নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
ইদানীং ১লা বৈশাখ এলেই ভাজা ইলিশ আর পান্তা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে ১লা বৈশাখে পান্তার সাথে এরকম ইলিশ ভাজা খাওয়ার ঐতিহ্য কি কোনোদিনই ছিল?
ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখে এমনিতেই ইলিশ মাছের স্বল্পতা থাকে। ফলে এই সময়ে বাংলাদেশে সারাজীবনই ইলিশের দাম চড়া ছিল। আদিকাল থেকেই ইলিশ ছিল গ্রামের সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তাদের প্রতিদিন প্রতিবেলা পুঁটিমাছ খাওয়ারও তেমন সৌভাগ্য ছিল না। ডাঁটাশাক (দারা), কলুইশাক, ধুধুল্লাশাক, পাটশাক, কলমিশাক, সেঁচিশাক, কচুশাক, শাপলা এবং বাড়ির আঁদাড়ে-পাঁদাড়ে, বন-বাদাড়ে আরো যে-সব শাক-লতা জন্মে থাকে, সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের মূল তরকারি ছিল এগুলো। এর সাথে যোগ হতো কালাই, মাষকালাইয়ের ডাল। আগের দিনে বাজারে ভাগা করে পুঁটি, খলসে, বইচা, চিংড়ি, ট্যাংরা, চাপিলা, জাটকা, রয়না, ইত্যাদি মাছ বিক্রি হতো। সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে ছিল এই ভাগা মাছ। রুই, কাতলা, ইলিশ কেটে ভাগা করে বিক্রি করা হতো। যাদের সামর্থ্য আরেকটু বেশি, তারা এই রুই-ইলিশের ভাগা কিনতো। সচ্ছল ও সামর্থ্যবানরা আস্ত মাছটাই কিনতো নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী। সমাজে সামর্থ্যবানদের সংখ্যা যে সেই সময়ে খুব কম ছিল তা আমরা সবাই জানি।
গ্রামের স্বল্প-সচ্ছল সাধারণ পরিবারে সাধারণত অনেকদিন পর পর, বিশেষ করে বাসায় কোনো মেহমানদারির আয়োজন করা হলে ইলিশ কেনা হতো। সচরাচর ইলিশ মাছটা কেটে কিছু অংশ প্রথম দিন তরকারি হিসাবে রান্না করা হতো। বাকিটা জ্বাল দিয়ে রেখে দেয়া হতো পরবর্তী দিনের জন্য। তখন কোনো ফ্রিজের প্রচলন না থাকায় এই ব্যবস্থা করা হতো।
এইসব স্বল্প আয়ের মানুষেরা এই যে একটা ইলিশ কিনে আনলো এতোদিন পর, এটি তারা সাধারণত তরকারি হিসাবে রান্না করে বিকেল বা রাতের খাবারের সাথে খেতো। ইলিশের টুকরোগুলো প্রায় ক্ষেত্রেই একবেলা (রাতে বা বিকেলে) খাওয়ার পর শেষ হয়ে যেতো। মাঝে মাঝে হয়তো সকালের জন্য সামান্য বাসি তরকারি অবশিষ্ট থাকতো, যা সকালে অন্য যে কোনো তরকারির মতোই পান্তার সাথে খাওয়া হতো।
কিন্তু সকালে পান্তার সাথে এরূপ ইলিশের বাসি সালুন খাওয়া কোনো নিয়মিত দৃশ্য ছিল না। এবং সকালবেলা ইলিশ মাছ ভেজে পান্তার সাথে খাওয়া একটা বিরল ঘটনা ছিল। কালেভদ্রে কোনো অবস্থাপন্ন বাড়িতে এটা হয়ে থাকলেও তা যে কোনো নিয়মিত চর্চা ছিল না তা নিঃসন্দেহ।
তবে ইলিশ মাছ তরকারি হিসাবে রান্না করার পাশাপাশি কয়েক টুকরো ইলিশ ভাজাও হতো। এমন নজির খুব কম পাওয়া যাবে যে, ইলিশের তরকারি রান্না না করে পুরো মাছটাই ভাজা হয়েছে। বরং পুরো মাছটা তরকারি হিসাবে রান্না করাটাই ছিল সাধারণ ঘটনা। এবং সেই ইলিশভাজা বিকেল বা রাতে গরম ভাতের সাথেই সাবাড় হয়ে যেতো। রাতে বা বিকেলে গরম ভাতের সাথে ইলিশ না খেয়ে সকালবেলা পান্তার সাথে ভাজা ইলিশ খাওয়া একটা অকল্পনীয় বিলাসিতা ছিল, যার নজির কোথাও ছিল বলে মনে হয় না।
সকালবেলা কেন ইলিশ মাছ ভাজা হতো না? এর প্রধান কারণ হতে পারে এই যে, ইলিশ একটা দামি ও অভিজাত মাছ। বিকেলে শাক-ডাল বা পুঁটির তরকারি দিয়ে গরম ভাত খেয়ে সকালবেলায় পান্তার সাথে ভাজা ইলিশ খাওয়ার মতো আহাম্মকি ইচ্ছে বা কল্পনা কারো মাথায় কখনো আসবে, এমনটা অস্বাভাবিক। এ দ্বারা ইলিশ মাছটাকে নষ্ট বা ‘অপচয়’ করা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। ইলিশের মতো সুস্বাদু মাছ গরম ভাতের সাথে যতোখানি মজাদার ও উপাদেয় হবে, পান্তা দিয়ে সেই স্বাদ কখনো হবার নয়। মানুষ পান্তা ভাত খেতো, তার কারণ, বিকেলের বেঁচে যাওয়া ভাত তখন ফ্রিজে রাখার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ফলে বিকেলে বেশি হওয়া ভাতগুলোতে রাতের বেলা পানিতে ভিজিয়ে পচন রোধ করা হতো। অন্যদিকে, শীতের দিনে ন্যাচারাল ঠান্ডাতেই বিকেলের বেঁচে যাওয়া ভাতগুলো পানিতে না ভিজিয়ে সকালের জন্য রেখে দেয়া হতো।
তাহলে সকালবেলা সাধারণ মানুষ কী খেত? সকালে পান্তার সাথে অবধারিতভাবে কাঁচা পেঁয়াজ আর কাঁচামরিচ ছিল। কখনো কখনো শুকনো মরিচ পুড়িয়ে কিংবা তেলে ভেজে গুঁড়ো করে পান্তার সাথে মাখিয়ে খাওয়া হতো। আর থাকতো বাসি সালুন, টক হয়ে যাওয়া বাসি ডাল (লাউ আর ডাল)। ছিল আলুভর্তা, বেগুনভর্তা।
যে সময়ের কথা বলা হলো তা যে খুব পেছনে, তাও না। আজ থেকে ৩৫-৪০ বছর আগের কথা বলছি। বৈশাখে ইলিশ মাছ খাবার মতো সামর্থ্য আজ যেমন মুষ্টিমেয় কিছু ধনী মানুষের রয়েছে, তখনও এমনই ছিল। আর বৈশাখে ইলিশ খাওয়া একটা বাঙালি রেওয়াজ, এটা আমরা তখন জানতাম না। আমরা ছোটোবেলায় ‘হালখাতা' দেখেছি। বাজারে যাদের দোকান থেকে সওদা কিনতাম, ঐদিন বাজারে গেলে তারা 'রসগোল্লা' খাওয়াতো। আমাদের বড় আনন্দ ছিল বিকালে মেলায় যাওয়া। মেলায় মাটির পুতুল, বাঁশি, মাটির হাতি, ঘোড়া, কাগজের রঙিন ফুল খুব লোভনীয় ছিল। আর ছিল সার্কাস, পুতুল নাচ।
১লা বৈশাখ যে খুব ঘটা করে উদ্যাপন শুরু হয়েছে, তা বেশিদিনের ঘটনা নয়। ১লা বৈশাখ উদ্যাপন খুব আড়ম্বরপূর্ণ হয়ে উঠেছে আমাদের প্রাইভেট টিভি চ্যানেলগুলোর কল্যাণে। এমনকি ৮৪, ৮৫, ৮৬ সনের দিকেও ১লা বৈশাখে সকালের 'ইত্তেফাক' খুলে 'শহরতলী'তে কী কী আছে তাতে নজর দিলে দেখা যেতো বাংলা একাডেমীর বটমূলে বিকেলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, কলাবাগান/ধানমন্ডির মাঠে মেলা, শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠান, ইত্যাদি।
১লা বৈশাখ মূলত 'গ্রামজ' উৎসব হলেও গ্রাম বাংলায় উৎসবমূখরতা যতোখানি দেখা যায়, অধুনা তার চেয়ে বহুগুণ দেখি শহর ও নগরে। এরও কারণ আছে। শহরে আপনি শহরের 'আদি বাসিন্দা' পাবেন খুব কম- এখানে যাদের বাস তাঁদের শেকড় হলো গ্রামে। শহর আর গ্রামকে পার্থক্য করাও ক্রমশ দুরূহ হয়ে উঠছে। যে পরিবার গ্রাম ছেড়ে শহরে বসতি গড়েছে, ইদ মৌসুমের মতো তাঁরা কিন্তু গ্রামে ছুটে যান না। তাঁরা নিজস্ব শহরেই প্রাণের উৎসবে মেতে ওঠেন।
আমাদের গ্রামবাংলায় শুধু চৈত্র-বৈশাখেই না, বছরের অন্য কোনো সময়েও সকালবেলা ভাজা ইলিশ বা তরকারি ইলিশের সাথে পান্তা খাওয়ার রেওয়াজ কোনোদিন ছিল না। বর্তমানে চলমান এই কৃত্রিম ইলিশ-পান্তার প্রচলন হয়েছে খুব বেশিদিন হয় নি। আপনারা বছর গুনলেই খেয়াল করতে পারবেন যে ১০ বছর আগেও ১লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার এমন হিড়িক ছিল না। এই কৃত্রিম ঐতিহ্যচর্চার পেছনে বৃহৎ এক ব্যবসায়িক চাল রয়েছে বলে আমার মনে হয়। সাধারণত জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা নিষেধ থাকে। কিছু সুচতুর ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইলিশ গুদামজাত করে রাখেন কেবল এই ১লা বৈশাখকে সামনে রেখে। ১লা বৈশাখের আগ দিয়ে ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের দাম কেজি প্রতি গিয়ে দাঁড়ায় ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা। কিছু অবুঝ ভোক্তা ১লা বৈশাখে ইলিশ খাওয়া ইবাদত সমতুল্য মনে করেন, ফলে ইলিশের উপর বাড়তি চাপ পড়ে এবং হু হু করে দাম বাড়তে থাকে।
এবার হিসাবটা মিলিয়ে দেখুন। গ্রামের সাধারণ মানুষ সারাবছর যা দিয়ে ভাত খেয়ে থাকে, ১লা বৈশাখেও তাদের মেনুতে তাই-ই থাকে। যাদের সামান্য সামর্থ্য আছে, কেবল তারাই স্বপ্নের ইলিশের দেখা পান আর ১লা বৈশাখের সকালে গরম ভাতে পানি মিশিয়ে পান্তার সাথে ইলিশভাজা খান আর ভাবেন আহ, বাঙালি ঐতিহ্য পালন করছি।
বাংলাদেশে যখন থেকে পান্তা-ইলিশের ১লা বৈশাখ উদ্যাপনের অপংস্কৃতি শুরু হয়েছে, বন্ধুবান্ধবসহ যে-কোনো ফোরামে এ প্রসঙ্গে কথা উঠলেই আমি বলতে চেষ্টা করেছি যে, ১লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়া কোনোদিনই বাঙালি সংস্কৃতি ছিল না। এটা একটা কৃত্রিম সংস্কৃতি, যার পেছনে ব্যবসায়িক মতলব রয়েছে।
আমার ভালো লাগছে এটা দেখে যে, বর্তমানে, বিশেষ করে এ বছর ফেইসবুক ও ব্লগে, এমনকি কোনো কোনো টিভি চ্যানেলও এই ‘অপসংস্কৃতির’ বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। এজন্য ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব উল্লসিত। কোনো একসময় মনে হচ্ছিল, এই যে ১লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের বিরুদ্ধে আমি কথা বলছি, এটা আমার হীনম্মন্যতা। অথবা, আমি হয়তো এদেশের ঐতিহ্য সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। আজ দেখতে পাচ্ছি, আমি একা নই। আরো অনেক মানুষ বহু আগে থেকেই এ বিষয়টা নিয়ে ভাবছেন। এ প্রসঙ্গে আমি ৮ এপ্রিল ২০১৫ রাতে ফেইসবুকে একটা স্টেটাসও দিয়েছিলাম এবং সেখানে এ মতের বিপক্ষে ভাবছেন, আমার ফ্রেন্ডলিস্টে এমন কাউকে দেখি নি। আমার স্টেটাসে যাঁরা মন্তব্য করলেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ কমেন্টদাতাই সরাসরি ‘একমত’ পোষণ অথবা ‘সহমত’ জ্ঞাপন করেছেন। এঁদের মধ্যে ব্লগার মাহমুদ রহমান, সাবরিনা সিরাজী তিতির, আবু শাকিল, আদনান শাহরিয়ার তপু, দীপ্র হাসান, মতিউর রহমান সাগর (সাগর রহমান), পার্থ তালুকদারের নাম উল্লেখযোগ্য। কেউ কেউ অবশ্য অন্যমত দিয়েছেন, কিন্তু বিষয়টাকে একেবারেই উড়িয়ে দেয়ার মতো কাউকে পাওয়া যায় নি।
এ বিষয়ে স্টাডি করার সময়ে ব্লগার শারমিন রেজোওয়ানার একটা পুরোনো পোস্ট সামনে উঠে এলো, যার শিরোনাম- ‘কর্পোরেট বাণিজ্যের চাপে পড়া আমাদের বেচারা পহেলা বৈশাখ' তাঁর পোস্টটির সূচনা খুবই ইন্টারেস্টিং।
গতকাল প্রথম আলোর ‘নকশা’ খুলে দেখি পান্তা ভাত রাঁধার রেসিপি দেয়া হয়েছে... ‘গরম ভাত রান্না করে এতে পরিষ্কার পানি ঢেলে ঢেকে রাখতে হবে!’
দেখে একটু ভ্যাবাচেকা খেলাম, তবে সেটাই শেষ না, এরপর গেলাম মীনা বাজারে মাছ কিনতে, দেখি দুই কেজি বা দেড় কেজির মতো এক একটা ইলিশ মানুষ হাসি মুখে ৩৩৫০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছে!
এরপর শারমিন রেজোওয়ানা ইতিহাস খুঁড়ে ও ঘেঁটে পেলেন যে, ‘ভাত সাধারণত খাওয়া হতো শাক সহযোগে! নিম্নবিত্তের প্রধান খাবারই ছিল শাক!’ প্রাচীন বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য অনেক খুঁজেও তিনি পান্তা-ইলিশ আর সাদা শাড়ি, লাল পাড় দেখতে পেলেন না। সঙ্গতভাবেই তাঁর প্রশ্ন : ‘তাহলে কেন আমাদের যেভাবেই হোক ৩৩৫০ টাকা দিয়ে হলেও ইলিশ খেতেই হবে, সাধ্যে কুলাক আর না কুলাক সাদা শাড়ি, লাল পাড় পরতেই হবে?’
তাঁর পোস্টের উপসংহার প্রণিধানযোগ্য :
‘আমরা উৎসবপ্রিয় জাতি; অবশ্যই উৎসব পালন করবো ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে। তবে সেখানে কোনো কর্পোরেট বাণিজ্যিক হেজিমনি যেন ফায়দা না লুটতে পারে, সেটাও কি ভেবে দেখার সময় আসে নি এখনো?
এই ইলিশের দাম ১৫ তারিখেই কমে অর্ধেক হয়ে যাবে! না হয় এদিন আমরা নাই খেলাম ইলিশ! এখন ইলিশের প্রজননঋতু, এই সময়টা ধৈর্য ধরে নিজের জিভকে একটু সংবরণ করলে পরের অনেকগুলো মাস অনেক সুলভে ইলিশ খেতে পারবো আমরা। আসলে আইন করে এই সময়ে ইলিশ ধরা বন্ধ করা উচিত!
ব্লগার নীল সাধুর অভিজ্ঞতালব্ধ মন্তব্যটি অসাধারণ। তিনি লিখেছেন :
রমনার বটমূলে বৈশাখের আয়োজনে যোগ দেয়ার শুরুটা ছিল খুব ছোটোবেলা থেকেই। ১৯৮৬/৮৭ সনের দিকের কথা বলছি আমি। মনে আছে সে সময়ের বৈশাখের প্রথম দিনে রমনার বটমূলে শুধু যেখানে গান হতো সেখানে দু/আড়াই শ মানুষ হতো। আর আশেপাশে কিছু মানুষ বেড়াতে বা ঘুরতে আসতো। এই ছিল পরিবেশ। অনেক সময় রমনার আয়োজন শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দিয়ে টিএসসির গেট দিয়ে বের হবার সময়ে উদ্যানের ভেতরে এই নিয়ে হৈচৈ চোখে পড়ে নি। শিশু পার্কের গেটের সামনে ফকির আলমগীরের ‘ঋষিজ’ গান পরিবেশনা শুরু করে তার বেশ ক’বছর পর থেকে। আমি যে সময়ের কথা বলছি সে সময় বৈশাখের প্রথম দিনটিতে শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবনের রাস্তাটি খোলাই থাকতো। কারণ রাস্তা বন্ধ করে অনুষ্ঠান করার প্রয়োজনীয়তা বা লোক সমাগম তেমন হতো না। শিক্ষিত সংস্কৃত-মনা মানুষজন এবং ঢাকার বিশেষ একটি শ্রেণির মানুষ ছাড়া এই আয়োজনের কথা তেমন কেউই জানতো না। আমজনতার কো্নো অংশগ্রহণ ছিল না ঢাকা কেন্দ্রিক এই আয়োজনে। আয়োজন ছিল খুবই সুশৃঙ্খল। দুপুরের মধ্যেই সবকিছু সমাপ্ত হয়ে যেতো। তখন মিডিয়া বলতে সংবাদপত্র এবং একমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি। সেই আয়োজনে কিছু দোকানি পসরা সাজিয়ে বসে পান্তা খাওয়ার প্রচলন শুরু করে।
বাঙালি যদিও পান্তার সাথে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ খেতো কিন্তু এই আয়োজনে কিছুটা নতুনত্ব এবং আভিজাত্য আনতেই কিনা সেই পান্তার সঙ্গে আইটেম যুক্ত হল ইলিশ। আমার মনে হয় এভাবেই ১লা বৈশাখের সঙ্গে ইলিশের সংযুক্তি। আর কিছুই নয়। কোনোক্রমেই ১লা বৈশাখের সংস্কৃতির সঙ্গে বা বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে ইলিশ ছিল না। আমি তো মনে করি এখনো নেই। এটা হুজুগে বাঙালির তৈরি ইস্যু মাত্র!
ফেইসবুকারদের মন্তব্যগুলো আপনাদের জন্য নীচে তুলে দিলাম।
কুনোব্যাঙ/স্কাই ওয়াকার
ছোটোবেলায় কাজিনদের সাথে পহেলা বৈশাখে এক-আধবার ঘুরতে গিয়ে দেখেছি তৎকালীন উঠতি টিভি তারকারা রমনায় সানকিতে করে প্রতি প্লেট এক/দেড় হাজার টাকায় পান্তা ইলিশ বিক্রি করতো। এটা ছিল মূলত বোশেখে উঠতি তারকাদের আয়ের একটা পথ, যে প্রথাটা এখনো আমরা মফস্বলের বৈশাখী মেলায় দেখে থাকি। আমার ধারণা সেই শোবিজ তারকাদের পান্তা ইলিশ বেচা থেকেই আস্তে আস্তে এটা একটা কালচারে পরিণত হয়েছে। পান্তা আর ইলিশের মতো আমাদের দুইটা ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে যদি কালচার হয় ব্যাপারটা খারাপও না মনে হয়, অন্তত পিজা-বার্গার কালচার যে হচ্ছে না সেটিও একটি সান্ত্বনা। আবার এটিও খেয়াল রখতে হবে, একটি কালচার তৈরি করতে গিয়া সাধারণ মানুষকে আমরা দুঃখে ফেলছি কিনা। আনন্দের একটি দিনে পান্তা ইলিশ খাওয়ার যে একটা নিয়ম চলে আসছে এই সময়ে ইলিশের দুর্মূল্যের বাজারে এদেশের অধিকাংশ পরিবারের পক্ষেই এটা সম্ভব না। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এটা একটা আনন্দের দিনে তাদের জন্য হতাশা আর হীনম্মন্যতা আনবে। যেহেতু আর্থিক অসংগতি এবং দুষ্প্রাপ্যতার কারণে ইলিশ অধিকাংশ বাঙালির হাতে থাকে না, সেহেতু আমজনতার থাকে না সেহেতু ব্যক্তিগতভাবে আমি এই ইলিশে আগ্রহ পাই না। আর ব্যাপারটা কিছুটা অপচয়ই মনে হয় আমার কাছে। অবশ্য পাড়া-প্রতিবেশীর দাওয়াত পেলে সে দাওয়াতও অগ্রাহ্য করি না, কেননা ইলিশ ভাঁজা আমার অত্যন্ত প্রিয় খাবার
লাইলী আরজুমান খানম
আমার বাড়ি গ্রামে, আমি কখনোই দেখি নি পান্তার সাথে ইলিশ খায়, নতুন শাড়ি পরে… পহেলা বৈশাখকে এখন পূজা আর ইদের চেয়েও বেশি করে দেখানো হচ্ছে আর তার চর্চাও হচ্ছে… একদিন তো আমাদের নতুন প্রজন্ম এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান ভুলে যাবে… আর তারা চর্চা করবে যতসব ফালতু সংস্কৃতি, যেমন পহেলা বৈশাখ যা কর্পোরেটরা তৈরি করেছে তাদের স্বার্থে…
শাহেদ খান
খলিল ভাই, সংজ্ঞামতে ‘আমরা যা, সেটাই আমাদের সংস্কৃতি।‘ চৈত্র-বোশেখে অসময়ে ইলিশ খোঁজা, কিংবা ফিউশন-মিউজিকে লালনের জন্মোৎসব পালন করা, ইত্যাদি এখন আমাদের সংস্কৃতি কিনা সে বিতর্কের কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখি না; বরং ‘সমসাময়িক হুজুগে গা-ভাসানো’টাই আমাদের সংস্কৃতি। শত বছর ধরে সেটাই চলে আসছে। অতএব যা হচ্ছে, সংস্কৃতি-মোতাবেকই হচ্ছে।
যে কোনো পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আধুনিক উত্তেজনার স্রোতে আমাদের গা ভাসানোর দৃষ্টান্ত ঐতিহাসিক পর্যায়ের। রবিঠাকুর সেই ১৮৯১-৯২ সালেই এক গল্পে লিখেছিলেন, ‘সে সময়ে তখনকার সেকালের লোক তখনকার একালের লোকের ব্যবহার দেখিয়া হতবুদ্ধি হইয়া অধিক তামাক টানিত।‘
অন্ধবিন্দু
‘অপসংস্কৃতি’ শব্দটি নির্দিষ্ট নয়। কথা বললে আলোচনা বিরাট আকার ধারণ করবে। লিখাটি ব্লগে পোস্ট করতেন? অপরিহার্য অনুষঙ্গ কারা বানাচ্ছে, যারা সামর্থ্য রাখেন তারা, নাকি যারা সামর্থ্য অর্জন করতে চাইছেন তারা? বাঙ্গালীরা বাঙালী থেকে বাঙালি হয়েছে, তবে সময়ের সাথে নিজ সংস্কৃতির তাল না মেলাতে পেরে কাঙাল হতে হচ্ছে। অবশ্য বিশ্বসংস্কৃতিও সেদিকে আগে বাড়ছে। রাশিয়া, ইংল্যান্ড বা এ্যামেরিকাতেও (ইত্যাদি) এই কাঙালপনা দেখতে পাচ্ছি। মোরালি ক্যাপিটালিজমকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে, আশা আছে। অন্যথায় ...
নীল সাধু, শাহেদ খান… সুযোগের অভাব প্রচলিত হতে থাকলেই হুজুগের অধ্যায়টি আসে। তার সাথে জাতীয়তার সম্পর্ক নেই। আপনাদের কথাতেও ভেবে দেখার মতো যুক্তি আছে।
রবি বাবুর কাছেই ফিরে আসি, বলছেন- ‘তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি।‘ তা এইসব ইলিশ-পান্তা/প্রপাগান্ডা আসলে বাঙালিকে তার চিরন্তন-রূপ প্রকাশে বড় বাধা হিসেবে দেখছি। সোনাবীজ অথবা ধুলোবালিছাই, আমার অবস্থান এই লিখাটিতে স্পষ্টত প্রকাশ করেছিলুম।
আমি এ মুহূর্তে একটা জবাব দিলাম : শত শত বছর ধরে আমি লুঙ্গি বা ধুতি পরি। লুঙ্গিধুতিই আমার পোশাকের সংস্কৃতি। মেয়েদের জন্য শাড়ি বা সেলোয়ারকামিজ। গণ মানুষের জীবনচর্চাই হলো সংস্কৃতি। শহর আর গ্রামের সংস্কৃতিতে পার্থক্য থাকতে পারে। সারাদেশের মানুষ যদি বলে পহেলা বৈশাখে আমরা প্যান্টশার্ট আর স্কার্টের বদলে লুঙ্গি বা শাড়ি পরবো, এটা খুব ন্যাচারাল হবে। কারণ, যুগ যুগ ধরে বাঙালিদের পোশাক এগুলোই ছিল।
সংস্কৃতির সাথে ধনী হওয়া বা গরীব থাকার কোনো সম্পর্ক আছে বলে মনে হচ্ছে না।
আমাদের দেশে কোনো কালেই সাধারণ মানুষের সকালবেলা পান্তা আর ইলিশ খাওয়ার সামর্থ্য ছিল না। এটা কোনো রেওয়াজও ছিল না। এই যখন অবস্থা তখন ১লা বৈশাখে সার বেঁধে পান্তা ইলিশ খাওয়ার মধ্যে বাঙালি সংস্কৃতির কোনো চর্চা হয় বলে মনে হয় না।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন, খেলে দোষ কী? হ্যাঁ, কোনো দোষ নেই পান্তা ইলিশ খেতে, কিন্তু এটাকে যখন বাঙালি ঐতিহ্য বলে চালানো হয়, দোষ হয় সেটাতে। এসব প্রপাগান্ডার কুফল অনেক।
অপর্ণা মম্ময়
কদিন আগেই এ বিষয়ে কলিগদের সাথে কথা হচ্ছিল। যে ব্যাপারগুলো আগে পালিত হতো কোনো উৎসবকে ঘিরে, এখন সেটা চেপে বসার মতো ব্যাপার হয়ে গেছে। সেটা না করলে ‘জাত’ থাকবে না টাইপ ভয়, দ্বিধা ঢুকে যাচ্ছে হয়তো!
মনোয়ারা মণি
অপসংস্কৃতি, ধার করা সংস্কৃতি আর লোকদেখানো সংস্কৃতি পালনে আমরা অতুলনীয়। সর্বক্ষেত্রে এগুলো দিনদিন বেড়েই চলেছে। পহেলা বৈশাখ পালনে ইলিশ মাছ খাওয়া এদের মধ্যে একটা বলে মনে হয়। ছেলেবেলায় বন্ধুদের কাছে শুনেছি বিজয়া দশমীতে ইলিশ খাওয়ার প্রচলনের কথা। এখন মনে হচ্ছে এখানে পাল্লাপাল্লি বিষয়টিও কাজ করতে পারে। দেশবিদেশে উৎসবগুলো ব্যবসাকেন্দ্রিক। বেশভূষায় নয়, চালচলনে নয়, ইলিশ খাওয়া দিয়ে দেখাতে চাই আমরা বাঙালি। জাতীয় মাছ অন্তত একটা নতুন বছর পালনে না খেলে জাত থাকবে না যে! ইলিশ মাছের ব্যবসায় যারা সম্পৃক্ত তাদের কয়জনের ছেলেমেয়েরা মাছের কাঁটা বাছতে জানে সে বিষয়েও আমার সন্দেহ আছে। বিদেশে এখন ইলিশ মাছের ব্যবসা তুঙ্গে। কখনো বার্মার, কখনো চাঁদপুরি আবার কখনো ইন্ডিয়ান ইলিশ বলে চালিয়ে দেয়া হয় অথচ ইন্ডিয়ান কিংবা বার্মার দোকানে ইলিশ দেখি না। যে কথা বলতে চাই আমাদের দেশ যাঁদের পরিশ্রমের ফসলে বেঁচে থাকে তাঁদের ভাগ্যে ইলিশ জোটে না। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তথাকথিত শিক্ষিত মানুষকে যারা বাঁচিয়ে রাখেন তাঁদের ভাগ্যে বছরে একবারও হয়তো ইলিশ মাছ খাওয়া হয় না। বাঙালিয়ানা যদি দেখাতেই হয় সেটা ‘বাঙ্গালী’ বানান পরিবর্তন করে নয়, মন থেকে বাংলার মানুষের কষ্ট অনুভব করে তা দেখানো উচিৎ। শুধু পহেলা বৈশাখে নয় ইলিশ মাছ এমন ভাবে বর্জন করা উচিৎ যাতে ব্যবসায়ীরা সংস্কৃতি নিয়ে ব্যবসা করতে না পারে।
১লা বৈশাখে পান্তা ভাতের সাথে (যদিও গরম ভাতে পানি মিশিয়ে বানানো হয়) কাঁচা পেঁয়াজ আর কাঁচামরিচই হোক বাংলা নববর্ষের খাবার। জাতীয় মাছ জুটুক আমাদের মতো দুর্ভাগা জাতির সাধারণ মানুষের কপালে।
এবারের শ্লোগান হোক :
১লা বৈশাখে ইলিশ নয়।
ইলিশ যেন বারোমাসেরই খাবার হয়।
রিয়া ফারিয়া
ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক ভাবেই কোনো না কোনো কিছুকে উপলক্ষ করে ব্যবসা করবে; শুধু বৈশাখ না, সকল প্রকার জাতীয় দিবস বা বিশেষ দিনেই এসব চলে। ইলিশ এক্ষেত্রে সফল, কেননা ইলিশের চাহিদা এই ব্যবসার ফলে প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে, আর আমাদের দেশে চাহিদা বেশি হলে দাম বেশি হাঁকানো চলে। আমাদের বাড়িতে ইলিশের চেয়ে ভর্তা খাবার একটা আলাদা রেওয়াজ ছিল।
ডার্কম্যান বা সৈকত
সবই মিডিয়ার খেল। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আগে তেমন কনসার্ট দেখতাম না। কিন্তু গত ৫/৬ বছর ধরে তা পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিনের লোক-দেখানো বাঙালি হওয়ার চেয়ে মননে বাঙালি হওয়াটা মূল প্রতিপাদ্য হওয়া উচিত।
আবু জাকারিয়া
আমার মনে হয় এটা সমাজের জন্য তেমন খারাপ কিছু না। যদিও পান্তা-ইলিশ খাওয়ার প্রকৃত ইতিহাস আলাদা। আগে গ্রামের মানুষ সাধারণত প্রতিদিন সকালে অভাবের কারণে মরিচ অথবা বাসি তরকারি দিয়ে পান্তা ভাত খেত। সকালের পান্তার সাথে মাঝে মাঝে বাসি ইলিশ মাছও খাওয়ার সুযোগ হতো তাদের। কিন্তু তারা কেউ শখ করে পান্তার সাথে মরিচ বা বাসি তরকারি খেতো না। বরং তা তাদের প্রয়োজন ছিল।
পারভেজ রবিন
বৈশাখের সাথে ইলিশের সম্পর্ক ছিল না। এই সময়টাতে এমনিতেই ইলিশ কম পাওয়া যেতো। বৈশাখ এলে বোঝাও যেতো না। একমাত্র ‘হালখাতা’ই ছিল এর প্রকাশ। হালখাতা আমার খুব পছন্দের ছিল। একে একে সব ঐতিহ্যা হারিয়ে বসা বাঙালি যা মনে করতে পারছে তার সব মিলিয়ে ডালখিঁচুড়ি বানাচ্ছে। আর এটা এখন একটা ভ্যালেন্টাইনস ডে!
জিয়া চৌধুরী
রমনা বটমূল বা চট্টগ্রামের ডিসি হিলে পান্তা ইলিশ না খেয়ে একদিন গ্রামে ফিরে যাই। গ্রামের মানুষ যা খায় তা দিয়ে একবেলা আহার করি। আসল বাঙালিয়ানার স্বাদ উপলদ্ধি করি।
একদিন গ্রামে গিয়ে যে কোনো একটা মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারে মেহমান হওয়া যায়। ধরুন ৫-১০ জনের একটা করে টিম। নিজেদের খরচে বাজার করে একটা দিন হাসি আনন্দে তাদের সাথে কাটানো। তাদের সাথে তাদের মতো করে চলা। তাদের সুখদুঃখ শেয়ার করা। গ্রামের মানুষকে বুঝতে শেখা। চাইলেই আমরা পারি। কর্পোরেট পান্তা ইলিশ ব্যবসায়ীদের কাছে গলা বাড়িয়ে দিয়ে বাঙালি না সেজে প্রকৃত বাঙালির স্বাদ অনুভব করি। ইলিশের ধারণা ঢুকিয়েছে কর্পোরেট ধান্দাবাজরা। আগামীকাল যদি সবগুলো মিডিয়ায় বলা হয় ইলিশ নয়, পান্তা-চিংড়ি আমাদের ঐতিহ্য। দেখবেন সবাই সেটাই গিলবে।
এই মতের পক্ষে আবেগাপ্লুত হয়ে জিয়া চৌধুরী ফেইসবুকে একটা ‘ইভেন্ট’ খুললেন: পহেলা বৈশাখ : চলুন, গ্রামে ফিরে যাই, কৃত্রিম পান্তা-ইলিশ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।
তাঁর ইভেন্ট বর্ণনায় জিয়া চৌধুরী লিখলেন : আসুন, আজ আমরা একদিনের জন্য প্রকৃত বাঙালি সাজি। আমরা আমাদের শিকড়ে ফিরে যাই। প্রত্যেকেই গ্রামের একেকটি গরীব ফ্যামিলির সাথে একটি দিন কাটাই। একবেলা খাবার খাই। উপলদ্ধি করতে চেষ্টা করি তাদের জীবন যাপনটুকু। আমাদের বাচ্চারা তাদের বাচ্চাদের সাথে মিশবে, খেলবে। তাহলেই আমরা এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে বাঙালিয়ানা কী জিনিস, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য কী ছিল। আমাদের মা বাবারা কোন ধরনের জীবন যাপন করতেন। আমরা কোথা থেকে উঠে এসেছি। কোথায় আমাদের শিকড়।
নববর্ষের সাথে, ঐতিহ্যের সাথে ইলিশের কোনো সম্পর্ক নেই, এই জিনিসটা সবাই কবে অনুধাবন করতে পারবে?’
অভিষেক পাল অন্তু
লেখটা মন দিয়ে পড়লাম। প্রতিটি যুক্তিই যথার্থ। বিষয়টা ময়নাতদন্ত করতে আম্মাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, এটা আগে কোনদিন ছিলো না। এই বর্তমান সময়ে এটা চালু হয়েছে। নির্বাচনের সামনে পান্তা ইলিশ খাইয়ে প্রচারণা কিংবা গার্লফ্রেন্ডকে পকেটের গরম দেখানোর জন্য পান্তা ইলিশ খাওয়ানো কখনোই বাংলা সংস্কৃতির অংশ নয়।
***
বিভিন্ন ফেইসবুকার ও ব্লগারদের মন্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার হলো যে, পান্তার সাথে ভাজা ইলিশ কোনোদিন বাঙালির ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি ছিল না। এটা একটা ব্যবসায়িক কূটচালের ফল, যাতে মানুষ ১লা বৈশাখে এলেই ইলিশের প্রতি ঝোঁকে পড়ে, আর ইলিশের দাম যতোই হোক না কেন, এক টুকরো ইলিশ গলাধঃকরণ করে যেন সারা বছরের অতৃপ্তি নিবারণ করে।
আমাদের একটা মানসিক জাগরণের খুব দরকার। যখন টিভিতেও ফলাও করে ১লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার প্রচারণা চালানো হয়, আর ইলিশের জোড়া ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়, তখন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের শরীরে রাগ না উঠে পারে না। এই রাগ চরমে ওঠে যখন দেখা যায় কিছু আবাল শ্রেণির মানুষ টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁত বের করে বলে- ১লা বৈশাখ বলে কথা, ইলিশ আর পান্তা তো খাইতে হইবই।
আমরা মিডিয়ার কাছে বন্দি, কিংবা পরাজিত। তবু, ব্লগ কিংবা ফেইসবুকে আমাদের একটা স্ট্যান্ড থাকা চাই, বিশেষ করে সমভাবাপন্ন মানুষদের একটা ঐক্যমত থাকা প্রয়োজন। অন্তত আমরা এ কজন মানুষ হলেও বৈশাখ মাসে ইলিশ-বিমুখ হয়ে ইলিশের দাম খানিকটা হলেও স্থিতিশীল থাকার জন্য অবদান রাখতে সক্ষম হবো, তা যত নগণ্যই হোক না কেন।
আমাদের এই অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। অযথা ইলিশকে ১লা বৈশাখের অপরিহার্য অনুষঙ্গ বানিয়ে এর দাম আকাশছোঁয়া করা অনুচিত। এই হুজুগে সংস্কৃতি থেকে বেরোনো গেলে ইলিশের দাম সারাবছর মোটামুটি স্থির থাকবে এবং নিম্নমধ্যবিত্তদের নাগাল থেকে ইলিশ মাছ আর বাইরে ছিটকে যাবে না।
সুপারিশ
১। ১লা বৈশাখ উপলক্ষে যাতে ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া না হতে পারে সেজন্য ১লা বৈশাখের ১৫দিন আগে বাজারে ইলিশ কেনাবেচা বন্ধ করে দেয়া উচিত। তা না হলে হয়তো এমন একদিন আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হবে যেদিন ১লা বৈশাখে ইলিশ খাওয়াকে বাংলার মানুষ ‘ফরজ’ বিবেচনা করবে।
২। আমাদের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে ‘পান্তা-ইলিশ’ ১লা বৈশাখের বাঙালি সংস্কৃতি- এমনতরো কোনো বিজ্ঞাপন, খবর, নাটক, থিম যাতে প্রচারিত না হয় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটা ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত হবে। আমাদের সচেতন জনগণকেও এ ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে হবে এবং ১লা বৈশাখে ইলিশভোজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩। ১লা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা থেকে পান্তা-ইলিশের মেনু বর্জন করতে হবে। বিভিন্ন মেলাতে পান্তা-ইলিশের হোটেল নিষিদ্ধ করতে হবে।
৪। জনে জনে, যখন যাকে পান, এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করুন, বোঝান।
আমাদের সার্বজনীন শ্লোগান হোক :
১লা বৈশাখে ইলিশ নয়।
ইলিশ যেন বারোমাসেরই খাবার হয়।
অধিকতর অধ্যয়নের জন্য লেখক-নির্বাচিত কিছু পোস্টের লিংক
শূন্য (০) থেকে বাংলা সন শুরু হয় নি। ৯৬৩ হিজরির ১ মহররম=৯৬৩ বাংলা সনের ১ বৈশাখ । সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
সাবধান, মাথায় চক্বর দিতে পারে ১০০ দ্বারা বিভাজ্য ইংরেজি সালগুলো লিপ-ইয়ার না, কিন্তু ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য সালগুলো লিপ-ইয়ার কেন? । সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
কর্পোরেট বানিজ্যের চাপে পরা আমাদের বেচারা পহেলা বৈশাখ। রেজোওয়ানা
চৈত্রসংক্রান্তি আজ ।। আপডেট। শাহ আজিজ
পহেলা বৈশাখ- ১৪২২-শ্বাসত গ্রাম বাংলার কিছু চিরায়ত বাঙ্গালিয়ানার নিদর্শন ..। আমি ময়ূরাক্ষী
পহেলা বৈশাখ ; পান্তা-ইলিশ ; অতঃপর আমরা। সুমাইয়া আলো
'বাংলা নববর্ষ', 'পহেলা বৈশাখ', 'বঙ্গাব্দ', 'বাঙ্গালীর প্রানের উৎসব' অথবা 'তথাকথিত পান্তা ইলিশের দিন' এর কথাঃ (বাঙ্গালী ও বাংলাদেশী এইদিন এবং প্রতিদিন!!) শতদ্রু একটি নদী
বাংলা নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ এবং বর্তমান উদযাপন (সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা)। বোকা মানুষ বলতে চায়
উৎসব হোক, আদিখ্যেতা নয়। শেগুফতা শারমিন
"পহেলা বৈশাখ" কিংবা "বাংলা নববর্ষ" পালন কি ইসলাম সম্মত?। দুরন্ত বেদুঈন
পান্তা-ইলিশের মধ্যবিত্ত রূপায়ণ। মুমাইন
বাঙালির বৈশাখ ও পান্তা ইলিশ সমাচার - ইফতেখার.আমিন
বৈশাখ ও বাঙালী; নববর্ষ ১৪২২। mahbubsujon/অণুষ
চৈত্র থেকে বৈশাখে। দীপংকর চন্দ
মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা,অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। ইয়াকুব আলি
সকল ব্লগার ভাই বোনকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং সাথে এর ইতিহাস। ব্লগার মাসুদ
বাংলা নববর্ষের মত একটি জাতীয় অনুষ্ঠান ধর্মনিরপেক্ষ এবং সার্বজনীন দেশীয় রীতি অবলম্বনেই পালিত হোক..। ফোজাইল ইমন
রঙে রঙে রাঙিয়ে উঠুক বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব---“পহেলা বৈশাখ ১৪২২”...হে বঙ্গসন্তান শুধায় তোমায়, লাল-সাদা রঙে বরণ করবে কি আমায়। রিকি
পহেলা বৈশাখ এ ইলিশ মাছ খাওয়া স্মার্টনেস না, আমাদের সংস্কৃতি ও না। ওয়েব রুলার
যে ভাবে এল বাংলা নববর্ষ....। ব্লগার শঙ্খচিল
আজ পহেলা বৈশাখ : প্রাণের উৎসবের বৈশাখ। রুপম হাছান
পহেলা বৈশাখ- দিল্লী থেকে বাংলায়। আফনান আব্দুল্লাহ্
বৈশাখের অপ সংস্কৃতি পান্তা ও ইলিশ। আহমেদ_শাহীন
জিয়া চৌধুরীর ফেইসবুক ইভেন্ট
পহেলা বৈশাখ : চলুন, গ্রামে ফিরে যাই, কৃত্রিম পান্তা-ইলিশ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই
****
ক্রোড়পত্র – ১লা বৈশাখের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
(এই অংশটুকু এ পোস্টের অংশ বিবেচ্য নয়।)
১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে মুগল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন বলে বেশিরভাগ পণ্ডিত মনে করেন। ঐ সময়ে বঙ্গে শক বর্ষপঞ্জি ব্যবহৃত হতো, যার প্রথম মাস ছিল চৈত্র। বাংলা বর্ষপঞ্জি প্রথমে ‘তারিখ-ই-এলাহী বা ‘ফসলি সন’নামে পরিচিত ছিল। ১৫৮৪ সালের ১০ বা ১১ মার্চ তারিখে এটি ‘বঙ্গাব্দ নামে প্রচলিত হয়। এ নতুন সালটি সম্রাট আকবরের রাজত্বের ২৯তম বর্ষে প্রবর্তিত হলেও তা গণনা করা হয় ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৫ নভেম্বর থেকে (Retrospectively)। সম্রাট আকবর ৯৬৩ হিজরী, ১০ রবিউল আউয়াল, রোজ শুক্রবার, ১৪৭৯ শকাব্দ, ১৬১৪ বিক্রমাসম্ভাত, এবং ইংরেজি ১৫৫৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। একই বছর, অর্থাৎ ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৫ নভেম্বর, এবং ৯৬৪ হিজরির ১ মুহররম তারিখে মাত্র ১৩ বছর বয়সে সম্রাট হেমচন্দ্র বিক্রমাদিত্যকে ২য় পানিপথের যুদ্ধে পরাজিত করেন। পানিপথের যুদ্ধে সম্রাট আকবরের বিজয়কে মহিমান্বিত করে রাখবার জন্য, এবং অধিকতর পদ্ধতিগত উপায়ে রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যে এ বাংলা সনের প্রবর্তন করা হয়েছিল। সম্রাট যে মাসে সিংহাসনে অরোহণ করেন, তার নিকটতম হিজরি বছরের ১ম মাসকে ভিত্তি ধরা হয়। ৯৬৩ হিজরির ১ মহররম ছিল নিকটতম। ঐ বছর শকাব্দের ১ বৈশাখ এবং হিজরির ১ মহররম একই দিনে এসেছিল। বৈশাখ হলো শকাব্দের ২য় মাস, চৈত্র ১ম মাস। ৯৬৩ হিজরির ১ মহররমকে বাংলা ৯৬৩ সনের ১ বৈশাখ পরিচিহ্নিত করে বাংলা সন শুরু করা হয়। অর্থাৎ ১, ২, ৩ - এভাবে হিসেব না করে মূল হিজরি সনের চলতি বছর থেকেই বাংলা সনের গণনা শুরু হয়। ফলে জন্ম বছরেই বাংলা সন ৯৬৩ বৎসর বয়স নিয়ে যাত্রা শুরু করে। উল্লেখ্য, হিজরি সনের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। মহানবী (সা.) স্বয়ং আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি সন চালু করেন নি। এটি প্রবর্তন করেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে। হিজরি সনের ক্ষেত্রে যে রকম হিজরতের দিন ও মাস (১২ রবিউল আউয়াল) সুনির্দিষ্টভাবে অবলম্বন না করে শুধুমাত্র সালটিকেই (৬২২ খ্রিষ্টাব্দে) সংরক্ষণ করা হয়, বাংলা সনের ক্ষেত্রেও তেমনি সম্রাট আকবরের রাজ্যাভিষেকের দিন ও মাস (১৪ইং ফেব্রুয়ারি) অবলম্বন না করে শুধুমাত্র বৎসরটি (৯৬৩ হিজরি) সংরক্ষিত হয়। হিজরি সনের প্রথম দিন হলো পহেলা মহররম। বাংলা সনে তা পরিবর্তন করে পহেলা বৈশাখ করা হয়।
৯৬৩ হিজরির ১ মহররম তারিখ ছিল ৯৬৩ বাংলা সনের ১ বৈশাখ। কিন্তু, আজ ধরুন ১৪২২ বাংলা সনের ১লা বৈশাখ, যে হিসেবে বাংলা সন প্রবর্তনের বয়স ১৪২২ - ৯৬৩=৪৫৯ বছর। অথচ, বর্তমান হিজরি ১৪৩৬ সনের হিসেবে ১৪৩৬-৯৬৩=৪৭৩ বছর পার হয়ে গেছে বাংলা সন প্রবর্তনের তারিখ থেকে। ৪৭৩ - ৪৫৯=১৪ বছরের তারতম্য কেন হলো? কোথায় গেলো এই ১৪ বছর?
খুব সরল হিসাব। হিজরি সন চান্দ্রবছর ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে হয়, বাংলা সন ৩৬৫ দিন হিসাবে গোনা হয়। তাহলে বাংলা সন প্রবর্তনের ৪৫৯ কে ৩৬৫ দিয়ে গুণ করলে দাঁড়ায়, ৪৫৯x৩৬৫=১৬৭৫৩৫ দিন। এবার এটাকে হিজরি বছরে কনভার্ট করুন ৩৫৪ দিয়ে ভাগ করে; ১৬৭৫৩৫÷৩৫৪=৪৭৩ বছর। ৪৭৩ বছরকে ৯৬৩ সনের সাথে যোগ করলে আপনি বর্তমান হিজরি সন ১৪৩৬ পেয়ে যাচ্ছেন।
৯৬৩ হিজরি সনে, অর্থাৎ ৯৬৩ বাংলা সনে ১৫৫৬ খ্রিষ্টীয় সন ছিল। ১৫৫৬ – ৯৬৩= ৫৯৩। পার্থক্য ৫৯৩ বছরের। এখন ২০১৫ খ্রিষ্টিয় এবং আজ ১৪২২ বাংলা সন। ২০১৫ – ১৪২২=৫৯৩। অর্থাৎ এখনো খ্রিষ্টীয় এবং বাংলা সনের মধ্যে পার্থক্য ৫৯৩ বছর। পূর্বে ইংরেজি সনের মতো বাংলা সনে কোনো লিপ-ইয়ার ছিল না। ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাংলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি বঙ্গাব্দ সংস্কার কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটি চার বছর পরপর চৈত্র মাস ৩০ দিনের পরিবর্তে ৩১ দিনে গণনা করার পরামর্শ দেয়।
উপরের অংশটুকু নীচের সূত্রাবলম্বনে লিখিত :
বাংলাপিডিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় জ্ঞানকোষ :
৫ম খণ্ড - পহেলা বৈশাখ
৬ষ্ঠ খণ্ড - , বাংলা বর্ষপঞ্জি
সৈয়দ আশরাফ আলী
বাংলা নববর্ষের ইতিহাস : Click This Link
এবং (ইংরেজি) : Click This Link
উইকিপিডিয়া :
বাংলা ক্যালেন্ডার : http://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_calendar
পহেলা বৈশাখ : http://en.wikipedia.org/wiki/Pohela_Boishakh
পহেলা বৈশাখ (বাংলায়) : Click This Link
হিজরি-ইংরেজি তারিখ কনভার্সন : http://www.islamicfinder.org/Hcal/index.php
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আপনার কমেন্ট খুব ভালো লাগলো। পুরো পোস্টে আমি যা বলতে চেয়েছি, আপনি কিন্তু সেই কথাটাই আপনার কমেন্টে বলে দিয়েছেন। আবারো ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৮
জেন রসি বলেছেন: বিশ্লেষণ ভালো হয়েছে।
অনেক কিছু জানলাম।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জেন রসি। শুভ কামনা।
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মাত্র গতকাল একলেখায় বলেছিলাম এই সংস্কৃতি উঠতি বড়লোকদের।। আর এটা গরীবদের জন্য যারা তিনবেলা ভাতই পায় না,তাদের জন্য চরম অবমাননাকর।।
উপরে সুমাইয়া আলো ভাল বলেছেন।।
আপনাকেও ধন্যবাদ এই অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধের লেখাগুলিকে সংকলিতভাবে প্রকাশের জন্য।।
এভাবেই অনেককিছুই আমাদের সমাজে স্থান করে নিয়েছে যা আসলেই আমাদের না।। ধন্যবাদ।।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনিও একেবারে 'বুলে' হিট করেছেন। অনেককিছুই আমাদের সমাজে স্থান করে নিয়েছে যা আসলেই আমাদের না। আবার অনেককিছুই আমাদের ঐতিহ্য হিসাবে সামনে উঠিয়ে আনা হচ্ছে, যা আদতে আমাদের অতীত সংস্কৃতিতে ছিল বলে কোনো প্রমাণ নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলোঃ এটা গরীবদের জন্য যারা তিনবেলা ভাতই পায় না, তাদের জন্য চরম অবমাননাকর।।
অনেক ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৪
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: কর্পোরেট সংস্কৃতির অবসান চাই, বাঙ্গালীর ঐতিহ্যের শেকড়ে ফেরত যেতে চাই।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর শ্লোগান। ধন্যবাদ জিয়া চৌধুরী।
৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ++++
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু। শুভেচ্ছা।
৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৮
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ইলিশে উৎপাদন বাড়ানো উচিত আসলেই , মধ্যবিত্তরাও আজকাল হিমশিম খায় । আর যারা সচ্ছল না তারাতো ইচ্ছে পূরণও করতে পারেনা।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইলিশে উৎপাদন বাড়ানো উচিত। গুরুত্বপূর্ণ কথা।
গত বৃহস্পতিবারে কোনো এক কর্মকর্তার সাথে শেয়ার করছিলাম। তাঁকে অনুরোধ করে বললাম, আপনার যদি কখনো সুযোগ হয় তাহলে একটা কাজ করবেন। প্রতি বছর ১০-২০-৩০-৫০ কোটি টাকার দেশি/বিদেশি ভালো জাতের পোনা আমাদের উজান নদী, খাল-বিলে ছাড়ুন। এগুলো দেশি/বিদেশি সুস্বাদু মাছ হতে হবে। এ মাছগুলো খোলা পানিতে বড় হবে। কিছু মাছ অবলুপ্তির পথে, সেগুলোকে টিকিয়ে রাখা যাবে।
আপনি ঠিকই বলেছেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সর্বাগ্রে জাটকা-নিধন বন্ধ করতে হবে। ইলিশ মাছ মারার সময়টা সীমিত করে দিতে হবে। ফলে প্রাকৃতিকভাবেই মাছের প্রাচুর্য বাড়বে।
ধন্যবাদ নাজমুল ভাই।
৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩০
নতুন বলেছেন: টিভিতে দেখলাম ৪৮০০০ হাজার টাকা ইলিশের হালি...
তাও কিন্তু বিক্রি হবে আমাদের দেশে...পহেলা বৈশাখে ঐ বাড়ীতে মাছ ভাজা হবে... যারা এক টুকরোর দাম অনেক মানুষের পুরো সপ্তাহের খাবার খরচার সমান...
সবাই মেলায় গিয়ে পাচশো...হাজার টাকার পান্তা ইলিশ খাবে...
কিন্তু ঐ দিনই অনেকেই কিছু না খেয়েই দিন শুরু করবে...
আমাদের আবার চিন্তা করে দেখতে হবে... অপচয় কমাতে হবে...
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই অপসংস্কৃতি এখনই বন্ধ হওয়া জরুরি। ৪৮০০০ টাকা ১হালি ইলিশ! উদ্ভট বিলাসিতা মানুষের। ধিক।
৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:১৮
রিভানুলো বলেছেন: নতুন আমদানী এই পান্তা ইলিশের কালচার বন্ধ হোক।
সুন্দর বিস্লেষন সোনা বীজ । ভালোলাগলো লেখাটি +++++
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
নতুন আমদানী এই পান্তা ইলিশের কালচার বন্ধ হোক।
অনেক ধন্যবাদ রিভানুলো।
৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:১৯
আরজু পনি বলেছেন:
ইলিশ বিলাসিতা বাদ দিয়ে ভর্তার সংস্কৃতি চালু করা উচিত ।
অনেক কষ্ট করেছেন পোস্টটির জন্যে ।
সচেতনতা কাম্য সকল মাধ্যমেই।
শুভকামনা রইল।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইলিশ বিলাসিতা বাদ দিয়ে ভর্তার সংস্কৃতি চালু করা উচিত।
শাক আর ভর্তাই হলো আমাদের সংস্কৃতির অংশ, পান্তা ভাতও। সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে পান্তা, কাঁচারিচ, কাঁচা পেয়াজের সংস্কৃতি প্রোমোট করা যায়, যাতে অন্তত একদিন হলেও আমরা এদেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবন ধারণের ব্যাপারটি উপলব্ধি করতে পারি। কিন্তু এর সাথে যে ইলিশের কোনো সংযোগ নেই, সেই ইলিশকে ঢুকিয়ে দিয়ে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী করার রীতিমতো বেয়াইনি মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপু।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আচ্ছা আপু, আপনার কাছে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এ পোস্টটি লিখবার জন্য আপনার কাছ থেকে অনেক উৎসাহ পেয়েছিলাম।
১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯
বৃতি বলেছেন: মূল বক্তব্যের সাথে একমত। পোস্ট ভালো লেগেছে।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
পহেলা বৈশাখকে বাণিজ্যিকিকরণ থেকে মুক্ত করতে হবে। কৃত্রিমতায় কোনো প্রাণের আনন্দ নেই।
মূল বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করার জন্য ধন্যবাদ।
১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশ খাওয়া গরীবের ঘোড়া রোগ ব্যতিত আর কিছু নয়। এটা আমাদের সংস্কৃতি নয় এটা অপসংস্কৃতি।
এটার বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাড়াতে হবে।
১লা বৈশাখে ইলিশ নয়।
ইলিশ যেন বারোমাসেরই খাবার হয়। শ্লোগানে সহমত।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশ খাওয়া গরীবের ঘোড়া রোগ ব্যতিত আর কিছু নয়। এটা আমাদের সংস্কৃতি নয় এটা অপসংস্কৃতি। সর্বাংশে একমত। এটা যে একটা অপসংস্কৃতি, সে ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, আর এ কাজে ব্লগার ও ফেইসবুকারদের করণীয় কম নয়। আশা করি অন্তত আমরা আমাদের করণীয়টুকু সম্পন্ন করতে সচেষ্ট হবো।
ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গালয়ে।
১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০২
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: মাঝে অনেকগুলো বছর গেছে নির্বোধ পান্তা-ইলিশ খাওয়ার, এবার চৈতন্য হোক, এবার ঘরে ফেরা যাক...
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এবার চৈতন্য হোক, এবার ঘরে ফেরা যাক...
ধন্যবাদ ক্ষতিগ্রস্থ। শুভেচ্ছা।
১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মন দিয়ে পড়লাম, মনের ভেতর হতে কেন যেন এত ভাল লাগলো তা বলতে পারবো না ---
আমরা যে কোন কিছু জুড়ে দিয়ে বলছি যে এটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি !!! তাহলে বলতে হয় যে আমাদের আসল সংস্কৃতি কোথায় গেল !!! আমাদের নিত্য খাবারের মেনুতে যেমন বিভিন্ন ভর্তা, সজনে ডাল, চচ্চরী, বিভিন্ন শাক, স্থানীয় মাছ, পুটি বা ছোট মাছ ভাজা ইত্যাদি --- আমরা বিভিন্ন সময় সখ করে চিরা মুড়ি, গুর, পায়েস, দই খই খাই --এটাও আমাদের সংস্কৃতি
কখনো যদি সামর্থ্য হয় তবে হাট বা বাজার হতে একটা ছোট সাইজের ইলিশ গ্রামের/ দেশের নিম্নমদ্ধবিত্তরা কিনে, দরিদ্ররা কখনো বা কালেভদ্রে কয়েকজন মিলে একটা ইলিশ কিনে ভাগ করে নিতে দেখেছি -----কিন্তু যে খাবার বাঙালীর ভাগ্যে তেমন একটা জুটে টা তা কি করে আমাদের সংস্কৃতি হয় !!!!!
আমার বাড়ীওয়ালী ১০ হাজার টাকা দিয়ে তিনটি ইলিশ কিনেছে পহেলা বৈশাখের জন্য --সে নাকি আরো দুটো কিনবে --- টাকা রাখার জায়গা না থাকলে এমনই হয় আর কি !!!!!!!
এই মিথ্যা সংস্কৃতির বেড়াজাল হতে মুক্তি চাই -- আত্নীয়দের জানান, পাড়ার মানুষদের জানান, পরিবারে চর্চা করুন ------রুখে দিন এই অপসংস্কৃতি -----
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এই মিথ্যা সংস্কৃতির বেড়াজাল হতে মুক্তি চাই -- আত্নীয়দের জানান, পাড়ার মানুষদের জানান, পরিবারে চর্চা করুন ------রুখে দিন এই অপসংস্কৃতি -----
এই জোরালো আহবানে আমিও শরিক হলাম। আমাদের সবাইকে একই সমতলে দাঁড়াতে হবে। তবেই এই অপসংস্কৃতিকে রুখে দেয়া সম্ভব হবে।
আপনার বাড়িওয়ালীর সত্যিই টাকা রাখার কোনো জায়গা নেই। তিনি কত টাকার ইলিশ কিনলেন সেটাও হয়তো ফলাও করে বলে বেড়াচ্ছেন। এটাই হলো লোকদেখানো সংস্কৃতি। এ থেকে অতি সত্বর আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
ধন্যবাদ আপু বিস্তৃত মন্তব্যের জন্য।
১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
সোজা কথা বলেছেন: কিসের পহেলা বৈশাখ আর কিসের পান্তা ইলিশ???
অত্যাধুনিকেরা তো ১৪ই এপ্রিল উদযাপন করতে যায়, হেডফোন লাগিয়ে হিন্দি ইংলিশ গান বাজায়, দৃশ্যে দৃশ্যে মনে হয় ভ্যালেন্টাইনস ডে চলতেছে, হুদাহুদি ইলিশের দাম বাড়ায়!!!!
আমাদের বাসায় ঐদিন সকালবেলা নিম পাতা ভাজা খাওয়া হয়, চাল ভাজা করা হয়, মটরশুঁটি ভাজা করা হয়। আমরা স্নান করে খাই। আমি ফোন অফ করে পারলে আবার ঘুমাই আর ভন্ডুরা আসলে অবশ্য একদিনের বাঙালিয়ানা দেখতে বের হই!!!
ও হ্যাঁ, ঐদিন আমরা নিরামিষ খাই, পান্তা ইলিশের প্রশ্নই আসেনা! হাহাহাহাহা
যাদের কিনা পান্তা ইলিশে জীবন চলে, সেখানেই কিনা আমরা ১০হাজার টাকা খরচ করে একদিনের বাঙালি সাজি! এভাবে যদি বাঙালি হতে হয় তাহলে জীবন যাপনের তাগিদে যারা প্রতিদিন বাসি পান্তা খায় তারাই শ্রেষ্ঠ বাঙালি।।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জীবন যাপনের তাগিদে যারা প্রতিদিন বাসি পান্তা খায় তারাই শ্রেষ্ঠ বাঙালি।।
উপরে একজন অলরেডি বলেছেন, গরম ভাতে পানি মিশিয়ে পান্তাভাত খাওয়া আসলে বাংলাদেশের চিরকালীন পান্তাভোজীদের প্রতি অপমান ছাড়া আর কিছু না। আমিও তাই মনে করি। নীচে দেখুন, শাহ আজিজ ভাইয়ের মন্তব্যটা এ ব্যাপারে খুব শাণিত। গ্রামের সাধারণ মানুষ কোনোদিন বিলাসিতা করে পান্তা ভাত খায় নি। আগের দিনের বাড়তি ভাত সকালে যাদের ঘরে না থাকতো তারা সকালবেলা অবস্থা ভেদে নতুন রান্না করা ভাত, খুদের খিঁচুড়ি, রুটি, খুদ, কালাই, গমের চাপড়ি, খিঁচুড়ি খেতো। কখনো চা দিয়ে রুটি। আজকাল রুটি খাওয়া হলো বড়লোকি চাল, চালের চেয়ে আটার দাম বেশি, কিন্তু কোনো এককালে রুটি খাওয়া ছিল গরীবত্বের লক্ষণ। সেই জায়গায় ইলিশ হয়ে গেছে ১লা বৈশাখের মাস্ট মেনু। মানুষের মধ্যে এখন এটা এভাবে ছড়িয়ে গেছে যে, ১লা বৈশাখে ইলিশ মাছ না খেতে পারলে নিজেদের স্টেটাসই সংকটের মুখে পড়ে যাবে। এভাবে কি চলতে পারে?
অনেক ধন্যবাদ সোজা কথা। ভালো থাকবেন।
১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
রোদেলা বলেছেন: পান্তা ইলিশ তো ব্যবসায়ীদের বানানো।আমার তো মনে হয় ডাইরেক্ট কাঁচামরিচ পেঁয়াজ আর পান্তা ভাত হইলেই ভালো।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের কিছু কিছু প্রোগ্রামে ১লা বৈশাখের মেনুতে ইলিশ মাছ রাখা হয়। ১লা বৈশাখের সরকারি বা কর্পোরেট ফাংশানগুলো থেকে ইলিশভাজা বাদ দিয়ে সেখানে আসতে পারে পান্তা বা গরম ভাত, বিভিন্ন প্রকার শাক, ভর্তা, পেঁইয়াজ-কাঁচামরিচ, ইত্যাদি। বাংলার সাধারণ মানুষ আবহমান কাল ধরে যা খেয়ে জীবন ধারণ করেছে, মেনু হওয়া উচিত সেগুলোর মধ্য থেকে।
নিজ নিজ পরিবার, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন থেকে শুরু করতে হবে। যাঁরা কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, তাঁরা নিজ থেকেই মেনু থেকে ইলিশ ভাজা ছেঁটে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন।
ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
১৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
বোবারমুখ বলেছেন: বিজাতীয় সংস্কৃতি আমরা খুব ভালো করেই আপন করতে জানি।পহেলা বৈশাখ এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ।অশেষ ধন্যবাদ!বিস্তারিত এই বিষয়ে লেখার জন্য।কষ্ট করে সবাইকে জানিয়ে বিমূখ করার এ প্রচেষ্টা সফল হোক।আরো সুন্দর ও বাস্তবধর্মী লেখার প্রত্যাশায় ... আমার পাতায় আমন্ত্রন রইলো!
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বোবারমুখ। আপনার পাতায় অবশ্যই যাবো। ভালো থাকবেন।
১৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
সোমহেপি বলেছেন: চমৎকার লেখা ।
গতবছর আমি এ ব্যাপারে একটু লিখেছিলাম
http://www.somewhereinblog.net/blog/somabest/29941109
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনার ছোটো পোস্টটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক তথ্য ও ক্ষোভ আছে এর কন্টেন্টে, যার সাথে আমি একাত্ম। সবার জন্য পুরো পোস্টটি এখানে তুলে দিলাম।
******
১লা বৈশাখে পান্তা কেনো খাই?
এখানে বলে রাখা ভাল পান্তাভাত বলতে অনেকে গরীবের খাবার বুঝে থাকে।কিন্তু গাধারা এটা বোঝে না যে ভাত গরম না খেয়ে তারা কেন পান্তা খেতে যায়। এ বিষয়ে তারা একটু চিন্তাও করে না। ভাত পান্তা হয় কখন? গরম গরম ভাতে পানি দিলে কি সেটা পান্তা হয়? না। খাওয়া-দাওয়ার পর যেসব ভাত পূর্তি থেকে যায় সেগুলোকে পচনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পানি ঢেলে রাখে - যাতে পরের দিন খাওয়া যায় । যেহেতু আগে ফ্রিজ ছিল না যে বাটিতে ভরে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা যাবে। পান্তা আসলে এভাবেই তৈরি হয়। আমরা যারা গ্রামে থাকি, চাষাভূষার পোলা, আমাদের চেয়ে পান্তার রহস্য কেউ বেশি জানে না। এমনকি হালে আমাদের নট-নটী যারা বটগাছের নীচে বসে পান্তা খাবার রীতি চালু করেছে তারাও না।
এখন কথা হলো পান্তা এমন এক ধরনের ভাত যা আগের দিনের পূর্তি বা খাবার শেষ হবার পরও বেঁচে যায় সেরকমের ভাত। এখান থেকে বোঝা যায় পান্তা ফকিন্নির ঐতিহ্য বহন করে না বরং প্রাচুর্য্যের পরিচয় বহন করে। যে শালারা পান্তাকে গরীবী খাবার মনে করে তাদের জ্ঞাতার্থে এ কথাগুলো সবাইকে জানানো প্রয়োজন।
এখন আসা যাক ১লা বোশেখে আমরা কেনে পান্তা খাই সে প্রশ্নে। ছোটোবেলায় আম্মা খুব আয়েস করে ১লা বৈশাখের আয়োজন করতেন। আগের দিন তেতো শাক, ভাল মাছ, মাংশ এবং হরেক পদের শাক-সবজি। তেতো শাকের নামটা ছিলো 'গিমা' শাক। আম্মাকে জিজ্ঞেস করতাম তেতো শাক খাবার কারণ। আম্মা বলতেন সবার আগে তেতো শাক খাবি, কারণ - আগে তিতা পাছে মিঠা।
আরেকটা আসল কথা বলি, গ্রামের মানুষের মধ্যে যেটা ১লা বোশেখে পান্তা খাবার আসল কারণ।
আমি আগেই বলেছি যে পান্তা হচ্ছে আগের দিনের ভাত। গরম গরম রেঁধে তাতে পানি দিলেই সেটা যথার্থ পান্তা হয় না। আম্মা বলতেন আমরা পান্তা খাচ্ছি মানে হচ্ছে একবছরের ভাত আরেক বছর খাচ্ছি। অর্থাৎ ১লা বোশেখের আগের রাত ছিল আগের বছর আর রাত যেহেতু শেষ, নতুন সূর্য উঠেছে তাই নতুন বছরে পান্তা খাওয়া মানে আগের বছরের খাবার খাওয়া হচ্ছে। তার মানে আমাদের ঘরে অনেক আয় উন্নতি আছে। এমন আয় উন্নতি যেনে যুগ যুগ বহাল থাকে সেজন্যই পান্তার আয়োজন।
এমন সংস্কার মেনেই গ্রামে পান্তা খাওয়া হয় ১লা বৈশাখে। অনেক শিক্ষিত বাঙালিও আজকাল পান্তাকে গরীবী খাবার ভাবে। এটা ভেবে খারাপ লাগে। তাছাড়া পান্তার অনেক উপকারিতাও রয়েছে। যারা আলসারে ভোগেন তাদের জন্য। এছাড়া পান্তা মেজাজ ও শরীর শান্ত রাখে। অনেকে বলে থাকেন পান্তা খেলে সর্দি ঠান্ডা ইত্যাদি ইত্যাদি হয়...আরে তোরা কি খাঁটি দুধ খেয়ে হজম করতে পারিস আজকাল? খেয়ে দ্যাখ? কয়বার বাথরুমে আসা যাওয়া করিস?
১৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
সোমহেপি বলেছেন: তবে ১লা বৈশাখে আমার চিত্ত কোল থাকে । যা দেখি সবই ভাল লাগে।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চিত্ত কুল রাখতে পারা খুব ভালো গুণ। কিন্তু সব সময় চিত্ত কুল রাখা যায় না
১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
শামছুল ইসলাম বলেছেন: বাঙালীর শেঁকড়ে ফিরবার চমৎকার প্রয়াস। অনেক শ্রমসাধ্য লেখনী।
++ ভাল লাগা।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শামছুল ইসলাম ভাই। শুভেচ্ছা।
২০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
মিলটন বলেছেন: কোথা থেকে হঠাৎ করে এই ইলিশের রেওয়াজ ঢুকে গেলো বুঝলাম না।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমিও বুঝতে পারছি না ভাই। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি খেয়াল করি নি যে এ পোস্টটি স্টিকি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আর এমন একটা পোস্ট লিখবার জন্য আরজু মণি আপু আমাকে বিশেষ উৎসাহ দিয়েছিলেন বলে আমি তাঁর কাছে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ধন্যবাদ তাঁদেরকেও, যাঁরা আমার ফেইসবুক স্টেটাসে মন্তব্য প্রদান করে এ পোস্টটি তৈরি করতে সাহায্য করেছেন (মূল পোস্টে তাঁদের নাম ও মন্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে)।
২২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১১
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: মন্তব্য করার তেমন কিছু নেই তবে পোস্ট স্টিকি করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
চিলে কান নিয়েছে তাই পান্তা ইলিশ ছাড়া বৈশাখ বেশ বেমানান
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ইমতিয়াজ ভাই। শুভেচ্ছা।
২৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫
গরল বলেছেন: যে কোন উৎসবে মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো খাবার খেতে পছন্দ করে এবং করেও থাকে। যেমন ঈদের দিন মানুষ পোলাও, বিরিয়ানী বা আরও অনেক কিছু খেয়ে থাকে যদিও ঈদের দিনে প্রাচীন আরবে কেউ এসব খেত না। সে জন্যই আসলে ইলিশ মাছটা খাওয়া হয় কারন এই মাছটা একান্তই বাঙালীদের মাছ। তবে পান্তা ভাত খাওয়াটা আসলে গ্রামের গরীব মানুষদের নিয়ে রসিকতা করারই সামিল। কারন সামর্থ্য থাকলে তারা উৎসবের দিন এসব খেত না। অতএব আমার মতে বাঙালী উৎসবের খাবার হতে পারে খিচুরী আর এর সাথে সামর্থ্য অনুযায়ী মাছ। কারণ পোলাও বা বিরিয়ানী আসলে মোঘলদের খাবার, বাঙালীদের না। তবেইলিশ মাছে কোন সমস্যা দেখি না আমি। আর পৃথিবীর সব দেশেই উৎসব নিয়ে বাণিজ্য হয়, এটা বাদ দিয়ে আসলে সমাজ চিন্তা করা যায় না। আমি পহেলা বৈশাখে ইলিশ খিচুরী খাব।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
যে কোন উৎসবে মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো খাবার খেতে পছন্দ করে এবং করেও থাকে। আপনার এ কথার সাথে শতভাগ একমত। কিন্তু ১লা বৈশাখে আমরা পান্তাভাত খাচ্ছি- এটা কোনো ভালো খাবার না। এটা হলো আগের দিন রান্না করা খাবার, যা বেঁচে গিয়েছিল, যাতে পঁচে না যায় সেজন্য পানি দিয়ে রাখা হয়েছিল। এটা আমরা ১লা বৈশাখে গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের সারাবছ্র ধরে পান্তা ভাত খাওয়ার প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। আদতে, আমরা গরম ভাতে পানি মিশিয়ে খাচ্ছি, যাকে অনেকেই পানিভাত বলে অভিহিত করছেন।
এবার আসুন ভাজা ইলিশের কথায়। আমরা প্রায় সবার কমেন্টে এবং পোস্টেই দেখলাম যে, ভাজা ইলিশ পান্তাভাতের সাথে খাওয়া কোনোদিন বাঙালির ঐতিহ্য ছিল না। এটা ১৯৮৩, ৮৪, ৮৬ সনের দিকে শহরের জনৈক সম্পাদক শুরু করেছিলেন। যদি আমরা ভালো খাবারের কথা বলি, তাহলে গরম ভাতের সাথে গরম গরম ভাজা ইলিশ, কিংবা গরম ভাতের সাথে গরম গরম তরকারি ইলিশই খেতে পারি, গরম ভাতে পানি ঢালছি কেন? এ থেকে এটাকে নিছক একটা ফ্যাশনই বলা সমীচীন হয়।
১লা বৈশাকের মূল থিম ভালো খাবার খাওয়া নয়, বাঙালি ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলা। এ পোস্টের মূল থিমও এটাই যে, বর্তমানে আমরা যেভাবে পান্তা-ইলিশভাজার চর্চা করছি এটা কোনো বাঙালি সংস্কৃতির অংশ নয়। এটা এখন ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, কে কত বেশি দামের ইলিশ মাছ কিনতে পারছেন।
তবে পান্তা ভাত খাওয়াটা আসলে গ্রামের গরীব মানুষদের নিয়ে রসিকতা করারই সামিল। কারন সামর্থ্য থাকলে তারা উৎসবের দিন এসব খেত না। আপনার এ কথাটার সাথেও আমি একমত। এবং এ কথার প্রতিধ্বনি আমার কোনো কোনো কমেন্টে উঠে আসছে। তবে আমি বলবো, এটা শুধু গ্রামের গরীব মানুষদেরকেই উপহাস করা হয় না, গ্রামের সব মানুষকেই, ধনী-গরীব নির্বিশেষে। কারণ, গ্রামাঞ্চলে পান্তার প্রচলন শুধু গরীবের ঘরেই ছিল না, যে-কোনো অবস্থাপন্ন বাড়িতেও ছিল, যেহেতু সে-সময়ে কোনো ফ্রিজের ব্যবহার ছিল না।
ইলিশ নিয়ে আমিও কোনো সমস্যা দেখছিলাম না। যখন এটাকে একেবারে বাঙালি সংস্কৃতির অপরিহার্য অংগ বানানো হয়েছে, তখনো তেমন আপত্তি ছিল না। কিন্তু এখন এই ইলিশকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে, ১লা বৈশাখে ভাজা ইলিশ পান্তার সাথে না খেলে বেহেশ্ত নসীব হবে না। আর এর ফলে ইলিশ চলে গেছে সাধারণ মানুষের একেবারে নাগালের বাইরে। একে মূর্খতা ছাড়া কিছু বলা যায়?
ধন্যবাদ গড়ল। আপনার বাসায় আমাদের ইলিশ আর খিঁচুড়ির দাওয়াত থাকলো
শুভ নববর্ষ।
২৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: স্টকি মোবারক ভাইয়া...
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। শুভ নববর্ষ।
২৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এই পোস্টটা প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী থাইকা এপ্রিল পর্যন্ত স্টিকি কইরা রাখা উচিত।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শতদ্রু। আপনার গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটা এ পোস্টে জুড়ে দেয়া হয়েছে। আশা করি লক্ষ করেছেন?
শুভ নববর্ষ।
২৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৪
সুমন কর বলেছেন: একটি পোস্টকে কিভাবে সার্থক, যুক্তি সম্মত এবং সুন্দরভাবে তৈরি করা যায় - তা এ পোস্টটি দেখলে বুঝা যায়। অনেক কষ্ট করেছেন এবং সুন্দর কিছু কথা ও যুক্তি তুলে ধরেছেন।
অামার কাছে, বাঙালী সব সময় হুজুগে মাতাল ও অাবেগপ্রবণ। তারা কিছু পেলেই সেটা নিয়ে লাফা-লাফি করতে খুব ভালোবাসে। মাঝে মাঝে তা সীমাকে অতিক্রম করে, যা খুব দৃষ্টিকটু দেখায়।
অামি নিজে কখনো, এখন পর্যন্ত বৈশাখে ঘর থেকে বাহির হইনি। বিপদ না ঘটলে জীবনে কোনদিন বের হবো না। বরং সবাই মিলে ঘরে কিছু ভাল খাবার রান্না করে খাওয়াতে যে অানন্দ সেটা ভীড়ে ধাক্কা-ধাক্কির মধ্যে পাই না। তবে ইলিশ খেতেই হবে, এটা অামার ঘরে মানা হয় না। সাধারণত করিও না।
পোস্টে ভাল লাগা।
অগ্রীম বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
একটি পোস্টকে কিভাবে সার্থক, যুক্তি সম্মত এবং সুন্দরভাবে তৈরি করা যায় - তা এ পোস্টটি দেখলে বুঝা যায়। অনেক কষ্ট করেছেন এবং সুন্দর কিছু কথা ও যুক্তি তুলে ধরেছেন। আপনার এই কমপ্লিমেন্টে খুব খুশি হলাম প্রিয় সুমন ভাই। কৃতজ্ঞতা।
আমার এখন খুব ভালো লাগছে এটা দেখে যে, আদতে আমরা সবাই আমাদের 'মূল'কে বিশ্বাস করি। কৃত্রিম জিনিস যে আমাদের সবারই অপছন্দের, তা এখন ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। নীচে কয়েকটা কমেন্টে দেখলাম (সায়েম মুন, বোকা মানুষ), তাঁরা ১লা বৈশাখে ইলিশ বর্জন করছেন, কৃত্রিমতাকে ধিক্কার জানাচ্ছেন। আশা করি, দেশের মানুষের মনে নীরবে এই অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে একটা বিপ্লব সংঘটিত হচ্ছে। খুবই আশার কথা।
ভালো থাকুন সুমন ভাই। আপনার জন্যও নববর্ষের শুভেচ্ছা।
২৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
আলী আকবার লিটন বলেছেন: হুজুকে বাঙালি এই কথাটা দারুন লাগলো
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ কী? এটা কি মূল পোস্টে লেখা হয়েছে নাকি? নাকি কোনো কমেন্টে? ধরিয়ে দিতে পারলে খুশি হতাম।
ধন্যবাদ এবং শুভনববর্ষ।
২৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৩
শাহ আজিজ বলেছেন: না পান্তা না ইলিশ কোনটাই বৈশাখের অন্তর্ভুক্ত ছিলনা। বাজারের বড় দোকান সাজিয়ে নতুন খাতা খুলত বাকির গাহাকদের জন্য। মিষ্টি , কচুরি, সিঙ্গারা ,নিমকি এবং ঘন দুধের চা এই হতো আয়োজন। বেশিরভাগ হিন্দু এবং কম সংখ্যক মুসলিম দোকান এই আয়োজন করতো। ধনী হিন্দু ও মুসলিম দুপুরে বা রাতে বড় রুই মাছ দিয়ে ভূরিভোজন করতো। ৫০ বছর আগের স্মৃতিচারণ করছি আমাদের গ্রামের বাড়ির এলাকায়।
বড় সংসারে আতপ চালের ভাত একটু বাড়তি থেকে যেত , যেমনটি দেখেছি আমাদের খুলনার বাড়িতে। ওটা মাটির পাতিলে পানি দিয়ে রাখা হতো জালি দিয়ে ঢেকে। ভাতের নিঃসৃত মদ পানি ভাতটাকে আরও মজাদার করতো। মাকে দেখতাম ভোরে ওটায় গুড় দিয়ে খাচ্ছেন বা লবন কাচামরিচ। ঢাকাতে ছাগলরা সেদ্ধ চালের ভাতে রমনা লেকের পানি ওই সকালেই ঢেলে পান্তা বলে খাওয়াচ্ছে, ছাগল গুলো তাই গোগ্রাসে খাচ্ছে।
ভর্তার আইডিয়াটা ভালো । ইলিশ কর্পোরেট পন্য হয়ে গেছে কেমনে তা পরে লিখব ।
আমাদের বাংলায় একমাত্র সেকুলার উৎসব ১ম বৈশাখ টিকে গেছে, ভালো একটা বিষয় বটে।
বছর দশেক আগে থেকে বৈশাখে ইলিশ কেনা বাদ দিয়েছি । এখন বুফে খাই।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মনে হচ্ছে আমার মনের কথাগুলো আপনি লিখে ফেলেছেন, বা আমারই ঐ কথাগুলো লিখবার কথা ছিল। আমাদের বৈশাখের আনন্দ আর আপনাদের আয়োজনে শতভাগ মিল দেখতে পাচ্ছি। এবং দু-একজন বাদে সবার কমেন্ট থেকে মোটামুটি একই চিত্র উঠে আসছে।
ইলিশ কর্পোরেট পণ্য হয়ে গেছে কেমনে তা পরে লিখব। সেটা জানার জন্য আশায় থাকলাম।
আপনার একটা পোস্ট নীচে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় শাহ আজিজ ভাই।
শুভ নববর্ষ।
২৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৩
জুন বলেছেন: ±
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভ নববর্ষ আপু। প্লাস এবং মাইনাস মিলিয়ে যা দিলেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
একাকি একজন বলেছেন: মনের কথাগুলো এক্কেবারে ক্লিন কইরা লেইখা দিছেন......... ধন্যবাদ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ একাকি একজন। শুভ নববর্ষ।
৩১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম বলেছেন: ইলিশ মাছ নিয়ে আপনার মন্তব্যগুলো দেখলাম। কিছু ক্ষেত্রে একমত হতে পারলাম না। আমার মতো ভোলা জেলার বাসিন্দা যদি কেহ থাকেন,এবং কেহ যদি ৭০ ,৮০ দশকের ভোলা জেলায় ইলিশের প্রাচুর্যতা সম্পর্কে যাদের বাস্তব ধারনা আছে, তারার আমার সাথে একমত হবেন। আমার ছোটবেলায় দিনের পর দিন, প্রতি বেলায় ইলিশ খাওয়ার নজির রয়েছে। ইলিশ মাছ এতই সস্তা ছিল যে, প্রতিদিনই প্রতিটি বাড়িতে সকাল বিকাল ইলিশ
মাছ সরবরাহ ছিল।
"রাতে বা বিকেলে গরম ভাতের সাথে ইলিশ না খেয়ে সকালবেলা পান্তার সাথে ভাজা ইলিশ খাওয়া একটা অকল্পনীয় বিলাসিতা ছিল, যার নজির কোথাও ছিল বলে মনে হয় না। "--এমন কথাও ঠিক নয়।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ পোস্টটা একটা জরিপ বলতে পারেন। এখানে যারা মতামত দিচ্ছেন, আপনি গুনে দেখুন, এ পর্যন্ত ২-৩ জন ব্লগার মাত্র বিরুদ্ধ মত দিয়েছেন। বাকিরা কিন্তু এ পোস্টের কন্টেন্টের সাথে একমত, এবং মোটামুটি সবার জীবনধারা একই। এবার একহালি ইলিশের দাম ৪০ হাজার হওয়াতে সবার টনক নড়ে গেছে, এবং টিভি মিডিয়াতে বিভিন্ন রিপোর্টিং আর টকশোতে দেখলাম সবারই এক প্রশ্ন- পান্তা বাঙালিদের খাবার এটা ঠিক আছে, কিন্তু এর সাথে ইলিশ কেন, কীভাবে যুক্ত হলো? ইলিশের সংযোজন কেউ মানতে পারছেন না। আপনি হয়তো সারাবেলা ইলিশই খেয়েছেন, কিন্তু সবার মতামত থেকে কিন্তু এরকম আর কাউকে পাওয়া যায় নি এখনো। অর্থাৎ, আপনি কিন্তু একা বাংলাদেশের চিত্র হতে পারেন না, ব্যাপক জনগোষ্ঠি মিলে বাংলাদেশের একটা চিত্র প্রকাশ করে। সেটা হলো এই যে, ১লা বৈশাখের সাথে ইলিশের কোনো সম্পর্ক নেই, এটা কেবল ব্যবসায়িক ফায়দা আদায়ের উদ্দেশ্যে সংযোজন করা হয়েছে।
"রাতে বা বিকেলে গরম ভাতের সাথে ইলিশ না খেয়ে সকালবেলা পান্তার সাথে ভাজা ইলিশ খাওয়া একটা অকল্পনীয় বিলাসিতা ছিল, যার নজির কোথাও ছিল বলে মনে হয় না। "--এমন কথাও ঠিক নয়।
মনে হচ্ছে আপনি আমার কথাটি বুঝতে পারেন নি। বাজার থেকে ইলিশ কিনে আনা হলো। পরদিন পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ ভাজা খাবেন বলে বিকেলে ইলিশ রান্না করলেন না, ভাত খেলেন শাক-ডাল দিয়ে। আপনার কি মনে হয় যে, বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন এমনটা করে থাকতে পারে? কেবল আহাম্মকরাই হয়তো এমন করে থাকতে পারে।
যাই হোক। আপনার ভোলা কিন্তু আমার হাতের মুঠোয় যে-কোনোদিন আপনার বাসায় চলে আসতে পারি গরম ভাতে ভাজা ইলিশ খাওয়ার জন্য।
শুভ নববর্ষ।
৩২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বাজারে যাদের দোকান থেকে সওদা কিনতাম, ঐদিন বাজারে গেলে তারা 'রসগোল্লা' খাওয়াতো।
-এই ব্যাপারটা খুব মিস করি।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভ নববর্ষ প্রিয় জুলিয়ান ভাই। চৈত্রসংক্রান্তির মেলায় আমাদের প্রধান আকর্ষণ ছিল 'গরু দাবড়ানি' আর ঘোড়দৌড়। গ্রামের অবস্থাপন্নরা পাগলা এবং তাগড়া ষাঁড় পালতো। চৈত্র সংক্রান্তির দিন গ্রামের মানুষ মিলে সেই ষাঁড় নিয়ে যেতো গরু দাবড়ানির মাঠে। সেই ষাঁড়ের তেঁজ দেখলে পিলে ফেটে যেতো। গলার দুই পাশে থাকতো দুটো লম্বা শক্ত দড়ি। শক্ত সবল ৪০-৫০ জন লোক দু পাশের দড়ি টেনে ধরতো। মাঠে গিয়ে এক মাথা থেকে আরেক মাথায় এই গরু দৌড় দিত। কয়েক চক্কর দেয়ার পর মাঠের মাঝখানে পুঁতে রাখা শক্ত গাছের গুঁড়িতে ষাঁড়ের গলার লম্বা দড়িটির অপর প্রান্ত বেঁধে দেয়া হয়। তারপর ষাঁড়ের সামনে একটা লাল পতাকা উড়ানো হতো। অমনি ক্ষ্যাপা ষাঁড় প্রচণ্ড বেগে দৌড় দিত আর শক্ত মোটা দড়িটি একটানে ছিঁড়ে যেতো। এটা যারা না দেখেছেন, তাঁদেরকে এ উত্তেজনা বোঝানো যাবে না।
তবে সেই সময়ে চৈত্র-সংক্রান্তির মেলাই ছিল প্রাণের মেলা। পরের দিনের হালখাতা মোটামুটি নীরবে চলে যেত। এ মুহূর্তে মনে পড়লো, ঐদিন মাকে দেখতাম লাউয়ের 'খাট্টা' রান্না করতো।
ভালো থাকবেন।
৩৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
এইস ম্যাকক্লাউড বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
সেই সাথে পোস্টে +
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ এইস ম্যাকক্লাউড। শুভ নববর্ষ।
৩৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটি স্টিকি করার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ ---
কোথায় গিলিরে আমার রসগোল্লা আর চিরামুড়ি, দই-খই !!!!! কোথায় গেলিরে আমার গরম ভাতে শাক, পেয়াজ, কাচামরিচ আর চচ্চরী, দেশী মাছের ঝোল, কোথায়রে আমার সজনে ডাল আর ভর্তা ভাজি !!!!!!!
এখন আর যায় না শোনা ভাটিয়ালী, জারি সারি আর পল্লীগীতি গান, সেই কবেই শুনেছি পুথি পাঠ !!!!!!! হরেক রকমের ঘুড়িতে আকাশে আর আলপনা আঁকা হয় না ------- সবই কি হিন্দির জোয়ারে ভেসে গেল !!!!!!!!!!!!!
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার আবেগের সাথে আমি একাত্ম। ভালো থাকবেন। শুভ নববর্ষ।
৩৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২০
ধূসরছায়া বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্টের জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ নিন। সারা বছর বাঙালির যাবতীয় সব রকম জাত মারবো! অথচ ১লা বৈশাখ আসলে বাঙ্গালিয়ানা দেখাইতে হীরার দামে ইলিশ খাইয়া জাতে উঠার চেষ্টা করবো এই হইলো আমাদের অবস্থা!
সারা বছর ডিজে নাচবো, সুযোগ পেলে রাজপথকে রাম্প বানাবো, হারিয়ে যাক চৈত্র সংক্রান্তির মেলা! সারা বছর পিজ্জা, বার্গার, চিকেন ফ্রাই খাবো; হারিয়ে যাক মুড়ি, মুড়কি, মণ্ডা, মিঠাই আর পিঠার স্বাদ। নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ হয়ে সারাবছর মারামারি-কাটাকাটি করবো; হারিয়ে যাক ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নতুন ফসল তোলার আনন্দ ভাগাভাগির সেইসব উৎসব। রং মেখে মনোহরিণী কর্পোরেট ব্যবসাদার হবো; হারিয়ে যাক সরল বধূর চপল চাহনি, কৃষকের তৃপ্ত মধুর হাসি। কর্পোরেট সমাজ যা খাওয়াবে আমরা তাই খাবো। ১লা বৈশাখ কি, কিভাবে কিংবা কেন আমাদের ঐতিহ্যের অংশ এতো সবের খবর নেয়ার সময় কই ভাই? অন্যের শেখানো, ধার করা আধুনিক জীবনে ব্যস্ত থেকে বাঙ্গালিয়ানা দেখানোর সুযোগ যখন পাওয়া গেসে তখন এতো ভেবে মজা নষ্ট করবার মতো বোকামিরই বা কি আছে!
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ধূসরছায়া। আপনার আবেগের প্রতি সহমত ও শ্রদ্ধা থাকলো। ভালো থাকবেন।
৩৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
কাবিল বলেছেন: সুন্দর বিস্লেষন।
মূল বক্তব্যের সাথে একমত।
পোষ্টে + ( আনলিমিটেড)
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মূল বক্তব্যের সাথে একমত পোষণসহ আনলিমিটেড প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।
৩৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ১লা বৈশাখ নিয়ে চমৎকার নাতিদীর্ঘ উপস্থাপন , খুবই ভাল একটি পরিশ্রমী কাজ । আসলে বাংলা সংস্কৃতির আদি ও বর্তমান নিয়ে গবেষণায় নামলে ১লা বৈশাখ উদযাপনের রূপ দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে । বর্তমান সময় হয়ত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট পান্তা ইলিশের মধ্য সিমাবদ্ধ থাকবেনা , রসনায় যোগ হবে নতুন কিছু ।
১লা বৈশাখ এলে বাঙালীর মধ্য যেমন উৎসব মুখর একটা সাড়া পড়ে , তা যেন যুগ যুগ ধরে অটুট থাকে ।
যাক পুরনো যত ঝরা জীর্ণতা অন্ধকার ঝরে
আসুক আনন্দ ১লা বৈশাখে বাঙালীর ঘরে ঘরে ।
সবাইকে ১লা বৈশাখের শুভেচ্ছা ।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু। শুভেচ্ছা।
৩৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: গ্রামে আমার জন্ম, বৈশাখি তুলার পর সবাই খুশি হতাম। ধান কাটা শেষ, সবাই খুশি। তখন মেলা বসত। ঘোড়া দৌড় হত। তবে আমাদের জন্য আকর্ষণীয় ছিল, খেলনা, মিঠাই মণ্ডা, পাতিলের ধই, রসগুল্লা।
পান্তা অথবা পানিভাত ছিল সকালের নাস্তা। দুধ কলা নুন দিয়ে খেতাম বা খাওয়া হত। এখনতো পান্তাভাত দাওয়াই। গেস্টিকের ঔষধ। সকালে সত্যি নুন দিয়ে পান্তা খেলে গেস্টিক আয়ত্তে থাকে।
পান্তা ইলিশ নিয়ে বিশদ বিশ্লেষণ খুব ভালো লেগেছে।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা যারা গ্রামের মানুষ, তাদের বৈশাখী আয়োজন মূলত অভিন্ন। আমাদের সেই সময়ের জীবন যাপন প্রণালিও অভিন্ন। এজন্যই আজ বৈশাখের যে পান্তা ইলিশের চর্চা দেখছি তা আমাদের চোখে বাঁধছে। এটা কোনো বাঙালি সংস্কৃতি নয়।
ধন্যবাদ কবি মোহাম্মাদ আব্দুলহাক। শুভ কামনা।
৩৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ইলিশের চাইতে গরুর মাংস সস্তা হবার কথা। গরুর মাংস দিয়ে পান্তা খেয়ে উৎসব পালনে রাজি আছি, যদি তাতে কেউ সাম্প্রদায়িকভাবে আহত না হন।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালোই বলেছেন।
তবে আমার মনে হয়, ঐতিহ্য থেকে বেরিয়ে পড়লেই কৃত্রিমতা তৈরি হয়। ইলিশের জায়গায় গরু বা মহিষ বা মোরগ যাই অন্তর্ভুক্ত করা হোক না কেন, তাও কিন্তু পান্তার সাথে ভাজা ইলিশ খাওয়ার মতোই ঘটে যাবে। গরুর মেজবানি থেকে শুরু করে পান্তা দিয়ে গরুর কত বিচিত্র কারি বানানো যায়, তখন সেই প্রতিযোগিতা শুরু হবে।
ধন্যবাদ সাঈফ শেরিফ ভাই। শুভেচ্ছা।
৪০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
বলাক০৪ বলেছেন: জিয়া চৌধুরির প্রস্তাবটি খুব ভালো। এরকম কিছু করা গেলে মনটা ভরে যেতো।
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মেঘের সাথী বলেছেন: অনেক না বলা কথাই বলা হয়েছে। ধন্যবাদ লেখককে
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা।
৪২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: ভাবতেছি আপনাকেই পান্তা ইলিশের দাওয়াত দিব!
যাই হোক কষ্ট করে পোস্টটি লেখার জন্য ধন্যবাদ
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে বাধা দিব যাতে পহেলা বৈশাখের সব মেনুতে ইলিশ মাছ বাদ থাকে।
তারপর হব ইতিহাস।
৪৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
পোয়েট ট্রি বলেছেন: পয়লা বোশেখের আগে, আমাদের ছিলো অনেক যন্ত্রণা:
০১. চেতালি ফসল যা পেতাম তাতে 'চৈত্র সংক্রান্তির মেলা'য় বাচ্চা-কাচ্চাদের জন্য উল্লেখযোগ্য অংশ খরচা হতো
০২. হালখাতায়: ওষুধ ও ডাক্তার, বান্ধা দোকান এবং আরও সব দোকানে সারা বছরের দেনা শোধ করতে হতো
০৩. পুরোটা না হলেও জমির খাজনা দিতে হতো 'নায়েব সাহেব'কে; পুরোটা দিতে পারছি না বলে, দাওয়াত করে ভালোমন্দ খাওয়াতেও হতো তাকে, সাথে কিছু নগদার্থও দিতে হতো,(উনি দয়া করে আমাদের দাওয়াতে এসেছেন সেই জন্য, পথখরচার অযুহাতে)
০৪. আউশ ধান পাকলে, সেই ধান কেটে, মলন দিয়ে, চাল বানিয়ে তারপর, আউশ ধানের চালের ভাতে বছরের প্রথম ইলিশ খেতাম আমরা; (আউশ ধানের ইতিহাসই বলে দেবে, সারা বাংলার বাঙালি কবে প্রথম ইলিশের উৎসবে মেতে উঠতো); সেটা কিছুতেই বৈশাখ মাস নয়____
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বেশকিছু তথ্য পেলাম আপনার কমেন্ট থেকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা।
৪৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: পোস্টে ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++।
আপনাকে আনেক ধন্যবাদ ।
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এত্তগুলো প্লাস! আমি অভিভূত।
সে যাক, আপনার শরীর এখন কেমন? আশা করি সুস্থ আছেন। ভালো থাকুন।
৪৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৯
বেতান বলেছেন: সুন্দর হইছে।
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বেতান। শুভেচ্ছা।
৪৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৯
মাসূদ রানা বলেছেন: খুব ভালো পোস্ট উৎসব পালন যেন আমাদের পরিবেশের ভারসাম্যকে বিঘ্নিত না করে, সে ব্যপারে আমাদের সবার সচেতন হওয়া উচিত ..... মিডিয়ারও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালনের রয়েছে।
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মাসূদ রানা। শুভেচ্ছা।
৪৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
পুলক ঢালী বলেছেন: "পান্তা ইলিশ" কথাটায় খুব সুন্দর একটা বাঙ্গালী সংস্কৃতির গন্ধ আছে। আসলে পান্তাটাই বাঙ্গালী সংস্কৃতির অংশ বাকীটা হল আরেক বাঙ্গালী চরিত্রের সুযোগ নেওয়া সেটা হল হুজুগ । তাই কৌশলে পান্তার সাথে ইলিশের যূথী বন্ধন করা হয়েছে আর দারুন কৌশলের শিকার হয়ে বাঙ্গালী ছুটছে পান্তা ইলিশ খেতে, অথচ কম্বিনেশনটা হবে গরম ভাতে টাটকা ভাজা ইলিশ। ভাত একরাত পানিতে ভিজে না মজলে পান্তা হয়না । বর্তমান রেসিপি অনুযায়ী পান্তাভাত হয়না যেটা হয় সেটা হল পানিভাত। তাহলে অহেতুক পান্তাইলিশ না বলে পানিভাত ইলিশ বললেই মানায় ভালো, দারুন বিস্বাদ একটা অখাদ্য ।
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৪৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫১
আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ বলেছেন: গঠনমূলক লেখা...অনেক কিছু জানতে পারলাম...ধন্যবাদ আপনাকে!!
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ। শুভেচ্ছা।
৪৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০০
আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: সাধারণত জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা নিষেধ থাকে। কিছু সুচতুর ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইলিশ গুদামজাত করে রাখেন কেবল এই ১লা বৈশাখকে সামনে রেখে। ১লা বৈশাখের আগ দিয়ে ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের দাম কেজি প্রতি গিয়ে দাঁড়ায় ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা। কিছু অবুঝ ভোক্তা ১লা বৈশাখে ইলিশ খাওয়া ইবাদত সমতুল্য মনে করেন, ফলে ইলিশের উপর বাড়তি চাপ পড়ে এবং হু হু করে দাম বাড়তে থাকে।
এটাই আসল কথা ভাইয়া।।। আর কিছুই না!
উৎসব পালনের নামে হুজুগ তৈরী করা আমাদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। অথচ আর সারাটা বছর বাঙালি সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য- কোনটার প্রতিই আমাদের দরদ থাকেনা। সেটা যতদিন না হচ্ছে, ততদিন পহেলা বৈশাখের পান্ত-ইলিশ মার্কা হুজ্জত নিতান্তই অর্থহীন..
আমি বরং অন্যদিকে ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে পাই- -
একদল লোক আছে যারা সৌদি আরব এর সাথে মিলায়ে এখানে রোজা রাখে ঈদ পালন করে। হতভম্ব হবার মত ব্যাপার, আরেকদল লোক আছে যারা পশ্চিমবঙ্গ/কোলকাতার সাথে মিলিয়ে পহেলা বৈশাখের পূজা অনুষ্ঠিত করে!!!
আমি কোনভাবেই এই দুই গোষ্ঠীকে আলাদা করতে পারিনা- দু’টো গোষ্ঠীই এক!- মূলছিন্ন!!
মূলছিন্ন মানুষ আর যা হোক, কোন স্বাতন্ত্র্য ধারণ করতে পারেনা; তারা কেবল হুজুগ নিয়েই মাততে জানে। আর তাদের প্রভাবে বাকীরা যারা আদতে মূলছিন্ন নয়, তারাও হুজুগের নেশায় বুঁদ হয়ে যায়...!
আপনাকে পোস্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আসন্ন নতুন বাংলা বছরটি কল্যাণময় হোক সবার জন্যে
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা ভালো প্রসঙ্গের অবতারণা করেছ। আমি ওটার ব্যাপারেও তোমার সাথে একমত।
শুভেচ্ছা।
৫০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০১
পার্থ তালুকদার বলেছেন:
গতকাল প্রথম আলোর ‘নকশা’ খুলে দেখি পান্তা ভাত রাঁধার রেসিপি দেয়া হয়েছে... ‘গরম ভাত রান্না করে এতে পরিষ্কার পানি ঢেলে ঢেকে রাখতে হবে!----- মজা পাইলাম।
চমৎকার পোস্ট।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। পান্তা রান্না করার রেসিপি। গলা ফাটিয়ে কান্না করতে পারলে গলা পরিষ্কার হতো।
ধন্যবাদ আপনাকেও প্রিয় ব্লগার। শুভেচ্ছা।
৫১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৬
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: এটাকে বলা হয় হুজুকে বাঙ্গলী। এখন পহেলা বৈশাখে যা হচ্ছে এটা তো বাঙ্গালী সংস্কৃতি না-ই বরঞ্চ অপসংস্কৃতি। এই দেখুন কয়দিন আগেও ১৪ই ফেরুয়ারি মানে ভেলেনটাইন ডে সম্বন্ধে কেউ জানতোই না। এখন দেখুন ১৪ তারিখ আসার ১৪ দিনে আগে থেকেই ১৪ রকম আয়োজনের নানা রং ঢং। মুখ দিয়ে দুধের গন্ধ যায়নি সেই পুচকে ছেলে বা মেয়েটিও আজ অপসংস্কৃতির ভুল জায়গায় পা দিয়ে ভেলেনটাইন ডে পালনের নামে কত রকম বেহায়পনা করে। সুতরাং কাকে কি বলবো। যা করার প্রয়োজন তা কেউ করে না যা করার দরকার না তাই বেশি বেশি করে করে। কিছুই বলতে চাই না এই জাতির জন্য কারন, দুর্ভাগ্যবশত জন্মেছিলাম এই জাতির কুলেই। হবে আফসোস, কবে এই জাতির ঘুম ভাঙ্গবে?
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঘুম ভাঙানোর দায়িত্বটা কাউকে না কাউকে নিতে হবে। আসুন, আমরা এগিয়ে যাই। ১লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ইলিশ বর্জন করুন। যেটা বাঙালি সংস্কৃতি নয়, সেটা পরিহার করুন। আশা করি জাতির ভোল একদিন পালটাবেই।
শুভেচ্ছা।
৫২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৫
যাযাবর চিল বলেছেন: ছিল। হিন্দুদের আগের দিন নিরামিষ খেয়ে পরের দিন আমিষ খাওয়া।
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৫৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:১৮
ইফতেখার.আমিন বলেছেন: অনেকদিন থেকেই বৈশাখের এই উদ্ভট আয়োজনে ক্ষিপ্ত হয়ে আছি। কেবল মিডিয়াকে দোষ দিয়েই তো দায়মুক্ত হওয়া যায় না, নিজেদের পর্যবেক্ষণ শক্তিও যে দিন কে দিন লোভ পাচ্ছে আমাদের, সেটাও কি কম দায়ী। নিজেদের বিচার বুদ্ধি বোধ হয় বন্ধক রেখেছি প্রচার যন্ত্রের কাছে! অথচ একবারও ভেবে দেখিনা যে দিনকে দিন এই পান্তা ইলিশের সংস্কৃতিতে একটা শ্রেণিগত বৈষম্যও প্রকট উঠছে। বাংলা সংস্কৃতির নামে কেউ কেউ এখন ইলিশ কেনার ফুটানিতে মেতেছেন। কারণ হুজুগের কারণে এদিন ইলিশ বিত্তশালীদের হাতেই শোভা পায়। আর অনেকের মধ্যে যিনি সেটা পারেন তিনি একটু অহং বোধ করবেন সেটাই স্বাভাবিক। অথচ এই বৈষম্য তৈরি করে দেওয়ার রীতি কখনোই বাঙালির সংস্কৃতি হতে পারে না। কয়েকদিন আগে দেখলাম রঙ পেট্রলবোমায় আহতদের ছবি দিয়ে পোশাক এনেছে বাজারে এবং সেটা নিয়ে কোন একটি পত্রিকা ফিচারও করেছে! আমি ভেবে না কাদের উর্বর মস্তিষ্ক থেকে এধরনের চিন্তা প্রসব হয়? কারা এসব মিডিয়াতে প্রচার করে? আর কারাই বা এসব জিনিস গ্রহণ করে!!! অনেকদিন পর এক প্রকার ক্ষ্যাপে গিয়েই ব্লগে পান্তা ইলিশ নিয়ে লেখা। এবং তা আপনার সংকলনে যুক্ত হয়েছে দেখে আনন্দিত হলাম।
সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক গঠনমূলক পর্যবেক্ষণ। আমাদের চৈতন্যোদয় হোক, এটাই কামনা। শুভেচ্ছা।
৫৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯
হোয়াইট ফায়ার বলেছেন: +++
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ হোয়াইট ফায়ার। শুভেচ্ছা।
৫৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: পান্তা ইলিশ প্রথায় আমার আগ্রহ কখনই ছিল না । আর আমি কখনই পহেলা বৈশাখে এই খাবার খাই নাই । এইটা কোন সংস্কৃতির অংশ নয় । সবই মিডিয়ার সৃষ্টি ।
পোস্টে অনেক ভাললাগা ।
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কলমের কালি। শুভেচ্ছা।
৫৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পহেলা বৈশাখ! উদযাপন। বাঙালীর মিলন মেলা। হৈ হুল্লোড়। এসো হে বৈশাখ।
সেটা যাই হোক আমাদের সংস্কৃতি বিকৃতির কারণ হতে পারে না। পান্তা ইলিশ নিছক একটি বাণিজ্যিক উদযাপন। এটা আমাদের ঐতিহ্য না। কারো যেখানে পান্তা জোটে না সেখানে আবার ইলিশ। পরিহাসের নাম পান্তা ইলিশ।
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
পান্তা ইলিশ নিছক একটি বাণিজ্যিক উদযাপন। এটা আমাদের ঐতিহ্য না। কারো যেখানে পান্তা জোটে না সেখানে আবার ইলিশ। পরিহাসের নাম পান্তা ইলিশ।
চমৎকার কিছু কথা বললেন। অনেক ধন্যবাদ রাজপুত্র। শুভেচ্ছা।
৫৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
তাশমিন নূর বলেছেন: আমি তো সব সময়ই বলি, আমরা মাছে-ভাতে বাংগালী। এমন তো না যে, আমরা ইলিশে মাছে-ভাতে বাংগালী। ছোট বেলায় আমার কাছে পহেলা বৈশাখ মানে ছিল হালখাতার মিষ্টি আর রসগোল্লা। আজ আমাদের স্কুলে মেয়েরা ঠিক করেছে কাল ওরা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পোলাউ-মুরগী খাবে। পান্তা ভাতের প্রসংগ আনতেই বলল, "ম্যাডাম, ঐটা তো প্রতিদিনই খাই।" অর্থাৎ, গ্রাম-বাংলার মানুষের এসব বিলাসিতা নেই। আসলে পান্তা-ইলিশে কখনো বাংগালীয়ানা আসে না। ওটা সারা বছর ধরে সবকিছুতে বাঁচিয়ে রাখার বিষয়। আমি একবার ফেসবুকে একবার " মজা করে পান্তা ভাত খাচ্ছি" স্ট্যাটাস দিতেই একজন কমেন্ট করল, "ওয়াক"! অথচ পহেলা বৈশাখে সে নিজেই পান্তা খাওয়ার ছবি আপলোড করেছিল। আমরা কখনোই চাই না, আমাদের বাংগালী সংস্কৃতি এরকম আনুষ্ঠানিকতা নির্ভর হয়ে যাক।
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চিন্তা করো, পান্তার নাম শুনে যে লোক 'ওয়াক' বলতে পারে, সেই লোক কীভাবে ১লা বৈশাখে পান্তা খেয়ে বাঙালি বনে যায়। যাই হোক, তোমার ছাত্রীদের কথা যৌক্তিক। সারা বছর যারা পান্তা খায়, বছরের ১ম দিনে তারা একটু বৈচিত্র্য চাইতেই পারে। তেমনি, কিছু লোক সারাবছর মোরগপোলাও খায়, ১লা বৈশাখে গরম ভাতে পানি ঢেলে একটু বৈচিত্র্য খায় আর কী
ধন্যবাদ।
৫৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
আরজু পনি বলেছেন:
গতকাল অফলাইনে পোস্টটি স্টিকি দেখে ভাবছিলাম, যথার্থ পোস্টটিই স্টিকি হয়েছে।
সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এমন পোস্টটিকে সবার নজরে আনায় কর্তৃপক্ষকে অনেক ধন্যবাদ জানাই ।
আপনার জন্যে রইল অনেক অভিনন্দন ।
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। পোস্টটি লেখার জন্য আপনার উৎসাহ পেয়েছি অনেক। কৃতজ্ঞতা।
৫৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
সায়েম মুন বলেছেন: ছোটকালে গ্রামে থাকাকালীন সময়ের ঘটনা গুলো আপনার পোস্টে দেখতে পেলাম। তখনকার দিনে সকাল বেলা অন্যান্য নাস্তার বদলে গ্রামের লোকজন পান্তা খেতো। এখনো খায় কিনা জানিনা। সেটা রাতের অবশিষ্ট তরকারী দিয়ে, কখনো পিয়াজ মরিচ মেখে বা কোন ভর্তা বানিয়ে। আমি নিজেও অনেক খেয়েছি। পহেলা বৈশাখের স্পেশাল কিছু ছিল না। ইলিশ প্রথা তো দূরের কথা। ইদানীংকার পান্তা ইলিশের কাহিনী দেখে ব্যবসা ছাড়া কিছু মনে হয় না। এই প্রথায় কখনোই গা ভাসাইনি কিংবা আলাদা কোন গুরুত্বও দেইনি। বরং এই কালচার দেখে মনে হচ্ছে আমার শৈশবকে/ পান্তা খাওয়াকে মুখ ভ্যাংচানো মনে হচ্ছে। অথবা এদেশের আপামর গরীব জনগণকে অপমান করা হচ্ছে।
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এই কালচার দেখে মনে হচ্ছে আমার শৈশবকে/ পান্তা খাওয়াকে মুখ ভ্যাংচানো মনে হচ্ছে। অথবা এদেশের আপামর গরীব জনগণকে অপমান করা হচ্ছে।
আপনার সাথে আমি পুরোপুরি একমত প্রিয় কবি। শুভেচ্ছা।
৬০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার বিষয় শেয়ার করলেন !
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মাঘের নীল আকাশ। শুভেচ্ছা।
৬১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অবশেষে এলাম আপনার এই গুরুত্ব পোস্টে মন্তব্য করতে। আচ্ছা ভাই, আপনি কি আমার মনের সব কথা জেনে যান? আমি গত এক সপ্তাহ ধরে এই কথাগুলো মনে মনে ভেবে যাচ্ছিলাম, আপনি তার সব কয়টি নিয়ে এসেছেন। রেফ্রিজারেটর না থাকায় পানি দিয়ে রাতের বেঁচে যাওয়া ভাত হতে পান্তা ভাত হত, আর তা ইলিশ ভাঁজা দিয়ে খাওয়া হত না, হত মূলত শাক অথবা কোন ভর্তা বা শুকনো মরিচ পেঁয়াজ দিয়ে। তাহলে ইলিশ মাছ এলো কোথা থেকে? এল বানিজ্যিক চিন্তা থেকে। শুধু পান্তা আর শুকনো মরিচ-পেঁয়াজ কেউ তো পাঁচশ/হাজার টাকা দিয়ে কিনে খাবে না। তো কি করা? আগমন ঘটানো হল ইলিশ মাছ ভাঁজা’র। পান্তা প্রচলন শুরু হয় ৯৬/৯৭’র পর থেকে, আমার যতদূর মনে পড়ে। আর ধীরে ধীরে তা গত দুই দশকে হাইব্রিড বৈশাখী উৎসবে অন্যতম অনুষঙ্গে রুপান্তরিত হয়েছে। আপনার এই চমৎকার লেখাটির জন্য কি বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ দিব বুঝতে পারছি না। শুধু বলি, কৃতজ্ঞ রইলাম।
তবে আশার কথা, গত দুই বছর ধরে এই হাইব্রিড ফ্যাশনের বিপক্ষে জনমত তৈরি হচ্ছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ মিনা বাজারে বাজার করতে যেয়ে দেখলাম ইলিশের ঝাঁক, ক্রেতা নাই। হাজার টাকা দরে ইলিশ কিনলে দেড়শ টাকা মূল্যের তেল, মসলা ফ্রি... তারপরও ক্রেতা নাই। ইলিশ ছাড়া অন্য বেশ কয়েক পদের মাছ কিনেছি, বৈশাখের জন্য নয়, নিত্যদিনের উদরপূর্তির জন্য। বাসায় ফেরার সময় খুব ভালো লাগছিল, এই ধরণের সচেতনতা আজ সবক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, খুব বেশী দূর নয় সেই সুদিন, যেদিন বাংলাদেশ সত্যিকারে এগিয়ে যাবে।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আমাদের সাথে থাকুন... সবসময়। অনেক অনেক শুভকামনা। সাথে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা, আপনাকে এবং সামু পরিবারের সবাইকে।
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কতদিন ভেবেছি আপনাকে বলবো নামটা পালটে 'বুদ্ধিমান মানুষ বলতে চায়' করুন। বলা হয় নি। আজ বললুম। দয়া করে নামটা বদলে ফেলুন। এত সুন্দর একটা কমেন্টের উত্তরে যদি বলি 'ধন্যবাদ বোকা মানুষ', তাহলে নিজের লজ্জা রাখার জায়গা পাই না।
পোস্টের মূলমর্মটি আপনার কমেন্টে উঠে এসেছে। খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার। শুভেচ্ছা।
৬২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
ব্লগার মাসুদ বলেছেন: শুভকামনা রইল +++++++++++
০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার মাসুদ। শুভেচ্ছা।
৬৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১০
তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো বলেছেন।
০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ তাহসিনুল ইসলাম। শুভেচ্ছা।
৬৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৪
শেষ শব্দ বলেছেন: বিজাতীয় সংস্কৃতি আমরা খুব ভালো করেই আপন করতে জানি।পহেলা বৈশাখ এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ।অশেষ ধন্যবাদ!বিস্তারিত এই বিষয়ে লেখার জন্য।কষ্ট করে সবাইকে জানিয়ে বিমূখ করার এ প্রচেষ্টা সফল হোক।আরো সুন্দর ও বাস্তবধর্মী লেখার প্রত্যাশায় ... আমার পাতায় আমন্ত্রন রইলো!
০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শেষ শব্দ। শুভেচ্ছা।
৬৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন:
০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নেটের স্পিড কম থাকায় এখন ছবিটা দেখতে পাচ্ছি না প্রিয় ব্লগার। আগে অবশ্যই দেখেছিলাম, কিন্তু এখন মনে নেই। তবে সময় করে অবশ্যই দেখা হবে।
ধন্যবাদ ছবির জন্য।
৬৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮
তাপস কুমার দে বলেছেন: ইলিশের প্রজনন মাস তাই আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশকে বাচাতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে।আর ১লা বৈশাখ সম্পকে বলতে হলে পান্তা-ইলিশ সংস্কৃতিটা সময়ের স্রোতে চলে এসেছে ।গ্রামে ছোট বেলা নতুন সুতা কিনে দিতো আর পরতো । মানে নতুন বস্ত্র পরিধান করা। নতুন বছর নতুন বস্ত্র,ভালো খাবার,মিষ্টি মুখ এই সব ......।এখনো গ্রামে তাই হয়। শুধু রঙ্গিণ শহরে চলে রঙের খেলা নানা ....।
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ তাপস কুমার দে। শুভেচ্ছা।
৬৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন:
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর, বুদ্ধিদীপ্ত স্লোগান এবং ব্যানার - ১লা বৈশাখে ইলিশকে না বলুন।
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
৬৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
বাগসবানি বলেছেন: আপনাকে বুঝতে হবে, ঢাকা শহরে মানুষ বাড়ছে। বটমূলের আয়তন সেই আকারে বাড়ে নাই। আর আমরা হুজুগে বাঙালী। অন্যের দেখাদেখি কিছু না করলে মান থাকে না। আমি আমার জীবনে মাত্র একবারই রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখে গিয়েছিলাম। ভাল লেগেছিল। কিন্তু ঐ একবারই। পুরো ছাত্রজীবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটালেও, একটু পা ভেঙে ঐখানে আর যাওয়া হয়ে উঠেনি। ঐতিহ্য ভালই লাগে, কিন্তু বাড়াবাড়ি পছন্দ নয়। সবউৎসবকে ঘটা করে পোশাক কিনতে হবে, একেমন কথা। এখনকার ছেলেমেয়েরা সঞ্চয় তো করেই না, করে অপচয়। এরকম দরিদ্র একটা জাতির জন্য অপচয় কত বড় অভিশাপ তা যদি কেউ এদেরকে বলে দিত!
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন বাগসবানি। শুভেচ্ছা।
৬৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
জনাব মাহাবুব বলেছেন: আমি যখন ছোট ছিলাম অর্থাৎ ১৯৯২/৯৩ সালের দিকে ১লা বৈশাখ বলতে আমরা কলাবাগান মাঠে বৈশাখী মেলা বুঝতাম। ১লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে সম্ভবত ১ মাসব্যাপী এই মেলা বসত। আমরা পিচ্চি পোলাপাইনরা দল বেধে মেলায় গিয়ে হৈ-হুল্লোর করতাম আর নাগরদোলায় চড়তাম।
আজিমপুর গার্লস্ স্কুলের মাঠেও ১লা বৈশাখের মেলা বসত। কিন্তু রমনার বটমূলে কোন অনুষ্ঠান হতো বলে আমরা জানতাম না, তাই সেখানে ছোটবেলায় আমাদের যাওয়া হয়নি।
একবার ১লা বৈশাখের আগে আব্বা-আম্মার সাথে চাঁদপুর বেড়াতে গিয়েছিলাম, তখন আমাদের সাইজের ছোট ছোট পোলাপাইনরা বললো যে, মাহাবুব আগামীকাল ১লা বৈশাখ, হাটে গিয়ে রসগোল্লা খামু, যাবি? আমি তো এক লাফে রাজি হয়ে গেলাম। পরেরদিন হাটে গিয়ে দেখি ব্যবসায়ী দোকানদাররা মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে বসে আছে, বিভিন্ন পার্টিরা আসছে, বিগত দিনের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে, নতুন হিসাব চালু করছে। এবং তাদের রসগোল্লা দিয়ে আপ্যায়ন করা হচ্ছে। সেখানে কিন্তু পান্তা ইঁলিশ বলতে কোন আইটেমই ছিল না।
সব চলে গেছে কর্পোরেটদের দখলে।
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর অভিজ্ঞতা। খুব ভালো লাগলো জনাব মাহাবুব। শুভেচ্ছা।
৭০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
টি এম মাজাহর বলেছেন: এই বৈশাখে দেখছি এই আতলামী মার্কা নতুন জিগির উঠছে, গবেষণা করবার আর বিষয় নাই, বৈশাখে ইলিশ খাওয়া যায় কিনা? মঙ্গল শোভাযাত্রা হালাল কিনা? ইত্যাদি ইত্যাদি কি সব কথা?
এমনিতেই দেশে / ঢাকায় দম ফালানোর মতো কোন জায়গা/ উপলক্ষ্য নাই, এরকম দিনে মানুষ শুধুমাত্র দুদন্ড দম ফেলবার জন্য রাস্তায়ই বের হয়, সবার দেখাদেখি একটু পান্তা ইলিশ খাওয়া, বাচ্চাদের একটা দুইটা ঢোল কিনে দেয়া আর বাসায় কিছু মুড়িমুড়কি কিনে নিয়ে যাওয়া। আর লাভ বার্ডদের সেজেগুজে ঘুরে বেড়ানোর একটি দিন। নগরজীবনে উতসব বলতে এটুকুই তো।
পান্তা যে গরীব মানুষেরই খাবার সেটা কে প্রমাণ করলো? এই অঞ্চলের মানুষের প্রধান খাবার ভাত দুইতিন দিন রেখে খাবার মতো খাবার এটি, ধনীগরীব সবাই খেতেই পারে। আর ইলিশ! আজকের দিনে ইলিশ দুর্মূল্য হতে পারে, কিন্তু ইলিশ কিন্তু এই অঞ্চলের মোটামুটি সহজলভ্য খাবারই। পদ্মা নদীর মাঝিতে মধ্যবিত্ত শেতলবাবু যেমন ইলিশ খেতে বসে, তেমনি গরীব কুবের মাঝির পাতেও বছরে কয়েকবার ইলিশ পড়তো। উতসবের দিনে বাসায় পোলাউ কোর্মাই রাধতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা কে দিয়েছে? ঈদের দিনেও কারও বাসায় খিচুড়ী, ক্রিসমাসের দিনেও কারও বাসায় কেকের সাথে মজার ফলার, বা পুজার দিনেও কারওবাসায় শব্জির সাথে পায়েস করতেই পারে, তাহলে নববর্ষে পান্তা ইলিশ হলেই সমস্যা কি বা না হলেই সমস্যা কি? উৎসবের প্রক্রিয়া নিজের মনমতো সবাইকে বাধ্য করাটা অনৈতিক না?
পৃথিবীর সব দেশেই একটি নির্দিস্ট উৎসবে কোন না কোন আইটেমের ডিমান্ড বেড়ে যায়। ক্রিসমাসে যেমন টার্কি, রমজানে আমাদের দেশে বেগুন, পুজায় দুধ, দাম বাড়া না বাড়াটা নির্ভর করে বাজার ব্যবস্থার উপর। ঐ আইটেম বেচা বিক্রি নিষিদ্ধ করাটা কিরকম মানসিকতা বা কিরকম অদ্ভুত ব্যবস্থার প্ররোচনা ভাবা যায়?
দামের কথা বললে বলতে হয়, সেটার জন্য বাজার ব্যবস্থা ঠিক করেন। ১০ টাকার বেগুন রোজার মাসে ১২০ টাকা হয়, কৃষক পায় সেই দুই টাকাই। মীনা বাজার ৩৫০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বেচলেও গরীব জেলে কত পায়, খোজ নিয়ে দেখেন। হয়তো বা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ৪০০ টাকার বদলে ৪৫০ পায়, কিন্তু এজন্য ইলিশ বেচা নিষিদ্ধ করে ঐ গরীব লোকের খাওয়াই বন্ধ করে দেবেন?
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভ কামনা থাকলো।
৭১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
আব্দুস সালাম আজাদী বলেছেন: এমন একটি লেখা, যা থেকে শিখলাম অনেক কিছু। অনেক ধন্যবাদ
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আব্দুস সালাম আজাদী। শুভেচ্ছা।
৭২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
সোহানী বলেছেন: যেকোন উৎসব ভালো লাগে কিন্তু যখন দেখি এতে কর্পোরেট ধান্দা ঢুকে গেছে তখন খুব খারাপ লাগে.... টিভি চ্যানেল আর মোবাইল ফোনের দৈাড়াত্বে এখন উৎসব হয়ে গেছে কর্পোরেট ধান্দা.... কোটি টাকার বানিজ্য....++++
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপা। শুভেচ্ছা।
৭৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
রুহুল জাকি বলেছেন: উৎসব সংস্কৃতির একটা অংশ। কিন্তু এখন আমরা যা করছি তা অত্যন্ত বাড়াবাড়ি পর্যায়ের, যার অনেকটা কৃতিত্বই(!) কর্পোরেট বেনিয়াদের। এটা করতেই হবে, ওই রংয়ের জামা পড়তে হবে, ওটা খেতে হবে ইত্যাদি অতি বাঙালীয়ানায় আমরা আজ প্রকৃত উৎসবকে, তার আবেগকে হারিয়ে ফেলেছি।
লেখককে অনেক ধন্যবাদ।
সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
পুনশ্চ: ভবিষ্যতে পহেলা বৈশাখে আপনি কোন অনুষ্ঠান করলে স্পন্সর পাবেন না !!!!!
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহা। আর্টিফিশিয়াল কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করার সৌভাগ্য যেন না হয়। শুভেচ্ছা।
৭৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
ডি মুন বলেছেন: বিকেলে শাক-ডাল বা পুঁটির তরকারি দিয়ে গরম ভাত খেয়ে সকালবেলায় পান্তার সাথে ভাজা ইলিশ খাওয়ার মতো আহাম্মকি ইচ্ছে বা কল্পনা কারো মাথায় কখনো আসবে, এমনটা অস্বাভাবিক। এ দ্বারা ইলিশ মাছটাকে নষ্ট বা ‘অপচয়’ করা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। ইলিশের মতো সুস্বাদু মাছ গরম ভাতের সাথে যতোখানি মজাদার ও উপাদেয় হবে, পান্তা দিয়ে সেই স্বাদ কখনো হবার নয়।
------------- একদম ঠিক বলেছেন সোনাবীজ ভাই। এ ব্যাপারে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই। তবুও " কিছু অবুঝ ভোক্তা ১লা বৈশাখে ইলিশ খাওয়া ইবাদত সমতুল্য মনে করেন, ফলে ইলিশের উপর বাড়তি চাপ পড়ে এবং হু হু করে দাম বাড়তে থাকে। "
যাহোক, বাঙালির শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আর আপনার দেয়া সুপারিশগুলোর সাথেও আমি পুরোপুরি একমত।
আমাদের এখন থেকেই সচেতন হতে হবে এ ব্যাপারে। যাতে আমাদের পরবর্তী জেনারেশন লাইনচ্যুত না হয়। "তা না হলে হয়তো এমন একদিন আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হবে যেদিন ১লা বৈশাখে ইলিশ খাওয়াকে বাংলার মানুষ ‘ফরজ’ বিবেচনা করবে। "
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো
+++
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাঙালির শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
ধন্যবাদ ডি মুন ভাই। শুভেচ্ছা।
৭৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮
টি এম মাজাহর বলেছেন: পৃথিবীর সব দেশের ঐতিহ্যেই নববর্ষ আনন্দের মাধ্যমে উদযাপন করে। এতো সব প্রশ্নের উত্তর খুজলে আনন্দটাই হারিয়ে যায়। সারা বছরের জন্য বদ্ধ থাকা এই শহরে যে যার সামর্থ অনুযায়ী বাইরে বের হয়, প্রিয়জনদের সাথে করে। সবার উচ্ছাসের প্রকাশ একরকম হবে না, এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সত্য। কেউ আড্ডা মেরে আনন্দ পায়, কেউ চুপচাপ বসে থেকে আনন্দ পায়। রমনায় গান শুনে কেউ মজা পায়, কেউবা টিভিতে অনুষ্ঠান দেখে আরাম পায়। পান্তা খেয়ে কেউ দিনটা শুরু করতে চাইলে কারও এতে আপত্তির কারণ তো দেখি না। মেলার ভিড়ে কেনাকাটার মাঝে যদি নামাজের/ ইবাদত/ অর্চনার সময় হয় তাহলে সে সেটা করে আসবে, কেউ তো মানা করছে না। অযথা উৎসবের ভুল ধরে কেন একটা উতসবকে বিতর্কিত করতে হবে সেটা বুঝলাম না। আর অর্থনৈতিক ভাবে দেখলে, একটা উতসবকে ঘিরে অর্থের যে সার্কুলেশন ঘটে তা তো সবার জন্যেই ভালো। গরীব গ্রামবাসী তালপাখা বিক্রি করে দুইটা টাকা উপার্জন করলে তাতে খারাপ কি আছে ? লাল শাড়ী/ পাঞ্জাবী বিক্রি হলে তো তা দেশের অর্থনীতিকেই সমৃদ্ধ করছে। মুখোশ নিয়ে আমার/ আপনার আপত্তি থাকলে, আপনি মুখোশ কিনবেন না, আপনাকে কেউতো বাধ্য করছে না। উৎসবের ধারাটাই হলো, যে যার সামর্থ অনুযায়ী আনন্দ করবে। গরীব লোকটা ফুটপাথ থেকে তার বাচ্চাটার জন্য ১০০ টাকা নতুন লাল জামা কিনবে, আর ধনী লোকটা হয়তো দশ হাজার টাকা দিয়ে অঞ্জনস থেকে কিনবে। এতো বিশাল সমালোচনা করবার মতো বিষয় এখানে কোথা থেকে আসে জানি না।
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
র্যান্ডম স্যামপ্লিং করে দেখুন, আপনার মতের সাথে কতজনের মিল আছে। সমগ্র দেশের চিত্রও এমনই পাবেন।
শুভেচ্ছা।
৭৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯
ইখতামিন বলেছেন:
সময়োপযোগী পোস্ট
আরও কিছু বলার ছিলো.. তবে এখন বলবো না
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ইখতামিন ভাই। শুভেচ্ছা।
৭৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
আশা জাগানিয়া বলেছেন:
আপনার এই পোস্ট দেবার উদ্দেশ্যটা যেন সবাই বুঝতে পারে ।
পান্তা ইলিশ খাওয়া বন্ধ করা এই পোস্টের উদ্দেশ্য না। বরং ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকাই এই পোস্টের উদ্দেশ্য।
যদি ইলিশ উৎপাদন অনেক বেশি হতো, ইলিশের বাজার খুব সস্তা হতো তবে পান্তা ইলিশ কেন, শুধু ইলিশ ভাজা দিয়েই হোক না উৎসব ক্ষতি কি।
ইলিশকে বাঁচাতেই এই পোস্ট, ধ্বংস করতে নয়।
জাতীয় মাছ ইলিশ যেনো জাতীয় ফল কাঠালের মতোই সহজলভ্য হয় সেই কামনাতে আপনার জন্যে অনেক শুভেচ্ছা।
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন।
৭৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
দেখছি ভাই। থ্যাঙ্কু।
এই দেশে শুধু ইলিশ ধরাই না, আইন কইরা ইলিশ বেচাও বন্ধ করা উচিত অন্তত ২ মাস। নাইলে ইলিশ ইতিহাসের সাক্ষী আমরাই হইতে পারবো আর ১০-১৫ বছর পর।
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শতদ্রু। ভালো থাকবেন।
৭৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মোস্তাক_আহম্মদ বলেছেন: বাস্তবধর্মী লেখা।
আমার লেখাটাও শেয়ার করলাম
http://www.somewhereinblog.net/blog/mostaqueahmed/30029302
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তাক আহম্মদ। শুভেচ্ছা।
৮০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: শুধু ইলিশ বলে কোন কথা নেই, প্রজনন মৌসুম এবং মাছের বৃদ্ধিকাল বিবেচনায় রাখা উচিৎ আমাদের প্রতিটি মাছের ক্ষেত্রেই প্রজাতি নির্বিশেষে!
পরিবেশের স্বাভাবিক চক্র বিনষ্টকারী অপরিনামদর্শী যে কোন কর্মকাণ্ডই নিজের ভিত্তিমূলে কুঠারাঘাত!
এই কুঠারাঘাতের ফল আমরা ভোগ করছি বেঁচে থাকার প্রতিটি পদে!
তবু শুভকামনা প্রতিটি মানুষের জন্য। অনিঃশেষ।
ভালো থাকুক সবাই। অনেক ভালো।
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা সবাইকে।
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। শুভেচ্ছা।
৮১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: কাজের পোস্ট!
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ স্পেলবাইন্ডার। শুভেচ্ছা।
৮২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪২
কেএসরথি বলেছেন: বর্তমানে পান্তা ইলিশ তো ফ্যাশন করে খাওয়া হয়। নববর্ষ মানেই তো আরেকটা উপলক্ষ ফ্যাশন করার। বটমূলে গিয়ে মেয়েদের প্রতি শিস মারাি তো নববর্ষ!
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কেএসরথি। শুভেচ্ছা।
৮৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ছোটবেলায় পহেলা বৈশাখের চেয়ে চৈত্র সংক্রান্তিই বেশি আরাধ্য ছিল আমার কাছে। কারণ বোশেখের আগের দিন বসতো গ্রামের মেলাটি, যাকে আমরা বান্নি বলতাম। কেউ বলে আড়ঙ। দূর হাওড় এলাকার একটি গ্রামে যখন চৈত্র-শেষের মেলা বসতো, সেটি যে কত আয়োজন নিয়ে আসতো তা বলা বুঝানো যাবে না। ছোটবেলায় ওই দিনটির জন্য সকল ধন সঞ্চয় করে রাখতাম। একটাকা ছটাক জিলিপির স্বাদ এখনও মন থেকে মুছে যায় নি। নাগরদোলা, চক্রিতে (লটারি) টাকা ধরা এবং মুটোভর্তি
টাকা জিতে একসাথেই দান ধরা। একদানে হাত খালি করে আসা। চোখ-ভরা জল! এসব কি ভোলা যায়? পহেলা বৈশাখে পাশের হিন্দু পাড়ায় কিছু পুজোর আওয়াজ আসতো। মা আমাদেরকে ভালো কিছু রান্না করে খাওয়াতো। এতটুকুই মনে আছে। মাঝেমাঝে মেলা থাকতো পহেলা বৈশাখ অবদি। কিছু অঞ্চলে পহেলা বৈশাকেও মেলা বসতো শুনতাম।
শাক আর মাছের তালিকাটি দারুণ লেগেছে। পান্তাভাতের সাথে যা ‘অবধারিতভাবে’ আসে সেই কাঁচালঙ্কা/শুকনা মরিচ (পোড়া) আর পেঁয়াজের অধিকার ফিরে পেতে চাই!
শুভ নববর্ষ!!!
১১ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মন্তব্যে আমার শৈশবকে দেখলাম। আমরাও আড়ং বলতাম।
ধন্যবাদ প্রিয় মইনুল ভাই। শুভেচ্ছা।
৮৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বাঙ্গালী দুই প্রকার,
১। পহেলা বৈশাখে যারা পান্তা ইলিশ খায়
২। পহেলা বৈশাখে যারা পান্তা ইলিশ খায় না
১১ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। ভালো বলেছেন। একমত। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
৮৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ১লা বৈশাখ নিয়ে আড্ডা পোস্ট ।
http://www.somewhereinblog.net/blog/suconabarta/30030173
১১ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু। শুভেচ্ছা।
৮৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যুক্তি আছে কবি ।
১১ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। শুভেচ্ছা।
৮৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: নববর্ষ নিয়ে একটা কবিতা লেখেছিলাম, ওখানে ইলিশের কথা উল্লেখ করেছিলাম। এখন সেটা এডিট করে দিতে হল। অনেক তথ্যবহুল ও যুক্তিসঙ্গত লেখনী। ধন্যবাদ জানবেন লেখক মশাই
১১ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা। শুভেচ্ছা।
৮৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২৭
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ভাল লাগল Click This Link
১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শাশ্বত স্বপন। শুভেচ্ছা।
৮৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:২৮
নীল অভ্র বলেছেন: লেখাটা অসাধারণ হয়েছে, বর্ণনাতীত প্রশংসার দাবিদার।
আমি ২ টা লিঙ্ক দিচ্ছি এখানে।
ক্লিক করে আরো কিছু তথ্য পেতে পারেন সকলে।
https://www.facebook.com/saifullah.dulal/posts/10153229297169666:1
http://arts.bdnews24.com/?p=3597
কতৃপক্ষকেও অশেষ ধন্যবাদ এরকম তথ্য পূর্ণ এবং বিশ্লেষণ মূলক পোস্ট স্টিকি করার জন্য।
১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নীল অভ্র। শুভেচ্ছা।
৯০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:০৩
[ ওঁরাও মাহাতো ] বলেছেন: waste of time to reading this type of fiction.
that make me old.
১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
৯১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:২০
এহসান সাবির বলেছেন: শুভ নববর্ষ ভাইয়া।
১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভ নববর্ষ এহসান সাবির ভাই। ভালো থাকবেন।
৯২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:২৬
করিম মিয়া বলেছেন: ____________________________
পহেলা বৈশাখের আগমনের পথ-পরিক্রমা______
পাকিস্তান আমলে পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্র চর্চার ঘোর বিরোধী ছিলো। এর কারণ হিসেবে দুটি যুক্তি ছিলো তাদের:
১) রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় উগ্র জাতীয়তাবাদী কবি,
২) রবীন্দ্রনাথের অনেক মুসলিম বিরোধী সাম্প্রদায়িক রচনা আছে।
পূর্ব পাকিস্তানের সেই রেজিস্টেন্সের বিরুদ্ধে চানক্যবাদীদের (ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা) ইশারায় ১৯৬১ সৃষ্টি হয়েছিলো ‘ছায়ানট’। তাদের মূল উদ্দেশ্য সংস্কৃতির নাম দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের ভেতর ভারতীয় সংস্কৃতি প্রবেশ করানো। ছায়ানটের প্রথম সভাপতি ছিলেন বেগম সুফিয়া কামাল (সুলতানা কামালের মা)।
উল্লেখ্য, পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় সংস্কৃতি প্রবেশ করাতে, চানক্যবাদীরা ছিলো বদ্ধপরিকর। তারা এ অঞ্চলের মানুষের রক্তে-মাংশে সংস্কৃতির ছদ্মাবরণে প্রবেশ করিয়ে দেয় ভারতীয় জাতীয়তাবাদ। প্রথম সভাপতি বেগম সুফিয়া কামাল উগ্রভারতীয় জাতীয়তাবাদী কবি রবীন্দ্রনাথের গান সম্পর্কে এজন্যই বলেছিলো: “রবীন্দ্রসঙ্গীত আমার কাছে ইবাদতের মতো”।
রমনার বটমূলে আজকের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সৃষ্টিকর্তাদের মধ্যে মূল ছিলো দুইজন ছায়ানট কর্মী: ১-ওয়াহিদুল হক, ২-সানজীদা খাতুন (রবীন্দ্র গায়িকা মিতা হকের চাচা-চাচী)। ১৯৬৭ সালে এই দুই কর্মী পূর্ব পাকিস্তানে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন সৃষ্টির জন্য চানক্যবাদীদের ইশরায় সফলভাবে সূচনা করে কথিত ‘বর্ষবরণ’ অনুষ্ঠান।
এ সম্পর্কে ডঃ নওয়াজেশ আহমদ বলেন,
‘১৯৬৭ সনে বাঙালি সংস্কৃতির আকাশে মেঘের ঘনঘটা । .... ..... ছায়ানটের সভা বসেছে । সভায় ঠিক হল প্রতিবাদ হিসেবে নববর্ষের অনুষ্ঠান হবে উম্মুক্ত ময়দানে- সর্বসাধারণের সমাগমে। সানজিদা প্রস্তাব করলেন কোন বড় গাছের নিছে অনুষ্ঠান আয়োজনের । ওয়াহিদুল হক এতে সায় দিয়ে আমার দিকে তাকাল, ‘চেনা কোন জায়গা আছে?’ হঠাৎ মনেপড়ে গেলো রমনা পার্কের মহীরুহ অশ্বত্থের কথা’।, বৃক্ষটি দেখার পর সবার পছন্দ হলে রমনার এই বোধি বৃক্ষের কোমল ছায়া হতে জন্ম নেয় ইতিহাসের আরেকটি সুবর্ন অধ্যায়ের। পহেলা বৈশাখ।” (ডঃ নওয়াজেশ আহমদের ‘মহা অশ্বত্থের গান’ নামক একটি লেখা থেকে নেওয়া)
এ সম্পর্কে ওয়াহিদুল হক বলেন:
‘ মধ্য এশিয়া, দক্ষিন এশিয়া, দক্ষিন পূর্ব এশিয়া অর্থাৎ প্রাচ্যের প্রায় সবটা জুড়ে বৈশাখী নামের একটি বিরাট উৎসব আছে। ওই বৈশাখী নামের ভিতর লুকিয়ে আছে সমস্ত প্রাচ্য জুড়ে ভারত সংস্কৃতির প্রভাবের সত্যটি, যে সংস্কৃতির মূল অংশে আমরা বাঙালিরা আছি জড়িয়ে। প্রায় সবটাই মধ্য এশিয়া এক সময়ে বৌদ্ধ ছিল। সেই নিরীশ্বরবাদী ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা অর্থাৎ যে তিথিতে বুদ্ধের জন্ম, বোধি প্রাপ্তি ও পরিনির্বান। এই তিথিটি আসলে বৈশাখী পূর্ণিমা, বৈশাখে উদিত চন্দ্রের পূর্ণচন্দ্র তথা বৈশাখী।’ (প্রবন্ধ: বৈশাখ)
এ সম্পর্কে সানজীদা খাতুন এক সাক্ষাৎকারে বলেন:
“পহেলা বৈশাখ, এই যে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পহেলা বৈশাখ—এ হচ্ছে ছায়ানটের সবচেয়ে বড় কাজ, আমরা বলতে পারি। কারণ এই উন্মুক্ত প্রাঙ্গণের পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূল যেটাকে আমরা বলি, সেখানে আমরা যেটা করতে চেয়েছিলাম যে মানুষ আসুক।” (Click This Link)
সানজীদা খাতুন চেয়েছেন, লোক আসুক। হ্যা এতদিনে লোক এসেছে, চানক্যবাদীদের টার্গেটও সফল হয়েছে। বাংলাদেশে মুসলিম সমাজ বেয়াকুফের মত গলায় মালা দিয়ে বন্ধুরূপে মেনে নিয়েছে তাদের শত্রুদের, উৎসবরূপে গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিক আগ্রাসণকে।
১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য পেলাম আপনার কমেন্ট থেকে। ধন্যবাদ করিম ভাই।
৯৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: যারা ইলিম আর পান্তা (পানি ভাত) খায় তারা বাঙালী না, বাঙালী সাজার চেষ্টা করে
১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক বলেছেন। একমত।
৯৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
রেজওয়ান26 বলেছেন: ডাঁটাশাক (দারা), কলুইশাক, ধুধুল্লাশাক, পাটশাক, কলমিশাক, সেঁচিশাক, কচুশাক, শাপলা এবং বাড়ির আঁদাড়ে-পাঁদাড়ে, বন-বাদাড়ে আরো যে-সব শাক-লতা জন্মে থাকে, সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের মূল তরকারি ছিল এগুলো।- অসাধারন লিখেছেন। তবে এগুলো এখনও সাধারন মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী।
১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই। শুভেচ্ছা।
৯৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫
মুদ্দাকির বলেছেন:
ইলিশ-পান্তা আর মঙ্গল শোভা যাত্রা এই দুইটাই আমাদের সংস্কৃতির ডিলিউসন।
১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মুদ্দাকির ভাই। শুভেচ্ছা।
৯৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১১
কচি খান বলেছেন: আপনার এ অসাধারন লেখার জন্য অসংখ্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং স্যালুট !!! আমরা একটা লক্ষ্য-গন্তব্যহীন জাতি হয়ে গেছি.. আর এর জন্য সর্বাংশে দায়ী কিছু প্রগতিশীলতার নামধারী, বিজাতী সংস্কৃতির ধারক মূর্খ কুলাঙ্গার এবং অন্ত:সারশুন্য প চাটা মিডিয়া...!!! আমরা কোথায় আছি, কোথায় যাবো, তা এ মূর্খগুলো ভুলাতে চাইছে, ওদের মৃত সংস্কৃতি দিয়ে..!!! ..তা হয়তো সম্ভব হবেনা, যদি ১লা বৈশাখে চলমান বেহায়াপনা বন্ধের জন্য নতুন কোন বিষয় নিয়ে এ দিনে কাজ শুরু করা যায়...!!! ধন্যবাদ !!!
১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কচি খান। শুভেচ্ছা।
৯৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
দোদূল্যমান বলেছেন: Picture news with caption published by The Daily Star today (April 14, 2015):
"Two pairs of Hilsa with an asking price of Tk 10,000. A ban on Hilsa catching and high import duty are probably going to make many stay away from the national fish this Pahela Baishakh. The photo was taken yesterday morning at Malibagh Bazar in the capital."
পহেলা বৈশাখের ইলিশ মাছে কি আলাদা কোন স্বাদ আছে যেটা অন্য কোন দিনে পাওয়াই যাবে না? পহেলা বৈশাখের ইলিশ মাছ পেটে না ঢুকলে কি বাংলাদেশী/বাঙ্গালি হওয়া যায় না?
সাপ্লাই-ডিমান্ড গ্যাপের কারনে ইলিশ মাছের মূল্য আকাশচুম্বী হলে আমাদের ইলিশ-উপাস করতে কি আত্মসন্মানে বাধেঁ? এই বর্ষ উদযাপনের উন্মাদনায় কারা লাভবান হচ্ছে? পকেটকাটার শিকার আমরা না অসাধু-সুযোগসন্ধানী আড়তদাররা? "ইন্নাললাহা লাআ ইয়ুহিব্বুল মুসরিফীন"-(নিশ্চয় আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালবাসেন না।)--আমরা মুসলিমরা এটি ভুলে যাই কেন?
শেষকথাঃ
না, না ভাই। কোন আপত্তি নাই। হাজার টাকার ইলিশ-বাঁশ খেয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে থাকেন আর ডুগডুগি বাজান। উৎসব-পাগল বাঙালিরা বোঝে শুধু ভোগ। তার ত্যাগের তালিকায় মুত্র, বীর্য আর বিষ্ঠা ছারা কিছুই নেই।
১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শেষকথায় খুব ভালো বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৯৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
দোদূল্যমান বলেছেন: Picture news with caption published by The Daily Star today (April 14, 2015):
"Two pairs of Hilsa with an asking price of Tk 10,000. A ban on Hilsa catching and high import duty are probably going to make many stay away from the national fish this Pahela Baishakh. The photo was taken yesterday morning at Malibagh Bazar in the capital."
পহেলা বৈশাখের ইলিশ মাছে কি আলাদা কোন স্বাদ আছে যেটা অন্য কোন দিনে পাওয়াই যাবে না? পহেলা বৈশাখের ইলিশ মাছ পেটে না ঢুকলে কি বাংলাদেশী/বাঙ্গালি হওয়া যায় না?
সাপ্লাই-ডিমান্ড গ্যাপের কারনে ইলিশ মাছের মূল্য আকাশচুম্বী হলে আমাদের ইলিশ-উপাস করতে কি আত্মসন্মানে বাধেঁ? এই বর্ষ উদযাপনের উন্মাদনায় কারা লাভবান হচ্ছে? পকেটকাটার শিকার আমারা না অসাধু-সুযোগসন্ধানী আড়তদাররা? "ইন্নাললাহা লাআ ইয়ুহিব্বুল মুসরিফীন"-(নিশ্চয় আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালবাসেন না।)--আমরা মুসলিমরা এটি ভুলে যাই কেন?
শেষকথাঃ না, না ভাই। কোন আপত্তি নাই। হাজার টাকার ইলিশ-বাঁশ খেয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে থাকেন আর ডুগডুগি বাজান। উৎসব-পাগল বাঙালিরা বোঝে শুধু ভোগ। তার ত্যাগের তালিকায় মুত্র, বীর্য আর বিষ্ঠা ছাড়া কিছুই নেই।
৯৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
তাসরুজ্জামান বাবু বলেছেন: আরে, আরে ! গতকাল এই প্রশ্নটি আমার মনে হঠাত করে উদয় হয়েছিল যে, পান্তা-ইলিশ সত্যিই বাঙালি সংস্কৃতি কি না। এই নিয়ে আমি একটি লেখা এই মাত্র পোস্ট দিলাম 'http://www.somewhereinblog.net/blog/tasrubabu/30030319'
আপনার লেখাটি পড়ে দেখি তার উত্তর পেয়ে গেলাম । এখন তো মনে হচ্ছে, এ নিয়ে আমার আর কিছু না লিখলেও হত !
১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বাবু ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন।
১০০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
ছটিক মাহমুদ বলেছেন: গ্রামে তখন ফ্রিজ ছিল না। সকালে আমার মা রুটি বানাতো (বেশির ভাগই কলাইয়ের রুটি) আর থাকতো পান্তা ভাত। যার যেটা ইচ্ছা খেত। আমি পান্তা ও রুটি দুটোই খেতাম। রাত্রে অবশিষ্ট ভাতে পানি দিলে ভাত নষ্ট হয় না। তাই পানি দিয়ে সকালের জন্য রেখে দেয়া হতো। এভাবেই পান্তার প্রচলন হয়েছে এ উপমহাদেশে। আজ রমনার বটমূলে যে ভাত পাওয়া যায় তা পানি মিশ্রিত ভাত। প্রকৃত পান্তা না। কারণ এখানে ভাত রান্নার পরপরই পানি দেয়া হয় এবং পরিবেশন করা হয়। বাঙালীর চিরায়িত পান্তা নয় নিশ্তিতভাবেই। এ এক বাণিজ্যিক পান্তা। আমি এখনও পান্তা খাই তবে ঘটা করে ১লা বৈশাখে নয়। ইলিশ আমার ফ্রিজে থাকে। আজ আমার স্ত্রী (আমার মতো) সকালে পরাটা বানিয়ে দিয়েছে আর দুপুরেরে জন্য ইলিশ-পোলা্ও। মেন্যুটা আমাদের আজকের তথাকথিত বাঙালীিপনার সাথে মিলে না। পোলাওয়ের সাথে ইলিশ রান্না হচ্ছে কারণ ইলিশ দিয়ে পোলাও আমাদের পছন্দ। বৈশাখ উপলক্ষে রান্না নয়। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি কি তাহলে বাঙলীি নই???
পুনচ্ছ: বৈশােখে আনন্দ-উৎসব আমার ভাল লাগে। আরো ভাল লাগে এজন্য যে এটা ধর্ম-বর্ণ-রাজনীতিহীন সকল মানুষের সার্বজনীন উৎসব।
১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ছটিক মাহমুদ। ইলিশ পোলাও আমারও খুব পছন্দ
১০১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৪
দুরন্ত বেদুঈন বলেছেন: আমার পোস্টের লিংক দেওয়ায় ধন্যবাদ
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ দুরন্ত বেদুঈন। শুভ নববর্ষ।
১০২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
এরশাদ বাদশা বলেছেন: একেবারে মেকি বাঙালীয়ানা দেখানো পাব্লিকদের প্যান্ট খোলা পোস্ট। স্যালুট ঠুকে দিলাম।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ এরশাদ বাদশা ভাই। আপনাকে যে কত বছর পর দেখলাম মনে নেই। ভালো থাকবেন। শুভ নববর্ষ।
১০৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০০
এ কে এম ওয়াছিয়ুন হালিম বলেছেন: বহুদিন পর একটা পোস্ট পড়ে প্রিত হলাম।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্ট খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। শুভ নববর্ষ।
১০৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৭
আজব গোয়েন্দা বলেছেন: পান্তার সাথে ইলিশ, শহুরে সংযোজন। আর শহুরে মানুষরাই এটাকে ফরজ বলে ধরে নেয়। তারা পান্তা ভাতও খায় শুধু ঐ দিনই। আমার গ্রাম বাংলায় এটা দেখা যায় না। আমার গ্রাম বাংলায় প্রতিদিনই প্রাণের উৎসব চলে, প্রতিদিনই বৈশাখ চলে, চলে বাংলার সংস্কৃতি। অধিকাংশ আবাল-বৃদ্ধ-যুবক-যুবতি-কিশোর-কিশোরী গ্রীষ্ম আসলেই প্রতিদিন১০ টার দিকের নাস্তার বদলে পুড়া মরিচ কিংবা পুড়া মরিচের চাটনি দিয়ে অথবা আলু দিয়ে রান্না করা শুটকির ঝুল দিয়ে নয়তো বা শাক আর কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তাভাত খায়। স্কুল কলেজের পড়ুয়া থেকে শুরু করে অধিকাংশ চাকরিজীবি ও কর্মঠ মানুষের কাজের শুরুটাই হয় এই পান্তা খেয়ে। বৈশাখে পান্তা যদি খেতেই হয় তাহলে পুড়া মরিচ/পুড়া মরিচের চাটনি/আলু দিয়ে শুটকির ঝুল/শাক আর কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তাভাত খাওয়া উচিত। কেননা এটাই গ্রাম বাংলার প্রকৃত সংস্কৃতি।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার সাথে একমত। সুন্দর বলেছেন। গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি মূলত এটাই। কিন্তু গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির নাম আমরা এখন কৃত্রিম একটা সংস্কৃতি শুরু করেছি যাকে অপসংস্কৃতি ছাড়া আর কিছু বলা যায় না।
১০৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৯
আজব গোয়েন্দা বলেছেন: পান্তার সাথে ইলিশ, শহুরে সংযোজন। আর শহুরে মানুষরাই এটাকে ফরজ বলে ধরে নেয়। তারা পান্তা ভাতও খায় শুধু ঐ দিনই।
আমার গ্রাম বাংলায় এটা দেখা যায় না। আমার গ্রাম বাংলায় প্রতিদিনই প্রাণের উৎসব চলে, প্রতিদিনই বৈশাখ চলে, চলে বাংলার সংস্কৃতি। অধিকাংশ আবাল-বৃদ্ধ-যুবক-যুবতি-কিশোর-কিশোরী গ্রীষ্ম আসলেই প্রতিদিন১০ টার দিকের নাস্তার বদলে পুড়া মরিচ কিংবা পুড়া মরিচের চাটনি দিয়ে অথবা আলু দিয়ে রান্না করা শুটকির ঝুল দিয়ে নয়তো বা শাক আর কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তাভাত খায়।
স্কুল কলেজের পড়ুয়া থেকে শুরু করে অধিকাংশ চাকরিজীবি ও কর্মঠ মানুষের কাজের শুরুটাই হয় এই পান্তা খেয়ে। বৈশাখে একদিনের বাঙ্গালীয়ানা যদি দেখাতেই হয় তাহলে পুড়া মরিচ/পুড়া মরিচের চাটনি/আলু দিয়ে শুটকির ঝুল/শাক আর কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তাভাত খাওয়া উচিত। কেননা এটাই গ্রাম বাংলার প্রকৃত সংস্কৃতি আর এটাই প্রকৃত বাঙ্গালীয়ানা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ নববর্ষ।
১০৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩২
আজব গোয়েন্দা বলেছেন: পান্তার সাথে ইলিশ, শহুরে সংযোজন। আর শহুরে মানুষরাই এটাকে ফরজ বলে ধরে নেয়। তারা পান্তা ভাতও খায় শুধু ঐ দিনই।
আমার গ্রাম বাংলায় এটা দেখা যায় না। আমার গ্রাম বাংলায় প্রতিদিনই প্রাণের উৎসব চলে, প্রতিদিনই বৈশাখ চলে, চলে বাংলার সংস্কৃতি। অধিকাংশ আবাল-বৃদ্ধ-যুবক-যুবতি-কিশোর-কিশোরী গ্রীষ্ম আসলেই প্রতিদিন১০ টার দিকের নাস্তার বদলে পুড়া মরিচ কিংবা পুড়া মরিচের চাটনি দিয়ে অথবা আলু দিয়ে রান্না করা শুটকির ঝুল দিয়ে নয়তো বা শাক আর কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তাভাত খায়।
স্কুল কলেজের পড়ুয়া থেকে শুরু করে অধিকাংশ চাকরিজীবি ও কর্মঠ মানুষের কাজের শুরুটাই হয় এই পান্তা খেয়ে। বৈশাখে একদিনের বাঙ্গালীয়ানা যদি দেখাতেই হয় তাহলে পুড়া মরিচ/পুড়া মরিচের চাটনি/আলু দিয়ে শুটকির ঝুল/শাক আর কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তাভাত খাওয়া উচিত। কেননা এটাই গ্রাম বাংলার প্রকৃত সংস্কৃতি আর এটাই প্রকৃত বাঙ্গালীয়ানা।
১০৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আহা, আলোচনা মিস করে গেছি! যাই হোক, পোষ্টের সাথে সহমত। উৎসব যেন সার্বজনীন থাকে, এইটেই প্রথম কথা।
২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার অংশগ্রহণে আলোচনা আরও প্রাণবন্ত হতো। মিস করেছি আপনাকে।
ভালো থাকবেন।
১০৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৪
আছিফুর রহমান বলেছেন: সময়উপযোগী পোস্ট, সচেতনতা তৈরি হচ্ছে
১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আছিফুর রহমান ভাই। শুভেচ্ছা।
১০৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর লেখাটির জন্য। ছোট বেলায় দই খই কলা মুড়ি চিনি ছিল পহেলা বৈশাখের খাবার। ইলিশ কখনও পহেলা বৈশাখের অন্তর্ভূক্ত ছিল না।
১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জুয়েল ভাই। শুভেচ্ছা।
১১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:০৩
সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: প্রশ্ন দিয়ে শুরুকরলাম সংস্কৃতি কি? বাঙ্গালি সংস্কৃতি কি? আ র সংস্কৃতি কি কোন নিরদ্রিস্ট প্রথা/পদ্ধতিতে মেনে সৃষ্টি হবে? যাইহোক,
এখানে ২টা বিষয় নিয়ে আলোচনা ১) পান্তা ২) ইলিশ
এই ২টাকে বিষয় কে যারা এক করে দেখছেন সেখানেই সমস্যা । পান্তা যতটা না গরিবের খাবার ততটায় বাঙ্গালীর খাবার আবার ইলিশের বেলায় ও একই ঘটনা । বাংলাদেশের ইলিশ মাছের বাতিক্রম কিছু ব্যাপার আছে মাছের স্বাদ, বেশিমাছ ধরা পড়ার কারন আরও আনেক কিছু..., সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য ইলিশ পাওয়া যতটা সহজ কিন্তু সকল বাঙ্গালিদের জন্য ততটা না। মন্তব্য সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করছি, কোন বাঙ্গালি যদি তার পসন্দের খাবার বছরের প্রথমদিনে রাখে তাতে কোন দোষ দেখিনা বরঞ্চ এই পহেলা বৈশাখ কে কেন্দ্র করে অনেক আপ/ভিন্নসংস্কৃতি আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে সেগুল খেয়াল করা দরকার।
১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপত্তিটা ওঠে তখনই যখন পান্তার সাথে ইলিশকে বাঙালি সংস্কৃতির অংশ বলে কেউ কেউ বিবেচনা করতে থাকেন। সেটা বিরক্তির চরমে পৌঁছে যখন কেউ বলে- ১লা বৈশাখে ইলিশ না খেলে কি চলে? ব্যবসায়িক কূটচাল থেকে এটা এখন মানুষের মগজে এমনভাবে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে যে, ১লা বৈশাখ মানেই পান্তার সাথে ইলিশ ভাজা খেতে হবে। অথচ বাংলার ইতিহাস বা ঐতিহ্যের সাথে পান্তা ভাতে ভাজা ইলিশ খাওয়ার কোনো যোগসূত্র নেই।
ধন্যবাদ।
১১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:০৮
তপ্ত সীসা বলেছেন: সহমত জানালাম।
১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ তপ্ত সীসা। শুভেচ্ছা।
১১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
জেগে আছি বলেছেন: পান্তা সবচেয়ে বেশি মজা পুটিমাছ ভাজা আর পোড়া মরিচ দিয়ে খেতে । এটা খেতে গেলে একটু বেশি নুন লাগে।
ভাল লেখার জন্য ধন্যবাদ
১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জেগে আছি। শুভেচ্ছা।
১১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
শায়মা বলেছেন:
ভাইয়া ইলিশ পোলাও ই ভালো তাইনা? পান্তা দিয়ে ইলিশ খুবই হাস্যকর।
মাছের রাজা ইলিশ সেটা ভাতের রাজা পোলাও দিয়েই ভালো হয়।
আর পান্তা ভালো পান্তাবুড়ির মত কাঁচা মরিচ পেয়াজ আর লবন দিয়ে।
১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একদম ঠিক। ইলিশ পোলাওটা--- ঐ যে গল্পটা
১১৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১৮
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামাণিক ভাই। শুভেচ্ছা।
১১৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১৯
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট
১১৬| ১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
বিদগ্ধ বলেছেন: //আমার ভালো লাগছে এটা দেখে যে, বর্তমানে, বিশেষ করে এ বছর ফেইসবুক ও ব্লগে, এমনকি কোনো কোনো টিভি চ্যানেলও এই ‘অপসংস্কৃতির’ বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। এজন্য ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব উল্লসিত। //
বিষয়টি আমারও ভালো লেগেছে।
আপনার সুপারিশের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি।
১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বিদগ্ধ। শুভেচ্ছা।
১১৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি বহুবার দেখেছি, পড়েছি। মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি। অনেককে পড়তেও বলেছি।
আশার কথা সংস্কৃতির নামে বাণিজ্যিক অপসংস্কৃতির কুফল নিয়ে আপনার মত কেউ কেউ ভাবছেন।
ধন্যবাদ...
২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সাইফ সিরাজ ভাই। ভালো থাকবেন।
১১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন সব সময়।
শুভ কামনা।
২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই। ইদ মুবারক।
১১৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভাইয়া আপনার অসাধারণ পোস্টখানি প্রিয়তে রাখলাম।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা কামাল ভাই।
১২০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আবার পড়লাম সেই নতুনের মত ই
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু আবার পড়ার জন্য। ১৩ এপ্রিল ২০১৬'র উত্তর ১৩ এপ্রিল ২০১৮-তে দিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
সুমাইয়া আলো বলেছেন: অনেক ভালো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে যে ইলিশ পান্তাভাত খাওয়ার রেওয়াজ এখন দেখা যায় তা নিয়ে আমার দিমত আছে।
এটা বিলাসিতা ছাড়া কিছুই না, যেখানে গরিব মানুষ হারহামেশা পান্তাভাত খায় সেখানে একটি দিন গরম ভাতে পানি ঢেলে পান্তা বানিয়ে খেয়ে কি অনুভূতি পাওয়া যাবে?
আরে ব্যাটা রাতের গলা ভাতে কিছুটা গন্ধ ছুটছে সেই ভাত খেয়ে দেখ তোর পান্তাভাত খাওয়ার বাসনা ছুটে যাবে।
আর সেখানে মানুষের সিলভার মাছ খাওয়ার সমর্থ নাই সেখানে ১৬০০/- টাকা কেজি ইলিশ মাছ কি ভাবে খাবে?