নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআন অবশ্যই আল্লাহর বাণী

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৪



কোরআনে ভুল নেই।দেড় হাজার বছরেও কোরআনে কোন ভুল সনাক্ত করা যায়নি।তবে কোরআনে ভুল সনাক্ত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে।পরে দেখা গেছে সেগুলো ছিল কোরআনের ভুল ধরতে ভুল করা।কোরআনে ভুল না থাকা এর আল্লাহর বাণী হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ।

সসীমের ভুল থাকে। কারণ সসীমে তথ্যগত ঘাটতি আছে। যে ক্ষেত্রে সসীমে ঘাটতি আছে সে সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান হলে সসীম থেকে তথ্য প্রাপ্তি ঘটবে না।তথাপি সসীম অজানা তথ্য প্রদান করলে উহা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই। কারণ এ ক্ষেত্রে তথ্য হবে অনুমান ভিত্তিক। আর অনুমান সব সময় সঠিক হয়না।সে জন্য সসীম নিজেকে নির্ভুল দাবী করে অপদস্ত হওয়ার ঝুঁকি গ্রহণ করে না।যেহেতু কোরআন একমাত্র গ্রন্থ যার শুরুতে দাবী করা হয়েছে,‘যালিকাল কিতাবু লা-রাইবা ফিহি – ইহা এমন গ্রন্থ যাতে কোন ভুল নেই’ সূরাঃ ২, বাকারা, ২নং আয়াত।সেহেতু দাবীকারীর সাহস থেকে বুঝা যায় দাবীকারী সসীম কেউ নয়।দাবীকারী সসীম না হলে দাবীকারী অবশ্যই অসীম। অসীম একাধিক হতে পারে না। কারণ একাধিক করতে অসীমে সীমা দিতে হয়, আর সীমা দিলে অসীম সসীম হয়ে যায়। কাজেই অসীমের একাধিক হওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়।তারমানে অসীম শুধুই একজন। সেই অসীম একজনের নাম আল্লাহ। যেহেতু কোরআনে ভুল নেই। যেহেতু শুধুমাত্র অসীমে ভুল নেই। যেহেতু অসীম শুধুই একজন। যেহেতু সেই একজন অসীমের নাম আল্লাহ সেহেতু কোরআন আল্লাহর বাণী।কোরআন আল্লাহর বাণী এটা অস্বীকার করতে হলে সবার আগে এতে ভুল সনাক্ত করতে হবে।

কোরআন আল্লাহর বাণী বলে যারা স্বীকার করে না তারা কোরআনে ভুল সনাক্ত করার চেষ্টা করেছে।যেমন কেউ কেউ বলছে কোরআনের সূরা নেছার ১১ ও ১২ আয়াতে মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারের যে অংশ বন্টনের কথা বলা হয়েছে এর যোগফলের লবের চেয়ে হর ছোট।তারা এটাকে কোরআনের ভুল বলে দাবী করতে চেষ্টা করেছে।কিন্তু আল্লাহ কখনো বলেননি যে এ অংশ সমূহের যোগফলের হর লবের চেয়ে ছোট হবে না। তাহলে কোরআনের ভুলটা কোথায় বুঝাগেল না। হয়ত কেউ বলতে পারে হর লবের চেয়ে ছোট হওয়ায় প্রাপকের যে অংশের কথা বলা হয়েছে সে অংশ দেওয়া যায় না। যেমন স্ত্রীর আটের এক অংশ দেওয়া যায় না। তো স্ত্রীর আটের এক অংশ দেওয়া না গেলে আটের এ অংশ দিতেই হবে সেটা আল্লাহ বলেছেন কি? আর এখানে সব অবস্থায় স্ত্রীর আটের এক অংশ দেওয়া যায় না ঘটনা এমন নয়। মৃত ব্যক্তির পিতা-মাতা না থাকলে স্ত্রীর আটের এক অংশ অবশ্যই দেওয়া যায়।যে ক্ষেত্রে আল্লাহর হুকুম পালন করা যায় না সেক্ষেত্রে আল্লাহ বিকল্প অনুমোদন করেন। যেমন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার হুকুম পালন না করা গেলে, বসে নামাজ পড়া আল্লাহ অনুমোদন করেন।অনুরূপ স্ত্রীর আটের এক অংশ দেওয়া না গেলে যে অংশ দেওয়া যায় সে অংশ দেওয়া আল্লাহ অনুমোদন করেন।এ ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নয়ের এক অংশ দেওয়া যায়্ যা আল্লাহ অনুমোদন করেন।সূরা বাকারার ২৮৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘লা-ইউকাল্লিফুল্লাহু ইল্লা উসয়াহা – আল্লাহ কাউকে সাধ্যের বাইরে কষ্ট দেন না। কাজেই যে অংশ যোগে হর ছোট ও লব বড় হয় সে ক্ষেত্রে যে অংশ দেওয়া অসম্ভব সে ক্ষেত্রে যে অংশ দেওয়া যায় সে অংশ প্রদান করাই আল্লাহর আর এ সমস্যার সমাধান করা হয়েছে হরকে লবের সমান করে। যাতে করে আল্লাহ যে অংশ বলেছেন তা’ ঠিক থাকেনি বরং নতুন অংশ সনাক্ত হয়েছে। আর এটাই আল্লাহর বিধান।তাহলে আল্লাহর কোন বিধানে কে কি ভুল ধরলো বুঝাগেল না।

কোরআন নাজিল হওয়ার পর হর ছোট লব বড় হওয়ার ঘটনা পরিদৃষ্ট হয়েছে।তখনই হরকে লবের সমান করে প্রাপ্য অংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।তখনকার কোরআন বিরোধীরা এটাকে ভুল সাব্যস্ত করেনি। কারণ এটা যে ভুল নয় সেটা তারা বুঝতে পেরেছিল। এখন যারা এটাকে ভুল বলছে তারা এটাকে ভুল বলতে ভুল করছে। কন্যাদেরকে তিনের দুই অংশ সম্পদ দিতে বলা হয়েছে।যদি সেটা দেওয়া যায় তবে দিতেই হবে। আর যদি দেওয়া না যায় তবে যতটুকু দেওয়া যায় ততটুকু দিতে হবে। যেমন কন্যাদের মা না থাকলে তাদেরকে তিনের দুই অংশই দেওয়া যায়। কিন্তু মা থাকলে তাদের অংশ খানিকটা কম হয় এখানে এটাই বিধান। একটা বিধান দেওয়া হয়েছে, সেটা বাস্তবায়িত করতে না পারলে এর বিকল্প বিধান দেওয়া হয়েছে যা বাস্তবায়ন করা যায়। এখন বিকল্পের দিকে না তাকিয়ে যে বিধান কোন কোন ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা না যায় সে বিধানকে ভুল বলা নিতান্তই কাঁচা কথা। কাজেই এ আলোচনা থেকে কোরআনে কোন ভুল সাব্যস্ত হয় না বরং যারা এ ক্ষেত্রে কোরআনের ভুল ধরে তাদের নির্বুদ্ধিতা সাব্যস্ত হয়।যার বিধান তাঁর কথা তাঁর বিধান এরকম না হলে সেরকম হবে।আর বোকা মানুষ সেরকমের দিকে না তাকিয়ে বলে এ রকমটা সঠিক নয়।

কোরআন কিভাবে আমাদের নিকট পৌঁছাল সেটা কোন আলোচ্য বিষয় নয়। কারণ আপনার নিকট যে কোরআন রয়েছে সেটা নিজেই নিজের সঠিকতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। যদি কেউ এর সঠিকতা গ্রহণ করতে রাজি থাকে তবে তার নিকট এর সঠিকতা সহজেই স্পষ্ট হয়ে উঠে।। আর কেউ যদি কোরআনের সঠিকতা গ্রহণ করতে রাজিই না থাকে তবে এর সঠিকতার প্রমাণ তার নিকট মূল্যহীন।
কারো চোখের সামনে আলো আছে, কিন্তু সে চোখ বন্ধ করে কোন আলো নেই বলে চিৎকার করলে তাকে আর কি বলা যাবে? আলো দেখতে হলে তাকে আগে চোখ খোলার শর্ত পূরণ করতে হবে। আর একান্তই যদি সে চোখ খুলতে রাজি না হয় তবে তার অনুভবে আঁধারই থেকে যাবে।

কারো কোরআন বুঝা কোরআনের গরজ নয়। কেউ যদি মনে করে এটা কোরআনের গরজ তবে তার আর কোন দিন কোরআন বুঝা হবে না।কোরআন সে বুঝবে যে কোরআন বুঝাকে তার নিজের গরজ মনে করবে।ঠিক এ কারণেই অধিকাংশ মানুষ কোরআন বুঝে না, বরং কম সংখ্যক মানুষ কোরআন বুঝে। এমন কি কোন মানুষই যদি কোরআন বুঝা গরজ মনে না করে তবে কেউ কোরআন বুঝবে না। অনুরূপ সব মানুষ যদি কোরআন বুঝা গরজ মনে করে তাহলে সব মানুষ কোরআন বুঝবে। অনেকের কোরআন না বুঝা ও না মানার এটাই কারণ।

যারা আল্লাহর প্রতি মনোযোগী নয় তিনি তাদেরকে তাঁর কথা জানাতে আগ্রহী নন। তাঁর আগ্রহ শুধু তাদের প্রতি যারা তাঁর প্রতি মনোযোগী। কাজেই আল্লাহর সাথে পরিচিত হতে হলে আগে তাঁর প্রতি মনোযোগী হতে হবে এবং তাঁর প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে, সেই সাথে ভাল মানুষ হতে হবে। তাহলে এমন লোকের প্রতি আল্লাহ স্নেহশীল হবেন। আর তখন তাদের সত্য বোধগম্য হবে। যাদের প্রতি আল্লাহর আগ্রহ থাকবে না তাদের মাথায় কুড়াল ভাঙলেও তারা সত্য বুঝবে না। তাদের এ না বুঝার ক্ষতি একান্তই তাদের। তারা এটা না বুঝলে কিছুই করার নেই।

কোরআন অনেকের নিকট পরিস্কার সত্য। আর অনেকের নিকট এটা অবোধগম্য ঝাঁপসা বিষয়। এর কারণ কি? কারণ প্রত্যেকে নিজেই। কারণ আল্লাহর জগতে বিনা কারণে কিছুই হয় না।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।

প্রাথমিক কথা

ভিন্ন চিন্তা

নাস্তিক্যবাদ

আস্তিক্যবাদ

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার যখন খুব অস্থির হয়- তখন আমি কোরআন পড়ি। আমার অস্থিরতা কমে যায়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বাস্তবিক কোরআন মানসিক শান্তির একটি বড় কারণ। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: কোরান নিয়ে কারো দ্বিধা থাকার কথা নয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু যারা কোরআনের প্রতি অমনোযোগী তারা কোরআন সম্পর্কে উল্টা-পাল্টা কথা বলে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরী করে।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৫

নতুন-আলো বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন এবং আপনার দোয়া কবুল ও মঞ্জুর করুন।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২০

ঝিগাতলা বলেছেন: অতি উত্তম লেখা। আল্লাহ আপনার কষ্টের উত্তম কিছু দিবেন

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৪৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কিছু করার চেষ্টা করছি। তিনি দয়া করে তাঁর রহমত প্রদান করছেন, সেজন্য তাঁর কৃতজ্ঞতা।

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৬

হাবিব বলেছেন: তারপরেও মানুষ বুঝেনা । আপনার বই প্রকাশের অপেক্ষায় রইলাম

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৪১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ যাদেরকে হেদায়েত থেকে বঞ্চিত করবেন তারা অবশ্যই বুঝবে না। আর যারা মন্দ কাজ করে আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত প্রদান করেন না। অবশ্য সে মন্দ সীমাতিক্রম করা মন্দ হতে হবে।

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২০

রাফা বলেছেন: কোর-আনুল করিম যে আল্লাহর বিধান তার আরো একটি অকাট্য প্রমাণ হইতেছে , কোরআন নাজিল হওয়ার পর এত বছর কেটে গেছে কিন্তু এখনও কোন সংযোজন বা বিয়োজন ঘটে নাই এখানে।
অর্থাত কোরআনের অনুরুপ একটি আয়াতও কেউ লিখতে পারে নাই।এরচাইতে বড় প্রমাণ আর কি হোতে পারে!

ধন্যবাদ,ফ.আ.চৌধুরি।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তথাপি কেউ কেউ কোরআনের প্রতি সন্দেহ পোষণ করে। কোরআন কিভাবে এসেছে তারা সে হিসেব করে। বিদ্যমান কোরআনে যে ভুল নেই তারা সেটা বুঝতে চায় না। যার কপালে হেদায়েত নেই তার ভাবনাগুলো এমন এলো মেলো হয়।

সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আল্লাহু সকলকে কোরআন বোঝার তৌফিক দান করুক। ধন্যবাদ মামা সুন্দর লেখাটির জন্য।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ মামা। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৫১

এম এ কাশেম বলেছেন: সুদর ও সাবলীল লিখা ।

আল্লাহ আপোনাকে আরো অনুরূপ লিখা লিখার তাওফিক দান করুক।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোরান নির্ভুল বা কোন আয়াত সংযোজন বা বিয়োজন হয় নি একথা কি কোরানে লিখা আছে?
হাদিসের আলোকে অবস্য কিছু বিভ্রান্তি দেখা যায়। সেটাই বলছি।

আমাকে আবার নাস্তিক ভেবে চাপাতি ধার শুরুকরা দরকার নেই,আমি একজন আস্তিক মুসলিম।

কোরান পুস্তকআকারে নাজেল হয় নি, বছরের পর বছর একটি একটি আয়াত করে মুখে মুখে মগস্ত ভাবে নাজিল হয়েছিল।
রসুল (স) বেচে থাকাকালীন আয়াতগুলো লিখে রাখা সম্ভব হয়নি, পবিত্রগ্রন্থটি ওনাকে দ্বারা ভেরিফাই/প্রুফরিড করানো সম্ভব হয়নি। যুদ্ধ ও বিভিন্ন কারনে,ভাগ্যিস কয়েকজন অকুতোভয় হাফেজ মুখস্ত করে রেখেছিলেন।
রসুল (স) মৃত্যুর পর খলিফা আবুবকরের আমলেও লিখে পুস্তকআকারে করা সম্ভব হয়নি।
ওনার (আবুবকরের) মৃত্যুর পর হজরত ওসমানে সিদ্ধান্তে কোরান লেখা শুরু হয়, কিন্তু কোন আয়াত আগে পরে বা মনগড়া সম্পাদনার অভি্যোগে হজরত ওসমান প্রবল বাধার সম্মুখীন হন, পরে বিপক্ষ সাহাবিরা মিথ্যা করবৃদ্ধির অভিযোগ ইত্যাদি যোগ করে হজরত ওসমানকে কোরান লেখাবস্থায়ই কুপিয়ে হত্যা করেছিল।
এর পর যেই লিপিবদ্ধ করতে চেয়েছে সেই বিপক্ষ গোত্রের বাধার সম্মুখীন হয়েছে।
এর বহু বছর পর বিভিন্ন জনের কাছ থেকে শুনে শুনে কোরান লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়েছিল।
এত বছর পর শোনা কথা কতটুকু নির্ভরযোগ্য?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কোরআন আল্লাহর বাণী না হলে বা এতে আল্লাহ ছাড়া কারো কথা যুক্ত হলে তাতে ভুর সনাক্ত করা যেত। যেহেতু এমন সমস্যা কোরআনে পাওয়া যাচ্ছে না সেহেতু কোরআন অবশ্যই আল্লাহর বাণী এবং অবশ্যই এতে আল্লাহর বাণী ছাড়া আর কিছু যুক্ত হয়নি। আর কেউ যুক্ত করতে চাইলে বা যুক্ত করলে কি যুক্ত করেছে সেটা অবশ্যই ধরা পড়বে। তার কারণ হাফেজে কোরআন। আর কোরআনের হাফেজে কোরআন ব্যবস্থা সেই থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যমান রয়েছে। কাজেই আপনার সন্দেহ অমূলক। আর কোরআনে সন্দেহ পোষণ করে মূসলমান থাকা যায় না। আর ইসলামে মুসলমান দাবী করলেই মুসলমানের স্বীকৃতি মিলে না। আপনার নিজের বিষয়টা আপনি নিজে ভাল করে ভাবুন।

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অবশ্যই কোরান আল্লাহর বাণী। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কোরআন আল্লাহর বাণী এটা সঠিক প্রমাণ করেই বিশ্বাস করা যায়। বেঠিকও হতে পারে কোরআনের বিশ্বাস এমন কোন বিশ্বাস নয়।সন্দেহযুক্ত বিশ্বাসী সবাই নয়। তবে কেউ কেউ সন্দেহযুক্ত বিশ্বাসী। নিশ্চিত বিশ্বাসীরা সন্দেহযুক্ত বিশ্বাসীদের দায় গ্রহণ করবে না। আর আল্লাহ যাদেরকে হেদায়েত প্রদান করবে না। তাদের সন্দেহ বাতিক থেকেই যাবে। আর আল্লাহ বলেছেন যারা মন্দ কাজ করে আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত প্রদান করেন না। ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর’ এটা সাধারণত অবোধ জনকে বলা হয়। কারণ অবোধের সাথে তর্ককরা আর অযথা সময় নষ্ট করা এক কথা।

১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাস্তবিক কোরআন মানসিক শান্তির একটি বড় কারণ। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫২

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: আলোচনা ভালো লাগলো

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩১

সেলিম৮৩ বলেছেন: কোরঅান ঐশ্বরিক গ্রন্হ এটা বহু অাগেই প্রমাণিত সত্য। অবিশ্বাসীদের চোখে অাংগুল দিয়ে দেখালেও ওরা বিশ্বাস করবেনা।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ পাকের হেদায়েতের একটা বিষয় রয়েছে সেটা যার কপালে নেই সে চোখ বন্ধ করে হেদায়েতের বিষয় এড়িয়ে যাবে। চোখ খুলে হেদায়েতের আলো দেখতে পাবে না।

১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

এ আর ১৫ বলেছেন: কোরানের আয়াত সমুহ পর পর যে ভাবে নাজিল হয়েছিল , সেই ভাবে সিকোয়েন্স অনুযায়ি কোরানকে লিপিবদ্ধ করা হয় নাই কেন ? সিকোয়েনস অনুযায়ি নাজিলকৃত আয়াত গুলো নিয়ে কোরানের কোন সংকলন কেন নেই বা কেন এই কপি সংরক্ষন করা হয় নি ?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কি হয়নি সেটা থাকুক এক পাশে পড়ে। কি হয়েছে সেটাই এখন বিবেচ্য বিষয়। আলোচনা চলবে বিদ্যমান কোরআনকে নিয়ে।

১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ ফরিদ আহমদ চৌধুরী - জনাব, একজন নিষ্ঠাবান মুসলিম হিসাবে , আপনার বিশ্বাস অনুসারে "কোরআন শরীফ" আল্লাহ্ প্রেরিত বাণী, নির্ভুল, অলৌকিক ও সঠিক।

ঠিক একইভাবে একজন নিষ্ঠাবান খৃস্টান তার ধর্মগ্রন্থ "বাইবেল"-কে ঈশ্বর প্রেরিত বাণী, নির্ভুল ও সঠিক হিসাবে বিশ্বাস করে ।

একজন নিষ্ঠাবান ইহুদি তার ধর্মগ্রন্থ "তোরাহ্"-কে ঈশ্বর প্রেরিত বাণী, নির্ভুল ও সঠিক হিসাবে বিশ্বাস করে।

তেমনি একজন ধার্মিক হিন্দু তার ধর্মগ্রন্থ "ভগবত গীতা"-কে , একজন ধার্মিক বৌদ্ধ "ত্রিপিটক"-কে , একজন শিখ " গুরু গ্রন্থ সাহিব"-কে, নির্ভুল সঠিক ও ঈশ্বর প্রেরিত হিসাবে বাণী হিসাবে বিশ্বাস করে ও তদনুযায়ী নিজ নিজ ধর্ম পালন করে চলেছে।

আপনি যেমন কোরআন শরীফকে " ইসলাম সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ" হিসাবে দেখাতে চান , তেমনি অন্যন্য ধর্মের লোকরা-ও নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থের মাধ্যমে নিজ নিজ ধর্মকে সঠিক ও অকাট্য মনে করে ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কে কি মনে করে সেটার চেয়ে কোনটা সঠিক সেটা অধিক বিবেচ্য বিষয়।

১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আল কোরআন এর বিশুদ্ধতা নিয়ে যে কোন মুসলিম বিন্দুমাত্র সন্দেহ পোষণ করবে সে মুসলমান থেকে বাতিল/খারিজ হয়ে যাবে। অনেক অবিশ্বাসী কোরআনকে ভুল প্রমান করতে কোমর বেধে নেমে পরে নিজেই এর ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন; এর বহু প্রমান আছে।

৯ নং কমেন্টকারী হাসান কালবৈশাখী আপনার ভেবে চিন্তে মন্তব্য করা উচিৎ ছিল। সেই সংগে ১৪ নং কমেন্টকারী এ আর ১৫ আপনি সবসময়ই ইসলাম এবং মুসলিম সম্পর্কে কিছু লেখা দেখলেই আপনার গাত্রদাহ হয় কেন এটা আমার বোধে আসেনা। আপনাকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি, গোল বাধানোই আপনার কাজ বিশেষ করে ইসলাম এবং মুসলিম বিষয়ক কিছু দেখলেই আপনার উল্টাপাল্টা প্রশ্ন শুরু হয়!! আপনার এই নিকে কখনো লাইভ দেখা যায়না অন্যনিকে ব্লগে বিচরণ করেন এবং এই নিকে মন্তব্য করে উধাও হয়ে যান।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যে যা বলে বলুক এর জন্য মানুষের সত্য অনুসন্ধান থেমে থাকবে না।

১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই হাসান কালবৈশাখী,
আপনার বক্তব্যটা স্ববিরোধী হয়ে গেল না! মনে কিছু না নিলে কথাগুলো দয়া করে নিজেই যদি একটু ভেবে দেখতেন!

কারন, একজন ব্যক্তি- যার কি না কুরআনের অথেন্টিক হওয়ার ব্যাপারে দ্বিধা সংশয়, তিনিই যদি আবার নিজেকে আস্তিকও বলেন! বিষয়টি কেমন হাস্যকর মনে হয় না!

আল্লাহ তাআলা আপনার উপর রহম করুন।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: জনাব হাসান কাল বৈশাখীর ভাবনার গভিরতা কম। হয়ত তিনি কি ভাবেন নিজেও বুঝতে পারেন না।

১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,

আপনি ভালো লিখেছেন। গতকাল একবার পড়েছিলাম।
পোস্টে লাইক ++

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার আগমনে শান্তি পেলাম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬

বোকামানুষ বলেছেন: ভাল লাগলো ধন্যবাদ

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

২০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

নজসু বলেছেন:




আস সালামু আলাইকুম।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য আল্লাহ আপনাকে উপযুক্ত পুরস্কারে ভূষিত করুন।
আমিন।
পোষ্টে লাইক।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্য খুব ভাল লাগল। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

২১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: যে সত্যিকারের মুসলমান সে কখনো কোরআনের প্রতি অবিশ্বাসী হবেন না। অনেক ধন্যবাদ আলোচনা ভালো লাগল শুধু কয়েকজনের বোকামী কমেন্ট ছাড়া।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

এ আর ১৫ বলেছেন: কি হয়নি সেটা থাকুক এক পাশে পড়ে। কি হয়েছে সেটাই এখন বিবেচ্য বিষয়। আলোচনা চলবে বিদ্যমান কোরআনকে নিয়ে।
এটা কোন গ্রহন যোগ্য কথা হোল না । হযরত আলী (রা: ) সিকোয়েন্স অনুযায়ি কোরানকে সাজিয়ে পেশ করেছিলেন কিন্তু সেটা গ্রহন করা হয় নি । এসবের কারন অবশ্য জানার দরকার আছে এবং ঐ কপি সংরক্ষিত থাকলে ইসলামের অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হোত । হযরত ওসমান (রা: ) এর সংকলনের প্রতিবাদ বহু সাহাবা কেরামরা করেছিলনে এবং এই বিদ্রোহী গোষ্ঠির হাতে তিনি নিহত হন ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:০০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি যে তথ্য প্রদান করলেন এটা স্বীকৃত নয়। এজন্যই বলেছি কি হয়েছে সেটাই বিবেচ্য। হাজার জন হাজার কথা বলবে সেটা শুনার মত সময় কারো নেই। কারণ প্রত্যেকেই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। এসব খেজুরে আলাপ শুনার সময় কার আছে? আমার ঘরে যে কোরআন আছে এটা আল্লাহর বাণী সংকলন কি না আমি এখন শুধু এটাই দেখব। তো সে হিসেবে আমি দেখছি তাতে যা লেখা আছে তাতে কোন ভুল নেই। সুতরাং আমার নিকট এটা আল্লঅহর বাণী হিসেবে স্বীকৃত। আর যারা হজরত ওসমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে তারা বদ লোক।

২৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: কোরআন নিয়ে আরো এরকম লেখা চাই।আল্লাহু আপনার মঙ্গল করবেন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দোয়া করবেন যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে চলতে পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.