|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
	দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
 
 

প্রতিরাতে বারোটা বাজলেই তোমাকে দেখি
শিফন শাড়িতে ঝরে পড়ে সুনিপুণ হাসি
তখন ভাবি ছাইছুতো এ ব্লগ লেখালেখি
এর চেয়ে ঢের ভালো প্রেম-ভালোবাসাবাসি
তোমার ছায়ামুখ একটু আধটু যা দেখি-
অঙ্গে অঙ্গে সুধা, সুরে তুমি গানের বায়স!
এসব রম্যকথায় হাসি পেলে আমি গেছি
গোপন ঘুমগুলো কেড়ে খাবে রাত্রিরাক্ষস।
তুমি ভাবো এসব লিখেছি তোমার উদ্দেশে
আড়ালে আবডালে কেঁদেকুটে চোখে করো ঘা
মিছেমিছি নিজেকে কষ্ট দাও ক্রূর আক্রোশে
আদতে এ হলো একটি সনেটের খসড়া।  
সনেট অন্য কিছু না, মামুলি কবিতা মাত্র
এ লিখে নষ্ট হলো একটি মূল্যবান রাত্র 
এবার খানিকটা বিশ্লেষণ করা যাক এ সনেটটির
এটা কি আদতে সনেট? যে-কোনো একটা কবিতাকে উদ্দেশ্য করে যেমন জিজ্ঞাসা করা যায়, এটা কবিতা হয়েছে কিনা, তেমনি যে কোনো সনেটের ব্যাপারেই এ প্রশ্নটি করা যায় - ‘এটা কি আদতে সনেট হয়েছে?’ সনেট বিশ্লেষণের জন্য আমার মতে এর ভাববিন্যাসটিই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু সনেটের সৃষ্টিকাল হতে এ যাবত যতো সনেট পয়দা হয়েছে, সবার আগেই বিশ্লেষণ করা হয়েছে এর বাহ্যিক রূপকল্পটি, এবং ভাবপ্রবাহের বিন্যাস আলোচিত হয়েছে অনেক কম। এতে ধরে নেয়া যায়, রূপকল্পটিই একটি সনেটের প্রধানতম বৈশিষ্ট্য।
নিচে দেয়া লিংকের ১ম পোস্টে আপনারা দেখবেন, রূপকল্প নির্মাণে কত বিচিত্র নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ এ-ও দেখা যাচ্ছে- প্রতি পঙ্ক্তিতে স্বর/মাত্রা/অক্ষরসংখ্যা সমান রেখে অমিত্রাক্ষর ছন্দে সনেট লেখা হচ্ছে। আমরা অতি সত্ত্বর এ অমিত্রাক্ষর ধারার সনেট খুব দেখতে পাবো বলে আমার মনে হচ্ছে।
এ পোস্টের লেখাটাকে আমি দাবি করছি এটা একটা সনেট, যাতে প্রচলিত সনেট থেকে কিছু ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে; তবে এ ব্যত্যয় ঘটানোর কাজ প্রসিদ্ধ কবিরা আগেও করেছেন; যেমন, এর প্রতি পঙ্ক্তিতে ১৪টির পরিবর্তে ১৬টি করে অক্ষর রয়েছে। রূপকল্প : কখকখ গঘগঘ ঙচঙচ ছছ। ‘দেখি’র সাথে ‘গেছি’র ‘ই’ ধ্বনি, এবং ‘করো ঘা’র সাথে ‘খসড়া’র ‘আ’ ধ্বনি যোগে অনুপ্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে।
সনেট সংক্রান্ত আমার দুটো পোস্ট
সনেটের অন্ত্যমিল ও পঙ্ক্তি-বৈচিত্র্য : প্রথম পর্ব  
সনেটের অন্ত্যমিল ও পঙ্ক্তি-বৈচিত্র্য : দ্বিতীয় পর্ব  
এবার একটা উপকারী পোস্টের লিংক
একুশে বইমেলা-২০১৩ সমাগত। যাঁরা বই প্রকাশ করতে চান, প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। নবীন লেখকলেখিকাদের জন্য এটি একটি অবশ্যপাঠ্য প্রবন্ধ। রেডি রেফারেন্স হিসাবে প্রিন্ট করে রাখলে বেশি উপকার পাবেন বলে মনে করি। 
নবীন লেখকলেখিকাদের জন্য :: কীভাবে বই বের করবেন  
 ১২০ টি
    	১২০ টি    	 +৮/-০
    	+৮/-০  ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৫৯
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১৬, ১৮, ২০, ২২, ২৪, ২৬ অক্ষরবিশিষ্ট সনেট দেখা যায় প্রচুর। জীবনানন্দ দাস ২৬ অক্ষরবিশিষ্ট সনেট লিখেছেন অনেক।
১২ অক্ষরের পঙ্ক্তি নির্মাণের পরীক্ষা করেন অক্ষয়কুমার বড়াল (১৮৬০-১৯১৯)। তাঁর 'ডুবছে তপন' সনেটটি দেখুন।
ডুবেছে তপন, আলোক-জীবন;
ধরণীর বুক ছাইছে আঁধার!
ফিরিছে পথিক, মলিন বদন;
জগতের কাজ নাহি যেন আর!
যে আলোক গেলো, গেলো একেবারে?
রহিল না প্রেম, গেলো কি সমূলে?
ধীরে আসে বায়ু, মুছে শ্রম-ধারে,
যে ভুলে- যেন গো একেবারে ভুলে!
ডুবেছে তপন, প্রত্যক্ষের আলো,
দলে দলে তারা ফুটিছে আবার।
কোটি চক্ষু মেলি ঘেরে চারি ধার,
সমষ্টির যেন ভগ্নকণা-জাল!
যে আছিস এক, হলো শত শত!
কণায় কণায় প্রেমের জগত!
নবীনচন্দ্র সেন (১৮৪৭-১৯৮০৯) তাঁর 'অবকাশরঞ্জিনী' কাব্যে ১২ অক্ষরে লেখা 'প্রতিকৃতি' ও 'কবির উপহার' শীর্ষক দুটি কবিতাকে সনেট হিসাবে উল্লেখ করেন। 'প্রতিকৃতি' কবিতাটি দেখুন।
পূর্ণচন্দ্র-নিভ ফুল্লচন্দ্র মুখে,
মহিমার হাসি ভাসিছে তায়;
পতি-গরবেতে গরবিত বুকে,
গরব-তরঙ্গ খেলিয়া যায়।
পূর্ণ কলেবর, চিত্র পূর্ণতার,
পবিত্র মাধুরী, কোমলতাময়;
পূর্ণ সিন্ধু-জলে, উচ্ছ্বাস-আঁধার,
ফুটন্ত জ্যোৎস্না হতেছে লয়।
পতি-ভালোবাসা অঙ্গে অঙ্গে মাখা
পত-ভালোবাসা হৃদয় ভরে;
পতি-ভালোবাসা নাহি যায় রাখা,
হৃদয় ভরিয়া উথলি পড়ে।
সোনার পুতুলে অঙ্গ সুশোভন,
শিরে পতি শিব চন্দ্রের মতন।।
১০ অক্ষরযুক্ত পঙ্ক্তিতে সনেট রচনার চেষ্টা করেছিলেন সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র ও বুদ্ধদেব বসু। সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র্যের 'কামাল' কবিতাটি ১০ অক্ষরের পঙ্ক্তিযুক্ত।
প্রাণে যার জ্বলে অনির্বাণ
বহ্নিশিখা, সেই শুধু পারে
অগ্নিমন্ত্র শিখাতে সবারে;
প্রাণ দিতে পারে প্রাণবান।
তাদেরে যাহারা মুহ্যমান
দাসত্বের শৃংখলের ভারে।
নির্বীর্যের তরে এ-সংসারে
বীরহস্তে মুক্তির কৃপাণ।
তুরস্কের নব জন্মদাতা
বজ্রপাণি বীরেন্দ্র কামাল।
তুমি আর নাহি এ জগতে।
তোমার আসন রবে পাতা
নিখিলের মর্মে চিরকাল;
ধর্মযোদ্ধা অমর মরতে।।
২|  ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:০২
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:০২
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রতিরাতে বারোটা বাজলেই তোমাকে দেখি
শিফন শাড়িতে ঝরে পড়ে সুনিপুণ হাসি
তখন ভাবি ছাইছুতো এ ব্লগ লেখালেখি
এর চেয়ে ঢের ভালো প্রেম-ভালোবাসাবাসি
রোমান্টিক! রোমান্টিক!! 
কবিতা আমার কাছে সব সময়ই বিস্ময় । আবৃত্তি করার জন্য এক সময় কবিতা পড়তাম । কিন্তু কবিতা কিভাবে লিখতে হয় কিংবা কবিতার অন্দরমহল নিয়ে আগ্রহ জাগেনি কখনো । এখন ব্লগে আসার পর আপনাদের ছন্দ নিয়ে, মাত্রা নিয়ে, সনেট নিয়ে, ভাব নিয়ে লেখা পড়ি আর অবাক হই ।
চমৎকার পোস্টে ভালোলাগা জানবেন সোনাবীজ ভাই ।
  ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৩২
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি এতোকাল জানতাম প্রমথ চৌধুরী শুধু প্রবন্ধ বা গদ্যই লিখেছেন; এই কিছুকাল আগে জানতে পারলাম তিনি কবিতাও লিখতেন, এবং সনেট পর্যন্ত লিখেছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের ব্যাপারে নিশ্চিত নই। তবে আমার মনে হয় জীবনে কবিতাচর্চা করেন নি এমন সাহিত্যিক খুঁজে পাওয়া কষ্ট হবে।
আপনার মতো তীক্ষ্ণধার লেখকের হাত দিয়েও কবিতা বের হওয়া মামুলি ব্যাপার মাত্র- আমার বিশ্বাস। তাই, আজও যদি কোনো কবিতা না লিখে থাকেন, অতি শীঘ্রই আপনার একটা কবিতা দেখতে পাবো- এটা দাবি থাকলো মামুন ভাই।
ধন্যবাদ মন্তব্যে।
৩|  ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:০৫
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:০৫
এহসান সাবির বলেছেন: আরে জটিল হইছে....
  ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৩৩
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সনেট বিষয়টা সত্যিই জটিল।
৪|  ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:০৬
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:০৬
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: এরকম কিছু পোস্ট থেকে সাহিত্যও শেখা যায়। 
অনেক শুভেচ্ছা। 
  ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৩৭
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইসহাক ভাই। শুভ কামনা।
৫|  ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:১৭
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:১৭
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কি মুশকিল!! এতো হিসেব নিকেশ করে লিখতে হয়?? ১৬ অক্ষর ১২ অক্ষর ব্যাপারটা না বলে দিলে বুঝতামই না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র্যের 'কামাল' কবিতাটা ভালো লেগেছে অনেক। বিশেষ করে এই এক লাইন "প্রাণ দিতে পারে প্রাণবান।"
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:৫৭
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, সনেটে কিছুটা হিসাবনিকাশ আছে বৈকি! তবে এতো জটিল হিসাবনিকাশ কষে কবিতা লেখা সত্যিই খুব দুরূহ কাজ 
একবার ফেইসবুকে একটা আলোচনা হচ্ছিল সনেট নিয়ে। আমি অমিত্রাক্ষর ছন্দের ৮ লাইনের কবিতা ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলাম- এটা যে সনেট হয় নি আমাকে কেউ ব্যাখ্যা করে বোঝান; অন্যদিকে এটা যে সনেট হয়েছে আমি তা ব্যাখ্যা করে বোঝাবো  আসলে অল্প বিদ্যা খুবই ভয়ঙ্কর- সনেটবিশেষজ্ঞগণ নিশ্চয়ই আমার এ কথা শুনে হাসবেন
 আসলে অল্প বিদ্যা খুবই ভয়ঙ্কর- সনেটবিশেষজ্ঞগণ নিশ্চয়ই আমার এ কথা শুনে হাসবেন 
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
৬|  ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৫১
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৫১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কিন্তু সনেটের সৃষ্টিকাল হতে এ যাবত যতো সনেট পয়দা হয়েছে, সবার আগেই বিশ্লেষণ করা হয়েছে এর বাহ্যিক রূপকল্পটি, এবং ভাবপ্রবাহের বিন্যাস আলোচিত হয়েছে অনেক কম।
 একমত 
   সনেট  টা খুব ভাল লেগেছে । ভাল থাকুন ভাই ।
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:৫৮
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই। শুভেচ্ছা।
৭|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:১৯
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:১৯
 আহমেদ আলাউদ্দিন  বলেছেন: 
আগে ৮ আর ৬ এই ১৪ লাইকেই সনেট ভাবতাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই ভাবনা দূর হইসে। এখন জানি কেবল ১৪ লাইন হলেই সনেট হয় না। এর ছন্দ জড়িয়ে আছে। আমি যখন ছন্দে কিছু লিখতে যাই, মানে মাত্রা ঠিক রাখতে চাই তখন দেখি কবিতায় অনেক অপ্রচলিত শব্দ নিয়ে আসতে হয় এবং এতে করে কবিতা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। আর যেহেতু কবিতায় অন্ত্যমিল এবং ছন্দ ঠিক রাখা জরুরী না তাই কবিতায় ইচ্ছে করেই মাত্রাজ্ঞান থেকে দূরে রাখি।
এখন আপনার কবিতা সনেট কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় কবিতার মাত্রা ঠিক আছে আবার সেই ১৪ লাইনও আছে। যদিও আপনার কবিতা ১৬ মাত্রার। 
আবার সনেটের ক্ষেত্রে---
কখখক : কখখক :: গঘগ : ঘগঘ
কখখক : কখখক :: গঘঙ : গঘঙ
অন্ত্যমিলে আছে কিনা জানি না। আসলে এই ব্যপারটা আমি ঠিক বুঝি না। যদি পারেন এই কবিতার লাইন দিয়ে এই অন্ত্যমিল কিভাবে করা যায় শিখিয়ে দিয়েন। তাহলে হয়তো পরবর্তী কবিতায়( সনেটের ক্ষেত্রে) কিছু বলতে পারবো।
কবিতা ভালো লেগেছে। কিন্তু মুগ্ধ হই নাই, লাস্ট কবিতায় যেমন হয়েছিলাম।
শুভ রাত্রি সোনাভাই।
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:২৮
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আলাউদ্দিন ভাই,
আপনার উদ্ধৃত রূপকল্পটি হলো খাঁটি পেত্রার্কীয় রূপকল্প। আমি ব্যবহার করেছি শেক্সপিয়রীয় রূপকল্প। আমি যখন এ রূপকল্পটি ব্যবহার করি, তখন আমি খানিকটা আত্মপ্রসাদে বুক ফুলিয়েছিলাম এই ভেবে যে, আমি আমার কবিতাটিতে প্রচলিত কোনো রূপকল্প ব্যবহার করি নি। পরে দেখি যে এই রূপকল্পটিও আর অব্যবহৃত নেই  অর্থাৎ নতুন কোনো রূপকল্প বা প্যাটার্ন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি যে রূপকল্পটি ব্যবহার করেছি তা হলোঃ
 অর্থাৎ নতুন কোনো রূপকল্প বা প্যাটার্ন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি যে রূপকল্পটি ব্যবহার করেছি তা হলোঃ
কখকখ গঘগঘ ঙচঙচ ছছ
প্রতিরাতে বারোটা বাজলেই তোমাকে দেখি --- ক
 শিফন শাড়িতে ঝরে পড়ে সুনিপুণ হাসি -------খ
 তখন ভাবি ছাইছুতো এ ব্লগ লেখালেখি --------ক (দেখি/লেখি)
 এর চেয়ে ঢের ভালো প্রেম-ভালোবাসাবাসি ----খ (হাসি/বাসি)
 তোমার ছায়ামুখ একটু আধটু যা দেখি-     -----গ
অঙ্গে অঙ্গে সুধা, সুরে তুমি গানের বায়স!   -----ঘ
এসব রম্যকথায় হাসি পেলে আমি গেছি    ------গ (দেখি/গেছি)
 গোপন ঘুমগুলো কেড়ে খাবে রাত্রিরাক্ষস।------ঘ (বায়স/রাক্ষস)
 তুমি ভাবো এসব লিখেছি তোমার উদ্দেশে ------ঙ
 আড়ালে আবডালে কেঁদেকুটে চোখে করো ঘা---চ
 মিছেমিছি নিজেকে কষ্ট দাও ক্রূর আক্রোশে ----ঙ (উদ্দেশে/আক্রোশে)
 আদতে এ হলো একটি সনেটের খসড়া।   -----চ (করো ঘা/ খসড়া)
 সনেট অন্য কিছু না, মামুলি কবিতা মাত্র   -----ছ
 এ লিখে নষ্ট হলো একটি মূল্যবান রাত্র  -----ছ
  -----ছ
আলাউদ্দিন ভাই, আপনি পড়ে মুগ্ধ হতে পারেন এমন একটি কবিতা নিচে শেয়ার করলাম 
ক্ষণিক মিলন
আকাশের দুই দিক হতে দুইখানি মেঘ এল ভেসে,
দুইখানি দিশাহারা মেঘ — কে জানে এসেছে কোথা হতে!
সহসা থামিল থমকিয়া আকাশের মাঝখানে এসে।
দোঁহাপানে চাহিল দুজনে চতুর্থীর চাঁদের আলোতে।
ক্ষীণালোকে বুঝি মনে পড়ে দুই অচেনার চেনাশোনা,
মনে পড়ে কোন্ ছায়া দ্বীপে, কোন্ কুহেলিকা-ঘের দেশে,
কোন্ সন্ধ্যাসাগরের কূলে দুজনের ছিল আনাগোনা!
মেলে দোঁহে তবুও মেলে না, তিলেক বিরহ রহে মাঝে —
চেনা বলে মিলিবারে চায়, অচেনা বলিয়া মরে লাজে।
মিলনের বাসনার মাঝে আধখানি চাঁদের বিকাশ —
দুটি চুম্বনের ছোঁয়াছুয়ি, মাঝে যেন শরমের হাস!
দুখানি অলস আঁখিপাতা, মাঝে সুখস্বপন-আভাস!
দোঁহার পরশ লয়ে দোঁহে ভেসে গেল, কহিল না কথা —
বলে গেল সন্ধ্যার কাহিনি, লয়ে গেল ঊষার বারতা।
৮|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:২১
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:২১
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: কবিতা ভালো লেগেছে । আমার বর্তমান মুডের সাথে আপনার কবিতাটি একদম মাখামাখি ভাবে লেগে আছে । 
তুমি ভাবো এসব লিখেছি তোমার উদ্দেশে
আড়ালে আবডালে কেঁদেকুটে চোখে করো ঘা
আর সনেট নিয়ে কিচ্ছু বলার নাই । কবিতায় যেকোন একটা নির্দিস্ট ছন্দের দিকে মনযোগ দেয়ার  আদৌ কি কোন প্রয়োজনীয়তা আছে ?
আমি কেন সনেট লিখবো ?? 
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:০২
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মুডের সাথে মাখামাখি হয়ে যাওয়ায় খুব মজা লাগছে 
বাঁধভাঙা জোয়ারের পানি যখন তীব্রবেগে ছুটে চলে- কোথাও সমতল ভূমি, কোথাও উঁচুনিচু জায়গা, কোথাও বা গাছের গুঁড়ি, খালের পাড়, মধ্যস্থিত ঢিভি, ইত্যাদিতে ধাক্কা খেতে থাকে। সেই পানিকে তখন কে থামায়? কবিতা হলো বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো, জোয়ারের পথ বা ধারা বা গতিপথ হলো কবিতার ছন্দ। আপনার প্রাণে যখন আবেগ উত্থিত হবে, তা বের হবেই- হয় সে সরলপথে, অথবা উঁচুনিচু পথে প্রবল বেগে ধাবিত হবে। আপনার আবেগ যে কবিতারূপেই প্রকাশিত হবে তা নয়, গল্প, প্রবন্ধ, ইত্যাদি পথেও ব্যক্ত হতে পারে। এ থেকেই আমি মনে করি কোনো একটা নির্দিষ্ট ছন্দের দিকে মনোযোগী হবার দরকার নেই। তবে, স্বভাবকবিগণ নিজের আবেগ দ্বারা চালিত হোন- তাঁদের মন যা করে বা যেভাবে লিখে সুখ পায়, তাঁরা তাই করেন। আসলে এটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য মনে হয়। আমার মন যদি গল্প লেখার তাগিদ অনুভব করে, আমার গল্প লেখাতেই মশগুল হওয়া উচিত। আমার মন যদি চায় সারাদিন পয়ার ছন্দে কবিতা লিখতে, তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা মনে হয় অযৌক্তিক হবে। 
আমি কেন সনেট লিখবো? এর সাথে আরও কিছু প্রশ্ন আসতে পারে- আমি কেন কবিতা লিখবো? আমি গল্পই বা কেন লিখবো? আমি ব্লগিং করি কী কারণে? এর সোজাসাপটা জবাব হলো- মনের তাগিদে। মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য আমি লিখবো- গল্প বা কবিতা। নিজের সুখ বা আত্মতুষ্টির জন্য লিখবো, নিজেকে প্রকাশ করার জন্য লিখবো। নিছক আনন্দের জন্য লিখবো- একটা ১৪ লাইনের সনেট বা ১০ লাইনের পয়ার বা এক পাতার ফ্রি ভার্স, বা কিছু গল্প বা প্রবন্ধ বা উপন্যাস। এটা হলো ব্যক্তিস্বার্থের কারণসমূহ। তারপর আমি যখন সত্যিই একজন লেখক বা কবি, আমার কাছ থেকে সমাজ বা রাষ্ট্রও তখন অনেক কিছু প্রত্যাশা করবে হয়তো। ওটা হলো আমার সামাজিক দায়বদ্ধতা।
শুভ কামনা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়।
৯|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:২৯
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:২৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন:  সনেট বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা নেই ! 
কিন্তু পড়ে মজা পেয়েছি ! 
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:২৯
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  
   
  
পড়ে মজা পেয়েছেন জেনে খুব মজা লাগছে অভি ভাই  শুভ কামনা।
 শুভ কামনা।
১০|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:৪৪
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:৪৪
ড. জেকিল বলেছেন: আমি তো মনে করতাম, চৌদ্দ মাত্রা আর চৌদ্দ লাইন ছাড়া সনেট হয়না।  :#> 
নতুন জিনিস শিখলাম। ধন্যবাদ ভাই।
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৩১
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সনেট সম্পর্ক নতুন কিছু শিখলেন বলে ভালো লাগলো ড. জেকিল। শুভ কামনা।
১১|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ২:৪৩
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ২:৪৩
তাহমিদুর রহমান বলেছেন: হা হা হা
View this link  
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৪৪
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
ধন্যবাদ।
আপনার দৃষ্টিতে এ কাজটি কেমন লাগে?    
   
  
১২|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ২:৪৭
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ২:৪৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: চৌদ্দ মাত্রা আর চৌদ্দ লাইনের কবিতাকেই সনেট জানতাম! 
আপনার লিংকের লেখাগুলা পড়তে হবে! মনে হচ্ছে নতুন কিছু শিখতে পারবো
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৪৬
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম ভাই। শুভ কামনা।
১৩|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৩:৩১
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৩:৩১
অর্থহীন দাঁড়কাক বলেছেন: সনেট সম্পর্কে নতুন কিছু জানলাম।
কবিতাটা যথেষ্ঠ ভালো হয়েছে। সনেট এরও যথেষ্ঠ মজাও পেয়েছি।
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৪৯
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার শ্রম তাহলে বিফলে যায় নি বলা যায়; আমার ভালো লাগছে খুব।
ধন্যবাদ অর্থহীন দাঁড়কাক। আমার ব্লগে স্বাগত জানাচ্ছি।
শুভ কামনা।
১৪|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  ভোর ৪:৪০
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  ভোর ৪:৪০
প্রিন্স মাহমু দ বলেছেন: চমৎকার লেগেছে সাথে সনেটের আলোচনা ।
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৫০
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিন্স মাহমুদ। আপনাকেও আমার ব্লগে স্বাগত জানাচ্ছি।
শুভ কামনা।
১৫|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ৭:২৮
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ৭:২৮
কয়েস সামী বলেছেন: ১৪ বা ১৬ মাত্রা বুঝি না।
তবে আপনার কবিতাটি বেশ লেগেছে এটা ঠিক।
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:২৪
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মজা পাওয়াটাই যেখানে মূল উদ্দেশ্য, সেখানে মাত্রা বুঝবার আর কীইবা দরকার আছে, প্রিয় গল্পকার?
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৬|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ৭:৫৮
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ৭:৫৮
জুন বলেছেন: তুমি ভাবো এসব লিখেছি তোমার উদ্দেশে
আড়ালে আবডালে কেঁদেকুটে চোখে করো ঘা
মিছেমিছি নিজেকে কষ্ট দাও ক্রূর আক্রোশে
আদতে এ হলো একটি সনেটের খসড়া।   
ছাই ভাই সনেটে আমার আদর্শ  মাইকেল মধুসুদন দত্ত।বিশেষ করে তার মেঘনাধ বধ কাব্য আমি যে কতবার পড়েছি তার সীমা নেই। আপনার লেখনীতে অল্প করে জানলাম সনেট সম্পর্কে। 
ঘরের শত্রু চাচা বিভীষনের প্রতি মেঘনাধের আক্ষেপ এখনো মনে হয় বুঝি সত্যি।
'এতক্ষণে' -অরিন্দম কহিলা বিষাদে
'জানিনা কেমনে আসি লক্ষণ পশিল
রক্ষঃপুরে ! হায়, তাত, উচিত কি তব
একাজ, নিকষা সতী তোমার জননী,
সহোদর রক্ষশ্রেষ্ঠ ? -শূলী-শম্ভূনিভ
কুম্ভকর্ণ ? ভ্রাতৃপুত্র বাসব বিজয়ী ?
নিজগৃহপথ, তাত, দেখাও তস্করে ?
চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে ? 
তারপর সখীর প্রতি রাম সম্পর্কে তার স্ত্রীর গর্বিত উক্তি 
রাবন শশুরমম মেঘনাধ স্বামী 
আমি কি ডরাই সখী ভিখারী রাঘভে। 
অল্প কথায় বিশাল প্রকাশ কিন্ত একটা আর্ট যাতে আপনি  অত্যন্ত দক্ষ ।
+
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:২৪
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
দারুণ লাগলো আপু, ‘মেঘনাদবধ কাব্য’র প্রতি আপনার অনুরাগ দেখে। এ কবিতার ছন্দ নিয়ে আমি প্রায়ই নিজে নিজে খেলি। এটা করতে যেয়ে আমার কাছে মনে হয় ‘অমিল মুক্তক অক্ষরবৃত্ত’ ছন্দকেই মধুমামা অমিত্রাক্ষর পয়ারের গণ্ডিতে বেঁধে ফেলেছেন। অমিল মুক্তক অক্ষরবৃত্ত, বা গদ্যছন্দ বা গদ্যকবিতা বা মুক্তছন্দ বা ‘ফ্রি ভার্স’-এর খাঁজে ফেলে দিলে দেখুন কীরূপ হয়। ছন্দ মূলত আবৃত্তির ক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজন পড়ে, সেজন্য এগুলোকে এভাবে সাজিয়ে নিলে কেমন হয়, ব্যাপারটা দেখুন 
***
উঠিলা রাক্ষসপতি প্রাসাদ-শিখরে, কনক-উদয়াচলে দিনমণি যেন অংশুমালী। চারিদিকে শোভিল কাঞ্চন- সৌধ-কিরীটিনী লঙ্কা— মনোহরা পুরী! হেমহর্ম্য সারি সারি পুষ্পবন মাঝে; কমল-আলয় সরঃ; উৎস রজঃ-ছটা; তরুরাজি; ফুলকুল— চক্ষু-বিনোদন, যুবতীযৌবন যথা; হীরাচূড়াশিরঃ দেবগৃহ; নানা রাগে রঞ্জিত বিপণি, বিবিধ রতনপূর্ণ; এ জগৎ যেন আনিয়া বিবিধ ধন, পূজার বিধানে, রেখেছে, রে চারুলঙ্কে, তোর পদতলে, জগত-বাসনা তুই, সুখের সদন।
দেখিলা রাক্ষসেশ্বর উন্নত প্রাচীর— অটল অচল যথা; তাহার উপরে, বীরমদে মত্ত, ফেরে অস্ত্রীদল, যথা শৃঙ্গধরোপরি সিংহ। চারি সিংহদ্বার (রুদ্ধ এবে) হেরিলা বৈদেহীহর; তথা জাগে রথ, রথী, গজ, অশ্ব, পদাতিক অগণ্য। দেখিলা রাজা নগর বাহিরে, রিপুবৃন্দ, বালিবৃন্দ সিন্ধুতীরে যথা, নক্ষত্র-মণ্ডল কিম্বা আকাশ-মণ্ডলে।
থানা দিয়া পূর্ব দ্বারে, দুর্বার সংগ্রামে, বসিয়াছে বীর নীল; দক্ষিণ দুয়ারে অঙ্গদ, করভসম নব বলে বলী; কিংবা বিষধর, যবে বিচিত্র কঞ্চুক- ভূষিত, হিমান্তে অহি ভ্রমে, ঊর্ধ্ব ফণা— ত্রিশূলসদৃশ জিহ্বা লুলি অবলেপে! উত্তর দুয়ারে রাজা সুগ্রীব আপনি বীরসিংহ। দাশরথি পশ্চিম দুয়ারে— হায় রে বিষণ্ণ এবে জানকী-বিহনে, কৌমুদী-বিহনে যথা কুমুদরঞ্জন শশাঙ্ক! লক্ষ্মণ সঙ্ঘে, বায়ুপুত্র হনু, মিত্রবর বিভীষণ। এত প্রসরণে, বেড়িয়াছে বৈরিদল স্বর্ণ-লঙ্কাপুরী, গহন কাননে যথা ব্যাধ-দল মিলি, বেড়ে জালে সাবধানে কেশরিকামিনী,— নয়ন–রমণী রূপে, পরাক্রমে ভীমা ভীমাসমা! অদূরে হেরিলা রক্ষঃপতি রণক্ষেত্র। শিবাকুল, গৃধিনী, শকুনি, কুক্কুর, পিশাচদল ফেরে কোলাহলে।
১৭|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:২৫
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:২৫
তওসীফ সাদাত বলেছেন: একবারই চেষ্টা করেছি সনেট লিখতে। সেটাও পুরোপুরি শুদ্ধ করতে পারিনি। 
 
সনেট সম্পর্কে জ্ঞান বাড়ানোর ইচ্ছে আছে। আপনার পোস্ট গুলো সেক্ষেত্রে ভালো সহায়ক হবে 
যাই হোক, কবিতা ভালো লেগেছে খুব। সনেট কি না, সে কথায় আসছি না। জ্ঞান সীমিত আমার 
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:৫৪
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো যে, সনেট লিখতে চেষ্টা করেছিলেন। ওটা শেয়ার করতে পারেন ব্লগে।
ধন্যবাদ তওসীফ সাদাত।
১৮|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৪৪
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: 
সনেট অন্য কিছু না, মামুলি কবিতা মাত্র
এ লিখে নষ্ট হলো একটি মূল্যবান রাত্র 
তারপরেও সনেট কতজনা লিখতে পারে বলুন। 
সনেটে +++ 
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:৫৪
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  
   
   
   
  
সনেট লেখা তাহলে সত্যিই অনন্য কৃতিত্বের কাজ !!   
   
  
 
আজ থেকে মাত্র ২০-২৫ বছর আগেও দেখেছি, আবৃত্তিকারগণ আবৃত্তির জন্য অন্ত্যমিল সম্পন্ন কবিতা বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু ধীরে ধীরে আবৃত্তির ধরন পালটে গেছে বহুত। সুন্দর কণ্ঠে সুসজ্জিত শব্দগুলোকে শুদ্ধরূপে উচ্চারণ করে একটা আবেগঘন আবহ সৃষ্টিই হলো আবৃত্তি। এজন্য দেখা যায় যে, শুধু কবিতাই নয়, গদ্যও আবৃত্তি করা হচ্ছে। এ থেকে ধীরে ধীরে কবিতায় অন্ত্যানুপ্রাসের চাহিদা কমতে কমতে এখন কোন পর্যায়ে চলে এসেছে তা ব্লগের কবিতাগুলো দেখলেই অনুমান করা যায়। কবিতায় অন্ত্যমিল রাখবার প্রবণতা যেখানে এতোখানি কমে গেছে, সেখানে সনেটের জটিল নিয়ম মেনে সনেট লেখা সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছে না 
***
ফেইসবুকে আপনার নামের বানান ‘কাণ্ডারি অথর্ব’ দেখে ভালো লেগেছে যে আপনি ‘কাণ্ডারি’ বানানে ‘ণ’ ও ‘ই-কার’ ব্যবহার করেছেন, যদিও ব্লগে ‘ই-কার’ দেখা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ‘ণ’টা এখনও ‘ন’-ই রয়ে গেছে  ব্লগে বোধ হয় একবারের বেশি নিকনেইম বদল করা যায় না। সুতরাং বর্তমান নামের উপরই সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি, এবং আপনাকে অভিনন্দিত করছি
 ব্লগে বোধ হয় একবারের বেশি নিকনেইম বদল করা যায় না। সুতরাং বর্তমান নামের উপরই সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি, এবং আপনাকে অভিনন্দিত করছি 
ভালো থাকুন সুপ্রিয় ব্লগার কাণ্ডারি অথর্ব।
১৯|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:১১
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:১১
ডি মুন বলেছেন: প্রতিরাতে বারোটা বাজলেই তোমাকে দেখি
শিফন শাড়িতে ঝরে পড়ে সুনিপুণ হাস.।.।.। ভালো লাগলো 
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:৫৯
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
ধন্যবাদ ডি মুন। আমার ব্লগে স্বাগতম।
২০|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:৪৬
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:৪৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন: 
স্কুল বেলায় সনেটের প্রতি মুগ্ধতা ছিল।
মধূসুদন দত্ত পাঠ্য বইয়ে পড়ে মুগ্ধ না হয়ে উপায় ছিল না।
পরে সনেটের প্রতি ভালোলাগাটা আর থাকেনি।
সনেট তেমন পড়ার সুযোগ হয়নি বলেই।
আপনার কবিতা বিশ্লেষনের ক্ষমতা আমার নেই।
তবে সনেট বিষয় কিছু জানা যাচ্ছে পোস্টে, এটা দারুন।
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:০২
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আসল কথা হলো, আমাদের সময়ে ‘কপোতাক্ষ নদ’ পাঠ্যতালিকাভুক্ত থাকলেও এটা আমার একদম ভালো লাগে নি। ভালো লেগেছিল কায়কোবাদের ‘আগ্রা’, নজরুলের ‘সিন্ধু’, বেগম সুফিয়া কামালের ‘সাঁঝের মায়া’, এবং কলমিলতা, কবর, কামনা, ইত্যাদি কবিতাগুলো। পরীক্ষায় পাশের জন্য ‘কপোতাক্ষ নদ’ পড়ে কবির দেশপ্রেম পরিমাপ করতে হয়েছিল 
ভালো থাকুন আশরাফুল ভাই।
২১|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:০৯
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:০৯
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: ভালো লাগা লেখাদের একটি এটা। আবারো ভালো লাগা রইলো। 
সনেট বিশ্লেষণ নিয়ে ভেবে নিজের মাথা ঘুরাতে চাই না। 
অপূর্ব কবিতা সিলেকশন। ‘পত-ভালোবাসা হৃদয় ভরে;’ এই লাইনটি সম্পর্কে বুঝতে চাই। 
মালিকান্দা স্কুলে কয়েকবার ফেল মেরে ওদের ক্লাসমেট হয়েছিলাম স্যার এমন একটি গল্প বানানোর আইডিয়াটা কেমন হয়? 
ভালো থেকো। শুভ সকাল।
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:২১
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সনেট লিখে মগজ ক্ষয় আর সময়ের অপচয় করার কোনো অর্থ দেখি না 
আমি শফিক স্যারের সাথে কথা বলা শেষ করে তোমার কমেন্টের রিপ্লাই দিতে বসলাম। স্যার ভেবেছিলেন তুমি হয়তো মালিকান্দা হাইস্কুলের কোনো পুরোনো ছাত্রী, যাকে তিনি দেখেন নি, অর্থাৎ স্যার আসার আগেই তুমি হয়তো এস এস সি পাশ করে উড়াল দিয়েছিলে  সুতরাং, তোমার কোনো আইডিয়াই খাটলো না
 সুতরাং, তোমার কোনো আইডিয়াই খাটলো না  স্যারকে আমি তোমার ব্যাপারে বলে দিয়েছি।
 স্যারকে আমি তোমার ব্যাপারে বলে দিয়েছি।
শুভ কামনা।
  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৫৩
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এখানে বানান ভুল আছে। এটা পড়োঃ ‘পতি-ভালোবাসা হৃদয় ভরে।’ 
২২|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৫৩
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৫৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: সনেট লিখার মতো প্রতিভা নেই, কেবলই ভাবি ক্যামনে পারেন !!! শ্রদ্ধা!
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:২৭
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ আদনান ভাই।
২৩|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:১০
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:১০
নুসরাত তানজিন ভূঁইয়া নিহা বলেছেন: খলিল ভাই চমৎকার লিখেছেন । সনেট আমার মনে ১৪ লাইনের একটা ব্যাপার সেপার ( কবি ফররুখ আহমেদের কবিতায় নাকি মনে আসছেনা ) সেই অনেকদিন আগে পড়েছিলাম সঠিক মনে নেই জগত সংসার সব শেষ করে দিল ভাইয়া !!!!
  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৩৫
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জগত-সংসার সত্যিই সব শেষ করে দেয়।
অনেক দিন ব্লগে আছেন কিন্তু এখনো সেইফ হতে না পারার যন্ত্রণায় খুব কষ্ট পাচ্ছেন জানি। আপনি যেহেতু কমেন্ট করার প্রিভিলেজ পেয়েছেন, সুতরাং বেশি বেশি ব্লগ ভিজিট করুন আর কমেন্ট করুন, একই সাথে নতুন নতুন পোস্টও লিখুন। এতোদিনে কোনো পোস্ট নেই, এটা কিন্তু সেইফ হবার বিপক্ষে কাজ করছে।
আশা করি শীঘ্রই সেইফ হবেন।
শুভ কামনা থাকলো আপু। 
২৪|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:৪২
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্ট দেখে বুঝা যাচ্ছে রাত্র নষ্ট হয়নি। কিছু জরুরী পেস্টের লিংকও আছে এতে। সব মিলিয়ে ভাল পোস্ট। তবে সনেট লেখাটা যথেষ্টই জটিল কাজ। 
সনেটের নিয়স কানন শিথিল করে সনেট লেখার আইডিয়াটা দারুণ ।
সুপ্রিয় কবি সনেট লেখার প্রচেষ্ঠা   স্বার্থক হোক।
 স্বার্থক হোক।
আমার একটা গোপন খায়েশ  আমার কবিতা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত হবে।  গুরু আশীর্বাদ করবেন।
 গুরু আশীর্বাদ করবেন।  
 
  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:২৯
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুপ্রিয় সেলিম আনোয়ার ভাই,
সনেট লিখতে গিয়ে রাতটা যে নষ্ট হয় নি তা জেনেই সত্যই কৃতার্থ বোধ করছি  মধু মামা বাংলায় অমিত্রাক্ষর ছন্দের সার্থক প্রয়োগ দেখিয়ে গেছেন, সনেটও তাঁর হাত ধরেই বাংলায় সার্থকতা পেয়েছে, তবে তিনি সনেটও অমিত্রাক্ষর ছন্দে লিখে গেলে আরেকটা যুগান্তকারী কাজ করে যেতে পারতেন
 মধু মামা বাংলায় অমিত্রাক্ষর ছন্দের সার্থক প্রয়োগ দেখিয়ে গেছেন, সনেটও তাঁর হাত ধরেই বাংলায় সার্থকতা পেয়েছে, তবে তিনি সনেটও অমিত্রাক্ষর ছন্দে লিখে গেলে আরেকটা যুগান্তকারী কাজ করে যেতে পারতেন  যাই হোক, তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার দায়িত্ব আমাদের
 যাই হোক, তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার দায়িত্ব আমাদের 
আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আপনার উদ্দেশে প্রার্থনা থাকলো- আপনার কবিতা যেন আমাদের পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। 
২৫|  ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:০২
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:০২
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন: 
সনেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগ্রহ ছিল অনেক।
অনেক ধন্যবাদ ভাই ... প্রিয়তে ... ভালো করে বুঝতে আরও কবার পড়তে হবে ... 
শুভ কামনা !  
 
  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৫১
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সনেট লিখবার জন্য দুটি জিনিস বুঝবার প্রয়োজনঃ ১) সনেটীয় কবিতার ভাববিন্যাস ২) রূপকল্প। ভাববিন্যাস বোঝাটা সত্যই দুরূহ; কোনো একটা লেখা কবিতা হয়ে উঠেছে কিনা, সেটাই যেখানে উৎরে যাওয়া কষ্টকর কাজ, সেখানে সনেটীয় রীতিতে ভাবপ্রবাহ সাজানো আরো অনেক কঠিন যে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এজন্য সনেট লিখতে হলে সহজ কাজটা দিয়েই শুরু করা উচিত- রূপকল্প বা প্যাটার্ন তৈরি করা।
আদি ইতালীয় সনেটে দুটি ভাগ থাকে : প্রথম ভাগে ৮টি এবং দ্বিতীয় ভাগে ৬টি পঙ্ক্তি থাকে। প্রথম অংশটিকে অষ্টক এবং দ্বিতীয় অংশটিকে ষটক বলা হয়। সাধারণত অষ্টকটি দুটি এক-প্রকার মিলযুক্ত চৌপদিকা বা চতুষ্ক যোগে গঠিত। ষটকে দুই বা তিন প্রকার ভিন্নতর অন্ত্যমিল বিভিন্নভাবে ব্যবস্থিত হয়ে থাকে। 
আদি ইতালীয় সনেটের অষ্টকে ও ষটকে যথাক্রমে ভাবের আবর্তন ও নিবর্তন বিধৃত হয়ে থাকে। অষ্টকে যে বক্তব্যের পরিবেশনা, ষটকে তার পরিপূরক রূপ অথবা বিপরীত দিক অঙ্কন করে পরিশেষে আবেগের উপসংহার করা হয়। 
সনেটের গাঢ় ও গভীর ভাবপ্রবাহ অষ্টকে সর্বোচ্চ আয়তন ও বেগ লাভ করে এবং তার পরই ষটকে তা দ্রুত প্রশমিত হয়ে ক্রমে অতলে নিঃশেষিত হয়। যে দুটি চতুষ্ক-যোগে অষ্টক গঠিত হয়, তার প্রথমটিতে থাকে বক্তব্যের উদ্বোধন বা প্রস্তাবনা, দ্বিতীয়টিতে থাকে বিশ্লেষণ বা কারণ-নির্দেশ। যে-দুটি ত্রিপদিকা যোগে ষটক গঠিত হয়, তার প্রথম দিকে থাকে বিষয়ের পরিপূরক হিসাবে তার বিপরীত বা অপর দিকের বর্ণনা, দ্বিতীয়টিতে থাকে সমগ্র ভাববস্তুর একটি মীমাংসা কিংবা ভাবের প্রারম্ভিক উপলব্ধিতে উপসংহার। 
শেক্সপীয়রীয় সনেটের প্রথম চতুষ্কে থাকে উপক্রমণিকা, দ্বিতীয় চতুষ্কে বিষয়ের বিশ্লেষণ, তৃতীয়টিতে সমগ্রভাবে মর্মরূপায়ণ এবং অন্তিম শ্লোকে সিদ্ধান্ত বা মন্তব্য। 
উপরে সনেটের ভাববিন্যাস সম্পর্কে বলেছি। এবার দেখুন রূপকল্প বা প্যাটার্ন। খাঁটি পেত্রার্কীয় অন্ত্যমিল নিম্নরূপ :
কখখক : কখখক :: গঘগ : ঘগঘ
কখখক : কখখক :: গঘঙ : গঘঙ
অষ্টকের মিলবিন্যাস অক্ষুণ্ণ রেখে খাঁটি পেত্রার্কীয় রীতির ষটকে নিম্নের চার প্রকার মিলবিন্যাসও ব্যবহৃত হয় : 
কখখক : কখখক :: গঘগ : গগঘ
কখখক : কখখক :: গঘগ : ঘঘগ
কখখক : কখখক :: গঘঘ : গঘগ
কখখক : কখখক :: গঘঙ : ঙঘগ
দেবেন্দ্রনাথ সেন প্রবর্তিত রূপকল্প, যা মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘বঙ্গভাষা’, ‘জয়দেব’ ও ‘কাশীরাম দাস’ কবিতায় ব্যবহার করেছেন, তা নিম্নোক্ত তিনভাগে বিভক্ত :
কখকখ : খকখক :: গঘঘগ : ঙঙ
কখখক : খকখক :: গঘঘগ : ঙঙ
কখকখ : কখকখ :: গঘগঘ : ঙঙ
উইলিয়াম শেক্সপীয়র ১৫৪টি সনেট লেখেন, যার অন্ত্যমিল নিম্নরূপ :
কখকখ : গঘগঘ :: ঙচঙচ : ছছ
আশা করি কিছুটা সাধারণ ধারণা পাওয়া গেলো।
শুভ কামনা।
  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৫৫
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার মতো নবিশ, যাঁরা সনেট লিখতে আগ্রহী, তাঁদের জন্য আপনাকে দেয়া এ রিপ্লাইটা সনেটে লিখবার উপর সংক্ষিপ্ত নোট হিসাবে ব্যবহার করলে বিশেষ উপকার মিলতে পারে 
২৬|  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:৪৭
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:৪৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই বিষয়ে আসলে ধারনাটা এখনও ভাসা ভাসা। আপনার এই পোষ্ট পড়েই যে আমি সনেট বুঝতে শুরু করেছি তা কিন্তু নয় বরং আস্তে আস্তে একটা আগ্রহ হচ্ছে, অল্প অল্প হয়ত বুঝতে পারছি, কিভাবে লেখা যেতে পারে। দেখি, আপনার সাথে আরেক দিন বিস্তারিত আলাপ করার ইচ্ছা রাখি খলিল ভাই।
এই ধরনের চমৎকার বিশ্লেষনী পোষ্ট আপনার কাছ থেকেই আশা করি। শুভেচ্ছা  রইল।
  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:০৯
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সনেটের প্রতি আপনার আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে জেনে ভালো লাগছে জাদিদ ভাই  সাধারণ কবিতার ব্যাপারেই তো কবিরা সন্দিহান থাকেন- কী যে লিখি ছাই মাথা ও মুণ্ডু আমিই কি বুঝি তার কিছু? তার উপর সনেট লিখে ছেড়ে দেয়ার পর তা সনেট হিসাবে সার্থক হলো কিনা সে ব্যাপারে (আমার সনেটের কথা বলছি) আমার কোনো আত্মবিশ্বাস নেই
 সাধারণ কবিতার ব্যাপারেই তো কবিরা সন্দিহান থাকেন- কী যে লিখি ছাই মাথা ও মুণ্ডু আমিই কি বুঝি তার কিছু? তার উপর সনেট লিখে ছেড়ে দেয়ার পর তা সনেট হিসাবে সার্থক হলো কিনা সে ব্যাপারে (আমার সনেটের কথা বলছি) আমার কোনো আত্মবিশ্বাস নেই 
জাদিদ ভাই, সনেট সম্পর্কে আমার জ্ঞান সীমিত; সীমিত জ্ঞান নিয়ে ২৫ নম্বর কমেন্টের রিপ্লাইয়ে যা লিখেছি তা পড়লে সনেট লিখবার উপর সামান্য হলেও দক্ষতা সৃষ্টি হবে বলে বিশ্বাস করি।
আমার সনেটের অপেক্ষায় থাকলাম।
২৭|  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:৫৫
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:৫৫
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণী উত্তরের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:১৫
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় 
২৮|  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:২৭
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:২৭
বৃতি বলেছেন: আকর্ষণীয় পোস্ট ভাইয়া । সনেট সম্পর্কে কিছু জানা হলো, আর আপনার সনেটটা বেশ মজার!  
ভাল থাকবেন । 
  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:১৬
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার সনেটটা বেশ মজার? হাহাহাহাহা ভালো লাগলো। 
ধন্যবাদ আপু, এবং শুভ কামনা।
২৯|  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১২:৪০
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১২:৪০
সায়েম মুন বলেছেন: বেশতো!
  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:১৭
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
৩০|  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:০৬
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:০৬
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন:  সুন্দর কবিতা। 
এত হিসেব করে কবিতা লেখা বেশ টাফ। 
  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:৪৪
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নাতুর আহসান ভাই। ঠিকই বলেছেন, কবিতা লিখতে এতো হিসাবনিকাশ কি মানা যায়?
আচ্ছা, আপনার নামের বানানটা ঠিক করার জন্য কিন্তু অ্যাডমিন বরাবর অ্যাপ্লাই করতে পারেন 
শুভ কামনা।
৩১|  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৫৮
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৫৮
অনাহূত বলেছেন: 
একটি সুন্দর সনেট এবং শিক্ষণীয় ব্লগযাত্রা হলো। জুন আপুর মন্তব্যের প্রতিউত্তরেও ভালোলাগা। খলিল ভাই, আপনার ব্লগে নতুন কিছু পড়তে আসার সাথে সাথে নতুন কিছু শেখার আনন্দটাও সমানভাবে কাজ করে। 
ভালো থাকুন এবঙ বেঁচে থাকুন আমাদের মাঝে -আজীবন।
  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:৪৬
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ অর্ণব ভাই। কেমন আছেন?
মৃত রাজকন্যার কমেন্টের জবাবেও সনেট লিখবার সংক্ষিপ্ত নিয়মটা তুলে ধরা হয়েছে। আগে ট্রাই না করে থাকলে এবার করে দেখতে পারেন 
শুভ কামনা। 
৩২|  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:১০
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:১০
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: সনেট কঠিন ্জিনিস।   
   
 
  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:১৫
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কঠিন সত্য কথা বলেছেন আপু 
৩৩|  ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:১৭
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:১৭
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ব্লগের টেকনিকাল ট্রুটি না সমস্যাটা আমার বুঝতে পারছি না। মার্ফির সূত্র নিয়ে আপনার পোষ্ট সহ সকল পোষ্ট আমি লগ ইন হলে দেখতে পাইনা। ব্লকড থাকে। কারন বুঝলাম না।
  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৪৪
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
এই রহস্য আমিও বুঝতে পারলাম না। তবে মারফি’স ল’ এখান থেকে ডাউনলোড করে পড়তে পারেন আপু।  
  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৪৮
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপু, নিচে মহামান্য ম্যাভেরিক-কে অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন, আশা করি।
৩৪|  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:৩৬
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:৩৬
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: 
তোমার ছায়ামুখ একটু আধটু যা দেখি-
অঙ্গে অঙ্গে সুধা, সুরে তুমি গানের বায়স!
এসব রম্যকথায় হাসি পেলে আমি গেছি
গোপন ঘুমগুলো কেড়ে খাবে রাত্রিরাক্ষস। 
চমৎকার!!
সনেট কিনা তা বলার ক্ষমতা নেই। কিন্তু একটি সনেটিয় শিক্ষা নিয়ে গেলাম প্রিয় কবি  
  
++++++ 
  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৪৫
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার স্নিগ্ধ শোভন। শুভ কামনা।
৩৫|  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  ভোর ৪:৪৪
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  ভোর ৪:৪৪
ম্যাভেরিক বলেছেন: সনেটের সংজ্ঞানুসারে, প্রথমেই এর রূপকল্প বিশ্লেষণ জরুরি। রূপকল্পে উতরে গেলে ভাববিন্যাস পরীক্ষা করতে হবে। এ দুয়ের সফল সম্মিলনেই সনেটের সার্থকতা।
বাংলা কবিতায় মাত্রা গণনা সরল-সোজা নয়, অনেক ক্ষেত্রেই যান্ত্রিক যোজনের মতো, যা পাঠ-প্রবাহের ঠিক প্রতিনিধিত্ব করে না। গতানুগতিক ছন্দের ধারায় আপনার কবিতায় সনেটের রূপকল্পটি বিদ্যমান। ভাববিন্যাসও ঠিক আছে, সমস্যা সমাধান দুই আছে। যদিও ভাবটি হালকা, হাস্যরসাত্মক, তবে সংজ্ঞানুসারে এটি সনেট। 
কিন্তু যার অঙ্গে সুধা, সে কীভাবে গানের বায়স, সোনাবীজ ভাই?
  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৫৭
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ পোস্টে আপনার উপস্থিতি আমাকে খুব আলোড়িত করলো প্রিয় ম্যাভেরিক ভাই। সংজ্ঞানুসারে এটি সনেট হয়েছে, আপনার এ সার্টিফিকেট পেয়ে খুব আশ্বস্ত হলাম 
অঙ্গে অঙ্গে সুধা, সুরে তুমি গানের বায়স!
এসব রম্যকথায় হাসি পেলে আমি গেছি
পরের লাইনটি খেয়াল করুন ম্যাভেরিক ভাই- এটা আসলে তাকে ব্যঙ্গ করে বা তীর্যক করে বলা হয়েছে- এমনিতে রূপসী, কিন্তু হাঁসের মতো ফ্যাসফেসে কন্ঠস্বর- এ খোঁচাটা দেয়ার জন্য এ কথাটা বলা হয়েছে 
আপনার বিশেষজ্ঞ কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ম্যাভেরিক ভাই। শুভ কামনা।
  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৫৮
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ পোস্টের ৩ নম্বর কমেন্টে আপনাকে স্মরণ করা হয়েছিল।
৩৬|  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:০৪
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:০৪
গোর্কি বলেছেন: 
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ধারণার বঙ্গীয় সংস্করণ, মহাকাব্য রচনা, অমিত্রাক্ষর ছন্দ সৃষ্টি ও তার যথার্থ প্রয়োগ, সনেট রচনা প্রভৃতি বিষয়ে ও ক্ষেত্রে মধুকবির চিন্তার প্রতিফলন এবং সৃজন-প্রয়াস বাংলা সাহিত্যভাণ্ডারকে দান করেছে অভূতপূর্ব মর্যাদা ও সৌন্দর্য। তাঁর “মেঘনাদবধ কাব্য” বাংলা সাহিত্যের প্রথম এবং এক অর্থে একমাত্র মহাকাব্যের মর্যাদায় আসীন, বাংলা ভাষায় সনেট সৃষ্টি ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত মধুসূদন অবিকল্প ব্যক্তিত্ব! যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ নিয়ে তিনি নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এবং চেয়েছেন ভাবালু ও আবেগী অবস্থান থেকে এই ছন্দের মধ্যদিয়ে বাঙালি তার সহজ-স্বাভাবিক-সংহত জীবন ও শিল্পচর্চায় ঋদ্ধ হোক। মধুকবির হাত ধরেই আমরা সাহিত্যের আধুনিকতায় প্রবেশ করে এগিয়ে চলেছি।  
“বঙ্গভাষা” বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট। কবিতাটির বিষয়ভাবনা এবং পরিবেশনশৈলী মার্জিত-পরিশীলিত ও সংহত। ভুলের জন্য মনোবেদনা এবং ধারাপরিবর্তন করে সিদ্ধি অর্জনের পরিতৃপ্তি কবিতাটির মূল কথা। চতুর্দশপদী কবিতা লিখতে গিয়ে মধুসূদন ইতালির কবি জগৎখ্যাত সনেট-রচয়িতা পেত্রার্ক এবং ইংরেজ কবি মিল্টলের কলাকৃতি বিশেষভাবে অনুসরণ করেছেন। “বঙ্গভাষা” কবিতার শুরুতে লেখকের মানসিক বেদনাবোধ আর আত্ম-উপলব্ধির বিবরণ সাজানো হয়েছে এভাবে:  
হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;
তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,
পর-ধন-লোভে মত্ত, করিণু ভ্রমণ
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।
কাটাইনু বহু দিন সুখ পরিহরি!
অনিদ্রায়, অনাহারে সঁপি কায়, মনঃ,
মজিনু বিফল তপে অবরণ্যে বরি;
কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন!  
ঐহিকে কোনো কিছুই এক জায়গায় চিরকালের জন্য থেমে থাকে না। তা বিকাশমান ও পরিবর্তনশীল। সুস্থ ভাষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের গ্রহণ-বর্জনের ধারার ব্যাপকতা ও পরিপুষ্টি এই বিকাশে সাহায্য করে। 
ব্যাপক জ্ঞানগর্ভ পোস্টে খুব ভাললাগা রইল।  
  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:০৮
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধরণ কমেন্ট করলেন ম্যাক্সিম গোর্কি। সনেটের উপর আপনার আলোকপাত এ পোস্টকে আরো অনেকখানি ঋদ্ধ করলো। বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৩৭|  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:২৯
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: মজা পেলাম সোনাবীজ ভাই 
‘সনেটের খসড়া’ এবং নিচের টীকা এবং আরও নিচের উপকারী লিংক সবই ভালো লাগলো।
সনেটের কাঠামো-বিন্যাসকেই ছোটকাল থেকে গুরুত্ব দিতে শিখেছি। ভাব বা চিন্তাধারার যে একটি ব্যকরণ-বহির্ভূত ছন্দ আছে, সেটি কেউ সাহস করে বলতে শুনি নি। 
আপনার লেখায় নতুন কিছু ভাবনার সৃষ্টি করে।
কবিতা ও কবিতার রীতিনীতি নিয়ে আপনি অনেক ভাবেন, এটি বুঝা যায়। 
  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:১৫
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
আপনার লেখায় নতুন কিছু ভাবনার সৃষ্টি করে।
কবিতা ও কবিতার রীতিনীতি নিয়ে আপনি অনেক ভাবেন, এটি বুঝা যায়। 
এমন কমপ্লিমেন্টে তো একেবারে গলে গেলাম প্রিয় মাঈনউদ্দিন ভাই  আমাকে ধরেন, ধরেন
 আমাকে ধরেন, ধরেন 
ভাব বা চিন্তাধারার যে একটি ব্যকরণ-বহির্ভূত ছন্দ আছে, সেটি কেউ সাহস করে বলতে শুনি নি।   ---- চলুন, আমরা সাহস করে সেই কাজটা করি 
আপনার মন্তব্যে খুব অনুপ্রাণিত হই মাঈনউদ্দিন ভাই। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
৩৮|  ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৩৫
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১১:৩৫
বোকামন বলেছেন:  
 
ব্যত্যয় বেশ তো ! 
  ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:৪৪
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় বোকামন।
৩৯|  ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:০২
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:০২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: কবিতা, তারউপর আবার সনেট! আর কি কঠিন কঠিন শব্দ আর ব্যাখ্যা। বাহ্যিক রূপকল্প, ভাবপ্রবাহের বিন্যাস, অমিত্রাক্ষর ছন্দ ! মাথাতো হেলিকপ্টারের মত ঘুরতেছে, গুরু! কঠিন উস্তাদি ব্যাপার স্যাপার! চালিয়ে যান শুভেচ্ছা রইল।
  ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:২৩
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে ভাবছিলাম- আপনি আবার সনেটের উপর একটা সাইফাই গল্প লিখে ফেলেন নাকি  সেটা কতখানি জটিল আর কঠিন হতে পারে তা ভেবে আমি শিহরিত হচ্ছি!
 সেটা কতখানি জটিল আর কঠিন হতে পারে তা ভেবে আমি শিহরিত হচ্ছি!
সনেট মনে হয় আদতেই কঠিন জিনিস- এটাকে যতই বুঝতে চাই ততই কঠিন মনে হয়  এটাকে চিরতরে পরিত্যাগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ
 এটাকে চিরতরে পরিত্যাগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ 
ধন্যবাদ সাইফুল ভাই পাঠ ও কমেন্টের জন্য। শুভ কামনা।
৪০|  ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:৫৬
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:৫৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: গানিতিক ভাবে ১৬ মাত্রা....গুনে গুনে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় কিভাবে সেটাই তো মাথায় ঢুকে না। সনেট লেখার চেষ্টা করেছিলাম ছোট বেলায় যখন কপোতাক্ষক নদ পড়ানো হয় ক্লাসে আমাদের। মাথা সেই যে ভন ভন করলো, সেই ভয়ে আর চেষ্টা করিনি।
আপনার হাত সাবলীল ভঙ্গিতে লিখতে পারে, তাই পড়বার সময় মনে হয় নি যে আপনি ছন্দ আর মাত্রা মিলাতে কোনো জোর জবরদস্তি করেছেন।
যাকে নিয়ে লিখেছেন ভাবী কি জানে তার কথা?
  ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৪৯
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিয়ম মেনে কোনো কিছু করতে যাওয়ার অর্থই আবেগ বা ভাবকে প্রতিহত করা। এ সত্ত্বেও যারা সব নিয়মকানুনের মধ্যে থেকেই ভাবের সার্থক প্রকাশ ঘটিয়েছেন, তাঁরা আমাদের মতো সাধারণ কেউ নন। 
আপনার ছোটোবেলাকার সনেটগুলো কোথায় গেলো?  সংরক্ষণে থাকলে শেয়ার করুন। নাই বা থাকলো পুরোনোগুলো, নতুন কিছু সনেট আমাদেরকে উপহার দিন।
 সংরক্ষণে থাকলে শেয়ার করুন। নাই বা থাকলো পুরোনোগুলো, নতুন কিছু সনেট আমাদেরকে উপহার দিন।
যেটুকু প্রশংসা করলেন সেটুকু আমার প্রাপ্তি হিসাবে উপভোগ করলাম, এবং আপনার এহেন বদান্যতার জন্য ধন্যবাদ।
কাকে নিয়ে লিখলাম ভাবীর চেয়ে তা আর কে বেশি জানে?  
 
শুভ কামনা উস্ব।
৪১|  ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:০৯
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১১:০৯
তওসীফ সাদাত বলেছেন: ইতিমধ্যে প্রকাশিত  **নির্দেশিত পরাজয়** নামে
 **নির্দেশিত পরাজয়** নামে 
  ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৫২
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১০:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ব্লগ খুঁজে এ নামে কোনো কবিতা পেলাম না যে 
৪২|  ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:০৫
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:০৫
সোমহেপি বলেছেন: সনেট ! মাইকেল বাবুর সনেট পড়েই আমি প্রথম হতাশ হয়েছিলাম ।
কেলিনু শৈবালে.....
এটুকু মনে আছে।
তারপর ওটাও সম্ভবত সনেট ক্লাশ টেনের পাঠ্য বইয়ে ছিলো-তিতাস' কবিতাটি।
ভালো লেগেছে।
বিভিন্ন আঙ্গিকের সনেট পড়েছি। বিশেষ করে জীবনানন্দ বাবুর ওগুলো অসাধারণ।
মধুবাবুর সনেট পড়লে আমার পিলে চমকে উঠে 
  ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:০২
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
মধুবাবুর সনেটগুলো বেশিরভাগই আমার কাছে আরোপিত মনে হয়- হয়তো আমি বুঝি না বলেই এরকম মনে হয়- তিনি শব্দসংকলন ও বাক্যনির্মাণ যেভাবে করেছেন তা সার্বিক বিবেচনায় অতি উচ্চমার্গীয় সাব্যস্ত- কিন্তু আমার কাছে এসব বড্ড কৃত্রিম মনে হয়। খুব কম বুঝি বলেই এরকম মনে হয়। জীবনানন্দের সনেট খুব সাবলীল, প্রাঞ্জল, অকৃত্রিম এবং হৃদয়গ্রাহী মনে হয়। যাক, ছোটো মুখে কটু কথা বলা খুব অন্যায়। মহাকবি মাইকেলের আরেক খণ্ড উপহার আপনার জন্যঃ
সম্মুখ সমরে পড়ি, বীর-চূড়ামণি বীরবাহু, চলি যবে গেলা যমপুরে অকালে, কহ, হে দেবি অমৃতভাষিণি, কোন্ বীরবরে বরি সেনাপতি-পদে, পাঠাইলা রণে পুনঃ রক্ষঃকুলনিধি রাঘবারি? কি কৌশলে, রাক্ষসভরসা ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদে — অজেয় জগতে — ঊর্মিলাবিলাসী নাশি, ইন্দ্রে নিঃশঙ্কিলা?
ভালো থাকুন ইমন ভাই।
৪৩|  ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৫৫
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:৫৫
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: 
লেখাটি পড়েছি আগেই, দারুণ এই লেখাটি আর সাথে সংযুক্ত লিংকগুলো আমার কাছে খুব চমকপ্রদ মনে হয়েছে।
(একটা সনেট লেখার চেষ্টাতো করা যায়!!)
শুভকামনা ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।
  ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:০৬
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় কবি, আপনার হাতে সনেট যে সোনার টুকরো হয়ে ফুটবে, সে ব্যাপারে আমি খুব নিশ্চিত। আশা করি অতি শীঘ্রই আপনার কাছ থেকে এমন একটা সনেট আমরা পেতে যাচ্ছি। সেই কামনায়-
৪৪|  ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:২৮
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৮:২৮
সকাল রয়  বলেছেন: 
রাতের অপচয় না হলেএমন সৃষ্টি হয়তো হতো না।
এতকাল কবিতা লেখার যেসকল ধারা সৃষ্টি হয়েছে তার কোনটাতেই লিখতে পারিনা। আর সে জন্য সেটা নিয়ে আফসোস হয়না। লিখতে পারি লাইনের পর লাইন হয়তো সেটাকে ঠিক কবিতা বলা যায়না। 
তবে গুচ্ছ গুচ্ছ কথামালা বলা যেতে পারে। আপনার সনেট পড়বার পর মনে হলো চেষ্টা করলে লেখা যেতে পারে কিন্তু সে চেষ্টায় বিফল হবো বলেই হয়তো লেখা হবেনা। 
সনেটের কথাগুলো কিন্তু বেশ ভাবিত! 
  ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১:৩২
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ১:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
এতকাল কবিতা লেখার যেসকল ধারা সৃষ্টি হয়েছে তার কোনটাতেই লিখতে পারিনা।  এ নিয়ে মনে দুশ্চিন্তা নেবেন না কবি। কারণ, আমার ধারণা- এ যাবত যত ধারা সৃষ্টি হয়েছে- আমরা সেসব ধারার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছি- নতুন একটা ধারা সৃষ্টি করা অনেক দুরূহ ও জটিল বলে আমার মনে হয়- আর সে ধারাটা পরিকল্পনা করে সৃষ্টি করার চেয়ে বরং শতাব্দীর পর শতাব্দী ভাষার বিবর্তনের ফলেই ঘটে থাকে। আপনি দেখুন, উপরে মাইকেল মধুসূদনের অমিত্রাক্ষর কবিতাকে কীভাবে সাজিয়ে লিখেছি। আমরা অধুনা যে গদ্যকবিতা লিখি- মাইকেল বাবু তা আমাদের চেয়ে আরো দেড় শ-দুই শ বছর আগেই লিখে গেছেন- আমরা শুধু প্যাটার্ন বদল করছি, আর ভাষা বা শব্দের হচ্ছে বিবর্তন। এই পরিবর্তনটা বুঝবার জন্য ৫০০ বছর আগেকার কবিতার সাথে আজকের কবিতা পাশাপাশি বসালে সুস্পষ্ট হবে।
কী লিখলাম- কিছু হলো কিনা- এটা সব যুগের সব কবির মধ্যেই ছিল। কিন্তু তাঁদের কবিতা কবিতাই ছিল- এজন্য এখনও তাঁরা আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন নিজ নিজ কবিতায়। আর এ আফসোসটা আছে বলেই কবিরা কবিতা লিখেন।
আপনার একটা সনেট দেখবার আশায় থাকলাম কবি।
শুভ কামনা।
৪৫|  ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৪৫
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৪৫
তওসীফ সাদাত বলেছেন: এবার দেখেন , মনে ছিল না যে লেখা ওটা ড্রাফট্ এ।  এবার পাবেন
 এবার পাবেন 
  ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:০১
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
আপনার সনেটটা নিচে দিয়ে দিলাম। আমি প্রতি পঙ্ক্তির মাত্রা গুনে দেখলাম। সব পঙ্ক্তিতে ১৩ অক্ষর/ ১১ স্বর / ১৪ মাত্রা নেই; ভালো হয় সব লাইনে ১৩ অক্ষর করে দিলে- দু-একটা লাইনে ১৩-র চেয়ে বেশি, কোথাও ১৩-র চেয়ে কম অক্ষর রয়েছে। মাত্রা বা স্বর সংশোধনের চেয়ে অক্ষর সংশোধনই সহজ হবে বলে মনে করি।
এরপর আশা যাক রূপকল্পে। আপনি কোন্ শব্দের সাথে কোন্ শব্দের অন্ত্যানুপ্রাস দেখিয়েছেন তা নিয়ে আমি সন্ধিগ্ধ। 
ঢেউ খেলানিয়া পুস্কুনিতে আমারি, --ক
বিমুগ্ধ হইয়া সাঁতার কাটিতেছি,          ---খ
তেঁতো জলের স্বাদ পাইবার তরে- ------- গ
বাস্তবতার ছলনায় ডুবিয়াছি।            ----খ
অযাচিত ধূপছায়া হইবার তরে-         -----গ
মেঘাচ্ছন্ন জাল বুনিয়াছি মিছে।          ------ঘ
কল্পরাজ্যের মোহনিয়তার ঘোরে-     ------গ
আত্ম-দংশনে বিষপান করিয়াছি।      -------খ
নির্ভুল সে মমতার কলঙ্কিনী-         -----ঙ
হয়তো বা রোদ্দুর মাখা মোহময়ী।  -ধ্বনি)/ঙ (কলঙ্কিনী’র ‘ঈ’ ধ্বনি/মোহময়ী’র ‘ঈ’ ধ্বনি)
ক্ষণিকের মিছে ছলনাময়ী হয়ে,     -------ছ
ক্ষণিকেরই মিষ্টভাষিণী হয়ে,        -------ছ (হয়ে/হয়ে এক হয়ে গেলো যে!)
প্রবেশ করিয়াছিল কোন সদালাপী। ------জ
হারাইয়া যাইবার তরে কোন নারী। ------ঝ/জ (সদালাপী’র ‘ঈ’ ধ্বনির সাথে নারী’র ‘ঈ’ ধ্বনি অবশ্য অনুপ্রাস হয়) 
তাহলে আপনার রূপকল্পটি দাঁড়ালোঃ কখগখগঘগখ  ঙচছছজঝ(জ)। এবার নিজে থেকেই বিচার করে দেখতে পারেন সনেট হিসাবে এটি কতখানি সার্থক। আমি অবশ্য ভাববিন্যাসের দিকে যাই নি।
৪৬|  ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:৫০
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:৫০
তওসীফ সাদাত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে !!!
বেশ উপকৃত হলাম 
  ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:১৬
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ তওসীফ সাদাত ভাই।
৪৭|  ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৫৬
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:৫৬
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: অঙ্কে বরাবর কাঁচা এই আমি কোথায় এসে পড়লাম  :-& সঠিক মাত্রায় ভাবের উপস্থাপন এবং উপসংহারেইতো সনেট!
  ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:৩১
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৭:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
সঠিক মাত্রায় ভাবের উপস্থাপন এবং উপসংহারেইতো সনেট! বাহ্! খুব অল্প কথায় দারুণ ডেফিনেশন দিয়ে দিলেন তো সনেটের! এই না হলে কী আর জীবনানন্দদাশের ছায়া? 
সনেটের ভাববিন্যাসের ব্যাপারে যে ধারণার কথা জানি, তা তো যে কোনো কবিতার জন্যই প্রযোজ্য। শুধু কবিতায় কেন, একটা প্রবন্ধের ক্ষেত্রেও কি তা প্রযোজ্য নয়? একটা বিষয়ের অবতারণা বা উপস্থাপন করতে হবে, তা বিশ্লেষণ করতে হবে, তারপর এর জন্য একটা উপসংহারও টানতে হবে। যে কোনো সার্থক রচনার জন্যই তা প্রযোজ্য। তাহলে সনেটকে কীভাবে পার্থক্য করবো অন্যান্য কবিতা থেকে? - সনেটের জন্য নির্ধারিত ‘সঠিক মাত্রা’ গণনা করে। আপনার কথাটা আমার খুবই খাটলো। সনেট ভালো করে বুঝলাম আর কী 
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা প্রিয় ব্লগার। 
৪৮|  ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:৫০
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১:৫০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর লেখা , ধন্যবাদ পোষ্ট 
শুভকামনা থাকল 
  ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:২৫
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু। শুভ কামনা।
৪৯|  ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ৮:৫৩
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ৮:৫৩
ডট কম ০০৯ বলেছেন: আলাউদ্দিন ভাই আর ফারিহান ভাইয়ের আলোচনায় অনেক কিছু জানলাম।
সনেট সম্পর্কে পুথিগত বিদ্যা ছিল কিন্তু এমন গভীরে কখনোই যাওয়া হয় নাই।
আসলেই কত কিছু অজানা থাকে।
  ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:২৬
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সনেট সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলেন বলে শ্রম সার্থক মনে করছি। এবার জলদি একটা সনেট লিখে উপহার দিন।
শুভ কামনা ডট কম। 
৫০|  ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:১০
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:১০
সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: অনেকদিন পরে একটা সনেট পড়লাম। এর সুবাদে ঝালাই করা হয়ে গেল সনেটের ফর্মটা। নিজে তো কবিতা লিখতে পারি না। কিন্তু কবিতার বিভিন্ন ফর্ম দেখতে ভাল লাগে। 
  ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:২৯
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি উপরে উল্লেখ করেছি- গদ্যকাররাও যে অনেক উন্নত মানের কবিতা রচনা করে গেছেন, তা আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। আপনার গদ্যের হাত হতেও উৎকৃষ্ট মানের কিছু কবিতা, এমনকি সনেটও, রচিত হতে পারে। অতএব, আজই চেষ্টা করুন।
শুভ কামনা আপু। 
৫১|  ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:৫৯
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  রাত ১২:৫৯
সুমন কর বলেছেন: কবিতা ভাল লেগেছে। সনেট......  
 
  ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:৩০
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। শুভ কামনা।
৫২|  ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:০৩
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কবি আমিওএকটা সনেট লিখেছি ।সেটা নাকি ইরিটেটিং। ঘবড়ালাম।
  ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:০১
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৫:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
অপসরা
- সেলিম আনোয়ার
অপসরা প্রিয়তমা রসের আধার
ভালবেসে অবশেষেকিসের নেশায়
পরজনে বিলিয়েছোস্নেহের পরশে?
ভিখেরি করেছো যারেমনের হরষে
তার প্রেম ভালবেসে কিবা যায় আসে?
রাতদিন স্বপ্নলোকে তোমায় নিয়ে যে
রঙিন স্বপন দৃশ্যে উন্মাদ হলো সে।
ভুলে গেলে কি হে তারে চোখের পলকে?
অযাচিতের মতন কেন যে আপন
নিত্য অবহেলে যাও নিজের যে জন!
করো না ভুল অবোধ, কাছে টেনে নাও
ভালবেসে তোমায় যে রেখেছে হৃদয়ে।
সুখের স্বর্গ রচো হে তার অভিসারে
অপসরা রূপখনি সুখের আকরে। 
***
এটাই যদি আপনার প্রথম সনেট হয়ে থাকে, তাহলে বলবো অনেক ভালো লিখেছেন, এবং প্রথম সনেটেই বাজিমাত করে দিয়েছেন। সনেট যেহেতু বুঝেই লিখেছেন, আমার কমেন্টের উত্তরে এর রূপকল্পটা একটু ব্যাখ্যা করলে আমার বুঝতে আরো বেশি সহজ হবে। যেমন, অষ্টকের ‘নিয়ে যে’-এর সাথে কোন শব্দের অন্ত্যানুপ্রাস সাধিত হয়েছে তা জানতে চাই, তেমনি ষটকের ‘নাও’ ও ‘হৃদয়ে’র সাথে কোন শব্দের অন্ত্যমিল দেখিয়েছেন তা বুঝি নি।
‘রঙিন স্বপন দৃশে ।পাগল হলো সে।’ লাইনটাকে ‘রঙিন স্বপন দৃশ্যে উন্মাদ হলো সে’ লিখলে বেশি ভালো লাগে।
‘অবহেলে’ শব্দের অর্থ হলো ‘অনায়াসে’, কিন্তু আপনি বোধ হয় ‘অবহেলা করা’ বোঝাতে চেয়েছেন। এটা ভেবে দেখতে পারেন।
সব মিলিয়ে বলবো, আপনার চেষ্টা খুবই সার্থক হয়েছে। ক্রমাগত সনেট লিখতে থাকুন। শিগগিরই আপনি সনেটে খ্যাতি লাভ করবেন, আমার বিশ্বাস।
শুভ কামনা আনোয়ার ভাই।
৫৩|  ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:০৯
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:০৯
শাবা বলেছেন: এই পোস্টটির সাথে সাথে আপনার লেখা সনেট সংক্রান্ত অন্য দুটি পোস্টও পড়েছি। খুব চমৎকার হয়েছে। আমার সনেট সম্পর্কে জ্ঞান আরো সমৃদ্ধি হয়েছে এবং কবিতা ও ছন্দ নিয়ে আপনার পড়ালেখা ও গবেষণা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
দয়া করে আমার কবিতাগুলো দেখে একটু বিশ্লেষণী মন্তব্য কামনা করছি।
  ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:১৯
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৩:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শামীমুল বারী ভাই। আপনার পোস্ট দেখে এলাম। নিয়মিত দেখা হবে আশা করি। ভালো থাকুন।
৫৪|  ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:১৬
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩  দুপুর ২:১৬
নীল ভোমরা বলেছেন: সনেট ভাল হইছে!
  ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:২০
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩  বিকাল ৪:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নীল ভোমরা।
৫৫|  ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪  সকাল ৯:১৮
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪  সকাল ৯:১৮
রাইসুল নয়ন বলেছেন: 
আমৃত্যু আপনার মূল্যবান রাত কবিতা লিখতে লিখতে নষ্ট(?)হোক সে কামনাই করি,আর সেই সাথে মাঝে মাঝে ফ্রি কবিতার ক্লাস,মন্দ নয়।কি বলেন ভাইয়া?
বিশেষ আর কি বলবো,আপনার ব্লগে সবাই গভীর গভীর কথা বলে আর আপনিতো আরও গভীর করে বলেন।
আমি কিছুই বুঝিনা,সামাজিকতার খাতিরে মাথা ঝুলাই!
তবে ভাললাগে আপনার লোকদেখানো সরল,আদতে গভীর কবিতা।
  ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪  দুপুর ২:১৯
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪  দুপুর ২:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার অসাধারণ কমেন্টে অনেকগুলো প্লাস থাকলো নয়ন ভাই। ভালো থাকুন।
৫৬|  ০৩ রা মার্চ, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:৪৪
০৩ রা মার্চ, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:৪৪
বৃষ্টিধারা বলেছেন: কিছু বল্লাম না ।
  ০৩ রা মার্চ, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:৫২
০৩ রা মার্চ, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক কিছুই বলে গেলেন, কোনো কিছু না বলে 
৫৭|  ০৩ রা মার্চ, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:৫৫
০৩ রা মার্চ, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:৫৫
বৃষ্টিধারা বলেছেন: হে হে হে
আপনি আমারে এত বুঝেন....!!!!!
এবার তো তাহলে টমেটো নিয়া আসবেন বাসায়,নাকি ?   
   
 
  ০৩ রা মার্চ, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:০৭
০৩ রা মার্চ, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের বাগানের অর্ধেক টমেটো নিয়ে আসবো আপনার জন্য  চলবে তো?
 চলবে তো?
৫৮|  ০৩ রা মার্চ, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:১৩
০৩ রা মার্চ, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:১৩
বৃষ্টিধারা বলেছেন: হুম,চলবে । সস বানাবো আগামী বছর পর্যন্ত যেনো খেতে পারি,সেজন্য ।   
   
 
  ০৯ ই মার্চ, ২০১৪  দুপুর ২:০৫
০৯ ই মার্চ, ২০১৪  দুপুর ২:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি, আচ্ছা 
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:১২
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩  রাত ৯:১২
বেঈমান আমি. বলেছেন: তখন ভাবি ছাইছুতো এ ব্লগ লেখালেখি
 
 
এর চেয়ে ঢের ভালো প্রেম-ভালোবাসাবাসি
ঠিকিতো
১৬টি অক্ষরে সনেট হয় নাকি?