|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
	দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
রবীন্দ্রনাথের বহুল উদ্ধৃত/ব্যবহৃত/পঠিত একটি চরণ আছে, যা হলোঃ
যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না
তিনি ধবধবে শাদা পাঞ্জাবিতে সুগন্ধি মেখে তার গন্ধে পাগল হয়ে হরিণের মতো দীর্ঘ উল্লম্ফনে সুন্দরবন, বান্দরবন, পলাশীর আম্রকাননসহ দিগ্বিদিক ছুটতে ছুটতে বর্ষা-শ্রাবণ-হেমন্ত-শীত পার হয়ে ফাল্গুন রাতের অন্ধকারে দিশা হারিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে স্বপ্নের ভেতর আবোল-তাবোল এই কথাটি বলে ওঠেন, যা আপাতত বিরাট হাই-সাউন্ডিং, গভীর তাৎপর্যপূর্ণ পঙ্ক্তি মনে হলেও বিদগ্ধ বিশ্লেষণে এটিকে একটি চটকদার কিন্তু অসাড় চরণ বলেই আমার কাছে মনে হয়।
চরণের প্রথম অংশটার কথাই ধরুন- 'যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই'- একেবারে শিশুশুলভ কথা এবং কথাটা একেবারেই ভুল, অশুদ্ধ। এমনটা কখনোই ঘটে না যে, আমরা হুটহাট করে কিছু একটা চেয়ে বসলাম, যেটার দরকার সেটা না চেয়ে অন্যটা চাইলাম। আমরা যা-কিছুই চাই না কেন, তা ভেবেচিন্তে, খুব বুঝেশুনেই চেয়ে থাকি। যেমন, আমরা যদি মাছ কিনতে চাই, তাহলে মিষ্টির দোকানে যাই না। আবার, যদি চমচম খেতে চাই, তাহলে চমচম না চেয়ে মিষ্টিওয়ালাকে রসগোল্লা দিতে বলি না। যদি আমি সিনেমা দেখতে চাই, তাহলে আমি সিনেমা হলেই যাই, স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাই না। 
কিন্তু এই যে আমাদের এত চাওয়া, আমরা কি তার সবই পাই? আমি টেংরা মাছ কেনার জন্য বাজারে গেলাম। ছোটোবেলায় ওড়া দিয়ে খায়গো বাড়ির আরায় এই টেংরা অনেক মেরেছি। বর্ষার শেষে দোহার খালের মাথায় আড়িয়াল বিলে মাছ-গাবানোর সময় ঝাঁকিজাল দিয়ে এই টেংরা ধরে বিরাট বিরাট পাতিল ভরে ফেলেছি, খেয়ে শেষ করতে না পেরে শুটকি করে রেখেছি। তো, বাজারে গিয়ে যে টগবগে টসটসে বড়ো সাইজের লোভনীয় টেংরা দেখলাম, তা ছিল আমার দেখা জীবনের সেরা টেংরা। মনে হচ্ছিল ফটোশপে করা, এত উজ্জ্বল ও সতেজ। এবং আরো পরিষ্কার করে বললে বলতে হয়- থ্রি-ডি টেংরা, রেজিয়্যুল্যুশন এতটা ক্লিয়ার। ওগুলো দেখেই আমার জিভের মাথায় লুল জমে গেলো। বয়স কম হলে হয়ত কাঁচাই খেয়ে ফেলতে চাইতাম। আমি জানি, টেংরা মাছও চাষ হচ্ছে দেশে অনেক আগে থেকেই। এই চাষ করা টেংরাই খাচ্ছি কমপক্ষে বিগত ১০ বছর ধরে। কিন্তু অন্যান্য চাষ করা হাইব্রিড মাছের মতো টেংরাকে কখনো স্বাদহীন মনে হয় নি, এবং এগুলো খেয়ে বোঝার উপায় নেই যে এগুলো চাষের টেংরা। মনে মনে ঠিক করে ফেললাম, কেজি দুয়েক নিয়ে যাব আজ। দাম আর কতই বা হবে, বড়োজোর ২/৩ শ, বা ৪শ টাকা কেজি। 
মাছওয়ালার আরেক ডালিতে ছিল গুলশা মাছ। এটাও চাষের গুলশাই। সাইজও মাশা'ল্লাহ সেই রকম; ছোটো ছোটো আইড় মাছের মতো। কেজিখানেক নিয়ে নেব, ভাবলাম। 
তিন নম্বর ডালিতে পুঁটিমাছ। এত বড়ো সাইজের পুঁটিমাছও এর আগে দেখি নি। এগুলো পুকুরে চাষ করা পেট-ছড়ানো হাইব্রিড পুঁটি না, খাঁটি দেশি পুঁটি, যা আমাদের আড়িয়াল বিলের পুঁটির মতো। শীতের দিনে বেগুন দিয়ে হালকা ঝোল করে পুঁটিমাছ রাঁধতো আমার মা, শুকনো শুকনো বেগুনের উপর ধনেপাতাগুলো সরের মতো জেগে থাকতো। খাওয়ার সময় মুখ দিয়ে ভাত চিবোতাম আর ঘন ঘন নাক টেনে ধনেপাতার তরতাজা ঘ্রাণ নিতাম- পুঁটিমাছগুলোর দিকে একধ্যানে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমার কিশোরবেলায় মায়ের রান্না করা পুঁটিমাছের তরকারির হাঁড়িতে গিয়ে চোখ আটকে থাকলো কিছুক্ষণ।
ধ্যানভোঙ্গ হলে খুব আবেগ আর উৎসাহের সাথে মাছওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করি-
টেংরা কত টাকা কেজি ভাই?
-এক হাজার টাকা কেজি।
ভরা বাজারের মধ্যে কোথাও মনে হয় একটা বেলুন ফেটে চুপসে গেলো, কানে শব্দ এলো। গলার স্বরটা কেন যেন একটা নেমে এলো। জিজ্ঞাসা করি, গুলশার দর কত, ভাই?
- সাড়ে আট শ টাকা কেজি।
আমার জিভে কিছুক্ষণ আগে লুল জমা হয়েছিল, তা শুকিয়ে বিরাণ হয়ে গেছে, টের পেলাম।
-আর, পুঁটিমাছ কত কইরা ভাই?
-নেন, সাড়ে ৬শ টাকা কেজি।
মাত্র একটু আগে ঝাঁকা থেকে মাছ নামানো হয়েছে। কেউ কেউ ইতিমধ্যে মাছওয়ালার হাঁকানো দরেই মাছ কিনতে শুরু করে দিয়েছে। এই মাছ দরদাম করে আর কয় টাকাই বা কমানো যাবে, একশ, দুইশ, তিনশ। তারপরও তো এই মাছের দর আমার নাগাল থেকে আরো কয়েক মাইল দূরে থাকবে। এখান থেকে চলে যাওয়াই শ্রেয়, তবে কিছু একটা না বলে যাওয়া যায় না, মান-সম্মানের ব্যাপার আছে তো!
মিনমিনে গলায় বললাম- দাম কমানো যায় না-
'একদাম।' আমার কথা শেষ হবার আগেই মাছওয়ালা দৃঢ় স্বরে বলে দিলেন। আমি মনকে বললাম, মন শান্ত হও। আপ্লুত হইয়ো না। পুঁটিমাছ তো পুঁটিমাছই, ইলিশ মাছ তো আর না। টেংরা গুলশা তো টেংরাই, হাঙ্গর বা তিমি মাছ তো আর না, তাই না? তো, অত মন খারাপ করিও না। এসব আজেবাজে মাছ না খাইলেই বরং জীবন বেশি তৃপ্তিময় হয়ে ওঠে। 
সারা বাজার ঘোরাঘুরি করে অবশেষে বোয়াল মাছ কিনলাম। সাড়ে চারশ টাকা কেজি। ইলিশ মাছ ১৪ শ টাকা কেজি। বেলে মাছ, যেটাকে ছোটোবেলায় সবচেয়ে অলস ভাদাইম্ম্যা মাছ মনে হতো, এখনো তাই মনে হয়, দাম ৮শ টাকা কেজি। পাবদা মাছ- সবচাইতে নরম মাছ। আমার কাছে কোনোদিনই এটাকে স্বাদের মাছ মনে হয় নি। বড়োটা ১২শ টাকা কেজি, ছোটোটা ১ হাজার টাকা কেজি। চিংড়ি- ৫ শ থেকে ১১ শ টাকা কেজি। বোয়াল মাছের দাম সবচাইতে কম হওয়ায় খুশি মনে ওটা কিনে বাসায় চলে এলাম। মাছটি কষানো হলো। খাওয়ার সময় মনে হলো, অনেকদিন পর রাজ-রাজড়ার খাবার খাইলাম, এত স্বাদের রান্না হয়েছিল।
তো, এবার বুঝুন, আমি যা চেয়েছিলাম, তা কি পেয়েছি? আমি চেয়েছিলাম ৩ কেজি টেংরা, ২কেজি গুলশা এবং খাঁটি দেশি পুঁটিমাছ কিনতে। তা কি কিনতে পেরেছি? না। পারি নি। অর্থাৎ, আমি যা চাই, তা পাই না। এরকম ব্যবহারিক ও সাংসারিক জীবনে অহরহই দেখতে পাবেন, আপনি যা চাইছেন, তা কোনোদিনই পাচ্ছেন না। এই যে আপনি টেংরা-পুঁটি কিনতে চাইছেন, তা কিনতে চাইলে সংসারের সব খয়খরচসহ আপনার বেতন চাই ৬৫ হাজার টাকা। কিন্তু আপনার বেতন মাত্র ২৯ হাজার টাকা। আপনি চান গুলশান-বনানীর একটা বিলাশবহুল অ্যাপার্টমেন্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে; কিন্তু আপনার বেতন কম হওয়ায় আপনাকে বাসা নিতে হয়েছে বুড়িগঙ্গার ওপারে কালিগঞ্জে বা জিঞ্জিরায়। আপনি চান দামি একজোড়া লাউঞ্জ স্যুট ফেরদৌস টেইলর থেকে বানাতে; কিন্তু আপনাকে বঙ্গবাজার থেকে অনেক যাচাই-বাছাই-পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একটা 'নিশ্ছিদ্র' কোট, আর তার সাথে রঙ ম্যাচ করা একটা প্যান্ট কিনতে হচ্ছে। 
আপনি হয়ত আশা করে আছেন, ঘাতক ড্রাইভারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে 'সড়ক পরিবহন' আইন পাশ হবে; হয়ত আশা করে আছেন, খুন ধর্ষণ, অপহরণের আসামীকে ৭দিনের মাথায় জরুরি ট্রাইব্যুনালে ট্রায়াল করে 'ক্রস ফায়ারে' মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে আইন করা হবে। আপনি মুক্তিযোদ্ধার নাতি; কোটার বদৌলতে একটা সরকারি চাকরি অবশ্যই পাবেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশে- আপনি আশায় আশায় দিন গুনছেন।
এসব চাইতে চাইতে শেষ পর্যন্ত দেখতে পেলেন আপনার প্রাপ্তির ভাণ্ডার শূন্য।
এই যখন অবস্থা, তখন আমরা কি বলতে পারি না যে, গুরুকবি এই লাইনটা লেখার সময়  মরীচিকার ধু-ধু দেখছিলেন, অথবা অন্যকিছু ভাবতে ভাবতে এলেবেলে এই লাইনটা লিখে ফেলেন; আর আমরা কিছু না ভেবেই এটাকে একেবারে সুমহান, অনন্য, অতুলনীয় পঙ্ক্তি হিসাবে, জীবনের সাথে মিশে যাওয়া এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ করে ফেলি। অথচ, একবারও খতিয়ে দেখি নি, কথাটায় কী ফাঁকি লুকিয়ে আছে। সত্যি বলতে কী, কথাটা একেবারেই অর্থহীন। সারবত্তাহীন।
আমি এখন নিশ্চিত, রবীন্দ্রনাথ কথাটা বলতে চেয়েছিলেন এক ভাবে, কিন্তু বলে ফেলেছিলেন অন্যভাবে। কিংবা, তিনি হয়ত সঠিকভাবেই লিখেছিলেন, কিন্তু কোনোভাবে টাইপিং মিস্টেক হয়ে লেখাটা এইভাবে চলে এসেছে।
রবীন্দ্রকাব্যে এ ধরনের ভুল সারাজীবন চলতে থাকবে, তা হয় না। আমরা গুণিজন তাহলে কীজন্য আছি? এসব ভুল সংশোধন ও পরিমার্জন করা আমাদেরই কাজ। এ এক পবিত্র দায়িত্ব বটে।
সংশোধিত কথাটি হবেঃ 'আমি যাহা চাই তাহা পাই না'।  অর্থাৎ, আপনি যা চেয়েছেন তা পান নি- সহজ বাংলায় এই হলো কথাটা।
এভাবে চরণের পরের অংশ 'যাহা পাই তাহা চাই না' কথাটাও ব্যবহারিক ও ব্যকরণগত দিক থেকে ভুল। আমাদের জীবনে কখনো কি এমনটা ঘটে যে, আমরা একটা জিনিস পেয়ে গেলাম, অথচ ওটা নিতে চাই না, বা খেতে চাই না, বা ব্যবহার করতে চাই না? আমার জন্মদিনে আপনি আমাকে একটা দামি আইফোন গিফট করলেন, আমি কি এতই বোকা যে ওটা আমি পানিতে ফেলে দেব? অফিসের ৫ কোটি টাকার একটা ফাইল ক্লিয়ার করে দিলাম; আমাকে মাত্র লাখ তিনেক টাকা স্পিড মানি দিয়ে আমার কাজের স্পিড তিনগুণ বাড়িয়ে দিলেন, এটা আমি চাই, বার বার চাই, প্রতিদিনই চাই। পায়ে ঠেলে এই সোনা কেউ নর্দমায় ফেলে দেয়, বলুন? এজন্য, এই কথাটা ভুল। 
অথচ দেখুন, ব্লগে বা ফেইসবুকে স্টেটাস দেয়ার পর আপনি চান মুহূর্তে 1K লাইক, শ খানেক কমেন্ট আর অর্ধশত শেয়ার হয়ে যাক। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় গোটা দশেক লাইক, হয়ত 'বাহ', 'হুম' ধরনের এক-আধটা কমেন্ট নিয়ে পুরো স্টেটাসটাই দিনভর ঝিমোচ্ছে। অন্যদিকে, আপনি বার বার মেসেজ অপশন ব্লক/ডিসএবল করে দিচ্ছেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও কোন অলৌকিক শক্তিতে কীভাবে যেন ঘণ্টায় ঘণ্টায় ডজন ডজন ভিডিও/অডিও শেয়ার ইনবক্সে এসে জমা হচ্ছে, যা আপনি ইহজনমে খুলেও দেখেন না। টিভি দেখতে বসে বিরতিহীন একটা চমৎকার নাটক বা সিনেমা দেখতে চান। কিন্তু ১০ মিনিট পর পর ১০ মিনিট কাল ধরে বিজ্ঞাপন চলতে থাকে। আপনি চান মেসি বিশ্বকাপ জিতুক, কিন্তু সে আব্দুল কুদ্দুস হিসাবে আলু খেতে খেতে দেশে ফিরে গেল। 
অর্থাৎ, আপনি চান আনন্দ, কিন্তু পান হতাশা। আপনি হতাশা না চাইলেও খালি এটাই বার বার পেতে থাকেন। আপনি চান, খুন, ধর্ষণ, সড়ক দুর্ঘটনা বা অপহরণের কোনো ঘটনা এ দেশে আর না ঘটুক। কিন্তু তা ঘটছে, গতানুগতিক ঘটনা যেন এসব। আপনি কোনো গুজব চান না; কিন্তু বাতাসের আগে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। দুর্বৃত্তরা মাথায় হেলমেট পরে, লাঠি, রাম দা, অস্ত্র হাতে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ুক- এটা কি আপনি চান? কিন্তু এসব এখন খুব সাধারণ দৃশ্য হয়ে গেছে। এসব আরো অনেক উদাহরণ আছে, যেগুলো আপনি শুনতে চান না, দেখতে চান না, পড়তে চান না, কিন্তু ওসব অনবরত পেতেই থাকেন। আপনি সায়েদাবাদ থেকে ৩০ মিনিটে উত্তরা যেতে চান? পারবেন না। কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা, ভাগ্য ভালো থাকলে ৫ ঘণ্টাও লাগতে পারে। আপনি যানজটমুক্ত ঢাকা শহর চান, কিন্তু প্রতিদিন এখানে পাল্লা দিয়ে জ্যাম বাড়ছে। ফ্রেশ ফলমূল, শাকসবজি, মাছমাংস চান, কিন্তু ফরমালিনের বিষে সবকিছু মাখানো, আপনার কিডনির বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। 
রবীন্দ্রনাথের মতো নোবেলজয়ী গুরুকবির কাব্যে এমন ভুল কি আশা করা যায়? তিনি কীভাবে এতবড়ো ভুল করেও নোবেল প্রাইজ পেলেন, তা আমার কাছে এক বিরাট বিস্ময়।  
এই ভুল আজ যদি আমি সংশোধন না করে যাই, আমার মৃত্যুর পর আর কারো চোখে এই ভুল ধরা পড়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। অতএব, এই গুরুদায়িত্ব পালন না করে থাকা গেলো না।
শুদ্ধ ও সার্থক কথাটা হবে, যাহা চাই না তাহা খালি পাই
এবার দেখুন, পূর্ণ চরণটা কীরকম হবেঃ
আমি যাহা চাই তাহা পাই না, যাহা চাই না তাহা খালি পাই।
*** 
   
পাগল হইয়া বনে বনে ফিরি আপন গন্ধে মম
                                চঞ্চলা হরিণী সম
ফাল্গুনরাতে ফেসবুক লাইভে একটুখানি সুখ চাই
আমি যাহা চাই তাহা পাই না, যাহা চাই না তাহা খালি পাই॥
নোটঃ চঞ্চলা হরিণী বলতে সামহোয়্যারইন ব্লগের 'চঞ্চল হরিণী' নামক জনৈক ব্লগারের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
৭ আগস্ট ২০১৮
 ৩০ টি
    	৩০ টি    	 +৬/-০
    	+৬/-০  ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১১:৪৭
০৭ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১১:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আঞ্চলিক শব্দের অর্থঃ
ওড়াঃ বেতের বা বাঁশের চটা/চটলা দিয়ে তৈরি এক ধরনের ছোটো ঝাঁকা।
আরাঃ ডোবা/পুকুর
২|  ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১১:৪৩
০৭ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১১:৪৩
শাহিন-৯৯ বলেছেন: 
ইংরেজদের দাবেদার ছিলেন, হয়তো ওখানকার কোন দাবি-দাওয়ার কথা মনের দুখে এভাবে বলেছেন।
  ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১১:৫০
০৭ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১১:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, তবে সিনট্যাক্স এরর করে ফেলেছিলেন 
৩|  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১২:৫৮
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১২:৫৮
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই 
বুঝলাম না।
  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১:০৪
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পুরা পোস্ট বোঝেন নি, নাকি বোল্ড করা অংশের কথা বলছেন? বোল্ড করা অংশ না বোঝারই কথা, কারণ, ওটা ভুল  ওটার শুদ্ধরূপ হলোঃ আমি যাহা চাই তাহা পাই না
 ওটার শুদ্ধরূপ হলোঃ আমি যাহা চাই তাহা পাই না 
পুরা পোস্টের সারমর্ম এটাই যে রবিকাকার লেখা উদ্ধৃতিটা ভুল, উনি ঠিক বুঝেশুনে ওটা লেখেন নি। ঐ ভুলটা আমি কারেকশন করে দিয়েছি- পোস্টের একেবারে নীচের লাইন দেখুন 
৪|  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১:১৭
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১:১৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পুঁটিমাছ তো পুঁটিমাছই, ইলিশ মাছ তো আর না। টেংরা গুলশা তো টেংরাই, হাঙ্গর বা তিমি মাছ তো আর না, তাই না? তো, অত মন খারাপ করিও না। এসব আজেবাজে মাছ না খাইলেই বরং জীবন বেশি তৃপ্তিময় হয়ে ওঠে। 
হা হা। 
তবে কিনা ঠাকুরের মত আপনিও ভুল করেছে। তিমিকে মাছ বলেছেন। ওটা তো স্তন্যপায়ী প্রাণী। এ ভুল ক্ষমা করা যায় না। তীব্র প্রতিবাদ করলাম। 
আপনার দেয়া টেংরা মাছের তরকারির বর্ণনা শুনে, আমার টেংরা মাছ খেতে ইচ্ছে করছে। যদিও মাছ যে একটা খাদ্য, এটাই আমার মনে হয় না। একদিন একজন লেখকের মুড়ি খাওয়ার বর্ণনা শুনে আমার মুড়ি খাওয়ার স্বাদ জেগেছিল। তাও রাত তিনটায়৷ ঘরে মুড়ি ছিল। খানিকটা হাতের মুঠোয় নিয়ে চিবিয়ে মনে হয়েছিল, "যাহা চাই তাহা সত্যিই ভুল করে চাই! যাহা পেয়েছিলাম, মানে যে স্বাদ, তাহা চাই নাই!"
  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১:৩৫
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একবার এক রোগীকে ডাক্তার মাংস খেতে বারণ করে দিল। রোগী মাছ খেতো না আপনার মতো, মাংস খেত ৫ বেলা। তো, রেস্টুরেন্টে গিয়ে সে হাঁক দিল, ওয়েটার, হাঙ্গর মাছের ঝোল হবে?
- জি না।
রোগী আবার জিগায়- তিমি মাছের ভূনা?
- জিনা স্যার।
রোগী তখন হতাশ গলায় বলতে লাগলো- হে আল্লাহ, তুমি তো দেখলে রেস্টুরেন্টে কোনো মাছ নাই, তাই মাংস দিয়াই খাওয়া শুরু করলাম। তারপর ওয়েটারকে বললো- চিকেন গ্রিল আর দুটা নান।
তিমি স্তন্যপায়ী প্রাণী ঠিক আছে, কিন্তু এটা যে মাছ না এ সত্য নিয়া তো আর এ কাহিনি নহে 
তরকারিটা অবশ্য পুঁটিমাছের। 
মুড়ি আমার খুব প্রিয়। নানাভাবে আমি মুড়ি খাই। ঝাল মুড়ি। গরম ভাতের সাথে। আম-কলা-দুধ-চিনি দিয়ে মুড়ি। হালিমের সাথে মুড়ি। বিচি কলা/বিচড়া কলা/আঁইট্টা কলার সাথে মুড়ি খুব মজা। শাদা মুড়ি (কোনো কিছু ছাড়া)। তরকারির ঝোল দিয়ে মুড়ি। পেঁয়াজু/ছোলাভূনার সাথে মুড়ি। আমার খাওয়াদাওয়া অনেক মুড়িময়  
 
খানিকটা হাতের মুঠোয় নিয়ে চিবিয়ে মনে হয়েছিল, "যাহা চাই তাহা সত্যিই ভুল করে চাই! যাহা পেয়েছিলাম, মানে যে স্বাদ, তাহা চাই নাই!"  উদাহরণটা চমৎকার হয়েছে  মাঝে মাঝে চাওয়াটা ভুল মনে হতে পারে, কিন্তু সবসময় না, তাহলে মানুষ জীবনে কিছুই পেতো না/হতো না।
 মাঝে মাঝে চাওয়াটা ভুল মনে হতে পারে, কিন্তু সবসময় না, তাহলে মানুষ জীবনে কিছুই পেতো না/হতো না।
অনেক দিন পর আরণ্যক রাখালকে দেখলাম ব্লগে।
শুভেচ্ছা।
৫|  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১:২৫
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১:২৫
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: শুধু ঐটাই বুঝতেছিলাম না। এখন বুঝলমা। 
তবে আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে আপনি কারেকশন করেন নি, সম্পূর্ণ ভুলটাই শুধরে দিয়েছেন।  
  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১:৩৬
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওওও তাইতো, পুরো লেখাটাই তো শুধরে দিয়েছি  বাহ, নিজের প্রতিভায় নিজেই মুগ্ধ
 বাহ, নিজের প্রতিভায় নিজেই মুগ্ধ 
ধন্যবাদ ইব্রাহীম আই কে।
৬|  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ২:৩৪
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ২:৩৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: 
ভাইয়া, জানি না এটা কোন স্যাটায়ার কিনা ! যদি হয় তাহলে আর নিচেরটুকু পড়ার দরকার নেই। 
রবীন্দ্রনাথ ঠিক কাঁচাবাজার নিয়ে এইভাবে ভেবেছেন কিনা জানি না, আমার যতদূর মনে হয় উনি কাঁচা বয়স নিয়ে বলেছেন কথাগুলো। কাঁচা বয়সে সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়ে যায়, আবেগ চলে আসে ( যদিও আবেগ সব বয়সেই থাকে) তাই হয়ত যাহা চাই আবেগের বশবর্তী হয়ে সেটা ভুল চাওয়া হয়ে যায়; 
 যাহা পাই তাহা চাই না। চাওয়া ভুল হলে পাওয়া তো এমনিতেই ভুল হবে। 
যাহোক- রবীন্দ্রনাথ কোন আসমানী কিতাব লিখেন নাই যে ভুল থাকবে না।
  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১০:৩৪
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১০:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠিক কাঁচাবাজার নিয়ে এইভাবে ভেবেছেন কিনা জানি না, আমার যতদূর মনে হয় উনি কাঁচা বয়স নিয়ে বলেছেন কথাগুলো।  তিনি কোন বাজার নিয়ে লিখছিলেন সেটা বুঝে উঠতে পারেন নি, বিপত্তিটা ওখানেই ঘটে যায়, তাই একটা অশুদ্ধ বাক্য কবিতায় ঢুকে পড়ে। 
যাহোক, নীচের কথাগুলো খুব সরল ভাবে গদ্যাকারে লিখে দেখেন তো, এখান থেকে কী বোঝা যায় 
বক্ষ হইতে বাহির হইয়া 
আপন বাসনা মম
                                  ফিরে মরীচিকা সম।
বাহু মেলি তারে বক্ষে লইতে 
বক্ষে ফিরিয়া পাই না।
যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, 
যাহা পাই তাহা চাই না ॥
নিজের গানেরে বাঁধিয়া ধরিতে 
চাহে যেন বাঁশি মম
                                   উতলা পাগল-সম।
যারে বাঁধি ধরে তার মাঝে আর 
রাগিণী খুঁজিয়া পাই না।
যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, 
যাহা পাই তাহা চাই না ॥
৭|  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১০:১৫
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১০:১৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: 
যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই-
এটা এক দিক দিয়ে ঠিকই আছে।  যা চাই তা পেয়ে গেলে পরক্ষণে অন্য একটি চাওয়া এসে হাজির হয়।
তখন মনে হয় প্রথমটা ভুল করে চাওয়া হয়েছে আবার ২য় চাওয়া পাওয়া হয়ে গেছে ৩য় চাওয়ার ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটে
তাই কবিগুরু যে বিশেষ ভুল করেছেন এমনটি নয়।
  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১১:০৫
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১১:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব আশা ভরসা নিয়া পরীক্ষা দিলেন যাতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পান। তো, সেটা পাওয়ার পরই আপনার আক্ষেপ শুরু হইয়া গেলো- হায়, গোল্ডেন না পাইয়া সিলভার পাইলে অনেক বেশি ভালো লাগতো 
গুরুকবির এমন ভুল ক্রিমিন্যাল অফেন্সের মধ্যে পড়ে। আমি তো মরেই যাব, তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে রবিকাব্য থেকে এসব বিভ্রান্তিকর জঞ্জাল অপসারণ ও সংশোধন করে যাব। এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। তারপর হব ইতিহাস।
ধন্যবাদ মাইদুল সরকার। দীর্ঘ বিরতির পর আমার ব্লগে দেখছি আপনাকে।
ভালো থাকবেন।
৮|  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১০:৩৮
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ তাঁর সমস্ত শিল্পকর্ম দিয়ে একটি কথাই যেন বলতে চেয়েছেন-জীবন সুন্দর। রবীন্দ্রনাথের এই কথাটি কি সত্য?
  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১১:০৮
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১১:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মগজভর্তি তো রবীন্দ্রনাথ (এটাকে প্রশংসা হিসাবে নেবেন না, এটা একটা প্যাঁদানি  ) তো, উলটা আমাকে প্রশ্ন করলেন কেন? আবার এসে আপনার মতামত জানিয়ে যনা। আপনার মতামতের উপর আমার মতামত দেব।
  ) তো, উলটা আমাকে প্রশ্ন করলেন কেন? আবার এসে আপনার মতামত জানিয়ে যনা। আপনার মতামতের উপর আমার মতামত দেব।
৯|  ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১০:৩৭
০৮ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১০:৩৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি তো সারাজীবন সবকিছু হুটহাট করেই চাইছি। আশ্চর্যের ব্যাপার এগুলাই পাইছি। কিন্তু যেগুলো চিন্তা কইরা চাইছি সেগুলো খুব পেশী কইরা চাই নাই
  ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১১:৫৪
০৯ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১১:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সবকিছু যদি পেয়েই থাকেন, তাইলে আর বেঁচে আছেন কেন? আরো কিছু পাইতে চান নাকি?  
তবে, আত্মসন্তুষ্টির চেয়ে বড়ো সুখ আর কিছুতেই নেই। আমরা অনেক কিছু পাইলেও আত্মসন্তুষ্টি খুব কমই জোটে কপালে।
১০|  ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১:০৫
০৯ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: যা পেয়েছি আমি তা চাই না।
যা চেয়েছি কেন তা পাই না।
ছেড়া ছেড়া ফুলে গাঁথা মালা
ভুলে পুরোনোকে কেন ভুলে যাই না।।
পথের বাঁকে এসে মনে হলো
অতীতটা হয়ে যাক দূর।
চলব এগিয়ে তবু
বুকের বাঁশীটাতে
বাঁধব নতুন এক সুর।
ভালোবাসা যায়
আলো আশা পায়
সেই গান কেন গাই না।।
আজকে যা ভালো লাগে হয়ত আবার
বদলে যেতেও পারে কাল।
ঝড়িয়ে মরা পাটা
ফোটাবে নতুন কুঁড়ি
শুকনো গাছের কোনো ডাল।
সুখ স্বপ্নের সুর ছন্দের
কেন ময়ূরপঙ্খী পাই না।।
  ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ৯:১৪
০৯ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ৯:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ গানের গীতিকারও বুঝতে পেরেছিলেন যে রবিকাকার কথাটায় গলদ আছে, তাই রবিকাকার 'যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই' কথাটাকে আমূল বদলে দিয়ে প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে লিখেছেন 'যা চেয়েছি কেন তা পাই না।' আমিও ঠিক এই কথাটিই আরেকটু ঘুরিয়ে লিখেছি- 'আমি যাহা চাই তাহা পাই না।' নায়ক তার প্রেমিকাকে পেতে চায়, কিন্তু পায় না, পায় তার যমজ ভাই  বোঝেন অ্যালা, রবিকাকা কতবড়ো ভুলটাই না করেছেন।
 বোঝেন অ্যালা, রবিকাকা কতবড়ো ভুলটাই না করেছেন।
'যা পেয়েছি আমি তা চাই না।' কথাটা ভাবে বুঝে নিতে হয়, কিন্তু বাক্যগঠন ভুল। আসল কথাটা হলো নায়ক যা পেতে চায় না, সে তাই পেয়ে যায়। যার সাথে প্রেম নাই, জানাশোনা নাই, তাকে সে বিয়ে করবে না- ঘটনা এটুকুই। সেজন্যই কথাটাকে শুদ্ধ করে লিখতে হলো- যাহা চাই না তাহা খালি পাই। বাস্তব জীবনেও দেখবেন, আপনি খুব চ্যালেঞ্জিং অ্যাসাইনমেন্ট পছন্দ করেন এবং পেতে চান, কিন্তু আপনাকে পাশ কাটিয়ে ওগুলো দেয়া হচ্ছে আব্দুল্লাহ'র বাপকে। আর আপনাকে দেয়া হচ্ছে পানির মতো সহজ, ইন্সিগ্নিফিকেন্ট কাজগুলো, যা আপনার ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের জন্য মোটেও সহায়ক না  
  
এভাবে জীবনের আনাচে-কানাচে-গোপনে-প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া নানা কর্মকাণ্ডে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, আপনি যা পেতে চান, তা কদাচিৎ পেয়ে থাকেন, আর যা পেতে চান না তা আপনি ভূরি ভূরি পান 
ধন্যবাদ আপনাকে।
১১|  ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ৯:৩৪
০৯ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ৯:৩৪
বিজন রয় বলেছেন: আজকে থেকে আমি ভাত'কে কলম বলবো।
  ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১১:৫৬
০৯ ই আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১১:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো তো! দুটোরই অভাব প্রকট। চাওয়ার শেষ নাই, পাওয়ার খবর নাই 
১২|  ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৪:৪৩
০৯ ই আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৪:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বস্, একটা কথা না বলে পারছি না, “ফুটবল জাদুকর পেলে বর্তমান ফুটবল মাঠে খেলায় নামলে নির্ঘাত খেলা ভুলে যেতেন” ঠিক তেমনি ভাগ্য অতি সুপ্রসন্ন যে রবি কাহার সাথে আমাদের হুমায়ুন আহমেদ - হিউম্যান স্যারের সঙ্গে দেখা হয়নি, আমি বিস্বাস করি রবি কাহা শুধু কবিতা আর গান লিখতো হিউম্যান স্যার তাকে গল্প উপন্যাসের নাম ভুলাইয়া দিতেন !!! 
হুমায়ুন আহমেদ আমাদের দেশের এ্যাসেট ছিলেন এটি আমরা ও প্রশাসন বুঝতে পারিনি আর হুমায়ুন আহমেদ নিজেও নিজের সম্পর্কে বুঝেন নি - তিনি কি ???
  ১০ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১০:৫৪
১০ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১০:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ মন্তব্যে হিউম্যান আহমেদকে যে উচ্চতায় উঠিয়ে দিয়েছেন, তাতে আমি আপ্লুত ও গর্বিত এ কারণে যে, তাঁকে শুধু আমিই না, আপনিও তাঁকে চিনতে পেরেছিলেন, যেমন চিনতে পেরেছেন বৈজ্ঞানিক রাজীব নুর সুরভি।
ধন্যবাদ ঠাকুরমাহমুদ।
১৩|  ১০ ই আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৩:২৪
১০ ই আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৩:২৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বেচে আছি কারন এখন অমর হবার বাসনা জেগেছে। আরো এমন কিছু করার বাসনা জেগেছে যেটা আদতে বাস্তবতায় রূপ দেয়া অসম্ভব। অনেকটা নিজের ঈশ্বর হবার বাসনা..... হা হা হা হা
  ১০ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১০:৫৮
১০ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১০:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। আপনার বাসনাসমগ্র খুব জীবনঘনিষ্ঠ এবং জনগুরুত্বপূর্ণ। আপনার জন্য কায়মনোবাক্যে দোয়া করি, আপনি যেন শেষ পর্যন্ত না বলে ওঠেন- আমি যাহা চাইছিলাম কিছুই হইতে পারিলাম নাহ 
১৪|  ১১ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ৯:৫৭
১১ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ৯:৫৭
আখেনাটেন বলেছেন: টেংরা মাছের কাহিনী বেশ লাগল। 
জমাট লেখা। অাসলেই তো যাহা চাই তাই পাই নাই, না চাই তাহা পাই নাই নাকি চাই নাই।  
  ১১ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১১:৩১
১১ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১১:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নীচের ছবিটি সত্যকাহিনি অবলম্বনে নির্মিত নহে; এটা সত্য কাহিনি বটে 
নীচে পর পর দুটো ভিডিও দিলাম। সত্যমিথ্যা যাচাও করুন 
অনেক সময় অনেক কিছুই আপনি চান নাই, কিন্তু পেয়ে যাবেন। যেমন, সড়ক দুর্ঘটনা, পকেট মার, অভাব, অনটন, ছ্যাঁকা, ইত্যাদি।
১৫|  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১২:৪০
১৩ ই আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১২:৪০
নীলপরি বলেছেন: আপনার সাথে একমত। দারুণ লিখেছেন।  
আর 
উনি ছিলেন সব পেয়েছি দেশের মানুষ।  
 নেই পাওয়ার দেশের মানুষদের বিচার করে চাওয়ার ক্ষমতা কোথায়?   
   
শুভকামনা 
  ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৩:৩৮
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৩:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উনি ছিলেন সব পেয়েছি দেশের মানুষ। ঠিক। সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছিলেন তিনি। আর আমরা বেশিরভাগ মানুষ লাঙল আর কাস্তে হাতে জন্ম নিয়েছি 
আপনার কমেন্ট ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১১:৩৫
০৭ ই আগস্ট, ২০১৮  রাত ১১:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
কবিগুরু জন্মেছিলেন বাংলায়; এখন ইহা হাইব্রিড বাংলা