নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
তুমি কাছে এলে ভালো থাকি আমি
যতখানি ভালো থাকা যায়
এই পৃথিবীর সবটুকু মায়া
শুষে নিয়ে তুমি
আমার কপোলে প্রেম দাও
কী যে ভালো লাগে
কী যে ভালো লাগে তোমার চুলের সুগন্ধি
কতটা জীবন পার করে দিই
বহতা নদীর সীমান্তে
জানি না আমার কী হয় তখন
জীবনটা কেন এত ভালো লাগে
তোমার হাসির আলতো ছোঁয়ায়
হঠাৎ জীবন জেগে ওঠে
তুমি এসেছিলে হঠাৎ করেই
বিরান গ্রীষ্মে বৃষ্টি নিয়ে
জানি না আমার কী হয়েছিল
হঠাৎ জীবন উঠলো জেগে
তুমি চলে গেছো সাথে নিয়ে গেছো
সকল আলো, সবখানি প্রেম
তুমি না থাকলে আমিও থাকি না
জ্বলেপুড়ে হই বিনিঃশেষ
উৎসর্গঃ চাঁদের মেয়ে।
১২ অক্টোবর ২০১৬
১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহা, সুন্দর বলেছেন- ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে গেলে সে চাঁদের মেয়েই হয়, যা কোনদিন পাওয়ার আশা থাকে না!
নয়ন ভাই, শুধু আপনার জন্য এ কবিতাটার ছন্দ নিয়ে সামান্য আলোচনা করি। এটা মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত। প্রতি মূল পর্বে ৬ মাত্রা আছে, এবং কোনো কোনো স্থানে ৪ মাত্রার একটা অতিপর্ব আছে।
তুমি কাছে এলে / ভালো থাকি আমি -- প্রতি পর্বে ৬ মাত্রা
যতখানি ভালো / থাকা যায় -- ১ম পর্ব ৬ মাত্রা, ২য়টি ৪ মাত্রার অতিপর্ব
এই পৃথিবীর / সবটুকু মায়া -- প্রতি পর্বে ৬ মাত্রা
শুষে নিয়ে তুমি - ৬ মাত্রা
আমার কপোলে / প্রেম দাও - ৬ মাত্রা/ ৪ মাত্রা
কী যে ভালো লাগে - ৬
কী যে ভালো লাগে / তোমার চুলের / সুগন্ধি - ৬+৬+৪
কতটা জীবন / পার করে দিই- ৬+৬
বহতা নদীর / সীমান্তে - ৬+৪
কিন্তু সর্বত্র মূল পর্ব বা অতিপর্বের মাত্রাসংখ্যা ৬/৪ বজায় রাখা সম্ভব হয় নি; অর্থাৎ, ছন্দের দিক থেকে কবিতাটি ত্রুটিপূর্ণ। এটা হয়েছে এ কারণে যে লিখবার সময় আমি মাত্রা গুনে লিখি নি, শুধুমাত্র ছন্দপতন ঠেকিয়ে লিখেছি। ত্রুটিপূর্ণ জায়গাগুলো দেখুনঃ
তুমি এসেছিলে / হঠাৎ করেই ৬+৬ (ৎ-কে একমাত্রা ধরেছি, যদিও সচরাচর এটাকে গোনা হয় না)
বিরান গ্রীষ্মে / বৃষ্টি নিয়ে ৬+৫ (২য়টি অতিপর্ব না, মূল পর্ব)
জানি না আমার / কী হয়েছিল ৬+৫ (২য়টিও মূল পর্ব)
হঠাৎ জীবন / উঠলো জেগে ৬+৫ (২য়টিও মূল পর্ব)
তুমি চলে গেছো / সাথে নিয়ে গেছো ৬+৬
সকল আলো, সবখানি প্রেম ৫+৬
তুমি না থাকলে / আমিও থাকি না ৬+৬
জ্বলেপুড়ে হই বিনিঃশেষ ৬+৫ (এখানে ঃ-কে একমাত্রা ধরা হয়েছে; এটাকেও ৎ বা ং-এর মতো শূন্য মাত্রা ধরা হয়)
এই মাত্রাসংখ্যা এখন ঠিক করতে গেলে কবিতার গতিশীলতা ব্যহত হতে পারে, অনুপযুক্ত শব্দ হয়ত চলে আসতে পারে, যাতে কবিতাটি আড়ষ্টতাপূর্ণ বা আর্টিফিশিয়াল হয়ে যেতে পারে (এখনই যে কবিতা হয়েছে, তা অবশ্য দাবি করছি না)।
আপনার ছন্দজ্ঞান খুব ভালো, আপনার কবিতা পড়লেই বোঝা যায়। গতকাল গদ্যকবিতা সম্পর্কে আমরা আলোচনা করছিলাম, এটাকে তার ধারাবাহিক অংশ হিসাবে ভাবা যেতে পারে। এটাতে কোনো অন্ত্যমিল না থাকলেও এটা গদ্যকবিতা না। এটা মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত কবিতা।
সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা নয়ন ভাই।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৫
হাসান১২১২১২ বলেছেন: দারুন লিখেছেন
১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালোবাসা ও সুখ এসেই চলে যেতে যায়, দু:খ এলে যাবার কথা ভুলে যায়।
১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কত সহজে দারুণ একটা কথা বলে ফেললেন প্রিয় চাঁদ্গাজী ভাই। সত্য চিরন্তন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ কবিতা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভাই, প্রথমেই অনেক অনেক শ্রদ্ধা ভক্তি রাখছি প্রতিমন্তব্যে। কৃতজ্ঞতা তো অবশ্যই।
আমি এতদিন লিখেছি ঠিকই, কিন্তু মাত্রা সংখ্যা বা ছন্দপতন নিয়ে ভাবতাম না, ভাবতামনা বলতে আমি এগুলো জানতামই না। আপনার কাছে সেদিন অনেকটুকু আয়ত্তে এসেছিল, তবে ক্লিয়ার ছিলাম না মাত্রা সম্পর্কে। তবে আজ-
তুমি কাছে এলে / ভালো থাকি আমি -- প্রতি পর্বে ৬ মাত্রা
যতখানি ভালো / থাকা যায় -- ১ম পর্ব ৬ মাত্রা, ২য়টি ৪ মাত্রার অতিপর্ব
এই পৃথিবীর / সবটুকু মায়া -- প্রতি পর্বে ৬ মাত্রা
শুষে নিয়ে তুমি - ৬ মাত্রা
আমার কপোলে / প্রেম দাও - ৬ মাত্রা/ ৪ মাত্রা
কী যে ভালো লাগে - ৬
কী যে ভালো লাগে / তোমার চুলের / সুগন্ধি - ৬+৬+৪
কতটা জীবন / পার করে দিই- ৬+৬
বহতা নদীর / সীমান্তে - ৬+৪ - এইটুকুতে আমার মাত্রা সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা দিয়ে গেল। আপনার এমন আন্তরিক শিক্ষার কোন তুলা হয় না, কোন কৃতজ্ঞতায় শেষ হবার নয়। আমি কতটা আনন্দিত তা প্রকাশ করতে পারছিনা ঠিক মতো। আমি ভুলবো না ভাই আপনার দেয়া আন্তরিক শিক্ষা গুলো কোনদিন। চেষ্টা করবো আপনার এই শিক্ষা কাজে লাগাতে প্রতি সময়।
শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানবেন সবসময়। আমি আরও শিখবো আপনার কাছ থেকে ভাই, মাঝেমধ্যেই তিক্ততা দিয়ে যাবো কিছুনা কিছু জানতে চেয়ে। দোআ করবে ভাই।
১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জেনে খুশি হলাম খুব যে, আজ অনেকটাই ক্লিয়ার হয়েছেন। আমিও যে খুবই ক্লিয়ার ব্যাপারটা এমন না; এগুলো অনেকটা অঙ্কের মতো, চর্চা না থাকলে ভুলে যেতে হয়, প্রয়োজনে আবার রেফারেন্স বুক খুঁজতে হয়
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার -
কিন্তু সর্বত্র মূল পর্ব বা অতিপর্বের মাত্রাসংখ্যা ৬/৪ বজায় রাখা সম্ভব হয় নি; অর্থাৎ, ছন্দের দিক থেকে কবিতাটি ত্রুটিপূর্ণ। এটা হয়েছে এ কারণে যে লিখবার সময় আমি মাত্রা গুনে লিখি নি, শুধুমাত্র ছন্দপতন ঠেকিয়ে লিখেছি। ত্রুটিপূর্ণ জায়গাগুলো দেখুনঃ
তুমি এসেছিলে / হঠাৎ করেই ৬+৬ (ৎ-কে একমাত্রা ধরেছি, যদিও সচরাচর এটাকে গোনা হয় না)
বিরান গ্রীষ্মে / বৃষ্টি নিয়ে ৬+৫ (২য়টি অতিপর্ব না, মূল পর্ব)
জানি না আমার / কী হয়েছিল ৬+৫ (২য়টিও মূল পর্ব)
হঠাৎ জীবন / উঠলো জেগে ৬+৫ (২য়টিও মূল পর্ব)
তুমি চলে গেছো / সাথে নিয়ে গেছো ৬+৬
সকল আলো, সবখানি প্রেম ৫+৬
তুমি না থাকলে / আমিও থাকি না ৬+৬
জ্বলেপুড়ে হই বিনিঃশেষ ৬+৫ (এখানে ঃ-কে একমাত্রা ধরা হয়েছে; এটাকেও ৎ বা ং-এর মতো শূন্য মাত্রা ধরা হয়) - এখান থেকেও মাত্রা আর ছন্দ সম্পর্কে ভালো জানলাম, যা আমার জানার বাহিরেই ছিল এতদিন। তবে মাত্রা সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেলাম ভাই আজ আপনার থেকে। আগেও আপনার পোষ্টে জেনেছি, তবে আজ একেবারে সহজভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এখানে একটা বিষয় জানার আগ্রহ হচ্ছে মনে, যেমন-
ঃ - ং - ৎ - ্য - ্র - এগুলো যদি মাত্রা না ধরে আর কোন অক্ষর যোগ করি তাহলে কি মাত্রার তারতম্য হবে কিনা, বা যদি মাত্রা ধরি।
আর মাত্রা বলতে প্রতিটি অক্ষর ও উচ্চারণ কাল কেই বুঝায় কিনা ? জানার ইচ্ছে ছিল ভাই।
১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাংলায় ঃ-এর বদলে অন্য বর্ণের ব্যবহার আছে কিনা আমার জানা নেই। ং-এর বদলে ঙ ব্যবহার করা যায়, যেমন রং / রঙ। ৎ-এর বদলে ত লেখা যায়, যেমন জগৎ/জগত, উচিৎ/উচিত। সাধারণত, ৎ শব্দের মাঝখানে থাকলে তা শূন্য মাত্রা, এবং শেষে থাকলে তা ১ মাত্রা হয়। তবে, কোনো একটি কবিতায় আপনি ৎ-কে এক মাত্রা ধরলে তা সর্বত্রই ধরতে হবে; কোথাও এটাকে ১ মাত্রা ধরলেন আর কোথাও শূন্য মাত্রা ধরলেন, তাহলে সেটা ত্রুটিপূর্ণ হিসাব হবে। ঃ, ং এবং ৎ-এর জন্য এটা প্রযোজ্য।
য-ফলা বা র-ফলা বা ঋ-কার শব্দের শুরুতে থাকলে তা গোনা হয় না। মোট কথা, শব্দের শুরুতে যুক্তাক্ষর থাকলে যুক্তাক্ষরটি এক মাত্রা হিসাবেই গোনা হবে। যেমন, ব্যয়, প্রভূ, স্থান। এখানে য-ফলা, র-ফলা শূন্য মাত্রা। স্থা এক মাত্রা। আবার দেখুন, সামর্থ্য, সদ্য, তীব্রতা, অবস্থাঃ
সামর্থ্য= সা+ম+র+থ
সদ্য=সদ্+দ
তীব্রতা=তীব্+র+তা
অবস্থা=অ+ব+স্+থা
য-ফলা যদি শব্দের দ্বিত্ব-উচ্চারণ নির্দেশক হয়, তবে তা মাত্রা হিসাবে গণ্য হবে, যেমন সদ্য। সামর্থ্য শব্দে তা হয় নি। র-ফলা যদি আলাদা একটি বর্ণ হিসাবে উচ্চারিত হয়, তা মাত্রার মর্যাদা পাবে, যেমন- তীব্রতা। স্থা যুক্তাক্ষর শব্দের শেষে বসে স এবং থ আলাদা ভাবে উচ্চারিত হচ্ছে, কিন্তু স্থান শব্দে স্থা যুক্তভাবে উচ্চারিত হয়।
আশা করি এবার আরো কিছুটা ক্লিয়ার হলেন।
ধন্যবাদ নয়ন ভাই।
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৬
তপোবণ বলেছেন: কবিতা ভালো বুঝিনা। কিন্তু পড়তে কেন এতো ভাল লাগে জানিনা। এই কবিতাটি পড়লাম। কবিতার কত রকম অর্থই হতে পারে। আমি যে অর্থটি বানিয়ে নিয়েছি মনে মনে তাতেই আমার দারুণ লাগছে। 'মাত্রার' আলোচনাটি ভালো লেগেছে। নয়ন ভাইয়ের মন্তব্যে বিমোহিত হলাম। এই সুবাদে মাত্রাজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা পেলাম প্রিয় কবির কাছ থেকে। ক্লিয়ার হয়নি তবে নয়ন ভাইয়ের শেষ প্রশ্নটার উত্তর পেলে হয়তো কিছু বোঝা যাবে। ভাল থাকবেন।
১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগছে। নয়ন ভাইয়ের মন্তব্য সত্যিই উদ্দীপনা জাগায়। আপনার মন্তব্যও।
নয়ন ভাইকে তাঁর প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি। কতখানি বোঝাতে পেরেছি জানি না। আশা করি ও-টুকু পড়ে নেবেন।
ছন্দ সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে আমার এ লিংকটা দেখতে পারেনঃ বাংলা কবিতার ছন্দ – প্রাথমিক ধারণা
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বুঝেছি ভাই এবার সম্পূর্ণ ক্লিয়ার। যুক্তাক্ষর যদু একবার এক মাত্রা ধরি, তাহলে সর্বত্র একমাত্রাই ধরবো। আর যদি না ধরি তবে সবসময় ধরবো না।
আমি আপনাকে ঠিক বলতে পারিনি, যেমন-
হঠাৎ একদিন তুমি / বললে এসে কেমন আছো = ৮+১০ মাত্রা
লাগলো মনে রং জানি / আঁধার পেরিয়ে দেখি আলো = ৮+১০ মাত্রা
ভারাক্রান্ত এ মনের / প্রান্তরে দুঃসহ দুঃখ যতো = ৮+১০ মাত্রা
এক নিমিষে উদাও / সুখের দেখা এ মন পেলো = ৮+১০ মাত্রা হয়েছে কি? যদি হয় তো আমি বুঝেছি কিছুটা ধরে নিবো।
ভাই, আপনার কাছ থেকে যা শিখেছি কয়েকদিনের আলোচনায়, তা আমার মন আকাশে পূর্ণিমারচাঁদ হয়ে অলো ছড়াবে। আপনার এই আন্তরিক শিক্ষাদানের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা থাকবে সবসময়। আপনার মূল্যবান সময় যখন আমি নিয়েছি তখন আমি যথার্থ মর্যাদা সহকারেই চেষ্টা করেছি যেন আপনার এই আন্তরিক শিক্ষাদান বিফল না হয়। জানিনা কতটুকু বুঝতে পেরেছি, তবে আমি চেষ্টা করেছি শ্রদ্ধার সাথে কিছু শিখতে। দোআ করবেন ভাই। আপনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই, আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা শেষ হবার নয় কোনদিন।
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি খুব ভালোভাবেই বুঝেছেন, সন্দেহ নেই। এটাই আপনার ভিত্তি। এখন সামনে এগিয়ে চলুন।
নীচের লিংকটিতে এই অনুচ্ছেদ্গুলো মনে রাখলেই হবেঃ ১৫, ১৭, ১৮, ২০ থেকে ২৯, ৩২, ৩৩, ৩৮, ৭২ থেকে ৭৫, ১০৫ থেকে ১১৭।
বাংলা কবিতার ছন্দ – প্রাথমিক ধারণা
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৬
সুমন কর বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই। শুভেচ্ছা।
৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: এর আগে তিলাবুবুকে নিয়ে লেখা আপনার একটা গল্প পড়েছিলাম বলে মনে পড়ে, যা খুব ভাল লেগেছিল। এ কবিতাটাও খুব ভাল লাগলো।
তোমার হাসির আলতো ছোঁয়ায়
হঠাৎ জীবন জেগে ওঠে - ভীষণ কাব্যিক কবিতার এ দুটো চরণ।
কবিতায় চতুর্থ ভাল লাগা! + +
১৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ঠিকই মনে আছে স্যার। ওটার নাম ছিল 'তিলাবুবুর কথা।'
কবিতা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য বিনীত ধন্যবাদ স্যার। ভালো থাকবেন।
১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: Nice
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। শুভেচ্ছা।
১১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১
এম.এস ফরিদ বলেছেন: দারুন লিখেছেন
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ফরিদ ভাই। শুভেচ্ছা।
১২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: খলিল ভাই, একটা দ্বিমত দিয়ে কথা শুরু করি। প্রথম মন্তব্যের জবাবের শেষদিকে লিখেছেন,"এটাতে কোনো অন্ত্যমিল না থাকলেও এটা গদ্যকবিতা না। এটা মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত কবিতা।" মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত বলে এটা গদ্যকবিতা না এর সাথে সবিনয়ে দ্বিমত পোষণ করছি। কবিতা হলে সেটা কোন না কোন ছন্দে রচিত হতে হবে। সারা দুনিয়ার সব ভাষার প্রতিষ্ঠিত কবিদের ক্ষেত্রে এটাই সত্য। শুধু ইংরেজিতে যেটাকে ব্ল্যাঙ্ক ভার্স এবং ফ্রি ভার্স বলে সেখানেই ছন্দের মাত্রা বিন্যাসে স্বাধীনতা নেয়া হয়। রবীন্দ্রনাথ ফ্রি ভার্সের আদলে মুক্তক ছন্দ চালু করেছিলেন। কবিতা চিরকাল অন্ত্যমিলেই লেখা হয়েছে। আধুনিককালে গদ্য কবিতার যাত্রা শুরু হয়। গদ্য কবিতার প্রথম স্বতন্ত্র্য অন্ত্যমিল না থাকায়। এরপরে আসে শব্দের ব্যবহারের বিষয়। কিছু শব্দ গদ্যপদ্য নির্বিশেষে ব্যবহৃত হতো। কিছু শব্দ গদ্যে আর কিছু শব্দ পদ্যে ব্যবহৃত হতো। গদ্য কবিতায় গদ্যের জন্য সংরক্ষিত শব্দও কবিতায় ব্যবহার শুরু হয়। পর্ববিন্যাসেও আসে পার্থক্য।
বাংলা কবিতায় গদ্যছন্দ শুরু করেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি পয়ারের ৮+৬ মাত্রার লাইন বজায় রেখে প্রথমে অন্ত্যমিল তুলে দেন। তার নাম দেন অমিত্রাক্ষর ছন্দ। লাইনের শেষে মিলের যে মিত্রতা ছিলো তা বিদায় করে দেন। আরেকটা কাজ তিনি করেন, ৮+৬ মাত্রায় যে অর্থ স্বাতন্ত্র্য ছিলো সেটা ভেঙে দেন তিনি এবং প্রতি লাইনের অর্থ স্বাতন্ত্র্য ভেঙে দেড়, দুই বা আড়াই লাইন ব্যবহার করে পংক্তি শেষ করতেন মাইকেল। যেমন মেঘদাধ বধের সূচনা বাক্য-
"সম্মুখ সমরে পড়ি, বীর-চূড়ামণি
বীরবাহু, চলি যবে গেলা যমপুরে
অকালে, কহ, হে দেবি অমৃতভাষিণি,
কোন্ বীরবরে বরি সেনাপতি-পদে,
পাঠাইলা রণে পুনঃ রক্ষঃকুলনিধি
রাঘবারি?"
কবি এখানে পয়ারের ১৪ মাত্রা ঠিক রাখলেও ৮+৬ এর পর্ববিভক্তির শত শত বছরের রেওয়াজ ভাঙলেন। সাথে যোগ করলেন পর্ব বিভাগের রীতির বাইরে গিয়ে যতিচিহ্ণের স্বাধীন ব্যবহার। এমন সব শব্দ কবিতায় আনলেন যা ছিলো কবিতার জগতে ব্রাত্য।
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় কামাল ভাই, অনেকদিন পর আপনার সাথে কথা হচ্ছে। খুব ভালো লাগলো আপনার উপস্থিতি। আপনার অমত বা ভিন্ন মতের উপর আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা থাকলো। দ্বিমত বা ভিন্নমত থাকতেই পারে, এবং সেটা আলোচনাকে অগ্রসর করে এবং নতুন কিছু আবিষ্কারের পথ খুলে দিতে পারে। রবীন্দ্রযুগ থেকে শুরু করে অদ্যাবধি ছন্দ-পণ্ডিতদের মধ্যে ছন্দের সব বিষয়ে পুরোপুরি একমত হতে দেখা যায় নি। কোনো না কোনো জায়গায় সামান্য হলেও মতানৈক্য থাকছেই। আমি খুব সামান্যই জানি। আমার জানাটা হলো নিছক স্টাডি থেকে, ব্যাপক কোনো গবেষণা থেকে নয়। এজন্য কোথাও জড়তা, অস্পষ্টতা ইত্যাদি থাকা সম্ভব। আমার এ বক্তব্য দিয়েই আমি আপনার কথাটি পুনরাবৃত্তি করছি- কবিতা হলে সেটা কোন না কোন ছন্দে রচিত হতে হবে। সেজন্যই বলেছি, আমার এ 'তিলাবুবু' কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত কবিতা। আর অন্ত্যমিল না থাকলেই সেটা যে গদ্য কবিতা, এ মতের সাথে আপাতত একমত হতে আমার কষ্ট হচ্ছে। এটাকে আমি নিঃসন্দেহে 'আধুনিক কবিতা' বলতে পারি, কিন্তু গদ্য কবিতা বলে মেনে নিতে আমার পক্ষে কষ্ট হচ্ছে। গদ্য কবিতাটি গদ্যচ্ছন্দে রচিত হতে হবে, যেটি টানা গদ্যের মতো পাঠ বা আবৃত্তি করা যায়। আমি জানি না, আপনি এটা কীভাবে পড়েছেন- পর্ব ভাগ করে, নাকি টানা গদ্যের মতো। টানা গদ্যের মতো পড়ে থাকলে মেনে নিলাম- এটা গদ্য কবিতা। কারণ, পাঠ বা আবৃত্তির উপর ছন্দ নির্বাচন নির্ভর করতে পারে।
রবীন্দ্রনাথের 'পুনশচ' কাব্যগ্রন্থটি গদ্য কবিতার সংকলন। ঐ গ্রন্থে আমার চোখে এমন কোনো কবিতা পড়ে নি যেটি প্রধান তিন প্রকার ছন্দ- স্বরবৃত্ত, মাত্রা বা অক্ষরবৃত্তের উপস্থিতি আছে। সবগুলোকে তিনি পদ্যের মতো লাইন ভেঙে দিয়েছেন, কিন্তু সেগুলো পঠিত হয় টানা গদ্যচ্ছন্দে। আবার, 'লিপিকা'-কে তিনি গল্পগ্রন্থ হিসাবে স্থান দিয়েছেন, কিন্তু সবগুলো গল্প ঠিক গল্প নয়, অনেকটাই কবিতা; এবং এ কবিতাগুলোকে তিনি গদ্যের মতোই লিখেছেন, কবিতার মতো সুসজ্জিত লাইনে ভাঙেন নি।
যাই হোক। আপনার ভিন্ন ভাবনা আমার মাথায় খুব ঘুরপাক খাচ্ছে।
আর 'মেঘনাদ বধ' সম্পর্কে যেটা বললেন, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু মাইকেল অমিত্রাক্ষরে অন্ত্যমিল বর্জন ও বাক্যের প্রবহমানতা আনয়ন করলেও পয়ারের ৮+৬ বিভাজন কিন্তু বিদ্যমান; ব্যতিক্রমটা হয় শুধু পাঠ বা আবৃত্তির সময়। তিনি শত বছরের যে ঐতিহ্য- বাক্যশেষে যতি বা ছেদ, তিনি সেটি ভেঙে প্রবহমানতা এনেছেন, যাতে বাক্যের শেষেই কেবল নয়, বাক্যের মাঝখানেও দাড়ি বসতে পারে। আরেকটা কথা কামাল ভাই, আমি মেঘনাদ বধ-কে কোথাও গদ্য কবিতা হিসাবে অভিহিত হতে দেখি নি- সর্বত্রই অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত মহাকাব্য হিসাবে অভিহিত হতে দেখি। অমিত্রাক্ষর অবশ্যই গদ্যচ্ছন্দের আদি রূপ; কিন্তু আমি জানি না অমিত্রাক্ষরকে গদ্যচ্ছন্দ বা গদ্য কবিতা বলা কতখানি যুক্তিযুক্ত, বিশেষ করে মেঘনাদ বধের ব্যাপারে।
১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: তিন ছন্দে মাত্রা গণনার ক্ষেত্রে সাধারণতঃ একক বর্ণ সব ছন্দে এক মাত্রা। আমি-সব ছন্দে ২ মাত্রা। আনারস মাত্রাবৃত্তে ৪ মাত্রা, স্বরবৃত্তে ৩ মাত্রা- আ-না-রস। অক্ষরবৃত্তে ৪ মাত্রা- আ-না রস। রস বদ্ধাক্ষরটি শব্দের শেষে বলে ২ মাত্রা। বদ্ধাক্ষর মাত্রা বৃত্তে সর্বত্র ২ মাত্রা, স্বরবৃত্তে সর্বত্র ১ মাত্রা, অক্ষরবৃত্তে শব্দের শুরুতে বা মাঝে থাকা বদ্ধাক্ষর ১ মাত্রা, শব্দের শেষের বদ্ধাক্ষর ২ মাত্রা। অন্ধকার শব্দে অন-বদ্ধাক্ষর, ধ-মুক্তাক্ষর আর কার-বদ্ধাক্ষর। মাত্রাবৃত্তে বদ্ধাক্ষর যেহেতু সর্বত্র ২ মাত্রা তাই মাত্রাবৃত্তে অন্ধকার ৫ মাত্রা (অন-২, ধ-১, কার-২)। স্বরবৃত্তে যেহেতু বদ্ধাক্ষর সর্বত্র ১ মাত্রা তাই স্বরবৃত্তে অন্ধকার ৩ মাত্রা (অন, ধ, কার)। অক্ষরবৃত্তে অন্ধকার ৪ মাত্রা (অন শব্দের শুরুর বদ্ধাক্ষর বলে ১ মাত্রা, ধ ১ মাত্রা আর কার শব্দের শেষের বদ্ধাক্ষর বলে ২ মাত্রা)। একটি বদ্ধাক্ষরের শব্দ সুবিধামতো ১/২ মাত্রা বিসাবে ব্যবহৃত হয়( আম, জাম, কম)
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ অংশের সাথে কোনো দ্বিমত নেই; আপনার হিসাব ঠিক আছে।
কামাল ভাই, আপনি বরং কষ্ট করে নীচের লিংকটা একটু পড়ুন। কোনো মতামত ওখানে দিলে ছন্দ-পিপাসুরা অধিক উপকৃত হবেনঃ
বাংলা কবিতার ছন্দ – প্রাথমিক ধারণা
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কামাল ভাই। শুভেচ্ছা।
১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০২
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
প্রথম কমেন্টে কবিতার যে গানিতিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেভাবে আমি তো কোন কবিতাই লিখতে পারি না । আপনি তো আমার কিছু কবিতা পড়েছেন এবং নিশ্চয় দেখেছেন আমার কবিতাগুলো কোন সূত্রেই ফেলা যায় না, অগোছালো । এ সব সুত্রগুলো ধরে মেপে মেপে লিখতে গেলে আমি কবিতার খেই কবিতা লেখার আগেই হারিয়ে ফেলি, মূল ভাব যায় হারিয়ে। হয়তো বড় মাপের কবি হতে হলে কবিতার মধ্যে কবিতার গ্রামার থাকা জরুরী । আমি হয়তো বড় মাপের কবি হতে চাই না বলেই এসব ব্যাপারে উদাসীন !
একটু বেশি কিছুই অপ্রাসঙ্গিক লিখে ফেললাম ।
এবার কবিতার কথা বলি, এমন কবিতা গুলো জীবনকে টানে, তাই সবসময়ই পড়তে ভাল লাগে ।। এমন কাউকে না হারালেও এমন কবিতা পড়লে মনে হয় আমিও এমন করে কাউকে হারিয়ে ফেলি এবং আবার ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় মগ্ন হই, ইচ্ছে প্রণোদিত !! হা হা
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হিসাব-নিকাশ করে আসলে কবিতা লেখা যায় না। আমিও এ কবিতাটা লেখার আগে কোনো হিসাব করি নি। তবে, কোথাও যেন ছন্দপতন না হয়, সেদিকে আমার সজাগ দৃষ্টি ছিল, যদিও কোনো কোনো জায়গায় ছন্দপতন ঘটেছে। ছন্দ ঠিক আছে কিনা আপনার কানই তা বলে দিবে বা ধরিয়ে দিবে।
কবিতা লেখার আগে ছন্দ শিখেছেন এমন কোনো কবি পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ, একজন কবি কবিতা লেখার আগে অবশ্যই কবিতা পড়ে থাকবেন। যিনি জীবনে কবিতা পড়েন নি, বা কবিতা দেখেন নি, কবিতা কী বস্তু সে-ব্যাপারে কোনো জ্ঞান লাভ করেন নি, তাঁর পক্ষে কবিতা লেখা সম্ভব নয়। যেমন, যে-আঁকিয়ে উট দেখেন নি, তিনি উট আঁকতে পারবেন না।
আমরা কবিতা পড়ার সময়ই লক্ষ করে থাকি যে, সবগুলো কবিতাই একই ছন্দে লিখিত নয়। হয়ত কোনটা কোন ছন্দে রচিত তা জানি না, কিন্তু একটা কবিতা থেকে অন্য কবিতাটি অন্য রকম তালের হলেই আমরা বুঝতে পারি দুটি কবিতার ছন্দ দু রকম। আমরা যদি ঐ তাল বা ছন্দগুলো মনে রাখতে পারি, তাহলেই ছন্দের ৯০% জানা হয়ে গেলো বলে আমি মনে করি।
আপনার কবিতাগুলো আমি যদ্দূর পড়েছি নিখুঁত গদ্যচ্ছন্দে রচিত। টেনশনের কোনো কারণ দেখি না। মৌলিক ৩ প্রকার ছন্দ যথা- স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত বা অক্ষরবৃত্ত বস্তুত আমাদের পাঠুপুস্তক কেন্দ্রিক (তাও প্রধানত উচ্চমাধ্যমিক লেভেল পর্যন্ত। যদিও অধুনা কিছু গদ্যকবিতা/আধুনিক কবিতা যুক্ত হয়েছে)। আধুনিক কবিতায় ওগুলোর প্রচলন/ব্যবহার প্রচুর হ্রাস পেয়েছে।
বাংলা কবিতার ছন্দ – প্রাথমিক ধারণা - পোস্টের নীচের প্যারাগুলো পড়ে দেখতে পারেনঃ
৪। কবিতা লিখতে হলে আগে ছন্দ জানতে হবে তা জরুরি নয়। তবে যিনি কবিতা লিখছেন তাঁকে অবশ্যই আগে কবিতা পড়তে হবে, বা কবিতা কী জিনিস, বা কী রকম, কবিতার বৈশিষ্ট্য কী, সে সম্পর্কে সাধারণ ধারণা থাকতে হবে। যিনি জীবনে কোনো কবিতা পড়েন নি, বা কবিতা ও এর ছন্দ বা বৈশিষ্ট্য কী রকম, তা জানেন না, তাঁর পক্ষে কবিতা লেখা অসম্ভব। যেমন, যে কখনো হাতি দেখে নি, তার পক্ষে হাতির ছবি আঁকা বা হাতির বর্ণনা লেখা সম্ভব নয়।
৫। তবে, যিনি ছন্দ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখেন, আর যিনি আদৌ রাখেন না, তাঁদের লেখার মধ্যে কিছুটা তফাত থাকবেই। একটা কবিতা বিশ্লেষণ করার সময় এর নানাদিক দেখা হয়; ছন্দ-সমীক্ষণও নিশ্চয়ই তার একটা আলোচ্য দিক থাকবে।
৬। নিখুঁত ছন্দে কবিতাটি লিখিত হয়েছে কিনা, তার চেয়ে বেশি জরুরি হলো কবিতাটি কবিতা হয়েছে কিনা তা বিচার করা। যিনি ভালো কবিতা লিখেন, তাঁর ছন্দ আপনা-আপনিই নিখুঁত হয়ে থাকবে, কারণ, তিনি ইতোমধ্যে কবিতার গভীরে প্রবেশ করেছেন, আর কবিতা কী জিনিস তা তাঁর একেবারে আয়ত্তের মধ্যে চলে এসেছে।
এবং
১৫, ১৭, ১৮, ২০ থেকে ২৯, ৩২, ৩৩, ৩৮, ৭২ থেকে ৭৫, ১০৫ থেকে ১১৭।
----
কবিতা পাঠের জন্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৪
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণধর্মী প্রতিমন্তব্য পড়ে বেশ কিছু জিনিস জানার আগ্রহ মনে উকিজুকি দিচ্ছে ।
কবিতার প্রতি আপনার আগ্রহ দেখে মনে হয় আপনি অন্য সকলের মত কবিতা প্রেমী নয় । আপনি ভিন্নশ্রেণীর কবিতা প্রেমী । কারণ আপনি শুধু কবিতা লেখেন কিংবা পাঠ করেন না । এ নিয়ে বিশ্লেষণ করেন, নানাবিধ আঙ্গিকে কবিতা ছলাকলা বুঝতে চেষ্টা করেন । এ ব্যাপারগুলো খুব কম মানুষের মধ্যে থাকে, আপনি তাদের মধ্যে একজন ।
আমার কথাগুলো আপনার জন্য কোন বাড়তি প্রশংসা নয় ।
অনেক ধন্যবাদ এমন যত্ন নিয়ে ব্যাপারগুলো বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার কথাগুলো আপনার জন্য কোন বাড়তি প্রশংসা নয় । যতটুকু প্রাপ্য, ঠিক ততটুকুই নিলাম। অশেষ ধন্যবাদ এই কমপ্লিমেন্টের জন্য।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ ভাই, ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে গেলে সে চাঁদের মেয়েই হয়, যা কোনদিন পাওয়ার আশা থাকেনা! বনের পাখি যদিও ফিরে আসে মায়ার টানে কোনদিন পুরনো নীড়ে, কিন্তু মনের মানুষ একবার ছিড়ে গেলে বাঁধন আর ফিরে না কোন কালে!! মনের মানুষ নদীর মতো ঘর ভাঙিয়া বাঁধে অন্য ঘর ঠিক যেমনটি কুল ভাঙিয়া নদী গড়ে অন্য চর!!
কবিতায় অনেক ভালোবাসা ভরে রেখেছেন, তেমনি একবুক কষ্টের ছোঁয়া রেখেছেন, যে কষ্টের শেষ নেই। ভালো লাগগলো ভাই গভীর ভালোবাসার কাব্য।
শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।