![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
দিন শেষ হলে ঘরে ফিরে দেখি
দরজা খুলেছো তুমি
সারাটা শরীরে কবিতা ও গান
ঠোঁটে ছিমছাম হাসি
ভোর না হতেই ছুটে যেতে হবে
প্রতিদিনকার পথে
যেটুকু দেবার তারও বেশি দাও
অভ্যাসগতভাবে
এক যুগ হলো তুমি পাশে নেই
তবু যেন মনে হয়
এই কিছু আগে বেরুবার কালে
পায়ে পায়ে হেঁটে এলে
এই তো পরশু তোমার সমীপে
পুরোটা বিকেল ছিল
আজ মনে হয়, বহু যুগ আগে
ছেড়ে চলে গেছো তুমি
জানি না এমন সম্মোহনের
ক্ষমতা কোথায় পেলে
ঘরের বাহির করিয়ে আমায়
ঘরেই রেখেছো বেঁধে
*১৩ মে ২০১০
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শাহজাহান মুনির।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫৯
শহিদুল ইসলাম বলেছেন: জানি না এমন সম্মোহনের
ক্ষমতা কোথায় পেলে
ঘরের বাহির করিয়ে আমায়
ঘরেই রেখেছো বেঁধে
অনেক সুন্দর !
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কবি শহিদুল ইসলাম।
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০০
ফালতু বালক বলেছেন: ভালো
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বালক।
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৪
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ঘোর লেগে গেছে।অদ্ভুদ সুন্দর কথাগুলো।
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবুবুল আজাদ।
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২২
রাইসুল খান বলেছেন: অসাধারণ, চমৎকার, খুব বেশি ভালো লাগলো। প্রতিটি লাইনে যেন একটি করে কাহিনী আছে।
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রাইসুল খান।
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৭
ভারসাম্য বলেছেন:
আমার কোন ঘর ছিলনা তখন
ঘরের মানুষ মনের ঘরেই ছিল।
মনের মানুষ ঘরে এল যখন
মনের ঘরটা রইল পড়ে খালি।
ঘরের বাইরে বেরুই যখন আমি
মনের ঘরে অমনি আসে সে যে !
ঘরের বাইরে ছিলাম অনেকদিন
মনের ঘরেও দিয়েছিলাম তালা।
অনেক বাদে ঘরে ফিরে দেখি
ঘরের মানুষ দারুন উজ্জীবিত।
মনের ঘরটা খুলতে গিয়ে দেখি
মনের মানুষ মনেই গেছে মরে!
মরে গেলেও হইনাতো মনমরা
মনের ঘরটা হয়না এখন খালি!
জানি, ঘরের মানুষ মরে গেলে পরে
মনের লাশটা আবার জীবন পাবে।
তবু ঘরের মানুষ ঘরেই থাকুক আরো
আমিই না হয় আগেই যাবো মরে!
=============================
আপনার কবিতায় অনেক অনেক ভাল লাগা রইল।
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
মনের ঘরটা খুলতে গিয়ে দেখি
মনের মানুষ মনেই গেছে মরে!
অনেক সুন্দর একটা কবিতা। এখনই লিখে ফেললেন? অসাধারণ।
৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০৮
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
একটা পরিচিত কবিতা পুরোনো বিষয়ে নতুন আঙ্গিকে
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ অরুদ্ধ সকাল।
৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৯
মুনসী১৬১২ বলেছেন: ভালো লাগা
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মুনসী ভাই।
৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০৫
তানিয়া হাসান খান বলেছেন: জানি না এমন সম্মোহনের
ক্ষমতা কোথায় পেলে
ঘরের বাহির করিয়ে আমায়
ঘরেই রেখেছো বেঁধে....অপূর্ব কবিতা।
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ তানিয়া হাসান খান।
১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০৮
সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: সুন্দর।+++++
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সান্তনু আহমেদ।
১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:১০
দীপান্বিতা বলেছেন: ঘরের বাহির করিয়ে আমায়
ঘরেই রেখেছো বেঁধে
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:১৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: পাঠে দারুণ মজা পেলাম।
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রাতুল শাহ।
১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:২০
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: বেশ সুন্দর।১০ম ভালোলাগা।
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ চেয়ারম্যান সাহেব।
১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:১৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
১১ নং প্লাস!
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কবি আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়।
১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫২
ভারসাম্য বলেছেন: হুম্ম্, তখনই লিখেছিলাম। কিন্তু এখন এসে দেখি ভূল আছে একটু।
মনের লাশটা আবার জীবন পাবে না হয়ে মনের ঘরের লাশটা জীবন পাবে বা এরকম কিছু একটা হবে।
যাই হোক, আরো একবার আপনার এই সুন্দর কবিতাখানি পড়ে গেলাম।
১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতায় কখনো ভুল হয় না, যদিও কখনো হয়ে থাকে তা কেবল কবি-মনের অতৃপ্তির ফসল। কবি যা লেখেন পাঠক তারই অনুবাদ হৃদয়ঙ্গম করেন নিজের ভাষায়।
আমি আমার মতো করে বলে দিয়েছি
তুমি তোমার মতো করেই বুঝে নাও...
আমার প্রতি ঋণ স্বীকার করুন, এতো সুন্দর একটা কবিতার রশদ যুগিয়েছি বলে
শুভ কামনা।
১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৪৮
ভিয়েনাস বলেছেন: শেষাংশটুকু খুব বেশি ভালো লাগলো
১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ ভিয়েনাস।
১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৫৮
টুকিঝা বলেছেন: দিন শেষ হলে ঘরে ফিরে দেখি
দরজা খুলেছো তুমি
সারাটা শরীরে কবিতা ও গান
ঠোঁটে ছিমছাম হাসি
ওয়াও! সারা শরীরে কবিতা ও গান! দারুন তো! একজন মানুষের সারা শরীরেও কবিতা গান থাকতে পারে! বাহ বাহ বাহ!
১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতায় ডুবে গেলে সবকিছু কবিতাময় মনে হয়, যেমন খিদের সময় সুন্দর চাঁদটাকে মনে হয় লোভনীয় রুটি- তখন পৃথিবীতে কবিতার কোনো অস্তিত্ব থাকে না।
***
কবিতার মতো কমনীয় তুমি, কোমল হৃদয় তোমার,
হৃদয় তোমার আবেগে পূর্ণ বহু সুখ ও বেদনার।
তোমার আঁখিতে দেখবো তৃষ্ণা, বিস্মিত উচ্ছ্বাস,
তোমার আঁখিতে দেখবো অশ্রু-বর্ষিত উল্লাস।
কতো দিন-রাত বিরহিনী বঁধু ছিলে প্রতীক্ষা করে
তোমাকে ভীষণ চমকে একদা আসবো তোমার ঘরে।
ঠিক-ঠিক দেখে নিও,
তোমাকে ভীষণ চমকে দিতেই আসবো পরাণ প্রিয়।
***
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
১৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১৪
অক্টোপাস পল বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত একটা বই পড়ে ছেলেবেলায় সম্মোহনের প্রতি আগ্রহ জন্মেছিল। এই কবিতায় ভালোলাগা।
১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সম্মোহিত হতে আমার খুব ভালো লাগে। সম্মোহন করার ক্ষমতা সবার থাকে না। কারো কারো সম্মোহনী ক্ষমতা সর্বদা চোখেও পড়ে না।, যেমনটা বায়ুর মধ্যে থেকে বাতাসের অনস্তিত্ব সম্পর্কে আমরা ধারনা পাই না। দৃষ্টি একটু সুক্ষ্ম ও গভীর হলেই অবাক হতে হয়- এক দুর্লঙ্ঘ্য সম্মোহনী শক্তির কাছে আপনি বাঁধা পড়ে আছেন ঠিক নিকটতমা মানুষটির কাছে।
শুভ কামনা কবি।
১৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৩১
টুকিঝা বলেছেন: বাহ! আপনার পোষ্ট তো পোষ্টই! মন্তব্যের জন্যেও একটা করে মন্তব্য আর ভাল লাগা!
কবিতাময় মন্তব্য!
আমিও দিন দিন কবিতাময় হয়ে যাচ্ছি, শুধু এটা ভেবে খারাপ লাগা হয়, যার কবিতার জন্য কবিতাকে ভালবাসা, সেই তাঁর কবিতাই পড়া হয়না আর! অদ্ভুত!
১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভেরি প্রম্পট রিটার্ন, আপু। খুব ভালো লাগলো। অলিম্পিকের ঘোরে আছি আপাতত, উসাইন বোল্ট আমাকে সম্মোহিত করেছে। ওর সম্পর্কে জানা না থাকলে বলি- জ্যামাইকান স্প্রিন্টার সে। গত দু অলিম্পিকে ১০০ ও ২০০ মিটারের গোল্ডধারী বোল্ট। নিজ দেশে সতীর্থ ইয়োহান ব্লেকের কাছে হেরে তাঁর গোল্ড ধরে রাখার ব্যাপারে পুরো বিশ্ব সন্দিহান ছিল। ... পুরো অলিম্পিকের উত্তেজনা যেন উসাইন বোল্টের জাদুতে ঘনীভূত হতে থাকলো। ... একটা সম্মোহন।
আপনি দিন দিন কবিতার ভেতর ডুবে যাচ্ছেন, আপনার লেখায় তা পরিস্ফুট। শুধু এটা ভেবে খারাপ লাগা হয়, যার কবিতার জন্য কবিতাকে ভালবাসা, সেই তাঁর কবিতাই পড়া হয়না আর! এ কথাটায় বুকে একটা ধাক্কা লাগে। আশা করি তাঁর কবিতা আবার পড়া শুরু করবেন। তাঁর জন্য অনেক শুভ কামনা থাকলো, এবং আপনার জন্যও, প্রিয় আপু।
২০| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:২৯
ভারসাম্য বলেছেন: নিশ্চিতভাবেই ঋণী আপনার এই কবিতার কাছে। কিন্তু ঋণ স্বীকারের উপায়তো জানা নাই। তবু একটু চেষ্টা করে দেখলাম এখানে ।
ভাল থাকা হোক।
১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঋণ স্বীকারের এ পদ্ধতিতে খুবই সম্মানিত বোধ করছি (এবং বিব্রতও)। কবিতা খুব সুন্দর লিখেছেন।
শুভ কামনা।
২১| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৩
সায়েম মুন বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো কবিতা।
১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
২২| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৮
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ভাল লাগছে খুব! ছন্দের ভেতর যেন ছন্দ খুঁজে ফিরছি! দারুন।
১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্বরবৃত্ত ছন্দের একটা জাদু ও সম্মোহনী ক্ষমতা আছে। একবার যাঁরা এর মধ্যে ডুবে গেছেন তাঁদের এ থেকে বের হয়ে আসা খুব কষ্টকর।
প্রায় ১২-১৫ বছর আগের লেখা কিছু পুরোনো কবিতা আপনার জন্য নিবেদিত হলো, নিচে।
***
ঘরসংসার সব রেখে যাই তোমার পায়ের তলে
এখানে আমার মন বসিল না, মন যায় বনে চলে।
মনের শান্তি তুমি রাখো নাই
বলো তবে আমি কোথা সুখ পাই?
মিলেমিশে আর থাকা হলো নাগো আমাদের দুজনার
আমি চলে যাই, তুমি সুখে থেকো নিয়ে ঘরসংসার।
আমি সুখে রবো, বন-বনানির পশুপাখি হবে সাথি
বোবাদের সাথে বোবার বেদনা বলা হবে সারা রাতি
গভীর নিশীথে, কিবা অবসরে
আমার কথাটি যদি মনে পড়ে
ভেবে নিও আমি তোমার জীবনে আসি নাই কোনোদিনই
তবু একফোঁটা চোখের পানিতে আমায় করো না ঋণী।
এই সংসার, সোনার গহনা, টাকাকড়ি, ধনমান
আজ হতে প্রিয়ে তোমার নামেই সব করিলাম দান।
***
পাগল-ছাগল যা কিছু সুধাও, যতো বলো ঘিলুহীন
গহীন অরণ্যে কাটাবো একদা সন্ন্যাসব্রত দিন।
আপাতত কিছু গেরুয়া পোশাক আমার জন্য গড়ো
দু চার গণ্ডা সাঙ্গ-পাঙ্গ শীঘ্র জোগাড় করো।
শেষমেষ যদি তুমি মনে করো নাহি দেবে একা যেতে
সব ছেড়ে-ছুঁড়ে শুধু তুমি-আমি বেরুবো সন্ন্যাসেতে।
***
বরফ গলিয়া হয় যে নদী
পাথরও হয় ক্ষয়,
তোমার পাষাণ মন গলে নি
গললো না হৃদয়।
ভালোবাসো কিনা কিছুই বুঝি না
বুঝি না তোমার ছল,
পাই না তোমার মনের খবর
পাই না নদীর তল।
***
আমি ভুলি নাই তোমার দেওয়া
একটি চুমোর সুখ,
যতো দূরে যাই ততোই কষ্টে
পুড়ে যায় বোবা বুক।
***
তোমার জন্য সদাই আমার
মনটা কেমন করে
ঘরের বাইরে চলে যাই, তবু
মন রেখে যাই ঘরে।
আমায় তুমি যে বাসো না ভালো
জেনে গেছি মনে মনে
ঘর ছেড়ে তাই দূরে চলে যাই
ঘুরে ফিরি বনে বনে। •
ঘরে ফিরে আর কী হবে বন্ধু,
নেই কোনো প্রয়োজন,
ঘরের মানুষ আপন হয় নি,
পাই নাই তার মন।
***
তুমি বলেছিলে এই বনতলে আবার আসিবে ফিরে
তোমার আশায় পথ চেয়ে চেয়ে
বিশটি বছর গেলো পার হয়ে
এই পথে আর কোনোদিন তুমি চরণ ফেলো নি ধীরে
ধূসর নয়নে আজও বসে আছি, তুমি আসো নাই ফিরে
***
এসব খেয়ালি লেখা, নিজের হলেও পড়ে আনন্দ ও মজা পাই।
শুভ কামনা আপু।
২৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৫৬
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: দিন শেষ হলে ঘরে ফিরে দেখি
দরজা খুলেছো তুমি
সারাটা শরীরে কবিতা ও গান !!
সুন্দর, ভালো লাগা রইলো কবি
১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি। আপনার জন্য শুভ কামনা।
২৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১২
জুন বলেছেন: দুর বিদেশে বসে অসাধারন সুন্দর এক কবিতা পড়লাম ছাই ভাই, সত্যি সুন্দর। সেই সাথে মন্তব্যের ঘরেও আপনার অপুর্ব কবিতার লহরী। দারুন কারুকার্যময়! সত্যি আমি অবাক হয়ে যাই।
+
১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাসা বদল করার কথা জানি, কিন্তু দূর বিদেশে গেলেন কবে? ছেলের কাছে? নাকি দুলাভাইসহ কোনো ট্রিপে? ভালো লাগলো আপনাকে দেখে। আশা করি খুব ভালো আছেন।
এবার আপনার জন্য আপু, যদিও সবগুলো খুব পুরোনো।
***
তুমি চলে যাবে নিঠুর কালিয়া,
আর আসিবে না ফিরে,
আমার কথাটি ভুলে যাবে জানি
প্রিয় মানুষের ভিড়ে।
ভালো যে বাসো না আমার সঙ্গ
এই কথা আমি জানি,
এ মন কিছুই প্রবোধ মানে না,
অবুঝ হৃদয়খানি।
ভুল যদি কিছু করেই ফেলেছি
অপরাধ যদি নাও
যা কিছু শাস্তি আমার প্রাপ্য
সব তুমি দিয়ে যাও।
চলে যাবে যেয়ো, যাবাব বেলায়
একটি কথাই রেখো,
ভালোবাসো, নাকি বাসো নি ভালো,
এইটুকু বলে যেয়ো।
***
কথা ছিল, দেশে নেমেই করবি আমায় রিং।
কেন করিস নি?
সবাই এমন হয় কি তবে সঙ্গে থাকলে 'কিং'?
আমিও তবে দেখে নিব, আর কতোকাল পারিস এমন করে;
লেনাদেনা চুকিয়ে দিয়ে চলে যাবো দূরের দেশান্তরে।
ফিরবো না আর ঘরে,
এমনকি তোর 'কিং'-ও যদি পায়ের ওপর আছড়ে এসে পড়ে।
***
এক কাপ চা খাওয়ালে কবিতা দিবি, নিয়েছিলাম মেনে
টি-স্টলে বসেছিলাম সারাটা দিন
তুই বললি, চেপেছি ভুল ট্রেনে।
মেয়েরা কি এতোই বোকা হয়
কাকে দিবে মন ও শরীর, জানে না তার সঠিক পরিচয়?
***
সুলেখাবু, কোথায় আছিস? কেমন আছিস?
ভালো আছিস? সুস্থ আছিস?
বহুদিন হলো গত
জানাস নি তোর খবর-আতি। দুলাভাই কি সঙ্গে এখন?
তাহলে খুব ভালো। তুই যদি না পারিস
তবে দুলাভাইকে বলিস, সে যেন অন্তত
মোবাইল করে জানায় তোরা পৌঁছেছিস ঠিকমতো।
এই যে আমার মোবাইল নম্বর দিলাম...
না থাক, তুই তো বড় ব্যস্ত কবি বটে
আমার সঙ্গে কথা বলে সময় নষ্ট করে
চাই না তুই পড়িস বিষম সময়ের সংকটে।
***
ভালো থাকুন আপু, সব সময় সবখানে।
২৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৪৯
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
বেশ ।
ভালো লাগলো ।
১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আলাউদ্দিন আহমেদ সরকার।
***
কবিতার সমস্ত শরীর জুড়ে এখন শুধু তুমি, একা
সতত বিরাজমান। কখনো ভুল করেও তোমাকে ভুলে যেতে পারি নি
বিগত বিধ্বস্ত দিনগুলোতে, এমনকি স্বপ্নের ভেতরও
কেবল তোমারই সরব আনাগোনা। আমার অন্য
কোনো ভাবনা, সংসারের খুঁটিনাটি, সুখ-দুঃখ, বিশ্বচিন্তা মাথায় ঢোকে না
এখন কবিতার সর্বাঙ্গ জুড়ে- প্রতিটা অক্ষরের, শব্দের, পঙ্ক্তির ভেতরে
তুমি গেঁথে আছো, অথচ তা তুমি জানো না, কখনো জানবে না। ধরো,
দৈবাৎ জানলেই, সেদিন মুগ্ধ আবেগে বলে উঠবে,
'মাগো, আমাকে নিয়ে এত্তো কবিতা!'
আমি জানি, এসব বিস্ময়াবেগ আর অনুভূতি কিছুই তোমাকে ছোঁবে না
কখনোই, একান্ত সহৃদয় হলে কবির নামটাতে
তোমার দৃষ্টিপাত হবে, তারপর অনিচ্ছায় দু চার পৃষ্ঠা উলটাবে, হয়তোবা পড়লেও
দু-এক ছত্র পড়তে পারো 'তোমার' কবিতা, তোমার
যুগল অধরের ফাঁক গলে একরত্তি অবজ্ঞার হাসি ভেসে উঠবে,
মুখে ফুটবে অস্ফুট স্বর -'বড় স্বপ্ন-বিলাসী বটে!'
***
শুভেচ্ছা থাকলো।
২৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২৭
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ১৯তম ভালোলাগা দিয়ে গেলাম ভাইয়া
১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
২৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৫৯
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: ‘Boro Shopno-Bilashi Bote’...lekha ta ki notun? Agee porechi bole mone korte parchi na...aro sundor lekha r jonno shuvokamona roilo...
১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, ভালো লাগে। অলিম্পিকে ডুবে ছিলাম, কোনো পোস্ট দেবার কথা ছিল না। পোস্ট কাউন্ট করে দেখি- কোনো ঘাটতি নেই।
স্বপ্ন-বিলাসী লেখাটা ২০০৪ সালের। ঐ সময়ে লেখা আরো একটা নিবেদিত হলো, আপনার সৌজন্যে।
****
একদিন গভীর রাতে তোমার ঘুম ভাঙাবো
তখন তুমি গভীর ঘুমের ভেতর গভীরতম স্বপ্নে আচ্ছন্ন।
তোমার টেলিফোনটি নিশুতি রাতের করুণ কান্নার মতো
অনবরত বাজতে থাকবে, তখন তুমি গভীর সুখে বিভোর, হয়তো
সিঁথানের কাছে অতি যত্নে রেখে দেয়া সেলফোনটি 'আমার সোনার বাংলা'র সুরে
বাজতেই থাকবে, বাজতেই থাকবে- তুমি জাগবে না, তখন তুমি
স্বপ্নের ভেতরে নিমগ্ন। নিদেন পক্ষে
তোমার মোবাইলে একটি বার্তা আমি পাঠাবো, টিং, টিং... পেলব শব্দে
ওটি দু বার তোমাকে ডাকবে... আহা, এতো অনুচ্চ শব্দে তোমার ঘুম ভাঙবে না,
তখন তুমি গভীর স্বপ্নের ভেতর গভীরতম সুখে আচ্ছন্ন।
একদিন গভীর রাতে তোমার ঘুম ভাঙাবো- প্রতিদিন প্রতিটি ক্ষণ
এরূপ গভীর ইচ্ছেয় গভীর রাত্রি জাগি, ল্যান্ডফোন বাজলেই
ত্বরিত রিসিভার তুলি- তুমি নও,
সেলফোনে চিকন রিংটোন বাজে- তুমি নও, অন্য কেউ-
নতুন বার্তা আসার টিং... আওয়াজ পেয়ে খুব দ্রুত খুলে দেখি
বেরসিক মোবাইল সেন্টারের নীরস অটোমেসেজ -শীঘ্রই বিল পরিশোধ করুন...
একদিন গভীর রাতে তোমার ঘুম ভাঙাবো - ইচ্ছে হলেই মনে পড়ে যায়-
মনে পড়ে যায় তোমাকে নিছক ফোন করবার জন্য
আজও কোনো আমন্ত্রণই পাই নি। একদিন গভীর রাতে তাই তোমার ঘুম ভাঙানো
কখনোই হবে না।
***
শুভ কামনা।
২৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:০৭
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: Majhe majhe dekhi pathok ‘Sai bhai’ bole daken...
‘Shopno Bilashi’ naam ta khub sundor ar jotha joggo o bote...
2004 er purano lekha holeo besh emotional...
Shopno Bilashi kobir porer purano kolpona bilashi lekha tao sundor...
Kolponay sukh dukhkho dekhe ‘Ek Ondho’ golpo ta mone porlo...
Bangla likhte parlam na bole dukkhito...
Notun lekha porar opekhkha roilo...shuvokamona...
১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'এক অন্ধ' গল্পটা জানা ছিল না, এখন ভাবার্থ বুঝে নিলাম।
জুন আপুকেই দেখি খুব আদর করে আমাকে 'ছাই ভাই' বলে ডাকেন। খুব ভালো লাগে। আমরা আবার একই দেশের মানুষ- দোহার-নবাবগঞ্জ। লেখালেখির মাধ্যমে ভার্চুয়াল ভুবনে পরিচয়। আপু ভালো গল্প লেখেন।
'স্বপ্ন-বিলাসী' লেখাটার শিরোনাম আসলে 'তুমি'। এটি একটি অতি প্রভাবিত কবিতা। 'একদিন গভীর রাতে তোমার ঘুম ভাঙাবো'ও যমজ অনুভূতি ও আবেগ থেকে লেখা। তেমন কোনো নতুন কোনো লেখা হয় নি এ বছর। তবে 'তুমি' ও 'একদিন গভীর রাতে তোমার ঘুম ভাঙাবো' যা থেকে অঙ্কুরিত হয়েছিল, সেই কবিতাটি দেখুন নিচে। এটি আমার অনেক ভালো লাগা একটা কবিতা। কবির নাম উহ্য থাকলো, বের করার দায়িত্ব আপনার, ও পাঠকের
****
এই কবিতার জন্য আর কেউ নেই, শুধু তুমি
এ-কবিতা মধ্যরাতে তোমার নিভৃত মুখ লক্ষ্য করে
ঘুমের ভেতরে তুমি আচমকা জেগে উঠে টিপয়ের
জল খেতে গিয়ে জিভ কামড়ে এক মুহহূর্ত ভাববে
কে তোমার কথা মনে করছে এত রাত্রে- তখন আমার
এই কবিতার প্রতিটি লাইন শব্দ অক্ষর কমা ড্যাস রেফ্
ও রয়ের ফুটকি সমেত ছুটে যাচ্ছে তোমার দিকে, তোমার
অধোঘুমন্ত নরম মুখের চারপাশে এলোমেলো চুলে ও
বিছানায় আমার নিশ্বাসের মতো নিঃশব্দ এই শব্দগুলি
এই কবিতার প্রত্যেকটি অক্ষর গুণিনের বানের মতো শুধু
তোমার জন্য, এরা শুধু তোমাকে বিদ্ধ করতে জানে
তুমি ভয় পেয়ো না, তুমি ঘুমোও, আমি বহু দূরে আছি
আমার ভয়ঙ্কর হাত তোমাকে ছোঁবে না, এই মধ্যরাত্রে
আমার অসম্ভব যেগে ওঠা, উষ্ণতা, তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও
চাপা আর্তরব তোমাকে ভয় দেখাবে না- আমার সম্পূর্ণ আবেগ
শুধু মোমবাতির আলোর মতো ভদ্র হিম, শব্দ ও অক্ষরের কবিতায়
তোমার শিয়রের কাছে যাবে- এরা তোমাকে চুম্বন করলে
তুমি টের পাবে না, ওরা তোমার সঙ্গে সারারাত শুয়ে থাকবে
এক বিছানায়- তুমি জেগে উঠবে না, সকালবেলা তোমার পায়ের
কাছে মরা প্রজাপতির মতো এরা লুটোবে। এদের আত্মা মিশে
থাকবে তোমার শরীরের প্রতিটি রন্ধ্রে, চিরজীবনের মতো
বহুদিন পর তোমার সঙ্গে দেখা হলে ঝর্নার জলের মতো
হেসে উঠবে, কিছুই না জেনে। আমি তোমার অমন
সুন্দর মুখে আঁকা টিপের দিকে চেয়ে থাকবো। আমি অন্য কথা
বলার সময় তোমার প্রস্ফুটিত মুখখানি আদর করবো মনে মনে
ঘরভর্তি লোকের মধ্যেও আমি তোমার দিকে নিজস্ব চোখে তাকাবো।
তুমি জানতে পারবে না- তোমার সম্পূর্ণ শরীরে মিশে আছে
একটি অতি ব্যক্তিগত কবিতার প্রতিটি শব্দের আত্মা।
২৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫৭
শাহেদ খান বলেছেন:
"সারাটা শরীরে কবিতা ও গান
ঠোঁটে ছিমছাম হাসি"
--এই জায়গাটা দারুণ লাগল !
+++
ঘরের বাহির করিয়ে আমায় -- এখানে 'করিয়ে' শব্দটা কেমন যেন লাগল। আনয়্যুজুয়াল, বা, বোঝাতে পারছি না।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শাহেদ ভাই, অনেক ধন্যবাদ জানবেন এ ভুলটি ধরিয়ে দেবার জন্য। এটি হবে 'করিয়া'। কী কারণে 'করিয়ে' লিখেছিলাম মনে নেই। এটা সত্যিই আনয়্যুজুয়াল।
শুভ কামনা।
৩০| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩১
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
কমেন্টের প্রতিউত্তরের যদি পেতে বেশ লাগে । আপনার কমেন্টেও প্লাস ।
আপনার কবিতা দেখে আমারও লিখতে ইচ্ছে হলো- জানি কিছুই হয়নি ।
আমার অঙ্গতাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন দয়া করে--
অনিন্দ্য সুন্দরের গহ্বরে জটায়ু চুলের সন্নাসি ।
ধ্যানে মত্ত।শুভ্র কাশফুল একহারি গড়নে প্রমত্তা যৌবণা,
বাতাসের ঝাঁপটায় এলোকেশির প্রতিটি দোল;
বিশ্বকর্মার ঘুম ভাঙ্গানো উর্বশীর নাচের মূদ্রা !
হেমন্তের অভিশাপে বনে পাতা ঝরানোর প্রতিযোগীতা
যদিও সামান্য; তথাপি ঘাসে জমে উঠা বিন্দু শিশির
আলোক ছটায় সপ্তম নৌবহর সদৃশ হীরক মঞ্চায়ন !
বিধাতার ধ্যানে মত্ত জটায়ু সন্নাসির জ্ঞান ফেরে ।
ধ্বংসের আশ্চর্য খেলার এই অর্থিজুড়ে তোমাকে ঘিরে
চারুলতা,পুষ্প,হাজারো রামধনুর অবাক রঙের প্রজাপতি,
সবাক পাখি, সব, সব তোমাকে ঘিরেই প্রদক্ষিণ করে ।
গ্রহ যেমন নক্ষত্রকে ঘিরে ।
আমি জটায়ু সন্নাসি দৈবতে তোমাকে পেয়ে ঈশ্বরের করুণার হুর ছেড়ে
তোমায় নিয়েই আমার কবি মন এবং কবিতার আবির্ভাব-
পুষ্প মাল্যের আর্ঘ্য ছেড়ে কন্টকে বিধে যাওয়া হাড় পাজরের
অনু-পরমানু পরিমাণ রক্তের ফোটায় লিখছি তোমায় নিয়ে কবিতা ।
প্রিয়তমা, তুমি হয়তো জানো না তোমার অপর নাম কবিতা ।
কবিতার প্রতিটি দাড়ি,কমা, সেমিকোলন, একেকটি যতি চিহ্ন তোমার
শরীরের একেকটি অঙ্গ-প্রতঙ্গের কাব্যিক বর্ণনা ।
জানিনা তোমায় নিয়ে লিখা আমার কবিতা তোমার পড়বার ফুসরত হয় কিনা;
আর পড়লেও বিক্ষাতদের ভিরে আমি নামহীন কবির কবিতার কয়েক ছত্রে
তোমার মন ভরে কিনা।তোমার মন ভরুক আর নাই ভরুক জেনে নিও আমার
কবিতা কেবল তোমাকে ঘিরেই- যেমন গ্রহ নক্ষত্রকে ঘিরে !
১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর একটা কবিতা লিখেছেন 'প্রিয়তমা'কে নিয়ে। ভালো লাগলো। ইনস্ট্যান্ট নাকি? মার্ভেলাস!
নীল উপাধ্যায়ের 'তুমি' কবিতাটা আমার অন্যতম প্রিয় একটা কবিতা। আপনার সৌজন্যে নিচে দিলাম কবিতাটি।
***
আমার যৌবনে তুমি স্পর্ধা এনে দিলে
তোমার দু'চোখে তবু ভীরুতার হিম।
রাত্রিময় আকাশের মিলনান্ত নীলে
ছোট এই পৃথিবীকে করেছো অসীম।
বেদনা মাধুর্যে গড়া তোমার শরীর
অনুভবে মনে হয় এখনও চিনি না
তুমিই প্রতীক বুঝি এই পৃথিবীর
আবার কখনও ভাবি অপার্থিবা কিনা।
সারাদিন পৃথিবীকে সূর্যের মতন
দুপুরদগ্ধ পায়ে করি পরিক্রমা,
তারপর সায়াহ্নের মতো বিস্মরণ-
জীবনকে স্থির জানি করে দেবে ক্ষমা।
তোমার শরীরে তুমি গেঁথে রাখো গান
রাত্রিকে করেছো তাই ঝঙ্কারমুখর
তোমার সান্নিধ্যের অপরূপ ঘ্রাণ
অজান্তে জীবনে রাখে জয়ের স্বাক্ষর।
যা কিছু বলেছি আমি মধুর অস্ফুটে
অস্থির অবগাহনে তোমারি আলোকে
দিয়েছো উত্তর তার নব পত্রপুটে
বুদ্ধের মূর্তির মতো শান্ত দুই চোখে।
***
শুভ কামনা।
৩১| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০৮
আবু সালেহ বলেছেন: জানি না এমন সম্মোহনের
ক্ষমতা কোথায় পেলে
ঘরের বাহির করিয়ে আমায়
ঘরেই রেখেছো বেঁধে............................+++++++++++++++++++
১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কোট করার জন্য।
আরেকটি কবিতা, যাঁর কবিতা আমি অনেক অনেক ভালোবাসি, দিলাম আপনার জন্য।
***
বাস স্টপে দেখা হলো তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল স্বপ্নে বহুক্ষণ
দেখেছি ছুরির মতো বিঁধে থাকতে সিন্ধুপারে- দিকচিহ্নহীন-
বাহান্ন তীর্থের মতো এক শরীর, হাওয়ার ভিতরে
তোমাকে দেখেছি কাল স্বপ্নে, ওষধি স্বপ্নের
নীল দুঃসময়ে।
দক্ষিণ সমুদ্রদ্বারে গিয়েছিলে কবে, কার সঙ্গে? তুমি
আজই কি ফিরেছো?
স্বপ্নের সমুদ্র সে কী ভয়ঙ্কর, ঢেউহীন, শব্দহীন, যেন
তিনদিন পরেই আত্মঘাতী হবে, হারানো আঙটির মতো দূরে
তোমার দিগন্ত, দুই ঊরু ডুবে গেছে নীল জলে
তোমাকে হঠাৎ মনে হলো কোনো জুয়াড়ীর সঙ্গিনীর মতো,
অথচ একলা ছিলে, ঘোরতর স্বপ্নের ভিতরে তুমি একা।
এক বছর ঘুমোবো না, স্বপ্ন দেখে কপালের ঘাম
ভোরে মুছে নিতে বড় মূর্খের মতন মনে হয়
বরং বিস্মৃতি ভালো, পোশাকের মধ্যে ঢেকে রাখা
নগ্ন শরীরের মতো লজ্জাহীন, আমি
এক বছর ঘুমোবো না, এক বছর স্বপ্নহীন জেগে
বাহান্ন তীর্থের মতো তোমার ও-শরীর ভ্রমণে
পুণ্যবান হবো।
বাসের জানলার পাশে তোমার সহাস্য মুখ, ‘আজ যাই, বাড়িতে আসবেন।’
রৌদ্রের চিৎকারে সব শব্দ ডুবে গেল।
‘একটু দাঁড়াও‘, কিংবা ‘চলো লাইব্রেরীর মাঠে‘, বকের ভেতরে
কেউ এই কথা বলেছিল, আমি মনে পড়া চোখে
সহসা হাতঘড়ি দেখে লাফিয়ে উঠেছি, রাস্তা, বাস, ট্রাম, রিকশা, লোকজন
ডিগবাজির মতো পার হয়ে, যেন ওরাং উটাং, চার হাত-পায়ে ছুটে।
পৌঁছে গেছি অফিসের লিফ্টের দরজায়।
বাস স্টপে তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল স্বপ্নে বহুক্ষণ।
৩২| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৮
আরজু পনি বলেছেন:
জানি না এমন সম্মোহনের
ক্ষমতা কোথায় পেলে...
আমিও জানি না...
১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু উপস্থিতির জন্য।
আবার নিজের লেখায় ফিরে আসি। ২০০৪ সালে লেখা। আপনার সৌজন্যে, আপু।
***
চারদিক ছেয়ে আসে গাঢ় অন্ধকার,
মুদিত-নয়ন কবি, ধ্যানমগ্ন, উতলা-অস্থির,
যতো চাই ভুলে যেতে, ততোই ভেসে ওঠে
জীর্ণ-শীর্ণ, অশ্রুভেজা, ম্লান মুখ চির দুঃখিনীর।
তুমি ভগ্নি, তুমি কন্যা, জননী বা তুমি প্রণয়িনী
সর্ব বর্ণে, সর্ব রূপে মনে হয় জন্মে জন্মে তোমাকেই চিনি।
আমাকে চেনো নি তুমি? তোমার জন্যে
পৃথিবীর সব ভালোবাসা, অন্তরে নিত্য প্রস্রবণ,
আপন বক্ষের মাঝে কান রেখে শোনো, রয়েছে
তোমার আত্মার সাথে আমার আত্মার নিগূঢ় বন্ধন।
আমার হৃৎপিণ্ডের আধেক আমাতে,
আধেক রয়ে গেছে তোমার বুকের ভিতর,
তুমি কি কখনো পাও নি টের কখন শান্ত নদী,
কখন সেখানে জাগে উত্তাল ঝড়?
৩৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২০
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: Sunil Babu r lekha khub priyo kobita ek somoy mukhosto chilo...arek shopno bilashi amader Faridpur er manush...kosto kore lekhar jonno dhonnobad...pathok r manush hisabe khub bastob dhormi holeo Shopno bilashider kolpona shokti valoi lagee...asha kori shighroi kichu rup kothar golpo porar sujog pabo...shuvokamona...
১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুনীল বাবুর কথায় বুক ধক করে ওঠে। 'বরুণা' আমার জীবনে এমন ভাবে গেঁথে আছে যা একদা পুরোটা যৌবনই উলট-পালট করে দিয়েছিল।
বরুণা না, অন্য একটা কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিলাম।
***
প্রেমবিহীন
শেষ ভালোবাসা দিয়েছি তোমার পূর্বের মহিলাকে
এখন হৃদয় শূন্য, যেমন রাত্রির রাজপথ
ঝকমক করে কঠিন সড়ক, আলোয় সাজানো, প্রত্যেক বাঁকে বাঁকে
প্রীতক্ষা আছে আঁধারে লুকানো তবু জানি চিরদিন
এ-পথ থাকবে এমনি সাজানো, কেউ আসবে না, জনহীন, প্রেমহীন
শেষ ভালোবাসা দিয়েছি তোমার পূর্বের মহিলাকে।
৩৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৩৭
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
হ্যাঁ কবিতাটা ইনস্ট্যান্ট লিখা । আপনার কমেন্টে অনুপ্রানিত হয়ে ।
কবিতাটা আগে পড়া হয় নাই । কমেন্টের কবিতাটার জন্য ধন্যবাদ ।
পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম
১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্টে আমিও খুব উৎসাহিত বোধ করছি। ভালো থাকুন।
৩৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১১
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: Poth cheye roy pothiker ashe
Pahar somo ovimaner osru niye bishonno batashe
Jibon seto shopno noy jage khudro khudro asha
Nossor prithibite ontoheen shudhu pobitro valobasa.
Shuvokamona...
১৪ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন তো! অপূর্ব!
পথ চেয়ে রয় পথিকের আশে
পাহাড় সম অভিমানের অশ্রু নিয়ে বিষণ্ব বাতাসে
জীবন সেতো স্বপ্ন নয় জাগে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আশা
নশ্বর পৃথিবীতে অন্তহীন শুধু পবিত্র ভালোবাসা
অনেক ভালো লাগা কবিতাংশে।
৩৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:২৯
জুন বলেছেন:
যমের দুয়ারে ছাই দিয়ে আপনি আমার ভাই
তারই জন্য দেশী মানুষকে এ নামেই ডেকে যাই।
ছাই ভাই আমি এখন ব্যংককে। ছেলের লেখাপড়ার ব্যাপারে এসেছি।
১৪ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ছড়াটা খুব খাসা হয়েছে আপু গর্বিত বোধ করছি।
ঈদ তাহলে ছেলের সঙ্গেই কাটাচ্ছেন মনে হচ্ছে। সবার জন্য শুভেচ্ছা থাকলো।
আপু, এবার আরেকটি কবিতা দিলাম। দোহারের অকাল-প্রয়াত কবি মিজানুর রহমান শমশেরীর একটি কবিতা।
****
তুমি কি আমার কথা ভাবো?
তুমি কি আমার কথা ভাবো?
কঠিন প্রাচীরে কান পেতে শুনি
মুক্তির দিন একদিন আসবেই
সেইদিন তোমাকে আবারো কাছে পাবো।
যেখানে সূর্যের সোনালি বিচ্ছুরণ
এখনো হোঁচট খায়
পড়ন্ত বিকেলের বসন্ত যৌবনে
যেখানে ধ্বনিত পাখির কাকলি
প্রাচীরের বাঁধ ভেঙ্গে চলে যাবো
তুমি আর আমি পায় পায়
সেই নির্জনতায়।
রাত্রির নিঃসঙ্গতায় একা জেগে আছি
আমার চোখে নেই ঘুম,
চোখের সামনে প্রাচীরের গায়
স্বপ্নের পাখিগুলো ডানা ঝাঁপটায়
মুক্তির অন্বেষা খুঁজিতেছে পথ
সুপুষ্ট মৌসুম।
এখনো আমার চোখে নেমে আসে
সন্ধ্যার পশ্চিম আকাশ,
পলাশের লাল রঙে রঙিন পদ্মাপার
পারভাঙ্গা তীরে নব কিশলয়ে
পালতোলা নায়ে স্বচ্ছ সলিলে
গোধূলির সুস্পষ্ট প্রকাশ।
এই নির্জনতায় বসে বসে ভাবি
আবারো তোমায় কাছে পাবো
গানে আর কবিতায় কাটাবো প্রহর
মধুরাত এনে দিবে চাঁদের সুষমা
তারার মালিকা গেঁথে কবরী সাজাবো।
তুমি কি আমার কথা ভাবো?
আমার কথা কি ভাবো?
*******************************************
কবিপরিচিতি
কবি মিজানুর রহমান শমশেরী ৮ই কার্তিক ১৩৫৩ বঙ্গাব্দে (১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে) ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার অন্তর্গত সুতারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৯ আষাঢ় ১৩৮৮ বঙ্গাব্দে (১৪ জুলাই ১৯৮১) বিয়ের পূর্বরাতে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অকালে প্রয়াত হোন। তবে এ-ও জনশ্রুতি আছে যে, আরাধ্য মানবীকে না পেয়ে বিয়ের আগের রাতে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করেন। তাঁর পিতার নাম শমশের উদ্দিন। সর্বজ্যেষ্ঠা এক বোন ও পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে শমশেরী ছিলেন পঞ্চম।
একান্ত কৈশোর থেকেই লেখালেখির প্রতি শমশেরীর আগ্রহ গড়ে ওঠে। সাহিত্যসাধনা ও সাহিত্যচর্চা ছিল তাঁর প্রাণ। স্কুল-কলেজের বন্ধু-বান্ধবী ও এলাকার তরুণ-কিশোরদের নিয়ে গড়ে তোলেন সাহিত্যচর্চা বিষয়ক আসর 'পদ্মাপার খেলাঘর'। এর পূর্বে আদমদজী নগরের 'অগ্নিবন্যা খেলাঘর' আসরের সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে তিনি তাঁর খেলাঘর জীবন শুরু করেন।
শমশেরী ৭০ দশকের কবি। ধূমকেতু, দৈনিক বাংলার বাণী, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সমাচার সহ তদানীন্তন গুটিকতক জাতীয় দৈনিকের সবকটাতেই এবং অন্যান্য লিটল ম্যাগাজিন ও সাময়িকীতে তিনি নিয়মিত লিখতেন। দৈনিক বাংলার বাণীতে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে লিখতেন উপ-সম্পাদকীয়।
তাঁর জীবদ্দশায় একটিমাত্র কাহিনীকাব্য 'অশ্রুমালা' প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির আয়তন সুবিশাল। এই পাণ্ডুলিপিতে যে বইগুলোর নাম উল্লেখ আছে তা হলো : জীবন যন্ত্রণা, বসন্ত পরাগ, একাত্তরের চিঠি, শিকল ভাঙ্গার গান (গান) ও হিজলফুলের মালা (কাহিনিকাব্য)। এখানে রয়েছে সর্বমোট ১৩৭টি কবিতা, ৪০টি ছড়া ও ৫২টি গান।
শমশেরীর কবিতায় কঠিন জীবন-যুদ্ধ ও ঘাত-প্রতিঘাতের এক নিষ্ঠুর বাস্তবচিত্র ফুটে উঠেছিল। স্বাধীনতা-উত্তর কালে এদেশের মানুষের মধ্যে বিরাজমান নিদারুণ দুঃখ-দুর্দশা, অনাহার, নৃশংসতা, দুর্নীতি- এসবও অতি প্রকটভাবে তাঁর কবিতায় উঠে এসেছিল। তাঁর কবিতায় সুকান্তের সুর সুস্পষ্ট; তিনি এতোখানিই সুকান্ত-প্রভাবিত হয়ে উঠেছিলেন যে, তাঁর বাক্যের গাঁথুনিতেও সুকান্তের কবিতার শব্দগুচ্ছের ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
শমশেরী ৭০ দশকের কবি। নির্মাণ ও বিষয়-বস্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেই সময়ের কবিতার সাথে আজকের দিনের কবিতার বিস্তর ব্যবধান। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে অনেকেই হয়তো তাঁর বেশ কিছু কবিতাকে 'খাঁটি আধুনিক' কবিতা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে দ্বিধাবোধ করবেন। আজকের দিনের বিচারে তা 'আধুনিক' হোক বা না হোক, তাঁর সময়ে নিশ্চয়ই এগুলো 'আধুনিক' কবিতাই ছিল। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে কবিতার চেয়ে ছড়ায়ই শমশেরীর হাত অধিক পরিণত হয়ে উঠেছিল।
৩৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৩২
শায়মা বলেছেন: অনেকদিন তোমার বাড়িতে আসিনি ভাইয়া!
আর তুমি আজকাল বেশী বেশী পোস্ট দিচ্ছও!
ভাইয়া এইটাতো সন্মোহনী কবিতা!
একটা টেলিপ্যাথী আমার প্রিয় সাবজেক্ট নিয়ে লেখো ভাইয়ামনি!
১৪ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওহ্হো, সত্যিই তো আপনি অনেকদিন আমার বাড়ি আসেন নি রোজা-রমজানের দিন কষ্ট না করে বরং খুব ভালোই করেছেন
হ্যাঁ, পোস্টের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। ১, ৩, ৯ ও ১৩ তারিখে পোস্ট দিয়েছি। ১টা পোস্টই যথেষ্ট ছিল
প্রিয় সাবজেক্ট নিয়ে লিখতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি।
ব্লগ থেকে একজন কবি আত্ম-নির্বাসিত হয়েছেন। তাঁকে মিস করি খুব। তাঁকে মনে পড়লো। তাঁর একটা কবিতা দিয়ে তাঁকে স্মরণ করছি। যদি তাঁর সন্ধান কোনোদিন পান, আমাকে জানাবেন!
*****
কত্তগুলো দিন যে গেলো, লিখলি না তুই একটা চিঠি,
ফুরোয় প্রহর পথ চেয়ে তার, শুকোয় আমার আর্দ্র দিঠি।
বিদায়বেলা হাতটি ধরে বলেছিলাম, কাব্য লিখিস,
কাব্য যদি নাই আসে তোর ছত্রখানিক পত্র লিখিস।
লিখলি না তো কিছুই তুই আর সত্যি আমায় ভুলেই গেলি!
কেমন করে ভুললি আমায়, অবাক ভাবি দৃষ্টি মেলি।
কথার মালা সাজিয়ে প্রথম আঁকলি যেদিন কাব্য ছবি
জন্যে আমার তোর সে লেখা, উঠলি গড়ে প্রথম কবি।
ক্ষণগুলো সব কাটতো মধুর, ভাবনাতে আর খুনসুটিতে,
ছন্দ কথায় ফুটতো মুকুল ভালোবাসা হৃদয়পুটে।
এখন কি আর লিখিস না তুই নতুন কোনো কাব্য গাঁথা?
সবকিছু আজ লুকিয়ে রাখিস?
ভালোবাসা? গোপন ব্যথা?
নাকি তুই আজ বদলে গেছিস যেমন করে সব বদলায়,
সমর্পণের আগে নদী সাগরে তার অর্ঘ্য হারায়!
বলেছিলি তুই এ কথা মনে পড়ে কখনও তোর?
ভুলি নি তার কিছুই আমি, যতোই লুকাস গহন বিভোর।
ফিরিয়ে নিলি সব কবিতা, সব চিঠি আর বুকের বেদন,
তুই কি এখন বলতে পারিস, কেমন করে ফেরাবি মন?
হয়তো পারিস সব কিছু তুই, খুব সহজে বদলে যেতে,
আমিই শুধু একলা কাঁদি, খুঁজি তোকেই চলতে পথে।
হঠাৎ যদি তোর দেখা পাই, একটি জিনিস চাইবো দামি
ভালোবাসা ভুল যদি হয়, শুধরে নিতে চাই তা আমি।
৩৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৪৭
নাজনীন১ বলেছেন: জানি না এমন সম্মোহনের
ক্ষমতা কোথায় পেলে
ঘরের বাহির করিয়ে আমায়
ঘরেই রেখেছো বেঁধে
--- জানি না তো ভাইয়া! কেমন আছেন আপনি?
ভারসাম্যের প্রথম কবিতাটাও অনেক সুন্দর হয়েছে। সব কমেন্টগুলো পড়া হলো না, অনেক অনেক কমেন্ট!
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি ভালো আছি আপু। আপনি কেমন আছেন/ছিলেন? অনেকদিন পর ব্লগে দেখছি।
হ্যাঁ, ভারসাম্য ও আলাউদ্দিন আহমেদ সরকার দুজনের কবিতাই ভালো লেগেছে খুব।
কখনো কখনো খুব আবেগতাড়িত হই। ৯৪ সনের দিকে এরকম অদম্য আবেগে লিখেছিলাম, আপনার সৌজন্যে নিচে পোস্ট করলাম।
***
আমাকে মনে রেখো না, যাকে কখেনো পাবার নয়
তার কথা ভেবে কী লাভ?
নীড়হারা হয়ে কোনো এক দুরন্ত ঝড়ে
এসেছিলাম আমি এক বিপন্ন পাখি।
কখনো যদি ফিরে পাই হারানো পথের দিশা,
তাই চলে যাই, আমাকে মনে রেখো না।
তোমার দুয়ারে ক্ষণিকের জন্য এসেছিলাম,
যতোটুকু ভালোবেসেছি
সবটুকু হৃদয় নিংড়ানো আমার।
ক্ষণিকের এই প্রেম, এইসব স্মৃতি
শুধু কাঁদাতেই জানে, তাই মনে রেখো না।
বকুলের ফুলে যে-মালা গেঁথেছিলে
তা আমাকে পরাবার নয়।
কী লাভ জানালায় ঝুলিয়ে রেখে গন্ধহীন শুখনো মালাটি?
সে-মালাটি ছিঁড়ে ফেলো তুমি।
আমি বহুদূর চলে যাবো
তোমার চোখের আড়ালে যেদিন চলে যাবো
জানি, জানালায় থাকবে চেয়ে উদাস আকাশের পানে;
তখন অলস দুপুরে ক্লান্ত ঈগলের কান্নায় তোমার চোখেও
জল আসবে জানি। তখন
আমাকে চেয়ো না নিবিড় করে।
আমাকে আর মনে রেখো না, যাকে কখনো পাবার নয়
তার কথা ভেবে কী লাভ, বলো?
৩৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩
ফারাহ দিবা জামান বলেছেন: ভিন্ন ভাল লাগায় আক্রান্ত হলাম ,
আপনার কবিতা এবং কমেন্ট পড়ে ।
অনন্য ,
অন্যরকম ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ২:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মুগ্ধ ও আনন্দিত হলাম এটা জেনে যে আপনি ভালো লাগায় আক্রান্ট হয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার জন্যও একটা সৌজন্য কবিতা রয়েছে আপু স্বরচিত। শুধু খেয়াল করবেন কবিতার স্টাইলে কীরূপ বিবর্তন ঘটেছে, আমার নিজের অজ্ঞাতে। আর এ কবিতাটি একটু অন্য স্বাদের
***
কেউ কোনোদিন কোনো সুন্দরীকে ‘না’ বলতে পেরেছেন?
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে তীর্থের যুবকেরা।
সুন্দরীরা বড় আনমনা, আত্মভোলা হোন, তাঁরা চাটুকারিতা ভালোবাসেন;
তাঁরা আদেশ করতে খুব বেশি ভালোবাসেন। তাঁরা কবিতা পড়েন না,
কবিতা ভালোবাসেন না, তাঁরা কবিতা লিখতেও জানেন না;
তুমি হাসলেই, কথা বললেই, তাকালেই, এমনকি ঔদাসীন্যে এড়িয়ে গেলেও
অবিরাম ঝরে পড়ে থোকা থোকা কবিতার রেণু।
তোমার অসংখ্য গুণগ্রাহীর ভিড়ে, হে মহতী, অনন্যসাধারণা,
আমি বড্ড অপ্রতুল একজনা;
তোমার সান্নিধ্যের স্বাদ অপার্থিব অমৃতের মতো জনে জনে ভাগ হয়-
আমার কপালেও জোটে ক্ষুদ্র এককণা।
এতে শুধু তৃষ্ণা বাড়ে, জ্বালা বাড়ে, হু-হু করে লালসা বাড়ে
আমাকে কুরে কুরে খায় দুর্মর যন্ত্রণা।
কোনো কোনো মানুষ খাওয়ার জন্যই দীর্ঘ জীবন চায়,
যদিও বাঁচবার জন্যই মানুষকে করতে হয় খাদ্যগ্রহণ;
তোমাকে পাবার সাধনায় আমি অমরত্ব চাই
তোমার হৃৎপিণ্ডে হাত রেখে চাই নিশ্চিন্ত মৃত্যুবরণ।
হে সুন্দরী, অজস্র প্রেমিকের আরাধ্য রমণী, তোমাকে কোনোদিনই
একান্তে পাবো না, এ কথা জানি, তাই সর্বগ্রাসী ইচ্ছেরা ক্রমশ সোচ্চার,
রক্তে রক্তে নীরব তোলপাড়
তাই প্রতিদিন চুরি করে পত্রিকায়, ব্লগে ও ফেইসবুকে
তোমার ফটোগ্রাফ ছেপে যাই
তোমার কথাগুলো সামান্য সাজিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দিই কবিতা হিসেবে
আর রসখোর বন্ধুদের অসামান্য বাহবা কুড়াই
এই যে প্রেমের নামে প্রতিদিন তোমাকে ধ্বংস ও ব্ল্যাকমেইল করি
আমি জানি, তুমি এর একতিলও খবর রাখো না
কে তোমাকে ভালোবাসে জানো না, জানো না কার মনে বাস করে
সুগোপন ক্রূর বাসনা
তোমার প্রাণহীণ ছবির ভেতর প্রাণ ঢেলে
তোমাকে ফালি ফালি করে কাটি প্রমত্ত ঘোরে
জানো তো, সাবধানে মার নেই, তাই সতত সাবধানে থেকো
একদিন নিরুদ্দেশে সহসা তীব্র উড়াল দেবো স্বয়ং তোমাকেই চুরি করে।
৪০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০৪
ফারাহ দিবা জামান বলেছেন: আপনি তো দেখছি স্বভাব কবি ।
অদ্ভুত সাবলীলতায় বলে গেলেন ,
কবিতা জন্মের আতুর ঘরের গল্প ।
এত সুন্দর যে লিখতে পারি না আমি ।
তাই মুগ্ধের মত পড়ি ।
শব্দ গুলোর লুকোচুরিতে মন হারাই ।
কেউ কেউ থাকে এমনও ,
যার মনে কাব্য ঘরের চাবি থাকে ।
কত অনায়াসে সে বলতে পারে ,
টুপটাপ বৃষ্টি ঝরার গল্প ।
বৃষ্টির ফোঁটা গুলো এসে মুখে পড়ে ,
মনে ঝরে ,
ভর রোদেও টের পাওয়া যায়,
বৃষ্টি ভেজা অনুভুতি ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর লিখতে পারেন। নিরন্তর শুভ কামনা আপু।
৪১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০৭
ফারাহ দিবা জামান বলেছেন: সুন্দরীরা বড় আনমনা, আত্মভোলা হোন, তাঁরা চাটুকারিতা ভালোবাসেন;
তাঁরা আদেশ করতে খুব বেশি ভালোবাসেন। তাঁরা কবিতা পড়েন না,
কবিতা ভালোবাসেন না, তাঁরা কবিতা লিখতেও জানেন না;
তুমি হাসলেই, কথা বললেই, তাকালেই, এমনকি ঔদাসীন্যে এড়িয়ে গেলেও
অবিরাম ঝরে পড়ে থোকা থোকা কবিতার রেণু।
ও বলতে ভুলেই গেছি ,
পুরো কবিতাটাই আপাদমস্তক সুন্দরী ।
আর এ লাইন গুলো অসাধারণ সুন্দরী ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'সুন্দরী' মন্তব্য খুব উপভোগ করলাম
৪২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৫
ফারাহ দিবা জামান বলেছেন: কবিতাটি সম্মোহন
ঘর মন মানুষ এবং আমি , ভারসাম্য
আপনাদের জন্য কবির দু চরণ .।.।.।।।
শান্তির জন্য প্রার্থনা
তোমার মাঝে শান্তি খুঁজি
শান্তি কোথা পাই না
যে বাড়িতে তুমি থাকো
সে বাড়িতে যাই না ।
খুঁজে তোমায় হলাম সারা
আমার যত একলা পাড়া
এইখানে নেই , ওইখানে নেই
কিচ্ছুটি নেই , কিচ্ছুটি নেই ।
বল কোথায় তোমার বাড়ি
পাঠিয়ে দেব পরীর সারি
জামা জুতো আসুক ছুঁয়ে
একটু গন্ধ আসুক নিয়ে ।
স্বপ্নখনি , চোখের মনি
তোমায় কেন পাই না
মনকে কুঁড়ে কবর দিলেও
আমার কেন হয় না ।
তুমিও কি আমায় ভাবো
কেউ না হাঁটার পথে হাঁটো
আমার জন্য রক্ত চোখে
কাঁটা গুলো জড়িয়ে রাখো ।
গহীন রাতে আঁধার এলে
দৃষ্টি তোমার উদাস হলে
শুন্য হাতে দুহাত বাড়াও
গালে নরম দুঃখ জড়াও ।
তোমার মাঝে স্বপ্ন বাঁচাই
তোমায় আমি চাই না
যে বাড়িতে তুমি থাকো
সে বাড়িতে যাই না ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওয়াও ওয়াও! অসাধারণ কবিতা লিখে ফেলেছেন আপু।
তোমার মাঝে শান্তি খুঁজি
শান্তি কোথা পাই না
যে বাড়িতে তুমি থাকো
সে বাড়িতে যাই না।
........................
তোমার মাঝে স্বপ্ন বাঁচাই
তোমায় আমি চাই না
যে বাড়িতে তুমি থাকো
সে বাড়িতে যাই না।
আমি মুগ্ধ। প্রথম এবং এটা দুটোই ভালো লেগেছে, তবে এটা খুব 'সুন্দরী' হয়েছে আপু
শুভ কামনা।
৪৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:১২
শ্রাবণ জল বলেছেন: আমার সম্মোহন কাটুক, তারপর বলব কেমন লেগেছে!
২৮ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আজ তুমি কোথাও যাবে না। আজ কোনো কাজকর্ম নয়
আজ তুমি আমার প্রতীক্ষায়
সারাদিন ঘরে বসে একা একা কাটাবে সময়।
আজ শুধু সুখ করবার দিন
আজ সারাদিন তুমি ধ্যানমগ্নতায় হবে আমাতে বিলীন।
নিরালা গৃহের মাঝে আজ তুমি জীবনকে পাবে
বেদনার্ত অতীতের ভুলে গিয়ে সব
সারাঘর তুমি আজ সুবাস ছড়াবে, বুকে ধরে প্রিয় অনুভব।
আজ তুমি কোথাও যাবে না। আজ কোনো কাজকর্ম নয়
নীল-আসমানী শাড়ি পরে আজ তুমি আমার প্রতীক্ষায়
সারাদিন ঘরে বসে একা একা কাটাবে সময়।
৪৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০১
শায়মা বলেছেন: হায় হায় তাইতো!
কবি এবং কবিতারা
হারায়নাতো কক্ষনো না
শুধুই তারা বদলায় রং
রংধনু বা গিরগিটি ছানা
খেরোখাতার পাতায় পাতায়
জমে যখন ধুলোর পরৎ
মেঘের পরে মেঘ সরে যায়
আষাঢ় শ্রাবন, গ্রীস্ম শরৎ
হঠাৎ কখন দমকা ঝড়ে
ওড়ে যখন খাতার মলাট
তখণ হঠাৎ মনে পড়ে
স্মৃতির সাগর ওলট পালট!
লিখেছিলো শেষচিঠিটা
শেষ হয়ে যা হয়না শেষের
তখন আমি অনেক দূরের
অচিনপুরের অচিন দেশের!
২৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কেউ তোমাকে ভুল পথে দেয় ঠেলে
কেউ তোমাকে অন্য পথে ডাকে
তার ঠিকানা নিজেই কি সে জানে
তোমার ভেতর খুঁজছো তুমি যাকে?
তোমার ভেতর খুঁজছো তুমি কাকে?
সত্যি বলো, পাও নি কি তার দেখা?
হন্যি হয়ে সারা ভুবন খোঁজো
তোমার পাশে তোমার ছায়া একা
তোমার পাশে তোমার ছায়া নড়ে
তোমরা দুজন বাস করো এক ঘরে
৪৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৬
শায়মা বলেছেন: খুঁজছি কাকে? খুঁজছি যাকে
ভুলের পথে বারে বারে
ঠিকানাহীন, সঙ্গীবিহীন
আমার ভেতর বাস ছিলো তার সুখে.....
পেয়েছিলাম ক্ষনিক দেখা, তখন আমি
ভীষন একা, হঠাৎ আসা দমকা হাওয়া
হারিয়ে গেলো এক পলকে
আমায় রেখে একলা ফেলে দুখে.....
হন্যি হয়ে সারা ভুবন খুঁজেও
পেলাম না আর কোথাও তাহার দেখা
পালাই পালাই লুকোচুরি খেলে
উছল হেসে, লুকিয়ে তাহার ফেরা।
হয়তো দুজন একটি ঘরেই থাকি-
সেই আমাদের একটিমাত্র সুখ,
ভোরের শিশির, ক্লান্ত দুপুর, জ্যোৎস্নাস্নাত
আকাশ উপুড়, বর্ষা মাতাল স্বপ্নকাজল দুই নয়নে মাখি।
কিংবা সে এক অলীক মায়া
ভুল স্বপনেই আঁকছি কায়া
বাসছি ভালো, দুষছি তারে, খেলছি খেলা বারে বারে
আমি এবং আমার সাথী ছায়া!!!
৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
জানি না কেমনে সম্মোহনের এমন কবিতা লেখেন
আমার চোখের ভিতর দিয়ে আপনি কি সব দেখেন?
খুব সুন্দর! আমি সম্মোহিত।
৪৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০১
পক্তিমালা বলেছেন: ভালোলাগা জানালাম।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪৬
শাহজাহান মুনির বলেছেন: জানি না এমন সম্মোহনের
ক্ষমতা কোথায় পেলে
ঘরের বাহির করিয়ে আমায়
ঘরেই রেখেছো বেঁধ...। বাহ।