নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাশূণ্য থেকে মহান আল্লাহ – (পর্ব-১)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯



মহাশূণ্য মানে মহা ফাঁকাস্থান। বর্তমান মহা শূণ্যে আছে অনেক জ্যোতিষ্ক। যারা সবাই মহাশূণ্যে ভাসমান অবস্থায় বিদ্যমান। মহাশূণ্যের ফাঁকাস্থানে রয়েছে বিভিন্ন বায়বীয় ও গ্যাসীয় পদার্থ এবং বিভিন্ন শক্তি। যাদের উপর ভর করে ভাসমান অবস্থায় বিদ্যমান রয়েছে মহাশূণ্যের সব কিছু। মহামূণ্যের সব কিছুর মহাশূণ্যে বিদ্যমান থাকার একটা ব্যবস্থা মহাশূণ্যে রয়েছে।নতুবা মহাশূণ্যের ঘনবস্তু দ্বারা গঠিত সদস্যরা এতে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে কেমন করে? এ ব্যবস্থা যখন ভেঙ্গে পড়বে তখন মহা প্রলয় ঘটবে।আল্লাহ বলেছেন, ‘কুল্লুমান আলাইহা ফান, ওয়া ইয়াবকা অজহু রাব্বিকা যুল যালালি ওয়াল ইকরাম – তাতে সব কিছু বিলিন হয়ে থাকে। আর বাকী থাকে অথবা বাকী থাকবে তোমার মহিমাম্বিত ও দয়াময় প্রভু’- সুরা আর রাহমান, আয়াত নং ২৬ ও ২৭। প্রলয় যাঁকে স্পর্শ করতে পারে না।

প্রলয় ঘটার কারণ ইসরাফিলের শিঙ্গার আওয়াজ। তারমানে শব্দশক্তি নষ্ট করবে পদার্থের আন্তআণুবিক শক্তি। ফলে অণু ও পরমাণু গুলো পারস্পরিক আকর্ষণ বল হারাবে। তারা আলাদা হতে হতে অবশেষে অণু ও পরমাণু থেকে ভেঙ্গে শক্তিতে পরিণত হবে।তাদের পদার্থগত অস্তিত্ব বিলিন হবে।তখন অবশিষ্ট থাকবে সকল শক্তি। আর সকল শক্তির সমম্বিত রূপ সর্বশক্তিমান। যাঁর নাম আল্লাহ। প্রলয় কান্ড তাঁর নিকট অপারগ। কিন্তু কেন?

পদার্থ যখন বিলিন তখন শক্তির স্থান মহাশূণ্য। যা অসীম। শক্তি তার অবস্থান স্থানের পুরোটা জুড়ে থাকে। তো অসীম স্থানের সবটা জুড়ে শক্তি থাকলে শক্তিও হয়েগেল অসীম। প্রলয় অসীমকে যতই বিলুপ্ত করুক উহা অসীমকে বিলুপ্ত করে শেষ করতে পারবে না। কারণ অসীমকে শেষ করা যায় না। এ জন্যই প্রলয়ের পরেও অসীম আল্লাহ টিকে থাকবেন।তাঁর লয় ঘটবে না।

তিনি আকার কিভাবে সব সৃষ্টি করবেন? পদার্থ এর অণু-পরমাণু থেকে ভেঙ্গে শক্তি হলো? শক্তি থেকে কিন্তু বিলুপ্ত হলো না বরং অসীম শক্তির সাথে মিলে গেল।অসীম শক্তির অসীম দৃষ্টিশক্তি তাদের প্রত্যেককে আলাদা করে চিনে রাখলো। তারপর তিনি যখন চাইবেন তখন তাদেরেকে আবার যুক্ত করে শক্তি তাড়ীত করে আবার সৃষ্টি করা শুরু করবেন।এভাবেই আবার ফিরে আসবে প্রলয়ে বিলুপ্ত হওয়া জগৎ।

মহাপ্রলয়ের পর বিদ্যমান অন্য একটা মহাশূণ্যের ধারণা পাওয়া গেল। যাতে শুধু আল্লাহ থাকবেন। কোন এক সময় যদি তাতে আল্লাহও না থেকে থাকেন। তবে তাতে কিছুই ছিল না (মনেকরা অর্থে)।এরপর তাতে যা হবে তা’ নিজে নিজে হওয়া সাব্যস্ত হবে। কিন্তু তাতে পদার্থ ও সসীম শক্তি হতে পারবে না।কারণ এগুলোর সীমা থাকতে হয়। আচ্ছা সীমা ছাড়া কি পদার্থ ও সসীম শক্তি হতে পারে? সীমা না দিলেতো ওগুলো অসীমে বিলিন হবে। আর অসীমে বিলিন হয়ে গেলে ওগুলো আর হতে পারলো কই? সংগত কারণে কোন সসীম নিজে নিজে হতে পারে না। যেখানে কিচ্ছু নেই সেখানে নিজে নিজে হওয়ার জন্য ওগুলোর সীমা দেওয়া হবে কি দিয়ে? আর সীমাই যদি দেওয়া না যায় তবে সসীম নিজে নিজে হয় কেমন করে? কোন বিজ্ঞানী একথার জবাব দিতে পারবেন কি? মহাজগতে আছে পদার্থ, সসীম শক্তি ও অসীম শক্তি। দু’টি যখন নিজে নিজে হতে পারলোনা তখন এমনিতেই সাব্যস্ত হয়ে যায় তৃতীয়টি নিজে নিজে হয়েছে। আর সেটা অসীম শক্তি।কেন অসীম নিজে নিজে হতে পারলো? কারণ তাঁর সীমা দেওয়ার দরকার নেই, আর সীমা দেওয়ার কিছু নেই, দু’টো একসমান।সংগত কারণে অনিবার্যভাবে অসীম নিজে নিজে হতে পেরেছেন।অসীমের নিজে নিজে হতে পারার কারণ তাঁর যোগ্যতা, সসীমের নিজে নিজে না হতে পারার কারণ তাদের অযোগ্যতা। তো সসীম যখন নিজে নিজে হতে পারলো না তবে তারা হলো কেমন করে? এক কথায় উত্তর অসীম তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। অসীম একজন। কারণ তাঁকে সীমা দিয়ে একাধীক করার কিছুই তখন ছিল না। আর সীমা দিলে অসীস অসীম থাকে না বরং সসীম হয়ে যায়। এ অসীম হলেন আল্লাহ। কাজেই মুসলমানের আল্লাহ বিশ্বাস শতভাগ সঠিক।আর এভাবেই মহাশূ্ণ্য থেকে তাঁর আল্লাহতে রূপায়ন। যদি কোর কারণ বশত তিনি বিলুপ্ত হন (যদিও এটা সম্ভব নয়, কারণ আমারা বলেছি) তবে আবার তিনিই ফিরবেন।সময়ের শুরু আল্লাহর সাথে এ জন্য তিনি চির বিদ্যমান।তিনি নেই, কিছু নেই, সময় নেই, কাজেই তাঁর পূর্বে কিছু ছিল কি না এমন প্রশ্ন অবান্তর।তিনি শুরু তিনি শেষ। তাঁর আগে পরে কিছু নেই। তিনি না থাকলে সময় না থাকলে তাঁর আগে পরে কিছু থাকে কেমন করে?

নিজে নিজে পদার্থ হয়নি, সসীম শক্তি হয়নি কিন্তু নিজে নিজে পদার্থ ও সসীম শক্তি অসীম শক্তিরূপে হয়নি এটা বলা যাচ্ছে না।সংগত কারণে পদার্থ ও সসীম শক্তি নিজে নিজে অসীম শক্তি রূপে হয়ে অসীমের সাথে মিশে অসীমের সত্ত্বাগত হয়ে গিয়েছে।এরপর অসীম সসীমের সীমা দিয়ে তার অসীম শক্তি তাড়িত করে এদের আলাদা অস্তিত্ব প্রদান করে তাঁর সৃষ্টির তালিকা ভুক্ত করেছেন। আর এভাবেই কোন কিছুর অস্তিত্ব বিহীন প্রথম মহাশূণ্য থেকে বিদ্যমান হলেন মহান আল্লাহ। দ্বিতীয় মহাশূণ্যে আল্লাহ ছিলেন।আর বর্তমানের তৃতীয় মহাশূণ্যে আল্লাহ এবং তাঁর সৃষ্টি বিদ্যমান।মহা প্রলয়ের মাধ্যমে আবার কিছুকাল দ্বিতীয় মহশূণ্য বিদ্যমান থাকবে। এরপর আবার অন্যভাবে উপস্থাপিত হবে তৃতীয় মহাশূণ্য। কিন্তু প্রথম মহাশূণ্য আর কখনো আসবে না। ওটার চির বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহ চির বিদ্যমান। এটাই হলো মহাজাগতিক মহাসত্য।

বিজ্ঞানীরা ব্যস্ত আছে তৃতীয় মহাশূণ্য নিয়ে। দ্বিতীয় ও প্রথম মহাশূণ্য কবে যে মানুষের বুঝে আসে আল্লাহ মালুম।আর আমাদের এ মহান আল্লাহ রয়েছেন সর্বত্র এবং সবার সাথে।অণু জীবদের অণুভুতি পর্যন্ত তিনি বুঝেন।তাঁকে বুঝতে হলে তাঁকে নিয়ে ভাবতে হবে।

মানব জীবনে সব চেয়ে বড় আবিষ্কারের বিষয় হলো তার তাঁকে আবিষ্কার করা যার দয়ায় সে পেয়েছে তার মানব জীবন। অথচ দেখা যায় তাঁর প্রতি তার আগ্রহ নেহায়েত কম। সে উল্টা চিন্তা করেছে তাঁকে বাদ দিয়ে কিভাবে মহা জগতের কথা ভাবা যায়। কিন্তু সে এটা ভাবতে পারেনি যে কোন কিছুর অস্তিত্ব বিহীন মহাশূণ্য বিবর্তীত হয়ে মহান আল্লাহ ছাড়া কিছু হওয়া সম্ভব নয়।

মহাজগত নিয়ে যে কেহ যে কোন যোক্তিক সমীকরণ নিয়ে কাজ করুক না কেন সকল সমীকরণে অবশ্যই অবশেষে আল্লাহ পর্যন্ত পোঁছবেই যদি সমীকরণে কোন ভুল না থাকে। আর রাস্তা ছেড়ে বেরাস্তায় হাঁটলে মানুষ দিশেহারা হয়ে কোথায় হতে কোথায় যায় সে নিজেও বলতে পারে না।কেনরে বাপু তোদের ভাবনাগুলো আল্লাহকে বাদ দিয়ে হতে যায় কেন? একবার অন্তত আল্লাহকে সাথে নিয়ে বিচরণ কর, দেখবে তিনি তোমাকে বঞ্চিত করবেন না। তাঁকে সাথে নিলে তিনি সহজে তোমার সত্য বুঝার ব্যবস্থা করবেন। আর তাঁকে বাদ দিয়ে চলতে গেলেই কপাল পুড়বে।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।

# প্রয়াত অভিজিৎ রায় শূণ্য থেকে মহাজগৎ পেয়েছেন। আর আমি পেলাম মহান আল্লাহকে। দু’জনের অংক ফল দাঁড়াল দু’রকম।

ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর প্রথম নভোচারী পর মাটিতে পা রেখে বলেছিলেন : “মহাশূন্যের কোথাও আল্লাহকে দেখতে পাইনি'।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ নিজে দেখা না দিলে কারো পক্ষে আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। আর তাঁর উপর কোন জবরদস্তি খাটে না। কাজেই নভচারীর সে কথা নিতান্ত অর্থহীন কথা। এরকম অনেকেই অনেক কিছু দেখতে পায় না। আর অন্ধরাও কিছু দেখতে পায় না। তাই বলে অন্ধ যা দেখে না সেটা নেই বলা যায় না।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখায় পদার্থ ও মহাশুন্যের উপর অনেক লজিক্যাল কথা বলা হয়েছে। তবে, শব্দ শক্তি অনুকে পরমানণুতে, বা পরমানুকে শক্তিতে পরিণত করতে পারবে কিনা, ষেটা জানা নেই; পরমাণুকে শক্তিতে পরিণত করার জন্য দরকার এটমিক ফিউশান, এটার প্রয়োগ ঘটেছে বিশ্বে বিশালভাবে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শব্দ শক্তি একটা সিস্টেমকে গড়বড় করবে। আর এতে করে প্রলয়ের সূত্রপাত ঘটে। আর সেই সূত্রেই ক্রমাম্বয়ে মহা প্রলয় সম্পন্ন হবে।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার পোষ্টের ২য় প্যারাগ্রাফে আইনষ্টাইনের সুত্র আছে। কিন্তু ২ নং মন্তব্যের উত্তরে যা বলেন, সেটা আপনার লেখা ২য় প্যারার সাথে টিক মিলছে না।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার বিষয়টা আরো পরিস্কার করতে হবে বুঝতে পারছি। আমাকে দেখাতে হবে শব্দশক্তি কিভাবে আন্তআনবিক শক্তির উপর প্রভাব ফেলে। এর জন্য আমার আরো কিছু সময় প্রয়োজন। বিষয়টা সমানে আনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যের কথা তাৎক্ষণিক বিষয় হিসেবে বলা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই একাধীক বিকল্প থাকে।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

ইমু সাহেব বলেছেন: একটি গঠনমূলক পোস্ট, যৌক্তিক বিজ্ঞানের দ্বারা মহান শক্তির অস্তিত্বের অবস্তিতি প্রকাশের প্রয়াস।
এই ধরনের লেখা আরো দেখতে চাই । তবে জটিল বিষয়গুলো আরেকটু ভেঙে বলার চেষ্টা করবেন
। ভালোবাসা রইলো ।।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ বিষয় নিয়ে আরেকটু কাজ করতে হবে বুঝতে পারছি। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৩

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: লেখা চালিয়ে যান।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দেখি কতটা পারি।

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আরেকবার এসে মন্তব্যের উত্তর তা দেখে গেলাম।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৭

হাবিব বলেছেন: আল্লাহ আপনার অন্তর প্রসারিত করে দিন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন।

৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ ফরিদ ভাই
সূরা রা'দ এ বলা হয়েছে আকাশ মন্ডলীর কথা, মহাশূণ্যে ভাসমান অসংখ্য গ্রহ- নক্ষত্রের কথা যারা আবর্তিত হচ্ছে নির্দিষ্ট কক্ষপথে। কোথাও কোন অনিয়ম নেই, দুর্ঘটনা নেই, এ নিয়ে ভাবলে মনে হয় অদৃশ্য স্তম্ভের উপর ভর করে এসব গ্রহ - উপগ্রহ অদৃশ্য পথে আবর্তিত হচ্ছে। আসলে এসবই সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর অসীম ক্ষমতারই নিদর্শন।
এই সূরার প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে, "পরম করুণাময় ও দাতা আল্লাহর নামে। আলিফ লাম মীম রা, এগুলো (ঐশী) গ্রন্থের আয়াত বা বাক্য। যা কিছু আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে, তা সত্য। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এতে বিশ্বাস স্থাপন করে না।
এই আয়াতের একটি শিক্ষা হচ্ছে, মুসলমানদের এমন ভাবা উচিত নয় যে, দুনিয়ার সকল মানুষই সত্যকে গ্রহণ করে মুমিন মুসলমান হয়ে যাবে। বরং অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা যাবে যে তারা সত্য ধর্মকে উপেক্ষা করছে কিংবা তার যথার্থ মূল্যায়ন করছে না। কাজেই বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগের মাধ্যমে ধর্ম বিশ্বাসে উপনীত হতে হবে, এক্ষেত্রে মানুষের জ্ঞান ও যুক্তিই হবে মানদন্ড। কোন ধর্ম বা মতবাদের অনুসারীদের আধিক্য সেই ধর্ম বা মতবাদের সত্যতা প্রমাণ করে না। কারণ অনেক সময় দেখা গেছে নানা কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সত্যের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইতিহাসে এর বহু নজির খুজে পাওয়া যাবে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আশাকরি পাঠকেরা আপনার মন্তব্য দ্বারা উপকৃত হতে পারবেন।

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১১

কাওছার আজাদ বলেছেন: ইমাম মালেক রহ. বলেছেন, 'আল্লাহ্ আছে' এটা মানতে হবে। তিনি আরশে আছে, এটা বিশ্বাস করতে হবে। তবে তিন কিভাবে আছেন, এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদআত।
.
তাই একজন মুমিন এত গভীরে যেয়ে প্রশ্ন করবে না, এটাই সত্য। কিন্তু সেক্যুলাররা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কিছু কমজুড়ি মুমিনদের অন্তরে সন্দেহ্ সৃষ্টি করে দেয়। তাই যুগ যুগ ধরে জগদ্বিখ্যাত আলেমরা আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে বৈজ্ঞানিক প্রমান ও যুক্তি অনেক দিয়েছে। এরপরও তারা বিশ্বাস করে না। তাদের অন্তরে রয়েছে বক্রতা। যাইহোক, বৈজ্ঞানি লজিক্যাল থিওরি ইউজ করে আলোচনা করার জন্য আপনাকে শুকরান জানাই। তবে লেখাগুলোতে আরো থিজিস করবেন, আরো তথ্য বের হবে ইনশাআল্লাহ্।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার মন্তব্য বিবেচনায় থাকবে। দোয়া করবেন।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২১

আমি মুক্তা বলেছেন: যখন আমরা দেখি তা একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্তই, আবার যখন আমরা কল্পনা করি তাও একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্তই, আর বিজ্ঞানের জ্ঞান তো মাত্র কয়েক হাজার বছর বা কয়েক শত বছরের লব্ধ, তাও যা লিপিবদ্ধ হয়েছে। কোন এক মহাজ্ঞানী বলেছিলেন জ্ঞানের মহাসমুদ্রের তীরের কয়েকটি নূড়িপাথর তিনি সংগ্রহ করতে পেরেছেন মাত্র, আর এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যদি সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা তার জ্ঞানের সীমা আমরা তাঁরই সৃষ্ট এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীব হয়ে বিশ্বাস করতে পারি না বা চাই না, বিষয়টি আমার ঠিক বোধগম্য হয় না। মানুষ কতটা নির্বোধ হলে এইসকল মহাজ্ঞানের মহানিয়মের বিষয়াবলীকে অস্বীকার করে যে এর কোন প্রস্তুতকারক নেই। আপনার অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফল আল্লাহ আপনাকে দান করুন, আরও বেশি বেশি সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বিশ্লেষণ করার তাওফিক দান করুন, আর সেইসব অবিশ্বাসীদের চোখ ও চিন্তাশক্তির সামনে থেকে ইস্পাতে মোড়া হেলমেট তথা প্রতিবন্ধকতা দূর করে দেওয়ার শক্তি দান করুন, আমিন।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল ও মঞ্জুর করুন- আমিন।

১১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

আমি মুক্তা বলেছেন: আমাদের সমস্যাই হল এইটা আমরা কোনকিছুই পুরোপুরি উপলব্ধি না করেই হুট করে একটি সর্বপরীক্ষায় পরিক্ষিত অবিনশ্বর বিজ্ঞানময় কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা করে ফেলি। আরে ভাই প্রতিটি সৃষ্টিকে তার কর্ম ও কর্মপ্রক্রিয়া নির্ধারণ করে দিয়েছেন বলেই না এই মহাবিশ্ব এভাবে চালিত হতে পারছে। আর এই মহাবিশ্বের একটি ছোট্ট ছায়াপথের একটি ছোট্ট সৌরমণ্ডলীর একটি ছোট্ট গ্রহে বসে আমরা কতইনা বাহাদুরী করছি! আমরা এত্ত এত্ত জ্ঞান অর্জন করে ফেলেছি যে মহান অদ্বিতীয় সৃষ্টিকর্তার বক্তব্য সঠিকভাবে উপলব্ধি না করেই তার কথাটিকে ভুল বলে প্রমাণ করে দিচ্ছি। অথবা যারা এ বক্তব্যের মূল গভীরতা অনুধাবন করতে না পেরে সাধারণভাবে অর্থাৎ শাব্দিকভাবে তা ব্যাখ্যা করেই সন্তুষ্ট থাকেন তাদের আপনি শত চেষ্টা করেও বিশ্বাস করাতে পারবেন না যতক্ষণ না আল্লাহ নিজে তাঁদের দৃষ্টি ও চিন্তাশক্তি উন্মুক্ত করে দেখার ও বোঝারমত জ্ঞান দেবেন, তারা নিজেদের জ্ঞানী ভাবে অথচ তারা জানেই না তারা কতবড় মহাবুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভয়াবহ বিপদ থেকে বাঁচতে হলে মানুষকে আল্লাহর কথা বুঝতেই হবে। যে আল্লাহর কথা বুঝার চেষ্টা করবে না সে নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মারবে।

১২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নষ্টজীবন® বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম আলোচনা জুড়ে, সুন্দর পোস্ট

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

১৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



বিশ্লেষণটা মনযোগ দিয়ে না পড়ার আগে মন্তব্য করা কঠিন।

আপনার কল্যান হোক।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.