নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আগস্ট
একটা মিথ্যেবাদী। ভালোবাসতে জানে না সে, কথা রাখতেও শেখে নি। আমি সাঁতার কেটে মাঝনদীতে গিয়েছি আর চিৎকার করে বলেছি : প্রেম তার নেশা। বলেছি : অভিনয় করেছে, আমার একা থাকার শান্তি খেয়েছে।
সেপ্টেম্বর
কী করে এমপি-থ্রি’টা অন করবো জানি না। তোর গান আর শোনা হলো না।
রুপার সাথে তোর দেখা। আহা, কতদিন ধরে জমিয়ে রাখা প্রেম, তোকে দেখেই সে-প্রেম মুহূর্তে উথলে ওঠে। সব শুনেছি। যত কষ্ট দিবি, নিজেকে ততই বোঝাবো।
রুপার সেলনাম্বার চেয়েছিলাম। কীসে তোর এত ভয়? তোকে নিয়ে আর কোনো কষ্ট নেই, তোর স্বাধীনতা তোরই থাক।
অক্টোবর
বিজনেস স্টার্ট করার পর তোকে খুব দরকার হতো, ঠিক এ সময় তুই চলে গেলি! বাবা নেই, ভাইয়া নেই, আমাদের এলাকাটা ভালো না। এত টাকার বিজনেস, খুব ঝুঁকি। তুই আমার ডানহাত ছিলি... সেই ডানহাতটা ভেঙে সরেও গেলি। কত টেনশন মাথায়। কী করে পথ চলবো জানি না। দোয়া করিস।
খুব বেশি স্যাক্রিফাইস করেছি তোর জন্য। আর কখনো যেন ইমোশনাল হয়ে না পড়ি; আমার প্রতিও অন্য কেউ না হয়; দোয়া করিস।
যদি পারতাম, সব পাই-পাই করে ফিরিয়ে দিতাম। তোকে টাকার পাল্লায় তুলতে পারলে কষ্ট কমতো।
তুই এত ভালো কেন? তোকে হারিয়ে অনেক কষ্ট। দোয়া করিস।
নভেম্বর
আমি তো এমন প্রেমিক চাই নি, অপরাধ ঢাকতে যে-প্রেমিক পায়ে পায়ে প্রেমিকার দোষ খোঁজে।
আমায় ভালোবাসতিস, সে প্রমাণ আজও দিতে পারিস নি। আমি নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তোর জন্য আমার স্যাক্রিফাইস বড্ড বেশি ছিল।
তোকে কোনোদিনই আর ভোলা হলো না। তুই ভালো থাকিস।
ডিসেম্বর
রিলেশন আর নেই; প্রয়োজন ফুরোলে কেউ রাখে না। তোর প্রয়োজন ফুরিয়েছে। আমি তোকে আজও খুঁজি। তুই ভালো থাকিস।
আমাকে অনেকগুলো টাকা ঋণ দিয়েছিলি; ফিরিয়ে দিলাম, নিজের কাছে সামান্য রেখে; যদি ইচ্ছে হয় কোনোদিন তোর থেকে কিছু পাবার, ও-টাকায় কিনে ভাববো— এ তোরই দেয়া উপহার। তুই ভালো থাকিস।
জানুয়ারি
আমাকে অনেক দিয়েছিস, আমি পারি নি কিচ্ছুটুকুন; যা দিয়েছি তার কোনো বাজারমূল্য নেই : মহার্ঘ সময়— যখন তোকে ছাড়া আমি আর কিছুই ভাবি নি। তবু তুই ভালো থাক।
আমি তোকে খুঁজবো। যা কিছু তৃষ্ণা সৃষ্টি হয়েছিল, তোরই জন্য। তুই আরো কঠিন হ, আরো আরো— সীমারের চেয়েও। তবু তুই ভালো থাক।
ফেব্রুয়ারি
আমার কিচ্ছু ভালো লাগে না।
যা পেয়েছি তার চেয়ে কঠিন কোনো শাস্তি দিতে পারবি? আমার কিচ্ছু ভালো লাগে না। তুই ভালো থাক।
অনেক দিয়েছিস। কোনো হিসেবেই তার দাম হয় না। এটুকু ঋণ নিয়ে চলে যেতে হবে।
আমাকে আর কেউ, আমার বাবাও এত ভালোবাসে নি রে... আমার কিচ্ছু ভালো লাগে না। তুই ভালো থাক।
মার্চ
আমার সেলফোন থেকে তোকে কল করলে ‘busy’ পাই, কিন্তু অন্য নাম্বার থেকে করলে তা হয় না। আমাকে কতভাবেই না বোকা বানালি। সান্ত্বনা— তোকে ভালোবেসেই ঘিলু খুইয়েছি। সত্যি ভালোবাসায় এমনই হবার কথা ছিল। তাই তো সংসার ছেড়েও সংসারী হতে পেরেছি। তুই পেরেছিস? তুই এমন কেন?
অতি ‘কাজে’ ব্যতিব্যস্ত তুই। তাই একদণ্ড সময় নেই আমাকে দেবার। আমাকে অনেক মূল্যবান কাজে সময় দিতে হয়। একটু কোর্টে গেলাম। যাবার আগে বলে গেলাম : সেলফোন ‘অন’ রাখিস। তুই এমন কেন?
ভালো লেখার শক্তি যদি থাকে, বই ছেপে স্বীকৃতি পাবি। ‘অপদার্থ’ কবিরা, যাঁরা ‘আত্মসম্মান বোধ’ কী বস্তু তা বোঝে না, তারাই মোবাইলে মেয়েদের কবিতা শোনায়। কবিতায় রুপার অনুরাগ কি অনেক বেশি? আমার চেয়েও?
তোর কণ্ঠ আমায় পাগল করে দিল। তুই এমন কেন?
এপ্রিল
তোর সাথে আর কী কথা থাকতে পারে? আমি ভুল করেছি, শাস্তিও পাচ্ছি। বিশ্বাস মরে গেছে, মনও। যতবার গোলচক্করে যাই, জিরো পয়েন্টের দিকে তাকিয়ে বলি : ভুল মানুষের পথে হেঁটে ভুল করেছি।
মে
জানতাম, যে-কোনো অজুহাতেই চলে যাবি। সব জেনেই সব ফেরত দিলাম। দিতে পেরে হাওয়ায় ভাসছে কাঁধ। একদিন সুদগুলোও পাঠিয়ে দেব।
তোকে কত ভালোবেসেছি তা শুধু এ মন জানে। তোর কোনো কষ্ট, কোনো ক্ষতি চাই না আজও। খুব কষ্ট হয় তোর জন্য, পাঁজরে ব্যথা হয়; তবু নিজেকে বোঝাই : তুই আমার কেউ না।
আমি মিথ্যে বলি না তুই জানিস। তবু কিছুই হলো না। কোনোদিনই হবার নয়।
তোর জন্য ন্যাড়া ভিক্ষু সেজেছি সুকেশী অপ্সরা। সুখ এটাই ভালোবাসতে পেরেছি। জাত-মান-কূল সব হারালাম। বিনিময়ে দুঃখ দিলি। ‘প্রেমিকা’ স্বীকৃতিটুকুও আমার পাওয়া হলো না।
তোর উপেক্ষাই আমাকে বহুদূর ঠেলে নিয়ে যায়, তোর টানেই আবার ফিরে আসি।
সবকিছু একদিন পাঠিয়ে দেব, যা কিছু পাবি। কোনো মহার্ঘের বিনিময়ে তোকে চাই নি। শুধু লোভ হয়েছিল তোর মনটার। আমার বুকের ভেতর ঘণ্টির মতো তোর কণ্ঠ বেজে চলে। আমাকে পাগল করে দিল।
যে চলে যাবার, সে চলে যাবে। বনের পাখিরা বনের আকাশে সুখ বাঁধে।
তুই চলে যা।
তুই চলে যা।
চলে যা।
ভালো থাকিস।
তুই ভালো থাকিস, পাখি।
ভালো থাকিস আমার জাদুসোনা, টিয়া।
ভালো থাকিস অফুরন্ত, ভীষণ দিনগুলোতে...
জুন
........
জুলাই
........
এরপর যতদিন মেয়েটা বেঁচেছিল, নিয়মিত মেসেজ পাঠাতো। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর সেগুলো তার সেলফোনে ‘মেসেজ সেন্ড ফেইল্ড’ হিসেবে ভেসে উঠতো।
২৬ আগস্ট ২০০৮
** কালের চিহ্ন, একুশে বইমেলা ২০১৬। ডাউনলোডের জন্য প্লিজ এই লিংকে গিয়ে কমেন্টের ঘরে 'কালের চিহ্ন' ক্লিক করুন
০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'তুই আমার কেউ না'।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
সাইন বোর্ড বলেছেন: কি বলব বুঝতে পারছিনা, পড়তে অসাধারন লেগেছে, সংক্ষিপ্তভাবে বলার স্টাইলটা চমৎকার !
০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রেরণাদীপ্ত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাইন বোর্ড।
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: পরিচালক সাহেব আপনি কি ডায়েরী লিখেন??
০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক বড়ো গোয়েন্দাও দেখি আপনি!! এবং এটা কিন্তু সাইকোলজিস্টেরও বৈশিষ্ট্য
জিনা নায়করাজ রাজীব নুর, আমি ডায়েরি লিখি না।
এখন কীভাবে মেলাবেন?
একজন লেখকের সবচাইতে বড়ো ও অলৌকিক ক্ষমতা কোনটি?
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: নান্দনিক লেখনী ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি সাহেব। শুভেচ্ছা।
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৬
সোহানী বলেছেন: আহ, অসাধারন।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
৬| ১৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১২
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এই লেখা পড়ে একটাই শব্দ বলা যথাযথ হবে, 'অসাধারণ'!
১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নান্দনিক নন্দিনী। অবাক হলাম, এত আগের এ পোস্ট আপনার চোখে পড়লো কীভাবে?
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১
মিরোরডডল বলেছেন: ‘আমি তোকে আজও খুঁজি’