নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর জীবন সকলে পায় না, তবে কিছু লোক জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলেন। আর সুন্দর জীবনের জন্য চাই সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। নিঃসন্দেহে ইসলাম হল শ্রেষ্ঠ সুন্দর জীবন ব্যবস্থা।

ফরিদ আলম

আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।

ফরিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালী কারা? শুধু হিন্দুরাই নাকি মুসলিমরাও !!

১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ১১:৩৪

বাঙালী সত্ত্বার অধিকারি কারা? এরকম একটা বিষয়ের উপরে প্রবন্ধ দেখে হয়ত অনেকেই চমকে যাবেন। কিন্তু বিষেশ করে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য এরকম একটা প্রবন্ধের খুবই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। এই ব্যাপারটি আলোচনা করার আগে বাংলাভাষা সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলি পৃথিবীতে প্রায় তিন হাজার ভাষা আছে তারা আবার অনেক ভাষা গোষ্টিতে বিভক্ত। এই নিরিখে বাংলা ভাষার স্থান পৃথিবীতে পঞ্চম কিংবা ষষ্ট। এই ভাষা ভাষীর লোক গোটা বাংলাদেশ, গোটা পশ্চমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আন্দামান ও নিকোবর, আসম, মিজোরাম সহ গোটা ভারত এবং পৃথিবী জুড়ে অনেক জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এই ভাষায় যারা কথা বলেন তারাই বাঙালী। এটা আমরা সবাই জানি। তারপরেও বাঙালী কারা? এরকম একটা প্রশ্নের কি মানে হতে পারে। এরকম প্রশ্ন উঠছেই বা কেন?

পাঠক ভায়েরা দয়া করে বিরক্ত না হয়ে এই প্রবন্ধটি পড়ুন। এরকম প্রশ্ন উঠছে কারণ বেশীর ভাগ হিন্দু ‘বাঙালী’ বলতে নিজেদেরই বোঝেন। আর অনেক অশিক্ষিত মুসলমান নিজেদের বাঙালী মনে করেননা। তারা মনে করেন যারা হিন্দু তারাই বাঙালী। একারণেই মুসলমানদের পাশে বসবাসকারী হিন্দু পাড়ার নাম বাঙালী পাড়া হয়ে যায়।

এবিষয়ে আরো কিছু বলার আগে আমার জীবনের একটি সত্যি ঘটনা শুনুন। যখন আমি একাদশ শ্রেনীতে পড়ি আমার m.c.a সাব্জেক্ট থাকায় একজন স্যারের কাছে কম্পিউটার শিখতে যেতাম। সেখানে আরো বেশ কয়েকজন ছেলে ও মেয়ে পড়ত। কয়েকদিন যাওয়ার পর একদিন একটা মেয়ে বলল তোমার নাম কি? আমি বললাম ফরিদ। সে একেবারে চমকে গিয়ে বলল তুমি মুসলমান? আমি ভেবেছি তুমি বাঙালী! তোমার কথা শুনে একেবারেই বাঙালী মনে হয়। আমি দ্বিগুন চমকে গিয়ে বললাম আমি বাঙালীই তো! তখন সে বলল তবে তোমার নামটা যে মুসলমানদের মতো। সেবারেই জীবনের প্রথম এরকম একটা প্রশ্নের স্মমুখিন হয়েছিলাম। আমি সেই মেয়েটি বোঝাবার চেষ্টা করেছিলাম যে আমি মুসলমান আবার বাঙালীও। কিন্তু সে মানেনি আমার কথা শুনে হেসেছে শুধু।



যাইহোক এই প্রেক্ষিতে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বাঙালী সংস্কৃতির উত্ত্রাধিকার’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ জ্ঞানপীঠ পুরুস্কার প্রাপ্ত বিখ্যাত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন; ‘যুক্ত বাংলায় এতকাল হিন্দু মুসলমান পাশাপাশি থাকলেও কিছুতেই যেন সাংস্কৃতিক মেল বন্ধন ঘটেনি। তার জন্য অনেকটাই দায়ি ফাঁকা হিন্দু উন্নাসিকতা। বাঙালী হিন্দুরা বহু দিন ধরে গোপনে বলে এসেছে- আরে ঐ লোকটা তো মুসলমান ও আবার বাঙালী নাকি? যেন মুসলমানরা বাঙালী হতে পারে না। অধিকাংশ হিন্দুরাই জানে না কিংবা খেয়াল করে না যে বাংলা ভাষার সন্মান রক্ষার জন্য যাবতীয় লড়াই বাঙালী মুসলমানরাই করেছে। একটু আগে থেকে শিক্ষা পাবার সুযোগে হিন্দুদের মধ্যে অনেক বড় বড় লেখক জন্মে যেত বটে, কিন্তু সম্মিলিত ভাবে বাঙালী হিন্দুরা বাংলা ভাষার জন্য কিছুই করেননি। মুসলমানরা যেটা ভাবতে শুরু করেছে পাকিস্তানী আমলেরও অনেক আগে, সেই উনিশ শ সাইত্রিশ সাল থেকে। (দেশ; ১৪.০৪.১৯৮৯)



যারা একুশে ফেব্রুয়ারীর কথা জানেন না তারা হয়ত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা শুনে আশ্চর্য হবেন। ভাব্বেন মুসলমানরা আ্বার বাংলা ভাষার জন্য কবে লড়াই করল? ভাই, শুধু লড়াই নয় নিজের মুখের বুলি যাতে কেউ কেড়ে নিতে না পারে সেই জন্য প্রানও দিয়েছে মুসলমানরাই। বাংলা ভাষা আন্তর্জাতীক ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে মুসলমানদের জন্যই। ‘মোদের গরব-মোদের আশা –আ মরি বাংলা ভাষা’ একথার মানও মুসলমানরাই রেখেছে। পৃথিবীতে সব চেয়ে বেশি বাংলা ভাষায় কথা বলে মুসলমানরাই। যে সব পাঠক পাঠিকারা একুশে ফেব্রুয়ারীর কথা জানেন না বা যাদের স্মৃতির আড়ালে কোথায় হারিয়ে গিয়েছে এই ঘটনা তাদের জন্য জেনে নেওয়া যাক ঐ ঐতিহাসিক দিনের কথা। সালটা ১৯৫২। বাংলাদেশ তখনও স্বাধীন হয়নি। পুর্ব পাকিস্তান নামেই তার পরিচিতি। পশ্চিম পাকিস্তানের আত্মগর্বি নেতারা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল বাংলা মায়ের মুখের ভাষা। তারা চেয়েছিল উর্দুকে রাষ্ট্রিয় ভাষা করতে।অফিস আদালত স্কুল কলেজ সব জায়গায় উর্দু। কিন্তু বাংলাদেশের বাঙালীরা সেটা মেনে নিতে পারেনি। বাংলাদেশের পথে পথে শুরু হয়েছিল উত্তাল বিদ্রোহ। মুখে মুখে শোনা যাচ্ছিল বিদ্রোহবাণী- বন্দুকের নলে প্রাণ দেবো তবুও মুখের ভাষা কেড়ে নিতে দেব না’।সেদিন পাকিস্তানের সেনা দলের সামনে প্রাণ দিয়ে ছিল জাব্বার, সালাম, বর্কত, রফিক ও আরো অনেকে। তাঁদের আত্মদলে পরাস্ত হয়েছিল পাকিস্তানি সেনা দল। ধীরে ধীরে ১৯৭২ সালে য়াত্মপ্রকাশ করল ভাষাভিত্তিক একটি দেশ- বাংলাদেশ। সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে ১০০% লোক বাংলা ভাষাই কথা বলে।

একটু চিন্তা করুন দেশের জন্য, অধিকারের জন্য, অবিচারের জন্য পৃথিবীতে কত লড়াই হয়েছে। প্রান দিয়েছে হাজার-লক্ষ লোক। কিন্তু পৃথিবীতে এমন দেশ কি পাওয়া যাবে যেখানে ভাষার জন্য লোক বন্ধুক উঠিয়েছে, লড়াই করেছে, প্রান দিয়েছে? নাহ এমন উদাহরন সম্ভবত নেই। অনেক খারাপ লাগে যখন কেউ বাংলা ভাষা-ভাষী মুসলমানদের বাঙ্গালী বলেন না। যারা এধরনের কথা বলেন তাদের আমি কয়েকটি প্রশ্ন করতে চাই—

১. পৃথিবীতে প্রায় ছাব্বিশ কোটি লোক বাংলা ভাষায় কথা বলেন। তার মধ্যে কমপক্ষে ১৭ কোটি লোক মুসলমান। তারপরেও কি বলবেন মুসলমানরা বাঙালী না?

২. বাংলা ভাষার সন্মান রাখতে মুসলমানরাই তো রক্ত দিয়েছে, প্রাণ দিয়েছে, তারপরেও মুসলমানরাই বাঙালী নয়?

৩. পশ্চিম বঙ্গে কোলকাতা ছাড়া অন্য কোন জেলায় তেমন ভাবে ভাষা দিবস পালন করা হয় না। তবে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে এই দিনটি পালন করা হয়। বাংলা ভাষার উপর এতটাই তাদের ভালোবাসা। তার পরেও মুসলমানরাই বাঙালী নয়?

এরকম আরো প্রশ্ন করা যেতে পারে। তবে এইটুকুই যথেষ্ট এটা বোঝানোর জন্য যে, বাংলা ভাষার উত্তোরোধিকার নিয়ে যদি প্রশ্ন উঠে তবে মুসলমানরাই এর অধিক দাবিদার। প্রসঙ্গত আরেকটি কথা বলতে চাই, স্কুল কলেজে পড়ানও হয় বাঙালীর উতসব দূর্গাপুজো। এটা একেবারেই অযৌক্তিক, হাস্যকর। যেখানে ১৭ কোটি বাঙালী মুসলমান আর ৭-৮ কোটি হিন্দু সেখানে কিভাবে বাঙালীর উতসব দূর্গাপূজা হতে পারে। হ্যাঁ পশ্চিমবঙ্গের প্রধান উতসব দূর্গাপূজা এতে কারো কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। কিন্তু বাঙলীর উতসব কোন মতেই নয়। এব্যাপারে বাংলা দেশের বাঙালীরা আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে কারণ ওখানে বাঙালীর উতসব ঈদ নয় ২১ ফেব্রুয়ারী।





@ বাংলাদেশী ব্লগাররা এই লেখা পড়ে চমকে উঠবেন জানি। কিন্তু যারা ভারতে এসেছেন বা ভারতে যাদের আত্মীয় আছে তারা এই ব্যাপারটির সাথে নিশ্চয় ওয়াকিবহাল। আমার জীবনে যত লেখা লেখেছি তার মধ্যে সব চেয়ে প্রশংসা পেয়েছি এই লেখার জন্য। আমাদের পত্রিকায় (ইসলামের আলো) যত লেখা ছেপেছে তার মধ্যেও এই লেখা নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। আপনাদের কাছেও এই প্রসঙ্গে মতামত আশা করছি।

____________________________



ভালো থাকুন। সাথে থাকুন।

শুভ ব্লগিং।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ১১:৩৬

ফরিদ আলম বলেছেন: বানাণ ভুলের জন্য দঃখিত |-) |-)

২| ১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ১১:৫৪

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: সত্যি অবাক করার মত ব্যাপার। বাঙলাভাষা সবার, যারা এইভাষায় কথা বলেন তারাই বাঙালি। এটাই সার্বজনীন সত্য বলে মনে হয়। বাকি সব সাম্প্রদায়িকতা, দলাদলি নিতান্তই বোগাস। তবে তার সাথে এটাও বিনা তর্কে মানা উচিত যে বাঙলাভাষার জন্য মুসলমান সম্প্রদায়ের অবদান নিঃসন্দেহে বাঙলাভাষার এক নতুন যুগের সুচনা করেছে। কারন সেই একুশে ফেব্রুয়ারীর আগে বাঙলাভাষার নামে রক্ত এভাবে উদ্বেলিত হত না বলেই মনে হয়। সেদিনের আত্মত্যাগই আজকের এই অহংকারের উৎস। তাই আজ বাঙলাভাষার নামে কেউ কিছু বললে মাথা ঠিক থাকে না।

লেখককে ধন্যবাদ এরকম আনকমন অথচ মুল্যবান বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

ফরিদ আলম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ১১:৫৮

মোনতাসির মামুন বলেছেন: কোলকাতায় বাঙালী আর মুসলমানদের মধ্যে ফুটবল খেলা হইতেছে-শরৎবাবু (শ্রীকান্ত-১ম খন্ড)।
অনেকে নিজের ধর্মীয় পরিচয়ে পরিচিত হতে হিনমন্যতায় ভোগে তখন শুধু বাঙালী বনে যায়।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

ফরিদ আলম বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই জুন, ২০১২ রাত ১২:০১

রক্ষণশীল বিপ্লবী বলেছেন: বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ১৯৭১ সালে। আর ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র হলেও কিন্তু বাংলাদেশে স্বীকৃত অন্যান্য অনেক ভাষার মানুষ বসবাস করে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ। জানলাম।

৫| ১৪ ই জুন, ২০১২ রাত ১২:১৬

সবুজ ভীমরুল বলেছেন: কয়েকদিন যাওয়ার পর একদিন একটা মেয়ে বলল তোমার নাম কি? আমি বললাম ফরিদ। সে একেবারে চমকে গিয়ে বলল তুমি মুসলমান? আমি ভেবেছি তুমি বাঙালী! তোমার কথা শুনে একেবারেই বাঙালী মনে হয়। আমি দ্বিগুন চমকে গিয়ে বললাম আমি বাঙালীই তো! তখন সে বলল তবে তোমার নামটা যে মুসলমানদের মতো। সেবারেই জীবনের প্রথম এরকম একটা প্রশ্নের স্মমুখিন হয়েছিলাম। আমি সেই মেয়েটি বোঝাবার চেষ্টা করেছিলাম যে আমি মুসলমান আবার বাঙালীও। কিন্তু সে মানেনি আমার কথা শুনে হেসেছে শুধু।

একটু অবাক হলাম। এর মানে কি? বাঙ্গালী বলতে কি পশ্চিমবঙ্গবাসীরা কি শুধুই হিন্দু বোঝেন?? তাহলে বাংলাদেশের মানুষ তো বাংলায় কথা বলে, তাদের সম্পর্কে তাঁরা কি ভাবেন?

একজন প্র্যক্টিসিং মুসলিম হিসেবে পশ্চীমবঙ্গ এবং ভারতীয় হিসেবে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে ভালো লাগত।

আপনাকে ধন্যবাদ।



২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
হ্যা, এখানে বাঙালী বলতে বেশির ভাগ লোকের হিন্দুদের বোঝেন।
ইনশাল্লাহ লেখার চেষ্টা করব। শুভেচ্ছা আপনার জন্য

৬| ১৪ ই জুন, ২০১২ রাত ১২:৪৮

সাদি সবার প্রিয় বলেছেন:
মংডু থেকে গোপনে সংগৃহীত কিছু এক্সক্লুসিভ ছবি

৭| ১৪ ই জুন, ২০১২ রাত ১:৩৪

নাজমুল নয়ন বলেছেন: আপনা জ্ঞাতার্থে বলছি, বাঙালীর প্রধান উৎসব দূর্গাপূজাঁ নয় ঈদ কিংবা কোন ধর্মীয় দিবস নয় এবং অবশ্যই ২১ ফেব্রুয়ারী নয়। ২১শে ফেব্রুয়ারী হচ্ছে ভাষা দিবস। আর ২১শে ফেব্রুয়ারী কোন উৎসবের দিন নয়, ২১শে ফেব্রুয়ারী শোকের দিবস।

বাঙ্গালীর প্রধান উৎসব হচ্ছে নববর্ষ (পয়েহেলা বৈশাখ), সমস্ত ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে এটা পালন করা হয়।


জীবনে অন্তত একবার নববর্ষের বর্ষবরন অনুষ্ঠান রমনায়, কিংবা ২১শে ফেব্রুয়ারীল প্রভাত ফেরীতে সামিল না হতে পারাটা একজন বাঙ্গালীর জীবনে সবচয়ে বড় অপূর্নতা। (আপনাকে নিমন্ত্রন রইল)

অন্যদিকে, বাংলাদেশে মুসলমানদের ঈদ শুধু মুসলমানরাই পালন করেনা এখানে সকল ধর্মের লোকজনেই মুসলমানদের এই উৎসবে যোগ দেয়। এবং দূর্গাপূজা কিংবা বড় দিন কিংবা অন্য ধর্মের উৎসবেও মুসলমান সহ সকল ধর্মের লোকজনই সামিল হয়।

পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে এই বার্তাটা পৌছে দিবেন।


আমরা হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাই বাংলাদেশী এবং বাঙ্গালী, আমরা এক প্লেটেই ভাত খাই। এক খাটেই ঘুমাই। আমি নিজে ৬ বছর ধরে একজন হিন্দু এবং একজন খ্রিষ্টান রুমমেটের সাথে থাকি, আমাদের মধ্যে কোন ভেদা ভেদ নেই। আমরা একজন আরেকজনের আপন ভাইয়ের চেয়ে কম নই। বাংলাদেশের সব ধর্মের লোকেরা সব ক্ষেত্রে সব জায়গায় এমনই। বাংলাদেশের যে কোন ধর্মেল লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে একই মন্তব্য পাবেন। (ধর্মের দিকে যাওয়ার জন্য দূঃখিত, তবে পশ্চিম বঙ্গের কিছু মানুষের ভ্রান্ত ধারনা আছে এ জন্যই বলা)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

ফরিদ আলম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানতে পারলাম।

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

মুহাম্মাদ আলী বলেছেন: একটা বিধ্বংসী কমেন্ট দিতে পারতাম।আপনি ভারতীয় তাই আপনার কথাগুলা ভাল লাগতো না।শুধু আপনার পোস্ট এ ভাললাগা দিয়ে গেলাম।আপনার পোস্টটা পড়ে আপনার চাইতেও বেশী চমকে উঠেছি।ওয়েল কুলিকাতার কোন বাঙালিকে সামনে পাইলেই দেখামু কে কি /:)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

ফরিদ আলম বলেছেন: হে হে B-)
অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই।

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৩

আদিম পুরুষ বলেছেন: কলকাতার বাঙালিরা শুদ্ধ ভাবে বাংলা বলতে পারে না। ওদের ঢাকাইয় এসে বাংলা ভাষার উপর শর্ট কোস করে যাওয়া উচিত।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

ফরিদ আলম বলেছেন: বলেন কি =p~ =p~

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৮

সুখোই-৩৫ বলেছেন: এইসব কি বলতেছেন? আমরা তো উলটা কলকাতার লোকদের বাঙালি না বলে ক্যালকেশিয়ান বলে থাকি। আগে ওদের ঘটি বলা হত। ওরা তো আবার হিন্দি ডে পালন করে। যাই হোক, আপনার ঘটনা শুনে আশ্চর্য হলাম। যে না ক্যালকেশিয়ান তার আবার বাঙ্গালিত্বের গর্ব। ওরা আসলে ঠিক বাঙালি নয় অথবা নীচু জাতের বাঙালি। কারণ বাঙালি জাতি আসলে হিন্দু নয়, আরও আগে বৌদ্ধ এবং আরও আগে প্রকৃতিপূজক এমনকি একেবারে প্রাচীন ইতিহাসে বাঙালি জাতি মূলত ধর্মহীন ছিল। হিন্দুধর্ম বা বৌদ্ধধর্ম বা ইসলাম এগুলো বাঙ্গালিরা পরে গ্রহণ করেছে। এগুলো সবই বিদেশী ধর্ম। হিন্দুত্বের সাথে বাঙ্গালিত্বের কোন সম্পর্ক নাই। হিন্দুত্ব আর বাঙ্গালিত্ব একসাথে মিলিয়েছে নিম্নশ্রেণীর ক্যালকেশিয়ানরা। এসব নীচু জাতের তথাকথিত বাঙ্গালিদের কথায় মন খারাপ করবেন না। সেই চারশ বছর আগে একজন মুসলিম বাঙালি কবি "আবদুল হাকিম" বলে গিয়েছেন,

যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

সেই চারশ বছর আগেই কবি আবদুল হাকিম বাংলার জন্য যে ভালবাসা দেখিয়েছেন, সেটাই আমাদের বাংলার প্রতি মমতার ভিত্তি।

বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রীষ্টান, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালি।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

ফরিদ আলম বলেছেন: যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।


সুন্দর, তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনেক কিছু জানলাম, শিখলাম।
শুভেচ্ছা

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬

রাফা বলেছেন: বুজলাম-না, খৃস্টান ,বৌদ্ধ কিংবা অন্য ধর্মালম্বিরা কি দোষ করলো।

যাহারা বাঙ্গালী,তাহারাই বাঙালী।কোন সন্দেহ?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

ফরিদ আলম বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের মুসলিম বলা হয়, বাঙালী শুধুই হিন্দুদের ধরা হয়। এটা শুধুই নিচু মহলে নয়, উপর মহলেও। সাহিত্যের চর্চাকারীরাও এমনই মানে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.