নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের বিধি-বিধান

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩২



ঘটনা এমন নয় যে পঞ্চাশ/একশ বছর ইবাদত বন্ধ ছিল। বরং মুসলমানরা দৈনিক পাঁচবার জামাতে নামাজ আদায় করে। সুতরাং চলমান ইবাদত কেউ লিপিবদ্ধ করলে তা’ ভুল হবার কথা নয়। আর ভুল লিপিবদ্ধ করলে তা’ কেউ গ্রহণ করার কথা নয়। কারণ ইবাদত চলমান। এমন নয় যে বন্ধ থাকা ইবাদত চালু করা হয়েছে। সে জন্য দুই তৃতীয়াংশের বেশী মুসলমান (হানাফী) যেভাবে ইবাদত করছে তাতে নানা সংশোধনী উপস্থাপন করেও কোন কাজ হচ্ছেনা।
চলমান ইবাদত প্রথম লিপিবদ্ধ করেছেন ইমাম আবু হানিফা (রঃ)। আব্বাসীয় খেলাফতের প্রধানকাজী বা চিপ জাস্টিস ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ) নেতৃত্বে গঠিত চল্লিশজন বিজ্ঞ আলেমের কমিটি ইমাম আবু হানিফা লিখিত ইবাদতের নিয়মাবলীর প্রুভ দেখে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে জনগনের ব্যাবহারের জন্য প্রচার করে।
এরপর ইসলামের বিধি-বিধানে কিছু সংশোধনী উপস্থাপন করেছেন ইমাম মালেক (রঃ)কিন্তু তা’ অল্প কিছু লোক গ্রহণ করে।
এরপর ইসলামী বিধি-বিধানে কিছু সংশোধনী উপস্থাপন করেছেন ইমাম শাফেঈ (রঃ) কিন্তু তা’ কিছু সংখ্যক লোক গ্রহণ করে।
এরপর ইসলামের বিধি-বিধানে কিছু সংশোধনী উপস্থাপন করেছেন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(রঃ)কিন্তু তা’ অল্প কিছু লোক গ্রহণ করে।
একই দলের সংশোধনী বিধায় এ চার দলের সবাই সবাইকে সঠিক মনে করে। পার্থক্য এটুকু যে এদের কেউ সংশোধনী গ্রহণ করেছে কেউ গ্রহণ করেনি। তবে মূল দল হানাফীর অনুসারী এখনো দুই তৃতীয়াংশের বেশী মুসলমান।
কিছুকাল আগে আহলে হাদীস নামে এক ফেতনার উদ্ভব হলো, তারা বলছে ইমামদের উপস্থাপিত এসব বিধি বিধান মানা যাবেনা বরং বহু পরে লিখিত হাদীসের কিতাবের অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু সমস্যা হলো হাদীসের কিতাবে চলমান ও রহিত বা মানসুখ বিধি অসনাক্ত অবস্থায় রয়েছে। এখন এটা যে ভাবে আছে সেভাবে মানতে গেলে বিভ্রান্তি সুনিশ্চিত। আর মুসলমানদের ইবাদত নষ্ট করতেই ইবলিশ শয়তান এ মতের উদ্ভব ঘটিয়েছে, যার অন্যতম মুখপাত্র ডাঃ জাকির নায়েক।
হাদীস দুই রকম হওয়ার কারন, বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি দল মহানবীর (সঃ) নিকট মুসলমান হয়ে ইবাদতের নিয়ম জেনে এলাকায় চলে গেছেন। এরমধ্যে মহানবী (সঃ) ইবাদতে পরিবর্তন করেছেন যা দূর এলাকার সাহাবায়ে কেরাম জানতেন না। সুতরাং মহানবীর (সঃ) জীবদ্দশায় ইবাদত কয়েক রকম হলো। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ইবাদতের সেইধারা গ্রহণ করেছেন যা মহানবী (সঃ) থেকে হজরত আলীর (রাঃ)মাধ্যমে কূফায় এসেছে। একাজে তিনি সত্তর হাজার ছহী হাদীস ব্যবহার করেছেন।
সময় যত গড়িয়েছে তত হাদীসের ছহী রাবীর ইন্তেকাল হয়েছে। তাদের হাদীসের যারা রাবী হয়েছে তারা ছহী না হওয়ায় সেই সব হাদীস ছহী তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। অবশেষে সত্তর হাজার ছহী হাদীস হয়েগেল দশ হাজার। আহমদ ইবনে হাম্বলের সময় এ সংখ্যাছিল ত্রিশ হাজার।
এখন কেউ দশহাজার হাদীস মেনে আহলে হাদীস হলেতো তার ষাট হাজার হাদীস অমান্য করা হবে। তবে সে কেমন কি আহলে হাদীস হবে?
এখন আহলে হাদীস মানলে হাদীস মানা হয় দশহাজার(আনুঃ), যাতে আবার মানসুখ হাদীসের মিশ্রণ রয়েছে। হাম্বলী মানলে হাদীস মানা হয় ত্রিশ হাজার(আনুঃ), যাতে আবার মানসুখ হাদীসের মিশ্রণ রয়েছে। শাফেঈ মানলে হাদীস মানা হয় পঞ্চাশ হাজার(আনুঃ), যাতে আবার মানসুখ হাদীসের মিশ্রণ রয়েছে। মালেকী মানলে হাদীস মানা হয় ষাট হাজার(আনুঃ), যাতে আবার মানসুখ হাদীসের মিশ্রণ রয়েছে। সৌদি শেখ ও ওহাবীরা হাম্বলী ও আহলে হাদীস মানে কম হাদীস মেনে সারার জন্য। আর যে সব হাদীস, হাদীসের কিতাবে উঠেনাই সেসব হাদীসকে যয়ীফ আখ্যা দিয়ে ওহাবী আহলে হাদীসরা তারা ছাড়া আর সবাইকে বিদাতী ও মুশরিক আখ্যা দিয়ে ফেতনা-ফাসাদের বিস্তার ঘটাচ্ছে।
এখন আপনারাই বলুন মুখে মুখে চলমান হাদীসের সবগুলো তিনশত বছর পর পাওয়াকী আদৌ সম্ভব? আহলে হাদীসরা বলছে আল্লাহ হাদীসের হেফাজত করেছেন। কথা ঠিক, আর তা’তিনি হেফাজত করেছেন ইমাম আবু হানিফার(রঃ) মাসয়ালায়। তিনি হাদীস হেফাজতের জন্য তিনশত বছর অপেক্ষা করবেন কোন কারনে? সুতরাং প্রথম জন যিনি হাদীস ব্যবহার করেছেন তাঁর মাধ্যমেই আল্লাহ হাদীস হেফাজত করেছেন। প্রমাণ, হুয়াল আউয়াল-তিনি প্রথম। সুতরাং তিনি শুরুতেই কাজ সারবেন, পরের জন্য কাজ ফেলে রাখবেন না, এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং হানাফীরা যে পথে রয়েছে সে পথই ইসলামের বিশুদ্ধ পথ যা মহানবী (সঃ) থেকে এ পর্যন্ত এসেছে। তবে হানাফীরা শাফেঈ, মালেকী ও হাম্বলীদেরকেও সঠিক মনে করে। কারণ মহানবীর জীবদ্দশায় কয়েক রকম ইবাদত একসাথে সঠিক হতে পারে তবে এটাও সঠিক হওয়ার কথা। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে অবিচল রাখুন, আমিন।


মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

হাফসা আক্তার৯৫ বলেছেন: সহমত

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: সহমত এবং অসাধারণ বিশ্লেষন। অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: খুব ভাল ব্যাপার। ভুল ঠিক এর চেয়ে খোভটা মনে হয় জাকির নায়েকের উপর বেশী । যে ইমাম আবু হানিফার মতামত আপনি ব্যক্তি আক্রমনাক্ত ভাবে প্রচার করছেন, জাকির যদি ভুল ও হয়ে থাকে, ইমান আবু হানিফা বেচে থাকলে হয়তো এটা করতো না।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: জাকির নায়েকের উপর ক্ষোভের কারণ হলো, তার দল আহলে হাদীস আমাদেরকে বিদয়াতী ও মুশরিক বলে, এমন জঘন্য কথা বল্লে সেই মতের মুখপাত্রের উপর ক্ষুব্ধ না হওয়ার কি কারণ খাকতে পারে? আবু হানিফা (রঃ) যেমন ত্যাজি লোক ছিলেন তাতে আমার মনে হয় তিনি আমার চেয়ে একশগুন বেশী ক্ষোভ প্রকাশ করতেন। আর সেই কালের আলেমদের প্রতিরোধের মুখেই মুতাজিলা মতবাদ আজ বিলুপ্ত। খলিফা মামুন পর্যন্ত মুতাজিলা মতের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাফসিরে কাশশাফ এর তাফসির কারক আল্লামা জারুল্লা জামাখশারী সে মতের মুখপাত্র ছিলেন। আমরা এখনো তাফসিরে কাশশাফ পড়ে মাওলানা হই। তবে জামাখশারীকে মানিনা। এখনো যদি আহলে হাদীস নামক ফিতনাকে প্রতিরোধ করা না হয় তবে ইসলামের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। জাকির নায়েক যেহেতু ফিতনা দলের লোক কাজেই তাকে ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে অবিচল রাখুন, আমিন।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

আলিদুজ্জামান বিশ্বাস বলেছেন: বহুদিনের জমানো অনেক প্রশ্নের উত্তর পেলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। বিশ্লেষণটা অনেক সুন্দর লেগেছে।আমিন পরিশেষে।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

মুহাঃ আমিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর বিস্লেশন। বুঝমান ব্যক্তিদের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট আর যারা ঝগড়া করতে পছন্দ করে তাদের থেকে দুরে থাকাই ভাল।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ দেখান আমিন

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে অবিচল রাখুন, আমিন।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

মিঃ আতিক বলেছেন: এক কথায় অসাধারন বিশ্লেষণ।জাকির নায়ক নতুন ফেতনা। যারা ওকে ইসলাম প্রচারক মনে করে তারা সত্যিকার অর্থে ইসলাম সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে শুধু ইসলামের প্রতি ভালবাসার স্বার্থ থেকেই ভক্তি করে আর এর সাথে যুক্ত হয়েছে সৌদিআরবের কিছু ওয়াহাবি দালাল যারা বর্তমানে আমাদের টিভি চ্যানেল গুলতে ইসলামী অনুষ্ঠানের নামে ওয়াহাবি আকিদা প্রচারে ব্যাস্ত।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৩১

তুহেল আহমেদ বলেছেন: জাকির নায়েককে যারা ভালো জানে, ওরা যুক্তি বুঝে, সৃষ্টির ধারা বুঝে।

অন্ধবিশ্বাসীরাই জাকির নায়েককে ভ্রান্ত বলতে পারে, আর কেউ না। কিন্তু, সয়ং কুরআন আল হাকীমেও অসংখ্যবার বলা হয়েছে, কুরআন একটা বিজ্ঞান গ্রন্থ, গবেষণা গ্রন্থ। বার বার বলা হয়েছে, এটা নিয়ে ভাবতে। কিন্তু আমরা? ইয়ারলি কুরআন পাঠকেই ইসলাম মনে করি। কিন্তু আসলে তা না। কুরআন হলো একটা সম্পূর্ণ জীবন বিধান। এ কমপ্লিট রুল বুক অভ লাইফ।
একটা বাচ্চার জন্মের পূর্বের স্বামী-স্ত্রীর বৈধ ভালোবাসা থেকে মায়ের গর্ভ, বাচ্চার প্রথম গোসল, বেড়ে ওঠা থেকে শেষ গোসল অবদি, যত যত ব্যাপার আসে, প্রতিটি ব্যাপারের সমাধানই আছে এতে।
আর এইসব সমাধান নেয়ার নামই হলো ইসলাম। আর চলার পথে অনেক কিছু চোখে আসে, সামনে আসে, যেগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে যায়। সে সময়ে এই জিনিসটাকে ইসলামের কথা ভেবে পরিহার করাটাকেই বলা হয় ইসলামীত্ত।

আমাদের সমস্যা কী জানেন? আমাদের মানে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের। একটা উদাহরণ দিই।

আমাদের কেউ একজন ধরেন রাস্তায় হাঁটার সময় একটা আরবী লেখা কাগজ পায়, তাহলে সে এটাকে হাতে নিয়ে চুমু খেয়ে পকেটে রেখে দেয়। অথচ সে আদৌ জানে না এখানে কি লেখা আছে। এখানে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধের ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারি, তবুও। আরবী নিছক একতা ভাষা বৈ কিছু নয়। আরব দেশের নগ্নতার গল্পগুলোও কিন্তু আরবীতে লেখা হয়, এখন আপনি সেসবের পড়ে থাকা কিছু পেলেই কী একই কাজ করবেন?

আমাদের নবী(সঃ) বলেছেন, 'একটা রাত্রে সমস্ত কুরআন তেলাওয়াত থেকে উত্তম হলো অন্তত তিনটি আয়াত বুঝে পরা।'
অন্তর্নিহিত অর্থ নিয়ে পরা।

আর এটাই হলো, জাকির নায়েকের দাওয়াতের মূল ভিত্তি। আপনি জানুন, জানতে থাকুন। মৃত্যু অবদি।

এই জাকির নায়েকই এই বয়েসে এসেও একটা দিনের কতটা ঘন্তা আর মিনিট কুরআন নিয়ে গবেষণায় কাটায় আপনি জানেন?

সে মানুষ্টা নিয়ে আপনি এসে প্রশ্ন তুলেন, তাই না?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অন্ধবিশ্বাসীরাই জাকির নায়েককে ভ্রান্ত বলতে পারে, আর কেউ না। কথাটা উল্টালে হয় অন্ধবিশ্বসীরাই জাকির নায়েককে সঠিক বলতে পারে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু সমস্যা হলো তিনি আহলে হাদীস নামক একটা বাতিলপন্থি গ্রুপের মুখপাত্র। আমাদের দেশের শতকরা নিরানব্বই জন মুসলীম
সে বাতিল পন্থিদের বিরোধী। কাজেই আমাদের নিকট জাকিরের কানাকড়ি মূল্য নেই।

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:১৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ইমাম আবু হানিফা কখনো নিজের মুখ থেকে নিস্কত বাণী লিখে রাখা পছন্দ করতেন না যতক্ষন তার সম সাময়িক অন্যন্য আলেমগন তার সাথে একমত হতেন।তিনি নিজে বলে গেছেন তার মতামত যদি কুরআন সুন্নাহ এর বিপক্ষে যায় তাহলে তা যেন গ্রহন করা না হয়। চারজন বড় ইমাম একথা বলে গেছেন। এখন ইমাম আবু হানিফা একজন বিজ্ঞ আলেম। তিনি যানেন তিনি মানুষ, ভুল তার হতে পারে, তাই একটা স্পেস দিয়ে গেছেন। এখন আপনি তার অনুসারী হয়ে, যেভাবে বলছেন তিনি ই ঠিক অন্যসব বেঠিক তা কি করে? আপনি এমনসব কথা বলছেন যেন ইমাম আবু হানিফা ভুল হতেই পারে না। যারমত তিনি নিজেয় বলেছেন ভুল আমার হতে পাড়ে, আপনি অনুসারী হয়ে কিভাবে তা ঠিক বলেন?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চলমান ইবাদত প্রথম লিপিবদ্ধ করেছেন ইমাম আবু হানিফা (রঃ)। আব্বাসীয় খেলাফতের প্রধানকাজী বা চিপ জাস্টিস ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ) নেতৃত্বে গঠিত চল্লিশজন বিজ্ঞ আলেমের কমিটি ইমাম আবু হানিফা লিখিত ইবাদতের নিয়মাবলীর প্রুভ দেখে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে জনগনের ব্যাবহারের জন্য প্রচার করে। ---পোষ্টের এ অংশের প্রতি বোধ হয় আপনার নজর পড়েনি।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যারমত তিনি নিজেয় বলেছেন ভুল আমার হতে পাড়ে, আপনি অনুসারী হয়ে কিভাবে তা ঠিক বলেন? তিনিতো বিনয় বশত বলতেই পারেন তাঁর মত ভুল হতে পারে। কিস্তু যেহেতু আমি অনুসারী তাই আমার গরজে আমি চেক করে দেখেছি তাঁর মত ঠিক আছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তিনি নিজে বলে গেছেন তার মতামত যদি কুরআন সুন্নাহ এর বিপক্ষে যায় তাহলে তা যেন গ্রহন করা না হয়। তাঁর মত ক্বোরআন ছুন্নার বিপক্ষে যায়নি।

১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:২৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আর ডা: জাকির সম্পকে বলতে গেলে, ওনার ৭০ ভাগ লেকচার অন্য নন ইসলামীদের দাওয়া দেওয়া বিষয়ে। মাজহাব এর ব্যপারে ওনার কিছু লেকচার আছে। যার পুরোটা আমি শুনেছি। কোন ইমাম কে আঘাত করে ওনি কোন কথা বলেন নী। কোন মাজহাব সম্পকে কটুক্তি করে নী। আসলে আমদের সমস্যা আমরা পান থেকে চুন খসলে কাউকে ছাড়ি না। আমাদের দেশে একদল মানুষ উদ্দেশ প্রনোদিত ভাবে তার বিরুদ্ধ অপপ্রচার চালাচ্ছে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দালুটার জন্য। এদেরকে নাকি আওয়ামী ওলামালীগ বলে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তিনি আহলে হাদীসের দায়ী। ইসলামের দায়ী নন। তিনি আহলে হাদীসের লোক। আমাদের নন।

১৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫১

মুহাঃ আমিরুল ইসলাম বলেছেন: অন্ধবিশ্বাসীরাই জাকির নায়েককে ভ্রান্ত বলতে পারে!!!!
আপনি কতটুকু চাক্ষুশ জ্ঞান নিয়ে জাকির নায়েককে বিশ্বাস করেন ? আসল কথা হল, আমরা অনেকেই জাকির নায়েকের অন্ধ ভক্ত, কারন ইসলামী জ্ঞানের ব্যাপারে আমরা ছিলাম শুন্যের কোটায় কিন্তু তার যুক্তিমাখা কথাগুলো শুনে ধাধায় পড়ে যাই, যারফলে তিনি যাই বলেন সবই সত্যি মনে হয়।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সত্যি মনে হওয়া আর সত্যি হওয়া এক কথা নয়। অনেক সময় মিথ্যাকেও সত্যি মনে হয়।

১৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



//তুহেল আহমেদ বলেছেন: জাকির নায়েককে যারা ভালো জানে, ওরা যুক্তি বুঝে, সৃষ্টির ধারা বুঝে। অন্ধবিশ্বাসীরাই জাকির নায়েককে ভ্রান্ত বলতে পারে, আর কেউ না।//

-তুহেল আহমেদ,
আপনার বিশ্বাস এবং অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা। দয়া করে যদি এ বিষয়ক সাম্প্রতিক সময়ের আরেকটি পোস্ট ঘুরে আসতেন, খুশি হতাম। সেই পোস্টটি এবং সেখানের ডিসকাশনগুলো দেখলে আপনার কাছে ডা: জাকির নায়েক সাহেবের বিষয়টি আশা করি, আরও ক্লিয়ার হবে।
একজন ডাক্তার কিভাবে মাদ্রাসায় না পড়ে আলেম হয়.?

ডা: জাকির নায়েক বিষয়ে বিশ্বের বরেন্য ওলামায়ে কেরাম এবং বিখ্যাত ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে প্রদত্ত বক্তব্যগুলো বই আকারে একটি মলাটে যুক্ত করা হয়েছে। ইচ্ছে করলে নিচের লিঙ্ক থেকে সেটাও দেখে নিতে পারেন। আশা করি ধারনা পরিষ্কার হবে। বিভ্রান্তি বিদূরিত হবে। আল্লাহর কাছে পানাহ চাচ্ছি-
বিখ্যাত দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববরেণ্য উলামা মাশায়েখের দৃষ্টিতে ডাঃ জাকির নায়েকের হাকিকত

সময়ের অভাবে পুরো পোস্ট পড়া হয় নি।
তবু ফরিদ ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন প্রিয় কবি। এক সময় খলিফা মামুনের পিষ্ঠ পোষকতায় মুতাজিলা মত মাথা ঝাড়া দিয়ে উঠেছিল। সকল মুসলীমের প্রতিরোধে আজ সেটি বিলুপ্ত। আহলে হাদীস নামক এ ভ্রান্তমতকেও সবাই মিলে প্রতিরোধ করলে আশাকরি এট্রি বিলুপ্তির খাতায় যেতে বাধ্য হবে - ইনশাআল্লাহ।

১৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ফরিদ ভাই,
অন্ধের কাছে চোখের সমস্যা বলা আর নদীর পানি নদীতে ঢালা একই রকম নিষ্ফল। তবু শেয়ার করা আর কি। জানি, আপনিও তো সমস্যা নিয়েই সামুতে দিনাতিপাত করছেন। আজকে দেখলাম, আমার কোনও পোস্টে আমি কোন মন্তব্য করলে কিংবা কারও মন্তব্যের উত্তর দিলে, কোনটিই প্রথম পাতায় 'সাম্প্রতিক মন্তব্য' কলামে শো করে না।

যাক, যেভাবে আছি শুকরিয়া। আলহামদুলিল্লাহ। সামুকে কৃতজ্ঞতা। অন্তত: লিখতে পারার সুযোগটুকু কেড়ে নেয় নি।

নতুন কয়েকটি লাইন লিখেছিলাম আজ। আপনি যদি দেখে আসেন সময় করে, আনন্দিত হব।

ভাল থাকবেন, ভাই।

১৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



দু:খিত, ভাই। নতুন পোস্টটির লিঙ্কটা না দিয়েই মন্তব্যটা দিয়ে ফেলেছি। আপনার সুবিধার জন্য এখানে আবার দিয়ে দিচ্ছি-
হে রাসূল! সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, প্রিয়তম নবী - হাবিব আমার-

ভাল থাকার প্রত্যয়ে।
মাঅা'চ্ছালাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.