নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আমার সব ‘প্রথমে’র রেফারেন্স পয়েন্ট হলো ১৯৭১। তখন বয়স কত ছিল জানার উপায় নেই, কারণ কৃষকের ছেলের জন্মতারিখ লিখিত থাকে না, ধাইমার হাতে সে ভূমিষ্ঠ হয়; মা-চাচি-দাদি-নানিরা ঘোর বৃষ্টির দিনে, তুমুল তুফানের রাতে বাংলা মাসের ‘অমুক তারিখে’ বা ‘অততম’ চাঁদের দিন জন্ম হয়েছিল- এভাবে দিনতারিখ মনে রাখেন। তারপর নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশনের সময় গড়পড়তা একটা জন্মতারিখ, যা চাকরিক্ষেত্রে সুবিধা দিতে পারবে অনুমান করে লেখা হয়ে থাকে, যাতে প্রায়শ প্রকৃত জন্মতারিখ থেকে বিস্তর ব্যবধান থাকে।
আমি বড্ড নিরীহ প্রাণী সেই ছোটোকাল থেকে- কেবল ঘরের বাইরে; এজন্য কত পিটুনি খেয়েছি পরের হাতে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু ঘরের ভেতর আমার দুরন্তপনায় সবাই সবসময় ভীষণ অতিষ্ঠ থাকত; বাইরে পরের হাতে মার, ঘরের ভেতর মায়ের পিটুনি খেতে খেতে আমার দফারফা অবস্থা।
সে পর্যন্ত দুবার খেজুর গাছ থেকে পড়ে মরতে মরতে বেঁচে উঠেছি। গাবগাছ থেকেও পড়েছি বেশ কয়েকবার। আর বাড়ির পাশে খালের ধারে একটা দইল্লা গাছ ছিল, উন্নার দিনে ওটাতে রসি দিয়ে পিঁড়ির দোলনা বানাতাম; আর বর্ষাকালে এ গাছটা ছিল আমাদের সবচেয়ে মজার জায়গা- করতাম কী, দল বেঁধে গাছের ডগায় উঠতাম, আর ঝাঁকে ঝাঁকে গাছের ডগা থেকে লাফিয়ে পানিতে পড়তাম। ডুব দিয়ে যে যত বেশি দূরে গিয়ে উঠতে পারতাম, সে তত সেয়ানা। আমি এ কাজটায় বড্ড সেয়ানা হয়ে গিয়েছিলাম। মা মানা করতেন, কিন্তু আমি কি আর মায়ের হাতের পুতুল?
একদিন আমার এমনি এক বিটকেলির শাস্তি স্বরূপ আমাকে বাম হাতে ধরে ডান হাতে পিঠের উপর দমাদম কিল ঝাড়তে ঝাড়তে মা মুখ দিয়ে আগুন বের করতে লাগলেন- তোর মতো পুলা আমি দুনিয়াতে রাহুম না- আমার কইলজ্যা খাইয়া হালাইলি তুই- পুলার পুলা, ক, গাছে গনে আরো লাফ দিবি? আরো লাফ দিবি? আর আমার ছিল কইমাছের প্রাণ বা গণ্ডারের শরীর- মায়ের কিলে আমার কোনো ব্যথা হত না, যদিও পিটুনি খাওয়ার সময় গলা ফাটিয়ে বাবা-বাবা বলে চিল্লানি দিতাম।
একটু বিরতি দিয়ে মা বললেন, তুই জানস তোর মত পুলারা আইজকাল ইস্কুলে যায়? তোর সুরুজ মামু পরশু দিন গনে ইস্কুলে যাইবার লাগছে। কত বদ্র অইয়া গেছে সুরুজ!
সুরুজ মোল্লা আমার একমাত্র মামা, আমার থেকে তিন-চার মাসের বড়। মামা আমাদের বাড়ি আসে, তার সাথে কিছুক্ষণ ত্যাঁদরামি করি, সে ত্যক্ত হয়ে কান্নাকাটি করে বাড়ি চলে যায়। মামাও বেশ গোবেচারা বটে, আমার সামনে। সেই মামা স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে শুনে আমার কোনো ভাবান্তর হলো না; কেননা ‘বদ্র’ই বা কী জিনিস, আর স্কুলে যাওয়ার মাহাত্ম্যই বা কী, গাছে গাছে বাস করার চেয়ে তাতে অধিক আনন্দ আছে কিনা সে বিষয়ে কোনো জ্ঞান তো ছিলই না, জানারও কোনো আগ্রহ ছিল না।
মায়ের পিটুনিতে ব্যথা না পেলেও মা-ই ছিলেন সাক্ষাৎ ‘রাক্ষসী’, আর বাবা ছিলেন সকল বিপদের নিরাপদতম আশ্রয়স্থল; যতক্ষণ বাবা বাড়িতে, মা আমার টিকিটিও ছুঁতে পারতেন না, আর আমার থাকতো তখন সাত খুন মাফ।
মা একদিন সন্ধ্যায় বাবাকে মৃদু ক্ষোভের সাথে বলছেন, তোমার বান্দর পুলারে হয় তুমার সাতে ক্ষ্যাতে নিয়া যাইবা, নাইলে ইস্কুলে দিয়া দেও। ওর জ্বালায় আমার জানডা ত্যাজপাতা অইয়া গেল।
বাবা হাসতে হাসতে বলছেন, কও কী, ইস্কুলের বয়স বড় অইছে নি? বয়স অইলে আল্লায় নিলে ইস্কুলেই বর্তি কইরা দিমু। আমার মতন লাঙ্গল টানবো নি বড়ো আমার পুলা!
বয়স অইছে না! মা ঝামটা দিয়ে বলেন, সুরুজ ইস্কুলে যাইবার লাগছে কবে গনে। সুরুজ কত বদ্র অইয়া গেছে দ্যাকছাও না!
বাবা আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসেন।
এরপরের কিছুদিনের কথা ও ঘটনা আর মনে নেই। মনে পড়ে শুধু কথাগুলো- বাড়িতে প্রস্তুতি চলছে আমাকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য। আজ না কাল, কাল না পরশু- এভাবে। বাবা বাড়িতে থাকলেই স্কুলে নিয়ে যাবেন একদিন, কিন্তু বাবার সেই সময় আর হয়ে ওঠে না।
বাবার সময় হল একদিন সকালে। আমার জন্য একটা বই কেনা হয়েছে- সবুজ সাথী। একটা শ্লেট আর মাটির পেন্সিলও। সেগুলো গত কয়দিন ধরে নাড়াচাড়া করেছি, আর কেবলই বিষণ্ণ হয়েছি- হায়, এ আপদগুলোর জন্যই আমাকে স্কুলে যেতে হবে! আমার পুরোনো হাফপ্যান্ট আর শার্টটা ৫৭০ সাবান দিয়ে ধুয়ে নতুনের মত করা হয়েছে। কিন্তু সকালবেলা থেকেই আমার খুব মন খারাপ- খুব কান্না পাচ্ছে। মায়ের ‘বদ্র’ কথাটার অর্থ আমি না বুঝলেও এটুকু বুঝেছিলাম যে স্কুলে গেলে আমিও সুরুজ মামার মত ‘বদ্র’ হয়ে যাব- হায়রে, আমার দিনভর গাছগাছালি খেলা- এসব তো আর কিছুই করতে পারব না- আমি তবে কীসের লোভে স্কুলে যাব?
স্কুলে যাবার সময়টাতে পাড়াপড়শিরা ও বাড়ির সবাই জড়ো হলো আমাদের ঘরের সামনে, আর ঠিক তখনই ডুকরে কাঁদতে শুরু করলাম। যতই সময় ঘনিয়ে আসতে লাগলো বাড়ি হতে বের হবার, আমার কান্নার বেগ ততই বাড়তে থাকলো, একসময় গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে লাগলাম- আমি ইস্কুলে যামু না। ইস্কুলে যামু না। আর আমার কান্না তখন এতই করুণ হয়ে উঠেছিল যে বাবা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে তিনি নিজেও কেঁদে দিয়ে মাকে বললেন, তাইলে আইজক্যা বাদ দেই? কিন্তু মা শাসিয়ে উঠতেই বাবা আমার হাত ধরে বললেন, চলো বাজান- কাইন্দো না- ইস্কুল অনেক বালো জাগা।
আহারে কী কান্নাই না করেছিলাম সেদিন- আমি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছি আর আমাকে বাড়িভর্তি মানুষজন দেখছে- আমি আমার সোনার দিনগুলো ফেলে চলে যাচ্ছি অন্যদিনের দিকে...
স্কুলে আমি ভালো করছিলাম। কয়েক বছরের মধ্যে পাড়াপড়শি ছাড়িয়ে পুরো গ্রামে আমার মেধার কথা ছড়িয়ে পড়লো। লোকে বলতে লাগলো- গোবরে পদ্মফুল।
আমার অজপাড়াগাঁয়ের স্কুলটাতে আমিই প্রথম প্রাইমারি বৃত্তি পরীক্ষায় পাশ করেছিলাম- এই বৃত্তির খবর নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন শিক্ষক ও কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি যখন আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন- আমার মা হাউমাউ করে কেঁদে দিয়েছিলেন।
আমার মা মারা গেছেন আমি যখন ৭ম শ্রেণীতে পড়ি। প্রাইমারি স্কুল থেকে হাইস্কুলে যেয়েও আমি স্কুলে খুব ভালো করতে থাকি- আমার মা এ খবরে অতি আপ্লুত হয়ে বলতেন- তর মনে আছে, ইস্কুলে যাইবার দিন তুই কত কানছিলি?
ফেলে আসা দিনের অবিস্মৃত অনেক কিছুর মধ্যে স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিনটির কথা এভাবেই আমার ভেতর সতত ঝলমল করে আলো দেয়...
৮ মে ২০০৯
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছোটোকালটাই খুব সুন্দর
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৫
রাকু হাসান বলেছেন: দূরন্ত সেই সব শৈশব । এ প্রজন্মের কাছে রুপ কথার গল্পের মত ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অধুনার ডিজুস বাচ্চাদের শৈশব আবার অন্য রূপকথায় ঠাসা। মোবাইল, ল্যাপটপ, গেইমস এবং আরো অনেক কিছু। ওরা যখন বড় হবে তখন এগুলো থাকবে না, আরো উন্নত হবে। যরা তখন এই কথাই বলবে, আগে কী সুন্দর গেইমস খেলিতাম
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার মা অসময়ে চলে গিয়েছিলেন, আপনার সুদিনগুলো দেখেননি, দু:খ লাগলো
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সব মায়ের মতো আমার মা-ও স্বপ্ন দেখতেন আমরা যেন বড়ো হয়ে সুখে থাকি। আমরা এখন অনেক সুখ পেয়েছি, এমন না, তবে আমার মা যে-রকম স্বপ্ন দেখতেন, তার চাইতেও ভালো আছি। অনেক কিছুই আছে, শুধু মা-ই নাই।
ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০১
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ছেলেবেলার দিনগুলো ভালোই ছিলো। বয়স যতো বাড়ছে পৃথিবী ততো কঠিন হয়ে উঠছে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক বলেছেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে দায়িত্ব বাড়ে, ঝামেলা বা জঞ্জাল বাড়ে। সংসারের চিন্তা হলো সবচাইতে সাংঘাতিক। ছোটোবেলায় তো এগুলো ছিল বাবার ঘাড়ে বা মাথায়। এখন আমি নিজেই বাবা
৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাড়ীর মেয়েকে বিয়ে দিলে বিদায়ের সময় মেয়ে যেভাবে কান্নাকাটি করে, আপনার প্রথম স্কুলে যাওয়ার বিবরন শুনে তো আমার সেই দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠলো।
আপনি পদ্মফুল হয়ে ফুটেছেন বলেই তো আজ আমরা এসব চমৎকার লেখা পড়তে পারছি।
আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা। এমন মায়েরা ছিলেন বলেই তো অনেকের পক্ষেই পদ্মফুল হয়ে ফোটা সম্ভবপর হয়েছিল।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভুয়া কমেন্ট আমার কাছে অনেক প্রিয়
আমি মুগ্ধ, অভিভূত ও বিবাহিত হইয়া গেলাম আপনার কল্পনা শক্তি দেখে। আমি যখন এ অংশটা লিখি, তখন ঠিক ঐ বিয়ের কন্যা বিদায় নেয়ায়র সময় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, ঐটা মাথায় খেলা করছিল। স্কুলে যাওয়ার দিন আমার কান্নাকাটি ঐরকমই ছিল, কিন্তু তখন তো আর বুঝি নাই মেয়েরা বাপের বাড়ি ছাইড়া যাইবার সময় ঐভাবে কান্দে এখন অবশ্য মেয়েদের কানবার বেইল নাই
আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা। এমন মায়েরা ছিলেন বলেই তো অনেকের পক্ষেই পদ্মফুল হয়ে ফোটা সম্ভবপর হয়েছিল। চমৎকার ভুয়া কমেন্টের জন্য একটা খাঁটি ধন্যবাদ নিন
৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমাদের প্রতিটি মানুষের এমন দুঃখগাথা থাকে কারো কম কারো বেশী । শুভকামনা রইলো ।।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, প্রতিটা মানুষেরই কিছু না কিছু দুঃখগাঁথা থাকে। তবে, স্থান কাল পাত্র ভেদে তা ভিন্ন ভিন্ন হয়। আমার বড়ো ছেলে একদিন খুব দুঃখ করে তার কষ্টের কথা বলছিল- এক কাঁধে স্কুলব্যাগ, আরেক কাঁধে গিটার নিয়া কত কষ্ট করে বাস স্ট্যান্ডে বাসের জন্য দাঁড়াইয়া থাকি, এটা তো বুঝবেন না আমি বলতে ভুলে গেছিলাম যে, কলেজে পড়ার সময় দেশে 'মার্শাল' নামক এক স্কুল ব্যাগ আসে, যেটা কেনার আমার শখ ছিল, কিন্তু কিনেছিলাম ওগুলো অবসোলেট হবার পর কম টাকা দিয়া। ৩০ পয়সা বাস ভাড়া বাঁচানোর জন্য গুলিস্তান থেকে হেঁটে সদরঘাট যাইতাম। ইত্যাদি। আমারও দুঃখ ছিল, আমার ছেলেরও দুঃখ আছে
৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: বাল্যকালের চমৎকার ঘটনা। খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। ভালো থাকবেন।
৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: স্মৃতিকথা ভালো লাগল। গোছানো...
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বিচারমানি। আপনার তালগাছে আপনিই নিয়া নেন। তালের কোষ আমার স্ত্রীর খুব পছন্দ। তালের বড়াও। কিন্তু আজ আপনাকে খাওয়াব সর পড়া চা
৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৪৩
আশাবাদী অধম বলেছেন: আমিও তো কালকে সে কথাই বললাম যে দমুহমা ললিখ ছোটবেলায় আমার হাতে কত কানমলা খেয়েছে। এখন কি তা স্বীকার করবে?
সুন্দর ছোটবেলার স্মৃতি। রবিগুরু কবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে গিয়েছেন-
সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর, পাঠশালা পলায়ন —
ভাবিলাম হায় আর কি কোথায় ফিরে পাব সে জীবন !
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ও না, গতকাল তো আপনাকে ভুলটা শুধরে দিয়েছিলাম, মনে রাখতে পারেন নি, না? যে প্রতিদিন সকাল বিকাল নিয়ম করে কানমলা খেত, তার নাম জিরা লহিল্লাদুবয়া।
কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ জনাব
সেই মনে পড়ে জ্যৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাহিকো ঘুম,
অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।
১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:০৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মালিকান্দা হাইস্কুলে এখন কলেজও হয়েছে।
তবে স্কুলের সাথে কলেজ আমার ভালো লাগে না।
আপনার পোস্ট পড়ে স্মৃতি কাতর হলাম।
গড়পড়তা আমাদের সবার ইতিহাস প্রায় একই রকম।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্কুলের সাথে কলেজ আমার ভালো লাগে না। আমরা প্রাইমারি স্কুল থেকে হাইস্কুলে যাওয়ার পর দেখি, ক্লাস ফোর/ফাইভও ওখানে মর্নিং শিফটে মেয়েদের সাথে পড়ে। ব্যাপারটা আমার কাছে খুব অদ্ভুত মনে হলো- হাইস্কুলে আবার ক্লাস ফোর-ফাইভও থাকে নাকি? তবে, বর্তমানে প্রেক্ষাপট অনেক বদলে গেছে, বিশেষ করে বড়ো শহরগুলোতে, যেখানে স্কুল এবং কলেজকে কম্বাইন করা হয়েছে। আমরা হাইস্কুলে গিয়ে এখন আর আগের মতো আনন্দ পাই না, মনে হয়, এটা তো কলেজ, আর আমরা পড়েছি হাইস্কুলে।
আপনার সাথে আমি একমত সাজ্জাদ ভাই।
গড়পড়তা আমাদের সবার ইতিহাস প্রায় একই রকম। এটাও অস্বীকার করার উপায় নাই।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার শৈশবের স্মৃতিকথন ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ইসলাম।
১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার লেখায় সোঁদা মাটির গন্ধ
মায়ের আঁচলের সুবাস লেগে আছে-
লেগে আছে বাবা’র কোমল ছায়া।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনার লেখায় সোঁদা মাটির গন্ধ
মায়ের আঁচলের সুবাস লেগে আছে-
লেগে আছে বাবা’র কোমল ছায়া।
কথাটা খুব চমৎকারভাবে বলেছেন আপু। খুব ভালো লাগলো।
১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর সৃতি কথা।
আচ্ছা, আমার উপর রাগটা কি একটু কমেছে?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর সৃতি কথা বলার জন্য ধন্যবাদ পরীর বাবা।
---
আটলান্টিকের গভীর তলদেশ থেকে কিছুকাল পরপর তিনি আচানক জেগে ওঠেন আর ঘুমাকুল চোখে ‘কী খবর, স্যার? ভালো আছেন?’ বলে পুনর্বার নিদ্রার জলে ডুব দ্যান; দশ বছর কেটে গেছে এমনতরো উঁকিটুকি খেলায়। মনে হলো, আমারও হয়ত খোয়া গেছে অনেক কিছু। অন্তরে তাঁর জন্য তিনটি প্রশ্নের ছটফটানি বহুকাল; সেসব প্রশ্নের সুচানো অত্যাচারে সুপ্তোত্থান হলো। তখনই মেসেঞ্জারে ভাসছিল ‘কী খবর, স্যার? ভালো আছেন?’
‘আমি তোকে তিনটি প্রশ্ন করবো; প্রমিস, ইয়্যু উইল রিপ্লাই অল কারেক্ট।’
আমি তাঁকে টলস্টয়ের ‘তিনটি প্রশ্ন’ জিজ্ঞাসা করতে চাই নি; ওসব মহৎ দর্শনে আপাতত সাধ নেই।
সদাশয়া মহাশয়া জবাব দিলেন না প্রশ্নত্রয়ের জবাব দেবেন কিনা; প্রবল পালটা-প্রশ্ন আর তুখোড় জেরায় এড়িয়ে যেতে থাকলেন সুদৃঢ়গাঁথা প্রশ্নমালা।
‘প্রমিস, ইউ উইল রিপ্লাই কারেক্ট।’ আমি লিখলাম।
‘হুয়াই?’
আমি বিরক্ত হই। লিখি : ‘দিস ইজ এ ভেরি ব্যাড টেনডেন্সি দ্যট ইয়্যু অল-ওয়েজ আস্ক কাউন্টার কোয়েশ্চন্স।’
‘শালাহ, যা ভাগ।’ ওর ইডিয়টিক আক্রমণে নড়েচড়ে বসি।
‘তুই তো এখন আমার বাসায় হে... ভাগবি তুই, নট মি।’
‘নাইস অ্যানসার। কী খবর, শুনি?’
‘আই হ্যাভ রাফলি থ্রি কোয়েশ্চনস ফর ইয়্যু।’
‘হুম।’
‘প্রমিস!’
‘হুয়াই শুড আই? কিছু না শুনে, না জেনে প্রমিস আমি করি না। এটা নিয়ে পেঁচিয়ে লাভ আছে?’
মেসেঞ্জার তাকিয়ে থাকে। আমি তাঁর প্রতিশ্রুতির প্রত্যাশায় অ্যাডামেন্ট; এবং সাইলেন্ট।
তিনিই এগিয়ে এলেন : ‘হাউ আর ইয়্যু? হাউ ওয়াজ ইয়োর লাইফ ব্যাক হোম?’ তিনি তাঁর কৌশল খোঁজেন আমাকে অ্যাক্টিভেট করানোর। হুট করেই বলি : ‘তুই কি কোনো প্রেম করছিস?’
‘হাহাহা! এ কেমন প্রশ্ন? প্রেম কি অবৈধ?’
অথচ আমার প্রশ্নের জবাব পাই না; ভেতরে জমতে থাকে ক্ষোভ; এবং নীরব থাকি; তিনি বিরতিকাল বাদে আবার অবিরত লিখতে থাকলেন :
‘কবিতা লিখছিস?
ডু ইয়্যু নো মাই এইজ...?
ইজ দিস ইয়োর ফার্স্ট কোয়েশ্চন অ্যামংগ্স্ট থ্রি?’
আমি হাসি- ইমোটিকনে, তাঁর বুদ্ধি খুলছে দেখে।
‘মানে কী? এই হাসির মানে কী, বুদ্ধির ঢেঁকি?’ তিনি লিখলেন।
কিয়ৎক্ষণ পর ‘বাজ’ পড়ে মেসেঞ্জারে : ‘আর ইয়্যু ওয়ার্কিং, অর বিজি উইথ সামওয়ান এল্স?’ এটা কারো প্রতি তাঁর ঈর্ষাও হতে পারে।
আমি ইরিটেটেড। অ্যানয়েড। লিখলাম : ‘ইফ ইয়্যু ডোন্ট রিপ্লাই, প্রোব্যাবলি দিস ইজ মাই লাস্ট এভার আইএম টু ইয়্যু।’
‘আই ডোন্ট কেয়ার।’ তাঁর তাৎক্ষণিক ঝাঁজ, ‘এভাবে আমার পেট থেকে কথা বের হয় না। ইয়্যু হ্যাভ নো আইডিয়া- কার সাথে কী তরিকা চলে।’
নীরবে মিটিমিটি হাসি, আর নিরন্তর নিরুত্তর থাকি। তিনি কি আমার আরও রিসপন্স প্রত্যাশা করছেন? তিনি ক্রমশ লিখতে থাকলেন দশ মিনিট পর :
‘ডু ইয়্যু হ্যাভ এ ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট...?
আমি কিছু কবিতা লিখেছি... প্রকাশ করবো ভাবছি...
তার আগে তোকে পড়তে দেব...
আর ইয়্যু দেয়ার....? ... ...’
তারও দুদিন পর লগ-ইন করতেই ক্রমাগত ‘বাজ’ পড়তে থাকে, আর তাঁর আইএম :
‘হাই!
হাউ আর ইউ টুডে?
ডিড ইয়্যু চেঞ্জ ইয়োর ফোন নাম্বার?
ফোন তো বন্ধ পেলাম; কারণ কী?
(পুনর্বার ‘বাজ&rsquo
এত কথা বললাম, কোনো উত্তর নেই?
সৌজন্যতাহীন মানুষ একটা.....’
তাঁর কোনো কৌশল আর কাজে লাগলো না। বাকি প্রশ্ন দুটো ভুলে যাবো- তিনি প্রমিস করেন নি যদিও, আমি করেছি।
১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। সত্যিই লেখাটা বেশ ভালো লাগল---
অনেক পুরানো স্মৃতি ঘেঁটে যেন তাকে তুলে এনে ঝকঝকে করে ধোয়া হয়েছে ৫৭০ সাবান দিয়ে------
১৩ নম্বর মন্তব্যের উত্তর দেখতে অপেক্ষা করে আছি
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের ছোটোবেলায় ঐ এক ৫৭০ সাবান দিয়েই গোসল করা, কাপড় কাচা হতো। ৫৭০ সাবানের মতো লাল রঙের আরেকটা সাবান ছিল লো কোয়ালিটির, ওটা আমরা কদাচিৎ কিনতাম। কিছুদিন পর দেখলাম সবুজ রঙের হুইল সাবান এলো, আরো কিছুদিন পর সবুজ বা হ্লুদ রঙের আরো একটা সাবান এসেছিল বলে ঝাপসা মনে পড়ে। একদিন দেখলাম গোল বল সাবান। ওটার সমস্যা ওটা দিয়ে গোসল করা যেত না, বাধ্য হয়েই গোসলের জন্য কেনা হতো ৫৭০ সাবান। সাবান দিয়ে গোসল করাটা ছিল একটা বিলাসিতা বটে।
হঠাৎ একদিন বাজারে দেখা গেলো সুগন্ধি সাবান (আমরা চলতি কথায় 'বাসনা' সাবান বলতাম)। মনে হয় তিব্বত সাবানই হবে, নাম মনে নাই। এই সাবান কাহিনির কথা আর কারো জানা আছে কিনা জানি না।
ধন্যবাদ জাহিদ অনিক পোস্ট পড়ার জন্য।
১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৪
করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্ট পড়ে আমি এতই আলোড়িত হলাম যে, লিংক ধরে ধরে আপনার আরো চারটি পোস্ট পড়ে এলাম। সবগুলো স্মৃতি কথা নিয়ে একটি বই করুন।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: করুণাধারা, আমার বিভিন্ন পোস্টে আপনার অনেকগুলো কমেন্টে আমিও খুব আলোড়িত হয়েছি। জসীমউদ্দীনের ঘটনাটা পড়ে আমি খুব আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি এবং আমার চোখ ভিজে আসে। পৃথিবীতে মায়ের কোনো তুলনা নাই।
১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৪
অন্তরন্তর বলেছেন: খলিল ভাই আপনার স্মৃতিকথা খুব ভাল লাগল। আপনার আম্মাকে আল্লাহ্ জান্নাতবাসী করুক এই প্রার্থনা। আমার প্রথম দিনের স্কুল ছিল খুব আনন্দের। বানিয়ানগর প্রাইমারী স্কুলে আমার প্রথম দিন। বানিয়ানগর সূত্রাপুরের সাথেই। শুভ কামনা। এমন লিখা এখন বেশি ভাল লাগে কেন জানি। শুভ কামনা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গত কিছুদিন ধরে ব্লগে নিয়মিত থাকায় কিছু মধুর অভিজ্ঞতা হচ্ছে। হঠাৎ হঠাৎ দু-একজন পুরোনো ব্লগারের উপস্থিতি সেই পুরোনো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। খুব ভালো লাগে।
আপনার অভিজ্ঞতার সাথে আমার অভিজ্ঞতার বিস্তর তফাত। স্কুলে যাওয়ার জন্য আমার কষ্ট হওয়ার মূল কারণ ছিল সম্ভবত এটাই, স্কুলে গেলে 'সুশীল' হয়ে যেতে হবে, স্বাধীনভাবে ছোটাছুটি করার সময় পাব না (অর্থাৎ স্কুলে থাকাকালীন সময়টা তো আর খেলাধুলা করে কাটিয়ে দেয়া যাবে না), ইত্যাদি। ঐ সময়ে ক্লাস ওয়ান-এর আগে ওয়ান বি নামে আরেকটা ক্লাস ছিল। আমরা বলতাম আমি বি'তে পড়ি। বি'তে পারফরমেন্স দেখেই ওয়ানে উঠিয়ে দেয়া হতো। পার্টিশন বিহীন বি ক্লাসে বসে দেখতাম ক্লাস ওয়ানের ছাত্রছাত্রীরা হেড স্যারের প্রচণ্ড থাপ্পড়ে মরমর অবস্থায় চলে যাচ্ছে। হেড স্যার ছিল একটা আতঙ্ক। মাস তিনেকের মধ্যেই আমাকে আলাদা করে ক্লাস ওয়ানে উঠিয়ে দেয়া হলো। আর আমি হেড স্যারের ভয়ে তার পরের দিন থেকে ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করলাম। খুব সম্ভবত মাস ছয়েক পরে আবার জোর করে স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়, যেয়ে দেখি আগের হেড স্যারের পোস্টিং হয়ে গেছে।
বহু ঘটনা-উপঘটনার মধ্য দিয়েই প্রাইমারি স্কুল শেষ পর্যন্ত পার করতে পেরেছিলাম।[
প্রাইমারি স্কুলটা আপনার মতো উন্নত স্কুলে পড়ার সৌভাগ্য আমার হয় নি। সেই বিবেচনায়ই আপনার অভিজ্ঞতা আর আমার অভিজ্ঞতার মধ্যে তফাতের কথাটা বললাম।
অতীতের কথাটা স্মরণে এলে সত্যিই মানুষ খুব স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে।
ভালো লাগলো অন্তরন্তর। ভালো থাকুন।
১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: উন্নার দিন কী?
এরপর সত্যিই বদ্র হইয়া গেছিলেন?
ভাল্লাগছে ছোটবেলার স্মৃতি পড়ে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উন্নার দিন- আমাদের জয়পাড়া-দোহার এলাকার আঞ্চলিক শব্দ। শুকনো মৌসুমকে বোঝানোর জন্য এই টার্মটা ব্যবহার করা হয়। কাল দুইটা- উন্নাকাল আর বর্ষাকাল
এরপর সত্যিই বদ্র হইয়া গেছিলেন? আমি আগাগোড়াই সুভদ্র, সুনিরীহ এবং সুবেচারা। তবে, মায়ের সাথে অবাধ্যপনা ছিল ধারণাতীত এবং মায়ের পিটুনিও খেয়েছি ভয়াবহরকম বাবার আদর বেশি পাইতাম বলে এটা হইয়া থাকতে পারে। এটা অবশ্য ব্যতিক্রম কিছুই না, সব বাচ্চারাই মায়ের কাছে দুরন্ত। মাতৃবলয়ের বাইরে আমার ভদ্রতার বিশেষ খ্যাতি ছিল অবশ্য
ভাল্লাগছে ছোটবেলার স্মৃতি পড়ে। ধন্যবাদ আপু। ঢাকা যেমন বাংলাদেশের রাজধানী, দোহার হলো আবার ঢাকার রাজধানী। সেই দোহারের রাজধানী হলো জয়পাড়া।
নিন, জয়পাড়ার বিশ্ববিখ্যাত ঝাল চানাচুর, আমিত্তি আর খেজুর (খাজইর) খান।
১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: স্মৃতি .. মধুর
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বহুদিন পর বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনে মোর! দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পোস্টে আসার জন্য। শুভেচ্ছা।
১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চানাচুর, আমৃত্তি, খেজুর দেখায়া লাভ নাই, আমার ঠিকানা অনুযায়ী পাঠায় দিবেন যাতে খাইয়া দাইয়া একটা রিভিউ লিখতে পারি।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হেহেহেহেহেহে। নজর দিয়া ফালাইছেন! না দিয়া খাইলে তো আবার পেট খারাপ হইব। না পাঠাইয়া উপায় নাই কদমালীর!!
আপাতত পিজা খান। আমার মেয়ের বানানো
২০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যায় দিন ভাল কথাটা দেখছি সবসময়ে সব কালে সব জনেই ফলে
আহারে !
আপনার মায়ের অকাল প্রয়ানের কথা জেনে কষ্ট লাগল অনেক। আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসীব করুন।
যদিও আপনার বর্তমান সব খবর তিনি পাচ্ছেন। এবং স্বাভাবতই অনেক খুশি
তবুও জাহেরে আনন্দ আর বাতেনে আনন্দে তফাত আছে না!
আপনার পিতার জন্যেও একই শুভকামনা।
এ যেন শুধু স্মৃতিকথা নয় - এক দুরন্ত ডানপিটের বদ্র হবার সাতকাহন হা হা হা
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যায় দিন ভালো, এটা তো আমি সব সময়ই ফিল করি। ভয়াবহ কঠিন সময় পার করেছি। সেই সময়গুলোর কথা ভাবতেও ভালো লাগে। ভালো সময়ের চেয়ে খারাপ সময়গুলো বেশি মনে পড়ে। আশ্চর্য হলো, ওগুলো মনে করে সুখও পাই। আনন্দও পাই।
এ যেন শুধু স্মৃতিকথা নয় - এক দুরন্ত ডানপিটের বদ্র হবার সাতকাহন হাহাহাহা। কারেক্টলি আইডেন্টিফাইড
অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহঈ ভৃগু।
২১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫১
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: আপনার ছোট বেলার দিনগুলো অনেক মজার ছিল।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছোটোবেলাটা যেমন হয় আর কী
ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম