নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আঁসুর অনলে ক্ষয় হয়ে গেলো ঘুমহারা দুই আঁখি
তোর অ-কবিকে কেমন করিয়া ভুলে গিয়েছিস, পাখি?
তোর অ-কবিকে আর কি এখনো তেমনটি মনে পড়ে
পড়তো যেমন রাতদুপুরের ঝুমুবৃষ্টি ও ঝড়ে?
ঝুমুবৃষ্টিতে ভিজে ভিজে তুই কতদিন খুঁজেছিলি
কতদিন তুই খুন করেছিলি দুপুরের নিরিবিলি;
এইসব স্মৃতি মনে পড়ে আর চোখ ফেটে আসে জল
তোর অ-কবিকে কেমন করিয়া ভুলে যাবি তুই, বল্?
১৯ এপ্রিল ২০০৮
১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আঁসু অর্থ চোখের পানি। আশা করি বাকিটা এখন ক্লিয়ার হয়েছে।
না, এ কবিতায় জসীমউদ্দীনের কোনো ফ্লেভার নেই। এ কবিতাটি যে ছন্দে রচিত, আমরা পাঠ্যপুস্তকে এই একই ছন্দে রচিত জসীমউদ্দীনের অনেক কবিতা পড়েছি। মূলত, জসীমউদ্দীন এই ছন্দেই সবচেয়ে বেশি কবিতা লিখেছেন। নীচের কবিতাংশ দুটি পড়ুন, যথাক্রমে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের কবিতা থেকে এ দুটো নেয়া হয়েছে, যা একই ছন্দে রচিত।
শুভেচ্ছা।
১
বুকভরা মধু বঙ্গের বধূ জল লয়ে যায় ঘরে —
মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে।
দুই দিন পরে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশিনু নিজগ্রামে —
কুমোরের বাড়ি দক্ষিণে ছাড়ি রথতলা করি বামে,
রাখি হাটখোলা, নন্দীর গোলা, মন্দির করি পাছে
তৃষাতুর শেষে পঁহুছিনু এসে আমার বাড়ির কাছে।
ধিক্ ধিক্ ওরে, শতধিক্ তোরে, নিলাজ কুলটা ভূমি!
যখনি যাহার তখনি তাহার, এই কি জননী তুমি!
সে কি মনে হবে একদিন যবে ছিলে দরিদ্রমাতা
আঁচল ভরিয়া রাখিতে ধরিয়া ফল ফুল শাক পাতা!
আজ কোন্ রীতে কারে ভুলাইতে ধরেছ বিলাসবেশ —
পাঁচরঙা পাতা অঞ্চলে গাঁথা, পুষ্পে খচিত কেশ!
আমি তোর লাগি ফিরেছি বিবাগি গৃহহারা সুখহীন —
তুই হেথা বসি ওরে রাক্ষসী, হাসিয়া কাটাস দিন!
ধনীর আদরে গরব না ধরে! এতই হয়েছ ভিন্ন
কোনোখানে লেশ নাহি অবশেষ সেদিনের কোনো চিহ্ন!
কল্যাণময়ী ছিলে তুমি অয়ি, ক্ষুধাহরা সুধারাশি!
যত হাসো আজ যত করো সাজ ছিলে দেবী, হলে দাসী।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২
সিক্ত যাদের সারা দেহ-মন মাটির মমতা-রসে
এই ধরণীর তরণীর হাল রবে তাহাদেরি বশে!
তারি পদরজ অঞ্জলি করি’ মাথায় লইব তুলি’,
সকলের সাথে পথে চলি’ যার পায়ে লাগিয়াছে ধূলি!
আজ নিখিলের বেদনা-আর্ত পীড়িতের মাখি’ খুন,
লালে লাল হ’য়ে উদিছে নবীন প্রভাতের নবারুণ!
আজ হৃদয়ের জমা-ধরা যত কবাট ভাঙিয়া দাও
রং-করা ঐ চামড়ার যত আবরণ খুলে নাও!
আকাশের আজ যত বায়ু আছে হইয়া জমাট নীল,
মাতামাতি ক’রে ঢুকুক্ এ বুকে, খুলে দাও যত খিল!
সকল আকাশ ভাঙিয়া পড়ুক আমাদের এই ঘরে,
মোদের মাথায় চন্দ্র সূর্য তারারা পড়ুক ঝ’রে।
সকল কালের সকল দেশের সকল মানুষ আসি’
এক মোহনায় দাঁড়াইয়া শোনো এক মিলনের বাঁশী।
- নজরুল
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৪
নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: ৯বছর পর পোস্ট করলেন।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি। ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫২
কলমের কালি শেষ বলেছেন: সেই অ-কবি তো বেশ কবি হয়ে উঠেছে দেখছি।
ভাল লেগেছে ।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা।
কী খবর, কবি সাহেব?
৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর
১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। ভালো লাগলো।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নাঈম ভাই। শুভেচ্ছা।
৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: এই তো আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি । আপনি কেমন আছেন ?
১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমিও ভাই ভালো আছি আপনাদের দোয়ার বরকতে এবং আল্লাহর অসীম রহমতে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
পুলহ বলেছেন: "আঁসুর অনলে"-- এ কথাটার অর্থ কী?
কবিতায় একটা জসীমউদ্দীন জসীমউদ্দীন ফ্লেভার পেলাম !
শুভকামনা ভাই।