নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আফতাব আলি সাহেব এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিরণ মিয়া খুব ব্যথিত। সে আফতাব আলি সাহেবের অধীনস্থ একজন সাধারণ গ্রেডের কর্মচারি। বসের আকস্মিক দুর্ঘটনায় হাসপাতালে থেকে সে যথাসাধ্য সেবাশুশ্রূষা করছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে-বসে আফতাব আলি সাহেবের সময় কাটে, তাঁর নিঃসঙ্গ বার্ধক্যে কিরণ মিয়াই একমাত্র সেবাদাস হলেও অভিজাত বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা তেমনই, সচরাচর একজন নামডাকঅলা লেখকের যেমন হয়ে থাকে। বন্ধুরা এসে ফুলের তোড়া সমেত শুভেচ্ছা ও আশু রোগমুক্তি কামনা করেন। কিরণ মিয়া বসের পাশে ফুলের তোড়া গুছিয়ে সুসজ্জিত করে।
আফতাব আলি সাহেব একজন অতি নামকরা লেখক না হলেও উচ্চ শ্রেণীর পাঠকগণের কাছে তিনি সুনামের তুলনায় অনেক বেশি সমাদৃত। সুগভীর বাক্রীতি ও রচনাশৈলীতে সমৃদ্ধ তাঁর গ্রন্থসম্ভার; সর্বসাধারণকে এসবের মর্মোদ্ধারে প্রচুর বেগ পেতে হয়। এ নিয়ে তাঁর একটুখানি চাপা অহংকারও আছে। তবে, তাঁর লেখালেখি সম্পর্কে কেউ তাঁর সাথে আলাপ-আলোচনা করলে তিনি বেজায় সন্তুষ্ট হোন। তাঁর রচনার বিষয়বস্তু সর্বদাই দরিদ্র জনগোষ্ঠী, তাদের জীবনযাপন প্রণালি, সুখদুঃখ, ইত্যাদি। তিনি ‘গরীবের বন্ধু’ খ্যাতি-প্রত্যাশী; এই খ্যাতি তাঁর জুটেছেও বেশ।
আফতাব আলি সাহেব একজন নামকরা এবং দক্ষ কর্মকর্তাও বটে। তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে যতোদিন বেঁচে থাকবেন, দাপ্তরিক কর্মদক্ষতার জন্য কলিগদের মাঝে বরং আরো কিছুদিন বেশি বাঁচবেন।
অফিসে কাজের ফাঁকে, কিংবা কাজের মধ্যে আফতাব আলি সাহেবের সাথে কিরণ মিয়ার মাঝে মাঝেই দেখাসাক্ষাৎ ঘটে; কখনোবা ক্যান্টিনে একত্রে চা-নাস্তাও চলে। অধীনস্থদের সাথে ইন্টার-এ্যাকশনের একটা ভালো জায়গা এটা।
আফতাব আলি সাহেবের গল্প পড়ে স্বল্পবুদ্ধি কিরণ মিয়া খুব মুগ্ধ। চা খেতে খেতে সে তাঁর সর্বশেষ বইটির প্রসঙ্গ তোলে।
‘আপনার বইটি কিন্তু অসাধারণ হয়েছে, স্যার।’
আফতাব সাহেবের চোখমুখ উজ্জ্বল হয়। ‘আপনি পড়েছেন নাকি বইটা?’ তিনি জিজ্ঞাসা করেন।
‘আমি আপনার বইয়ের একজন নিয়মিত পাঠক, স্যার। প্রকাশ হবার সাথে সাথেই কিনে ফেলি।’ কিরণ মিয়া গর্বের সাথে বলে। আফতাব আলি সাহেব চমৎকৃত হোন। তাঁর নিজ অফিসের একজন কর্মচারি তাঁর বইয়ের নিয়মিত পাঠক, এটা তাঁর জন্য অনেক আনন্দের। কিরণ মিয়াকে তাঁর খুব ভালো লাগে।
একটু সুস্থ হয়ে উঠলে আফতাব আলি সাহেব পুরোদমে লিখতে শুরু করলেন। ডাক্তারগণের বিনীত নিষেধ উপেক্ষা করে তিনি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখতে থাকেন; লিখা হলে তাঁর ভক্ত এবং অনুগত ‘ভৃত্য’কে তা পড়তে দেন। কিরণ মিয়া গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ে, মুগ্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। প্রতিদানে বস তাকে ধন্যবাদসহ কৃতজ্ঞতা জানান, এবং কিরণ মিয়ার মতো একজন স্বল্প শিক্ষিত পাঠক তাঁর লেখার ‘মেসেজ’ অনুধাবনে সক্ষম হয় বলে তিনি তার বুদ্ধিমত্তা ও সাহিত্য-জ্ঞানের খুব তারিফ করেন। এতে কিরণ মিয়া উৎসাহিত বোধ করে।
কিরণ মিয়া এক সময় লক্ষ করে, বসের সাম্প্রতিক লেখাগুলো বের হয়ে আসছে তাঁর সদ্য দুর্ঘটনা-কবলিত সময়ের মধ্য থেকে, যেখানে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাঁর অগণিত শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি, তাঁর এই ঘোর দুর্বিপাকে যাঁরা তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের প্রতি। কিরণ মিয়া আশায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, বসের লেখায় তার নামটিও উঠে আসছে।
বস পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলেন। কিরণ মিয়া মর্মাহত হলো। হাসপাতাল ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন বস, তখনো নিবন্ধের কোনো সর্গে কিরণ মিয়ার সামান্যতম উপস্থিতিও দেখা যায় নি। হাসপাতাল ছাড়ার পূর্ব মুহূর্তে কিরণ মিয়ার চোখমুখ আরেকবার উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, যখন বস তাকে একটা আশার কথা শোনালেন।
‘মাসখানেকের মধ্যে আমার নতুন বইটি বের হতে যাচ্ছে।’
‘এ তো খুবই আনন্দের কথা, স্যার। কংগ্রাচুলেশন ইন এ্যাডভান্স।’
‘একজন মহান লোককে আমার বইটি উৎসর্গ করবো, যিনি আমাকে এই দুঃসময়ে অভূতপূর্ব সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন।’ আফতাব আলি সাহেব এ কথা বলতে বলতে সকৃতজ্ঞ চোখে কিরণ মিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলেন।
কে এই মহান লোকটি, কিরণ মিয়া তা সুনিশ্চিতভাবেই জানে। বসের প্রতি নিদারুণ অভিমান জমেছিল তার মনে। সে তাঁকে একটুখানি অকৃতজ্ঞও ভাবতে শুরু করেছিল। কিন্তু এখন তার নিজের কাছেই নিজেকে খুব ছোটো ও লোভী মনে হতে থাকলো। তিনি কত মহান, তার মতো এক ‘দরিদ্র’ অধীনস্থের নামে একটি বই তিনি উৎসর্গ করবেন, তাঁর মহত্ব অতুলনীয়।
বই প্রকাশের আগেই কিরণ মিয়াকে বদলির কারণে অন্যত্র চলে যেতে হয়। সে মনে মনে নিজেকে একজন বোদ্ধা পাঠক ভাবতে শুরু করে, বুদ্ধিমানও। সে ছোটোখাটো আড্ডাখানায় আফতাব আলি সাহেবের বইয়ের একটু-আধটু আলোচনা করে, তাঁর বই থেকে দু-একটা উদ্ধৃতি দিয়ে সামাজিক কিংবা বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তি পেশ করে, তখন উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ কিরণ মিয়ার জ্ঞানের গভীরতা ও বুদ্ধির পরিপক্বতা দেখে তাকে সমীহ করে বটে। তার প্রতি মানুষের এই সমীহ ও সদাশয় ভাব তাকে আরো অনুপ্রাণিত করে; সে ভাবে, নিশ্চয়ই সদাশয় আফতাব আলি সাহেব তাকে কখনো স্বল্পবুদ্ধি কর্মচারি ভেবে অবজ্ঞার চোখে দেখেন নি।
বছর খানেক পর কিরণ মিয়া জানতে পারে আফতাব আলি সাহেবের বইটি যথাসময়েই বের হয়েছে। তার মনে আবার অভিমান সঞ্চারিত হতে থাকে, তার নামে উৎসর্গীকৃত বইয়ের অন্তত একখানি কপি বুকপোস্ট করে বস তার কাছে পাঠিয়ে দিতে পারতেন।
শেষ পর্যন্ত কিরণ মিয়া বইটি পড়তে পারে। এটি বেশ বাজার পেয়েছে, আফতাব আলি সাহেবের যতটুকু নামডাক, সে তুলনায় বইটির বিক্রি বরং বেশিই হচ্ছে। সে বাজার থেকে বইটি কিনে এনেছিল।
হাসপাতালের যে ডাক্তার আফতাব আলি সাহেবকে বাঁচিয়ে তুলেছিলেন, বইটি তাঁকে উৎসর্গ করেছেন লেখক।
কিরণ মিয়ার খুবই মর্মাহত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা সে হয় নি। নিজের নির্বুদ্ধিতার জন্য আবারো সে নিজের কাছে অত্যন্ত লজ্জিত হয়েছিল। তার মতো একজন অখ্যাত ও নির্বুদ্ধি গোবেচারাকে একটি বই উৎসর্গ করবেন আফতাব আলি সাহেব কোন্ যুক্তিতে?
২৪ মার্চ ২০০৯
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছক্কা! অসাধারণ কমপ্লিমেন্ট। অনেক ধন্যবাদ কবি।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//তার মতো একজন অখ্যাত ও নির্বুদ্ধি গোবেচারাকে একটি বই উৎসর্গ করবেন আফতাব আলি সাহেব কোন্ যুক্তিতে?//
-একই প্রশ্ন আমারও!
লেখাটি ভালো লেগেছে। উদ্দেশ্য সফল হোক
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মাঈনউদ্দিন ভাই। শুভেচ্ছা।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বই উৎসর্গে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও জবাবদিহিতা থাকা উচিৎ
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। ভালো বলেছেন প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। মজা পেয়েছি
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পটা ভাল লেগেছে । শেষের টুইষ্টটা বেশ লেগেছে ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কলমের কালি।
৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
শামছুল ইসলাম বলেছেন: গল্পের বুননটায় একটুও ফাঁক নেই।
এক মুহুর্তের জন্যও মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটেনি।
গল্পের শেষে কিরণ মিয়ার আশা ভংগের যে কাহিনী বলেছেন, বাস্তবেও কিন্তু তাই ঘটে।
কঠিন বাস্তবতা সম্পন্ন সমাপ্তি!!!
শুভ কামনা।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৮
জসিম বলেছেন: কিরণ মিয়া চরিত্রটি আমার ভালো লেগেছে. কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে তার প্রতি আফতাব সাহেবের বই উৎসর্গ যথার্থই বটে.
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জসিম ভাই। ভালো থাকবেন।
৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
সুমন কর বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে একটু শান্তি পাওয়া যায়। এতো সাবলীল এবং সুন্দর করে লিখেন, বলে শেষ করা যাবে না।
আপনার এবং খেয়া ঘাটের লেখা সব সময় আলাদা।
গল্পের শেষটা একটু অনুভব করতে পারছিলাম। কিন্তু এমন বর্ণনা শুধু আপনিই দিতে পারেন।
ভালো থাকেন প্রিয় লেখক।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্টও সবসময় অনুপ্রেরণামূলক হয়ে থাকে। অনেক ইনস্পায়ার্ড হই। অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন ভাই। শুভেচ্ছা।
৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
সোমহেপি বলেছেন: এটাতো নতুন বোতলে পুরুনো মদ । পুরোটাই মনে আছে ।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা। ভালোই বলেছেন। আগের পোস্টটা খুঁজে পাচ্ছি না, কীভাবে যেন ডিলিট করে ফেলেছি। সে অনেক অনেক দিন আগের কথা
৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ফিনিশিং টা ভাল লেগেছে অনেক ।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কথাকথি কেথিকথন।
১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আহারেঃ টুইস্ট। টুইস্ট।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার।
১১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩০
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: আমি বেশ মজা পেলাম পড়ে। বাস্তবতা বড্ড কঠিন
ভাল থাকবেন ভাই
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ অর্বাচীন পথিক। শুভেচ্ছা।
১২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২২
আরইউ বলেছেন: আপনি এর চেয়ে শত গুন ভালো লিখতে পারেন, লিখেছেনও!
১০ এ ৫.৯
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আরইউ।
এই নিকে আবার কবে থেকে?
১৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
বা্স্তবতায় লেখক-পাঠকের দুরত্ব মননে আর স্মরণে ৷
নিজকে ভাঙ্গা-গড়া চলুক ৷
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর আলম ভাই। ভালো থাকবেন।
১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগল্
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যাদ ঢাকাবাসী।
১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫১
মহান অতন্দ্র বলেছেন: লেখাটা ভাল। আপনার লেখা বরাবর ভাল। আজও ভাল ছিল।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মহান অতন্দ্র। শুভেচ্ছা।
১৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
বলাকা মন বলেছেন: কিরনমিয়া চরিত্রটি অসাধারণ।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বলাকা মন। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
আবু শাকিল বলেছেন: চমৎকার এবং সুন্দর করে লিখেন ।
লেখায় আলাদা ভাল লাগা কাজ করে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই। ভালো থাকবেন।
১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: গতকাল পড়েছি লেখাটি। ভালো লাগার কথাটি বলা হয়নি। আজ বললাম।
ভালো লাগা ভাই। অনেক।
অামার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো লাগার কথাটি জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ কবি। শুভেচ্ছা।
১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১
অগ্নি সারথি বলেছেন: শেষটায় ভাললাগা জানিয়ে গেলাম। শুরুটা ও কিন্তু ভাল।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অগ্নি সারথি। শুভেচ্ছা।
২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
আলোরিকা বলেছেন: আহারে কিরণ মিয়া আশার ছলনে ভুলি ,বুঝিতে পারিল না উচ্চমার্গীয় উপলব্ধির দৌড় ! +++
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আলোরিকা। শুভেচ্ছা।
২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
Nuhas বলেছেন: অসাধারণ!!! আপনি সত্যিই একজন বড় মাপের লেখক। (y)
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নুহাশ। আমি কত বড় লেখক সেটা ফ্যাক্টর না, আমি যে আপনার কাছে অনেক বড়, এ অনুভূতি আমাকে অশেষ আনন্দ দিল। কৃতজ্ঞতা।
২২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬
জেন রসি বলেছেন: লেখক এবং পাঠকের অভিমানের গল্প চমৎকার লেগেছে। বিশেষ করে গল্পের শেষে কিরন মিয়ার নিজেকেই নিজের সান্ত্বনা দেওয়ার ব্যাপারটা গল্পকে আরো বৈচিত্র্যময় করেছে।
০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জেন রসি চমৎকার কমেন্টের জন্য।
২৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
মিরোরডডল বলেছেন: আফতাব আলিরা কিরণ মিয়াদের ব্যাবহার করে মাত্র ।
এ ধরণের মানুষেরা ধরেই নেয় তাঁরা যেন কোন গ্রহ থেকে আসা কোন রসগোল্লা , আর পিঁপড়ার মতন চারপাশের কিরণ মিয়ারা তাঁদেরকে শুধু করেই যাবে । আর তাঁরা সুবিধাবাদীর মতন সুবিধা নিয়ে যাবে ।
কিরণ মিয়ার মনে যে স্বপ্নটা বুনন করা সেটার জন্যও আফতাব আলিরা দায়ী ।
এতো বিজ্ঞ লোক আর এটা কি বোঝেন না একজন মানুষকে মিথ্যা হোপ দিচ্ছে ।
এভাবে হৃদয় ভাঙ্গার মধ্যেও এরা একধরণের ব্রুটাল আনন্দ পায় ।
ধুলো কে একটা রিকোয়েস্ট । সবাই জানে, ধুলো নিজেও জানে যে ধুলো খুব ভালো লেখে ।
এটা নিয়ে ধুলোর মধ্যে কখনও যেন কোন অহংকার না আসে ।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্টটা শুধু কমেন্টই না, একটা সুন্দর তাৎপর্যপূর্ণ পর্যালোচনাও।
হ্যাঁ, কিরণ মিয়ার মনে যে একটা প্রত্যাশার জন্ম হয়েছিল, তার জন্য আফতাব আলিই দায়ি, কিন্তু কিরণ মিয়া কারো উপর দোষ চাপায় নি, বরং নিজেকেই সে এজন্য দায়ঈ করেছে। এটা তার সারল্য ও মহত্ত্ব, উভয় গুণই প্রকাশ করে।
কমেন্টটা এ পোস্টের মর্যাদা বাড়িয়েছে। আমি মুগ্ধ। অনেক ধন্যবাদ মিরোরডডল।
২৪| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৮
মিরোরডডল বলেছেন: কিরণ মিয়ার সরলতা আমাকেও মুগ্ধ করেছে মায়াও লেগেছে কিন্তু একই সাথে রাগ হয় যেন কখনোই কিরণ মিয়ারা এভাবে আর সর্বস্ব দিয়ে আফতাব আলিদের না করে, এভাবে কষ্ট না পায় ।
মিরোরডডল ?? নো মোর ডল অর ডুলু ?
সব আদর শেষ ?
হা হা হা ......
০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর কথাটার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ডুলু, আমি জানতে চাইছিলাম মিরোরডডল নিক রাখার পেছনে কি কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড আছে? অর্থ কী? প্রতিফলিত পুতুল বলতে কী বোঝায়?
২৫| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৭
মিরোরডডল বলেছেন: আক্ষরিক অর্থে প্রতিফলিত পুতুলই বোঝায় । রাশান পুতুল ।
এটা আমার অনেকি পুরনো একটা নিক ২০০৬ থেকে ।
Not this site but somewhere else.
একটা পেইন্টিং ছিল মিরোরডডল আমার অনেকি প্রিয় ।
আমি অন্যের মাঝে নিজের রিফ্লেকশন দেখতে পছন্দ করি ।
অন্যের মধ্যে দিয়ে নিজেকে জানা বা বোঝার চেষ্টা করি ।
মনে হয়েছিল এই নিকটা আমার সাথে যায় ।
সেই তখন থেকেই নেয়া ।
আর ওই যে বললাম MirroredDoll something I love।
০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নামকরণের পটভূমি জানানোর জন্য।
২৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
মিরোরডডল বলেছেন:
এতো বছর পর !!!
০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: না, বেশিদিন হয় নি তো!
২৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
তাইতো বেশীদিন কোথায় । মাত্র চার মাস
ধুলোকে একটা কথা বলবো ?
আমি দেখেছি ধুলো তার অনেক পুরনো পোষ্টে চার অথবা পাঁচ বছর পর গিয়ে রিপ্লাই করেছে ।
এই রিপ্লাই করা আর না করা সমান । কারণ ওগুলোর কোনও নোটিফিকেশন হবেনা । তারা কখনোই সেই রিপ্লাই পড়বে না । অথচ তারা অনেকেই অনেক সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করেছিল । সো, রিসেন্ট লাস্ট ২/৩ ইয়ারস যেগুলো করা হয়নি, মাস্ট চেক এন্ড রিপ্লাই, দে মে গেট নোটিফিকেশন ।
I know you may think not necessarily always have to reply but at least saying a word means you read their comment.
You are not mad at me as I said so, are you?
০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বেশিরভাগ সময়ই সাথে সাথেই কমেন্ট দেখা হয়, কিন্তু রিপ্লাই করা হয় পরে। আবার, ব্লগিং করার উদ্দেশ্যেই যখন বসে থাকি, তখন সাথে সাথেই কমেন্ট পড়ে রিপ্লাই দিয়ে থাকি। বিপত্তি ঘটে, ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় দেরি করে ব্লগে আসি, তখন পুরোনো কমেন্টের কথা ভুলে যাই, যা অনুচিত, এবং যথারীতি রিপ্লাই দিতেও ভুলে যাই।
অনেক সময় পুরোনো পোস্টের কোনো নোটিফিকেশন পাই না।
কোনো কারণে আগের পোস্টগুলো ওপেন করলে সেখানে আনরিপ্লাইড কমেন্ট থাকলে সেটার উত্তর দেয়া হয়।
'I know you may think not necessarily always have to reply.' এটা আমি কখনো ভাবি না। রিপ্লাই অবশ্যই দিতে হবে।
২৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
I said you may think...
এখানে ইউ বলতে নট এক্সাক্টলি ইউ, ওয়ান মে থিঙ্ক বোঝানো হচ্ছে ।
আমি জানি ধুলো ওরকম ভাবে না ।
উপদেশ দিলাম বলে ধুলো আবার মাইন্ড করেনিতো !!!
অনেকে মাইন্ড করে কেউ এডভাইস করলে ।
ধুলোকে যদিও ওরকম মনে হয়না ।
০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সব কথার মানে খোঁজো না, কিছু কথা বলার জন্য বলি
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৩
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কোথা থেকে ঘুরিয়ে এনে কোথায় মারলেন ! ছক্কা!! লেখাটা মনে ধরছে। চিকোন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। হেহেহে।