নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মহীনতা

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৭



ধর্মমুক্ত পৃথিবী গড়ার একটা প্রচেষ্টা শুরু করেছে কিছু মানুষ। কারণ ধর্মের সংঘাত। ধর্মের শাখায় প্রশাখায় উপশাখায় লতায় পাতায় ঝগড়া। প্রধান ধর্মের মধ্যে সংঘাততো আছেই। তা’ছাড়াও প্রত্যেক ধর্মের শাখায় প্রশাখায় উপশাখায় লতায় পাতায় সংঘাত রয়েছে।এর থেকে নিস্তার লাভের জন্য ধর্মমুক্তির প্রচেষ্টা। ধর্মহীনদের কথা হলো এটা মানুষের বানানো। এর কোন সঠিকতা নেই। সেহেতু এটা অহেতুক। কাজেই শান্তিতে থাকতে হলে ধর্ম ছাড়তে হবে। তারা ধর্মমুক্ত পাঁচটি রাষ্ট্রকে শান্তির মডেল হিসেবে উপস্থাপন করে।ধর্মীয় দিক থেকে ইসলামের উপর অশান্তির দায় অধীক চাপানো হয়। ইসলামের অনুসারী পাঁচটি রাষ্ট্রকে অশান্তির মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। তারমানে বুঝানো হয় সবার আগে মুসলমানদেরকে ইসলাম ছেড়ে ধর্মহীন হওয়া দরকার।এর মধ্যে কতিপয় ইসলাম ত্যাগীর মহা হাম্বি-তাম্বী শুনা যায়।তারা বলছে তারা এক মহাকাজ করেছে অন্যদেরকেও কাল বিলম্ব না করে ইসলাম ত্যাগ করা উচিত।লোকদেরকে ইসলাম ত্যাগে উৎসাহিত করার জন্য ইসলামের নবির বিরুদ্ধে কতিপয় গুরুতর অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।তথাপি লোকেরা ইসলাম ছাড়ছেনা, ধর্ম ছাড়ছেনা; এটা ধর্মহীনদের মহা বিরক্তির কারণ। আর এদিকে মুসলীম ও ধার্মীকেরা ধর্মহীনদের উপর মহা ক্রুদ্ধ।তারা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার অপরাধে ধর্মহীনদের শাস্তি দিতে চায়। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় তারা বে-আইনি তরিকাও অবলম্বন করে। এভাবে অনেক খুনের ঘটনা ঘটেছে। পালা এমন হলো যে ধর্মীয় মারামারি যেমন চলছে তেমন ধর্ম উচ্ছেদ প্রচেষ্টায় নতুন মারামারির অবস্থা তৈরী হচ্ছে। তারমানে মারামারি বাড়ছে বই কমছেনা।তবে ধর্মমুক্তির আন্দোলন কিছুটা লাভবানতো হয়েছে। তাদের পাঁচটি শান্তির রাষ্ট্র। ফেস বুক, গুগল সহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রে তাদের অসামান্য অবদান রয়েছে। তথাপি লোকেরা ধর্ম ছাড়ছেনা। কারণ তারা ঐটাকেই সঠিক মনে করছে।

ধার্মীকদেরকে ধর্মহীনেরা বলে ধর্মান্ধ।তারা তাদের থেকে জানতে চায় তারা কেন এ ক্ষতিকর নেশার ঘোরে আটকে আছে? কোথায় কোন ঈশ্বর যার নেই কোন পাত্তা তার ভয়ে কেন তারা ধর্মের খাঁচায় আটকা পড়ে আছে? এ অন্ধকার থেকে ধর্মের লোকদের মুক্ত করতে মুক্তমনা আন্দোলন শুরু হয়েছে। বাংলা ভাষায় মুক্তমনা নামে একটা ব্লগও রয়েছে। যারা প্রতিষ্ঠাতাকে হত্যা করা হয়েছে।

ধর্মের সঠিকতার কি প্রমাণ? ধার্মীকেরা এ প্রশ্নের জবাব দেয়না আবার ধর্ম ছাড়েওনা।এখানেই ধর্মহীনদের রাগ একটু বেশী।আমাকেও এমন প্রশ্ন করা হয়েছে। আমি জবাব দিচ্ছি।ধর্মের পক্ষে আমার শক্ত অবস্থান রয়েছে।‘আল্লাহর অকাট্য প্রমাণ’ নামে আমি এর মধ্যে একটা পুস্তক রচনা করেছি। এরপর আমাকে জানানো হলো সমস্যা আল্লাহকে নিয়ে নয়, সমস্যা হলো ধর্মনিয়ে।তারা বলছে আল্লাহ কোন ধর্ম তৈরী করেননি। ধর্মগুলো তৈরী করেছে মানুষ।এখন আমি ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ নামে আরেকটা পুস্তক রচনা করছি।এটাতেও অনেকের আপত্তি। তারা বলছে ইসলামকে সঠিক প্রমাণ করা হলে অন্যদেরকে বেঠিক প্রমাণ করা হয়। তাই বলে কি আমি সঠিককে সঠিক প্রমাণ করবনা?

তারা বলছে ইসলামে অশান্তি। আমি বলছি তা’এখন। তবে মরার পর ইসলামে অধীক লাভ।তারা বলছে মরার আর পর নেই। মৃত্যুর মাধ্যমেই মানব জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। আমি বলছি এটা সঠিক নয়। মানুষের পরিবর্তন আছে পরিসমাপ্তি নেই।এ কথাই আমি বিভিন্নভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছি। তারা বলছে এটা বুঝানোর দরকার নেই। আমি বললাম, তাহলে তোমাদের কথা সঠিক সেটা আমাকে বুঝাও। কারণ এক বেঠিক ছেড়ে আরেক বেঠিক গ্রহণ করায় কোন যুক্তি নেই।

মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে আমার কথা হলো তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তাঁর দাবী কিন্তু বেঠিক নয়। তো ব্যক্তির প্রতি অভিযোগের কারণে আমি তাঁর সঠিক দাবী কেন মানব না? একজন বলছে ও দিকে যেয়োনা ডাকাতে সব কেড়ে নিবে। আরেক জন বলছে ওর কথা শুনবেনা ও লোক ভাল না। এখন সে লোক ভাল না হলে কি তার কথা অমান্য করে আমি ওদিকে গেলে ডাকাত আমাকে ছেড়ে দেবে? এখানেই ধর্মহীনদের যুক্তি মার খায়। কারণ মোহাম্মদের (সা.) ভাল না হওয়ার সাথে তাঁকে নবি না মানার কোন সংগত কারণ নেই। বরং তাঁকে নবি মানায় লাভ দেখলে লোকেরা তাঁকে নবি মানবেই। তাঁকে নবি মানা থেকে লোকদেরকে তাঁর কূৎসা দিয়ে বিরত রাখা যাবেনা।এখানে ধর্মহীনদের সাফল্য আটকে যায়।

যদি মৃত্যুর পরের জীবনকে বেঠিক প্রমাণ করতে না পারে তবে মৃত্যুর আগের জীবনের সাফল্য দিয়ে পরকাল বিশ্বাসীদেরকে ধর্মহীনতার পথে ফিরানো যাবেনা।আর এভাবেই আমি আমার প্রতিপক্ষকে তার করনীয় জানাতে চাই। আর সাকুল্যে আমি মানুষের মঙ্গল চাই।

# সংবাদ বাহকের ভাল-মন্দ হওয়া বিবেচ্য বিষয় নয়। বিবেচ্য বিষয় হলো সংবাদের সঠিকতা। আর এক্ষেত্রেই মোহাম্মদের (সাঃ) কূৎসা অহেতুক কাজ বলে স্বীকৃত হয়।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: গরীব মানুষের অনেক কিছুই থাকে না।
তার উপর ওড়া যদি ধর্মহীন হয়ে পড়ে- সেটা খুব দঃখজনক হবে।
মানুষ বুঝে কোনটা তার প্রয়োজন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রয়োজনটাই বড়। সেজন্যই বলা হয় প্রয়োজন আইন জানে না। মোহাম্মদের (সাঃ) কূৎসা দিয়ে কি হবে যদি তিনি আল্লাহর সঠিক নবি হন? তবে জাহান্নামের ঝুঁকি কে নিবে?

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৮

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: আল্লাহ মানুষ তৈরী করেছেন।
মানুষ তৈরী করেছে অসংখ্য ধর্ম।
আল্লাহ পাক সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমিন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হেদায়েত পেতে হলে এর জন্য পরিশ্রম করতে পবে। হেদায়েত খুব লাভ জনক বিধায় আল্লাহ এটা এমনি এমনি দিয়ে দিবেন না।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: ধর্মের কথা শুনার লোক খুব কম । মারামানি আর হানাহানির আমাদের নিত্যদিনের কর্মকাজ । তবে ধর্মের উর্দ্ধে কিছুই নেই । সবাই কে সবার ধর্ম মানলেই হলো ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কে কোন ধর্ম বা মত গ্রহণ করবে সেটা তার ব্যাপার। মারামারি হানাহানি অবশ্য পরিত্যাজ্য। আর প্রত্যেককে নিজ কর্মফল ভোগ করতে হবে।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভাই এই ধর্মহীনতা /নাস্তিকতা এর আন্দোলন আগে কম ছিলো তবে ছিল।

এদের কেউ কেউ আগে চাইতে রাজ্যহীনতা। মানে তারা চাইতো কোন দেশ থাকবেনা। এক কথায় নৈরাজ্যবাদী। সে সময় এরা ফেল হয়েছে। যা সম্ভব নয় তা নিয়ে ঝগড়া করলেই পাওয়া যাবে না। রাজ্যকেই ধ্বংস করতে পারলো না ধর্মকে কি করে করবে?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তথাপি ধর্ম উচ্ছেদে এদের প্রত্যাশায় ঘাটতি নেই।

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

নজসু বলেছেন:




বর্তমান সমাজে ধর্ম অনেকের কাছেই উপেক্ষার বিষয়।
আমি মনে করি ধর্মের বন্ধনে আবদ্ধ থাকলে জীবন যাপন সহজ হয়।
ধর্মহীন জীবন এবং কর্মহীন জীবন দুটোই অভিশপ্ত|

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ধর্মহীনতায় শৃঙ্খলা অনুপস্থিত।

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

বলেছেন: রাজীব নুরের সাথে আমি একমত। ধনীরা অনেক কিছুই ভোগ করতে পারে, কিন্তু দুনিয়াতে গরিব বা বিপদ্গ্রস্ত মানুষের ধর্ম ছাড়া নির্ভর করার মত আর কিছু নেই

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: গরীবরা এ প্রত্যাশায় থাকে যে যদি পরকালে কিছু পায়।

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ ফরিদ আহমদ চৌধুরী - জনাব, একজন ধর্মহীন ব্যক্তি Stephen Roberts-এর দুটি quote দিতে চাই , যিনি ভাবেন, একজন ধর্মহীন নাস্তিকের সাথে একজন ধার্মিক আস্তিকের তেমন কোন ফারাক নেই ।

Quote(1)- I contend that, we are both atheists. I just believe in one fewer god than you do. When you understand why you dismiss all the other gods, you will understand why i dismiss your.

Quote (2)- We are all atheists , some of us just believe in fewer gods than others.

আসুন,একটূ বিশ্লেষণ করা যাক। বর্তমানে ইসলাম,খৃস্টান ইহুদি,হিন্দু,বৌদ্ধ ইত্যাদি major ও নানাবিধ minor ধর্ম মিলিয়ে হাজার খানেক ধর্ম প্রচলিত আছে। এদের অনুসারীও কম নয়। সংখ্যায় হাজার হতে শুরু করে মিলিয়ন, বিলিয়ন ।

একজন ধার্মিক একনিষ্ঠ মুসলিমের কাছে ইসলাম ছাড়া বাকি 999টি ধর্ম-ই মিথ্যা ও বাতিল । একমাত্র ইসলাম সত্য।

একজন ধার্মিক একনিষ্ঠ খৃস্টানের কাছে খৃস্টান ধর্ম ছাড়া বাকি 999টি ধর্ম-ই মিথ্যা ও বাতিল । একমাত্র খৃস্টান ধর্ম সত্য।

একইভাবে একজন ধার্মিক হিন্দু,বৌদ্ধ অথবা শিখ নিজ ধর্ম বাদে অন্য সব 999-টি ধর্মকে মিথ্যা ও বাতিল হিসাবে বিশ্বাস করে।

একজন ধর্মহীন নাস্তিক কি করে ? সে ইসলামকে অবিশ্বাস করে, একইসাথে বাকি 999টি ধর্মকে-ও অবিশ্বাস করে ।
কেন ইসলামকে অবিশ্বাস করে ? যে কারণে একজন ধার্মিক মুসলিম বাকী 999টি ধর্মকে অবিশ্বাস করে, সেই কারণে।

তাহলে কি দাঁড়ালো ? একজন মুসলিম 999টি ধর্মকে অবিশ্বাস করে আর একজন ধর্মহীন নাস্তিক ইসলামসহ 999টি মোট 1000টি ধর্মকে অবিশ্বাস করে। পার্থক্য কেবল একটিতে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু আমি আমার কথা কিভাবে সঠিক সেটা উপস্থাপন করতে চাই।

৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

হাবিব বলেছেন: আশা করি আপনার বইটা অচিরেই হাতে পাবো। ধর্ম নিয়ে অনেক কথার অজানা উত্তর খুঁজে পাবার অপেক্ষায় রইলাম। আল্লাহ আপনার পরিশ্রমের যথাযথ ফল দিন এই দোয়া করি।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সফল হব কিনা আল্লাহ জানেন।

১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধর্ম বিশ্বাসের বিষয়। এখানে আল্লাহ/খোদা কে প্রমাণ করতে চাইলে বিশ্বাসের আলোকে করতে হবে। বিশ্বাসের আলোকে খোদাকে বিশ্বাস করলে নাস্তিকদের কোন আপত্তি নাই। কিন্তু, নাস্তিক বা সংশয়বাদীরা চাচ্ছে ল্যাবরেটরিতে খোদাকে (বিজ্ঞান ভিত্তিক) প্রমাণ করতে। আছে কি আপনার কাছে এমন কোন Instruments , ফরমুলা যা দিয়ে খোদাকে বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রমাণ করা যায়।

আর আপনার ৫নং কোটেশনে আমার আপত্তি আছে। এতে নবী/রাসূলদের চরিত্র নিয়ে মানুষ সন্ধিহান হবে। আল্লাহর বাছাইকৃত নবী/রাসূলরা নিশ্চয়ই উত্তম চরিত্রের অধিকারী।।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহকে যুক্তি ও প্রকৃতি বিজ্ঞানে প্রমাণ করা যায়। আমার এ সংক্রান্ত পুস্তক রয়েছে। আর সামুতেও এ বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আর নবি-রাসুলদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ আমি স্বীকার করিনি। আমি বলেছি তারা তাদের দায়িত্বে সঠিক থাকলে তাঁদের উপর উত্থাপিত এমন অভিযোগ অর্থহীন।
যেমন একজন বলল আপনার ঘরে চোর ঢুকেছে। একজন বলল এর কথা বিশ্বাস করা যায়না এ ভাল লোক না। অথচ দেখা গেল তার কথা বিশ্বাস না করায় চোর ঠি ঠিক চুরি করে শান্তিতে পালিয়ে গেল। এখন যার বদনাম করা হলো তার কথা বিশ্বাস না করায় ক্ষতিগ্রস্থ্য হতে হলো। এ জন্য আমি বলছি মহানবির (সাঃ) বদনামে কান দেওয়ার দরকার নেই। বরং তিনি কি বলেন সে কথায় কান দেওয়া দরকার। আর তাতেই আখেরে মঙ্গল।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

আরমান শুভ বলেছেন: ধর্ম বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় কোন অবদান রাখেনি, এখনো রাখছেনা, ধর্ম না থাকলেও দুনিয়ার কোন সমস্যা হবেনা,মজার ব্যাপার হলো এসব ঐশীবানীর কিতাবে এমন কোন জ্ঞান নেই যা কোন জাগতিক কাজে লেগেছে। উপাসনা করে সময় নস্ট করার বুদ্ধি ছাড়া ধর্মে আর কোন কিছু নেই আর পোপ আলেম সাধু এইসব শ্রেণীর উজবুক ও ধর্মের সৃস্টি। এসব উপাসনার ফল ও বাকির খাতায় লিখে রাখা হয় তোমাকে পরকালে এর প্রতিদান দেয়া হবে সে আশায় আমার পূজা করো।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহকে ডাকার লোক না থাকলে নাকি পৃথিবী থাকবে না। সে হিসেবে ধর্মের কারণেই পৃথিবী টিকে আছে। সব ধর্ম পরকাল নিয়ে কথা বলেনা। আর পরকাল থাকলেতো ধর্মই সবচেয়ে দরকারী বিষয়। কারণ মানুষের জীবন যে কোন সময় শেষ হতে পারে। এখন ইসলাম যদি সঠিক হয় তবে এর চেয়ে উত্তম বিষয় অবশ্যই আর কিছু নেই। আমরা অবশ্য পর্যায়ক্রমে ইসলামে সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ উপস্থাপন করব-ইনশাআল্লাহ। আর আপনারা ইসলামের বেঠিকতা প্রমাণ করতে পারেন কিনা তখন সেটা দেখা যাবে।

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

আরমান শুভ বলেছেন: এসব প্রমান দিয়ে কি হবে? উনাকে ডাকার কেউ না থাকলে উনি সবাইকে ধংস করে দিবেন তাইতো? ব্যাপারটা যেন হ্মমতাহীন এর উপর হ্মমতাবান কারো বাহাদুরির মতো। আপনার তৈরী জিনিশকে আপনি শেষ করে দিবেন এতে তেমন বড়াই করার কিছু নেই কারন আমাদের কাজে আপনার গজব প্রতিরোধ করার হ্মমতা নেই।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তারপর তিনি তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন, যেন তারা বুঝতে পারে তারা কাকে অস্বীকার করেছিল?

১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

আরমান শুভ বলেছেন: উনি যাকে খুশি তাকে হেদায়েত করেন যাকে খুশি মুসা বানান ইশা বানান মুহাম্মাদ বানান উহাদের করেন দৈব সাহায্য কাউকে করেন গরীব কাউকে ধনী কাউকে সুন্দর কাউকে কুতসিত কাউকে বোবা কাউকে অন্ধ উনি কি করেন কেন করেন কে জানে আমাকেও জন্ম দিলেন বানাবেন জাহান্নামী জন্মের সময় মেরে ফেললে হতোনা? শুধু জান্নাতীদের জন্ম দিতেন দুনিয়ার সব অভাব পুরন করে তারপরে করতেন জাহান্নামী নিরবাচন যেমন সুযোগ দিয়েছেন আদম হাওয়াকে। হাওয়ার ভুলের মাশুল আমরা কেন দিবো?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তবে তিনি অন্যায় কিছু করেন না। যা করেন ন্যায় সঙ্গতভাবে করেন।

১৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একজন নাস্তিক ব্যাক্তি আর একজন কৃতঘ্ন ব্যাক্তির মধ্যে কোন ফারাক নাই।কারন তাঁরা উভয়েই উপকারীর উপকার স্বীকার করে না।
একটা জোক্স বলি,
রহিমের সাথে জাহিদ নামে এক নাস্তিকের আলোচনা হচ্ছে মহান আল্লাহর অস্তিত্বকে কেন্দ্র করে।জাহিদ,রহিমকে বলল," সে আল্লাহকে দেখে না তাই সে বিশ্বাস করে না তিনি যে আছেন"।রহিম তাকে জিজ্ঞেস করল, তুমি জাপান দেখেছ?জাহিদ উত্তরে বলল,"না"।
তার মানে জাপান নাই?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নাস্তিকতায় বাস্তবেই কোন লজিক নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.