নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ অসীম নিরাকার

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২২



সসীম-অসীম ও আকার-নিরাকার ভেদে বাস্তব ও কল্পনায় যা কিছু আছে তা’ মূলত চার প্রকার (১) সসীম আকার (২) সসীম নিরাকার (৩) অসীম আকার (৪) অসীম নিরাকার।
উক্ত চার প্রকারের তৃতীয়টি অবাস্তব। প্রথম ও দ্বিতীয় প্রকারে আল্লাহ নেই, কারণ এ গুলোর সাদৃশ আছে। আল্লাহ বলেছেন, ‘লাইছা কামিছলিহী সাইয়ুন-কোন কিছু তাঁর মত নয় বা তাাঁর সাদৃশ নেই’। অসীম একাধীক হতে পারেনা। কারণ একাধীক অসীম করতে অসীমে সীমা দিতে হবে। সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকেনা, সসীম হয়ে যায়। একাধীক হওয়া সম্ভব নয় বিধায়, অসীম নিরাকারের সাদৃশ থাকা সম্ভব নয়। সুতরাং আয়াতে কারিমা অনুযায়ী আল্লাহর অসীম নিরাকার হওয়া সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত।
সসীম আকারের সাদৃশ অসংখ্য, যেমন অসংখ্য মানুষ। সসীম নিরাকারের সাদৃশ অসংখ্য যেমন, আমাদের ব্যবহৃত আলো তাপ আগুন বিদ্যুৎ, আধাঁর ইত্যদি । সুতরাং সসীম আকার বা নিরাকার কোনটাই আল্লাহ নন। আকার অসীম হয়না, কারণ আকার হতে হলে এর সীমা থাকতে হয়। সে জন্য অসীম আকার অবাস্তব। সে কারণেই আয়াতে কারিমা অনুযায়ী আল্লাহর অসীম নিরাকার হওয়া সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত।
আল্লাহর আকার সাব্যস্ত করা ক্বোরআন অস্বীকারকারী আক্বীদা বিধায় এটা কুফুরী। আহলে হাদীস, লা-মাযহাবী, গাইরে মুকাল্লীদ, সালাফী, জাকির নায়েক ও পিচ টিভির শাইখদের অনুসারী বৃন্দ উক্ত কুফুরী আক্বীদায় আক্রান্ত!

জ্ঞাতব্যঃ
১। আকার না থাকলেও অস্তিত্ব থাকতে পারে যেমন, তাপ, বল, আলো, আধাঁর, ছায়া ইত্যাদি।
২। নিরাকারে অঙ্গ থাকে যেমন, ছায়া-ছবি। যে পর্দায় ছায়াছবি দেখানো হয় সে পর্দায় হাত দিয়ে পর্দার হাতের সাথে আপনি হ্যান্ড সেইক করতে পারবেন না।
৩। আল্লাহর অঙ্গ নিরাকার তবে কেমন সেটা আল্লাহই ভাল জানেন। সেগুলো কেহ দেখেনি।
৪। আকার না থাকা দেখা যাওয়ার অন্তরায় নয়। কারণ নিরাকার আলো দিব্যি দেখা যায়।

সার সংক্ষেপঃ
সুধুমাত্র অসীম নিরাকারের সাদৃশ কোন ভাবেই সম্ভব নয়। যেহেতু আল্লাহর অনুরূপ বা সাদৃশ নেই, সুতরাং তিনি অসীম নিরাকার। এরপর কে কি বল্লেন, সেটা বিবেচ্য নয়, কারণ অনেকের নামেই অনেক মিথ্যাবাদী অনেক মিথ্যা কথা প্রচার করেছে। কাজেই আল্লাহর বানীর সাথে সংগতীপূর্ণ নয় এমন কথা ভুল ও মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

হামদ

কত বড় প্রভু তুমি, কত মহিয়ান
কেউ নাই প্রভু কেউ নাই প্রভু
তোমারী সমান।

দৃষ্টি মেলে তাকাই যে দিক
সুধুই তোমার দান
সর্ব ব্যাপ্ত সুধু সে দান
কত অফুরান।

আমি নত সকল সময়
তোমার করুণাতে
ভাল-মন্দ আছে জানি
সুধুই তোমার হাতে।

তোমায় পেয়ে ধন্য এ মন
তোমায় প্রয়োজন
তোমর খুশির জন্য আমার
সকল আয়োজন।

বিঃদ্রঃ কেউ নাই প্রভু কেউ নাই প্রভু
তোমারী সমান।
আল্লাহ যদি শুধু আরশে বিদ্যমান হন তবে স্থান আল্লাহর থেকে বড় হয়। সে ক্ষেত্রে অস্বীকার করা হয় ‘আল্লাহু আকবার’ নামক আল্লাহর অন্যতম প্রধান একটি গুন। সেই সাথে আল্লাহর অসীমত্ত্বও অস্বীকার করা হয়। শুধুমাত্র হামদের লাইন দু’টি শুদ্ধ হয় আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান হলে, যা আহলে হাদীসরা মানেনা।

মন্তব্য ৯৭ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৯৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

মো সজীব হাসান খাঁন বলেছেন: আল্লাহর নির্দিষ্ট কোন আকার নেই, আল্লাহ অসীম যা এই পোষ্ট এ সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে ,অনেক ভাল লাগল। আশা করি এই পোষ্ট থেকে শিক্ষা নিয়ে আল্লাহ সম্পর্কে আর কেউ ভূল ব্যাখ্যা করবে না।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তথাপি ভুল ব্যখ্যা করতে কেউ কেউ উঠে পড়ে লাগবে।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাইয়া আমার জানা মতে আল্লাহর আকার আছে। আপনি মাত্র একটি আয়াত দিয়ে প্রমান দিলেন।তাও আবার সন্ধেহাতীত ভাবে।
আর কোরানে তো অসংখ্য আয়াত আছে যেটা প্রমান করে আল্লাহর আকার আছে।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক জ্ঞান দান করুন। আমি একটি লেখা শেয়ার করেছিলাম দেখেছিলেন মনে হয়।
আমি সেই লেখাটি আপনার জন্য একটু পরে দিচ্ছি।
ভাল থাকুন।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি একটি আয়াত দিয়ে প্রমাণ দিয়ে বুঝালাম যে বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য একটি আয়াত যথেষ্ট, অধিক দরকার নেই। আপনি যে সব দলিল দিবেন এখন সেগুলো যে আপনার কথা প্রমাণ করেনা সেটা বুঝাতে পারাই যথেষ্ট হবে।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কবি আপনার প্রদত্ত মন্তব্যগুলো পড়ে দেখেছি। কিছু মিথ্যা উপস্থাপনা আছে। তবে এসব প্রমাণ আল্লাহর আকার সাব্যস্ত করেনা। এসব প্রমাণে প্রমাণগুলোকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এসংক্রান্ত অসংখ্য আয়াতে কারিমা আমার নিকট জমা রয়েছে যা আমি পর্যায় ক্রমে উপস্থাপন করব - ইনশাআল্লাহ। দ্বিতীয় পর্বে এ পর্বের মন্তব্যগুলো কাজে লাগবে আশাকরি। তবে আল্লাহ নিরাকার হওয়া বিষয়ে আমি একশ ভাগ নিশ্চিত।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন:
২) আল্লাহ কি নিরাকার?

আল্লাহ তা‘আলার আকার আছে, তিনি নিরাকার নন। নিরাকার অর্থ যা দেখে না, শুনে না। কিন্তু আল্লাহ সবকিছু দেখেন, শোনেন। তিনি এ বিশ্বজাহান ও সমস্ত সৃষ্টির একমাত্র স্রষ্টা, নিয়ন্তা ও পরিচালক। তিনি মানুষকে রিযিক দান করেন, রোগাক্রান্ত করেন ও আরোগ্য দান করেন। সুতরাং তাঁর আকার নেই, একথা স্বীকার করা তাঁর অস্তিত্বকে অস্বীকার করারই নামান্তর।

আল্লাহ শুনেন, দেখেন, উপকার-ক্ষতি, কল্যাণ-অকল্যাণ বিধান করেন। তিনি জীবন-মৃত্যুর মালিক, সকল সমস্যার একমাত্র সমাধানদাতা। সুতরাং মহান আল্লাহ নিরাকার নন; বরং তাঁর আকার আছে।

(১) আল্লাহ বলেন, لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيْعُ البَصِيْرُ. ‘কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (শূরা ৪২/১১)।

(২) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, إِنَّ اللهَ كَانَ سَمِيْعاً بَصِيْراً. ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (নিসা ৪/৫৮)।

(৩) অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘ওটা এজন্য যে, আল্লাহ রাত্রিকে প্রবিষ্ট করেন দিবসের মধ্যে এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করেন রাত্রির মধ্যে এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সম্যক দ্রষ্টা’ (হজ্জ ২২/৬১)।

(৪) ‘হে নবী! তুমি বল, তারা কত কাল ছিল, আল্লাহই তা ভাল জানেন, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই। তিনি কত সুন্দর দ্রষ্টা ও শ্রোতা’ (কাহফ ১৮/২৬)। ইবনু জারীর (রহঃ) বলেন, ‘সমস্ত সৃষ্টজীবকে আল্লাহ তা‘আলা দেখেন ও তাদের সকল কথা শুনেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন থাকে না’।[13]

ক্বাতাদা (রহঃ) বলেন, ‘আল্লাহর থেকে কেউ বেশী দেখেন না ও শুনেন না’।[14] ইবনু যায়েদ (রহঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টজীবের সকল কাজকর্ম দেখেন এবং তাদের সকল কথা শুনেন। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা’।[15]

বাগাবী (রহঃ) বলেন, ‘সমস্ত সৃষ্টজীব যেখানেই থাকুক না কেন আল্লাহ তা‘আলা তাদের দেখেন এবং তাদের সর্বপ্রকার কথা শ্রবণ করেন। তাঁর দেখার ও শুনার বাইরে কোন কিছুই নেই’।[16]

(৫) আল্লাহ তা‘আলা মূসা ও হারূণ (আঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেন, لاَ تَخَافَا إِنَّنِيْ مَعَكُمَا أَسْمَعُ وَأَرَى ‘তোমরা ভয় করো না, আমি তো তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি ও আমি দেখি’ (ত্ব-হা ২০/৪৬)। এখানে আল্লাহ মূসা ও হারূণের সাথে থাকার অর্থ হচ্ছে- তিনি আরশের উপর সমাসীন। আর মূসা ও হারূণ (আঃ)-এর উভয়ের সাথে আল্লাহর সাহায্য রয়েছে এবং তিনি তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করছেন।

(৬) আল্লাহ আরো বলেন, ‘কখনই নয়, অতএব তোমরা উভয়ে আমার নিদর্শন সহ যাও, আমি তো তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শ্রবণকারী’ (শু‘আরা ২৬/১৫)। পূর্বোক্ত ব্যাখ্যাই এখানে প্রযোজ্য।

(৭) আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন বিষয় ও গোপন পরামর্শের খবর রাখি না? অবশ্যই রাখি। আমার ফেরেশতারা তো তাদের নিকট অবস্থান করে সবকিছু লিপিবদ্ধ করেন’ (যুখরুফ ৪৩/৮০)।

(৮) আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! তুমি বলে দাও, তোমরা কাজ করতে থাক, আল্লাহ তো তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করবেন’ (তওবা ৯/১০৫)।

(৯) আল্লাহ বলেন, ‘সে কি অবগত নয় যে, আল্লাহ দেখেন’? (আলাক্ব ৯৬/১৪)।

(১০) আল্লাহ বলেন, ‘যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি (ছালাতের জন্য) দন্ডায়মান হও এবং দেখেন সিজদাকারীদের সাথে তোমার উঠাবসা। তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’ (শু‘আরা ২৬/২১৮-২২০)।

(১১) আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তাদের কথা শ্রবণ করেছেন, যারা বলে যে, আল্লাহ দরিদ্র আর আমরা ধনী। তারা যা বলেছে তা এবং অন্যায়ভাবে তাদের নবীদের হত্যা করার বিষয় আমি লিপিবদ্ধ করব এবং বলব, তোমরা দহন যন্ত্রণা ভোগ কর’ (আলে ইমরান ৩/১৮১)।

(১২) আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ অবশ্যই শুনেছেন সেই নারীর কথা, যে তার স্বামীর বিষয়ে তোমার সাথে বাদানুবাদ করছে এবং আল্লাহর নিকটও ফরিয়াদ করছে। আল্লাহ তোমাদের কথোপকথন শুনেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (মুজাদালাহ ৫৮/১)।

(১৩) আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) ছাহাবাদেরকে বলেছিলেন, فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْعُوْنَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِبًا ، تَدْعُوْنَ سَمِيْعًا بَصِيْرًا قَرِيْبًا. ‘তোমরা বধির কিংবা অনুপস্থিতকে ডাকছ না; বরং তোমরা ডাকছ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা ও নিকটতমকে’।[17]

(১৪) আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,

اِجْتَمَعَ عِنْدَ الْبَيْتِ ثَقَفِيَّانِ وَقُرَشِيٌّ أَوْ قُرَشِيَّانِ وَثَقَفِيٌّ كَثِيْرَةٌ شَحْمُ بُطُوْنِهِمْ قَلِيْلَةٌ فِقْهُ قُلُوْبِهِمْ فَقَالَ أَحَدُهُمْ أَتَرَوْنَ أَنَّ اللهَ يَسْمَعُ مَا نَقُوْلُ قَالَ الْآخَرُ يَسْمَعُ إِنْ جَهَرْنَا وَلاَ يَسْمَعُ إِنْ أَخْفَيْنَا وَقَالَ الْآخَرُ إِنْ كَانَ يَسْمَعُ إِذَا جَهَرْنَا فَإِنَّهُ يَسْمَعُ إِذَا أَخْفَيْنَا فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى : وَمَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُوْنَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ وَلاَ جُلُوْدُكُمْ وَنَجَّيْنَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُوْنَ.

‘একদিন বায়তুল্লাহর নিকট একত্রিত হ’ল দু’জন ছাকাফী ও একজন কুরাইশী অথবা দু’জন কুরাইশী ও একজন ছাকাফী। তাদের পেটে চর্বি ছিল বেশি, কিন্তু তাদের অন্তরে বুঝার ক্ষমতা ছিল কম। তাদের একজন বলল, আমরা যা বলছি আল্লাহ তা শুনেন- এ ব্যাপারে তোমার অভিমত কি? দ্বিতীয়জন বলল, আমরা জোরে বললে শুনেন, কিন্তু চুপি চুপি বললে শুনেন না। তৃতীয়জন বলল, যদি তিনি জোরে বললে শুনেন, তাহ’লে গোপনে বললেও শুনেন। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আয়াত নাযিল করেন, ‘তোমরা কিছু গোপন করতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কর্ণ, চক্ষু এবং ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না- উপরন্তু তোমরা মনে করতে যে, তোমরা যা করতে তার অনেক কিছুই আল্লাহ জানেন না’।[18]

(১৫) আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা’ (হজ্জ ২২/৭৫)।

আবু দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘এ আয়াতটিই হচ্ছে জাহমিয়্যাহ সম্প্রদায়ের বাতিল কথার প্রত্যুত্তর। কেননা জাহমিয়্যাহ সম্প্রদায় আল্লাহর নাম ও গুণবাচক নাম কোনটাই সাব্যস্ত করে না। সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা যে দেখেন-শুনেন এটাও সাব্যস্ত করে না এ ধারণায় যে, সৃষ্টির সাথে আল্লাহর সাদৃশ্য হবে। তাদের এ ধারণা বাতিল। এজন্য যে, তারা আল্লাহকে মূর্তির সাথে সাদৃশ্য করে দিল। কারণ মূর্তি শুনে না এবং দেখেও না (মা‘আরিজুল কবূল, ১/৩০০-৩০৪)।

মু‘তাযিলা সম্প্রদায় বলে, আল্লাহর কর্ণ আছে কিন্তু শুনেন না, চক্ষু আছে কিন্তু দেখেন না। এভাবে তারা আল্লাহর সমস্ত গুণকে অস্বীকার করে। অর্থাৎ কোন গুণ-বৈশিষ্ট্য ছাড়া তারা শুধু নামগুলো সাব্যস্ত করে। প্রকৃতপক্ষে তাদের মতবাদ জাহমিয়্যাদের মতবাদের ন্যায়। তাদের উভয় মতবাদই কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী। পক্ষান্তরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত কোন কিছুর সাথে তুলনা ব্যতিরেকে আল্লাহর ছিফাত সাব্যস্ত করে ঠিক সেভাবেই, যেভাবে কুরআন-হাদীছ সাব্যস্ত করে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (শূরা ৪২/১১)।

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর কোন সাদৃশ্য স্থির করো না’ (নাহল ১৬/৭৪)। আল্লাহ তা‘আলা যে শুনেন, দেখেন, এটা কোন সৃষ্টির শুনা, দেখার সাথে তুলনা করতে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহর দেখা-শুনা তেমন, যেমন তাঁর জন্য শোভা পায়। এ দেখা-শুনা সৃষ্টির দেখা-শুনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়’।[19]

আল্লাহর সাথে সৃষ্টজীবের সাদৃশ্য করা হারাম। কারণ (১) আল্লাহর যাত-ছিফাত তথা আল্লাহ তা‘আলার সত্তা ও গুণ-বৈশিষ্ট্য এবং সৃষ্টজীবের গুণ-বৈশিষ্ট্য এক নয়। প্রত্যেকের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে, সেটা তার জন্যই প্রযোজ্য। আল্লাহ তা‘আলা সর্বদা জীবিত আছেন ও থাকবেন। কিন্তু সৃষ্টিকুলকে মৃত্যুবরণ করতেই হবে। তাহলে কি করে আল্লাহর সাথে সৃষ্টজীবের তুলনা করা যায়?

(২) সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টির সাথে সাদৃশ্য করায় সৃষ্টিকর্তার মান-ইয্যত নষ্ট হয়। ত্রুটিযুক্ত সৃষ্টজীবের সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ মহান আল্লাহকে তুলনা করা হ’লে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ত্রুটিযুক্ত করা হয়।

(৩) স্রষ্টা ও সৃষ্টজীবের নাম-গুণ আছে। কিন্তু উভয়ের প্রকৃতি এক নয়।




[13]. তাফসীরে ত্বাবারী, ১৫/২৩২ পৃঃ।
[14]. তাফসীরে ত্বাবারী ১৫/২৩২ পৃঃ।
[15]. তাফসীরে ত্বাবারী ১৫/২৩২।
[16]. মা‘আলিমুত তানযীল, ৫/১৬৫।
[17]. বুখারী হা/৭৩৮৬ ‘তাওহীদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯।
[18]. হা-মীম সাজদাহ ৪১/২২; বুখারী হা/৭৫২১ ‘তাওহীদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৪১।
[19].মা‘আরিজুল কবূল ১/৩০৪।

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নিরাকার অর্থ যা দেখে না, শুনে না। কিন্তু আল্লাহ সবকিছু দেখেন, শোনেন। নিরাকার দেখে ও শুনে। সেটা বুঝানোর জন্যই আল্লাহ স্বপ্নের ব্যবস্থা করেছেন। আপনি যে স্বপ্নে দেখেন তখন আপনার চোখ তা দেখেনা। সেটা দেখে আপনার অবচেতন মনের চোখ। আর অবচেতন মনের চোখের আকার নেই উহা নিরাকার। আবার স্বপ্নে যা শুনেন উহা আপনার কান শুনেনা। উহা শুনে আপনার অবচেতন মনের কান। যা নিরাকার। সুতরাং দেখা বা শুনার জন্য আকার থাকা জরুরী নয়। আর যেহেতু আল্লাহ কারো সদৃশ নন সেহেতু অন্যরা যে ভাবে শুনে আল্লাহর শুনা সে রকম হবেনা।

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তিনি এ বিশ্বজাহান ও সমস্ত সৃষ্টির একমাত্র স্রষ্টা, নিয়ন্তা ও পরিচালক। সে জন্যই তাঁর আকার নেই। কারণ আকারের বিপরীত নিরাকার। আর স্রষ্টার বিপরীত সৃষ্টি। সুতরাং মানুষের অবস্থান আল্লাহর অবস্থানের সদৃশ নয় বরং বিপরীত। কাজেই আল্লাহ আকার হলে মানুষ নিরাকার হবে। মানুষ কি নিরাকার? যদি না হয় তবে অবশ্যই আল্লাহ নিরাকার তথা অসীম নিরাকার।

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তিনি মানুষকে রিযিক দান করেন, রোগাক্রান্ত করেন ও আরোগ্য দান করেন। আল্লাহ কারো সদৃশ নন বিধায় এসব কাজে অন্যদের আকারের প্রয়োজন হলেও আল্লাহর সে প্রয়োজন নেই। আপনার নিরাকার কম্পিউটার ভাইরাস কত কাজ করে!

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নিরাকার সফট ওয়ারের এত কাজ দেখেও কি আমাদের বুঝে আসবেনা যে কাজ করতে সব ক্ষেত্রে আকার লাগে না। কেন তাপকি আপনাকে গরম করেনা? তাপের কি আকার আছে?

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ শুনেন, দেখেন, উপকার-ক্ষতি, কল্যাণ-অকল্যাণ বিধান করেন। তিনি জীবন-মৃত্যুর মালিক, সকল সমস্যার একমাত্র সমাধানদাতা। সুতরাং মহান আল্লাহ নিরাকার নন এসবের জন্য অন্যদের আকারের প্রয়োজন হলেও আল্লাহর সে প্রয়োজন নেই, কারণ আল্লাহ কারো সাদৃশ নন সেটা তিনি বলেই দিয়েছেন।

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ১) আল্লাহ বলেন, لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيْعُ البَصِيْرُ. ‘কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (শূরা ৪২/১১)। এটি আল্লাহর নিরাকার হওয়ার প্রমাণ যা আমরা উপরে উপস্থাপন করেছি।

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, إِنَّ اللهَ كَانَ سَمِيْعاً بَصِيْراً. ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (নিসা ৪/৫৮)। দেখা ও শুনার জন্য অন্যদের আকারের প্রয়োজন হলেও আল্লাহর সে প্রয়োজন নেই। কারণ তিনি অন্যদের মতো নন।

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার একটি দলিলও আপনার বক্থব্য প্রমাণ করে না। এ বিষয়ে এসব দলিল প্রযোজ্য নয়।

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি পড়লে মনে হয় বুঝবেন। ধন্যবাদ।

“যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান”। (জুমার ১৮)

“আল্লাহ যার বক্ষ ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন, অতঃপর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে। (সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরণের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্যে দূর্ভোগ। তারা সুস্পষ্ঠ গোমরাহীতে রয়েছে। আল্লাহ উত্তম বাণী তথা কিতাব নাযিল করেছেন, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, পূনঃ পূনঃ পঠিত। এতে তাদের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে চামড়ার উপর, যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে, এরপর তাদের চামড়া ও অন্তর আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়। এটাই আল্লাহর পথ নির্দেশ, এর মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই”। (জুমার ২২-২৩)

• “যে ব্যক্তিকে তার পালনকর্তার আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশ দান করা হয়, অতঃপর সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার চেয়ে যালেম আর কে? আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দেব”। (সাজদা ৩২)

সৃষ্টির সেরা মানবজাতির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার শর্ত হল ঈমান গ্রহন করা । আর ঈমান গ্রহনের পূর্বশর্ত হল আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামীনের সঠিক পরিচয় জানা । তাই সৃষ্টির সেরা হিসেবে আমাদের সর্বপ্রথম স্রষ্টা সম্পর্কে জানতে হবে । এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে বলছেনঃ
"সুতরাং জান সেই আল্লাহ্‌কে যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই ।" [সূরা-মুহাম্মদ,আয়াত-১৯]

অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য যে অধিকাংশ মানুষ আল্লাহ্‌ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখে না।
আল্লাহ্‌র সঠিক পরিচয় জানবেন কেন?

• (ক) আল্লাহ্‌ সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদা বর্জনের জন্যে
• (খ) আল্লাহর প্রতি সঠিক আক্বীদা রাখার জন্যে।
• (গ) আল্লাহ্‌র সাথে কাউকে শরীক না করার জন্য।
• (ঘ) ভয়াবহ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য।

আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামীনের প্রতি ভ্রান্ত আক্বীদাহ বাদ না দিলে কঠিন শাস্তি পেতে হবে । আল্লাহ্‌ বলেনঃ
"এবং মুনাফিক পুরুষ মুনাফিক নারী ও মুশরিক পুরুষ মুশরিক নারী যারা আল্লাহ্‌ সম্বধে মন্দ ধারণা রাখে তাদেরকে আল্লাহ্‌ শাস্তি দিবেন।" [সুরা-ফাতহ, আয়াত-৬]

খুবই আশ্চর্য বিষয় অধিকাংশ মুসলিম এর আক্বীদাহ সঠিক না । তারা সঠিকভাবে আল্লাহ্‌কে চেনেন না ।
আল্লাহ সুবাহানাহুয়াতাআলা কোরআনে তাঁর সিফাতে যাত এবং গুনাবলী বর্ণনা করেছেন তাঁর নিজস্ব সত্তার বর্ণনায় হাত,পা, মুখ, দৃষ্টিশক্তি , শ্রবণ শক্তি, তাঁর সন্তুষ্টি ও ক্রোধ-ইত্যাদি উল্লেখ করছেন । রসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্‌র স্বত্তা গুনাবলীর বর্ণনা করেছেন । মুসলিমগণ যে আল্লাহ্‌র ইবাদত করে তাঁর কোন মূর্তি নেই । তাই যেসব মুসলিম সঠিক আক্বীদার খবর রাখে না তারা হিন্দুদের সাকার বা মূর্তিমান দেবতার বিপরীতে নিরাকার আল্লাহ্‌র ধারনা গ্রহন করেছে।

এজন্যই পাক-ভারত উপমহাদেশে প্রায়ই শুনা যায়,
আল্লাহ্‌ নিরাকার এবং সর্বত্র বিরাজমান-এ বিশ্বাস হিন্দু ধর্মের মূল বিশ্বাসঃ ব্রহ্ম একক, অদ্বিতীয় , নির্গুণ ।
তিনি নিরাকার ও সর্বত্র বা সর্বভূতে বিরাজমান ! [স্রীমদ্ভগবত গীতা যথাযথ; কৃষ্ণ কৃপাশ্রীমূর্তি শীল অভয়চরনাবিন্দু ভক্তি বেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ কতৃক সম্পাদিত,অনুবাদঃ শ্রীমদ ভক্তিচারু । ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট , মায়াপুর ।]

• অথচ কোরআন ও সহীহ হাদীস থেকে আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতালার আকার রয়েছে তা প্রমানিত।

কোরআন মাজিদের বিভিন্ন আয়াত ও রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হাদিসে আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতালার চেহারা,হাত,পা,চক্ষু,যাত বা সত্তা, সুরাত বা আকারের উল্লেখ হয়েছে যার অর্থ স্পষ্ট । এর মাধ্যমে আল্লাহ্‌র নির্দিষ্ট আকার আকৃতি আছে বলে পাওয়া যায়। যারা বলে আল্লাহ্‌ নিরাকার তারা মূলত কোরআনের এসব আয়াতকে অস্বীকার করার মত স্পর্ধা প্রদর্শন করে থাকে। কারন যিনি নিরাকার তাঁর এসব কিছু থাকার কথা নয়। আল্লাহতাআলা বলেনঃ
"তারা আল্লাহ্‌র যথার্থ মর্যাদা নিরুপন করতে পারেনি। কিয়ামতের দিন সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের মুঠোতে থাকবে।"[সূরা-যুমার,আয়াত-৬৭]

আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামিন বলেনঃ
(কিয়ামতের দিন) ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে । (হে রাসুল) আপনার মহিমাময় ও মহানুভব রবের চেহারা অর্থাৎ সত্ত্বাই একমাত্র বাকি থাকবে। [আর-রাহমান-২৬-২৭]

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
"হে ইবলিস , তোমাকে কোন জিনিসটি তাকে সেজদা করা থেকে বিরত রাখল যাকে আমি স্বয়ং নিজের হাত দিয়ে বানিয়েছি,তুমি কি এমনি ওদ্ধত্ত প্রকাশ করলে,না তুমি উচ্চমর্যাদা সম্পূর্ণ কেউ" [সূরা-সদ,আয়াত-৭৫]

আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতালা বলেনঃ
"বরং তাঁর দু হাতই প্রসারিত,যেভাবে ইচ্ছা তিনি দান করেন।" [সূরা-সদ-৬৪]

আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতালা আরও বলেনঃ
"বল -অনুগ্রহ আল্লাহ্‌রই হাতে" [সূরা-আলে ইমরান-৭৩]

অথচ আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতাআলা কোরআনে
"সেদিন কোন কোন মুখ খুব উজ্জল হবে । তারাই হবে তাদের প্রতিপালকের দর্শনকারী" [সুরা-আল-কিয়ামাহ, আয়াত-২৩]

আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতাআলা বলেনঃ
"দৃষ্টি শক্তি তাকে প্রত্যক্ষ করতে পারে না বরং তিনিই দৃষ্টি শক্তিকে প্রত্যক্ষ করেন এবং তিনিই দৃষ্টি শক্তিকে প্রত্যক্ষ করেন এবং তিনি সুক্ষদরশি,সম্যকপরিজ্ঞাত ।" [সূরা-আনআম,আয়াত-১০৩]

আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতাআলা বলেনঃ
"আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তাঁর মুখমণ্ডল ব্যতীত সব কিছুই ধ্বংসশীল ।" [সূরা-আল কাসাস, আয়াত-৮৮]

আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতাআলা নবী মূসা(আঃ)কে লক্ষ্য করে বলছেনঃ
"আমি আমার নিকট থেকে তোমার উপর ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম যাতে তুমি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হও।" [সূরা-ত্বহা, আয়াত-৩৯]

এমনিভাবে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে স্বান্তনা দিতে গিয়ে বলেনঃ
"আপনি আপনার রবের নির্দেশের অপেক্ষায় ধৈর্যধারন করুন আপনি আমার চোখের সামনেই রয়েছেন।" [সূরা-আত-তূর, আয়াত-৪৮]

আল্লাহ্‌ বলেনঃ
"নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ শ্রবণ করেন ও দেখেন ।" [সূরা-মুজাদালাহ, আয়াত-১]
আল্লাহ্‌ সুবাহানাহুয়াতালা বলেনঃ
আল্লাহ্‌র সাদৃশ্য কোন বস্তুই নেই এবং তিনি শুনেন ও দেখেন ।" [সূরা-আশ-শুরা, আয়াত-১১]

"কিয়ামতের দিনে আল্লাহর হাঁটুর নিম্নাংশ উন্মোচিত করা হবে এবং সাজদা করার জন্য সকলকে আহবান করা হবে, কিন্তু তারা তা করতে সমর্থ হবে না ।" [সুরা-কালাম,আয়াত-৪২]

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্‌র রসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ

উমর(রাঃ)হতে বর্ণিত, রসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেনঃ
"কিয়ামতের দিন আল্লাহপাক সমস্ত আকাশমণ্ডলীকে ভাঁজ করবেন অতঃপর সেগুলোকে ডান হাতে নিয়ে বলবেন,আমি হচ্ছি শাহানশাহ(মহারাজা)অত্যাচারী আর যালিমরা কোথায় ?অহংকারীরা কোথায় ? [মুসলিম]

রসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেন,
"পাহাড়-পর্বত এবং বৃক্ষরাজি এক আঙ্গুলে থাকবে,তারপর এগুলোকে ঝাঁকুনি দিয়ে তিনি বললেন,আমিই রাজাধিরাজ আমিই আল্লাহ্‌।" [মুসলিম]

অপর এক বর্ণনায় রসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেন-
"আল্লাহ্‌ সমস্ত আকাশমণ্ডলীকে এক আঙ্গুলে রাখবেন,পানি এবং ভু-তলে যা কিছু তা এক আঙ্গুলে রাখবেন।"[বুখারী ও মুসলিম]

আবু সাইয়ীদ আল-খুদরী(রাঃ)বলেন,যে আমি রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছিঃ
আমাদের প্রতিপালক (আল্লাহ্‌) কিয়ামতের দিনে তাঁর হাঁটুর নিম্নাংশ প্রকাশ করে দেবেন, প্রত্যেক মুমিন, মুমিনা তাতে সাজদা করবেন এবং যে ব্যক্তি দুনিয়াতে লোক-দেখান ও সম্মানের জন্য তা করত সে সাজদা করতে গেলে তাঁর পিঠ সমান হয়ে ফিরে আসবে(বা সিজদা করতে সমর্থ হবেনা)। [বুখারী,মুসলিম,তিরমিযী,আহমদ]

এ সকল কোরআনের আয়াত ও হাদীস আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামীন যে নিরাকার নন
তার অকাট্য প্রমান করে বর্ণনা করে । আল্লাহর সিফাতকে তাঁর কোন মাখলুকের সাথে সাদৃশ্য না করে তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে । সর্বপরি নিরাকার কথাটি কোরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত নয় । বরং হিন্দু সংস্কৃতি থেকে আমদানীকৃত বটে । কোন কল্পনার আশ্রয় না নিয়ে কিংবা প্রকৃত স্বরূপ জানতে না চেয়ে এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে ।

• এ প্রসঙ্গে ইবনে কাসীর(রহঃ) বলেছেনঃ
"আল্লাহ্‌ তা'আলা আরশের উপর সমাসীন,
কোন অবস্থা ও সাদৃশ্য স্থাপন ছাড়াই তার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে । কোন জল্পনা কল্পনা করা চলবে না,
যার দ্বারা সাদৃশ্যের চিন্তা মস্তিস্কে এসে যায় ; কারন এটা আল্লাহ্‌র গুনাবলী হতে বহুদুরে। মোটকথা, যা কিছু আল্লাহতাআলা বলেছেন ওটাকে কোন খেয়াল ও সন্দেহ ছাড়াই মেনে নিতে হবে কোন চুল চেরা করা চলবে না । কেননা মহান আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামীন কোন কিছুর সাথে সাদৃশ্য যুক্ত নন । [তাফসীর ইবনে কাসীর]

এ প্রসঙ্গে ইমাম আবু হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ
“ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্‌র যে সমস্ত সিফাত (গুন)বর্ণিত হয়েছে যেমন-আল্লাহ্‌র হাত,পা,চেহারা,নফস ইত্যাদি আমরা তা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি। স্বীকার করি এগুলো হচ্ছে তাঁর সিফাত বা গুণাবলী।
আমরা যেমন কখনও আল্লাহ্‌র সিফাত সম্পর্কে এ প্রশ্ন করিনা বা করবোনা যে,এ সিফাতগুলো (হাত,পা,চেহারা,চোখ ইত্যাদি) কেমন,কিরুপ বা কিভাবে,কেমন অবস্থায় আছে,তেমনি আল্লাহ্‌র সিফাতের কোন নিজস্ব ব্যাখ্যা বা বর্ণনা দিতে যাইনা। কেননা তিনি তা বর্ণনা করেন নাই।
যেমন-আমরা একথা কখনো বলিনা যে,
আল্লাহ্‌র হাত হচ্ছে তাঁর কুদরতি হাত,শক্তিপ্রদ পা বা তাঁর নিয়ামত।
এ ধরনের কোন ব্যাখ্যা দেয়ার অর্থ হল আল্লাহ্‌র প্রকৃত সিফাতকে অকার্যকর করা বা বাতিল করে দেয়া বা অর্থহীন করা । আল্লাহ্‌র হাতকে আমরা হাতই জানবো এর কোন বিশেষণ ব্যবহার করবো না। কুদরতি হাত রূপে বর্ণনা করবোনা । কোন রকম প্রশ্ন করা ছাড়াই যেরূপ কোরআনে বর্ণিত হয়েছে হুবুহু সে রকমই দ্বিধাহীনে বিশ্বাস করি”। [আল ফিকহুল আকবার]

• আবু মুতি আল হাকাম ইবনে আব্দুল্লাহ আল বালাখি বলেনঃ
আমি ইমাম আবু হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ)কে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে কেউ যদি বলে যে, আমি জানিনা আল্লাহ্‌ কোথায় -আসমানে না পৃথিবীতে, তাহলে তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? প্রত্যুত্তরে তিনি বলেছেন-সে কাফের,কেননা আল্লাহ্‌ বলেছেন,
"পরম করুণাময় (রাহমান)আরশের উপর সমাসীন। (সুরা-ত্ব হা-৫)

• আবু মুতি বলেছেন, অতঃপর আমি তাঁকে(ইমাম আবু হানিফাকে)জিজ্ঞেস করেছিলাম যে কেউ যদি বলে যে,আল্লাহ্‌ উপরে অধিষ্ঠিত,কিন্তু আমি জানিনা আরশ কোথায় অবস্থিত আকাশে না পৃথিবীতে তাহলে তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? প্রত্যুত্তরে তিনি বলেছেন- যদি সে ব্যক্তি "আল্লাহ্‌ আকাশের উপরে "এ কথা অস্বীকার করে তা হলে সে কাফের। (শারহুল আকিদাহ আত তাহাওইয়াহ লি ইবনে আবিল ইজ আল হানাফি পৃষ্ঠা নং-২২৮)

• ইমাম মালিক(রাহিমাহুল্লাহ)বলেনঃ
“ "আল্লাহ্‌র হাত"বলতে আল্লাহ্‌র হাতই বুঝতে হবে,এর কোন রুপক(মাজাযী)অর্থ করা যাবেনা,মাজাযী(রুপক)বর্ণনা দেয়া যাবে না। আল্লাহ কেমন,কিসের মত এরকম প্রশ্ন করা বিদআত এমনকি তাঁর হাত বিশেষণে ভূষিত করে,কুদরতি হাত বলাও যাবেনা কেননা কোরআনে ও সহীহ হাদীসে এভাবে বর্ণনা নাই ”। (আল আসমা ওয়াস সিফাত পৃষ্ঠা নং-৫২৬)

আল্লাহ্‌র আরশে অধিষ্ঠিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেনঃ
"আল্লাহ্‌ আরশে অধিষ্ঠিত একথা জানি, কিভাবে অধিষ্ঠিত তা জানিনা।
এর উপর দৃঢ় ঈমান পোষণ করা ওয়াজিব
এবং এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদআত।"

ইমাম মালিক(রাহিমাহুল্লাহ)আরও বলেনঃ
“আল্লাহ্‌ তাঁর আরশে অধিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে যতটুকু বর্ণনা দিয়েছেন তার বাইরে কোন প্রশ্ন করা নিষিদ্ধ ।আল্লাহ্‌ আরশে কিভাবে,কেমন করে সমাসীন বা উপবিষ্ট আছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ্‌তাআলা আমাদেরকে অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়টির কাইফিয়াত আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত।"
-আল্লামা ইবনে হাজর(রাহিমাহুল্লাহ)ফাতহ গ্রন্থে(১৩তম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ৪০৬) বলেছেন,উপরক্ত বর্ণনার সনদ বিশুদ্ধ-

ইমাম শাফীঈ(রাহিমাহুল্লাহ)জোরালো অভিমত ব্যক্ত করেন এ প্রসঙ্গেঃ
"আল্লাহ্‌তালার আরশে অধিষ্ঠিত হওয়া এবং আল্লাহ্‌র হাত,পা ইত্যাদি যা তাঁর সিফাত বলে বিবেচ্য আর তা কোরআন ও সহীহ সূত্রে সুন্নাহ দ্বারা প্রমানিত হওয়ার পরও যদি কোন ব্যক্তি বিরোধিতা করে,অস্বীকার করে ,নিষ্ক্রিয় করে তবে সে অবশ্যই কাফের বলে গন্য হবে।

তিনি আরও বলেনঃ
"আমরা আল্লাহ্‌র গুণাবলী স্বীকার করি ও বিশ্বাস করি তবে সৃষ্টির কোন কিছুর সাথে আল্লাহ্‌র গুনাবলীর কোন আকার সাব্যস্ত করিনা,সাদৃশ্য(তুলনা)করিনা। কেননা আল্লাহ্‌ নিজেই তাঁর সাদৃশ্যের বিষয়টি বাতিল করে দিয়েছেন এ বলে-
"(সৃষ্টি জগতের) কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়।" (সূরা-শুরা,আয়াত-১১)
-সিয়ারে আলামিন নুবালা-১০ম খণ্ড,পৃষ্ঠা নং,-৮০;আর দেখুন আইনুল মাবুদ-১৩তম খণ্ড পৃষ্ঠা নং-৪১;তাবাকতে হানাবিল ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং-২৮৩-

• ইমাম আহমদ বিন হাম্বল(রহঃ)বলেছেনঃ
“আল্লাহ্‌র আসমা ও সিফাতগুলো সম্পর্কে কোরআন ও সহীহ হাদীসগুলোতে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে এগুলোকে ঠিক সেভাবে সে পর্যায়েই রাখা উচিৎ । আমরা এগুলো স্বীকার করি ও বিশ্বাস করি এবং আল্লাহ্‌র সিফাতের কোন সাদৃশ্য করি না । আর এটাই হচ্ছে বিচক্ষন ও বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের অনুসৃত নীতি ”। [-ইবনুল জাওযী প্রনীত মুনাক্বীবে ইমাম আহমদ , পৃষ্ঠা নং-১৫৫-১৫৬]

ইমাম আহমদ (রহঃ)আরও বলেনঃ
“কোরআন ও হাদীসে আল্লাহ্‌র সিফাতগুলোর বর্ণনা যেমনভাবে এসেছে তার বাহ্যিক ও আসল অর্থ স্বীকার করতে হবে,মেনে নিতে হবে, এর প্রকৃত তথা আসল অর্থকে বাদ দেয়া যাবে না। নিস্ক্রিয় করা যাবে না, খারিজ করা যাবে না ।

আল্লাহ্‌র সিফাতগুলো যথা আল্লাহ্‌র আরশের উপর অধিষ্ঠিত হওয়া আল্লাহ্‌র হাত, পা দেখা শোনা ইত্যাদি সম্পর্কে যেরুপ বর্ণিত আছে তার বাহ্যিক ও আসল অর্থ ছাড়া রূপক , অতিরঞ্জিত অথবা অন্তর্নিহিত কোন পৃথক অর্থ বা ব্যাখ্যা বা বর্ণনা রসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক দেওয়া হয়েছে এমন প্রমান নেই।
আমরা যদি এ সত্য উপলব্ধি করি যে, সালফে সালেহীন আল্লাহ্‌র গুনাবলী সঠিক অর্থ বুঝেছেন । তাহলে আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় হলো তারা এগুলোর যে অর্থ বুঝেছেন,আমাদেরকে ঠিক সেই অর্থই বুঝতে হবে । [-মাজমুআতুররাসায়িলিল মুনীরিয়্যাহ পৃষ্ঠা নং(১৭৬-১৮৩]

অতএব, সার কথা হল,
আল্লাহ্‌র অবয়ব বিশিষ্ট অস্তিত্বকে, সত্ত্বাকে গুনাবলীকে অস্বীকার করে (অর্থাৎ নিরাকার করে) সন্যাসী,সুফী, পীর সাহেবেরা অলীক সাধনা বলে তাদের ক্বলবে বসিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করার জন্যই আল্লাহ্‌কে নিরাকার বানিয়ে ধর্মীয় সমাজে প্রচার করেছেন। এটি ‘তাওহীদ আল আসমা ওয়াস সিফাত’ এর সুস্পষ্ট খেলাফ।
অবয়ব বিশিষ্ট তথা অস্তিত্বময় আল্লাহ্‌কে নিরাকার না করলে তো তাঁকে (আল্লাহ্‌কে) তাদের ক্বলবে বসানো যাবে না । নিরাকার আল্লাহ্‌কে অলীক সাধনায়,কল্পনায় ক্বলবে বসিয়ে এই মুসলিম রূপধারী পুরোহিতরা নিজেদেরকে দেবতার মর্যাদায় ভূষিত হয়ে সমাজে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে চলেছেন । আসলে এ সবই ভণ্ডামির বেসাতি, স্বার্থোদ্ধারের ধান্দা ।

আল্লাহ আমাদের তাওহীদ বুঝার ও মানার তাওফিক দান করুন, সকল প্রকার শিরক থেকে রক্ষা করুন, আমিন।

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অতীব দুঃখের বিষয় হলো আপনার দলিলের কোথাও আল্লাহর আকার খুঁজে পেলাম না। এখন আপনি যদি বের করে দেন সে অপেক্ষায় থাকলাম।

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যেহেতু আল্লাহর আকার নেই, সেহেতু আপনি এটা কোথাও খুঁজে পাবেন না।

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কোন কাজে মানুষের যা লাগে আল্লাহর তা’ লাগেনা। কারণ আল্লাহ মানুষের মত নন।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ সুবাহানাহুয়াতাআলা কোরআনে তাঁর সিফাতে যাত এবং গুনাবলী বর্ণনা করেছেন তাঁর নিজস্ব সত্তার বর্ণনায় হাত,পা, মুখ, দৃষ্টিশক্তি , শ্রবণ শক্তি, তাঁর সন্তুষ্টি ও ক্রোধ-ইত্যাদি উল্লেখ করছেন । এগুলো মানুষের মত আকার বিশিষ্ট হওয়া জরুরী নয়, কারণ আল্লাহ মানুষের মত নন। বর্তমানে যে সব সফট ওয়ার গেম বানানো হয় সেখানে অনেক আকার ও এদের কাজ দেখা যায় যদিও বাস্তবে এগুলোর আকার নেই। তারমানে আকার দেখা যায় কিন্তু নিরাকার।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার এ বক্তব্যটি জাল বক্তব্য বলে মনে হয়েছে। এখানে আহলে হাদীসের আক্বীদাই আহলে ছুন্নাতের আক্বীদা হিসেবে দেখানো হয়েছে। এ ধরনের অনেক বানোয়াট আলোচনা অন লাইনে রয়েছে। যা মূলত সঠিক নয়।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কারো বানোয়াট বক্তব্য গ্রহণ করতে কেউ বাধ্য নয়।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বীদা।
ইমাম ত্বহাবী (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) [মৃত: ৩২১ হি:] বলেন-
.
ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻦ ﺍﻟﺤﺪﻭﺩ ﻭﺍﻟﻐﺎﻳﺎﺕ ، ﻭﺍﻷﺭﻛﺎﻥ ﻭﺍﻷﻋﻀﺎﺀ
ﻭﺍﻷﺩﻭﺍﺕ ، ﻻ ﺗﺤﻮﻳﻪ ﺍﻟﺠﻬﺎﺕ ﺍﻟﺴﺖ ﻛﺴﺎﺋﺮ ﺍﻟﻤﺒﺘﺪﻋﺎﺕ
.
অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা সব ধরনের সীমা-পরিসীমা, অঙ্গ- প্রতঙ্গ, সহায়ক বস্তু ও উপায়-উপকরণ থেকে পবিত্র। অন্যান্য সৃষ্ট বস্তুর ন্যায় ছয় দিক তাকে বেষ্টন করে না।
(অর্থাৎ আল্লাক তায়ালা সব ধরনের দিক থেকেও পবিত্র) ইমাম ত্বহাবী (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) তার বিখ্যাত আক্বীদার কিতাব “আক্বীদাতুত ত্বহাবী” এর ভূমিকাতে
বলেছেন, এটি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আক্বীদা।
এটি ইমাম আবু হানিফা (রহমাতুল্লাহি আ’লাই), ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) এর আক্বীদা।
তিনি এই কিতাবের শেষে লিখেছেন, এই কিতাবে যেসব আক্বীদা লেখা হয়েছে, সেগুলোই আমরা বিশ্বাস করি। এর বাইরে যতো আক্বীদা আছে, সেগুলো ভ্রষ্টতা ও গোমরহী।
ইমাম ত্বহাবী (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) লিখেছেন-
ﻓﻬﺬﺍ ﺩﻳﻨﻨﺎ ﻭﺍﻋﺘﻘﺎﺩﻧﺎ ﻇﺎﻫﺮﺍ ﻭﺑﺎﻃﻨﺎ ، ﻭﻧﺤﻦ ﺑﺮﺍﺀ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻠﻪ . ﻣﻦ
ﻛﻞ ﻣﻦ ﺧﺎﻟﻒ ﺍﻟﺬﻱ ﺫﻛﺮﻧﺎﻩ ﻭﺑﻴﻨﺎﻩ ، ﻭﻧﺴﺄﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺃﻥ ﻳﺜﺒﺘﻨﺎ ﻋﻠﻰ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻳﺨﺘﻢ ﻟﻨﺎ ﺑﻪ ، ﻭﻳﻌﺼﻤﻨﺎ ﻣﻦ ﺍﻷﻫﻮﺍﺀ ﺍﻟﻤﺨﺘﻠﻔﺔ ، ﻭﺍﻵﺭﺍﺀ ﺍﻟﻤﺘﻔﺮﻗﺔ ، ﻭﺍﻟﻤﺬﺍﻫﺐ ﺍﻟﺮﺩﻳﺔ ، ﻣﺜﻞ ﺍﻟﻤﺸﺒﻬﺔ ﻭﺍﻟﻤﻌﺘﺰﻟﺔ ﻭﺍﻟﺠﻬﻤﻴﺔ ﻭﺍﻟﺠﺒﺮﻳﺔ ﻭﺍﻟﻘﺪﺭﻳﺔ ﻭﻏﻴﺮﻫﻢ ؛ ﻣﻦ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺧﺎﻟﻔﻮﺍ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ، ﻭﺣﺎﻟﻔﻮﺍ ﺍﻟﻀﻼﻟﺔ ، ﻭﻧﺤﻦ ﻣﻨﻬﻢ ﺑﺮﺍﺀ ، ﻭﻫﻢ ﻋﻨﺪﻧﺎ ﺿﻼﻝ ﻭﺃﺭﺩﻳﺎﺀ ، ﻭﺑﺎﻟﻠﻪ ﺍﻟﻌﺼﻤﺔ .
.
“ অর্থাৎ মৌখিক ও আন্তরিকভাবে এগুলোই আমাদের দ্বীন ও আক্বীদা। আমরা যেসব আক্বীদা উল্লেখ করেছি, এর বিপরীত যারা আক্বীদা পোষণ করে আমরা আল্লাহর নিকট তাদের থেকে মুক্ত। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদেরকে ইমানের উপর অটল-অবিচল রাখেন। এরপরই আমাদের যেন মৃত্যু হয়। বিভিন্ন মতবাদ, প্রবৃত্তিপূজা, উদভ্রান্ত লোকদের অনুসরণ এবং নিকৃষ্ট দলসমুহ থেকে তিনি যেন আমাদেরকে রক্ষা করেন। যেমন, মুশাব্বিহা [যারা আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টির সাথে সাদৃশ্য দেয়], মু’তাজিলা, জাহমিয়া, জাবরিয়া ও অন্যান্য ফেরকা। এরা সবাই আহলে সুন্নতের বিরোধিতা করেছে। ভ্রষ্টতা গ্রহণ করেছে। আমরা এদের থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র। আমাদের দৃষ্টিতে তারা পথভ্রষ্ট ও নিকৃষ্ট। একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই রক্ষাকর্তা।
[ আক্বীদাতুত ত্বহাবীর সর্বশেষ আলোচনা]
ইমাম আবু হানিফা রহ. তার আল-ফিকহুল আবসাতে বলেছেন-
“: ﻗﻠﺖُ : ﺃﺭﺃﻳﺖَ ﻟﻮ ﻗﻴﻞ ﺃﻳﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ؟ ﻓﻘﺎﻝ ـ ﺃﻱ ﺃﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ـ : ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻻ ﻣﻜﺎﻥ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﺨﻠﻖ ﺍﻟﺨﻠﻖ، ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺃﻳﻦ ﻭﻻ ﺧَﻠْﻖ ﻭﻻ ﺷﻰﺀ، ﻭﻫﻮ ﺧﺎﻟﻖ ﻛﻞ ﺷﻰﺀ ”
অথ- যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় আল্লাহ তায়ালা কোথায়?
এর উত্তরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে, যখন কোন স্থানই ছিলো না, তখনও আল্লাহ তায়া’লা ছিলেন। আল্লাহ তায়া’লা তখনও ছিলেন যখন কোন সৃষ্টি ছিলো না, এমনকি ‘কোথায়’ বলার মতো স্থানও ছিলো না। সৃষ্টির একটি পরমাণুও যখন ছিলো না তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। তিনিই সব কিছুর সৃষ্টা”
.
[আল-ফিকহুল আবসাত, পৃ.২০]।
ইমাম শাফেয়ী [মৃত: ২০৪ হি:] রহ. বলেন-
“ ﺇﻧﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻛﺎﻥ ﻭﻻ ﻣﻜﺎﻥ ﻓﺨﻠﻖ ﺍﻟﻤﻜﺎﻥ ﻭﻫﻮ ﻋﻠﻰ ﺻﻔﺔ ﺍﻷﺯﻟﻴﺔ ﻛﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﻗﺒﻞ ﺧﻠﻘﻪ ﺍﻟﻤﻜﺎﻥ ﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺘﻐﻴﻴﺮ ﻓﻲ ﺫﺍﺗﻪ ﻭﻻ ﺍﻟﺘﺒﺪﻳﻞ ﻓﻲ ﺻﻔﺎﺗﻪ ”
অর্থাৎ যখন কোন স্থান ছিল না তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। এরপর আল্লাহ তায়ালা স্থান সৃষ্টি করেন। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তার অনাদি গুনেই গুণান্বিত রয়েছেন, যেমন স্থান সৃষ্টির পূর্বে ছিলেন। আল্লাহ তায়ালার সত্ত্বায় কোন পরিবর্তন হয় না, তার কোন গুণেও কোন পরিবর্তন বৈধ নয়।
[ ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকিন, খ.২, পৃ.২৪]
আল্লাহর আকার নেই । তিনি এইসব গুন থেকে মুত্ত ও পবিত্র । অনেকে কোরআনের কিছু আয়াতের বাহ্যিক অর্থ নিয়ে বলে আল্লাহর আকার যেমন চোখ হাত পা আছে প্রমান করতে চায় (নাউজুবিল্লাহ) অথচ . ‘‘আল্লাহকে যারা আকার বিশিষ্ট দাবী করে,
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.) তাদের কথা অস্বীকার,
বিরোধিতা এবং প্রতিবাদ করে বলেন:
কারণ নাম তো শরীআ ও ভাষার ব্যবহার থেকে
গ্রহণ করতে হবে।
ভাষার ব্যবহারে দেহ বলতেই গণ্ডি, সীমা, দৈর্ঘ,
সংযোজন ইত্যাদির সমাহারকে বুঝানো হয়।
আল্লাহ এসব কিছুর উর্ধ্বে। সুতরাং মহান আল্লাহ’র দেহ আছে বা তিনি দেহ বিশিষ্ট এরকম কথা বাতিল।’’
. [আল আকীদাহ, ইমাম আহমাদ; রেওয়ায়াতঃ আবূ বকর খাল্লাল। পৃ. ১১১; শামেলা]
অনেক নির্বোধ একথা মনে করে থাকে, আল্লাহ তায়ালাকে স্থান ও দিক থেকে পবিত্র বিশ্বাস করলে তো আল্লাহ কোথাও নেই এটা বলা হয়। এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্বই না কি অস্বীকার করা হয়। এই নির্বোধকে জিজ্ঞাসা করা হবে, যখন কোন স্থান বা দিকই ছিলো না, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? সে যদি এটা বিশ্বাস না করে যে, আল্লাহ তায়ালা স্থান ও দিক সৃষ্টির পূর্বে ছিলেন, তাহলে সে নিশ্চিত কাফের হয়ে যাবে। কোন সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে আল্লাহর অবস্থানের জন্য যখন কোন স্থানের প্রয়োজন হয়নি, তাহলে এখন কেন আল্লাহ তায়ালাকে স্থানের অনুগামী বানানো হবে?
আর আল্লাহ তায়ালা স্থান থেকে পবিত্র একথা বললে আল্লাহর অস্তিত্বই অস্বীকার করা হবে?
এসব নির্বোধের হেদায়াতের জন্য বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম আবু হানিফা (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) তার ছোট্ট একটি বক্তব্য দিয়েছেনঃ
“ ﻭﻟﻘﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻷﻫﻞ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﺑﻼ ﻛﻴﻒ ﻭﻻ ﺗﺸﺒﻴﻪ ﻭﻻ ﺟﻬﺔٍ ﺣﻖٌّ
” অর্থ- জান্নাতবাসীর জন্য কোন সাদৃশ্য, অবস্থা ও দিক ব্যতীত আল্লাহ তায়ালার দর্শন সত্য।
.
[কিতাবুল ওসিয়্যা, পৃ.৪, শরহে ফিকহুল আকবার, মোল্লা আলী কারী, পৃ.১৩৮]
ইমাম ইবনে জারীর তবারী (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) (মৃত: ৩১০ হি) বলেন-
.
“ ﻓﺘﺒﻴَّﻦ ﺇﺫًﺍ ﺃﻥ ﺍﻟﻘﺪﻳﻢ ﺑﺎﺭﻯﺀ ﺍﻷﺷﻴﺎﺀ ﻭﺻﺎﻧﻌﻬﺎ ﻫﻮ ﺍﻟﻮﺍﺣﺪ ﺍﻟﺬﻱ ﻛﺎﻥ ﻗﺒﻞ ﻛﻞ ﺷﻰﺀ، ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻜﺎﺋﻦ ﺑﻌﺪ ﻛﻞّ ﺷﻰﺀ، ﻭﺍﻷﻭﻝ ﻗﺒﻞ ﻛﻞ ﺷﻰﺀ، ﻭﺍﻵﺧﺮ ﺑﻌﺪ ﻛﻞ ﺷﻰﺀ، ﻭﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻭﻻ ﻭﻗﺖ ﻭﻻ ﺯﻣﺎﻥ ﻭﻻ ﻟﻴﻞ ﻭﻻ ﻧﻬﺎﺭ، ﻭﻻ ﻇﻠﻤﺔ ﻭﻻ ﻧﻮﺭ ﻭﻻ ﺳﻤﺎﺀ ﻭﻻ ﺃﺭﺽ ﻭﻻ ﺷﻤﺲ ﻭﻻ ﻗﻤﺮ ﻭﻻ ﻧﺠﻮﻡ، ﻭﺃﻥ ﻛﻞ ﺷﻰﺀ ﺳﻮﺍﻩ ﻣﺤﺪَﺙ ﻣﺪﺑَّﺮ ﻣﺼﻨﻮﻉ، ﺍﻧﻔﺮﺩ ﺑﺨﻠﻖ ﺟﻤﻴﻌﻪ ﺑﻐﻴﺮ ﺷﺮﻳﻚ ﻭﻻ ﻣُﻌﻴﻦ ﻭﻻ ﻇﻬﻴﺮ، ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻣِﻦْ ﻗﺎﺩﺭ ﻗﺎﻫﺮ
.
” অর্থ- স্পষ্টত: কাদীম বা অনাদী সত্ত্বা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা, তিনিই সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনিই সব কিছুর অস্তিত্বের পূর্বে ছিলেন। তিনিই সব কিছু ধ্বংসের পরেও থাকবেন। তিনিই সবকিছুর পূর্বে, তিনিই সবকিছুর পরে। তিনি তখনও ছিলেন যখন কোন সময় ছিলো না। রাত দিন, আলো-আধার, আসমান-জমিন, চন্দ্র-সূর্য, তারকারাজি কিছুই ছিলো না। আল্লাহ তায়ালা ছাড়া সবকিছুই আল্লাহর সৃষ্টি, তার নিয়ন্ত্রণাধীন। কোন অংশীদার, সাহায্যকারী বা সহযোগী ছাড়া তিনি একাই সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। মহান ক্ষমতাধর ও কর্তৃত্বপরায়ণ সব সৃষ্টি থেকে পবিত্র” [তারীখে তবারী, খ.১, পৃ.৩০]
মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “শরহে মুসলিম” কিতাবের ১ম খণ্ডের ৯৯ নং পৃষ্ঠায় আল্লামা ইমাম নবভী (রহঃ) উম্মতের ইজমাহ উল্লেখ করে লিখেছেন যে,
ﻭﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﺘﺤﻴﻞ ﺍﻥ ﺗﻜﻮﻥ ﺫﺍﺕ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻨﻮﺭ . ﺍﺫﺍ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻣﻦ ﺟﻤﻠﺔ ﺍﻻﺟﺴﺎﻡ . ﻭﺍﻟﻠﻪ ﻳﺠﻞ ﻋﻦ ﺫﺍﻟﻚ . ﻫﺬﺍ ﻣﺬﻫﺐ ﺟﻤﻴﻊ ﺍﺋﻤﺔ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ .
অনুবাদ, “আল্লাহ তায়ালার জাত বা সত্তা নূরের বলা যাবেনা। কারণ নূরেরও আকৃতি রয়েছে। অথচ আল্লাহপাক দেহ বা আকার- আকৃতির গণ্ডী থেকে উর্ধ্বে। এটাই মুসলিম উম্মাহার সকল উম্মতের মাযহাব।”
.
হযরত আলী (রাদ্বীআল্লাহু আনহু) বলেন- “
.
. ﻣﻦ ﺯﻋﻢ ﺃﻥ ﺇﻟﻬﻨﺎ ﻣﺤﺪﻭﺩ ﻓﻘﺪ ﺟﻬﻞ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ ﺍﻟﻤﻌﺒﻮﺩ ”
.
অর্থ: যে বিশ্বাস করলো যে আল্লাহ তায়ালা সসীম, সে আমাদের মা’বুদ আল্লাহ সম্পর্কে অজ্ঞ” [ হিলয়াতুল আউলিয়া, খ.১, পৃ.৭৩]
হযরত আলী (রাদ্বীআল্লাহু আনহু) আরও বলেন-
“ ﻛﺎﻥ ـ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﻭﻻ ﻣﻜﺎﻥ، ﻭﻫﻮ ﺍﻵﻥ ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ـ ﻋﻠﻴﻪ ـ ﻛﺎﻥ
.
” অর্থ: যখন কোন স্থান ছিলো না, তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। তিনি এখনও স্থান থেকে পবিত্র অবস্থায় আছেন।
.
[আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক, আবু মনসুর বাগদাদী, পৃ.৩৩৩]
.
হযরত আলী (রাদ্বীআল্লাহু আনহু) আরও বলেন-
“ ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻌﺮﺵ ﺇﻇﻬﺎﺭًﺍ ﻟﻘﺪﺭﺗﻪ ﻻ ﻣﻜﺎﻧًﺎ ﻟﺬﺍﺗﻪ
” অর্থ: আল্লাহ তায়ালা নিজের কুদরত প্রকাশের জন্য আরশ সৃষ্টি করেছেন, নিজ সত্ত্বার স্থান হিসেবে নয়।”
.
[আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক, আবু মনসুর বাগদাদী, পৃ.৩৩৩]
.
বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম যাইনুল আবেদীন (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) [মৃত: ৯৪ হি:] বলেন- “
ﺃﻧﺖ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺬﻱ ﻻ ﻳَﺤﻮﻳﻚ ﻣﻜﺎﻥ ”
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি সেই সত্ত্বা, কোন স্থান যাকে পরিবেষ্টন করতে পারে না।
.
[ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকিন, আল্লামা মোর্তজা জাবিদী, খ.৪, পৃ.৩৮০]
.
তিনি আরও বলেন-
“ ﺃﻧﺖ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺬﻱ ﻻ ﺗُﺤَﺪُّ ﻓﺘﻜﻮﻥَ ﻣﺤﺪﻭﺩًﺍ
” অর্থ: আপনি সেই সত্ত্বা যার কোন হদ বা সীমা নেই। সীমা থাকলে তো আপনি সসীম হয়ে যাবেন।
.
[ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকিন, খ.৪, পৃ.৩৮০]
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেফাজত করুন। সেই সাথে আল্লাহ পাক সবাইকে সহীহ্ আকিদা তথা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আকিদা গ্রহণের তৌফিক দান করুন। আমীন।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হযরত ইমাম মালিক রহঃ বলেন,

الاستواء معلوم والكيفية مجهولة، والسؤال عنه بدعة، والايمان به واجب،

“আল্লাহ তাআলার আরশে ইস্তিওয়া এর বিষয়টি জানা যায়, কিন্তু অবস্থা অজানা। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা বিদআত। আর এ বিষয়ে ঈমান রাখা ওয়াজিব”।

এজন্য এ বিষয়ে অযথা কথনে লিপ্ত হওয়া কিছুতেই কাম্য নয়। আমরাও এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাচ্ছিলাম না। যেহেতু এটি খুবই সঙ্গীন একটি বিষয়। আর আল্লাহ তাআলা আছেন, তিনি সব কিছু দেখছেন, তিনি আমাদের উপর ক্ষমতাশীল এসব আমাদের মূল ঈমানের বিষয়। তিনি কোন অবস্থায় আছেন? এসব আমাদের ঈমানের মূল বিষয় নয়। তাই এটি নিয়ে অযথা ক্যাচালে লিপ্ত হওয়া কিছুতেই উচিত কাজ নয়। খুবই গর্হিত কাজ।

কিন্তু কুরআনের মুতাশাবিহ তথা অস্পষ্ট আয়াত নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা এসবকে মূল প্রাতিপাদ্য বিষয় বানানো এক শ্রেণীর ফিতনাবাজদের মূল মিশন তা আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনেই জানিয়ে দিয়েছেন। ইরশাদ হচ্ছে-

هُوَ الَّذِي أَنزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ ۖ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ ۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلَّا اللَّهُ ۗ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا ۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ [٣:٧]

তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট,সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে,তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। {সূরা আলে ইমরান-৭}

আল্লাহ তাআলা কোথায় আছেন? এটি কুরআনের একটি মুতাশাবিহাত তথা রূপক শব্দের অন্তর্ভূক্ত। তাই আমাদের পূর্ববর্তী মুহাক্কিকগণ এটির ব্যাপারে অতি গবেষণা থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন। কিন্তু যাদের মনে কূটিলতা আছে তারা ফিতনা বিস্তারের জন্য এসবকেই প্রচারণার মূল টার্গেট বানিয়ে কাজ করে যায়।

সেই কূটিল সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত প্রচলিত বিদআতি ফিরক্বা কথিত আহলে হাদীস। যাদের কাজই হল মুতাশাবিহ এবং মতভেদপূর্ণ বিষয়কে মানুষের সামনে তুলে ধরে ফিতনা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।

যেহেতু একের পর এক মেইল আমাদের কাছে আসছে এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। তাই বাধ্য হয়ে এ বিষয়ে কলম ধরলাম। আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল। আমাদের ভুলগুলো ক্ষমা করে দিয়ে তার প্রিয়ভাজন হবার পথে অগ্রসর হবার তৌফিক দান করুন। আমীন।

আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান

কথিত আহলে হাদীস সম্প্রদায় প্রচার করে থাকে, আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান নয়। তারা দলিল হিসেবে পেশ করে থাকে সূরা হাদীদের ৩ নং আয়াত। যেখানে ঘোষিত হয়েছে আল্লাহ তায়ালা আরশে সমাসিন। ওরা কিছু আয়াত দিয়ে আরো অসংখ্য আয়াতকে অস্বীকার করে নাউজুবিল্লাহ। যেই সকল আয়াত দ্বারা বুঝা যায় আল্লাহ তায়ালা আরশসহ সর্বত্র বিরাজমান।
কিছু আয়াতকে মানতে গিয়ে আরো ১০/১২টি আয়াত অস্বীকার করার মত দুঃসাহস আসলে কথিত আহলে হাদীস নামী ফিতনাবাজ বাতিল ফিরক্বাদেরই মানায়।
অসংখ্য আয়াতে কারীমাকে অস্বীকার করে আল্লাহ তায়ালাকে কেবল আরশে সীমাবদ্ধ করার মত দুঃসাহস ওরা দেখাতে পারলেও আমরা পারি না। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ তাআলার কুরসী আসমান জমিন সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। তিনি স্থান কাল থেকে পবিত্র। আল্লাহর গোটা রাজত্বের সর্বত্র তিনি রয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা আরশে রয়েছেন একথা আমরা অস্বীকার করি না। তিনি আরশে রয়েছেন। তিনি এছাড়াও সর্বত্র রয়েছেন। তাহলে আমরা সকল আয়াতকেই মানি। আর ওরা শুধু আরশ সংশ্লিষ্ট কিছু আয়াত মানে, বাকিগুলোকে অস্বীকার করে।

কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকা দেহধারী সত্তার বৈশিষ্ট। আল্লাহ তায়ালার মত নিরাকার সত্তার জন্য এটা শোভা পায় না। এই আহলে হাদীস বাতিল ফিরক্বাটি এতটাই বেয়াদব যে, আল্লাহ তায়ালার দেহ আছে বলে বিশ্বাস করে। দেহ থাকাতো সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সকল সৃষ্টির স্রষ্টার জন্য দেহ সাব্যস্ত করা এক প্রকার সুস্পষ্ট শিরক। এই শিরকী আক্বিদা প্রচার করছে ইংরেজ সৃষ্ট কথিত আহলে হাদীস সম্প্রদায়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই ভয়াবহ মারাত্মক বাতিল ফিরক্বার হাত থেকে আমাদের দেশের সরলমনা মুসলমানদের হিফাযত করুন। বক্ষমান প্রবন্ধে আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান নিয়ে একটি দলিল ভিত্তিক আলোচনা উপস্থাপন করা হল। পরবর্তী প্রবন্ধে আল্লাহ তায়ালা যে দেহ থেকে পবিত্র, আল্লাহ তায়ালার দেহ সাব্যস্ত করা সুস্পষ্ট শিরকী, এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

১-

ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ
অতঃপর তিনি আরশের উপর ক্ষমতাশীল হোন। {সূরা হাদীদ-৩}

২-

قوله تعالى {وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ}
Page: 11

আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। {সূরা বাকারা-১৮৬}

৩-

قوله تعالى {وَنَحنُ أَقرَبُ إِلَيهِ مِن حَبلِ الوَرِيدِ} [ق 16]
আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী।{সূরা কাফ-১৬}

৪-

فَلَوْلا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ (83) وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ (84) وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لا تُبْصِرُونَ (85)
অতঃপর এমন কেন হয়না যে, যখন প্রাণ উষ্ঠাগত হয়। এবং তোমরা তাকিয়ে থাক। এবং তোমাদের চেয়ে আমিই তার বেশি কাছে থাকি। কিন্তু তোমরা দেখতে পাওনা।{সূরা ওয়াকিয়া-৮৩,৮৪,৮৫}

৫-

{ وَللَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّواْ فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ } [البقرة-115]
পূর্ব এবং পশ্চিম আল্লাহ তায়ালারই। সুতরাং যেদিকেই মুখ ফিরাও,সেদিকেই রয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বব্যাপী সর্বজ্ঞাত {সূরা বাকারা-১১৫}

৬-

قوله تعالى { وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَمَا كُنتُمْ } [ الحديد – 4 ]
তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন {সূরা হাদীদ-৪}

৭-

وقال تعالى عن نبيه : ( إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا (التوبة من الآية40
যখন তিনি তার সাথীকে বললেন-ভয় পেয়োনা, নিশ্চয় আমাদের সাথে আল্লাহ আছেন {সূরা হাদীদ-৪০}

৮-

قوله تعالى مَا يَكُونُ مِن نَّجْوَى ثَلاثَةٍ إِلاَّ هُوَ رَابِعُهُمْ وَلا خَمْسَةٍ إِلاَّ هُوَ سَادِسُهُمْ وَلا أَدْنَى مِن ذَلِكَ وَلا أَكْثَرَ إِلاَّ هُوَ مَعَهُمْ أَيْنَ مَا كَانُوا ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا عَمِلُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ( المجادلة – 7
কখনো তিন জনের মাঝে এমন কোন কথা হয়না যাতে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন, এবং কখনও পাঁচ জনের মধ্যে এমন কোনও গোপন কথা হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন। এমনিভাবে তারা এর চেয়ে কম হোক বা বেশি, তারা যেখানেই থাকুক, আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে অবহিত করবেন তারা যা কিছু করত। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু জানেন {সূরা মুজাদালা-৭}

৯-

وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ
আল্লাহ তায়ালার কুরসী আসমান জমিন ব্যাপৃত {সূরা বাকারা-২৫৫}

একটি মৌলিক প্রশ্ন

প্রথমে একটি বিষয় সুনির্দিষ্ট করে নিতে হবে। সেটা হল, আল্লাহ তাআলার সর্বত্র বিরাজমানতার আয়াতগুলোকে ব্যাখ্যাসহ মানা হবে? না শুধু শাব্দিক অর্থের উপর রাখা হবে?

দুই পদ্ধতির যে কোন একটি পদ্ধতি অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে। যদি ব্যাখ্যাসহ মানা হয়, তাহলে সকল আয়াতের ব্যাখ্যাই করতে হবে। এক আয়াতের ব্যাখ্যা আর অন্য আয়াতের শুধু শাব্দিক অর্থ নেয়া যাবে না। আর যদি শুধু শাব্দিক অর্থই গ্রহণ করা হয়, ব্যাখ্যা ছাড়া। তাহলে এ সম্পর্কীয় সকল আয়াতকেই তার শাব্দিক অর্থের উপর রাখতে হবে। কোনটারই ব্যাখ্যা করা যাবে না।

সেই হিসেবে যদি ব্যাখ্যা নেয়া হয়, তাহলে সব আয়াতের ব্যাখ্যা নিতে হবে। তাই ,

আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। {সূরা কাফ-১৬}

তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন {সূরা হাদীদ-৪}

ইত্যাদি আয়াতের ব্যাখ্যায় যেমন কথিত আহলে হাদীস ভাইয়েরা বলে থাকেন যে, এর মানে হল আল্লাহ তাআলা ইলম ও ক্ষমতা হিসেবে সবার সাথে আছেন। ঠিকই একই ব্যাখ্যা নিতে হবে ,

অতঃপর তিনি আরশে সমাসিন হন [কর্তৃত্বশীল হোন] {সূরা হাদীদ-৩}

এ আয়াতের। অর্থাৎ তখন আমরা বলবো, এ আয়াতের ব্যাখ্যা হল আল্লাহ তাআলা ইলম ও ক্ষমতা হিসেবে আরসে সমাসিন।

আর যদি বলা হয়, না আয়াতের শাব্দিক অর্থ গৃহিত হবে। কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ গ্রহণযোগ্য হবে না। তাহলে ,

অতঃপর তিনি আরশে সমাসিন হন [কর্তৃত্বশীল হোন] {সূরা হাদীদ-৩}

এ আয়াতের শাব্দিক অর্থ হিসেবে যেমন আমরা বলি আল্লাহ তাআলা আরশে। ঠিক একইভাবে ,

আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। {সূরা কাফ-১৬}

তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন {সূরা হাদীদ-৪}

ইত্যাদি আয়াতের শাব্দিক অর্থ হিসেবে বলতে হবে যে, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। সর্বত্র আছেন। কোন ব্যাখ্যা করা যাবে না। যেমন সূরা হাদীদের ৩ নং আয়াতের কোন ব্যাখ্যা করা হচ্ছে না।

আশা করি এ মূলনীতি অনুসরণ করলে আর কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। এক আয়াতের ব্যাখ্যা আরেক আয়াতের শাব্দিক অর্থ মনগড়াভাবে করলে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান হলে আকাশের দিকে কেন হাত উঠিয়ে দুআ করা হয়?

আদবের জন্য। যদিও আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার শান হল উঁচু, তাই আদব হিসেবে উপরের দিকে হাত উঠিয়ে দুআ করা হয়।
যেমন কোন ক্লাসরুমে যদি লাউডস্পীকার ফিট করা হয়। চারিদিক থেকে সেই স্পীকার থেকে শিক্ষকের আওয়াজ আসে। তবুও যদি কোন ছাত্র শিক্ষকের দিকে মুখ না করে অন্যত্র মুখ করে কথা শুনে তাহলে শিক্ষক তাকে ধমক দিবেন। কারণ এটা আদবের খেলাফ। এই জন্য নয় যে, অন্য দিক থেকে আওয়াজ শুনা যায় না। তেমনি আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান থাকা সত্বেও উপরের দিকে মুখ করে দুআ করা হয় আল্লাহ তায়ালা উচু সর্বশ্রেষ্ঠ। তাই আদব হিসেবে উপরের দিকে হাত তুলে দুআ করা হয়।

জিবরাঈল উপর থেকে নিচে নেমে আসেন মানে কি?

এর মানে হল-যেমন পুলিশ এসে কোন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে কারণ বলে যে, উপরের নির্দেশ। এর মানে কি পুলিশ অফিসার উপরে থাকে? না সম্মান ও ক্ষমতার দিক থেকে যিনি উপরে তার নির্দেশ তাই বলা হয় উপরের নির্দেশ? তেমনি আল্লাহ তায়ালা ফরমান নিয়ে যখন জিবরাঈল আসেন একে যদি বলা হয় উপর থেকে এসেছেন, এর মানেও সম্মানসূচক ও পরাক্রমশালীর কাছ থেকে এসেছেন। তাই বলা হয় উপর থেকে এসেছেন। এই জন্য নয় যে, আল্লাহ তায়ালা কেবল আরশেই থাকেন।

আল্লাহ তায়ালা কি সকল নোংরা স্থানেও আছেন? নাউজুবিল্লাহ্

এই উদ্ভট যুক্তি যারা দেয় সেই আহাম্মকদের জিজ্ঞেস করুন, তার ক্বলবে কি দু’একটি কুরাআনের আয়াত কি সংরক্ষিত আছে? যদি বলে, 'আছে' তাহলে বলুন তার মানে সীনায় কুরআনে কারীম বিদ্যমান আছে। কারণ সংরক্ষিত সেই বস্তুই থাকে, যেটা বিদ্যমান থাকে, অবিদ্যমান বস্তু সংরক্ষণ সম্ভব নয়। তো সীনায় যদি কুরআন বিদ্যমান থাকে, সেটা নিয়ে টয়লেটে যাওয়া কিভাবে জায়েজ? কুরআন নিয়েতো টয়লেটে যাওয়া জায়েজ নয়। তখন ওদের আকল থাকলে বলবে-কুরআন বিদ্যমান, কিন্তু দেহ থেকে পবিত্র কুরআন। তেমনি আমরা বলি আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান। কিন্তু তিনি দেহ থেকে পবিত্র। সেই হিসেবে সর্বত্র বিরাজমান। সুতরাং কুরআন যেমন সীনায় থাকায় সত্বেও টয়লেটে যেতে কোন সমস্যা নেই। কুরআনে কারীমের বেইজ্জতী হয়না, সীনায় সংরক্ষিত কুরআনের দেহ না থাকার কারণে, তেমনি আল্লাহ তায়ালার দেহ না থাকার কারণে অপবিত্র স্থানে বিদ্যমান থাকাটাও কোন বেইজ্জতীর বিষয় নয়।

স্ববিরোধী বক্তব্য

কথিত আহলে হাদীস নামধারী আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান নামক এক ভাই একটি প্রবন্ধ লিখেছেন “আল্লাহ তাআলা কোথায় আছেন” নামে।
উক্ত প্রবন্ধটির শুরুতে লেখক বলেন-
“কোরআন ও সহিহ হাদীসে আল্লাহ তাআলার যে সমস্ত সিফাতের কথা বলা হয়েছে তার উপর ঈমান আনা ওয়াজিব। তাঁর সিফাতসমূহের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করা, অথবা তার কিছু সিফাতকে যেভাবে আছে সেভাবেই স্বীকার করা আর কিছুকে পরিবর্তন করে বিশ্বাস করা কিছুতেই জায়েয হবে না”।

তিনি দাবি করছেন, কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কোন সিফাত যেভাবে বর্ণিত হুবহু সেই অবস্থায় বিশ্বাস করতে হবে, পরিবর্তন করে ব্যাখ্যা করা যাবে না।
কিন্তু আফসোস ও হাস্যকর বিষয় হল তিনি নিজেই প্রবন্ধের শেষ দিকে আল্লাহ তাআলার সর্বত্র বিরাজমানতার স্পষ্ট প্রমাণবাহী আয়াতকে মূল অর্থ পাল্টে মনগড়া ব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়ে বলেন-
“আল্লাহ তাআলার বাণী:
وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ(الحديد 4)
তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথেই আছেন। (সূরা হাদীদ, ৫৭: ৪ আয়াত)।
অত্র আয়াতের ব্যাখ্যা হল; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমাদের সাথে আছেন দেখার দ্বারা, শ্রবনের দ্বারা, যা বর্ণিত আছে তফসীরে জালালাইন ও ইবনে কাসীরে। এই আয়াতের পূর্বের ও শেষের অংশ এ কথারই ব্যখ্যা প্রদান করে”।

বিজ্ঞ পাঠকগণ! লক্ষ্য করুন! আয়াতে স্পষ্ট বলা হচ্ছে যে, আমরা যেখানেই থাকি না কেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সাথেই আছেন, যার স্পষ্ট অর্থ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বত্র রয়েছেন।

কিন্তু এ স্পষ্ট অর্থবোধক আয়াতকে ব্যাখ্যা ছাড়া হুবহু বিশ্বাস না করে পাল্টে তিনি ব্যাখ্যা দাঁড় করালেন যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বত্র বিরাজমান নন, বরং দেখা ও শ্রবণ শক্তি রয়েছে সর্বত্র।
“দেখা ও শ্রবণ দ্বারা বিরাজমান” ব্যাখ্যা করার দ্বারা তিনি তার নিজের ফাতওয়া অনুযায়ীই নাজায়েজ কাজটি করেছেন। তাই নয়কি?
কারণ তিনিইতো আগে বললেন যে, আল্লাহর সিফাত সম্বলিত আয়াত বা হাদীসকে হুবহু বিশ্বাস করতে হবে, ব্যাখ্যা করা জায়েজ নেই। অথচ তিনি নিজেই স্ববিরোধী হয়ে সূরা হাদীদের ৪নং আয়াতকে “দেখা ও শ্রবণ দ্বারা বিরাজমান” শব্দে ব্যাখ্যা করে নাজায়েজ কাজ করলেন।

আল্লাহ তাআলা শুধুই আসমানে আছেন বলাটা আল্লাহ তাআলার বড়ত্বকে খাটো করা

আমরা জানি, কোন বস্তু যখন অন্য বস্তুর উপর থাকে, তখন যে বস্তুর উপর বস্তুটি রাখা হয়, তা বড় থাকে, আর যা রাখা হয় তা হয় ছোট। যেমনঃ যদি বলা হয় যে, কলমটি টেবিলের উপর আছে, তখন বুঝতে হবে যে, টেবিলটি বড় আর কলমটি ছোট, কারণ কলম বড় হলে কলমটি টেবিলের উপর থাকতে পারে না।
এটাই মুহীত ও মুহাতের পার্থক্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুহীত তথা সর্ব কিছুকে পরিবেষ্টনকারী। তাকে পরিবেষ্টনকারী কিছু নেই। যদি বলা হয় যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শুধু আরশের উপর আছেন, তাহলে আরশ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে মুহীত করে ফেলছে, তথা পরিবেষ্টন করে ফেলছে, তথা আরশ হয়ে যাচ্ছে বড়, আর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হয়ে যাচ্ছেন ছোট নাউজুবিল্লাহ্। যা কেবল নাস্তিকরাই বলতে পারে, কোন মুমিন মুসলমান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে এভাবে খাটো করতে পারে না।

তাই সহীহ আক্বিদা হল-আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বত্র বিরাজমান। তিনি যেমন আরশে আছেন, তেমনি আসমান জমীন সর্বত্র বিরাজমান।

কথিত আহলে হাদীসদের কাছে আমাদের প্রশ্ন

১.

আল্লাহ তাআলা আরশেই অবস্থান করলে আরশ সৃষ্টির আগে আল্লাহ তাআলা কোথায় ছিলেন?

২.

কিয়ামতের সময় সব কিছু যখন ধ্বংস হয়ে যাবে তখন আল্লাহ তাআলা কোথায় থাকবেন?

৩.

আল্লাহ তাআলা আরশেই অবস্থান করলে মুসা আঃ কে দেখা দেয়ার জন্য তূর পাহাড়ে কেন ডেকে নিলেন?

৪.

বিভিন্ন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, শেষ রাতে আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে এসে বান্দাদেরকে ইবাদত করার জন্য আহ্বান করে থাকেন, যেন বান্দা ইবাদত করে।

এখন প্রশ্ন হল, সারা পৃথিবীতে একই সময়ে শেষ রাত হয় না, এক দেশ থেকে আরেক দেশের সময়ের পার্থক্য রয়েছে। এক ঘন্টা থেকে নিয়ে বার তের ঘন্টা এমনকি বিশ বাইশ ঘন্টাও। তাহলে কি আল্লাহ তাআলা বাংলাদেশের আসমানে শেষ রাতে একবার আসেন, তারপর তিন ঘন্টা পর আবার সৌদিতে যান, তারপর এভাবে একের পর এক দেশের প্রথম আসমান ঘুরতেই থাকেন?

কুরআন ও সহীহ হাদীসের শব্দসহ উক্ত বিষয়ের সমাধান চাই।

যেই সকল ভাইয়েরা আল্লাহ তায়ালার সর্বত্র বিরাজমানতাকে অস্বীকার করে আল্লাহ তায়ালাকে নির্দিষ্ট স্থানে সমাসিন বলে আল্লাহ তায়ালার সত্তার বেয়াদবী করছে ওদের অপপ্রচার থেকে, বাতিল আক্বিদা থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেফাজত করুন। আমীন।
এসব অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের আলোচনা থেকে আমাদের বিরত থাকার মত পরিবেশ সৃষ্টি করে দিন। আমীন।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তাকে কেউ সৃষ্টি করেননি। তিনিই সকলকে সৃষ্টি করেছেন। কুরআন ও হাদিসের আলোকে আল্লাহকে মানতে হবে। আমাদের সকলের জ্ঞানের পরিধি সিমীত । অতএব সিমীত জ্ঞান দিয়ে মহান স্রষ্টাকে নিজেদের মত অনুধাবন করে অহেতুক যুক্তি পাল্টা যুক্তি দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি না করাই ভালো।

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটাই এ পর্যন্ত বিষয় ছিল। মুহকাম ছাড়া মুতাসাবেহ আয়াত নিয়ে মাথা ঘামাতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন। অথচ আহলে হাদীস মুতাসাবেহ আয়াত দিয়ে আহলে ছুন্নতকে মুশরিক সাব্যস্ত করে লোকদেরকে তাদের দলে ভিড়াবার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে, যা অনৈতিক। এখন আহলে ছুন্নতের তাদের কাউন্টার না দিয়ে উপায় কি?

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



মহান প্রতিপালক আমাদের মালিক, আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাককে নিয়ে লেখায় মুগ্ধতা অশেষ!

ভাল থাকবেন প্রিয় কবি।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার জন্যও নিরন্তর শুভেচ্ছা।

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: আমি যাহা বুঝি....
মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনকে আমরা ইহজগতে দেখতে পাইনা। কিন্তু তিনি আছেন। তাই বলতেই পারি তিনি নিরাকার।
আবার পরকালে তিনি যাকে খুশি সাক্ষাত দিবেন। মহা সৌভাগ্যবানেরা তাঁকে দেখতে পাবেন। তাই ভাবতেই পারি তাঁর আকার আছে। (যেমন রোজাদারদের পুরুস্কার আল্লাহ নিজ হাতে দিবেন।)

তাই আসুন তাঁর আকার নিরাকার নিয়া বিতর্কে না গিয়ে তাঁর আদেশ-নিষেধগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করি। তাতেই সবার মঙ্গল হবে ইনশাআল্লাহ।
সকলের তরে শুভকামনা রইল।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন তিনি নভমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের আলো। আর আলো দেখা যায়, অন্ধকারও দেখা যায় কাজেই দেখতে পাওয়ার জন্য আকার থাকা জরুরী নয়। কারণ আলো এবং অন্ধকারকে নিরাকার বলা হয়। আল্লাহ বলেছেন তিনি কারো সদৃশ নন। তাহলে কি তবে মানুষ নিরাকার? কারণ আপনি আল্লহকে আকার ধরলে মানুষকে নিরাকার না ধরে উপায় কি?
তিনি রোজাদারের পুরস্কার নিজ হাতে দিবেন তবে সেটা মানুষের মতো আকার বিশিষ্ট নয়। কারণ তিনি মানুষের মত নন।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: রোজাদারকে আল্লাহ কি এক এক করে পুরস্কার প্রদান করবেন? যদি এক সাথে প্রদান করেন তবে আল্লাহর হাত কয়টি? সুতরাং আল্লাহর হাত নিরাকার যে হাত দিয়ে তিনি খয়েক শ কোটি লোককে এক সাথে পানাহার করাতে পারবেন। আল্লঅহর হাত মানুষের হাতের মত আকার বিশিষ্ট হাত নয়। তাঁর মানুষের মত আকার বিশিষ্ট হাত আছে বিশ্বাস করা কুফুরী।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহর যা যা থাকার কথা বলা হয়েছে সবই আছে তবে সেগুলো মানুষের মত আকার বিশিষ্ট নয় বরং সেগুলো নিরাকার।

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

শরনার্থী বলেছেন: টমাটু খান কই?? সেয় অখনো মন্তব্য দেই নাই তো! আর বাকীডিরেও তো দেকসি না।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: টমাটু বেগুন শশা কাঠাল আম লেবু আপেল আঙ্গুর একটু বাজারে আছে। আপনি সেখানে গেলেই পাবেন।

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ ও মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট । একসাথে লাইক ও প্রিয়তে ।
পোষ্ট ও মন্তব্যের কিছু কথামালা নিয়ে পড়াশুনা করছি । পরে একসময়
ফিরে আসার ইচ্ছা আছে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি পড়েছেন তাই খুশী হয়েছি। বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ নিয়ে আবার মুসলমানরা জটিল পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। আমাদের প্রিয় দেশের জন্য এটা মারাত্মক বিষয়। কারণ উন্নয়নকামী একটা দেশের পক্ষে এটা মহা ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে আমি মনে করছি। কাজেই জাতিকে সঠিক পখ দেখানোর মত লোক এখন বড় প্রয়োজন। জানিনা দরিদ্র এ জাতির কপালে কি আছে? এ মতভেদ না জানি আমাদেরকে আরো অনেক পিছিয়ে দেয়, সেটাই আশংকা।

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্ট ও মন্তব্য পড়ে গেলাম।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পোষ্ট ও মন্তব্য পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় সব্যসাচি লেখক। আমি চাইলাম আল্লাহর আকার বা নিরাকার হওয়া বিষয়ে আমার অবস্থান ও এর কারণ পরিস্কার করি। কারণ দোদিল বান্দা হওয়া আমি ঠিক মনে করিনি।

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৭

সিফটিপিন বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আধ্যাত্মিক প্লাটফর্ম-এ বিচরণ না করে, আল্লাহ্‌-র আকার নিয়া লিখা বা মন্তব্য করা উচিত নয়। "পরম আত্মা" সম্পর্কে জানা না থাকলে "আমি" সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞ্যান থাকে না। মনসুর হাল্লাজের(আনাল হক্ব) মত বিভ্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক। বাংলাদেশের সকল ভন্ড পীরেরা আল্লাহ্‌-কে সম্পুর্নরুপে আকার দিয়ে ভাল ব্যবসা করে যাচ্ছে। মানুষেরাও পীরের কথাগুলো-কে সেকলোর-র মত খাচ্ছে। বিষ্মিত হই।

হামদ ভাল হইছে।

ভাল থাকুন।
আল্লাহ সকলকে হেদায়েত দান করুন, ''আমিন"

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মুসলমানদের মতভেদ বেড়েই চলছে। যা তাদের সর্বনাশ ডেকে আনবে। শত্রু মোকাবেলায় তাদেরকে আরো দূর্বল করবে।

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সূরা বাকারা'র প্রথমে আছে আলিফ লাম মিম এর অর্থ হচ্ছে, "ইহার অর্থ আল্লাহই জানেন"
আল্লাহর আকার কতটুকু অসীম সে একমাত্র আল্লাহ্ সুবাহানুওয়াতায়ালাই ভালো জানেন আমরা অনুমানও করতে পারব না। মানুষের চিন্তা শক্তি একটা সীমিত আকারে। নিরাকার ধারা বুঝায় যার আকার নেই বাংলা অভিধানে পাওয়া যায়, তাহলে কিভাবে আমরা বলতে পারি যে আল্লাহ নিরাকার। বৈজ্ঞানিক যুক্তিতেও সম্ভব না।।
আল্লাহ্ মহান, আল্লাহ্ সর্বশক্তি মান।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আলোর কি আকার আছে কবি? আলোর কি অস্ত্বিত্ব আছে? তাপের কি আকার আছে? তাপের কি অস্তিত্ব আছে? তো নিারাকারের সাথে অস্তিত্বের সম্পর্ক কি?

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: একটা প্রশ্ন ছিলো,
আমাদের সমাজে প্রচলিত, মাযহাবী লা মাযহাবী কথাটি বিস্তৃত, মাযহাবী মানে যারা মাজহাব ফলো করে লা মাযহাবী মানে যারা মাযহাবী না।
মাযহাবী লোকেরা বলছেন, চারটা প্রসিদ্ধ মাজহাব যেকোনো একটা মানতে হবে! ইহা শরীয়তের বিধান।

প্রশ্নটা হলো, চারটা মাজহাবের কথা রাসূল (সঃ) এর জীবন কালে বা সুন্নায় রয়েছে কি? বা উনি কি এই চারটা নিজে অনুসরণ করতে বলেছেন কি?? যদি বলে থাকেন তাহলে কিভাবে? আর না বলে থাকলে শরীয়তের বিধান হয় কি ভাবে?


বিদায় হজের ভাষণে রাসূল (সঃ) কুরআন ও সুন্নাহ এর আঁকড়ে ধরে রাখতে বলেছিলেন। এবং বলেছিলেন ধর্মের ব্যাপারে সহনশীল হও।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মুসলমানদের মাঝে বহু দল হওয়ায় হজ্জ্বের ইমামতিতে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু ক্বাবার তো চার দিকের বেশী করা সম্ভব ছিলনা। তখন বড় চার দলের মঝে ক্বাবার চার দিক বন্টন করা হয়। এখন মুসলমানেরা চার হাজার দল হলেও ক্বাবার দিকতো চারটার বেশী হবে না। তাহলে সমাধান কি হতে পারে প্রিয় কবি?

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমি নিরাকার এর অর্থটা তুলে ধরেছি, আমি বুঝতে পেরেছি আপনি কি বুঝতে চেয়েছেন একটা কথা হলো, তাপ আলো আর আল্লাহ্ তায়ালার আকার এর সাদৃশ্যতা এক নয়...

আকার আছে কিন্তু কতটুকু তা একমাত্র আল্লাহ্ জানেন।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি কি আল্লাহকে অসীম মনে করেনা? যদি অসীম মনে না করেন তবে তার জন্য একটা আকার সাব্যস্ত হয়ত করা যায়। কিন্তু আপনি তাঁকে অসীম মনে করলেতো তাঁর আকার সাব্যস্ত করতে পারবেন না। কারণ আকারেরতো সীমা আছে। আর সীমা থাকলেতো অসীম হয়না। আল্লাহ বলেছেন তাঁর গুন লিখতে গিয়ে সাগরের পানি কালি হলে তা শেষ হবে কিন্তু আল্লাহর গুন শেষ হবেনা এতে কি আল্লাহকে সসীম না অসীম কোনটা মনে হয়?

১৫| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: যার আকার আছে, তার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা ভর সব আছে। যারা বলে আল্লাহ আকার আছে তারা এইসব ও বের করে দিক। কিছু মানুষ নিজেকে অধিক জ্ঞানী ভেবে ভুলভাল কোরআনের ব্যাখ্যা দিয়ে কিছু দল সৃষ্টি করে।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দফাদার সাহেব আমি ভাবছি আমরা আসলে কোন দিকে যাচ্ছি! নতুন গজনো এসব ফিতনা না জানি আমাদের এ উন্নয়নকামী দেশটাকেই না জনি শেষ করে দেয়। কাজেই সব শেষ হওয়ার আগেই আমাদেরকে আমাদের করনীয় ঠিক করতে হবে। দলাদলি কোন জাতির জন্য মঙ্গল ও কল্যাণ বয়ে আনেনা।
অনেকে ভাবছে পীরদের শেষ করে ফেলবে। কিন্তু পীর নিসারআলী তীতুমীর, দুদুমিয়া, শরীয়তুল্লা, ফকীর মজনু শাহ এরা বৃটিশকেই খাজনা দেয়নি। এখন এরা পীর শেষ করতে গিয়ে শেষে দেশটাই শেষ করবে আমার এমনটাই মনে হয়। যে কোন অর্বাচিন নাগরীকেরাই সে দেশের হাতে দাসত্বের বেড়ী পরানোর জন্য যথেষ্ট হয়। বারতের হিন্দুদের হারানো রাষ্ট্র ফিরে পেতে এক হাজার বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। তারপরো তারা আগের মতো ফিরে পায়নি। তাদের একদল সেটাই আবার চায়। মুসলমানদের মতভেদ হয়তো তাদের স্বপ্ন দেখাতে পারে। তবে ঘটনা এমনও হতে পারে আগের মতো স্থানীয়রা সব হারিয়ে আবার সবাই মিলে সাম্রাজ্যবাদের দাসে পরিণত হবে। হিন্দু মুসলমান কারো কপালেই হয়ত দূর্গতি ছাড়া কিছুই ঝুটবেনা। সুতরাং সময় থাকতে সবাই মিলে ফিতনা থামাতে হবে। দেখতে হবে ফিতনার উৎস কোথায় বা এর উদ্দেশ্য আসলে কি?

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: প্রিয় ভাই, যেহেতু রাসূল (সঃ) জীবনকালে চার মাজহাব ছিলোনা সেহেতু এই চার মাজহাব কিভাবে হয়? কাবার চারদিক এই ভুল যুক্তি অনেক দিন আগেই সমাধান হয়ে গেছে, চার দিকে দিয়ে চারটা মাজহাব হবে তা কি হয় বলুন, রাসূল (সঃ) কি তাহা বলে গেছেন? নিশ্চই না। রাসূল (সঃ) এর সময়ে সময়ে চার মাজহাব ছিলোনা আসলে কোনো মাজহাব ছিল না, আল্লাহ্ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন তোমরা তাই করো যা রাসূল (সঃ) করেন বা করতে বলেছেন। রাসূল(সঃ) এর আনুগত্য করা আল্লাহরই আনুগত্য করা।

আমাকে যদি কেউ বলে আপনি আহলে হাদীস, না অন্য মাজহাবের (যেহেতু দেশে হানাফী মাজহাব প্রসিদ্ধ), নাকি সালাফি, নাকি অন্য কোন গ্রূপের? তখন আমি বলি ভাই আমি আল্লাহর এক ক্ষুদ্র বান্দা আমি রাসূল (সঃ) এর উম্মত এটাই আমার প্রথম ও শেষ পরিচয়।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কবি ইমাম আবু হানিফা যদি ক্বোরআন ও হাদীসের বাইরে কিছু না বলেন, তবে তাঁর অনুসরনে উম্মতের বাইরে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে কি? আর তার অনুসরনের বাইরে যদি উম্মতের খেলাপ কিছু থাকে তবে তার অনুসরনের নবাইরে যাওয়ার দরকার কি? কাজেই আপনি কারো অনুসরন করলে বা না করলে বড় কিছু হবেন ঘটনা এমন নয়। আপনাকে আপনার জন্য সঠিক একটা পথ বেছে নিতে হবে, যেহেতু আপনার কবরে একা আপনাকেই যেতে হবে।

১৭| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আর ভাই আমি বলেছি আল্লাহর আকার কতটুকু তা একমাত্র আল্লাহই জানেন, তার মানেই আল্লাহ্ অসীম, আল্লাহ্ মহান,
আল্লাহ্ অসীম দয়ালু কোরআনে কথাটা অনেক বার এসেছে, তার মানে আল্লাহর দয়ার সীমা নেই।
নিরাকার কথাটা ধারা সম্পূর্ণ সার্বিক অর্থ বুঝানো হয় না।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি বলছেন আল্লাহ সত্ত্বাগত ভাবে অসীম নন?

১৮| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখক বলেছেন: আলোর কি আকার আছে কবি? আলোর কি অস্ত্বিত্ব আছে? তাপের কি আকার আছে? তাপের কি অস্তিত্ব আছে?
আলো আর তাপের আকার নেই ঠিক কিন্তু আয়তন বা সীমারেখা আছে।
সূর্য হলো আলো ও তাপের শক্তির উৎস, যেহেতু সূর্য আছে সেহেতু আলোর অস্তিত্ব আছে, আর সূর্যের তাপ আছে সেহেতু তাপেরও একটা অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সূর্যের আলো ও তাপ সীমাহীন। কিন্তু প্রাত্যহিক জীবনে আমরা মানুষ যে আলো বা তাপ ব্যবহার করি তাহার কোনোটাই অসীম নয়, ইহার একটা সীমা বা আয়তন আছে। (বিজ্ঞান ও আমার নিজস্ব ক্ষুদ্র ব্রেইন ধারা গবেষণায়)

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সূর্যের আলো ও তাপ সীমাহীন। সূর্য সৃস্টি বিধায় তার আলো ও তাপ সীমাহীন নয়। আল্লাহ এর একটা সীমা দিয়ে রেখেছেন।

১৯| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

অনেক সেনসিটিভ একটা বিষয়ের অবতারনা করেছেন।
মনোযোগ দিয়ে আপনার লেখা এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।

সকল লেখা এবং যুক্তিতেই বাহ্যিক দিকটার চকচকি বেশী মনে হল। অন্তর্গত ব্যাখ্যা কম এসেছে বলেই মনে হল।
আপনি কি মানতেকুত তোয়ায়ের পড়েছেন?
আল্লাহ তত্ত্বের উপর প্রতিকী লিখা।
আর যে কোন বিষয়ে চূড়ান্ত সমাধানে যাবার আগে অনেক বেশি পড়াশোনা, ধ্যান, মুরাক্বাবা মোশাহিদা দরকার।
তবেই বোধকরি নূন্যতম একটা আলাপের স্তরে পৌছা যাবে।
অন্যথায়- বস্তা বস্তা কিতাবী রেফারেন্স আর অনুভবহীন অার্তনাদে আকশ ভারীই হবে কেবল!

চলুক আপনাদের আলোচনা। সাথে রইলাম শেষটুকু জানতে :)

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহর নিরাকার হওয়া বিষয়ে আমি আমার অবস্থান পরিস্কার করেছি এবং কারনটাও বলেছি! এক্ষেত্রে আপনার মত জানাগেল না।

২০| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ১৬ নং কমেন্টের প্রতি উত্তরের পর.., আমি ইমাম আবু হানিফ (রঃ) উনার কোনো দোষ আদৌ ধরিনা উনি অনেক সম্মানী একজন মানুষ, উনি ইমাম ছিলেন বাগদাদের, হাদিস বর্ণনা করেছেন, ইজমা কিয়াস করেছেন, মতবাদ দিয়েছেন, নিঃসন্দেহে উনি অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছেন যে প্রশংসা ঊর্ধ। উনি ফিক শাস্ত্র লিখেছেন।
আমার কথা হলো, সমাজে প্রচলিত আছে যে একটা মাজহাব মানলে আরেকটা মানা যাবে না (মাজহাব মানে মতবাদ) এই নিয়ম কেন??
হানাফী মাজহাব মানলে মালিকি, শাফেয়ী, বা হাম্বলী মাজহাব মানা যাবে না!! বা এর একটা মানলে আরেক টা মানা যাবেনা, এটা কি ঠিক? যদি ঠিক হয় তাহলে কিভাবে?
সব ইমাম বলেছেন, আমার হাদিস বর্ণনার বিপরীতে যদি কোনো সহীহ হাদীস পাও তোমরা তাহাকে আমরা টা দেয়ালে ছুড়ে ফেলে দিবে সহীহ টা আঁকড়ে ধরবে।
সবাই তো ইমাম ছিলেন তাহলে এক জনের টা বাদ দিয়ে একজনের গ্রহণ কেন করবো, যেই ইমাম বর্ণনা করুক যদি সহীহ হয় তাহলে আমরা সেটাই গ্রহণ করব, তাই না?! আর নিশ্চিত হয়ে যথাযথ সহীহ দলিল গ্রহণ করবো। এরকম টাই হওয়া উচিত নয় কি?

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: একসাথে অনেক গুরু মানা কষ্টকর! এতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব হয়। একজন মানলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ দ্রুত হয় এবং তা বাস্তবায়নে অধীক সময় পাওয়া যায়। আর গুরু জখন মানবই তখন যাকে গুরু মানলে অধীক লাভের সম্ভাবনা মানুষ সে দিকেই ছুটে। এক্ষেত্রে অধীক লোক ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী হয়েছে।

২১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আল্লাহর নিরাকার হওয়া বিষয়ে আমি আমার অবস্থান পরিস্কার করেছি এবং কারনটাও বলেছি! এক্ষেত্রে আপনার মত জানাগেল না।

ইনশাল্লাহ আমার মত জানাব।
আগে আপনাদের অবস্থানটা বোঝার চেষ্টা করছি।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি বিষয়টা নিয়ে ভাবছেন জেনে খুশী হলাম। ডঃ এম এ আলীও এমনটা বলেছেন।

২২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যারা বলতেছে আল্লার আকার আছে তারা ভাল করে করেই জানে আল্লার কোন আকার নেই । এটা জানার পরেও তারা তাদের কথা বলতেছে । তারা তাদের কথা বলেই যাবে । যারা জেগে ঘুমায় তাদের ঘুম কোন মতেই ভাঙ্গাতে পারবেন না । বিষয়টি নিয়ে ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে দেখলাম , তারা বেশ সংগঠিত হয়েই মাঠে নেমেছে । উদ্দেশ্য বহুবিদ । তারা এটা ভাল করে জানে ইসলামের ক্ষতি করতে হলে ইসলামের ভিতরে থেকেই করতে হবে । সরল ধর্মপ্রান অনেককেই ঠুনকো একমুখী যুক্তি দিয়ে সাময়ীকভাবে বিভ্রান্ত করা সম্ভব । অনেকে আছেন সব কিছু জেনেও ধর্ম সস্পর্কীয় বিষয়ে প্রকাশ্যে কোন কথা বলেন না বিবিধ কারণে , তাঁদের মধ্যে নানা ধরনের নীতিমালা কাজ করে । তাঁরা ধর্মীয় বিষয়ে অনেক জেনেও থাকতে চান নিরপেক্ষ । ইসলাম ধর্ম বিষয়ে সমাজের এধরনের নীরপেক্ষ জ্ঞানী গুনী মানুষের সংখা নেহায়েত কম নয় । যারা বিভ্রান্তি সৃস্টি করতে চান তারা এই নিরপেক্ষতার সুযোগটা অর্থাৎ কেও কিছু তাদের মতামত বা লেখার বিষয়ে কিছু বলবেনা , তাই তারা লিখে যাবেন মনের মত করে , কেও যদি ভুলে তাদের পথে পা বাড়ান তাহলেই তাদের কেল্লা ফতে । পাল তোলা নৌকা যেমন বাতাসের অনুকুল প্রতিকুল দু দিকেই যেতে পারে তেমনি কোরানের আয়াতকে যার যার নীজের বোঝার বা প্রজ্ঞার ক্ষমতা দিয়ে বুঝে সে রকমভাবে ইন্টারপ্রিটেশন করতে পারে । এটা একান্তই যার যার নীজের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার বিষয় । একজন কোরান শরীফ পুরাটা পাঠ করে কিংবা কোরানে হাফেজ হয়ে কোরানের আয়াতকে অনুধাবন করে তা দিয়ে একটি আলপিন পর্যন্ত বানাতে পারেননা , আবার কেও কেও মাত্র কোরানের একটি কি দুটি আয়াত পাঠ করে এবং সেটাকে সঠিকভাবে অনুধাবন ও অনুসরন করে অনেক গুরুত্বপুর্ণ বৈজ্ঞানিক বিষয় অনুদঘাটন ও আবিস্কার করতে পারেন ।

কোরানে কারিমার যে সমস্ত আয়াতে আল্লার হাত চোখ , কান প্রভৃতি অঙ্গের প্রসঙ্গ এসেছে সে সমস্ত যে আল্লার গুণবাচক কর্মকান্ডের কথা প্রকাশের জন্য আমাদের জ্ঞাত ( যে সমস্ত বিষয় আল্লাহ আগেই আমাদেরকে জ্ঞাত করেছেন ) বিষয় যথা , হাত , কান , চোখ প্রভৃতি কথা বলে উপমা দিয়ে আল্লাহ কোরানে বলেছেন যেন তা আমরা সহজে বুঝতে পারি , আল্লাহ কোরানকে খুবই সহজ সরল ও আমাদের বোধগম্য ভাষায় ও আমাদের সহজে বোধে আসে এমন সব বিষয়ের উপমা উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন । তাই কোরানে দেয়া এ সমস্ত উপমাগুলিকে কেও যদি আল্লার হাত পা ভেবে তাঁর আকার রয়েছে বলে ভুল করে তাহলে তাঁর সে ভুল ভাঙ্গাবেন কিভাবে ? আপনে ভুল ভাঙ্গাতে গেলে আপনাকেতো জাহান্নামে যাওয়ার সার্টিফিকেট দিয়ে দিবে , দোযখের ভয় দেখাবে যেন তার ভুল ভাঙ্গাতে না যান । তাই বলা যায় উনারা উনাদের মত করে আল্লার আকারের ভাবনা নিয়েই থাকুকন , দুদিনের দুনিয়া , অল্প সময় বাদেই ( যে কোন মহুর্তেই মানুষ মারা যেতে পারে কেও জানেনা কতটুকু সময় তার হায়াত আছে ) যার যার বিশ্বাসের প্রমান হাতে নাতে পাবে । তবে কেও যেন বিভ্রান্ত না হন সে ব্যপারে সকলকে সচেতন থাকতে হবে । এটা ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় বিপর্যয় ডেকে আনতেছে তাতে কোন সন্দেহ নাই । ইসলামের ক্ষতি সাধনের জন্য অনেকগুলি ফ্রন্টের মধ্যে একটিকে তারা একটি ইনটেলেকচুয়াল ফ্রন্ট হিসাবে ব্যবহার করছে ।

উল্লেখ্য যে প্রচার মাধ্যমে এ সকল কথা আসলে আর তা যদি কারো নজরে পড়ে তবে তা যে সঠিক নয়। অন্তত সে কথাটা বলা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়ীত্বের মধ্যে চলে আসে।

যাহোক আল্লার কাছে দোয়া করি আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বিষয় বুঝার জ্ঞান দান করুন । আমীন



০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যারা আত্মঘাতি হয়ে নিরিহ মানুষ মারে ইসলামের নামে, তারা এ ধরনের বিভ্রান্তির ফসল। জান্নাতে যাওয়ার কথা মনে করে তারাতো জাহান্নামী হলো কিন্তু দেশের বি হলো? বিনিয়োগ বন্ধ হয়েগেল। নতুন বিনিয়োগ আসলোনা। শিল্প-কারখানা হলোনা। বেকারত্ব বেড়ে গেল। আইন শৃঙ্খলা নষ্ট হলো। আমদানী বাড়ল। রপ্তানি কমল। অর্থনীতি গেল গোরস্থানে। কাদের লাভ হলো? যাদের লাভ হলো তারা এদেশে সতের কোটি লোকের একটা বাজার পেল। সস্তায় এদেশ থেকে শ্রমিক পেল। এক সময় দেখাগেল দয়াকরে তারা দেশটাও নিয়ে নিল। মাথায় গোবর পোরা মুসলমান এসব বুঝবেনা। অবশ্য স্থানীয় কারো জন্যই এটা মঙ্গল জনক হলোনা। এতো বছরের নিরাকার আল্লাহকে হঠাৎ আকার দেওয়ার দরকার কেন হলো? সেটা মাথায় গোবর পোরা মুসলমান না বুঝলেও যাদের বুঝার দরকার তারা ঠিক বুঝে। আর মুসলমান মির্জাফরেরা তাদের সুধু স্যালিউট মারে। কে ওদের টাকার জোগানদার এখন থেকে এর খোঁজ না নিলে বড় বিপদ থেকে জাতিকে রক্ষা করা যাবেনা। প্রসঙ্গত বাংলাদেশে প্রথম জঙ্গি কান্ডের নায়ক মায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাই কিন্তু এ লামাযহাবী আহলে হাদীস আক্বীদার লোক। এরা আল্লাহর আকার বানিয়ে সুধুই বিভেদ সৃষ্টি করছে, মোটা টাকার বিনিময়ে। নতুবা এরা এসব করে কি দিয়ে?

২৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ড. এম আলীর সমৃদ্ধ ভাবনা নিশ্চয়ই একটা সুন্দর সমাধানের দিশা দেবে বলেই আশা রাখি।

আর আমার নাদান জ্ঞানের সামান্য অনুভব দেবার সাহস পাই না। কারণ একেতো খোলা ব্লগ। সব জ্ঞান সব কথা সবা্র জণ্য নয় বলেই প্রকৃতিও জ্ঞানকে ক্লাসিফায়েড করেছে। ইসলামে শুধু নয় সকল বিষয়েই জ্ঞানের কিছূ উচ্চমার্গ ধারা থাকে যা ঐ শ্রেনীভূক্তদের জন্যই প্রযোজ্য।
এটাকে আবার ভুল ভেবে বসবেনা যেন- যে কোন স্বার্থসংশ্লিষ্টতায় তা ঘটে; বরং সকলের বোধ অনুভব জ্ঞানের বিকাশ সমান মাত্রার নয় বলেই তা মেনে চলতে হয়। যেমন আপনি আপনার সন্তান ছোটকালে যখন জানতে চায় -বাবা আমি কোত্থেকে এলাম? আপনি সত্যটা জানেন। কিন্তু তাকে বলতে পারেন না। আপনি বলেন- তুমি আকাশের তারা হয়ে ছিলে। তোমার আম্মু আর আমি ।আল্লাহর কাছে তোমাকে চেয়েছি। আল্লাহ তোমার আম্মুর কোলে তোমাকে পাঠীয়েছেন।
এমনইতো?
তাতে কিন্তু দোষ নেই। আবার সন্তান বড় হয়ে বুঝতেও অসুবিধা হয়না প্রকৃত জ্ঞান কি?

তারপরও রয়ে সয়ে যতটা প্রকাশ যোগ্য ততটাই হোক। সত্য বড় কঠিন। সবাই সত্য সইতে পারে না।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি যা বুঝাতে চেয়েছেন এবার যাদের বুঝার বিষয় তারা এটা বুঝলেই হয়। আমি শুধু চাই বিভেদের ষড়যন্ত্রে আমাদের দেশটা না পিছিয়ে পড়ে।

২৪| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রোজা মাসে এইরকম পোস্ট মন্দ না!

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: গেমু যখন বলেছেন!

২৫| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:০০

এ আর ১৫ বলেছেন: আল্লাহ নিরাকার এটা যদি সত্য হয় তাহোলে ঘরে মুর্তি থাকলে কি নামাজ হবে ? অথবা রাস্তার পাশে মুর্তি থাকলে পুজা না করেও কি ঈমাণ যাবে ?????
Please Click here for details

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৪৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বিষয়টা পছন্দ এবং অপছন্দ জাতীয়! যিনি নামাজ গ্রহণ করবেন তিনি যদি এ শর্তে নামাজ করতে সম্মত না হন তবে কি আর করা যাবে! আর রাস্তার পাশের মুর্তির ব্যাপারে যদি এমন কথা থাকে যে এমন করা হলে ঈমান গ্রহণ করা হবেনা তবে গ্রহণকারীকে দিয়েতো আর জোর করে গ্রহণ করানো যাবেনা। তবে পুজা করা বা না করা বিষয়েতো পার্থক্য থেকেই যাচ্ছে। পুজা করাটা অবশ্যই বেশী গুরুতর। আর সেটা ঘরের ক্ষেত্রেও গুরুতর। মূর্তি আল্লাহর সমকক্ষ নয় এখন যদি কেউ উহাকে আল্লাহর সমকক্ষ বিবেচনা করে সেটাতো গুরুতর অবশ্যই হবে।

২৬| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:০৪

এ আর ১৫ বলেছেন: লিংকটা আবার দিলাম
Click here

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার লিংক পড়েছি। এখানে দরকার হলো আল্লাহর আকার বা নিরাকার বিষয়ে আপনার মত ও এর কারণ। পোষ্টের মাধ্যমে সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছে।

২৭| ০৮ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৪০০ বছর পর, নতুন করে প্রমাণ করতে হচ্ছে কেন?

আর, ১৪০০ বছর পর যদি প্রমাণ করতে হয়, ১৪০০ বছর পরের( অর্থাৎ বর্তমান ) লজিক ব্যবহার করতে হবে!

০৮ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অবাক আমিও যে কম হচ্ছি তা’ কিন্তু নয়। একটা ধর্মের বিশ্বাস ও ইবাদত নিয়ে দেড় হাজার বছর ধরে তর্ক চলার কথা নয়। মুসলমানদের পিছিয়ে পড়ার এটাও একটা কারণ। পোপকে সব খিস্টান মানতে পারলেও মুসলমানরা এমন একজনকে মানতে পারছে না। যারা একজনকে মানতে পারছে তারা কিন্তু সভ্যতায় ঠিক এগিয়ে গেছে। যারা মানতে পারেনি তারা এখন ওদের পিছন পিছন চলছে। মূলত মুসলমানদের কেন্দ্রীয় কোন নেতা নেই। এখানে সংখ্যা গরিষ্ঠের মতও মূল্যায়ন করা হয় না। দুই তৃতীয়াংশের বেশী মুসলমান ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) ইমাম মানলেও এক তৃতীয়াংশের কম তাাঁকে ইমাম মানতে পারছেনা। সে দিন দেখলাম এক হুজুর বিতর নামাজের তিন রকম নিয়ম বলছেন। সংগত কারণেই তিতা মনে হলেও আপনার কথা অনেকেই সমর্থন করছে।

২৮| ০৮ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:০১

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: পোপকে সব খিস্টান মানতে পারলেও মুসলমানরা এমন একজনকে মানতে পারছে না। যারা একজনকে মানতে পারছে তারা কিন্তু সভ্যতায় ঠিক এগিয়ে গেছে। [/su
আমাদের নেতা নেই কে বল্ল? পশ্চিমা মিডিয়াতো বিন লাদেন কে অনেক আগে মুসলমানদের নেতা বানিয়ে দিয়েছে। সারাবিশ্ব এখন আমাদের এভাবে ই চেনে।

০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ওদের ইচ্ছাই এখন আমাদের ভাগ্য। কিসে আমাদের ভাল হবে এটা যতক্ষণ আমরা বুঝতে না পারছি, সে পর্যন্ত আমরা এ বৃত্ত ভেদ করতে পারবনা।

২৯| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: "আকারের বিপরীত নিরাকার। আর স্রষ্টার বিপরীত সৃষ্টি।"

আকারের বিপরীত যদি নিরাকার হয় তবে স্রষ্টার বিপরীত কি করে সৃষ্টি হয়? এটা কি স্ব-সৃষ্ট বিপরীতার্থ? এটাও কি অসীম নিরাকার?

আমার কাছে অসীম নিরাকার একটি বস্তু মনে হয় তা হলো গাঁজার মাদকতা। গাঁজা সেবনে যে মত্তার সৃষ্টি হয়, এই মত্তার কারণ মানুষের যে ভাবের সৃষ্টি হয় তাই একমাত্র অসীম। এই অসীমতায় আমি ঈশ্বরকে দেখতে পাই। এই অসীমতায় আমি সকল সৃষ্টিকে দেখতে পাই। আস্তিক ও নাস্তিকের অজ্ঞতা দেখতে পাই। এক অসীম সীমানায় সসীমের ভিন্ন ভিন্ন রূপ। ভিন্ন ভিন্ন রূপ গ্রহণ না করে আল্লাহ আবার একশতটা হলো কি করে? কারণ কারণ দয়ালু আর অগ্নিশর্মা এক রূপ নয়। ক্ষমাশীলতা সাস্তিদাতা এক রূপ নয়। অসীমের মধ্যে যদি একশত ভাগে বিভক্ত থাকে তাহলে অসীম অর অসীম থাকে না, একশত সসীম সীমানায় বিভক্ত হয়ে সসীম হয়ে যায়। তাই আমী গাঁজার নেশার কাছে অসীম কিছুই দেখি না। এই যেন সীমাহীন ভাবনার জগতে নিয়ে যায়, যার কোন কুল কিনারা খুঁজে পাওয়া যায় না। গাঁজার মত্ততা যেমন নিরাকার তেমন অসীম, এর চেয়ে অসীম নিরাকার আর কিছুই নাই এই জগতে!!

০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তবে স্রষ্টার বিপরীত কি করে সৃষ্টি হয় অসীম নিরাকার স্রষ্টা, সৃষ্টি নয়।

৩০| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ধুম্র কুন্ডলী ওঠে ধূমায়িত বিশ্ব,
গাজাখোর তড়পায় আমোদিত দৃশ্য!

০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।

৩১| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য .------
আমার মনে হয়ে বেশিভাগ মুসলমানরা আল্লাহ নিরাকার এই বিষয়টার বিশ্বাষের ভিত্তি মূল খুবই দুর্বল এবং আপনি যতই প্রমাণ করেন না কেন আল্লাহ তালা নিরাকার কিন্তু তারা বডি লেন্গুয়েজে ভিন্ন কথা বলবে। যে মনে করে আল্লাহ নিরাকার তাকে দেখা যায় না ছোয়া যায় না শুধু অন্তর থেকে অনুভব করা ছাড়া, তখন তার কাছে কোন জড় বস্তু সৃষ্ঠিকর্তা হতে পারে না । মুর্তি একটা জড় পদার্থ একজন মুসলমানের কাছে কিন্তু যে সমস্ত মুসলমান মুর্তিকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করে ( নাউযুবিল্লাহ) এবং চোখের সামনে থাকলে নিরাকার আল্লাহর উপর ঈমাণ চুত হয়ে মুর্তিকে ভগবান বলে গ্রহন করার আশংকা করে, তাহোলে প্রকৃত পক্ষে তাদের আল্লাহ নিরাকার এই বিষয়টির উপর বিশ্বাষ নেই বল্লেই চলে ।
: বিষয়টা পছন্দ এবং অপছন্দ জাতীয়! যিনি নামাজ গ্রহণ করবেন তিনি যদি এ শর্তে নামাজ করতে সম্মত না হন তবে কি আর করা যাবে!
পছন্দ না হওয়ার কারন তাদের আল্লাহ নিরাকার --- এই বিশ্বাষের দুর্বলতা । এই বিশ্বাষ দৃঢ় হলে এমন করার কথা নহে । যারা মুর্তি বা ছবি সরিয়ে নামাজ পড়ে তারা কিন্তু পরক্ষ ভাবে শরিক করে । তারা ঐ সমস্ত জড় পদার্থকে আল্লাহর সমতুল্য মনে করে (নাউযুবিল্লাহ) এবং মনে করে ঐগুলোর ভিতর ভগবত গুন আছে যার উপস্থিতিতে ঈমাণ চলে যাবে তাই ওগুলোকে সরিয়ে রাখে । এই ভাবে তারা পরক্ষ ভাবে শরিক করে ।
যারা মনে করে হাইকোটের সামনে মুর্তি থাকলে ঈমাণ নষ্ঠ হয়ে যাবে তাই ওটাকে সরাতে হবে , তারা কিন্তু পরক্ষ ভাবে ঐ জড় পদার্থকে ভগবান বলে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে এবং তাদের সবার ভিতর আল্লাহ যে নিরাকার এই বিশ্বাষের মূল খুবই দুর্বল ।
আল্লাহ যে নিরাকার এটা বিশ্বাষ করলে মুর্তি সরানোর দাবি করতো না ।
কোন জড় পদার্থকে প্রত্যক্ষ বা পরক্ষ ভাবে শরিক করা গুণার কাজ । এই ভাবে আমাদের কাট মোল্লারা মুর্তিকে পরক্ষ ভাবে শরিক করে ।

০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: স্বীকৃতির প্রথম প্রকার হলো মৌখিক, তারপরে কাজে স্বীকার। আমি জানতে চেয়েছি আল্রাহর আকার থাকা না থাকা বিষয়ে আপনার নিজের মত কি? আপনার আলোচনা থেকে তা’স্পষ্ট হয়নি।

৩২| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১২

স্বতু সাঁই বলেছেন: আপনি লিখেছিলেন, "স্রষ্টার বিপরীত সৃষ্টি।" তাই আমার প্রশ্ন ছিলো "স্রষ্টার বিপরীত কি করে সৃষ্টি হয়?" স্রষ্টা যদি সৃষ্টিকারী হয় তবে সৃষ্টিকারীর বিপরীতার্থ হয় ধ্বংসকারী, তা সৃষ্টি কি করে হয়? আমার প্রশ্নের উত্তরে লিখছেন, "অসীম নিরাকার স্রষ্টা, সৃষ্টি নয়।" এখন আবার প্রশ্ন জাগলো, ভুলটা কি আমার নাকি আপনার?"

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: স্রষ্টা ও সৃষ্টি সমার্থক না হলেতো বিপরীতার্থক হওয়ার কথা। আর একই শব্দের এধীক সমার্থক ও বিপরীতার্খক রয়েছে। তাহলে আবার ভাবুন ভুলটা আসলে কার?এমন আরেক জোড়া শব্দ হলো ছাত্র ও শিক্ষক। এমন আরো আছে।

৩৩| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

এ আর ১৫ বলেছেন: আমি জানতে চেয়েছি আল্রাহর আকার থাকা না থাকা বিষয়ে আপনার নিজের মত কি?

আমার মত কি হতে পারে সেটা কি আমার মন্তব্য থেকে প্রকাশ হচ্ছে না । আল্লাহর কোন আকার নেই তাই কোন আকার বিসিষ্ট বস্তু যে সৃষ্টিকর্তা হতে পারে না যেমন মুর্তি বা অন্য কিছু ।
আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন যারা মুর্তির বিরুধীতা করে তারা কি পরক্ষ ভাবে শরিক করে কিনা ???

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এখন আপনার মত ক্লিয়ার হলো।
এবার মুর্তি প্রসঙ্গ, আমাদের নোয়াখাইল্লা ভাষায় একটা কথা আছে, ‘আপদারে দিছে পদ’ তার মানে যে যে পদের যোগ্য নয় তাকে সে পদ প্রদান করা। মুর্তির আল্লাহ হওয়ার কোন যোগ্যতা নেই, তথাপি তাকে ঈশ্বর ও ভগবান বলা হয়। এখানেই দোষ। সে তো আল্লাহর শরীক হতেই পারেনা তথাপি তাকে সরাসরি আল্লাহর শরীক মনে করা, মহামিথ্যা মহাপাপ।
মুর্তির বিরোধীতা বলতে এ কথা বলা যে মুর্তি সৃষ্টিকর্তা নয়, এতে শরীক হবে কেমন করে?

৩৪| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: বিশেষ্যর বিপরীতার্থ হয় এই প্রথম শুনলাম, তাই প্রথমেই বলেছিলাম এই ব্যকরণ কি স্ব-রচিত? তাহলে জলের তেলের পানির বিপরীতার্থ কি হবে? হা হা হা... যাক ব্যকরণ শিক্ষা এখানেই সমাপ্ত করলাম। শেষে আপনার কাছে ব্যকরণ শিখতে গিয়ে বাংলা ব্যকরণের জায়গায় আরবী ব্যকরণ শিখে ফেলবো। হা হা হা..

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: রোদ ও বৃষ্টি কি বিশেষ্য নয়? মা ও বাবা, স্বামী ও স্ত্রী, এগুলো কি বিশেষ্য নয়?

৩৫| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

এ আর ১৫ বলেছেন: মুর্তির বিরোধীতা বলতে এ কথা বলা যে মুর্তি সৃষ্টিকর্তা নয়, এতে শরীক হবে কেমন করে?

জী না তারপর কিছু কথা আছে । আল্লাহ যদি নিরাকার হয় তখন বাই ডিফ্লট কোন আকার আকৃতি বিশিষ্ঠ কোন কিছুই বিধাতা হতে পারে না । থেমিসের মুর্তি কখনো বিধাতা হতে পারে না কারন থেমিসের আকার আছে ওজন আছে জড় পদার্থ । কিন্তু যারা এটাকে ভগবত গুণের অধিকারি মনে করে এবং মনে করে এটার মধ্য ঈমাণ হরনের ক্ষমতা আছে যদি এটা চোখের সামনে থাকে , তাই ওটাকে সরিয়ে ফেল -- এই দাবি করে । তাহোলে ত তারা এটাকে জড় পদার্থ না ভেবে ভগবত গুণের অধিকারি হিসাবে পরক্ষ ভাবে স্বীকৃতি দিল । আল্লাহ নিরাকার এই বিশ্বাষ যদি শক্তিশালী হতো তাহোলে মুর্তিকে জড় পদার্থ ভাবার কথা এবং এটা দেখলে যে ঈমাণ চুত হয় না সেটা ঊপলদ্ধি করার কথা । তারা মনে করে মুর্তির মধ্য ভগবত গুণ আছে যেটা ইসলামের সাথে সাংঘর্সিক এবং ভাবনাটাই পরক্ষ ভাবে শরিক করা । তাই তারা এটাকে আড়াল করতে চায় । আল্লাহ নিরাকার এই ভাবনাটা যদি শক্তিশালী হতো তাহলে মুর্তিকে ভগবত গুণের অধিকারি না ভেবে জড় পদার্থ ভাবতো । জড় পদার্থ ভাবলে থেমিসের মুর্তিতে তো কারো ঈমাণ যাওয়ার কথা না !!!

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আসলে কারো মনের খবর সেই ভাল জানে। আর মানুষ অনেক অহেতুক কাজও করে যেগুলোতে কোন যুক্তি থাকেনা। এখন কার হিসাব কি সে তা’ করুক। এত মানুষের এত হিসাব নিয়ে তো আর চলবেনা।

৩৬| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন এক ও অদ্বিতীয়।
তার প্রেরিত সর্বশেষ কিতাব আল কুরআনকে আমরা সবাই আমাদের জীবন বিধান বলে মানি।
আমরা সকলেই সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কে অনুসরন করি। তাঁকে সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল বলে মানি। সকলেই নিজেকে তার উম্মত বলে স্বীকার করি।

তাহলে আমাদের মধ্যে এত দলাদলি কেন?

মুসলমানদের মধ্যে বিরাজমান এই বিভেদ আমাকে আহত করে। এর সমাধান হওয়া উচিৎ।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন আমাদের সঠিক জ্ঞান দান করুন। সত্য বোঝার তৌফিক দান করুন। সঠিক জ্ঞানের দ্বারা সকলকে একতাবদ্ধ করুন। আমাদের কে রক্ষা করুন। আমীন।

০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ যাদের বিভ্রান্ত করবেন, তাদের জন্য তিনি কিছু ব্যবস্থা রাখেন। আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল ও মঞ্জুর করুন -আমিন।

৩৭| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৫২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: প্রথমেই জানাই অশেষ ধন্যবাদ। আপনার পোস্ট এবং কমেন্ট পড়ে অনেক চিন্তার খোরাক পেলাম।

আপনার কিছু প্রশ্ন কৌতূহলদ্দিপক। আমার ভাবনাগুলো শেয়ার করতে মন চাচ্ছে।

আল্লাহ তাআলা আরশেই অবস্থান করলে আরশ সৃষ্টির আগে আল্লাহ তাআলা কোথায় ছিলেন?


আল্লাহ'র আরশের আগে অন্য কোন সিমিলার কিছু ছিলো কি যাতে আল্লাহ আরোহণ করতেন? মসজিদ আল্লাহ'র ঘর। মসজিদ ছোট-বড় আছে। জৌলুসের দিক থেকেও কম-বেশি আছে। আল্লাহর এখনকার আরোশ আগের চেয়ে বেশি জৌলুসের অধিকারী, এটা বুঝানো হয়েছে কি?


কিয়ামতের সময় সব কিছু যখন ধ্বংস হয়ে যাবে তখন আল্লাহ তাআলা কোথায় থাকবেন?

আল্লাহ সবকিছু বলতে নিজের আরোশও বুঝিয়েছেন কি? মিরাজের সময় জিব্রাইল(আঃ) বিশেষ এক জায়গা পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে পৌঁছে দিয়ে আর এগুননি। সেই জায়গার পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একা গিয়েছেন। সেই 'জায়গা'-ও কি ধ্বংস হবার কথা আল্লাহ বলেছেন?

আল্লাহ তাআলা আরশেই অবস্থান করলে মুসা আঃ কে দেখা দেয়ার জন্য তূর পাহাড়ে কেন ডেকে নিলেন?

পৃথিবী'র সব জায়গাতেই নামাজ পড়া যায়। তারপরও মসজিদ বানানোর দরকার কেন পড়লো?

বিভিন্ন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, শেষ রাতে আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে এসে বান্দাদেরকে ইবাদত করার জন্য আহ্বান করে থাকেন, যেন বান্দা ইবাদত করে।

এখন প্রশ্ন হল, সারা পৃথিবীতে একই সময়ে শেষ রাত হয় না, এক দেশ থেকে আরেক দেশের সময়ের পার্থক্য রয়েছে। এক ঘন্টা থেকে নিয়ে বার তের ঘন্টা এমনকি বিশ বাইশ ঘন্টাও। তাহলে কি আল্লাহ তাআলা বাংলাদেশের আসমানে শেষ রাতে একবার আসেন, তারপর তিন ঘন্টা পর আবার সৌদিতে যান, তারপর এভাবে একের পর এক দেশের প্রথম আসমান ঘুরতেই থাকেন?


এটার উত্তর এভাবে দেওয়া যায় কি---

আল্লাহ স্থির জায়গায় থাকেন, কিন্তু পৃথিবী আর আপন গতিতে ঘূর্ণায়মান। আল্লাহ যে জায়গায় থাকেন সেই সময়, সেখানে সময় স্থির। পৃথিবী'র যে জায়গা সেই স্থির সময়ের জায়গায় আসে, তখন পৃথিবী'র সময়ও স্থির হয়ে যায়। যেমন, প্রত্যেকটি জায়গায়, মধ্যরাত বলতে যদি ৪টা বুঝায়, নির্দিষ্ট সেই জায়গায় আসার সাথে সাথে মধ্যরাত হয়ে যাবে। এরপর, অন্য কোন দেশের পালা। আল্লাহ যে জায়গায় আসেন, সেই জায়গায় সময় স্থিরই থাকে।

কেমন করে? মেরাজের রাত্রির কথা মনে করুন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সব ঘুরে আসার পরও অজুর পানি গড়িয়ে পড়তে দেখেছেন। তার মানে, পৃথিবী'র সময়, আর ঊর্ধ্বাকাশের সময় এক নয়।



আপনি আহলে হাদিসদের উদ্দেশ্য প্রশ্ন করেছেন। এই উত্তরগুলো কি হয় তা পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম। উনাদের কাউকে উত্তর দিতে না দেখে, নিজেই মনে হলো একটু চিন্তা করি। উপরের সব কিছুই আমার নিজের চিন্তা প্রসূত। কোন ভুল হলে আল্লাহ আমাকে মাফ করুন।

০৯ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ'র আরশের আগে অন্য কোন সিমিলার কিছু ছিলো কি যাতে আল্লাহ আরোহণ করতেন? মসজিদ আল্লাহ'র ঘর। মসজিদ ছোট-বড় আছে। জৌলুসের দিক থেকেও কম-বেশি আছে। আল্লাহর এখনকার আরোশ আগের চেয়ে বেশি জৌলুসের অধিকারী, এটা বুঝানো হয়েছে কি? এমন একটা সময় ছিল যখন আল্লাহ ছাড়া কিছুই ছিলনা।

০৯ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ সবকিছু বলতে নিজের আরোশও বুঝিয়েছেন কি? মিরাজের সময় জিব্রাইল(আঃ) বিশেষ এক জায়গা পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে পৌঁছে দিয়ে আর এগুননি। সেই জায়গার পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একা গিয়েছেন। সেই 'জায়গা'-ও কি ধ্বংস হবার কথা আল্লাহ বলেছেন?
আল্লাহ বলেছেন, তিনি ছাড়া আর সব কিছুই ধ্বংস হবে।

০৯ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পৃথিবী'র সব জায়গাতেই নামাজ পড়া যায়। তারপরও মসজিদ বানানোর দরকার কেন পড়লো? মসজিদের দরকার পড়েছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নামাজ পড়ার জন্য। আল্লাহর আরশও নিয়মতান্ত্রিকতার অংশ। এরমানে এই নয় যে তিনি সেখানেই বরপের মতো জমে আছেন। আরশ থেকে আল্লাহ আদেশ জারি করেন এবং বিভিন্ন প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি সেখানে তিনি তাঁর হাবিবকে সাক্ষাত প্রদান করেছেন।

০৯ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কেমন করে? মেরাজের রাত্রির কথা মনে করুন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সব ঘুরে আসার পরও অজুর পানি গড়িয়ে পড়তে দেখেছেন। তখন পৃথিবীর সময় স্থির করা না হলে মহানবী (সঃ) ফিরে এসে রেখে যাওয়া কাউকে ফিরে পেতেন না। সেটা নিয়ম তান্ত্রিকতার অংশ নয়।

০৯ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহর আরশ স্থির আমাদের মধ্যরাত তাঁর আরশের দিকে ঘুরে। ঘটনা হলো আল্লাহর আরশ একটা নয় অনেক গুলো। মূল আরশ হলো আরশে আজিম। আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান হলেও ফেরেশতাদের সাথে তাঁর কার্যসমাধা করেন আরশে আজিম থেকে। চতুর্থ আকাশ থেকে বান্দার আরজি গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও সূর্য অস্ত বরাবর তাঁর সূর্য নিয়ন্ত্রণ আরশ রয়েছে। এ আরশগুলোর সব গুলোই তাঁর দপ্তর। এমন আরশ অসংখ্য সব গুলোর বর্ণনা আসেনি।

৩৮| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪২

Imtiaz Arnab বলেছেন: রিসার্চ পেপার লিখছি। সাইন্টিফিক মেথডে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমানের একটি ছোট্ট প্রচেষ্টা বলা যেতে পারে।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি সফল হোন এ কামনা করি। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.