নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আমার উপর ন্যস্ত মহান দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে গিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণার্থে বিভিন্ন সময়ে অামি যে-সব বাণী প্রদান করেছি, জনস্বার্থে তার একটা নাতিদীর্ঘ সংকলন এখানে তুলে ধরা হলো। আমার সতীর্থগণও সময়ে সময়ে আমার বাণীকে সম্প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে কিছু বাণী প্রচার করেছেন। জাতির সামনে সেগুলোও তুলে ধরা হলো এখানে। আমি আশা করবো, দিশেহারা মানবেরা এসব বাণী মুখস্থ করবেন এবং তদ্বারা নিজ নিজ চলার পথকে সুগম করার প্রয়াস পাবেন।
**
২৮ আগস্ট ২০১৩
বালকেরা প্রথম দেবদাস হয় প্রাইমারি স্কুল পাশ করে হাইস্কুলে চলে যাবার সময়ে। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণীর বালিকারা তখন পার্বতী।
এরপর হাইস্কুল ছেড়ে যাবার সময়ে- বালকেরা ততদিনে বাল্যপ্রেমিকাকে ভুলে গেছে, সে স্থান দখল করেছে নতুন সহেলিরা। এটা কাঁচা প্রেম।
এরপর প্রগাঢ় প্রেমের ঘটনাটা ঘটে যায় কলেজে পড়ার সময়ে। আমাদের সময়ের কথা বলছি আর কী। ‘শ্রীকান্ত’ পড়ার পর নিজেকে ‘শ্রীকান্ত’ ভাবতে থাকে সবাই, আর ছোটো প্রেম যে কেবল ধাক্কা মেরে দূরেই ঠেলে দেয়, তা না, সবেগে কাছে নিতেও সময় লাগে না
পরেরটা আর বললাম না, কারণ ততদিনে সবাই ম্যাচিউর্ড হয়ে গেছে।
সূত্রঃ ফেসিবুকিডিয়া
**
২৮ আগস্ট ২০১৩
দেখতে দেখতে ৫০-এর কাকাছি চলে আসলাম। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন গ্রামদেশে ৪০ বছরের ‘পোলাপান’ই নানা হয়ে যেত। আমার নানা বৃদ্ধ বয়সে মারা যান, কিন্তু তাঁর বয়স ৫৫-এর নিচে ছিল।
আমাদের ডলি সায়ন্তনি নানি হয়ে গেছে আরও বছর দু-তিন আগে। এবার চিন্তা করুন, আমাদের বয়স কোন্ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
তবে, বয়সটা শরীরের নয়, মনের। আমরা যখন এই বয়সেই একসাথে বসি, তখন মনে হয় এখনো আমরা ক্লাস টেনেই পড়ে আছি। সেই আদিম চুটকি ছাড়া যেন আমাদের আড্ডা জমেই না।
সূত্রঃ ফেসিবুকিডিয়া
**
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩
তোমার বদ্গুণগুলো ঝেড়ে ফেলো- আমি তোমার।
বিঃ দ্রঃ তোমার বদ্গুণের তালিকা:
১। তুমি চোগলখোর- আমার গুষ্টি উদ্ধার করতে যেয়ে নিজের মুখে ফেনা তুলে ফেলো- তখন তোমাকে ভয়াবহ রকম কুৎসিত লাগে। কিন্তু তুমি নিজে কী করতে পেরেছ, তা একবারও বলো না, কারণ, তুমি আমার জন্য কিছুই করো নি।
২। তুমি একগুঁয়ে- যা বলো তাতে যদি তুমি ধ্বংসও হয়ে যাও, তোমার পথ থেকে একচুলও নড়ো না।
৩। তুমি মুখরা রমণী - বাঁচালের মতো বক বক করার জন্যই তোমার জন্ম।
ফলো আপ:
গতকাল থেকে গৃহিণীর তেজ বেশ কমেছে বলে মনে হচ্ছে। তাকে অনেকটা মনমরাও দেখাচ্ছে। এটা আমার খুব ভালো লাগছে। তার দর্প চূর্ণ হয়ে সে মাটিতে নুয়ে পড়বে, আমি এমন দিনের অপেক্ষায় আছি। তারপর সে তার ভুল বুঝতে পেরে যখন ক্ষমা চাইবে, সে সত্যিকারেই আমার হবে।
সূত্রঃ ফেসিবুকিডিয়া
**
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩
আজ আমার দুঃখেরই কপাল
বাঘিনীরা যুদ্ধে গেলো, বাঘে খোঁজে হরিণীর গাল।
....
সবাই বলে বয়স হলে বউয়ের দরদ বাড়ে
এই মাটির ঘরটা খাইল ঘুণে বদনাম দিব কারে?
সূত্রঃ ফেসিবুকিডিয়া
**
৭ অক্টোবর ২০১৩
সত্য হলে স মিথ্যা হলে মি লিখুন:
মেয়েরা বোকা প্রেমিক ও গাধা স্বামী পেতে ভালোবাসে, কারণ এরা কোনোদিন স্ত্রীর অবাধ্য হতে পারে না।
...
আমার গুরু বলেন, যখন কোনো মেয়ে তার প্রেমিককে বিয়ে করে বসে, তখনই স্বামীটা সার্থক গাধা হয়ে ওঠে- সে তখন আজীবন পাহাড়সম বোঝা বয়ে বেড়ানোর জন্য ব্রতী হয়। বিয়ে করার আগ পর্যন্ত সে বোকা ছিল- বলতে সমস্যা নেই।
সূত্রঃ ফেসিবুকিডিয়া
**
১৪ অক্টোবর ২০১৩
গরু-ছাগল থেকে দেড় হাত দূরে থাকুন, ওদের কাছে জেন্ডার-বৈষম্য নেই- সবাইকেই লাথি মারে।
**
২৮ অক্টোবর ২০১৩
প্রেম পেয়ে প্রখ্যাত হয়েছেন, এঁদের সংখ্যা বেশি, নাকি প্রেম না পেয়ে অমর হয়েছেন এঁদের সংখ্যা বেশি?
.....
প্রেম পেয়ে গেলে কেউ জীবন দেয় না, কিন্তু না পেলে দেয়- তখনই তার নাম মানুষ জানতে পারে।
**
৫ নভেম্বর ২০১৩
‘তোমাকে ভালোবাসি’ হলো শরিয়তী কথা; ভালোবাসতে বাসতে ফতুর হয়ে যাওয়ার পর এটা আর মুখে বলবার প্রয়োজন পড়ে না, তখন অন্তরে অনুভবের যে প্রাবল্য সৃষ্টি হয়, সেটা ‘মারফতী’ অধ্যায়।
তবে ‘তোমাকে ভালোবাসি’ কথাটা যে সস্তা তা মানতে নারাজ। প্রচণ্ড আবেগ থেকে যখন এ ভাবটি কথার ভিতর দিয়ে উৎসারিত হয়, তখন এটাই প্রেমের জীবন্ত প্রকাশ রূপে প্রতিভাত হয়।
সূত্রঃ ফেসিবুকিডিয়া - আফ্রি আয়েশা
**
৫ ডিসেম্বর ২০১৩
জুলিয়ান সিদ্দিকীর একটা স্মার্ট প্রোফাইল পিকচার দেখা গেলো।
আমি বাণী দিলাম :
আপনি দেখি চুল আর গোঁফঅলা তরতাজা জোয়ান মানুষ!
গত ১৫ বছর ধরে আমার স্ত্রী বলছে- আগামী ৫ মাসের মধ্যে তোমার মাথার সব চুল পড়ে টাক হয়ে যাবে। এই সেই মাথা।
সূত্রঃ ফেসিবুকিডিয়া – জুলিয়ান সিদ্দিকী
**
১০ আগস্ট ২০১৪
একেকটা ক্ষত থেকে একেক গুচ্ছ পদ্ম জন্মে।
.....
একেকটা আঘাত থেকে একেকটা বেদনার সৃষ্টি। বেদনা আপনাকে নতুন কিছু করতে বাধ্য করে, অথবা উৎসাহিত করে। অবশ্য, নিঃশেষও করে। কিন্তু যারা নিঃশেষে নিঃশেষিতে হয়ে যান, তাদের কথা বলছি না।
**
১৯ আগস্ট ২০১৪
জান, জানু, সোনা- পোলাপানে এসব শব্দ কোথা থেকে শোনে, কার কাছ থেকে শিখে, কে জানে।
.....
একবার আমি খুব শুকিয়ে গেলাম। স্যান্ডো গেঞ্জি গায়ে পিসিতে ব্লগিং করছিলাম। শরীরের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থেকে স্ত্রী বললো, না খাইতে না খাইতে চেহারা কী করছে! একদুম বাবু হইয়া গেছে। বাচ্চারা এ কথা শুনে খিল খিল করে হেসে উঠলো। এরপর বহুদিন ধরে আমাকে ‘বাবু’ বলে ভেঙাতো বাসার ভিতরে ও বাইরে অনেকে
যাই হোক, পোলাপানের কথা আর কিছু বললাম না। এবার কষ্ট করে নীচের কবিতাখানি পড়ুনঃ
কবে ফিরবি?
১
তুই আমাকে ভুল বুঝেছিস, কিংবা আমি তোকে,
কিংবা কেউ কাউকে নয়,
অমোঘ আলোর মতো হয়তো এভাবেই গন্তব্য গেঁথেছি নিষ্ঠুর অন্তরালময়।
একটু আগের চেয়েও
অনেক অনেক আগে বাতি নেভালি বড্ড অভিমানিনীয়া মেয়ে;
আমি জানি, তুই আমার চারপাশ জুড়ে, তথাপি এক দিগন্ত দূরে,
আমার চোখের পানে ফ্যাল ফ্যাল চেয়ে।
আমি তোর দুষ্টু বালক, বাবুদের রাজা, অখণ্ড অহংকার।
কানমলা দে; নাকে খত দিই?
আমাকে মেরে ফেল্ সোনা।
তবু তুই অন্তরাল ছেড়ে পাখির পাঁজরে ছুটে আয় এইবার।
আমি তোর লাগি সারাদিন কাঁদি। কবে ফিরবি সম্রাজ্ঞী পাখি?
২
যদি সে ফিরে, কিংবা না ফিরে, জানবে সে কী করে আমিও গিয়েছি সব ছেড়ে!
**
১৯ আগস্ট ২০১৪
আমাদের বাল্যকালের মেয়েরা, এবং তাদের প্রেম
বাল্যকালে দেখেছি, কিছু মেয়ে থাকে খুব কড়া এবং নিষ্ঠুর। তারা কোনো ছেলের সাথে কথা বলা তো দূরে থাক, একবার ফিরেও তাকাতো না। যদি কখনো হঠাৎ চোখে চোখ পড়ে যেত, মনে হতো খেয়ে ফেলবে। ছেলেরা ওদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতো। কারণ, ওরা ছিল বাঘিনী।
কিছু মেয়ের নেশাই ছিল প্রেম করা। ওরা সবসময় ভাবে গদগদ থাকতো। আহারে, প্রেমে পড়ার কিছুদিনের মধ্যেই ওরা মরার মতো হয়ে যেতো। ওদের দিকে তাকালে মনে হতো কতদিনের বিরহিণী, প্রেমিকের জন্য কাঁদতে কাঁদতে চোখ ক্ষয় হয়ে গেছে, শরীর কাহিল হয়ে গেছে। এভাবে হঠাৎ করেই একদিন যদুর সাথে ব্রেক-আপ হতো এবং মধুর সাথে প্রেম সংঘটিত হতো। কিছুদিন হর্ষোৎফুল্ল থাকার পর আবার সেই ‘বিরহী বধূর’ মতো হয়ে যেতো। আবার ব্রেক-আপ, আবার নতুন প্রেম। যতগুলো প্রেম করতো, ততগুলো প্রেমিককেই ওরা প্রাণের চেয়েও অধিক ভালোবাসতো; অন্যদিকে প্রতিটা প্রেমিকই মনে করতো- মাধবীলতা তার জন্য আগুনে ঝাঁপ দিতে স্টার্ট পয়েন্টে ‘অন মার্ক’ হয়ে প্রস্তুত রয়েছে।
আমি এখনকার মতোই তখনো হাবাগোবা ছিলাম। কোনো মেয়ের সাথে কথা বলা তো দূরের কথা, কারো দিকে তাকাতেও পারতাম না, আমার চোখে এত লজ্জা ছিল। লজ্জা পুরুষের ভূষণ, এটা মেনে নিয়েই চুপচাপ থাকতাম।
আর যারা খুব চপল ও স্মার্ট ছিল, তাদের নাম হয়তো একটু পরেই আপনারা জানতে পারবেন।
অ.ট. বাল্যকাল বলতে স্কুল-কলেজের দিনগুলোর কথা বলছিলাম আর কী।
**
১৯/২০ আগস্ট ২০১৪
কাল্পনিক ভালোবাসার বাণী :
ছুরি বা ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটে প্রেমিকার নাম লেখা- একটি হারানো ঐতিহ্যের নাম। অনেকদিন পর আজকে একজন পাবলিক দেখলাম যিনি দিন কয়েক আগে ছুরি দিয়ে হাত কেটে প্রেমিকার নাম লিখেছিলেন। তবে সমস্যা হচ্ছে ছুরিটা স্ট্যারালাইজ না করে কাটাকাটির কারনে ইনফেকশন জনিত সমস্যার কারণে বেচারা বর্তমানে হাসপাতালে আছেন। আরো সমস্যা হচ্ছে, গভীর রাতে প্রেমিকার কল ওয়েটিং!
ভদ্রলোক আমার জুনিয়র বন্ধু! একজন বিশিষ্ট কবি ও প্রেমিক। বিপদ হলো আমি কেবলই খিক খিক হাসির মাঝে সান্তনার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি।
.....
আমার বাণীঃ ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম ট্র্যাজেডিগুলোর একটি। যে সরলমনা অন্ধনিষ্ঠ প্রেমিক নিজের হাতের চামড়া কেটে প্রেমিকার নাম অঙ্কন করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত হাসপাতালে ভর্তি হলেন, তার প্রেমিকা মুহূর্তেই খলনায়িকায় পরিণত হলেন। তিনি আহত প্রেমিকের সন্ধানে হাসপাতালে ছুটে না এসে বিকল্প প্রেমিকের সাথে রাতভর মজা নিতে শুরু করলেন।
আমি এই বেকুব প্রেমিকের জীবনাশঙ্কার কথা ভেবে শিউরে উঠছি। প্রেমিকার মোবাইল গভীর রাতে ওয়েটিং পাওয়ার পর তার চিত্ত স্থির থাক, তার জন্য আমার এমন প্রার্থনা থাকলো।
সূত্রঃ ফেসিবুকিডিয়া
**
২১ আগস্ট ২০১৪
Mahjabine June-এর বাণীঃ ইদানীং কারো পোষ্টে মন্তব্য করতে গেলে দ্বিধায় ভুগতে থাকি। কে যে কোনখান দিয়ে বানান ভুল, বাক্য গঠন ইত্যাদি বিষয়ের ভুল ধরে বসে! আগে কী সুন্দর ধুমধাম মন্তব্য করে চলে আসতাম। এখন খালি চিন্তা আর চিন্তা।
আমার বাণীঃ অনেকদিন পর করুণ রসে পরিপূর্ণ একটা স্টেটাস পড়লাম। চোখে পানি চলে আসে এসব স্টেটাস পড়ার পর। হৃদয়ের আকুতি আমার মর্ম স্পর্শ করেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো দেশি আপু।
সূত্রঃ ফেসিবুকিডিয়া – Mahjabine June
**
২৩ আগস্ট ২০১৪
একটি সত্য ঘটনা – শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা
আমি এ গল্পটি আমার ঘনিষ্ঠ ক্লাসমেট আবদুল করিমের কাছ থেকে শুনেছি। গল্পটি আমাদের স্কুলজীবনের দুই ক্লাসমেটকে নিয়ে। গল্পটি সত্য। আমাদের বেশিরভাগ ক্লাসমেটই সে সময়ে গল্পটি জানতো। কিন্তু এসএসসি পাশের পর আমাকে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল বলে গল্পটি আমি অনেক পরে করিমের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম।
সামসু আর বাদল গল্পের দুই নায়ক। সুশ্রী নায়িকা চরিত্রে ছিল পাশাপাশি অবস্থিত এক গার্লস স্কুলের ছাত্রী। নাম তার বকুল। বকুল ফুলের মতো স্নিগ্ধ তার রূপ, দশ গেরামের সেরা সুন্দরী বকুল।
বকুলের বড় বোনকে বিয়ে করেছে সামসুর বড় ভাই। অর্থাৎ, সামসু আর বকুল ছিল বেয়াই আর বেয়াইন। রসিকতার সম্পর্ক। রসিকতা করতে করতেই দুজনের মধ্যে প্রেম হয়ে গেলো। দশ গেরামের ঝারা সুন্দরী হওয়ায় বকুল ছিল সকল যুবকের স্বপ্নের নায়িকা। সকলেই একটু সুযোগের অপেক্ষায় থাকতো বুকল ফুলের তাঁজা গন্ধ ও স্পর্শের জন্য। কিন্তু ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার সুবাদে সামসু আর বকুলই শেষ পর্যন্ত জুটি বাঁধতে সমর্থ হলো।
একদা জীবিকা নির্বাহের জন্য মাঝপথে লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে সামসু মিডল ইস্টে পাড়ি জমাল। বিদেশে যাওয়ার আগে প্রিয়তমা বকুলকে একজনের পাহারায় রেখে যেতে হবে। কে সে? সে হলো সামসুর প্রাণাধিক প্রিয় বন্ধু, যাকে সে সবচেয়ে বেশি আস্থাভাজন মনে করে- বাদল। সামসুকে অভয় দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দিল সে। সে জীবিত থাকতে বকুলের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাবে- সেই চোখ কাঁচি দিয়ে উপড়ে ফেলবে না? এমনই কিছু নাটকীয় ডায়ালগে সামসুকে আস্বস্ত করলে খুশিমনে সামসু বিদেশে চলে গেলো।
বিদেশে বসে সামসু প্রতি সপ্তাহে বকুলের দুটি করে চিঠি পায়। খুব ভালো লাগে।
মাস ছয়েক পর যা হবার তাই হয়ে গেলো। বকুল চিঠি লেখা বন্ধ করে দিল। এটা সেই সময়ের কথা যখন পৃথিবীতে মোবাইল ফোনের আবিষ্কার হয় নি।
ব্যতিক্রমী কিছুই হলো না, সবই স্বাভাবিক নিয়মে ঘটে গেলো।
সামসু বিদেশ থেকে আসার পর জানতে পারলো বাদলের সাথে বকুলের বিয়ে হয়ে গেছে। বকুলকে সে সব সময় পাহারায় রাখতো। কিছুদিন পর বাদল ভাবলো, পরের জিনিস এত কষ্ট করে পাহারা দিচ্ছি কেন? আমি নিজেই তো এ জিনিস নিজের করে নিতে পারি। বকুলও তাই ভাবছিল। ব্যস- দুজনে দুজনার হয়ে গেলো।
শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দিয়ে সামসু মুরগি খোয়ালো। অনেকদিন পর্যন্ত সে দিওয়ানা ছিল, তারপর বিয়েশাদি করে নতুন জীবন শুরু করলো।
সামসু আজও আমাদের অনেক প্রিয় বন্ধু। কিন্তু বাদল এই বেইমানির দ্বারা আমাদের সবার কাছ থেকে চিরতরে দূরে সরে গেলো- আমরা কেউ কোনোদিনই খোঁজ নিই না, বাদল কেমন আছে। এটাই ওর শাস্তি।
অফ টপিক : আবদুল করিম নামটি ছাড়া বাকি নামগুলো কাল্পনিক।
**
২ সেপ্টেম্বর ২০১৪
ছোটো ছেলে গত প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে তার মায়ের সাথে নিজের জমানো টাকা হিসাব করলো। এ টাকা থেকে তার মা মাঝে মাঝেই খরচ করে ফেলে বলে সে খুব ক্ষিপ্ত। সে টাকাগুলো শক্ত করে একটা রুমালে বাঁধলো। রুমালটা একটা কৌটাতে ঢোকালো। সেটি রাখলো আরেকটা কৌটার ভিতরে। তার মা যাতে কোনোমতেই এ থেকে টাকা নিতে না পারে, সেজন্য তার এতো সিকিউরিটি এ্যারেঞ্জমেন্ট।
টাকার কৌটাটা এবার সে আলমিরার একটা লকারে রাখলো। লকারে রেখে সুন্দর করে তালা দিয়ে তালার চাবিটা আলগোছে তার মায়ের কাছে দিয়ে স্বস্তির সাথে পাশের রুমে গেলো তার বোনের কাছে- তারপর সে বোনের সাথে নিশ্চিন্তে ‘ফ্রোজেন’ দেখতে থাকলো।
**
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪
মাহমুদ০০৭ বাণী দিলেনঃ যখন তোমার বলার কিছু থাকে না, তখন চুপ করে থেকো, অহেতুক কিছু বলার চেষ্টা করো না। --- ক্রিস্টিনা রসেটি
খাইছে রে!ইহাও এক্কখান বাণী!
......
এরপর আরো কিছু বাণী প্রসবিত হতে থাকে। কিছুটা নমুনা নীচে দেখুনঃ
ডি মুনঃ যখন তোমার ক্ষুধা লাগে তখন তুমি খাও।
ডি মুনঃ যখন তোমার প্রেম করতে ইচ্ছা করে তখন ঘরে বসে থাকো, তবুও প্রেম কইরো না।
মাহমুদ০০৭: যখন মাথা আওলা, তখন আসে জাওলা, ক্যাম্নে খায় কাউলা, অরে হক মাওলা। হাজির বিরানি খামু। (দেহি কেডায় অরথ বাহির করবার পারে)।
প্রবাসী পাঠকঃ যখন কোন বাণী শুনে তার ভাবার্থ উদ্ধারে ব্যর্থ হও তখন আতেল সেজে আর একখানা বাণী দাও।
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাইঃ যখন তোমার অনেক কিছু বলার থাকে, তখন চুপ থাকবে। খালি কলশ বেশি বাজলেও ভরা কলশ বাজে না।
Hasan N Murad: যখন তোমার পেটে অধিক চাপাচাপি আরম্ভ হইবেক, তখন দেরি না করিয়া হাগু করিয়া আসিবেক। মহান শান্তির বাণী।
সূত্রঃ ফেসিবুকিডিয়া – Mahmud Rahman
**
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪
শারমিন রেজোয়ানা বাণীতে জানালেন যে, তিনি বই কিনেন, কিন্তু বইগুলো খোয়া যায়।
আমার মহাবাণীঃ দুটো কাজ করবেন। প্রতি বইয়ের দুটো করে কপি কিনবেন। একটা বুকশেলফে রাখবেন নিজের জন্য। আরেকটা রেখে দিবেন যদি কেউ চায়, তাকে ধারে দেয়ার জন্য। ধারের বই ফেরত পেলে তো কথাই নেই, ফেরত না পেলেও দুঃখ করবেন না- একটা বই তো আপনার কাছে আছেই।
আমি এক ব্যক্তিকে জানি, যিনি প্রতিটা বই কেনার পর পরই ভিতরের পাতায় একটা স্টিকার জুড়ে দেন এভাবেঃ
বই কিনে কেউ দেউলিয়ে হয় নি, এটা ঠিক নয়। প্রচুর গচ্চা দিয়ে বই কিনে কিনে সত্যিই আমি দেউলিয়ে হচ্ছি। তাই দয়া করে কেউ মার্ক টোয়েন হবেন না। বইটি নিন, পড়ুন এবং আমি ভুলে যাওয়ার আগেই যথাসময়ে বইটি ফেরত দিন- আপনাদের মহানুভবতার জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। ধন্যবাদান্তে-
আপনাদের গুণমুগ্ধ (নাম)
এর নীচে সিল-ছাপ্পড় থাকতে পারে।
সূত্রঃ ফেসিবুকিডিয়া - Sharmin Rezowana
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়লে সবকিছুতেই এরকম হয়। স্বাস্থ্যের জন্য এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত কার্যকরী। আশা করি ভবিষ্যতেও এরকম মনোযোগ বজায় রাখবেন।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্ট । দার্শনিক পোস্ট হয়ে গেছে সুপ্রিয় কবি । জুলিয়ান ভাইয়ের ছবি আর আপনার চুল অসাম হয়েছে ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ আপনার বিনয় এবং মহানুভবতা, প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। শুভেচ্ছা।
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৩
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: প্রেম পেয়ে গেলে কেউ জীবন দেয় না, কিন্তু না পেলে দেয়- তখনই তার নাম মানুষ জানতে পারে।
ভালো লাগলো অনেক।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ধন্যবাদ হানিফ রাশেদীন। ভালো থাকবেন।
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: যখন তোমার প্রেম করতে ইচ্ছা করে তখন ঘরে বসে থাকো, তবুও প্রেম কইরো না।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ধন্যবাদ রাজীব নুর। ভালো থাকবেন।
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৭
ইলি বিডি বলেছেন: লজ্জা পুরুষের ভূষণ ভালো লাগলো অনেক।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লজ্জা পুরুষের ভূষণ। এই লজ্জাই পুরুষকে মহান করে ও মর্যাদাশীল করে।
ধন্যবাদ ইলি বিডি।
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমি তোর লাগি সারাদিন কাঁদি। কবে ফিরবি সম্রাজ্ঞী পাখি?
কোন আশ্বাস এসেছে কি?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: না, সে বোবা
ধন্যবাদ আশরাফুল ভাই
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বাণী চিরন্তনী পড়ে তো চোগলখোর অইয়া গেলাম........
কোনটা রেখে কোনটারে ধরি..... হাসতে হাসতে পরাণ যায়.....
একটা কথা শুধু বলে যাই: স্ত্রীই শেষ পর্যন্ত প্রধান বাণীদাতা বনে যান... অন্তত স্বামীটির জন্য.....
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্ত্রীই শেষ পর্যন্ত প্রধান বাণীদাতা বনে যান... অন্তত স্বামীটির জন্য.....
সবচেয়ে দামি বাণী তো দিয়ে ফেললেন মাঈনউদ্দিন ভাই সত্যিই, ভাষা হারিয়ে ফেললাম।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ প্রিয় মাঈনউদ্দিন ভাই।
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৮
ডি মুন বলেছেন: গতকাল থেকে গৃহিণীর তেজ বেশ কমেছে বলে মনে হচ্ছে। তাকে অনেকটা মনমরাও দেখাচ্ছে। এটা আমার খুব ভালো লাগছে। তার দর্প চূর্ণ হয়ে সে মাটিতে নুয়ে পড়বে, আমি এমন দিনের অপেক্ষায় আছি। তারপর সে তার ভুল বুঝতে পেরে যখন ক্ষমা চাইবে, সে সত্যিকারেই আমার হবে।
এই পোস্ট ভাবীকে দেখানোর অনুরোধ জানালাম।
গরু-ছাগল থেকে দেড় হাত দূরে থাকুন, ওদের কাছে জেন্ডার-বৈষম্য নেই- সবাইকেই লাথি মারে।
আমি এখনকার মতোই তখনো হাবাগোবা ছিলাম। কোনো মেয়ের সাথে কথা বলা তো দূরের কথা, কারো দিকে তাকাতেও পারতাম না, আমার চোখে এত লজ্জা ছিল। লজ্জা পুরুষের ভূষণ, এটা মেনে নিয়েই চুপচাপ থাকতাম।
ইয়া আল্লাহ, এইটা আমি কি শুনলাম
ছুরি বা ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটে প্রেমিকার নাম লেখা- একটি হারানো ঐতিহ্যের নাম। --- একদম ঠিক।
আমার মহাবাণীঃ দুটো কাজ করবেন। প্রতি বইয়ের দুটো করে কপি কিনবেন। একটা বুকশেলফে রাখবেন নিজের জন্য। আরেকটা রেখে দিবেন যদি কেউ চায়, তাকে ধারে দেয়ার জন্য। ধারের বই ফেরত পেলে তো কথাই নেই, ফেরত না পেলেও দুঃখ করবেন না- একটা বই তো আপনার কাছে আছেই।
এক কপি বই কেনার টাকা সোনাবীজ ভাই দেবেন, এই শর্তে আমরা সবাই রাজি আছি প্রত্যেকটা ২ কপি করে কেনার জন্য।
তবে আমার বাণীটাও কিন্তু খুবই গভীর, জনহিতকর।
ডি মুনঃ যখন তোমার ক্ষুধা লাগে তখন তুমি খাও।
আহ কী অসাধারণ বাণী।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহহা। সেরাগুলোই টুকে দিয়েছেন দেখি ধন্যবাদ।
৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৫
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বানীগুলো আসলেই বান্দাইয়া রাখার মতো।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দয়া করে তাই করবেন। তাতে মরে গেলেও বাণীগুলো অমর থাকবে
ধন্যবাদ মৃদুল শ্রাবণ ভাই।
১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৩
আবু শাকিল বলেছেন: রসের ডিব্বা নিয়ে স্কল টেনে আস্তে আস্তে নীচে নামতে থাকলাম এসে দেখি রসের সাথে হাঁড়ীও উধাও
কিছু বচন নোট করে রাখলাম। সময়-সুযোগে কপি পেস্ট দিয়ে দিব।
"গরু-ছাগল থেকে দেড় হাত দূরে থাকুন, ওদের কাছে জেন্ডার-বৈষম্য নেই- সবাইকেই লাথি মারে।"
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রসের ডিব্বা! অনেকদিন পর শব্দটা শুনলাম।
ধন্যবাদ শাকিল ভাই।
১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বাণী পড়ে পড়ে ত কুরবান হয়ে গেলাম ।
মাইনুদ্দিন ভাই ত শেষ
বকুলকে সে সব সময় পাহারায় রাখতো। কিছুদিন পর বাদল ভাবলো, পরের জিনিস এত কষ্ট করে পাহারা দিচ্ছি কেন? আমি নিজেই তো এ জিনিস নিজের করে নিতে পারি। বকুলও তাই ভাবছিল। ব্যস- দুজনে দুজনার হয়ে গেলো।
এত সহজ করে বলতে পারেন কিভাবে ?
মুন্সিয়ানায় টাসকিত !!!
জান, জানু, সোনা- পোলাপানে এসব শব্দ কোথা থেকে শোনে, কার কাছ থেকে শিখে, কে জানে। '
যাক বাণী দিয়ে তাহলে ইতিহাসে অমর হয়ে গেলাম ।
ভাল থাকুন প্রিয় ছাই ভাই ।
শুভকামনা ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহআআ। তাই তো, বাণী দিয়ে অমর হয়ে গেলেন। বাণী ক্রমাগত দিতে থাকুন ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই।
১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৯
যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: মারাত্মক সেন্স অফ হিউমার আপনার। যেভাবে খোঁচাগুলো দিয়েছেন অসাধারণ।
আপনার এই অমর বানীর মধ্যে দুঃখ বিলাসী মানুষ হিসেবে আমার এই কথাগুলো খুব মনে ধরছে।
একেকটা ক্ষত থেকে একেক গুচ্ছ পদ্ম জন্মে। একেকটা আঘাত থেকে একেকটা বেদনার সৃষ্টি। বেদনা আপনাকে নতুন কিছু করতে বাধ্য করে, অথবা উৎসাহিত করে। অবশ্য, নিঃশেষও করে। কিন্তু যারা নিঃশেষে নিঃশেষিতে হয়ে যান, তাদের কথা বলছি না।
ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম ট্র্যাজেডিগুলোর একটি। যে সরলমনা অন্ধনিষ্ঠ প্রেমিক নিজের হাতের চামড়া কেটে প্রেমিকার নাম অঙ্কন করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত হাসপাতালে ভর্তি হলেন, তার প্রেমিকা মুহূর্তেই খলনায়িকায় পরিণত হলেন। তিনি আহত প্রেমিকের সন্ধানে হাসপাতালে ছুটে না এসে বিকল্প প্রেমিকের সাথে রাতভর মজা নিতে শুরু করলেন।
আমি এই বেকুব প্রেমিকের জীবনাশঙ্কার কথা ভেবে শিউরে উঠছি। প্রেমিকার মোবাইল গভীর রাতে ওয়েটিং পাওয়ার পর তার চিত্ত স্থির থাক, তার জন্য আমার এমন প্রার্থনা থাকলো।
এই অংশটা দেবদাস কিংবা রোমিও টাইপ প্রেমিকদের জন্য যথেষ্ট। তবে আজকাল অবশ্য দেবদাসের মত প্রেমিক খুঁজে পাওয়া গেলেও রোমিও-জুলিয়েট পাওয়া যাবেনা। বছর শেষে পায়ের স্যান্ডেল বদলে যাওয়ার মতই বদলে যায় তাদের ভালবাসা। এখন কি আর স্যান্ডেল ছিঁড়ে গেলেও সেলাই করে পরার যুগ আছে !!
Mahjabine June-এর বাণীঃ ইদানীং কারো পোষ্টে মন্তব্য করতে গেলে দ্বিধায় ভুগতে থাকি। কে যে কোনখান দিয়ে বানান ভুল, বাক্য গঠন ইত্যাদি বিষয়ের ভুল ধরে বসে! আগে কী সুন্দর ধুমধাম মন্তব্য করে চলে আসতাম। এখন খালি চিন্তা আর চিন্তা।
এই অংশটা পড়ে আমিও এখন বিরাট টেনশিত !!!
পুরো উপস্থাপনটা চমৎকার হয়েছে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার ইচ্ছেটা বজায় ছিল।
খুব ভাল লাগল।
শুভসকাল।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার প্রশংসায় খুব বিগলিত হলাম গলতে গলতে এমন অবস্থা যে দাঁড়াতে পারছি না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: পড়ে যারপরনায় বিমোহিত হলাম । গবেষনাধর্মী লেখা ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কলেমর কালি
১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বাহবা বাহ্বা বাহ্ বা !
বাণীতে বাণীতে দেখি উঠিলো ঝড়
কেউ আমারে ধর ধর.......... ধর্ !
জাতির কল্যাণার্থে এভাবেই কবি লেখকগণ এগিয়ে আসুন
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহহাহাহাহা। সময়মতো আপনাকে ধরতে না পারলেও বুঝতে পারছি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন নি, সোজা হয়ে দাঁড়িয়েই ছিলেন
জাতির কল্যাণার্থে এভাবেই কবি লেখকগণ দাঁড়িয়ে থাকুক
১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহাহাহ! জটিল কাজ হইছে! মজা পাইলাম!
আমি এই বেকুব প্রেমিকের জীবনাশঙ্কার কথা ভেবে শিউরে উঠছি। প্রেমিকার মোবাইল গভীর রাতে ওয়েটিং পাওয়ার পর তার চিত্ত স্থির থাক, তার জন্য আমার এমন প্রার্থনা থাকলো।
এর পরে আর কোন কথা থাকে না।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ধন্যবাদ জাদিদ ভাই।
১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭
ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: দারুন!!
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ দাঁড়কাক।
১৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১৮
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
উপভোগ্য!
ব্যতিক্রমী আর বর্ণাঢ্য!
তবে আইডিয়াকে সম্মান জানাতে হবেই!!
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কামরুল বসির ভাই। শুভেচ্ছা।
১৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৫
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
বানী ভালাপাইছি।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ একজন ঘূণপোকা। ৮ পর রিপ্লাই দিচ্ছি এখন ব্লগে আছেন কিনা, বা কোন নিকে আছেন, তা জানতে বড়ো মন চায়
১৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০১
জুন বলেছেন: দারুন দারুন চিরন্তন বানী সকল দেশি ভাই
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি আপু। পোস্টে কী লিখেছিলাম, নিজেই ভুলে গেছি। যদ্দূর মনে পড়ে, আপনারও কিছু বাণী আছে
২০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২১
জাফরুল মবীন বলেছেন: সোনাবাণীর লীলাখানি দেখিয়া বড়ই আমোদিত হইলাম
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
একবার কিছুদিনের জন্য ব্লগে ঢুঁ দিলেন, তারপর আবার উধাও হয়ে গেলেন!!!!
২১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহ, অসাধারণ বাণী চিরন্তনী সমগ্র
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কেমন আছেন মামুন রশিদ ভাই? হায়, কতদিন হলো আপনি ব্লগে নাই কবে ফিরবেন ব্লগে?
২২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
এহসান সাবির বলেছেন: বয়সটা শরীরের নয়, মনের। আমরা যখন এই বয়সেই একসাথে বসি, তখন মনে হয় এখনো আমরা ক্লাস টেনেই পড়ে আছি। সেই আদিম চুটকি ছাড়া যেন আমাদের আড্ডা জমেই না................!!
পারফেক্ট বাণী চিরন্তনী...
বাণী চিরন্তনী সমগ্রে ভালোলাগা।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই। কেমন আছেন?
২৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০১
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: অনেক গোপন কথা তো মনে হয় ফাঁস হয়ে গেল ভাইয়া। এসব কি বাসায় জানে?
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহা
সব প্রশ্নের উত্তর কি দেয়া যায়?
কিন্তু আপনি ব্লগে নেই কেন?
২৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২০
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: এতক্ষণ কয়েকটা সিরিয়াস লেখা পড়ছিলাম। আপনার লেখা দারুণ লাগলো। খুব মজার। ভাল থাকুন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হায় হায় - বাণী চিরন্তনী কি তাহলে সিরিয়াস লেখা নয়?
কেমন আছেন?
২৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: আহা ! এমনতর মহান কিছু মানুষের এমনসব অমৃত বাণীর জন্য কত জীবন যে হাহাকারের পর্যয়ি থেকে সুস্থ্যতার দিকে ফিরে আসবে সেটা ভেবেই আনন্দ হচ্ছে ।
জীবনে এমন কিছু বাণী আর 'মানি' থাকলেই মানি লোক হিসেবে লোকে গুরুত্ব দেবে ।
আমার তো দুটোতেই অপূর্ণতা ।
আপনাদের সান্নিধ্যে যদি কিছূটা পূর্ণতা আসে । ইশশশশ ......... :!>
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাদের সান্নিধ্যে যদি কিছূটা পূর্ণতা আসে । এতদিন পর কথাটা দেখে আপ্লুত কিন্তু, আপনি কোথায়? ফেইসবুকেও দেখছি না যে!!!
২৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি টায়ার্ড, তাই ব্লগে নাই ফিরছি শীঘ্রই
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ফিরলেন তো পাক্কা ৮ বছর পর! এতদিন কোথায় ছিলেন?
২৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,
দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা
শুধিতে হইবে ঋন.. (এটা বয়োবৃদ্ধির বাণী চিরন্তনী )
মনের বয়স যে কমিছে আমার
পোলাপাইনের মতো দিনকে দিন । (এটা সো.বী.ধূ.ছা বাণী চিরন্তনী )
হাহ...হাহ.... হা ...
ফেসবুক লিংক
চোখে নাই ব্লিংক.......
শুভেচ্ছান্তে ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আহা! দীর্ঘ ৮ বছর পর আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দিচ্ছি!! কেন যে মাঝে মাঝে এত দেরি হয়!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২
ডট কম ০০৯ বলেছেন: গভীর মনযোগ দিয়া পড়লাম।
এখন মনের ভেতের ক্রিয়া পতিক্রিয়া চলিতেছে,আর মনে হইতেছে সকল ক্রিয়ার নাকি সমান ও বিপরীদধর্মী পতিক্রিয়া থাকে।