|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
	দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
'ক'-তে তসলিমা নাসরিন খুব করুণ একটা স্মৃতিচারণ করেছেন বইমেলায় তাঁর প্রথম বই সম্পর্কে। ক'শ বই বিক্রি হয়েছিল, কারো কি মনে আছে? বা জানেন? প্লিজ মনে করতে থাকুন।
বইমেলায় নিজের বই বিক্রি হওয়া নিয়ে হা-হুতাশ করা বোকামি। বাংলাদেশে বই বিক্রির হার কোনোদিনই আশাব্যঞ্জক ছিল না; একটা গোপন ও র্যান্ডম সার্ভে করে দেখুন- আপনার পরিচিত প্রতি ১০জন লোক গত এক বছরে একেক জনে ক'টি করে বই পড়েছেন। দয়া করে অবাক হবেন না, চিত্রটা এরকমই। প্রমথ চৌধুরী, সৈয়দ মুজতবা আলী, প্রমুখ মহারথীদের শতাব্দী থেকেই বাংলাদেশে বই পড়া ও বই কেনার হালচিত্র এরকম।  
আমি যখনই মনে করবো আমি একজন চ্যাম্পিয়ন লেখক বনে গেছি, সেদিন থেকেই আমার লেখার মান থমকে যাবে না শুধু, তা ডিক্লাইন করা শুরু করবে। বিনয় কী জিনিস, আমরা তা সহজেই ভুলে যাই। আমাদের মধ্যে খুব দ্রুত উবে যায় কৃতজ্ঞতাবোধ; কৃতজ্ঞতা কাকে বলে আমরা জানি না।
আমার কথাবার্তায় যখন ম্যাচিউরিটির বদলে চ্যাম্পিয়নগিরি প্রকাশ পাবে, তখন থেকেই আমি গুণী ও সিনিয়রদের স্নেহ ও ভালোবাসা এবং সান্নিধ্যবোধ হারাতে থাকবো।
বুকস্টলের সামনে দাঁড়িয়ে বন্ধু বা পরিচিত জনদের এ কথাটা বলতে আমার লজ্জা করা উচিত যে আমার একটা বই বেরিয়েছে। কিন্তু আমি ভাব দেখাই, আমি খুব বড় লেখক বনে গেছি। আমার কথায় পাকামি, ব্লগ ও ফেইসবুকে স্টেটাস লেখার সময় ভাবি না আমার ইঁচড়ে পাকামি প্রকাশ পাচ্ছে, গুণীরা দেখেন কীভাবে ধীরে  ধীরে আমি প্রচারসর্বস্ব লেখক হয়ে যাচ্ছি, কোয়ালিটি রাইটার নয়।
আমার পাঠক ও ফ্রেন্ডলিস্ট বন্ধুদের আগে কিছু মধুর শব্দ যোগ করতে হবে : সহৃদয়, সুপ্রিয়, প্রিয়। সম্বোধন করে বলুন- 'সহৃয় পাঠকবন্ধুরা ...।' আপনার লেখায় সমাজচিত্র নেই, কিন্তু কথায় কথায় আপনি 'সমাজ'-এর উল্লেখ করেন- আপনার লেখা পড়ছি অনেক বছর ধরে, আপনি আদৌ এমন কোনো লেখক হয়ে ওঠেন নি, যিনি গুণগত মান অর্জন করতে পেরেছেন। 
কিছু 'প্রসিদ্ধ' লেখকের মুখবন্ধ আমার বইয়ের ফ্ল্যাপে যুক্ত করে দিলেই আমি প্রসিদ্ধ হয়ে গেলাম না। আমার প্রসিদ্ধির ভিত্তি আমার লেখা। 
'লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।' বহু প্রাচীন কথা। অথচ আমি সবসময় নিজেকে খুব 'বড়', 'প্রবীণ' মনে করছি; কিন্তু আমার বয়স আর লেখা এখনো নবীন, ইম্ম্যাচিউর। আমার লেখা শত শত নবীন লেখকদের কাতার থেকে সামান্য উপরে ওঠে নি। হুট করে দেশখ্যাত হতে চাওয়া খুব বেশি হয়ে যায়। লেখালেখি পেশা হিসাবে নেয়ার মতো ট্যালেন্টেড নবীন-প্রবীণ কোনো লেখক বর্তমানে বাংলাদেশে নেই; এই কালচার বাংলাদেশে গড়ে ওঠে নি; আমাদের পড়ার অভ্যাস না থাকার কারণে।
আপনার বই যদি পুরো বইমেলা জুড়ে ১০ কপি বিক্রি হয়, এটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। লেখক হিসাবে এখনো নাক টিপলে আপনার জন্মদুধ বের হয়, কিন্তু আপনি হুমায়ূন আহমেদ বা মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ছুঁতে চাইছেন, এটা একটা আকাশছোঁয়া ইচ্ছে। প্রতিদিন বইমেলায় এসে ভাববেন আপনার বইয়ের শত শত কপি বিক্রি হবে, এটা মাছমাংস বা শাকসবজি, চালডাল না, যার ডালা সাজিয়ে বাজারের শুরুতে বেচতে বসেছেন, বাজার শেষে বিক্রি শেষ করে ঘরসংসারের চালডালতরকারি কিনে বাসায় ফিরবেন। আপনি একজন লেখক এবং লেখকরা মহৎ হবেন, এটা মনে রাখুন। এটা মনে না রাখলে আপনি সেই তথাকথিত 'সস্তা বাজারি লেখক।' কিন্তু সস্তা বাজারি লেখক হতেও আপনার অনেক সময় লাগবে।
আমরা লেখক হিসাবে দ্রুত খ্যাতি অর্জনের জন্য অনেক সহজ ও চতুর পন্থা অবলম্বন করি। আপনাকে অয়েলিং করে আপনার ছত্রছায়ায় আপনার দৈনিকে একটা সাময়িক এক্সপোজার পাব। কিন্তু আপনি দেখছেন, আমি ফাঁপা। বাকিরা চোখে আঙুল দিয়ে আমাকে দেখাচ্ছেন, আমি কী চালাকি করে তরতর করে উপরে যাবার রাস্তা খুঁজে বেড়াচ্ছি।  
পুশ সেল না করলে যাঁরা আমার বই কিনবেন, তাঁরা আমার প্রকৃত পাঠক, প্রকৃত ক্রেতা ও আন্তরিক বন্ধু।
বইমেলায় গিয়ে তিনি স্টলের সামনে ঘোরাঘুরি করতেন, বুকশেলফের যে জায়গায় আগের দিন তিনি নিজের বইটা দেখে গিয়েছিলেন, সেদিকে তাকাতেন না ভয়ে, যদি দেখেন কেউ তাঁর বইটা ধরেন নি, হাতে নিয়ে নাড়েন নি, এমনকি প্রকাশকও বইটার ধুলো ঝেড়ে সরিয়ে রাখেন নি। এটা তাঁকে খুব কষ্ট দিবে। প্রথম বইমেলায় সর্বসাকুল্যে তাঁর একখানা বই বিক্রি হয়েছিল। নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, এ গল্প তসলিমা নাসরিনের।
যাঁরা নিজে বড় হওয়ার জন্য বাংলার যুগশ্রষ্ঠাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলছেন, তা আপনাদের লেখা পড়লেই বোঝা যায়। মাইকেল, রবীন্দ্র, নজরুল, জসীম কোনোদিন কি বলেছেন- আমিই যুগের সেরা লেখক? এটা পাঠকের সৃষ্টি। পাঠকের মনের ভিতর যেতে হবে নিজের লেখার মান দিয়ে, কাউকে ঠেলে ফেলে নয়।
আমার প্রথম বই 'স্খলন' ২০০৩ সালের বইমেলায় ৫০০ কপি ছাপা হয়, ১০ কপির মতো বিক্রি হয়, ৪০০ কপির উপরে সৌজন্য কপি বিলি করি  
  
  বাংলাদেশের প্রায় সব পাবলিক ও পরিচিত বড় লাইব্রেরিতে কুরিয়ার করে সৌজন্য কপি পাঠিয়েছি; কলিগ ও বন্ধুদের পাঠিয়েছি।
 বাংলাদেশের প্রায় সব পাবলিক ও পরিচিত বড় লাইব্রেরিতে কুরিয়ার করে সৌজন্য কপি পাঠিয়েছি; কলিগ ও বন্ধুদের পাঠিয়েছি। 
ছাত্রজীবনে আমার অকল্পনীয় অর্থকষ্ট ছিল, তাই কিনে বই পড়তে পারি নি। আমার ক্লাসমেট খবির আর জাহিদ আমাকে বই দিত; ওরা আমার লেখার সমঝদার ছিল। শফিক স্যার আমাকে লেখার জন্য খুব উৎসাহ দিতেন। উৎসাহ দিত ক্লাসমেট করিম আর শাহজাহান। করিম আমার কবিতার এতই অনুরাগী ছিল যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও আমার কবিতা আবৃত্তি করতো। ওর আবৃত্তি খুব ভালো। ও পড়েছে অনেক অনেক বেশি। বই বেচে টাকা কামাবো, এটা আমি তখন বা এখনো ভাবি না। আল্লাহ আমাকে টাকা কামাবার বৈধ বড় উৎস দিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে নিজের ১০টা বই ও ১৫টি সংখ্যা 'সবুজ অঙ্গন' লিটল ম্যাগাজিন ছেপেছি, নিজের টাকায় সৌজন্য সংখ্যা কুরিয়ার করেছি। 
এত কিছুর পরও খবির, করিম, জাহিদ আর শাহজাহানের ঋণ কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। একজন মহৎ লেখক হওয়ার চেয়ে ওদের মাহাত্ম্য অনেক গুণ বেশি। আমি যাঁদের কাছে ঋণী তাঁদের ঋণ কখনো শোধ করবো না; এই ঋণ আমাকে সারাজীবন 'বিনয়ী' করে রাখবে। মানুষের ঋণ স্বীকারের নাম কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা প্রকাশে আমি সুখ পাই।
আমার খুব চোখলজ্জা ছিল, কারো সামনে এটা বলা যে একুশে বইমেলায় আমার একটা বই বেরিয়েছে। 
আপনি কি লেখককে চিনেন? তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন তাঁর বইয়ের ব্যাপারে। তাঁর বইয়ের অন্তত একটা কপি কিনুন। ১৩০ টাকার বইয়ের মূল্য হলে লেখকের পকেটে ১৫০ টাকা গুঁজে দিন- এমনভাবে যাতে লেখক বিব্রত না হোন। আপনি হয়ত জানেন না, ৫ ফর্মার (১ ফর্মা = ১৬ পৃষ্ঠা) ৩০০ কপি নতুন বই ছাপবার জন্য একজন নতুন নবীন লেখককে প্রকাশকের পকেটে দিতে হয়েছে কমপক্ষে ৩৫ হাজার টাকা; আমাদের প্রকাশকরা সত্যিই খুব নির্দয়; তাঁরা প্রতি ফর্মায় ৭ হাজার টাকা করে নিবেন বই ছাপাবার জন্য (৩০০ কপিতে); বই বিক্রির সমুদয় টাকাও নিজের পকেটেই রাখবেন; এ টাকার রয়েলটি লেখককে হস্তান্তরের কথা তাঁরা ভুলে যাবেন বইমেলার নানাবিধ ব্যস্ততার কারণে। বুকস্টলের সামনে গিয়ে লেখকের একটা 'সৌজন্য কপি'র জন্য হা করে বিটকেলে হাসি হাসতে থাকবেন, জানেন না আয়নায় সেই প্রতিবিম্ব কতটা জঘন্য দেখায়।  
সারা বছর জুড়ে আমাদের সৃজনশীল বইয়ের বাজার খুব খারাপ। প্রকাশকরা বই বিক্রি করে সারাবছরের মূলধন তোলেন নবীন লেখকদের বই প্রকাশ করে তাঁদের কাছ থেকে ছাপাখরচ তুলে ও তাঁদের বইয়ের বিক্রিলব্ধ টাকাও নিজেদের কাছে রেখে দিয়ে। নামিদামি লেখকদের বই ছাপতে হয় প্রকাশকদের নিজেদের টাকায়, সেই লেখকদের রয়েলটি দিতে হয়; তাঁদের রয়েছে জীবিকা নির্বাহ। এই টাকা আসে মূলত নবীন লেখকদের পকেট থেকে, আর তাঁদের বই বিক্রি করা অর্থ থেকে। সব প্রকাশনির অবস্থা যে এমন তা নয়, বড় বড় প্রকাশকরা মূলধন ও সম্মানে এমনিতেই শীর্ষে অবস্থান করছেন।
যে-সব লেখক বুক ফুলিয়ে বলেন, আমি নিজের খরচে বই ছাপি না, তাঁদের বেশিরভাগই অসত্য কথা বলেন। অনেক লেখক নিজেদের দাম বাড়ানোর জন্য এ ধরনের কথা বলে থাকেন। গোপনে খোঁজ নিয়ে দেখুন, তাঁরা কত আগে থেকে কিস্তিতে বইয়ের ছাপাখরচ প্রকাশককে পরিশোধ করে আসছেন। প্রকাশককে যদি বইয়ের ছাপাখরচ না দেন, প্রকাশনা-শিল্প ধংস হয়ে যাবে। সবসময় সবার সামনে অর্থহীন বড়াই করা উচিত নয়, বাস্তবতা ঢাকা পড়ে থাকে।
অনেকে খুব তেজ দেখিয়ে বলেন, আমি নিজের খরচে বই ছাপতে যাব কেন, আমি পত্রিকায় লিখেই লেখক হয়েছি। বর্তমানে দেশে-বিদেশে পত্রপত্রিকার অভাব নেই। আপনি সেখানে লেখা পাঠিয়ে ঘুমোতে থাকলে ভাগ্য খুব ভালো থাকলে মৃত্যুর আগে সেটি প্রকাশিত হতে পারে। সেটি প্রকাশিত হবার জন্য পত্রিকাঅলাদের সাথে আপনাকে নিরন্তর যোগাযোগ করতে হবে; তাঁদের তোষণ বা তৈলমর্দন করতে হবে। এর অর্থ হলো, পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হওয়ার অর্থ এই নয় যা সম্পাদক মহোদয় লেখার গুণে মনোনীত করেছেন; ওটি মনোনীত হয়েছে আপনার যোগাযোগ আর মর্দনের ফলে।
যাঁদের বই বের হচ্ছে, তাঁরা কমবেশি সবাই পত্রিকায় লিখেই লেখক হয়েছেন। দেশে এঁদের সংখ্যা অনেক। কিছু লেখক শৌখিন, যাঁরা পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন ও কলিগদের জন্য বই ছাপেন। তাঁরা কোনো পত্রিকায় নাও লিখে থাকতে পারেন, কিংবা স্কুলকলেজ-ইউভার্সিটি বা নিজস্ব সংগঠনের বার্ষিক ম্যাগাজিনে দু-চারটি লেখা ছাপা হয়ে থাকতে পারে।  তাঁরা নিজেদের অর্থ 'অপচয়' করে, প্রচুর সাজসজ্জা করে নিজেদের 'লেখকত্ব' প্রচার করেন। তাঁদের প্রচারের সীমানাও সীমিত। আপনি যদি জীবনে অনেকগুলো বই প্রকাশ করতে চান, আপনাকে ধীরে ধীরে ছাপাখরচ সঞ্চয় করতে হবে।
আপনি পত্রিকায় লিখেই লেখক হয়েছেন, এ পুঁজিকে সম্বল করে প্রকাশকের খরচে বই ছাপবার আশায় বসে থাকলে আপনার আশা কোনোদিন হয়ত পূরণই হবে না। দেশে এ রকম পুঁজিবাদীদের ইয়ত্তা নেই। 
যে-সব প্রকাশক আপনার কাছ থেকে ছাপাখরচ না নিয়ে বই ছেপে দিচ্ছেন বলে আপনি সবাইকে দাপটে বলে বেড়াচ্ছেন, সেই 'গুজবে' কিছু তথ্যঘাটতি থাকতে পারে, যা হয় আপনি অথবা স্বয়ং প্রকাশক গোপন করে যাচ্ছেন। 
আপনার লেখকবন্ধু আপনাকে দেখে চটজলদি ব্যাগ হতে বই বের করে একটা সৌজন্য কপি দিলেন। আপনি তাঁর কাছ থেকে চেয়ে আরো কয়েকটি কপি নিন। তারপর জোর করে তাঁর পকেটে বইয়ের দাম গুঁজে দিন। মনে রাখবেন, মুহম্মদ জাফর ইকবাল কোনোদিন বই নিয়ে আপনার সামনে দাঁড়াবেন না। আপনার অফিসেও আসবেন না। আমার জানা নেই, তাঁদেরও হয়ত এমন দিন অতীতে ছিল।
নিজের বই নিয়ে নিজেই বাণিজ্যে নামা হলো নির্লজ্জতা।
আপনি লেখক হয়ে থাকলে নিজের লজ্জাবোধ জাগ্রত করুন। পুশ সেল হলো নিকৃষ্টতম অভদ্রতা। ফুটপাতের ক্যানভাসারের মতো বুকস্টলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের বই ক্যানভাস করা থেকে বিরত থাকুন। আপনি তো ভিখারি বা বেহায়া নন, তাই না?
এখন আমি একটু পাকামো করে বলি- যারা গল্প-উপন্যাসে বর্তমানে বাংলা সাহিত্যে জীবন্ত কিংবদন্তি, আমি মনে করি তাঁদের লেখার চেয়ে আমার লেখা কোনো অংশে কম নয়, আর যেসব কনটেম্পোরারি  ও জুনিয়র রাইটার পাকনামি করে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের ধরে ধরে আরো ১৫ বছর যে গল্প-উপন্যাস শেখাতে পারবো, তা তাঁরা ভুলে গেছেন। তাঁরা অকৃতজ্ঞ ও অবিনয়ী। এটা আমি আরো ১৫ বছর পরই বলতে পারতাম, কিন্তু  আমি এখন জীবনকে টানছি, এখন এটা না বললে তাঁরা নিজের ভুল বুঝতে পারবেন না। তাঁরা বড়ও হতে পারবেন না। আমি তাঁদের শুভাকাঙ্ক্ষী।
'নিন্দুকেরে মন্দ বলি সবার চেয়ে বেশি'। রবীন্দ্রনাথ থেকে ধার করে আমার রচনা। আমি আমার লেখার একটা শব্দের সমালোচনা সহ্য করতে পারি না, দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে ব্লগে দেখে আসছি, তার আগে আমার ক্ষুদ্র 'সবুজ অঙ্গনে' দেখেছি ৬ বছর। 
আপনার ইনবক্স মেসেজ বা কমেন্টে আমার রিসপনস পড়েই কিন্তু আপনি বুঝে নিচ্ছেন আপনার সমালোচনা আমি আশা করি নি। আমার লেখার ভূরি ভূরি প্রশংসা করবেন, আমার আশা ছিল এটাই। এটাই আমার পণ্ডিতগিরি, কিন্তু পাণ্ডিত্য নয়। আমাকে টোকা দেয়া আপনার উদ্দেশ্য ছিল, আমি বুঝতে পারি নি। আমি ভালো ও মহৎ লেখক তো নইই, কতখানি বেয়াদব তা নাড়ি টিপে জেনে নিলেন।
আপনি আমার লেখার প্রশংসা করেছেন, এর অর্থ এই নয় যে আমি আপনার চেয়ে বড় লেখক হয়ে গেছি। এর অর্থ আপনি আমাকে স্নেহ বা সম্মান করছেন। বড় ছোটো পাঠকের বিচার।
হুট করে একটা লেখার লিংক কমেন্ট বক্স, ইনবক্স বা ভাইবারে পাঠানো হলো অভদ্রতা। লিংক দেয়ার আগে একটা প্রিলিউড দিন কী পাঠাচ্ছেন। একই জিনিস দ্বিতীয়বার পাঠানো হলো চরম অভদ্রতা।
কনটেম্পোরারি বা সিনিয়রদের ঘন ঘন ট্যাগ করা অনুচিত। এটা বিড়ম্বনা। আমি ভালো লেখক হলে এটাতে সিনিয়ররা এমনিতেই লাইক ও কমেন্ট করবেন। পলিটিক্যাল ও সেক্স ইস্যু ট্যাগ করার আগে ভাবুন, কাকে কী ট্যাগ করছেন। 
যাঁকে এত ঘন ঘন ট্যাগ করছেন, তাঁর কটি লেখায় আপনি কমেন্ট করেন? ফেইসবুক হলো গিভ এড টেইক-এর দুনিয়া।
আপনার স্টেটাসে কারা কমেন্ট ও লাইক করছেন, তাঁদের প্রোফাইলটা দেখে নিন। তাঁরা বয়স বা যোগ্যতায় আপনার সিনিয়র হতে পারেন। আপনার কথায় আপনার ফেইসবুক ফ্রেন্ড মর্মাহত হতে পারেন কিনা কিছু লেখার আগে ভাবুন। এসব ভাবাভাবি করতে গেলে লেখার সময় হারাবেন- এসব যদি ভাবেন তাহলে দেশসেরা লেখক হয়ত হবেন, কিন্তু মহৎ ব্যক্তি হবেন না। আপনাকে আমি ছুঁড়ে ফেললাম ডাস্টবিনে।
আমরা খুব স্বার্থপর ও চতুর। যিনি পত্রিকার সম্পাদক, যিনি আমার লেখা ছাপবেন, দেখবেন, আমরা ফেইসবুকে তার পোস্টে নিয়মিত লাইক, কমেন্ট করছি; তাঁকে প্রশংসা করে স্টেটাস দিচ্ছি। আমাদের মূল্য তাঁর কাছে বিকিয়ে দিলে আমার লোকসান নেই। এদের আমি কুৎসিতমনা মনে করি।
সবার আগে আপনাকে ভালো ব্যক্তিত্ব হতে হবে। আপনার লেখা যত ভালোই হোক, যখন জানতে পারবো মানুষ হিসাবে আপনি লম্পট, ভণ্ড, নিকৃষ্ট, আপনার লেখালেখি আমি ত্যাগ করবো। ত্যাগ করবো আপনাকেও।
আমি পাণ্ডিত্য ও চ্যাম্পিয়নশিপের অনুগত; যাঁরা পণ্ডিতগিরি ও চ্যাম্পিয়নগিরি (সমর্থন) করেন, মনে করেন- এমন গল্প বা কবিতা লিখে ফেলেছেন যা বোঝার সাধ্য কারো নেই, আমার কাছে তাঁরা সর্বদা পরিত্যাজ্য।
আপনি যে কবিতা লিখলেন, তার মর্মোদ্ধার করতে কয়েকজন গবেষক বসে গেলেন। মর্মমূলে দেখা গেলো তা মূলত কিছু সাংকেতিক শব্দের গাঁথুনি, মহৎ কিছু নেই, এই লেখা আর 'আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে'র মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই; দুটোই সারবত্তাহীন। লেখা হোক প্রাঞ্জল, সরস। তার গভীরের মহৎ নির্যাসই মানবকল্যাণে কাজে লাগবে।
যাঁরা বলেন, ব্লগ ও ফেইসবুক ছেড়ে খুব সুখে আছেন, আর এ নিয়ে জ্ঞানগর্ভ পোস্ট দিচ্ছেন, তাঁরা আসলে ব্লগ বা ফেইসবুক ছাড়তে পারেন নি, অনলাইন জগৎ আপনাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। যেদিন অনলাইন লাইফ ছাড়তে পারবেন, সেদিন এসব অর্থহীন পোস্ট না লিখে ছেলেমেয়ে, আত্মীয়স্বজন নিয়ে সুখী অফলাইন জীবন কাটাতে থাকবেন।
মাঝে মাঝে কিছু কড়া কথা শুনতে হয় নিজের বিবেককে জাগ্রত করার জন্য। 
সবাই ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা সবাইকে।
এ লেখাটি যাঁরা শুধু নিজের অবস্থান থেকে পড়লেন, তাঁরা দয়া করে অপরের অবস্থান এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকেও পড়ার অনুরোধ করছি।
 ৬৩ টি
    	৬৩ টি    	 +১৬/-০
    	+১৬/-০  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৪৮
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় চাঁদ্গাজী, বই কেনা, বই পড়া, বই প্রকাশ- দুটোই চলবে। অহঙ্কার করার মতো অর্জন ছাড়াই অহঙ্কার প্রদর্শন হলো নিকৃষ্ট গূণ। একজন লেখককে বিনম্র হতে হবে যে কোনো অবস্থায়।
শুভেচ্ছা।
২|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:৫০
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:৫০
পলাশমিঞা বলেছেন: মর্মমূলে দেখা গেলো তা মূলত কিছু সাংকেতিক শব্দের গাঁথুনি, মহৎ কিছু নেই, এই লেখা আর 'আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে'র মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই; দুটোই সারবত্তাহীন।  
এই বিষয় বুঝাতে চাইলে অনেকে বকা দেবে। আমার কপালে তো খড়ম পড়বে।
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৪৯
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আব্দুলহক ভাই। ভালো আছেন তো?
শুভেচ্ছা।
৩|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:৫৯
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:৫৯
পুলহ বলেছেন: "মাঝে মাঝে কিছু কড়া কথা শুনতে হয় নিজের বিবেককে জাগ্রত করার জন্য। "-- এটাই সম্ভবত পুরো লেখাটার নির্যাস।
সব কথার সাথে একমত হতে না পারলেও আপনি নিশ্চই ভালো ইন্টেনশন থেকেই পুরো লেখাটা লিখেছেন।
পোস্ট প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম, বড় না হওয়া সত্বেও যদি কখনো মনে হয় বড় হয়ে গেছি, এবং সেটা নিয়ে অহংকারে ভুগতে থাকি, তখন আপনার এই পোস্টটা কাজে লাগবে।
আপনার জন্যও শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন সবসময় !
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৫১
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্ট দেখে কিছু অংশ যোগ করেছিঃ 
এ লেখাটি যাঁরা শুধু নিজের অবস্থান থেকে পড়লেন, তাঁরা দয়া করে অপরের অবস্থান এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকেও পড়ার অনুরোধ করছি।
৪|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:০১
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই  , 
বইমেলায় নিজের বই বিক্রি হওয়া নিয়ে লিখেছেন । ব্যাপারটাকে যদি এভাবে দেখি , আমি একজন নবীন লেখক, সবেমাত্র একটি বা দু'টি বই প্রকাশ করতে পেরেছি ( নিজখরচ বা অন্য উপায়ে ) বই মেলার জন্যে । আমি নবাগত বা হয়তো সামান্য পুরোনো । আমাকে কে চিনবে ?  আমাকে পাঠক জানবে কি করে ? কেমন লিখি আমি তা বুঝবে কি করে ? আমাকে কারো চেনার কথা নয়, জানার কথা নয় , বোঝার কথা তো আরও দূরে ।  তাহলে কি হবে ? আমি যদি  বুকস্টলের সামনে দাঁড়িয়ে বন্ধু বা পরিচিত জনদের এ কথাটা বলি,  "আমার একটা বই বেরিয়েছে।" তা কি খুব অপরাধ বা লজ্জাজনকে হবে ? সামাজিক সাইটগুলোতেও না হয় আমি, বললুম ,  "আমার একটা বই বেরিয়েছে। আশা করি কিনবেন । "  এটুকু প্রচারের কারনেই তো  একজন দু'জন করেই  বইক্রেতা পাঠক আমাকে চিনবেন, জানবেন । এই চেনা, হয় আমাকে চিনিয়ে দেবে সবাইকে আগামীর জন্যে  নয়তো বইক্রেতার মনে  আমি তেমন দাগ কেটে যেতে না পারলে  হারিয়ে যাবো ।  আমি তো আর লিখতে  শুরু  করা থেকেই "মারডালা" লেখক নই যে আমার এমন প্রচারের দরকার নেই । তাহলে আমার  কেন লজ্জা করা উচিত হবে যে আমার একটা বই বেরিয়েছে এটা বলা ? ।
আপনার কথা মতো হুমায়ূন আহমেদ বা মুহম্মদ জাফর ইকবাল একদিনে হননি । সাধনা করতে হয়েছে তাঁদেরকেও  । বন্ধু বান্ধবদের ডেকে ডেকে বই ধরিয়ে দিতে হয়েছে তাদেরকেও প্রথম প্রথম । এখনও বই বিক্রি বাড়াতে আমাদের সেরা লিখিয়েরা ঘোষনা দিয়েই বলে যান বই মেলায় তাদের বইয়ের ষ্টলে কখন থাকবেন, অটোগ্রাফ দেয়ার জন্যে । এটা মার্কেটিং পলিসি ।   
প্রকারন্তরে বাণিজ্যেই নামা ।  আর আমি  নবীন বলে, অখ্যাত  বলে আমার কোনও মার্কেটিং পলিসি থাকতে পারবেনা ? মার্কেটিং করলেই আমাকে লজ্জায় পড়তে হবে ?????
যে রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল এর কথা আমরা বলি তাঁরাও তাদের লেখাগুলো অন্যদের ডেকে ডেকে  শোনাতেন যতোদূর জানি । তখন যদি এখনকার মতো ইন্টারনেট থাকতো তবে অবাক হওয়ার মতো কিছুই হতোনা যদি সেখানে তাঁরা লিখতেন -----
" আমার একটা বই বেরিয়েছে" । নিশ্চয়ই লিখতেন !
'লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।' আমাকে যদি কেউ না-ই জানেন  তবে বড়-ছোট কি করে হবো ? 
তবে আপনার সাথে গলা মিলিয়ে বলি- যদি আমি ভাব দেখাই, আমি খুব বড় লেখক বনে গেছি, সেটা মোটেও ঠিক নয় । সেটাই লজ্জাষ্কর এমনকি লেখকের সাথে  বই ক্রয় ইচ্ছুক পাঠকের দুরত্ব তৈরী করে দেয়ার নিয়ামকও বৈকি ।  
তবে এটা ঠিক লিখেছেন - আমি যখনই মনে করবো আমি একজন চ্যাম্পিয়ন লেখক বনে গেছি, সেদিন থেকেই আমার লেখার মান থমকে যাবে না শুধু, তা ডিক্লাইন করা শুরু করবে ..................প্রমথ চৌধুরী, সৈয়দ মুজতবা আলী, প্রমুখ মহারথীদের শতাব্দী থেকেই বাংলাদেশে বই পড়া ও বই কেনার হালচিত্র এরকম।  
একজন লেখককে বিনম্র হতেই হয় । 
বাসন্তী শুভেচ্ছা । 
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৫৩
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই, সুন্দর বিশ্লেষণ।  কমেন্ট দেখে কিছু অংশ যোগ করেছিঃ
এ লেখাটি যাঁরা শুধু নিজের অবস্থান থেকে পড়লেন, তাঁরা দয়া করে অপরের অবস্থান এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকেও পড়ার অনুরোধ করছি।
৫|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:১৭
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:১৭
শায়মা বলেছেন: ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২ ০
 চাঁদগাজী বলেছেন: 
শুভেচ্ছা।
গতকাল অবধি ভাবছিলাম কিছু ভাবনাকে বইয়ের আকারে প্রকাশ করবো; বই'এর আকারে ছাপায়ে নিজকেই পড়তে হবে, দেখছি! বরং নিজে কিছু না ছাপায়ে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে অন্যের বই কিনে নেবো, সমস্যার শেষ!
প্রিন্টিং'এ ফর্মা মানে কি (যেমন ৫ ফর্মার কথা বলেছেন)? 
বাহ চাঁদগাজী ভাইয়ার মনটা এত ভালো!!!!!!
লাভ ইউ ভাইয়া!!!!!!
আর সোনাবীজভাইয়া লেখাটা পড়ে যার যাই মনে হোক না কেনো চাঁদগাজী ভাইয়া যে কষ্টটা শেয়ার করতে চেয়েছে সেটাই অনেক! 
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৫৪
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চাঁদ্গাজী ভাই সত্যিই গ্রেট, বুবুমণি।
৬|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:১৯
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:১৯
আমিই মিসির আলী বলেছেন: শুধুমাত্র একটা বিষয়ে সহমত প্রকাশ করতে পারলাম।
বাকীগুলাতে না। 
    আহমেদ জী এস বিষয়টা ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে দিয়েছে।
আমার মতে :-
  নিজের একটা বই বের হবে। ছাপার অক্ষরে নিজের নাম থাকবে এটা একটা স্বপ্নই বটে নতুন লেখকদের কাছে। লেখকের একটা বই তার সন্তানসম, সেই সন্তানকে সবাই চিনুক, জানুক এটা সবাই চাইবে। তাকে পরিচিতজনদের সাথে পরিচিয় করিয়ে দিবে এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়।  এটা কোন অন্যায় বা অপরাধ না।      
ধন্যবাদ।
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৫৭
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় মিসির আলী, আপনার মতামতের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা থাকলো।  কমেন্ট দেখে কিছু অংশ যোগ করেছিঃ
এ লেখাটি যাঁরা শুধু নিজের অবস্থান থেকে পড়লেন, তাঁরা দয়া করে অপরের অবস্থান এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকেও পড়ার অনুরোধ করছি।
৭|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:০৫
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:০৫
ক্লে ডল বলেছেন: অহংকারী স্বভাব বা বিনয়ের অভাব শুধু মূর্খতায় প্রকাশ করে। তা বইয়ের প্রচারে মনে হয় কোন সাহায্য করে না। 
বাকীটা ব্লগার আহমেদ জী এস এর সাথে একমত। 
শুভকামনা রইল আপনার জন্য। 
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:০০
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ লেখাটি যাঁরা শুধু নিজের অবস্থান থেকে পড়লেন, তাঁরা দয়া করে অপরের অবস্থান এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকেও পড়ার অনুরোধ করছি।
৮|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:০৫
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:০৫
ক্লে ডল বলেছেন: অহংকারী স্বভাব বা বিনয়ের অভাব শুধু মূর্খতায় প্রকাশ করে। তা বইয়ের প্রচারে মনে হয় কোন সাহায্য করে না। 
বাকীটা ব্লগার আহমেদ জী এস এর সাথে একমত। 
শুভকামনা রইল আপনার জন্য। 
৯|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৪২
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৪২
সুমন কর বলেছেন: লেখালেখি পেশা হিসাবে নেয়ার মতো ট্যালেন্টেড নবীন-প্রবীণ কোনো লেখক বর্তমানে বাংলাদেশে নেই; এই কালচার বাংলাদেশে গড়ে ওঠে নি; আমাদের পড়ার অভ্যাস না থাকার কারণে। -- এটাই বাস্তবতা। 
ভালো লিখেছেন।
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:০১
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই। শুভেচ্ছা।
১০|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৫১
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৮:৫১
কাছের-মানুষ বলেছেন: ভাল লিখেছেন অনেক । 
তবে নিজের লেখা প্রচার করাটাকি খুব বেশি অন্যায় ! এই ব্যাপারটা বাদে বাকি পয়েন্টের সাথে সহমত ।
ভাল থাকুন ।  
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:০৩
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কাছেন মানুষ।
এ লেখাটি যাঁরা শুধু নিজের অবস্থান থেকে পড়লেন, তাঁরা দয়া করে অপরের অবস্থান এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকেও পড়ার অনুরোধ করছি।
১১|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:০৯
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:০৯
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: নতুন লেখকদের বই মার্কেটে কম চলে এটা সত্য। এ জন্য নতুনদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তারা  পরিচিত জনদের নিকট বই বিক্রির জন্য প্রচারণা চালাতে পারেন সেটা বিনয়েয় সাথে হতে হবে যেমনটা আপনার পোষ্টে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
সবচেয়ে বড় কথা হল আমার চিন্তা চেতনাকে কাগজে লিপিবদ্ধ করছি এটা কম কিসের।
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:৩৪
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটিতে শুধু লেখক নয়, পাঠকের জন্যও কিছু অংশ রয়েছে। আমরা যে নিজের দিক ছাড়া আর কিছু খেয়াল করি না, তা প্রমাণিত হতে দেখলাম প্রায় সবক'টি কমেন্টে (চাঁদ্গাজী, পলাশমিঞা ও সুমন কর ছাড়া)। এটাও আমাদের একটা সীমাবদ্ধতা।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।
১২|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:১৬
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:১৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: 
যেন আমার কথাগুলোই পড়ছিলাম।
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:৩৬
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি বুদ্ধিমান ও অভিজ্ঞ মানুষ। এগুলো অভিজ্ঞদের কথা। 
ধন্যবাদ মাঈনউদ্দিন ভাই। শুভেচ্ছা।
১৩|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:২৩
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:২৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একটাও ভুল কথা লেখেননি, যদিও সবাই আপনার সব কথার সাথে একমত হবেন না।
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:৩৭
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আশরাফুল ভাই। আমি তো সবার কথার সাথে একমত না, কাজেই আমিও সেটা আশা করি না।
শুভেচ্ছা প্রিয় গল্পকার।
১৪|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:৪৭
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:৪৭
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:  ভাই মার্কেটে আমার কোন বই নেই আগেও ছিল না। আপনি যে বিষয়টা তুলে ধরেছেন এটা অনেক দিনের। আপনার মত এ রকম অনেকে লিখছে বা বলছে কিন্তু উত্তরণের বাস্তব পদক্ষেপ কেউ নিচ্ছে না।
  ভাই মার্কেটে আমার কোন বই নেই আগেও ছিল না। আপনি যে বিষয়টা তুলে ধরেছেন এটা অনেক দিনের। আপনার মত এ রকম অনেকে লিখছে বা বলছে কিন্তু উত্তরণের বাস্তব পদক্ষেপ কেউ নিচ্ছে না। 
আর সবার মতামত এক কখন হয় না। এমনটা আশা করাও বোকামী।  
আমি নতুনদের উৎসাহ প্রদানে বিশ্বাসী। 
শুভ কামনা জানবেন।
  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১০:০৭
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১০:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫|  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ১১:০৮
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ১১:০৮
জেন রসি বলেছেন: একজন লেখককে সবার প্রথমে বুঝতে হবে তিনি কেন লিখছেন? কাদের জন্য লিখছেন?  এখন সালমান রুশদি যদি এটা বলে দুঃখ প্রকাশ করেন যে হ্যারী পটার কেন তার বই থেকে বেশী বিক্রি হচ্ছে তবে সেটা হাস্যকর ব্যাপার হবে। সব পাঠক সব জনরার বই পছন্দ করেনা। কেউ থ্রিলার পছন্দ করে। কেউ কবিতা পছন্দ করে। কেউ আবার গল্প পছন্দ করে। আবার কেউ কেউ আছে সবই পছন্দ করে। তবে আমাদের দেশের বড় লেখকরা ধরেই নেয় তারাই সেরা। তাদের বই সবাইকে পড়তে হবে। আর যারা পড়বেনা তারা সব অশিক্ষিত পাঠক! যেমন হুমায়ন আজাদ, হুমায়ুন আহমেদের পাঠক সম্পর্কে এমনটা বলেছিলেন। হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবালরা অপরিপক্ক লেখকদের জন্য লিখে থাকেন এমন কথাও অনেকে বলেছেন। যাইহোক, সেটা তারা বলতে পারেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে তারা যখন পাঠককে অপরিপক্ক ভেবেই লিখবেন, তখন কিভাবে আসা করবেন যে সব শ্রেণীর পাঠক তাদের বই কিনে পড়বে! আবার না কিনলে তারা রাগ দেখাবেন। অন্যদের বাজারি লেখক বলে গালিও দেবেন। এটা খুব অযৌক্তিক কাজ!   
অনেক নতুন লেখকদের মাঝেও এ ব্যাপারটা লক্ষ করেছি। তারা নিজেদের পাঠক তৈরি না করেই অন্যের ব্যাপারে নাক গলাতে বেশী পছন্দ করে। তারা যদি মনে করে পাঠক অশিক্ষিত তাই সস্থা লেখা পড়ছে তবে সেটার দায়ভারও তাদের নিতে হবে। কারন তারা পাঠককে তাদের নিজেদের মতবাদের আলোকে শিক্ষিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।  
একজন লেখক তার পাঠকের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করবে। সেটাই তার মার্কেটিং পলিসি। সে যেতে না পারলে পাঠকও তার কাছে আসবেনা। এটাই স্বাভাবিক। 
আপনার সাথে আমার দ্বিমত থাকলেও আপনার লেখা পড়তে আমার ভালো লাগে। কারন আপনি যা বলতে চান তা খুব স্পষ্ট করে বলতে পারেন। এটা সবাই পারেনা। শুভকামনা।  
  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১০:০৬
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১০:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন। দ্বিমত থাকা সত্ত্বেও আমার লেখা পড়তে আপনার ভালো লাগে জেনে খুব খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।
১৬|  ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ১২:৩১
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ১২:৩১
জাহিদ অনিক বলেছেন: হুম !! !  ভাইয়া এটাই তো পরেছিলাম ফেসবুকে ।  
ভাল লেগেছিল সেদিনও , আজকেও ভালো লাগল । প্লাস ও প্রিয়তে । 
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৪:৩২
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৪:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, এটা ফেইসবুকে পড়েছিলেন। ধন্যবাদ জাহিদ অনিক।
১৭|  ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১০:১১
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১০:১১
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: পোস্টটি নিঃসন্দেহে শিক্ষণীয়। অনেক সময়ই আমরা একদিক পেতে গিয়ে আরেকদিকের কথা বেমালুম ভুলে যাই। লেখক এবং পাঠক উভয়ের ক্ষেত্রেই সহবত জ্ঞান থাকাটা খুব দরকার।
আমার দুটি মন্তব্য-
★বই বের হলে লেখক সেটা বিনয়ের সাথেই অন্যদের জানাবেন।
★নিজের বই অন্যেরা পছন্দ করে কিনবেন সেটা লেখক আশা করতে সমস্যা নেই, তবে না কিনলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
আমি নিজেই সহব্লগারদের কয়েকটি বই কিনব বলে ঠিক করেছি। উনাদের আমি ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি না। উনারাও নন। আমি বইগুলো কিনলে উনারা হয়ত কোনোদিনও জানতেও পারবেন না। আবার হয়তবা বই পড়ে ভালো লেগে গেলে আমি বেশ ঢোল পিটিয়েই কৃতজ্ঞতা জানাবো। কারণ লেখকের বিনয়ের সাথে সাথে পাঠকের ঝোলায়ও বিনয় বলে একটা শব্দ থাকা উচিৎ বলে আমি মনে করি। কিন্তু এই বইগুলো আমি এম্নি এম্নিই কিনব বলে ঠিক করতে পারিনি। কয়েকদিন ধরেই ব্লগে বিভিন্ন বইয়ের ছোটখাট যেসব ট্রেইলার দেখছি তাতেই আকৃষ্ট হচ্ছি বা নির্ধারণ করে নিতে পারছি যে ঠিক কোন ধরণের বই গুলোই আমার পড়তে ভালো লাগবে বা কোন কোন বইগুলো না পড়তে পারলে আমার ভিতরে একধরণের আফসোস থেকে যাবে  তা না হলে কেবল প্রচ্ছদ আর নাম দেখে বই কেনাটা অনেক বিরক্তিকর এবং তৃপ্তিহীন একটা ব্যাপার হতো। হয়তবা কেনার কথা ভাবতেও যেতাম না।
 তা না হলে কেবল প্রচ্ছদ আর নাম দেখে বই কেনাটা অনেক বিরক্তিকর এবং তৃপ্তিহীন একটা ব্যাপার হতো। হয়তবা কেনার কথা ভাবতেও যেতাম না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৪:২৫
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৪:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মন্তব্য ভালো লাগলো। আমাদের উচিত সহব্লগারদের বই কেনা। এটা সহব্লগারদের প্রতিএকটা দায়বদ্ধতা বলে আমি মনে করি।
ভালো থাকবেন।
১৮|  ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১১:১৮
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১১:১৮
নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: অসাধারণ, মনটা ভালো হয়ে গেছে  
 
ফেসবুকে দিয়ে দিলাম। আমার নিজেরও একটা বই এসেছে মেলায়, প্রথম বই।
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৪:২২
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৪:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধ্ন্যবাদ নেয়ামুল নাহিদ। শুভেচ্ছা।
১৯|  ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১২:২৫
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১২:২৫
সামিয়া বলেছেন: ভাইয়া আপনার লেখা পড়ে অনেক ভাললাগলো, কেউ তো আছে এরকম ভালো ভালো চিন্তা করার। এছাড়া নিজের দোষ ত্রুটি শুধরে নেয়ার জন্য এটা অনেক উপকৃত পোস্ট।
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৪:২১
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৪:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।
২০|  ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৫:১১
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৫:১১
আহা রুবন বলেছেন: লেখাটি খুব ভাল লাগল। বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। আমাদের বই কেনার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। সত্যি বলতে পড়ার ইচ্ছেটাই তো আমাদের নেই। বই কিনে পড়ার কথা বাদই দিলাম, এই ব্লগেই কতজন অন্যের লেখা পড়ে? সবাই চায় তার লেখাটা সবাই পড়ুক। আমরা সবাই লেখক হয়ে বসে আছি। পাঠক না বাড়লে বই বিক্রি কীভাবে সম্ভব? সকালে গ্রন্থাগারে গিয়েছিলাম, পাশে পাঁচ/ছয়টা ছেলে বই খুলে ফিসফিস করে কথা বলা শুরু করল। নিষেধ করায় সবগুলা উঠে চলে গেল বাইরে। এমন ঘটনা অহরহ দেখতে পাই। আমাদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ এমনটাই। এদের সংখ্যা হাজারে হাজার,  বিনা পয়াসাতেই বই পড়ে না, আর টাকা দিয়ে পড়বে!  
 
নতুন লেখদের মনে হয় বই বের করার আগে কিছু টাকা জমাতে হবে। যেন কাউকে বলা যায় তুমি বইটা পড়ে শেষ করলে দুইশো টাকা নগদ দেব। অথবা বন্ধুর বাসায় বইটি ও কিছু ফল পৌঁছে বলতে হবে, পড়া শেষ করে ফলগুলো খেও, পড়ার ক্লন্তি কেটে যাবে। 
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৪:২০
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৪:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাস্তব কথা বলেছেন। লাস্ট প্যারাটা খুব ইন্টারেস্টিং। আমি এখনো এটা করে থাকি 
ধন্যবাদ।
২১|  ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৫:৩৮
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৫:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্য তেতো হলেও কল্যানকর! 
পাঠক না বাড়ার জন্য পাঠকের সাথে সাথে আমাদের মিডিয়া, নীতি, প্রকাশকরাও দায়ী।
মিডিয়া লুতুপুতু প্রেম দেখানোতে যতটা উৎসাহী গত ১০ বছরে কোন নাটকে বা সিনেমায় বই বা কাহিনীতে লেখা বা লেখকের সম্মানজনক উপস্থাপনা দেখেছন কিনা মাথা চুলকে ভাবতে হবে। অথচ সবচে প্রভাবব এই মিডিয়া পারে বইয়ের প্রতি আকর্ষন সৃষ্টিতে দারুন ভূমিকা রাখতে।
আমাদের নীতি নির্ধারকরা কেবলই পুথিগত ভাবনায় আবদ্ধ। সমেয়র সাথে তাল মিলিয়ে উনাদের চলা সমাজে প্রতিবিম্ব সৃষ্টিকরার কথা ! যা দেখতে পাইনা।
আর সম্মানীত প্রকাশকগণ! কি আর বলব- এক সময় বাংলা বাজারে "খপ"- মারতাম! আখৈর রসের মতো নিংড়ে নেবে লেখকের কাছ থেকে কিন্তু দেবার বেলায় আঙুল ফাক হয়না! 
বাংলা বাজারের পাঠ চুকিয়েছি শেষ কথা না রাখায়- এক প্রকাশকের সৃজনশীল ইংলিশ বই মহাদ্রুততায় মাত্র ১০ দিনে তৈরী করে দেই। এবং বইটি ঐ বছর প্রায় সাড়ে তিনলাখ টাকা মুনাফা করে। খুব খুশি মনে প্রকাশক আমার গল্পের পান্ডুিলিপ চাইলেন। ততোধিক খুশি মনে জমা দিয়ে স্বপ্নের পাহাড়ে চড়ে বসলাম। পরের বইমেলায় শেষ হল তিনি চুকচুক করে ভুলে গেছেন ভাব দেখালেন। পরের বইমেলায় আসবেই! 
তারপরো যখন মিস করলেন- বাই বলে সেইযে এলাম -আর ও মুখৌ হই নি!
শুধু বানিজ্যই নয়, প্রুফের পাতার বানান শুদ্ধতা নয়- প্রকাশকরা একটু নিজের দিকে তাকান! লেখকের হৃদয়টাো একটু পড়তে শিখুন! 
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৪:১৯
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৪:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সুন্দর কমেন্ট। ধন্যবাদ বিদ্রোহী। শুভেচ্ছা।
২২|  ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:০২
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:০২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: লেখক অবশ্যই মনেমনে চাইবেন তার বই বিক্রি হোক। কিন্তু সেজন্য যদি তিনি বিক্রয় প্রতিনিধিদের মতো ছ্যাবলামি করেন তাহলে লেখক হিসাবে যেই সম্মানটা তার প্রাপ্য সেটা আর তিনি পাবেন না। তিনি নেমে যাবেন সেই দোকানির সামনে দাঁড়ানো অসহায় বিক্রয় প্রতিনিধির কাতারে। 
লেখক অবশ্যই বিক্রয় বাড়ানোর জন্য বুদ্ধি-কৌশল করতে পারেন, তবে সেখানেও থাকতে হবে তার পরিমিতির ছাপ, সৃজনশীলতার ছাপ। লেখকের আচরণও কিন্তু বুঝতে সাহায্য করে তার লেখার ভিতরে আসলে নেয়ার মতো কিছু আছে কি না। যদি কিছু থাকে তাহলে জানেনই তো সত্য কখনো চাপা থাকে না।
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:২৬
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বুদ্ধিদীপ্ত কমেন্ট। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ অলওয়েজ ড্রিম। শুভেচ্ছা।
২৩|  ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ২:০৯
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  রাত ২:০৯
কালীদাস বলেছেন: সব সো কল্ড ফেসবুক ছেলেবিরিটিই ইদানিং দেখি নিজের টাকায় বই বের করে। পিঠ চাপড়ান অখাদ্য সব লেখা গাটের টাকা খরচ করে বাধাই করে আবার আশাও করে মানুষ কিনবে। হে হে।
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:২৩
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। ভালো বলেছেন।
শুভেচ্ছা কালীদাস।
২৪|  ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ২:২৭
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ২:২৭
নেক্সাস বলেছেন: আপনার স্টেটাসে কারা কমেন্ট ও লাইক করছেন, তাঁদের প্রোফাইলটা দেখে নিন। তাঁরা বয়স বা যোগ্যতায় আপনার সিনিয়র হতে পারেন। আপনার কথায় আপনার ফেইসবুক ফ্রেন্ড মর্মাহত হতে পারেন কিনা কিছু লেখার আগে ভাবুন। এসব ভাবাভাবি করতে গেলে লেখার সময় হারাবেন- এসব যদি ভাবেন তাহলে দেশসেরা লেখক হয়ত হবেন, কিন্তু মহৎ ব্যক্তি হবেন না। আপনাকে আমি ছুঁড়ে ফেললাম ডাস্টবিনে।
আমরা খুব স্বার্থপর ও চতুর। যিনি পত্রিকার সম্পাদক, যিনি আমার লেখা ছাপবেন, দেখবেন, আমরা ফেইসবুকে তার পোস্টে নিয়মিত লাইক, কমেন্ট করছি; তাঁকে প্রশংসা করে স্টেটাস দিচ্ছি। আমাদের মূল্য তাঁর কাছে বিকিয়ে দিলে আমার লোকসান নেই। এদের আমি কুৎসিতমনা মনে করি।
সবার আগে আপনাকে ভালো ব্যক্তিত্ব হতে হবে। আপনার লেখা যত ভালোই হোক, যখন জানতে পারবো মানুষ হিসাবে আপনি লম্পট, ভণ্ড, নিকৃষ্ট, আপনার লেখালেখি আমি ত্যাগ করবো। ত্যাগ করবো আপনাকেও।
আমি পাণ্ডিত্য ও চ্যাম্পিয়নশিপের অনুগত; যাঁরা পণ্ডিতগিরি ও চ্যাম্পিয়নগিরি (সমর্থন) করেন, মনে করেন- এমন গল্প বা কবিতা লিখে ফেলেছেন যা বোঝার সাধ্য কারো নেই, আমার কাছে তাঁরা সর্বদা পরিত্যাজ্য।
আপনি যে কবিতা লিখলেন, তার মর্মোদ্ধার করতে কয়েকজন গবেষক বসে গেলেন। মর্মমূলে দেখা গেলো তা মূলত কিছু সাংকেতিক শব্দের গাঁথুনি, মহৎ কিছু নেই, এই লেখা আর 'আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে'র মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই; দুটোই সারবত্তাহীন। লেখা হোক প্রাঞ্জল, সরস। তার গভীরের মহৎ নির্যাসই মানবকল্যাণে কাজে লাগবে। 
প্রতিটা পয়েন্ট আমার মনের কথা ভাইয়া। 
তবে একটা বিষয় সবিনইয়ে বলব
 তার গভীরের মহৎ নির্যাসই মানবকল্যাণে কাজে লাগবে- এই মহৎ নিরযাস বা মানবকল্যান টার্ম দুটো ক্লিয়ার করা যাবে কি? আমি নিজে শিখার জন্য। অন্য কোন কারনে না। 
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:২২
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রতিটা লেখারই একটা মহৎ উদ্দেশ্য বা সাবস্ট্যান্স বা সারমর্ম থাকে। গবেষণাগ্রন্থের শুরুতে স্পষ্টভাবে সেই উদ্দেশ্য বর্ণনা করা থাকে। সৃজনশীল লেখায়, বিশেষ করে গল্প, উপন্যাস, কবিতায় এই উদ্দেশ্য বা সারমর্ম লেখার গভীরে নিহিত থাকে, পাঠক নিজে সেটা পাঠ করে সারমর্ম বুঝে নেন। যে লেখার কোনো সারমর্ম নেই, তা শুষ্ক কাঠের মতো। সারমর্ম আমাদের ভাবিত করবে। 
আপাত অনেক উন্নত মানের একতা কবিতা পড়লাম। এর ভিতরের সারমর্ম খুঁজতে গিয়ে কিছুই পেলাম না। বা যা পেলাম তা খুব ঠুনকো। তাহলে এতো শব্দের ঝনঝনানি দেখিয়ে কী অর্জন করা গেলো?
অনেক ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই। শুভেচ্ছা।
২৫|  ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ২:৪৩
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ২:৪৩
মাঝিবাড়ি বলেছেন: খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম! ব্যাপক বলেছেন, আসলেই টাকা খরচ করে অনেকে লেখক হতে চেয়েছে! হুমায়ূন আহমেদের মত ঘরে একটা টেলিভিশন কেনার জন্য জগদ্বিখ্যাত উপন্যাস কেউ লিখতে পারেনি! কিন্তু নব লেখকেরা ভরা জোছনা দেখে মনে করছে যা লিখবো এক জোছনায়, আগামীতে জোছনা নাও আসতে পারে! এই তাড়াহুড়োর মনভাব বর্তমানে উদীয়মান লেখকদের জনপ্রিয়তা হ্রাস করে দিচ্ছে!
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:১৪
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।
২৬|  ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৫:০১
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  বিকাল ৫:০১
আনু মোল্লাহ বলেছেন: পুরো লিখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। আমার কাছে আমার মত নতুন লেখকদের জন্য সদুপদেশ মনে হয়েছে। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথ সহজ হবে বলে আমার ধারনা। 
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিবেন।
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:১০
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আনু মোল্লাহ। আমি নতুন লেখক। আমার অভিজ্ঞতার আলোকে নতুনদের জন্য এই উপদেশ। ভালো থাকবেন।
২৭|  ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:১২
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:১২
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার মতে :-
নিজের একটা বই বের হবে। ছাপার অক্ষরে নিজের নাম থাকবে এটা একটা স্বপ্নই বটে নতুন লেখকদের কাছে। লেখকের একটা বই তার সন্তানসম, সেই সন্তানকে সবাই চিনুক, জানুক এটা সবাই চাইবে। তাকে পরিচিতজনদের সাথে পরিচিয় করিয়ে দিবে এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। এটা কোন অন্যায় বা অপরাধ না।  মিসির আলীর মন্তব্য ভাল লেগেছে।
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:০৯
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মিসির আলী এবং আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
২৮|  ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:১৩
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:১৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম, বড় না হওয়া সত্বেও যদি কখনো মনে হয় বড় হয়ে গেছি, এবং সেটা নিয়ে অহংকারে ভুগতে থাকি, তখন আপনার এই পোস্টটা কাজে লাগবে।
আপনার জন্যও শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন সবসময় !  পুলহ এর মন্তব্য মনে ধরেছে।
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:০৮
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পুলহ এবং আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৯|  ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১১:০৫
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১১:০৫
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লাম!
এরপর লাইক ও প্রিয় বাটনে ক্লিক করে এই মন্তব্য খানা করলাম!
লেখার ধরন অনেকটা ফ্রান্সিস বেকনের মতো মনে হল। এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে এলোমেলো পরিভ্রমন তবু মনোযোগ ও ভালোলাগায় একটুও কমতি নেই!!!
প্লাস
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:০৭
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান। শুভেচ্ছা।
৩০|  ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১১:১৫
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১১:১৫
জুন বলেছেন: মাঝে মাঝে কিছু কড়া কথা শুনতে হয় নিজের বিবেককে জাগ্রত করার জন্য।  
হায় দেশীভাই বিবেককে জাগ্রত করার জন্য তাই বলে এত্তগুলি কড়া কথা বলবেন!!    
ভালোলাগা দিলাম ছাই ভাইকে যেমন আমি বরাবরই দিয়ে থাকি 
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:০৬
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দেশি আপু। ভালো থাকবেন।
৩১|  ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১২:৪৫
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১২:৪৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন। 
পুশ সেল এর কারণে বিক্রি হয় হয়তো, তবে পঠিত হয় না।
অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
নবীন লেখকেরা আশা করি আমলে নেবেন ব্যাপারটি
  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:০২
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ১:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল। লেখাটিকে সবাই পজিটিভলি নিতে পারছেন না, এটা খুব আফসোসের কথা।
শুভেচ্ছা।
৩২|  ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ২:০২
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  দুপুর ২:০২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাই, লেখকদের দুরবস্থা দেখে ছাত্র জীবনেই লেখক হবার সুপ্ত বাসনা জলে বিসর্জন দিয়ে ফেলেছি। ব্লগে একটু আধটু লেখার জন্য যে আসি তাও না। টাইম পাস করতেই আসলে ব্লগে আসা!
বইমেলায় গিয়ে অনেক নতুন লেখক দেখলাম। খুব দুঃখ হলো!  বেচারাদের কতো পরিশ্রম যে করতে হচ্ছে!! বই বিক্রি করে নিজের একটা ঠাঁই করে নেবার জন্য!
 বেচারাদের কতো পরিশ্রম যে করতে হচ্ছে!! বই বিক্রি করে নিজের একটা ঠাঁই করে নেবার জন্য!
  ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১০:১৩
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সকাল ১০:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের কারোই লেখক হওয়া জীবনের লক্ষ্য নয়। কিন্তু হেসে খেলে, টাইম পাস করতে করতে একজন মানুষ এক সময়ে লেখক হয়ে ওঠেন। আমি এভাবেই ভাবি।
সাহিত্যে ঠাঁই পেতে হলে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। যিনি শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে পারবেন, টিকে যাবেন তিনিই।
কত লেখক মুকুলেই ঝরে যাচ্ছে আমরা কি তার খবর রাখি?
ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার। শুভেচ্ছা থাকলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:৩২
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৬:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
শুভেচ্ছা।
গতকাল অবধি ভাবছিলাম কিছু ভাবনাকে বইয়ের আকারে প্রকাশ করবো; বই'এর আকারে ছাপায়ে নিজকেই পড়তে হবে, দেখছি! বরং নিজে কিছু না ছাপায়ে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে অন্যের বই কিনে নেবো, সমস্যার শেষ!
প্রিন্টিং'এ ফর্মা মানে কি (যেমন ৫ ফর্মার কথা বলেছেন)?