![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম- ১৯৮৭ খ্রিঃ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন ২নং বাকিলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লোধপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতার নাম মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মাতার নাম ফাতেমা বেগম।
গত একুশে বইমেলায় বখাটে কর্তৃক নারীদের লাঞ্ছিত হবার ঘটনা বেশ আলোড়ন তুলেছিল। ভীড়ের মধ্যে মেয়েদের শরীরে হাত দেওয়া, টিজিং ইত্যাদি ইত্যাদি হওয়ায় সবাই খুব খাপ্পা হয়েছেন। এর আগে পয়লা বৈশাখ, প্যারেড গ্রাউন্ড-সব জায়গায় একই দৃশ্য উপস্থিত ছিল। কারো টনক নড়ে না। দুদিন হৈচৈ, তারপর সব ঠাণ্ডা।
আমরা যদি ভেবে নিই এর জন্য সমাজের কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবকই দায়ী, তবে মস্তবড় ভুল হবে। মেয়েদের গায়ে হাত পড়ার পরিস্থিতিটা আমরাই তৈরি করে দিয়েছি।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি একটা কাজে দূরে যেতে হয়েছিল। ফেরার সময় দেখি দোয়েল চত্বরের ওদিকটা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। পরদিন একুশে ফেব্রুয়ারি, এজন্য। রিকশা ছেড়ে কিছুদূর হেঁটে পার হতে হল। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকানো রাস্তায় বেড়ার ফাঁকে সামান্য ফাঁক গলে বেরোতে হচ্ছে সবাইকে। শিশু, বৃদ্ধ, মেয়ে-পুরুষ সবাইকে। সন্ধ্যার পর অন্ধকারের মধ্যে ঐটুকু জায়গা দিয়ে শতশত নারী-পুরুষ ঢুকছে, বেরোচ্ছে। কত পুরুষের হাত কত নারীর গায়ে যাচ্ছে তার হিসাব নেই। ধাক্কাধাক্কি করে বেরোতে পারাটাই আমাদের স্বাধীনতা।
আমার বাবা বলেন, পাকিস্তান আমলে পাবলিক বাসে একজন নারী দাঁড়িয়ে যাচ্ছে আর পুরুষেরা বসে যাচ্ছে-এমন দৃশ্য কল্পনাই করা যেত না। বাবা খুব আশ্চর্য হতেন যখন শুনতেন ভারতে নাকি মেয়েরা বাসে হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে ঝুলে যায়। আজকে আমরা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে দেখি, দাঁড়িয়ে যাওয়া তো খুব সহজ ব্যাপার, পা ফেলার জায়গা পাওয়াটাই ভাগ্য, সেখানে মেয়েরা পুরষদের সাথে শারীরিক স্পর্শটা মেনে নিতে শিখেছে। অনেক সময় এমন হয়েছে, বাসে পুরুষদের ভিড় দেখে আমি পুরুষ হয়েও ওঠার সাহস করছি না, ওদিকে মহিলারা তরতর করে ধাক্কাধাক্কি করে উঠে যাচ্ছেন। তারা কর্মজীবী 'স্বাধীন' নারী, ধরে আটকে থাকতে চান না। কত পুরুষের হাত শরীরে লাগল ওসব কেয়ার করার সময় তাদের নেই।
এরকম দুয়েকটা ঘটনা দেখার পর থেকে আমি একান্ত বাধ্য না হলে পাবলিক বাসে উঠি না। আল্লাহ্ যেটুকু বিবেক দান করেছেন, তাতে ও দৃশ্য আমার পোষায়নি। জনতা তার থোড়াই কেয়ার করে। তারা নারীপুরুষের সমানাধিকারে বিশ্বাসী।
আমাদের মেয়েরা 'স্বাধীনচেতা'। ছেলেদের সাথে না পড়লে, না দৌড়ালে, না কাজ করলে তাদের মেধার প্রমাণ রাখা যায় না। ফ্রি মিক্সিং এর সকল ইভেন্টে তাদের অংশগ্রহণ করা লাগবেই লাগবে, কিন্তু তারা আশা করেন ছেলেগুলো সব 'গুড বয়' হয়ে বসে থাকবে।
আমাদের মেয়েরা নিজেদের সম্মান করতে না শিখলে কারা তাদের সম্মান দেবে?
আমি নিজে পড়ি কো-এডুকেশনে। ফ্রি মিক্সিং এর বিরুদ্ধে বলাটা আমার জন্য ছোট মুখে বড় কথাই। জুনিয়র ভাইয়েরা যখন ভর্তির আগে জিজ্ঞেস করে-'ভাইয়া কোন ভার্সিটিতে ফিতনা কম?' আমি চুপসে যাই। কী জবাব দেব? নিজে ফ্রি মিক্সিং এর সাগরে ডুবন্ত থেকে মাথাটা তুলে কোন মুখে উত্তর দেব?
তবু অন্তত হৃদয় থেকে ঘৃণা রাখাটা জরুরি। আমরা সেটুকুও করতে চাই না। বিশ বছর আগেও ভাবা যায়নি মা-বাবা সন্তানের সাথে অবলীলায় বসে টিভিতে কনডমের বিজ্ঞাপন দেখবে। আমরা সবকিছুকে মেনে নিতে শিখেছি। স্বাভাবিকভাবে নিতে শিখেছি।
সমস্ত অশ্লীলতাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে শিখলে অমন ঘটবা আরো ঘটবে বৈকি। আল্লাহ্ আমাদের আরো অপমানিত করবেন।
কেনই বা করবেন না? আমরা কি তাঁর কাছে সম্মান চেয়েছি কখনো?
গত একুশে বইমেলায় বখাটে কর্তৃক নারীদের লাঞ্ছিত হবার ঘটনা বেশ আলোড়ন তুলেছিল। ভীড়ের মধ্যে মেয়েদের শরীরে হাত দেওয়া, টিজিং ইত্যাদি ইত্যাদি হওয়ায় সবাই খুব খাপ্পা হয়েছেন। এর আগে পয়লা বৈশাখ, প্যারেড গ্রাউন্ড-সব জায়গায় একই দৃশ্য উপস্থিত ছিল। কারো টনক নড়ে না। দুদিন হৈচৈ, তারপর সব ঠাণ্ডা।
আমরা যদি ভেবে নিই এর জন্য সমাজের কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবকই দায়ী, তবে মস্তবড় ভুল হবে। মেয়েদের গায়ে হাত পড়ার পরিস্থিতিটা আমরাই তৈরি করে দিয়েছি।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি একটা কাজে দূরে যেতে হয়েছিল। ফেরার সময় দেখি দোয়েল চত্বরের ওদিকটা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। পরদিন একুশে ফেব্রুয়ারি, এজন্য। রিকশা ছেড়ে কিছুদূর হেঁটে পার হতে হল। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকানো রাস্তায় বেড়ার ফাঁকে সামান্য ফাঁক গলে বেরোতে হচ্ছে সবাইকে। শিশু, বৃদ্ধ, মেয়ে-পুরুষ সবাইকে। সন্ধ্যার পর অন্ধকারের মধ্যে ঐটুকু জায়গা দিয়ে শতশত নারী-পুরুষ ঢুকছে, বেরোচ্ছে। কত পুরুষের হাত কত নারীর গায়ে যাচ্ছে তার হিসাব নেই। ধাক্কাধাক্কি করে বেরোতে পারাটাই আমাদের স্বাধীনতা।
আমার বাবা বলেন, পাকিস্তান আমলে পাবলিক বাসে একজন নারী দাঁড়িয়ে যাচ্ছে আর পুরুষেরা বসে যাচ্ছে-এমন দৃশ্য কল্পনাই করা যেত না। বাবা খুব আশ্চর্য হতেন যখন শুনতেন ভারতে নাকি মেয়েরা বাসে হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে ঝুলে যায়। আজকে আমরা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে দেখি, দাঁড়িয়ে যাওয়া তো খুব সহজ ব্যাপার, পা ফেলার জায়গা পাওয়াটাই ভাগ্য, সেখানে মেয়েরা পুরষদের সাথে শারীরিক স্পর্শটা মেনে নিতে শিখেছে। অনেক সময় এমন হয়েছে, বাসে পুরুষদের ভিড় দেখে আমি পুরুষ হয়েও ওঠার সাহস করছি না, ওদিকে মহিলারা তরতর করে ধাক্কাধাক্কি করে উঠে যাচ্ছেন। তারা কর্মজীবী 'স্বাধীন' নারী, ধরে আটকে থাকতে চান না। কত পুরুষের হাত শরীরে লাগল ওসব কেয়ার করার সময় তাদের নেই।
এরকম দুয়েকটা ঘটনা দেখার পর থেকে আমি একান্ত বাধ্য না হলে পাবলিক বাসে উঠি না। আল্লাহ্ যেটুকু বিবেক দান করেছেন, তাতে ও দৃশ্য আমার পোষায়নি। জনতা তার থোড়াই কেয়ার করে। তারা নারীপুরুষের সমানাধিকারে বিশ্বাসী।
আমাদের মেয়েরা 'স্বাধীনচেতা'। ছেলেদের সাথে না পড়লে, না দৌড়ালে, না কাজ করলে তাদের মেধার প্রমাণ রাখা যায় না। ফ্রি মিক্সিং এর সকল ইভেন্টে তাদের অংশগ্রহণ করা লাগবেই লাগবে, কিন্তু তারা আশা করেন ছেলেগুলো সব 'গুড বয়' হয়ে বসে থাকবে।
আমাদের মেয়েরা নিজেদের সম্মান করতে না শিখলে কারা তাদের সম্মান দেবে?
আমি নিজে পড়ি কো-এডুকেশনে। ফ্রি মিক্সিং এর বিরুদ্ধে বলাটা আমার জন্য ছোট মুখে বড় কথাই। জুনিয়র ভাইয়েরা যখন ভর্তির আগে জিজ্ঞেস করে-'ভাইয়া কোন ভার্সিটিতে ফিতনা কম?' আমি চুপসে যাই। কী জবাব দেব? নিজে ফ্রি মিক্সিং এর সাগরে ডুবন্ত থেকে মাথাটা তুলে কোন মুখে উত্তর দেব?
তবু অন্তত হৃদয় থেকে ঘৃণা রাখাটা জরুরি। আমরা সেটুকুও করতে চাই না। বিশ বছর আগেও ভাবা যায়নি মা-বাবা সন্তানের সাথে অবলীলায় বসে টিভিতে কনডমের বিজ্ঞাপন দেখবে। আমরা সবকিছুকে মেনে নিতে শিখেছি। স্বাভাবিকভাবে নিতে শিখেছি।
সমস্ত অশ্লীলতাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে শিখলে অমন ঘটবা আরো ঘটবে বৈকি। আল্লাহ্ আমাদের আরো অপমানিত করবেন।
কেনই বা করবেন না? আমরা কি তাঁর কাছে সম্মান চেয়েছি কখনো?
আমাদের লজ্জাশীলতা কমতে কমতে এখন জাদুঘরে রাখার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৪২
মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:১৬
বদলে যাই বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।