নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
যুদ্ধক্ষেত্রে বুকে গুলি খাওয়া বা বেয়নেটবিদ্ধ সৈনিকও ক্ষিপ্রবেগে উঠে আক্রমণকারী শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে চায়, কিংবা অসহায় অবস্থায় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কেন? কারণ, আক্রমণকারীকে হঁটিয়ে সে নিজের জীবন রক্ষা করতে চায়। কিংবা সে পালিয়ে বাঁচতে চায়। বাঁচাটাই মুখ্য। গুলি খাওয়ার পর কেউ বসে থাকে না- আমার মরনের সময় হইছে, একটু পর তো মরেই যাব, আর কষ্ট করনের দরকার নাই।
করোনায় যখন সবাই নিঃস্ব হতে শুরু করবে, অর্থাৎ, ঘরে খাবার নাই, ক্ষুধার যন্ত্রণা যখন সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে, তখন করোনার ভয় কাউকে ঘরে আটকে রাখতে পারবে না; তখন খাবারের সন্ধানে মানুষ ঘর থেকে ছিটকে বাইরে বেরিয়ে পড়বে। যখন ক্ষুধায় পেট কামড়াতে থাকবে, যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকবে, করোনা ভাইরাসে কিলবিল করা এক থালা খাবার যদি সামনে পাওয়া যায়, তা হবে সবচাইতে লোভনীয় ও পরম আরাধ্য, ক্ষুধার্ত মানুষ সেই করোনা গুলানো খাবার মুখে তুলে নিবে। করোনায় সে মরবে না বাঁচবে, সেই ভাবনা তখন তার মাথায়ই আসবে না।
একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লক ডাউন চলতে পারে। একেক দেশের জন্য লক-ডাউনের সময়কাল একেক রকম হবে। আমেরিকা হয়ত ৫ বছর ঘরে বন্দি থেকেও খাবার যোগান দিতে পারবে। চায়না, ইটালি, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্সও হয়ত দীর্ঘকাল ধরে ঘরে বন্দি থেকেও নিয়মিত খাবার বা ত্রাণসামগ্রী পেয়ে অনায়াসে বেঁচে থাকতে পারবে। ইন্ডিয়া, আফ্রিকার মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে এই সুখ-বিলাসিতা আকাশ-কুসুম ভাবনার মতো। বাংলাদেশে কী পরিমাণ খাবার মজুদ আছে, এই তথ্য আমার জানা নেই। ধরি, ২ বছরের খাবার আছে। সেই ২ বছরের সুবিধা ১৮ কোটি জনগণের প্রত্যেকের দ্বারে পৌঁছে দেয়ার জন্য সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু, কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সেই ত্রাণ সহায়তা সবার কাছে পৌঁছবে কিনা, তা নিয়ে বিস্তর সন্দেহ রয়েছে (বিগত মাস দুয়েকে যেভাবে ত্রাণ সামগ্রী চুরি হয়েছে, তার আলোকে বললাম)। হয়ত একটা শ্রেণির লোক এই ত্রাণের সুবিধা পুরোপুরি পাবে, কিন্তু যারা রোজ এনে রোজ খায়, তাদের শতভাগ লোকের কাছে ২ বছর ধরে ত্রাণের মাল পৌঁছে দেয়া নানাবিধ কারণে প্রায় অসম্ভব হবে। সরকার ২ বছরের জন্য ত্রাণ ভাণ্ডার উন্মুক্ত করে দিলেও কোনো কোনো লোভী ও স্বার্থপর ব্যক্তি এই দাবি তুলে বসবে - আমারে ত্রাণের ২৫% ভাগ দিতে হবে; হয়ত, এই মহামারিকে তারা আখের গোছানোর একটা সুবর্ণ সুযোগ ভেবে এই দাবি করে বসবে। এই ত্রাণ যে মূলত অসহায় মানুষের জন্য, এটা তারা ভাববে না; তারা ভাববে, না খেয়ে মরার অধিকার কেবল গরীব মানুষেরই। সে ২৫% ভাগ নিবে প্রকাশ্যে, বিরাট একটা ভাগ নিবে চুরি করে। বাকি কত ভাগ জনগণ পাবে, তা খুব চিন্তার বিষয়। বিগত দুই মাসেই মানুষ যেভাবে হাহাকার করতেছে, সেনাবাহিনী, পুলিশের উপস্থিতিতে সৎ ও কর্মঠ মানুষ দ্বারা ত্রাণ বিতরণ করা না হলে অসহায় মানুষের হাহাকারে ভবিষ্যতে আকাশ-বাতাসে আর্তনাদ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
প্রকৃতির সাথে আরো ভয়াবহ যুদ্ধ করেই মানুষ আজকের সভ্যতায় পৌঁছেছে। জ্বর সর্দি ডায়রিয়া ক্যান্সার এইডস ইত্যাদির মতোই একসময় করোনা একটা কমন রোগ হিসাবে গণ্য হবে। অন্য রোগের জন্য যেমন লক ডাউন লাগে না, একসময় করোনার জন্যও লক ডাউন লাগবে না। মানুষ মরবে, বাঁচবে, মরবে, বাঁচবে, এভাবে পৃথিবী চলতে থাকবে, তার মধ্যেই আবার দেশে দেশে যুদ্ধও বাঁধবে। সেই যুদ্ধে শত্রুর আক্রমণের সাথে করোনার আক্রমণ যোগ হবে মাত্র, অতীতে যেমন বিশ্বযুদ্ধে ম্যালেরিয়ার আক্রমণ হতো।
করোনার প্রকোপ আর কতদিন পৃথিবী জুড়ে থাকবে, কখন তা পিক-এ উঠবে, কখন নামবে তা নিয়ে প্রতিদিনই অজস্র মতামত ও তত্ত্ব উঠে আসছে। হতাশার ব্যাপার হলো, কোনো তত্ত্বই বা পূর্বাভাসই আজো সঠিক প্রমাণিত হলো না; শুরুতে কিছুদিন তা নিয়ে খুব আশাব্যঞ্জক প্রচারণা চলে, একসময় তা স্তিমিত হয়ে যায়। পরিস্থিতি যে 'অ্যাম্বিগুয়াজ' বা ঘোলাটে, বা অনিশ্চিত, এ ব্যাপারে মোটামুটি সবাই একমত।
তবে হাস্যকর কথা হলো, এত এত পর্যালোচনা, তত্ত্ব, অ্যাসেসমেন্ট বা গবেষণার মধ্যে কারো কারো কোনো কোনো মতামত বা গবেষণার ফল হয়ত করোনার ভবিষ্যত বিস্তার ও তিরোধানের সাথে মিলে যাবে। সেটাও হবে বিরাট এক ইতিহাস- তখন তারা এ নিয়ে খুব ফালাফালি করবে - দেখো, আমি আগেই বলছিলাম- করোনা এতদিন থাকবে, দেশে এটা ঘটবে ওটা হবে, ইত্যাদি। তখন সেইসব ক্লাউনকে নিয়া আবার কিছু ডাফার মাতামাতি শুরু করে দিবে। আদতে, এগুলো কারো কোনো মিরাকিউলাস পাওয়ার না, যা বলবে তাই ঘটবে। অনেকের মধ্যে একজনেরটা লাইগ্যা যাওয়ার মতো, খেলায় হারজিতের বাজি ধরার মতো (বেটিং) - কেউ না কেউ জিতবেই, এবং তার পক্ষে একটা পার্সেন্টেজ বাজি ধরবেই।
করোনার ভবিষ্যত কী হতে পারে, এই হলো আমার সাদামাটা মতামত। তাই শিরোনামটাও সাদা রাখা হয়েছে।
০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রতি ১০০ বছরে একটি মহামারী : ১৭২০ প্লেগ, ১৮২০ কলেরা, ১৯২০ স্প্যানিশ ফ্লু, ২০২০ করোনভাইরাস
গত তিনশ বছরে নিয়ম করে যে মহামারীগুলো হয়েছে সেগুলো হলো ১৭২০ সালে প্লেগ, ১৮২০ সালে কলেরা, ১৯২০ সালে স্প্যানিশ ফ্লু। চীন থেকে শুরু হওয়া বর্তমান করোনোভাইরাসটিকে ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্যানডেমিক বা অতিমারী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই মহামারীটিও উল্লিখিত মহামারীগুলোর মতো একই ধাঁচ অনুসরণ করেছে। ইতিহাস সত্যিই নিজেকে পুনরাবৃত্তি করেছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসটি প্রকৃতিতে জন্ম হয়েছে নাকি মানুষের অনুজীববিজ্ঞান গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে তা নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে। যদিও বিশ্বের মেইনস্ট্রিম সংবাদমাধ্যমগুলো এটিকে প্রকৃতিসৃষ্ট ভাইরাস হিসেবেই আখ্যা দিয়েছে।
১৭২০ সাল : বুবোনিক প্লেগ
বুবোনিক প্লেগ ইউরোপে কয়েক শতাব্দীকাল ধরে টিকে ছিল। ১৩৪৭ সালে প্রথম বড় বুবোনিক প্লেগ সংক্রমণ ঘটে যেটিকে ব্ল্যাক ডেথ বলে আখ্যায়িত করা হয়। ১৭২০ সালে সর্বশেষ যে বুবোনিক প্লেগের সংক্রমণ ঘটে সেটি বৃহৎ আকারের মহামারী ছিল, এটিকে মার্সেইয়ের দুর্দান্ত প্লেগও বলা হয়। রেকর্ডগুলি দেখায় যে ব্যাক্টেরিয়া মার্সেইলে প্রায় ১ লাখ মানুষ মারা গেছিলো । ধারণা করা হয় যে এই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রামিত মাছি দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে।
১৮২০ সাল : কলেরা
থাইল্যান্ডে কলেরা মহামারী প্রথম ধরা পড়েছিল ১৮২০ সালে , ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনে সহ এশিয়ার দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৮২০ সালে এই জীবাণুটির কারণে এশিয়ায় ১ লাখ এরও বেশি মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছিল। ১৮২০ সালের মহামারী দূষিত নদীর পানি খাওয়ার কারণে শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়।
১৯২০ সাল: স্প্যানিশ ফ্লু
১০০ বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু দেখা দিয়েছিল, সেই সময় লোকেরা H1N1 ফ্লু ভাইরাসের সাথে লড়াই করছিল। ক্রমাগত স্প্যানিশ ফ্লু জিনগত ভাবে পরিবর্তন হতো যার ফলে ভাইরাসটি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক করে তুলেছিল। প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল এবং বিশ্বের ১০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলো। ১৯২০ সালের মহামারীটি ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা ছিল।
২০২০ সালের করোনা
০৩ মে ২০২০ তারিখে আক্রান্তের সংখ্যা 34,98,151, মৃতের সংখ্যা 2,44,988 এবং সুস্থ হওয়ার সংখ্যা 1,126,733
করোনা যেভাবে ছড়ায়, তা অতীতের সব মহামারীকে ছাড়িয়ে গেছে।
২| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:০০
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাব্বাহ, এই সাদামাটা শিরোনামের চেয়ে করোনা ভাইরাসকেও বোধহয় খালিচোখে দেখা সহজ!!! প্রথম ১০-১৫ সেকেন্ড তো খালি মাউসের পয়েন্টারই ঘোরালাম এ মাথা-্ওমাথা...
০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, আমি নিজেই এর ভুক্তভোগী কোথায় ক্লিক করবো তা খুঁজে পাচ্ছিলাম না
৩| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: করোনা মানে লক ডাউন মানুষ ভাঙতে শুরু করেছে। ক্ষুধা মানূষকে ঘরে থাকতে দিচ্ছে না। আজ টিভিতে খবরে দেখলাম। লোকজন পাগলের মতো ঢাকা আসছে, আবার কেউ কেউ ঢাকার বাইরে যাচ্ছে। পুলিশ তাদের আটকাতে পারছে না।
খব্রে আরও দেখলাম- করোনার মধ্যেও মজবুদ অর্থনীতির শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ!
০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, পেটের ক্ষুধার চাইতে বড়ো ব্যাধি আর নাই। এই ব্যাধি কোনো নিষেধ মানে না।
করোনার মধ্যেও মজবুদ অর্থনীতির শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ! করোনা ফরোনা বাংলাদেশকে কিছু করতে পারবে না। আর কয়দিন পর ওরা কীভাবে এই দেশ ছেড়ে পালাইব, সেই রাস্তা খুঁজে পাইব না
৪| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাদা শিরোনামের সাদা পোষ্টে দারুন বর্ণির ভাবনায় সৃমদ্ধ।
হুম। এক অনিশ্চিত সময় পার করছি ঘোলাজলে শিকার করেই।
শুরুতেই সরকার ধারনা দিল এটা সাধারন সর্দি ফ্লু... খালি হাত ধুলেই চলবে।
জাতি ধুতে থাক ধুতে থাক চেতনায় বেশ চালিয়ে যাচ্ছিল
কিন্তু হা হতোম্মি্!
অবশেষে সারা বিশ্বের মতো আমাদেরও যখন প্রকোপ বেড়ে গেল - নিত্য আসছে নানা মুনির নানা মত।
সত্য বলায় সবাই কৃপণ। তাই গুজব ডালপালা মেলে সেই অবসরে।
আর ত্রান! বলিহারি- এই দু:সময়েও দু পেয়ে জীবের চুরি করছে! চারদশক পেরিয়েও বঙ্গবন্ধুর বানীকেই সত্য করতে -
সবাই পায় সোনার খনি- আমি পেয়েছি চোরের খনি!
দু:খজনক এইসব দিনরাত্রি কেটে যাক।
কোরান থেকে জাতি মুক্তি পাক - শুভকামনা শুধু অন্তরের গভীর থেকে।
০৩ রা মে, ২০২০ রাত ৯:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বঙ্গবন্ধু এ জাতিকে হাড়ে হাড়ে চিনতে পেরেছিলেন বলেই ওরকম কালজয়ী এবং অবিস্মরণীয় মন্তব্য করতে পেরেছিলেন। সেই সোনার খনি যে এখনো খুব উর্বর, গত কয়েকদিনে ত্রাণ সামগ্রী চুরির ঘটনা থেকে তা প্রমাণিত হয়েছে। তবে, সবচেয়ে ভালো দিক হলো- চোরেরা ধরা পড়েছে এবং চুরির মাত্রা অনুযায়ী সাজাও পাচ্ছে।
আরেকটা আশঙ্কার কথা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলাম। মানুষ তো কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়বে, কিন্তু কাজের খুব সংকট দেখা দিতে পারে। লক ডাউনের কারণে কলকারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকরা কাজে নিয়োগ পাবে না; বিনা কাজে বেতন দেয়া কিংবা প্রণোদনা কী পরিমাণ কতদিন পর্যন্ত সম্ভব হবে, তা বিরাট প্রশ্নসাপেক্ষ বিষয়। আবার ধরুন, নিম্নবিত্তরা, যেমন সিএনজি চালক, রিকশাচালক, এরা বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবে, যাত্রী পাবে না। যানবাহন যদি না চলে চালকরাও বেতন পাবে না।
কিন্তু খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। গ্রামের শ্রমিকরা হয়ত সেখানে কৃষিকাজের জন্য কিছু নিয়োগ পাবে।
এগুলো হলো সবই আশঙ্কার কথা, যদি করোনার প্রকোপ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
আপনিও অল্প কথায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন প্রিয় বিদ্রোহী ভৃগু। শুভেচ্ছা রইল।
এই দীর্ঘস্থায়িত্বের ব্যাপার সম্পর্কে সরকারের দায়িত্বশীল মহল সম্যক অবহিত আছেন এবং তদানুযায়ী প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে বলে মিডিয়া থাকে জানা যায়। কিন্তু, নানাবিধ সমন্বয়হীনতা, অসাধু ব্যক্তিদের দুর্নীতি, ইত্যাদি কারণে ভবিষ্যত ব্যবস্থাপনা খুব সফল হবে বলে মনে হয় না।
৫| ০৩ রা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২
সোহানী বলেছেন: সহমত লিখায়।
আলোচনায় আবার আসবো, একটু বিজি আছি এ মূহুর্তে।
০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১০:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখায় সহমত জানানোর জন্য ধন্যবাদ সোহানী আপু।
৬| ০৩ রা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯
শের শায়রী বলেছেন: জীবিত মানুষের জন্য পেটের ক্ষিধা বড় ভাইরাস, এর ওপর কোন ভাইরাস নাই। এক দিক দিয়ে লাশ পড়বে তার ওপর দিয়ে মানুষ কাজ করবে পেটের ক্ষুধা নামক ভাইরাসকে মারার জন্য।
অত্যন্ত সত্যি একটা ব্যাপার বলছেন, হাজার হাজার মত বৈজ্ঞানিক পেপার ছাপা হচ্ছে, করোনা নিয়ে, তার মাঝে যারটা ভবিষ্যতে লেগে যাবে তারা ফালাফালি বেড়ে যাবে, কইছিলাম না আমি... টাইপের কিছু একটা। পৃথিবীতে অতীতে মহামারী হয়েছে কমে গেছে, এখন মানুষ অনেক সচেতন বিধায় ক্যাজুয়ালিটি অনেক কম অতীতের মহামারীর তুলনায়।
জীবির মানুষের জন্য সব থেকে বড় ভাইরাস "ক্ষুধা"।
০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১০:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পেটের ব্যাধি বড়ো ব্যাধি, খিদা তাহার নাম, এই ব্যাধিতে ধরলে তোমার দুনিয়া বেসামাল। এই কথাটা দারুণ বলেছেন- এক দিক দিয়ে লাশ পড়বে তার ওপর দিয়ে মানুষ কাজ করবে পেটের ক্ষুধা নামক ভাইরাসকে মারার জন্য। ভাবে সাবে বোঝা যাচ্ছে, অতি শীঘ্রই করোনার ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হচ্ছে না। বা ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হলেই যে করোনা পালাইয়া যাইব, তাও না। কাজেই, একসময় মানুষ করোনা সংক্রমণে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে, বা বলা চলে, করোনার সংক্রমণ গা সওয়া হয়ে যাবে। তখন জীবিকার জন্য কাজ আর মৃত্যুর সৎকার একসাথে চলতে থাকবে।
সুন্দর কথার জন্য ধন্যবাদ শের শায়রী।
৭| ০৩ রা মে, ২০২০ রাত ৮:৪৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। ভালো লাগলো ।
০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১০:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি সাহেব।
৮| ০৪ ঠা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
মিরোরডডল বলেছেন: লেখাটা পড়ে চোখের সামনে একটা ভয়াবহ চিত্র চলে আসছে । আসলেই ভাবনার বিষয় ।
স্পেশালি ডেইলি ওয়ার্কারদের জন্য উভয় সংকট । লকডাউন থাকা আর না থাকা দুটাতেই তাঁদের জন্য জীবন মরণ সমস্যা । কি যে হবে !!!
ধুলোর শিরোনামটা কিন্তু সেইরকম পছন্দ হয়েছে আমার
এরকম আইডিয়া আসে কি করে
২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দুটো চিঠির একটা ছিল শুধু (?) চিহ্নযুক্ত আর এর উত্তরটা ছিল (!) চিহ্নযুক্ত। একজন লেখক, অন্যজন প্রকাশক। ? - বইয়ের খবর কী? ! - অভাবনীয় সাফল্য
পৃথিবীর সংক্ষিপ্ততম শিরোনামের রেকর্ডধারীর মহামান্য ধুলো
৯| ২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
মিরোরডডল বলেছেন: সহমত, পৃথিবীর সংক্ষিপ্ততম শিরোনাম
ক্ষুদ্র চিঠির বিষয়টাও মজা লেগেছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিগত ১০০ বছরে এই রকম বিপদ মানব জাতির জীবনে কখনোই আসেনি।