নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হজরত ইব্রাহীমের (আঃ) হানাফী মিল্লাত

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১১



আল্লাহ বলেছেন,‘ ক্বুল ইন্নানি হাদানি রাব্বি ইলা সিরাতিম মুসতাকিম, দ্বীনান কিয়ামান, মিল্লাতা ইব্রাহীমা হানিফা, ওয়ামা কানা মিনাল মুশরিকিন- বল, নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালকতো আমাকে সীরাতুম মুসতাকীম (সৎপথ), কায়েম (প্রতিষ্ঠিত) দ্বীন, ইব্রাহীমের হানাফী (একনিষ্ঠ) মিল্লাতের (জাতির) দিকে হেদায়েত প্রদান করেন, আর তিনি মুশরিক ছিলেন না।– (আল-ক্বোরআন, সূরা আনআম, ১৬১ আয়াত)।
*উপরোক্ত আয়াতে কারিমা দ্বারা বুঝাগেল যারা হানাফী তাদেরকে হানাফী মিল্লাতে হেদায়েত করেছেন স্বয়ং আল্লাহ। সুতরাং তাদের ব্যাপারে উল্টা-পাল্টা কথা বলার কোন সুযোগ নেই, বরং যারা বিভ্রান্ত তারাই শুধুমাত্র তাদের বিরোধীতা করে।
* আল্লাহ ইব্রাহীমের হানাফী মিল্লাতকে বলেছেন কায়েম দ্বীন ও সীতাতুম মুসতাকীম, বাস্তবতাও তাই পৃথিবীর মোট মুসলমানের শতকরা দুই তৃতিয়াংশের বেশী হানাফী, আর বাকী এক তৃতীয়াংশের কম অন্য সব মুসলমানদের দল। সুতরাং হানাফী মিল্লাত কায়েম দ্বীন বা সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন হিসেবে আল্লাহর বাণীর সাথে শতভাগ মিলেগেছে। সুতরাং আল্লাহর বাণী অনুযায়ী হানাফী মিল্লাতই হলো সীরাতুম মুসতাকীম। যা আমরা প্রতি রাকাত নামাজে কামনা করি।
আল্লাহ বলেছেন,‘ ওয়ামান আহসানু দ্বীনান মিম্মান আসলামা ওয়াজহাহু লিল্লাহি ওয়াহুয়া মুহসিনুন, ওয়াত্তাবায়া মিল্লাতা ইব্রাহীমা হানিফা, ওয়াত্তাখাজাল্লাহু ইব্রাহীমা খালিলা- যে মুহসীন (সৎকর্ম পরায়ন) হয়ে ইসলাম পালন করে এবং ইব্রাহীমের হানাফী মিল্লাতের অনুসরন করে, তার চেয়ে দ্বীনে কে বেশী উত্তম? আর আল্লাহ ইব্রাহীমকে খলিল (বন্ধু) হিসেবে গ্রহণ করেছেন।–(আল-ক্বোআন, সূরা নিসা, ১২৫ আয়াত)।
* আয়াতে কারিমা অনুযায়ী আল্লাহ হানাফী মিল্লাতের শ্রেষ্ঠত্ত্বের ঘোষণা প্রদান করেছেন। সুতরাং তাদের চেয়ে আর কারো উত্তম হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
আল্লাহ বলেছেন,‘ মা কানা ইব্রাহীমু ইয়াহুদিইয়ান ওয়ালা নাসরানিইয়ান, ওয়ালাকিন কানা হানিফাম মুসলিমা, ওয়ামা কানা মিনাল মুশরিকিন- ইব্রাহীম (আঃ) ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান ছিলেন না, বরং তিনি হানিফাম মুসলিমা (একনিষ্ঠ মুসলমান) ছিলেন এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।–(আল-ক্বোরআন, সূরা আলে ইমরান, ৬৭ আয়াত)।
*আয়াতে কারিমা অনুযায়ী মুসলমানদের প্রকৃত পরিচয় হলো, হানিফাম মুসলীমা বা হানাফী মুসলীম বা একনিষ্ঠ মুসলীম।
আল্লাহ বলেন,আল্লাহ বলেছেন, ‘ওয়াক্বালু কুনু হুদান আও নাচারা তাহতাদু, ক্বুল মিল্লাতা ইব্রাহীমা হানিফা, ওয়ামা কানা মিনাল মুশরিকিন-তারা বলে ইহুদী ও খ্রিস্টান হও হেদায়েত পাবে, বল বরং আমরা ইব্রাহীমের হানাফী(একনিষ্ঠ) মিল্লাত (জাতি) হব, এবং তিনি মুশরীক ছিলেন না।–আল ক্বোরআন, সূরা বাকারা ১৩৫ আয়াত।
*আয়াতে কারিমা অনুযায়ী হানাফীরা হানাফী হয়েছে আল্লাহর নির্দেশে এবং এটা প্রত্যেক মুসলমানে জন্য ফরজ।

আল্লাহ বলেছেন,‘ মিল্লাতা আবিকুম ইব্রাহীম, হুয়া সাম্মাকুমুল মুমলিমিন- তোমরা তোমোদের পিতা ইব্রাহীমের মিল্লাত, তিনি তোমাদের মুসলীম নাম রেখেছেন- (আল-ক্বোরআন, সুরা হজ্জ্ব, ৭৮ আয়াত)।
*কিন্তু দুঃখ জনকভাবে হজরত ইব্রাহীমের (আঃ) ছোট ছেলে হজরত ইসহাকের (আঃ) বংশের লোকেরা নিজেদের নাম রেখেছে ইয়াহুদী বা বনি ইসরাঈল। তাদের একটি শাখা হলো খ্রিস্টান। আর হজরত ইব্রাহীমের (আঃ) বড় ছেলে হজরত ইসমাঈলের (আঃ) বংশের লোকেরা তাদের নাম রেখেছে কুরাইশ। ইব্রাহীমের (আঃ) মুসলীম নাম কেউ বজায় রাখেনি বিধায় শব্দটাই বিলুপ্ত হয়ে যায়, কিন্তু হজরত ইসমাইলের (আঃ) বংশের কিছুলোক নিজেদের হানিফ পরিচয় বজায় রাখে, যারা ছিল মুষ্ঠিমেয়। নবুয়তের পূর্বে সেই দলে ছিলেন মহানবী (সঃ) ও হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) সহ আরো অনেকে। সুতরাং মহানবী (সঃ) হেরাগুহায় দ্যান করতে গেছেন হানিফ বা হানাফী হিসেবে এবং হানাফী হিসেবেই তিনি নবুয়ত লাভ করেছেন এবং সূরা বাকারার ১৩৫ আয়াতে আল্লাহ তিনি ও তাঁর উম্মতে হানাফী হতে আদেশ করেছেন। সুতরাং মহানবী (সঃ) নবুয়তের আগে ও পরে হানাফী ছিলেন, তাঁর সাহাবায়ে কেরাম হানাফী ছিলেন। আর আয়াতে কারিমা অনুযায়ী যারা হানাফী বা একনিষ্ঠ নয় তারা মুসলীম নয় বরং মুনাফিক। কারণ দু’দিল বান্দাকে মুনাফিক বলে। আমাদের এলাকায় একটা প্রবাদ আছে,‘দু’দিল বান্দা কালিমা চোর, না পায় শ্মশান না পায় গোর’।আর এরাই কপট বা মুনাফিক।
আলেমুল গায়েব আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রিয় নাম হানিফাম মুসলিমা বা হানাফী মুসলীম বা একনিষ্ঠ মুসলীম ফিরিয়ে আনার জন্য হজরত আলীকে (রঃ) একদল সাহাবায়ে কেরাম সহ ইরাকের কূফায় নিয়ে এলেন। খোলাফায়ে রাশেদার চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রঃ) ইরাকের কূফায় খোলাফায়ে রাশেদার রাজধানী স্থাপন করলেন। কূফাবাসী পুরুষেরা ইবাদতের নিয়ম শিখল সাহাবায়ে কেরামের (রঃ) থেকে আর মহিলারা ইবাদতের নিয়ম শিখলেন সাহাবায়ে কেরামের ঘরের মহিলা সাহবায়ে কেরামের (রাঃ) থেকে। সাহাবায়ে কেরামের এসব অনুসারীর সবাই ছিলেন তাবেঈ (রঃ)। তাঁদের ইবাদত ছিল ইসলামের চলমান ইবাদত, যা ছিল মহানবীর (সঃ) সর্বশেষ আমল থেকে উৎসারিত।কিন্তু হাদীস ছিল দু’প্রকার যথা জারী ও মানসুখ। মানসুখ হাদীসের বিধান মূলত রহিত। যা নামাজে আমল করলে আমলে কাছিরের দায়ে নামাজ বরবাদ হয়।
সাহাবায়ে কেরাম (রঃ) ও তাবেঈনে কেরামের (রঃ) জারী বা চলমান ইবাদতের বিপক্ষে কোন হাদীস উপস্থান করা চরম বেয়াদবী। কারণ এসব হাদীস উপস্থাপন করা দ্বারা বুঝানো হয় সাহাবায়ে কেরাম (রঃ) হাদীস খেলাফী ছিলেন- নাউযুবিল্লাহ।সুতরাং সাহাবায়ে কেরামের চলমান ইবাদতের বিপক্ষে হাদীস বোখারী, ছিয়াছিত্তা অথবা যে কোন হাদীস গ্রন্থ থেকে উপস্থাপন করা হোক তা চরম বেয়াদবী বলে গন্য হবে।আর আল্লাহ বেয়াদবকে হেদায়েত প্রদান করেননা বিধায় এসব লোক গোমরাহ হয়ে যায়।
সাহাবায়ে কেরামের জারী বা চলমান ইবাদতের বিপক্ষে যত্তবড় ছহী হাদীস থাকুক না কেন তা’মানসুখ সাব্যস্ত হবে এবং এর আমল নিষিদ্ধ হবে। কারণ সাহাবায়ে কেরাম হাদীসের প্রথম অনুসারী তাদের ইবাদতের বিপরীত হাদীস জারি হাদীস বা ছহী হাদীস কোন মতেই হতে পারেনা। যদি তা’ ছহী হয় তবে তা’ অবশ্যই মানসুখ হবে, কিছুতেই তা’ জারি হাদীস হবেনা।
মহান আল্লাহ সাহাবায়ে কেরামের এ জারী বা চলমান ইবাদত লিপিবদ্ব করার দায়িত্ব দিলেন মেধাবী ও ফরহেজগার ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ)। যার প্রুফ দেখে ভুল মুক্ত করেছেন মেধাবী ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ), ইমাম মোহাম্মদ (রঃ) ও ইমাম জুফার (রঃ) সহ চল্লিশ সেরা ইমামের পরিষদ।এভাবে আল্লাহ তাঁর ইবাদতের নিয়মকে বিশুদ্ধ করিয়ে নিয়েছেন। যা হেদায়েত প্রাপ্ত মুসলামানেরা পালন করে। আর হেদায়েত প্রাপ্ত মুসলমানদের নাম স্বয়ং আল্লাহ রেখেছেন হানিফাম মুসলীমা বা হানাফী মুসলীম বা একনিষ্ঠ মুসলীম, যাদেরকে সংক্ষেপে হানাফী বলে। অবশ্য হানাফীরা শাফেঈ, হাম্বলী ও মালেকীদেরকেও তাদের একই দলের শাখা মনে করে। তবে আমার মতে সবার হানাফী হয়ে যওয়াই উত্তম কারণ এ নাম আল্লাহর অনেক পছন্দ। হানাফী মুসলীম ও তাদের শাখা মিলে মোট মুসলীমের শতকরা সাতাশি ভাগ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতে রয়েছে।
এ দিকে ফেতনাবাজ আহলে হাদীস মতের লোকেরা ক্বোরআনের সাথে বেয়াদবী করে নিজেদের নাম রেখেছে আহলে হাদীস। তারা সাহাবায়ে কেরামের চলমান বা জারি ইবাদতের বিপরীতে ছহী মানসুখ হাদীসের আমল করে নিজেরা পথ ভ্রষ্ট হয়েছে আবার অন্যদেরকেও পথ ভ্রষ্ট করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।যারা ওয়ালী আল্লাহ, আইম্মায়ে মুসতাহিদিন ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সাথে বেয়াদবী করে তারা আহলে হাদীসদের দলভুক্ত হবে। ওটা মূলত গোমরাহ লোকদের মিলিত হওয়ার প্লাট ফর্ম। ছহী মানসুখ হাদীসের আমলের কারণে এদের নামাজ হয়না, তাই আল্লাহ এদেরকে সীতাতুম মুস্তাকীমের পথেও হেদায়েত দান করেননা। কেউ যদি বলে সে দলে অমুক তমুক আছে, তবে আমি বলব তাদের অবস্থা আবু তালিব, আব্দুল মুত্তালিব ও মহানবীর (সঃ) মা-বাবার মতো।এরা আমাদের যতই প্রিয় হোকনা কেন, সূত্রমতে এরা গোমরাহ। এ এসব গোমরাহ লোকদের থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন-আমিন।

মন্তব্য ১৮৪ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (১৮৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমি এই বিষয়ে সঠিক কিছু জানিনা। তবে আপনার পোষ্ট পড়ে অনেককিছু জানতে পারলাম। ভালো লাগলো জেনে।

শুভকামনা জানবেন।

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বিভিন্ন ভুল মতবাদ আগেও ছিল এখনো আছে যারা প্রতি নিয়ত বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের বিভ্রান্তি থেকে জনগণকে রক্ষায় সত্য উপস্থাপন জরুরী।

২| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কুরআনের পর হাদিস গৃহীত। সুতরা, যারা কোরআন কে অবজ্ঞা করে নিজেদের কে আহলে হাদীস বলে দাবি করেন তারা মুসলমানের দ্বিতীয় স্তরে/২য় কাতারে আছে।

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এদের বিভ্রান্তি শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা নানা ভাবে মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মুসলমানদের প্রতিরোধের মুখে এমন বহু ভ্রান্ত দল বিলুপ্ত হয়েছে।

৩| ২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারলাম।

ছোট্ট একটা 'ম' মিসিং থাকায় কনফিউশন হতে পারে, তাই সংশোধনের অনুরোধ রাখলামঃ

আল্লাহ বলেছেন,‘ মিল্লাতা আবিকুম ইব্রাহীম, হুয়া সাম্মাকুমুল মুমলিমিন- তোমরা তোমোদের পিতা ইব্রাহীমের মিল্লাত, তিনি তোমাদের মুসলীম না রেখেছেন- (আল-ক্বোরআন, সুরা হজ্জ্ব, ৭৮ আয়াত)।

<<<< আল্লাহ বলেছেন,‘ মিল্লাতা আবিকুম ইব্রাহীম, হুয়া সাম্মাকুমুল মুমলিমিন- তোমরা তোমোদের পিতা ইব্রাহীমের মিল্লাত, তিনি তোমাদের মুসলীম না রেখেছেন- (আল-ক্বোরআন, সুরা হজ্জ্ব, ৭৮ আয়াত)।

আল্লাহ আপনাকে এরকম আরো পোস্ট দেয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার এফ বির যে আইডিতে আপনাকে এড করে ছিলাম তা’ এখন ব্লক। অন্য একটা আইডি দিয়ে আমি কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। আপনার সংশোধনীতে খুব খুশী হয়েছি এবং ঠিক করে দিয়েছি। আপনাকে নিয়ে লেখা দ্বিতীয় সনেটে আপনার মন্তব্য দেখেছি। সময় করে সেটাকে আরো রদবদল করে পোষ্ট দেব ভাবছি। দোয়া করবেন যেন আমার পরিশ্রম স্বার্থক হয়।

৪| ২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রিয় কবি'র কি মন খারাপ! নাকি শরীর খারাপ!
মন খারাপ চলবে না, শরীর খারাপ হলে আল্লাহ্ হেফাজত করবেন ইনশাল্লাহ্।

আপনাকে নিয়েও একজন সনেট লিখে ফেলছে প্রায় হা হা হা (আমার শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় তৈরী হচ্ছে 'হে চৌধুরী ভাই' -)

হে- ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী, স্ব-গুণে
দিচ্ছেন প্রেরণা, সব জনে প্রীত, ঢেলে
জ্ঞান ভাণ্ডার-উজাড় মুক্ত, সু-যতনে
সাহিত্য খুঁজে ফেরেন সনেট-ই বলে।
নিরহঙ্কার সদা-এ কবি প্রীত জনে,
নতুনে মুগ্ধ হৃদয়, চেষ্টা মনোবলে
অনুপ্রেরণা-র আলো রেখেছেন জ্বেলে;
ভালোবাসা প্রেম বায়ু সদা বায় মনে।

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কবিতা দেখে ভাল লাগছে। এখনো শেষ হয়নি মনে হয়। যাক শেষ করে পুরোটা এক সঙ্গে জানাবেন আশা করি। আমি আপনার ব্যাপারে খুব আশাবাদী।

৫| ২১ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: প্রকৃত মুসলমান হিসাবে কোরআন হাদিস এর সঠিক ব্যাখ্যা না জানলে বিভ্রান্ত হতে হবে। তাই সঠিক পথ অবলম্বণ জরুরী। ভাল লাগলো।

২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কোরআন হাদিস এর সঠিক ব্যখ্যা আপনি না জানলে অন্য জন তার মনগড়া ব্যখ্যা আপনাকে গিলাতে সক্ষম হওয়া অস্বভাবিক নয়, সে জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে যেন আপনার জানা সঠিক ব্যখ্যার সাথে অন্যের ব্যখ্যা মিলিয়ে আপনি এর সঠিকতা যাচাই করতে পারেন।

৬| ২১ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৬:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানেরা সবাই নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, বিভক্তির সৃস্টি করছে; হয়তো, আল আজহার ইউনিভার্সিটিকে ব্যাখ্যার ভার দেয়া সঠিক হবে।

২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার সব কথাই আজকাল পুরোপুরি সঠিক হয়। জনে জনে ইসলামের ব্যখ্যা করতে গেলে ইসলামের ব্যখ্যা চার প্রকার নয় বরং চার হাজার প্রকার হবে, এতে বিভক্তি ঠেকাবার কোন পথ থাকবেনা। শুধু একটা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হলে আর সবাই সে প্রতিষ্ঠানের ব্যখ্যা মেনে নিলে, শুধুমাত্র তখন বিভক্তি ঠেঁকানো সম্ভব। আর এটাই মূলত করা হয়েছিল আব্বাসীয় খেলাফতের চিপ জাস্টিস ইমাম আবু ইঊসুফের নেতৃত্বে। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ইসলামের যে সব বিধি-বিধান সনাক্ত করেছেন, শীর্ষ আলেমদের চল্লিশ সদস্যের একটা টিম সেগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে ইসলামের বিধি-বিধানের সঠিকতার নিশ্চয়তা প্রদান করে এরপর রাষ্ট্র সেটা মেনে নেয়। তখন ইসলামী বিধিমত রাষ্ট্র পরিচালিত হতো। আর পাঁচ জনের পাঁচ রকম কথায়তো রাষ্ট্র চলতে পারেন। তো তখনকার সেই বিধান সবাই মেনে নিয়েছিল।এখনো দুই তৃতীয়াংশের বেশী মুসলমান সেই বিধান মতেই ইসলাম পালন করে। কিন্তু বিভেদ যাদের পছন্দ তারা সেই বিধান মানতে পারে নাই। এরা আল আজহারকেও মানবেনা। এরা মানবে শুধুমাত্র ইমাম বোখারীকে (রঃ)। এরা একটা টিমের কথা মানবেনা, একটা রাষ্ট্রের কথা মানবেনা, এরা মানবে একজন ব্যক্তিকে এরপর নিজে নিজে ঘোষণা দিবে তারা সঠিক। ঐ যেমন বলা হয় বিচারমানি তালগাছ আমার। তো এ জাতীয় লোক কোন দিন মুসলমানদের এককাতারে শামিল হবেনা। আল্লাহ এদের বেয়াদবীর কারণে এদেরকে আলাদা করে রেখেছেন।

৭| ২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ফরিদ ভাই,
সবগুলো মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য 'উইথ মনযোগ' দেখলাম। ভাল লাগলো। শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) -এর মন্তব্যটি দারুন। তিনি বলেছেন-
''কুরআনের পর হাদিস গৃহীত। সুতরা, যারা কোরআন কে অবজ্ঞা করে নিজেদের কে আহলে হাদীস বলে দাবি করেন তারা মুসলমানের দ্বিতীয় স্তরে/২য় কাতারে আছে।''

এছাড়া চাঁদগাজীর মন্তব্যও প্রনিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন:

''মুসলমানেরা সবাই নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, বিভক্তির সৃস্টি করছে; হয়তো, আল আজহার ইউনিভার্সিটিকে ব্যাখ্যার ভার দেয়া সঠিক হবে।''

তবে তার 'আল আজহার ইউনিভার্সিটিকে ব্যাখ্যার ভার দেয়া' র অভিমতটি আমার কাছে সরাসরি গ্রহনযোগ্য নয়। প্রতিষ্ঠান নির্ধারনেও চিন্তাধারা আরেকটু সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন।

সবচে' ভাল লেগেছে ফরিদ ভাইর চাঁদগাজীকে দেয়া ৬ নং মন্তব্যের উত্তরটি। অনবদ্য উত্তরটি-

''জনে জনে ইসলামের ব্যখ্যা করতে গেলে ইসলামের ব্যখ্যা চার প্রকার নয় বরং চার হাজার প্রকার হবে, এতে বিভক্তি ঠেকাবার কোন পথ থাকবেনা। শুধু একটা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হলে আর সবাই সে প্রতিষ্ঠানের ব্যখ্যা মেনে নিলে, শুধুমাত্র তখন বিভক্তি ঠেঁকানো সম্ভব। আর এটাই মূলত করা হয়েছিল আব্বাসীয় খেলাফতের চিপ জাস্টিস ইমাম আবু ইঊসুফের নেতৃত্বে। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ইসলামের যে সব বিধি-বিধান সনাক্ত করেছেন, শীর্ষ আলেমদের চল্লিশ সদস্যের একটা টিম সেগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে ইসলামের বিধি-বিধানের সঠিকতার নিশ্চয়তা প্রদান করে এরপর রাষ্ট্র সেটা মেনে নেয়। তখন ইসলামী বিধিমত রাষ্ট্র পরিচালিত হতো। আর পাঁচ জনের পাঁচ রকম কথায়তো রাষ্ট্র চলতে পারেন। তো তখনকার সেই বিধান সবাই মেনে নিয়েছিল।এখনো দুই তৃতীয়াংশের বেশী মুসলমান সেই বিধান মতেই ইসলাম পালন করে। কিন্তু বিভেদ যাদের পছন্দ তারা সেই বিধান মানতে পারে নাই। এরা আল আজহারকেও মানবেনা। এরা মানবে শুধুমাত্র ইমাম বোখারীকে (রঃ)। এরা একটা টিমের কথা মানবেনা, একটা রাষ্ট্রের কথা মানবেনা, এরা মানবে একজন ব্যক্তিকে এরপর নিজে নিজে ঘোষণা দিবে তারা সঠিক। ঐ যেমন বলা হয় বিচারমানি তালগাছ আমার। তো এ জাতীয় লোক কোন দিন মুসলমানদের এককাতারে শামিল হবেনা। আল্লাহ এদের বেয়াদবীর কারণে এদেরকে আলাদা করে রেখেছেন।''

খলিল ভাইকে একটা ধন্যবাদ না দিলেই নয়। তার দারুন মন্তব্যে। তিনি একটি স্পেলিং মিসটেক ধরিয়ে দিয়ে ভাল কাজ করেছেন।

ফরিদ ভাই,
সর্বশেষ, আপনিতো 'নয়নে'র নয়নে পরে গেছেন মনে হচ্ছে। সনেট গুরুকেই এবার সনেটে আটকে দিতে প্রানপন চেষ্টা দেখছি। যাক তার প্রচেষ্টা সফল হোক।

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর সমাগত। সকলকে ঈদ মুবারক।
ভাল থাকুন অনি:শেষ।

২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মাননীয় ইসলামী কবি নতুন নকিব, পোষ্টে একটা দারুন মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য অনেক খুশী হলাম। আশাকরি আপনার মন্তব্য পাঠে পাঠকেরাও আমারমতো খুশী হবেন। রমজান প্রায় শেষ হতে চল্ল। খালেছ নিয়তে দোয়া করছি আল্লাহ আপনার ও আপনার পরিবারের ইহকালীন ও পরকালীন সার্বিক মঙ্গ করুন-আমিন।

৮| ২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: ইব্রাহীমের হানাফী

এটা কি? এটা কি কোন উঁটের জাত?!

২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সাঁইজি কি একটু আলবেলে অবস্থায় আছেন? এযুগে উটের কি প্রয়োজন হলো? আর এটা উটের জাত নয় বরং মানুষের জাত। যারা আল্লাহর একনিষ্ঠ ইবাদত করে তাদের হানাফী বলে। এরকম এক দলের বড় একজন নেতা হিসেবে তাঁর নামের সাথে যুক্ত করে ইব্রাহীমের হানাফী মিল্লাত বলা হয়েছে। তা’ সাঁইজির ভাব লক্ষণ খুব একটা ভাল মনে হচ্ছেনা।

৯| ২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ফরিদ ভাই,
লক্ষ্য করেছেন কি না জানি না। এই পোস্টে আমি কিন্তু কোন মন্তব্য করি নি। অন্যদের কমেন্ট বিশ্লেষন করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আসলে সত্যি বলতে কি, আমি পোস্টটি ভাল করে না পড়ে মন্তব্য করা ঠিক মনে করিনি তাই নিজের মতামত দিই নি। যাই হোক, পোস্টটিতে চোখ বুলালাম। আপনার থিমটা গভীরের। কুরআনে বর্নিত 'হানিফামমুসলিমা' এবং আমাদের হানাফি মাযহাবের সফল প্রতিষ্ঠাতা মহামান্য ইমাম সাইয়্যিদিনা ইমামুল আয়িম্মা- মুসলিম মিল্লাতের মাথার মুকুট প্রখ্যাত তাবেয়ী, জগত বিখ্যাত হাদিস বিশারদ 'আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি' আমার মনে হয় এই নামের মিল থাকাটা কাকতালীয়। 'হানিফ' মানে একনিষ্ঠ। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহতে সমর্পিত ব্যক্তিকে 'হানিফ' বলা হয়। সে দিক থেকে বিচার করলে আপনার মূল্যায়ন সঠিক, প্রত্যেক সত্যানুসন্ধানী মুসলিমকেই 'হানিফ' বা 'হানাফি' বলা যেতে পারে। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে, যাদের সম্পর্কে বলছেন, তারা তো অন্ধত্ব আর গোয়েবলসের খোলস গায়ে জড়িয়ে বিদ্ধেষ মিথ্যাচার ইত্যাদির আশ্রয়ে কুরআন হাদিসের অপব্যাখ্যায় লিপ্ত। উপমহাদেশের ইতিহাস খুলে দেখুন। তাদের 'আহলে হাদিস' নামটি পর্যন্ত তারা বরাদ্দ নিয়েছেন বৃটিশদের থেকে তাদের কৃপাধন্য হয়ে। আপনার শেষোক্ত পয়েন্টটি প্রনিধানযোগ্য-

''এ দিকে ফেতনাবাজ আহলে হাদীস মতের লোকেরা ক্বোরআনের সাথে বেয়াদবী করে নিজেদের নাম রেখেছে আহলে হাদীস। তারা সাহাবায়ে কেরামের চলমান বা জারি ইবাদতের বিপরীতে ছহী মানসুখ হাদীসের আমল করে নিজেরা পথ ভ্রষ্ট হয়েছে আবার অন্যদেরকেও পথ ভ্রষ্ট করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।যারা ওয়ালী আল্লাহ, আইম্মায়ে মুসতাহিদিন ও আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সাথে বেয়াদবী করে তারা আহলে হাদীসদের দলভুক্ত হবে। ওটা মূলত গোমরাহ লোকদের মিলিত হওয়ার প্লাট ফর্ম। ছহী মানসুখ হাদীসের আমলের কারণে এদের নামাজ হয়না, তাই আল্লাহ এদেরকে সীতাতুম মুস্তাকীমের পথেও হেদায়েত দান করেননা। কেউ যদি বলে সে দলে অমুক তমুক আছে, তবে আমি বলব তাদের অবস্থা আবু তালিব, আব্দুল মুত্তালিব ও মহানবীর (সঃ) মা-বাবার মতো।এরা আমাদের যতই প্রিয় হোকনা কেন, সূত্রমতে এরা গোমরাহ। এ এসব গোমরাহ লোকদের থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন-আমিন।''

ফরিদ ভাই,
এই দলটির বেআদবির শেষ নেই। এদের অত্যাচার অব্যহতভাবে সয়ে যেতে হচ্ছে। এই রমজানেও আমার মসজিদে এদের অনেক যন্ত্রনা সহ্য করেছি। করে যাচ্ছি। শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে মুসল্লিদের ধৈর্য্য ধারনের নসিহত করছি। তারাবীহর আট রাকাআত শেষে ওদের যে ইচ্ছাকৃত শোরগোল শুরু হয়, তা ও কি মেনে নেয়ার মত?

বলি, বাবা, তুমি নামাজে ফাঁকি দিতে চাও, তো দাও। চোরের মত মাথা নিচু করে বেরিয়ে যাও মসজিদ থেকে। এত হৈ হুল্লোর করছ কেন? তোমাদের লজ্জা শরম নেই? চুরি করতেও তোমরা হম্বি তম্বি করতে চাও? তোমাদের গনধোলাই খাওয়ার ভয় টয়ও নেই?

ভাই, ঈদের দাওয়াত থাকল।
ঢাকা এলে বেড়িয়ে গেলে খুশি হব। ঢাকার উপকন্ঠেই বসবাস।
মাআ'সসালাম।

২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নকিব ভাই ঢাকার ঠিকানা না দিলে যাব কেমন করে? ঢাকায় আমারো জায়গা আছে নন্দী পাড়ায়। তবে এখনো বাড়ী করা হয়নি। আর আমি কাক তালীয় মিল দেখাবার জন্য পোষ্ট প্রদান করিনি। আমি বলতে চেয়েছি হানাফীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহীম (আঃ) এ কাতারে আগের নবীগনও (আঃ) আছেন। আমাদের নবীও (সঃ) আছেন। আর আবু হানীফা (রঃ) এ কাতারের একজন অন্যতম লিপিকার মাত্র। ইমাম বিধান দিতে পারেন না। আল্লাহ ও মহানবী (সঃ) প্রদত্ত বিধান শুধুমাত্র ইমামের পক্ষে লিখে রাখা সম্ভব।
আর আহলে হাদীস এক জঘণ্য ফিতনা।

১০| ২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: এরকম এক দলের বড় একজন নেতা হিসেবে তাঁর নামের সাথে যুক্ত করে ইব্রাহীমের হানাফী মিল্লাত বলা হয়েছে।

নেতার জন্ম কত সালে?

২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সে কথা ক্বোরআনে পাইনি সাঁইজি। তবে সেটা ইরাকের ব্যাবিলনের রাজা নমরূদ জমানায় হয়ে ছিল। আচ্ছা সাঁইজি কি ওকালতি করেন?

১১| ২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

স্বতু সাঁই বলেছেন: গাঁজা সেবন করি, তবে গাঁজাখোর না।

তাই পৃথিবীর মোট মুসলমানের শতকরা দুই তৃতিয়াংশের বেশী হানাফী,

এরা কিভাবে হানাফি হলো? এটা কি জানা আছে?

২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটা সাধারণ অর্থে, বিশেষ অর্থে না। হানাফী হতে হলে একনিষ্ট হতে হয়। সে হিসেবে পরিসংখ্যান মিলানো বলতে গেলে অসম্ভব! সে জন্য সাধারণ অর্থেরটাই বলা হয়ে থাকে। এটা রীতিসিদ্ধ কথা।

২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: গাঁজা সেবন করি, তবে গাঁজাখোর না। গাঁজা বাস্তবেই কেউ খায়না। সবাই সেট সেবন করে। যদিও বলার সময় ভুল কথা বলে।

১২| ২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: আপনি এতো ঘুরাইতেছেন ক্যান? কোরানের আয়াতের 'হানিফা' শব্দটিকে হানাফি সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত না করলে মুসলমানের ২/৩ অংশ মুসলমানের সংখ্যা পান কোথায়? সব মুসলমান থেকে ঘুষখোর, মদখোর,রক্তখোর, জমিখোর, লুটেরা, নির্যাতক ইত্যাদি অমানবীয়গুণ সম্পন্ন ব্যক্তি যদি বাদ দেন তাহলে আপনি ২/৩ আ,ংশ মেলাবেন কি করে? উপরোক্ক খোর ও তক মানষগুলো কি করে হানিফা বা একনিষ্ট হয়? গাঁজা খাইয়া কি আমি আলবেলে হইলাম, নাকি আপনে আলবেলে হইয়া আছেন? এমনি কি কইছিলাম, এটা কি উটের জাত? ইশারা যে বুঝে না, সে কোরানের গোপন বুঝিবে কেমনে?!

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার কথা ষোলআনা সঠিক। কবে সেটা আমাদের আলচ্য বিষয় নয়। পরিসংখ্যানে বাহ্যিক দেখে সে ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিকতার হিসাব কষা যায়না। যদি কেউ প্রশ্ন করে এখন পৃথিবীতে কত সংখ্যক মুসলমান আছে।? তবে গননাকারী কারো মুসলমানিত্ব মাপতে যাবে না সে গননায় শুধু দেখবে কে বলে সে মুসলমান? এবং সেই হিসেবেই সে মুসলমান গননা করবে। আমার হানাফী গননাও সে রকম।

১৩| ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সত্যি সত্যি কি গাঁজাখোর লোক ব্লগে পাওয়া যায়? কি জানি, থাকতেও পারে। নাও থাকতে পারে। তবে, এদের সাথে কথা বলে মজা আছে। কি বলতে কি বলে ফেলে ঠিক নেই। কখন প্রসঙ্গ ছেড়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যায়, তারও ঠিক নেই। ভাবের সাগরে তলিয়ে থাকে এরা। রাজা টাজা ভাবে নিজেকে। যেন, ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। উজির নেই নাজির নেই মহারাজা মহাশয় ভাবেন নিজেকে!

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কবি স্বতু সাঁই খুব চতুর লোক! তার সাথে অসাবধানে কথা বল্লে বেজে পড়তে হবে।

১৪| ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "অবশ্য হানাফীরা শাফেঈ, হাম্বলী ও মালেকীদেরকেও তাদের একই দলের শাখা মনে করে।"

আপনার এই স্বীকারোক্তি থেকেই বোঝা যায় - কোরআনের হানীফ বা একমুখি দ্বীন, আর হানাফী মাযহাব এক নয়। ইমাম আবু হানিফা (র) এর মৃত্যুর পর যারা ওনার ফয়সালা গুলি নিয়ে এই মাযহাবের সুচনা করেছিলেন ওনারা বিষয়টা জানতেন বলেই শুধুমাত্র নিজেদের সঠিক দ্বাবি না করে অন্যান্য মাযহাবকেও স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আর আজকে হাজার বছর পরে এসে আমরা শুধুমাত্র নিজের মাযহাবকেই সঠিক বলছি, আর এটা প্রতিষ্ঠার জন্য এতই মরিয়া হয়ে উঠেছি যে কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা দিতেও হৃদয় কাঁপছে না।

আসলে মাযহাব কোন সমস্যা নয়। এটা একটা চলমান প্রকৃয়া। প্রত্যেক যুগে আলেমগন তাদের গবেষনার ভিত্তিতে যুগ জিজ্ঞাসার জবাব দেবেন। যাদের কাছে যে ইমামের মতামত গ্রহনযোগ্য হবে তারা তাকে অনুসরণ করবে। এই হিসেবেই এক সময় শতাধিক মাযহাবের উদ্ভব হয়েছিল। তখন কেউ কাউকে খাট করার জন্য নিজের মাযহাবকে সেরা বলে প্রচার করত না। সমস্যা হয়েছে পরবর্তিতে যখন চারটি মাযহাব রেখে বলা হল আর কোন নতুন মাযহাব তৈরী করা যাবে না, এর মধ্য থেকে যেকোন একটি মানতেই হবে। অর্থাৎ একটা চলমান চিন্তা গবেষণার ধারাকে বন্ধ করে দেয়া হল।

একটা চলমান নদীতে বাধ দিলে সেটা যেমন স্থবির লেকে পরিনত হয়, ইসলামী চিন্তা গবেষণা বন্ধ করে দেয়ার ফলে একই ভাবে ইসলামের পতনও তরান্মিত হয়েছিল। আজকে ইসলামের পুন:জাগরনের যুগে এই বাধ ভেঙ্গে পরতে বাধ্য। নতুন সময়ে, নতুন সমাজের উপযোগী মাযহাব সময়ের প্রয়োজনেই গড়ে উঠবে - সেখানে পুরোনো মাযহাবগুলি থেকেও অনেক কিছু থাকবে, আবার নতুন অনেক কিছু সংযোজিতও হবে। যদি এই চলমান প্রকৃয়াকে মেনে নিতে না পারেন, যদি আবু হানিফা (র) এর ফয়সালাকে নবি মুহাম্মদ(স) এর মত কেয়ামত পর্যন্ত মান্য মনে করেন - তাহলে তা কখনই সঠিক হবে না। সেটা বরং সয়ং আবু হানিফা(র) এর জন্যই অপমান জনক হবে।

ধন্যবাদ।

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি ক্বোরআনের কোন ভুল ব্যখ্যা প্রদান করিনি। শাফেঈ মালেকী ও হাম্বলীকে নীজ দলের বল্লে ভুল ব্যখ্যা হয় কেমন করে? মহানবী (সঃ) এক দল সঠিক বলেছেন। সে সঠিক দল চিনাবে কে? অবশ্যই ক্বোরআন! কারণ ক্বোরআনে বলা আছে ‘যালিকাল কিতাবু লা-রাইবা ফিহি হুদালল্লিল মুত্তকীন- ইহা এমন গ্রন্থ যাতে মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েত রয়েছে’। এখন মুসলমানদের বহু দলের কোন দল সঠিক তা’আমি ক্বোআনের নিকট জানতে চাওয়ায়, ক্বোরআন আমাকে কি জবাব দিল আমি সেটা উপস্থাপন করেছি। এতে কেহ মুখস্ত ভুল আছে বল্লে আমি সেটা মানব কেন? আমি তো মানি ক্বোরআন, আমিতো তাকে মানিনা।
মুসলমান একশ দল হওয়ার মাঝে আমি কোন কল্যাণ দেখিনা। বরং আল্লাহ মুসলমানকে একদল হতে বলেছেন। কাজেই আপনার মত আপনার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকুক, আমরা আপনার মত গ্রহণ করতে পারব না। ইমাম আবু হানিফার জন্য কি সম্মান জনক সেটা আমরা বুঝব, কারণ আমরা তাঁকে মানি। আপমি তাঁকে না মেনে তাঁর সম্মান রক্ষা করেন কি ভাবে?
সে যাই হোক আপনার মন্তব্য যথেষ্ট ভাল হয়েছে, আর আপনার মন্তব্য আমি খুব পছন্দ করি কারণ আপনি যা বলেন অকপটে বলেন। আর আমরা ক্বোরআনকে বেশী গুরুত্ব প্রদান করে থাকি, তারপর হাদীস। প্রত্যেককে তার অবস্থান মতো স্থান দেওয়াই যুক্তি সংগত। আমরা আবু হানিফাকে (রঃ) মানি মহানবীকে (সঃ) মান্য করার জন্য। নতুবা তাঁকে মান্য করার কোন গরজ আমাদের নেই। তবে আমি তাঁর মতামতকে বিশুদ্ধ পেয়েছি বলে আমি তা’ থেকে কিছুতেই ফিরতে পারব না। কারণ আমার পক্ষে হেদায়েত ছেড়ে গোমরাহীতে যাওয়া সম্ভব নয়।

১৫| ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

স্বতু সাঁই বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন: সত্যি সত্যি কি গাঁজাখোর লোক ব্লগে পাওয়া যায়? কি জানি, থাকতেও পারে। নাও থাকতে পারে। তবে, এদের সাথে কথা বলে মজা আছে। কি বলতে কি বলে ফেলে ঠিক নেই। কখন প্রসঙ্গ ছেড়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যায়, তারও ঠিক নেই। ভাবের সাগরে তলিয়ে থাকে এরা। রাজা টাজা ভাবে নিজেকে। যেন, ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। উজির নেই নাজির নেই মহারাজা মহাশয় ভাবেন নিজেকে!

মনে হয় মহাশয়ে গাঁজা খাওয়ার অভিজ্ঞতা বহুদিনের!! নচেৎ এমন অভিজ্ঞতার কথা মহাশয় জানলেন কেমন করে?

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্য প্রদানে সবার আরো সাবধানী হওয়া উচিৎ।

১৬| ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

কানিজ রিনা বলেছেন: আমরা মুসলমান দলে বিভক্ত আর হযরত
মোহাঃ সাঃ বলেছেন মুসলমান যখন দলে
বিভক্ত হয়ে পড়বে তখন আল্লাহর লানত
নেমে আসবে মুসলিমদের উপর।
আর আমরা সেই যুগে পৌছে গেছি। আসলে
আমরা মসমান যে দলেই থাকিনা কেন।
আমরা কোরআন হাদীস মোহাঃ সাঃ আল্লাহর
প্রেরিত রাসুলের প্রতি ইমান আনা। পুর্ববর্তী
নবীদের কোরআন অনুযায়ী বিশ্বাস রাখা।
সকল মুসলমানের ইমানী দায়ীত্ব্য।
সেই সাথে নবী মোহাঃ সাঃ এর জীবন আদর্শ
মেনে চলার নাম মুসলমান।
আমরা নামাজে শেষে যে দরুদ পাঠ করি
তার অর্থ যদি সব মুসলমান বুঝত তাহলে
মনে হয় এত দলগত বিভেদ থাকতনা।

আল্লাহুমা সাল্লেআলা সায়েদীনা মুহাম্মাদী।
দরুদ শরীফের অর্থ হে আল্লাহ্ আপনি ইব্রাহীমের বংশধর যেভাবে হেফাজত করেছেন।
আমার বংশধর সেভাবেই হেফাজত করবেন।
খুব সংক্ষেপে বললাম।

অথচ একদল কাফের মুশরীক নবী মোহাঃ
সাঃ এর বংশধরদের নিপাত করতে দ্বিধাবোধ
করে নাই। হযরত আলি রাঃ হযরত হাসান
ওয়াল হোসেইন রাঃ কাফেরদের হাতে সহিদ
হোন। তারপর থেকেই দলবিভক্ত শুরু হয়।

প্রধান চার খলিফার অনুসারীরা কিছু নিয়ম
রকম ফের থাকলেও আসলে তারা নবীর
উপর নবীর বংশের উপর ভালবাসা নবীর
জীবন আদর্শ মেনে চলা সততার সাথে জীবন
পরিচালনাই একজন উত্তম মুসলমানের পরিচয়

হজের মাঠে যত রকম ফরজ ইবাদতের মাঝে
একটা বড় ফরজ সারা পৃথিবীর সকল মুসলীম একত্র হয়ে নিজেরা মিলে থাকবে।
এই ফরজটা মুসলীমরা জানলেও মান্য করেনা।
আজ মুসলমান দেশ গুল জালিমদের হাতধরে
অপর মুসলমান দেশগুলকে যুদ্ধ চাপিয়ে
ঘায়েল করছে। কোথায় আমরা পরিপূরক
মুসলমান। আপনার লেখায় নিজের অনুভুতি
প্রকাশ করতে পেরেছি। ধন্যবাদ।

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খুব সুন্দর একখানি বিশ্লেষণ করেছেন। আশাকরি এটি পোষ্টের অলংকার হয়ে থাকবে। আর আমার মতো সবাই আশা করি আপনার মন্তব্যে উপকৃত হবে।

১৭| ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কথা ষোলআনা সঠিক। কবে সেটা আমাদের আলচ্য বিষয় নয়। পরিসংখ্যানে বাহ্যিক দেখে সে ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিকতার হিসাব কষা যায়না। যদি কেউ প্রশ্ন করে এখন পৃথিবীতে কত সংখ্যক মুসলমান আছে।? তবে গননাকারী কারো মুসলমানিত্ব মাপতে যাবে না সে গননায় শুধু দেখবে কে বলে সে মুসলমান? এবং সেই হিসেবেই সে মুসলমান গননা করবে। আমার হানাফী গননাও সে রকম।

হায় রে মুসলমান! নূহ নবীর ঔরসজাত পোলা কেনান। মুসলিম না বইলা তারেও বাদ দিলো আল্লাহ স্বয়ং। এর পরেও মুসলমানের হুঁস হয় না মুসলিম কারে কয়। শ্নিশ্নের আগা ছেদন দেইখা নাকি মুসলমানের গণনা করা হইবো। হা হা হা... এই যদি মুসলমানের অবস্থা হয়। তাহলে হানিফা শব্দার্থ হওয়া উচিত শ্নিশ্নের আগা ছেদন। একনিষ্ঠ নয়।

এরা নাকি নিজেরাই হিসাব নিকাষ দিবো কেডা মুসলিম আর কেডা না। আল্লাহর কাজ হেরাই করবো আজ থেইকা। এর পরেও মুশরিক কারে কয় তাও বোঝে না।

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহর কাজ আল্লাহই করবেন, সে ঘোষণা আসবে হাসরে। এখন আমাকে হিসেব করতে হচ্ছে কে কোন কাতারের লোক। আর সঠিক কাতার নির্ণয় করতে না পারলে আমার নিজের জন্যই বিপদ। কাজেই সঠিক কাতার নির্ণয়ে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এতে আমি এবং আমার মত যারা বুঝে তারা সঠিক কাতার খুঁজে পেলে ক্ষতি কি?
তবে আপনার মন্তব্য আমি সবসময় উপভোগ করি। সুতরাং যাই বলি না কেন বন্ধু হিসেবে আশা করি কখনো অসন্তুষ্ট হবেন না।

১৮| ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রিয় কবি স্বতু সাঁই খুব চতুর লোক! তার সাথে অসাবধানে কথা বল্লে বেজে পড়তে হবে।

একজন দেখি আর একজনেরে সাবধান কইরা দেয়। একটা প্রবদের কথা মনে পইড়া , 'চোরো সাক্ষী গাঁটকাটা।' হা হা হা..

এহহেরে! কয়েকটা কোরানের আয়াত মনে পইরা গেলো:

সুরা বাকারার আয়াত ৮-১৪:
৮) কিছু লোক আছে যারা বলে, 'আমরা আল্লাহ ও অন্তিমকালের বা কিয়ামতের উপর ইমান এনেছি' কিন্তু তারা আসলে মুমেন নহে।
৯) তারা আল্লাহ ও মুমেনকে ঠকাতে চায় কিন্তু তারা নিজেরাই ঠকছে তা তারা বুঝে না।
১০) তাদের মনে রোগ আছে, পরে আল্লাহ তাদের রোগ বাড়িয়ে দেন, তাদের মিথ্যাবাদিতার জন্য রয়েছে কঠিন সাজা।
১১) যখন তাদেরকে বলা হয়, "জগতে অশান্তি সৃষ্টি করো না," তারা বলে, 'আমরা তো শান্তি প্রতিষ্ঠা করছি।'
১২) সাবধান! নিশ্চয় তারাই অশান্তি সৃষ্টি করে, কিন্তু তারা তা বুঝে না।
১৩) আর তাদেরকে যখন বলা হয়, "মুমেনদের মত ইমান আনো," তারা বলে, 'কী!আমরা ঐ মূর্খদের মত ইমান আনবো?' সাবধান! নিশ্চয় তারাই মূর্খ, তারা তা জানে না।
১৪) আবার যখন তারা মুমেনদের সাথে সাক্ষাৎ করে তখন বলে, 'আমরা তোমাদের মতই ইমান এনেছ,' কিন্তু যখন আপন দলের শয়তান দলপতিদের সাথে গোপনে মিলিত হয় তখন বলে, 'আমরা তো মুমেনদের সাথে তামাশা করি মাত্র।'

না জানি এরা কারা! আল্লাহর ইশারা বোঝা মুসকিস।

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: না জানি এরা কারা! আল্লাহর ইশারা বোঝা মুসকিস। সাঁইজি এভাবে বল্লে হবে না। আপনাকে নিশ্চিত জানতে হবে এরা কারা? আর আল্রঅহর ইশারাও আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে। কারণ মহানবী (সঃ) বলেছেন একদল জান্নাতি আর সব জাহান্নামী। কাজেই আপনাকে জান্নাতি দল ও জান্নাতি দল খুঁজে পেতেই হবে। এখানে সিদ্ধান্তহীনতার কোন সুযোগ নেই।

১৯| ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

স্বতু সাঁই বলেছেন: আপনে বা খুঁজার কেডা? আপনেরডা আপনে কইবেন আমারডা আমি কমু আল্লাহর লগে। আপনে কি আপনার আমলনামা আমারে দেখাইবেন নাকি আল্লাহরে দেখাইবেন? এখন নিশ্চিত কইরা কইতাছি, এতক্ষন যা কইছেন সবগুাই মুশরিকি কথা কইছেন। আল্লাহ আপনারে প্রতিনিধি কইরা পাঠায় নাই। আল্লাহর কাজ আল্লাহরে করতে দেন, আপনে আপনার আখের গোছান। ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি করেন!!

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সাঁই জি ইয়া নাফসি করতে গেলেও সঠিকটা খুঁজে আপনাকে পেতেই হবে। আর আপনি যদি মুখস্ত আমার কথা কে মুশরিকি বলেন তবে সেটা মানতে আমি বাধ্য নই। আর আপনার কথা বোধগম্য না হওয়া পর্যন্ত আমি মানতে পারিনা।

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহর কাজ অবশ্যই আল্লাহ করবেন। আর আমার কাজও আমাকেই করতে হবে। আমি অন্যের কূ-পরামর্শে নিজের ক্ষতি করতে পারি না। বাউল সাঁই এসে চার কথা শুনিয়ে গেল আর আমি তার কথায় পগে গেলাম, আমি এমন লোক নই। সাঁই জি অবশ্যই এখানে আমার সহ ব্লগার, গুরু জাতীয় কিছু নয়। সুতরাং সাঁইজি এখানে গুরু গুরু ভাব ধইরা কোন লাভ নেই। তারচে একটা বাউল গান লেইখা দেন সময় পাইলে যেন একটু গুনগুন করতে পারি।

২০| ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

স্বতু সাঁই বলেছেন: গুরুর সন্ধান পাইবেন কই? গুরু কি গরু যে হাটে বাজারে পাওয়া যায়? গুরু ধরার আগে নিজেরে শিষ্য হিসাবে বানাইতে হয়। তাইলেই গুরুর সন্ধান পাওয়া যায়। মনডা আগে খুঁইজা লন তারপর গুরুরে খুঁইজেন। গান থাকে গুরুর চরণে। গুরুর চরণ সেবা করতে শিখলেই, কন্ঠে গান আপনাতেই আইবো।

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্য খুব ভাল লেগেছে। জানতে চেয়ে ছিলাম, সাঁইজি বাস্তবেই সাঁই নাকি শুধুই ব্লগের নিক?

২১| ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: যাই গা। আজ এই পর্যন্তই থাক। ইফতারীর টাইম হয়ে এসেছে। প্রস্তুতিতে বাকি সময় যাইবো।

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যাক একটা কথা পরিস্কার, সাঁইজি গাঁজা নয় বরং ইফতারি খায়।

২২| ২১ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মুল্যবান একটি বিষয়ের উপর লিখেছেন । লেখাটি প্রিয়তে রইল । পোষ্টের কথা মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যসমৃহ বেশ মনযোগ দিয়ে দেখলাম । মন্তব্যের ঘরেও অনেকে মুল্যবান মতামত রেখে গেছেন ।

নতুন নকিব এর মন্তব্যের নিন্মলিখিত অংশের প্রতি সহমত ।
কুরআনে বর্নিত 'হানিফামমুসলিমা' এবং আমাদের হানাফি মাযহাবের সফল প্রতিষ্ঠাতা মহামান্য ইমাম সাইয়্যিদিনা ইমামুল আয়িম্মা- মুসলিম মিল্লাতের মাথার মুকুট প্রখ্যাত তাবেয়ী, জগত বিখ্যাত হাদিস বিশারদ 'আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি' আমার মনে হয় এই নামের মিল থাকাটা কাকতালীয়। 'হানিফ' মানে একনিষ্ঠ। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহতে সমর্পিত ব্যক্তিকে 'হানিফ' বলা হয়। সে দিক থেকে বিচার করলে আপনার মূল্যায়ন সঠিক, প্রত্যেক সত্যানুসন্ধানী মুসলিমকেই 'হানিফ' বা 'হানাফি' বলা যেতে পারে।

জনাব চাঁদগাজীর মন্তব্যের প্রতি উত্তরটি বেশ প্রনিধানযোগ্য , খুবই মনপুত হয়েছে ।

আপনার পোষ্টের নীচের দিকে থাকা এই অংশটির প্রতি দৃস্টি আকর্ষন করছি ।
কেউ যদি বলে সে দলে অমুক তমুক আছে, তবে আমি বলব তাদের অবস্থা আবু তালিব, আব্দুল মুত্তালিব ও মহানবীর (সঃ) মা-বাবার মতো।এরা আমাদের যতই প্রিয় হোকনা কেন, সূত্রমতে এরা গোমরাহ।
একে আরো একটু বিষদভাবে স্পষ্টায়ন করা আবশ্যক মনে করছি , কারণ বোল্ড করা বাক্যের পরের অংশে মহানবীর( স) মা বাবার কথা অন্তরভুক্ত থাকায় একটা ভুল ধারনা দিতে পারে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: *আল্লাহর বাণী অনুযায়ী হজরত ইব্রাহীম (আঃ) এর মাধ্যমে হানাফী মতের উদ্ভব ইরাকে আবার ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ও তাঁর ছাত্র বৃন্দের মাধ্যমে হানাফী মতের বিস্তার ইরাক থেকেই।
* মহানবী (সঃ) তাঁর উম্মতের একদলকে সঠিক বলেছেন তো সেটা সনাক্ত করতে পারে একমাত্র আল-ক্বোরআন, কারণ ক্বোরআনকে হুদাল্লিল মুত্তাকীন বলা হয়েছে। তো আমি ক্বোরআন থেকে সেটাই সনাক্ত করার চেষ্টা করেছি।
* আল্লাহর ইচ্ছাতেই ইসলামী খেলাফত ইমাম আবু হানিফার বাসস্থান কুফায় চলে এসেছে, কাজেই আমি এটাকে কাকতালীয় মনে করিনা।যা হয়েছে আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে। আমি বলতে চাই হানাফী মতের নাম করণও আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে এবং তা’ ইমাম আবু হানিফার (রঃ) নামে নয়। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এ মতের একজন ইমাম মাত্র। মূলত আল্লাহ যা চেয়েছেন, সেটাই হয়েছে।

২৩| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: মন্তব্য প্রদানে সবার আরো সাবধানী হওয়া উচিৎ।

সহদরেরে কোলে বসায়,
আমারে ডর দেখায়।

লেখক বলেছেন: যাক একটা কথা পরিস্কার, সাঁইজি গাঁজা নয় বরং ইফতারি খায়।

আমু তো আর মুনাফেক না যে মুখে এক আর অন্তরে আরেক।

২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সে জন্যই সাঁইজিকে এত্তভালো লাগে। আশাকরি আমার সত্য উৎঘটনে সাঁইজি সহায়ক হবেন। বিষয় একটাই মুসলমানদের সঠিক দল সনাক্ত করণ।

২৪| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩১

স্বতু সাঁই বলেছেন: মুসলিমের সংজ্ঞার অনুসন্ধান করুন তাহলেই পারবেন। শুধু মনে রাখবেন গরু ছাগল মুসলিম না। কারণ গরু ছাগলের জন্য ধর্ম প্রবর্তিত হয় নি।

২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। অনেকেই মুসলীম ঐক্য চায়, কিন্তু সবাই কোথায় ঐক্যবদ্ধ হবে তার একটা যোক্তিক প্লাটফর্ম দাড় না করিয়ে ঐক্যের ডাক দেওয়া অহেতুক। আহলে হাদীসরা বলছে তাদের প্লাটফর্ম হলো সেই প্লাটফর্ম। কিন্তু আমি তাদের দাবীর যথার্থতা খুঁজে পাচ্ছিনা।

২৫| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪০

স্বতু সাঁই বলেছেন: আহলে হাদিস প্রেম বোঝে?

২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সাঁইজি ওরা যে কি বুঝে, আমি আজ পর্যন্ত সেটাই বুঝতে পারিনি। ওদেরকে আমার বড় অদ্ভুত মনে হয়।

২৬| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: আপনি মুসলমান খুঁজে একত্রিত করে কি করবেন শুনি?

২২ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অধিক সংখ্যক মুসলমান একত্রিত থাকা তাদের শত্রু মোকাবেলায় সুবিধা জনক।

২৭| ২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: মুসলমানের শত্রু আছে এই খবর কোথায় পাইলেন? নাকি অন্য উদ্দেশ্য? এই যেমন অনেক মুসলমান একত্রিত হয়ে কোন রাষ্ট্র দখলের পরিকল্পনা করছে? রাতারাতি রাজা বাদশা বনে যাবে বা যাদের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছেন তাদের মূখ্য চামচা টামচা? প্রশ্নগুলো আসলো এই কারণে, আমি মুসলমানের কোন শত্রু দেখি না। বর্তমানে বেধর্মীদের রাষ্ট্রে যেসব মুসলমান বাস করে, তারা কথিত মুসলিম রাষ্ট্রের চেয়ে অনেক অনেক নিরাপদে বসবাস করে। তাহলে আপনি কিভাবে অনুমান করছেন মুসলমানের শত্রু আছে?

২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শত্রু-মিত্র যে কোন সময় হতে পারে তাই সাবধান থাকা ভাল।

২৮| ২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "শাফেঈ মালেকী ও হাম্বলীকে নীজ দলের বল্লে ভুল ব্যখ্যা হয় কেমন করে?"

বিষয়টা হল হানফীর মতই শাফেঈ ও হাম্বলী সম্পুর্ণ আলাদা মাযহাব। সেগুলিকে যখন মেনে নেয়া হয়েছিল তখন জেনে বুঝে আলাদা মাযহাব হিসেবেই বুঝেই মানা হয়েছিল এবং চারটি মাযহাবের যেকোন একটা মানাকে বাধ্যতামুলক করা হয়েছিল। প্রশ্ন হল: মাযহাব চারটা হলে সেটা একমুখি কিভাবে হল? আর পথ যদি চারটা হতে পারে তাহলে পাচটা বা দশটা কেন নয়?

আপনি দয়া করে নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকুন - কারণ আপনার নিজের জবাব নিজেকেই দিতে হবে। আবু হানীফা(র) এর নামে প্রচারিত মাযহাব এর কথা কোরআনে হাজার বছর আগের ইব্রাহীম (আ) এর হানীফ বা একমুখি দ্বীন হিসেবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে - এই রকম চিন্তার কোন সুযোগ থাকা কোন ভাবেই কি সম্ভব? যদি তাই হয় - তাহলে হানাফী মাযহাব প্রচলনের আগের মুসলমানরা কী ছিলেন? মুহাম্মদ(স) এর আগে যারা অন্য নবীদের অনুসারী ছিলেন ওনারা কী ছিলেন? ওনারা কি ইব্রাহীম(আ) এর একনিষ্ঠ হানীফ দ্বীনের উপর ছিলেন না??

দেখুন আমি নিজেও হানাফী মাযহাবের লোক। কিন্তু আপনি যেভাবে এই মাযহাবকে সেরা বা একমাত্র হেদায়াত প্রাপ্ত দল বলে প্রমানের চেষ্টা করেন সেটাই আপত্তিকর। আর মজার ব্যাপার হল - আপনি হাদীস মানতে রাজি নন, হানাফী মাযহাবই আপনার কাছে সেরা - কিন্তু মুসলমানরা ৭৩ দলে বিভক্ত হবে আর তার মধ্যে একটি দল হবে সঠিক - এই হাদীসটা খুব বেশী গুরুত্বের সাথে মানছেন!! এর ভিত্তিতেই ভাবছেন বহু দলে বিভক্ত মুসলমানদের মধ্যে মাত্র একটি দলই হেদায়াত প্রাপ্ত। কেন আপনি অন্যসব হাদীস বাদ দিয়ে এই হাদীসটাকে এতটা গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন - ভেবে দেখেছেন কি??

ঐ হাদীসটার পুর্ণ রূপ যদি আমরা দেখি তাহলে দেখব ওখানে একটা কথা আছে 'শেষ যমানায় মুসলমানরা ৭৩ ভাগে বিভক্ত হবে'। প্রশ্ন হল - আপনি কি নিশ্চিত এখনই সেই শেষ যমানা? সময়ের হিসেবে যদি ধরি তাহলে মুহাম্মদ (স) এর পর আমরা প্রায় দেড় হাজার বছর অতিক্রম করেছি। যদি মানব সভ্যতা আর দেড় হাজার বছর টিকে থাকে তাহলে উম্মতে মুহাম্মদীর সময় কাল হবে তিন হাজার বছর এবং বর্তমান সময়টা পরবে তার প্রথম অর্ধে - সে ক্ষেত্রে এই সময়কে শেষ যমানা বলা যাবে না। আপনি কি নিশ্চিত যে মানব সভ্যতা আর দেড় হাজার বছরও টিকবে না?? এটা কেউ কোন ভাবেই বলতে পারে না - কাজেই শেষ জমানা নিয়েও নিশ্চিত হওয়া যায় না - এবং ঐ হাদীসের ভিত্তিতে ছোট খাট বিষয় নিয়ে মুসলমানদের বিভক্তির মধ্যে একটি মাত্র গ্রুপকে রেখে বাকি সবাইকে বিভ্রান্ত/গোমরাহ বলাও সম্ভব না।

আপনি হাদীসের চেয়ে কোরআনকে বেশী গুরুত্বপুর্ন মনে করেন এটা খুবই ভাল দিক। মুসলমানদের যতগুলি দল/ধারা/মাযহাব/গ্রুপ আছে সবাই কিন্তু এক আল্লাহ, এক রাসুল(স), এক কোরআন - মানে। আমরা যদি কোরআনের বর্ণিত বিষয়গুলিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে অন্য সব বিষয়কে কম গুরুত্বপুর্ণ মানতে পারি তাহলে ছোট খাট মতভেদ রেখেও বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব - আর সেটাই সত্যিকার ভাবে সকল মুসলমানকে এক করতে পারে। কোন একজন ইমাম বা কোন একটা মাযহাব সবাইকে মানতেই হবে এই দ্বাবি কিছুতেই বাস্তব সম্মত নয় - যদি হত তাহলে এতগুলি মাযহাব তৈরিও হত না, এত ইমামও থাকত না।

যাই হোক, আপনার কাছে একটা প্রস্তাব বিবেচনার জন্য রাখছি - আমরা দ্বীনের বিষয়গুলি এভাবে মানতে পারি কী না -

১। আল্লাহর বাণী কোরআনে যেসকল কাজের সরাসরি নির্দেশ আছে সেগুলিই ফরজ বা অবশ্য মান্য। যতটুকু আছে ততটুকুই ফরজ এবং তা না মানলে গুনাহ হবে।
২। রাসুল(স) এর সহীহ হাদীসের দ্বারা প্রমানিত বিধানগুলি বা ফরজ বিধানের কোরআনের অতিরিক্ত বিষয় সুন্নত - মানলে উপকার আছে না মানলে গুনাহ নেই। (যেমন রমযানে সেহরী খাওয়া হাদীসের নির্দেশ অনুযায়ী সুন্নত, না খেলেও রোজা হবে, কোন গুনাহ হবে না)
৩। নবী/রাসুল নন এমন যে কোন ব্যাক্তি তিনি যত জ্ঞানীই হন মুসলমানদের জন্য মান্যতার কোন দ্বাবি করা যাবে না। ইমামদের মতামতের ভিত্তিতে নির্ধারিত বিষয়গুলি মুস্তাহাব এবং সে ব্যাপারে প্রত্যেক মুসলমান তার বিবেক অনুযায়ী স্বাধীন। ব্যাক্তিগত বিষয়ে মুক্ত বিবেকে যার কাছে যে ইমামের যে ফয়সালা সঠিক মনে হবে সে সেটাই মানবে - আর রাস্ট্রীয় বা সামাজিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান বা (যখন ইসলামী রাস্ট্র বা খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে তখন) রাস্ট্র প্রধান তার পরামর্শ সভায় ( সংসদ, শুরা ইত্যাদী) আলোচনা করে যেটাকে সবচেয়ে সঠিক মনে করবেন সেটা গ্রহন করবেন এবং তা কেবলমাত্র ঐ প্রতিষ্ঠানের বা রাস্ট্রের নাগরিকদের জন্য ঐ নেতৃত্বের সময়ে মান্য হবে।

চিন্তা করে দেখুন - ইসলাম পালনের ব্যাপারে এই অবস্থান যদি আমরা গ্রহন করতে পারি তাহলে আমাদের বিভক্তি অনেক কমে আসবে। মুসলমান যে আল্লাহ, ফেরেশতা, আসমানী কিতাব, নবী/রাসুল(আ) এবং পরকালে বিশ্বাস করে তাকে শুধুমাত্র ইমাম বা নেতার পার্থক্যের কারণে বা অন্যকোন ছোট খাট মতভেদের কারণে গোমরাহ, কাফের, মুনাফিক মনে করা এক বিরাট গুনাহের কাজ। আল্লাহ আমাদের এইরকম চরমপন্থী চিন্তাধারা থেকে রক্ষা করুন - আমীন।

২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আর পথ যদি চারটা হতে পারে তাহলে পাচটা বা দশটা কেন নয়? যতো বেশী দল তত বেশী গন্ডোগোল।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ যুগে মানুষ অনেক না জানা কথা অনায়াশে বের করে ফেলছে। যেহেতু ক্বোরআন বলছে উহা ‘হুদাল্লিল মুত্তাকীন’ সেহেতু মুসলমানদের সঠিক দর ক্বোরআন সনাক্ত করতে পারার কথা। আর ক্বোরআন সনাক্ত করে দিলে মনগড়া কথা মূল্যহীন। আমি আবু হানিফার (রঃ)হানাফী এবং ইব্রাহীমের (আঃ) হানাফী এক বলেছি, আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে বলেই বলেছি। এ পোষ্ট কমকথায় যারা বুঝে তাদের জন্য। বুঝার জন্য যাদের জন্য বেশী কথা লাগে তাদের ব্যবস্থাও আছে। সময় সুযোগ মত উপস্থাপন করব।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইমাম আবু হানিফা (রঃ) তাঁকে মানতে আব্দার করেননি। আমরাই আমাদের প্রয়োজনে তাঁকে মানি। আপনার মনে না ধরলে আপনি মানবেন না। আমার ব্যপারে আপনার নাক গলানোর কিছুই নেই। আর আমাকে কেউ উল্টা কথা বল্লে আমি কাউন্টারে তাকে মোটেও ছাড় দেবনা। এতে আমাকে কে কি বল্ল সেটা আমি কখনো ভাবিনা। বিশ্বে সব মানুষ মুসলমান নয়, সুতরাং সব মানুষ হানাফী না হলেও ক্ষতি নেই। যার কবরে সে যাবে আমার কবরে আমি যাব । কিন্তু সত্য গোপন করা গুনাহ, তাই যে সত্য আমি খুঁজে পাই আমি সে সত্য প্রকাশ করার চেষ্টা করি। আর এ পোষ্টের সঠিকতার ব্যপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত।

২৯| ২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



@স্বতু সাঁই,
আসুন। আপনার মন্তব্যগুলোর পোস্টমর্টেম করে আসি। মাইন্ড করবেন না তা জানি। কারন, আপনাদের মত লোকদের মাইন্ড করার বয়স হয়তো বাকি না ও থাকতে পারে। সময়ের ব্যবধানে অনেকের অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। এই যেমন, লজ্জা-শরম-হায়া-মায়া-মমতা এরকম অনেক কিছুই। এগুলো অনেকে হারায়। হারিয়ে ফেলে। এক সময় ঈমানও হারায়। নাম লেখায় বেঈমানের খাতায়। অগোচরে। এমনই হয়ে যায়। নাউজুবিল্লাহ। নাউজুবিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম।

১১ নং মন্তব্য। স্বতু সাঁই বলেছেন: গাঁজা সেবন করি, তবে গাঁজাখোর না।

তাই পৃথিবীর মোট মুসলমানের শতকরা দুই তৃতিয়াংশের বেশী হানাফী,

এরা কিভাবে হানাফি হলো? এটা কি জানা আছে?


এই মন্তব্যে আপনার সরল স্বীকারোক্তি আপনি গাঁজা সেবন করেন। আমরা জানি, একটি বাচ্চা ছেলেও জানে, ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক গাঁজা সেবন হারাম এবং অফকোর্স দন্ডনীয় অপরাধ। আপনি এই অপরাধটি করার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। তার মানে দাড়ায়, আপনি যদি আপনার কথায় সত্যবাদী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি একজন গাঁজা সেবনকারী নেশাখোর। ইসলামের দৃষ্টিতে নিশ্চিত অপরাধী। রাষ্ট্রীয় আইনেও আপনি অপরাধী বৈকি। কারন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রনীত সংবিধান কোন নাগরিককে গাঁজা সেবনের পারমিশন দেয় নি। একটু বিশ্লেষনে গেলে এখানে আপনার অপরাধ প্রমান হয় কয়েকটি। যেমন দেখুন-

গাঁজা সেবনের জন্য একটি পাপ:
আপনি গাঁজা সেবন করে ইসলামী শরিয়তে নিষিদ্ধ এমন একটি নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করার দায়ে নিজেকে অপরাধীর কাতারে দাঁড় করিয়েছেন।

অপরাধ করে আবার তা প্রচারে করাও পাপ:
এই ব্লগে সকলের সামনে উচ্চস্বরে নিজের কৃত একান্ত অপরাধ প্রকাশ করেছেন। নিসন্দেহে এটি আরেকটি জঘন্য পাপ। এই পাপেও আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে নিমগ্ন করলেন।

অন্যকে উতসাহ প্রদান আরেক পাপ:
আপনার গাঁজা সেবনের এই সরল স্বীকারোক্তি যদি কাউকে এই নিকৃষ্ট নেশাপানে উতসাহ প্রদান করে তার দায়ভার অবশ্যই আপনাকে বহন করতে হবে। এটাতেও তো আপনার আপত্তি থাকার কথা নয়।

এছাড়া অনুসন্ধান করলে হয়তো অপরাধের এরকম আরও পয়েন্ট বেরিয়ে আসতে পারে। যাক, সেদিকে গেলাম না।

আপনার এই মন্তব্যটি দেখে আমি যে মন্তব্য করি তা ছিল এরকম-

সত্যি সত্যি কি গাঁজাখোর লোক ব্লগে পাওয়া যায়? কি জানি, থাকতেও পারে। নাও থাকতে পারে। তবে, এদের সাথে কথা বলে মজা আছে। কি বলতে কি বলে ফেলে ঠিক নেই। কখন প্রসঙ্গ ছেড়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যায়, তারও ঠিক নেই। ভাবের সাগরে তলিয়ে থাকে এরা। রাজা টাজা ভাবে নিজেকে। যেন, ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। উজির নেই নাজির নেই মহারাজা মহাশয় ভাবেন নিজেকে!

লক্ষ্য করে দেখলে আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয়, উপরোক্ত মন্তব্যের কোথাও আপনার নাম উচ্চারন করা হয়নি কিংবা আপনাকে কোন রকম কটাক্ষও করা হয় নি। কিন্তু, এর জবাবে পাল্টা যে মন্তব্যটি আপনি করলেন সেটি নি:সন্দেহে আপনার সেই আলবেলে মাথার দারুন পরিচায়ক।

স্বতু সাঁই বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন: সত্যি সত্যি কি গাঁজাখোর লোক ব্লগে পাওয়া যায়? কি জানি, থাকতেও পারে। নাও থাকতে পারে। তবে, এদের সাথে কথা বলে মজা আছে। কি বলতে কি বলে ফেলে ঠিক নেই। কখন প্রসঙ্গ ছেড়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যায়, তারও ঠিক নেই। ভাবের সাগরে তলিয়ে থাকে এরা। রাজা টাজা ভাবে নিজেকে। যেন, ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। উজির নেই নাজির নেই মহারাজা মহাশয় ভাবেন নিজেকে!

মনে হয় মহাশয়ে গাঁজা খাওয়ার অভিজ্ঞতা বহুদিনের!! নচেৎ এমন অভিজ্ঞতার কথা মহাশয় জানলেন কেমন করে?


আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি, দাদা, কিছু মনে করবেন না। আপনার প্যাচাপেচি, ত্যানা-খ্যাতা এক করা গাদা গাদা কেচ্ছা কাহিনী শোনার আমাদের যথেষ্ট সময় নেই। বিনয়ের সাথে বলছি, আপনি এই ব্লগে আসার পর থেকে এখানের প্রত্যেকের সাথে সংঘর্ষ-সংশয়-সংঘাত সৃষ্টির উপাদান ছড়িয়ে দেয়ার কসরত করে যাচ্ছেন। উদ্ভট উদ্ভট মন্তব্য আমরা দেখি। ব্লগের সকলেই দেখে থাকেন। তবে, আপনি মনে রাখবেন, শুধু আপনার মত মহামান্যকে নয়, এরকম কয়েক লাখ 'সাঁই' জাতীয় নেশাখোর 'আলবেলে' লোককে যুক্তি তর্কের মাধ্যমে মোকাবেলা করার ক্ষমতা ইনশাআল্লাহ আমাদেরকে আল্লাহ পাক দিয়েছেন।

সাঁই,
একখান প্রশ্ন করি। বিনীতভাবে। কয়দিন ধরে অনলাইনে লিখছেন? গর্ব অহংকার নয়। শুধু মাত্র স্বীকারোক্তি। শুধুই অবগতির জন্য। পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব ছেড়েছি তাও প্রায় দেড় যুগ। নিজেকে গুটিয়ে নিলে কি হবে? আজও বাংলাদেশের সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল ইত্যাদি মিডিয়ায় এই হতভাগার হাতে গড়া যেসব সাংবাদিক সংবাদকর্মী রয়েছেন ওদের একজনের সামনে জেরায় পরলে আপনার পানির পিপাসায় আশা করি বরকত নাজিল হবে।

ব্লগার সেলিম আনোয়ারের 'ঔচিত্যবোধ' নামের পোস্টে কিছু দিন পূর্বে আপনার একের পর এক মন্তব্যে আপনি যখন কুরআন হাদিসের অপব্যাখ্যার কসরত করছিলেন, তখন একটি জবাব দেয়া জরুরী মনে করে সেখানে গিয়েছিলাম। যথেষ্ট সংযতভাবে শালীন ভাষায় আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে সেই মন্তব্যটির ইতি টানলেও আপনার স্বভাবগত আলবেলে অবস্থার কারনে হোক আর যে কারনেই হোক, আপনি পরবর্তী মন্তব্যে সাধারন সৌজন্যতা পরিহার করে আমাকে কোনরুপ সম্বোধন ব্যতিরেকে 'ভাড়াটে বক্তা' বলে উস্কানিমূলক এবং বিদ্ধেষী খোঁচা প্রদান করলেন। আবার 'ধন্যবাদের সময় এখনও আসে নি' বলে প্রচ্ছন্ন ইংগিতে এক প্রকার দম্ভও দেখিয়ে এলেন লেখক সেলিম আনোয়ারকে। ভুলেও যেতে পারেন। প্রয়োজনে আরেকবার দেখে আসুন। লিঙ্ক-

ঔচিত্যবোধ

পরিশেষে,
আবারও গোড়ায় ফিরে আসি। আসুন, কাদা ছোড়াছুড়ি ছেড়ে দিই। সুস্থ ব্লগিং করি। সাঁইজি হয়ে থাকলে আপত্তি নেই। সাঁই হয়েই থাকুন। মুফাসসির সাজার চেষ্টা করে প্যাঁচ ঘোচ লাগানো আপত্তিকর। গাঁজা-মদে দোস্তী থাকলে দ্রুত পরিহার করুন। অন্যকে বলে কয়ে স্বাক্ষী বানিয়ে রেখে গেলে কেয়ামতে আল্লাহ পাকও ক্ষমা করবেন না। কারন, এই স্বাক্ষীগন তখন যদি আল্লাহ পাকের সামনে দাঁড়িয়ে যান উপায় থাকবে না। সুতরাং সাধু সাবধান।

আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষমা করুন।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার মন্তব্য অনেকবার পড়লাম, আরো পড়ব আশাকরি।

৩০| ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

স্বতু সাঁই বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন:



@স্বতু সাঁই,
আসুন। আপনার মন্তব্যগুলোর পোস্টমর্টেম করে আসি। মাইন্ড করবেন না তা জানি। কারন, আপনাদের মত লোকদের মাইন্ড করার বয়স হয়তো বাকি না ও থাকতে পারে। সময়ের ব্যবধানে অনেকের অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। এই যেমন, লজ্জা-শরম-হায়া-মায়া-মমতা এরকম অনেক কিছুই। এগুলো অনেকে হারায়। হারিয়ে ফেলে। এক সময় ঈমানও হারায়। নাম লেখায় বেঈমানের খাতায়। অগোচরে। এমনই হয়ে যায়। নাউজুবিল্লাহ। নাউজুবিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম

সাঁই,
একখান প্রশ্ন করি। বিনীতভাবে। কয়দিন ধরে অনলাইনে লিখছেন? গর্ব অহংকার নয়। শুধু মাত্র স্বীকারোক্তি। শুধুই অবগতির জন্য। পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব ছেড়েছি তাও প্রায় দেড় যুগ।


ওহহো! মহাশয় দেখি আমার মতোই ব্লা পাক্না, তাহলে তো একই ব্যপার দাঁড়াইলো। আঠারো বছর আগে সম্পাদনা ছাড়ছেন, সম্পাদনা পাইতে কমপক্ষে বিশ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা লাগে(যদি মাহমুদ্দার মত সম্পাদক হলে বাদ), মাষ্টার ডিগ্রী নিতে কমপক্ষে সাতাশ বছর, তাইলে দাঁড়াইলো কতো ১৮+২০+২৭=৬৫ বছর। উরি আল্লাহ রি, এতো দেখি আমার চেয়েও ব্লা পাক্না। আরে আমার চলতাছে কেবলই ৫৫ বছর। আরে আপনে তো দেখি আমার চেয়েও ১০ বছরের বেশী পাক্না, তার মানে একটাও কালো নাই। আমি অবশ্য ব্লাক এণ্ড হোয়াইট। তয় গুরু আমার মতো, আপনাদের মত লোকদের মাইন্ড করার বয়স হয়তো বাকি না ও থাকতে পারে। সময়ের ব্যবধানে অনেকের অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। এই যেমন, লজ্জা-শরম-হায়া-মায়া-মমতা এরকম অনেক কিছুই। এগুলো অনেকে হারায়। হারিয়ে ফেলে। এক সময় ঈমানও হারায়। নাম লেখায় বেঈমানের খাতায়। অগোচরে। এমনই হয়ে যায়। নাউজুবিল্লাহ। নাউজুবিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম। মাইণ্ড কইরেন না আপনার কথাডারে আপনার কাছেই ফিরায়া দিলাম মাত্র।

গুরু, আমি তো খালি মুখে কইছি(সেবন করি বা নাই করি সেটা পরীক্ষা নিরিক্ষার বিষয়)। কিন্তু গুরু আপনি তো একেবারেই পারফেক্ট গাঁজার নেশার আমেজের কথা এতো সুন্দরভাবে ফুটাইয়া তুলছেন খোদ গাঁজাখোরও এই এক্সপ্রেশনও দিবার পারবো না। "দের সাথে কথা বলে মজা আছে। কি বলতে কি বলে ফেলে ঠিক নেই। কখন প্রসঙ্গ ছেড়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যায়, তারও ঠিক নেই। ভাবের সাগরে তলিয়ে থাকে এরা। রাজা টাজা ভাবে নিজেকে। যেন, ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। উজির নেই নাজির নেই মহারাজা মহাশয় ভাবেন নিজেকে!" কেডা কইবো আপনি তা না। আরে মাঝে মধ্যে টেস্ট ফেস্ট করলে কইতে পারেন, লজ্জার কিছু নাই। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গাঁজাখোরের কোন সাস্তি নাই। গাঁজা রাখলে সাস্তি আছে। গাঁজাখোরের বিরুদ্ধে কেউ কোর্টে অভিযোগ করলে, কোর্ট সরাসরি নিরাময় কেন্দ্র পাঠায়ে দেয়। কি গুরু আপনে না এতো বছর সাংবাদিকতা করছেন, সম্পাদনা করছেন?? একি হুদাই কইলেন নি?? আপনে তো দেখি গুরু বিশ্বচাপাবাজ!!! আপনে তো দেখি আমার বাপেরও বাপ!!! এটাও আপনার কথা আপনারেই ফিরালাম।

আমি কার পোস্টে কি কমেন্ট দেই সেটা আমার ও পোস্টদাতার মধ্যকার বিষয়। সেখানে আপনি ঠ্যাং নাড়ানির কে? এতক্ষন যে বড়াই করলেন আপনার এই অভিজ্ঞতা ঐ অভিজ্ঞতা তো এই অভজ্ঞতা নেই যে মানুষের উপর অনধিকার চর্চ্চা করা অপরাধ। সেই অপরাধ আপনি করেছেন। কিন্তু শালিনতার খাতিরে তা আপনাকে না বলে ব্লগারকে বলেছিলাম। আপনার কথাতেই আপনাকে উত্তর করলাম এই যে, কথায় কথায় মুখে ইসলামের কথা, আড়ি পেতে কথা শোনা চোগোলখোরদের ইসলাম কি সংজ্ঞা দিয়ছে তা কোরান থেকে জেনে নিয়েন।

মিঃ আপনার হাজার সাংবাদিক বা ক্যাডার থাক না কেন এই স্বতু সাঁইকে ডরায়ে লাভ নাই। স্বতু সাঁই বলতে জানে, সে বলেই যাবে। আপনারা সন্ত্রাসীর মতো আতঙ্ক ছড়াতে জানে, কিন্তু মানুষের মাঝে সত্যের প্রেম ছড়াতে জানেন না। আতঙ্ক বাদ দিয়ে মানুষের মাঝে বিলাতে শিখেন। ইসলামকে বেচে কোন কালেই কোন বেহস্তই পাবেন না। এটাও আপনার কথা দিয়ে আপনাকেই ফেরত দিলাম। আল্লাহ আপনাকেও হেদায়েত দান করুক।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার মন্তব্য অনেকবার পড়লাম, আরো পড়ব আশাকরি।

৩১| ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্য অনেকবার পড়লাম, আরো পড়ব আশাকরি।

তেল মলম ভালই লাগাইতে জানেন দেখি।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটাও না জানলে মানুষ কি বলবে। এটা নেহায়েত সহজ কাজ।

৩২| ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



সাঁই,
দৃষ্টিশক্তি পূর্নরুপে বিদ্যমান। ভুল দেখি না, লেখিও না। আপনি কিছু মাত্র পূর্বে ব্লগার 'মঞ্জুর চৌধুরী'র জাতির পিতা নিয়ে প্যাচগি, ইব্রাহিম (আঃ) বনাম বঙ্গবন্ধু পোস্টে নিচের মন্তব্য করেছেন।

''স্বতু সাঁই বলেছেন: আপনার এই পোস্ট নিয়ে অনেক আলোচনার আছে। তবে তার আগে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার আছে। কোরানের কোথাও কি উল্লেখ আছে, ইব্রাহীমকে মুসলমানের জাতির পিতা করা হলো? যদি উল্লেখ থাকে তবে কোন সুরার কততম আয়াতে সেই রেফারেন্সটা অনুগ্রহ করে দেবেন।''

বলি, এতবড় পন্ডিত লোক আপনি, আবার পানির মত সহজ বিষয়ে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভাবসাব দেখে আশ্চর্য না হয়ে উপায় নেই। আমি অবশ্য আপনার প্রশ্নের উত্তরটা সেখানে দিয়ে এসেছি। লিঙ্কটা দিলাম-

জাতির পিতা নিয়ে প্যাচগি, ইব্রাহিম (আঃ) বনাম বঙ্গবন্ধু

গাঁজা নিয়ে আপনার ব্যাখ্যা অভিনব! এতে তো ইহা সেবনে প্রায় পাপ নেই শাস্তিও নেই মনে করে দু'এক বার টেস্ট করলেও কেউ কেউ করতে পারেন! তা, দাদাভাই, বলছিলাম কি, ব্লগিং বাদ দিয়ে এখানে কি গাঁজার আসর জমাতে চান? এগুলো না করলে হয় না! বয়স তো আমাদের দু'জনেরটাই আপনি যোগ বিয়োগ করে দেখিয়ে দিলেন। ক্ষমা চাই ভাই। নিশ্বাসের বিশ্বাস নেই। এরপরে আর কথা নাও হতে পারে।

আবারও পূর্বোক্ত কমেন্টের শেষভাগে ফিরে যাই। মানে কপি পেস্ট করি।

দাদাভাই,

আসুন, কাদা ছোঁড়াছুড়ি ছেড়ে দিই। সুস্থ ব্লগিং করি। সাঁইজি হয়ে থাকলে আপত্তি নেই। সাঁই হয়েই থাকুন। মুফাসসির সাজার চেষ্টা করে প্যাঁচ ঘোচ লাগানো আপত্তিকর। গাঁজা-মদে দোস্তী থাকলে দ্রুত পরিহার করুন। পাপ করে অন্যকে বলে কয়ে স্বাক্ষী বানিয়ে রেখে গেলে কেয়ামতে আল্লাহ পাকও ক্ষমা করবেন না। কারন, এই স্বাক্ষীগন তখন যদি আল্লাহ পাকের সামনে দাঁড়িয়ে যান উপায় থাকবে না। সুতরাং সাধু সাবধান।

আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষমা করুন।
আপনার মঙ্গল কামনা করছি।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুন,আমিন।

৩৩| ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: প্রচলিত হানাফি মাজহাব শব্দটি এসেছে ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর নামের শেষ অংশ থেকে। ফিক্কাহী মাসায়েলের ক্ষেত্রে তার অনুসারীদের হানাফি বলা হয়। ঠিক যেমন ইমান শাফেয়ী (রহ) এর ফিক্কহের অনুসারীরা শাফেয়ী নামে পরিচিত।
সেখানে আপনি কোরানের আয়াতের সম্পুর্ণ ভুল ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা করে হানাফি নামের স্বতন্ত্র একটা দ্বীন প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করলেন। কোরান যে "হানিফা" (حنيفا) শব্দটি এসেছে তার অর্থ সুস্পষ্ট, বক্রতাহীন, একনিষ্ট একত্ববাদি। আল্লাহ বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, قل بل ملۃ ابرحم حنيفا অর্থাৎ "বল, বরং ইবরাহিমের মিল্লাত ছিল সুস্পষ্ট, বক্রতাহীন, একনিষ্ট একত্ববাদি"।
এই সকল আয়াতের ব্যাখ্যাতে কোথাও নেই যে এখানে হানাফি মাজহাবের কথা বলা হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, আপনি বললেন কোন হাদীস হানাফি মাজহাবের বাইরে গেলে তা মানসুখ বলে বিবেচিত হবে। কেন? কারণ হিসেবে বললেন এতে সাহাবী তাবেয়ীদের অপমান করা হয়। সাহাবী তাবেয়ীদের অপমানের অজুহাতে রাসুল (সা) এর একটা সহিহ আমলকে বাতিল করে দিলে কি রাসুল (সা) এর অপমান হয় না? যেখানে আল্লাহ রাসুল (সা)কে অনুসরণ করতে আদেশ করেছেন সেখানে রাসুল (সা) এর আমল বাতিল দেয়ার ধৃষ্টতা কে রাখতে পারে?
আবু হানিফা (রহ) নিজেই বলেছেন, সহিহ হাদিসই আমাদের মাজহাব। তিনি আরো বলতেন, আমার কোন ফতোয়া যদি সহিহ হাদিসের বিপরীতে দেখতে পাও, তবে তা দেয়ালে ছুড়ে মারো।
আসলে তথাকথিত আহলে হাদিস/সালাফিদের বিরোধিতা করাকেই নিজেদের দ্বীন বানিয়ে নিয়েছি। আমরা মুসলিমরা হানাফি মুসলিম-আহলে হাদিস মুসলিমের ভাগ হয়ে যাচ্ছি। অথচ ইসলামের মধ্যে দলাদলি করা সম্পুর্ণ হারাম। ভাই, আমাদের মাজহাব আলাদা হতে পারে, কাজের ক্ষেত্র আলাদা হতে পারে, কিন্ত সবকিছুর উর্ধে আমাদের পরিচয় আমরা মুসলিম। সবার আগে আমরা মুসলিম। এরপর ফিক্কহী মতভেদের কারণে কেউ হানাফি, কেউ শাফেয়ী কেউ আহলে হাদীস হতে পারে।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ক্বোরআনের অনুসারী আমি হতে পারলে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হতে পারবেন না কেন? তো ইমাম আবু হানিফা ইব্রাহীমের হানাফী মিল্লাতের অনুসারী। সেই হিসেতে তিনি হানাফী। একই হিসেবে আমরাও হানাফী।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সাহাবী তাবেয়ীদের অপমানের অজুহাতে রাসুল (সা) এর একটা সহিহ আমলকে বাতিল করে দিলে কি রাসুল (সা) এর অপমান হয় না? যেখানে আল্লাহ রাসুল (সা)কে অনুসরণ করতে আদেশ করেছেন সেখানে রাসুল (সা) এর আমল বাতিল দেয়ার ধৃষ্টতা কে রাখতে পারে? সহাবা ও তাবেঈনে কেরামের আমলের বিপরীত কোন চলমান ছহী হাদীস থাকা সম্ভব নয়। সেটা হলে একমাত্র সানসুখ হাদীস হতে পারে।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আবু হানিফা (রহ) নিজেই বলেছেন, সহিহ হাদিসই আমাদের মাজহাব। তিনি আরো বলতেন, আমার কোন ফতোয়া যদি সহিহ হাদিসের বিপরীতে দেখতে পাও, তবে তা দেয়ালে ছুড়ে মারো। এর দ্বারা ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বুঝাতে চেয়েছেন তার ফতোয়র বিপরীতে কোন চলমান (মানসুখ ব্যতীত) ছহী হাদীস পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। অথচ এ সহজ কথাটা আমরা সহজ ভাবে বুঝতে চেষ্ট করিনা।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কেউ যদি বলে ‘আল্লাহু আকবার’ কথাটা আমি মানিনা, আপনি কি তাতে মুসলিম বলবেন? আল্লাহু আকবার মানে কি? আল্লাহ বড় নয় কি? অসীম ও সসীমের মধ্যে কোনটি বড়, অসীম নয় কি? তাহলে আল্লাহ যদি বড় হন তবে তিনি অসীম নন কি? অসীমকে কি সীমা দেওয়া যায়? সীমা দেওয়ার জন্য এর সীমা কোথায় পাওয়া যায়? সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে কি? আকারের জন্য সীমা দেওয়া জরুরী নয়কি? সীমা না দিলে আকার হয় কি? এখন যারা আল্লাহর আকার আছে বলে, তারা ‘আল্লাহু আকবার’ কথাটা কিভাবে মানে? যদি আল্লাহু আকবার কথাটা তারা না মানে তথাপি কি আপনি তাদের মুসলিম বলবেন? আল্লাহ যদি তাদেরকে বান্দা স্বীকার না করে তবে ফাইজলামী করে তাকে মুসলমান মানা আমার কি দরকার?

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ যে হানাফীর কথা বলেছেন আমি সেই হানাফী। তবে ইমাম আবু হানিফার ফতোয়া বিশুদ্ধ বলে আমি সে গুলো মানি। তাঁর ফতোয়ার বিপরীত যে সব ছহী হাদীস উপস্থাপন করা হয় সেগুলো মূলত মানসুখ। সেটা আমি প্রমাণ করতে পারি- ইনশা আল্লাহ।

২২ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সব নবীর (আঃ) উম্মত মুসলীম ছিল কিন্তু সব নবীর (আঃ) উম্মত মুসলিম নামে ছিলেন না, যেমনঃ ইহুদী, বনি ইসরাইল। মুসলীম নাম হলো মহানবীর (সঃ)। আয়াতে কারিমা অনুযায়ী হানাফীও আল্লাহর প্রিয় নাম, এ নাম তবে কাদের হবে? মহানবীর (সঃ) পরতো আর কোন নবীও নেই। সুতরাং আমি হানাফী। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) আমার দলের লোক। আমি তাঁর দলের লোক। আমরা এক দলের লোক। আমাদের সহযাত্রী বিশ্বের মোট মুসলমানের দুই তৃতীয়াংশের বেশী। আল্লাহ তাঁর প্রিয় হানাফীদের কবুল করুন-আমিন।

৩৪| ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



সাহাবা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুম ও তাবেঈনে কেরামের আমলের বিপরীত কোন চলমান ছহী হাদীস থাকা সম্ভব নয়। সেটা হলে একমাত্র মানসুখ হাদীস হতে পারে।

--একটি কঠিন এবং বাস্তব সত্যকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। প্রানঢালা অভিনন্দন।

'কুরআন মানি হাদিস মানি' শ্লোগানের আড়ালে যারা ধর্মকে ফাঁকি দেয়ার কসরতে লিপ্ত তাদের চোখে এই সত্য কি কখনও পড়বে? আর পড়লেও কি তারা তা মানবেন? তারাও যে কারও না কারও অন্ধ অনুসারী, একথা কি তারা স্বীকার করবেন? অবশ্য তাদের ধারনা, তারা কারও অন্ধ অনুসরন করলে পাপ নেই। এই অন্ধ অনুসরনের সকল পাপ-তাপ ইতিমধ্যেই মাযহাবীদের ভেতরে ভাগ-বন্টন করা হয়ে গেছে।

নিত্য নতুন হাদিস আবিষ্কার করেন তারা। যে হাদিস সাহাবায়ে কেরাম খুঁজে পান নি তারা তা বের করে আনেন। আবিষ্কারক বটে তারা! ওরে বাপরে বাপ! তারা সাহাবীদের চেয়েও বড়! তাদের চেয়েও জ্ঞানী! তাদের চেয়েও সহীহ আমলওয়ালা! তাদের চেয়েও বেশি বেশি সহীহ হাদিস সমঝদার! তাদের চেয়েও মহান!

২২ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইমাম আবু হানিফা (রঃ) যখন ইবাদতের নিয়ম কানুন সানাক্ত করেছেন তখন তার চার পাশের সব ছিলেন তাবেঈনে কেরাম (রঃ); তাঁদের সামনে হাদীস বিরোধী ফতোয়া দিলে ইমাম আবু হানিফার চামড়া থাকার কথা নয়। সুতরাং তিনি চলমান হাদীস বিরোধী কোন ফতোয়া দেননি এটাই সাব্যস্ত। তাবেঈনে কেরামের (রঃ) কিছু সংখ্যক হাদীস বিরোধী কাজের ব্যপারে নিরব থাকা সম্ভব হলেও সবার নিরব থাকা কোন ক্রমেই সম্ভব নয়। কারণ তাদের সবাই এক সাথে পথ ভ্রষ্ট হওয়া সম্ভব নয়। তারা সবাই একসাথে পথ ভ্রষ্ট হলে আমরা তবে কোথায় পথ খুঁজে পেলাম? সংগত কারণে প্রবল আত্মবিশ্বাসী আবু হানিফা (রঃ) বুঝতে পেরেছেন, তাঁর ফতোয়ার বিপক্ষে কোন চজলমান ছহী হাদীস পাওয়া যাবেনা। অখচ জাহেলরা কোন কথার কি ব্যাখ্যা করে।

আমি আবার বলি আল্লাহ যে হানাফীর কথা বলেছেন আমি সেই হানাফী। ইমাম আবু হানিফা (রৎ) আমার দলের লোক আর আমিও তাঁর দলের লোক। আমরা দু’জন আসলে এক দলের লোক। আর আমাদের সহ যাত্রী হয়েছে মোট মুসলমানের দুই তুতীয়াংশের বেশী মুসলমান।

আলেমগন বাকী তিন মাজহাবকেও সঠিক বলেছেন আমি এর বিরোধীতা করে আলেমদের বিরোধী হতে চাইনা।কারণ আমি বেয়াদবী করতে পছন্দ করিনা।

৩৫| ২৩ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৫৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: আমার মতে মাযহাব নিয়ে এত কট্টরপন্থী হবার কিছু নেই। যেটা প্রমাণ পাওয়া যাবে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন এবং মহানবী (সঃ) করেছেন সে অনুযায়ী চললেই হল। তা যে মাযহাবেরই অন্তর্ভূক্ত হোক। কারণ মহানবী (সঃ) একই কাজ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে করেছেন বলেও জানা যায়। আর তার যেকোন একটা নিয়ম একেকটা মাযহাবে উল্লেখ করা। অত ডিটেইলে না যাই। এ নিয়ে আগেও আপনার পোস্ট দেখেছিলাম। তাই নিজের মতামত ব্যক্ত করলাম।
চাঁদগাজী ভাইয়ের কথা যুক্তিযুক্ত। আসলেই এমনটা হওয়া উচিৎ।
ধন্যবাদ ফরিদ ভাই।

২৩ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহানবী (সঃ) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম করলেও তাঁর শেষ কাজটা বিভিন্ন রকম ছিলনা। আর নিয়ম হলো পরের কাজ আগের কাজকে মানসুখ করে। মহানবীর(সঃ) কাছের সাহাবায়ে কেরামের আমলে তাঁর শেষ কাজ এসেছে। তাঁর সবচেয়ে কাছের সাহাবা হলেন হজরত আলী (রাঃ)। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) তাঁকে মানদন্ড ধরে ফতোয়া সনাক্ত করেছেন। সাহাবায়ে কেরামের পর তাঁর চেয়ে মেধাবী আর পরহেজগার আলেমের দৃষ্টান্ত নেই। তাঁর ফতোয়া গুলি পুরাপুরি বিশুদ্ধ। তাঁর ফতোয়া বিরোধী কোন ফতোয়া সঠিক নয়, সেটা আমি প্রমাণ করতে পারি ইনশাআল্লাহ। এখন অহেতুক তাঁর বিরোধীতা করে মুসলমানের মাঝে বিভেদ তৈরীর মানে কি? মহানবী (সঃ) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করলেও তিনি যে সব কাজ বাদ দিয়েছেন সেসব কাজ করা তাঁর সাথে জঘন্য বেয়াদবী করা ও ফাইজলামী করা। এটা বুঝানো যে আপনি বাদ দিলে কি হবে আমরা কিন্তু বাদ দেই নাই। মহানবীর (সঃ) বাদ দেওয়া কাজ কে মানসুখ বা রহিত কাজ বলে, তা করলে ইবাদত বরবাদ হয়। নামাজে সেসব কাজ করলে নামাজ হয় না।
চাঁদগাজী যা বলেছেন সেটা করা হয়েছে। কিন্তু ফিতনা বাজেরা সেটা মানেনা। তো নতুন করে করা হলেও তারা তা’ মানবেনা।
আমি মাযহাব পর্যন্ত যেতে চাই না। আমি বুঝি যা সত্যিকারের ইসলাম তার বাইরে কোন কিছু করে মূলত কোন লাভ নেই। আপনি কষ্ট করে কাজ করলেন কিন্তু ফল হলো না, তবে ব্যাপারটা কি হলো?
আল্লাহ মুসলমানের ঐক্যের কথা বলে তার নিয়ম বলবেন না, তা’ হয় না । আর সে নিয়ম হলো সবাইকে ইব্রাহীমের (আঃ) হানাফী মিল্লাতে একত্রিত হতে হবে।
মাযহাব বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, নছা মিয়া পঁচা মিয়া কচু মিয়া ঘেছু মিয়া আলতু মিয়া ফালতু মিয়ার বয়ান অনুযায়ী ইসলাম পালন করতে গিয়ে আপনার আমল যেন বরবাদ না হয় সে জন্যই আলেমগন যে চার জনের ফতোয়া সঠিক মনে করেছেন তাদের যে কোন এক জনের অনুসরন করতে বলেছেন। তারা আবার হাদীসের বিভিন্নতার অজর দেখিয়ে এ কথা বলেছেন। কিন্তু মহানবীর (সঃ) শেষ আমল মানদন্ড ধরলে হাদীসের বিভিন্নতা আর থাকেনা। সুতরাং শুধুই হানাফী মিল্লাত আর সব বাদ। একথাতেই দুই তৃতীয়াংশের বেশী মুসলমান হানাফী। আর অতি পন্ডিতেরা বিভ্রান্ত হয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছে। আর আল্লাহ যদি তাদের হেদায়েত প্রদান না করেন তবে তারা তো এমন করতোই।
আজ যদি সারা বিশ্বের সব মুসলমান ইব্রাহীমের (আঃ) হানাফী মিল্লাতের অনুসারী হতো তাহলে এখন তারাই বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করতো। কিন্তু তাদের ফিতনা তাদেরকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। সৌদী রাজা হবে মুসলমানের গুরু সেখানে সে যদি গরু হয়ে লেজ নেড়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পা চাটে তবে মুসলমানে ইজ্জত কোথায় থাকে? এ রকম গরুকেতো আর নেতা মানা যায়না। আর তাই নেতাহীন মুসলমান আজ দিশেহারা। আমি বুঝিনা আপনারা আসলে কিসের পরামর্শ দেন। আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী মুসলীম বিশৃঙ্খলা রোধের কোন উপায় আছে কি? কেন রে ভাই তিন ভাগের দুই ভাগের বেশী যে পথে সে পথে যেতে তোমার এমন চুলকারী কেন? তুমি বলছ তোমারটাই ঠিক? তো মরারপর আল্লাহ যখন ফিতনা সৃষ্টির অপরাধে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন তখন তারা বুঝবে তাদের কূকর্মের ফল।

২৩ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ফতোয়া প্রদান করেছেন, যে ফতোয়ার ত্রুট সংশোধন করেছেন চল্লিশ সদস্যের ওলামা পরিষদ, তখন আর সেটা ব্যক্তির কাজ থাকেনি। সেটা তখন রাষ্ট্রের কাজ। কাজটি করেছে আব্বাসীয় খেলাফত। অটোমানরা সেটা বজায় রেখেছে। অথচ চোট্টারা বলছে আমরা এটা মনিনা, ক্বোরআন হাদীস মানি। তো সেটা যদি ক্বোরআন হাদীস অনুযায়ী হয়ে থাকে তবে না মানার যুক্তি কি? ক্বোরআন হাদীস অনুযায়ী তার কার কথা মানে? তারা মানে ইমাম আবু হানিফার নখের যোগ্যতা যার নেই তার কথা। কতিপয় বলে আমি আমার কথা মানি, তো বাপু তোমর যোগ্যতা কতটুকু। আসল কথা হলো এদেরকে আল্লাহ পথ দেখাবেনা তাই এরা ইসলামের মহা সড়ক ত্যাগ করে কাদাপনিতে হেঁটে জাহান্নামে যাচ্ছে। ইবলিশ যাদের নেতা তাদের রক্ষা করতে পারে সাধ্য কার?

২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন তাঁর ফতোয়ার বিপরীত ছহী হাদীস পাওয়া গেলে তাঁর ফতোয়াকে দেয়ালে ছুড়ে ফেলতে হবে। তাঁর এ কথায় তাকে কতটা ওভার কনফিডেন্ট মনে হয়? তারমানে তিনি নিশ্চিত যে তাঁর ফতোয়ার বিপরীত ছহী হাদীস পওয়া যাবেনা। কারণ তিনি মহানবীর (সঃ) নিকটস্থ সাহাবায়ে কেরামের আমল অনুযায়ী ফতোয়া দিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরাম মহানবীর (সঃ) শেষ আমলের উপর আমল করেছেন। একই আমল করেছেন তাবেঈনে কেরাম। এটা ইসলামের চলমান ইবাদত। এটাই সংরক্ষণ ব্যবস্থা করেছেন ইমাম আবু হানিফা (রঃ)। এর বিপরীতে চলমান ছহী হাদীস পাওয়ার কোন সম।বাবনা নেই। যা পাওয়া যাচ্ছে তা’হলো ছহী মানসুখ বা মহানবী (সঃ) যে সব আমল বাদ দিয়েছেন সে গুলা। যেহেতু সেগুলা মহানবী (সঃ) বাদ দিয়েছেন সেহেতু সেগুলা বাদ দেওয়া ছুন্নত। এবার দেখুন ইসলামে বিধান দু’রকম হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি? আপনি বলবেন ইমাম আবু হানিফার ফতোয়র অনুকূলে হাদীস আছে কি? মূলত চলমান ইবাদতের বিপরীতে হাদীসের কোনই প্রয়োজন নেই। কারণ মহানবীর (সঃ) দেখা দেখি সাহাবায়ে কেরাম ইবাদত করেছেন, সাহাবকায়ে কেরামের দেখাদেখী তাবেঈনে কেরাম ইবাদত করেছেন। এখানে হাদীসের প্রয়োজনীয়তার যুক্তি কি? আচ্ছা নামাজ কি এক বেলার জন্য ও বন্ধ ছিল? তবে ফিতনা সৃষ্টিকে আপনি হাদীস টানছেন কেন? সে হাদীসতো রহিত! না হলে সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনে কেরাম তা’মানলেননা কেন? আপনার বোখারী (রঃ) কি সাহাবায়ে কেরাম থেকেও বেশী হাদীস মানা ও হাদীস জানা? বেয়াদবীরতো সীমা থাকা লাগে। সুতরাং সর্ব প্রমাণে একমাত্র হানাফী, একমাত্র হানাফীই হানাফী (একনিষ্ঠ০ মুসলীম। এর বাইরে যারা তারা নামেও নেই কামেও নেই। তবে বাকী তিন মাজহাবের আকীদা কিছুটা ঠিক আছে। সবচেয়ে পঁচা আকিদা হলো শীয়া ইবাদী বা খারেজী ও আহলে হাদীসের আকিদা। আর কাদিয়ানীদেরতো মুসলমানই মনে করা হয়না।

২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কেউ আপনার মুসলমান সহযাত্রীকে আপনার পথ থেকে ভিন্নপথে ঘুরারোর চেষ্টা করলে আপনি তাকে আদর করতে পারেননা। কারণ আপনার ইসলাম অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে বলেছে।

৩৬| ২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

স্বতু সাঁই বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন:
সাঁই,
দৃষ্টিশক্তি পূর্নরুপে বিদ্যমান। ভুল দেখি না, লেখিও না। আপনি কিছু মাত্র পূর্বে ব্লগার 'মঞ্জুর চৌধুরী'র জাতির পিতা নিয়ে প্যাচগি, ইব্রাহিম (আঃ) বনাম বঙ্গবন্ধু পোস্টে নিচের মন্তব্য করেছেন।

বলি, এতবড় পন্ডিত লোক আপনি, আবার পানির মত সহজ বিষয়ে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভাবসাব দেখে আশ্চর্য না হয়ে উপায় নেই। আমি অবশ্য আপনার প্রশ্নের উত্তরটা সেখানে দিয়ে এসেছি। লিঙ্কটা দিলাম-


এতক্ষনে আপনে আরও স্পষ্ট করে প্রকাশ করলেন আপলি মাদ্রাসা পাশ করা ছাত্র। সাধারণ পাঠ্যশালার ছাত্র হলে আপনার কিছুটা হলেও শালিনতা বা সৌজন্য বোধ থাকতো। আমি কাকে কি জিজ্ঞাসা করবো, কাকে কি প্রশ্ন করবো সেটা আমার নিজস্ব চিন্তাধারার বিষয়। আমি জানি কি জানি না সেটা আপনি কি করে জানলেন? আপনি কি স্বতু সাঁই, নাকি স্বতু সাঁইয়ের আল্লাহ যে স্ববতু সাঁইয়ের মনের কথাটা এতো প্রকাশ্যভাবে বলতে পারেন। এর আগেও ধরিয়ে দিয়েছি আপনার শেরেকি। তাও আপনাক আক্কেল হচ্ছে না বার বার? কেন নিজেকে মুশরিক বলে পরিচয় দিচ্ছেন মানুষের কাছে? এটাই হলো মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রদের আচরণ। কেউ যদি ধর্ম না জানতে চায় তবুও তারা জোর করে ধর্মের কথা জানাবে এবং জোর করে হলেও তারা ধর্মান্তর করবার চেষ্টা করবে। ভাবখানা যেন তাদের, তারাই যেন আল্লাহর কমিশন এজেন্ট। যেন একটা ধর্মান্তর করতে পারলেই আল্লাহ তাদেরকে কমিশন স্বরূপ বেহেস্ত দিয়ে দিবেন। এই কপিপেস্ট মার্কা আল্লাহওয়ালা লোক! বলেন তো দেখি আল্লাহ কোরানে কতবার বলেছে,'হে মুহাম্মাদ, তুমি শুধু একজন পথ প্রদর্শক মাত্র, হেদায়েতের মালিক একমাত্র আল্লাহ!' তো মিঃ, কোরানের এই বাক্যের মর্মার্থ বোঝেন? মনে হয় না। কারণ আপনারা হলেন কপি পেস্ট মার্কা আল্লাহর এজেন্ট। যেখানে আল্লাহ ধর্মের ব্যাপারে খোদ নবীকেও জুলুম করতে নিষেধ করেছেন, অর্থাৎ যতক্ষন আল্লাহ কাফের বা মুশরিককে হেদায়েত দান না করবে ততক্ষন নবীও যেন কাউকে জুলুম না করেন ।সেখানে আপনারা ধর্মের নামে মানুষ খুন থেকে শুরু করে জোরপূর্বক ধর্মান্তরও করেন এবং কটাক্ষ তাচ্ছিল্য অপমানজনক কথাবার্তা বলেন, যা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর নির্দেশনা বিরোধী। আর আল্লাহর নির্দেশনা বিরোধী যারা আল্লাহ তাদেরকে সাক্ষাৎ মুশরিক বলেছেন। শুধু মুর্তিপূজকই মুশরিক নয়। যারা পদে পদে আল্লাহর বিরোধীতা করে বা আল্লাহর নির্দেশনা আমান্য করে বা আল্লাহর সমকক্ষ ভাবে তারাও মুশরিক।

আপনি আমার গবেষণার কি দেখেছেন? এখনও তো এই ব্লগে লিখাই শুরু করি নি। যখন লিখা শুরু করবো তখন জানতে পারবেন আমার গবেষণ কি। একটা কথা বলি, তিড়িংবিড়িং করে নাচলেই নৃত্য শিল্পী হওয়া যায় না। নর্তক হতে হলে তাল লয় মাত্রা ও মুদ্রার উপর সম্যক জ্ঞান থাকতে হয়। তাই বলছি আগে নর্তকের মতো জ্ঞানী হওয়ার শর্তগুলো পুরণ করে চলুন তারপর অন্যের সাথে জ্ঞান বিনিময় করতে যাবেন। নচেৎ জ্ঞানী কাছে জ্ঞান ও সম্মান না বরং অজ্ঞতার জন্য অপমানিত হয়ে আসতে হবে। আপনি যে কপি পেস্ট মার্কা অজ্ঞ মুসলিম এটা আমি সেইদিনই বুঝিয়ে দিয়েছিলাম যেদি আপনি সেলিমের পোস্টে উপযাচক হয়ে সেলিমের পক্ষপাতিত্ব করতে এসেছিলেন। সেদিন আমি আপনাকে উপেক্ষা করেছিলাম। আমার উপেক্ষা করা দেখেই আপনার বোঝা উচিত ছিলো আপনাকে আমি কতটা অজ্ঞ মনে করি। আপনি অজ্ঞ বলেই আল্লাহ আপনাকে সেই আক্কেল দেয় নি বলেই বার বার আপনি অন্যের পোস্টে এসে আমাকে বিরক্ত করছেন। সামান্য শালিনতাবোধ আপনার নাই এবং সেটা বোঝার বোধ শক্তিও আপনাকে আল্লাহ দান করেন নি। এখন ভাবুন আপনি কতটা হতভাগা। সারাক্ষ আল্লাহ আল্লাহ করছেন অথচ আল্লাহর কতো নিয়ামত থেকে আপনি বঞ্চিত। আপনাদের মত মানুষদের নিয়ে আল্লাহ কোরানে উপাখ্যান উল্লেখ করে রেখেছেন ভালো করে পড়ে জেনে নিয়ে।

তাই আগের মতো আবারও বলছি মানুষের মাঝে আতঙ্ক না ছড়িয়ে মানুষের মাঝে প্রেম বিলাতে শিখেন। আল্লাহ আপনাকেও হেদায়েত দান করুক।

২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। আপনার গবেষণা জানার আগ্রহ বেড়ে গেল। বাস্তবিক জোর করে কোন লোককে কোন মতে আনা যায় না।

৩৭| ২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: মহানবী (সঃ) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম করলেও তাঁর শেষ কাজটা বিভিন্ন রকম ছিলনা। আর নিয়ম হলো পরের কাজ আগের কাজকে মানসুখ করে। মহানবীর(সঃ) কাছের সাহাবায়ে কেরামের আমলে তাঁর শেষ কাজ এসেছে। তাঁর সবচেয়ে কাছের সাহাবা হলেন হজরত আলী (রাঃ)। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) তাঁকে মানদন্ড ধরে ফতোয়া সনাক্ত করেছেন। সাহাবায়ে কেরামের পর তাঁর চেয়ে মেধাবী আর পরহেজগার আলেমের দৃষ্টান্ত নেই। তাঁর ফতোয়া গুলি পুরাপুরি বিশুদ্ধ। তাঁর ফতোয়া বিরোধী কোন ফতোয়া সঠিক নয়, সেটা আমি প্রমাণ করতে পারি ইনশাআল্লাহ। এখন অহেতুক তাঁর বিরোধীতা করে মুসলমানের মাঝে বিভেদ তৈরীর মানে কি? মহানবী (সঃ) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করলেও তিনি যে সব কাজ বাদ দিয়েছেন সেসব কাজ করা তাঁর সাথে জঘন্য বেয়াদবী করা ও ফাইজলামী করা। এটা বুঝানো যে আপনি বাদ দিলে কি হবে আমরা কিন্তু বাদ দেই নাই। মহানবীর (সঃ) বাদ দেওয়া কাজ কে মানসুখ বা রহিত কাজ বলে, তা করলে ইবাদত বরবাদ হয়। নামাজে সেসব কাজ করলে নামাজ হয় না।

কেন কোরানের আলোকে সমস্যার সমাধান করা যায় না?

২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইসলামে সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা হলো তাদের মধ্যকার সঠিক দল সনাক্ত করণ, আমি সে কাজে ক্বোআনের আশ্রয়ে থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ক্বোরআনকে আল্লাহ এমন গুগলী আকারে সাজিয়েছেন যাতে করে ক্বোরআন পড়েই মনোযোগী ও বিনয়ীরা হেদায়েত পায় এবং অমনোযোগী ও বেয়াদবেরা বিভ্রান্ত হয়। আল্লাহ খুব সুন্দর করে জান্নাত তৈরী করেছেন তার প্রিয় লোকদেরকে তিনি এর বাসিন্দা করতে চান। আর অপ্রিয় লোকদের তিনি এর বাসিন্দা করতে চাননা আর তাই তিনি এদের ইসলাম থেকেও দূরে রাখতে চান।

২৩ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কেন কোরানের আলোকে সমস্যার সমাধান করা যায় না? একই বিষয়ে ক্বোরআনের যে সব আয়াত রয়েছে তার শেষ আয়াত কার্যকর হবে আগেরগুলো মানসুখ হবে আর হাদীসের ক্ষেত্রেও একই বিধান। কাজেই একই বিষয়ে কার্যকর আয়াত ও হাদীস একটার বেশী হওয়ার কথা নয়। শেষ হাদীস জানার জন্য মহানবীর পরিবারের লোকদের অবশ্যই মান দন্ড ধরতে হবে। সব দিক থেকেই হানিাফিরা নিয়মের মধ্যে থাকায় তারা মুসলমানদের মধ্যে শুধূ সংখ্যা গরিষ্ঠই নয় বরং তারা দুই তৃতীয়াংশের বেশী। আর বিভ্রান্ত লোকেরা সংখ্যায় নগন্য। তবে সাঁই সম্প্রদায়কে আমি আবার বিশেষ লোক মনে করি। তাদে জ্ঞানী গান ও কথন আমার অসম্ভব ভাল লাগে।

৩৮| ২৩ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



স্বতু সাঁই,
পন্ডিতি তো কম ঝাড়লেন না। ভংচং ফতোয়াও তো দেখি ভালই জানেন। তা.... জানতে চেয়েছিলুমমমমমম, মিস্টার মুফতি সাহেব আবার হলেন কবে থেকে?

শুনুন, যারা অন্যকে খুনী ভাবেন, খুনী বলে ফতোয়া দিয়ে বেড়াতে পছন্দ করেন, তারা বুঝি লালনের আখড়ার পাশে বসে শুধু গাঁজার কল্কি টেনেই ক্ষান্ত থাকেন। তারা নিজেরা খুন খারাবিতে ওস্তাদ নয়? গাঁজায় ওস্তাদ, ফতোয়ায় ওস্তাদ হলে খুনে কি?

সত্যি করে বলুনতো, জোরপূর্বক ধর্মান্তর করেছেন কয়টারে? কয়টারে লালনের আখড়ায় আটকে নুনু কেটেছেন? এগুলো করতে করতে আপনাদের এখন বোধ করি মগজে মস্তিষ্কে এসবই সারাক্ষন ঘুরপাক খায়। যারে তারে ধরে নিজেদের সারা জীবনের কৃতকর্মের দায় চাপাতে চান। এ খেলা বন্ধ করুন।

সেলিম আনোয়ার সাহেবের পোস্টে আপনার কুরআনের অপব্যাখ্যা করেছিলেন। এখনও তা সেখানে বিদ্যমান। আপনি চাইলেও অস্বীকার করার উপায় নেই। তা ভাই সাহেব, আপনি কুরআনের যাচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন, আর যারা এ বিষয়ে জ্ঞান রাখেন তারা নিরবে আপনার একান্ত বাধ্য ছাত্রের মত মাথা নিচু করে থাকবে, তারা বসে বসে আঙুল চুষবে। এ ধরনের ভাবনা আপনি পান কোত্থেকে? ব্লগে কি জন্য এসেছেন? জানেন এটা মুক্ত প্লাটফর্ম? এখানে কমেন্ট করতে হলে কি আপনার থেকে পারমিশন নিয়ে তারপরে করতে হবে? ফালতু এসব চিন্তা ভাবনা ঝেটিয়ে বিদায় করুন। ব্লগে লিখতে আসার আগে ক্লিয়ার মাইন্ড নিয়ে আসুন। ফাইনালি আপনাকে অনুরোধ করি, ভংচং শিখে মুফতি মুফাসসির সাজতে যাবেন না। কুরআনের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা থেকে দয়া করে বিরত হোন।

আমি মাদ্রাসায় পড়েছি। ঢাকা সরকারি আলিয়া থেকে তাফসীর হাদিস নিয়ে ডাবল কামিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজ নিয়ে অনার্স, তাতে কি হয়েছে? আপনার কি মাদ্রাসার প্রতি কোন এলার্জি আছে? না থাকলে মাদ্রাসা নিয়ে চুলকানি শুরু করলেন কেন?

কাকে আপনি শিরক শেখান? আপনি জানেন, শিরক কি? আপনার পন্ডিতি ঝাড়তে আসার আগে দয়া করে ঠিক করুন কোন কোন বিষয়ে আপনি পন্ডিতি করবেন। দুনিয়ার সব বিষয় একজনের জানা থাকতে হবে এমনটা স্বত:সিদ্ধ নয়। আপনি যে বিষয়ে ভাল জানেন, সে বিষয়ে লিখুন। গবেষনা করুন। আর একটা কথা, মিথ্যা বলাটা দেখুনতো এড়ানো যায় কি না। কারন, মিথ্যা সমস্ত পাপের জননী।

আবারও বলি, তর্কে গিয়ে লাভ হবে না। আপনার সাথে তর্ক করার ইচ্ছে নেই। গতকাল মাফ চেয়ে কমেন্ট করেছিলাম। মনে করেছিলাম, আপনি নমনীয় হবেন। কিন্তু, নমনীয়তার সাথে হয়তো আপনার চেনাজানা তেমন নাও থাকতে পারে। আপনি ফালতু মুফাসসিরগিরি আর মুফতিগিরি ছেড়ে দিয়ে নিজের জানা বিষয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্লগিং করুন।

আজও আবার ক্ষমা চাচ্ছি। আমার কিছু কথা হয়তো আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকতে পারে। এগুলো বলার পেছনে কারন, আপনার ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা না করা। ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা না করার কারনেই আপনার উপর এই ক্ষুব্ধতা। ভাই, দয়া করে মাফ করুন। ভাল থাকুন। ধন্যবাদ।

২৩ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি মাদ্রাসায় পড়েছি। ঢাকা সরকারি আলিয়া থেকে তাফসীর হাদিস নিয়ে ডাবল কামিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজ নিয়ে অনার্স, তাতে কি হয়েছে? আপনার কি মাদ্রাসার প্রতি কোন এলার্জি আছে? না থাকলে মাদ্রাসা নিয়ে চুলকানি শুরু করলেন কেন? প্রিয় কবি আপনার ব্লগ ছাড়া কিছুতেই ঠিক হবেনা। আর সাঁই বুদ্ধিমান অবশ্যই। সে যাই হোক আমি আপতত দর্শক থাকতে চাই। তবে সাঁইজি বাইংমাছের মতো আপনার হাত গলিয়ে বেরিয়ে যায় কিনা সেটাই দেখার বিষয়। এ লোক সহজে রনে ভঙ্গদেওয়ার মতো লোক নন। আমি আপনাদের দু’জনের মন্তব্যই খুব উপভোগ করি। সাঁইজির অনেক কথাই তাঁর মনের কথা নাও হতে পারে। বয়সে আপনারা দু’জনেই আমার সিনিয়র তাই সম্মান দিয়ে কথা না বলে উপায় নেই।

৩৯| ২৩ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রিয় কবি'র নতুন পোষ্ট আসছেনা কেন !! শরীর ভালো আছে তো?


আমি আরেকটা নতুন সনেটের মতো 'গন্তব্য'-২ চেষ্টা করছি। দোআ করবেন প্রিয় কবি।

সেদিন তোমার চোখে থাকবে মিনতি,
স্বজনে স্বজনে তুমি খুঁজবে আশ্রয়,
ব্যথাহত কান্না বুকে চোখ খরা চৈতি ;
সে- নিষ্প্রাণ আর্তনাদ মৃত্যু-র বিজয়।
ভয়ে কম্পিত স্ব-বুকে বিলীন সম্প্রীতি,
জীবনের বাঁকে বাঁকে দ্বীন শুধু ক্ষয়,
ব্যর্থতা-র গ্লানি মেখে যেতে যদি হয় ;
কি-করে মিলবে বল খোঁদার মহতী।

কেমন হবে ভাবছি!!!

২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৫২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কবি, আমাকে নিয়ে লেখা সনেটের খবর কি?

৪০| ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন:
ফাইনালি আপনাকে অনুরোধ করি, ভংচং শিখে মুফতি মুফাসসির সাজতে যাবেন না। কুরআনের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা থেকে দয়া করে বিরত হোন।


আমি বিভ্রান্ত করছি, আর আপনি সঠিক ব্যাখ্যা দিচ্ছেন এই গ্যারান্টি দেন কি করে? এতোই যদি গ্যারান্টিদাতা হয়েছেন তাহলে আপাদের মুফতিরা এতো দলে বিভক্ত কেনো? ইসলাম নিয়ে কেনো এতো তরিকা আর মাযহাব? এসবে বিভক্ত করে কারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে? নজরটাকে সোজা করুন তাহলেই নিজের ভুল নিজে দেখতে পাবেন? সেটাও পাবার সম্ভাবনা নেই, কারণ যার নজর থাকে অন্যের দিকে সে কি করে নিজের নফসের দিকে তাকাবে? মিঃ একটা কথা বলি, পরের পু-কিতে আঙ্গুল ঢুকালে নিজের হাতেও মল ভরে। তাতে শরীর নাপাক নিজেরই হয়, অন্যের কিছুই হয় না। একথাটা মনে রাখলে জীবনে অনেক কিছুই শিখতে পারবেন। নচেৎ ঐ মাদ্রাসার সার্টিফিকেট প্যাচাইয়া টয়লেট পেপারের কাজটা সাইরেন।

ক্ষমা চাইতে হলেও তার শালিনতা ও সৌজন্যবোধ আছে। যা আনাদের মাদ্রাসায় শেখানো হয় না। তাই ক্ষমা কিভাবে চাইতে হয় তা শিখেন নি(আপনার শেষ কমেন্টে আপনি আমার উদ্দেশ্য যে সব মন্তব্য করেছে যেগুলো পর্যালোচনা করলে ক্ষমা চাওয়াটা আপনার ভনিতা ছাড়া আর কিছুই না) এবং জীবনে শিখতেও পারবেন না। বিনয়ী হতে শিখুন দেখবেন আল্লাহ আপনাকে এমনিতেই মাফ করে দেবেন। মাদ্রাসায় এটাও শিখেন নাই, আল্লাহ কাকে কিভাবে মাফ করেন। মিঃ, শেষ উপদেশ দেই, সারাদিন আল্লাহ আল্লাহ করলে আল্লাহকে পাওয়া যায় না। আল্লাহকে পেতে হলে আল্লাহর কাছে খাসদিলে আত্মসমর্পন করতে হয় তবেই আল্লাহর কাছে মাফ পাওয়া যায়। সেই লক্ষ্য আল্লাহর কাছে মাফ চান, আল্লাহ মাফ করে দেবেন। আমি আল্লাহ না যে আমি মাফ দিবো। সেই শেরেকি আমি করতে পারি না। শেরেকির অর্থ আপনার কাছে যাই হোক, আমি তা ভাল করেই বুঝি। কারণ আপনার আল্লাহ আমার আল্লাহ না এবং আমার আল্লাহ আপনার আল্লাহ না। আমি যে আল্লাহর উপাসনা করি, আপনি সে আল্লাহর উপাসনা করেন না। এটা বুঝলেই জ্ঞান বাড়বে। অযথায় অকারণে মানুষের সাধে ধর্ম নিয়ে তর্ক করার আর কিছুই থাকবে না। ভাল থাকুন, আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুক।

২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কারণ আপনার আল্লাহ আমার আল্লাহ না এবং আমার আল্লাহ আপনার আল্লাহ না। আমি যে আল্লাহর উপাসনা করি, আপনি সে আল্লাহর উপাসনা করেন না। আপনি কোন আল্লাহর উপাসনা করেন? আপনি কোনটাকে শিরক মনে করেন? আপনার শিরকের সংজ্ঞা যদি অন্য রকম হয় তবেতো মুশকিল।

৪১| ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:৫০

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: কেন কোরানের আলোকে সমস্যার সমাধান করা যায় না? একই বিষয়ে ক্বোরআনের যে সব আয়াত রয়েছে তার শেষ আয়াত কার্যকর হবে আগেরগুলো মানসুখ হবে আর হাদীসের ক্ষেত্রেও একই বিধান। কাজেই একই বিষয়ে কার্যকর আয়াত ও হাদীস একটার বেশী হওয়ার কথা নয়। শেষ হাদীস জানার জন্য মহানবীর পরিবারের লোকদের অবশ্যই মান দন্ড ধরতে হবে। সব দিক থেকেই হানিাফিরা নিয়মের মধ্যে থাকায় তারা মুসলমানদের মধ্যে শুধূ সংখ্যা গরিষ্ঠই নয় বরং তারা দুই তৃতীয়াংশের বেশী। আর বিভ্রান্ত লোকেরা সংখ্যায় নগন্য। তবে সাঁই সম্প্রদায়কে আমি আবার বিশেষ লোক মনে করি। তাদে জ্ঞানী গান ও কথন আমার অসম্ভব ভাল লাগে।

এখানে যা কিছু বললেন সবই আপনাকে শেখানো কথা। একটাও আপনার নিজের কথা না। যেখানে নিজের কথার স্থান নাই, সেখানে গবেষণার কোন লক্ষ্যন নাই। অতএব গবেষণা করলে, নিজের বিবেক দিয়ে করুন।

২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এখানে যা কিছু বললেন সবই আপনাকে শেখানো কথা। একটাও আপনার নিজের কথা না। যেখানে নিজের কথার স্থান নাই, সেখানে গবেষণার কোন লক্ষ্যন নাই। অতএব গবেষণা করলে, নিজের বিবেক দিয়ে করুন। আল্লাহ যা শেখালেন আমি সে অনুযায়ী বলেছি। এখানে যা বিষয় তা’তে নিজের কথা অপ্রয়োজনীয়। নিজের কথার দরকার হলে বলার চেষ্টা করতাম। তবে আল্রঅহর কথা আমি যেমন বুঝলাম সেটা নিজের ভাষায় বলার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আমি অবশ্যই নিজের মত প্রকাশ করতে চাই তবে অন্যের মতের উপর জোর খাটাতে চাই না। তবে সে মত ভুল হলে তাতে কি ভুল রয়েছে সেটা অবশ্য বলতে চাই।

৪২| ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৫৪

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কোন আল্লাহর উপাসনা করেন? আপনি কোনটাকে শিরক মনে করেন? আপনার শিরকের সংজ্ঞা যদি অন্য রকম হয় তবেতো মুশকিল।

আপনার এই ব্লগটিতে শেরেকির অনেক সংজ্ঞা উল্লেখ করেছি। আমার পোস্ট করা মন্তব্যগুলিতে আবার চোখ বুলিয়ে নিন। বাকিগুলো ধীরে ধীরে জানতে পারবেন।

২৪ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু আপনার এসংক্রান্ত কথা বুঝা মুশকিল। আর এমনিতেও সাঁইদের কথা তারা ছাড়া সাধারণে খুব বুঝে। আমাদেরকে বুঝাতে হলে আরো ক্লিয়ার করে বলা দরকার।

৪৩| ২৪ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০১

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: এখানে যা কিছু বললেন সবই আপনাকে শেখানো কথা। একটাও আপনার নিজের কথা না। যেখানে নিজের কথার স্থান নাই, সেখানে গবেষণার কোন লক্ষ্যন নাই। অতএব গবেষণা করলে, নিজের বিবেক দিয়ে করুন। আল্লাহ যা শেখালেন আমি সে অনুযায়ী বলেছি।

আবু হানিফা বা যে কোন ইসলামী স্কলার আল্লাহ না। আমি তাদের শেখানো কথাকে বুঝিয়েছি।

২৪ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আবু হানিফা (রঃ) চলমান ইসলাম যেমন দেখেছেন তেমন লিখেছেন। আর তিনিও নিজের কথা নয় আল্লাহ ও তাঁর রাছুলের কথা লিখেছেন।

২৪ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইসলামী স্কলাররা যদি সঠিক কথা শেখান তাতে দোষের কিছু নেই। তবে বেঠিক কথা শেখালে সেটা অবশ্য দোষনীয়।

৪৪| ২৪ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:২৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আবু হানিফা (রঃ) চলমান ইসলাম যেমন দেখেছেন তেমন লিখেছেন। আর তিনিও নিজের কথা নয় আল্লাহ ও তাঁর রাছুলের কথা লিখেছেন।

তাহলে তিনি কি বলেছিলেন বা লিখেছিলেন যে তার নামে একটা মাহযাব তৈরী হয়ে গেলো? এমনিতে তো তার নামে মাহযাব হয় নি? যে সরল পথে ইসলাম পালন করবে সে কোরান পাঠের মাধ্যমে কোরানের নির্দেশনা মাফিক পালন করবে। সেক্ষেত্রে হবে আল্লাহ কথা মতো ইসলাম পালন। কিন্তু কোন ব্যক্তির শেখানো ইসলাম হলো সেই ব্যক্তির নামে গঠিত মাযহাবের ইসলাম। তখন সেটা আর আল্লাহর শেখানো ইসলাম বলা যাবে না। কারণ ঐ ব্যক্তি যা বুঝেছে সে সেইভাবে মানুষকে বুঝিয়েছে। আপনি যেহেতু আশঙ্কা করছেন আপনি কোরান ঠিক মতো বুঝেন না, ঠিক তেমনি উনিও যে ঠিক বুঝেছেন সেই গ্যারান্টি কে দেবে। কারণ তারটাই যে ঠিক সেটা কি আল্লাহ সনাক্ত করে কোন দলিল পাঠিয়েছে? আশা করি আমার বক্তব্য আপনি বুঝতে পেরেছেন।

২৪ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হানাফী যে আবু হানিফার নামে নয় সেটাই আমি আল্লাহর কথার মাধ্যমে বুঝাতে চেষ্টা করেছি।

২৪ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি যেহেতু আশঙ্কা করছেন আপনি কোরান ঠিক মতো বুঝেন না, এটা আবার কোথায় বল্লাম?

২৪ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৪০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তেমনি উনিও যে ঠিক বুঝেছেন সেই গ্যারান্টি কে দেবে। কারণ তারটাই যে ঠিক সেটা কি আল্লাহ সনাক্ত করে কোন দলিল পাঠিয়েছে? তাঁর কথার সঠিকতা ক্বোরআন দ্বারা নির্ণয় করা যায়। আপনি শুধু বলেন তাঁর কোন কথা ভুল, তারপর আমি দেখছি তাঁর সে কথা আসলেই ভুল কিনা। কারণ তাঁর ভুলের অনুসরন করতে আমি মোটেও রাজি নই। আমি শুধু তাঁর শুদ্ধ কথার অনুসরন করতে রাজি। আমি যতটা পরখ করেছি তাতে তাঁর কোন কথা ভুল পাইনি। তিনি সব কথাই আল্লাহ ও মহানবীর (সঃ) কথা বলেছেন, এটা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি।

৪৫| ২৪ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৫৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: হানাফী যে আবু হানিফার নামে নয় সেটাই আমি আল্লাহর কথার মাধ্যমে বুঝাতে চেষ্টা করেছি।

কোরানে আল্লাহর নাম বলা আছে রহমান। কোন লোকের সন্তান হওয়ার পরে সন্তানের নাম খুব আদর করে রাখলো রহমান। রহমান বড় হয়ে চোর হয়ে গেলো। তাহলে কি আল্লাহ চোর তাই ঐ ব্যক্তিটি চোর হয়েছে বলে মনে করবো? কারণ রহমান শব্দটা কোরানেই পাওয়া যায়। যেরূপ আপনে ভাবছেন কোরানের বর্ণিত হানিফা শব্দের কারণে দৈবক্রমে আবু হানিফা। তাই হানিফার মতবাদ বিশুদ্ধ এবং হনিফার মতাবলম্বীরাও বিশুদ্ধ। তাহলে হানাফি সম্প্রদায়ের যেসব লোক ঘুষখোর মদারু ধর্ষক লুটেরা নির্যাতক শোষক ইত্যাদি ধরনের অমানুষ তাহলে কি ধরে নেবো আবু হানিফাও ঐ চরিত্রের ছিলেন বলেই দৈবক্রমে তার সম্প্রদায়ের এসব মানুষ এমন চরিত্রের হয়েছে।

২৪ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি যা বুঝেছেন ঘটনা আসলে তা’ নয়। কাজের দিক থেকে হজরত আদম (আঃ) থেকেই মুসলিম শুরু। কিন্তু ক্বোরআন বলছে মুসলিম নাম প্রথম রেখেছেন ইব্রাহীম (আঃ)। যেমন তিনি বলেছেন, আনা আউয়ালুল মুসলিমিন। তেমনি ইব্রহীমের (আঃ) মিল্লাতকে আল্লাহ বলেছেন হানিফাম মুসলিমা। তথাপি ইব্রাহীমের (আঃ) বংশের লোকেরা এ নাম চালু করেনি। কিন্তু ইসমাঈলের (আঃ) বংশ ধরদের কিছু সংখ্যক নিজেদেরকে হানিফ পরিচয় দিত। এরপর মহানবীর (সঃ) উম্মতেরা নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয় দেওয়া শুরু করে। এরপর ইমাম আবু হানিফার (রাঃ) অনুসারীরা নিজেদের হানাফী মুসলীম বা হানিফাম মুসলিমা পরিচয় প্রদান শুরূ করে যা আল্লাহর বান্দার প্রতি আল্লাহর দেওয়া প্রিয় নামের সাথে হুবহু মিলে যায়।
ক্বোরআন নিজেকে হুদাল্লিল মুত্তাকিন বলেছে। এর দ্বারা বুঝা যায় আপনার যে কোন সমস্যার সমাধান ক্বোরআন প্রদান করতে সক্ষম। এখন আপনি যদি পরস্পর বিপরীত মতের মুসলমানদের মধ্যে যারা আবার বিভিন্ন ভিন্ন ভিন্ন নাম গ্রহণ করেছে কারা তাদের মধ্যে কারা আসলে মহানবীর (সঃ) কথা অনুযায়ী মুসলমানদের সঠিক দল এমন প্রশ্ন করেন তবে ক্বোরআন থেকে একটি উত্তর মিলবে তা’ হলো হানাফী। সে উত্তর শীয়া হবে না, সে উত্তর ইবাদী বা খারেজী হবে না, সে উত্তর আহলে হাদীস হবে না, সে উত্তর কাদীয়ানী হবে না, সে উত্তর হবে শুধূই হানাফি। অন্য কোন নাম যদি ক্বোরআন সাপোর্ট করে থাকে তবে যারা যে নাম ধারণ করেছে তারা সে নামের উপর পারলে প্রমাণ উপস্থাপন করুক। সাঁইজি এটা শুধুই নামের ব্যাপার গুনের ব্যাপার নয়। এখন একজন হানাফী নামে গুনে হাহাফী নয় তথাপি তার নামটাতো আছে! অন্য জনের নামও হানাফী নেই। তারমানে নাম করনের মাধ্যমেই সে দাবী করছে সে হানাফী নয়।
আপনি আল্লাহর কাজের কথা বলেছেন, কাজে আল্লাহ যথেষ্ট কৌশলি। পরের হিসাব তিনি আগে থেকেই করে রাখেন।
আপনি বলবেন নামে হানাফী না হয়ে যদি কাজে হানাফি হয়? আপনি শিয়াদের দেখুন যারা সহাবায়ে কেরামের (রাঃ) সাথে বেয়াদবী করে তারা কি করে হানাফী হয়? তাদের আলামত তাদের হানাফী বলেনা। আপনি খারেজী বা ইবাদীদের দেখুন, যারা সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) সাথে বেয়াদবী করে তারা কিভাবে হানাফী হয়? আপনি আহলে হাদীস ও আপনাকে দেখুন যারা একজন ফরহেজগার তাবেঈ ইমাম আবু হানিফার (রঃ) সাথে বেয়াদবী করে তারা কি করে হানফী হয়? বিচারালয়ে আলামতের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। কাজেই এদের কেউ ক্বোরআন ঘোষীত হানিফাম মুসলিমা নয়। বরং যারা হানাফী নামে আছে তারা সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) ও তাবেঈনে কেরামের (রাঃ) সাথে বেয়াদবী না করায় তাদের হানাফী পরিচয় দাবী নামের দিক থেকে ঠিক আছে। কামের দিক থেকে এদের মধ্য হতে কারা হানাফী সেটা বাছাই করার দায়িত্ব আমার নয় সেটা আল্লাহর দায়িত্ব সেটা আপনিই বলেছেন। তবে নন হানাফীদের গোমরাহী স্পষ্ট।

৪৬| ২৪ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৫:০৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি শুধু তাঁর শুদ্ধ কথার অনুসরন করতে রাজি। আমি যতটা পরখ করেছি তাতে তাঁর কোন কথা ভুল পাইনি। তিনি সব কথাই আল্লাহ ও মহানবীর (সঃ) কথা বলেছেন, এটা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি।

হানাফ সম্প্রদায়ে সবাই আপনার মতো করে বিশ্বাস করে বলেই তারা হানাফি সম্প্রদায়। তাহলে আপনার গবেষণার কি থাকলো? গবেষণায় আপনার অস্তিত্বটা কি?

২৪ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি হানাফীদের একজন থাকতে চাই এটাই আমার গবেষণার ফল যে আমি এখনো তাদের বাইরে যাইনি। কারণ আমাকে অন্যদলে নিতে যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছে।

৪৭| ২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: আপনার সাথে আমার মতামতে বিরোধটা কোথায় জানেন, আপনি বলছেন ছেলে হিজড়া হলো তো কি আছে, জিনিসটা তো আছে। অর্থাৎ হানাফ সম্প্রদায়ের লোকের ইমান আকিদা থাকুক বা না থাকুক সেই সম্প্রদায়ের নাম হানফি থাকলেই সবাই হানাফি হয়ে যাবে। সোনার বস্তায় যদি এক খণ্ড লোহা রাখলে যদি লোহা সোনা হয়ে যেতো তাহলে জগতে কোন লোহা খুঁজে পাওয়া যেতো না। সব লোহারে সোনার বস্তায় ভরে সোনা বানাইয়া ফেলতো। এখানে একটা কথা বলি আপনাকে, পানি উপরে সাঁতরালে কি আর তলের মণিমুক্তা কি তুলে আনা যায়? মণিমুক্তা তুলে আনতে হলে পানির গভীরে ডুব দিতে হয়। ঠিক তেমনি আপনি সমস্যার গভীরে আপনি ঢুকতে চাচ্ছেন, ভাসে বেড়াচ্ছেন সমস্যার উপর উপর দিয়ে। জাত আম ছাড়া কি আমের তৃপ্তি মিটে?

২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি ঠিক ধরেছেন, এ পোষ্টে আমার শুধু নাম নিয়ে কথা। আমি বলতে চাই কোন নামধারীরা সঠিক। কিন্তু নামধারীদের সবার সবটা সঠিক আমি সেটা বলছিনা। তখাপি নাম ধারীদের মধ্যে যতটুকু সঠিক আছে তাদের ততটুকু সঠিক বিবেচীত হবে। কিন্তু কারো ভুল বিশ্বাসের কারণে তার ইবাদত মোটে গৃহিত হবেনা। তারতো ষোল আনাই লস। আর আপনারা সাঁই সম্প্রদায় বিষয়ের গভীরে যেমন ডুব মারেন, আমাদের সাধারণের সেটা পছন্দ নয়। আমরা ভাসমান থেকে মনের আনন্দে সাঁতার কাটতেই পছন্দ করি।

২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: একটা লোকের পেশাগত নাম পুলিশ, এখন এ নামের উপর তাকে ঐ সংক্রান্ত কাজই করতে হয়। এখন আপনি যদি বলেন সবাইকি আর আসল পুলিশ নাকি? ঘুঁষ যদি খায় তয় সেটা কিসের পুলিশ? দেখা গেল আপনি যা বলেছেন সবটাই ঠিক বলেছেন কিন্তু আপনার এমন তাত্ত্বিক ঠিক কথা শুনতে সবাই আগ্রহী হবে না। তারা বলবে হেই মিয়া পুলিশতো পুলিশই আপনারে এত আসল নকল খুঁজতে কয় কেডা। অনুরুপ সাধারণ বলবে হেই মিয়া হানাফী মানে হানাফী, আপনারে অত গভীরে ডুবাডু িকরতে কয় কেডা, মারবার চান না মরবার চান?

২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার কথার দু’ই আনার মূল্যও হয়ত অমুসলীমদের নিকট নেই। অনুরূপ আপনি হানাফী মতের না হলে আপনার নিকট আমার কথা গুরুত্বহীন মনে হবে। কিন্তু যারা হানাফী তাদের নিকট এ পোষ্ট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এটা দিয়ে তারা শয়তান মোকাবেলা করতে পারবে। কবি নতুন নকিব আপনার বিরুদ্ধে কেন খেঁপে গেল আপনি কি তা’ বুঝতে পারেন? সব দিক বিবেচনায় বুঝাগেল আমার পোষ্টের বিষয় আপনার খাদ্য নয়। সে জন্য আমার পোষ্টে আপনার বমি বমি ভাব, মাথা ঘুরায়, মাথা চক্কর মারে। আচ্ছ আপনি তো বিদগ্ধজন আপনার মতখানা না হয় আমার মতো করে উপস্থাপন করুন দেখি পাবলিক কি বলে। আপনার হাততো আর বাঁধা নয়।

৪৮| ২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০২

স্বতু সাঁই বলেছেন: ঠিক তেমনি আপনি সমস্যার গভীরে ঢুকতে চাচ্ছেন না, ভাসে বেড়াচ্ছেন সমস্যার উপর উপর দিয়ে। জাত আম ছাড়া কি আমের তৃপ্তি মিটে?

২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: গভীরতার দরকার আমার নেই। হানাফীর পর আর মত না হলে হানাফী নামটাও হয়ত আজ থাকতোনা। কিন্তু একেক জন ইসলামটারে একেক রকম বুঝে আজ ইসলামে এত নাম। আপনি যা চচ্ছেন এমন ঢের লোক আছে হানাফী মতে। কিন্তু কোন মতের সব লোক এমন হবে না। আপনার সাঁইদল ক্ষুদ্র দল আর হানাফী এক বিশাল দল। আপনি হাতির আলোচনায় পিঁপড়া নিয়ে এসেছেন। আপনি যতই বুঝান না কেন বাউল সাধক আমি হব না, আর প্রচারও আমি করবনা। যে মনে করে গভীরে ডুব দিলে সে উঠে আর শ্বাঁস নিতে পারবেনা, অমনি সে ডুবে মরবে, সে গভীরতাকে ভয় পাবেই। সবার জন্য সবটা না। আমার পোষ্টের বিষয় সাধারণের জন্য। আর আপনার চিন্তা চেতনা হলো বিশেষ লোকের জন্য। লালন হওয়া সবার ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।

৪৯| ২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: হাবীব এবং খলিলের মাঝে কোন পার্থক্য আছে কি? আল্লাহ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে হাবীব (বন্ধু) হিসেবে নিয়েছেন, হযরত ইবরাহীম (আঃ)-কে খলিল হিসেবে অভিহিত করেছেন।

এই দুই সম্বোধনের মাঝে পার্থক্য জানতে পারলে ভালো লাগতো।

আর, চার মাজহাবের মাঝে কোনটি ভালো, কোনটি কম ভালো সেটা না বলে এটা বলা যায় কি চার মাজহাবের সবই আল্লাহর বেছে দেওয়া হানাফি পথের অনুসরণ, কারণ, ইজতিহাদের ব্যাপারে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে যে-

''যদি ইজতিহাদ সঠিক হয় তাহলে দুই নেকি, আর ভুল হলে মুজতাহিদ এক নেকি পাবেন।''

আর, ইমাম শাফিঈ (রঃ) আল্লাহ'র রাসূল (সাঃ)-এর বংশধর বলে জেনেছি। উনাকে হানাফি পথের অনুসারী না বললে আল্লাহর রাসূল(সাঃ) মনে ব্যথা পেতে পারেন।

২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মূলত চার মাজহাবে মেজর কোন পার্থক্য নেই। এজন্য তারা সবাই নিজেদেরকে চার দল মনে না করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের একদল মনে করে। কিন্তু যারা ক্বোরআনের সাথে বেয়াদবী করে নিজেদেরকে আহলে ক্বোরআন না বলে আহলে হাদীস বলে তারা সরাসরি কূফুরী করে। যেমনঃ আল্লাহু আকবার মানে আল্লাহ বড় আর সসীম থেকে অসীম বড় সুতরাং আল্লাহহু আকবার মানে আল্লাহ অসীম বড়। আর অসীমে সীমা দেওয়া অসম্ভব আর সীমা ছাড়া আকার অসম্ভব সুতরাং আল্লাহু আকবার-আল্লাহ অসীম বড় মানে তিনি অসীম নিরাকার মানে তাঁর কোন আকার নেই। অথচ এ আহলে হাদীসের লোকেরা আল্লাহর আকার সাব্যস্ত করে আল্লাহু আকবার কথাটি অস্বীকার করছে, যা পরিস্কার কুফুরী। আচ্ছা আপনি বলুন আল্লাহু আকবার কথাটা অস্বীকার করলে কেউকি মুসলমান থাকে?

৫০| ২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আল্লাহু আকবর অস্বীকার করলে নামাজই হবে না। নামাজের শুরু এইটা দিয়েই।

কিন্তু, এর অর্থ নিয়ে মতভেদ থাকা উচিৎ নয়।

আর, আল্লাহু আকবর অর্থ 'আল্লাহ বড়', আল্লাহ অসীম বড় এমন বুঝানো হয়েছে কিনা তা নিয়ে একটু দ্বিমত রয়েছে।

কারণ, আল্লাহ অসীম বড় কথাটির আরবী হলো- الله كبير بلا حدود

২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তাহলে কি আপনি বলতে চান আল্লাহ বড় তবে অসীম থেকে ছোট? সাগরের পানিকে কালি বানিয়ে যার সুনাম লিখতে সাগরের পানি শেষ হয়ে যায় কিন্তু যার সুনাম শেষ হয়না আপনি তাঁকে অসীম থেকে ছোট বলছেন কেমন করে? আল্লাহু আকবার বলা হয়েছে ফ্রিলি বা মুক্তভাবে এর মানে যতবড় হওয়া সম্ভব তিনি তত বড়। আর সর্বশক্তিমান হিসেবে তাঁর পক্ষে অসীম বড় হওয়া সম্ভব। কাজেই সসীমত্ত্ব তাঁর ক্ষেত্রে কল্পনাও করা যাবেনা বলা থাক দূরে থাকুক। কাজেই আল্লাহু আকবার অসীম বড় এ অর্থে দ্বীমতের কোন সুযোগ নেই। সীম সহ বড় হয় সৃষ্টি, আল্লাহর সদৃশ নেই বিধায় সীমা সহ বড় কথাটি আল্লাহর ক্ষেত্রে প্রজোয্য নয়। আল্লাহকে সীমা সহ বড় বল্লে আল্লাহকে তাঁর সৃষ্টির কাতারে শামিল করা হয় যা সুস্পষ্ট শিরেকী। এমন বিশ্বাস যাদের তারা মুসলীম নয় বরং মুশরিক।

২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আকবার বি হুদুদ হবে সৃষ্টি কিন্তু ‘লাইছা কামিছলিহি সাইয়ুন’ আয়াতের ভিত্তিতে আল্লাহ আকবার বি হুদুদ হবেননা। আয়াতে কারিমা সন্দেহাতীত ভাবে আল্লাহু আকবার এর অর্থ الله كبير بلا حدود সাব্যস্ত করে।

৫১| ২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



//আমি বিভ্রান্ত করছি, আর আপনি সঠিক ব্যাখ্যা দিচ্ছেন এই গ্যারান্টি দেন কি করে? এতোই যদি গ্যারান্টিদাতা হয়েছেন তাহলে আপাদের মুফতিরা এতো দলে বিভক্ত কেনো? ইসলাম নিয়ে কেনো এতো তরিকা আর মাযহাব? এসবে বিভক্ত করে কারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে? নজরটাকে সোজা করুন তাহলেই নিজের ভুল নিজে দেখতে পাবেন? সেটাও পাবার সম্ভাবনা নেই, কারণ যার নজর থাকে অন্যের দিকে সে কি করে নিজের নফসের দিকে তাকাবে? মিঃ একটা কথা বলি, পরের পু-কিতে আঙ্গুল ঢুকালে নিজের হাতেও মল ভরে। তাতে শরীর নাপাক নিজেরই হয়, অন্যের কিছুই হয় না। একথাটা মনে রাখলে জীবনে অনেক কিছুই শিখতে পারবেন। নচেৎ ঐ মাদ্রাসার সার্টিফিকেট প্যাচাইয়া টয়লেট পেপারের কাজটা সাইরেন।


ক্ষমা চাইতে হলেও তার শালিনতা ও সৌজন্যবোধ আছে। যা আনাদের মাদ্রাসায় শেখানো হয় না। তাই ক্ষমা কিভাবে চাইতে হয় তা শিখেন নি(আপনার শেষ কমেন্টে আপনি আমার উদ্দেশ্য যে সব মন্তব্য করেছে যেগুলো পর্যালোচনা করলে ক্ষমা চাওয়াটা আপনার ভনিতা ছাড়া আর কিছুই না) এবং জীবনে শিখতেও পারবেন না। বিনয়ী হতে শিখুন দেখবেন আল্লাহ আপনাকে এমনিতেই মাফ করে দেবেন। মাদ্রাসায় এটাও শিখেন নাই, আল্লাহ কাকে কিভাবে মাফ করেন। মিঃ, শেষ উপদেশ দেই, সারাদিন আল্লাহ আল্লাহ করলে আল্লাহকে পাওয়া যায় না। আল্লাহকে পেতে হলে আল্লাহর কাছে খাসদিলে আত্মসমর্পন করতে হয় তবেই আল্লাহর কাছে মাফ পাওয়া যায়। সেই লক্ষ্য আল্লাহর কাছে মাফ চান, আল্লাহ মাফ করে দেবেন। আমি আল্লাহ না যে আমি মাফ দিবো। সেই শেরেকি আমি করতে পারি না। শেরেকির অর্থ আপনার কাছে যাই হোক, আমি তা ভাল করেই বুঝি। কারণ আপনার আল্লাহ আমার আল্লাহ না এবং আমার আল্লাহ আপনার আল্লাহ না। আমি যে আল্লাহর উপাসনা করি, আপনি সে আল্লাহর উপাসনা করেন না। এটা বুঝলেই জ্ঞান বাড়বে। অযথায় অকারণে মানুষের সাধে ধর্ম নিয়ে তর্ক করার আর কিছুই থাকবে না। ভাল থাকুন, আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুক।//


---আপনি যে আপনার কথায় সত্যবাদী তার স্বাক্ষর এই শেষোক্ত কমেন্টটাতেও রেখে গেলেন। মানে বলতে চেয়েছিলাম, সত্যিকারের গাঁজাখোর না হলে, কারও ক্ষমাপ্রার্থনার জবাব এইভাবে দেয়ার প্রশ্ন আসে না। একটা প্রশ্ন করি, আপনার কাছে ক্ষমা চাব কেন? আপনি কে? আপনি সাঁই? সাঁইজি? আবারও বলি, বিনয়ের সাথে বলি, আপনার সাঁইগিরি নিয়ে আপনি থাকুন। আমাদের কিছু যায় আসে না। ক্ষমা চেয়েছি ভদ্রতার খাতিরে। আপনার ভেতরে যেহেতু সেই ভদ্রতার লেশমাত্র নেই। সুতরাং ক্ষমা কি জিনিষ আপনার বুঝার কথা নয়। আপনি নিজেকে বর্তমান জগতের মহাজ্ঞানী সক্রেটিস ঠাওরানোর কারনেই এই সমস্যাটির সৃষ্টি। যাই হোক, ভাল করে বুঝে রাখুন, আপনি সাঁই না কি আল্লাহ সেইটুকু বুঝার ক্ষমতা অন্তত: আমাদের মত গাধাদেরও সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন বৈকি! সুতরাং এত হম্বি তম্বির কি প্রয়োজন ছিল? যেভাবে ভাব সাব নিতে চান, একাই তো পুরো ময়দান গিলে খেতে চান। ক্ষমা করতে হলে বুঝি আল্লাহ হতে হয়! এতবড় ক্ষমাশীল সেজে গেলেন!

হাতি ঘোড়া গেল তল,
ছাগলে কয় কত জল।

জগতে কিছু প্রানী রয়েছে, তাদের বিনয় দেখালে বিড়ালের মত মাথায় উঠতে চায়। বাপরে বাপ! এই শ্রেনির অতিমানবদের আমরা ভাল করে চিনি। সাঁই সুই, খাজা বাবা, গাজা বাবা, শালু কাপড় গেড়ুয়াধারী, জটাধারী- এগুলো পা-না ধোওয়া উযু গোসলহীন ভন্ডের দল হিসেবে চিহ্নিত। এরা চির দিন মাদরাসা মসজিদ আলেম উলামাদের শত্রু জ্ঞান করে- দেখেছি। কারন, আলেম ওলামাগন এদের ভন্ডামী আর শয়তানীর গোমর সমাজে ফাঁস করে দেন।

সুতরাং, ভন্ডামীর মুখোশ খুলে দেয়ায় কবরে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই ভন্ডের দল আলেমদের দুই চোখে দেখতে পারবে না, হলফ করে বলতে পারি। এই ক্ষুদ্র জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতাও তাই বলে।

অভিজ্ঞতায় দেখে এসেছি, এদের সামান্য কিছু সংখ্যক রমজানে রোজা রাখে। মানে, অন্য ধর্মাবলম্বীদের মত উপোস থাকে। নামাজ পড়ে না। আদৌ না। না ফরজ নামাজ, না তারাবীহ।

এইতো সেদিনও আমার এলাকার ধর্মপ্রান মুসলমানগন (আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ দলমত নির্বিশেষে সমাজের সর্বশ্রেনির মানুষ মিলে) জনৈক গাঁজাখোর বদমাশের আস্তানা উচ্ছেদ করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, এলাকা এখন ফাসাদমুক্ত। উচ্ছেদের ডাক দেয়ার পরে, ঘোষনাকৃত তারিখ আসার পূর্বেই রাতের অন্ধকারে বিড়াল তপস্বী গাঁজাখোর লোকটি এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এগুলো সমাজের কীট, আবর্জনা। অবশ্য ক্ষতি যা হবার তা হয়েই গেছে। ইতোমধ্যেই কিছু সংখ্যক যুবক এই নেশাখোরের খপ্পরে পরে যায়। আল্লাহ মাফ করুন।

ফরিদ ভাই,
ভারসাম্যহীন মানুষের সাথে কথা বলা, আর কলা গাছের সাথে বকবক করার ভেতরে মনে হয় তেমন পার্থক্য নেই। জীবনের অতি মূল্যবান সময় অপচয় ছাড়া শিক্ষনীয় কিছু অর্জনের থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করার মানে হয় না।

ভাল থাকুন প্রিয় কবি।

২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কবি এখানে আপনার দৃষ্টিতে এক আলবেলে নিয়ে আপনি বিরক্ত হচ্ছেন! আমি একবার নাস্তিক গ্রুপে একদলের সাথে লড়াই করেছি, অবশ্য আমার পক্ষেও অনেকেই ছিল। তখন মন্তব্য বাড়তে বাড়তে মন্তব্য সংখ্যা চারশত ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কাজেই আমি সাঁইকে ততক্ষণ থামাতে চাইনা যতক্ষণ তিনি নিজে না থামেন। আমি তাঁর সব কথা শুনতে চাই। আপনি আমার সাথে আছেন ভার লাগছে। তবে কথায় আছে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। কাজেই কোনভাবেই রাগ হওয়া যাবে না। যদি আপনি প্রকৃতই জিততে চান।

৫২| ২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ফরিদ ভাই,
রেগে যাচ্ছি না। তার ভাবসাব দেখে আশ্চর্য হচ্ছি। তিনি দেখছেনতো কেমন একটা সাঁই সাঁই ভাব দেখাচ্ছেন। আর মাদরাসা আলেম ওলামা নিয়ে চুলকানো শুরু করেছেন। আমি তার চুলকানোর সুবিধার্থে আমার পরিচয়টা প্রকাশ করে দিয়েছি। তিনি সত সাহসী হলে আমাদের বলার পূর্বেই তার পরিচয়টাও তিনি তুলে ধরতে পারতেন। তাতে তার বিনয় বিনয় করার ফাঁকাবুলি কিছুটা বাস্তবতা পেতে পারতো। কিন্তু, আসলে তিনি কি? অনেক কিছুকেই কি তার অভিনয় মনে হচ্ছে না?

আমার অভিনয় পছন্দ নয়। আমি বেশিক্ষন ঘ্যানর ঘ্যানর করা পছন্দও করি না। সহজ কথায় বললে, আমার ধৈর্য্য স্থৈর্য এগুলো অপ্রতুল।

ভাল থাকুন। কৃতজ্ঞতা সুপরামর্শে।

২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি প্রথমে গিয়ে ছিলাম অভিজিতের মুক্ত মনায়। তারা আগে যেসব কথা বলতো, এখন আর সে সব কথা বলেনা। আর নবীর (সঃ) উম্মতেরাও এখন আর তাদের খুন করেনা। আমি মুক্তমনায় তাদের কথা শুনেছি, তাদের কথার জবাব দিয়েছি। তারা যখন দেখল আর পারছেনা তখন তারা আমার কমেন্টস বন্ধ করে দিল। তবে পরে আর আগের মতো তাদেরকে বাজে কথা বলতে দেখিনা। নাস্তিকের পর আহলে হাদীস প্রজেক্টে হাত দিলাম। তবে এখন আর তাদেরকে মাজহাব নিয়ে বাজে কথা বলতে দেখিনা। আমি এদেরকে একদম থামিয়ে দিতে চাই, বাকী আল্লাহর ইচ্ছা।

৫৩| ২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আল্লাহর অনেকুুগুলো আরশ আছে। এর মানে আল্লাহ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বিস্তার লাভ করেন।

এর দ্বারা এই বুঝানো যায় কি যে তিনি স্থান পরিবর্তন করেন?

যখন এক আরশ থেকে আরেক আরশে যান, তখন পূর্ববর্তী আরশে কে সমাসীন থাকেন সেটা প্রশ্ন উঠতেই পারে!

যদি স্থান পরিবর্তন করেন আর বিভিন্ন আরশে সমাসীন হোন, তখন আল্লাহর আকৃতি আছে সেটা বলতে অসুবিধা কোথায়, চৌধুরী ভাই?

হয়তো সেই আকৃতি বলতে আমরা মানুষেরা যা বুঝি, তা নয়।

আমি আহলে হাদিসের কেউ নই। কিন্তু, যুক্তি তাদের পক্ষেই যাচ্ছে যে!!!

২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহু আকবার আল্লাহর সত্ত্বাগত গুন। তিনি অসীম নিরাকার বিধায় সর্বত্র বিরাজমান। তিনি সব আরশে এক সঙ্গে বিদ্যমান, স্থানান্তরের প্রয়োজন নেই। যখন কিছুউ ছিলনা তখনো তিনি ছিলেন। তখনতো আরশই ছিলনা তবে তখন তিনি কোথায় ছিলেন? আল্লাহর আকৃতির কথা কোথাও বলা নেই। সব জায়গায় তাঁর নিরাকার হওয়ার কথা বলা আছে তথাপি তাঁর আকৃতি সাব্যস্ত করতে এমন কসরত কেন? আকৃতি তো আকৃতিই সেটা যেমনই হোক সেটা অর্থগতভাবে আকৃতির শরিক। কিন্তু অসীম নিরাকারের আল্লাহ ছাড়া আপনি পারলে একটা সেম্পল দেখান। যেহেতু আল্লাহর সদৃশ্য নেই এবং যেহেতু অসীম নিরাকারের সদৃশ্য সাব্যস্ত করা অসম্ভব এবং যেহেতু অর্থগতভাবে হলেও আকারের শরিক স্বাব্যস্ত করা সম্ভব, সেহেতু লাইছা কামিছরিহি সাইয়ুন অনুযায়ী আল্লাহ নিরাকার সাব্যস্ত এবং কোন ভাবেই তাঁর আকার সাব্যস্ত করা যাবেনা। সুতরাং যারা তাঁর আকার স্বাব্যস্ত করে তার অমুসলীম। এরা হানাফীদের সাথে ব্যতিক্রম করতে গিয়েই শয়তানের গভীর ফাদে পা দিয়ে ঈমান হারা হয়েছে।

২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহর একেকটা আরশ থেকে একেকটা কাজ হয়। আরশে আজীমে দৈনিক দু’বার বান্দার আমল গ্রহণ করা হয়। চতুর্থ আকাশ থেকে আল্লঅহর আরশ বরাবর যখন যে স্থানের শেষ রাত থাকে তখন সে স্থানের বান্দার প্রর্থনা গ্রহণ করা হয়। সূর্য়ের অস্তচল বরাবর আল্লাহর যে আরশ রয়েছে সে আরশ থেকে সূর্য্য নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমরা জানি আল্লাহর সত্ত্বা সর্ব শক্তির অসীম উৎস। তো আল্লাহর আরশ কেন্দ্রীক সংশ্লিষ্ট শক্তির সেই আরশের প্রতি বিশেষ মনেযোগ স্থানকে সে দিকে আল্রঅহর স্থান্তর বুঝানো হয়। এটা এমন নয় যে আল্লাহ অনস্থান তখন খালী করে দেন। যদি তিনি অন্য স্থান খালি করে দেন ব্যাপার এমন হয়। তবে আর তাঁর অসিমত্ত্ব থাকেনা। আল্লাহর অসীমত্ত্বের প্রমাণ রয়েছে অসংখ্য। আমি আপাতত আল্লাহু আকবার নিয়ে ফাইট করছি। আপনি কি ইনিয়ে বিনিয়ে শেষতক ‘আল্লাহু আকবার’ কথাটা অস্বীকার করতে চান?

৫৪| ২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ইজতিহাদের তারতম্যের কারণে বহু মত থাকতেই পারে।

তবে, সে কারণে অমুসলিম ডাকা মনে হয় একটু বেশি বেশি হয়ে গেলো না, চৌধুরী ভাই? এই কাজটা তো আহলে হাদিসের অনুসারীরা অহরহ করে থাকেন বলে শুনেছি। খারেজীরাও এটা করতো।

ইমাম আবু হানিফা (রঃ) কাউকে অমুসলিম ঘোষনার ব্যাপারে খুব সাবধান ছিলেন।

খারেজীদের সাথে তাই উনার অনেক ডিবেট হয়েছে এ নিয়ে।

২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহর আকার সাব্যস্ত করা,তাঁকে সসীম বলা, তাঁকে সর্বত্র বিরাজমান নয় বলা, তাঁর অঙ্গ থাকার কথা বলা এগুলো নতুন উপস্থাপন, যা আল্লাহর সত্ত্বাগত অস্বীকৃতি জ্ঞাপক। ইদেরকে ইমাম সাহেব কি বলতেন সেটা বলা মুসকিল। মাসলাগত পার্থক্যে আমিও অমুসলীম বলিনা। কিন্তু আকিদা গত পার্থক্যে অমুসলীম না বলে উপায় কি? মুলত এসব বিষয়ে এতদিন তারাই আমাদের অমুসীম তথা মুশরিক বলে আসছে। আর হাদীসে আছে কেউ কাউকে এমটা বল্লে যাকে বলা হলো সে যদি মুশরিক না হয় তবে যে বলে সে মুশরিক হয়। আমি আহলে হাদীসকে প্রমাণ সহ সে কথাই বুঝানোর চেষ্টা করছি। ব্যাপার এমন, তোমরা আমাদেরকে যা বলছ বাস্তবে তোমরাই হলে সেটা, আর এটা তার প্রমাণ। আবারো বলি শুরুটা কিন্তু তারা করেছে। ইটটি মারলে পাটকেলতো ক্ষেতেই হবে। আরা কিন্তু আপনার মতো অনুযোগ করে না। কারণ তারা ভাল ভাবেই জানে তারা কি বলেছিল। সুতরাং বেয়াদবের সাথে ভদ্রতার কোন মানেই হয়না।

৫৫| ২৪ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনার কোন পোস্টে এটাই আমার প্রথম কমেন্ট, তাই কোন বিতর্কে জড়াতে চাচ্ছি না। তবে এটা আপনাকে মানতেই হবে হানাফী মাজহাব এবং কোরআনে বর্নিত হানিফা কোন মতেই এক নয়। যেহেতু অনেক পরিশ্রম করে একটা পোস্ট দিয়েছেন তাই তার মূল বক্তব্যের অন্যথা হতে দিতে চান না সেটা বুঝতে পারছি। কাঙ্গাল মুরশিদ এবং স্বতু সাঁই পয়েন্টে থেকে অনেক কথাই বলেছেন, তাই রিপিট করলাম না। ভাল থাকবেন নিরন্তর।

২৪ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তাহলে আপনি তাদের পরিচয় উপস্থাপন করুন এবং আপনার দাবীর স্বপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করুন। কারো মুখস্ত কথা কে শুনে? নাস্তিকরাও এমন বহু মুখস্ত কথা বলে অবশেষে দেখে অঠাই পানিতে তলিয়ে আছে। সেখান থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই। আপনি মত পেশ করেছেন ভাল কথা তবে সেটাকে গ্রহণযোগ্য করার দায়িত্বটাও কিন্তু আপনার উপরই বর্তায়।

৫৬| ২৪ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



তিন দিনের বৈরাগী-উলঙ্গ উদরপটে জ্ঞানের বহর,
ভাতেরে অন্ন কয়, সাতরায় অহমিকা দম্ভের নহর।

২৪ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কি আর বলব প্রিয় কবি, আল্লাহ যাদের হেদায়েত থেকে বিমুখ রাখেন তারা হেদায়েতের কথা কিছুতেই বুঝতে চায়না।

৫৭| ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফরিদ আহমদ চৌধুরী ,




সকল ভেদাভেদের রেখা মুছে দিয়ে সকল মুসলমান হয়ে উঠুক এক প্রান , এক মন ।


২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার ঈদ শুভেচ্ছায় আমি আপ্লুত। আপনার জন্য ঈদ আনন্দের নিরন্তর শুভেচ্ছা।

৫৮| ২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: অনেক বড় প্রতিমন্তব্য দিয়েছেন, ব্যাখ্যা করে। ধন্যবাদ ফরিদ ভাই। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মুসলমানই হানাফী মাযহাবের অনুসারী। সে অনুযায়ী আমিও। আমি কোনমতেই উনার বিরোধিতা করছিনা। আমি কেবল বলতে চেয়েছি অন্যদেরটা আপনি একেবারে নাকচ করে দিতে পারেননা। তারাও অনেক গবেষণা করে মাযহাব দিয়েছেন। আপনার এ বিষয়ে নিশ্চয় ভালো জ্ঞানন আছে তাই আর দীর্ঘ আলোচনায় যাচ্ছিনা। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন। আমীন।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চার মাজহাবের অপরাধে অনেকে সব মাঝহাব ঠেলে ফেলে দিয়ে নতুন মত উপস্থাপন করছে। আর তাতে মুসলমান ক্রমাগত ঐক্যের পথ হারাচ্ছে। আর তাদের দলের সংখ্যা বেড়ে চলছে। আমি চার মাজহাবকে একই দলের বলেছি। তাতেও দোষ। কি যে করি! এদিকে মুসলমানদের নিয়ে অমুসলিমদের হাসির মাত্রা বেড়েই চলছে। সেজন্যই আমি দেখতে চেয়েছি এ বিষয়ে ক্বোরআন কি বলে? দেখা যাচ্ছে এ মুসলমানেরা এক হতে অপারগ হয়ে পড়েছে। তাদের শেষ করতে এখন আর অমুসলিমদের দরকার নেই। তারা নিজেরাই মারামারি করে শেষ হবে, তারা হয়ত সেই কূ-সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে। কেনরে ভাই ওয়াইসির মিটিং ডেকে সবাই মিলে কি করে এক হওয়া যায় সে চেষ্টা কি করা যায় না? এরা কত আর লোক হাসাবে?

৫৯| ২৫ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩২

স্বতু সাঁই বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন: ফরিদ ভাই,
ভারসাম্যহীন মানুষের সাথে কথা বলা, আর কলা গাছের সাথে বকবক করার ভেতরে মনে হয় তেমন পার্থক্য নেই। জীবনের অতি মূল্যবান সময় অপচয় ছাড়া শিক্ষনীয় কিছু অর্জনের থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করার মানে হয় না।



লেখক বলেছেন: প্রিয় কবি এখানে আপনার দৃষ্টিতে এক আলবেলে নিয়ে আপনি বিরক্ত হচ্ছেন! আমি একবার নাস্তিক গ্রুপে একদলের সাথে লড়াই করেছি, অবশ্য আমার পক্ষেও অনেকেই ছিল। তখন মন্তব্য বাড়তে বাড়তে মন্তব্য সংখ্যা চারশত ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কাজেই আমি সাঁইকে ততক্ষণ থামাতে চাইনা যতক্ষণ তিনি নিজে না থামেন। আমি তাঁর সব কথা শুনতে চাই। আপনি আমার সাথে আছেন ভার লাগছে। তবে কথায় আছে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। কাজেই কোনভাবেই রাগ হওয়া যাবে না। যদি আপনি প্রকৃতই জিততে চান।


নতুন নকিব বলেছেন:
ফরিদ ভাই,
রেগে যাচ্ছি না। তার ভাবসাব দেখে আশ্চর্য হচ্ছি। তিনি দেখছেনতো কেমন একটা সাঁই সাঁই ভাব দেখাচ্ছেন। আর মাদরাসা আলেম ওলামা নিয়ে চুলকানো শুরু করেছেন। আমি তার চুলকানোর সুবিধার্থে আমার পরিচয়টা প্রকাশ করে দিয়েছি। তিনি সত সাহসী হলে আমাদের বলার পূর্বেই তার পরিচয়টাও তিনি তুলে ধরতে পারতেন। তাতে তার বিনয় বিনয় করার ফাঁকাবুলি কিছুটা বাস্তবতা পেতে পারতো। কিন্তু, আসলে তিনি কি? অনেক কিছুকেই কি তার অভিনয় মনে হচ্ছে না?

আমার অভিনয় পছন্দ নয়। আমি বেশিক্ষন ঘ্যানর ঘ্যানর করা পছন্দও করি না। সহজ কথায় বললে, আমার ধৈর্য্য স্থৈর্য এগুলো অপ্রতুল।



লেখক বলেছেন: আমি প্রথমে গিয়ে ছিলাম অভিজিতের মুক্ত মনায়। তারা আগে যেসব কথা বলতো, এখন আর সে সব কথা বলেনা। আর নবীর (সঃ) উম্মতেরাও এখন আর তাদের খুন করেনা। আমি মুক্তমনায় তাদের কথা শুনেছি, তাদের কথার জবাব দিয়েছি। তারা যখন দেখল আর পারছেনা তখন তারা আমার কমেন্টস বন্ধ করে দিল। তবে পরে আর আগের মতো তাদেরকে বাজে কথা বলতে দেখিনা। নাস্তিকের পর আহলে হাদীস প্রজেক্টে হাত দিলাম। তবে এখন আর তাদেরকে মাজহাব নিয়ে বাজে কথা বলতে দেখিনা। আমি এদেরকে একদম থামিয়ে দিতে চাই, বাকী আল্লাহর ইচ্ছা।

হায় রে এতই পেট পাতলা...

২৫ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এখানে গোপন করার মতো কিছু নেই, সুতরাং পেট পাতলারও কিছু নেই।

৬০| ২৫ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৪১

স্বতু সাঁই বলেছেন: ভাবছিলাম ভণ্ড গো নেকাব উন্মোচন করতে অনেক সময় লাগবে, কিন্তু আল্লাহ বলেছেন, "সত্যিই ওরা ভীষণ বোকা, তা তারা নিজেরাই জানে না।"

জয় গুরু! জয় গুরু!!

২৫ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:১৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভন্ড কি নিজেরে কইলেন?

৬১| ২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: চার মাজহাবের অপরাধে অনেকে সব মাঝহাব ঠেলে ফেলে দিয়ে নতুন মত উপস্থাপন করছে। আর তাতে মুসলমান ক্রমাগত ঐক্যের পথ হারাচ্ছে। আর তাদের দলের সংখ্যা বেড়ে চলছে। আমি চার মাজহাবকে একই দলের বলেছি। তাতেও দোষ। কি যে করি! এদিকে মুসলমানদের নিয়ে অমুসলিমদের হাসির মাত্রা বেড়েই চলছে। সেজন্যই আমি দেখতে চেয়েছি এ বিষয়ে ক্বোরআন কি বলে? দেখা যাচ্ছে এ মুসলমানেরা এক হতে অপারগ হয়ে পড়েছে। তাদের শেষ করতে এখন আর অমুসলিমদের দরকার নেই। তারা নিজেরাই মারামারি করে শেষ হবে, তারা হয়ত সেই কূ-সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে। কেনরে ভাই ওয়াইসির মিটিং ডেকে সবাই মিলে কি করে এক হওয়া যায় সে চেষ্টা কি করা যায় না? এরা কত আর লোক হাসাবে?

যাক ফরিদ ভাই শেষমেষ স্বীকার করেই নিলেন, মাযহাবী মুসলমানেরা সার্কাসের এক একটা জোকার সম্প্রদায়। :D ভাইজানও বুঝেন, কিন্তু ছেঁড়া কেঁথায় তালি মারার চেষ্টা ব্যস্ত। কু-তর্কের মাস্টার ফরিদভাই ফাটা দুধেরে দুধ কইতে চায়, তা কি আর করা যায়? কিছুদিন আগে সসীম আর অসীম নিয়ে কিসের রশি পাকাই লেন সে নিজেই জানে না। আর জানবোই কেমন কইরা। বিচারের আগে তালগাছ হাতে নিয়া বইসা আছে। যেমন কানায় মনে করে সে সব আলো নিয়া আছে বইসা আছে, তাই সবাই কানা সে শুধু দেখতে পায়। কানায় স্বীকার করতেই চায় না সে কানা। সে কানারে কি আর দেখতে পায়? ঠিক তেমনি কানা হইলো আমাগো ফরিদভাই। শেষমেষ নিজেই নিজেরে প্মান করলো সেসহ তার ও সব মাযহাবী সম্প্রদায় সার্কাসের জোকার।

ফরিদ ভাই, এটাই সত্য। এই সত্যটা বোঝানোর চেষ্টা অনেক আগে থেকে আপনারে করেছি। কিন্তু কু-তর্ক করে সেই সত্যটারে আপনি স্বীকার করতে চান না। সত্য স্বীকারে লজ্জা নাই। আপনি যদি সত্যিকারের ম্লেচ্ছো হন, তাহলে নেংটি খুলে ধুতি পাঞ্জাবী পরলে কি আর ব্রাহ্মণ হইতে পারবেন? আপনে নেংটি পরা ম্লেচ্ছ, সেটা স্বীকার করে নিতে আপনার লজ্জা কিসে?? বরং ম্লেচ্ছ যদি ধুতি পাঞ্জাবী পইরা নিজেরে ঢোল পিটাইয়া কয় সে ব্রাহ্মণ, লোকে তারে সত্যি সত্যি সার্কাসের জোকার ভাইবা তালি তো বাজাইবো এতে কুনো সন্দেহ নাই। তাই শেষের পরিণতি যেহেতু উপলব্ধি হইছেই। তাহলে স্বীকার করে নিন আপনারা ম্লেচ্ছো, ম্লেচ্ছো থাকবেন আজীবন। ব্রাহ্মণ কোনদিনই হতে পারবেন না। এই কথা আপনার নবীজীও বুঝবার পারছিলো তাই আফসোস কইরা কইছিলো, "হায় আল্লাহ! কাকের কন্ঠে ককিলের সুর আমি কোন দিনই তুলতে পারুম না। কাক কাকই থাকবো আজীবন।

২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি নিজে কোন চিজ। উহা যে ভাল ও সঠিক তার কি প্রমাণ আছে? এখন সব যদি মন্দ হয় তবে এর মধ্যে উত্তম টাই অতি উত্তম। সাঁইজি মনে হয় আলবেলায় সে কথা বুঝতে পারেননি। আপনি যাদের কথা বল্লেন তাদের সারা গায়ে ময়লা ল্যাপ্টানো, এমনকি শুকিয়ে পাথরের মতো শক্তভাবে আটকানো, আর আমি যাদের কথা বলছি তাদের গায়ে সামান্য ময়লার ছিঁটা। গাঁঞ্জার মাথায় কি আর এসব ঢুকে?

২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার প্রতি আমার পরিস্কার প্রস্তবনা হলো যেহেতু আমার মত আপনি গ্রহণ করতে পারলেন না, সেহেতু আপনার মত পরিস্কার করে উপস্থাপন করুন, দেখি সেটা গ্রহণযোগ্য কিনা। যদি আপনার মত গ্রহণ যোগ্য না হয় তবে আপনার এতো প্যাচ কষাকষি কেন? ক্যাখলিক খ্রিস্টানের পর বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম হলো হানাফী মুসলিম। আপনারমতো সাঁই এর বিরোদীতা করে কতটুকু লাভবান হবেন? আর আমার সাথে অনন্তকাল তর্ক করলেও আশাকরি তর্ক শেষ হবেনা আপনার-ইনশাআল্লাহ। এবার আপনার যতখুশি তর্ক করুন। আমার তাতে আপত্তি নেই। তারপর জয় পরাজয় কার সেটা বলবে পাবলিক।

২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সাঁইজী আপনার মত পিছলা লোকের সাথে তর্কে আমি আনন্দীত, কারণ আমার কাছে ছাঁই আছে। সাঁই এর জন্য ছাঁই, কি বুঝলেন?

৬২| ২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: আপনার সাথে তর্ক করবার আর কে আছে? তাই বলছি নুতন কোন কল্পনা নিয়ে আর একটা নুতন পোষ্ট দিন সেখানে আবার নুতন করে তর্ক শুরু করা যাবে। এই ব্লগ অনেক বড় হয়ে গেছে। মন্তব্য দিতে গিয়ে শুধু শুধু ডাটা খরচ হচ্ছে। ডাটার খরচ তো আর আপনি দিবেন না। তাই নুতন পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।

আপাতত আমার রচিত কবিতাই পড়তে থাকেন এবং মস্তিস্ককে সবল করতে থাকেন। কারণ আমার পোস্টে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করতে সবল মস্তিস্কের প্রয়োজন আছে। ম্লেচ্ছর মস্তিস্ক দ্বারা সেখানে আলোচনা করা সম্ভব নয়। আর আপনার কথা আপনাকেই ফেরত দিচ্ছি, রেগে গেলেই হেরে যাবেন, হেরে গেলেই শেষ। ধন্যবাদ, শুভকামনা।

২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শুনেছি সাঁইদের ধর্ম থাকেনা, এ এক পদ। তো আপনি কি তবে রোজা না রেখে ইফতারের কথা বল্লেন?

৬৩| ২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২১

স্বতু সাঁই বলেছেন: আমার রোজা আপনার রোজা না,
আপনার রোজা আমার রোজা না।
আমার রোজা রিপু দমনে,
আপনের রোজা রতি মদনে।
আমার রোজা আমার ইন্দ্রিয়ের,
আপনার রোজা আপনার ভোগের।

২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সেটা আমি অনুমান করছিলাম। এমনিতেও সাঁইগন জীব জগতের আলাদা প্রাণী।

২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মুষ্ঠিমেয় ক’টা লোক সাঁইগিরি করে কেউ তাদে কথা শুনে, কেউ শুনেনা। এরা মানব সভ্যতায় তেমন কোন প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়নি। এরা বৃহত জনগোষ্ঠির দয়ার উপর কোন রকম টিকে আছে। যে কোন সময় আধুনিক সাংস্কৃতির আগ্রাসনে এরা বিলিন ও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তখন এরা আর নিজেদের একতারাই আর খুঁজে পাবেনা। তখন কুমার বিশ্বজিতের গানেও কুলাবে না।

৬৪| ২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: সাঁইগণ ইবলিসের ইজারাকৃত শরিয়ত জগতের বাসিন্দা না। তাই তারা শরিতের প্রভূ ইবলিসের অনুসারী না।

২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তারা নিজস্ব সনদে অতি উত্তম। নিজের ঢোল নিজে পিটানো আর কি! কিন্তু ক’দিন বাদে পিটানোর এ ঢোলও থাকবেনা। এরা বলতে গেলে বিলুপ্তির পথ ধরেছে। এ যুগে এসব গাঁজাসেবি সাঁইগিরি অচল।

৬৫| ২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: লেখক বলেছেন: মুষ্ঠিমেয় ক’টা লোক সাঁইগিরি করে কেউ তাদে কথা শুনে, কেউ শুনেনা। এরা মানব সভ্যতায় তেমন কোন প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়নি। এরা বৃহত জনগোষ্ঠির দয়ার উপর কোন রকম টিকে আছে। যে কোন সময় আধুনিক সাংস্কৃতির আগ্রাসনে এরা বিলিন ও বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তখন এরা আর নিজেদের একতারাই আর খুঁজে পাবেনা। তখন কুমার বিশ্বজিতের গানেও কুলাবে না।

মনকলা মনে মনে খাইতেই মজা লাগে। কারণ চাবাইতে হয় না। দন্তহীন লোকেরাও খাইতে পারে। সাঁইজীগিরি করতে হলে বত্রিশটা দাঁত লাগে। ধ্বজভঙ্গ লোক দ্বারা সাঁইগিরি চলে না। অটল পুরুষ হতে হয়।

২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যে রকম খাবার মানুষ খায় তাতে সে রকম পুরুষ আর পাওয়া যাবে না। সুতরাং অচিরেই সাঁইগিরি বিলুপ্ত হবে। এটা এখনো নিবু নিবু প্রদীপের মতো।

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ছোট বেলায় একটা ছন্দ শুনেছিলাম,‘উত্তরে করিগো বন্দি পাহাড় কানি কানি- বইছা মাছে বগাগিলি লইছে টানাটানি’ আপনার দশা হয়েছে সে রকম!

৬৬| ২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: মনকলা মনে মনে খাইতেই মজা লাগে। কারণ চাবাইতে হয় না। দন্তহীন লোকেরাও খাইতে পারে। সাঁইজীগিরি করতে হলে বত্রিশটা দাঁত লাগে। ধ্বজভঙ্গ লোক দ্বারা সাঁইগিরি চলে না। অটল পুরুষ হতে হয়।

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সে ষাড় মার্কা পুরুষ এ কালে পাওয়া যাবেনা। আর সে ষাড় সামলানো গাইও বর্তমানে নেই। সব ক্যামিখ্যাল। সুতরাং সাঁইদের নিজের বিচি নিজে চাটা ছাড়া কোন উপায় দেখছিনা।

৬৭| ২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২১

স্বতু সাঁই বলেছেন: তাই তো বলি শরিয়তের ধ্বজভঙ্গ সারেন, সাঁয়ের শিশ্ন চাটা লাগবে না।

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সঠিক শরিয়ত আমি সনাক্ত করেছি। যা বিপুল জনগোষ্ঠি অনুসরন করে। কিন্তু সাঁইরা যে ষাড়ামি করে পাবলিক টের পেলে নিশ্চিত বলদ বানিয়ে ছাড়বে।

৬৮| ২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

স্বতু সাঁই বলেছেন: ষাঁড়ের ঐটা কত বড় ও শক্ত হয় সেটা আপনার জানা। কারণ পূর্বেই তা ব্ক্ত করেছেন। অতএব ষাঁড় কি করতে পারে তাও ভালো করেই জানেন।

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ষাড়কে ক্বোরবান দেওয়া হয়। ষাঁড়ের গোস্ত খেতে ভাল।

৬৯| ২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটা একটা বেদরকারী দল।

৭০| ২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

স্বতু সাঁই বলেছেন: ষাড়ের শিং এর গুতোও খুব মজাদার।

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তা’ সে যাই হোক ছুরির নীচে তাকে গলা পেতে দিতেই হয়।

৭১| ২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ফরিদ ভাই,
অকথ্য ভাষা ব্যবহারকারী আলবেলে তালগোল পাকানো তুচ্ছ ম্লেচ্ছ গাঁজাপ্রিয় লোকদের সাথে বিতর্কে কি সত্যি কোন ফায়দা থাকতে পারে?

আমার তো মনে হয়, জিরো প্রোফিট থাকারও কোন সম্ভাবনা এতে নেই।

তারচে' আসুন, দু'লাইন কবিতা বানাই-

জটাধারী গাঁজাপ্রিয়,
আলবেলে মস্তক।
কি বলিতে কি যে বলে,
গুলে যায় শেষতক।

নেশাখোর তড়পায়,
মাতলামি স্বভাবে।
শরীয়ত ছুটে যায়,
অভ্যাসের অভাবে।

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:




জটাধারী গাঁজাপ্রিয়,
আলবেলে মস্তক।
কি বলিতে কি যে বলে,
গুলে যায় শেষতক।

নেশাখোর তড়পায়,
মাতলামি স্বভাবে।
শরীয়ত ছুটে যায়,
অভ্যাসের অভাবে।

দারুণ কবিতা হয়েছে প্রিয় কবি!

৭২| ২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: নেন, আপনের সাগরেদ আবার আসছে। একটু তারেই ঠান্ডা করেন।

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সাগরেদ নন গুরু। মুখ সামলে কথা বলেন। আখড়ায় গাঞ্জা টেনে কি যে শিখলেন, কে জানে?

৭৩| ২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: সাব্বাস! গুরুর যে হাল, শিষ্যও তেমনি ডাল।

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: গুরুর হাল যথেষ্ট ভাল। অন্তত তিনি সাঁইদের মতো বেহাল নন। নেহায়েত শীতল মস্তিষ্ক।

৭৪| ২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

স্বতু সাঁই বলেছেন: ভালই তেল মারতে পারন তো!!!! হা হা হা.. এখন গুরু যদি বলতে পারে আপনি তাকে কোন তেলে তেল মালিশ করছেন তাহলে বুঝতে পারবো সে আপনের সত্যিকারের গুরু এবং তার গুরুবিদ্যা ভালো করেই জানা আছে।

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তেল একটি স্নেহ জাতীয় পদার্থ। আমরা শৈশব থেকে স্নেহ পেয়ে আসছি। তথাপি যদি আমরা উহা মাখতে না জানি তবে গবেট ছাড়া কি বলা যাবে? গুরুকে আমি অবশ্যই ভক্তি নামক তেল মালিশ করেছি। তাঁর সেটা অজানা থাকার কথা না। তিনিতো আর আপনার মতো আলবেলে না।

৭৫| ২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

স্বতু সাঁই বলেছেন: চামচার চামচামি ভালই লাগছে।
তা দেখে দর্শক মুচকি মুচকি হাসছে।

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আয় সোবহানাল্লাহ। আপনি দর্শক দেখছেন! না বুঝতে পারছি গঞ্জার সুখটান আপনার ভালো হয়েছে।

৭৬| ২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

স্বতু সাঁই বলেছেন: কথার যদি হারায় তান,
ভেবে নিও মস্তিস্কে পড়েছে টান।
ফরিদ ভাইয়ের কথা এলোমেলো
তান হারিয়ে তার তাল লয় সব গেলো।

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার যন্ত্রপাতি বেঠিক হলে, আমার ক্ষেত্রে আপনার বেঠিক বিবেচনা আসবে এটা নেহায়েত স্বভাবিক ব্যাপার।

৭৭| ২৫ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: আপনের এই ব্লগে শেষ বক্তব্য বলে যাই,
তর্ক করতে চাইলে সূক্ষ্ম মস্তস্ক চাই।
স্থুল মস্তিস্ক গোবরে ভরা,
জ্ঞানসারশূন্য ছন্নছরা।

২৫ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নিজ মস্তিষ্কের যথাযথ বর্ণনা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ।

৭৮| ২৫ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:











তিনি কইছিলেন-
সাঁইজিগিরি করতে হলে,
ধ্বজভঙ্গ টঙ্গ চলবে না।

আমরা বলি-
কথা বার্তায় ভাব যা দেখি,
এই গাছে ফল ফলবে না।

ধাতুর ক্ষয়ে ক্ষীনতর দেহ,
গাঁজার টানে বাকিও শেষ।
মুখেই শুধু বাগাড়ম্বর, বুকে
পুরিষ পোড়া বদ বু বেশ।

বেশরা ফকির শয়তানের ভাই,
দোস্ত পাতায় ইবলিসে।
শতেক কয়েও কাজ কি বল,
দোস্ত কলজে ধরে চিপ দিছে।

তাগোর নমাজ ভিন্ন ধারায়,
মনে মনে পড়লেই হয়।
রোজাও নাকি তেমনি করে,
উপোস থাকার শখ পুরোয়।

গাঞ্জা টেনে হাওয়ায় ধোয়া,
উড়ায় পাগল অন্ধজন।
আবার বলে আমিই সাঁই,
বেকুব বাকি জনগন।

২৫ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অসাধারণ কবিতা হয়েছে প্রিয় কবি- ঈদ মোবারক।

৭৯| ২৫ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



লেখক বলেছেন: নিজ মস্তিষ্কের যথাযথ বর্ণনা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ।

---ফরিদ ভাই, ইউ আর দ্য এক্সিলেন্ট অন!
যথাযথ জবাবে আপ্লুত!!

২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় কবি আমি আপনাকে আমার শিক্ষক মনে করি। আমি আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি শিখছি হয়ত বেঁচে খাকলে আগামীতেও শিখব। আপনার মতো শিক্ষকের কাছে একটাই কামনা, দোয়া করবেন যেন আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে দুনিয়া ছেড়ে যেতে পারি। তবেই জীবন স্বার্থক হবে।

৮০| ২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ইয়ে হাল তেরি জাল হ্যায়,
মাকসূদ তেরা মাল হ্যায়,
কেয়া আজব তেরা চাল হ্যায়,
লাখোকো আন্ধা কারদিয়া।

২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:০০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন প্রিয় কবি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.