নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
জীবনে সর্বপ্রথম যে গানটা শুনেছিলাম
আপনাদের কি মনে পড়ে জীবনে সর্বপ্রথম কোন্ গানটি শুনেছিলেন?
এর আগে আমি অন্য কোনো গান হয়ত শুনে থাকব, কিন্তু তার কিচ্ছুটুকুন আমার মনে নেই। বা গান বলে যে একটা বস্তু বা বিষয় আছে তাও হয়ত এর আগে বুঝি নি।
তবে এ গানটি গান হিসেবেই কবে কোথায় কীভাবে শুনেছিলাম তা আমার স্পষ্ট মনে আছে।
১৯৭১।
বর্ষার প্রথম পানিতে গাঁয়ের খাল ভরে গেছে। আমি বাবার সাথে চকে গেছি ধানক্ষেত দেখতে। সূর্য তখন পশ্চিমে হেলে পড়েছে। কিছু আগে সামান্য বৃষ্টি হয়েছিল, আকাশে ঝলমলে রোদ্দুর আর ক্ষেতের উপর বাতাসের ঢেউসমেত গরমের হলকা।
বাবার সাথে গুটি গুটি পায়ে খালের পার ধরে বাড়ি ফিরছি। পারাপারের জায়গাটাতে এসে আমরা কিছুক্ষণ দাঁড়াই। এখানে ডাকের খেয়া নেই, পানিতে নেবে বা সাঁকোতে খাল পার হতে হয়। ওখানে সাঁকো ছিল না।
মামা সম্পর্কের একজন ভাটি থেকে উজান টেনে নৌকা বেয়ে আসছিলেন। তাঁকে দেখেই বাবা ডাকলেন, ও ইয়ার আলী, পার কইরা দেও।
ইয়ার আলী মামা নৌকা ভিড়ালেন। বাবা আমাকে সাবধানে উঠিয়ে মাঝখানে বসালেন। ছোটোখাটো দু-একটা কথা। তারপরই নৌকা বাইতে বাইতে ইয়ার আলী মামা গেয়ে উঠলেন :
আমার সোনার বাংলা...
আমার কাছে খুব ভালো লাগল। এমন গান আগে শুনি নি। যা শুনেছি তা হলো বৃষ্টি নামানোর ছড়া, যা মেয়েরা বুনো ফুল আর চালুনি মাথায় নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘটীর পানিতে ভিজতো আর বৃষ্টির জন্য গাইতো।
কিন্তু... আমার সোনার বাংলা... এ তো এক আশ্চর্য গান! আমি মনে মনে চেষ্টা করি, অল্প অল্প পারিও।
বাড়ি গিয়ে মাকে বলি, ইয়ার আলী মামু গান গাইবার পারে... এ কথা দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছিলাম তা মনে নেই, কিন্তু আমি ঠিক এরকম একটা কথাই মাকে বলেছিলাম... ইয়ার আলী মামু সোনার বাংলা গান গাইছে।
এরপর সপ্তাহখানেকের মধ্যে আমি আরো একজনকে এ গানটা গাইতে শুনেছিলাম। তারপর আমি অনেকের মুখেই এ গানটা শুনতে পেয়েছিলাম। যে-ই এ গানটা গাইত, আমি দৌড়ে তার কাছে গিয়ে, পিছে পিছে হাঁটতে হাঁটতে এ গানটা শুনতাম।
ভয়াল ২৫ মার্চের উত্তাপ তো এর কত আগেই সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। আমি কি অতসব তখন বুঝি?
‘আমার সোনার বাংলা’ আমাদের জাতীয় সঙ্গীত, এটা জেনেছি অনেক পরে যখন বোঝার জ্ঞান হয়েছে। কিন্তু এ গানটার মধ্য দিয়েই আমার গান শোনার প্রথম অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তা ভাবতে গেলে খুব পুলকিত, বিস্মিত ও কেবল গর্বিত হতে থাকি আর আনমনে গেয়ে উঠি :
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি
চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি...
যেদিন প্রথম পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলাম
ব্যাপারটা ভেবে আপনিও বিস্মিত হবেন- কখনো কি জাতীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন? অনেকের এরূপ অভিজ্ঞতা থাকলেও আমাদের কিন্তু খুব কমই সুযোগ আসে জাতীয় পতাকা হাতে তুলে নেবার।
কোনো জাতীয় অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনেক অনেক আগে আমি একটা পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলাম। সেই মামুলি কাহিনিটা বলি।
সেদিন দুপুরে এক মিছিল এলো। ছেলেবুড়ো, যুবক সবাই সেই মিছিলে। তাদের কণ্ঠে উদাত্ত শ্লোগান। তাদের কারো কারো হাতে পতাকা। দৌড়ে যাচ্ছে মিছিল- দৌড়ে যাচ্ছে।
মিছিল গিয়ে জমায়েত হলো স্কুলের ময়দানে। চারদিক থেকে ছুটে আসতে লাগল মানুষের ঢল। বিরাট মাঠ মানুষে ভরে গেল। মাইকে অনবরত বেজে চলছে জয় বাংলা, বাংলার জয়সহ আরো অনেক গান।
১৯৭১-এ আমার বয়স কত ছিল জানি না। আর যেদিনটার কথা বললাম তখন বুঝি নি, শুধু জ্ঞান হবার পরই সুনিশ্চিত ধারনায় বুঝেছিলাম ওটা ছিল ১৬ই ডিসেম্বর- বা এর আগে-পরের কোনো একটা দিন। যখন গাঁয়ের রাস্তা জনস্রোত আর গগনবিদারী শ্লোগানে টলোমল করছিল, কারো কারো হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা- কী মহোল্লাসে আমারও চিত্ত চঞ্চল হয়ে উঠেছিল- কী অভূতপূর্ব উত্তেজনা, এক দুর্দমনীয় নেশা হাতে একটা পতাকা ধরার জন্য। কিন্তু ন্যাংটো শ্রীযূতকে কে দেবে পতাকা?
আমার মত আরো অনেকের হাতেও এমন পতাকা ছিল- তাই আর মুহূর্ত দেরি নয়, হাতের নাগালেই ছিল খড় নাড়ার কাড়াল, আর ছিল আমার প্রিয় মলিন গামছাটি। আমি কাড়ালের মাথায় গামছা বেঁধে এক পলকে বানিয়ে ফেললাম বাংলাদেশের পতাকা- আর দৌড়ে মিশে গেলাম রাস্তার মিছিলে।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এভাবেই আমার হাতে প্রথম এসেছিল।
আমার স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিন
আমার সব ‘প্রথমে’র রেফারেন্স পয়েন্ট হলো ১৯৭১। তখন বয়স কত ছিল জানার উপায় নেই, কারণ কৃষকের ছেলের জন্মতারিখ লিখিত থাকে না, ধাইমার হাতে সে ভূমিষ্ঠ হয়; মা-চাচি-দাদি-নানিরা ঘোর বৃষ্টির দিনে, তুমুল তুফানের রাতে বাংলা মাসের ‘অমুক তারিখে’ বা ‘অততম’ চাঁদের দিন জন্ম হয়েছিল- এভাবে দিনতারিখ মনে রাখেন। তারপর নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশনের সময় গড়পড়তা একটা জন্মতারিখ, যা চাকরিক্ষেত্রে সুবিধা দিতে পারবে অনুমান করে লেখা হয়ে থাকে, যাতে প্রায়শ প্রকৃত জন্মতারিখ থেকে বিস্তর ব্যবধান থাকে।
আমি বড্ড নিরীহ প্রাণী সেই ছোটোকাল থেকে- কেবল ঘরের বাইরে; এজন্য কত পিটুনি খেয়েছি পরের হাতে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু ঘরের ভেতর আমার দুরন্তপনায় মা ও ভাইবোনেরা সবাই সবসময় ভীষণ অতিষ্ঠ থাকত; বাইরে পরের হাতে মার, ঘরের ভেতর মায়ের পিটুনি খেতে খেতে আমার দফারফা অবস্থা।
সে পর্যন্ত দুবার খেজুর গাছ থেকে পড়ে মরতে মরতে বেঁচে উঠেছি। গাবগাছ থেকেও পড়েছি বেশ কয়েকবার। আর বাড়ির পাশে খালের ধারে একটা দইল্লা গাছ ছিল, উন্নার দিনে ওটাতে রসি দিয়ে পিঁড়ির দোলনা বানাতাম; আর বর্ষাকালে এ গাছটা ছিল আমাদের সবচেয়ে মজার জায়গা- করতাম কী, দল বেঁধে গাছের ডগায় উঠতাম, আর ঝাঁকে ঝাঁকে গাছের ডগা থেকে লাফিয়ে পানিতে পড়তাম। ডুব দিয়ে যে যত বেশি দূরে গিয়ে উঠতে পারতাম, সে তত সেয়ানা। আমি এ কাজটায় বড্ড সেয়ানা হয়ে গিয়েছিলাম। মা মানা করতেন, কিন্তু আমি কি আর মায়ের হাতের পুতুল?
একদিন আমার এমনি এক বিটকেলির শাস্তি স্বরূপ আমাকে বাম হাতে ধরে ডান হাতে পিঠের উপর দমাদম কিল ঝাড়তে ঝাড়তে মা মুখ দিয়ে আগুন বের করতে লাগলেন- তোর মতো পুলা আমি দুনিয়াতে রাহুম না- আমার কইলজ্যা খাইয়া হালাইলি তুই- পুলার পুলা, ক, গাছে গনে আর ফাল দিবি? আর ফাল দিবি? আর আমার ছিল কইমাছের প্রাণ বা গণ্ডারের শরীর- মায়ের কিলে আমার কোনো ব্যথা হত না, যদিও পিটুনি খাওয়ার সময় গলা ফাটিয়ে বাবা-বাবা বলে চিল্লানি দিতাম।
একটু বিরতি দিয়ে মা বললেন, তুই জানস তোর মত পুলারা আইজকাল ইস্কুলে যায়? তোর সুরুজ মামু পরশু দিন গনে ইস্কুলে যাইবার নাগছে। কত বদ্র অইয়া গেছে সুরুজ!
সুরুজ মোল্লা আমার একমাত্র মামা, আমার থেকে তিন-চার মাসের বড়। মামা আমাদের বাড়ি আসে, তার সাথে কিছুক্ষণ ত্যাঁদরামি করি, সে ত্যক্ত হয়ে কান্নাকাটি করে বাড়ি চলে যায়। মামাও বেশ গোবেচারা বটে, আমার সামনে। সেই মামা স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে শুনে আমার কোনো ভাবান্তর হলো না; কেননা ‘বদ্র’ই বা কী জিনিস, আর স্কুলে যাওয়ার মাহাত্ম্যই বা কী, গাছে গাছে বাস করার চেয়ে তাতে অধিক আনন্দ আছে কিনা সে বিষয়ে কোনো জ্ঞান তো ছিলই না, জানারও কোনো আগ্রহ ছিল না।
মায়ের পিটুনিতে ব্যথা না পেলেও মা-ই ছিলেন সবচাইতে ভয়ঙ্কর, আর বাবা ছিলেন সকল বিপদের নিরাপদতম আশ্রয়স্থল; যতক্ষণ বাবা বাড়িতে, মা আমার টিকিটিও ছুঁতে পারতেন না, আর আমার থাকতো তখন সাত খুন মাফ।
মা একদিন সন্ধ্যায় বাবাকে মৃদু ক্ষোভের সাথে বলছেন, তোমার বান্দর পুলারে হয় তুমার সাতে ক্ষ্যাতে নিয়া যাইবা, নাইলে ইস্কুলে দিয়া দেও। ওর জ্বালায় আমার জানডা ত্যাজপাতা অইয়া গেল।
বাবা হাসতে হাসতে বলছেন, কও কী, ইস্কুলের বয়স বড় অইছে নি? বয়স অইলে আল্লায় নিলে ইস্কুলেই বর্তি কইরা দিমু। আমার মতন লাঙ্গল টানবো নি বড় আমার পুলা!
বয়স অইছে না! মা ঝামটা দিয়ে বলেন, সুরুজ ইস্কুলে যাইবার নাগছে কবে গনে। সুরুজ কত বদ্র অইয়া গেছে দ্যাকছাও না!
বাবা আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসেন।
এরপরের কিছুদিনের কথা ও ঘটনা আর মনে নেই। মনে পড়ে শুধু কথাগুলো- বাড়িতে প্রস্তুতি চলছে আমাকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য। আজ না কাল, কাল না পরশু- এভাবে। বাবা বাড়িতে থাকলেই স্কুলে নিয়ে যাবেন একদিন, কিন্তু বাবার সেই সময় আর হয়ে ওঠে না।
বাবার সময় হল একদিন সকালে। আমার জন্য একটা বই কেনা হয়েছে- সবুজ সাথী। একটা শ্লেট আর মাটির পেন্সিলও। সেগুলো গত কয়দিন ধরে নাড়াচাড়া করেছি, আর কেবলই বিষণ্ণ হয়েছি- হায়, এ আপদগুলোর জন্যই আমাকে স্কুলে যেতে হবে! আমার পুরোনো হাফপ্যান্ট আর শার্টটা ৫৭০ সাবান দিয়ে ধুয়ে নতুনের মত করা হয়েছে। কিন্তু সকালবেলা থেকেই আমার খুব মন খারাপ- খুব কান্না পাচ্ছে। মায়ের ‘বদ্র’ কথাটার অর্থ আমি না বুঝলেও এটুকু বুঝেছিলাম যে স্কুলে গেলে আমিও সুরুজ মামার মত ‘বদ্র’' হয়ে যাবো- হায়রে, আমার দিনভর গাছগাছালি খেলা- এসব তো আর কিছুই করতে পারব না- আমি তবে কীসের লোভে স্কুলে যাবো?
স্কুলে যাবার সময়টাতে পাড়াপড়শিরা ও বাড়ির সবাই জড়ো হল আমাদের ঘরের সামনেটায়, আর ঠিক তখনই ডুকরে কাঁদতে শুরু করলাম। যতই সময় ঘনিয়ে আসতে লাগল বাড়ি হতে বের হবার, আমার কান্নার বেগ ততই বাড়তে থাকলো, একসময় গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে লাগলাম- আমি ইস্কুলে যামু না। ইস্কুলে যামু না। আর আমার কান্না তখন এতই করুণ হয়ে উঠেছিল যে বাবা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে তিনি নিজেও কেঁদে দিয়ে মাকে বললেন, তাইলে আইজক্যা বাদ দেই? কিন্তু মা শাসিয়ে উঠতেই বাবা আমার হাত ধরে বললেন, চলো বাজান- কাইন্দো না- ইস্কুল অনেক বালো জাগা।
আহারে কী কান্নাই না করেছিলাম সেদিন- আমি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছি আর আমাকে বাড়িভর্তি মানুষজন দেখছে- আমি আমার সোনার দিনগুলো ফেলে চলে যাচ্ছি অন্যদিনের দিকে...
স্কুলে আমি ভাল করছিলাম। কয়েক বছরের মধ্যে পাড়াপড়শি ছাড়িয়ে পুরো গ্রামে আমার মেধার কথা ছড়িয়ে পড়ল। লোকে বলতে লাগল- গোবরে পদ্মফুল।
আমার অজপাড়াগাঁয়ের স্কুলটাতে আমিই প্রথম প্রাইমারি বৃত্তি পরীক্ষায় পাশ করেছিলাম- এই বৃত্তির খবর নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন শিক্ষক ও কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি যখন আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন- আমার মা হাউমাউ করে কেঁদে দিয়েছিলেন।
আমার মা মারা গেছেন আমি যখন ৭ম শ্রেণীতে পড়ি। প্রাইমারি স্কুল থেকে হাইস্কুলে যেয়েও আমি স্কুলে খুব ভাল করতে থাকি- আমার মা এ খবরে অতি আপ্লুত হয়ে বলতেন- তর মনে আছে, ইস্কুলে যাইবার দিন তুই কত কানছিলি?
ফেলে আসা দিনের অবিস্মৃত অনেক কিছুর মধ্যে স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিনটির কথা এভাবেই আমার ভেতর সতত ঝলমল করে আলো দেয়...
১-৮ মে ২০০৯
চলবে ---
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ৩টা স্মৃতিই এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ পগলা জগাই ভাই।
আশ্চর্য হয়ে আজকে লক্ষ করলাম, আপনার নাম 'পাগলা' না, 'পগলা'। এটা কি আসলেই 'পগলা'? নাকি 'পাগলা' লিখতে গিয়ে ভুলে 'পগলা' হয়ে গেছে? 'পগলা' হয়ে থাকলে এর কি কোনো অর্থ আছে?
শুভেচ্ছা।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভুল করার ব্যাপারে আমি এক্সপাট। এইটা খাঁটি ভুল। অনেকবার খোঁচাখুঁচি করেও এ্যঅডমিনদের কারো নজরে আনতে পারি নাই। নিকটা পরিবর্তনের ইচ্ছে ছিলো।
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। কিন্তু, আমিও যে এতদিন কীভাবে ভুল করে আপনাকে 'পাগলা'ই দেখতাম, তা বুঝতে পারছি না। আরেকবার অ্যাডমিনের কাছে আবেদন করে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ বিষয়টা ক্লিয়ার করার জন্য।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো স্মৃতি।
বাংলাদেশের কোন এলাকায় ছিলেন ছোট বেলায়?
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই। আমার জন্মস্থান ঢাকা জেলার দোহার থানায় (বর্তমানে উপজেলা), সেখানেই ছিলাম।
শুভেচ্ছা।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
দোহার এলাকায় এখন অনেক ক্রাইম হয়, মাদকের আস্তানা?
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে খুব তৎপর এবং এবং মাদক দূরীকরণে কার্যকর ও প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। দোহারে ক্রাইম হয়, তবে অন্যান্য এলাকার মতো অত না। সর্বোপরি, দোহার তো সারাদেশেরই একটা অংশ।
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮
ঢুকিচেপা বলেছেন: আমার ২টা বিষয় মনে আছে,
প্রথম স্কুলে যাওয়া। ওটা ছিল রংপুরে, ২/১ দিন ক্লাশ করেছি হয়তো।
আর ২য় হলো সিনেমা দেখা, সুজন সখী। সেক্ষেত্রে “সব সখিরে পার করিতে” গানটাই স্মৃতিতে আটকে ছিল। মজার বিষয় হলো তখন আমার ধারনা ছিল কেউ যদি সিনেমা দেখতে শুরু করে তাহলে সুজন সখী দিয়েই স্টার্ট করতে হয়।
“আমি বাবার সাথে চকে গেছি ধানক্ষেত দেখতে।”
এখানে চক বলতে কি, “পাতার” “এলাকা” এই টাইপ কিছু?
“যে-ই এ গানটা গাইত, আমি দৌড়ে তার কাছে গিয়ে, পিছে পিছে হাঁটতে হাঁটতে এ গানটা শুনতাম।”
বুঝলাম আপনি বুদ্ধির আগে থেকেই গানপোকা।
“আমি কাড়ালের মাথায় গামছা বেঁধে এক পলকে বানিয়ে ফেললাম বাংলাদেশের পতাকা- আর দৌড়ে মিশে গেলাম রাস্তার মিছিলে।”
এটা আপনার জীবনে অন্যরকম প্রাপ্তি। এই অনুভূতি না কাউকে বলে বোঝাতে পারবেন না কেউ বুঝবে।
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার একেকটা পয়েন্ট ধরে ধরে আলোকপাত করার এই বৈশিষ্ট্যটা খুব ভালো লাগে।
মজার বিষয় হলো তখন আমার ধারনা ছিল কেউ যদি সিনেমা দেখতে শুরু করে তাহলে সুজন সখী দিয়েই স্টার্ট করতে হয়। - এটাতে বেশ মজা পেয়েছি
চক - মাঠ। বিরাট/বিরাণ প্রান্তর। 'চক' আঞ্চলিক শব্দ এবং এখন এটা প্রমিত শব্দও।
“যে-ই এ গানটা গাইত, আমি দৌড়ে তার কাছে গিয়ে, পিছে পিছে হাঁটতে হাঁটতে এ গানটা শুনতাম।”
বুঝলাম আপনি বুদ্ধির আগে থেকেই গানপোকা। - এই কথাটাও দারুণ লাগলো। এবং মনে হলো, আরে তাইতো! আমি দেখি ছোটোবেলা থেকেই গানের পাগল
এটা আপনার জীবনে অন্যরকম প্রাপ্তি। এই অনুভূতি না কাউকে বলে বোঝাতে পারবেন না কেউ বুঝবে। ঠিক বলেছেন।
সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ঢুকিচেপা।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রথম গান যেটা মনে পরে সেটা হোল ' কিনে দে রেশমি চুরি নইলে যাব বাপের বাড়ি.......। আমার চাচি ক্যাসেট প্লেয়ারে শুনতেন ১৯৭৮ সালে।এর আগের কোনও গান মনে করতে পারছি না। স্কুলের প্রথম দিন ভালো করে মনে নেই। শুধু মনে আছে নার্সারি ক্লাসটা ছিল মূল বিল্ডিং থেকে আলাদা এবং গোলাকৃতির। এটা যশোর দাউদ পাবলিক স্কুলের কথা বলছি ১৯৭৮ সালে। অনেকগুলি গোল টেবিল ছিল। প্রত্যেক টেবিলের চারপাশে চারটা ছোট চেয়ার ছিল বাচ্চাদের বসার জন্য। আমার চামড়ার একটা সুটকেস ছিল বই নেয়ার জন্য। মাঝে মাঝে কাঠের ব্লক দিত আমাদের খেলার জন্য।
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিনে দে রেশমি চুরি শুনেছি অনেক পরে। তার আগে অনেক গান শোনা হয়ে গিয়েছিল।
আপনি যদি দাউদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি খুবই সৌভাগ্যবান, একটা ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ আপনার ঘটেছিল, আপনার বেইসটাও খুব স্ট্রং।
পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর।
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩২
নাসরীন খান বলেছেন: স্মৃতির মাঝেই মানুষ প্রাণের পরশ খুঁজে।ভাল লাগল।
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি আপু, সুন্দর একটা কথা বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ পোস্ট পড়া ও কমেন্টের জন্য।
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাজ্জাকের 'অশিক্ষিত' সিনেমাটা সপরিবারে হলে গিয়ে দেখেছিলাম মনে পরে ঢাকাতে ১৯৭৮ বা ১৯৭৯ সালে।
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তখনকার ছবিগুলো সপরিবারে একত্রে বসে দেখার মতোই ছিল। তবে, সম্ভবত আপনি আমার আগে সিনেমা দেখেছেন আসছি এ নিয়ে পরের পর্বে ধন্যবাদ আবার আসার জন্য।
৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: শুরুটা চমৎকার- বোঝা যাচ্ছে আপনার স্মৃতি শক্তি মারাত্মক!!
পরের পর্বের প্রত্যাশায় রইলাম।
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই। সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আমার জীবনের প্রথম গান ছিলো- আমরা করবো জয় একদিন। তার স্কুলে ভরতি হয়ে গাইলাম- আমার সোণার বাংলা।
আরেকটা কথা শুধু দোহার না বাংলাদেশের প্রতিটা এলাকায় মাদক রমরমা অবস্থা। সারা বাংলাদেশের এমন কোনো এলাকা পাওয়া যাবে না সেখানে মাদক পাওয়া যায় না।
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার জীবনের প্রথম গানটা একটা ভালো গান ছিল। জেনে ভালো লাগলো, অল্পদিনেই স্কুলে 'সোনার বাংলা' শুনতে পেয়েছিলেন।
আরেকটা কথা শুধু দোহার না বাংলাদেশের প্রতিটা এলাকায় মাদক রমরমা অবস্থা। সারা বাংলাদেশের এমন কোনো এলাকা পাওয়া যাবে না সেখানে মাদক পাওয়া যায় না। - এজন্যই বলেছি, দোহার এ দেশেরই একটা অংশ।
পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৮
মিরোরডডল বলেছেন:
ধুলোর শৈশব আমি যত পড়ি ততোই মুগ্ধ হই ।
বাবা ছেলের ইয়ার আলী মামুর নৌকার ঘটনা, ওভারল শৈশবের স্মৃতিচারন পড়তে খুব ভালো লাগলো ।
১৯৭১ ধুলোর বয়স কতো ছিল আমিতো জানি
চার বছর । পুরো চার না হলেও তিন বছর হয়ে চার হচ্ছে বা হবে ।
গাছে গাছে বাস করার চেয়ে অধিক আনন্দ আছে কিনা ......... এই লাইনটা জোস ছিল শাখামৃগ
ধুলো শেষ কবে গাছে উঠেছে ? ধুলোর বাচ্চারা কি কেউ কখনও গাছে উঠেছে ?
মাটির পেন্সিল কি জিনিস ধুলো ? হা হা হা...... স্কুলে যাবার ঘটনা খুবই মজার ।
কান্না করছে ধুলো, আই ক্যান সি ইট
উফ ! ধুলো আর বাবার কনভারসেশন পরে আমার মনটা খারাপ হয়ে যায় ।
বাবা কি ভালো, কতো আদর করে যে বললো থাক আজকে যেতে হবে না ।
আবার তার পর মুহূর্তেই মায়ের বকুনি খেয়ে বলে , স্কুল অনেক ভালো জায়গা ।
বাবা মায়েরা কেনো এতো অসাধারণ হয় !!! এটা রহস্যই থেকে গেলো ।
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওহ ডুলুরি, দারুণ মুগ্ধ হলাম কমেন্টে।
শৈশবটা আসলে সত্যিই মজার। বাচ্চাদের প্রতিটা কাজকর্ম আমি ইনজয় করি। ওরা একমুহূর্ত বসে থাকতে পারে না। ওদের এই অস্থিরতা আমার শৈশবকে মনে করিয়ে দেয়- আমিও তো একমুহূর্ত বসে থাকতে পারতাম না। কিছু না কিছু করতেই হতো কাজের কোনো শেষ আছে?
মেয়ে একবার ছোটোবেলায় খুব বিরক্তি নিয়ে বলে বসলো - আমি সারাদিন কত ব্যস্ত থাকি! খাই, খেলা করি, গোসল করি, গেইম খেলি, আবার ঘুমাইও আমরা তো হাসতে হাসতে বেহুঁশ তো, আমিও সারাদিন এভাবে ব্যস্ত থাকতাম। খালে/পুকুরে 'ডুবসাঁতার', গাছে গাছে গেছো-মেছো খেলা (একজন আরেকজনকে চেইজ করে টাচ করা)। একটু বড়ো হলে ঘুড়ি উড়ানো। ঘুড়ি উড়ানোর নেশা ছিল আমার সবচাইতে বড়ো নেশা। ছোটোবেলাটা আসলে একটা স্বররগোদ্যানের মতো মনে হয় এখন।
আমার বাচ্চারা গাছে ওঠার সুযোগ পায় নি, একনাগাড়ে গ্রামে বা গাছের পাশে থাকার সুযোগ হয় নি। মনে পড়ে না কোথাও ওরা কোনোদিন গাছে উঠেছে কিনা।
বাসার আরেকজন খুব গাছে উঠতো তাদের বাড়ির উঠোনের কোনে বড়ো এক পেয়ারা গাছ। একদিন তাদের বাসায় যেয়ে দেখি তিনি গাছে পেয়ারা পারছেন। আমাকে দেখে ইন্সট্যান্টলি থতমত খেয়ে গেলেও স্বল্প সময়ে নিজেকে সামলে নেন এবং অনেক উপর থেকে লাফ দিয়ে আমার সামনে পড়েন আই ওয়াজ হ্যাপি টু সি হার অ্যাথলেটিক পারফরমেন্স
মাটির পেন্সিল? ওয়াও, মাটির পেন্সিল তাহলে এখনই জাদুঘরের বস্তু হইয়া গেছে? আমরা লেখালেখি শুরু করেছি খাতায় নহে, স্লেটে। স্লেটে হলো মাটির তৈরি মোটামুটি ১২ ইঞ্চি বাই ৯ ইঞ্চি সাইজের বোর্ডের মতো বস্তু। তার উপর লেখার জন্য মাটির তৈরি পেন্সিল বা চক ব্যবহার করা হতো।
হ্যাঁ, বাবা-মায়েরা অসাধারণই হয়, কিন্তু বাচ্চারা অনেক সময় তাদেরকে বুঝতে পারে না। একটা প্রবাদ আছে, ছেলেরা সচরাচর বাবাকে বুঝতে পারে না। যখন বুঝতে পারে, ততদিনে সে নিজেই বাবা হয়ে গেছে এবং তার সন্তানেরা তাকে ভুল বুঝতে শুরু করেছে।
১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ঢুকির মন্তব্য মজা লেগেছে ।
সাচু তাহলে যশোরের মানুষ ।
তাহলেতো তার কথা অনেক মিষ্টি ।
যশোর এবং তার আশেপাশের এলাকার কথা যেন রস এতো মিষ্টি
ঝিনাইদাহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ।
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, চুপিঢাকা ও সাড়ে চুয়াত্তর, দুজনের কমেন্টই খুব ভালো।
যশোর বেল্টে দীর্ঘদিন ছিলাম। কিন্তু রস এবং খেজুরের গুঁড় খাওয়ার কথা মনে ছিল না, অথচ আমার স্ত্রী এখন মানুষের মাধ্যমে যশোর থেকে খেজুরের ঝোলা গুঁড় আনায়
১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
ধূলি যখন গাছ থেকে লাফ দিলো, ধুলো তখন বাংলা সিনেমার নায়কের মতো তাকে ক্যাচ করেনি ???
হা হা হা ......
চক বলতে চিনেছি কিন্তু মাটির পেন্সিল যে চক কেই বলে টা জানতাম না আমি ।
সন্তানেরা ভুল বোঝে এটাতো কষ্টদায়ক ।
আচ্ছা বয়স যে বললাম চার বছর ওটা কি ঠিক বলেছি ?
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: না, ক্যাচ ধরা হয় নাই। কারণ, তিনি পড়ে যান নাই, লাফ দিয়েছিলেন। ধুলো তখন বিস্ময় ভরা নেত্রে এ দৃশ্য অবলোকন করছিল
চক আর মাটির পেন্সিল এক জিনিস না। কাঠপেন্সিলের চার ভাগের একভাগ চিকন হলো মাটির পেন্সিল। চকের দাগ যেমন মোটা, পেন্সিলের দাগ তার চাইতে অনেক চিকন। ছোটো ছোটো করে লেখার জন্য পেন্সিল ব্যবহার করতে হতো ১টা পেন্সিলের দাম ৪ আনা হলে চার আনায় ৪টা চক পাওয়া যেত
বয়সটা ৪ বা ৫- এমনই ছিল। ৭১-এর অনেক কিছুই অনেক কিছুই আমার স্পষ্ট মনে পড়ে।
১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১০
মিরোরডডল বলেছেন:
ধুলো আমি তো রস এতো মিষ্টি বলতে তাদের কথাকে বুঝিয়েছি
ওখানে যে খেজুরের রস হয় সেতো আমি জানিই না
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের দেশে একটা প্রথা আছে, শিশু জন্মানোর পর তার মুখে মধু বা চিনি দেয়া হয়। মধু বা চিনি হলো মিষ্টি জাতীয় পদার্থ। এই মিষ্টি আসে মূলত রস থেকে। আমরা খেজুর গাছ ও আঁখ থেকেই সেরা রস পেয়ে থাকি। মৌমাছিরা এই রস তেকে মধু সংগ্রহ করে। জন্মের পর বাচ্চার মুখে মধু না দিলে তার কথা কর্কশ হয়, যেমন টোনাল্ড ড্রাম্প।
যশোর বেল্টের মানুষের মুখের কথা খুব মিষ্টি, কারণ, তার রসের দেশের মানুষ। রস থেকে রসিক। তারা খুব রসিক মানুষ। বাংলার মানুষের কথা এত মিষ্টি হওয়ার কারণ হলো তারা সবাই মিষ্টি খায়। আর মিষ্টি বা মিঠাই বা চিনি আসে রস থেকে।
১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
আমার গাছে উঠার স্টোরি বলি । স্কুল লাইফে প্রতি বছর আমরা উইনটারে ঢাকা থেকে সবাই গ্রামে যেতাম । বেশ অনেকগুলো বছর এরকম যাওয়া হতো । সেসময় গ্রামের বাড়ীতে আমি গাছে উঠেছি ।
তারপর বড় হবার পর সেভাবে হয়নি কিন্তু বেশ কয়েকবছর আগে এখানে একবার হয়েছে । আমরা একবার কোথাও বেড়াতে গিয়েছি । এক ফ্রেন্ডের ফ্যামিলি এসেছে ঢাকা থেকে । সেই পরিবারে টিনেজ ছিল, আবার আমার সাথে কিছু জুনিয়র ফ্রেন্ডসও ছিল এই আমাদের সুলুর মতো । ওখানে একটা গাছ দেখে আমার মনে ধরেছে যে এখানে ওঠা যায় । কতবছর উঠিনা ! যেই আমি উঠলাম , গড, হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো পোলাপাইন সব এক এক করে আমাকে ফলো করে গাছে । আমি মগডালে আর তারা গাছের শাখায় শাখায় । সে এক অদ্ভুত দৃশ্য । এখানেতো কেউ এরকম দৃশ্যের সাথে পরিচিত না । থ্যাংকস গড, ওখানে মানুষ খুবই কম ছিলো
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গাছে ওঠার দৃশ্যটা যেন চোখের সামনে ভেসে উঠলো।
১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
গতকাল রাজীবের মতো আমার মাথা এখন চক্কর দিবে । আমি কি এখন কানে ধরবো মাফ চাই রসের কথা বলেছিলাম
এখন আমাকে শেখানো হবে রস কতো প্রকার ও কি কি
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কাব্য সাহিত্যে ৯ প্রকার রসের কথা জানা যায়। প্রেম রস, বীর রস, করুণ রস, হাস্যরস, বীভৎস রস, শান্ত রস, ইত্যাদি। প্রথম চৌধুরী এ রসকে অমৃত বলতেন। খলিল মাহ্মুদ এ রসের অন্য নাম আবিষ্কারে মগ্ন আছেন।
১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪০
মিরোরডডল বলেছেন:
হা হা হা ...... এই ছবি কোথায় পেলো ধুলো দারুণ !!!!!!!!!!!!!!!!!
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গুগুল মামির কাছে ছিল। বাট, একটা বাংলাদেশী ভার্সন আছে, সেটা আমার পিসিতে খুঁজে পেলাম না, ইন্টারনেটেও না।
১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪০
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
মায়ের পিটুনীতে ব্যাথা না পেলেও মা ছিলেন ভয়ঙ্কর এবং বাবা
ছিলেন সকল বিপদে নিরাপদ আশ্রয়ে ,এই কথাটা ভীষণ মনে ধরেছে । আমি ছোটবেলায় প্রচুর মার খেতাম আম্মার হাতে
কিন্তু আজ অব্দি পর্যন্ত আমার আব্বা আমাকে একটা চড়
পর্যন্ত মারেননি ।
পতাকা বানানোর বুদ্ধিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি খুব ব্রিলিয়ান্ট এবং সেই সময়ে ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।
শুভকামনা জানবেন এবং ঈদ মোবারক ।
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাচ্চাদের আদর করার ব্যাপারে আমার বাবা ছিলেন একজন আদর্শ বাবা। আমরা ছোটোবেলায় দেখেছি অন্যান্য বাবারা তাদের ছেলেদের বেদম পিটুনি দিতেন। আমি অবাক হতাম এই ভেবে যে, আমার বাবা কেন আমাদের মারে না!! বাবার সামনে কোনো অন্যায়কেই কোনোদিন অন্যায় মনে হতো না। অবশ্য, অন্যায় বলতে বাসায় মায়ের কথা না শোনা, বাঁদরামি করা, এগুলোই বুঝতাম। আমার বাবা কোনোদিন আমাদের ভাইবোনদের গায়ে হাত তোলেন নি।
আজ আমার বাবাকে স্বপ্নে দেখেছি। গতকাল এই পোস্টটা দেয়ার ফলেই হয়ত বাবাকে স্বপ্নে দেখেছি।
আমি আমার স্ত্রীকেও বলি, বাচ্চাদের শাসনের ভার তোমার হাতে। আমি ওদের আশ্রয়ের স্থল।
আপনার আব্বার কথাটা শুনেও খুব ভালো লাগলো। তার প্রতি আমার সশ্রদ্ধ সালাম। আপনার আম্মার প্রতিও। আশা করি তারা দুজনেই সুস্থ আছেন।
পতাকা বানানোটা আসলে একটা ইম্প্রোভাইজেশন ছিল। মিছিলে আরো বাচ্চাদের হাতে ঐরকম পতাকা ছিল, যা থেকে আমি ওরকম পতাকা বানাতে উদবুদ্ধ হই।
চমৎকার মতামত এবং আব্বা-আম্মার কথা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ! চমৎকার মেমোরি আপনার। প্রথম থেকেই বেশ রসিয়ে রসিয়ে দেখছিলাম। কিন্তু একদম শেষ হয়েছে হোঁচট খেলাম। ক্লাস সেভেনে পড়াকালীন মাতৃবিয়োগ!!!!! কি মন্তব্য হবে বুঝতে পারছি না। তবে সেই নিদারুণ মাতৃবিয়োগের যন্ত্রণা হৃদয়ে ধরে আজ যে যেখানে আপনি আছেন সেখানে মা আপনার সঙ্গে আপনার হৃদয়ে দিকনির্দেশনা হিসেবে সতত বিরাজমান।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সেই নিদারুণ মাতৃবিয়োগের যন্ত্রণা হৃদয়ে ধরে আজ যে যেখানে আপনি আছেন সেখানে মা আপনার সঙ্গে আপনার হৃদয়ে দিকনির্দেশনা হিসেবে সতত বিরাজমান।
মাকে আমার পড়ে না মনে।
শুধু কখন খেলতে গিয়ে হঠাৎ অকারণে
একটা কি সুর গুনগুনিয়ে কানে আমার বাজে,
মায়ের কথা মিলায় যেন আমার খেলার মাঝে।
মা বুঝি গান গাইত আমার দোলনা ঠেলে ঠেলে -
মা গিয়েছে, যেতে যেতে গানটি গেছে ফেলে।
মাকে আমার পড়ে না মনে।
শুধু যখন আশ্বিনেতে ভোরে শিউলিবনে
শিশির-ভেজা হাওয়া বেয়ে ফুলের গন্ধ আসে
তখন কেন মায়ের কথা আমার মনে ভাসে।
কবে বুঝি আনত মা সেই ফুলের সাজি বয়ে -
পুজোর গন্ধ আসে যে তাই মায়ের গন্ধ হয়ে।
মাকে আমার পড়ে না মনে।
শুধু যখন বসি গিয়ে শোবার ঘরের কোণে,
জানলা দিয়ে তাকাই দূরে নীল আকাশের দিকে-
মনে হয় মা আমার পানে চাইছে অনিমিখে।
কোলের 'পরে ধ'রে কবে দেখত আমায় চেয়ে,
সেই চাউনি রেখে গেছে সারা আকাশ ছেয়ে।
আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের এ কবিতাটির কথাই সবার আগে মনে পড়লো। মা চলে গেছে, যেতে যেতে পথে পথে সোনাবীজ বুনে গেছে আমাদের জন্যে।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক ভাই।
২০| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৮
মিরোরডডল বলেছেন:
এখানে আর কিছুক্ষণ থাকলে আমাকে রসের বাব দাদার পূর্ব পুরুষের ইতিহাস শুনতে হবে , আমি বেটার পালাই ।
ধুলো সামু যে একটা নেশা এটা ইদানিং বুঝতে পারছি । আসক্তি হয়ে যাচ্ছে । প্রায়ই ভোর ৫/৬ টা বেজে যায় । আজ কি হয়েছে, এখান থেকে ভোর সাড়ে চারটায় গেলেও ঘুমাতে ঘুমাতে পাঁচ টার বেশী বাজে । উঠে দেখি এগারোটা বাজে অথচ আমার সকালে অফিস ছিলো । কি লজ্জা বসকেতো আর বলা যায়না সারারাত অনলাইনে ছিলাম । যেটা ফ্যাক্ট সেটাই বললাম ঘুম থেকে উঠতে পারিনি । মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে যখন বলে টেক ইট ইজি । তারপর তো আমার আরও প্রশ্রয়
সি আজও চারটার বেশী বাজে
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: টেক ইট ইজি, বাট বি এ লিটল মোর বিজি ইন দ্য অফিস
ব্লগ একটা নেশা, কোনো সন্দেহ নাই। যারা নতুন ব্লগে আসেন, তাদের নেশাটা কেমন তা বুঝতে পারি আমার প্রথম দিককার ব্লগিং-এর কথা স্মরণ করে। স্বপ্নের মধ্যেও ব্লগিং করেছি ফেইসবুক আসার পর প্রথম প্রথম দুইটাতেই সমান সময় দিতাম এবং ঘুমের বারোটা বাইজ্যা যাইত। এর কনসিকোয়েন্স হয়েছে খুবই ভয়াবহ। এখন আমাকে ব্যালেন্স করতে হচ্ছে। চেষ্টা করি ডেইলি ৮ ঘণ্টা ঘুমাইতে, বাট কোনোভাবেই ৬ ঘণ্টার নীচে না।
আপনার কমেন্ট থেকে বুঝলাম আপনার ঘুম কম হচ্ছে। আমি দিনের বেলা ঘুমাতে পারি না। সকালে শুইলে সেই ঘুম হয় ডিস্টার্বড। দীর্ঘদিন ঘুমের ঘাটতি নিয়ে চলতে থাকলে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাবে, যার ইফেক্ট হবে কিডনি ফেইলিওর, ডায়াবেটিস, হার্ট ফেইলিইওর/স্ট্রোক, ইত্যাদি। প্যানিক করছি না, সতর্ক করে দিচ্ছি। আমি তো আমার জীবনটাই হারাইতে বসছিলাম পর্যাপ্ত ঘুম, পর্যাপ্ত পানি পান, শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় দুটি অনুষঙ্গ।
২১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ডুলু এন্ড ধুলো,
যশোরের স্কুলে পড়লেই কি কারও দেশের বাড়ি যশোর হতে হবে। আমার দেশের বাড়ি শুনলে ডুলু এন্ড ধুলো কেউই আমার সাথে আর কথা বলবে না। তাই বলব না। চক আর মাটির পেন্সিল এক না। চক সাদা আর মাটির পেন্সিল কালো। সম্ভবত স্লেট যা দিয়ে তৈরি কালো মাটির পেন্সিলও একই জিনিস দিয়ে তৈরি। আমার মায়ের কাছে শুনেছি তারা সেদ্ধ তাল পাতার উপর কয়লার কালি দিয়ে লিখতেন গ্রামের পাঠশালায়। আমার নানাকে আমি পাইনি। পেলে সে কিভাবে লিখেছে জিজ্ঞেস করতাম। আমার মায়েরা নিজেদের নৌকায় করে পাঠশালায় যেত। আমার নানার দুইটা নৌকা ছিল। একটা ওনার জন্য আরেকটা স্কুল ডিউটি করার জন্য। এগুলি সবই আমার মায়ের কাছ থেকে শোনা।
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার একটা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য আছে, এবং অফ লেইট বুঝতে পেরেছি, এটা অবশ্যই আমার একটা ভালো গুণ। কারো সাথে আলাপচারিতায় হার্ডলি আমি তার দেশের বাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করি, আনলেস তিনি আগে আমাকে আমার দেশের বাড়ির কথা জানতে চান। আমার স্ত্রী কারো সাথে কথা বলেই বুঝতে পারি সে কোন এলাকার লোক (যদিও আমি শিওর না তার অনুমান ঠিক হয় কিনা), কিন্তু আমি আজও জানি না কোনটা সিলেট, আর কোনটা চট্টগ্রামের ভাষা। বোঝার চেষ্টাও করি না। তবে, কেউ ঢাকাইয়া কট্টি ভাষায় কথা বললে ওটা বুঝি। অনেকেই কারো পরিচয় জানতে চান - ঐ যে ডুলি, বাড়ি টাঙ্গাইল, তাকে চিনেন? আমি তো বেশির ভাগ সময় নামটাই ভুলে যাই (মস্তবড়ো বদ্অভ্যাস, এটা জানি), দেশের বাড়ির কথা মনে রাখবো কীভাবে?
তবে, আমার বাড়ি দোহার, এটা নিয়া আমি খুব গর্ব করি। অবশ্য, যে-কেউই তার জন্মস্থান নিয়ে গর্ব করে থাকবেন।
আমার বাবা, অন্যান্য মুরুব্বিদের কাছে গল্প শুনেছি তারা তালপাতায় লিখতেন, বিশেষ পদ্ধতিতে বানানো কালি দিয়ে।
আপনার মায়ের নৌকায় করে স্কুলে যাওয়ার কাহিনি শুনে ভালো লাগলো। বিশেষ মজা পেলাম স্কুল ডিউটির নৌকার কথা শুনে
২২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৮
কল্পদ্রুম বলেছেন: প্রথম কোন গান শুনেছিলাম এটা ভেবে দেখলাম।নির্দিষ্ট কোন গানের কথা মনে পড়লো না।আইয়ুব বাচ্চুর—
"এক পুরুষে খায়
আর এক পুরুষ এসে দেখে
খাওয়ার কিছু নাই
আমার তিন পুরুষ..."
এটার কথা বেশি মনে পড়ছে।ক্যাসেট প্লেয়ারে শুনেছিলাম।বিটিভিতে আলমগীরের গলায় "আমার হাড় কালা করলাম রে..." এটার লিরিক্স প্রথমবারের মত খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেছিলাম।যতদূর মনে পড়ে।
গাছে ওঠার অভ্যাস নেই।ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে গেলে যা একটু ওঠা ওতো।তবে বাঁদরামি স্বভাবটা আমার ভিতর তেমন ছিলো না।তাছাড়া এক্রোফোবিয়া থাকার কারণে গাছে গাছে ঝুলে ঝুলে বেড়ানোর ভিতরে আনন্দ পেতাম না।এর চেয়ে খোলা আকাশের নীচে সবুজ মাঠে হাত পা ছড়ায়ে শুয়ে থাকতে বেশি ভালো লাগতো।
স্কুলের প্রথম দিনে কাঁদি নাই।পাশের ছেলেটা খুব কাঁদছিলো দেখে তার মা আমার সাথে তার বন্ধুত্ব পাতায় দিয়ে গেছিলো।সে বন্ধুত্ব এখনো আছে।তবে সে ছেলে এখন মহা চালবাজ হয়েছে।ছোটবেলার ভার্সনের সাথে তার কোন মিলই নাই।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অভিজ্ঞতা হয়েছিলো স্কুলে।'৭১ সালের বিজয় মিছিলে আপনাদের পতাকা হাতে নেওয়ার অভিজ্ঞতা কারো পক্ষে অনুভব করা কঠিন।তবে আমার কল্পনায় সে দৃশ্য কেন যেন খুব জীবন্ত হয়ে ফুটে ওঠে।হাতের তালু ঘেমে যায়।আজীবনই হয়তো এরকম অনুভব করবো।
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আলমগীরের গানটা, সম্ভবত ১৯৯০ সালে, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের একটা কনসার্টে গাওয়া হয়েছিল। আই্য়ুব বাচ্চুর গানটাও খুব বেশিদিন আগের না। আপনি বেশ ইয়াং জেনারেশনের একজন।
গাছ-গাছালি আর খাল-বিলের গ্রামে জন্ম বলেই গাছে-গাছে, খালে-বিলে শৈশব-কৈশোর কেটেছে। আপনার পরিবেশে আমার জন্ম হলেও আমিও আপনার মতোই অ্যাক্রোফোবিকই হতাম
আপনার মহাচালবাজ বন্ধুর কথাটা শুনে মজা পেলাম। অনেকেই আমূল পালটে যায়।
নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ কল্পদ্রুম।
২৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচু গট আ পয়েন্ট । আসলেইতো ওখানে থাকা মানেই অরিজিনাল নাও হতে পারে ।
আমার দেশের বাড়ি শুনলে ডুলু এন্ড ধুলো কেউই আমার সাথে আর কথা বলবে না। তাই বলব না
নাহ বললেও গেজ করলাম বরিশাল, নোয়াখালী অথবা কুমিল্লা । তাতে কি যায় আসে !
কি বোকার মতো কথা বলে সাচুটা । যে এলাকার হোকনা কেনো, কোনও কারণ নেই কথা না বলার । কোনও এলাকা দিয়ে সেখানকার মানুষকে জাজ করতে হয়না । অল গুড । আমি যেটা বলেছি সেটা অনলি তাদের কথা বলা, যারা লোকাল ওখানকার খুব মিষ্টি করে কথা বলে ।
নাহ চক চিনি কিন্তু মাটির পেন্সিল চিনিনা ।
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাচুকে বিস্তারিত বলেছি। আঞ্চলিকতার জন্য একজন আরেকজনের সাথে কথা বলে না, এমনটা হয় নাকি কোথাও?
২৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আব্বা পাকিস্তান আর্মিতে ইস্ট বেঙ্গলে ছিলেন ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠে কানে যেতো রেডিওতে কোরআন তিলাওয়াত হচ্ছে আর আব্বা 7 o'clock blade এ শেভ করছেন, সরকারি ইউনিফর্ম পরছেন। বিচিত্র কারণে বা ভাগ্যর কারণে আমার ছেলেমেয়েরাও একই অবস্থায় ঘুম থেকে চোখ খুলেছে। হয়তো এটিই জীবন চাকা।
শুভ কামনা রইলো ভাই।
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর, নিপাট, শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন দিয়ে আপনার শুরু, এবং আপনার সন্তানদেরও তেমনি। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাই।
২৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: আমরা করবো জয়! আমরা করবো জয়! একদিন... আহা বুকের গভিরে আছে প্রত্যয়. আমরা করবো জয়! একদিন... ।
এই গানটা কি আপনার চ্যানেলে আছে?
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার চ্যানেলে এই গানটা নাই। বাংলা ভার্সন পেলাম এটা, বেশ ভালো লেগেছে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পতাকা কীভাবে যে একটা মন আন্দোলিত করতে পারে, এইমাত্র সেই শক্তি দেখলাম। এই গানের ভিডিওটাতে একটা মেয়ে একা হেঁটে আসতে থাকে। সামনে দুজন বখাটে ছেলে। মেয়েটা তার বুক থেকে বাংলাদেশের পতাকা বের করে; ভাঁজ খুলে কপালে বাঁধে। স্ক্রিনে তখন আরো কয়েকজনকে দেখা যায় কপালে পতাকা বাঁধা। আমি পুরাই মুভ্ড।
২৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ডুলু, আমার দেশের বাড়ি বরিশাল। আমি ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ৬ টা স্কুলে পড়েছি বিভিন্ন জেলায় মায়ের চাকরীর কারণে। দেশের বাড়ি নিয়ে আমার মধ্যে কোনও হীনমন্যতা নেই। আমি যে কোনও মানুষকে আমার দেশের বাড়ি নির্দ্বিধায় বলি। তবে ব্লগে পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য দিতে চাই না বিভিন্ন কারণে ( আপনি জানেন কেন)। আমার বাবা যশোর জেলা স্কুলের ছাত্র ছিলেন কারণ আমার দাদাকেও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সরকারী চাকরীর জন্য ভ্রমণ করতে হয়েছে। যশোরে আমি দ্বিতীয়বার থেকে ছিলাম যখন আমি ক্লাস নাইন, টেন, ইলেভেনে পড়ি। সাইকেল নিয়ে যশোর শহর চষে বেড়াতাম প্রায়ই। এটা ছিল আমার কিশোর বয়সের সব চেয়ে প্রিয় সময়। সাইকেল সাথে থাকলে নিজেকে রাজা মনে হতো। মনে হতো আমার মত স্বাধীন আর কেউ নাই। এখন গাড়িতেও এত স্বাধীনতা অনুভব করি না। সাইকেলকে যে পরিমাণ যত্ন করতাম তা এখন আমার বাচ্চাদেরও করি না। যশোর শহর থেকে প্রায় ১০ কিলো দূরে থাকতাম। কিন্তু প্রায় প্রতিদিন যশোরে আসতাম। সামান্য একটা ক্যাসেট কিনতেও ১০ আর ১০ বিশ কিলো সাইকেল চালিয়ে যশোর চলে যেতাম।
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিজ দেশের সব জায়গা সমান। প্রতিটা ইঞ্চিতে সবার সমান অধিকার। অমুক অঞ্চলের মানুষ বেশি ভালো, অন্য অঞ্চলের মানুষ খারাপ, আমি কোনোদিন এমন করে ভাবি নি, এবং এ ধরনের আলোচনা দেখার তেমন কোনো অভিজ্ঞতাও নেই।
আপনার দুরন্ত কৈশোর আর সাইকেল-প্রেম আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমার কোনো সাইকেল ছিল না। প্রতিদিন এক মাইল হেঁটে স্কুলে যেতাম, আবার ঐ রাস্তায় ফিরতাম। কোনো ক্লান্তি ছিল না। এক সাথে হেঁটে স্কুলে যাওয়ার সেই স্মৃতি এখনো খুব মধুর।
২৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শখ করে অনেক সময় হেটে বাড়ি ফিরতাম বন্ধুদের সাথে এবং পথে হয়ত তেতুল গাছের তলা থেকে কাচা তেতুল কুড়িয়ে খেতাম। ক্লাস ফাইভ বা সিক্স এর কথা বলছি। একবার মাসিক গনিত পরীক্ষা খুব খারাপ হয়েছিল তাই স্কুল শেষ হওয়ার আগেই পালিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম মন খারাপ করে। পরে জানলাম পঁচিশে শুন্য পেয়েছি। সরল অঙ্ক দিয়ে শুরু করার কারণে একটা অঙ্কও মিলাতে পারিনি। এটার প্রতিশোধ নিয়েছিলাম সেই টার্ম পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশী নাম্বার পেয়ে। অঙ্কে পঁচাত্তরে উনসত্তর পেয়েছিলাম। শিক্ষক খুব বিস্মিত হয়েছিলেন কারণ উনি খুব ক্রুদ্ধভাবে তাকিয়ে ছিলেন যখন মাসিক পরীক্ষায় শুন্য পেয়েছিলাম। ক্লাস ওয়ানে যখন ছিলাম তখন আমার বড় বোনের সাথে অনেক সময় তার বান্ধবীর বাসায় গিয়েছি। আমার বোন তখন ক্লাস নাইনে পড়ে। একদিন তার সাথে হেটে যাচ্ছি হঠাৎ খেয়াল করি আমাদের পিছনে একজন যুবক কিছুটা দূরত্ব রেখে আসছে এবং আমার বোনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে। তবে সে ভালভাবেই কথা বলার সুযোগ খুজছিল এবং দূর থেকেই আমার বোনের উদ্দেশ্যে কথা বলছিল। আমার বোন এবং আমি উভয়েই খুব বিব্রতবোধ করছিলাম। গন্তব্যে পৌঁছানোর কারণে সে যাত্রা বেচে যাই। মফস্বলে আসলে এরকম ঘটনা অনেক ঘটতো সুন্দরী মেয়েদের সাথে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অংকে প্রথমে ২৫-এ শূন্য এবং পরে ৭৫-এ ৬৯ পাওয়ার ঘটনায় আপনার জেদ, ডিটারমিনেশন ও ট্যালেন্টের পরিচয় ফুটে উঠেছে। এখনো আপনি তাই। গুড।
আপনার বোনের সাথে যুবকের কথা বলার যে-ঘটনাটি উল্লেখ করলেন, ওটা যে ঐখানে ওভাবে শেষ হয়ে গিয়েছিল, তাতেই স্বস্তিবোধ করছি। বখাটেরা সব যুগে সবখানেই ছিল। একটা ভালো ছেলে, যার আত্মসম্মানবোধ আছে, সে কখনো আগ বাড়িয়ে এভাবে মেয়েদের সাথে কথা বলতে যাবে না।
আবারো ধন্যবাদ প্রিয় সাচু অনেকগুলো মূল্যবান কমেন্টের জন্য।
ডুলুর দেয়া 'সাচু' নামটা আমি নিয়েছি, ভবিষ্যতে আমার কোনো ক্যারেক্টার থাকবে এই নামে। 'সাচু' নামটা শুনে 'সাচ্চু' বলে একটা ছেলের নাম মনে পড়েছে, যে-নামটা খুব পরিচিত, কিন্তু ছেলেটাকে আমি কোনোদিন চোখে দেখি নি
শুভ কামনা।
২৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: প্রথম গান মনে নাই। প্রথম প্রেম মনে আছে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার প্রথম গানটা মনে থাকা নিতান্তই কাকতালীয় এবং ঐতিহাসিক।
তো, আপনার প্রথম প্রেমের ঘটনাটি একদিন শেয়ার করবেন আশা করি।
ধন্যবাদ প্রহর।
২৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনি তো আমার পোস্টে জীবনেও ঘুরে আসলেন না কেমনে জানবেন আমার প্রথম প্রেম শেয়ার করেছি কি করিনি...
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পরিচিত কারো লেখা প্রথম পাতায় দেখলে, কিংবা আলোচিত ব্লগে, আমি সচরাচর মিস করি না, যদি হাতে সময় থাকে। আপনি কি এখনো প্রথম পাতায় অ্যাক্সেস পান নি? আমার চোখে আপনার কোনো পোস্ট প্রথম পাতায় পড়ে নি।
আপনার লেখনিশক্তি তো অসাধারণ। চিলেকোঠার প্রেম-১ পড়ে এলাম। খুব ভালো লিখেছেন।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
৩০| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: চোখে পড়েনি কারণ প্রথম পাতায় আমাকে দেখেননি ধুলোভাই। আমার চিলেকোঠা ১ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ২ এবং ৩ ও দেওয়া হয়ে গেছে। যত তাড়াতাড়ি পারি সবগুলিই পোস্ট করে দেবো।
০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার প্রায় ৪ সপ্তাহের মতো হয়ে গেছে। সময় একটু বেশিই লাগছে মনে হয়। আপনি অন্যদের পোস্ট আরো বেশি পড়ুন, কমেন্ট করুন। আশা করি দ্রুতই প্রথম পাতায় অ্যাক্সেস পাবেন। আপনার লেখার হাত দারুণ। শীঘ্রই আলোচনায় উপরের দিকে উঠে আসবেন।
৩১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৫
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ব্যস্ত থাকতে হয় ইদানিং। অনলাইনের লেখালিখির টাইম কমে গেছে। তারপরও যতখানি পারি চেষ্টা করি।
০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার চিলেকোঠা-৩ পড়তে যাব শীঘ্রই। ধন্যবাদ।
৩২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩৮
কল্পদ্রুম বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।গ্রামের ছেলেমেয়েদের ফোবিয়া টোবিয়া কমই।যত সব উদ্ভট চিন্তাভাবনা শহুরে মানুষদেরই।যদিও গ্রামের যে চিরায়ত চিত্র আপনার লেখাতে পাই।তা অনেকটাই বদলে গেছে।আপনি জানেন।
গ্রামের অনেক ছেলে মেয়ের মুখেই শুনি।গ্রামে থাকলেও বড় হয়েছে শহরের বাচ্চাদের মতই।যদিও আমার বড় হওয়ার সময়টা কেটেছে মফস্বল শহরে।বড় শহরের ভাব কায়দা সেখানে ছিলো না।তবুও আপনাদের সেকাল আর একালের পার্থক্য তো ছিলোই।
আপনি বেশ ইয়াং জেনারেশনের একজন। ইন্টারেস্টিং অবজার্ভেশন।আমার দুইটা লেখাতে আপনার মন্তব্য পেয়েছি।ওইসব লেখাতে কি বুড়ো মানুষের ছাপ আছে!নোভিশ লেখা পড়ে তো আগেই অনুমান করতে পেরেছিলেন বোধহয়।
শিবরাম চক্রবর্তীকে নিয়ে সুনীলের একটা ছোটগল্প পড়েছিলাম।সেখানে শিবরাম কখনো বৃদ্ধ,কখনো তরুণ যুবক,কখনো কিশোর রূপে উপস্থিত হচ্ছেন।শিবরামের লেখা পড়ে তাকে নিয়ে আমারও অবশ্য একই অনুভূতি কাজ করে।
আলমগীর নিজেও ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন বলে জানি।মুক্তিযুদ্ধের আগেই পাকিস্তানে ছিলেন।পরে তো পাকিস্তানেই সেটেল করেছেন।তার গলায় "আমায় ভাসাইলিরে আমায় ডুবাইলি রে..." এটাও ভালো লাগে।কোক স্টুডিওর একটা ভার্সন আছে।শুনেছেন কি না!
ইউটউব লিংক।
০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখা পড়ে বয়স আন্দাজ করা খুব ডিফিকাল্ট। অনেকের লেখাই তাদের বয়সের চাইতে অনেক ম্যাচিউর। আবার অনেক বয়স্ক মানুষের ম্যাচিউর লেখা থেকেও মনে হতে পারে তার বয়স বেশি না
যাই হোক, আপনার প্রথম গান শোনার সময় থেকে আন্দাজ করেছি আপনি বেশ ইয়াং জেনারেশনের। আলমগীরের গান ৯০-এর আগে হতে পারে না, আইয়ুব বাচ্চুর গানটাও বেশি পুরোনো না, কাজেই আপনার বয়স খুব বেশি হবার সুযোগ দেখি না আপনার লেখার মান অনেক উন্নত ও সাবলীল, তা থেকে বয়স কম মনে হয় নি
আলমগীরের কোক স্টুডিয়োর ম্যাশাপ সংটা কনসার্টের গানের মতো ভালো লাগে নি আমার। এটাতে ফারিহা'র অংশটার সাথে আলমগীরের অংশ ম্যাচ করে নি, ফারিহার অংশ বেটার মনে হয়েছে।
আলমগীর নিজেও মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন।
৩৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৮
মিরোরডডল বলেছেন:
ব্লগে ২০১৭ তে সাইন ইন করলেও ইন বিটুইন খুব বেশী আসা হয়নি । এটুকু সময়ের মাঝেও একবার ৬ মাস আরেকবার ৪ মাস একদমই আসিনি । মাঝে মাঝে আসি পড়ি আবার চলে যাই কিন্তু এবছর এই করোনার কারনে গৃহবন্দী হয়ে আমার শুরু হলো । হোম অফিস করি , রাত জাগা হয় , কোনও ফিক্সড রুটিন নেই, সব এলোমেলো, এই করেই লাস্ট ফিউ মান্থে এই নেশাটা হয়েছে । আশা করা যায় সুন আবার ব্যাক টু নরমাল লাইফ, একদম আগের মতো ব্যাক আর হবেনা কিন্তু কিছুটা হবে । টিল দেন এই অনিয়ম চলছে চলবে ।
০৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: করোনা তাহলে ব্লগিঙের জন্য একটা ফেভারেইবল সিচুয়েশন তৈরি করে দিয়েছে! শুরু থেকেই ব্লগে খুব অ্যাক্টিভ ছিলাম। মাঝখানে দুই বছর ইন্টারেস্ট হারিয়ে গিয়েছিল। এরপর অসুস্থ ছিলাম অনেক দিন। তখনো ব্লগে তেমন মজা পেতাম না, বেশি সময় দিতাম ফেইসবুক আর ইউটিউবে। ব্লগ যখন ব্লক্ড ছিল, তখন খুব রাগ লাগতো, আসতাম খুব কম।
আপনি অনিয়মিত ছিলেন। হঠাৎ আমার একটা গানের পোস্টে আপনার কমেন্ট। এরপর দেখি গানের পোস্টে আপনার ভালো ইন্টারেস্ট। একটা গানের পোস্ট আপনার নামে উৎসর্গও করেছিলুম
৩৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
মিরোরডডল বলেছেন:
আপনার কমেন্ট থেকে বুঝলাম আপনার ঘুম কম হচ্ছে। আমি দিনের বেলা ঘুমাতে পারি না। সকালে শুইলে সেই ঘুম হয় ডিস্টার্বড।
আমার সিভিয়ার ইনসমনিয়া ছিলো একসময়, চিকিৎসা করে ভালো হয়ে গেছে কিন্তু মাঝে মাঝে আবার ফিরে আসে । কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে তা আগের কমেন্ট বলেছি পুরোই অনিয়মের জন্য । আমার দিনে ঘুমানোর অভ্যাস নেই মাঝে মাঝে যদিও কখনো হয় খুব বিরক্ত লাগে একদম সিক ফিল করি ।
ইউ আর রাইট , ইদানিং দু তিন ঘণ্টার বেশী ঘুমানো হয়না । লাস্ট উইকেন্ডে আমি এখানেই ছিলাম সারারাত সকল পর্যন্ত । তারপর কি হলো ৭টায় ঘুমিয়ে ৯:৩০ উঠেই আবার বের হতে হয়েছে । তখন ড্রাইভ করতে যেয়ে অবস্থা খুই খারাপ, মনে হচ্ছিলো এই এখন তখন একসিডেন্ট করলাম বলে ফোকাস করা কঠিন ।
০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কী কারণে ঘুম হয় না তার কারণগুলো বের করা গেলে এর প্রতিকার সম্ভব। চিন্তা বা দুশ্চিন্তার কারণে প্রধানত ঘুম কম হতে পারে। শারীরিক অসুস্থতার (হিডেন ডিজিস) কারণেও হতে পারে। নিয়মিত ঘুমালে দুশ্চিন্তাও কম হয় শরীরও সুস্থ থাকে।
৩৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
মিরোরডডল বলেছেন:
দীর্ঘদিন ঘুমের ঘাটতি নিয়ে চলতে থাকলে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাবে, যার ইফেক্ট হবে কিডনি ফেইলিওর, ডায়াবেটিস, হার্ট ফেইলিইওর/স্ট্রোক, ইত্যাদি।
একদিন আমি অফিস করছি কিন্তু ফর সাম পার্সোনাল রিজন ভীষণ স্ট্রেস ছিলাম । কাজে মন দিতে পারছিনা । অস্থির আর অস্থির । বাসায় ফেরার সময় সন্ধ্যায় কি মনে করে ফার্মেসিতে ঢুকলাম একটা মেড কেনার ছিল । সেসময় ফার্মাসিস্ট আমাকে বললো বসতে প্রেশারটা মাপলো, এর আগে আমি কখনোই আমার প্রেশার চেক করিনি । দরকার হয়নি । এই বিষয়ে আমার কোনো হেডেকই ছিলোনা কোনোদিন । তারপর সে একটু অবাক হয়েই আমাকে বললো তুমি আরো কিছুক্ষন বসো আমি আরেকবার প্রেশার টা মাপতে চাই । তার কথামতো ওয়েট করলাম, সে আবার চেক করলো তারপর আমাকে বললো তোমাকে এখনি ডক্টরের কাছে যেতে হবে । আমি বললাম এখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে আর তাছাড়া আমার কোনো এপয়েন্টমেন্ট করা নেই এখনতো হবে না, কিন্তু কেনো ডাক্তার কেনো ।
বাই দা ওয়ে আমার জিপি যাকে আমি সবসময় দেখাই সে ফার্মেসির কাছে হাটাপথেই বসে । ফার্মাসিস্ট বললো ডোন্ট ওয়ারী এপয়েন্টমেন্ট লাগবে না আমি নিয়ে যাচ্ছি, বলে সে কাউন্টারে একজনকে বলে আমাকে নিয়ে চেম্বারে গেলো । গিয়ে দেখি ডাক্তারের চেম্বার ফুল অব পেশেন্ট । আমাকে বসিয়ে সে রিসেপশনে কথা বলে তার হাতের লেখা একটা ছোটো স্লিপ দেখালো । রিসেপ্সশনিস্ট উঠে আমাকে দেখলো । আমাকে বলল তুমি থাকো এখনই ডাক্তার তোমাকে দেখবে বলে সে চলে গেলো, আমিও থ্যাংকস জানালাম । তখনও আমি জানিনা হোয়াটস গোয়িং অন । তারপর ডকের রুমে যখন গেলাম আবার প্রেশার চে্ক করে আমাকে ইচ্ছামত বকা দিলো । প্রেশার ১৬৩-২২০ । এটা নিয়ে আমি অফিস করছি । সে বলল তুমি লাকি যে তোমার এখনও স্ট্রোক করেনাই । কি করে এটা পসিবল । কেনো কখনও চেক করনি যে বিপি এরকম হাই !
আমিতো অবাক আই হ্যাভ নো আইডিয়া আবাউট ইট । সেই যে ডাক্তার মেডিসিন ধরিয়ে দিলো এভরি ডে আমাকে প্রেশারের মেড নিতে হয় । অনেকবার কাট মারার চেষ্টা করেছি । আমার ভালো লাগেনা । কিন্তু ডকের করা নির্দেশ কিছুতেই ছাড়া যাবেনা । মেশিনও কেনা হল টাইম টু টাইম চেক করা হয় । সেইসময় থেকে স্ট্রেসকে ঝেটিয়ে বিদায় করেছি । স্ট্রেস থেকে ১০০ হাত দূরে থাকি এখন ।
আমি তো আমার জীবনটাই হারাইতে বসছিলাম
ধুলোর কি হয়েছিলো ?
০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তার মানে কী, আপনি নিয়মিত প্রেশারের ওষুধ খাচ্ছেন?
বিপি ইটসেলফ ইজ নট এ ডিজিস, বিপি হলো অন্য কোনো রোগের সিম্পটম। কী কারণে বিপি বেড়েছে, তার ইনভেস্টিগেশন করাতে হয়। কিডনির আল্ট্রাসনোগ্রাফি হলো ফার্স্ট স্টেপ। এর সাথে ক্রিয়েটিনিন, ইউরিয়া, ইউরিন রুটিন একজামিনেশনও করা হয়। এগুলো নরমাল পাওয়া গেলে আপাতত রিলিফ। তখন ধরে নেয়া হয় সাময়িক স্ট্রেসের কারণে বিপি রাইজ করে থাকবে।
বছরে অন্তত একবার কিছু টেস্ট করা উচিত, যেমন, ক্রিয়েটিনিন, ইউরিয়া, এলএফটি, লিপিড প্রোফাইল, সিবিসি। এ থেকেই বোঝা যাবে শরীর কতখানি সুস্থ/ফিট আছে।
আমার কী হয়েছিল? ২০১৬ অনওয়ার্ড অনেক ব্লগারই জানতেন আমার ব্যাপারে। কাহিনি অনেক করুণ এবং লম্বা
৩৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
শারীরিক অসুস্থতার (হিডেন ডিজিস) কারণেও হতে পারে।
আরেহ নাহ , কোনও অসুস্থথা না । অল গুড । শুধু তিনবার সার্জারি হয়েছে , একবার বায়োপসি আর এখন রেগুলার টাইম টু টাইম রেডিওলোজি টেস্ট করি এইতো, এগুলো কিছুই না ।
এতকিছুর পরও ফাটাফাটি আছি । মনে হয়েছে কখনও কোনও ইস্যু এগুলো ? একদম না ।
লাইফ ইজ বিউটিফুল এন্ড আই’ম এঞ্জয়িং এভরি সিঙ্গেল মোমেন্টস অব ইট ।
আমি আমার মনের মতো করে জীবন উপভোগ করি । নিজের মতো করে বাঁচি ।
কাহিনি অনেক করুণ এবং লম্বা
সো ? আমিতো জানিনা । যদি কোনও লেখা থাকে আমাকে লিংক দেয়া হোক । অর এখনই বলা হোক ।
হাউ আর ইউ ডুইং নাউ ? আই হোপ অল ওকে ।
০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুধু ৩বার সার্জারি? ৩টা সার্জারি তো অনেক বেশি। রেডিওলজি টেস্ট কীজন্য?
যাক, এতকিছুর পরও ফুললি ফিট আছেন, সেটাই স্বস্তিকর।
ফেইসবুকে আমার সাথে যারা কানেক্টেড তারা সবই জানেন। ২০১৭-এর ১৯ মে তারিখে আমার একটা কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়। আল্লাহর রহমতে এখন ভালো আছি। সার্জারির আগে এটা ছিল আমার পোস্ট। একটা কবিতা।
৩৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২১
মিরোরডডল বলেছেন:
শুধু ৩বার সার্জারি? ৩টা সার্জারি তো অনেক বেশি। রেডিওলজি টেস্ট কীজন্য?
একটা সার্জারি মাইনর, বাকি দুটা মেজর, ইমারজেন্সি সিচুয়েশনে করতে হয়েছিলো ।
রেডিওলোজী টেস্ট কেনো, সবকথা বলে দিলে হবে ! থাক না হয় কিছু বিষয় অজানা ।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
রেডিওলোজী টেস্ট কেনো, সবকথা বলে দিলে হবে!
কিছু তো গেস করতে পারছি
৩৮| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৩
মিরোরডডল বলেছেন:
@সাড়ে চুয়াত্তর
সাচুর কৈশোর স্মৃতি পড়তেও ভালো লেগেছে ।
থ্যাংকস সাচু ।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমারও ভালো লেগেছে।
৩৯| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৯
মিরোরডডল বলেছেন:
ধুলো মনে পড়ে এই কিছুদিন আগেও আমি কেমন পজেসিভ হয়েছিলাম কেউ একজন ধুলো বলে ডাকায় । আমি বলেছি না শুধু আমি একা ধুলো ডাকবো । আই মিন এটা শুধুই ডুলুর ধুলো, অন্য কেউ ডাকবে না । হা হা হা ......
আর এখন কিন্তু পুরো জাতির হয়ে গেছে
লুক, আমাদের সাচু ফাউন্ডার হয়ে কোম্পানি খুলে ফেলেছে লাইক সন্স এন্ড ব্রাদার্স , ডুলু এন্ড ধুলো
খুবই মজা পেয়েছি আমি
সাচুকে থ্যাংকস !
১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের সাচু ফাউন্ডার হয়ে কোম্পানি খুলে ফেলেছে লাইক সন্স এন্ড ব্রাদার্স , ডুলু এন্ড ধুলো । হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা। তাই তো!!!!
কিন্তু, সাচুর এই সাহস কীভাবে হলো? সে কি ডুলুর পূর্বানুমোদন গ্রহণ করেছিল? না করে থাকলে ডুলু কিন্তু মামলা করে দিতে পারে
৪০| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: তার মানে কী, আপনি নিয়মিত প্রেশারের ওষুধ খাচ্ছেন?
অফকোর্স রেগুলার, দু বছর চলছে । ওই যে রেঞ্জটা অনেক ওপরে । যখন আপ হয় এক্সট্রিমলি হাই । আমারটা একদমই স্ট্রেস রিলেভেন্ট, তাইতো স্ট্রেস ফ্রি থাকার ট্রাই করি । এর মাঝেই লাস্ট সার্জারি হয়েছে দেড় বছর আগে । একটানা মোর দেন সিক্স মান্থস সামুতে আসিনি , পেজটা খুলেও দেখিনি । হুম ধুলো আমি এনুয়াল চেক আপ করাই । প্লাস ওই যে বললাম কিছু টেস্ট রেগুলার করাতে হয় ফলো আপ আছে ফর সাম রিজন ।
বাট এট দা এন্ড, আমি এগুলো খুব ইজিলি নেই । দিজ অল আর পার্ট অভ লাইফ । যে কদিন আছি এসব নিয়েই থাকতে হবে । সো মোমেন্টগুলো এঞ্জয় করার চেষ্টা করি ।
আমি জানি যে ধুলো ভালো জানে কি করতে হবে , তারপরও বলি অলওয়েজ বি কেয়ারফুল এন্ড মেইনটেইন । ব্যাক অভ মাইন্ড একটা টেনশন থাকেই ।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
যে কদিন আছি এসব নিয়েই থাকতে হবে। খুব ভয় ধরানো কথা বলেছেন কিন্তু, শরীর চমকে ওঠে। যাই হোক, আপনার জন্য সর্বান্তকরণে দোয়া করি, আপনি সুস্থ থাকুন, দীর্ঘজীবী হোন।
৪১| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সোনাবীজ ভাই- আপনার অসুস্থতার কথা জানতাম না। তবে চিন্তার কোনও কারণ নাই আমাদের সবাই অসুস্থতার দিকে যাচ্ছি ধীরে ধীরে। তার পরে একেবারে এই জগত ছাড়তে হবে। হয়তো বেশী দিন বাকি নাই। আল্লাহ্ ভালো জানেন।
প্রেশারের জন্য এলোপ্যাথির পাশাপাশি আমি হোমিওপ্যাথি খাই। ডুলুকেও বলব অস্ট্রেলিয়াতে পাওয়া গেলে খেতে পারেন।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাচু ভাই। আমার মেডিসিন ফিক্সড। আল্লাহর রহমতে অল মেডিসিন অ্যাডজাস্টেড উইথ দ্য বডি। দোয়া করবেন।
৪২| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
থ্যাংকস ধুলো, নাহ ভয় পাবার কিছু নেই, সো ফার সো গুড ।
আপনি অনিয়মিত ছিলেন। হঠাৎ আমার একটা গানের পোস্টে আপনার কমেন্ট। এরপর দেখি গানের পোস্টে আপনার ভালো ইন্টারেস্ট।
হ্যাঁ আমার মনে আছে । ওটা ছিল তপনের গান, আমার খুবই প্রিয় তাই কমেন্ট করেছিলাম । মন্তব্য প্রতিমন্তব্যে আমি ধুলো বলে এড্রেস করেছিলাম । তখনই প্রথম আমার এই নিকের সাথে পরিচয় কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে পরে দেখেছি তার আগেও কোনও একটা পোষ্টে শিরোনাম দেখে কমেন্ট করেছিলাম, নিক খেয়াল করিনি । সেটা ছিল ‘মেয়েটি পেছন থেকে ডেকেছিলো’ এরকম কিছু একটা । তখন জানতাম না এটাই ধুলো, নিক মনে ছিলো না ।
একটা গানের পোস্ট আপনার নামে উৎসর্গও করেছিলুম
হ্যাঁ মনে আছে একটা ফান পোষ্ট উৎসর্গ করেছিলো ।
লেখক বলেছেন: একটা চমৎকার গান শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এ পোস্ট দেখে কতখানি হেসেছেন বা কেঁদেছেন, তা একদিন জানাইয়া যাইয়েন।
তখন তো নতুন ছিলাম তাই বলিনি এখন জানাই ? খুবই পচা একটা পোষ্ট । হাসির পাশাপাশি কেঁদেছি মনে মনে
এখন ভাবি ধুলোর কালেশনে কতো সুন্দর গান, দারুণ দারুণ গান পোষ্ট করে আর আমাকে কি দিয়েছিলো
১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
নাহ ভয় পাবার কিছু নেই, সো ফার সো গুড । May Allah save you and bless you.
হ্যাঁ আমার মনে আছে। ওটা ছিল তপনের গান। কোন পোস্টটা উৎসর্গ করেছিলাম সেটা খুঁজে পেলাম না। ডল থেকে ডুলু হওয়ার কনভার্সেশনও খুঁজলাম, পেলাম না
অবশেষে আমিও খুঁজে পেলুম গানগুলো জটিল তো
৪৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
@ সাড়ে চুয়াত্তর
এলোপ্যাথির একটাই রেগুলার মেইনটেইন করা মহা ঝামেলা মনে করে ওষুধ খাওয়া, আবার হোমিওপ্যাথি ?
আমাকে দিয়ে হবেনা সাচু
তারপরও অনেক থ্যাংকস ফর ইউর কনসার্ন ।
১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাকে স্পেসিফাইড মেডিসিনের বাইরে অন্য মেডিসিন নেয়ার প্রয়োজন পড়লে নেফ্রোলজিস্টের ক্লিয়ারেন্স/ভেরিফিকেশন নেয়ার প্রয়োজন পড়ে।
৪৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
সেটাই ধুলো ! কতকিছু যে মেইনটেইন করতে হয় এবং এভাবেই করতে হবে রিমেইনিং ডেইজ ।
আমাকেও অনেক কিছু মেইনটেইন করতে হচ্ছে ।
অনেকেই কারো পরিচয় জানতে চান - ঐ যে ডুলি, বাড়ি টাঙ্গাইল, তাকে চিনেন?
এটার শানে নজুল কি ধুলো ?
১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি আঞ্চলিক ভাষা কোনটা কোন অঞ্চলের তা বুঝি না, বোঝার চেষ্টাও অবশ্য করি নাই কখনো। এবং মানুষকে কারো ডিস্ট্রিক্ট বা ঠিকানা অনুযায়ীও মনে রাখি না। অথচ, আমার স্ত্রীকেই দেখি কারো কথা শুনেই বলে দিতে পারে সে কুমিল্লা নাকি যশোরের লোক।
মূল পয়েন্ট, কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করেন, ভাই, খুলুকে চিনেন? ওই যে তার বাড়ি ময়মনসিংহ?
আমি বাড়ির ঠিকানা যেহেতু মনে রাখতে পারি না, শুধু বলি, ঐ ডুলুকে চেনেন, সামু কোম্পানির পাগলা এমডি?
৪৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১০
মিরোরডডল বলেছেন:
১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নীচের এই ইমোটিকনগুলোর অর্থ কি জানেন?
৪৬| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:০৪
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অন্যরকম এক আবেগের দুনিয়ায় চলে গেলাম লেখাটি পড়ে। ভেবেছিলাম পোস্টটি নিছক আনন্দ/মজার হবে, ছোটবেলার হাসিঠাট্টায় ভরপুর থাকবে - কিন্তু নাহ - তারচেয়ে অনেক বেশি কিছু ছিল! ব্লগে পড়া সেরা কিছু স্মৃতিকথনের মধ্যে একটি হয়ে থাকবে আপনার লেখাটি।
পোস্টে অবশ্যই লাইক!
১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওহে প্রিয় সুলু, ঘটনাগুলো আসলে আবেগেরই। আমাদের ছোটোবেলা মানেই আনন্দ-উল্লাসে ভরপুর তবে, নিশ্চয়ই কিছু করুণ বা আশ্চর্য ঘটনাও থাকবে সেখানে, যেগুলো মনে করতে গেলে আবেগে মন ভেসে যায়। ফ্রি-তে নেবুনচুষ খাওয়ার কথাও মনে ভেসে ওঠে আপনার মতো
সুলুর কমেন্টে খুব আপ্লুত বোধ করছি, 'অনেক বেশি কিছু ছিল!' বলে। এবং 'ব্লগে পড়া সেরা কিছু স্মৃতিকথনের মধ্যে একটি হয়ে থাকবে আপনার লেখাটি।' বলায় আমার আবেগ আরো বেশি উথলে উঠলো।
কিশোরী সুলুর কানাদার পথে যাত্রা শুভ হোক। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
৪৭| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগে এখন আসার খুব কম সময় পাই। হূট করে এসে দেখি আপনার পোস্ট। ২টা পোস্টই পড়লাম।
আপনার বাল্য স্মৃতি অম্ল মধুর।
ভালো থাকুন ভাই।
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিছুদিন ব্লগে বেশ অ্যাক্টিভ ছিলাম, এখন আবার একটু ঝিমিয়ে পড়েছি যাই হোক, হুট করে এসে আমার ২টা পোস্ট পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ যুনাইদ ভাই। শুভেচ্ছা।
৪৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: নীচের এই ইমোটিকনগুলোর অর্থ কি জানেন?
) :``<< :-& (
নাহ জানিনাতো
কি মানে ধুলো ????
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তাইলে আর কী জানেন
আমিও জানি না
৪৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সোনাবীজ ভাই - আপনি যদি আপনার কোনও লেখায় সাচু নামটি ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে ডুলুর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কারণ উনি নামটি দিয়েছেন। কপি রাইটের মালিক ডুলু। আমার দিক থেকে কোনও সমস্যা নাই বরং আমি আনন্দিত হবো।
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাচু, ভালো কথা মনে করাইয়া দিলেন ভাই। কবে আবার মামলায় পড়ে যাই তা বলা যায় না। অনেক ধন্যবাদ মানবিক পরামর্শের জন্য।
৫০| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ইস কতো যে ঢং জানে......... সাচু !!!
নিজে যখন ডুলু এন্ড ধুলো কোম্পানি শুরু করে আমার পারমিশন নিয়েছিলো ?
ভাগ্য ভালো যে আমি আদালতে নেইনি
হা হা হা…… আসলে আমার খুবই ভালো লাগে যখন দেখি আমার দেয়া নামগুলো অন্যরাও ডাকে ।
শুধু একজন ছাড়া , একটা দুষ্ট জিন আছে, সে ছাড়া অন্য যে কেউ ডাকুক ইটস ওকে
কি মজা নাহ ! সাচু নামে গল্প আসবে, বাহ !
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আসলে আমার খুবই ভালো লাগে যখন দেখি আমার দেয়া নামগুলো অন্যরাও ডাকে।
৫১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান অতীত সৃতি আপনি মনে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যে ৩টার কথা বললেন তার কোনোটার কথাই আমার মনে নাই।