নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ’স’ফ’ল’ আর এ’কে নিয়ে একটা সরল গল্প : নিষ্ঠুর ছেলেমানুষি

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৩





এটা তোর জীবনের এমন এক ট্র্যাজেডি, যা কেবল আমার আত্মতুষ্টির জন্য ঘটেছিল। এটি এক পক্ষে এক মর্মন্তুদ নিষ্ঠুরতার কাহিনি, অপরপক্ষে নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগের কিসসা, যা কেউ কোনওদিন শোনে নি, এমনকি স্বপ্নেও ভাবে নি।

এটা কোনও মেয়ে কোনোদিনই করে নি তার প্রেমিকের জন্য, তুই ছাড়া। অথচ এ গল্প আমাকে কাঁদায় না। তোর এ বলিদান আমার অহমকে আরো ক্ষুরধার ও বিধ্বংসী করে তোলে। তোর অন্তর্নিহিত বেদনা পাঠকের মর্ম স্পর্শ করে না। পাঠকের কাছে এটি দূরবর্তী এক নির্জনতম বটবৃক্ষের মতো নিয়ত দুর্বোধ্যতর হয়ে উঠতে থাকে। এতে লুকায়িত আছে এমন এক রহস্য, সাধারণের কাছে যে-স্বাদ সহজলভ্য নয়। তবে যে-রাতে কোনও নিবিষ্ট পাঠকের কাছে এ গল্পের মর্ম উন্মোচিত হবে, তিনি তোর জন্য কাঁদবেন, আর আমার জন্য অবিরাম বর্ষিত হতে থাকবে অভিশাপ।



২৯ মার্চে তুই পারলারে গিয়েছিলি।

আর কোনওদিনই চুল ছাঁটবি না, আমার ইমোশন দেখে এ কথা বলেছিলি- ২০১২-এর জুন মাসে, সায়েন্স ল্যাবরেটরির দক্ষিণ মোড়ে দোতলার রেস্টুরেন্টে বসে। আমার চোখে পানি ছিল। জুন ২০১৩-তে অ’কে নিয়ে তোর সাথে দেখা করতে গেলে আমার সন্দিহান চোখ কুঞ্চিত হয়- দেখি, তোর চুল ছাঁটা, আর ভ্রু প্লাক করেছিস। আমি আশ্চর্য হই। সেদিনও আমার চোখে পানি আসে; তুই কথা রাখলি না!

প্রথমে অস্বীকার করলি, পরে চাপের মুখে বললি, অ’র চেয়ে সুন্দরী আর স্মার্ট দেখাবে তোকে, সেজন্য এটা করেছিস। হায়, যদি আমাকে বলে করতিস! আমি কি ধরে নিতে পারি না, অন্য কোনও উদ্দেশ্যে এটা করেছিলি!

তুই চুল ছাঁটবি, এ কথার প্রতিবাদ না করে বরং আমি সর্বমোট চারবার কেঁদেছিলাম তোর সামনে। তুইও তোর মৃত্যুর কসম খেয়ে বলেছিলি, জীবনে আর কোনওদিনই চুল ছাঁটবি না। সেই তুই আমার অবর্তমানে- যখন ২৮ দিন ধরে অভিমানে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছিলাম- সেই সময়ে পারলারে গিয়ে চুল ছেঁটে এলি। আমার বিশ্বাস ছিল, এ কাজটা তুই করতে পারিস না। তুই বলেছিলি- ‘আমার মৃত্যুর পর এসে দেখে যাস্ পাখি, আমি আর কোনওদিন চুল কেটেছিলাম কিনা।’ আমার আবেগ তুঙ্গে ছিল- সেই তুই এ কাজটা করলি! চোখের পানির কোনও দামই দিলি না! তুই বললি, ‘মোবাইল বন্ধ রেখেছিলি বলে রাগ করে চুল ছেঁটেছি, স’ সাক্ষী।’ রাগ করে চুল ছেঁটে সুন্দরী না সেজে পুরো মাথাটাই ন্যাড়া করে ফেলতিস- ক্ষোভের সঙ্গে আমি এ কথাটা বলেছিলাম।



গতকাল দুপুরে তুই ফোন দিলি। ঢেউহীন সমুদ্রের মতো শান্ত ছিল তোর কণ্ঠ। বললি, ‘আজ আমি একটা কাজ করবো।’



আজকের কথা। মোবাইল ঘরে রেখে আমি তখন বাইরে। এসে দেখি তোর আর স’র শ খানেক মিস্‌ডকল, গোটাকতক মেসেজ। স’র কল ধরতেই ক্ষিপ্ত ও বিস্মিত স্বরে বলে, ‘এটা তুই কী করলি? ও যে মাথা ন্যাড়া করে ফেললো! কাজটা কি ঠিক করেছিস?’

আমি মহান ভালোবাসার অনেক গল্প শুনেছি, আজ নিজের জীবনেই ঘটতে দেখছি- এমন ভালোও বাসতে পারে কেউ!

স’র হাত থেকে মোবাইল তুলে নিয়ে তুই বললি, হাসতে হাসতে- ‘কী রে, তোর ভালো লাগছে না? আমার কিন্তু খুব ভালো লাগছে!’

আমার মুখে কথা সরে না।

আমি অবশ্য তখনো পুরোটা বিশ্বাস করি নি। তবে কাজটি যে তোর দ্বারা ঘটানো সম্ভব তা আমার মন জানতো।



বুড়ি, তোকে আমি খুব খুব খুব ভালোবাসি...







একটা কনফারেন্সে যাবো বলে খুব তাড়াহুড়ো করে রেডি হচ্ছিলাম, তুই পাগলের মতো আমাকে কল করছিস। তোর ওপর রেগে ছিলাম। কারণ, গতরাত থেকে তুই বড্ড অপরাধ করছিস। নিয়ম ভাঙার চেয়ে বড় কোনো অপরাধ নেই আমার আদালতে। তোর উচিত ছিল আমাকে জানানো, অতঃপর অনুমতি নেবার প্রয়োজন ছিল। এ ব্যাপারে আমি আপসহীন তা তুই জানিস।



সকাল ৯টায় কল দিলি। আমি বললাম, ‘দুই মোবাইলে দুই সিম ইউস করছিস যে! তোর সাহস দেখে অবাক হই!’

তুই বললি, ‘গতরাতে ভাঙা সেটটা সারিয়ে এনেছি। তুই-ই তো বলেছিলি দুটো সিম ইউস করতে মানা নেই!’

‘ইউস করবার আগে আমি কেন জানলাম না? জানিস না, আমার অনুমতি ছাড়া এটা তুই পারিস না?’

‘তাহলে কোন্‌টা বন্ধ রাখবো?’

‘এক কাজ কর, পুরোনো ভাঙা সেটটা, বাকি সিমগুলো, তোর ন্যাড়া মাথার চুল আর ছবিগুলো আজ বিকেলে কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দে। পারবি না?’

তোর ইগোতে খুব লেগেছিল। হুট করে রেগে গিয়ে বলে উঠলি, ‘আমার সার্টিফিকেটগুলো আজই ফেরত দে।’

‘এক কাজ কর, পুরোনো ভাঙা সেটটা, বাকি সিমগুলো, তোর ন্যাড়া মাথার চুল আর ছবিগুলো আজ বিকেলে কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দে। পারবি না?’

তোর ইগোতে খুব লেগেছিল। হুট করে রেগে গিয়ে বলে উঠলি, ‘আমার সার্টিফিকেটগুলো আজই ফেরত দে।’

আমার জন্য তোর সমগ্র অর্জনকে বিসর্জন দিতে তোর কোনো দ্বিধা হয় নি কোনোদিন। যেদিন প্রচণ্ড জেদ করে বলেছিলাম, হাইকোর্টের দিকে তুই আর এক কদম পা বাড়াবি না, তোর আর কোনো বন্ধু থাকতে পারে না আমি ছাড়া, দু দিনের মাথায় ১০০ গ্রাম ওজনের যে কুরিয়ারটি টেবিলের উপরে দেখতে পেলাম সকালবেলা অফিসে ঢুকেই, তার ভিতরে ছিল তোর ভার্সিটির মূল সার্টিফিকেটের কপি, হাইকোর্টের আইডি, বাড়তি কয়েকটা মোবাইল সিম। কোনো দীর্ঘ চিঠি ছিল না বরাবরের মতো, ক্ষুদ্র চিরকুটে লিখেছিলি - এগুলো পুড়িয়ে ফেল বাবুসোনা, আমি শুধু তোকেই চাই।



নরম স্বরে বলি, ‘আমি এখন কক্সবাজার। বৃহস্পতিবারে ঢাকা গিয়ে শুক্রবারে পাঠাবো।’

‘সঙ্গে ফ’র দেয়া শাড়িটাও ফেরত পাঠিয়ে দিবি।’

আমি ঠাণ্ডা স্বরে স্বাভাবিক জবাব দিই, ‘ঠিক আছে। আর যা যা বললাম, সবই কিন্তু পাঠিয়ে দিবি আজকের মধ্যেই।’

‘তার কি আর দরকার আছে?’

‘কেন, ওগুলো দিয়ে তুই কী করবি?’

‘সার্টিফিকেটগুলো আজই পাঠিয়ে দে। খুব দরকার।’

‘শুক্রবারের আগে সম্ভব না। এখন রাখি। আমি জরুরি কাজে যাচ্ছি।’



লাইন কেটে দিই। এরপর তুই যথাস্বভাবে অনেকগুলো কল দিলি, পাগলের মতো। আমি চিরদিনের জন্য মোবাইল বন্ধ করে দিলাম।



বৃহস্পতিবার ঢাকা এলাম। ট্রাঙ্ক খুলে দেখি ফ’র দেয়া শাড়িটা নেই। এ’ নিয়ে গেছে। ওর সাথে রাগারাগি করলাম। বাসায় তোর দেয়া সর্বশেষ চিহ্ন একটা সাদা ফতুয়া ছিল। বের করলাম। তোর ভার্সিটির সার্টিফিকেট, হাইকোর্টের আইডি, তোর দুটো বাংলালিংক আর একটা গ্রামীণ ফোনের সিম- একদিন আমাকে পাঠিয়েছিলি- এসব পুড়িয়ে আকাশে ছাই উড়িয়ে দেব।



তোর আমানত, তোর দেয়া মায়াময় গিফ্‌টগুলো শনিবারে কুরিয়ারে ফিরিয়ে দিলাম।







২৬ এপ্রিলে তোর কুরিয়ার পাই। খুলতে গিয়ে এক্সাইটেড হয়ে গেলাম। তোর ছবি। পুরোটা মাথা, চোখের অর্ধেক, একপাশ থেকে তোলা; মুখের অংশ নেই। ছবি দেখে প্রথম ধাক্কায়ই মনে হলো, আমি তোর উপর খুব অত্যাচার করে ফেলেছি। আমি খুব নিষ্ঠুর, চোখের পানিতে মানলাম। সাথে সাথেই মোবাইল খুলে কল দিতে চেয়েছিলাম। যখন মনে হলো সার্টিফিকেটগুলো পেলে আমাকে আর খুঁজবি না, উৎসাহ হারিয়ে ফেললাম। তোর চুলগুলো প্যাকেটে ভরা, আমি ওগুলোর উপর হাত বুলিয়ে খুব আদর করলাম। তোর জন্য অনেক কাঁদলাম, অযথাই কষ্ট দিয়েছি তোকে- এ কারণে। তুই কি কোনওদিন আমার এই কান্নার কথা জানবি, আমার অন্তরের নিধি, পাগলি বুড়ি? কুরিয়ারে তোর চিঠি, প্রুডেক্স প্যাডের উপর লিখেছিস :



অনেক অপমান, অবহেলা, কঠিন সব শর্ত মেনে নিয়ে তোর সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু কী পেয়েছি?অনেক বেশি অপমান।

তুই বলেছিস, তোর কাছে বার বার ফিরে যাই বেহায়ার মতো... চলে যাচ্ছি, এ ন্যাড়া মাথা নিয়ে আর আসবো না। আমার খুব কষ্ট হবে রে! বুক ভেঙে যাবে। যতবার আয়নায় নিজেকে দেখবো, মনে হবে তোর দেয়া শাস্তি মনের শান্তি হিসাবে মেনে নিয়েছিলাম। প্রতিটা শাস্তি পার করতাম আর ভাবতাম- এটাই হয়তো শেষ। শুধু শাস্তিই দিয়েছিস, শাস্তির কখনো শেষ হয় নি। সার্টিফিকেটগুলোর দরকার, কারণ একটা চাকরি আমার না হলেই নয়। নয়তো আমার আমিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারছি না।

ভালো থাকিস।




আরেকটা টকুরোয় :



আমি ভুল করেছি, তোর মতো মিথ্যাবাদীর কথা বিশ্বাস করে। তোর জন্য সব হারিয়েছি। তবু তোকে পথে আনতে পারি নি। তুই একটার পর একটা শর্ত দিয়েছিস, আমি মেনে নিয়েছি। আর আমাকে বোকা বানাতে পারবি না। আমি তোকে চিনে ফেলেছি।



বিঃ দ্রঃ তুই আমার সাথে প্রতারণা করেছিস।






ফুটনোট :



গল্পটা বুঝতে অসুবিধা হলে দয়া করে সিকোয়েল ১ আর ৩ আগে পড়ে নিতে পারেন।



অ’ স’ ফ’ ল’ আর এ’ হলো ৫টি নামের আদ্যাক্ষর। ইচ্ছেমতো নামগুলো পুরো করে নিন। লিঙ্গ নির্ণয়ের ভারও আপনাদের উপরই ছেড়ে দিলাম।



গল্পে একটা ক্যারেক্টারের আদ্যাক্ষর উল্লেখ করা হয় নি। উৎসুক পাঠক সেটি নিজের গরজেই খুঁজে বের করবেন আশা করি।







৪ আগস্ট ২০১০







মন্তব্য ১১০ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (১১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১১

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: প্রথম প্লাস আমি দিছি.....

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথম প্লাসের জন্য ধন্যবাদ, এবং অভিনন্দন ;)

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

উড়ন্ত পোকা বলেছেন: বাহ :)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাহ ;) আপনাকে অনুসরণে নিলাম ;)

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

সায়েম মুন বলেছেন: এরকম ছেলেমানুষী ভাল না।
গল্পে একদম নাম থাকলে খুব ভাল হয়। পড়তে ঝামেলা কমে। /:)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এরকম ছেলেমানুষী ভাল না। একদমই ভালো না ;)

স্বীকার করছি ;) কিন্তু নিজের আনন্দে এটিকে সাংকেতিক করলাম ;)

ধন্যবাদ কবি।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রচন্ড আবেগ নিয়ে গল্প লিখেছেন । ক্যারেক্টারের নাম আদ্যক্ষরে দিয়েছেন, ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ??? হাহাহা, প্র‌্যাকটিকেল লাইফের ঘটনা না কি ??? না হলে তো এমন সাংকেতিক করার কথা না!!


০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমেই গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপনি ঠিকই বলেছেন, পুরোটাই প্র্যাকটিক্যাল লাইফের কাহিনি। ধরা পড়ার ভয় আছে। তারপরও জনস্বার্থে আদ্যাক্ষরগুলো প্রকাশ করা যেতে পারে। অসফল আর এ এমন হতে পারেঃ

অ - অবনী বা অঞ্জনা বা অনিক বা অনিকেত
স - সারা বা সারিকা বা সঞ্জয় বা সুবিমল
ফ - ফাইরুজ বা ফারহানা বা ফারুক বা ফাহিম
ল - লারা বা লিসপেথ বা লারকা বা লোটন
এ - এ্যানি বা এ্যামিলি বা এযাযুল বা একরাম

এবার এ নামগুলো বসিয়ে নিন ইচ্ছেমতো ;)

কেমন লাগছে এখন ;) ;)

শুভ কামনা ;)

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন:
এটা তোর জীবনের এমন এক ট্র্যাজেডি, যা কেবল আমার আত্মতুষ্টির জন্য ঘটেছিল। এটি এক পক্ষে এক মর্মন্তুদ নিষ্ঠুরতার কাহিনি, অপরপক্ষে নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগের কিসসা, যা কেউ কোনওদিন শোনে নি, এমনকি স্বপ্নেও ভাবে নি।
এটা কোনও মেয়ে কোনোদিনই করে নি তার প্রেমিকের জন্য, তুই ছাড়া। অথচ এ গল্প আমাকে কাঁদায় না। তোর এ বলিদান আমার অহমকে আরো ক্ষুরধার ও বিধ্বংসী করে তোলে। তোর অন্তর্নিহিত বেদনা পাঠকের মর্ম স্পর্শ করে না। পাঠকের কাছে এটি দূরবর্তী এক নির্জনতম বটবৃক্ষের মতো নিয়ত দুর্বোধ্যতর হয়ে উঠতে থাকে। এতে লুকায়িত আছে এমন এক রহস্য, সাধারণের কাছে যে-স্বাদ সহজলভ্য নয়। তবে যে-রাতে কোনও নিবিষ্ট পাঠকের কাছে এ গল্পের মর্ম উন্মোচিত হবে, তিনি তোর জন্য কাঁদবেন, আর আমার জন্য অবিরাম বর্ষিত হতে থাকবে অভিশাপ।


-- অসাধারণ লিখেছেন! স্তব্ধ মুগ্ধতা!


প্রিয়তে নিলাম। আপনি কারও একজনের অনেক খানি কথা লিখে ফেলেছেন!


শুভকামনা!


আপনার গল্পের বর্ননা ভঙ্গী খুব ভালো লাগলো, এবং ভাবতে বাধ্য করলো অনেকখানি!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার উদ্ধৃত অংশ পড়ে তো আমি নিজের প্রতিভায় নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম ;) তোমাকে অভিনন্দন সোনাবীজ ;) ;) তুমি এতো ভালো লিখেছ ;) ;)

হাঃ হাঃ হাঃ

আরেকজনের যদি অনেকখানি কথা লিখে ফেলে থাকি, এ লেখাটা তাহলে তাঁর জন্যই।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ খণ্ডিত ত চন্দ্রবিন্দু (৩ বার) ;) ;)

শুভেচ্ছা।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এভাবে নামহীন গল্প হলে পাঠকের কি অবস্থা হবে বলেন।গল্পটাও চমৎকার সান অভিমানের খেলায় জমজমাট। আমার কিন্তু ঠাড়পোকার সমান বুদ্ধি ভেঙে খুলে ন বললে অ স ফ ল এ এর আগামাথা বের করতে পারব না জীবণেও।কলা ছিলে খাইয়ে দিলে তারপর খাই।লেখা ভাল লেগেছে ।আমারটা ৫ নম্বর ++

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ খুব মজার মানুষ বটে। এমন মানুষ আমার খুব পছন্দ, কারণ আমি নিজেও এরকম কিনা ;)

মন্তব্যে খুব মজা পেয়েছি। এটা চিন্তা করেই উপরের কমেন্টে নামগুলো ভেঙে দিয়েছি। আপনার জন্য এরকম হতে পারেঃ

অ - অরিন অথবা অরিন্দম
স - সুলেখা অথবা সুরঞ্জন
ফ - ফারজা অথবা ফারিক
ল - লোরকা অথবা লিটন
এ - এ্যাঞ্জেলা অথবা এনাম

আশা করি এবার সব পাজলের সমাধান পেয়ে গেছেন ;)

ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই। ভালো থাকুন।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

কাজলরেখা-০১ বলেছেন: বাহ! ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কাজলরেখা-০১।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:


মুগ্ধ হয়ে পড়লাম আর আবেগী হয়ে পড়লাম।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়তে পেরেছেন এটা জেনে খুব ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আমিনুর রহমান ভাই। ভালো থাকুন।

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

ভারসাম্য বলেছেন: এইডা কি ডিটেকটিভ গল্প!!! :(

সফল হইতে পারলাম্না , চাইলামও না। ফুটনোট বাদ দিলে গল্প ভাল্লাগসে। +++ :((

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কী অদ্ভুত! গল্পটা যেদিন আমি শেষ করেছিলাম, লাস্ট লাইনে এসে আমার মনে হঠাৎ এ প্রশ্নটা উঁকি দিয়েছিল - ডিকেটিভের মতো হয়ে গেলো নাকি!!! আপনি সে প্রশ্নটাই করলেন দেখে অবাক না হয়ে পারছি না ;)

গল্প ইট্‌সেল্‌ফ ডিটেকটিভ না তা জোর গলায় বলা যায়; তবে পাঠ শেষে পাঠকের মন ডিটেকটিভ হয়ে উঠবে প্রথমত নামগুলো কী কী হতে পারে তা খোঁজার জন্য, দ্বিতীয়ত, নিশ্চয়ই কোনো সত্য ঘটনা এতে লুকানো রয়েছে, যা আড়াল করা হয়েছে- যা বের করার জন্য পাঠক ব্যস্ত হয়ে পড়তে পারেন। তবে এ ব্যস্ত জীবনে কোনো গল্প একাধিকবার পড়ার ফুরসত নেই। কিন্তু আমার একটা স্বভাব আছে- ধাঁধা বা কুইজ জাতীয় বস্তু একবার আমার মাথায় ঢুকে গেলে তার সমাধান বের না করা পর্যন্ত আমার স্বস্তি হয় না, আর এর মধ্যেই আমি প্রচুর আনন্দ পাই। আমি ভাবলাম, এমন একটা খেলা খেলেই দেখি না, কোনো না কোনো পাঠকের এ খেলা ভালো লেগেও যেতে পারে ;)

ফুটনোট বাদে বাকি গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম অভি ভাই। ধন্যবাদ পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা থাকলো।

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

বোকামন বলেছেন:
১ এর প্রথম অংশটি ভালো লেগেছে এবং বাকিটুকু পড়তে ভালো লেগেছে। একখানা প্লাস এবং প্রিয় লেখকের জন্য শুভকামনা রইলো।।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্ট তো গল্পের চেয়েও বেশি রহস্যময় হয়ে গেলো প্রিয় বোকামন ভাই ;)
একখানা প্লাস এবং প্রিয় লেখকের জন্য শুভকামনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন।

১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প পড়ে আবেগি না হয়ে কেমন খুশি খুশি লাগল! নিজের মনের সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ করব কিনা চিন্তা করছি।

আর, সপ্তম প্লাসটা আমি দিয়েছি।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ১০০% সুস্থ। গল্পের পরিণতি যেভাবে ঘটবে চাইছিলেন, সেভাবেই ঘটেছে বলে আপনার খুশি খুশি লাগছে। এটাই স্বাভাবিক। আমার এরকমটাই হয়ে থাকে।

পড়ার জন্য আর সপ্তম প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব।

১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রথম বার পড়ার পর মনে হয়েছিল অদ্যাক্ষরে চরিত্র নামকরনের পেছনে কোন কিছু আআছে নাকি ? অসফল ! গল্পের অসফল কিছু সমাপ্তির পেছনে এদের হাত থাকলেও থাকতে পারে ! সে রকম কিছু পাইনি , কথকের গোয়ার্তুমী আর এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা সব রকমের বিষাদের জন্য দায়ী ! প্রথমবার কিছুটা বিরক্ত হচ্ছিলাম অক্ষর দিয়ে চরিত্র মনে রাখতে , পরের বার মনে হলো ঐ চরিত্র গুলো আসলে গৌণ চরিত্র , নাম টা ফ্যাক্ট ই না , মূল আকর্ষণ তুই আর "পাখি " ! যে ক্যারেক্টারের অদ্যাক্ষরের নাম কুইজ দিয়েছিলেন সেটা হচ্ছে "প" ! আই মিন কথকের নাম "প" !
চমৎকার স্টাইল পাঠক মনোযোগ না দিলে বুঝবেনা কি হচ্ছে , মজা পেতে হলে মনোযোগী হতে হবে !
৮ নাম্বার প্লাস টা মনে হয় আমার !

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাকে তো অবাক করে দিলেন। কোডিক অক্ষরগুলো একটা সার্থক শব্দ সৃষ্টি করে, যেটি হলো ‘অসফল’ যা দ্বারা একটা অসফল পরিণতির প্রতি ইংগিত দেয়া হয়েছিল। আপনার দ্বিতীয় পয়েন্টটাতেও আমি খুব বিস্মিত হলাম- আমিও এক সময় এরকম ভাবছিলাম, গল্পে নামগুলোর ভূমিকা খুবই কম, নেই বললেই চলে। ‘আমি শুনেছি সেদিন নাকি তুমি তুমি তুমি মিলে তোমরা সদলবলে সভা করেছিলে।’ এখানে কয়েকটা ‘তুমি’ কতগুলো মানুষকে নির্দেশ করে গেলো- তাঁদের নামগুলো জানার কি কোনো প্রশ্ন জাগে মনে?

‘প’ হয় কীভাবে? অসফল আর এ’তে কোনো ‘প’ নেই তো!!! ‘ফ’ লিখতে চেয়েছিলেন? না, ‘ফ’-এর উল্লেখ আছে ;)

সবশেষে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য।

১৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: তুই বলেছিলি- ‘আমার মৃত্যুর পর এসে দেখে যাস্ পাখি, আমি আর কোনওদিন চুল কেটেছিলাম কিনা।’

পাখি তো মানুষের নাম হতেই পারে ! আমার দূর সম্পর্কের এক ভাইয়ের নাম পাখি ! তাই ভেবেছি যে ক্যারেক্টারটাকে আপনি অদ্যাক্ষর দিয়ে প্রকাশ করেন নি সেটাই "পাখি" !
আমি ভুল হলেও হতে পারি ! লেখকের মগজে পুরো প্রবেশ করা সম্ভব না , অন্তত আমার মত বোকারাম দিয়ে !
;) ;)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ আমার জন্য তো দেখি আরেকটা নতুন দিক খুলে দিলেন ;) এটাও যে ভাবা যেতে পারে তা লিখবার সময়ে ভাবলে অক্ষরগুলো আরেকটু র-এ্যারেঞ্জ করা যেত!

আপনি লেখকের মগজে ঢুকে সবগুলো তার ছিঁড়ে ফালি ফালি করে দিয়েছেন ;)

‘পাখি’, ‘বাবুই’, ‘বাবুই পাখি’, ‘বাবু’ এগুলো খুব আদুরে ডাক, যেমন ‘জান’ বা ‘জানু’ ;) আমি আদতে ‘প’-এর কথা ভাবি নি ;)

এবার বলুন তো, ‘ল’ কে?

১৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গল্পে একটা ক্যারেক্টারের আদ্যাক্ষর উল্লেখ করা হয় নি। উৎসুক পাঠক সেটি নিজের গরজেই খুঁজে বের করবেন আশা করি।

সেই ক্যারেক্টারের নাম পাখি , আর অদ্যাক্ষর "প" !
অসফল পরিনতি !
পোষ্ট প্রিয়তে !

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এবার আপনি সত্যিই ডিটেকটিভ হিসাবে অবতীর্ণ ;) তবে আমার পক্ষে এটাই বলা যায়, দয়া করে আপনি উপরের রিপ্লাইটা দেখুন ;)

১৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ' ;) ;) ;) ;) " ল " নামের কেউ নেই ! থাকার দরকার ও নেই !
অসফল একটি পরিণতি হতে পারতো গল্পের নাম , তাই 'অ' , 'স', 'ফ' 'ল' নিয়ে এসেছেন , তিনটা চরিত্র থাকলেও একটা বাদ রেখেছেন , পাঠকের সাথে ভালই মজা নিয়েছেন ! আর "এ " তো আছেই , আর পরিণতির "প" লুকিয়ে রেখেছেন পাখির মধ্যে ! গল্প এমন ভাবে এগিয়েছে "আমি শুনেছি সেদিন নাকি তুমি তুমি তুমি মিলে তোমরা সদলবলে সভা করেছিলে।" তুমি গুলোকে জানতে ইচ্ছে করেনি ! করছে ও না ! শুধু তুই তেই সকল মনোযোগ ছিল !

শুধুমাত্র শিরোনামে গল্পের অসফল পরিণতি রহস্য করে বুঝাতেই "ল" এর আগমন এবং অদ্যাক্ষর দিয়ে গল্প চালিয়ে নেয়া !
পারেন ও ! শুভকামনা অনেক অনেক !

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চুলচেরা বিশ্লেষণ! এ বিশ্লেষণের জবাব নেই। কিন্তু যিনি লেখেন একটা কিছু তাঁর মাথায় তো থাকেই, তাই না? আপনি যেহেতু অনেক গবেষণা করেই ফেলেছেন ইতিমধ্যে, আপনাকে আর যন্ত্রণা দেয়া ঠিক হচ্ছে না ;) একটা ক্লু দিলেই ব্যাপারটা পানির মতো স্বচ্ছ হয়ে যাবে আশা করি।

‘তুই’টার নাম কী? নিশচয়ই ধরতে পেরেছেন, তাই না?

এবার আরেকটা ধাঁধার অবতারণা করি, উত্তরটা খুব সহজ, আবার কঠিনও হতে পারে। একটা ক্যারেক্টারের কোনো নাম বা আদ্যাক্ষর এখানে যুক্ত করা হয় নি। সে কে?

উত্তর দেবার প্রয়োজন নেই। কিছু রহস্য অব্যক্ত থাকুক আপাতত;)পরবর্তী কমেন্ট-রিপ্লাইয়ে তা বের হয়ে আসলেও আসতে পারে ;)

ভালো থাকুন স্বপনবাজ ভাই।

আর অবশ্যও অনেকগুলো ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য। শুভেচ্ছা।

১৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আপনার লেখার সবচেয়ে বড় শক্তি, আমরা পাঠকরা সহজেই নিজের করে নিতে পারি। মনে হয় এই দৃশ্যপটে আমিই ছিলাম।
খুবই ভালো লাগলো।
কিন্তু একটা অনুযোগ, নাম দিলে পাঠ টা অনেক সহজ হত।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটায় সহজেই নিজের করে নিতে পেরেছেন, এটা আমাকে খুব আনন্দিত ও উদ্বেলিত করলো।

অনুযোগটা মাথা পেতে নিলাম। প্রায়শ্চিত্ত করে দেব অন্যত্র ;)

ধন্যবাদ আশরাফুল ভাই।

শুভেচ্ছা।

১৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :) :)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
:) :)

১৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

আমিভূত বলেছেন: ক্যামন জানি লাগলো !! কেমন কে 'ক্যামন ' লেখার পর যেমন অনুভূতি দাঁড়ায় আজকের লেখাটা পড়েও তেমন অনুভূতি :(

বুঝতে পারিনি হয়ত গল্পটি :(

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটি হয়তো ঠিকই বুঝতে পেরেছেন, কিন্তু আপনার মনের মতো হয় নি বলেই ‘ক্যামন’ হয়ে গেছে। এটা নিশ্চয়ই আমার ব্যর্থতা। ভবিষ্যতে চেষ্টা করবো প্রাঞ্জল ও সাবলীল লেখা উপহার দেয়ার জন্য।

ধন্যবাদ আপু, অনেক ধৈর্য্য নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা।

১৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি ভাবলাম স তে সেলিম আনোয়ার কিন?আমিএকটুআত্নকেন্দ্রিক টাইপ সব কিছুতে নিজেকে খুজে বেড়াই :P যাক জট খুলে দেয়াতে ভাল হয়েছে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হা: হা: হা: এ নামটাও হতে পারে, আমরা কি আর অতশত জানি?

জট যে খুলে গেছে তাতে আমার অনেক আনন্দ হচ্ছে সেলিম আনোয়ার ভাই। শুভেচ্ছা।

২০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ত্রিমাত্রিক গল্পটি অসম্ভব ভালো লেগেছে! আরেকটি কমেন্ট লিখার ইচ্ছে ছিল, গল্প থেকে কিছু অংশ বাদ দিয়ে, তাহলে হয়তো তুই আর আমি ধাঁধা টা সহজ যেত আর গল্পের মেসেজটি একই থাকতো, ঠিক ই বলেছেন কিছু টুইষ্ট থেকে যাক পরবর্তী পাঠকদের জন্য! শুভকামনা জানবেন অনেক অনেক! ভিন্ন মাত্রার গল্প উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার স্বভাভটা একদম আপনার মতো। কিছু একটা মাথায় ঢুকলে তার শেষটা না দেখা পর্যন্ত স্বস্তি হয় না ;)

যাক, আপনি আবার আসলেন, খুব ভালো লাগছে। তবে কিছু অংশ বাদ দিয়ে লিখলেও আরেকটা ভিন্ন উপাদানের গল্প হতে পারে, স্বীকার করছি। অনেক পরিশ্রম করেছেন। তা না হলে বলতাম ওটি করে দেখাতে। কিন্তু ভয় হচ্ছে, আমি নিজেই যদি আবার পাজল্‌ড হয়ে যাই!!

আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা, এবং ধন্যবাদ দিচ্ছি না, এর চেয়েও বেশি কিছু।

ভালো থাকুন।

২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রথমে একটানে পড়লাম তারপর ফুটনোট পড়ে আবার গল্প পড়লাম তারপর মন্তব্য দেখে পুরো গল্পটা ক্লিয়ার হলো।

অসাধারন ও অনন্য একটি উপস্থাপনা গল্পের।

++++++++++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ এ গল্পটা আপনি ২ বার পড়েছেন সেটি আমার অনেক বড় প্রাপ্তিই বলতে হয়। এই ফাস্ট মুভিং লাইফে একটা গল্পের পুরোটা পড়ারই সময় হয় না, তার উপর ২ বার! নিবিষ্ট পাঠক না হলে কীভাবে সম্ভব হতো!

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা কাণ্ডারী ভাই।

২২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ঊ!!! লেখাটার ১ পড়েই বুঝতে পারছি আবার পড়তে হবে। "তুই" সম্বোধনে আমার একটা লেখা লেখার খুব ইচ্ছে ছিল :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ‘তুই’ সম্বোধনে আপনার লেখাটা তাড়াতাড়ি দেখার ইচ্ছে পোষণ করছি। কবে নাগাদ তার শুভমুক্তি ঘটতে পারে ;)

ধন্যবাদ জী শ্যাডো গল্প পড়বার জন্য।

শুভেচ্ছা।

২৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বাস্তবেও দেখি আপ্নে অত্যাচারী! :|

সাংকেতিক নাম সহ পড়তে খানিকটা অস্বস্তি ছিল। শেষে আরেকটা নাম খুঁজবার হ্যাপা পোহানোর আগেই প্রতিবাদ জানাই।


০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে হাসতে হাসতে জান শেষ ;) ;) ;) কী জবাব দিব খুঁজে পাচ্ছি না ;)

মজার কমেন্টের জন্য ভালো লাগা জানাচ্ছি জুলিয়ান ভাই।

ভালো থাকুন।

২৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৯

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: আপনার প্রোফাইল পিকচারটা দেখেই আসলাম। সুন্দর লাগলো।

ভালো লিখেছেন :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো লাগলো যে আমার প্রোফাইল পিকচারটা দেখে ব্লগে এসেছেন। ভালো লিখেছি এটাও খুব আনন্দ লাগলো।

আমার আরও আনন্দ হচ্ছে আপনার মতো একজন গ্রেট ওয়ারিয়রকে দেখে।
শুভেচ্ছা থাকলো, প্রিন্স অফ ট্রয় ;)

২৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৬

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
গল্পটা পড়লাম...

নামগুলো বসিয়ে আবার পড়বো...

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সুপান্থ সুরাহী ভাই। ভালো থাকুন।

২৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৫৮

কয়েস সামী বলেছেন: অনেক আগের লেখা, শুরু করেই বুঝেছিলাম। নামের ব্যাপারটা আসলেই ইন্টারেস্টিং।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক আগের লেখা!! ;) শুরুতেই কী করে বুঝে ফেললেন? যাকগে, কথাটা ঠিক। নিচে রচনা তারিখ উল্লেখ আছে ;)

ধন্যবাদ কয়েস সামী। ভালো থাকুন।

২৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০২

নস্টালজিক বলেছেন: পড়তে গিয়ে কেনো যেনো মনে হচ্ছিলো লেখার সময় আপনি আনন্দে ছিলেন বা লেখাটা শেষ করে আনন্দমুখ ছিলো আপনার!


ভালো লাগলো পড়ে!



শুভেচ্ছা, খলিল ভাই!


ভালো থাকুন নিরন্তর!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কথাটা যে শতভাগ ঠিক সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। একটা লেখা শেষ করার সাথে সাথে মনে হয় এটিই আমার এ যাবত কালের সেরা লেখা ;) আর যখন লেখার ভেতরে ডুবে থাকি তখন তো সেটা অন্য ভুবন- লিখবার আনন্দ মনের মধ্যে না থাকলে তো লেখাই যাবে না। ----- এ ব্যাপারটা তো মনে হয় সবার মধ্যেই ঘটে!

লেখাটা শেষ করে সত্যিই খুব তৃপ্তির সুখ পাচ্ছিলাম।

লেখা ভালো লাগলো জেনে ভালো লাগছে নস্টালজিক ভাই।

আপনার জন্যও শুভেচ্ছা। আপনিও নিরন্তর ভালো থাকুন।

২৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১১

শাহেদ খান বলেছেন: অদ্ভূত এবং ব্যতিক্রম উপস্থাপন!

ক্রিস নোলানের মুভি'র মত মনে হল। একবার দেখার পর ২য়বার দেখাটাও মোটামুটি বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায় !

গল্পটা লেখা হয়েছে ২০১০-এ। আর গল্পের প্লট ২০১২-১৩। সবটাতেই অন্যরকম কিছু!

১-এর প্রথম প্যারা'র কথাগুলো তো রীতিমত ক্লাসিক !

নামগুলো নিয়ে ভাবতে যাইনি আর। শুধু ২য়বার পড়ার সময় 'তুই'-এর নাম 'ললিতা' ভেবে পড়তে শুরু করেছিলাম। শেষে ভাবলাম 'লীনা' হলেও খারাপ হয় না, চরিত্রটা কার মাঝে যেন 'লীন' (বা, বিলীন) হয়ে গেছে... একান্তই নিজের ভাবনা-চিন্তা।

চমৎকার পোস্টে অবশ্যই প্লাস !

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একজন দুর্দান্ত কবি ও গল্পকারের কাছ থেকে এমন কমেন্ট পেলে যুগপৎ উচ্ছ্বাস ও লজ্জা দুটোতেই ভীষণ ঘায়েল হয়ে গেলাম ;) ;) আমার সৌভাগ্য যে এভাবে গল্পটা পড়ে একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকারের মুভির সাথে তুলনা করলেন।

গল্পটা ধীরে ধীরে আমার হাত কচলে বেরিয়ে যাচ্ছে পাঠকের মনের ভিতর। আমারও তো মনে হচ্ছে, তুই-এর স্থলে ললিটা বা লীটা বসিয়ে দিলেও ধাঁধার জবাব মিলিয়ে দেয়া যায়। এটা সুন্দর বলেছেন, কারো মাঝে ‘লীন’ হয়ে গেছে ‘লীনা’ নামের মেয়েটি। সুন্দর আইডিয়া।

এমন কমেন্টে আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যায় না কিছুতেই।

ভালো থাকুন সাহেদ ভাই।

২৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

অদৃশ্য বলেছেন:




কবি


খুবই ইন্টারেষ্টিং গল্প... কিছুটাতো ধন্দের মধ্যে পড়তেই হয়... টবে আপনার জবাব গুলো দেখে অনেকটা ক্লিয়ার হয়ে গেলাম...

খুবই ভালো লেগেছে আমার...


শুভকামনা...

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় কবি, আপনি ঘটনাটা সম্পর্কে ক্লিয়ার হতে পেরেছেন এটাও আমার জন্য বড় আনন্দ। খুবই ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত বোধ করছি।

অদৃশ্য’র জন্যও অনেক শুভ কামনা।

৩০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

শাহেদ খান বলেছেন: অনেকক্ষণ চেষ্টা/অপেক্ষা করলাম। 'প্লাস' বাটন'টা কোথায় যেন নিরুদ্দেশ !

:(

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার আসলে কোনো পোস্টে প্লাস বাটন প্রেস করা হয় না। মনেই থাকে না। কবে কার পোস্টে ‘প্লাস’ দিয়েছি, আদৌ দিয়েছি কিনা মনে পড়ে না। তবে এটা বদ্‌ অভ্যাস, স্বীকার করছি। প্লাস দেবার অভ্যাসটা গড়ে তুলবো শীঘ্রই। আর যেহেতু এ ব্যাপারটায় আমি ততটা সিরিয়াস না, অতএব, নেভার মাইন্ড। বাটন পেলেন কী পেলেন না, কোনো ব্যাপারই না।

ভালো থাকুন।

৩১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

শায়মা বলেছেন: ২৯ মার্চে তুই পারলারে গিয়েছিলি।
আর কোনওদিনই চুল ছাঁটবি না, আমার ইমোশন দেখে এ কথা বলেছিলি- ২০১২-এর জুন মাসে, সায়েন্স ল্যাবরেটরির দক্ষিণ মোড়ে দোতলার রেস্টুরেন্টে বসে। আমার চোখে পানি ছিল। জুন ২০১৩-তে অ’কে নিয়ে তোর সাথে দেখা করতে গেলে আমার সন্দিহান চোখ কুঞ্চিত হয়- দেখি, তোর চুল ছাঁটা, আর ভ্রু প্লাক করেছিস। আমি আশ্চর্য হই। সেদিনও আমার চোখে পানি আসে; তুই কথা রাখলি না!
প্রথমে অস্বীকার করলি, পরে চাপের মুখে বললি, অ’র চেয়ে সুন্দরী আর স্মার্ট দেখাবে তোকে, সেজন্য এটা করেছিস। হায়, যদি আমাকে বলে করতিস! আমি কি ধরে নিতে পারি না, অন্য কোনও উদ্দেশ্যে এটা করেছিলি!
তুই চুল ছাঁটবি, এ কথার প্রতিবাদ না করে বরং আমি সর্বমোট চারবার কেঁদেছিলাম তোর সামনে। তুইও তোর মৃত্যুর কসম খেয়ে বলেছিলি, জীবনে আর কোনওদিনই চুল ছাঁটবি না। সেই তুই আমার অবর্তমানে- যখন ২৮ দিন ধরে অভিমানে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছিলাম- সেই সময়ে পারলারে গিয়ে চুল ছেঁটে এলি। আমার বিশ্বাস ছিল, এ কাজটা তুই করতে পারিস না। তুই বলেছিলি- ‘আমার মৃত্যুর পর এসে দেখে যাস্ পাখি, আমি আর কোনওদিন চুল কেটেছিলাম কিনা।’ আমার আবেগ তুঙ্গে ছিল- সেই তুই এ কাজটা করলি! চোখের পানির কোনও দামই দিলি না! তুই বললি, ‘মোবাইল বন্ধ রেখেছিলি বলে রাগ করে চুল ছেঁটেছি, স’ সাক্ষী।’ রাগ করে চুল ছেঁটে সুন্দরী না সেজে পুরো মাথাটাই ন্যাড়া করে ফেলতিস- ক্ষোভের সঙ্গে আমি এ কথাটা বলেছিলাম।









:( :( :(

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ক্রিটিক্যাল পয়েন্টটা টুকে দিলেন যে!

৩২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

শায়মা বলেছেন: তোমার নামাকরণ নিয়ে যাই খেলা করো ভাইয়া আমি জানি অ তে অহনা।:P

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যে!টাওহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহওওওওওওওহোহোহোহোহোহোহো.....অবিশ্বাস্য ..... অবিশ্বাস্য..... আপনার মাথায় কীভাবে ঢুকলো এ নামটা? আমাকে খুব অবাক করে দিলেন।


ধন্যবাদ থাকলো :) :)

৩৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: সুন্দর গল্প। ভালোলাগা জানবেন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক ভাই, পাঠের জন্য।

৩৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

আফসিন তৃষা বলেছেন: ২৮ দিন কথা না বলে থাকা!! এ কেমন অভিমান রে বাবা! তবে আমি এরকম একজনকে দেখেছি। অনেকদিন কথা না বলে থাকতো। ওদের ব্যাপারটা শেষপর্যন্ত টিকেনি।
গল্পের মাঝখানে বেশ কিছু শব্দচয়ন মনে ধরেছে।
তুই চুল ছাঁটবি, এ কথার প্রতিবাদ না করে বরং আমি সর্বমোট চারবার কেঁদেছিলাম তোর সামনে।

আর গল্পের নায়কের উপর খুবই মেজাজ খারাপ হচ্ছে। ইচ্ছে করে কষ্ট দেয়া এরকম মানুষকে যে কিভাবে শাস্তি দেয়া যায় তাই ভাবছি।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

আর গল্পের নায়কের উপর খুবই মেজাজ খারাপ হচ্ছে। ইচ্ছে করে কষ্ট দেয়া এরকম মানুষকে যে কিভাবে শাস্তি দেয়া যায় তাই ভাবছি।


গল্পের নায়কের টুঁটিটাও তো ধরতে পারবেন না, কারণ সে ধরাছোঁয়ার বাইরে ;) অতএব শাস্তি তার যা প্রাপ্য সেটুকু আমাকেই দিন- তবু আপনার আত্মা শান্তি পাক, মেজাজ শান্ত হোক :)

আপনার পরিচিত জুটির জন্য সত্যিই মন খারাপ হচ্ছে, যেমন আমার এ 'অসফল' জুটির জন্য হচ্ছে :)

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

বৃতি বলেছেন: ল হচ্ছেন গল্পের নায়িকা "তুই" । এবং যে ক্যারেক্টারের আদ্যাক্ষর উল্লেখ করা হয়নি, তিনি হলেন গল্পের কথক জনাব "আর" ।
অন্য চরিত্রগুলো হোল, অ=নায়কের সুন্দরী বান্ধবী, স= নায়িকা "তুই" এর বন্ধু অথবা বান্ধবী, ফ=শাড়ী গিফট করা ব্যক্তি, এ=শাড়ী বহন করে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তি ।
আপনার লিখা আগে পড়ার সুযোগ হয়নি । মনে হচ্ছে আপনি শব্দ নিয়ে খেলেছেন এই গল্পটাতে । তবে অভি'র বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে ।
গল্পে প্লাস ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ল হচ্ছেন গল্পের নায়িকা "তুই" । অভিনন্দন। খুবই মুগ্ধ হলাম আপনার সলিউশন দেখে।

এবং যে ক্যারেক্টারের আদ্যাক্ষর উল্লেখ করা হয়নি, তিনি হলেন গল্পের কথক জনাব "আর" । এখানেও আপনি বিজয়ী। তবে উহ্য ব্যক্তির নাম নেই, সে একটা এ্যানোনিমাস ক্যারেক্টার। তবে যে কোনো একটা নাম অনায়াসেই কল্পনা করে নেয়া যায়, যেমন ‘আর’।

অন্যান্য কোডগুলো সঠিকভাবেই ভেঙেছেন, এ‘ ছাড়া ;) খেয়াল করুনঃ

ট্রাঙ্ক খুলে দেখি ফ’র দেয়া শাড়িটা নেই। এ’ নিয়ে গেছে। ওর সাথে রাগারাগি করলাম।
কি মনে হয়? কে হতে পারে?

সর্বোপরি, আপনার পারফরম্যানসে আমি চমৎকৃত।

জীবনে প্রথমবারের মতো আমার বাসায় বসলেন। আশা করি আগামীতেও আসবেন। ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ।

৩৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

রুপ।ই বলেছেন: ভাল লেগেছে ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কে আপনি?

এয়োরা সব ক্ষীর ছোঁয়ায়ে কনের ঠোঁটের কাছে,
সে ক্ষীর আবার ধরল যখন রূপার ঠোঁটের পাছে;
রূপা তখন ফেলল খেয়ে ঠোঁট ছোঁয়া সেই ক্ষীর,
হাসির তুফান উঠল নেড়ে মেয়ের দলের ভীর।
ভাবল রূপাই অমন ঠোঁটে যে ক্ষীর গেছে ছুঁয়ে,
দোজখ যাবে না খেয়ে তা ফেলবে যে জন ভূঁয়ে।


আপনাকে কি চিনতে পেরেছেন?

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৬

আরজু পনি বলেছেন:

:(
অমন করে লিখেন কেন?!

:( :(

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার বিষণ্ণ বদন দেখে আমার মনও বিমর্ষ হয়ে উঠছে :( থাক কাঁদে না আপু :(


ধন্যবাদ আপু পড়ার জন্য।

৩৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০১

সোমহেপি বলেছেন: গল্পটা আগে পড়েছিলেম মনে হচ্ছে।অবশ্য যদি আমার ভুল না হয়।

না আমার ভুল হেতই পারেনা। আগে কোথায় পড়েছিলাম।

নাকি অন্য কারো গল্প?

অনেক আবেগ নিয়ে লিখচেন খলিল ভাই।

অনেক ভালো লাগা।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ভুল হতে পারে তা বিশ্বাস করি না ;) নিশ্চয়ই লেখাটা এর আগে হয়তো দেখে থাকবেন। লেখাটা আমারই ;)

অনেক আবেগ নিয়ে লিখেছি পাঠকের কমেন্ট থেকে তা এখন স্পষ্ট।

ধন্যবাদ ইমন ভাই। শুভ কামনা।

৩৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

অদৃশ্য বলেছেন:





কবি

লিখাটি পড়বার পর থেকে বেশ কয়েকবার এসেছি... কে কি লেখে দেখবার জন্য... বৃতি চমৎকার ভাবে বলেছেন, দেখেছি... আর আপনিও তাতে সায় দিলেন... তারপরেও আসলে আপনি, একমাত্র আপনিই সঠিকভাবে বলতে পারেন...


শুভকামনা...

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সমরবিদ্যায় ‘দি সলিউশন’ বলে কোনো কিছু নেই, সবই হলো ‘প্রোব্যাবল সলিউশন’। আমি যেভাবে একেকটা নাম দাঁড় করিয়েছিলাম, এখন দেখা যাচ্ছে তা ছাড়াও আরও অপশনে নামগুলো বসিয়ে দেয়া যায়। এতে আমি নিজেই ঘাবড়ে যাচ্ছি, সেই সাথে অবাকও হচ্ছি ;)

যাই হোক, যাঁরা ট্রাই করেছেন তাঁরা হয়তো হুবহু আমার মতো করে সাজান নি, কিন্তু তাঁদেরটাও সমভাবে কার্যকর হবে হয়তো। তবে বৃতি’র সলিউশনটা আমার সলিউশনের খুব কাছাকাছি। অভি ভাইও প্রায় একই সমান্তরালে আছেন।

অদৃশ্য’র জন্য শুভ কামনা।

৪০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

বৃতি বলেছেন: আবারো এলাম ।
গল্পটাতে কথক আর ল' প্রেমিক প্রেমিকা, স্বামী স্ত্রী নয় । একজন অবিবাহিত ছেলের ট্রাঙ্কে কারোর দেয়া শাড়ী থাকবে, ব্যাপারটা বেমানান; যদি না সেই শাড়ী মা'র দেয়া হয় । মনে হচ্ছে ফ=কথকের মা, ভবিষ্যত বৌ এর জন্য শাড়ী কিনেছেন, এ=কথকের বোন যে কিনা কথকের ট্রাঙ্ক খোলার অধিকার রাখে, ভাইকে না বলে শাড়ীটি নিজের জন্য নিয়ে গেছে । তবে ল কেন তার ভার্সিটির সার্টিফিকেট, হাইকোর্টের আইডি ছেলেটির কাছে রেখেছে তা বুঝিনি ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্টে আমি খুবই চমৎকৃত ও অবাক হচ্ছি। ২-এর ২য় প্যারায় কিছু সংযোজন আছে, লক্ষ করলে মিসিং লিংকটা হয়তো এখন বুঝতে পারবেন।

অনেক শুভ কামনা।

৪১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আবার চলে আসলাম আপনাকে বিরক্ত করতে ! দীর্ঘ একটা সময় এসিএম প্রোগামিং করেছি ! তাই একটা বদ -অভ্যাস আছে , সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে থাকা , সম্ভাব্য সব রকমের লজিকাল পদ্ধতি এপ্লাই করে ! কিন্তু মানুষ বলে কথা, যে ভাবে ভেবে যাচ্ছি তা ভুল বুঝতে পেরে অন্য ভাবে ভাবা শুরু , প্রবলেম সেটারের মাইন্ড ধরতে পারলেই চলে আসতো আসল সমাধান ! এটা তো আর গানীতিক সমস্যা না আর আমাকে কোড ও করতে হবেনা , যে প্রোগাম টা বলে দিবে সবগুলো লুকায়িত সমস্যার সমাধান! এটি একটি চমৎকার গল্প ! আসলে আপনি বেশ কয়েকটা চিন্তা করে গল্প টা সজিয়েছেন !
গল্পের পরিণতির জন্য অদ্যাক্ষরে লুকিয়ে থাকা চরিত্রগুলোকে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় নি , তাই ওরা আমি কিংবা তুই এর কি হয় সেদিকে যাই নি ! শুধু মনে হয়েছে শিরোনামে আপনি ইঙ্গিত দিয়েছেন অসফল একটি পরিণতির ! সেই ইংগিতে পরিপূর্ণতা আনতেই অদ্যাক্ষরে চরিত্র সাজিয়েছেন ! সেখানে কেউ যদি এটা ধরেই ফেলে তাহলে তাকে আর একটু কনফিউসড করে দেয়ার জন্য 'ল' লুকিয়ে রেখেছেন ! গল্পের কোথাও 'ল' এর ছিটেফোটা নেই ! বৃতির লজিকে 'ল' হতে পারে তুই নামক চরিত্র টি যেটা আমার কাছে শুধুই 'তুই ' ! আপনি অসফল করতে ল টা রেখে দিয়েছেন ! তুই যদি 'ল ' হয় তাহলে গল্পে অন্তত একবার তাকে 'ল' নামে ডাকার বা কিছু একটা বুঝানোর ইঙ্গিত দেয়া দরকার ছিল ! আরো মজা করে লুকায়িত আরেকটি ক্যারেক্টারের নাম জানতে চাইলেন , যেটা অধ্যাক্ষরে নেই ! আগেই বলেছি আমার মত সেটা পাখি ! আদর করে 'তুই ' তো কথককে "বাবুসোনা" ডাকে !
পাখি তো না ! ;)

গল্পের পার্শ চরিত্র গুলো কে কার কি হয় সেটা গল্পের জন্য জরুরী মনে হয়নি তাই আমি সে রাস্তায় হাটিনি ! এইজন্য যদি "Wrong answer ! "
দেন তাহলে সেটা সমাধানের চেষ্টা টাও করতে পারি ! ওদের দুইজনের সম্পর্ক "বন্ধু কিন্তু প্রেমিক/প্রেমিকা "কিংবা "প্রেমিক/প্রেমিকা কিন্ত বন্ধু", অ' দুজনেরই বন্ধু , নিঃসন্দেহে সুন্দরী মেয়ে , যার চুল কাটার কারণে তাকে সুন্দর লাগতো , স' "তুই " এর রুমমেট কিংবা বান্ধবী কিংবা বোন ! ফ' হতে পারে ওদের কোন শুভাকাঙ্খী বন্ধু কিংবা পরিবারের কেউ আর এ' কথক কিংবা "পাখির" বোন কিংবা ভাই ! এগুলো নিয়ে চিন্তা করা অর্থহীন তাতে গল্পের কিছু আসে যায় না ~ "ল" কই গেলো ! 'ল' নিয়ে এসেছেন আমার মত উৎসুক পাঠকদের কনফিউসড করে মনে মনে হাসার জন্য ! "ল" কেউ না , 'ল' এসেছে অসফল কে সফলতা এনে দিতে !
বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত বলে গেলাম ! দরকার হলে আবার আসবো !

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সামিরার বান্ধবী লোপার সাথে আমার প্রেম সংঘটিত হলে এর মাত্রা ও ভয়াবহতা গতানুগতিকতাকে ছাড়িয়ে গেলো।

লোপা একজন ব্যারিস্টার। আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারিনী। আমারও সামাজিক মর্যাদা বেশ উঁচুতে। কিন্তু প্রেমে ‘পতিত’ হয়ে আমরা ভূপাতিত হলাম- আমাদের সব আচরণ হয়ে উঠলো শিশুসুলভ; আমরা বুঝতে ও অনুধাবন করতে শুরু করলাম যে, পৃথিবীতে আমাদের দুজনের মাঝখানে আর কারো অস্তিত্ব গজিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।

লোপা যখন ওর কলিগ ও ক্লায়েন্টদের কথা বলতো, আমার প্রচুর হিংসে হতো, এবং এক পর্যায়ে অসহিসষ্ণু হয়ে উঠলাম। কার্ফিউ জারি করা হলো ওর গতিবিধি, চালচলনের উপর। অবশেষে সন্ধি প্রতিষ্ঠিত হলো- ওর ক্যারিয়ার হলো আমার সাথে প্রেম ভিন্ন আর কিছু নয়; পৃথিবীর তাবত পুরুষের সাথে ওর যোগাযোগ হয়ে গেলো চিরতরে বন্ধ।

আমার এ রোগটা অবশ্য শুরু হয় ওর কারণেই। আমার ক্লাসমেট বান্ধবী অনীলা, যে আমার ফার্স্ট কাজিন, ওর কথা লোপাকে কখনো বললে লোপার শ্বাসকষ্ট হতো, হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হতো। প্রথমদিকে এটা আমি বুঝতে পারি নি; কথা প্রসঙ্গে অনীলার কথা লোপাকে বললে সে অকস্মাৎ মোবাইলের লাইন কেটে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখতো; আমি ভাবতাম ওর মোবাইল সেট নষ্ট হয়ে গেছে। একদিন লোপা সরাসরি বলে বসলো আমার মুখে সে কোনো মেয়ের নাম উচ্চারিত হয় তা সহ্য করতে পারে না। এরপর তাকে বোঝাতে চেষ্টা করলাম, আমরা একই বিল্ডিঙে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকি। অনীলা বিবাহিতা, এক সন্তানের জননী। আমাদের সম্পর্ক তরল ও নির্মল, বন্ধুত্ব গভীর। সন্দেহ করার কিছু নেই।

আমরা চারজন- আমি, অনীলা, লোপা ও সামিরা একদিন বিকেলে শহরের এক যানজটপূর্ণ রাস্তার পাশে তুমুল হৈ-হুল্লোড়ময় রেস্টুরেন্টে বসলাম। অনীলা খুব সুন্দরী, কিন্তু সে কবিতা ও সঙ্গীত বোঝে না; এজন্য ওর সাথে আমার সুগভীর বন্ধুত্ব হলেও প্রেম হয় নি, যদিও শৈশব থেকেই আমরা একসাথে বেড়ে উঠেছিলাম- এটা ‘অস্বাভাবিক’ মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয়। অনীলাকে দেখে লোপার বুক পুড়ে যাচ্ছিল, তা ওর চোখেমুখে স্পষ্ট হয়ে উঠলো। প্রেম শুরু হওয়ার প্রথম দিকে, যখন কোনো বেদনা বা কষ্ট ছিল না, শৈশব থেকে জমানো সবকথা একে অপরকে দিনরাত বলতে বলতে উদ্বেলিত ও এক্সাইটেড হতাম, তখন অনীলার ব্যাপারে জানতে লোপার ছিল খুব আগ্রহ। হায়, তখনই আমার ভুলের বীজগুলো উপ্ত হয়েছিল।

এর পরের ঘটনা ছিল নাটকীয়। লোপা বিয়ে করে ফেললো, বাবা-মায়ের পছন্দের ছেলে ফরিদুলকে। এটা সেই সময়ে ঘটলো- যখন দীর্ঘদিন ধরে ওর সাথে আমার কোনো যোগাযোগ ছিল না আমাদের দুজনের জেদ ও অভিমানের কারণে। তুচ্ছ কারণে মেয়েরা কেন নিজের শরীরে আগুন জ্বালে আমি আজও বুঝি না।
আমার প্রতি ওর প্রেম যেমন বেড়ে গেলো, জেদও বেড়ে গেলো অনেক বেশি, আর সবচেয়ে উল্লেখ করার মতো ব্যাপার যেটি ঘটতে থাকলো তা হলো- আমি বিয়ে করি এটা সে চায় না, কোনো মেয়ের সাথে আমার পরিচয় হোক, তাও সে চায় না। সে হলো আমার শতভাগ আজ্ঞাবহ।

পরের ঘটনা হলো আরও ভয়াবহ। অসফল কাহিনি তা নিয়ে।

৪২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আর 'ল' যদি সত্যি "তুই" হয়ে থাকে তাহলে তো হয়েই গেলো , সেটা গল্পে উল্লেখ করেন নি কিন্তু "তুই" আপনার কাছে হয়তো লিয়া কিংবা লাবনী কিংবা ... !! অ স ফ ল এ প !
অসফল একটি পরিণতিঃ নিষ্টুর ছেলে মানুষী (তুই কিংবা 'ল' কে নিয়ে পাখি কিংবা কথকের !অথবা গল্প নিয়ে আপনার ) ;) ;) ;) ;)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
মেয়েরা কোনো কথা গোপন রাখতে পারে না। তবে বিপদের জায়গাটুকু মনে হয় সব সময়েই সামান্য ঘুরিয়ে বলে, বা একটু প্যাঁচ লাগিয়ে দেয়।

লোপার সম্পূর্ণ বুক ঝাঁঝরা করে দিয়ে আমার বাসায় ততদিনে একজন নবতমা অতিথির আগমন ঘটেছে, যার নাম এলিনা। এলিনা কিংবা অনীলা কাউকে সহ্য করার ক্ষমতা রাখে না লোপা।

এলিনা হলো লোপার ঘনিষ্ঠতমা বান্ধবী। এ বান্ধবী বর্তমানে প্রেম করছে তার ফার্স্ট কাজিনের সাথে। অতি শীঘ্র তাদের বিয়ে হবে। এত চমৎকার জুটি কোথাও হয় না। এলিনা এ আদ্যোপান্ত বানানো কথাগুলো তার স্বামীকে বলেছিল, আর এ কথা আমাকে যখন সে বলছিল, তখন হেসে খুন হচ্ছিল। প্রেমের জন্য লোপা পাগল হয়ে গিয়েছিল, প্রেমের জন্য লোপা ডাহা মিথ্যা কথা বলছিল।

১লা বোশেখের দুদিন আগে লোপা একটা সুন্দর শাড়ি পাঠালো এলিনার জন্য, যেটি তার স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর প্রিয় বান্ধবীর জন্য একটা নববর্ষের গিফ্‌ট ছিল।



-------------------------------------

আপনার শ্রমের মর্যাদা দেয়ার সাধ্য আমার নেই অভি ভাই। আমি আগেই উল্লেখ করেছি, আমার স্বভাবটাও আপনার মতোই। মাথার পোকা মেরে ফেলার আগ পর্যন্ত কোনো স্বস্তি নেই।

আপনাকে যাতে কষ্ট করে আর কোনো সমাধান বের করতে না হয় সেজন্য গল্পের পটভূমিকা সবিস্তারে জানিয়ে দিলাম। আশা করি এখন সব কিছু পানির মতো পরিষ্কার হলো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার এই গল্প অফ লাইনে সেদিনই পড়েছিলাম ভাইয়া।

নামের রহস্য কিংবা অন্য ব্যাপার নিয় এমাথ আঘামাই নাই কারণ আমি এসব ব্যাপারে খুব কাঁচা। আমার চোখে পড়েছে শুধু " তুই - যাকে পাগলী বলা হয়েছে আর কথক কে । কিন্তু কথক টা খুব নিষ্ঠুর। আসলেই এইটা নিষ্ঠুর ছেলেমানুষির গল্প। আমার কৈশোরের ছেলেমানুষি অভিমানের কথ আমনে পরে গেলো তো ! এতো কষ্ট মানুষ কেম্নে আরেক মানুষ রে দেয় ! আহা কি নিষ্ঠুরতা !

গল্পে প্লাস।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছেলেমানুষি কখনো কখনো খুব বিব্রতকর, এমনকি ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। নিষ্ঠুরতা পরিত্যাজ্য। ভুল বোঝাবুঝি থেকেও এরকম ঘটে থাকে। ভুল বুঝবার পরিবেশ যাতে না সৃষ্টি হয় সেদিকে সতর্ক থাকা উচিত।

গল্পে প্লাসের জন্য ধন্যবাদ আপু।

৪৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

বৃতি বলেছেন: তবে যে-রাতে কোনও নিবিষ্ট পাঠকের কাছে এ গল্পের মর্ম উন্মোচিত হবে, তিনি তোর জন্য কাঁদবেন, আর আমার জন্য অবিরাম বর্ষিত হতে থাকবে অভিশাপ।

"তুই" এর জন্য কাঁদতে, আর কথকের জন্য অবিরাম অভিশাপ বর্ষণ করতে গ্যালারীতে বসলাম । আশা করি পুরো কাহিনীটা বলবেন এবার ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই। কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলক এ পোস্টটিতে এ কথার সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ;)

এ গল্পের রহস্য ভেদ করা হলো অভি ভাইয়ের সর্বেশষ দুই কমেন্টের রিপ্লাইয়ে। এখন গল্পটা আরেকবার পড়ে দেখুন কোনো মজা অবশিষ্ট আছে কিনা :( গোয়েন্দা গল্প দ্বিতীয়বার পড়ে মজা পাওয়া যায় খুব কমই। এটা যদিও গোয়েন্দা গল্প নয়, তবে জটযুক্ত গল্প। যট খুলবার পর তা পানসে হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

তবে যদি মনে করেন যে এখন গল্পটা পড়ে সবকিছু মেলানো গেছে, তাতে তৃপ্তি মিটেছে, তার জন্য দায়ী আপনাদের উদারতা ;)

ভালো থাকুন বৃতি।

৪৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ;) ;) ;) ;) ;) ;)
বেটা 'ফ ! X(( X(( X((
গল্পের ভাবনাটাই বদলে গেলো !
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ! হিউম্যান মাইন্ড আনরিডেবল ! রহস্য মুক্তির পর কেমন জানি লাগছে ! আমার শেষের কমেন্ট দুটা আর বৃতির অনুমতি নিয়ে তার শেষ টা মুছে দিন , বৃতিও এসে দেখে যাবার পর ! গল্প তার সৌন্দর্য ধরে রাখুক ! তবে যে-রাতে কোনও নিবিষ্ট পাঠকের কাছে এ গল্পের মর্ম উন্মোচিত হবে, তিনি তোর জন্য কাঁদবেন, আর আমার জন্য অবিরাম বর্ষিত হতে থাকবে অভিশাপ।
এখানেই আটকে থাকতে বেশী ভালো লাগছে , "তুই" এর জন্য কান্না আর কথকের জন্য অভিশাপ বর্ষিত হতে থাকুক ভ্রান্তিতেই ! অতি উৎসাহী হয়ে গল্পের রূপ লাবণ্য ছিনিয়ে নেয়ার জন্য দুঃখিত ভাইয়া ! আরেকবার এসে আশা করছি শেষের দিকের কমেন্ট কটা দেখবোনা ! আবার ভাবতে বসবো নিষ্টুর এক অসমাপ্ত পরিণতি ! অনেক শুভকামনা ভাইয়া !

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যা লিখেছি থাক না। যেভাবে লিখেছি তার বাইরেও তো কতোরকমে ঘটনাটা ব্যাখ্যা করা যায়। এ গল্পের ব্যাকগ্রাউন্ড অন্যরকমও হতে পারে, নিচে দেখুন।

***

আমার সুন্দরী ও সুশিক্ষিতা বান্ধবী অর্পিতা যেদিন আমাকে হাইকোর্টের এক ব্যারিস্টারের চেম্বারে নিয়ে গেলো, ব্যারিস্টার সাহেব আমাদেরকে রেফার করে দিলেন তাঁর অধীনস্থ শিক্ষানিবিশি ব্যারিস্টার লিজার কাছে, যিনি দ্রুততম সময়ে বান্ধবীর শিক্ষকতা বিষয়ক জটিলতার সমাধানকল্পে কার্যকরী পন্থা বাতলে দিলেন।

এর মাস খানেক পর ম্যাডাম লিজা আমাকে ফোন দিলেন বান্ধবীর বিষয়াদির অগ্রগতি জানতে এবং সমস্যা তখনো সমাধান হয় নি তাঁকে জানানোর পর তিনি আরও কিছু দরকারি পরামর্শ দিলেন। এর অল্পকাল পর বান্ধবীর সকল জটিলতা দূর হয়ে গেলে সসম্মানে তের মাসের এরিয়ারসহ ভার্সিটিতে শিক্ষক হিসাবে পুনঃযোগদান করে। এ সুখবরটি যেদিন ব্যারিস্টার লিজাকে জানালাম, তিনি খুব উৎফুল্ল হলেন, এবং বেশ কৃতার্থ ও গর্বিত বোধ করছেন বলেও মনে হলো।

এরপর বিভিন্ন উপলক্ষে তিনি গ্রিটিংস পাঠাতেন এসএমএস-এর মাধ্যমে- ঈদ, জাতীয় দিবসসমূহে। তিনি নির্দিষ্ট বিরতিতে ফোন দিতে থাকেন, কুশলাদি জিজ্ঞাসা করেন। তিনি গান খুব ভালোবাসেন, মাঝে মাঝে পুর্ণেন্দু পুত্রীর ‘কথোপকথন’ থেকে উদ্ধৃতি করেন, সাহিত্য ও বিশ্বরাজনীতি নিয়ে আলোকপাত করেন। স্বামীর কথা বলেন, সন্তানের কথা বলেন। তিনি খুব অসুখী- একদিন এ কথাটা বলতে গিয়ে তিনি ভেঙে পড়লেন। তাঁর স্বামী ফজলুর রহমান সাহেব বেজায় বেরসিক ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ। পক্ষান্তরে আমার সংসারে চাঁদের হাট। এতো সুখী পরিবার খুঁজে পাওয়া যায় খুব কম। এমন গুণবতী স্ত্রীও ভাগ্যগুণে জোটে। আমার ব্যক্তিগত জীবনও লিজার সাথে শেয়ার করতে থাকি। একদিন অতি আকস্মিকভাবে তিনি জানালেন, আমাকে তাঁর খুব ভালো লাগে। সেদিনই বুঝতে পারি- আমরা দুজনেই এক ভয়াবহ আগুনে পা দিয়েছি। এরপর আরো বুঝতে পারি, আমার স্ত্রী এশা’র প্রতি তার পরশ্রীকাতরা বাড়ছে।

আমাদের প্রেম দুর্দম্য হলো। সকল বাঁধ ভেঙে যেতে থাকলো। বুদ্ধিমতী লিজা ধীরে ধীরে আমার স্ত্রীর সাথেও সখ্যতা গড়ে তুললো। তাদের মধ্যে তুমুল কথোপকথন হয় মোবাইলে, যেমন আমার সাথে হতে থাকে এশা’র অবর্তমানে, গোপনে। এশা নামক এক মানবীর সাথে অন্তরঙ্গ বান্ধবীত্ব ঘটেছে- লিজা তার স্বামীকে এ কথা জানালে তিনি খুব প্রীত বোধ করেন। একদিন এশা’র জন্য দারুণ একটা গিফ্‌ট এলো ফজলুর রহমান সাহেবের কাছ থেকে- একটা শাড়ি। এশাকে না জানিয়ে এটা ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখলাম এজন্য যে, এশা ইতিমধ্যে আমাদের ব্যাপারটা জেনে গিয়ে যারপরনাই ক্ষিপ্ত, বিরক্ত ও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে আছে, যদিও তার কাছে এটা আমি স্বীকার করি না।

লিজা তার এ কাহিনি তার বান্ধবী সারিকার সাথে শেয়ার করে; যেমনটা আমি শেয়ার করি আমার বান্ধবী অর্পিতার সাথে। লিজার সমস্যা বহুবিধ। আমার মুখে নয় অর্পিতা, নয় এশা, নয় অন্য কোনো নারীর নাম শুনতে সে আগ্রহী। এ রোগটা আমাকেও পেয়ে বসলো। তার অফিস, কলিগ, ক্লায়েন্ট সবকিছু নিষিদ্ধ ঘোষিত হলো। এসবের নিশ্চয়তা স্বরূপ সে তার ভার্সিটির সার্টিফিকেট, হাইকোর্টের আইডি, মোবাইল সিম- আমার কাছে পাঠিয়ে দিল।

আমরা একটা জ্বলন্ত চুল্লীর আগুনে ঝলসে যেতে থাকলাম- কারণ, আমাদের কোনো ভবিষ্যত ছিল না, দিনমান অহেতুক বিতণ্ডা ছাড়া।

৪৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

ফালতু বালক বলেছেন: অনেক কষ্টে হজম করছি ;)

সোনাবীজ ভাই, ভালো থাকবেন।
অনেক দিন পর...................


০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হজম করার জন্য ধন্যবাদ ;) কিন্তু লাগলো কোন্‌ জায়গায়? ;) ;)

যা হোক, সুবোধ বালকের জন্য উপহার :


এক যে ছিল সুবোধ বালক
জমিদারের নাতি
শ্বশুর বাড়ি যাবার জন্য
তার ছিল এক হাতি

হাতির পিঠে চড়তো নাতি
দাদুর কোলে বসে
দুলকি তালে যেতে যেতে
ঘুম দিত খুব কষে

শ্বশুর বাড়ি গিয়ে নাতি
কী করতো জানো?
ঝালমুড়ি আর মাঠা খেতো
আর সে খেতো পানও ;)

যখন হতো ফেরার পালা
ফিরতো চড়ে হাতি
বউয়ের কোলে দাদু, এবং
দাদুর কোলে নাতি ;) ;)








৪৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫২

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাইয়া :)

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা আপু।

৪৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

আমিনুর রহমান বলেছেন:




ঈদ মোবারক !

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঈদ মোবারক।

৪৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪২

খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়াঘাট একগুচ্ছ প্লাসের জন্য।

আপনার প্রোফাইল পিকচারটা ইউনিক। যতবার দেখি, নিজের অজান্তেই ওখানে আমার আইকন খুঁজি। প্রোফাইল পিকচারের মাঝামাঝি এক জায়গায় আমারটা থাকবার কথা ছিল, কিন্তু হায়, আপনি যখন স্ক্রিনশট নেন, তখন আমি ঘুমুচ্ছিলুম :( :(

ভালো থাকুন। ভালো থাকুন।

৫০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: খুব আবেগ দিয়ে লিখেছেন ! বেশ ভাল লাগল। কবিতার মত করে গল্প! কিভাবে যে এগুলা লেখেন? নামের আদি অক্ষর দিয়ে মনস্তাত্ত্বিক খেলাটা বেশ উপভোগ করেছি।

আমাকে আবার জন্মাইতে হবে যদি এই ধরনের উচ্চমার্গের লেখা লেখার খায়েস হয়।

আমার টুপিটা এই পোষ্টে উৎসর্গ করে গেলাম। সেই সাথে অনুসরন। আর পিছু ছাড়ছিনা আপনার।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার উপস্থিতি ও মন্তব্যে আমি ধন্য হলাম।

জানুয়ারি ২০০৮-এ ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন আপনি। আমার ১ম নিক রেজিস্ট্রেশন করি ২০০৮-এর জুন বা জুলাইয়ে। ৫ বছরকাল সময়ে আপনার সাথে মনে হয় এই প্রথম সাক্ষাৎ ঘটলো। ভালো লাগলো।

আপনার উদার মন্তব্যে খুব অনুপ্রাণিত হলাম আমিও আপনাকে অনুসরণে নিলাম। কিন্তু ৩ সেপ্টেম্বর ২০১০-এ আপনি সর্বশেষ পোস্ট লিখেছেন। আমি জানি না অন্য কোনো নিকে আপনি লিখেন কিনা, তা না হলে আপনার নতুন লেখার সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পেলাম কোথায়?

আপনার মহামান্য টুপিটাকে এ পোস্টে উৎসর্গ করায় খুব আপ্লুত বোধ করছি, এবং নিজেকে খুব ধন্য মনে করছি। কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকুন শান্তির দেবদূত।

৫১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

সুস্মিতা গুপ্তা বলেছেন: আপনার এই গল্পটি খুব ভাললেগেছে । বিশেষ করে ভিন্নধরনের নামের জন্য সোনাবীজ ও ধুলাবালি ছাই ।
++++্

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সুস্মিতা গুপ্তা। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করি আগামী দিনগুলোতে আমাদের ভার্চুয়াল যোগাযোগ এবং মতবিনিময় সার্থক ও মধুর হবে।

শুভেচ্ছা।

৫২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কি যে বলেন, একটা নিকই সামলাতে পারি না, আরে মাল্টিনিক। এত দৌড়ের উপর থাকি সবসময়! লেখাই হয়ে উঠে না। মাঝে একটু বেশিই ঝামেলার মধ্যে ছিলাম তাই ২/৩ বছর ব্লগে সময় দিতে পারি নাই, এখন আবার চেষ্টা করছি রেগুলার হতে। যেহেতু আবার ব্লগিং শুরু করছি তাই আশা করছি এইবার মাঝেমাঝেই সাক্ষাৎ হতে থাকবে। ভাল থাকুন, আর আমাদের এমন চমৎকার চমৎকার লেখা উপহার দেন। শুভেচ্ছা।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

;) ;)


ঝামেলা মিটে গেছে, সেটা স্বস্তির কথা। আবার রেগুলার হচ্ছেন ব্লগে সেটা খুব আনন্দদায়ক। এ্যাট এ গ্ল্যান্‌স আপনার ব্লগ দেখে যা বুঝলাম তা হলো দেবদেবীগণের মিথ নিয়েই আপনি বেশি লিখে থাকেন। ব্লগে এটি অনেক প্রসিদ্ধ ব্লগারের প্রিয় বিষয়। আশা করি আপনার কাছ থেকে আবারও জমজমাট পোস্ট পেতে থাকবো।

শুভেচ্ছা সব সময়।

৫৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

অপরাজিতার কথা বলেছেন: ম্পর্ক শেষে ভেঙ্গেই গেল?আর ভাংবে না-ই বা কেন?এত শর্ত দিয়ে কি সম্পর্ক টিকে?মেয়েটির জন্য মায়া হচ্ছে!!ভালোবাসার জন্যে কি-ই না করেছে,তাও যদি সেটুকু পেত!! :(

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমারও মেয়েটার জন্য মায়া হচ্ছে। ভালোবাসার জন্য সে কীই বা করে নি! কিন্তু আমি যদি ঐ মেয়েটি হতাম, উনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিতাম ;)

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৫৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫১

এরিস বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, পুরোটাই প্র্যাকটিক্যাল লাইফের কাহিনি। ধরা পড়ার ভয় আছে। তারপরও জনস্বার্থে আদ্যাক্ষরগুলো প্রকাশ করা যেতে পারে। অসফল আর এ এমন হতে পারেঃ

অ - অবনী বা অঞ্জনা বা অনিক বা অনিকেত
স - সারা বা সারিকা বা সঞ্জয় বা সুবিমল
ফ - ফাইরুজ বা ফারহানা বা ফারুক বা ফাহিম
ল - লারা বা লিসপেথ বা লারকা বা লোটন
এ - এ্যানি বা এ্যামিলি বা এযাযুল বা একরাম

এবার এ নামগুলো বসিয়ে নিন ইচ্ছেমতো ;)

কেমন লাগছে এখন ;) ;)




কনফিউজড করে দিতে ভাল লাগে তাইনা?



এতে লুকায়িত আছে এমন এক রহস্য, সাধারণের কাছে যে-স্বাদ সহজলভ্য নয়। তবে যে-রাতে কোনও নিবিষ্ট পাঠকের কাছে এ গল্পের মর্ম উন্মোচিত হবে, তিনি তোর জন্য কাঁদবেন, আর আমার জন্য অবিরাম বর্ষিত হতে থাকবে অভিশাপ।



কথাগুলো সুন্দর।

গল্প পড়ে কষ্ট পেলাম।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্প পড়ে কষ্ট পেলেন, সেটা আমার নিষ্ঠুরতা না ভেবে নিশ্চয়ই গল্পের নায়কের প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন, বুঝে নিলাম ;) কনফিউজ্‌ড হয়ে থাকলে সেটা অবশ্য লেখকের ব্যর্থতা, প্রাঞ্জল করে বলতে না পারা :(

কিছু কথা সুন্দর সেটা জেনে ভালো লাগলো।

এরিসের জন্য শুভ কামনা। আর গল্পটা পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৫৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: পড়লাম ভাইয়া। গল্পটাতে অনেক ভালোলাগা রইল। বৃতি আর অভি তারা দুজনই অনেক মাথা ঘামিয়েছেন তাই তাদেরকেও একটা ধন্যবাদ দেই। একই সাথে আপনার কথাও সত্য "রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই।" গল্প শেষ করার পর একটা আলাদা মুগ্ধতা কাজ করছিল।


ভালো থাকবেন ভাইয়া। শুভকামনা রইল।



১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.