নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগীয় লেখালেখিঃ কীভাবে একটা বিশ্লেষণমূলক কমেন্ট লিখবেন

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

ব্লগে একটা পোস্ট পাবলিশ করার পর আমরা কী চাই? আমরা চাই, মুহূর্তে ব্লগাররা এসে আমার পোস্টে হুমরি খেয়ে পড়ুন, ‘অনবদ্য’, ‘এত ভালো লেখা আগে কখনো পড়িনি’, ‘ব্লগে আপনি একটা ব্র্যান্ড’- ইত্যকার প্রশংসাবাণীতে কমেন্টের পর কমেন্ট এসে আমার পোস্টটা ফ্লাডেড হয়ে যাক। এটাই যদি আমাদের প্রত্যাশা হয়ে থাকে, তাহলে পোস্ট পাবলিশ করার কোনো তাৎপর্য থাকে না। সব পোস্টের সব বিষয়বস্তু সবার ভালো লাগবে না; সবার সব পোস্টের মান বা কোয়ালিটি ‘খুব ভালো’ বা উৎকৃষ্ট হবে, তাও অসম্ভব। একেক জনের স্বাদ ও রুচি একেক রকম; ফলে, আপনার কোনো একটা পোস্ট আমার কাছে যদি ‘অনেক ভালো’ লেগে থাকে, আরেক জনের কাছে ‘অনেক খারাপ’ লাগাও সম্ভব। কেউ কেউ হয়ত বলবেন, আমার কোনো পোস্টে কেউ সমালোচনা করলে আমার সহ্য হয় না, বা কেউ আমার পোস্ট ‘খারাপ’ বলুক তা শুনলে আমার খুব রাগ হয়- তাহলে আমি বলবো, সেটা খুব অমূলক প্রত্যাশা। এবং এটা যদি সত্যি সত্যিই আপনার মনোবাঞ্ছনা হয়ে থাকে, তাহলে কমেন্ট ‘ডিস্যাবল’ করে রাখাই হলো বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, আপনি তো জানেনই যে, সবাই এসে আপনাকে শুধু ‘বাহবা’ই জানাবেন, তাই আর শুধু শুধু কমেন্ট পড়ার কী দরকার, মনে মনে ‘জটিলস/অসাধারণ’ কথাগুলো আওড়ান আর অনিন্দ্য সুখ অনুভব করতে থাকুন।

কিন্তু, কমেন্ট করতে এসে কমেন্টে কী বলবেন? নতুন ব্লগারদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই অনেক সংকোচ দেখা যায় প্রধানত ‘পাছে লোকে কিছু বলে’র দ্বিধা থেকে। যদি পোস্টটি আপনার সত্যি সত্যিই ভালো লেগে থাকে, অসংকোচে বলে ফেলুন ‘খুব ভালো লাগলো’; ভালো না লাগলে এড়িয়ে যাওয়া যেমন একটা অপশন, তেমনি, বক্ষমাণ বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান থাকলে সে বিষয়ে আপনি অল্প দু-এক কথায় মতামত যুক্ত করে দিন। এতে আপনার সঙ্কোচ মুহূর্তে দূর হয়ে যাবে এবং পরের বার কুণ্ঠাহীনভাবে যে-কোনো কথা লিখে ফেলতে পারবেন। তবে, ‘ভালো’কে ভালো না বলা বা খারাপ বলা একটা বদ্-অভ্যাস, তেমন সাধারণ মানের একটা লেখাকে ফুলিয়া-ফাঁপিয়ে বলাও অন্যায়।

লিটারারি পোস্টে, যেমন, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ছড়া উপন্যাস, ইত্যাদিতে বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য দেয়াই অধিক সঙ্গত বলে মনে করি। আমি খুব অল্প পরিসরে এই পোস্টে সেই দিকটাই বলার চেষ্টা করবো। এ ব্যাপারে আমার কোনো গবেষণা বা ব্যাপক অধ্যয়ন নেই; শুধু একাডেমিক সাহিত্য আলোচনা ও ব্লগীয় অভিজ্ঞতা থেকে আমি কিছুটা ধারণা পেশ করতে চেষ্টা করছি। আর, একটা পোস্ট বা লেখা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে গেলে ঐ লেখাটা গভীর মনোযোগ সহকারে একাধিকবার পাঠ করা আবশ্যক। অতঃপর, যে দিকগুলো আলোচনায় তুলে ধরা উচিত তা মোটামুটি নিম্নরূপ। এর চাইতেও আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি থাকতে পারে; ব্লগারদের উপকারের জন্য আপনারা সেগুলো যুক্ত করতে পারেন। শিরোনাম দেখে মনে হতে পারে এ পোস্টটা কেবলমাত্র কমেন্টদাতাদের জন্যই, আসলে এটা লেখকের জন্যই অধিক প্রযোজ্য। কারণ, কমেন্টদাতা যা লিখছেন (কমেন্ট যদি নেগেটিভ হয়), লেখকের তা গ্রহণ করার মধ্যেই কমেন্টের সার্বিক মান উন্নয়নের তাৎপর্য নিহিত রয়েছে।

১। বিষয়বস্তু। বিষয়টা সমসাময়িক বা সময়োপযোগী কিনা, সেটা বিচার করুন। এ আলোচনা থেকে সমাজ বা ব্যক্তিজীবনে আমরা কোনো উপকার পেতে পারি কিনা, তা উল্লেখ করুন।

২। বিষয়বস্তুর নতুনত্ব বা মৌলিকত্ব। অভিনব একটা বিষয় কিনা, নাকি বহুল চর্বিত চর্বন ধরনের লেখা। প্রসিদ্ধ কোনো লেখকের কোনো লেখার অনুকরণ কিনা; এ বিষয়ে আরো বিশ্লেষণ করতে পারেন, লেখক রবীন্দ্র, নজরুল, হুমায়ূন আহমেদ, শামসুর রাহমান- কোন বলয়ের প্রভাব দ্বারা প্রভাবান্বিত; নাকি তিনি স্বকীয় ধারায় নিজ প্রতিভায় প্রোজ্জ্বল একজন।

৩। উপস্থাপনা। উপস্থাপনার গুণে অতি গতানুগতিক একটা বিষয়ও আকর্ষণীয় ও হৃদয়গ্রাহী হয়ে ওঠে। বর্তমান লেখাটির উপস্থাপনার মান কেমন, সে দিকটা আলোকপাত করুন।

৪। নকলের দোষে দুষ্টু কিনা। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, অনেক লেখক চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় গ্রহণ করে অন্য লেখকের লেখা হুবহু, কিনা সামান্য রদবদল করে নিজের নামে চালিয়ে দিয়ে থাকেন। সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন কবির কবিতা চুরি করে নিজের নামে আস্ত বই পর্যন্ত প্রকাশ করে ফেলেছেন কোনো এক ‘ধূরন্ধর কবি’। কোনো কোনো কবিকে দেখা গেছে প্রসিদ্ধ কবির কবিতা সামান্য ঘুরিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। বর্তমান লেখাটি ও-ধরনের কিনা, সেটা যাচাই করতে পারেন; অবশ্য এ বিষয়টা সচরাচর কাকতালীয়ভাবেই আপনার চোখে ধরা পড়বে- যখন দেখবেন জাহিদ অনিকের ‘জীবন যন্ত্রণা’ শীর্ষক একটা কবিতা আপনি আগেই ফেইসবুক বা সামহোয়্যারইন ব্লগে পড়েছিলেন, যেটি হঠাৎ আরেকদিন দেখে ফেললেন জনাব ‘সোনাবীজ’ তাহার নামে তাহার ব্লগেই পাবলিশ করে দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আপনার মহান ও পবিত্র দায়িত্ব হবে সাক্ষী প্রমাণসহ জনসমক্ষে এটা তুলে ধরা ও ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে ‘রিপোর্ট’ করা।

৫। ভাষারীতি। এটা উপস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত। আমরা শুনে আসছি বহুকাল হলো যে, রবীন্দ্রনাথ যে ভাষারীতি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, আমরা এখনো তাতেই ঘুরপাক খাচ্ছি। এটা কতখানি ঠিক আমি তা বলতে পারবো না, তবে এটা বুঝি যে হুমায়ূন আহমেদ আর সৈয়দ শামসুল হকের ভাষারীতি এক নয়; রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের ভাষারীতিও এক নয়। আবার দেখুন, সৈয়দ মুজতবা আলী ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়- এঁরাও স্বকীয়তায় ভাস্বর। ঠিক এভাবেই আপনি বুঝতে পারবেন যে, আহমেদ জী এস এর ভাষারীতি বা স্টাইল, চাঁদগাজী আর রাজীব নুরের স্টাইল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ব্লগারের নাম না দেখেই, কিছু কিছু পোস্টের শিরোনাম ও ভাষারীতি দেখে আপনি বলে দিতে পারবেন যে এটা নুর মোহাম্মদ নুরু ছাড়া আর কেউ এ ব্লগে লিখতেই পারেন না। এটাকেই হয়ত ‘স্বকীয়তা’ বলা হয়ে থাকে। এভাবে আরেকটা উদাহরণ না দিয়ে পারছি না – জাদিদের লেখায় যেমন সূক্ষ্ম হাস্যরস ও প্রজ্ঞার একটা অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়, তেমনি শিখা রহমানের লেখায় দেখি বেশ গুরুগম্ভীর ভাব-রস। আমি এখানে এতগুলো কথা যে বললাম, তা থেকেও কিছু উদাহরণ হয়ত নেয়া যেতে পারে আপনার পঠিত লেখাটা চপল রসিকতা, নাকি সুভীর ভাবগাম্ভীর্যে পরিপূর্ণ।

৬। দর্শন বা মূল বক্তব্য বা বার্তা। এ লেখা থেকে লেখক কোন দর্শন, তত্ত্ব, বা বার্তা প্রচার করতে চাইছেন, তা চিহ্নিত করতে চেষ্টা করুন। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, পাঠক খুব কম সময়েই লেখকের মন ছুঁতে পারেন। আমি আমার অত্যন্ত সরল লেখাতেও দেখেছি, খুব কম সংখ্যক পাঠকই আমার মূল বক্তব্যকে ধরতে পেরেছেন। এটা যে-কোনো লেখকের লেখার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলে মনে করি। রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’র ব্যাখ্যা নিয়ে গল্প শুনেছি। অনেকেই অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ যে-মূলভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে ‘সোনার তরী’ লিখেছিলেন, সেটা কেউ ধরতে পারেন নি। আমাদের ব্লগেও এরকম উদাহরণ প্রচুর পাওয়া যাবে। লেখক হয়ত একটা কবিতা লিখে ওটার একটা ব্যাখ্যাও সাথে দিয়ে দিচ্ছেন, কিন্তু আপনি দেখছেন কবিতার কন্টেন্টের সাথে লেখকের দেয়া ব্যাখ্যাটা মিলছে না, বা ততটা প্রাসঙ্গিক হচ্ছে না, যেমনটা আপনি ভাবছেন। এখানে, হয় আপনি কবিতার মূলভাব ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারছেন না, অথবা স্বয়ং লেখকই গড়মিল করে ফেলছেন (কারণ, এটাও সত্য যে, অনেকে নিজেই জানেন না যে তিনি কী লিখেছেন আর কী প্রকাশ করতে চেয়েছেন)। মূল কথা হলো, একটা লেখা পড়ে আপনি কী বুঝলেন, আপনার কাছে সেটাই হলো সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। রবীন্দ্রনাথের কোনো লেখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যভুক্ত করা হলে অনেক সময় রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে ওটার একটা মূল ভাব লিখিয়ে নেয়া হতো, যাতে ছাত্রছাত্রীরা একই প্লাটফর্মে থাকে। আমাদের শিক্ষাবোর্ড থেকে সাধারণত শিক্ষা নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় সবাইকে একই সমতলে আনার জন্য। কিন্তু, আপনি যখন মনের আনন্দে কোনো ব্লগপোস্ট বা বই পড়ছেন, যেখানে কোনো ‘পরীক্ষার’ বালাই নেই, সেখানে আপনি যা বুঝবেন, ধরে নিন, লেখক তাঁর ঐ লেখায় ওটাই বোঝাতে চেয়েছেন।

৭। প্রোমোশনাল পোস্ট। এটা কোনো প্রোমোশনাল পোস্ট কিনা; অর্থাৎ কাউকে হাইলাইট করার জন্য কিনা, তা উল্লেখ করতে পারেন। এটার ভালো বা মন্দ দিক সম্পর্কে আপনি নির্দ্বিধায় মতামত পেশ করতে পারেন। যেমন, (উপরে একবার বলেছি), খুব সাধারণ মানের একটা লেখাকে বা একজন ব্লগারকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হলো পড়ে মনে হতে পারে তিনি সাহিত্যের এক নতুন দিকপাল; কাউকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে কোনো পোস্ট লেখা হলে তাঁর সঠিক কোয়ালিটি বা স্ট্যান্ডার্ডই প্রকাশ করা উচিত। এর ব্যত্যয় হলে পাঠক সহজেই তা বুঝে ফেলবেন, নিঃসন্দেহে। অন্যদিকে, একজন ভালো লেখককে নীচে নামানোর অভিপ্রায়ে অন্য একজন কম মেধাবী ব্লগারকে যদি অতিরঞ্জিত অভিধা ও বিশেষণে ভূষিত করি, সেটা অন্যায় হবে। এটা ‘তৈলমর্দন’-এর নামান্তর, যা ‘সিন্ডিকেটিং’ হিসাবেও বিবেচনা করা যেতে পারে। এরকম ‘অতিরঞ্জন’ সমৃদ্ধ পোস্ট লেখা যেমন অনুচিত, তেমনি এরকম পোস্টে অহেতুক বিতণ্ডার সূত্রপাত না করে মার্জিত ভাষায় লেখকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এরূপ লিখতে তাকে ‘নিরুৎসাহিত’ করা উচিত বলে আমি মনে করি।

আমার এ পোস্টটাও একটা প্রোমোশনাল পোস্ট। আমি এখানে কয়েকজন ব্লগারের নাম উচ্চারণ করেছি। তাঁরা সুপ্রিয় ব্লগার; শ্রদ্ধেয়। আমি তাঁদের লেখার সাথে পরিচিত। তাঁরা ভালো লেখেন। তাঁদের সম্পর্কে আমি যদি মিথ্যা গুণকীর্তন করে থাকি, আমার মুখের উপর তা বলে দিতে পারেন, আমি নিজেকে সংশোধন করবো।

৮। বাক্যগঠন, বানান, যতিচিহ্নের ব্যবহার, ইত্যাদি। আপাত অবহেলিত এ কাজগুলো প্রুফরিডারের হলেও শুদ্ধ বানান ও প্রমিত বানানরীতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা যে-কোনো লেখকের জন্যই অপরিহার্য। অনেকে সঠিক জায়গায় যতিচিহ্ন বসাতে ভুলে যান (কারো পিসিতে সমস্যার কারণে তা হতে পারে, কেউ বা উদাসীন)। ফলে, আপনি যা বোঝাতে চান, পাঠক তা না বুঝে সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু বুঝলো। (এখানে প্রস্রাব করিবেন না করিলে গুনাহ হইবে ;) )।

প্রশংসা পেলে উৎসাহ বাড়ে সন্দেহ নেই, কিন্তু ‘প্রশংসা’ গঠনমূলক না হলে লেখকের উন্নতি হওয়া প্রায় ‘অসম্ভব’। ‘অয়েলিং’ বা ‘তৈলমর্দন’ একজন লেখকের উন্নতির অন্তরায়। আবার, ভালো লেখাগুলোতে প্রতিহিংসামূলকভাবে নেতিবাচক কমেন্ট, গালিগালাজ করাও ঘোর অন্যায়; এ দ্বারা লেখার মান যেমন হ্রাস পায় না, তেমনি লেখকের ইমেজকে ক্ষুণ্ণ না করে বরঞ্চ কমেন্টদাতার ইমেজকেই বিনষ্ট করে ও সবার কাছে তাকে ‘ঘৃণিত’ হিসাবে তুলে ধরে।

ব্লগে অনেকে আছেন, যাঁরা খুব বিস্তৃত ও বিশ্লেষণধর্মী কমেন্ট করেন (খায়রুল আহসান, কাওসার চৌধুরী, পদাতিক চৌধুরী, আখেনাটেন, ঠাকুরমাহমুদ, শায়মা, সোহানী, প্রমুখ)। কিন্তু, ব্লগারদের একটা সাধারণ ধর্ম এই যে, কেউ নিজের পোস্টে কোনো নেগেটিভ কথা শুনতে চান না; সেটা মাথায় রেখেই খুব সতর্কভাবেই সবাই কমেন্ট করে থাকেন। এতে দেখা যায়, আমার লেখার শুধু ভালো দিকটা সম্পর্কেই জানতে পারছি, কিন্তু ভালো দিকের চাইতে খারাপ দিকটার পাল্লা যে আরো বেশি ভারী, ভদ্রতার খাতিরেই হোক, বা সঙ্কোচের কারণেই হোক- আমাকে সেটা আর কেউ খুলে বলছেন না। ফলে, আমি 'কী হনুরে' ভাব নিয়ে আকাশে উড়তে থাকি। ব্লগের আরেকটা লিমিটেশন হলো, একটা লেখার মান নির্ণয়ের সূচক সাধারণত এর কমেন্টসংখ্যা ও পাঠসংখ্যাকে ধরা হয়। ফলে আমার 'আমি কী হনুরে' ভাব কাটার কোনো অবকাশ জোটে না। তাই দেখবেন, দীর্ঘকাল ধরে কবিতা, ছড়া, গল্প লিখছেন, কিন্তু তাঁর রচনাশৈলী ও বিষয়বস্তুর কোনো উত্তরণ বা পরিবর্তন নেই, 'কোয়ালিটি ইম্প্রুভমেন্ট' চোখেই পড়ে না।

মনে রাখতে হবে, যিনি সমালোচনা করছেন, তিনি আপনার উপকার করছেন। ঐ উপকারের ভাগী হতে হলে আপনাকে সমালোচনা সহ্য করার শক্তি অর্জন করতে হবে। আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে ঐ কমেন্টদাতার জন্য, যখন অজস্র 'ভালো' মন্তব্যের শেষে একজন এসে আপনার লেখার দুর্বল দিকটা ধরিয়ে দিয়ে যাবেন।

একটা লেখার চুলচেরা বিশ্লেষণ থেকেই নিজেকে চেনা যায়। সমালোচনাকে ঘৃণা নয়, স্বাগত জানান। সমালোচক আপনার ক্ষতি নয়, উপকার করছেন। নিজেকে বিশুদ্ধ ও উন্নত করে গড়ে তোলার শ্রেষ্ঠ চর্চাকেন্দ্র হলো এই ব্লগ। আপনার লেখার শক্তিশালী বা সাবলীল দিকগুলো কী কী, একই সাথে লেখার দুর্বলতাগুলো কী কী, কেউ একজন আপনাকে তা চিহ্নিত করে দিলে আপনি ঐ দুর্বল দিকগুলোর উন্নতি সাধনে সচেষ্ট হোন। আপনার লেখার মান উন্নত হলে, একদিন দেশজোড়া খ্যাতি অর্জন করলে আপনার নামের পাশে আমার নাম উচ্চারিত হবে না। তাহলে, এই যে এত সময় নষ্ট করে, এত শ্রম দিয়ে, নিজের টাকায় কেনা চাউলে নিজের বউয়ের রান্না করা ভাত খেয়ে ব্লগারের উপকার করে দিলাম, এতে আমার লাভ কী? লাভটা হলো, আমার মনের আনন্দ। (‘আমার’ বলতে ‘সোনাবীজ’ নয়, যে-কোনো পাঠককে বুঝতে হবে)।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ৪ নম্বর পর্যন্ত পড়েছি। বাকিটা পরে পড়ব ইনশাআল্লাহ। ভালো পোস্ট। আমার যা মনে হয় তা সব সময় বলে। আল্লাহর রহমতে এই গুণটা একটু হলেও আছে।

আর সব ব্লগারকেই সমালোচনা সহ্য করার গুণ থাককে হবে। সমালোচনার জবাব মুখে নয়। সুন্দর লেখায় হোক সমালোচনার উত্তম জবাব। মনে রাখতে হবে নিন্দুকের বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো, যুগ জনমের বন্ধু আমার আধার ঘরের আলো।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আর সব ব্লগারকেই সমালোচনা সহ্য করার গুণ থাকতে হবে। সমালোচনার জবাব মুখে নয়। সুন্দর লেখায় হোক সমালোচনার উত্তম জবাব। মনে রাখতে হবে নিন্দুকের বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো, যুগ জনমের বন্ধু আমার আধার ঘরের আলো। - ব্লগে বর্তমানেও অনেকে আছেন, যাঁরা খুব বিস্তৃত ও বিশ্লেষণধর্মী কমেন্ট করেন। কিন্তু, ব্লগারদের একটা সাধারণ ধর্ম এই যে, কেউ নিজের পোস্টের ব্যাপারে কোনো নেগেটিভ কথা শুনতে চান না; সেটা মাথায় রেখেই খুব সতর্কভাবেই সবাই কমেন্ট করে থাকেন। এতে দেখায় যায়, আমার লেখার শুধু ভালো দিকটা সম্পর্কেই জানতে পারছি, কিন্তু ভালো দিকের চাইতে খারাপ দিকটার পাল্লা যে আরো বেশি ভারী, ভদ্রতার খাতিরেই হোক, বা সঙ্কোচের কারণেই হোক- আমাকে সেটা আর কেউ খুলে বলছেন না। ফলে, আমি 'কী হনুরে' ভাব নিয়ে আকাশে উড়তে থাকি। ব্লগের আরেকটা লিমিটেশন হলো, একটা লেখার মান নির্ণয়ের সূচক সাধারণত এর কমেন্টসংখ্যা ও পাঠসংখ্যাকে ধরা হয়। ফলে আমার 'আমি কী হনুরে' ভাব কাটার কোনো অবকাশ জোটে না।

আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশেষ কিছু ব্লগারের কমেন্টকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি; হয়ত কোনো পোস্টে ঐ বিশেষ দু-একজনের ব্লগারের দুটো কমেন্ট অন্য পোস্টে ২৫টি কমেন্টের চেয়ে আমাকে বেশি আনন্দ দিল ও আন্দোলিত করলো।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৯

মনজুর নোমানী বলেছেন: আপনার এই পোস্ট আমার মত নতুন ব্লগারদের অনেক কাজে দেবে, ধন্যবাদ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, মনজুর নোমানী।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার জন্য এ লেখা টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ! আমি প্রায়শই বুঝতে পারি না কি মন্তব্য করবো। সে জন্য মন্তব্য রিপিট হয়।
ধন্যবাদ আপনার বিস্তারিত লেখার জন্য।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

আমার পোস্টে অবশ্য কখনো আপনার কমেন্টে কন্টেন্টের রিপিটেশন হতে দেখি নি। যাই হোক, লেখকের নেগেটিভ কমেন্ট গ্রহণ করার ক্ষমতার উপর আমি একটু বেশি জোর দিচ্ছি। আমার পাঠক যেন আমার গাইড, তিনি আমার দুর্বল দিকগুলো মার্ক করে দিলে লাভটা আমারই, তার না।

ধন্যবাদ আপু কমেন্টের জন্য।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৪

বিবেকহীন জ্ঞানি বলেছেন: মন্তব্য করা এবং লিখালিখি করা নিয়ে অনেক ভয় নিয়ে ছিলাম তবে এবার থেকে মন্তব্য করা কিছুটা লাগব হবে আশা করছি।
ধন্যবাদ সুন্দর ও সাবলীল পোস্ট এর জন্য।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ বিবেকবান জ্ঞানী :) শুভেচ্ছা।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩৮

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: গঠনমূলক পোস্টের জন্যে সাধুবাদ। চোখে আঙ্গুল দিয়ে না দেখালে আমরা বুঝি না যে, ভালো হয়েছে, সুন্দর, সুন্দর ইত্যাদির বাইরেও কিছু বলার থাকতে পারে। ব্লগের প্ল্যাটফর্মকে চর্চাকেন্দ্র মনে করি। তাই সমালোচনা পাবার আশায় থাকি। নইলে আর ব্লগ কিসের। মুখবইয়ের চটি পৃষ্ঠার হাজার, লাইক, কমেন্ট (ভানো হইসে, তোন্দল, তোন্দল...) ইত্যাদিকে কলা, ঘেচু দেখিয়ে সামুতে গঠনমূলক সমালোচনার জোয়ার আসুক, এই আশা করি।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চোখে আঙ্গুল দিয়ে না দেখালে আমরা বুঝি না যে, ভালো হয়েছে, সুন্দর, সুন্দর ইত্যাদির বাইরেও কিছু বলার থাকতে পারে।

সবাই এসে আমার পোস্টকে শুধু 'ভালো' বলে যাবে, এবং নেগেটিভ কোনো কথা আমি শুনতে চাই না- আমাদের এই টেন্ডেন্সি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভালোর কোনো উর্ধ্বসীমা নেই; তাই, অনেক ভালো একটা লেখাও ইম্প্রুভ করার যথেষ্ট সুযোগ থাকে। কেউ যদি আমাকে সেই পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে দেন, প্রকারান্তরে তিনি আমার উপকারই করছেন।

সমালোচনাকে গ্রহণ করার শক্তি অর্জন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, তবেই আমরা তা থেকে উপকার লাভ করতে পারবো।

আমরাও আপনার সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই- সামুতে গঠনমূলক সমালোচনার জোয়ার আসুক

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোষ্টে সঠিক কমেন্ট করার প্রচেষ্টা একটি বড় ধরণের দায়িত্ব

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোষ্টে সঠিক কমেন্ট করার প্রচেষ্টা একটি বড় ধরণের দায়িত্ব ঠিক। আমি আরো মনে করি, সঠিক কমেন্ট করতে পারা একটা ভালো গুণও (কোয়ালিটি)।

ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা মন্তব্য করতে গেলে আমি দেধায় পড়ে যাই।
অবশ্য আমি খুব চেষ্টা করি আমার মন্তব্য পড়ে যেন সে কষ্ট না পায়।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অবশ্য আমি খুব চেষ্টা করি আমার মন্তব্য পড়ে যেন সে কষ্ট না পায়। নেগেটিভ কথায় যে-কেউ কষ্ট পাবেন; আমি এ নিয়ে পোস্ট লিখেছি, তার মানে এই নয় আমি একজন পীর। কিন্তু, গঠনমূলক কমেন্ট করার কালচার থাকলে সমালোচনার কষ্টটা তখন গা-সওয়া হয়ে যাবে। এবং, নেগেটিভ কমেন্ট কমানোর জন্য প্রচেষ্টা বৃদ্ধি পাবে, ফলে লেখার মান ভালো হবে।

আর এই যে কষ্ট পাওয়ার একটা ব্যাপার আছে, তার চাইতেও ভয়াবহ হলো কষ্টটা চেপে না রেখে প্রতিক্রিয়া হিসাবে ফণা তুলে ঠোকর দেয়া। আমি ঠোকর দিব, এটা আপনি জানেন বলেই সেই নেগেটিভ পয়েন্টটা চেপে যাচ্ছেন, আমিও আত্মপ্রসাদে বিভোর হচ্ছি, আমার লেখার মান যেই তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেলো।

৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: খলিল মাহমুদ ভাই,
এটা চমৎকার এবং সময় উপযোগী পোস্ট! শুধুই বিষয়ব্স্তুর জন্যও গত একমাসের মধ্যে আমার পড়া সেরা পোস্ট এটা। আমি একবার লিখতে চেয়েছিলাম। তবে আপনি অনেক অনেক ভালোভাবে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে..........

ব্লগে কোন ব্লগার/লেখক লেখা দেবার পর এটা কিন্তু পাঠকের দায়িত্ব লেখাটার প্রকৃত মূল্যায়ন করা। লেখককে খুশি করিয়ে কোন লাভ নেই। এটা বরং লেখকের সর্বনাশ করা। ধরুন, নতুন আনকোড়া একজন লেখকের লেখা পড়ার পর যদি তাকে সাথে সাথেই সাত আসমানে উঠিয়ে দেয়া হয়, এর পরবর্তি পর্যায়ে কি হবে সেটা ভেবে দেখুন?? আমি লাস্ট পাঁচ মাসে ব্লগে মিনিমাম ২জন নতুন গল্পকার পেয়েছি, যাদের এইভাবেই সর্বনাশ করেছে সবাই মিলে। আমি যখন এদের একজনের ভুলগুলি ধরিয়ে দিলাম তখন আমার মন্তব্যের প্রতিউত্তর দিল দায়সারা ভাবে। কি আর্শ্চয্য! সাত আসমানে উঠিয়ে দেয়া মন্তব্যগুলি পড়ার পর কি আর আমার কথাগুলি ভালো লাগবে বলুন? উত্তর পড়ার পর আর ইচ্ছে করল না এর পরের গল্পের ভুলগুলি আবার ধরিয়ে দিতে। কয়েকবার সাত আসমানে উঠার পর উনি এখন ব্লগে থেকে গায়েব হয়ে গেছেন!

আরেকজনকে বললাম - প্রতিদিন ব্লগে লেখা দিতে হবে এমন কথা নেই। ভালো লিখুন সময় নিয়ে, পাঠককে লেখার গভীরতায় নিয়ে যান। একটা ভালো লেখাই আপনাকে খুব সহজেই পরিচিত করে দেবে। আমি মোটেও ভালো কোন লেখক না। তবে আমি এখানে যথেস্ট পরিমানে পড়ি। আপনি ও প্রথমে ভালো ভালো লেখা পড়তে শুরু করুন। ব্লগে এই মাসের গল্প সংকোলন দেয়া আছে, এখানে সব গল্পগুলি একে একে পড়ুন। কি দারুন দারুন গল্প দেয়া আছে। ব্লগে আমার গল্প দিতেই এখনো অনেক অনেক লজ্জা লাগে। কায়সার ভাইয়ের একটা পোষ্ট আছে ছোট গল্প লেখা শেখার, সেটাও পড়ে আসুন। আরজু আপু কিছুদিন আগে ছোট গল্প লেখা শেখার পোষ্ট দিয়েছিলেন, সেটাও পড়ে আসুন। - ফলাফল আমার মন্তব্যে কোন প্রতি উত্তর নেই! ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবো কত দিন বলুন??

যাই হোক এই পোস্ট পরার পর যদি কারো বোধদোয় হয় এবং শুভ বুদ্ধি উদয় হয় তো ভালো!!
পোস্ট লাইকড এবং সোজা প্রিয়তে।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছেন, যেটি হলোঃ ব্লগে কোন ব্লগার/লেখক লেখা দেবার পর এটা কিন্তু পাঠকের দায়িত্ব লেখাটার প্রকৃত মূল্যায়ন করা। লেখককে খুশি করিয়ে কোন লাভ নেই। এটা বরং লেখকের সর্বনাশ করা।

অনেকের এরকম বাতিক আছে, খুব ঘন ঘন পোস্ট দেয়া। ঐ পোস্ট কেউ পড়লো কী পড়লো না সেদিকে তার দৃষ্টি নাই। এটা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখনই, যখন দেখা যায় প্রথম পাতায়ই তার একাধিক পোস্ট ঝুলে আছে। অনেক সময় এমনও দেখা গেছে, পর পর দু-তিনটা পোস্ট একই ব্লগারের। তারাও খুব অসহিষ্ণু অ্যাটিচুড দেখান, কেউ তাদেরকে এ জিনিসটা বললে তারা নিজেরা তো শোধরানই না, বরং উলটা প্রশ্ন করেন- 'এতে আপনার কী?'

সবার সহিষ্ণুতা বাড়ুক, লেখায় ভালো আলোচনা ও সমালোচনা হোক, এটাই চাই।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিশদ মন্তব্যের জন্য।

৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নতুন-পুরান সবার জন্য খুউব উপকারী পোষ্ট।
আমার আবার মেধা কম, বুদ্ধি-শুদ্ধি তো আরো কম; দেখি আস্তে আস্তে পইড়া এইগুলা বাড়াইতে পারি কিনা!! :P
সেই লক্ষ্যে প্রিয়তে নিয়া রাখলাম। :)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভুয়া পোস্ট ও ভুয়া কমেন্ট আমার ভালো লাগে। সোজা সাপ্টা সবকিছু। লাইকড ইউ ম্যান।

১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক উপকারী পোষ্ট , আমাদের মত নবিনদের অনেকের জন্যই নীজের পোষ্টের লেখা ও মন্তব্যদানের বিষয়াবলিকে এই পোষ্টের আলোচিত বিষয়গুলি বেশ প্রভাবিত করবে । কোন একটি লেখায় বিশ্লেষনধর্মী ও গঠনমুলক আলোচনা সমালোচনা
সকল সময়েই কাম্য । কামনাকরি এ ধারা সকলের মাঝে বিচরন করুক ।

নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাই, আমি দুঃখিত ও লজ্জিত যে, মূল পোস্টে আপনার নামটা আমি উল্লেখ করি নি ভুলবশত। আপনি সেই প্রজ্ঞাবান ব্লগারদের একজন, যিনি যে-কোনো বিষয়ে খুব সুন্দরভাবে দীর্ঘকায় গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করে থাকেন। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সমালোচনা গ্রহণ করার শক্তি যদি আরো বেশি থাকতো, তাহলে আপনার কমেন্টে পোস্টের দুর্বল দিকগুলো আরো বেশি করে উঠে আসতো। লেখকদের লেখার মান উন্নয়নে সেগুলো খুব সহায়ক হতো।

আশা করি, আমাদের আচররণে সহনশীলতার মাত্রা আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে, এবং সুন্দর ও বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা-সমালোচনায় ব্লগ ভরে উঠবে।

ধন্যবাদ আলী ভাই কমেন্টের জন্য।

১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৪

রাফা বলেছেন: পোষ্ট নিয়ে সঠিক সমালোচনা অনেক সময় পোষ্টের চাইতে বেশি গুরুত্ব বহন করে । সঠিক সমালোচনা এবং সঠিক উত্তর প্রদান একটি পোষ্টের,পোষ্ট মর্টেমের জন্য খুবই সহায়ক।সমালোচনা গ্রহণ করে লেখার মান নিয়ে ভাবাটা সাহসের পরিচয় ।

প্রাসাঙ্গিকতার বাইরে গিয়ে মন্তব্য ও জবাব আমার কাছে একেবারে ভালো লাগেনা।ভালো লিখেছেন ,অনেক কিছুই আরো ভালো করে জানা হলো।

ধন্যবাদ,সো.অ.ধুলোবালিছাই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোষ্ট নিয়ে সঠিক সমালোচনা অনেক সময় পোষ্টের চাইতে বেশি গুরুত্ব বহন করে । সঠিক সমালোচনা এবং সঠিক উত্তর প্রদান একটি পোষ্টের,পোষ্ট মর্টেমের জন্য খুবই সহায়ক।সমালোচনা গ্রহণ করে লেখার মান নিয়ে ভাবাটা সাহসের পরিচয় । সুন্দর একটি কথা বলেছেন। ব্লগের প্রথম কয়েক বছর এরকম বহু পোস্ট দেখেছি, অল্প কয়েক কথার পোস্ট, কিন্তু খুবই গুরুগম্ভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনায় ওটি শেষ পর্যন্ত একটি মূল্যবান পোস্টে পরিণত হয়েছে। সেগুলো এখনো ব্লগের সম্পদ হয়ে আছে।

ধন্যবাদ রাফা সুন্দর কমেন্টের জন্য।

১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০১

সোহানী বলেছেন: অসাধারন সোনাবীজ ভাই। আপনার এ লিখা নতুনদের জন্য অনেক সাহায্য করবে গঠনমূলক কমেন্ট এর ক্ষেত্রে।

আর ওই যে বললেন সমালোচনা সহ্য না করার মানসিকতা....। ওটা আমাদের রক্তে মিশে আছে। পজিটিভ নেগেটিভ আলোচনার জন্যই কিন্তু ব্লগ। তা না হলে সেটা ফেইসবুক রাইটার।

আবার শুধু প্রশংসার জন্য কমেন্ট অনেকটা দায়সারা গোছের। কারন অনেকে পুরোটা পড়ে না। যদিও আমিও মাঝে মাঝে এ কাজ করি শুধুমাত্র কবিতার ক্ষেত্রে। কবিতার বিষয়বস্তু একই হলে কি ই বা বলার আছে... :P । অন্যান্য লেখার কমেন্ট বড় হবার কারন আমি যা পড়ি তার সাথে নিজস্ব অভিজ্ঞতা মেলানোর চেস্টা করি, তাই কিছুটা দীর্ঘ হয়।

যাহোক, বই মেলায় বই কবে আসবে? এই মেলাতো শেষের পথে......., নেক্সট মেলায় নিশ্চয় কিছু পাবো।

আশা করি ভালো আছেন। অনেক অনেক ভালো থাকেন সবসময় প্রিয় সোনাবীজ ভাই।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ডিয়ার হোসানী আপু :) যারা ব্লগে গঠনমূলক কমেন্ট লিখে থাকেন, আপনিও তাদের একজন। আপনার কমেন্ট খুব ভালো লাগে এবং প্রেরণাদীপ্ত।

আবার শুধু প্রশংসার জন্য কমেন্ট অনেকটা দায়সারা গোছের। কারন অনেকে পুরোটা পড়ে না। অপ্রিয় সত্য কথা বলেছেন। আমি আবার জন্মগতভাবেই খুব ট্যালেন্টেড হওয়ায় এ ব্যাপারটা ধরে ফেলি কিনা :) আমার গদ্য পোস্টগুলো নরমালি খুব বড়ো হয়, যা পড়তে ৩০ মিনিট বা আরো বেশি সময় লাগতে পারে; এমনও দেখা গেছে, পোস্ট পাবলিশ করার ৫ মিনিটের মাথায় পোস্টে কমেন্ট পড়ে গেলো। কমেন্ট পড়ে উৎসাহিত হতে হয় যেহেতু প্রশংসার উপাদান থাকে তাতে, কিন্তু একই সাথে লজ্জা ও দ্বিধায়ও পড়তে হয়, কিছুটা বিব্রতও। এত অল্প সময়ে কীভাবে পোস্টটা পড়ে শেষ করলেন? আমি কিছুটা গোয়েন্দাগিরিও করেছি- যেমন, আমার পোস্টে কমেন্ট করলেন ১১ঃ৩০-এ, আরেকজনের পোস্টে ১১-৩২-এ, এরপর, ১১-৩৫, ১১-৪০ এভাবে :) এরকম গোয়েন্দাগিরি করেছেন কখনো? ;) ব্যাপারটা খুব মজার কিন্তু :) আপনি গঠন মূলক কমেন্ট করতে চাইলে পোস্টটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। সেটা সময়ের অভাবে হয়ত পারি না। কিন্তু তাই বলে না পড়েই কমেন্ট করা উচিত না বলেই মনে করি (যদি না পোস্টটা রিপোস্ট হয়ে থাকে, যা আগেই আমি পড়ে থাকি)।

পরের বই মেলায় কবে আসবে এটা জানা নেই। একটা বই বের করা খুব ঝামেলার। লেখা বাছাই, এডিট, ইত্যাদি খুব শ্রমসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, যেটার জন্য আমার ধৈর্য এখন শূন্যের কোঠায়। এজন্যই ই-বই ছেড়ে রেখেছি, ওগুলো বেঁচে থাক।

ধন্যবাদ সোহানী আপু :)

১৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খলিল ভাই, অসাধারণ আপনার বিশ্লেষণ। এটা আমার খুব কাজে লাগবে।
এধরনের গাইডলাইন দিয়ে আগে কোন পোস্ট পড়েছি বলে মনে পড়ে না।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় সাজ্জাদ ভাই, আমার অনেক ভালো লাগলো এ পোস্টটা আপনার কাজে লাগবে জেনে। কোনো একসময় তো রাতদিন ২৬ ঘণ্টাই ব্লগে কাটাইতাম, এমনকি স্বপ্নেও। অনেক চাছাছোলা কমেন্ট করেছি, স্পষ্ট ভাষায়। দেখেছি, লেখার দুর্বল দিকগুলো কাউকে বললে সবাই রিয়্যাক্ট করেন। সবাই উন্মুখ থাকেন পোস্টে গিয়ে যেন ভূরি ভূরি প্রশংসার কথা বলি। রিয়্যাকশনের কারণে অনেকের পোস্টে যাওয়া চিরতরে বাদ দিয়ে দিয়েছি। আমার এ পোস্টটা বলতে পারেন সেইসব অভিজ্ঞতার ফলাফল। একটা লেখার একাডেমিক সমালোচনা কীরকম হতে পারে, আমি সেই অ্যাপ্রোচে যাই নি, যেহেতু ঐ ব্যাপারে আমার কোনো আইডিয়া নেই। তবে, মোটামুটি এই গাইডলাইনগুলো কাভার করলে তেমন আর কিছু বাকি থাকে না মনে হয়।

অনেক ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন।

১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জাস্ট অসাম। সোজাসাপটা কথাগুলো, থুক্কু পরামর্শ সব প্রিয়তে তুলে রাখলাম।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সোজাসাপটা কথাগুলোকে 'অসাম' হিসাবে রিকগনাইজ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।

১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

জাহিদ অনিক বলেছেন:

খুব ভালো লিখেছেন ভাইয়া, সবার জন্যই দরকারী এইগুলোভাবা। হয়ত এগুলো জানি- কিন্তু চলজলদি একটা প্রতিক্রিয়া জানাতে গেলে কিছুই ভাবা হয়না দুই এক শব্দে কিছু একটা জানাই।

আপনার মন্তব্য আমার জন্য পাথেয় ছিল-- এখনো।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি সেই মেধাবী, প্রতিশ্রুতিশীল ও অমায়িক কবিদের একজন, যিনি যে-কোনো লেখায় যে-কোনো ব্যবচ্ছেদ অত্যন্ত আনন্দচিত্তে গ্রহণ করে তা থেকে নিজের লেখার মান উন্নয়নে আন্তরিক থাকেন। সমালোচনা গ্রহণ করার এই মানসিকতা আপনার লেখার মানই শুধু উন্নত করেনি, আপনার বিনয়কে ও মাহাত্ম্যকেও প্রকাশ করেছে, যা আপনাকে একজন প্রিয় ব্লগার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়ক হয়েছে। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

পোষ্টে কমেন্ট করার প্রচেষ্টা থাকা উচিত।
ইতিবাচক নেতিবাচক যাই হোক, পোষ্ট নিয়ে সমালোচনা অনেক সময় পোষ্টের চাইতে বেশি গুরুত্ব বহন করে ।
আর অন্তত নিজের পোষ্টের কমেন্টের জবাব দেয়া উচিত।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইতিবাচক নেতিবাচক যাই হোক, পোষ্ট নিয়ে সমালোচনা অনেক সময় পোষ্টের চাইতে বেশি গুরুত্ব বহন করে। হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। এ ব্যাপারটা উপরে ব্লগার রাফাও উল্লেখ করেছেন।

সঠিক সমালোচনার জন্য একটা উপযুক্ত পরিবেশের প্রয়োজন। একজন নতুন ব্লগার যখন ব্লগে ঢুকেই দেখেন কমেন্ট মানেই শুধু প্রশংসা, তখন তার মানসিকতাও ওভাবেই ডেভেলপ করে। সামহোয়্যারইন ব্লগ শুরুর দিকে যেমন ক্যাচালের অন্ত ছিল না, তেমনি আলোচনা-পাল্টা আলোচনাও ছিল প্রচুর, যা বর্তমানে খবুব কমই চোখে পড়ে।

আশা করি, আমরা ধীরে ধীরে আলোচনার পথ আরো সুগম করতে সক্ষম হবো।

ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী।

১৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার পোস্টটির তারিফ না করে পারলাম না। বরাবরই আপনার পোস্ট পাঠক সমাদৃত কেননা আপনি গুনিদের একজন।
আজ এই পোস্টেও আপনি শিক্ষক। আপনার কথা খেয়াল রেখে কমেন্ট করলে হয়তো আমাদের যে ভুলগুলো করার কথা না সে গুলো হতো না। আমরা কোন সময় খেয়ালী হয়ে অনেক পোস্টের কমেন্ট করে থাকি তখনি কমেন্ট পোস্টের মূলভাবের বিপরীতে গিয়ে লেখককেও বিব্রত করে থাকে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা কোন সময় খেয়ালী হয়ে অনেক পোস্টের কমেন্ট করে থাকি তখনি কমেন্ট পোস্টের মূলভাবের বিপরীতে গিয়ে লেখককেও বিব্রত করে থাকে। ঠিক বলেছেন।

ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন।

১৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫

লিখন ০৩ বলেছেন: ভাল লাগল

১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ লিখন ০৩

১৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট :)

০৩ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১০ মাস পর 'দুঃখিত'যুক্ত চমৎকার একটা ধন্যবাদ নিন :)

২০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:২৪

মিরোরডডল বলেছেন: একটা প্রশ্ন ধুলো । কমেন্টের উত্তর না দেয়া বা অনেক লেইট এ দেয়ার কারনে সেটা আর না পড়া এটার সলিউশান কি ।
যেহেতু নোটিফিকেশান ঠিকমতো এখানে কাজ করেনা , অনেক লেইট করে কমেন্টের উত্তর করলে অনেক সময় সেটা গিয়ে আর পড়াই হয়না । তখন যেটা হয় , পরবর্তীতে আর কমেন্ট করার ইচ্ছেটা হয়না । মনে হয় কমেন্ট পড়েনা অথবা উত্তর দেয়না বেটার কমেন্ট না করি ।
জানিনা বোঝাতে পারলাম কিনা ।

০৩ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা প্রশ্ন ধুলো । কমেন্টের উত্তর না দেয়া বা অনেক লেইট এ দেয়ার কারনে সেটা আর না পড়া এটার সলিউশান কি । প্রশ্নের উত্তরে অনেক বড়ো একটা লজ্জা ও বিব্রতকর ভঙ্গি প্রকাশ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে এই প্রশ্নটা কেবল আমাকে উদ্দেশ্য করেই লেখা :)

ব্লগের টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে নোটিফিকেশন ঠিকমতো/সময়মতো/একেবারেই আসে না। অনেক সময় দৈবাৎ এরকম আড়ালে থাকা কমেন্ট দেখে ফেললেও হয়ত ব্যস্ততার কারণে তৎক্ষণাৎ উত্তর দেয়া সম্ভব হয় না, পরে যথারীতি ভুলে যাই। অন্যদের ক্ষেত্রে এরকম হয় কিনা জানি না, কিন্তু আমার বেলায় তো অহরহই ঘটছে। এরকম যেসব কমেন্টের উত্তর অগোচরে রয়ে গেছে, সেগুলোর কমেন্টদাতাদের প্রতি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

তখন যেটা হয় , পরবর্তীতে আর কমেন্ট করার ইচ্ছেটা হয়না । মনে হয় কমেন্ট পড়েনা অথবা উত্তর দেয়না বেটার কমেন্ট না করি । - এরকম আমারও মনে হয়। কারণ, আমিও এরকম অনেকের কাছ থেকে কমেন্টের উত্তর পাই নি। তবে, কেউ কোনো পোস্টে কোনো কমেন্টেরই উত্তর দিল না, এটা কিছুটা মেনে নেয়া যায়, কিন্তু কেউ যখন বেছে বেছে কমেন্টের উত্তর দেয়া শুরু করেন, সেটা আমি একেবারেই মেনে নিতে পারি না। কারো ট্রেন্ড আছে, একেবারেই কমেন্টের উত্তর দেন না, আমি তাদের পোস্টে যাওয়া বাদ দিয়ে দিই।

আশা করি দেরিতে হলেও উত্তর দিতে পেরেছি বলে মার্জনা পাব।

শুভ কামনা।

২১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

মিরোরডডল বলেছেন: হা হা হা .... আরে নাহ সেরকম কিছুনা ।
কিছুটা সত্যি কিন্তু পুরোটা না । ধুলোর ওপর একটু রাগ হয়েছিল যেটা চলে গেছে অলরেডি ।
ইন জেনারেল সবার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য । আমি নোটিস করে দেখেছি এখানে some are very strategic. You can’t believe.
ইচ্ছে করেই অনেক লেইটে রিপ্লাই করে ইভেন এখানে থাকলেও
Very slowly slowly in few days.
I believe it’s on purpose cause by the time people check to see reply. এতে করে সর্বাধিক পাঠ্য হচ্ছে ।
But my question is does it matter?
সর্বাধিক পাঠ্ হলেই কি আর না হলেই বা কি !
তাতে কি যায় আসে ! ইস ইট আ বিগ ডিল !
Remaining what you said I must agree with you.
Thank you so much for your reply.

০৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইচ্ছে করে দেরিতে উত্তর দেয়ার স্ট্র্যাটেজিক রিজন কারো কারো থাকতে পারে, তবে তা দ্বারা কী লাভ পাওয়া যায়, আদৌ পাওয়া যায় কিনা আমি জানি না। আমি ইচ্ছে করে না, আমার ভালো লাগে না অনেক সময়, তাই উত্তর দেয়া হয় না। যেগুলো চোখেই পড়ে নি, সেগুলোর উত্তর নাই :)

অধিক পাঠসংখ্যার চাইতে কমেন্ট অনেক বেশি মূল্যবান। পাঠসংখ্যা নয়, কমেন্টেই একটা পোস্টের প্রকৃত মূল্যায়ন ফুটে ওঠে।

কমেন্টের বাকি অংশের সাথে একমত হওয়ায় আমি খুশি :)

২২| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, অনেক কিছু জানা হল,নেগেটিভ মন্তব্যকে শিক্ষা হিসাবে যারা গ্রহণ করেন তারাই ভবিষ্যতে ভাল করেন।

০৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তারেক মাহমুদ ভাই, প্রথমেই ধন্যবাদ এতদিন পরে এ পোস্টটিতে আসায়। অনলাইনে থাকায় সাথে সাথেই কমেন্টটি চোখে পড়লো।

ফেইসবুক ও ব্লগীয় জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো- আমরা সবাই পোস্ট পাবলিশ করে আশা করতে থাকি যে, সবাই এখানে প্রশংসার বন্যায় পোস্ট ভাসিয়ে দেবেন। কেউ কোনো নেগেটিভ কথাও শুনতে প্রস্তুত নন। তাহলে কমেন্ট করার আর কোনো মূল্য থাকে না। একটা লেখায় ভালো দিক যেমন থাকে, এর নেগেটিভ দিকও অনেক থাকতে পারে, যা হয়ত লেখক নিজে আইডেন্টিফাই করতে পারেন না। যিনি ঐ দিকটা ধরিয়ে দিতে পারেন, তিনি তো আমার ভালোই করে গেলেন। এই বোধটা আমাদের অনেকের মধ্যেই নেই।

ভালো থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.