![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
পৃথিবীর সবচেয়ে দূরদর্শি চিন্তানায়ক বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ সা. বলেছেন, ‘বানী ইস্রায়েলরা ৭২ ফির্কায় বিভক্ত হয়েছিল আর আমার উম্মত ৭৩ ফির্কায় বিভক্ত হবে। তন্মোধ্যে ৭২টা ফির্কা জাহান্নামে যাবে এবং একটি ফির্কা জান্নাতে প্রবেশ করবে। ঐ জান্নাতি ফির্কা তারা যারা আমার এবং আমার সাহাবাদের আদর্শে কায়েম থাকবে’ (তিরমিযী, আবু দাউদ, আহমাদ, মিশকাত)।
বিশ্বের সমস্ত পীরের মাথার মণি আব্দুর কাদের জিলানী রহ. বলেন জাহান্নাম থেকে নিজাত পাওয়া ঐ দলটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দল। যার একটি মাত্র নাম আছে, তা হল আহলে হাদীস’ (গুনইয়াতুত ত্বলিবীন, করাচী ছাপা, ৩০৯ পৃষ্ঠা)।
রিজাল শাস্ত্রের অদ্বিতীয় মনীষী হাফেয যাহাবী রহ. বিখ্যাত তা’বেয়ী ইমাম শা’বীর এক উক্তির ব্যাখ্যায় বলেন- ‘ইমাম শা’বীর মতে রাসুল সা. এর সমস্ত সাহাবাগন আহলে হাদিস ছিলেন’ (তাযকিরাতুল হুফফায, ১ম খন্ড, ১ম সংস্করন, ৭৭ পৃষ্ঠা ও দ্বিতীয় সংস্করনের ৮৩ পৃষ্ঠা)।
চার মাহহাবের অন্যতম বরেন্য নেতা ইমাম শাফিয়ি রহ. বলেন-‘আহলে হাদিসরা প্রত্যেক যুগে সাহাবীদের ন্যায়। তাই আমি যখন কোন আহলে হাদিসকে দেখি তখন রাসুলুল্লাহ সা. এর কোন সাহাবীকেই যেন দেখি’(মীযানে শা’রানী; ১ম খন্ড ৫০ পৃষ্ঠা)।
বিশ্বের সমস্ত মুজাহিদদের শিরমণি ও বিশ্বের অতুলনীয় প্রতিভা ইমাম ত্যাইমিয়াহ রহ. বলেন-‘পৃথিবীর সমস্ত ধর্মের মধ্যে ইসলামের যে মান, ইসলামপন্থীদের মধ্যে আহলে হাদিসদের সেই মান’ (মিনহাজুস সুন্নাহ; ২য় খন্ড ১৭৯ পৃষ্ঠা)।
মহামান্য ইমাম শাফেয়ি রহ. বলেন-‘ইমাম আহমেদ ইবনে হাম্বাল ও সুফয়ান ইবনে উয়ায়নাহ আহলে হাদিস ছিলেন’(রিহলাতুশ শাফিয়ি ১৪ পৃষ্ঠা)।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস সুফয়ান ইবনে উয়ায়নাহ বলেন-‘আমাকে আবু হানিফা রাহ. আহলে হাদিস বানিয়েছেন’ (হাদায়িকুল হানফিয়াহ;১৩৪ পৃষ্ঠা)। অতএব যিনি অপরকে আহলে হাদিস বানান সেই আবু হানিফা রহ. নিজে কি আহলে হাদিস ছিলেন না?
সুরা যুমারের ১৩ নং আয়াত ও সুরা আন নাজমের ৫৯ নং আয়াত, সুরা তুরের ৩৪ নং আয়াত সহ কুর’আনের মোট চৌদ্দটি আয়াতে কুর’আনকেই ‘হাদীস’ বলা হয়েছে। আর হাদিশাস্ত্র বিশারদদের পরিভাষায় বিশ্বনাবীর কথা বার্তা এবং কাজ কর্ম ও মৌন সমর্থনকে হাদিস বলা হয়। অতএব যারা কুর’আন ও হাদিস অনুসরন করে তারা নিজেদেরকে আহলে হাদিস (কুর’আন ও হাদিস ওয়ালা) বলে পরিচয় দিলে ক্ষতি কি?
আল্লাহ আমাদের সকলকে সুমতি দিন। আমীন!
-----------------------------------------------------------
ভিজিট করুন- http://www.islameraalo.tk
০১ লা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫৭
ফরিদ আলম বলেছেন: আহলে হাদিসরা কাউকে মানেনা বা গালি দেয় এমন কখনো হতে পারেনা। এরা পৃথিবীর সকল আলেম ও ইমামদের সন্মান করে। তবে তাঁর কোন কথা বা ফাতওয়া যদি কুরান বা হাদিসের বিপক্ষে হয় তবে যত বড় আলেমেই হোক না কেন, তার সেই ফাতওয়ার অন্ধ অনুসরন করেন না।
যদি হাদিস জাল অর্থাৎ বানোয়াট হয় তবে তা না মানাই তো উচিত নাকি?
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৫৭
পাতিকাক বলেছেন: চ্যাংড়া মোরগ বলেছেন: তা, আমাদেরকে এখন কি করতে হবে? আহলে হাদিস হয়ে মাযহাবের ইমামদেরকে গালি দিতে হবে? "জাল হাদিস" "জাল হাদিস" বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলা কাঠমোল্লা হতে হবে
০১ লা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০২
ফরিদ আলম বলেছেন: জবাব দিছি।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৫৯
মো: আবু আসলাম বলেছেন: আপনি বলেসেন '' সুরা যুমারের ১৩ নং আয়াত ও সুরা আন নাজমের ৫৯ নং আয়াত, সুরা তুরের ৩৪ নং আয়াত সহ কুর’আনের মোট চৌদ্দটি আয়াতে কুর’আনকেই ‘হাদীস’ বলা হয়েছে। '' কথা গুলো মনে হয় সঠিক নয়।
০১ লা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৪
ফরিদ আলম বলেছেন: কুর'আন খুলে দেখলেন। আপনার কি মনে হয় আহলে হাদিসদের সঠিক প্রমান করার জন্য কুর'আন নিয়েও মিথ্যা বলব?
শুনুন, কুর'আনকে আল্লাহ তা'আলা অনেক নামে ডেকেছেন। যেমন, কুর'আন, ফুর'কান, বুরহান, হাক ইত্যাদি। তেমনি ডেকেছেন হাদিস বলে। হাদিস কথার অভিধানিক অর্থ বানী।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪১
আমরা সোচ্চার বলেছেন: ইসলামের নামে নতুন ব্যবসা। কোন প্রকৃত মুসলিম কি কোনআন, হাদিস অনুসরন ব্যতিত ঈমানদার থাকতে পারে? তাহলে আহলে হাদিস আবার কি?
যারা প্রকৃতভাবে ইসলামের অনুসারী তাদের কোন নাম/সাইনবোর্ড দরকার নেই।
@মো: আবু আসলাম: উক্ত আয়াতগুলোতে হাদিস মানে আল্লাহর বক্তব্যকে বুঝানো হয়েছে।
০১ লা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৭
ফরিদ আলম বলেছেন: যারা প্রকৃতভাবে ইসলামের অনুসারী তাদের কোন নাম/সাইনবোর্ড দরকার নেই।
১০০% সহমত।
কিন্তু জানেন কি। মুসলমমান্দের অপর নামই আহলে হাদিস। আর এই নাম স্বয়ং রাসুল সা. এর দেওয়া। অনেক সাহাবায় গর্বের সাথে নিজেদের আহলে হাদিস বলতেন।
দেখুন--
আবু সাইদ খুদরি(রা) হতে বর্নিত যে তিনি যখন কোনো যুবককে দেখতে পেতেন তখন বলতেন রাসুল (সা) এর অসিয়াত অনুযায়ী আমি তোমাকে স্বগতম জানাচ্ছি । রাসুলুল্লাহ (সা) তোমাদের জন্য মজলিসে জায়গা করে দিতে এবং তোমাদেরকে হাদিস বোঝাবার জন্য আমাদের কে আদেশ করে গেছেন । কারণ তোমরা আমাদের স্থলাভিসিক্ত এবং আমাদের পরবর্তী আহলে হাদিস । (মুসতাদারাকে হাকীম; ১ম খন্ড, ৮৮ পৃষ্টা । শারাফু আস্বহাবিল হাদিস; ২১ পৃষ্টা)
৫৩৭৪ টি হাদিস বর্ননাকারী বিখ্যাত সাহাবী আবু হোরায়রা (রা) বলতেন, "আনা আউয়ালু সা-হিবি হাদিসীন ফিতদুনিয়া" অর্থাৎ আমিই পৃথিবীর প্রথম আহলে হাদিস । (তাযকিরাতুল হুফফায; ১ম খন্ড, ৩৩ পৃষ্টা । ইসাবা; ৪র্থ খন্ড, ২০২ পৃষ্টা
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৩৫
ঠোটকাটা বলেছেন: Click This Link
০১ লা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৫
ফরিদ আলম বলেছেন: এক বোকার সাথে কয়েকজন বোকার কথোপকথন।
৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৫৬
Rakib Bin Maruf বলেছেন: এসব কথা মুকাল্লিদ দের সহ্য হবে না
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৪৮
চ্যাংড়া মোরগ বলেছেন: তা, আমাদেরকে এখন কি করতে হবে? আহলে হাদিস হয়ে মাযহাবের ইমামদেরকে গালি দিতে হবে? "জাল হাদিস" "জাল হাদিস" বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলা কাঠমোল্লা হতে হবে?