![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সঠিকতা প্রমাণে কোরআন কোন কিছুর উপর নির্ভরশীল নয়। বরং নিজের সঠিকতা প্রমাণে কোরআন নিজেই যথেষ্ট।কিন্তু নিজের সঠিকতা প্রমাণে হাদিস কোরআনের উপর নির্ভরশীল। কারণ হাদিস কোরআনের ব্যখ্যা। ব্যখ্যা মূলের সাথে সাংঘর্ষিক হলে তাকে এর ব্যখ্যা বলা যায়না।তা’ছাড়া মহানবি (সা.) তাঁর নামে মিথ্যা হাদিস প্রচার করার কথা বলেছেন।
হাদিস সংকলক বলেছেন, এ হাদিস সহিহ। কিন্তু তিনি নিজে সহিহ এ কথা কে বলেছেন? সে জন্য হাদিসের নিজেকে সহিহ প্রমাণের ক্ষমতা নেই। সংগত কারণে কোরআন হাদিসের সঠিকতার প্রত্যয়ন করলে হাদিস পালনযোগ্য হবে নতুবা তা’ পালনযোগ্য হবেনা। ইমাম আবু হানিফা (র.) কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক হাদিস সহিহ মানতেন না এবং তেমন হাদিস দ্বারা ফতোয়া প্রদান করতেন না। অনেকে তাঁকে হাদিস খেলাফী বললেও মূলত তিনি সঠিক ছিলেন।কারণ হাদিস দাবী করা হলেও মূলত এমন হাদিস হাদিস নয়। আর সন্দেহযুক্ত হাদিসের চেয়ে কোরআনের ভিত্তিতে কিয়াছ উত্তম।
অনেকেই হাদিসের কথা বলে মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করতে চায়। কিন্তু তারা যা হাদিস বলে প্রচার করছে তা’ যে হাদিস সে প্রমাণ যদি তারা না দিতে পারে, তবে সে হাদিস পালনে অন্যদের দায় কোথায়? অমুক বলছে হাদিস সহিহ। তো অমুক বললেই হাদিস সহিহ হবে? এধরনের প্রশ্নের আমরা সদুত্তর পাচ্ছিনা। বলা হচ্ছে তিনি ভাল লোক ছিলেন। তো তাঁর ভাললোক থাকার কি প্রমাণ আছে।এমন গাল-গল্পতো আর প্রমাণ নয়।মহানবি (সা.) তাঁর হাদিস মানতে বলেছেন। তো তাঁর হাদিস বলে বোধগম্য না হলে মানে কেমন করে? তাঁর হাদিসের নাম করেতো তাঁর নামে অন্যকারো হাদিস মানা যায়না।
কোরআন ও হাদিস এক নয়। মান্যতার ক্ষেত্রে কোরআন ও হাদিসকে এক কাতারে ফেলার উপায় নেই। কাজেই কোরআনকে তার জায়গায় ও হাদিসকে তার জায়গায় রেখে পালন করতে হবে।হাদিসকে কোরআনের সমান গুরুত্ব প্রদান, বা কোরআনের চেয়ে অধিক গুরুত্ব প্রদান যেমন ঠিক নয় তেমনি হাদিসকে গুরুত্বহীন ভাবাও ঠিক নয়। তবে সাবধান থাকতে হবে হাদিসের নামে যেন অন্য কিছু পালন করা না হয়।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মন্তব্যের কারণে বিষয়টি নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে।
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
محمد فسيح الاسلام বলেছেন: প্রথমতঃ আমাদের হাদিস অনুসরণ করার কথা বলা হয়নি, বরং বলা হয়েছে 'সুন্নাহ' পালন করার জন্যে।
হাদিস থেকে সবাই-ই সব কিছু বুঝতে পারেন না। যেমন- হাদিসে আছে, মাছি দুধে পড়ে গেলে কি করতে হবে সেই বিষয়টি। কিন্তু, দুধে মশা বা ফড়িং পড়ে গেলে কি করতে হবে, সেটা বলা নেই।
আর, কুরআনের আয়াত যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর 'মুখ' দিয়ে বের হয়েছে, সেহেতু, এগুলো হচ্ছে বিশেষ ধরণের হাদিস।
তাই, বাতিল হাদিস বাদে বাকিগুলো, এমনকি যইফ হাদিসও ঈমানবর্ধক (যতক্ষণ না সেই ক্ষেত্রে কোন সহিহ হাদিস পাওয়া যায়)।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বলেছেন যখন সেজন্য হাদিস ও ছুন্নার তফাতটা বুঝিয়ে বললে পাঠক উপকৃত হতো।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২
সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: যথার্থ একটি পোস্ট শেখার জন্য অনেক ভালো কিছু
....এই যুগের কিছু হুজুর আছে যারা আমাদের মাঝে ভুল হাদিস দিচ্ছেন ফলে অনেকেই হচ্ছে বিপদগামী... আল্লাহ যেনো তাদের হেদায়েত করেন আর আল্লাহ যেনো আমাকে সহীহ মুমিন বান্দা না করে কবরে নেয় আমিন।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বিষয়টি অনেকেই জটিল করে তোলায় আমরা সহজ ভাবে ভাবার চেষ্টা করছি। আর বর্তমানে মুমিন বান্দা থাকা বেশ কষ্টকর। প্রতিনিয়ত ঈমান নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে। ঈমানটাকে নিজের করে রাখা বেশ পরিশ্রমের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জি আমিও একই কথা বলব।আমাদের জন্য সব হাদিস মান্য নয়। এটা আমি একাধিক জায়গায় পেয়েছি। আবার রাসূলের জীবনে ঘটে যাওয়া সব হাদিস আমাদের জন্য নয়। অনেক কিছু আছে যা শুধু রাসূলের জন্য ছিল।মোজেজা সরূপ। যেমন রাসূল যে কয়টা বিয়ে করেছেন আমাদের তেমন করা সুন্নত নয়। রাসূল একবার এক কবরে খেজুর গাছ এর ডাল দিয়েছিলেন আমাদের জন্য সেটা নয়। এমন অনেক ঘটনা আছে যা আমাদের জন্য নয়। তাই হাদিস না আমাদের সুন্নাহ মানা উচিত। যেটা আমাদের জন্য অনুমোদিত। রাসূল একটানা ৪০দিন রোজা কাখতেন না খেয়ে । এটাও আমাদের জন্য নয়। একবার কিছু সাহাবী এমন করে ছিল। রাসূল বললেন এটা তোমাদের জন্য নয়। তোমরা সেহেরী খেয়ে রোজা পালন কর। তোমারা জান না আমার দেহে ৪০ পুরুষের শক্তি আছে । তাই হাদিস নয় মানা উচিত সুন্নাহ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্নাহ এর বিষয়টি আরো বুঝিয়ে বলা দরকার।
৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৭
আরোগ্য বলেছেন: কোরআন তো ধরেই না, হাদিস আর ফাযায়েলে আমাল নিয়ে মাতামাতি।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২১
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভুলটা এখানেই।
৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী খুব সুন্দর লিখেছেন।
মন দিয়ে পড়লাম।
চাচাজ্বী একটা অনুরোধ-
দাজ্জাল মারা যাওয়ার পরে পৃথিবীর অবস্থা কেমন হবে, কতদিন পরে পৃথিবী ধ্বংশ হবে- এই বিষয় নিয়ে যদি কিছু লিখেন তাহলে খুব উপকার হয়।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি সাধারণত ক্রিটিক্যাল বিষয় নিয়ে লিখি।
৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১০
নজসু বলেছেন: আস সালামু আলাইকুম।
সুন্দর পোষ্ট।
আমাদের ভ্রান্তি দূর হওয়া দরকার।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভ্রান্তি দূর হতে হলে এর জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাড়াবাড়ি করা যাবে না। খোলা মনে ভাবতে হবে। সুন্নাত নিয়ে গোঁড়ামি করা যাবে না...
০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্নাত বিষয়টি কেউ পরিস্কার করে বললে ভাল হয়। এ বিষয়ে যথেষ্ট অস্পষ্টতা রয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২
হাবিব বলেছেন: আপনি যথার্থ বলেছেন। আমিও তাই মনে করি।