নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
যাত্রীদের ডেকে বাসে ওঠানোর জন্য চিল্লাতে চিল্লাতে হেল্পারদের গলা ফেটে যাচ্ছে, যাত্রীরাও দৌড়ে ছুটছেন বাসে ওঠার জন্য। আপনি বাসে উঠে হ্যান্ডল ধরে দাঁড়িয়ে আছেন, বা অনেক কষ্টে পাওয়া একটা সিটে বসে আছেন তো আছেনই, বাস সামনে নড়ছে না। হঠাৎ ঘুড়ড়ৎ আওয়াজ করে সমগ্র বাস ঝাঁকি দিয়ে সামনে এক ইঞ্চি গিয়ে অমনি শক্ত করে ব্রেক চাপলো ড্রাইভার। আপনারাও হুড়মুড় করে সামনে পড়ে গিয়ে সামনের সিটে মাথা ফাটালেন, কিংবা একজন আরেকজনের গায়ের উপর জোরসে পড়ে গেলেন। সহসাই বাস দৌড়ে ছুটলো। ঝাঁকে ঝাঁকে বাস ছুটছে। কে, কার আগে গিয়ে পরের স্টপেজে পৌঁছবে- এর জন্য শক্ত কম্পিটিশন। ছুটন্ত অবস্থায়ই পথে যেখানে যাকে পাওয়া গেলো, তাকেও টেনে ওঠানো হলো। ঝুলতে ঝুলতে চলতে থাকলেন।
আমাদের প্রতিদিনের বাস চলাচলের চিত্র এটাই। প্রধান শহরগুলো, বিশেষ করে ঢাকায় এ প্রবণতা হলো অত্যন্ত প্রকট। দূরপাল্লার বাসেও এটা অহরহ হয়ে থাকে। ঢাকা-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আমি প্রচুর যাতায়াত করেছি। বাসে যতক্ষণ থেকেছি, সবচেয়ে বেশি আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় সময় কাটিয়েছি। এই দুই সড়কে আমি তিনটি দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম। একবার বাস খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মারা যায় ৭জন; আমি বাসের ভেতরে পানির মধ্যে আটকে ছিলাম; আমি ছিলাম মৃত্যু থেকে বেঁচে যাওয়া শেষ যাত্রী। আরেক ঘটনায় বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আমার কয়েকজন কলিগ ও কয়েকজন যাত্রী আহত হোন। একবার বাস লাইন চ্যুত হয়ে খাদে গিয়ে পড়ে; আমরা যাত্রীরা প্রাণে রক্ষা পেলেও রাস্তার পাশে বসে থাকা পথচারীর উপর দিয়ে বাস চলে গেলে দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আরেকবার টাঙ্গাইল যাওয়ার পথে পাল্লা দিয়ে একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে ধাক্কা লেগে যায় এবং অল্পের জন্য ছিটকে গিয়ে পাশের খাদে পড়া থেকে বাস রক্ষা পায়।
ঢাকা শহরে হাত, পা, মাথা থেতলে যাওয়া, শরীর থেকে হাত আলাদা হয়ে যাওয়া, দুই বাসের মাঝখানে পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া, নিকট অতীতের ঘটনা। চট্টগ্রামের সীটাকুণ্ডে ৪৫ জন স্কুল ছাত্রের সলীল সমাধি, টাঙ্গাইলেও যদ্দূর মনে পড়ে ৩০-এর অধিক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস খাদে পড়ে যাওয়া- ভয়াবহতম ঘটনা।
এতসব দুর্ঘটনাকে আর দুর্ঘটনা বলে হাল্কা করে দেখার উপায় নেই। এসব স্রেফ দুর্ঘটনা না। পরিকল্পিতভাবে মানুষ মারা ছাড়া আর কিছুই না এগুলো - বলুন 'মার্ডার'। এর জন্য দায়ী কি শুধুই ড্রাইভার? প্রাথমিকভাবে হয়ত ড্রাইভাররাই এর জন্য দায়ী। কিন্তু এইদেশে ড্রাইভারদের কজনের নিজের বাস-ট্রাক আছে? এরা সবাই বাস-ট্রাক মালিকদের নিয়োগ দেয়া কর্মচারি মাত্র। এই মালিকরা কী ধরণের ড্রাইভারদের 'ড্রাইভার' হিসাবে নিয়োগ দিচ্ছেন? যারা 'ড্রাইভিং' লাইসেন্স পাচ্ছেন, তারা কি সত্যিকারেই 'ড্রাইভ' করার যোগ্যতা দেখিয়ে লাইসেন্স পাচ্ছেন? নাকি গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি চেনার 'দক্ষতা' দেখিয়ে লাইসেন্স পাচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তর কার জানা আছে?
আমরা সাধারণ মানুষরা এক বিরাট ফাঁদ-এর মধ্যে আটকা পড়ে আছি। এই ফাঁদ যারা রচনা করেছেন, তারা হলেন গাড়ির মালিক, গাড়ির চালক, এবং যারা চালকদের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স দেন (বলুন, যারা চালকদের মানুষ মারার লাইসেন্স দেন), তারা। আমরা এই ফাঁদ থেকে বের হতে পারি- তার কোনো সম্ভাবনা দেখি না।
যে বিষয়গুলো খুব ভেবে দেখা দরকার এবং বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন, তা হলোঃ
ক। গাড়ির লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষকে সঠিক নিয়ম মেনে কেবল উপযুক্ত ব্যক্তিদেরই লাইসেন্স দিতে হবে।
খ। গাড়ির মালিকগণ চালক নিয়োগের সময় শুধু চালকের লাইসেন্স দেখেই ক্ষান্ত হবেন না, তারা চালকদের গাড়ি চালানোর পরীক্ষা নেবেন; ডাক্তারি পরীক্ষা করাবেন; তারা শুধুই যে গরু-ছাগল চিনতে পারে তা না, মানুষও চিনতে পারে, এটাও নিশ্চিত হতে হবে।
গ। চালকদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখতে হবে। জানা যায়, চালকরা ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। অধিক সংখ্যক ট্রিপ দিতে হবে বলে তারা ইয়াবা গ্রহণ করে ঘুম নিবারণ করেন। একজন মাদকসেবী, ক্লান্ত গাড়ি চালকের মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে না- এটা সাধারণ বুদ্ধিতেই সহজে অনুমান করা যায়। গাড়ির মালিকদের মধ্যে এ ব্যাপারে মানবীয় গুণের প্রতিফলন দেখাতে হবে। বেশি টাকার লোভে বেশি ট্রিপ দিতে গিয়ে যাত্রীদের জীবন নিয়ে খেলতে থাকে চালকগণ। আর এজন্যই, প্রতিদিন আমরা কোনো না কোনো সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাচ্ছি। এত 'হত্যা' কি সহ্য করা যায়? যার যায়, একমাত্র সেই জানে এই হত্যার ঘা কতখানি মর্মান্তিক আর বেদনাময়।
ঘ। আইনের সঠিক বাস্তবায়ন জরুরি। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে কঠোরতর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
ঙ। যত্রতত্র গাড়ি থামানো এবং এক স্টপেজে দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রী বাড়ানোর উদ্দেশ্যে গাড়ি থামিয়ে রাখা বন্ধ করতে হবে। এগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে ট্রাফিক পুলিশের দ্বারা। আমার মনে পড়ে, একবার তিন মাসের জন্য ঢাকা শহরে আর্মি নামানো হয়েছিল ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য। ঢাকা শহরে আমি সেই সময়ে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল গাড়ি চলাচল দেখেছি। মহাখালি, বনানী, ফার্মগেইট, কাউরান বাজারের মোড়ের মতো প্রচণ্ড জ্যামের জায়গাগুলোতেও সেই সময়ে কোনো জ্যাম ছিল না। যাত্রীদের লাইন ধরিয়ে বাসে উঠানো শিখিয়েছিল আর্মি, যেই শৃঙ্খলা এখনো কোনো কোনো বাস স্টপেজে বিদ্যমান রয়েছে। ঠিক একই ভাবে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ এই কাজগুলো করতে পারেন।
চ। গাড়ি চালানোর সময় ড্রাইভারের মোবাইলে কথা বলা, বা অন্যদের সাথে কথা বলা, গল্প করা বন্ধ রাখতে হবে। এতে ড্রাইভারের অন্যমনস্ক হয়ে পড়ার সম্ভাবনা হয়, আর তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
ছ। অনেক স্থানেই মেইন রোডের উপর হকার, রিকশা, সিএনজি, ইত্যাদির জন্য রাস্তা সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে গাড়ি চলাচলের জায়গাও সংকুচিত হয়ে আসে। সেখানে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। কর্তৃপক্ষকে এ ব্যবস্থাকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে, যাতে গাড়ি চলাচলের রাস্তা কোনোভাবেই সংকুচিত হতে না পারে।
জ। রোড অ্যাক্সিডেন্টের জন্য ড্রাইভারের সাথে গাড়ির মালিককেও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এফ-আই-আর-এর সময়ে পুলিসকে এ বিষয়টা মনে রেখে মালিকের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে (আমি নিশ্চিত নই, এটা বর্তমানে হয় কিনা। হয়ে থাকলে তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে)। এর জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান রাখতে হবে।
ঝ। ড্রাইভার যেন হাই-স্পিডে গাড়ি না চালায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য ট্রাফিক পুলিশ/হাই-ওয়ে পুলিশকে আরো কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ ছাড়া, আমাদের যাত্রী ও পথচারীদেরও কিছু দায়িত্ব আছেঃ
ক। গাড়িতে ওঠার জন্য যেখানে-সেখানে বাস থামানোর জন্য ইশারা দেবেন না, বাসে উঠবেনও না, দয়া করে স্টপেজে যান। অনেক সময় বাসের হেল্পাররা আপনাকে বাসে উঠানোর জন্য আপনার সামনে বাস থামাবে এবং আপনার ডেনা/কলার ধরে আপনাকে বাসে টেনে তুলেব (ডেনা- আপনার বাহু। আমাদের দোহারের ভাষায় এটাকে 'ডেনা' বলি)। এটা পরিত্যাগ করুন।
খ। আপনার আগের ব্যক্তিকে আগে গাড়িতে উঠতে দিন; বাসে জায়গা না থাকলে সেই বাসে ওঠা বাদ দিন। দরজার হ্যান্ডেলে ঝুলে থেকে জীবনের রিস্ক নেবেন না। গাড়ির ভেতরে একসময় লেখা থাকতো- সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। এখন এরকম লেখা আমার চোখে পড়ে না (আমি অন্ধ, এজন্য হয়ত দেখি না)। কিন্তু আমরা জীবনের চেয়ে সময়ের মূল্য বেশি দিতে গিয়ে অধৈর্য হয়ে পড়ি, আর জীবনের রিস্ক নিয়ে গাড়িতে ওঠার জন্য যেখানে-সেখানে ছুটতে থাকি, ফলে আমরা পরিকল্পিত ফাঁদ থেকে আর রেহাই পাই না।
গ। রাস্তা পারাপারের জন্য সুনির্দিষ্ট জায়গা ব্যবহার করুন। যেখানে ফুট-ওভার ব্রিজ আছে, সেখানে রাস্তায় নামা থেকে বিরত থাকুন এবং ফুট ওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হোন।
ঘ। রাস্তা পারাপারের সময় সতর্কভাবে ডানে-বামে তাকান, চলাচলরত গাড়ির গতিবিধি লক্ষ করে রাস্তা পার হোন। একইভাবে সতর্ক থাকুন যখন আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন।
ঙ। ড্রাইভারকে অতিমাত্রায় বেশি গতিতে গাড়ি চালানোয় উৎসাহিত না করা। আমি নিজেই সাক্ষী, ড্রাইভারগণ একটু কম স্পিডে গাড়ি চালালে যাত্রীরা খুব বিরক্ত হোন, এবং হাই স্পিডে গাড়ি চালানোর উদ্দেশ্যে ধমকাতে থাকেন ও বকাবিক করতে থাকেন। এতে যাত্রীদের উপরই রিস্ক বাড়তে থাকে। বরং, ড্রাইভার যদি খুব বেশি স্পিডে গাড়ি চালান, তাকে নরম কথায় নিরুৎসাহিত করতে হবে (অনেক সময় ধমক খেয়ে ড্রাইভার আরো বিগড়ে যান, কিংবা ঘাবড়েও যেতে পারেন, ফলে দুর্ঘটনা ঘটানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়)।
নীতিনির্ধারক মহল এবং আমাদের বুদ্ধিজীবিরা এই ব্যাপারে আরো অধিক বাস্তবসম্মত পন্থা বের করতে পারেন।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভারতে গতদিন সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন মারা গেছে, এগুলা নিয়ে তো ওরা এত কথা বলছে না, আপনারা এই ৩ জন মারা যাওয়া নিয়ে এত কথা বলছেন কেন?
---
আমার বলার আর কিছুই নাই প্রিয় জী এস আহমেদ ভাই। আমরা যারা জিম্মি, তারা মনে হচ্ছে অল্প কয়েকটি মানুষ, তাই কিছুই হচ্ছে না। আমরা কবে জাগবো আরেকবার, এসব মার্ডারারদের উপযুক্ত বিচার করে এই দেশ থেকে বিতাড়িত করতে?
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬
ঋতো আহমেদ বলেছেন: খুব ভালো একটি পোস্ট। সমস্যা ও কারণ বিশ্লেষণ, প্রতিকার এর সম্ভাব্য কিছু উপায় চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। +++
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ঋতো আহমেদ।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮
গরল বলেছেন: সবচেয়ে বড় সমস্য সরকার, সুশাসন থাকলে এরকম হতে পারত না কোনদিন।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৫
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ ও আমাদের করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২০
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম মন্তব্যকারীর সঙ্গে আমি একমত- সড়ক দুর্ঘটনা কমাবার একমাত্র উপায় হচ্ছে সাথে সাথে বাস ড্রাইভার আর কন্ডাক্টরকে নামিয়ে মেরে ফেলা। মাত্র ২/৩ টাকে মারলেই এরা সাবধান হবে, কারণ জানের ভয় প্রত্যেকেরই আছে। এছাড়া এই লেখালেখি বলাবলি কোন কাজেই আসবে না। ইলিয়াস কাঞ্চন, তারানা হালিম আরও অনেকেই চেষ্টা করছেন, কি লাভ হল? একটা মাত্র উপায়, জানের বদলে জান। ড্রাইভার দের মেরে ফেলা। সেটা যখন সরকার করে না, তখন জনগণকেই করতে হবে।
চমৎকার বিশ্লেষণী পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একজন সচেতন নাগরিক হয়ত কোনোদিনই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার ব্যাপারটা সাপোর্ট করবেন না, তবে, যেখান 'বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে', অরাজকতাই যখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে ওঠে, সেখানে কোনো আইনের বাস্তবায়ন হয় না বলেই পরিস্থিতি ঐ পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, তখন জনগণের এই নৈরাজ্য প্রতিহত করার দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসা অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ায়।
৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৯
জগতারন বলেছেন:
প্রথম মন্তব্যকারীর সঙ্গে আমি একমত- সড়ক দুর্ঘটনা কমাবার একমাত্র উপায় হচ্ছে সাথে সাথে বাস ড্রাইভার আর কন্ডাক্টরকে নামিয়ে মেরে ফেলা।
সহমত !!!
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মতামত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দক্ষ ড্রাইভার ছাড়া অনভিজ্ঞ ড্রাইভার দিয়ে গাড়ী চালানো বড় ধরণের অপরাধ। সেই ক্ষেত্রে মালিক পক্ষের পানিশমেন্ট হওয়া উচিৎ। ড্রাইভারে যে নিয়োগ দেয় তার দোষ কম নয়। ড্রাইভারকে উত্তম মাধ্যম দিতে হবে।
আমি দিয়েছিলাম। চোখের সামনে এক টেম্পু ড্রাইভারের কারণে এক্সিডেন্ট করে এক মহীলা দারুন আহত হয় অন্যরাও। এক ঘুষিতে ড্রাইভারের মাথার পিছন দিকটা ফাটিয়ে দিয়ে ছিলাম। ড্রাইভার সাথে সাথে সেন্সলেস। বাঁচার জন্য নাটক করে থাকতে পারে।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মতামত এবং হিরোইক অ্যাকশনের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।
৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮
জগতারন বলেছেন:
এই হাসনেওলা কু**র বাচ্ছা নৌমন্ত্রীর বাপের নাম; আচমত খাঁ, মোক্তারি করতো মাদারীপুর কোর্টে, বাড়ী হাউসদী গ্রামে।
ওর বাপের নুন আনতে পানতা ফুরাতো।
এখন এই হারামী হাজার লক্ষ কোটী টাকা সুইস ব্যাঙ্কে।
এ সব টাকাই বাংলাদেশের জনগনের টাকা।
মাদারীপুর ওর ঘরের সামনে ওর নিজের দৈত্তের মত এক বিরাট ছবি টানাইয়েছে,
যেন বলতে চায়ঃ
"অত্র এলাকায় আমিই সবচেয়ে বড় দানব, আমার সামনে আসবি না, এক্কেবারে খাইয়া ফেলাবো"
এই হারামীর জাহান্নামে স্থান হোক কামনা করি।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় সোনাবীজভাই,
অত্যন্ত সময়োপযোগী পোষ্ট। লিখেছেনও খুব সুন্দর। তবে এহেন পোষ্টের পাশাপাশি সচেতনতাও দরকার । অভিজ্ঞতায় দেখেছি বেশিরভাগ ড্রাইভাররা আর্থিকভাবে পিছিয়ে। আবার সবসময় যে ওদের ভুল না হলেও দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ভারতে কালিকাপ্রসাদের ড্রাইভারকে বহুদিন জেলে থাকতে হয়েছিল, য়দিও মামালাটি এখনও চলছে। আবার স্রেফ মোদীর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোয় সলমন খানের ফুটপতে সাতজনের হত্যা মামলাও তেমন কিছুই হয়নি। অভিনেতা বিক্রম টালিপাড়ায় আগে থেকেই তৃণমুল ঘনিষ্ঠ ছিল। তাঁর ক্ষেত্রেও শুধু তদন্তাকারেই বিষয়টি রয়ে গেছে। ভারতে ড্রাইভারদের এরকম অনিচ্ছাকৃত মৃত্যুতে সাতবছর জেলের ব্যবস্থা আছে। তবে ড্রাইভাররাও মানুষ, কারোনা কারো পিতা, স্বামী বা সন্তান। বেপরোয়া ড্রাইভিং হলে এমন মামলায় তাদের শাস্তির বিধানটা তাই সঙ্গত মনে হলেও পরিস্থিতির শিকার হয়ে আইনী ঝামেলায় য়েন জীবন চলে না য়ায় সেটাও বোধহয় একটু দেখা দরকার।
কোনও একবার গ্রীষ্মের ছুটিতে বাকুড়া যাচ্ছিলাম। জয়পুর জঙ্গলে আমাদের বাসটি অন্তত সত্তর কিমি বেগে চলছিল।একটু ঝিমুনিও সঙ্গে ছিল। সাধারনত এই জায়গায় তখন মাওবাদীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। তবে প্রশাসনের এসকর্ট তখনও চালু হয়নি। যাইহোক হঠাৎ ঘুমটা ভেঙে গেল। বাসের স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেল। সবাই দেখলাম জায়গা ছেড়ে উঠে পড়েছে। একটি বিষধর সাপ রাস্তা পার হচ্ছিল। পরে এরকম বিপদজনক স্থানে না হয় সাপটিকে চাপা দিয়ে এগোতে পারতেন বলো অনেকে মতামত দেওয়াই ড্রাইভার হাসতে হাসতে মাথা নেড়ে জানিয়েছিলেন, স্টিয়ারিং হাতে নেওয়ার সময় শপথ করি জ্ঞানত কাউকে চাপা দেবোনা।
কতটা মানতে পারবো সেটা উপরওয়ালাই জানেন।
দিয়া খানম ও আব্দুল করিমের পরিবারের প্রতি কোনও সমবেদনা যথেষ্ট নয়। দুটি তাজা প্রাণ অকালে চলে গেলো । ওদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। মাস পাঁচেক আগে মুর্শিদাবাদে বাস নদীতে পড়েও বহু মানুষের সলিল সমাধী ঘটেছিল। যেমন গতকাল খাদে বাস পড়েগিয়ে ৩৩ জনের প্রাণ গেলো। আমরা বাস্তবে অসহায়। তবে প্রশাসন সদর্থক ভূমিকা নিলে কিছুটা হলেও দুর্ঘটনা কমতে পারে বলে আমার মনে হয়।
অনেক শুভেচ্চা আপনাকে।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিশদ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরী। আপনি যে-দিকটার কথা তুলেছেন, আমার মনে হয় সেই অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনার জন্য কারোই কোনো অভিযোগ থাকবে না। কিন্তু, আমাদের অভিজ্ঞতায় এমন অনিচ্ছাকৃত রোড অ্যাক্সিডেন্টের উদাহরণ খুব বেশি আছে বলে মনে হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় খুব হাই স্পিডে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো হয়েছে, অথবা ড্রাইভাররা/হেল্পাররা ছিল খুব বেপরোয়া। লাইসেন্স দেওয়ার সময় সঠিকভাবে টেস্ট নেয়া হলে অবশ্যই ভালো ড্রাইভাররা লাইসেন্স পাবে। একজন ভালো ড্রাইভার নিজে থেকেই সচেতন হবে, এবং আপনার উল্লেখিত ড্রাইভারের মতো যদি কারো মোটিভেশন এরকম হয় যে সে কাউকে চাপা দিবে না, তাহলেই তার মধ্যে কোনো স্বেচ্ছাচারিতা ভর করবে না। একটা রোড অ্যাক্সিডেন্ট মানে যে শুধু যাত্রীরাই মারা যাবে তা তো না, ড্রাইভার নিজেও এর ভিক্টিম। কেউ তো আর নিজেকে নিজে মারতে চায় না, ড্রাইভারও তা চাইবে না।
এজন্য প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি, যা দিয়ে আপনি মন্তব্য শেষ করেছেন।
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।
১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ওরা নির্লজ্জ ,ওদের মত বেহায়া দুনিয়ার আর কোথায়ও খুঁজে পাবেন না ।
দেশের যে কোন জাতীয় দুর্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সড়ক দুর্ঘটনাকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষনা করে, সড়ক ব্যবস্থাপনায় আমাদের গর্ব ও অহংকারের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হওক ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
১১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: গতকাল এ খবরটা শোনার পর থেকে মনটা ভীষণ খারাপ। অনেক দু;খ ও বেদনাবোধ নিয়ে রাত জেগে এ আশায় ছিলাম যে এবারে হয়তো শুনতে পাবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার এই কুলাঙ্গার মন্ত্রীটিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন তার ঐ জল্লাদমার্কা, অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য ও হাসির জন্য, যা বেদনাহত জাতির গালে এক নিষ্ঠুর চপেটাঘাত বলে আমার মনে হয়েছে। কিন্তু হা হতোস্মি!
আহমেদ জী এস, করুণাধারা, প্রমুখ প্রাজ্ঞজনও কতটা বিষাদ ভারাক্রান্ত হলে এমন মন্তব্য করতে পারেন, তা সহজেই অনুমেয়।
আপনি সুন্দর একটি বিশ্লেষণমূলক পোস্ট দিয়েছেন। এসব প্রেসক্রিপশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অজানা নয়, প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার এবং প্রেসক্রিপশন প্রয়োগের।
পোস্তে প্লাস + +
৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এসব প্রেসক্রিপশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অজানা নয়, প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার এবং প্রেসক্রিপশন প্রয়োগের। আমি এটা জানি স্যার যে এসব প্রেস্ক্রিপশন সবারই জানা। তারপরও কেন এ ধরনের পোস্ট দেয়া? প্রতিদিন কত খুন, ধর্ষণ আর সড়ক দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়? আমরা সবাই বাবা, মা, ভাই, বোন। আমাদের সন্তানাদিও কেউ স্কুলে যায়, কেউ চাকরি করে। সারাক্ষণ এক ভয়াবহ আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটে- এ বুঝি শুনতে পাব আমার ছেলেটা/মেয়েটা বাস চাপা পড়ে মরে গেছে, কিংবা কেউ হাতুড়ি দিয়ে ওর হাঁটু গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এসব আতঙ্কের মধ্যে সুস্থ মস্তিষ্ক নিয়ে কেউ বাঁচতে পারে? সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখতে পাচ্ছি, তা হলো এসব পরিস্থিতির শিকার হওয়া ও সহমর্মী মানুষদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। আমরা কবে মুক্তি পাব? মুক্তি কি আসলে পাব?
১২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আল্লার মাল আল্লায় নিছে বলার অপরাধে তিরস্কার আমরা দেখেছি। পদত্যাগ দেখিনি!
আজ ঘৃনিত, নিন্দিত, হায়েনার হাসি দেখতে হল!
অন্যায়কে যে কোন উপায়ে মেনে নিলে তা এমনই মহিরুহ ধারন করে!
সুই বলে যে অন্যায়েক প্রশ্রয় দিয়েছি, মেনে নিয়েছি আজ তা ফাল হয়ে আমাদের সন্তানদের পিষে যাচ্ছে!
একটা চেইনের পুরোটাই যেন ছিড়ে গেছে! প্রতিটা খাত নিয়ন্ত্রনহীন।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শেয়ার বাজার, কয়লা খনি লুট, সড়কে হত্যা যজ্ঞ, গুম খুনের কথাতো বলাই বাহুল্য!
এ সব থেকে বাঁচতে সচেতনতা চাই। পূর্ন সচেতনতা। দেশ জাতি এবং নাগরিক অধিকার কর্তব্য
গণতন্ত্র, স্বাধীনতা সার্বভোমত্ব সব কিছূর পূর্ন ওয়াকিবহাল সচেতন আমজনতাই পারে সামগ্রিক বদল আনতে!
তা নির্বচানের মাধ্যমে হোক বা বিপ্লবের!
মিথ্যাচারিতা গ্রাস করেছে দেশকে। মিডিয়াগুলো ধরি মাছ না ছুঁই পানি হালে নিজেদের প্রতিষ্ঠান বাঁচিয়ে চলছে!
দেশপ্রেম, সততা, নিরপেক্ষতা, আমজনতার ন্যায়াধিকারের পক্ষে অবস্থান কাকে বলে তারা মনে হয় ভুলেই গেছে!
সুশীল সমাজ মেরুদন্ডহীন! মানবতাবাদীদের চোখে কাঠের চশমা! চেতনাধারীরা ক্ষমতার উত্তেজনায় বিভোল!
আমজনতার কেউ নেই!
আর তাইতো এমন গণহত্যা চলছে!
সড়কে
বেডরুমে (সাগর-রুনি)
ক্রশফায়ারে
ধর্ষনে
গুমে
আমজনতা কোথায় যাবে?
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সামগ্রিক পরিস্থিতির একটা সুন্দর চিত্র উঠে এসেছে আপনার কমেন্টে। ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।
১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৪
এখওয়ানআখী বলেছেন: অত্যন্ত জরুরী একটা পোস্ট। সুন্দর দিকনির্দেশনাসহ। মতামতে দেখলাম অনেকেই ড্রাইভার হেলপারকে মেরে ফেলার কথা বলেছে! আমি যদি ব্লগটাকে দেশ ধরি আর ব্লগারদের জনতা ধরি তাহলে সহজেই অনুমেয় --- দুর্ঘটনা কেন ঘটছে। মালিকপক্ষ( উচ্চ পর্যায়ের দেশ পরিচালকগণও আছেন) ড্রাইভার হেলপারকে বেশী কামাতে চাপ দিচ্ছে, কর্তৃপক্ষ টাকার লোভে লাইসেন্স দিচ্ছে, ড্রাইভার হেলপার অতি লোভে মানুষ ছিঁড়ছে, জনতা আবার রাগের গুতোয় ড্রাইভার হেলপারকে মারছে। জনতারও খুব তাড়া আছে সামনে ঈদ খরচ বাড়ছে। এটা একটা রিসাইকেলিং। এটাকে থামাতে হলে দরকার উন্নত জাতীর আর নির্ভিক নেতৃত্বের। তাই নষ্ট গণতন্ত্র থেকে দেশপ্রেমিক একনায়ক এখন খুব জরুরী। সেই মহান লিডার জাতীকে টেনে তুলবে। আর পরিবারতন্ত্রের বাইরে সেই লিডারকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব আমাদেরই।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
লেখাটি আরো কিছু ছবি ও ডাটা দিয়ে সমৃদ্ধ করে নিয়েন! মডুর প্রতি অনুরোধ রইল স্টিকি করার! খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট!
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথক বাস লেন দরকার।
ঢাকার রাস্তা এমনিতেই জ্যাম। উন্নত দেশের ন্যায় পৃথক বাস লেন করা হলে যানজট আরেকটু বাড়বে কিন্তু বাসযাত্রী সাধারন পাবলিক দ্রুত যেতে পারবে। রাস্তা থেকে মুরগীওয়ালা, মাছওয়ালাদের উঠিয়ে দিলে বাস লেন করলে যানজট নাও বাড়তে পারে।
বুদ্ধিজীবিদের কথামত ফিক্সড দুএকটি বাস কম্পানীকে চান্স দিলে তারা সরকারি দলের ছত্রছায়ায় সিন্ডিকেটেড মাফিয়া হয়ে ভাড়া লাগামহীন করেদিতে পারে।
বাস লেনে চলাচল করতে বর্তমান বাস মালিকদেরই অফার দেয়া যায়। শুধু দোতালা নতুন বাস প্রশিক্ষিত গ্রাজুয়েট চালক সহ যারা দিতে পারবে তারাই শুধু বাস লেনে চলতে পারবে।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি, আপনার সুপারিশগুলো খুব খাটলো। মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মনের ভেতর অনেক রাগ আর অশান্তি জমে আছে। মন্তব্যে প্রকাশ করতে পারছি না।
মানুষের জীবন কেন এতো সস্তা তাদের কাছে?
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের মুখ বন্ধ। তাই অনেক কিছুই মুখ দিয়ে বের হতে পারে না।
মানুষের জীবন কেন এতো সস্তা তাদের কাছে? এই কোটি টাকা মূল্যের প্রশ্নের জবাব কে দেবে?
১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমাদের দেশে অধিকাংশ সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে থাকে চালকদের অসচতেনতা, মূর্খতা ও অজ্ঞতা অথবা গাড়ী চালনা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার ফলে। গাড়ী চালকেদর মনে চলন্ত অন্য গাড়ীর সাথে প্রতিযোগিতাও সড়ক দূর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ। অধিকাংশ সময় এক গাড়ীর সাথে অন্য গাড়ী ওভারটেক করতে গিয়েও সড়কদূর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। চালকরা আসলে বুঝতে চান না অথবা বুঝতে চেষ্টা করেন না যে তাঁদের সামান্য ভুলের কারণে একটি পরিবার হারায় অতি আপনজনদের, তাঁদের স্বপ্নের আর জাতি হারায় তাঁদের প্রতিভাবানদের। চালকেদের সচেতনতা সৃষ্টি, গাড়ী চালনার ব্যাপারে তাদের সঠিক জ্ঞান দান কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?
আমাদের যেমন উচিত জরুরি ভিত্তিতে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার কারণসমূহ চিহ্নিত করে আশু প্রতিরোধ বা প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া, তেমনি প্রয়োজন কীভাবে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব থেকে জনগণকে রক্ষা করা যায় তা নিশ্চিত করা। একজন দক্ষ সাবধানি চালক সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে আমাদের অন্য কারণগুলোও বিবেচনায় আনতে হবে। গাড়ির যান্ত্রিক ত্র“টি, সড়কের অবস্থা, পথচারীদের বেপরোয়া পথচলাও দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক ও কার্যকরী সুপারিশ রয়েছে আপনার কমেন্টে। খুব ভালো কমেন্ট।
ধন্যবাদ কাওসার চৌধুরী।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,
সড়ক যাত্রীদের জন্যে সুন্দর দিক দর্শন ।
কিন্তু নীতিনির্ধারক কিম্বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভরসায় থাকলে জিন্দেগীতেও যানবাহন চালকদের প্রতিযোগিতা থেকে দুরে রাখা যাবেনা । তাই যাত্রীদের উচিৎ হবে ঘাতক যানবাহনের ড্রাইভার ও হেল্পারকে ধরে পিটিয়ে একদম মেরে ফেলা কারন জীবিত থাকলে এরা পুলিশ হেফাজত থেকে খালাস পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবেই ।