নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ব্লগার বা ফেইসবুকারকে নিয়ে একটি গল্পের প্লট

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২০

আমার অনেক দিনের ইচ্ছে, একজন ফেইসবুকার ও ব্লগারকে নিয়ে একটা গল্প লিখবো। সময়ের অভাবে গল্পটা লিখতে না পারলেও মনে মনে এর প্লট গুছিয়ে রেখেছি।

সে একজন মেয়ে হবে। অতএব, গল্পের নায়িকা সেই মেয়েটি।
মেয়েটি দেখতে খুব সুন্দর। শাড়ি পরে, কখনো-বা সেলোয়ার কামিজ। সুন্দর কণ্ঠ। রবীন্দ্র সঙ্গীত তার প্রিয় হলেও খালি গলায় গাওয়া মডার্ন ফোক গানে সে অনন্য। ভালো কবিতা লেখে। গল্পগুলোও অসাধারণ। কিন্তু তার প্রকাশিত বইটি জেন্ডার বৈষম্যের উপর কয়েকটি গবেষণাধর্মী আর্টিকেলের সংকলন।
সে ভালো রাঁধে; সুন্দর করে খোঁপাও বাঁধে সে। সে নৃত্যকলা শিখেছে। একটা সংগঠনে সে ছেলেদের আবৃত্তি শেখায়।
তার একটা শিল্পী মন আছে। অর্থাৎ, সে আঁকে। হস্তশিল্পেও তার প্রশংসনীয় নৈপুণ্য দেখা যায়। পরিপাটি ঘরটি সুদৃশ্য আসবাবে ছিমছাম সাজিয়ে রাখে। ফেইসবুক ও ব্লগে তার সাজানো-গোছানো ঘর-গেরস্থির ছবি দেখে আমরা চমৎকৃত হই।
দেশভ্রমণ তার শখ। প্রতি তিনমাসে অন্তত দু’বার সে দেশের বাইরে যায়; বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াতে তার খুব ভালো লাগে। বন্ধুরা তাকে আদর করে ‘লেডি বতুতা’ ডাকে। প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতি তার তীব্র আকর্ষণ রয়েছে; এবং এর উপর সে উন্নত মানের প্রচুর আর্টিকেল লিখেছে, যা হৃদয়গ্রাহী ও তথ্যপূর্ণ।
ফেইসবুক ও ব্লগভুবনে সে শীর্ষস্থানীয় সেলিব্রেটি। ব্লগে তার একেকটা পোস্ট ন্যূনতম ৫৫০০ বার পঠিত হয়। একেকটা পোস্টে অন্তত ৩০০টি কমেন্ট পড়ে।
তার আরেকটি বড় পরিচয় আছে। সে বাংলাদেশের একটা বিখ্যাত বাংলা ব্লগের মহামান্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। অনেকের ধারণা, এ কারণেই সে খুব দ্রুত জগৎবিখ্যাত সেলিব্রেটিতে পরিণত হয়েছে।
ফেইসবুকে বিভিন্ন সোশ্যাল মুভমেন্টে তার সাফল্য ঈর্ষণীয়। রুগীদের জন্য রক্ত সংগ্রহ ও রক্তদান কর্মসূচিতে সে অচিরেই গিনেস বুক অফ রেকর্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করাতে সক্ষম হবে বলে সকলের ধারণা।
ফেইসবুকে সে কবিতা লেখে, রম্য লেখে, রাজনীতির বিষয় নিয়ে মতামত বা সমালোচনা লেখে। তিন শব্দের একটা স্টেটাসেও মুহূর্তের মধ্যে কয়েক হাজার ‘লাইক’, কমেন্ট ও ‘শেয়ার’ হয়। প্রতি ১০টা স্টেটাসে তার ২-৩টা ছবি থাকবেই। ছবিগুলোতে কখনো সে একা, কখনো মা বা বোনের সাথে। তার বেশিরভাগ ছবি সাদাকালো। সে কপালে টিপ পরে। তার চুল কোঁকড়ানো নয়। হাত ভরা রঙিন ও ঝলমলে চুড়ি।
মেয়েটির সাথে আমার কীভাবে পরিচয় হলো গল্পে তার একটা ইন্টারেস্টিং বর্ণনা থাকবে। ভার্সিটির বারান্দা দিয়ে দ্রুত ছুটে চলা দুজন বিপরীতমুখী নায়কনায়িকা পরস্পরের ধাক্কা খায়। হাত হতে মাটিতে বই ছিটকে পড়ে। ‘স্যরি, ইট’স মাই ফল্ট’ বলে দুজনে নীচু হয়ে বই তুলতে গেলে মাথায় টক্কর লাগে। পুনর্বার ‘স্যরি’ বলে ওঠে দুজনেই। ... হ্যাঁ, এটা আমাদের সিনেমার গতানুগতিক দৃশ্য। এ দৃশ্য দেখে সিনেমা হলে আমরা অনেক আনন্দিত ও বিনোদিত হতাম তরুণ বয়সে। ভার্চুয়াল জগতে মেয়েটির সাথে প্রথম পরিচয়ের একটা ‘সাংঘাতিক’ ঘটনা ঘটাতে হবে। সাংঘাতিক ঘটনা মেয়েদের মনে দাগ ফেলে সবচেয়ে বেশি। এ থেকেই গল্পের ভেতর মেয়েটার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা দ্রুত বাড়তে থাকবে।
মেয়েটার স্টেটাসে গিয়ে বলা যায়— তোমার চেহারা এত কালো কেন? তুমি কি পেতনি? এ কথায় মেয়েটা মারমুখী হবে। ঝগড়া বাঁধিয়ে দিবে। আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিবে সে এ যুগের অড্রে হেপবার্ন কিংবা কবরী সারোয়ার। তারপর আমাকে বলতে হবে— ‘আপনাকে একটু চেতালাম আর কী! আপনি আসলে অনেক বুদ্ধিমতী। বৈজয়ন্তী বালার মতো।’ এরূপ অদ্ভুত তুলনা বা উপমায় সে আহ্লাদে গলে যাবে। এরপর তার সাথে চ্যাট হবে।
আচ্ছা, এটা তেমন আকর্ষণীয় কোনো ঘটনা হয় বলে কি আপনারা মনে করছেন?
তাহলে এটা বাদ। অন্যভাবে বলি।

ব্লগে তার কবিতার উপর নাতিদীর্ঘ একটা লেকচার দিয়ে বললাম— ‘তুমি কচি খুকি। ভালো লিখছো। চর্চা চালিয়ে যাও, ভবিষ্যতে তসলিমা নাসরিনকে ছাড়িয়ে যাবে। আমিন।’ ... মেয়ে অগ্নিমূর্তি হয়ে উঠলো। ‘আমাকে তনার সাথে তুলনা করলা? আজকে তোমার একদিন কী আমার একদিন...’ তারপর বাহাস শুরু হলো। শেষ পর্যন্ত আমাকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে নিবৃত্ত হলো মেয়ে। এরপর মেয়েটা আমাকে এড়িয়ে চলতে থাকবে, অবজ্ঞা বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে। কিন্তু একদিন উত্তুরে হাওয়া থেমে যাবে, মনোরম দখিনা বাতাস বইতে শুরু করবে। বেপরোয়া নায়কের তেলেসমাতি দেখে নায়িকারা যেভাবে গলে যায়, ভুল করে আমার ব্লগে ঢুকে পড়ে আমার একটা কবিতা পড়ে ‘কবিনি’ সেভাবেই গলে গেলো আর কী!
যেভাবে চাচ্ছি, ঠিক সেভাবে জমছে না। উপরের কাহিনিগুলো বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সত্যিকারে মেয়েটার সাথে যেভাবে পরিচয় ঘটেছিল, লিখতে হবে সেটাই।
একটা মিউজিক ভিডিও’র জন্য সুন্দরী মেয়ে খুঁজছিলাম। আশা করেছিলাম ঝাঁকে ঝাঁকে মেয়েদের ছবি এসে ইনবক্স হ্যাং করে ফেলবে। সারাদিন বাদে মাত্র তিনটি মেয়ের গোটা সাতেক স্টিল পিকচার জমা হলো।

শ— আকর্ষণীয় চেহারা।
ত— কবিতার মতো মেয়েটি।
র— চেহারায় অহঙ্কারের ছাপ, তবে চোখ সরানো যায় না।

আমি সময় নিয়ে তিনজনের সাথেই বিস্তারিত চ্যাট করলাম। তিনজনের মধ্যেই কমন যে বৈশিষ্ট্য আমাকে আকর্ষণ করলো তা হলো তাদের অতি অল্প সময়ে কাউকে আপন করে নিতে পারার ক্ষমতা। চ্যাট করতে করতে মনে হলো এরা যেন আমার অনেক দিনের চেনা। আরো আগে কেন ওদের সাথে পরিচয় হয় নি এ নিয়ে আফসোসে আমার বুক ফেটে যেতে চাইলো।
ধীরে ধীরে একটা মেয়ের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা হলো। ঠিক প্রেমের জন্য এই ঘনিষ্ঠতা নয়, এমন এক সম্পর্কে আমি জড়িয়ে যেতে থাকলাম যাকে কোনোভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না।
সে আমাকে খালি গলায় গাওয়া তার অনেকগুলো গানের লিংক দিল। আমি অভিভূত হলাম। খালি গলায় গাওয়া গানে যে এত মাধুর্য, এ প্রথম আমি তার গান শুনে বুঝলাম। তার কাছে আমার বায়না ছিল, আমার পছন্দের একটা গান খালি গলায় গেয়ে শোনাতে হবে।

কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কেমনে রাখিব তোর মন
আমার আপন ঘরে বাঁধিরে বন্ধু

একদিন হঠাৎ ইনবক্সে তার গানের লিংক। খালি গলায় গাওয়া। তখন নিরালা দুপুর। বিরান, খাঁ-খাঁ মাঠের নিস্তব্ধতার মতো আমার সমস্ত ঘরদোর ঝিম ধরে বসেছিল। আমি শূন্যের উপর বসে নিগূঢ় মনে শুনতে থাকলাম তার গান।

পাড়া-পড়শি বাদী আমার
বাদী কালনো নদী
মরম-জ্বালা সইতে নারি
দিবানিশি কাঁদিরে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি

আমি খুব বেশি করে তার গানের প্রেমে পড়লাম। আমি তার প্রেমে পড়ে গেলাম। আমি প্রেমে পড়লাম। আমি চোখ মুদে বসে আছি। আমার সামনে দেয়ালে ঠেস দিয়ে বসে, একগোছা চুল বুকের উপর ছেড়ে দিয়ে যে মহীয়সী নারী দরাজ ও ধীর কণ্ঠে অবিরাম গান গেয়ে যাচ্ছে, আমি তার গান ও রূপমুগ্ধ প্রেমিক। আমি আর কিছু চাই না, মহীয়সী, শুধু তব গান চাই, নিভৃত অন্তর্ধামে সুরসুধাময় তোমাকে চাই।
সম্বিৎ ফিরে পেয়ে হেসে উঠি। হায়, সত্যি সত্যি আমি প্রেমে পড়ে গেছি যে!
আর ঐদিকে? ঐদিকে মেয়েটাও আমার প্রেমে পড়ে গেছে। সে একদিন জানালো আমাকে সে দেখতে চায়। আমাকে দেখার তৃষ্ণায় সে ছটফট করছে। একদিন আমাকে ঢাকায় যেতে বললে ‘আমার সময় নেই’ ভান করলাম, যাতে সে মনে করে আমি অতটা সহজলভ্য নই। নানা কাজে রাতদিন ব্যস্ত থাকি বলে ব্লগ বা ফেইসবুকে তেমন সময় দিতে পারি না; এ নিয়ে মাঝে মাঝে ফেইসবুকে স্টেটাস দিই। ‘এভাবে ডুমুরের ফুল হইয়া যাও কেন? স্টেটাসে তোমার লাইক/কমেন্ট না পেলে আমার স্টেটাসটাই পানসে মনে হয়। অন্তত আমার স্টেটাস পড়বা, কেমন?’ মেয়েটা আমার স্টেটাস পড়ে কমেন্টে এভাবে আমাকে অনুরোধ ও অনুশাসন করে।
একদিন দেখা করতে ঢাকায় যেতে হবে বৈকি।

মেয়েটা একটা প্রাইভেট ভার্সিটির টিচার।
নাহ, একটা কলেজের টিচার।
নাহ, একটা ডাকসাইটে ইংলিশ স্কুলের টিচার হলে বেশি ভালো হয়। সে ভালো ইংরেজি লেখে। চ্যাটিঙের সময় খুব ফাস্ট লেখে। আমি ফাস্ট পড়তে পারলেও ফাস্ট রিপ্লাই দিতে পারি না।
মাস্টারনির স্কুলে যেদিন যাব সেদিন সে একটা নাচের ক্লাসে রিহার্সেল করাতে থাকবে। ও, সে কিন্তু কলাবরিষ্ঠা। এমন কোনো কাজ বা কলা নেই, যাতে তার দখল নেই।
এখানে আরেকটু ভাববার আছে। গল্পটা বিয়োগান্ত করবো, নাকি মিলনাত্মক?
আমরা ট্র্যাজেডিই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। এটা মেয়েটার বাণী। তাই গল্পটা ট্র্যাজেডি করতে হবে।

মেয়েটা ওয়েটিংরুমে এসে আমাকে দেখে উচ্ছ্বসিত হবে এবং ‘ইদ মুবারাক’ বলে আলিঙ্গন করবে।
ওহহো, আমাদের দেশে তো পুরুষ আর নারীতে কোনো আলিঙ্গনের রেওয়াজ নেই, অতএব এই সিকোয়েল বাদ। গল্পের সমাপ্তি খুব নাটকীয় হতে হবে।
কীরকম?
মেয়েটা এসে চেয়ারে বসতে বসতে বলবে, ‘জি, আমার কাছে এসেছেন? আপনার পরিচয়?’
‘আমারে চিনলা না? আমার নাম সোনামিঞা, তোমার ফেবু ফ্রেন্ড।’
মেয়েটা ধীরে ধীরে চোখ কপালে তুলে বলবে, ‘আপনাকে ঠিক চিনতে পারলাম না। কোথা থেকে এসেছেন?’
‘খালি হাসির কথা কও ক্যান? আমি ফেবু থেকে আসছি।’
‘ফেবু কী জিনিস?’
‘ধূর ছাই। খালি শয়তানি করতেছ। ফেবুউউউ ... ফেবুউ। মানে ফেইসবুক।’
‘ও ফেইসবুক? আচ্ছা বলেন ভাই।’
‘আমার তো আজই আসার কথা, তাই না? সক্কালেও তো তুমি কনফার্ম করলা।’
মেয়েটা শেষ পর্যন্ত ক্রাশ না খেয়ে আমার কথায় টাসকি খাবে।
‘স্যরি, আপনার কথা বুঝতে পারছি না ভাই। আজকে তাহলে আসুন, কেমন?’ এই বলে উঠে হনহন করে চলে যাবে। যাবার সময় ওয়েটিং রুমের বুয়াকে মৃদু ভাষায় ভর্ৎসনা করবে, ‘যেনতেন কেউ দেখা করতে চাইলেই কি দৌড়ে গিয়ে ডাকতে হবে? তোমরা বোঝো না কিছু?’
মেয়েটার সর্বশেষ কথায় আমার হৃৎপিণ্ডে রক্তক্ষরণ শুরু হবে। আমি ট্র্যাজিক হিরোদের মতো টলতে টলতে ওখান থেকে বেরিয়ে আসবো।
ফেইসবুক ও ব্লগে একসঙ্গে গল্পটির শুভমুক্তি ঘটবে। তাহমিনা রীমা এবং রহস্যময়ী কন্যা নামক দুজন মেয়ের প্রত্যেকেই ভাববে যে গল্পটা তাদের নিয়ে লেখা। তারা ইনবক্সে লিখবে :
‘ভাইয়া, গল্পে এত তথ্যবিভ্রাট কেন? আমি টিপ পরি ঠিকই, কিন্তু কোনোদিন সাদাকালো ছবি পোস্ট করি না। আমার হাত ভরা চুড়ি থাকে এটা সত্য হলেও আমার চুল কোঁকড়ানো নয়— এটা মিথ্যা।’
‘আপনি সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশিয়ে ফেলেছেন। আমি গান গাই, তবে নৃত্যকলা শিখি নাই। আমি কবিতা লিখি, কিন্তু রান্নাবান্নার রেসিপি দিই না। আমার সাদাকালো ছবিতে আমার বেবিটার কথা কিন্তু লিখেন নি!’
এ ছাড়া অন্যান্য ফেইসবুক ফ্রেন্ডও কমেন্ট এবং ইনবক্সে লিখবেন :
‘সবটুকু পড়ে এটা পানির মতো পরিষ্কার হলো যে, এ গল্পের নায়িকা ‘নীলপরী’ ছাড়া আর কেউ নয়।’
‘মেহজাবিন নুন। ঠিক বলেছি?’
‘আপনি মিয়া চুপাহুয়া রুস্তম। তলে তলে যে এতদূর, তা ঝানতাম নাহ।’

গল্পে সমাপ্তির অংশ আসলে এটাও হবে না। পুরো প্লটটা যা পড়লেন, ঘটনা ঘটতে থাকবে আরো অন্যরকমভাবে।
বাস্তবে যা যা ঘটেছে, গল্পে হুবহু তাই বলে দেয়া হবে। তখন মেয়েটিকে চিনতে কারো এক সেকেন্ডের বেশি সময় লাগবে না। তবে অত্যাশ্চর্য ব্যাপার যেটি হবে তা হলো, এ গল্পটির রচনাশৈলী কেবল দু-একজন মেধাবী পাঠক ছাড়া সবারই মাথার অনেক অনেক উপর দিয়ে উড়ে যাবে।

বলুন তো, মেয়েটি কে?

২০ জুলাই ২০১৫

--

* কালের চিহ্ন, একুশে বইমেলা ২০১৬ ডাউনলোড লিংক

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি পড়ি নাই, প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য প্রশ্নফাঁস অবধি অপেক্ষা করবো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পড়েন নাই? তাহলে প্রশ্ন বুঝলেন কীভাবে?

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: কঠিন প্রশ্ন?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কঠিন প্রশ্নে বেশি নম্বর বরাদ্দ থাকে :)

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:


অহনা......

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভা নিন। আপনার প্রীশু আগেই নিয়েছি

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪১

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: কয়েকজন নারীকে নিয়ে এই গল্প। কোন একজন নির্দিষ্ট নয় ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কয়েকজন নারীকে নিয়ে? তারা কারা তাহলে?

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: এ পর্যন্ত আপনার কয়টি বই বের হয়েছে

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এখানে সংখ্যাগুলো দেখতে পারেন

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫১

বাকপ্রবাস বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:

আমি পড়ি নাই, প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য প্রশ্নফাঁস অবধি অপেক্ষা করবো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চাঁদগাজীকে লেখক বলেছেন: পড়েন নাই? তাহলে প্রশ্ন বুঝলেন কীভাবে? উপরে তো হিন্টস দেয়া আছে :)

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: তাদের নাম বলতে পারবো না। আমার ধারনা ভুলও হতে পারে
উত্তর আপনার কাছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি মনে মনে ট্রাই করুন। পরে মনে মনেই মিলিয়ে নিয়েন :)

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৬

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: আমার যদি ভুল হয়ে না থাকে, তিন বছর আগে এটা ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। তাই আমি একাধিক নারীর কথাটা বলতে পেরেছিলাম

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :) থাক তাহলে, আর আগাইয়েন না। আসলে এটা এমন একটা লেখা, যার মাজেজা কেবল আমি জানি :)

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৬

রসায়ন বলেছেন: গুপন কথা থাক না গুপন ! :D

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কেমন কথা কহো যে, গোপন কথা রয় না গোপন সহজে

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ব্লগের বতুতা জুন আপু। সে ছাড়া আর কেই বা হবে.....:D





আমার হিরোইন কিন্তু শায়মা আপা..:P

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হেহেহেহেহেহেহেহহেহীহেহ

১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৬

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: পঞ্চাশ পেরিয়েও আপনি যে দারুণ রসিক তা আপনার পোস্ট দেখে বুঝা যায় ।
ব্লগে আপনি আমার মত অনেকের কাছে শিক্ষকতুল্য । স্যার ভাল থাকবেন

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চিটাগং এক্সপ্রেস, মন্তব্যে খুব আপ্লুত ও সম্মানিত বোধ করছি। অনেক ভালো থাকবেন আপনিও। শুভেচ্ছা।

১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪২

বলেছেন:
চার বিশ গল্প
=======

‘ভাই, এতদিন কোথায় ছিলেন
ছিলেন তো বেশ সুস্থ?
মাঝে মাঝেই মনটা আমার
আপনাকেই খুঁজতো।’

‘জি ভাই, আমি ভালোই ছিলাম
তবে ছিলাম একটুখানি ব্যস্ত।
জানেন তো, এই আমার উপর
পদ্মাসেতুর দায়িত্বটা ন্যাস্ত।’

‘কাটলো কেমন ইদের ছুটি
কেমন খেলেন মাংস রুটি
জানতে পেলে বড্ড ভালো লাগতো।’

‘যদিও সবাই ছুটি কাটায়
কক্সবাজার, পাথরঘাটায়
আমার কি আর ওসব মানায়?
জেলায় জেলায় থানায় থানায়
মন্ত্রী মিনিস্টারের সাথে
জনগণের জন্য আমার
কর্মসূচি থাকতো।’

‘আমরা কি আর সাধে বলি
আপনি হলেন এ তল্লাটের মাথা
এবং চৌদ্দ গ্রামের গর্ব।’

‘দোয়া করো। এমপি হলে অবশ্যই
গ্রামের জন্য একটা কিছু করবো।’

২৮ আগস্ট ২০১্৮ Khalil Mahmud

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো একটা ছড়া দিলেন তো! আপনাকে ধন্যবাদ। ছড়াকারকে ধন্যবাদ। ছড়াকারের চৌদ্দগুষ্টিকে ধন্যবাদ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, শুরুতে ছড়াটা আরেকটু লম্বা ছিল, তখন এর নাম ছিল চার বিশ গল্প। চার বিশ হলো ফোর টুয়েন্টি। ফুটানিগিরি। পরে এটাকে সংক্ষেপ করা হয়েছে এবং আমার রক্ষিত কপিতে এর নাম হয়ে গেছে 'গল্প'। দুই নামকরণের মাহাত্ম্য দুই রকমের। ধন্যবাদ।

১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ও মোর খোদা, গল্পের পটভূমি পড়েই এত ভালো লাগলো তাহলে গল্পটা না জানি কত মজাদার হবে কে জানে!!!

হা হা হা দারুণ মজা করেই পটভূমি দুটো পড়ে ফেললাম ভাই, গল্পটা কবে দিবেন এইটা কন?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। খুব মজা পেয়েছেন জেনে সুখী হলাম। পড়ার জন্য ধন্যবাদ নাঈম ভাই। শুভেচ্ছা নিন।

১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট গুলো যেন কেমন-
শেষমেশ কিছুই থাকে না, মানে কিছুই পাই না।
শিশুদের ননন্সেন রাইমের মতো।

আপনার লেখায় রসবোধ আছে, যেটা আমার ভালো লাগে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার পোষ্ট গুলো যেন কেমন-
শেষমেশ কিছুই থাকে না, মানে কিছুই পাই না।
আমি তো হাসতে হাসতে শ্যাষ
আপনি কেন যে খামোখা কিছু খুঁজতে গেছেন, সেটা ভেবেই আমি জ্ঞান হারাইলাম
মহান দার্শনিক ও চিত্রকর দমুহ্‌মা ললিখ বলেছেন, তোমরা একহাঁড়ি পানি ক্রমাগত সিদ্ধ করিতে থাকিবে; কিন্তু শেষপর্যন্ত তাতে কোনো অবশিষ্ট খুঁজিয়া পাইবে না। এক্স নিহিলো নিহিল ফিট

১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েটি কে??
খুব কৌতূহল হচ্ছে।
নাম বলুন অথবা তার একটি ছবি পোষ্ট করুন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বলতে পারবেন, এরা কারা?

১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

মেয়েটি কি বেশী ভাইয়ু ভাইয়ু করে ?
তার টাইপিং স্পিড কি খুব বেশি ? আপনি একটা শব্দ লিখলে সে ২৬ টা শব্দ সেন্ড করে দেয়--
সে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ?
সে কি কাগজের ফুল বেশী ভালোবাসে ?
তার কবিতার থেকে গানের গলা ভালো ?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ কী? আপনি দেখি আমাকে পাজল্ড করে দিলেন?

সেই মেয়েটি বাইরে থাকে
ভাইরে ডাকে
আপু কি?

সেই মেয়েটি চটপটে কি
খুব বেশি খায়
ঘুমের ভেতর নাচে এবং
তবলা বাজায়
জানো বাপু?

১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: যেহেতু "ত" এবং "র" তথ্য বিভ্রাট আছে বলে অভিযোগ করেছে। সেহেতু, মেয়েটি কি "শ" হবে।
লেখায় অভিনবত্ব আছে। ভালো লেগেছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, শ হতে পারে, র বা ত-ও হতে পারে :)

লেখায় অভিনবত্ব আছে জেনে আনন্দিত হলুম।

ধন্যবাদ জুনায়েদ বি রাহমান।

১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দাড়ান শায়মাপুরে ডাকি! ;) :P

উনি সবচে ভাল পাজল মিলাতে পারবেন ;) হা হা হা

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উনি চলিয়া আসছেন অলরেডি। উনার পাজল মেলানোর দক্ষতা দেখে পাজল্ড হইয়া যাইতে হয় :(

১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: মেয়েটিকে আমি চিনেছি কিন্তু বলবো না । বললে আপনি জেনে যাবেন ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খবরদার, বলবেন না প্লিজ। বললে সবাই জেনে যাবে

২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

শায়মা বলেছেন: যেহেতু আমি সেই আদ্দিকাল থেকে সোনাবীজভাইয়াকে চিনি এবং তাহার সাথে নানা রকম ফান ফান কমেন্টো করি এবং ভাইয়া আমাকে উৎসর্গ করে কিছু কবিতা লিখেছে এবং আমি ভাইয়ার কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ এবং তার ফ্যান তাই কেউ কেউ ভাবছেন এই নারী বুঝি শ...... কিন্তু..... আমি জানি এটা ভাইয়ার ঐ তাবোল আবোল কিছু ছড়া আছে না ঠিক তেমনই চক্কর বক্কর গোলোকধাঁধা লাগিয়ে দেওয়া একের ভেতরে অনেক জন ......


জুন আপু , জানা আপু, আরজুপনি আপু, সাবরিনা সিারজী আপু এবং তার কবিতার মেয়েটির কবিতায় যে যে আছে আমাদের চেনা ও অচেনা সব গুলো আপুর সংমিশ্রনে একজন জগাখিঁচুড়ি আপু ...... :P

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:



ব্যাখ্যা করুন, তেনি কীভাবে সুরভিত হলেন




২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখার এক এক অংশে এক এক জন বলে মনে হলেও মেয়েটি হচ্ছে অনেকগুলি মেয়ের মিক্সার!
তবে মহান দার্শনিক ও চিত্রকর দমুহ্‌মা ললিখ সাহেব কে চেনা চেনা লাগছে =p~ =p~

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


মেয়েটি হচ্ছে অনেকগুলি মেয়ের মিক্সার! অনেকগুলো মেয়ের মিকশচার কীরকম হতে পারে তাই ভাবছিলুম

২২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
তবে মহান দার্শনিক ও চিত্রকর দমুহ্‌মা ললিখ সাহেব কে চেনা চেনা লাগছে =p~ =p~

হা হা হা ভায়া দারুন উল্টা পাল্টা করতে পারেনতো ;)

শায়মা বলেছেন: ---
জুন আপু , জানা আপু, আরজুপনি আপু, সাবরিনা সিারজী আপু এবং তার কবিতার মেয়েটির কবিতায় যে যে আছে আমাদের চেনা ও অচেনা সব গুলো আপুর সংমিশ্রনে একজন জগাখিঁচুড়ি আপু ...... :P

এইবার পাজল লেখকের কোর্টে! ;)
মিলাইলে মিলান, না মিলাইলে খিচুরিই সই , খালি বৃষ্টির দিনে হইলে ভালা হয় আরকি :P হা হা হা

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এত পাজলের মধ্যে তো আমি অজ্ঞান হইয়া গেলাম। খিচুড়ি না জগাখিচুড়ি কপালে আছে কে জানে?

:( :(

২৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫১

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন:



ব্যাখ্যা করুন, তেনি কীভাবে সুরভিত হলেন


আমি সুরভীত হয়েছি ওগো সুরভীত
সুরভীরই প্রেমেরই জন্য ....
তোমারই পরশে ওগো সুরভীই
জীবন হলো যে অনন্য !!!!!


এই গানা গেয়ে ভাইয়া :)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। আমিও ধন্য হইয়া গেলাম

২৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শায়মা আপু নাচ শিখেছেন, দারুণ গান গান, চমৎকার কবিতা ও গল্প লেখেন, ব্লগে তাঁর পাঠক ও অনুসারী সেই নুন্যতম সংখ্যার মত, দেখতে খুব সুইট, চুল কোঁকড়া নয়, রান্না না খেলেও অসম্ভব ভালো রাঁধেন ছবি দেখে বোঝা যায়, নিজ হাতে নানারকম হস্তশিল্পের কাজ করেন, দেশের বাইরে ঘুরতে যান, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি খুব পছন্দ করেন, তিনি ভীষণ রবীন্দ্রভক্ত, তিনি একটি ইংলিশ স্কুলের টিচার এবং সর্বোপরি শায়মা আপু অসাধারণ ছবি আঁকেন। আপনার গল্পের নায়িকার এইসব মিলে গেলো শায়মা আপুর সাথে।

বাকি থাকলো জেন্ডার বৈষম্য নিয়ে লেখা আর্টিকেল, আর প্রতি তিন মাসের মধ্যে অন্তত দুবার দেশের বাইরে যাওয়া। এই বিষয়গুলো আমার জানা নেই। যতদূর জানি জুন আপু ঘুরতে খুব ভালোবাসেন। আরও বাকি থাকলো বিভিন্ন ধরণের সোশ্যাল মুভমেন্ট, রাজনীতি নিয়ে মতামত ও সমালোচনা, এই বিষয়গুলো শায়মা আপু করেন না। জুন আপুকেও করতে দেখিনি অন্তত আমি ব্লগে আসার পর। জানা আপু করেন। রক্তগ্রহন কর্মসূচীর ব্যাপারে জানি না। আর ব্লগের এডমিনিস্ট্রেটর তো সবাই জানে জানা আপু। তাহলে সবমিলিয়ে এটাই দাঁড়ালো, শায়মা আপুর ভাষায় একজন জগাখিচুড়ী আপু ;)

আমার ধারণা আপনার এই পোস্টটাই গল্প। গল্পের প্লট খোঁজায় ভাবনার এই নানা পরিক্রমাটাই গল্প। কিছু সত্য কিছু কল্পনা মিলিয়ে বিভিন্ন সময়ের অনুভূতি, ভাবনাগুলো বা ইচ্ছেগুলোর সুতোয় সুতোয় গিঁট দিয়ে মনের নানা অলিগলি ঘুরে এক অদ্ভুত ঢঙে গল্প লিখেছেন। যেন গল্পটা লেখকের গল্প বানানো মনের প্ল্যাটফর্ম। অভিনব উপস্থাপন ভালো লেগেছে। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখার ঘটনা নিয়ে সিনেমা। স্ক্রিপ্ট এমন করবো না তেমন করবো, চরিত্রটা এমন হবে না তেমন হবে, লোকেশনে যেতে যেতে কাহিনী বানানো হচ্ছে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবে যা ঘটছে সেই অভিজ্ঞতার অনুভূতির উপর- আর এভাবেই সিনেমার ভেতর সিনেমাটি শেষ হয়। এমন একটি সিনেমা আছে বলিউডে, সম্ভবত 'রয়' নাম। আপনার এই পোস্ট তথা গল্প পড়ে আমার সেই সিনেমার কথা মনে পড়েছিলো। ভুল হলে জানাবেন প্লীজ।

ছবি দেখলেও সাহিত্যের আঙ্গিকে এধরণের গল্প এই প্রথম পড়েছি। তাই চমকপ্রদ ধরণের ভালো লেগেছে। আর 'দমুহমা ললিখ' বুঝতে আমার সত্যিই যথেষ্ট সময় লেগেছে =p~ । শুভেচ্ছা নেবেন সোনাবীজ ভাই :)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব খারাপ লাগছে। অনেক লম্বা একটা কমেন্ট লিখেছিলাম। রঙ বাটনে প্রেস হওয়ায় ব্যাক গিয়ারে যাই, আর তাতেই সব গায়েব। আবার আসছি মাথা ঠান্ডা হলে :(

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্টটা সকালবেলাই পড়েছিলাম। সকালবেলা এত ভালো একটা কমেন্ট পাওয়ার পর যে অনুভূতি হয়েছিল তা প্রকাশ করতে পারলাম না।

লাস্ট লাইনের আগের লাইনটা এরকমঃ তবে অত্যাশ্চর্য ব্যাপার যেটি হবে তা হলো, এ গল্পটির রচনাশৈলী কেবল দু-একজন মেধাবী পাঠক ছাড়া সবারই মাথার অনেক অনেক উপর দিয়ে উড়ে যাবে। এ লাইনটা হয়ত চোখে পড়ে নি, কিংবা গুরুত্ব দিয়ে পড়েন নি, অথচ এই লাইনটার মধ্যে এ লেখাটার রহস্য ও মাধুর্য লুকিয়ে আছে। আপনার উপলব্ধি করার ক্ষমতা দেখে আমি মুগ্ধ ও বিস্মিত। আপনি লিখেছেন-

আমার ধারণা আপনার এই পোস্টটাই গল্প। গল্পের প্লট খোঁজায় ভাবনার এই নানা পরিক্রমাটাই গল্প। কিছু সত্য কিছু কল্পনা মিলিয়ে বিভিন্ন সময়ের অনুভূতি, ভাবনাগুলো বা ইচ্ছেগুলোর সুতোয় সুতোয় গিঁট দিয়ে মনের নানা অলিগলি ঘুরে এক অদ্ভুত ঢঙে গল্প লিখেছেন। যেন গল্পটা লেখকের গল্প বানানো মনের প্ল্যাটফর্ম। অভিনব উপস্থাপন ভালো লেগেছে। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখার ঘটনা নিয়ে সিনেমা। স্ক্রিপ্ট এমন করবো না তেমন করবো, চরিত্রটা এমন হবে না তেমন হবে, লোকেশনে যেতে যেতে কাহিনী বানানো হচ্ছে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবে যা ঘটছে সেই অভিজ্ঞতার অনুভূতির উপর- আর এভাবেই সিনেমার ভেতর সিনেমাটি শেষ হয়।
একজাক্টলি এটাই হলো গল্প।

এমন একটি সিনেমা আছে বলিউডে, সম্ভবত 'রয়' নাম। আপনার এই পোস্ট তথা গল্প পড়ে আমার সেই সিনেমার কথা মনে পড়েছিলো। ভুল হলে জানাবেন প্লীজ। রয় ছবি দেখি নি। এখন ইউটিউবে সার্চ দিয়ে রয় পেলাম, কিন্তু কমেন্টে বোঝা গেলো ওটা রয় নহে। তবে ভবিষ্যতে ছবিটা পেলে এবং হাতে সময় থাকলে ওটা অবশ্যি দেখবো। এ রকম স্ক্রিপ্ট রাইটিং নিয়ে গল্প পড়েছি, বিটিভিতে নাটক দেখেছি। আমাদের দেশে গত সপ্তাহের টিভিতে সম্ভবত 'প্রেমকাহিনি' নামক একটা সিনেমা হলো এরকম, লেখক ইচ্ছে করে নায়কের ভবিষ্যত ঘুরিয়ে দেন। অনেক ফিকশন মুভিও অনেকটা এরকম হতে পারে।

আপনার এই গল্পপাঠে আমি মুগ্ধ। আপনি শেষ পর্যন্ত দমুহমা ললিখ-কে চিনতে পেরেছেন জেনে আমি অভিভূত ও বিবাহিত হইয়া গেছি :)

আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

সোহানী বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: আমি পড়ি নাই, প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য প্রশ্নফাঁস অবধি অপেক্ষা করবো।

জাহিদ অনিক বলেছেন: মেয়েটি কি বেশী ভাইয়ু ভাইয়ু করে ?
তার টাইপিং স্পিড কি খুব বেশি ? আপনি একটা শব্দ লিখলে সে ২৬ টা শব্দ সেন্ড করে দেয়--
সে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ?
সে কি কাগজের ফুল বেশী ভালোবাসে ?
তার কবিতার থেকে গানের গলা ভালো ?

শায়মা বলেছেন: জুন আপু , জানা আপু, আরজুপনি আপু, সাবরিনা সিারজী আপু এবং তার কবিতার মেয়েটির কবিতায় যে যে আছে আমাদের চেনা ও অচেনা সব গুলো আপুর সংমিশ্রনে একজন জগাখিঁচুড়ি আপু ...... :P

তবে আমি রাজি নুরের লেটেস্ট মুভির রিলিজ দেখে আবারো জ্ঞান হারালাম..................হাহাহাহাহাহাহাহা

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
তবে আমি রাজি নুরের লেটেস্ট মুভির রিলিজ দেখে আবারো জ্ঞান হারালাম.............. আমি খুবই টেনশনে আছি। আপনার জ্ঞান কি ফিরলো, নাকি ডাক্তার ডাকতে হবে?

চাঁদগাজী ভাই সেদিন এক চাঁদ্ভুত টাইপের কথা বললেন- উনি নাকি যে-কোনো কমেন্টের লাস্ট প্রশ্নটাই মনে রাখেন, তার আগের গুলো ভুলে যান :( রহস্য ক্লিয়ার হলো- তাকে শুধু দুই-তিন শব্দে কমেন্ট করতে হবেক; মেমরই লসের সমস্যা আছে :(

তবে, বরুণা কিন্তু খাসা কমেন্ট করেছে :)

২৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

ইয়াসিনুর রহমান ফাহিম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম। চমৎকার বর্ণনাভঙ্গি।

০৪ ঠা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য। অনেক দিন পর আপনার কমেন্ট চোখে পড়লো, তাই উত্তর দিতে এত দেরি :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.