নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর জীবন সকলে পায় না, তবে কিছু লোক জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলেন। আর সুন্দর জীবনের জন্য চাই সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। নিঃসন্দেহে ইসলাম হল শ্রেষ্ঠ সুন্দর জীবন ব্যবস্থা।

ফরিদ আলম

আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।

ফরিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবীজ, ধাগা, লোহা বা পিতলের বালা বা অনুরূপ বস্তু ব্যবহার সম্পর্কে…

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২২

রোগ ব্যাধি বা বিপদাপদ হেকে রক্ষা পেতে আমাদের সমাজে তাবীজ, ধাগা, লোহা বা পিতলের বালা বা অনুরূপ বস্তু ব্যবহার করতে দেখা যায়। অথচ শরিয়তে এসবকে হারাম বলে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি নির্দেশ দেখুন -

◆ রাসুল সা. বলেন – “যে ব্যক্তি কোন জিনিষ লটকাবে, তাকে ঐ জিনিষের দিকেই সোপর্দ করে দেয়া হবে”। [তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্‌ তিব্ব]

◆ “কোন উটের গলায় ধনুকের রশি বা গাছের ছাল দিয়ে তৈরী হার ঝুলানো থাকলে অথবা যে কোন মালা থাকলে সেটি যেন অবশ্যই কেটে ফেলা হয়।” [বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্‌ তিব্ব]

◆ “ঝাড়-ফুঁক করা, তাবীজ লটকানো এবং স্বামী বা স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা সৃষ্টির জন্যে যাদুমন্ত্রের আশ্রয় নেয়া শির্ক”। [আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্‌ তিব্ব]

◆ “যে ব্যক্তি তাবীজ লটকালো, আল্লাহ্‌ যেন তার উদ্দেশ্য পূর্ণ না করেন। আর যে ব্যক্তি রোগমুক্তির জন্যে শামুক বা ঝিনুকের মালা লটকালো, আল্লাহ্‌ যেন তাকে শিফা না দেন”। [হাকেম, ৪/২১৯]

◆ “যে ব্যক্তি তাবীজ লটকালো সে শির্ক করল”। [মুসনাদে আহমাদ, ৪/১৫৬]

◆ নবী (সাঃ) এক ব্যক্তির হাতে পিতলের একটি আংটা দেখে বললেনঃ এটি কী? সে বললঃ এটি দুর্বলতা দূর করার জন্যে পরিধান করেছি। তিনি বললেনঃ ‘তুমি এটি খুলে ফেল। কারণ এটি তোমার দুর্বলতা আরো বাড়িয়ে দিবে। আর তুমি যদি এটি পরিহিত অবস্থায় মৃত্যু বরণ কর, তাহলে তুমি কখনই সফলতা অর্জন করতে পারবে না”। [মুসনাদে আহমাদ]

◆ হুজায়ফা (রাঃ) দেখলেন এক ব্যক্তির হাতে একটি সুতা বাঁধা আছে। তিনি তা কেটে ফেললেন এবং কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করলেন – “তাদের অধিকাংশই আল্লাহকে বিশ্বাস করে; কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে”। [সূরা ইউসুফঃ ১০৬]

◆ সাঈদ বিন জুবায়ের (রাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মানুষের শরীর থেকে একটি তাবীজ কেটে ফেলল, সে একটি গোলাম আযাদ করার সাওয়াব পেল।



এই ব্যাপারটা কোন বিতর্কিত ব্যাপার নয়। কুর’আন হাদীস এবং সাহাবাদের থেকে খুব পরিস্কার একটি ব্যাপার। তারপরেও আমাদের সমাজ তাবিজ কবজের জালে বন্দি হয়ে আছে। আসলে কিছু ভন্ড ধর্মব্যবসায়ী ধর্মের নামে তাবিজ, ধাগা দিয়ে বিশাল ব্যবসা দাড় করিয়েছেন। এদের কামায় ডাক্তারদের থেকে কম নয়। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ দেখান এবং শিরক থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন। আমীন!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট বাসায় নিয়ে গেলাম। শুধু লটকা লটকি করতে চান আমার ব্যাটারী!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

ফরিদ আলম বলেছেন: হুম......

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

বনসাই বলেছেন: এ বিষয়ে বাংলাদেশের আলেম সমাজের কী দৃষ্টিভঙ্গি- জানা প্রয়োজন।
তথাকথিত পীরদের তো তাবিজ ঝাড়ফুকই মূল ব্যবসা। তারা এই ব্যবসা কেন এতো নির্বিঘ্নে চালাতে পারছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.