নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শতভাগ বিশুদ্ধ ইসলাম

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১



হজরত আলী (রাঃ) মহানবীর (সঃ) নবুয়তের তেইশ বছর তাঁর সাথে ছায়ার মতো ছিলেন। হজরত আবু বকর (রাঃ), হজরত ওমর (রাঃ) ও হজরত ওসমানের (রাঃ)সাথে তিনি ছায়ার মতো ছিলেন। ইসলামের স্বর্ণ যুগের (নবুয়ত ও খোলাফায়ে রাশেদার) তিপ্পান্ন বছর তিনি ইসলামী বিধিবিধানের কেন্দ্রে অবস্থান করেছেন। কোন হাদীস তিনি জানতেন না এমন কথা সত্য হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তথাপি যদি তিনি কোন হাদীসের আমল না করে থাকেন তবে সে হাদীস অবশ্যই জাল অথবা মানসুখ। কারন তাঁর ইসলামের অনুসরন মহানবী (সঃ) কর্তৃক সত্যায়িত। সুতরাং তাঁর অনুসারিত ইসলাম শতভাগ বিশুদ্ধ। সেই ইসলাম তিনি কুফায় নিয়ে এসেছেন। সেই ইসলাম ইমাম আবু হানিফা (রঃ) লিপিবদ্ধ করেছেন। সেই ইসলামের বিরোধীতা ইমাম আবু হানিফার (রঃ) জীবদ্ধশায় ছিলনা। পরে ভুল বশত মানসুখ ছহী হাদীস দ্বারা ইমাম আবু হানিফার (রঃ) বিরোধীতা করা হলেও মুসলমানগন সেই বিরোধীতা গ্রহণ করেনি।
হজরত মুয়াবিয়ার (রাঃ) প্রতি সম্মান প্রদর্শন করায় শীয়াগন ইমাম আবু হানিফার অনুসারী হয়নি। খারেজীরা হজরত আলীর (রাঃ) বিরোধী হওয়ায় ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী হয়নি। আব্বাসীয় খেলাফত ইমাম আবু হানিফার স্বীকৃতি প্রদান করায় উমাইয়া সমর্থকদের অনেকে ইমাম আবু হানিফার অনুসারী হয়নি। তাদের অনেকে মানসুখ ছহী হাদীস দ্বারা যারা ইমাম আবু হানিফার (রঃ) বিরোধীতা করেছে তাদের দলে যোগ দিয়েছে। আহলে হাদীস দলটি সেই দল সমূহের একটি। হাদীসের অনেক ইমামও সেইসব মানসুখ ছহী হাদীসের প্রভাবে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন থেকে বিরত থেকেছে। তথাপি শতকরা আশিভাগ মুসলমান হজরত আলী (রাঃ) থেকে প্রাপ্ত ও ইমাম আবু হানিফা কর্তৃক লিপিবদ্ধ বিশুদ্ধ ইসলামের অনুসারী। হজরত ওসমানের (রাঃ) হত্যাকান্ড ও হজরত আলী (রাঃ ও হজরত মুয়াবীয়ার (রাঃ) দ্বন্দ্ব না হলে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন শতকরা পঁচানব্বই ভাগের বেশী হতো বলে আমি মনে করি।
হেদায়েতের অন্যতম শর্ত হলো ক্বোরআন, হাদীস ও সাহাবায়ে কেরামের সাথে অশোভন আচরন করা থেকে বিরত থাকা। যারা এ অভিযোগে অভিযুক্ত তাদেরকে আল্লাহ গোমরাহীতে নিমজ্জিত করবেন এটাই স্বাভাবিক। কাজেই তাদের ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন না করা হিসাবযোগ্য নয়। আর যারা ভুল বশত তাঁর অনুসরন থেকে বিরত ছিলেন আল্লাহ তাঁদেরকে ক্ষমান করুন। আর তাঁদের ভুল মূলত গোমরাহদের গোমরা করার জন্য। সকলি আল্লাহর কুদরত।
হজরত আলীর (রাঃ) অনুসরনের বিপরীত মানসুখ ছহী হাদীসের অনুসরন নামাজে করা হলে উহা আমলে কাছির হিসেবে গন্য হবে এবং নামাজ ভঙ্গ ও বরবাদ হবে। আর কারো নামাজই যদি বরবাদ হয় তবে তার ইসলামের আর থাকে কি? তার গোমরা হওয়া অবধারীত। আল্লাহ আমাদেরকে এসব গোমরা লোক থেকে হেফাজত করুন- আমিন।

সংশ্লিষ্টঃ-

(১ )ইমাম আবু হানিফা (রঃ) নতুন কোন ইসলাম আবিষ্কার করেননি, তিনি মহানবীর (সঃ) প্রচারীত ইসলাম হজরত আলীর (রাঃ) মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন মাত্র। যে সব বিষয়কে তাঁর কিয়াছ বলা হয় সেসব বিষয়ের প্রত্যেকটির অনুকূলে আমি ক্বোরআন ও হাদীস উপস্থাপনের যোগ্যতা রাখি-ইনশা আল্লাহ। কাজেই সেগুলো মূলত কিয়াছ নয় বরং ক্বোরআন ও হাদীস সম্মত। ইমাম আবু হানিফার (রঃ) জীবদ্দশায় চার মাজহাব ছিলনা। কাজেই তাঁর পক্ষে চার মাজহারে যে কোন একটি মানলেই হবে এমন বলা সম্ভব নয়। কাজেই এটা ভিত্তিহীন কথা। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বিশুদ্ধ ইসলামের একজন মাননীয় লিপিকার মাত্র। কাজেই তাঁর অনুসরন মানে নিচক তাঁর অনুসরন নয়, বরং তাঁর অনুসরন মানে বিশুদ্ধতম ইসলামের অনুসরন। তিনি ছাড়া অন্য মতভেদীদের অনুসরন যে মোটেও সঠিক নয় ইনশাআল্লাহ তা প্রমাণের সক্ষমতা আল্লাহ আমাকে প্রদান করেছেন। তবে ক্ষুদ্র পরিসরে অতকথা লেখা সম্ভব নয় বিধায় এখানে অতি সংক্ষেপে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
(২) হজরত আলী (রাঃ) ইসলামের ফটো কাপি যার সত্যায়িতকারী মহানবী (সঃ) , আর হজরত আলীর (রাঃ) ফটো কপি ইমাম আবু হানিফা (রঃ) যা ক্বোরআন ও হাদীস দিয়ে শতভাগ সত্যায়ন করা যায়। কজেই এটাই বিশুদ্ধতম ইসলাম এর একচুল অনুসরন বাদ দেওয়ার কোন সুযুগ নেই।
(৩) ইসলামের স্বর্ণ যুগের সবচেয়ে বেশী অংশের ধারক হজরত আলী (রাঃ)।
(৪) মহান আল্লাহ বলেছেন, তোমরা একত্রে আল্লাহর দড়ি ধর, পৃথক হয়োনা। আয়াত অনুযায়ী মুসলমানদের এক দলের অধীক হওয়ার সুযুগ নেই। হাদীসে এক দল হওয়ার পদ্ধতি হিসেবে বলা হয়েছে, মহানবী (সঃ) বলেছেন, আমার সহাবাগন তারার মতো, তোমরা তাদের যে কোন একজনের অনুসরন করলে হেদায়েত পাবে। হাদীসে তোমরা বলতে মহানবীর (সঃ) সকল উম্মত যারা সাহাবা নন বরং তাদের পরের উম্মত, কারন সাহাবাগন সরাসরি মহানবীর (সঃ) অনুসরন করেছেন। তারমানে সাহাবা যুগর পরের সকল উম্মত মিলে যে কোন একজন সাহাবীর অনুসরন করলে হেদায়েত প্রাপ্ত হবে। তাতেও দল একটার বেশী হওয়ার সুযুগ নেই কারন সবাই মিলে একজন সাহাবার (রাঃ) অনুসরন করলে দল একের বেশী হওয়ার সুযুগ থাকে না। এখন সেই একজন কে হবে? প্রথমত তিনি হবেন যার মধ্যে ইসলামের পুরোটা বিদ্যমান। যারা রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন না রাষ্ট্র নায়কের আইটেম না থাকায় তারা এ তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। এখন নবুয়ত ও খেলাফতের তিপ্পান্ন বছরের সর্বাধীক সময় যিনি ইসলামের সাথে যুক্ত ছিলেন সেটা বিবেচনায় নিলে সেই একজন হিসেবে হজরত আলী সনাক্ত হন। এছাড়া অগ্রধীকারের আর কোন সূত্র নেই। সুতরাং যারা সাহাবা নন তাদের হজরত আলীর (রাঃ) অনুসারী না হওয়ার সুযুগ নেই। কাজেই হজরত আলীর আমলের বিপরীত ক্বোরআন ও হাদীস মানসুখ হিসেবে সাব্যস্ত হবে। কারণ যারা সাহাবা নন তাদের জন্য ক্বোরআন ও হাদীস স্বীকৃত ইসলামের নমুনা হজরত আলী (রাঃ)।
আমার কথার প্রমাণ যার দরকার সে আমার কাছে আসুক প্রমাণ প্রস্তত রয়েছে ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


খৃস্টান ধর্ম শুরু হওয়ার পর, মাত্র ৫০০ বছর পরেই উহা শাখা প্রশাখা বের করে অশুদ্ধ(ইসলামের মতে) হয়ে গিয়েছিল; আজ ১৪০০ বছর পর, ইসলাম কিভাবে বিশুদ্ধ থাকতে পারে, কোন লজিক?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইসলাম মতে খ্রিস্টানদের অশুদ্ধতার বিষয় বিবেচনার দায়িত্ব খ্রিস্টানদের। তেমনি ইসলামের বিশুদ্ধতা বিবেচনার দায়িত্ব মুসলমানদের। মহানবী (সঃ) বলেছেন বহুদলে বিভক্ত হওয়া মুসলমানদের একটি দল বিশুদ্ধ, পোষ্টে সেটি সনাক্ত করা হয়েছে। এখন কোন মুসলমানের যদি পোষ্টের কথা সঠিক বলে মনে না হয় তবে কোন কথা বেঠিক এবং কেন বেঠিক সেটা তিনি দেখাতে পারেন। আর যদি পোষ্টের কথা সঠিক মনে হয় তাও বলতে পারেন।
বিষয়টি সবার জন্য জরুরী, কারণ মুসলমানদের পাস্পরিক মারামারি বন্ধ হওয়া দরকার, কারণ এতে যারা মুসলমান নয়, তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
আপনি সবাইকে নিয়ে ভাবেন, কাজেই এটা আপনার ভাবনার বিষয় কিনা সেটা আপনিই ভাল বলতে পারেন।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: B:-) বর্তমানে সবার সত্যের ছায়া হওয়া দরকার। কারণ, সত্যের ছায়াতে চুক্তি, সত্যের ছায়াতে মুক্তি। রাসূল যে একটি দল শুদ্ধ হওয়ার কথা বলেছেন সেই দলে আমি আছি। কারো যদি সন্দেহ থাকে সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা আমার পোষ্টে সত্যের ছায়া পড়েছে। সুতরাং আমি নিশ্চিন্ত।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

শূন্যনীড় বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। কৃতজ্ঞতা রাখছি আপনার প্রতি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে সবদিককার মঙ্গলে পরিপূর্ণ করে দিন।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

অতৃপ্তনয়ন বলেছেন: ভালো একটা পোষ্ট পড়লাম।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫২

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনুপ্রাণীত হলাম।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৩

জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী শান্ত বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপনা.....

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জনাব ইমাম আবু হানিফা রহিমুল্লাহ ওনাকে মানতে বাধা কোথায়, যারা প্রাগ্র আলেমেদীন তারা সবাই সকল ইসলামের স্কলারদের সম্মান করেন এবং তাদের প্রতিটি কথা মানেন। ইমাম সাহেব যখন নিজেই বলেছেন যে" অামার কথা যদি রাসুল সাঃ এর বিপরীত হয় তাহা তোমরা দেওয়ালে ছুড়ে ফেল" সেখানে যদি অন্য কোন স্কলার এর কাছে কোন হাদিস সহি সনদে আছে তা মানতে বাধা কোথায়?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইমাম সাহেব যখন নিজেই বলেছেন যে" অামার কথা যদি রাসুল সাঃ এর বিপরীত হয় তাহা তোমরা দেওয়ালে ছুড়ে ফেল" এমন কথা ইমাম সাহেব বিনয় বশত বলেছেন, আমরা তাঁর কথায় এমন কিছু খুঁজে পাইনি। তাঁর কথার বিপরীতে যা দাঁড় করানো হচ্ছে তা’ মূলত মানসুখ। তা’ করলে আমল বরবাদ হবে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দেড় হাজার বছর পরেও ইসলামে কোন অমিমাংসিত বিষয় থাকা সম্ভব নয়। মিমাংসিত বিষয়কে অমিমাংসিত করা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হাজার বছর পর নতুন স্কলার আবর কোথাথেকে গজায়?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তাবেয়ী যুগেই ইসলামের সব বিধির মিমাংসা হয়েছে। এর পরের সব হয় জাল নয় মানসুখ। এগুলো যারা সামনে আনে তারা স্কলার নয় ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইসলামের বিধি চুড়ান্ত হতে এতো সময়ের ব্যাপার কিছুতেই সঠিক হতে পারে না।

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: শেখ আমি মনে হয় আপনাকে বুঝাতে পারছিনা, বিনয়ের সাথে বলছি আমাদের ইমান যখন একটি কিয়াস করেছেন, তার বিপরীতে যদি আরেক ইমাম কয়িাস করে তাহলে কি করবেন ইমামতো ২ জনই ঠিক?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার ক্বোরআন কি সঠিক কিয়াছ নির্ণয় করতে অক্ষম না আপনার আল্লাহ? ইমাম এক জনই যথেষ্ট অন্য ইমামের দরকার নেই।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: জনে জনে ইমাম মানতে আল্লাহ বলেননি, তিনি বলেছেন, পৃথক হয়োনা। আল্লাহর কথা মানতে গেলে সবাই মিলে ইমাম একজনই মানতে হবে। আমি ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) শতভাগ সঠিক প্রমান করতে সক্ষম- ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ আমাকে একটা বিদ্যাদান করেছেন, যা দিয়ে আমি কোন জিনিসের সঠিকতা নিখুঁতভাবে প্রমাণ করতে পারি- ইনশাআল্লাহ।

৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ইমাম আবু হানিফ ইমামে আজম, কিন্তু নবি বা রাসুল নন যে ওনার মতামতই চুরান্ত হবে, দিনে দিনে আলেমে দীন আসবে মতের প্রার্থক্য থাকবে তবে দীনের ব্যাপারে যখন কোরআন এবং হাদিসে ফায়সালা পাওয়া যায় তার বিপরীতে অন্য কোন দলীল নেওয়া যাবে না ইহাই চুরান্ত ইসলামের নীতি।
আর আহলে সুন্নাত আল জামাতে অন্তভোক্ত সবাই দাবী করছে আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত দারী কিন্তু এই আহলে সুন্নাত আল জামাত পবর্তন হয় ইমাম মুহাম্মদ বীন হাম্মল দ্বারা। আরো একটি মিথলজী প্রেস করছি আমরা যাকে পীরে আজম , বড় পীর দাবি করি ওনি নিজেও হাম্মলী মাজহাবের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু আমাদের দেশের পীর সাহেবরা দাবী করেন তার ওলটো টা যে আমরা হানাফী শরীয়তের। আমাদের ইমাম একজন, পীর আরেকজন। কি আর্চায্য মত! যাইহোক দীনের মধ্যে কোন বিবেদ নয়। আমি দীনের মৌলকে বিশ্বাস করি। ইমান ,নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত এই পাঁটি বিষয় আগে পরিপূর্ণ হলে পরে অন্যবিষয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক দীন মানার ও বুঝার তৈফিক দান করুন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এসব বাজে কথা বাদ দিয়ে সবাইকে কিভাবে একদল করা যায় সেই চিন্তা করুন। আপনার মত যদি সবাইকে একদল করতে অক্ষম হয় তবে ছুড়ে ফেলে দিন কারন আপনার মত ক্বোরআনের বিপরীত। ক্বোরআন হাদীস মতে এক দলের বেশী দুই দল হওয়া সম্ভব নয়। দুই বা তার বেমী দল হওয়ার মত শয়তানী মত।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ক্বোরআন ও হাদীস আপনাকে মতভেদের ফরমূলা দেয়নি। আপনি যদি সেটা বলেন তবে সেটা মিথ্যা। মতভেদকৃত মত সমূহের একটি সঠিক হবে বাকীগুলা ভুল।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সবাই ক্বোরআন হাদীসের কথাই বলে। কিন্তু মহানবীন (সঃ) বলেছেন তিহাত্তর দলের মাত্র একদল সঠিক।

১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১০

পলাশমিঞা বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, প্রিয় লেখক ও কবি।

১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জনাব এত প্রাগ্র হয়েও নবীজির এই হাদিসটি প্রত্যাক্ষান করে দিবেন, "বনী ইস্রাইলের উম্মতের মধ্যে ৭২ দল হয়েছিল আর আমার উম্মতের মধ্যে ৭৩ দল হবে" এই হাদিসটির মান সহ ব্যাক্ষা করবেন জনাব।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি এর মানে কি বুঝেছেন?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এখানে এটা বলা হয়নি যে সবগুলো সঠিক, বরং বলা হয়েছে একটা সঠিক বাকীগুলো বেঠিক।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আর সঠিক দল কোনটি তা’ ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে নিখুঁতভাবে প্রমাণকরা যায়।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি আল্লাহর রহমতে প্রতিটি বিষয়ে ক্বোরআন ও হাদীস পাচ্ছি। সুতরাং আমার কিয়াছের প্রয়োজন হবেনা, ইনশাআল্লাহ। কিয়াছ তার প্রয়োজন যিনি ক্বোরআন ও হাদীস পাননা।

১২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার কাছে জানতে চেয়েছি হাদিসটিতে কি বলেছে, ইচ্ছা হলে বলবেন না হয় নাই, আমিতো আমার মতো বুঝবোই যেহেতু আমি তেমন কিছু বুঝিনা। আমি কোরআন তেমন বুঝিনা, হাদিস ও না। আপনার মতো প্রাগ্রদের মত/ দ্বীমতের ঘেরাকলে আটকানো ।

আপনি যদি এক আল্লাহ রাসুলকে মানবেন তাহলে ইমাম নিয়ে মতো বেদ কেন তা বুঝিনা। যুগে যুগে ইমাম থাকবে ইমামরা হলো যুগের শিক্ষক তা শুধু আমি বুঝি।
আমি ইমাম আবুহানিফার মিথলজির উপর পুর্ন আস্থা রাখি। কিন্তু বোখারী শরীফ তো ইমাম আবুহানিফার রচিত কিতাব নয় ইহাতো আরেক যুগের ইমামের। আমরা সবাই এই কিতাবকে নিখুত মনে করে মানি। সব আলেম ওয়াজ করেন রেফারিন্স বোখারী, মুসলীম, মিসকাত, ইবনে মাজহা ইত্যাদি তাহলে কত ইমাম হল সবাইতো সঠিক দীন ই উপস্থাপন করতে চেয়েছেন তাই নয় কি?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু হাদীস গ্রন্থ সমূহে অনেক ছহী মানসুখ হাদীস রয়েছে যা অনুসরন যোগ্য নয়। যেমন মুসলীম শরীফের মুত্রপান সংক্রান্ত হাদীস। আপসি ক্বোরআন ও হাদীস মানবেন তবে মানসুখ বাদ দিয়ে। আর আবু হানিফা (রঃ) মূলত হজরত আলীর আমল লিপিবদ্ধ করেছেন মাত্র। আাপনি পোষ্ট পড়ে সেটাও বুঝতে পারেননি? মানামানি হজরত আলী (রাঃ) পর্যন্ত শেষ। তারপর আর কারো মাতব্বরী হাদীস স্বীকৃত নয়।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নামাজে কোথায় হাত বাঁধবে এর আলোচনা কেয়ামত পর্যন্ত চলতে পারে না। কিয়াছ হবে নতুন বিষয়ে, পুরাতন বিষয়ে অবশ্যই নয়।

১৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান এ পোষ্টটির জন্য ।
ইছলাম বিশুদ্ধ ছিল , এটা বিশুদ্ধই থাকবে
এর হেফাজতের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ পাকের হাতেই রয়েছে
একে কেও বিশুদ্ধ করতে পারবেনা । যারা একে বিশুদ্ধ করার
চেষ্টা করবে তারা নীজেরাই গুমরাহিতে পতিত হবে ।
আল্লাহ আমাদেরকে এসব গোমরা লোক থেকে হেফাজত করুন- আমিন

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মাননীয় অনেক ভাল বলেছেন। সে জন্য অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

১৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শেষ দিকে ইসলামে বিভক্তি বেশ স্পষ্ট হচ্ছিল।
হজরত মুহম্মদকে হত্যার জন্য বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল বলে যানা যায়।
নবীর অসুস্থ অবস্থায় তাঁর দুই স্ত্রী আবু বকর কন্যা আয়েশা রাঃ ও ওমর কন্যা বিবি হাফসা রাঃ সবসময় তাঁর পাশে থাকতেন। শেষ দিকে নবী এমন কি তার প্রিয় স্ত্রীদেরকেও আর বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তিনি এমন কি বিবি আয়েশার হাতেও খাদ্য ঔষধ গ্রহনে অনাগ্রহী ছিলেন যা বিবি আয়েশা বর্নিত হাদিসে উঠে এসেছে। ইবনে আব্বাস ব্যাতিত অন্য সবাইকে তিনি খাবার ও ঔষধ প্রদান করতে নিষেধ করে দেন।

সারা জীবন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা আর বৈরিতার সাথে লড়াই করে আরবের কঠোর পরিবেশে টিকে থাকা মানুষটা তাঁর শেষ সময়ে এসে কি আপনজনদের হাতে হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ার আশংকায় ভুগছিলেন ?
সমগ্র জীবনে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে অসাধারন সব স্ট্র্যাটেজিক সিদ্ধান্ত নিলেও উত্তরাধিকারি নির্ধারনে তিনি সম্ভবত সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন এবং যখন সিদ্ধান্তে আসেন ততক্ষনে মক্কার কুটিল রাজনীতি ও আজরাইল আঃ তাঁর শিওরে পৌছে গেছে,
হযরত আবুবকর ও হযরত ওমর নবীকে তাঁর মৃত্যুশয্যায় খেলাফতের ওয়াসিয়ত লিখে যেতে একপ্রকার বাধাই প্রদান করেন(সুত্রঃ সহি বুখারি, ১ম খন্ড অধ্যায় ৩,হাদিস ১১৫)।
তবে শেষের দিকে ইসলাম ও ইসলামের ভবিষ্যত নির্ধারনের ক্ষমতা ইসলামের নবীর হাতে কতটা ছিলো এ নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। কারন হজরত আলীর ব্যাপারে গাদিরে খুমের ঘটনার পর ইসলামের নবী খুব বেশি দিন সুস্থ থাকতে পারেন নি।

নবী মুহাম্মদ (সঃ) মৃত্যুর পর মদিনা-মক্কার কুটিল রাজনীতি সহিংস ভাবে স্পষ্ট হতে থাকে। লাশ বেহাত/ছিনতাই হওয়ার ভয়ে আতংকিত গ্রুপিং মৃতুসংবাদ গোপন রাখা হয় বলে জানা যায়। জানাজা তো দুরের কথা শোয়ার ঘর থেকে লাশ দরবারে বা উঠনে রাখার ঝুকি পর্যন্ত নেয়া হয়নি। অতচ কত আশা ছিল মক্কায় কাবার সামনে বিশাল জানাজা হওয়ার কথা।
গোত্রের পক্ষের অনেক লোকজন ঘরের সামনে ভিড় জমালেও বিপক্ষ গোত্রের কাউকে জানতে দেয়া হয় নি বলে যানা যায়।
পরে তারহুরা করে মোটামুটি গোপনিয়তার ভেতরেই শোবার ঘরে সংক্ষিপ্ত জানাজা বা জানাজা ছাড়াই সেই আধো অন্ধকার শোয়ার ঘরেই পুতে ফেলা (কবর দেয়া) হয়।
ভাগ্যের কি নির্মম ... পরিহাস, পবিত্র কাবার সামনে লক্ষ লক্ষ জনতার বিশাল জানাজা তার প্রাপ্য ছিল। কিন্তু মদিনা-মক্কার কুটিল রাজনীতি ... কিছুই সম্ভব হল না।
এরপর ইতিহাস ভয়াবহ রক্তাক্ত ... সাহাবিদের ভেতর একমাত্র শিক্ষিত হজরত ওসমান কোরান লিখছিলেন, কারন তখনো কোরানের কোন লিখিত ভার্শন ছিলনা। কোরানের কোন আয়াত আগে-পড়ে হবে, কোন আয়াত বাদ যাবে, কর বৃদ্ধি হল কেন? ইত্যাদি নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয়, একপর্যায়ে হজরত ওসমানকে মসজিদের ভেতরই কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারিরা ও হুকুমদাতারা রসুল (স) ঘনিষ্ঠ সাহাবি ও মুসলিমই ছিল।
এর কিছুদিন পর, হজরত ওমরও একই ভাবে একদল আততায়ীদের হাতে নিহত হন। হজরত আলীকে চলে যেতে হয়েছিল হাজার মাইল দূরে বসরাতে। পরে তিনিও রেহাই পান নি। এখানেও হত্যাকারিরা মুসলিমই ছিল।
এরপর ৩০০ বছর পরস্পর হাংগামায় ইসলাম তখন সিয়া সুন্নি হানাফি, সালাফি, মালেকি, সুফি, কাদিয়ানি, হাক্কানি, ওহাবি ইত্যাদি ৭৩ ভাগে বিভক্ত।

রসুল (স) মৃত্যুর ৩০০ বছর পর হাদিসগুলো লেখা শুরু হয়।
কোন রেফারেনেস ছাড়াই নিরুপায় হাদিস প্রনেতারা বলে দিলেন রসুল (স) আগেই বলেছিলেন ইসলাম ৭৩ ভাগে বিভক্ত হবে তার মধ্যে সুধু একটা সহি। বাকি সব জাহান্নামি। তবে কোনটা সহি বলে যান নি!
মানে ইসলামে আজীবন হাংগামা বৈধতা দেয়ার জন্য মোক্ষম একটা হাদিস।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বৈশাখতো এখনো অনেক দূরে, তবে আপনার মন্তব্যে সেটা স্পষ্ট প্রতীয়মান।

১৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে অভিনন্দন

১৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

পলাশমিঞা বলেছেন: ভাইজান, দোয়া করবেন, দুশ্চিন্তা যেন দূরে থাকে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

নিভু প্রদীপ বলেছেন: বাই হাসায়েন না, হযরত আলি রঃ থেকে, ,,আবু হানিফা কেম্বা লেখে। ইতিহাস কি জানা আছে না পুরাই চাপা।
আর ভাই ইসলামে আপনে মনে করা দিয়া কিছুই আসে যায় না। যা লেখে পড়া শুনা কইরা লেখে ন

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি কি খারেজি সম্প্রদায়ের লোক?

১৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

নিভু প্রদীপ বলেছেন: আপনি কি কিয়াসের যোগ্যতা রাহেন।ভাল আমার আনেক টি মাসআলা কিয়াস করা লাগবো যোগাযোগ কইরেন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি যদি খারেজী সম্প্রদায়ের লোক হন তবে আমার মাসয়ালা আপনার কোন কাজে লাগবে না।

১৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৩

নিভু প্রদীপ বলেছেন: না ভাই আমি খাস হানাফি।দেওবন্দি আকিদার।আপনি কি আলেম, ,,না তথ্য গুলো সব ঝড়ে বগ মারছেন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার কি তাই মনে হয়? না সংকীর্ণতা ছাড়তে পারছেন না। আচ্ছা গিরিশ চন্দ্র কি এলেম ছাড়াই ক্বোরআনের অনুবাদ করে ছিল?

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চিন্তা ও চেতনায় আপনি এখনো পাঁচ হাজার বছর পেছনে আছেন।

২০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুপ্রিয় ফরিদ ভাই আপনার স্বরনাপন্য হয়েছি বিশেষ একটি অনুরোধ নিয়ে । বিষয়টা একটু খোলাসা করে বলি তাহলে বুঝতে পারবেন ।

গত শুক্রবারে আমাদের স্থানীয় জুমার নামাজের খুদবার সময় আরবীয় ইমাম বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড: ইমাদা সহিহ মুসলিম হাদিসের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন যে ১৪০০ বছর আগে নবি করিম ( সাল্লালাহু আলাই হে ওয়াসাল্লাম ) বলেছেন আকাশে বিদ্যুত চমক আসে এবং তা চোখের পলকে আবার ফিরে যায় । আমি আমার উত্তরের যাত্রা ১ম পর্বে মেরু জ্যোতি দর্শন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি যে কিভাবে সুর্যের মেগনেটিভ ওয়েব সৌর ঝরের আকারে পৃথিবীর মেগনেটিক ওয়েবের সংস্পর্শে এসে ইনটারেকশন করে মেরুজ্যোতির সৃস্টি করে এবং তা পৃথিবীকে অতিক্রম করে যাওয়ার পথে পৃথিবীর মেগনেটিক ওয়েবের টানে আবার ফিরে এসে মেরু জ্যোতিতে নাচানাচির সৃস্টি করে ।

বিষয়টি নিয়ে অদ্য জুমার নামাজের পরে হজুরের সাথে মসজিদে বসে আলোচনা হয়েছে, , আলোচনায় আরব দেশ সহ আমাদের অনেকেই অংশ নিয়েছেন । তাদেরকে মেরু জ্যোতি সৃস্ট রহস্য অমার সাথে থাকা লেপটপে দেখিয়েছি । তাঁরা আল্লার এই অপুর্ব সুস্টি দেখে বিস্ময়াভুত হয়েছেন । আমি আকাশের বিদ্যুত চমকের আসা যাওয়ার ছবির সাথে নবিজীর কথার বিবরণ ও এর সাথে অরোরা লাইটিংএর আসা যাওয়ার এক পৃষ্টা ছবি দেখিয়েছি । তাঁরা বলেছেন এই দৃশ্য ও বিবরণ তারা মসজিদের নোটিশ বোর্ডে টানাবেন । তাঁরা আমার বাংলা পোষ্টের পুরাটা ইংরেজীতে করে দিতে বলছেন এর বহুল প্রচারের জন্য । সকলের এক কথা এটা আমাদের নবিজীর বিজ্ঞতা ও জ্ঞানের মাত্রা জানার জন্য অনেকের কাছে উপকারী হবে ।

নীচে আপনি আমার ইংলিশ ভারসনটা র এক পৃষ্টা দেখেন , এটা দেখার পর আমার সমস্যাটা বুঝতে পারবেন ।
The Prophetic Hadith about the straight way in Day of Resurrection is considered to be one of the scientific miracles in the prophetic Sunnah. In this Hadith the prophet says don't you see that the lightning comes and back in an eye blink [Narrated by Muslim] .there is complete identification between our prophet Mohamed (Peace be upon him) saying and the most recent discovery concerning the lightning flash as scientists had found that the lightning flash happens when a ray of lightning get out of the cloud toward the ground and back again to the cloud! In that Hadith a sign that prophet Mohamed (Peace be upon him) talked very carefully about phases of the lightning, and also he determined the time as it is the time of an eye blink!

Scientists had found that lightning has many phases and the most important phases are going down phase and going back phase. Time of the lightning flash is 25 Fraction of a second and this is the same as time of eye blink, isn't this the same as what prophet Mohamed said 1400 years ago।

Likewise, Aurora the northern light in the sky over the north pole and southern light over the south pole are created once solar storm interacts the magnetic wave of the earth and after crossing the earth, the magnetic wave containing solar storm come back to the earth and interacts with the magnetic wave of the earth and cause aura to happen . This is somewhat similar to the lightening come and back as described above, substantiating what prophet said 1400 years ago ।


আমার সমস্যা হলো এখানে মুসলিম সহিহ হাদিছের কথা উল্লৈখ আছে, কিন্তু এটা কোন খন্ডের বা ভলিউমের কত নম্বর হাদিস তার উল্লেখ নেই । হুজুরকে জিজ্ঞাসা করিনাই এই ভয়ে যে তিনি বিব্রত হতে পারেন । আমার কাছে সহিহ মুসলিম হাদিসের সকল খন্ডই অনলাইনে ডাউনলোড করা আছে । কিন্তু এত বিশাল পুস্তক রাশী হতে এর সঠিক হাদিছ নম্বরটি খুঁজে বের করা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

আপনার অনেক ইসলাম বিষয়ক লিখা আমি পড়েছি । মনে বদ্ধমুল ধারণা কোরান ও হাদিস সম্পর্কে আপনার জানার পরিধি অনেক ও বিচরণ আছে অনেক ইসলামী জ্ঞানী গুণীদের সাথে । তাই যদি সম্ভব হয় তাহলে সহি মুসলিম কিংবা বোখারী শরীফ হতে এই হাদিসটির যদি কোন সঠিক সুত্র নম্বর জানাতে পারেন তাহলে অনেক উপকার হবে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল, আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি যে হাদীস খানির কথা বলেছেন এটি আমার নজরে আসেনি। কামিল হাদীস পড়ার সময় আমরা মূলত বিধি-বিধান সংক্রান্ত হাদীস নিয়েই পড়ে ছিলাম। আপনি যে হাদীসের কথা বলছেন সেটি কখনোও পড়লেও কখন পড়েছি সেইটাই মনে পড়েনা। এবার বিষয়টা আপনাকে কিভাবে বলি? হুজুরও বলতে পারেন কিনা কে জানে? সমস্যা ঐ একটাই তা’ হলো বিশালত্ব। আমি আগে নাস্তিকদের সাথে নিয়মিত লড়াই করতাম। তো একটা বিষয়তো আমি বল্লাম, আর তা’ হলো বহু বিবাহ ক্বোরআন সাপোর্ট না করা। আমি বলেছি এটা জায়েজ, সুন্নত নয়। তো নাস্তিক আমার সাথে রেফারেন্স নিয়ে বাদানুবাদ শুরু করে। শেষে চিরুনি অভিযান চালিয়ে রেফারেন্স বার করে তাকে দেওয়ার পর সে ঠান্ডা হয়। ব্যাপারটা এমন আমরা হাদীস বা ক্বোরআনের আয়াত ঠিক জানি তবে রেফারেন্স জানিনা। আপনার এ ক্ষেত্রে ইমামের সেই দশাকিনা কে জানে?

২১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ফরিদ ভাই, আপনি আমার জন্য কষ্ট করেছেন । হুজুর হাদিসটি জানেন বলেই সুন্দর করে বলেছেন , কিন্তু রেফারেন্স নম্বর সব সময় মনে রাখা সত্যিই কষ্টকর । কিন্তু লিখায় এটা ব্যবহার করতে হলে সঠিক রেফারেন্স লাগবে বলেই আমাকে এটা হন্যে হয়ে খুঁজতে হয়েছে ।

মাগরিব নামাজান্তে সহিহ মুসলিম হাদিস শরীফ নিয়ে বসে সারা রাত জেগে এই কিছুক্ষন আগে আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে এই মুল্যবান হাদিসটি খুঁজে পেয়েছি শহিহ মুসলিমের দি বুক অফ ফেইথ -১ এর চ্যাপটার ৮৪ তে ৩৯০ নং হাদিসে এটাকে পেয়েছি । নীচে বোল্ড করা অংশে দয়া করে দেখতে পারেন । আপনাকে আর কষ্ট করে হাদিসটিকে খুঁজতে হবেনা ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল

1
The Book of Faith

(84)
Chapter: The Status of the Lowest people in paradise

It is narrated on the authority of Abu Huraira and Hudhaifa that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
Allah, the Blessed and Exalted, would gather people. The believers would stand till the Paradise would be brought near them. They would come to Adam and say: O our father, open for us the Paradise. He would say: What turned ye out from the Paradise was the sin of your father Adam. I am not in a position to do that; better go to my son Ibrahim, the Friend of Allah. He (the Holy Prophet) said: He (Ibrahim) would say: I am not in a position to do that. Verily I had been the Friend (of Allah) from beyond, beyond; you better approach Moses (peace be upon him) with whom Allah conversed. They would come to Moses (peace be upon him), but he would say: I am not in a position to do that; you better go to Jesus, the Word of Allah and His Spirit. Jesus (peace be upon him) would say: I am not in a position to do that. So they would come to Muhammad (ﷺ). He would then be permitted (to open the door of Paradise). Trustworthiness and kinship would be despatched, and these would stand on the right and left of the Path and the first of you would pass with (the swiftness) of lightning. He (the narrator) said: I said, O thou who art far dearer to me than my father and my mother I which thing is like the passing of lightning? He said: Have you not seen lightning, how it passes and then comes back within the twinkling of an eye? Then (they would pass) like the passing of the wind, then like the passing of a bird, and the hastening of persons would be according to their deeds, and your Apostle would be standing on the Path saying: Save, O my Lord, save. (The people would go on passing) till the deeds of the servants would be failing in strength, till a man would come who would find it hard to go along (that Path) but crawlingly. He (the narrator) said: And on the sides of the Path hooks would be suspended ready to catch anyone whom these would be required (to catch). There would be those who would somehow or other succeed in trasversing that Path and some would be piled up in Hell. By Him in Whose Hand is the life of Abu Huraira it would take one seventy years to fathom the depth of Hell.


Reference : Sahih Muslim
In-book reference : Book 1, Hadith 390

كتاب الإيمان
(84)
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفِ بْنِ خَلِيفَةَ الْبَجَلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا
أَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبُو مَالِكٍ عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَجْمَعُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى النَّاسَ فَيَقُومُ الْمُؤْمِنُونَ حَتَّى تُزْلَفَ لَهُمُ الْجَنَّةُ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ يَا أَبَانَا اسْتَفْتِحْ لَنَا الْجَنَّةَ ‏.‏ فَيَقُولُ وَهَلْ أَخْرَجَكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ إِلاَّ خَطِيئَةُ أَبِيكُمْ آدَمَ لَسْتُ بِصَاحِبِ ذَلِكَ اذْهَبُوا إِلَى ابْنِي إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ اللَّهِ - قَالَ - فَيَقُولُ إِبْرَاهِيمُ لَسْتُ بِصَاحِبِ ذَلِكَ إِنَّمَا كُنْتُ خَلِيلاً مِنْ وَرَاءَ وَرَاءَ اعْمِدُوا إِلَى مُوسَى صلى الله عليه وسلم الَّذِي كَلَّمَهُ اللَّهُ تَكْلِيمًا ‏.‏ فَيَأْتُونَ مُوسَى صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُ لَسْتُ بِصَاحِبِ ذَلِكَ اذْهَبُوا إِلَى عِيسَى كَلِمَةِ اللَّهِ وَرُوحِهِ ‏.‏ فَيَقُولُ عِيسَى صلى الله عليه وسلم لَسْتُ بِصَاحِبِ ذَلِكَ ‏.‏ فَيَأْتُونَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَيَقُومُ فَيُؤْذَنُ لَهُ وَتُرْسَلُ الأَمَانَةُ وَالرَّحِمُ فَتَقُومَانِ جَنَبَتَىِ الصِّرَاطِ يَمِينًا وَشِمَالاً فَيَمُرُّ أَوَّلُكُمْ كَالْبَرْقِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي أَىُّ شَىْءٍ كَمَرِّ الْبَرْقِ قَالَ ‏"‏ أَلَمْ تَرَوْا إِلَى الْبَرْقِ كَيْفَ يَمُرُّ وَيَرْجِعُ فِي طَرْفَةِ يْنٍ ثُمَّ كَمَرِّ الرِّيحِ ثُمَّ كَمَرِّ الطَّيْرِ وَشَدِّ الرِّجَالِ تَجْرِي بِهِمْ أَعْمَالُهُمْ وَنَبِيُّكُمْ قَائِمٌ عَلَى الصِّرَاطِ يَقُولُ رَبِّ سَلِّمْ سَلِّمْ حَتَّى تَعْجِزَ أَعْمَالُ الْعِبَادِ حَتَّى يَجِيءَ الرَّجُلُ فَلاَ يَسْتَطِيعُ السَّيْرَ إِلاَّ زَحْفًا - قَالَ - وَفِي حَافَتَىِ الصِّرَاطِ كَلاَلِيبُ مُعَلَّقَةٌ مَأْمُورَةٌ بِأَخْذِ مَنْ أُمِرَتْ بِهِ فَمَخْدُوشٌ نَاجٍ وَمَكْدُوسٌ فِي النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ وَالَّذِي نَفْسُ أَبِي هُرَيْرَةَ بِيَدِهِ إِنَّ قَعْرَ جَهَنَّمَ لَسَبْعُونَ خَرِيفًا ‏.‏

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.