![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোনবীজ অথবা হে ধুলোবালি ছাই
অবশেষে এলেনতো উঁকি দিয়ে যেতে!
কবিতার পাঠ শেষে কিছু কথা বলে
বুঝালেন কত কথা মুগ্ধ মনে পড়ি।
কি সৌরভ সে কথার বহে প্রাণ মনে,
দৃষ্টান্তের ফুল কত ঝরে পড়ে হেথা
অঞ্জলীতে সে ফুলের শোভা চেয়ে দেখি,
অজানার কথাগুলো চন্দ্র স্নাত যেন।
আপনার আগমন হেথা বৃষ্টি রোদ
সিক্ত করে দীপ্ত করে কষ্ট করে দূর।
সে সকল হৃদয়েতে ফুর ফুরে বায়
উড়ে চলে অহর্নিশ সুখ সেতো বটে!
নায়ে চড়ে যেন বধু পিতৃ গৃহে যায়
আনন্দেতে ঢল ঢল টলটল মন।
-প্রিয় কবি আপনাকে নিয়েই প্রথম অমিত্রাক্ষরের ট্রায়াল করলাম। আপনার মন্তব্য সহ পোষ্ট করতে চাই বলে, আশা করি সেটা সিগ্র পাব। তারপর আপনার অনুমতি সাপেক্ষে পোষ্ট করব।
কবির মন্তব্য
এ আপনি কী করেছেন ফরিদ ভাই? আমাকে নিয়েও সনেট লিখে ফেললেন! আমার জন্য এ এক দারুণ চমক।
আমার সনেটের উপর পোস্টটাতে নিয়ম ভাঙার কথা বলেছিলাম বেশ জোরে-সোরে। আপনি সেই নিয়ম ভাঙার খেলায়ও এক দারুণ চমক দেখালেন।
এটাকে অমিত্রাক্ষর বলা যেতে পারে, তবে অমিত্রাক্ষর ছন্দের আরো প্রধান বৈশিষ্ট্য এখানে অনুপস্থিত রয়েছে, যেমন, বাক্যের প্রবহমানতা। এটা খাঁটি মাত্রাবৃত্ত হয়েছে, যাতে প্রতি পঙ্ক্তিতে ৮ ও ৬ মাত্রার দুটি পর্ব রয়েছে।
আপনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। সনেট আজকাল তেমন কাউকে লিখতে দেখা যায় না। আমার জানা ও দেখা মতে নির্ঝর নৈঃশব্দ্য নিয়মিত সনেট লিখছেন, এবং এবারের বইমেলায় তাঁর সনেটগুচ্ছ বই আকারে বের হয়েছে। এ ছাড়া ফেইসবুকে কালেভদ্রে দু-একজনকে লিখতে দেখা যায়। আজকাল যেখানে অন্ত্যমিলকে ঝাঁটিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, সেখানে সনেট লিখে অন্ত্যমিলকে ফিরিয়ে আনতে অনেকেই হয়ত পছন্দ করছেন না, তা ছাড়া সনেট লিখা একটা জটিল কাজই আমার কাছে মনে হয়। কতসব নিয়ম শৃঙ্খল!! তবে আপনার সনেট লিখা পড়লে মনে হয় এ কাজ আপনার পক্ষে নিতান্ত অনায়াসলব্ধ।
ভালো থাকুন। আমি রিক্ত। কিন্তু আমার নামে সনেট লিখায় আমি সত্যিই সিক্ত এবং আনন্দিত প্রিয় ফরিদ ভাই।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সব সময়।
১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: সুন্দর কবিতা
১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৩| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
সত্যের ছায়া বলেছেন: আপনার লেখা মানুষ কে উৎসাহিত করবে।
১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৮
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
৪| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৫
সত্যের ছায়া বলেছেন: নাম সিলেক্ট করেন কিভাবে?
১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ কবির নাম কিভাবে সিলেক্ট করলাম সেটা দেখবেন নতুন নকিবকে নিয়ে লেখা কবিতায় গেলে।
৫| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১২
টুনটুনি০৪ বলেছেন: কবিতায়+++++++++++
১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩০
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৫
উম্মে সায়মা বলেছেন: এটা আগেরগুলো থেকে ভিন্ন হওয়ায় পড়তে আরো ভালো লাগছে। দুজনের জন্যই শুভ কামনা।
১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার পোষ্ট গুলোও বেশ উপভোগ করি।
৭| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:০২
নাগরিক কবি বলেছেন: দুই কবির জন্য শুভকামনা
১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আর নাগরিক কবির জন্য নিরন্তর শুভেচ্ছা।
৮| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ প্রকাশ।
১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৯| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর কবিতা । পড়ে অনেক ভাল লাগল।
১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর প্রিয় কবি।
১০| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
ফরিদ ভাই,
অনবদ্য রীতিমত। অভিনন্দন অন্তহীন। খলিল ভাই এবং আপনাকে অন্তহীন শুভেচ্ছা। পোস্টে যুক্ত তার মন্তব্যটিও অসাধারন।
১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তাঁর নাম কি খলিল? তার সম্পর্কে আপনি আর কি জানেন? জানালে খুব ভাল লাগতো।
১১| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
দুই কবির জন্যই শুভ কামনা রইলো ।
ভালো থাকুন ।
১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সেই সাথে আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা। আপনার জীবন হোক আনন্দময়-আমিন।
১২| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫২
তানুন ইসলাম বলেছেন: কবিতা টি অসাধারণ হয়েছে,
১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: প্রথমে দুই কবিকেই শুভ কামনা জানাই।
অমিত্রাক্ষর খুব ভালো লাগলো, শেখার অনেক কিছু আছে।
মন্তব্য ও বক্তব্য খুব ভালো লাগলো, আসলেই সনেট সহজ নয়, অনেক নিয়ম কানুন মানতে হয়।
অনেক ধন্যবাদ।
১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১১
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।
১৪| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০
বিজন রয় বলেছেন: যোগ্যতর কবিকে নিয়ে যোগ্যতম সনেট।
+++++
সোনাবীজ ও আপনাকে সবসময়ের শুভকামনা।
১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কবি আপনাকে নিয়ে লেখা সনেটটি, এ সনেটটি আলোচিত পাতা থেকে নামার পর পোষ্ট করার ইচ্ছা রাখি। আপনার মন্তব্যগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। সেগুলি যদি আমি পোষ্টে সেট করি। তথাপি পোষ্টে আপনার একটা মন্তব্য অন্তত লাগবে, আপনার মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য যোগ করার জন্য। আর আমিতো জেনারেল। আমার লেখা আলোচিত পাতায় আসার জন্য লাইক ও কমেন্টস গুরুত্বপূর্ণ।
১৫| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার সনেট গুণে সবসময় আমার মুগ্ধতা থাকে প্রিয় কবি। সবাই যা পারেননা আপনি তা অনায়াসে করে ফেলেন। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়েই চলেছে দিনদিন। চলতে থাকুক অবিরত।
আর সোনাবিজ ভাইয়ের মন্তব্যটা পারফেক্ট। অনেক শিখনীয়। তাই প্রিয়তে।
শুভকামনা জানবেন প্রিয় কবি।
১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর প্রিয় কবি।
১৬| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ফরিদ ভাই,
তার সম্পর্কে যতটুকু জানি, তিনি অনেক গুনের সমাহারে অন্যরকম ভাল একজন মানুষ। তিনি সদালাপী। বরেন্য লেখক কবি। তার আন্তরিকতাপূর্ন সম্ভাষন আমাদের মুগ্ধ করে।
ভাল থাকুন।
১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কবি আমি তাঁর সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চাই। পুরো নাম ঠিকানা পেশা ইত্যাদি জানলে জানাবেন।
১৭| ১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
ফরিদ ভাই,
দু:খিত! এত কিছু তো জানা নেই। কেন, আপনার প্রয়োজন হলে তাকে বললেই তো পারেন। তিনি তো মোস্টলি ভদ্রলোক।
ভাল থাকার দোআ অন্তহীন।
১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পুরো নামটাও কি জানা নেই? শুধুই খলিল ভাই? ব্যক্তিগতভাবে আপনার সাথে তার পরিচয় আছে কি?
১৮| ১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কবিদ্বয়কে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছ।
১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।
১৯| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একে তো আমাকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন, সেটি আবার আলাদা একটা পোস্ট আকারেও পাবলিশ করেছেন। এত আনন্দ ধরে রাখার জায়গা পাচ্ছি না প্রিয় ফরিদ ভাই। আমাকে অনেক ঋণী করে ফেললেন, কৃতজ্ঞতার কোনো ভাষা নেই।
সনেট সম্পর্কে গতানুগতিক আরেকটা কথা যোগ করি। অন্ত্যমিলই সনেটের প্রধান বৈশিষ্ট্য নয়; ভাবের উপস্থাপনা, সম্প্রসারণ ও উপসংহার, ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য উপস্থিত না থাকলে তা সনেট হয় না। আপনি যেহেতু অন্ত্যমিলকে অমিত্রাক্ষরে নিয়ে যাচ্ছেন, সে-ক্ষেত্রে সনেটের মূল বৈশিষ্ট্যের উপর খুব বেশি করে জোর দিতে হবে। নইলে তা অমিত্রাক্ষর ছন্দের সাধারণ কবিতা হিসাবে গণ্য হবে। আর সনেটের উপর কিছুটা স্টাডি করতে যেয়ে আজও আমি ভাবের এসব বৈশিষ্ট্য বুঝে উঠতে পারি নি, তা ছাড়া অন্ত্যমিল জটিলতা তো আছেই; এজন্য সনেট লিখতে আমি কখনো আগ্রহী হই নি (জীবনে মাত্র একটা লিখেছ)। তবে, শুধু সনেটই নয়, কবিতা খুব স্বচ্ছন্দ গতিতে আপনার মগজ থেকে বের হয়, তা পড়লেই বোঝা যায়।
আপনার প্রচেষ্টা দুর্বার গতিতে ধাবমান হোক, এই কামনা করছি।
নতুন নকিব ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার সম্পর্কে এতগুলো পজিটিভ কথা বলার জন্য। আমি যেন সত্যিকার অর্থেই তা হতে পারি, সেই দোয়া চাই।
যারা এ কবিতাটি পড়লেন, কবি ও আমাকে শুভেচ্ছা জানালেন, তাঁদের সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন সবাই।
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৭
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাবের উপস্থাপনা, সম্প্রসারণ ও উপসংহার, এসব আমার কবিতায় আগে থেকেই আছে। আর অন্তমিল ছাড়া লেখা যদি অমিত্রাক্ষর হয়ে থাকে তবে আমি বলব এটা সবচেয়ে সহজ। কারণ অন্তমিল দেওয়াটাই কঠিন। সে যাই হোক সনেটের জন্য যত শর্তই দেওয়া হোক আমি সেটা পারকরা অসম্ভব বলে মনে করিনা। সনেটের যা শর্ত এযাবৎ আমি দেখেছি তা’হলো অষ্টক ও ষষ্টক এবং উপস্থাপন ও ফিনিশিং। প্রবাহমানতা সকল লেখার সাধারণ শর্ত সনেটের আলাদা কোন শর্ত নয়। আর ভাব ছাড়াতো সাহিত্য হয়না।
ভাব হলো আনন্দ দুঃখ বেদনা স্তব্ধতা রাগ অনুরাগ প্রীত ভক্তি শ্রদ্ধা সম্মান স্নেহ স্বীকৃতি অনুপ্রেরণা উৎসাহ বাহবা ইত্যাদি। এছাড়া ভাব বলতে আর কিছু আছে কি? তো এসব আমার কবিতায় অনুপস্থিত থাকেনা।
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নেটে যা পেলাম তাতে বলা আছে সনেট মূলত অক্ষর বৃত্তে হয় এবং বিশেষ ধারার অন্তমিল থাকতে হয়। আর থাকতে হয় উপস্থাপন ও উপসংহার।
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: উইকি পিডিয়া প্রদত্ত সনেট পরিচিতি-
চতুর্দশপদী (Sonnet) হল এক ধরনের কবিতা যার প্রথম উদ্ভব হয় মধ্যযুগে ইতালিতে। এর বৈশিষ্ট হল যে এই কবিতাগুলো ১৪টি চরণে সংগঠিত এবং প্রতিটি চরণে সাধারণভাবে মোট ১৪টি করে অক্ষর থাকবে।এর প্রথম আট চরণের স্তবককে অষ্টক(Octave) এবং পরবর্তী ছয় চরণের স্তবককে ষষ্টক(Sestet) বলে।অষ্টকে মূলত ভাবের প্রবর্তনা এবং ষষ্টকে ভাবের পরিণতি থাকে।
উইকি প্রদত্ত দৃষ্টান্ত-
মাইকেল মধুসূধন দত্তের একটি চতুর্দশপদী।
“বউ কথা কও”[২]
কি দুখে, হে পাখি, তুমি শাখার উপরে
বসি, বউ কথা কও, কও এ কাননে ?—
মানিনী ভামিনী কি হে, ভামের গুমরে,
পাখা-রূপ ঘোমটায় ঢেকেছে বদনে ?
তেঁই সাধ তারে তুমি মিনতি-বচনে ?
তেঁই হে এ কথাগুলি কহিছ কাতরে ?
বড়ই কৌতুক, পাখি, জনমে এ মনে—
নর-নারী-রঙ্গ কি হে বিহঙ্গিনী করে ?
সত্য যদি, তবে শুন, দিতেছি যুকতি;
(শিখাইব শিখেছি যা ঠেকি এ কু-দায়ে)
পবনের বেগে যাও যথায় যুবতী;
“ক্ষম, প্রিয়ে” এই বলি পড় গিয়া পায়ে!—
কভু দাস, কভু প্রভু, শুন, ক্ষুন্ন-মতি,
প্রেম-রাজ্যে রাজাসন থাকে এ উপায়ে।
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুতরাং সনেট হবে যদি প্রতি চরণে ১৪ অক্ষর থাকে, অষ্টক ও ষষ্টক থাকে। অষ্টকে উপস্থাপন ও ষষ্টকে ফিনিসিং থাকে। অন্যসব কারুকাজ প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয় তা’ সনেটের শর্ত নয়। তবে অন্তমিলহীন সনেটের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়নি, যা শুধু আমি দু’খান লিখলাম।
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সনেটের গুন হলো আপনি এটাকে অবশ্যই চৌদ্দ লাইনে শেষ করবেন অথবা চৌদ্দ লাইন পর্যন্ত টেনে নিবেন। এর আগে আপনার কথা শেষ বা এর পর পর্যন্ত কথা থেকেগেলে চলবেনা।
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: উইকি প্রদত্ত সনেট পরিচিতি অনুযায়ি আমি ভাবছি আমি সব ছন্দে সনেট লিখব। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে সোজা হলো অমিত্রাক্ষর।
২০| ১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় ফরিদ ভাই, খুব ভালো লাগছে দেখে যে সনেট নিয়ে আপনি বেশ গবেষণা করছেন, যদিও এত গবেষণা না করেও আপনি খুব ভালো সনেট লিখেছেন।
উইকির সবগুলো তথ্য নির্ভুল না। সনেট ১৪ লাইন নয়, ১৬ লাইনেও লেখা হয়েছে। মাত্রা শুধু ১৪ নয়, ২৬ বা ৩২ মাত্রা পর্যন্তও লেখা হয়েছে। এর অনেকগুলো উদাহরুণ আমার পোস্টে দেয়া আছে। এত বেশি মাত্রার সনেট লিখেছেন জীবনানন্দ দাশ।
সব কবিতাই ছন্দে লেখা হয়, যদিও সব কবিতা 'অন্ত্যমিল' দিয়ে লেখা হয় না। ছন্দ সমীক্ষণে 'অন্ত্যমিল' নিয়ে আলোচনা হতে দেখা যায় না। এটা একটা অলঙ্কার মাত্র (অন্ত্যানুপ্রাস)।
প্রবাহমানতা সকল লেখার সাধারণ শর্ত সনেটের আলাদা কোন শর্ত নয়। - এ কথাটা ঠিক আছে। কিন্তু আমি সনেটের শর্তের কথা বলি নি, আমি বলেছি অমিত্রাক্ষর ছন্দের বৈশিষ্ট্যের কথা। কথাটা ভাবের প্রবহমানতা না বলে বাক্যের প্রবহমানতা বলে তা অধিক সহজবোধ্য হয়। অর্থাৎ এই ছন্দে ভাব চরণ-অনুসারী হয় না, অর্থাৎ কবিকে একটি পঙ্ক্তিতে একটা ভাব প্রকাশ করতেই হবে, তা নয়; বরং ভাবটি পূর্ণ করার জন্য পরের পঙ্ক্তি পর্যন্ত যেতে হতে পারে, এবং পঙ্ক্তির মাঝখানেও বিরামচিহ্ন বসতে পারে। বিরাম চিহ্নের স্বাধীনতা, বা যেখানে যেই বিরামচিহ্নের প্রয়োজন, সেখানে সেটি বসানোই অমিত্রাক্ষর ছন্দের বৈশিষ্ট্য।
------------------------------------তথা
জাগে রথ, রথী, গজ, /// অশ্ব, পদাতিক
অগণ্য। দেখিলা রাজা /// নগর বাহিরে
রিপুবৃন্দ, বালিবৃন্দ, /// সিন্ধুতীরে যথা
নক্ষত্রমণ্ডল, কিংবা /// আকাশমণ্ডলে।
প্রথম বাক্যটি পঙ্ক্তির শেষে সমাপ্ত না হয়ে ২য় পঙ্ক্তি পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে শুরুতেই (এক শব্দের শেষে) সমাপ্ত হয়েছে (তথা
জাগে রথ, রথী, গজ, অশ্ব, পদাতিক অগণ্য।)। এটাকেই বলা হয় প্রবহমানতা (প্রবাহমানতা নয়)।
"গিয়েছে আশ্বিন — পূজার ছুটির শেষে
ফিরে যেতে হবে আজি বহুদূরদেশে
সেই কর্মস্থানে। ভৃত্যগণ ব্যস্ত হয়ে
বাঁধিছে জিনিসপত্র দড়াদড়ি লয়ে,
হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি এ-ঘরে ও-ঘরে।
ঘরের গৃহিণী, চক্ষু ছলছল করে,
ব্যথিছে বক্ষের কাছে পাষাণের ভার,
তবুও সময় তার নাহি কাঁদিবার
একদণ্ড তরে; বিদায়ের আয়োজনে
ব্যস্ত হয়ে ফিরে; যথেষ্ট না হয় মনে
যত বাড়ে বোঝা। আমি বলি, ‘এ কী কাণ্ড!
এত ঘট এত পট হাঁড়ি সরা ভাণ্ড
বোতল বিছানা বাক্স রাজ্যের বোঝাই
কী করিব লয়ে কিছু এর রেখে যাই
কিছু লই সাথে।'
------------------------সে কথায় কর্ণপাত
নাহি করে কোনো জন। ‘কী জানি দৈবাৎ
এটা ওটা আবশ্যক যদি হয় শেষে
তখন কোথায় পাবে বিভুঁই বিদেশে?"
'যেতে নাহি দিব' কবিতাটিতেও বাক্যের প্রবহমানতা বিদ্যমান, কিন্তু এটি অমিত্রাক্ষর নয়, এটা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের কবিতা। এতে অন্ত্যমিলটা না থাকলেই অমিত্রাক্ষর হয়ে যেত।
ও, ১৪ মাত্রার সনেট অক্ষরবৃত্তই হবে। আমার স্মৃতিভ্রমের কারণে মাত্রার কথা মনে ছিল না। মাত্রাবৃত্তে ৪ থেকে ৭ মাত্রার মূল পর্ব থাকে, অক্ষরবৃত্তে ৮ বা ১০ মাত্রার মূল পর্ব হয়। ১৪ মাত্রার সনেট ৮ ও ৬ মাত্রার ২ পর্ব দিয়ে গঠিত, তাই এটি অক্ষর বৃত্ত।
স্বাধীনতা তুমি
রবি ঠাকুরের /// অজর কবিতা, /// অবিনাশী গান
স্বাধীনতা তুমি
কাজী নজরুল -/// ঝাঁকরা চুলের /// বাবরিদোলানো /// মহান পুরুষ
এটা কিন্তু অমিত্রাক্ষর নয়, এটা মাত্রাবৃত্ত ছন্দের কবিতা, যেখানে প্রতি পর্বে ৬টি করে মাত্রা রয়েছে।
ভালো থাকুন।
১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার এ মন্তব্যে অনেক কিছুই সুস্পষ্ট হয়েছে। যারা কবিতা লিখেন তারা যদি আপনার এ মহা মূল্রবান মন্তব্য মনদিয়ে পড়েন তাহলে আশাকরি তরা অনেক কিছুই শিখতে পারবেন। নতুন নকিব আপনার সম্পর্কে যথার্থ বলেছেন। আল্রাহ আপনার দীর্ঘায়ু দান করুন-আমিন।
২১| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ফরিদ আহমদ চৌধুরী ,
অঞ্জলীতে ফুলের শোভা নিয়ে আপনি ছড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছেন , বিশিষ্ট ব্লগারদের সৌগন্ধ ।
এবারে এই পোস্টের বাড়তি সৌন্দর্য্য হলো সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই আর ফরিদ আহমদ চৌধুরীর মন্তব্য চালাচালি । এই ঋদ্ধ আলোচনা অনেকেরই কাজে লাগবে নিঃসন্দেহে । শিখতেও পারবেন অনেক কিছু ।
যোগ্য লোককেই তুলে এনেছেন । "সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই" এর জন্যে রইলো অফুরন্ত ভালোবাসা ।
আর ব্লগ ও ব্লগারদের জন্যে যে ভালোবাসার উষ্ণ প্রস্রবন আপনি ঝড়িয়ে যাচ্ছেন নিয়ত , তাতে রইলো আন্তরিক অভিনন্দন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪২
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: স্যার, আপনি এসেছেন, অনেক খুশী হলাম। আপনাকে সম্মান জানানোর ভাষা খুজছি। দেখি কবে নাগাদ মিলাতে পারি।
১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪০
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:
আহমেদ জি এস ও দেবলীনা
স্যার, আমি দেবলীনা, আপনার লীনা
মনোযোগ দিয়ে পড়ি আপনার সব
কবিতার গুষ্ঠি-জ্ঞাতি। পড়েথাকি আমি
আপনার কবিতায়, কি কারণ হলে?
‘হাতি উড়ে আকাশেতে’ মজাদার কথা!
মধুখেকো মাছি আসে কবিতার ঘ্রাণে!
কবিতার রাজ্য জয়ী বীর এক দেখে
ক্ষণে ক্ষণে নিত্য আমি বিমোহীত হই।
অজানার কত কথা জেনে হই প্রীত
আপনার কবিতায় সজিবতা আছে!
জিজ্ঞাসিত হয়ে আমি ভাবছি কি বলি?
আহমেদ জি এস হে কবিতায় প্রাণ
থাকে যার অফুরান। যাদু করে পাঠে,
দেবলীনা এটুকুই জানে সদা স্যার।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
২২| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর হয়েছে কবিবরকে নিয়ে কবিতা
অভিনন্দন রইল দুজনের তরে ।
১৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার একটু চেষ্টায় গুনি যদি আরো গুনি হয়ে উঠেন তবে সেটা সকলের মঙ্গলের কারণ হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৮
মো সজীব হাসান খাঁন বলেছেন: দুই কবির জন্য শুভেচ্ছা।