নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম থেকে আল্লাহ যাদেরকে পথভ্রষ্ট করেন

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫



ইসলাম হলো আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি আত্মসমর্পণ। আল্লাহর ইচ্ছা থেকে যাদের নিকট নিজের বা আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইচ্ছা অধিক গুরুত্বপূর্ণ তাদের উপর আল্লাহর খুশী হওয়ার কথা নয়।আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন রাগের কারণে।রাগের মাত্রার ভিন্নতা অনুযায়ী পথভ্রষ্টতার মাত্রা বিভিন্ন মাত্রায় হয়। রাগের মাত্রা একশতে উপনিত হলে আল্লাহ পথভ্রষ্টতার উপর সিলগালা বা মোহরাঙ্কীত করেন।এসব লোক আর কিছুতেই ইসলামের পথ খুঁজে পায় না।আল্লাহ বলেছেন, ‘ওয়ামাই ইউদলিলহু ফালা হাদিয়ালাহ- আর তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্য পথপ্রাপ্তি বা হেদায়েত নেই। বেকুব পথভ্রষ্টদের বলতে শুনা যায়, আল্লাহ পথভ্রষ্ট করলে পথভ্রষ্ট হওয়ার জন্য আমাদের দোষ কোথায়? অথচ তাদের দোষের কারণেই আল্লাহ তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছেন। তাদের যে দোষের কারণে আল্লাহ তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছেন তাদের জনে জনে সে দোষের কথা বলবে কে? তবে আল্লাহ শেষ বিচারের দিন তাদের সে সব দোষের কথা বলে দিবেন যে সব দোষের কারণে তিনি তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছেন। তবে সে জানা তাদের শাস্তি লাঘবে কোন কাজে লাগবে না। তারা শাস্তিযোগ্য তারা এটা পরিস্কার বুঝবে ঘটনা এ পর্যন্ত।

অনেক লোককে বলতে শুনি এমন হলে সে জান্নাতে যেতে চায় না। তো সে জাহান্নামে গিয়ে দেখুক কেমন লাগে!আল্লাহর তৈরী নিতান্ত সুন্দর জান্নাত তিনি এমন বেকুবদের জন্য বরাদ্দ নাও করতে পারেন। আর কারো জন্য জান্নাত বরাদ্দ না হলে তার জন্য পথভ্রষ্টতা বরাদ্ধ হতেই পারে।কতিপয় লোকের কথা শুনলে মনে হয় আল্লাহর যেন তাদেরকে জান্নাত প্রদানের দায় পড়েছে। কেনরে বাপু জাহান্নামে কি জায়গার টান পড়েছে যে তোমাদেরকে জান্নাত দিতে হবে? জান্নাততো শুধু আল্লাহর স্পেশাল বা বিশেষ লোকদের জন্য।এটা যারা বুঝে তারা খেটে খুটে কেঁদে কেটে জান্নাত হাসিলের চেষ্টা করে। আর বেকুবেরা মনে করে তাদেরকে জান্নাত প্রদানে আল্লাহর বিশেষ গরজ রয়েছে।তারা এমন মনে করে কারণ লোকেরা তাদেরকে জান্নাতের পথে চলার জন্য আবেদন নিবেদন করে থাকে। অথচ লোকেরা এমন করে নিজেদের জান্নাতের পথ সুগম করার জন্য। আল্লাহ বেকুবদেরকে জান্নাতের পথে ডাকার আয়োজন করেছেন দোষ ছাড়ানোর জন্য।অনেকের ক্ষেত্রে জান্নাতের পথে ডাকার আয়োজনও করা হয়নি কারণ তারা সেটাওে যোগ্য নয়। তাদের অযোগ্যতা তাদের জীবন সম্পর্কে তাদের কোন প্রশ্ন নেই। যাদের প্রশ্ন থাকে তাদের উত্তরের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু প্রশ্ন করেই যাদের দায়িত্ব শেষ উত্তরের প্রতি আবার তাদের মনোযোগ থাকে না। কিছু সংখ্যক তো সত্যের আহবান পায় না। আর কিছু সংখ্যকতো সত্যের আহবান পেয়ে সাড়া দেয় না। আহবান পায়নি কারণ তাদের এ সংক্রান্ত গরজ নেই। আহবান গ্রহণ করেনি কারণ তাদের এ সংক্রান্ত গরজ নেই। তারমানে যার যেটার গরজ থাকে আল্লাহ তার জন্য সেটার ব্যবস্থা করেন। এখানে গরজটাই ফ্যাক্ট বা মূল বিষয়। এ জন্য বলা হয় লোকে যাহা চায় ইলাহী মিলায়। যদিও চাওয়ার সাথে যথাযথ প্রচেষ্টা যোগ না হলে অনেক সময় কিছুই মিলে না। অনেক সময় প্রছেষ্টা ছাড়া পাওয়া যায় কারো দোয়ায়, আল্লাহর দয়ায় অন্য কোন কারণে আল্লাহ তার প্রতি দয়াশীল হলে, অথবা পরীক্ষা মূলকভাবে আল্লাহ যদি দেন।

জান্নাতে কেন বাহাত্তর হুর? বনুকোরায়জার হত্যা কান্ড কেন ঘটলো? মহানবি (সা.) কেন এত বিবাহ করলেন? তিনি কেন পালিত পুত্রের স্ত্রী বিবাহ করলেন? তিনি কেন বালিকা আয়েশাকে বিবাহ করলেন? তিনি কেন উটের মুত পান করতে বললেন? আবু বাছিরদেরকে (রা.) কেন তিনি ডাকাতি করতে বারণ করলেন না? ছুফিয়াকে (রা.) কেন তিনি বিবাহ করলেন? কেন আলী (রা.) ও মুয়াবিয়া (রা.) যুদ্ধ করলেন? কেন আয়েশা (রা.) ও আলী (রা.) যুদ্ধ করলেন? আই এস কেন নাদিরাকে ভোগ করলো? মুসলমান কেন এত দল? এ সব কারণে কেউ যদি জান্নাতে যেতে না চায় আর তারা যদি জাহান্নামে যেতে চায় তবে আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতের পথ থেকে পথভ্রষ্ট করলে সমস্যা কোথায়? আল্লাহতো জোর করে জান্নাতের পথে কাউকে চালাতে চান না।

অনেকে আমার নিকট আল্লাহ, নবি (সা.), ইসলাম, কোরআন, হাদিস, মুসলমান, সৌদি আরব ইত্যাদি বিষয়ে অনেক দোষ বলে। আমি বলি তুমি চাওটা কি? জাহান্নামে যেতে চাও? বারণ করেছে কে? তোমাকে কে কি জোর করে জান্নাতের দিকে টেনে নিয়ে যায়? তবে অভিযোগটা কোথায়? আমি বাপু জান্নাতে যেতে চাই। জাহান্নামে যেতে চাই না। কাজেই এসব অহেতুক প্রশ্ন করে আমি মাথা নষ্ট করতে চাই না। আর এসব প্রশ্নে উত্তর দেবেইবা কে? শেষ বিচারে আল্লাহর কাছে এ সব বিষয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে।তো সেই সময়ের কাজের কথা এখন ভেবে মাথা নষ্ট করার দরকার কি? এখন প্রশ্ন একটাই, জান্নাতে যেতে চাই কি? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে জান্নাতের কাজ করতে থাক। উত্তর ‘না’ হলে জান্নাতের কাজ করার দরকার নেই। যেটা যার কাজ নয় সে কাজ নিয়ে যারা পড়ে থাকে আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতের পথে চালানোর প্রয়োজন মনে করেন না।

আমরা কয়েকটা দৃষ্টান্ত আলোচনা করলাম, সবগুলো আলোচনা করলাম না। কয়েকটা দৃষ্টান্তের আলোকে অন্যগুলো বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেই হয়।সার কথা হলো ইসলামের পথে চলার অযোগ্যতার কারণেই আল্লাহ লোকদেরেকে ইসলাম থেকে পথভ্রষ্ট করেন।আর ইসলামের পথে তারা আসে না যারা এর জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেনি।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহতে যার পূর্ণ ঈমান কোথা সে মুসলমান।
কোথা সে আরি অভেদ যাহার জীবন- মৃত্যু- জ্ঞান।।

যার মুখে শুনি তওহিদের কালাম
ভয়ে মৃত্যুও করিত সালাম।

যার দ্বীন দ্বীন রবে কাঁপিত দুনিয়া
জ্বীন পরী ইনসান।।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: প্রথম ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নূরু ভাই।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আবারো ক্ষমতায় আসছে আওয়ামী লীগ : শেখ হাসিনা

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ বিষয়ে সন্দেহ করার তেমন কোন অবকাশ আছে বলে মনেকরিনা। তবে রাজনীতিতে আচমকা কিছু ঘটে। তেমন কিছু ঘটলে ভিন্ন কথা। ৭৫ কান্ড আওয়ামী লীগ ভাবেনি, মঈনুল কান্ড বিএনপি ভাবেনি, কিন্তু ঘটেছে। তবে বিদ্যমান ব্যবস্থায় আপনি যেটা বলেছেন সেটাই ঠিক। এখন তারা মানে মানে জমির ফসল ঘরে তুলতে পারলেই হয়। এখানে দু’পক্ষের প্রত্যাশা বিদ্যমান। উভয় পক্ষ সাধ্যমত চেষ্টা করবে। অবশেষে একপক্ষ জয়ী হবে। আমরা নিরিহ জনগণ শুধু পেটভরে ভাত ও একটু সুখ নিদ্রা কামনা করি। এটুকু পেলেও আমরা খুশী। মা বলতেন রাজা যেই হোক খাজনা আমাদেরকে দিতেই হবে। আগামী কাল যারা আহত নিহত হবে আমি তাদের কথা ভাবছি। হোক তারা দুষ্ট ও নিরিহ তারাতো এদেশরই সন্তান। তাদের কষ্টে আমাদেরও কষ্ট হওয়া উচিৎ।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

হাবিব বলেছেন: যেই ক্ষমতায় আসুক তাদের যেন আল্লাহ হেদায়াতের পথে সৎ পথে রাখে.........

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: হেদায়েত পেতে হলে সেটা চাইতে হয় এবং এর জন্য কাজও করতে হয়। এমনি এমনি এমন দামী জিনিস পাওয়া যায় না।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ইসলামে কি ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতি কোন ইঙ্গিত আছে ??? তারা কি পথভ্রষ্ট বলে গণ্য হবে ???

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ধর্মব্যবসা বলতে আপনি কি বুঝেন?

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ধর্মের লেবাস পড়ে যারা নানান ধান্ধায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। ওয়াজ মাহফিল, মাজার , পীর ইত্যাদি নিয়ে যারা কাম কারবার করে

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ধর্মের লেবাস যে কারা পরে না সেটাইতো খুঁজে পাচ্ছি না। ওয়াজ মাহফিল, মাজার , পীর ইত্যাদির বাইরে যারা ধান্ধাবাজ তাদেরকে কি বলবেন?

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

আফসানা মারিয়া বলেছেন: একটা পর্যায়ে মানুষের সামনে দুইটা পথ থাকেঃ একটা ধ্বংসের আরেকটা সৃষ্টির। যে অন্ধকারের পথ বেছে নিয়েছে তাকে নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনো মানে হয়না।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তকে যে অন্ধকার পথে হাঁটে তার পথ যে হাঁটার পথ নয় সেটা অন্যদের বুঝা দরকার।

৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

যোখার সারনায়েভ বলেছেন: আল্লাহ মন থেকে গোমরাহি উঠিয়ে নিক।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যার ক্ষেত্রে সেটা ঘটবে সেটা তার পরম সৌভাগ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.