নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আস্তিক্যবাদ

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১




সৃষ্টিকর্তা অর্থে যারা ঈশ্বর ভগবান বা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী তারা আস্তিক।আস্তিকতার ভিত্তিতে গঠিত মতবাদ আস্তিক্যবাদ।সৃষ্টিকর্তা অর্থে বলার কারণ বোদ্ধদের ভগবান বোদ্ধ সৃষ্টিকর্তা নয়। আর হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী হিন্দুদের একমাত্র ভগবান ব্রহ্মা সৃষ্টিকর্তা।ব্রহ্মা ছাড়া তাদের আর কোন ভগবানের আস্তিকতার সাথে সম্পর্ক নেই।

আস্তিকতা চিরকাল বিশ্বাসের বিষয় হয়ে আছে, কারণ আস্তিকতায় অবিশ্বাসের সুযোগ নেই। আর নাস্তিকতা চিরকাল অবিশ্বাসের বিষয় হয়ে আছে, কারণ নাস্তিকতায় আস্তা বা বিশ্বাস স্থাপনের কোন সুযোগ নেই। আস্তিকতা অস্বীকার করলে এটা স্বীকার করতে হয় যে মহাপ্রকৃতির সব কিছু নিজে নিজে হয়েছে। কিন্তু নিজে নিজে যা হবে তা’ বড় হবে। সসীম ও অসীমের মাঝে অসীম বড়। কাজেই যা নিজে নিজে হবে তা’ অসীম হবে। আর অসীমের সংখ্যা একের বেশী হয় না। অসীম নিজে নিজে হলে, অসীমের সংখ্যা একের বেশী না হলে, আর সব অসীমের সৃষ্টি হিসেবে সাব্যস্ত হবে, আর অসীম সৃষ্টিকর্তা হিসেবে সাব্যস্ত হবেন। অসীম সৃষ্টিকর্তা হলে তিনি অবশ্যই জড় জাতীয় কিছু নন।এ চিরন্তন সত্য স্পষ্ট না বুঝলেও উপলব্ধির মাধ্যমে মানুষ বুঝতে পেরেছে।সেজন্য আদিকাল থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আস্তিক্যবাদের অনুসারী।

নিজে নিজে হওয়া যখন শুরু হয়েছে তখন কিছুই ছিল না। কিছু থেকে থাকলে এ প্রশ্ন এমনিতেই আসে যে এগুলো তবে বানালো কে? এগুলো নিজে নিজে হয়ে থাকলে এটা স্বীকার্য হয় যে এটা নিজে হওয়া শুরুর পরের ঘটনা।নিজে নিজে হওয়া শুরুর পরেই নিজে নিজে হওয়ার মাধ্যমে এসব হয়েছে। কাজেই নিজে নিজে হওয়া শুরুর কালিন সময়ে কিছু ছিল না এটা অবশ্য স্বীকার্য। যেহেতু কিছু ছিল না সেহেতু তখন নিজে নিজে হওয়ায় কোন প্রতিবদ্ধক বা সীমাদাতা ছিল না।সংগত কারণে নিজে নিজে যা হয়েছে তা’ বড় হয়েছে বা অসীম হয়েছে।বড় হবে না কেন? উহার বড় হওয়া কে ঠেঁকাচ্ছে? কিছুইতো নেই।তা’ছাড়া উহা নিজে নিজে যখন হতেই পারছে তবে বড় হতে না পারার কি কারণ থাকতে পারে? আর উহা সসীম হয়ে বিভিন্ন হিসেব মতে হবে কেন? উহার হিসেব করছে কে? অথবা উহার সীমা দিচ্ছে কে? সুতরাং মহাজাগতিক বা মহা প্রাকৃতিক নিয়মে নিজে নিজে যে হয়েছে সে অসীম হয়েছে।অসীমের একাধীক হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ একাধীক হতে হলে অসীমকে সীমা দিতে হবে। আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না।

মহাপ্রকৃতির সব কিছু নিজে নিজে হয়ে থাকলে এটা নিজে নিজে হওয়ার সাধারণ নিয়ম। অথচ এমন কোন দৃষ্টান্ত এ পর্যন্ত কারো নজরে আসেনি। এতে বুঝা যায় নিজে নিজে হওয়া সাধারণ নিয়ম নয় বরং বিশেষ নিয়ম। প্রকৃতি বিজ্ঞানের হিসেব মতে যা একবারের বেশী ঘটেনি। সে জন্য সে ঘটনা একজন ছাড়া কারো নজরে আসেনি। নজরে আসবে কেমন করে? তখন সেই একজন ছাড়া কেউ মোটে ছিলোই না। নিজে নিজে যে একজন হলেন সেই একজন আবার নিয়ম অনুযায়ী অসীম হলেন। তো অসীমের বাইরে আর কোন স্থান থাকে কি? অসীমের বাইরে আর স্থান থাকলে সেই একজনকে অসীম বলা যায় কেমন করে? সংগত কারণে নিজে নিজে একজন হওয়ার পর অন্য কারো নিজে নিজে হওয়ার কোন স্থান থাকেনি। কাজেই অন্য কারো নিজে নিজে হওয়ার সুযোগ থাকেনি।পদার্থ অসীম হতে পারে না। শক্তি অসীম ও সসীম হতে পারে। সংগত কারনে নিজে নিজে হওয়া অসীম মূলত অসীম শক্তি। তো অসীম শক্তিকে উপেক্ষা করে নিজে নিজে আর কারো হওয়র সক্ষমতা থাকতে পারে কি? যেহেতু অসীমকে অতিত্রম করা সম্ভব নয় সেহেতু নিজে নিজে একজন ছাড়া আর কারো অস্তিত্বলাভ সম্ভব নয়। সংগতকারণে নিজে নিজে হওয়া অসীম শক্তির পর অস্তিত্ব লাভ করা সব কিছু মূলত অসীমের সৃষ্টি অথবা তাঁর অনুমোদন সাপেক্ষ্যে তাঁর সৃষ্টির সৃষ্টি।সংগত কারণে সৃষ্টিকর্তা চিরন্তন সত্য যাঁকে অকাট্যভাবে সঠিক প্রমাণ করা যায়।তারমানে আস্তিক্যবাদকে অকাট্যভাবে সঠিক প্রমাণ করা যায়। তথাপি এটা অনেকের নিকট বিশ্বাসের বিষয়। কারণ তারা তাদের উপলব্ধির মাধ্যমে তাঁকে বিশ্বাস করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা তাঁদের উপলব্ধিকে যথেষ্ট মনে করেন। তাই বলে এটা ঠিক নয় যে সৃষ্টিকর্তাকে সঠিক প্রমাণ করা যায় না।তাঁকে সঠিক প্রমাণ করা যায় না, ঘটনা এমন নয় বরং লোকেরা কষ্টকরে তাঁকে সঠিক প্রমাণ না করেই উপলব্ধির মাধ্যমে কম কষ্টে তাঁকে বিশ্বাস করে, প্রকৃত ঘটনা আসলে এমন।

মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, তিনি এক ধনুকের থেকে কম দূরত্বে থেকে আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, জান্নাতে আল্লাহকে দেখাও যাবে। মুছা (আ.) বলেছেন, তিনি আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন। এভাবে অনেকের কাছেই অনেকে আসতে পারে না কেউ কেউ আসতে পারে। যেমন একজন সরকার প্রধানের কাছে অনেকেই পৌঁছতে পারে না, তবে কেউ কেউ একজন সরকার প্রধানের কাছে পৌঁছতে পারে।অনুরূপ আল্লাহর কাছাকাছি অনেকে পৌঁছতে পারেনি, অনেকে সেটা পেরেছেন।এভাবেই অনেকে আল্লাহর কাছাকছি হতে পেরেছেন, অনেকে তা’ পারেননি। কারণ আর কিছু নয় বরং যোগ্যতার কম-বেশী হওয়া। অনেকের দেখা অনেকে পায় না, কেউ কেউ পায়।তেমনি ভাবে আল্লাহকে দেখার যোগ্যতা যারা লাভ করবেন তারা জান্নাতে তাঁকে দেখবেন। এভাবে অনেকের বিশ্বাসের অনেক কারণ রয়েছে।আর অনেক অভাগা সত্য উপলব্ধি করতে অক্ষম হয়ে সত্য অবিশ্বাস করে।

উপলব্ধিগত অক্ষমতার কারণে সত্য বিশ্বাসে অপারগ জন নানা প্রশ্নের অবতারনা করে, যাতে সত্যের অনুসারীরা বিরক্ত হয়। এদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া এরা বেদরকারী মনে করে এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করে। ভাবটা এমন তুমি বিশ্বাস করতে না পারলে কি হয়েছে? আমিতো বিশ্বাস করতে পারি। সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করতে না পেরে তুমি বিপদে থাকলে কি হবে আমিতো সঠিক পথে থেকে সে বিপদের ঝুঁকি থেকে দূরে আছি! তো একজন নাস্তিক একদিন ঈমাম শাফেঈকে (রঃ) সৃষ্টিকর্তা বিষয়ে খুব পেঁচিয়ে ধরায় তিনি বললেন, তোমার কথা সত্য হলে আমার আফসুসের কিছুই থকবে না। কারণ আমিই না থাকলে আফসুস করবে কে? কিন্তু আমার কথা সত্য হলে তোমাকে সৃষ্টিকর্তার কঠিন শাস্তি থেকে কে রক্ষা করবে? তখন জনাব নাস্তিক কোন ভাল জবাব দিতে পারেননি।

সৃষ্টিকর্তা কারো নিকট খুব কাছের কেউ। তিনি কারো নিকট চমৎকার উপলব্ধির বিষয়।কেউ অকাট্য প্রমাণ সাপেক্ষে সৃষ্টিকর্তাকে বুঝার চেষ্টা করেন। আর অবোধ জনেরা যায়গা ছেড়ে বেজায়গায় বা বে-নিয়মে সৃষ্টিকর্তার তালাশ করে হা-হুতাশ করে।কোন জিনিস ঠিক তখন পাওয়া যায় যখন সেটা পাওয়ার মত করে চাওয়া হয়, এতে ঘাটতি হলে প্রাপ্তি ফসকে যায়।এ জন্য বিশ্বের অনেক মানুষ আস্তিক হতে পারেনি।

নাস্তিক রাষ্ট্র সমূহের তুলনা মূলক অধিক শান্তিময়তার কারণে অনেকের নাস্তিক্যবাদ সঠিক মনে হয়েছে। যদিও এটা নাস্তিক্যবাদের সঠিকতার কোন প্রমাণ নয়। কারণ নাস্তিকদের পরকাল বিশ্বাস না থাকায় তারা তাদের ইহকাল অধিক শান্তিময় করার চেষ্টা করেছে। আস্তিকদের পরকাল বিশ্বাস থাকায় তারা ইহকাল বিষয়ে তারা নাস্তিকদের মত তৎপর নয়। সৃষ্টিকর্তা ন্যায় বিচারী হেতু প্রত্যেকের কাজ অনুযায়ী তিনি তাদের ইহকাল সাজিয়ে দিয়েছেন। তিনি তাঁর পক্ষের লোকদের পাক্ষপাতি হয়ে তাদেরকে তাদের প্রচেষ্টার অধিক ইহকালে প্রদান করেননি। কারণ তিনি তাদের পরকালের প্রাপ্তি পরকালের জন্য সঞ্চিত করে রেখেছেন।

মুসলমানেরা পরকালে জান্নাত লাভের জন্য তাদের নবি মোহাম্মদের (সা.) অনুসরনের শর্তারোপ করেন।কারণ তিনি বলেছেন, যারা তাঁর অনুসারী তারা তাঁর সাথে জান্নাতে থাকবেন।তাহলে অন্য আস্তিকদের পরকালিন প্রাপ্তির কি হবে? এর উত্তরে বলা হয় জাহান্নামে তাদের শাস্তি কম হবে।তবে এটা ঠিক যে জাহান্নামে শাস্তি কম পাওয়াও একটা ভাল প্রাপ্তি। নতুবা জাহান্নামে যে পরিমাণ শাস্তির কথা বলা আছে তা’ সহ্য করা আসলেই খুব কঠিন।তবে কোন সৎকর্মশীল আস্তিক জাহান্নামে যাবে এটা মানতে অনেকেই নারাজ। তারা বলছে তারা মোহাম্মদের (সা.)সাথে জান্নাতে থাকবেন না, বরং তারা অন্য জান্নাতে থাকবেন।জান্নাতকে কেউ কেউ স্বর্গ বলেন।তারমানে তারা জান্নাতে নয় বরং স্বর্গে যাবেন। সাকুল্য কথা হলো আস্তিকতার পুরস্কার প্রাপ্তি থেকে কোন আস্তিক বঞ্চিত হবে না। সৃষ্টিকর্তা তাঁর প্রতি আস্তাশীলকে অবশ্যই প্রতিদান প্রদান করবেন।

সাকুল্যে আস্তিক্যবাদের ভিত্তি এতটাই সুদৃঢ় যে এর বিপক্ষে মহাবিজ্ঞানী দাঁড় করিয়েও হালে পানি পাওয়া যাচ্ছে না এবং এর সুদৃঢ় ভিত্তির কোন ক্ষতি সাধনও করা যাচ্ছে না।সংগত কারণে আদিকাল থেকে একাল পর্যন্ত নাস্তিক্যবাদের উপর আস্তিক্যবাদ চালকের আসনে রয়েছে। মনুষ্য সমাজে এর গ্রহণযোগ্যতা এর বিপরীত মত নাস্তিক্যবাদের উপর অনেক বেশী।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।

প্রাথমিক কথা

ভিন্ন চিন্তা

নাস্তিক্যবাদ

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

শেখ মফিজ বলেছেন: নাস্তিকদের প্রশ্ন থাকে সৃষ্টিকর্তা তত্ত যদি বিশ্বাস করি তবে সৃষ্টিকর্তা কোথা থেকে এসছেন ?
তার সৃষ্টিকর্তা কে ?
এ প্রশ্ন অনন্তকালের ।
এতএব যার বিশ্বাস যেমন সে তেমনই থাক ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার প্রশ্নের জবাব পোষ্টে দেওয়া আছে। একটু কষ্ট করে দেখে নিলে ভাল হয়। আপনি হয়ত মনে করে বসে আছেন যে আপনার প্রশ্নের উত্তর নেই। কিন্তু আপনার মনে করা সঠিক নয়।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ ফরিদ আহমদ চৌধুরী - চৌধুরী সাহেব, আপনার "ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ" বইটি তাড়াতাড়ি লিখা শেষ করেন। তারপর বইটি চীনা, জাপানি, ফরাসী এবং ইংরেজীতে অনুবাদ করে ফেলুন। কারণ এই মূহুর্তে বিশ্বে সবচেয়ে নাস্তিকের বসবাস চীন, জাপান, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও আইসল্যান্ডে। আপনার বইটি পড়ার সুযোগ ফেলে, আশা করি কোটি কোটি নাস্তিক দলে দলে আস্তিক হয়ে যাবে, এমনকি ইসলাম ধর্ম-ও গ্রহণ করে ফেলতে পারে ।

এই সুযোগ হারাবেন না ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অতি সহজ বিষয়ও অনেকের মাথায় ঢুকে না। কাজেই কে আমার কথা বুঝে আর কে না বুঝে সেটা বুঝা মুশকিল। তথাপি কেউ যদি আমার কথায় সত্য উপলব্ধি করতে পারে সেটা আমার জন্য আনন্দের বিষয় হবে।

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: ভাই সাহেব, একটা সময় ছিল নিজেকে ব্লগার বলে পরিচয় দিতে কুণ্ঠিতবোধ করতাম। কারণ ব্লগার মানেই নাস্তিক এই ধরণের একটা মতবাদ প্রচলন হয়ে গিয়েছিল। তবে আপনাদের মত মানুষদের লেখাগুলো পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্যই নতুন করে আবার সামু আইডি ওপেন করে চালিয়ে যাচ্ছি। আপনার লেখাগুলোর সারমর্ম কেউ উপলব্ধি করতে পারুক বা না পারুক তাতে কি যায় আসে। আপনি যা লিখছেন তা লিখে শেষ করে ফেলুন, সত্যের পথে বাধা আসাটাই তো স্বাভাবিক। এসব নিয়ে অযথা প্যচানোর জন্যই কিছু কিছু অর্বাচীনের ব্লগার বলে নিজেদের জাহির করার স্বভাব রয়েছে।
অনেক সুন্দর যৌক্তিক বিশ্লেষণমূলক একটি আধ্যাত্মিক লেখার জন্য আপনাকে অনেক অনেক মুবারকবাদ। আল্লাহ আপনার জ্ঞান প্রদীপের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিয়ে দূর করে দিক অন্ধকারের অভিশাপ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি সত্য বুঝার ও বুঝানোর চেষ্টা করছি। আপনারা পামে আছেন সে জন্য ভাল লাগছে। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি আপনার লেখা ও আস্তিকতার উপর মন্তব্য করছি না, করছি আপনার 'লজিকের উপর'; আপনি বলেছে যে, সবাই সরকার প্রধানের দেখা পান না, কেহ কেহ দেখা পান; সেইভাবেই নবীদের মাঝে মুসা ( আ: ) ও মোহাম্মদ (স: ) আল্লাহের দেখা পেয়েছেন, ৮ বিলিয়নের সবাই পাবে না।

এখন ভাবেন, সরকার প্রধান একজন মানুষ, উনি থাকেন একটা ঘরে, যেখানে উনাকে পাহারা দিয়ে রাখা হয় বিবিধ কারণে; আল্লাহ হচ্ছেন সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা ও আছেন 'সব যায়গায়' কোন ঘরে নয়, এবং উনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করার জন্য কোন পাহারা নেই; তা'হলে, উনার দেখা পাবর কথা ৮ বিলিয়নের সবাই।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তাঁর দেখা এখনো কেউ পায়নি। দু’জন তাঁর সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। আর সে কথা হয়েছিল নিকট দূরত্ব থেকে। তাঁর দেখা পাওয়ার স্থান জান্নাত। তিনি কার সাথে কথা বলবেন, আর কার সাথে দেখা দিবেন সেটা তাঁর রুচির বিষয়। কাজেই ৮ বিলিয়নের সবাই তাঁর দেখা পাওয়ার কথা, আপনার এ ভাবনা সঠিক নয়। কারণ তিনি দেখা না দিলে কারো পক্ষে তাঁর দেখা পাওয়া সম্ভব নয়।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ ফরিদ আহমদ চৌধুরী - চৌধুরী সাহেব , মনে হচ্ছে নাস্তিকদের নিয়ে আপনি খুব পেরেশানীর মধ্যে আছেন । ঘন ঘন নাস্তিকদের নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। শীর্ষ পাঁচটি নাস্তিক দেশের নাম তো বললাম। চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া,ফ্রান্স, আইসল্যান্ড। এর বাইরে সুইডেন, জার্মানি, চেক ইত্যাদি দেশ তো আছেই।

সবচেয়ে আস্তিক ও ধার্মিক দেশ কোনগুলি জানেন ? আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, মালাউয়, জিবুতী ইত্যাদি ।
আচ্ছা, আপনার যদি কখনো বাইরে বসবাসের সুযোগ হয় , কোন দেশ বেছে নিবেন ?

জাপান না আফগানিস্তান ? সোমালিয়া না ফ্রান্স ?

ইয়েমেন না অস্ট্রেলিয়া ?

আমার জানতে ইচ্ছা করে ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার প্রশ্নের জবাব পোষ্টে দেওয়া আছে। মনে হয় খেয়াল করেননি।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

চোরাবালি- বলেছেন: নাস্তিকতা আসলে কিছু না, নির্বিঘ্নে অন্যায়, রংবাজি, মেয়ে নিয়ে মাস্তি এসব করার বাহানা মাত্র। কারণ ধর্ম মানলে এসব করতে পারবে না।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ওদের মাঝে বোধগত দূর্বলতা প্রচুর। এ জন্য নিজেরা নিজেদের পায়ে কুড়াল মারে।

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩১

ঝিগাতলা বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন। আপনার সাথেই আছি

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আস্তিক মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমছে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তবে আদিকাল থেকে অদ্যাবধি নাস্তিকেরা বিশ্বে সংখ্যা গুরু হতে পারেনি। আর যাদের কপাল পোড়া তারা আস্তিক থাকতে পারে না।

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

হাবিব বলেছেন: এমন দারুণ লেখা শুধু আপনার কাছ থেকেই আশা করা যায়। আপনার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করি। আল্লাহ আপনার নেক হায়াত দিন। জান্নাতে দেখা করার অভিপ্রায় আল্লাহ কবুল করুন

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল ও মঞ্জুর করুন, প্রিয় কবি।

১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর আলোচনা করেছেন, ভালো লাগলো আপনার যুক্তি ও উদাহরণ দিয়ে কথা বলার গুণ।

শুভকামনা জানবেন সবসময়

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যুক্তি বা লজিক সব সময় সত্যের পক্ষেই থাকে, তবে সেগুলো খুঁজে নিতে হয়। আপনার উপস্থিতি খুব ভাল লাগলো প্রিয় মনমুগ্ধ কবিতার কবি।

১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তবে আদিকাল থেকে অদ্যাবধি নাস্তিকেরা বিশ্বে সংখ্যা গুরু হতে পারেনি। আর যাদের কপাল পোড়া তারা আস্তিক থাকতে পারে না।

এই পৃথিবী সবার। আস্তিক নাস্তিক সবার।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইহকাল সবার এটা ঠিক আছে, তবে পরকালে নাস্তিকদের অবস্থা ভাল হবে বলে মনে হয় না। সে যাই হোক নাস্তিকদের অনেকেই মানুষের জন্য খু্ উপকারী প্রাণী। তথাপি তাদের সৃষ্টিকর্তা সংক্রান্ত বোধ খুব দূর্বল, এটা না মেনে উপায় নেই। সবার মঙ্গল হোক।

১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৭

রাফা বলেছেন: ভালো লিখেছেন।আল্লাহ্ আপনার সহায় হোক।
ধন্যবাদ,ফ.আ.চৌধুরি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:১৫

বলেছেন: ধন্যবাদ কবি,

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।


আল্লাহ সকল মুসলমানের মন থেকে পাষাণ প্রাচীরে তুলে নেক।

আমীন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মানব জাতির আবির্ভাব প্রায় কোটি বছর আগে।
বড় ধর্মগুলোর আবির্ভাব মাত্র ৬ হাজার বছর আগে।
মাত্র দেড় হাজার বছর আগে আসলো ইসলাম।

হিসাবে দুনিয়াতে মানবজাতি ৯৯.৯% সময়কাল নাফরমান/নাস্তিক/বা ভুলধর্মে ছিল।

বর্তমানেও ইসলাম জনসংখ্যার ৩৮% মাত্র, খাটি মুসলিম দাবিদার ৫%
এত পয়গম্বর আগমনের পরও আস্তিক দাবিদারদের এই অবস্তা? শুনছি কেয়ামত নাকি সন্নিকট...

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ছয় হাজার বছর আগের ঘটনা পঞ্জি হয়ত সে ভাবে লিখিত নেই। সে জন্য তখনকার অবস্থা অজানা রয়ে গেছে। তবে যতটা জানা যায় বা যে পর্যন্ত জানা যায় তাতে সর্বদা আস্তিক্যবাদ প্রবলছিল বলেই জানা যায়।

১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহ। সুন্দর পোস্ট।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নাস্তিক আস্তিক একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়, এবং লাভ ক্ষতি ও একান্ত নিজ নিজ। তবে আপনার পোষ্টে দেওয়া ছবিটির জন্য মায়া লাগছে - বালকটি অত্যন্ত অসহায় তার পরিবারের কাছে, সমাজের কাছে, পরিবেশের কাছে, এই ছবিটি যেকোনো ফঠো গ্যালারিতে রেখে দিলে তুমুল বিতর্কের জন্ম দেবে ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আর যখন আস্তিকদেরকে নগ্নভাবে হেয়নস্তা করা হয় তখন অবশ্যই তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার থাকে। আর বালকটি সম্পর্কে আপনার ধারণা সঠিক নাও হতে পারে। জানি আপনি খুব মান্যগণ্য তথাপি মানুষ হিসেবে আপনার হিসেবেও ভুল থাকা সম্ভব।

১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১০

রানার ব্লগ বলেছেন: চোরাবালি- বলেছেন: নাস্তিকতা আসলে কিছু না, নির্বিঘ্নে অন্যায়, রংবাজি, মেয়ে নিয়ে মাস্তি এসব করার বাহানা মাত্র। কারণ ধর্ম মানলে এসব করতে পার

তাইলে সফি কি ? জাতির কাছে প্রশ্ন যে লোক দিনে দুপুরে মেয়েদের কে উলঙ্গ দেখে চোরাবালির ভাষ্য মোতাবেক সে কি ভাবে আস্তিক হয় ?

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আশাকরি চোরাবালি আপনার প্রশ্নের জবাব দেবেন। অপেক্ষায় থাকলাম।

১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কবি ভাই, আমরা পৃথিবীতে সাত শত কোটি মানুষ নিতান্ত অসহায় এই পৃথিবী সহ ভ্রম্মান্ডের কাছে, রেক্টার স্কেল ১০ ভুমিকম্পে সমস্ত পৃথিবী উলট পালট হয়ে যেতে পারে সময় মাত্র ৬০ সেকেন্ড !!! আমরা অসহায় পৃথিবীর তাবত ধর্মগ্রন্থের কাছে !!! কবি ভাই বিভ্রান্ত কাকে বলে - আমার মনে হয় পৃথিবীর ক্রান্তিকাল লগ্নে চলে এসেছি আমরা দ্রুত থেকে দ্রুততর !!! বিজ্ঞান ও ধর্ম স্বিকৃতি দেয় পৃথিবীতে আরো বেশ কয়েকবার মহা প্রলয় হয়েছে। তবে আগামী প্রলয় সম্ভবত পৃথিবীর শেষ প্রলয় !!!

***আমি অতিমানব কেউ নই, আমার ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক কবি ভাই, এবং ভুলেই প্রমাণ করে আমি একজন মানুষ।

*** ** দেশে প্রতিদিন ধর্ষণের খবর পড়ে পড়ে ক্লান্ত, একটি ভয়ংকর থেকে ভয়ংকরতম সনেট কবিতা কি সম্ভব এই পশুদের জন্য ধর্ষণের বিরুদ্ধে ???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.