমিন ও মোত্তাকী হতেপারে। মোমিন ও মোত্তকী হওয়ার পর যে কোন মানুষ দেখবে সে আর আগের মতো নেই। সে অন্য রকম হয়েগেছে। তখন আর সে বলবেনা যে, ক্বোরআনে ভুল আছে, সে বলবেনা ক্বোরআন আল্লাহর বাণী নয়, সে বলবেনা যে ক্বোরআন বুঝা সহজ নয়। এর প্রমান হলো কোন মোমিন ও মোত্তকীকে আমি এমন বলতে শুনিনা। সুতরাং আমি ইসলাম বিরোধীদের বলব আপনারা মোমিন হন, মোত্তকী হন, তারপর ক্বোরআন বুঝতে চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ আপনারা অবশ্যই ক্বোরআন বুঝতে পারবেন। আর রাস্তা ছেড়ে বেরাস্তায় চলে আপনারা যতই চেঁচামেচি করূননা কেন, আমাদের ঐ এক কথা, কি কও বাপু শুনিনা। কারণ আপনি ক্বোরআন না বুঝে উল্টা-পাল্টা বকলে আমার কি? আপনার কবরেতো আর আমি যাবনা। আপনাকে যা বলার এই আমি বলে দিলাম। এটুকুই আমার দায়িত্ব। এরপর আপনার নিজের দায়িত্ব নিজে পালন করলেই চলবে।

ইসলামে নারী ও পুরুষ সমান

কতিপয় তুলনা

* সম্পর্ক

(১) পিতা > কন্যা, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন,৪:৩৪।
(২) মাতা > পুত্র, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন,৩:৩৬। মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের জান্নাত - আল হাদীস।
(৩) বড় ভাই > ছোট বোন, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন,৪:৩৪।
(৪) বড় বোন > ছোট ভাই, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন,৩:৩৬।
(৫) বয়সে বড় চাচা > ভাইয়ের মেয়ে, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন,৪:৩৪।
(৬)বয়সে বড় ফুফু > ভাইয়ের ছেলে, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন,৩:৩৬।
(৭) বয়সে বড় মামা > বোনের মেয়ে, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন,৪:৩৪।
(৮) বয়সে বড় খালা > বোনের ছেলে, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন,৩:৩৬।
(৯) স্বামী > স্ত্রী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
(১০) মাতা > পিতা, মায়ের সেবা ৩ বার পিতার সেবা ১ বার - আল হাদীস।
(১১)দাদা > নাতনি, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
(১২) দাদী > নাতি, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
(১৩) নানা > নাতনি, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
(১৪) নানী > নাতি, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
(১৫) মাতা > স্বামী, পিতা-মাতার সন্তুষ্টি আল্লাহর সন্তুষ্টি - আল হাদীস।
(১৬) পিতা > স্ত্রী, পিতা-মাতার সন্তুষ্টি আল্লাহর সন্তুষ্টি - আল হাদীস।

* ওয়ারিসী সম্পদ/সম্পত্তির প্রাপ্যতা

(১৭)পুত্র > কন্যা, প্রাপ্য অংশ ২:১।
(১৮)কন্যা > ভাই, দুই ভাগের এক : দুই ভাগের এক এর কম ।
(১৯) ভাই > বোন, প্রাপ্য অংশ ২:১।
(২০) কন্যা > ভাইয়ের ছেলে, দুই ভাগের এক : দুই ভাগের এক এর কম ।
(২১)পিতা > স্ত্রী, ছয় ভাগের এক : আট ভাগের এক।
(২২) কন্যা > পিতা, দুই ভাগের এক : ছয় ভাগের এক।
(২৩) স্বামী > স্ত্রী, চার ভাগের এক : আট ভাগের এক।
(২৪) কন্যা > স্বামী , দুই ভাগের এক : চার ভাগের এক।

# পিতা = মাতা , ছয় ভাগের এক = ছয় ভাগের এক

* নবুয়ত
(২৫) নবীর মাতা > নবী, প্রমাণঃ মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের জান্নাত - আল হাদীস।
(২৬) নবী > যে কোন নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।

*ইমামত
(২৭) পুরুষ > নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
* সন্তান পেটে ধারণ
(২৮) নারী > পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।[ এ ক্ষেত্রে পুরুষ অপারগ]
* পদ
(২৯) পদে বড় পুরুষ > পদে ছোট নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
(৩০)পদে বড় নারী > পদে ছোট পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
* বংশ/খানদান
(৩১) বংশে বড় পুরুষ > বংশে ছোট নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
(৩২)বংশে বড় নারী > বংশে ছোট পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
* নেতৃত্ব
(৩৩) নেতৃত্বে বড় পুরুষ > নেতৃত্বে ছোট নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
(৩৪)নেতৃত্বে বড় নারী > নেতৃত্বে ছোট পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
* সম্মান
(৩৫) সম্মানে বড় পুরুষ > সম্মানে ছোট নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
(৩৬)সম্মানে বড় নারী > সম্মানে ছোট পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
* যোগ্যতা
(৩৭) যোগ্যতায় বড় পুরুষ > যোগ্যতায় ছোট নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
(৩৮) যোগ্যতায় বড় নারী > যোগ্যতায় ছোট পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
* দক্ষতা
(৩৯) দক্ষতায় বড় পুরুষ > দক্ষতায় ছোট নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
(৪০)দক্ষতায় বড় নারী > দক্ষতায় ছোট পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
* গ্রহণ যোগ্যতা
(৪১) গ্রহণ যোগ্যতায় বড় পুরুষ > গ্রহণ যোগ্যতায় ছোট নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
(৪২)গ্রহণ যোগ্যতায় বড় নারী > গ্রহণ যোগ্যতায় ছোট পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
* বয়স
(৪৩) বয়সে বড় পুরুষ > বয়সে ছোট নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
(৪৪)বয়সে বড় নারী > বয়সে ছোট পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।

* মোকদ্দমায় সাক্ষ্য প্রদান
(৪৫) পুরুষ > নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
* পিতৃত্বে সাক্ষ্য প্রদান
(৪৬) নারী > পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।[এ ক্ষেত্রে পুরুষ অপারগ, কারণ নারীর পেটের বাচ্চা কার বাচ্চা এটা নারীর ভালো বলতে পারার কথা]
# ঈমান আকিদা সংক্রান্ত সাক্ষ্য প্রদান
নারী = পুরুষ
* বিবাহ সংখ্যা
(৪৭) পুরুষ > নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
* মোহরানা প্রাপ্তি
(৪৮) নারী > পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
* তালাক প্রদান
(৪৯) পুরুষ > নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
* ভরণ-পোষণ প্রাপ্তি
(৫০) নারী > পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
* দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে শাসন
(৫১)পুরুষ > নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
* দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গ সুখ
(৫২)নারী > পুরুষ, ১.৫:১, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
* সন্তানের সেবা প্রাপ্তি
(৫৩) নারী > পুরুষ, মায়ের সেবা ৩ বার পিতার সেবা ১ বার - আল হাদীস।
*সন্তানের মালিকানা
(৫৪)পুরুষ > নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।

* জন্ম সময় আজান ও ইকামত
(৫৫) পুত্র > কন্যা, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
* জন্মে পিতা-মাতার জান্নাতের সুসংবাদ
(৫৬) কন্যা > পুত্র, প্রমাণঃ তিন কন্যা তিনটি জান্নাত - আল হাদীস।
* জান্নাতে সজ্জা সঙ্গিনী হুর
(৫৭) পুরুষ > নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
* জান্নাতে খোশ গল্পের বান্ধবী হুর
(৫৮) নারী > পুরুষ, প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।
* জান্নাতের সেবক গেলমান
নারী=পুরুষ
* মনরঞ্জনে দাসী
(৫৯) পুরুষ > নারী, প্রমাণঃ আর রাজুলু কাওয়ামুনা আলান্নিছা - পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল।- আল ক্বোরআন।
* গৃহকর্ম সম্পাদন সহায়তায় দাসী
(৬০) নারী > পুরুষ,প্রমাণঃ লাইছাজ জাকারু কাল উনছা - কোন কোন ক্ষেত্রে ছেলেও মেয়ের সমতুল্য নয়।- আল ক্বোরআন।

উপরোক্ত ৬০ টি তুলনার ৩০ টিতে পুরুষেরা সেরা ও ৩০ টিতে নারীরা সেরা এবং ৩ টিতে উভয় সমান এভাবে যতই তুলনা সংখ্যা বাড়ানো হয় ফলাফল একই থেকে যায়।হিসেবে কোন গড়বড় তৈরী করা যায়না। অতএব ইসলামে নারী ও পুরুষের অসমতা তৈরীর কোন সুযোগ না থাকায় ইসলামে নারী ও পুরুষ সমান। (প্রমাণীত)।

উহাদের রাস্তায় ব্রীজ নেই

ইসলামের মহাসড়কের সর্বশেষ সংস্কারক মহানবী (সঃ) এবং উপকরণ সর্বরাহকারী আল্লাহ। এখন আর পূর্বপথের পরিচয় নেই।মহানবীর (সঃ) পর ইসলামের মহাসড়কের প্রথম ব্রীজ হজরত আবু বকর (রাঃ)। জাকাত অস্বীকারকারীগন সেই ব্রীজ হতে নেমে গেছে, উহাদের রাস্তায় ব্রীজ নেই। তারা বিভ্রান্তির নদীতে ডুবে মরেছে। ইসলামের মহা সড়কের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ব্রীজ যথাক্রমে হজরত ওমর (রাঃ), হজরত ওসমান (রাঃ) ও হজরত আলী (রাঃ)। খারেজীরা সেই ব্রীজ থেকে নেমে গেছে, উহাদের রাস্তায় ব্রীজ নেই। তারা বিভ্রান্তির নদীতে ডুবে মরছে। ইসলামের মহাসড়কের পঞ্চম ব্রীজ ইমাম আবু হানিফা(রঃ)। যা তৎকালীন সকল মুসলমান ও মুসলমানদের তৎকালীন রাষ্ট্র আব্বাসীয় খেলাফত স্বীকৃত। যারা সেই ব্রীজ থেকে নেমে গিয়েছে,উহাদের রাস্তায় ব্রীজ নেই। তারা বিভ্রান্তির নদীতে ডুবে মরছে। ইসলামে সকল মুসলমান স্বীকৃত ও সকল মুসলমানের রাষ্ট্র স্বীকৃত আর কোন ব্রীজ নেই। পথ একটাই, তা’হলো ব্রীজ দিয়েই ইসলামের মহা সড়কে হাঁটতে হবে। নতুবা ব্রীজের নীচের নদীতে পড়ে ডুবে মরতে হবে। এটা এমন নদী সাঁতরে পাড়ে উঠাও অসম্ভব।
লা মজহাবী বা আহলে হাদীসগন যদি ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) ক্রস মারে তবে সহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে তাহাদের যুগ পর্যন্ত গ্যাপ তারা কি দিয়ে ফিলাপ করবে? সেই সময়তো সবাই মাজহাবী ছিল? এতটাকাল মুসলমানরা বিভ্রান্তিতে থাকার কথা তবে ক্বোরআন ও হাদীসে নেই কেন? ক্বোরআন তো হুদাল্লিল মুত্তাকীন। তবে কি তারা বলতে চায় ক্বোরআন হুদাল্লিল মুত্তাকীন নয়? –নাউযুবিল্লাহ। জঘন্য এ বিভ্রান্ত সম্প্রদায়ের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ মুসলমানদের হেফাজত করুন, আমিন।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাইজান সমস্যা হইল আমরা অল্প জেনেই লাফ দিয়ে বসি

এখানে শুরুতেই একখান কারেকশন যদি করেন অেনক সমস্যা এমিনেতই মিটে যায়।

আহাদ এর অর্থ।
আপনি লিখেছেন এক। এটাই চলিত সমাজে।
কিন্তু এর মূলার্থে যান- দেখুন কত সহজ হয়ে যায়-
আহাদ অর্থ - একক, অনন্য, অতুলণীয়,

এখানে ওয়ান যদি এক করেন -অর্থ সীমিত হয়ে আসে, কিন্তু একক বিশালতায় ভরপুর যা আল্লাহর গুনের সাথে সামঞ্জস্য পূর্নও বটে। অনন্য অতুলনীয় একই রকম ব্যপকতায় ভরপুর।

সূত্র : Meaning of Ahad

Ahad is a direct Quranic name for boys that means “one”, “unique”, “matchless”. One of the names of Allah, subhanahu wa taala, is al-Ahad, and this name with the al- in front of it should not be used as a name because it is specific to Allah. But when you remove the al-, that is when you use Ahad by itself, it becomes a general and acceptable name to use. Ahad is used in about 80 places in the Quran.
http://quranicnames.com/ahad/


১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অর্থ যা করা হয়েছে সেটাও ভুল নয়।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৬

বিলুনী বলেছেন: গোড়াতেই গলদ , মহাবিজ্ঞান বলতে কিছু নেই বিজ্ঞান তথা Science একটাই । আর Al Quran it self is a science . কোরানের প্রতিটি কথাই হল আল্লার কালাম , আর আল্লার প্রতিটি কথাই বিজ্ঞান সন্মত ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কেউ কিছু খুঁজে না পেলেই নেই বলতে নেই। থাকতেওতো পারে!

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১৬

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বিজ্ঞ পরামর্শ অনুসারে মহা বিজ্ঞানের সংঘাটা একটু জানতে চেস্টা করেছি নিন্ম লিখিত সুত্র ধরে । আমি অধম পশুতুল্য মানুষ, আমার জানের পরিধও খুব কম । তাই বিজ্ঞান তথা Science কাকে বলে তা জানার চেস্টা করেছি । মহা বিজ্ঞান তথা Great science এর কোন সংঘা এখনো পা্‌ইনি খুুঁজে, এই বিশাল জ্ঞান জগতের ভান্ডারে হয়ত কোথাও থাকলেও থাকতে পারে , তা দেখার প্রক্রীয়া চালু রাখিব জনম ভরে কোরান শরীফ পাঠ করে করে
science - definition of science in English | Oxford Dictionaries
https://en.oxforddictionaries.com/definition/science

Science | Definition of Science by Merriam-Webster
www.merriam-webster.com/dictionary/science

Science | Define Science at Dictionary.com
www.dictionary.com/browse/science

science Meaning in the Cambridge English Dictionary
dictionary.cambridge.org/dictionary/english/science

Science definition - What is science? - Science Made Simple
www.sciencemadesimple.com/science-definition.html

Science - definition of science by The Free Dictionary
www.thefreedictionary.com/science

https://www.vocabulary.com/dictionary/science

www.theguardian.com › Science › Philosophy
Science Council has spent the past year working out a new definition of the word 'science'

"Science is the pursuit of knowledge and understanding of the natural and social world following a systematic methodology based on evidence."
Scientific facts in the Holy Quran | islam.ru
islam.ru/en/content/story/scientific-facts-holy-quran

যাহোক মহা বিজ্ঞানের কোন সংঘা কোথাও না পেলেও বিজ্ঞানের কিছু সংঘা পেয়েছি । আর পবিত্র কোরআনে বিজ্ঞান সম্পর্কে বিভিন্ন ইসলামী মনিষীর লিখা পাঠে এটুকু জানতে পেরেছি Quran is the mother of all sciences and all the branches of sciences are originated from the holy Quran . Every verse of the Quran is science . It dictates us what is truth , how to know the truth . when to realize the truth , what are the characteristics of the creation , how they are created and how they are maintained , the reason behind creation of the universe and the ultimate fate of the creation .
No other branches of science can do this as Quran explained the scientific phenomenon. For all this reason Quran has been termed by the Islamic scholars as Mother of Science বিজ্ঞানের জনক which is more than the term Great Science ( মহা বিজ্ঞান ) । যাহোক আমার ভুল হতেও পারে , পশুতুল্য অধম হলেও কায়াটি এখনো মানবতুল্য , আর বলা হয়ে থাকে To err is human তাই ভুল কিছু হলে নীজ মহাত্য গুণে ক্ষমিবেন এই অধমে । বিজ্ঞান আর মহা বিজ্ঞানের ( science and great science ) পার্থক্য গ্রহনযোগ্য সুত্র ধরে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ হব ভীষনভাবে মেনে নিব তা নত শীরে ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি শক্তিকে দু’ভাগে ভাগ করেছি , যেমনঃ- (১) সসীম (২) অসীম। মানুষ যদি সসীম হয় তবে মানুষের মধ্যে বিদ্যমান শক্তি সসীম হবে। আল্লাহ যদি অসীম হন তবে আল্লাহর মধ্যে বিদ্যমান শক্তি অসীম হবে। কারণ শক্তি যে পাত্রে থাকে এর পুরোটা দখল করে। জ্ঞান ও বিজ্ঞান দু’টোই শক্তি। এগুলো মানুষের মাঝে হলে হবে সসীম মাত্রায়, কিন্তু আল্লাহর মাঝে হলে হবে অসীম মাত্রায়। অসীমকে আপনি ছোট বলতে পারবেননা। আর বড় যদি অনেক বড় হয় তবে এটাকে মহা বলে। এজন্য আল্লাহর জ্ঞান মহা জ্ঞান ও আল্লাহর বিজ্ঞান মহা বিজ্ঞান। মানুষের মাঝে মহা বিজ্ঞানের অনুপস্থিতি জনিত কারণে এর সংজ্ঞাও অনুপস্থিত। কাজেই সংগত কারণে আপনি উহা খুঁজে পাচ্ছেননা। এ ব্যাপারে পরে এক সময় দরকার হয় একটা পোষ্ট দেব-ইনশা আল্লাহ।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বহু কাল পরে এলাম দেখে যেতে পুরনো কথা। এরজন্য সামুকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.