নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাট্যশালা : সুখের লাগিয়া যে-ঘর বাঁধিনু

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৮



রাইসা। যাকে সে ভালোবেসেছিল, সে এক টগবগে তরুণ, যার ভিতরে অফুরন্ত জোয়ার ছিল, আর মগজে ছিল অপরিমেয় মেধা। কিন্তু ছোটো এক টুকরো বাসযোগ্য জমি ছাড়া প্রেমিকের অন্য কোনো সম্পদ ছিল না। অতএব, সবকিছু সূত্রানুযায়ীই ঘটে গেলো- অবুঝ ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত বন্ধনে গড়ালো না। রাইসা ‘চন্দন পালঙ্কে শুয়ে’ সুখ পায় না, ওর শূন্য বুক আর খাঁ-খাঁ অন্তর লু-হাওয়াময় মরুভূমি। চন্দন-পালঙ্কে শুয়ে কী লাভ, তার চেয়ে গাছতলা কতো ভালো ছিল, যদি পাওয়া যেতো আরাধ্য প্রেমিককে! সেই যুবকের বুকে এখনো ওর জন্য ভালোবাসার বান ডাকে কিনা রাইসা জানে না।





আফরোজার প্রেম করে বিয়ে হলো পাড়ার ছেলে জুম্মনের সাথে। জুম্মন তাকে সারাবেলা প্রেম দেয়। কিন্তু সারাদিনে একবেলাও ওদের ঠিকমতো খাবার জোটে না। খালি পেটে প্রেম জমে?





কলমির প্রাণসখী ছিল রেহানা। একসাথেই সে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়েছিল। ওর মাথায় কিছু ছিল না, ওর ছিল শরীর-ভরা যৌবন, ফরসা ধবধবে চেহারা। কলমি ঐ বয়সেই ভাবতো, ও ছেলে হলে প্রিয় সখীকে আদর করতে করতে বড় করতো নিজের মতো করে, তারপর বিয়ে করতো নিজেই। কিন্তু মাতবর বাড়ির মূর্খ পোলা হাছন মিয়ার সাথে রেহানার বিয়ে হয়ে গেলো- স্কুলে যেদিন ক্লাস ফাইভের বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়া হলো, সেদিনই। হাছন মিয়া রেহানাকে দেখেই পছন্দ করে ফেলে।



হাছন মিয়ার বয়স রেহানার বাবার বয়সের চেয়ে বছর পাঁচেক কম হবে বৈকি। হাডুডু খেলার বয়সে রেহানার বাবা হাছন মিয়ার সাথে কত হাডুডু খেলেছে! আঠার-উনিশ বছর বয়সের কালে রেহানার বাবা বিয়ে করেছিল, হাছন মিয়া বিদেশে চাকরি করতে করতে এই বয়সে পৌঁছলো।



দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে মাতবর বাড়ির বড় বউ এখন রেহানা। অবশ্য কলমিরও মাতবর বাড়িতেই বিয়ে হয়েছে, তবে মাতবর বাড়ির কোনো ছেলের সাথে নয়, ঐ বাড়ির এক রাখালের সাথে। কদম আলি ওর জামাইর নাম। কদম আলি বারো মাস মাতবর বাড়িতে থাকে। ধান-পাট কাটার মৌসুম এলে কাজের চাপ বেড়ে যায়। মাতবর-গিন্নির কথামতো কদম আলি তার বউকেও মাতবর বাড়িতে নিয়ে আসে কাজের জন্য।



প্রথম-প্রথম কলমির খুব লজ্জা হতো, প্রিয় সখীর স্বামীর বাড়িতে চাকরানির কাজ! রেহানাও বোধ হয় ওর সংকোচ বোধের জিনিসটা ধরতে পেরেছিল। তাই নিজে থেকেই বান্ধবীর সাথে খুব সহজভাবে মিশতো। মাঝে মাঝে ঘরের কেবিনে ডেকে নিয়ে গল্প করতো। এখন আর আগের মতো টান নেই। কলমিরও গা-সওয়া হয়ে গেছে। রেহানার মেজাজে কেমন একটু মাতবর-গিন্নির ভাব চলে এসেছে, দেমাগী ভাব। কলমিকে আদেশের সুরে কাজকর্মের ফরমায়েশ দিয়ে থাকে।



কষ্টের সংসারে রেহানার সুখ দেখে কলমির মাঝে মাঝে কান্না পায়, মাঝে মাঝে হিংসা হয়, মাঝে মাঝে আবার ভাগ্যকে গালিও দেয়- ওরও তো ওরকম একটা সুখের সংসার হতে পারতো।





পাখির মতো উড়তে ইচ্ছে করছে রিয়ার। এত সুন্দর ফ্লাটবাড়ি! এত সুন্দর খাট! সে দৌড়ে ছুটে চলে ড্রয়িং রুমে। কিচেনে যায়। বাথরুমের শাওয়ার কাভার, বাথটাব- আহ, সবকিছুতে শিল্পের ছোঁয়া- রিয়ার কী যে ভালো লাগছে! কী যে ভালো লাগছে!

কোথা থেকে চিলের মতো উড়ে এসে ছোঁ মেরে কোলে তুলে নেয় রুশো। তারপর বাঘের মতো হিংস্র হয়ে ওঠে। তামাম পৃথিবীতে সুনামি বয়ে যায়।



নিথর শরীরে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে রিয়া। পাশে বিভোরে ঘুমোয় রুদ্র। এ আগুনে সবকিছু জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যায়- সোনার পালঙ্ক, তকতকে মেঝে, ড্রয়িংরুম- সবকিছুতে যেন বিষ মাখানো। কীভাবে, কতদিন এ গনগনে শরীর টেনে নেবে জ্বলন্ত তসলিমা!

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৭

বৃষ্টিধারা বলেছেন: কঠ্ঠিন.........


ঝিম মেরে বসে আছি ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঝিম মেরে বসে থাকা কেন?


কোন্‌টি যে পরম আরাধ্য ‘সুখ’ মানুষ যদি তা জানতো!

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৬

বৃষ্টিধারা বলেছেন: হুম.......

কঠিন প্রশ্ন । :( :(

ইদানীং আমি শুধু শপিং করি,এটা ই আমার সুখ মনে হয় । বাট,আসলেই কি তাই ?

মাঝে মাঝে মনে হয়,আমি কি খুশি থাকার ভান করছি ? নাকি,কষ্ট লুকানোর জন্য শপিং করছি ? জানি না,কিনে আনার পর পর ই ঐ জিনিস আর ভালো লাগে না ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জ্ঞানদাসের কবিতাটি এখানে রেকর্ড করে রাখি। অনেক ঘাঁটাঘাঁটির পর পূর্ণাঙ্গ কবিতাটি পাওয়া গেলো ফেইসবুকে ‘কবিতা ঘর’ নামক পেইজে। (এটি একটি গান)

***

সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু
জ্ঞানদাস
(মধ্যযুগীয় বৈষ্ণবপদাবলী)

সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু
অনলে পুড়িয়া গেল।
অমিয়-সাগরে সিনান করিতে
সকলি গরল ভেল।

সখি কি মোর করমে লেখি।
শীতল বলিয়া ও চাঁদ সেবিনু
ভানুর কিরণ দেখি।

উচল বলিয়া অচলে চড়িতে
পড়িনু অগাধ জলে।
লছিমি চাহিতে দারিদ্র্য বেড়ল
মাণিক্য হারানু হেলে।

নগর বসালাম সায়র বাঁধিলাম
মাণিক পাবার আশে।
সাগর শুকাল মাণিক লুকাল
অভাগার করম-দোষে।

পিয়াস লাগিয়া জলদ সেবিনু
বজর পড়িয়া গেল।
জ্ঞানদাস কহে কানুর পিরীতি
মরণ অধিক শেল।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: সুখের লাগিয়া যে ঘর বাধিনু..


ঘরে বাঁধা পড়ে মন-শরীর, নদীর ওপাড়ে ঘর বাঁধে সুখ..


গভীর নিঃশ্বাসের তিনটা গল্প একসুরে বেঁধেছেন ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

ঘরে বাঁধা পড়ে মন-শরীর, নদীর ওপাড়ে ঘর বাঁধে সুখ..


দারুণ কথা বলেছেন মামুন ভাই। মুগ্ধ।

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

মশিকুর বলেছেন:
আপনি কি অভিনয় জানেন? তাহলে সুখ আপনার জন্যই :) লেখা পড়তে পড়তে আইয়ুব বাচ্চুর একটা গানের কথা মনে পরে গেল "সুখেরই পৃথিবী"

প্রথমবার পড়ার সময় ২ নং টার অভাব অনুভব করছিলাম। ছোট্ট লেখায় অনেকগুলো অনুভূতি +

শুভকামনা।।

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি অভিনয় জানি, যেমনটা জানেন আপনিও, এবং যে-কেউ। জীবন-নাট্যশালায় অভিনয় করবার ক্ষমতা না থাকলে মানুষ পাগল হয়ে যেত।

শুরু থেকেই ২ নম্বরটা ছিল। কিন্তু পড়তে যেয়ে নাম বিভ্রাট ধরা পড়ে। সংশোধন করতে গেলে পুরোটাই ডিলিট করতে হয়। একটু সময় নিয়ে ওটা আবার সংযোজন করে দিলাম।

আইয়ুব বাচ্চুর গানটা ইউটিউবে খুঁজে পেলাম। এই নিন ওটা ;)





ধন্যবাদ মশিকুর ভাই।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


উচল বলিয়া অচলে চড়িতে
পড়িনু অগাধ জলে।
লছিমি চাহিতে দারিদ্র্য বেড়ল
মাণিক্য হারানু হেলে।


০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার কাণ্ডারি। শুভেচ্ছা।

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কি লজ্জার ব্যাপার বলেন! আমি এতদিন কিনা আপনাকে অনুসরন না করে খুঁজে খুঁজে লেখা পড়েছি। তাই তো বলি আপনার লেখা কেন আমি অনুসারিত লিস্টে পাই না। এটা ব্যক্তিগত তীব্র লজ্জা।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাকে খুঁজে বের করতেন এটা আমাকে অনেক আনন্দ দিল ;) কারণ, এতে অনেক বেশি আন্তরিকতা ছিল।

ধন্যবাদ মোজাদ্দিদ ভাই। ভালো থাকবেন।

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪০

গোর্কি বলেছেন:
কোনো কোনো সময় বাতায়ন দিয়ে ফুরুৎ করে উবে যায়। আমার কাছে সুখ ব্যাপারটা আপেক্ষিক। পাঠে ভাললাগা।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আসলেই তো, সুখ ব্যাপারটা খুব আপেক্ষিক। কে যে কোথায় কী কাজে সুখ পায়, কে তা সঠিক করে জানে?

শুভেচ্ছা জানবেন ম্যাক্সিম গোর্কি।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার লাগলো।বরাবরের মত অসাধারণ।+

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।

৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৪২

ডট কম ০০৯ বলেছেন: সুখের ও লাগিয়া এ ঘড় বাধিনু অনলে পুড়িয়া গেল!!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

অমিয়-সাগরে সিনান করিতে
সকলি গরল ভেল।

১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

আরিফ রুবেল বলেছেন: অসাধারন !

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আরিফ রুবেল।

১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

রাইসুল নয়ন বলেছেন: অতএব, সবকিছু সূত্রানুযায়ীই ঘটে গেলো-


০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটাই গতানুগতিক ঘটনা ;)

১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: কি পড়লাম রে ভাই???

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সত্যি, কী পড়লেন? ;) ;)

ধন্যবাদ।

১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

সুমন কর বলেছেন: আচ্ছা লেখাটি কি গতকাল আরো বড় ছিল? আমি ঘুরে গিয়েছিলাম। আজ পড়বো বলে।

লেখা অসাধারণ হয়েছে। ২নং টাতে শেষ প্রশ্নটা না থাকলে, অসম্পূর্ণ লাগতো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ লেখাটি গতকাল এ সাইজেরই তো ছিল ;)

লেখা অসাধারণ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ সুমন ভাই।

১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সুখটা বড্ডই বেয়াড়া.... ঠিক সুখ হয়ে আসে না
সুখ আসে ফন্দি করে ছদ্মবেশে... দুঃখের রূপ নিয়ে

আবার কেউ কেউ নিজস্ব ফিল্টারে সুখ ছেকে নেয়
সাতটি স্টেপে সুখ হয়ে আসে.... :)

সুখগুলোর রঙ ও গন্ধ বদলে যায়... জীবন পরিক্রমায়
সুখগুলো কলমি বা রেহানাদের কাছে আমার খুবই সরল
সাদামাটা.... এতটুকুই তারা পায় না।


সোনাবীজ ভাইকে অনেক শুভেচ্ছা.... :)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কথাগুলো দার্শনিকের মতো, পড়ছি কবিতার মতো। অসাধারণ লাগছে প্রিয় মাঈনউদ্দিন ভাই।

ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সুখ আসলেই যে কি, কে সঠিক জানে!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কেউ কি জানে?

১৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৩২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: মাথা ঝিমঝিম করছে! এত কম কথায় ঘটনাগুলোর অসাধারন চিত্রায়ন! জিনিয়াস না হলে সম্ভব না! গ্রেট। আসলেই অদ্ভুত ভালো লেগেছে।

"তসলিমা" মানেটা জানি না, দেহ ?

এই দুনিয়া আসলেই বিরাট নাট্যশালা যেখানে শুধু ট্রাজেডিই মঞ্চায়িত হয়।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তসলিমা আর রুদ্রকে রুপকার্থে ব্যবহার করেছি। তসলিমার অনেক কবিতায় রুদ্রের কাছ থেকে যৌন অতৃপ্তির কথা জানা যায়। গল্পের রিয়া চাকচিক্যপূর্ণ প্রাসাদ দেখে বিহ্বল হয়; কিন্তু অল্পদিনেই সে বোঝে গৃহের মনোরম আসবাবে তার সুখ নেই। যেখানে তার সুখ পাওয়ার কথা ছিল, সেখানে সে তা পাচ্ছে না। তার সোনার দেহ অঙ্গার হতে থাকে, সেই অঙ্গারে ঘরের সবকিছু পুড়ে ছারখার হয়ে যায়।

মন্তব্যে কিন্তু বিরাট একটা লজ্জা পেলুম সাইফুল ভাই ;)

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

১৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:৩৯

আফ্রি আয়েশা বলেছেন:
মানুষ চিরকাল-ই অতৃপ্ত . . . কিসে যে সুখী হয় !

চমৎকার গল্প :)

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আফ্রি আয়েশা।

১৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:৫০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সুখগুলো কলমি বা রেহানাদের কাছে আবার খুবই সরল
সাদামাটা.... এতটুকুই তারা পায় না।


সুখ একটি দার্শনিক বিষয় বটে :)
অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় সোনাবীজ ভাই!

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সুখ একটি দার্শনিক বিষয় বটে ;) তাইতো দেখছি, আপনার কমেন্টগুলো দার্শনিক দিক থেকেই উঠে আসছে ;)

আরেকবার আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মাঈনউদ্দিন ভাই।

১৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০১

অদৃশ্য বলেছেন:






অভিজ্ঞ মানুষের চেহারা, কথা, গল্প, রস, বোধ সবসময়ই চিহ্ণ রেখে যায়... আর সাধারনেরা সেই চিহ্ণ দেখে দেখে পথ চলে... আপনি তেমন একজন অভিজ্ঞ মানুষ... আমি মনে করি

নাটকের চারটি অংশই অত্যধিক সুন্দর... আর শেষেরটা ডেন্জারাস... বর্তমানের শহুরে দৃশ্য এখানে চরমভাবেই ফুটে উঠেছে...

আপনি একাধারে কবি, গল্পাকার, রম্যকার, আলোচনাকারী, সমালোচনাকারী এবং নাট্যকারও বটে...

ভুলে গেছিলাম... ভালো মানুষও বটে...

কবির জন্য
শুভকামনা...

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার এ কমেন্ট পড়ে আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, উত্তরে কী বলা যায় তা ভেবে না পেয়ে। উদরামনা মহৎ লোকেদের পক্ষেই এভাবে প্রশংসা করা সম্ভব।

বিরাট বড় লজ্জা পেয়ে যাই এমন প্রশংসায় তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু মহামতি আলেকজান্ডারও প্রশংসা উপভোগ করেছিলেন, আমি কোন্‌ ছার!! ;) তাই আমিও সবটুকু নিয়ে নিলাম।

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

২০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সংক্রামক।+++।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেকগুলো প্লাসসহ ‘সংক্রামক’ কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ শরৎ ভাই।

২১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

নিশাত তাসনিম বলেছেন: আসলে এই পৃথিবীতে কেউ সুখী না । একটানে পড়েছি পুরা গল্প। সত্যি ভালো লাগলো।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

এই পৃথিবীতে কেউ সুখী না- কথাটা হয়তো এভাবে চাপিয়ে দেয়া যায় না। আমার মতে মানুষ অবশ্যই সুখী, তবে কে কোথায় কীভাবে সুখ পেতে পারে তা হয়তো হলফ করে বলা যায় না। অনেক আগে (৮৫/৮৬ সালে হয়তো) সাপ্তাহিক বিচিত্রার একটা আর্টিকেলে পড়ছিলাম দুজন যুবতীর কথা। তাদের একজন স্বপ্ন দেখতো প্রেমিকের পিঠে চেপে দুরন্ত গতির বাইকে সে উড়ে বেড়াবে। অন্যজন খুব শান্তশিষ্ট পুরুষ ভালোবাসতো। কিন্তু পরিণামে তাদের বিয়ে হয় ভিন্ন প্রকৃতির দু পুরুষের সাথে। যে মেয়ের পছন্দ ছিল দুরন্ত যুবকের, সে দিব্যি এক নিরীহ পুরুষকে নিয়ে সুখে জীবন যাপন করতে থাকে; অন্য মেয়েটিকে দেখা গেলো দুরন্ত প্রকৃতির এক পুরুষকে নিয়ে মহাসুখে দিনাতিপাত করছে।

বর্তমান গল্পে লক্ষ করলে দেখবেন, রেহানাকে হাবাগোবা ধরনের একটা অশিক্ষিত ছেলেকে বিয়ে করতে হয়েছে। কিন্তু শেষমেষ সে মাতবর বাড়ির গিন্নি হয়ে ওঠে, এবং বাল্যসখীর উপর এক অদৃশ্য কর্তৃত্য ফলাতেও দেখা যায়। রেহানা আপাত দৃষ্টিতে অসুখী হলেও সে কিন্তু প্রকৃত সুখের স্বাদ পেয়ে গেছে।

সুখের সংজ্ঞা বহুপাত্রিক। কোনো না কোনোভাবে মানুষ সুখ খুঁজে নেবেই।

ভালো থাকবেন নিশাত তাসনিম।

২২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: চুপচাপ বসে আছি । নিজেকে দিয়ে গল্পের বিচার করছি । দার্শনিক উৎকর্ষতার বিচার করার সাধ্য নেই তবুও কোথায় যেনও অনেকক্ষণ লেগে থাকলো আপনার লেখাটি । খুব চমৎকার লিখেছেন ভাই, রিয়া কলমি আফরোজা রাইসা সবার সাথেই নিজেকে খুঁজে ফিরি ,

শুভেচ্ছা , ভালো থাকবেন :)

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এতো সুন্দর কমেন্ট পড়ার পর তো আমিও চুপচাপ বসে ছিলাম কিছুক্ষণ। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন আদনান ভাই। শুভেচ্ছা।

২৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১০

এহসান সাবির বলেছেন: তেমন কিছু লেখার নাই...... সবাই উপরে লিখে দিয়েছে.......

শুধু বলতে পারি লেখা গুলো দৃশ্য হয়ে ভাসছে আমার চোখে......!!


শুভকামনা।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্টে অনেক উজ্জীবিত বোধ করছি এহসান সাবির ভাই। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন।

২৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

সোমহেপি বলেছেন: লেখন যন্ত্র দারূণ সচল হয়েছে দেখছি!

গল্প ভাল লাগলো।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

হাঃ হাঃ হাঃ তাহলে তো লেখন যন্ত্রটাকে বাহবা দিতেই হয় ;)

গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম ;)

ধন্যবাদ ইমন ভাই। ভালো থাকবেন।

২৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৪

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: অল্প কথায় এমন চমৎকার চিত্রায়ন !
আসলে সুখ যে কি ? সুখ বলে নিরিবিচ্ছিন্ন কোন অনুভূতির অস্তিত্ব নেই । এটা সম্ভবত খুব ক্ষণিক একটা অনুভূতি এবং রিলেটিভ একটা ব্যাপারও বটে ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সুখ তুমি কী?
বড় জানতে ইচ্ছে করে।


আপনি হয়তো ঠিকই বলেছেন- সুখ সম্ভবত খুব ক্ষণিক একটা অনুভূতি এবং রিলেটিভ একটা ব্যাপারও বটে।

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা- অদ্বিতীয়া আপনি।

২৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

বৃতি বলেছেন: বাহ, বেশ লাগলো :)

আমার কমেন্টের দৌড় এটুকুই। আশা করি নিজগুণে বুঝে নিয়েছেন ইতোমধ্যে :(

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ খুব ভালো কমেন্ট করলেন ;) নিজ প্রতিভায় অনেক মজা গ্রহণ করলাম ;)

ধন্যবাদ আপু।

২৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

চানাচুর বলেছেন: লেখাটা পড়ে বেশ চিন্তিত হয়ে গেলাম!

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নো চিন্তা ডু ফুর্তি ;)

ধন্যবাদ চানাচুর।

২৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

সোমহেপি বলেছেন: ধ্যাৎ পুরান !

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

দুর্বোধ্য

মেয়েটি ইতস্তত করে বললো, আচ্ছা শোন, আমার মনে হয় আমি পাপ করছি।
প্রেমিকের কপালে ভাঁজ পড়ে। চোখ কুঁচকে মেয়েটির দিকে তাকায়। তারপর চোখ মাটিতে নামিয়ে এনে বলে, আমারও তাই মনে হচ্ছিল। অনেকদিন ধরেই আমিও কথাটা বলতে চেয়েছি, কিন্তু মুখ আটকে গেছে।
- আমাদের ব্রেকাপ করা উচিত।
- যতবার তোকে চুমু খেয়েছি, মনে হয়েছে তুই আমার প্রেমিকা নস। আমার বোন।
- ভাইবোনে এসব হয় না। চল, আমরা হারিয়ে যাই- যার যার পথে।

তারপর মেয়েটি উদাস চোখে চারদিকে তাকালো। চোখ ফেটে কয়েক ফোঁটা পানি বাষ্প হয়ে উড়ে গেলো।
ছেলেটাও ফ্যাল ফ্যাল করে কাঁদছে। তারপর দুহাতে মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে কানের কাছে মুখ এনে ফিশফিশিয়ে বললো, ভালো থাকিস বোন। আর যেন দেখা না হয়।
এরপর নিজেকে ছাড়িয়ে নিল।
এরপর দুজনে দুদিকের পথে পা বাড়ালো।
কিছুদূর যেয়ে, যেতে যেতে দুজনে ঘাড় ফিরিয়ে পেছনে তাকালো। হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালো।

এ দুটো ছেলেমেয়ে এদ্দিন প্রেমিক-প্রেমিকা ছিল। প্রেমিক-প্রেমিকা হিসাবে ওদের আজ ব্রেকআপ হলো।

৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

২৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এইটা ভালো লাগছে, বেশ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.