নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পকণিকা - কবি ও লেখক

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

লেখকের পরশ্রীকাতরতা


একবার এক প্রখ্যাত লেখক একজন সাধারণ ব্লগারের গল্পে কোনোরকমে চোখ বুলিয়েই উপহাস করে কমেন্ট লিখলেন - ‘অতিশয় ভালো হয়েছে।’
অনেকদিন পর সেই প্রখ্যাত লেখক কী কারণে যেন ঐ গল্পটি আবার পড়লেন। পড়া শেষে নিজের অজান্তে তাঁর মুখ থেকে একটা শব্দ বেরিয়ে পড়লো - ‘অসাধারণ।’


ব্লগে এক সাধারণ মানের কবি অন্য কবিদের কবিতা পড়ে বললেন, ‘অখাদ্য কবিতায় আজকাল ব্লগ ভরে গেছে।’
আমব্লগারদের বিচারে তিনি খুব বাচাল প্রকৃতির লোক; যে-কোনো আসরে একবার মাইক্রোফোন হাতে পেলে মানুষের যন্ত্রণার শেষ থাকে না— তাঁর বকরবকর বকবকানি আর স্বরচিত কবিতা পাঠে শ্রোতাদের কান ঝালাপালা হয়ে যায়। তিনি যত্রতত্র নিজের নাম ফুটাতে ভালোবাসেন এবং নিজেকে তিনি একজন ‘অসামান্য’ কবি মনে করেন। তাঁর মতে ব্লগের অপরাপর কবিরা ‘ছোটো কবি’ এবং সবাইকে ‘তুমি’ সম্বোধন করে তা বুঝিয়ে দিতে কখনো কুণ্ঠাবোধ করেন না।
শহরের বড় বড় কবিদের সাথে নানা কারণে তাঁর ওঠাবসা ছিল। তিনি একদিন এক নামজাদা কবিকে তাঁর বিশাল কাব্যভাণ্ডার দেখাতে নিয়ে গেলেন। গর্বে তাঁর বুক ফুলে-ফেঁপে উঠছে— তাঁর কবিতাগুলো দেখে কবি নিশ্চয়ই পিঠ চাপড়ে বলবেন, ‘বাব্বাহ, তুই তো দেখি আমাকেও ছাড়িয়ে গেছিস!’
কবি পাণ্ডুলিপি খুলে দরদ দিয়ে অনেকগুলো কবিতা পড়লেন, তারপর এই কবিযশোপ্রার্থী নবীন কবিকে বেশ কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিলেন।

তিন-চার বছর নিরলস সাধনার পর এই কবি এখন বেশ ভালো মানের কবিতা লিখছেন। ব্লগারগণ তাঁর কবিতা পড়ে উচ্ছ্বসিত হোন।
তবে আশ্চর্যের বিষয়টি কী তা জানেন? একদিন যেসব কবিতাকে তিনি ‘অখাদ্য’ বলেছিলেন, এখন মাঝে মাঝে তাঁর দু-একটা কবিতা সেই মানে পৌঁছায়, বাকিগুলো পৌঁছায় না।

৯ আগস্ট ২০১৪




শ্রেষ্ঠ কবিতা

একটি বিশেষ সংখ্যার জন্য সম্পাদকের বিশেষ অনুরোধে দেশের প্রধানতম কবির কাছ থেকে একটা কবিতা এলো। খাম থেকে কবিতাটি বের করে তিনি পড়তে শুরু করলেন।

অনন্ত মুখর নদী
কৃষ্ণভ্রমরের বুকে কাঁদে মুমূর্ষু শাবক
ঘড়িতে ঝুলছে দূরের অন্ধকার
হেঁটে যায় শালবনবীথি
পাতালের দিনরাত্রি, বিনম্র অজগর কাঁপে
উড়ন্ত মৈথুনে প্রদীপ ও প্রজাপতি
অরণ্যের ছায়ামেঘ গিলে খায় মৌনবতী চাঁদ
ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে পশ্চিমের ‘পাখি’
রাতের নটিনীরা কাঁদতে ভুলে যায়


অত্যন্ত উচ্চমার্গীয় কবিতা। সম্পাদক অভিভূত হলেন। এতো বাঙ্ময়, সমৃদ্ধ কবিতা তিনি খুব কমই পড়েছেন। কত ছোট্ট এ কবিতাটি- ছোটো ছোটো বাক্য, সহজ-সরল শব্দ। অথচ কী গভীর তত্ত্ব ঢুকিয়ে দিয়েছেন মামুলি কয়েকটা শব্দের গাঁথুনিতে। বিন্দুর মধ্যে সিন্ধু। তিনি নিজে একজন কবি। কবিতায় তাঁর একটা সুদৃঢ় অবস্থান রয়েছে এ দেশে। কিন্তু আজও তিনি এ বড় কবির মতো একটা কবিতাও লিখতে পারেন নি। এ নিয়ে তাঁর মনে প্রচুর আক্ষেপ।
সম্পাদকের কক্ষে কয়েকজন সাব-এডিটর ঢুকলেন। তিনি প্রত্যেককে কবিতাটি পাঠ করে এর অন্তর্নিহিত ভাব ব্যাখ্যা করতে লাগলেন। ব্যাখ্যা শুনে উপবিষ্ট সাব-এডিটরগণ চমৎকৃত হলেন। সবশেষে সম্পাদক মন্তব্য করলেন, আসলে এসব কবিতা ব্যাখ্যার অতীত। আবার সবাই এসব কবিতার মর্মার্থ অনুধাবনে সমর্থ নন। তিনি নিজেও যে কবিতাটি পুরোপুরি বুঝেছেন, ব্যাপারটা এমন নয়। কারণ, এ কবির কবিতা বুঝবার জন্য রীতিমত গবেষণাগারে বসতে হয়।

সাব-এডিটরগণ চলে যাবার পর সম্পাদক মহোদয় আরো কয়েকবার কবিতাটি পড়ে এর গভীরতম রস আহরণে নিমগ্ন হলেন। তারপর চশমা ঠিক করে কবিতার শিরোনামটি দেখে নিলেন। ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা।’ গোটা পৃথিবীটাই হলো একটা কবিতা। মানব-জীবন, বিশ্ব প্রকৃতি, এসব হলো এ কবিতার অনুষঙ্গ। একটা শ্রেষ্ঠ কবিতার জন্য যেসব অনুষঙ্গ অপরিহার্য, কবি নিপুণ শিল্পীর মতো এ কবিতায় তা বিধৃত করেছেন। সম্পাদক ভাবতে থাকলেন।

যথাসময়ে সুদৃশ্য মোড়কে মোড়ানো বিশেষ সংখ্যার সৌজন্য কপিটি কবির হাতে এসে পৌঁছলো। মোড়ক খুলে একঝলক সারা পত্রিকার গায়ে নজর বুলিয়ে নেন কবি। সম্পাদকের স্কিল অসামান্য। পত্রিকার গেট-আপ, মেক-আপ চমৎকার। তিনি খুব সন্তুষ্ট হলেন।
সূচিপত্রে নিজের কবিতা খুঁজতে গিয়ে কবির চোখ কপালে উঠে গেলো। তিনি দ্রুত পৃষ্ঠা উলটে কবিতাটি বের করেন।
হ্যাঁ, সূচিপত্র দেখে তিনি যা ভেবেছিলেন, ঠিক তাই ঘটেছে। গত কিছুদিন ধরেই তিনি কাগজটা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পত্রিকার জন্য লেখা কবিতাটি যায় নি। একটা কাগজে তিনি ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র তালিকা করছিলেন, ভুলবশত সেটিই খামে ঢুকিয়ে সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
নিজের নির্বুদ্ধিতা আর আহাম্মকিতে বিস্মিত হয়ে একদৃষ্টিতে কবি ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র দিকে তাকিয়ে রইলেন।


১০ আগস্ট ২০১৪

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

লেখোয়াড় বলেছেন:
আমি ভেবেছিলাম লেখাটি বেশ বড় হবে।
কিন্তু এদে দেখি খুব বড় না।

তা মন দিয়ে পড়তে হবে সময় নিয়ে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা
লেখাটা যে খুব বড় হয়ে যায় নি, তা দেখে আমার খুব শান্তি লাগছে ;)

ধন্যবাদ উপস্থিতি জানান দেবার জন্য।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্ট করার পর গল্পটা এডিট করা হয়েছে। ‘সম্পাদক ভাবতে থাকলেন’-এর পরের অংশ শুরুতে এরকম ছিলঃ

***

বিশেষ সংখ্যার প্রুফ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এমন সময় একদিন সম্পাদক সাহেব বড় কবির একটা কল পেলেন।
‘একটু যে ভুল করে ফেলেছি! পত্রিকার জন্য লেখা কবিতাটা যায় নি। একটা কাগজে ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র তালিকা করছিলাম, আপনাকে বোধহয় ভুলবশত সেটিই পাঠিয়ে দিয়েছি।’

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যাঁরা গল্পটা এখন পড়ছেন, তাঁরা হয়তো ২১ নম্বর পর্যন্ত কমেন্টগুলো পড়ে দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারেন, সেজন্য শুরুতেই ঐ ব্যাপারটা হাইলাইট করে দিলাম।

যাঁরা গভীরভাবে পর্যালোচনা করবেন, দয়া করে সাজেস্ট করতে পারেন কোন সংস্করণটি বেটার মনে হচ্ছে।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এটা পড়ে তবেই ব্লগে লগইন করলাম ।

প্রথমেই সাধুবাদ সাইজ ছোট হওয়ায়। !:#P

শেষ্ঠ কবিতা পড়ে বিনুদিত।

কবি ও লেখক ভাল লেগেছে ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মতো কয়েকজনের কথা মাথায় রেখে এখন পোস্টের সাইজ ক্ষুদ্র করতে হচ্ছে ;) আপনারও সময় বাঁচলো, আমারও কম লিখতে হলো ;)

ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

নীল কথন বলেছেন: ভালো লাগা।

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নীল কথন। আমার ব্লগে স্বাগতম।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কি প্রসব করল তার চেয়ে বড় ব্যপার কে প্রসব করলো। :-B

শ্রেষ্ঠ কবিতা পড়ে যেটি বুঝলাম সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাই ইদানিং।

লেখাগুলো চমৎকার ছিল।

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। আপনার কমেন্ট পড়ে খুব মজা পেলাম। কিন্তু যা বললেন তা অতি খাঁটি কথা।

ধন্যবাদ মৃদুল শ্রাবণ।

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

সুমন কর বলেছেন: প্রতিটি পড়ে মুগ্ধ হলাম। শেষেরটি পড়ে ধাক্কা খেলাম।
চমৎকার হয়েছে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই।


আশা করি এতক্ষণে ধাক্কা সামলে উঠেছেন ;)

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আসলেই অনেক ভাবনার বিষয়।


১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই। শুভেচ্ছা।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের সম্পাদকেরা এমন হয় কেন ? ;)

এক সাহিত্য সম্পাদকের টেবিলে আড্ডায় ভাবুক স্বরে তিনি বলছেন-.. দিনটা কেমন ঘোলাটে না!!!
আমি আস্তে করে এক্সকিউজ মি বলে তাঁর চোখ থেকে চশমাটা খুলে টিস্যু পেপো নিয়ে মুছে দিলাম।
আবার পরিয়ে দিলাম।
উনি চমৎকৃত হলেন! বাহ দিনটা সত্যিই সুন্দর!

(চশমাটা মনে হয় দিন সাতেক পরিস্কার হরেন নি ;) ) =p~ =p~ =p~

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা

সম্পাদকের দিন ঘোলাটে থেকে কেমন ফকফকা হয়ে গেলো, আপনার বদৌলতে ;)

‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গল্পটা রূপক হিসাবে নিলেই ভালো হয়। এটাতে একটা খোঁচা আছে, যা কবি বা সম্পাদক বরাবর নয়, পাঠক বরাবর। আমরা যে-কোনো দুর্বোধ্য বা অবোধ্য বা জটিল কিছু সামনে পেলেই মনে করি লেখাটা উৎকৃষ্ট মানের হয়েছে। আমাদের সাধারণ ধারণা হলো- যে লেখা যত কম বোঝা যায়, সে লেখা তত উচ্চমার্গীয়। লেখকের অপরিপক্বতার জন্য লেখা দুর্বল বা জটিল হতে পারে। সাবলীল ভাবে লিখতে পারাটা মুখের কথা নয়। কেউ কেউ ভাবেন লেখাকে প্যাঁচালেই তা উচ্চমান সম্পন্ন হয়ে যায়। এ থেকে কিছু পাঠকেরও এমন ভাবেই মন তৈরি হয়ে যায়- তাঁরা ভাবেন ‘জটিল’ লেখা মানে উন্নত লেখা। আসলে ‘জটিল’ হলো লেখার নেগেটিভ কোয়ালিটি, যার পজিটিভ দিকটা হলো ‘সাবলীলতা’। তো, এ গল্পে সেটাই ঘটেছে। ‘কবিতা’টি সামনে পেয়ে সম্পাদক মহোদয় ওটাকে ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ হিসাবেই ট্রিট করছেন। লেখক যেহেতু খুব নামকরা, সেহেতু তিনি ভুলে গেছেন যে ওখানে কোনো ত্রুটি থাকতে পারে। তিনি পঙ্‌ক্তিগুলোর পূর্বাপর যোগসূত্র মিলাতে পারেন নি, তাই অনুভব থেকে ব্যাখ্যা করছেন- কবিতা তো বুঝবার বস্তু নয়, বিখ্যাতরা বলে গেছেন।

ধন্যবাদ বিদ্রোহী।

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

শুঁটকি মাছ বলেছেন: গল্প কনিকা দুটো ভালো হয়েছে :)

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শুঁটকি মাছ। শুভেচ্ছা।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,




সুন্দর স্যাটায়ার ।

আপনার এই গল্পকণিকা সিরিজটি বেশ জমে উঠছে ।

চলতে থাকুক ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। সিরিজটি জমে উঠেছে বলায় খুব উৎসাহিত বোধ করছি।

আবারো ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি শেষের কবিতাটা পড়েই বুঝে ফেলেছিলাম এটি কিছু নামসমুহ ,কবিতা নয়। শেষ অংশ পড়ে বুঝলাম ধারনা সত্যি ! ছবি এবং কবিতা খুব কাছাকাছি বা একে অপরের পরিপুরক। আধুনিক কবি ও শিল্পীদের মনন বোঝা মুশকিল ঠিক কোন ভাবনায় কবিতাটি রচিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে কবি নিজেই ভয়ানক দুর্বোধ্য আর কবিতাতো কথাই নেই। যার জন্য ভালো কবিতার বড় অভাব তেমনি ভালো ছবিরও। সমালোচকরা এদের কাঁধে উঠিয়ে নাচেন পত্রিকার বিল পাওয়ার জন্য। আজ একটি মেয়ে আমায় অনুসরন করছে ,তার কবিতা পড়ে স্তম্ভিত হলাম ভাষার ব্যাবহারে। ব্লগ হওয়ায় আমরা ছাপতে পারছি , দেখতে পারছি এবং ভালো মন্দ দুটো বলতেও পারছি । আশা করি আমাদের কণ্ঠ রোধ হবে না ।

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই আজিজ ভাই। আপনার পর্যবেক্ষণ থেকেই আমি কবিতাগুলোর নাম দ্রুত বদলে দিলাম, আশা করি এখন কবিতার রূপ নিয়েছে, যদিও লাইনগুলো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন বা সামঞ্জস্যহীন। এবার পড়ে দেখতে পারেন কেমন লাগে।

আধুনিক কবি ও শিল্পীদের ব্যাপারে যা বললেন তার সাথে আমি শতভাগ একমত। অনেকে যেমন গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না, তেমনি গুছিয়ে ভাবতেও পারেন না, ফলে তাঁদের লেখাগুলোও হয়ে ওঠে অগোছালো বা জটিল। জটিল লেখাগুলো বুঝতে না পেরে লেখকের ‘প্রতিভায়’ আমরা চমৎকৃত হই।

ব্লগ আসলেই আমাদের জন্য একটা বিরাট ব্লেসিং। লেখকের সংখ্যা বাড়ছে। পাঠকের সংখ্যা বাড়ছে। সবচেয়ে উপকারী কাজটি হলো ইনস্ট্যান্টলি আমরা মত বিনিময়ের সুযোগ পাচ্ছি এবং ভুল শোধরানোরও সুযোগ পাচ্ছি।

গঠনমূলক কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ শাহ আজিজ ভাই। শুভেচ্ছা।

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: বেশ গুছিয়ে লিখেছেন ভাইয়া। শেখার বা ভেতরে নেবার আছে অনেক কিছুই বিশেষত আমরা যারা লিখি বা লেখার চেষ্টায় আছি।

শ্রেষ্ঠ কবিতা পড়ে মনে হল ---কিছু কবিতার নাম এগুলো।

যাই হোক ভাল থাকুন।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলো আসলে কিছু কবিতার নামই। কিন্তু এখন পড়ে দেখতে পারেন- কী মনে হয়!

কীভাবে কবিতা লিখতে হয়, একবার তা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সিরিয়াসলি।

অনেক ধন্যবাদ আপু।

১২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
পুরো লেখাটিকে আয়না হিসেবে ধরে নিলাম ৷

যদিও প্রচলিত ঘটনা ৷ সেরা কবিতার নামে দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ভাল করেছেন ৷ আগেরগুলোতে পাঠক সমাপ্তি আগেই বুঝতে পারত ৷




(স্খখল পড়ছি ৷ নিকের নামের বই কি বের হয়েছে )

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন- আয়না।

হ্যাঁ, শাহ আজিজ ভাইকে ধন্যবাদ। তাঁর কারণেই কবিতার নামগুলোর দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয়েছে। এখন আমিও তৃপ্ত।

‘স্খলন’-এর কথা শুনে তো তাজ্জব হয়ে গেলাম। আপনি এ বই কোথায় পেলেন? আপনার সাথে তাহলে আমার কি পূর্ব পরিচয় আছে? এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। ফেইসবুকে আসুন। একই নিকে আছি।

নিকের নামের বই এখনো বের হয় নি। আগামী তে আসে কিনা দেখি।

অনেক ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর ভাই। ভালো থাকুন।

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
গল্প কবিতা প্রবন্ধ আলোচনা সমালোচনা ! জগাখিচুড়ি ভালোই রান্না হচ্ছে। ইয়ে মানে- কবি লেখকদের জন্য নীতিমালা চাই ;)

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা- জগাখিঁচুড়ি ভালোই রান্না হচ্ছে ;)

কবি-লেখকদের জন্য নীতিমালা? কী ধরনের নীতিমালা? তাঁরা কীভাবে খেয়ে-ওরে বাঁচবেন, তার নীতিমালা নাকি? ;)

যাক, আপনি নীতিমালা বানান, আমরা তাতে একমত থাকবো ;)

ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু।

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রিয় কবি মনে কষ্ট নিবেন না । লেখার স্বার্থে লিখুন। ভুল করে পাকামো করে ফেলেছি। আপনি গুরুজন। আপনার কাছ থেকে আমরা শিখবো।

আসলে ছোট লিখা পড়ে আরাম পাই। আপনার বড় লেখাও অসম্ভব ভাল লাগে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই, আপনি কীভাবে ভাবলেন যে আপনার কথায় আমি মনে কষ্ট নিতে পারি? কখনোই না।

যাক, এখানেও আপনার প্রশংসাটা করে নিই। গদ্যে আপনার হিউমার খুব ভালো। আপনি ভালো গদ্য লেখেন এটা জানা ছিল না। নিয়মিত গদ্য লিখুন, ভালো লাগবে।

খুব মাইনর একটা পয়েন্ট। টাইপ করার সময় যেখানে বাক্য শেষ হয়, ঠিক ওখানেই দাড়ি দিন। তারপর একটা স্পেস দিয়ে পরের বাক্যের ১ম শব্দটা লিখুন। এতে লেখা দেখতে সুন্দর হবে। আপনার গদ্য পোস্টে এ টেকনিক্যাল সমস্যাটা দেখছি। আমি বোঝাতে পেরেছি?

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৯

ডি মুন বলেছেন: ‘একটু যে ভুল করে ফেলেছি! পত্রিকার জন্য লেখা কবিতাটা যায় নি। একটা কাগজে ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র তালিকা করছিলাম, আপনাকে বোধহয় ভুলবশত সেটিই পাঠিয়ে দিয়েছি।’


মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কি প্রসব করল তার চেয়ে বড় ব্যপার কে প্রসব করলো। :-B

শ্রেষ্ঠ কবিতা পড়ে যেটি বুঝলাম সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাই ইদানিং।



এমন অবস্থার অবসান হোক। কবিতাকে সমাদর করা হোক। কবির তকমাকে নয়।


গল্পকণিকা ভালো হচ্ছে। চলুক এমনি করে। ছোট পরিসরে বড়ো কিছু পাওয়া যাচ্ছে।

ভালো থাকুন সর্বদা প্রিয় সোনাবীজ ভাই

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুরুতে যা পড়েছিলেন, তা থেকে বর্তমানে সমাপ্তিটা অন্যভাবে করা হয়েছে। দুটো পড়ে তুলনা করে দেখতে পারেন, কোনটা বেশি ভালো মনে হয়। আপনার মূল্যবান মতামত আমাকে একটা উন্নত সমাপ্তি লিখতে সাহায্য করবে।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ডি মুন। ভালো থাকবেন।

১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: একবার এক প্রখ্যাত লেখক একজন সাধারণ ব্লগারের গল্পে কোনোরকমে চোখ বুলিয়েই উপহাস করে কমেন্ট লিখলেন - ‘অতিশয় ভালো হয়েছে।’
অনেকদিন পর সেই প্রখ্যাত লেখক কী কারণে যেন ঐ গল্পটি আবার পড়লেন। পড়া শেষে নিজের অজান্তে তাঁর মুখ থেকে একটা শব্দ বেরিয়ে পড়লো - ‘অসাধারণ।’ X( :| :((

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কোনো নতুন ব্লগারের পোস্ট আমরা সচরাচর মনোযোগ দিয়ে পড়ি না। দায়সারা ভাবে একনজর চোখ বুলিয়েই নীচে ছোট্ট একটা কমেন্ট করে থাকি। কিন্তু নতুন ব্লগারদের প্রতিভা কেউ না কেউ অবশ্যই ধরতে পারেন। একদিন সেই নতুন ব্লগারের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়তে পারে। ‘দেখি তো, সবাই এতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে কেন তার পোস্টে?’ নিছক কৌতূহল বশত তিনি ওটা মনোযোগ দিয়ে পড়তে শুরু করেন- সত্যিকারে তার লেখায় কী আছে সেটা দেখার জন্য। এবার তিনি সত্য সত্যই মুগ্ধ হন, এবং নিজের অজান্তেই তার মুগ্ধতা প্রকাশ পেয়ে যায়।

পুরোনো লেখক ও নবীন লেখকদের ব্যাপারেও তুলনাটা সমভাবে প্রযোজ্য।

ধন্যবাদ আপু।

১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

আরজু মুন জারিন বলেছেন: অনন্ত মুখর নদী
কৃষ্ণভ্রমরের বুকে কাঁদে মুমূর্ষু শাবক
ঘড়িতে ঝুলছে দূরের অন্ধকার
হেঁটে যায় শালবনবীথি
++++++++++++

একটু যে ভুল করে ফেলেছি! পত্রিকার জন্য লেখা কবিতাটা যায় নি। একটা কাগজে ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র তালিকা করছিলাম, আপনাকে বোধহয় ভুলবশত সেটিই পাঠিয়ে দিয়েছি।’
হাহ হাাাা হা হা..মজা পেলাম লেখাটা পড়ে ।
লেখক কে অনেক শুভেচ্ছা।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মজা পেয়েছেন জেনে আনন্দিত হলাম। আপনার জন্যও শুভেচ্ছা রইল আপু।

১৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: গল্পকণিকা ‘অতিশয় ভালো হয়েছে’ এবং ‘অসাধারণ’ :) :P :)

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :) : ) :)


ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই। শুভেচ্ছা নিবেন।

১৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: তিন নাম্বারটার ফিনিসিংটা পড়ে হাসলাম কিছুক্ষণ, হা হা হা । অবশ্য এমন কবিদের তালিকাও কবিতা বটে। যে পারে না সে তালিকাও করতে পারে না, যেমন আমি। কবিদের এই কারনে ঈর্ষ হয়, কি সুন্দর শব্দের খেলা করে!

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার হাসি কি থেমেছে, সাইফুল ভাই? : ) :)

ফিনিশংটা অারেকবার দেখুন প্লিজ। বেটার মনে হয় কোনটা, যদি বলতেন উপকৃত হতাম।

আপনার গল্প পড়েও ঈর্ষা হয়, যে কারো। এমন করে কীভাবে ভাবেন, আর লিখেন?


ধন্যবাদ সাইফুল ভাই।

২০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাল লাগা রইল +++

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। শুভেচ্ছা।

২১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

পার্থ তালুকদার বলেছেন: একটা কাগজে ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র তালিকা করছিলাম, আপনাকে বোধহয় ভুলবশত সেটিই পাঠিয়ে দিয়েছি।-------- একটু বিনোদন পাইলাম।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটু বিনোদন দিতে পেরে নিজেকে কৃতার্থ মনে হচ্ছে :) ধন্যবাদ পার্থ তালুকদার ভাই।

২২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৪

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: শ্রেষ্ঠ কবিতা!!! হাহাহা। পড়ে বেশ মজা পেলাম ভাইয়া। আসলেই আপনার গল্পকণিকা বেশ জমে উঠেছে। গল্পকণিকা কথাটা দেখলেই এখন পড়ার জন্য ছুটে আসি।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পকণিকা পড়ে মজা পেয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগছে আপু। গল্পকণিকার প্রতি আপনার বিশেষ আগ্রহ আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করছে। এজন্য অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

২৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

সায়েম মুন বলেছেন: সবকটাই মজার। শেষেরটা দুর্দান্ত।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি সায়েম মুন ভাই। শুভেচ্ছা।

২৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

লাবনী আক্তার বলেছেন: ভাইয়া বেশ লাগল। :)

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন।

২৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: দুই নাম্বারটা পড়ে সেই মজা পেলাম । ইয়ে মানে আমিও কবিতাও ভেবেছিলুম :!>

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ভালো লাগলো জেনে যে আপনিও ওগুলোকে একটা কবিতা ভেবেছিলেন ;)

ধন্যবাদ আদনান ভাই। ভালো থাকবেন।

২৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১১

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অভিনব চিন্তার উপস্থাপনা।

শুভেচ্ছা রেখে গেলাম।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক ভাই। আপনাকেও শুভেচ্ছা।

২৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫০

ডি মুন বলেছেন: যথাসময়ে সুদৃশ্য মোড়কে মোড়ানো বিশেষ সংখ্যার সৌজন্য কপিটি কবির হাতে এসে পৌঁছলো। মোড়ক খুলে একঝলক সারা পত্রিকার গায়ে নজর বুলিয়ে নেন কবি। সম্পাদকের স্কিল অসামান্য। পত্রিকার গেট-আপ, মেক-আপ চমৎকার। তিনি খুব সন্তুষ্ট হলেন।
সূচিপত্রে নিজের কবিতা খুঁজতে গিয়ে কবির চোখ কপালে উঠে গেলো। তিনি দ্রুত পৃষ্ঠা উলটে কবিতাটি বের করেন।
হ্যাঁ, সূচিপত্র দেখে তিনি যা ভেবেছিলেন, ঠিক তাই ঘটেছে। গত কিছুদিন ধরেই তিনি কাগজটা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পত্রিকার জন্য লেখা কবিতাটি যায় নি। একটা কাগজে তিনি ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র তালিকা করছিলেন, ভুলবশত সেটিই খামে ঢুকিয়ে সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
নিজের নির্বুদ্ধিতা আর আহাম্মকিতে বিস্মিত হয়ে একদৃষ্টিতে কবি ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র দিকে তাকিয়ে রইলেন।


এটাই ভালো হয়েছে সোনাবীজ ভাই। বিষয়টা আরো স্পষ্ট হয়েছে।



১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন। আপনার সাপোর্ট পেয়ে আশ্বস্ত হলাম।

২৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: তিন-চার বছর নিরলস সাধনার পর এই কবি এখন বেশ ভালো মানের কবিতা লিখছেন। ব্লগারগণ তাঁর কবিতা পড়ে উচ্ছ্বসিত হোন।
তবে আশ্চর্যের বিষয়টি কী তা জানেন? একদিন যেসব কবিতাকে তিনি ‘অখাদ্য’ বলেছিলেন, এখন মাঝে মাঝে তার দু-একটা কবিতা সেই মানে পৌঁছায়, বাকিগুলো পৌঁছায় না।


:( :(

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ অভি ভাই। কিন্তু মুখ কালো কেন? :)

২৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, লেখোয়ারের মন্তব্যের প্রতি উত্তর না পড়লে বুঝতেই পারতাম না 'শ্রেষ্ট কবিতা'টি ছিল মুলত অনেকগুলো কবিতার শিরোনাম !!

লেখকের পরশ্রীকাতরতার অংশটুকু অনুধাবনযোগ্য ।

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যদি না বুঝে থাকেন, তাহলে ধরে নিব সম্পাদক মহোদয়ও একই কারণে ব্যাপারটি ধরতে পারেন নি। এটা অবশ্য আমাকে বেশি আনন্দ দিল ;)

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মামুন ভাই।

৩০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//একদিন যেসব কবিতাকে তিনি ‘অখাদ্য’ বলেছিলেন, এখন মাঝে মাঝে তার দু-একটা কবিতা সেই মানে পৌঁছায়, বাকিগুলো পৌঁছায় না।//

-এর পরে আর কিছু কওনের আছে?
-কিচ্ছু কওনের নাই...

শুভেচ্ছা জানবেন, কবি সোনাবীজ ভাই B-)

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা যখন-তখন যে-কারো কবিতাকে ‘অখাদ্য’ বলে অবজ্ঞা করি, কিন্তু নিজের কবিতাগুলোও যে ‘অখাদ্য’ হতে পারে, তা ভাবতে ভুলে যাই।

ধন্যবাদ প্রিয় মাঈনউদ্দিন ভাই। ভালো থাকবেন।

৩১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:১৭

জুন বলেছেন: তিনটি গল্প কনিকাই যেন ছোট ছোট তিনটি হীরার কুঁচি। অসম্ভব ভালোলাগলো ছাই ভাই। পরশ্রীকাতরতা আমাদের শিক্ষিত সমাজের মধ্যে প্রচুর লক্ষ্য করা যায় যা ভদ্রতার আবরনে লুকিয়ে রাখি, যা মাঝে মাঝে তার মুখোশ খুলে হিংস্র চেহারা আর নখ, দাত নিয়ে বেরিয়ে আসে।
+

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। খুব মূল্যবান কথা বলেছেন। ভালো লাগলো।

৩২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৮

ঊণ মানব বলেছেন: শ্রেষ্ঠ কবিতা রচনার পেছনের ইতিহাস পড়ে অনেক হাসলাম। আমি খুব আনাড়ি একজন লেখক, তাও একটু বলি কবিতায় কিছু কোর লাইন কিংবা শব্দ থাকে, এইগুলি একটা কবিতাকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর অর্থবহ করে তুলে বলে আমার ধারণা। আর সেই কোর লাইন কিংবা শব্দগুলি নিয়েই যদি একটি কবিতা লিখা হয় তাহলে সেটা কেন শ্রেষ্ঠ কবিতা হবে না!!

কবিতাটা অসাধারণ ছিল। এইকবিতা যে অনেকগুলি কবিতার মুল শিরোনামের সমষ্টি না উল্লেখ করলে বুঝতেই পারতাম না।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কে বললো আপনি আনাড়ি লেখক? কবিতার কোর লাইন সম্পর্কে যা বললেন তা তো অনেক পরিণত লেখকের চেয়েও পরিণত কথা। ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট। আপনার সাথে কেউ দ্বিমত করবেন, এমনটা ভাবি না।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

৩৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২০

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
তবে আশ্চর্যের বিষয়টি কী তা জানেন? একদিন যেসব কবিতাকে তিনি ‘অখাদ্য’ বলেছিলেন, এখন মাঝে মাঝে তার দু-একটা কবিতা সেই মানে পৌঁছায়, বাকিগুলো পৌঁছায় না।

পরশ্রীকাতরতা আমাদের স্বভাবেরই খুব কমন অংশ !
আর কবি/লেখক মাত্রই সময়ের সাথে পরিপক্ক/পরিণত হবেন,
তবে এর ব্যাতিক্রমও আছে যথারীতি !

লেখায় অনেক মুগ্ধতা ++

শিরোনামের কবিতাটিও কিন্তু চমৎকার !

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নচারী গ্রানমা সুন্দর কমেন্টের জন্য।

একটু ব্যস্ত আছি, ব্লগে তেমন সময় দিতে পারছি না, মজাও পাচ্ছি না কয়েকদিন ধরে। এজন্য আপনার ব্লগে এখনো যাওয়া হয় নি। যাব, যাব না কেন, খুব শিগগিরই যাব।

ভালো থাকবেন।

৩৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হা হা হা, শেষেরটা পড়ে খুব মজা পেয়েছি। একটা গল্প( সত্যিও হতে পারে) মনে পড়েছে, যেখানে শিল্পীর ব্যবহার করা বস্তুকে মহৎ শিল্পকর্ম মনে করে প্রদর্শন করা হয়েছিল।

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার গল্পটার কথা পড়ে একচোট হেসে নিলাম। তিনি প্রকৃতই মহৎ শিল্পী ছিলেন।

ধন্যবাদ আপু।

৩৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৬

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: হাসির গল্পই আমার বেশী ভাল লাগে । জনাব মামুন রসিদের সেই যে
পাত্র পাত্রী বিষয়ক গল্পটাও অনেক হাসির ।গল্পে ভাল লাগা রইল ।ভাল
থাকুন সব সময় ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমারও হাসির গল্পই অনেক বেশি ভালো লাগে। ব্লগে কৌতুকের পোস্ট পেলে আমি ঝাঁপিয়ে পড়ি। রম্যরচনাগুলোও খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি।

জনাম মামুন রশিদ একজন গুণী ও মেধাবী ব্লগার। তাঁর গল্পগুলোর মানদণ্ড অনেক উপরে। তিনি আমার অন্যতম প্রিয় গল্পকার। তাঁর লেখা কারো ভালো লাগলে তাতে আমারও আনন্দ হয়।


ধন্যবাদ। আনন্দে থাকুন, আর দিনরাত, এমনকি ঘুমের মধ্যেও হাসতে থাকুন ;)

৩৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:


না ভাই, ব্লগেই আপনার ও আপনার লেখা সম্পর্কে জানা ৷ পুরোনো লেখা পড়তে প্রায়ই ভাল লাগে ৷ মনে করিছিলাম এতবছরে বোধহয় বই বের হয়ে গেছে ৷ টার্গেট রাখেন হয়ে যাবে আশা করি ৷ আপনার লেখার চরিত্রগুলো বেশ জীবনঘেষা ও মনে হয় উনি তো আমার পাশের জন ৷ খেলাধুলা এত ভালবাসেন লেখায় ফুঁটে উঠে তা ৷ হাহা ৷ বেশিরভাগ সময়ে অফলাইনে পড়া হয় ৷ আরো কথা হবে ৷ ভাল থাকবেন ৷

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ‘স্খলন’ ২০০৩ সালে বের হয়েছিল, আমি ভেবেছিলাম কোনোভাবে ওটা আপনার হাতে পৌঁছলো কিনা।

খেলাধুলা আমার অনেক প্রিয়, তাই লেখালেখিতে এগুলো উঠে আসে। ‘স্খলনে’ ক্রিকেটের উপর বড় কিছু এপিসোড রয়েছে।

লেখার ব্যাপারে যা বললেন, তাতে খুব অনুপ্রাণিত বোধ করলাম। অনেক ধন্যবাদ সেজন্য।

ভালো থাকবেন জাহাঙ্গীর ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.