নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

পান্তাভাত

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৫

ধানমন্ডি স্টার কাবাব। সুন্দর, নিরিবিলি বিকেল; এখনো রেস্টুরেন্টের ভিতর-বাহির বেশ ছিমছাম। রাকুল রিকশা থেকে নেমে বাইরের একটা খালি টেবিলে বসে পড়লো।
প্রতি উইকএন্ডেই অফিস থেকে ফেরার পথে এখানে থামে রাকুল। এখানকার শিক কাবাব এ শহরের সেরা কাবাব। পরোটাও সেরা; নরম এবং একটু মচমচে, অন্যান্য রেস্টুরেন্টের পরোটার চাইতে আলাদা।
রাকুলের খুব ভালো লাগছে নরম রোদে রাঙানো হাসি ঝলমল বিকেলটা। কয়েকটা টেবিলে যুবক-যুবতীরা জোড়ায় জোড়ায় বসেছে, কোথাও ছেলেমেয়েসহ দম্পতিরা। রাকুলেরও এমন রঙিন দিন সামনে ঘনিয়ে আসছে, রাকুল মনে মনে ভাবে।
রেস্টুরেন্টের ভিতরে একটু জটলা বেশি মনে হচ্ছে। সন্ধ্যার পর প্রচুর ভিড় হয় এখানে। রাকুলের টেবিলটাই শেষ খালি টেবিল ছিল; একটু পর হয়ত কেউ না কেউ এসে এ টেবিলেও ভাগ বসাবে।
ওয়েটার এসে অর্ডার নিয়ে গেল। দুটো পরোটা, ১টা শিক-কাবাব। এদের কুকিং ভালো, উন্নত হাইজিন, ওয়েটারদের সার্ভিসও ভালো। তারপরও, ওয়েটারদেরকে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে না রেখে শুরুতেই ওদের হাতে ৫০ টাকার একটা নোট ধরিয়ে দেয় রাকুল। ওয়েটাররা দ্বিগুণ উৎসাহে সার্ভ করতে থাকে।

আজকের কাবাবটা যেন অন্যদিনের চাইতে একটু বেশিই আলাদা এবং মজাদার। পরোটাটাও কম যায় না। রাশান সালাদ অনন্য। টুকরো টুকরো করে পরোটা ছিঁড়ে সালাদ আর কাবাব দিয়ে মাখিয়ে খেতে থাকলো রাকুল।
এখানে খেতে বসলে মুহূর্তেই সে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। ভার্সিটি লাইফেও মাঝে মাঝে এখানে আসতো সেরিনাদের সাথে। সেরিনার মা-বাবা ওদের দু ভাইবোনকে নিয়ে প্রতিমাসে অন্তত দুদিন বাইরে লাঞ্চ বা ডিনার করতেন, এবং অন্তত একদিন তাদের সাথে রাকুল থাকতো। রাকুল সেরিনাকে পড়াতো। খুব ভালো ছাত্রী ছিল সেরিনা। ওরা দু ভাইবোন ওকে ‘ভাইয়া’ ডাকতো, আর সেরিনার মা-বাবা ওকে নিজ সন্তানের মতোই ভালোবাসতেন। ছাত্রজীবনে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল রাকুলকে, নিজের টাকায় আজকের মতো এরকম বিলাসী খাবার খাওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। সেরিনার বাবা হাসান সাহেবের কাছে রাকুল চিরকৃতজ্ঞ। তিনি সেরিনাকে পড়ানো বাবদ কোনো ফিক্সড অ্যামাউন্ট দিতেন না এবং হঠাৎ হঠাৎ জোর করে কিছু পকেট খরচও দিতেন, যদিও তা নিতে রাকুলের খুব লজ্জা হতো। বলতে গেলে পুরো ভার্সিটি লাইফই সে হাসান সাহেবের টাকায় পার করে দিয়েছিল।
হাসান সাহেব তাকে খুব উৎসাহ দিতেন পড়ালেখায়। রাকুল এমনিতেই মেধাবী, তার উৎসাহে সে আরো জ্বলে উঠতো। হাসান সাহেবই তাকে কর্মসংস্থানের নানান পথঘাট দেখিয়ে দিয়েছিলেন, যেই পথ ধরে হেঁটে রাকুলের আজকের এই উন্নত অবস্থানে আরোহণ। সে খুব খুশি এ কারণে যে, সে হাসান সাহেবের সততা ও একাগ্রতা নিজ জীবনে গ্রহণ করে তা বজায় রাখতে পারছে।

খাওয়াদাওয়া একেবারে শেষের দিকে। ইতিমধ্যে আরেকজন মধ্যবয়সী দম্পতি কোথাও খালি টেবিল না পেয়ে একটু ইতঃস্তত দাঁড়িয়ে থেকে ওর টেবিলেই যথাযথ সৌজন্য প্রদর্শন করে বসে পড়েছেন। রাকুল তাদের দিকে তাকিয়ে স্মিত হেসে ‘প্লিজ বসুন, সমস্যা নেই’ বলে চেয়ার একটু অ্যাডজাস্ট করে বসেছিল।
কাবাবের শেষ টুকরোটি অবশিষ্ট পরোটা দিয়ে ধরে সালাদ মাখিয়ে মুখে তুলতে তুলতে আনমনে বামদিকে তাকালো রাকুল, এমন সময় অদূরে একটা দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়ানো নোংরা জামা পরা ময়লা চেহারার ৪/৫ বছরের মেয়েটার দিকে চোখ যায় তার, সে কাবাবের টুকরোটি ওভাবেই ধরে রেখে কী ভেবে যেন মেয়েটাকে বলে বসলো, ‘খাবি?’ মনে হলো, কথাটা মুখ থেকে বের হওয়ার আগেই মেয়েটি এমন ভাবে ডান হাত বাড়িয়ে ছুটে আসতে লাগলো, যেন এতক্ষণ ধরে সে এই ‘খাবি?’ কথাটা শোনার জন্যই অপেক্ষা করছিল।
রাকুল মুহূর্তের মধ্যে চলে গেল ওর ছোট্ট বেলায়। ওদের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বাবা খুব কষ্ট করে যা আয় করতেন, তাতে ওদের দুবেলা পেট পুরে খাওয়া জুটতো না। একবেলা ভালো করে খেতে পারলেও আরেক বেলা হয় না খেয়ে অথবা আধপেট খেয়ে কাটাতে হতো।

একদিন সকালবেলা মাঠ থেকে গরুর ঘাস কেটে এনে বাসায় এসে খেতে বসেছে রাকুল। খিদেয় ওর পেট খুব জ্বলছিল। কিন্তু ওর জন্য মাত্র কয়েক লোকমা পান্তাভাত হাঁড়ির তলায় পড়েছিল, আর ছিল হাঁড়ির বুক পর্যন্ত পান্তাভাতের সাদাটে পানি। রাকুল সেই কয়েক লোকমা নরম পান্তাসহ হাঁড়ির সবটুকু পানি ঢেলে থালা ভরে ফেললো। এরপর একটা কাঁচামরিচ লবণ দিয়ে ডলে পেঁয়াজ দিয়ে খেতে থাকলো। মাত্র তো কয়েক লোকমা পান্তা। পুরো থালায় জালের মতো আঙুল দিয়ে ভাতগুলো ছেঁকে খেতে থাকলো; মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল। পেটের খিদে যেন আরো দাও দাও করে জ্বলে উঠলো। পাতের পানিটুকু খেলেই হয়ত সেই আগুন সামান্য হলেও কমবে। সে দু হাতে থালা তুলে কেবল মুখের কাছে ধরেছে, অমনি ওর ছোটোবোন মালেকা, যে এতক্ষণ ঘরের দরজা ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বড়ো ভাইয়ের খাওয়া দেখছিল, খুব করুণ কণ্ঠে বলে উঠলো, ‘ভাই, তুই কি পানিডা খাবি?’ রাকুল বোনের দিকে মুখ ঘুরিয়ে ‘নে খা’ বলতেই মালেকা যেন ছোঁ মেরে ভাইয়ের হাত থেকে থালাটা কেড়ে নিয়ে দ্রুত ঢকঢক করে খেয়ে ফেলেছিল পুরোটা পানি। পাতের পান্তাভাতের পানি কেউ এভাবে চায়? কিন্তু মালেকার খিদেটাও এত তীব্র ছিল যে, সে ভাইয়ের কাছে ঐ পানিটুকুও চেয়ে খেতে লজ্জা কিংবা কুণ্ঠাবোধ করে নি। রাকুলের চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গিয়েছিল। ওর ঘাড়ের সামান্য কাছেই বোনটা এতক্ষণ দাঁড়িয়েছিল, তাকে একমুঠো পান্তা না সেধে ও পুরোটা কীভাবে সাবাড় করে ফেললো! এ দুঃখটা এখনো ওর বুকের ভিতর দগদগে ক্ষতের মতো জেগে আছে।

মেয়েটা ময়লা পোশাকে একেবারে ওর কাছে চলে এসেছে; হয়ত বাতাসে এক-আধটু উড়ে এসে ওর জামাটা রাকুলের গা ছুঁয়ে দিচ্ছে। মেয়েটা হাত বাড়িয়ে ধরে এসেছিল, এখন হাত নামিয়ে নিয়েছে, একটু বিব্রত ও আশাহত ভঙ্গিতে। হয়ত ভাবছে, আগে সাধলেও এখন আর হাতের টুকরোটি ওকে দেয়া হবে না। কিন্তু রাকুল হঠাৎ অতীতে মগ্ন হয়ে যাওয়ায় মুখের কাছে কাবাবের টুকরোটি স্থির স্ট্যাচুর মতো ধরে রেখেছিল।
মেয়েটা মলিন মুখে দাঁড়িয়ে আছে রাকুলের মুখের দিকে তাকিয়ে। রাকুল সম্বিৎ ফিরে পেয়ে নিজেও একটু বিব্রত হয়। চারপাশে মানুষ। তার টেবিলে আরো একজোড়া নর-নারী। এত কাছে একটা মেয়েকে ডেকে এনে এভাবে দাঁড় করিয়ে রেখেছে, মানুষ হয়ত এখন ওর মানবিকতার চেয়ে নিষ্ঠুরতার দিকটাই দেখতে পাবে।
রাকুল ত্বরিত নিজেকে সামলে নেয় এবং পূর্বাপর কিছু না ভেবেই বলে ‘হাঁ কর তো’, মেয়েটাও খুব স্বাভাবিকভাবে মুখ হাঁ করে – তারপর কাবাবের টুকরোটি মেয়েটার মুখে ঢুকিয়ে দেয় রাকুল। মেয়েটা কি কখনো ভেবেছিল, এমন ‘সাহেবি’ পোশাকের কেউ ওকে এরকম কখনো-চেখে-না-দেখা কাবাবের একটুকরো মাংস নিজ হাতে ওর মুখে তুলে দিবে?
তারপর রাকুল কী করলো? ওর পাশে একটা খালি চেয়ার টেনে নিল, অনেক আদর করে মেয়েটাকে ওখানে বসালো, আর ওয়েটারকে আরো কাবাব আর পরোটার অর্ডার দিয়ে মেয়েটাকে খাওয়াতে লাগলো, যতক্ষণ পর্যন্ত মেয়েটা খেতে পারলো।

৮ আগস্ট ২০২০

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:০৩

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: বিষণ্ণ সুন্দর। দুঃখ-বেদনা অনেক সময় জীবনে স্টিয়ারিঙের মতো কাজ করে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
দুঃখ-বেদনা অনেক সময় জীবনে স্টিয়ারিঙের মতো কাজ করে।
দারুণ একটা কথা বলেছেন ম্যাভেরিক ভাই, যার সাথে আমি একমত এবং কথাটা সত্য বলে আমিও বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ পাঠ ও কমেন্টের জন্য। শুভেচ্ছা।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার মনে দরদ আছে

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:



রাশে আছি , একটু বাইরে যাচ্ছি ।
পরে এসেই ধুলোর পোষ্ট পড়বো ।
ভালো লাগলো দেখে যে এটা নতুন লেখা :)

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
গ্রিটিংস

ডুলুর পোস্টে কমেন্টের রিপ্লাই আর আমার পোস্টে ডুলুর কমেন্ট দেখে আমার ভ্রম হয়েছিল যে এটা বিকাল। বিকালেই তাকে অ্যাক্টিভ দেখা যায়। তো, ডুলু তাহলে সারারাত ঘুমায় নি!! সো ব্যাড অ্যান্ড অলসো রিস্কি অ্যান্ড হার্মফুল ফর দ্য বডি!

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: কষ্টের সাথে ভালোলাগা মিলেমিশে কাটাকুটি ...

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সুখী মানুষের অতীতটা অনেক কষ্টে ভরপুর, তাদের দেখলে হয়ত বোঝাও যাবে না। কেউ কেউ সেই কষ্টের কথা মনে রাখেন, অন্যের কষ্ট দেখলে সমব্যথী হয়ে ওঠেন।

সুন্দর কথাটার জন্য ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বেদনামধুর একটি গল্প।
অনেক দিনের পরেও ছোটবোনটাকে খুঁজে পাওয়া আরেক ছোটবোনের মাঝে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
অনেক দিনের পরেও ছোটবোনটাকে খুঁজে পাওয়া আরেক ছোটবোনের মাঝে।


গল্প পাঠ ও কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় প্রহর।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমি আপনার লেখা পড়ি। কিন্তু সবসময় মন্তব্য করি না।
ভালো লেগেছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাইয়িদ রফিকুল হক@

আমার লেখা আপনি পড়েন জেনে ভালো লাগলো। এ গল্পটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

ধন্যবাদ গল্প পাঠ ও কমেন্তের জন্য। শুভেচ্ছা।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো ভাইয়া।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই।

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

মুক্তা নীল বলেছেন: ভাই ,
হোক না বিষাদময় গল্প কিন্তু তারপরও মনের একটা জায়গা
যেন কেঁপে উঠলো । জীবনের সাথে সংগ্রাম করা এরকম
রাকুল অনেক আছেন আমাদের আশেপাশে ।আমার আম্মার
মুখে কিছুদিন আগে ঠিক এরকম একটি ঘটনা শুনেছিলাম।
যিনি কি-না ব্যবসা করে ভাগ্যের দিক ঘুরিয়ে ফেলেছেন।
আপনার লেখা গল্প পড়ে সত্যি মনটা বিষন্নতায় ভরে গেলেও তারপরও মন্দ লাগেনি বরঞ্চ ভালো লেগেছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মুক্তা নীল আপু, ছোটো থেকে বড়ো হতে হলে অনেক কষ্ট ও সংগ্রাম করতে হয় জীবনে। সেই সংগ্রামে অনেক মহৎ মানুষের অবদান থাকে। সেই মহৎ মানুষের অবদানকে যেমন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করতে হবে, তেমনি একটা নিরহংকার ও সংবেদনশীল মন নিয়ে অতীতকেও মনে রাখতে হবে এবং তা থেকে ভবিষ্যতের পাথেয় খুঁজে নিতে হবে।

আপনার চমৎকার মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম আপু। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

ঢুকিচেপা বলেছেন:
“পুরো থালায় জালের মতো আঙুল দিয়ে ভাতগুলো ছেঁকে খেতে থাকলো; মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল।”
কঠিন বাস্তবতার একটা লাইন।

“খুব করুণ কণ্ঠে বলে উঠলো, ‘ভাই, তুই কি পানিডা খাবি?’”
এই লাইনের জন্য চোখে জল এসে গেল।

খুব ভাল লেগেছে। 

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুধু জেনে রাখুন, লাস্টের উদ্ধৃতিটার জন্যই এই গল্পটা। গতকাল ফেইসবুকের একটা গ্রুপে এই নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তখনো গল্পটা শেষ হয় নি, কিন্তু এই কথাটা লেখার সময় আমার চোখ ভিজে যায়।

গল্পের মূল জায়গা খুঁজে বের করার দক্ষতায় মুগ্ধ হলাম।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: সত্যি বলতে কি, শেষের যে লাইনের কথা বলছেন ওটাও কোট করতাম কিন্তু আমার ২য় কোট করা অংশের কাছে ম্লান হয়ে গেছে, মানে বলতে চাচ্ছি ওই অংশের রিপ্লাই দেয়ার পর আর কিছু লিখতে ইচ্ছা করলো না।
অনেক সময় হয় না, কোন ভাল গানের শেষ সুর রয়ে যায় অনেকক্ষণ তারপর আর কোন গান ভাল লাগে না।
ফেসবুকের লেখাটা দেখলাম।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: “খুব করুণ কণ্ঠে বলে উঠলো, ‘ভাই, তুই কি পানিডা খাবি?’' - আমি এই লাইনটার কথাই বলেছি। এই লাইনটা অনেক অনেক দিন ধরে মাথায় যন্ত্রণা দিচ্ছিল। পরশু লিখতে শুরু করি, কিন্তু ২ প্যারার বেশি এগোতে পারি নি। গতকাল সন্ধ্যায় প্ল্যান করলাম, এনি হাউ এটা আজ শেষ করবোই।

লেখার সময় আমি যেন চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছিলাম, একটা ময়লা চেহারার শুকনো মেয়ে হাত বাড়িয়ে আমার দিকে ছুটে আসছে একটুকুরো খাবারের জন্য। ময়লা চেহারার এই এতিম বাচ্চাদের রাস্তায় হরহামেশাই দেখা যায়। কারো মা-বাবা আছে, কারো কেউ নাই। মনে কত দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা কাজ করে - আহারে ওদের মতো দুঃখী আর কে আছে? আমার বাচ্চারাও ওদের মতো হতে পারতো! এসব ভাবলে খুব কষ্ট হয়। আল্লাহ কেন মানুষকে এত দুঃখী করে রাখেন পৃথিবীতে?

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,




টাচি গল্প!
শিরোনাম যেহেতু "পান্তাভাত" তাই পান্তাভাত সম্পর্কে কিছু না বলা ঠিক হবেনা। ফ্রিজঠান্ডা পান্তাভাত শুধু শুকনো পোড়া মরিচ, পেয়াজ ও লবন দিয়ে ডলে খাওয়া যেন অমৃতের মতো, বিশেষ করে পান্তার পানিটুকু । এর তুলনা নেই, কলজে জুড়িয়ে যায়। এখনও মাঝে মাঝেই খাই । এই গল্প পড়ে সে কথাই মনে হলো।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পান্তা খাওয়ার নানা উপকরণ আছে, আপনি যেটা বললেন সেটা তো অবশ্যই খুব মজার। আমি কিছু আনকমন আইটেম দিয়েও পান্তা খেয়েছি, জানি না কী বলবেন - করোলা/উচ্ছে/উস্তা ভাজির সাথে পান্তার যে স্বাদ, আমি এমন স্বাদ অন্য কোনোভাবে পাই নি। বিচরা কলা বা আঁটি কলা বা আঁইট্যা কলা দিয়ে ছোটোবেলায় পান্তা খেয়েছি প্রচুর। পান্তা আমার অনেক প্রিয়, মাঝে মাঝেই, বিশেষ করে শুক্রবারে আয়েশ করে উস্তা ভাজি দিয়ে পান্তা খাওয়া একটা দারুণ শখ ছিল আগে, যদিও অসুস্থ হওয়ার পর মেডিসিন ইনডিউস্‌ড ডায়াবেটিসের কারণে এখন পান্তা খাওয়া বন্ধ।

পান্তা খাওয়ার জন্য একটা পরিবেশ ও পরিস্থিতির দরকার। আমার বড়ো ছেলে পান্তা খাওয়া তো দূরের কথা, সে বলে - বাঙালিরা ভাত কেন খায় তা আমি বুঝতে পারি না :( বোঝেন অবস্থা। অন্য ছেলেমেয়েরও পান্তার প্রতি আগ্রহ নেই। আমরা পান্তার ভেতর দিয়ে বড়ো হয়েছি, পান্তার সাথে অ্যাকাস্টোম্‌ড, এর মজার সাথেও, তাই পান্তার কথা ভুলতে পারি না। আপনার পান্তা রেসিপির কথা শুনে আমার মন এখনই হুহু করে উঠলো।

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই, গল্প পাঠ শেষে পান্তা নিয়ে কিছু হাইলাইট করার জন্য। শুভেচ্ছা।

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:




এতো করুণ স্টোরিটা । রাকুল আর মালেকার অংশটুকু পড়ে চোখে পানি চলে আসছে ।
কি বলবো ধুলো, ভীষণ টাচি !

আহা বাচ্চা মেয়েটা, লেখার শেষে ঠিক এরকমটাই এক্সপেক্ট করছিলাম, এমন না হলেই বরং শকড হতাম ।
ধুলো লেখার মধ্যে অনুভূতি দিয়ে কাঁদাতে পারে ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটা টাচিই।

গতকাল সন্ধ্যায় ফেইসবুকে একটা স্টেটাস দিয়েছিলাম - গল্প/উপন্যাস লেখার সময় কারো চোখ ভিজে যায় কিনা। আমি ভেবেছিলাম হয়ত এটা নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করবেন, কারণ, আমার ধারণা ছিল এ ব্যাপারটা শুধু আমার ক্ষেত্রেই ঘটে। কিন্তু অবাক হলাম, যখন দেখলাম অনেকেরই এরকম অবস্থা হয়। রাকুল আর মালেকার অংশটুকু লেখার সময়, বিশেষ করে 'ভাই, তুই কি পানিডা খাবি?' - এই কথাটা লেখার সময় আমার চোখ ভিজে যায়। ওখানেই লেখা থামিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করি, ফেইসবুকে একটা স্টেটাস দিই এই নিয়ে।

১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:



তো, ডুলু তাহলে সারারাত ঘুমায় নি!! সো ব্যাড অ্যান্ড অলসো রিস্কি অ্যান্ড হার্মফুল ফর দ্য বডি!

হ্যাঁ ধুলো, আই নো । একটু স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি হয়তো তাই ।
অনেক চেষ্টা করি স্ট্রেস এভয়েড করতে কিন্তু অনেক সময় পারা যায়না ।
মানসিক অবসাদ খুব খারাপ ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গতকাল তো আপনার ঘুম খুব কম হয়েছে মনে হলো। ঘুমালেন কখন আল্লাহ্‌ই জানেন। আগে আমার অবস্থা এমন হতো- বাংলাদশে ডিশ চ্যানেল আসার পর থেকে। ডিশ থেকে ইন্টারনেট, তারপর ব্লগ, ফেইসবুক। সারাদিন চোখ জ্বলতো, তবু ব্লগ থেকে চোখ সরাইতে পারতাম না। শিক্ষা তো পেয়েছি, তাই অত রিস্ক নিই না। অন্যের শিক্ষা থেকে নিজে শিক্ষা নিন। ঘুমের ঘাটতির কারণে শরীর গোপনে ড্যামেজ্‌ড হতে থাকে ধীরে ধীরে।

১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর একটি গল্প।
দুঃখ আছে, আনন্দ আছে, পাওয়া না পাওয়া আছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:



ইউ আর রাইট ধুলো, ঘুমাইনি, নট ফর আ সিঙ্গেল মিনিট ।
ধুলো যা বললো সবই বুঝি, বাট ইউ নো সামটাইমস ইউ ক্যান্ট হেল্প ইউরসেল্ফ ।
মে বি ইটস নট আন্ডার ইউর কন্ট্রোল । ইউ আর হেল্পলেস !
রাত প্রায় দুটা, ভয়ংকর ঝড়ের তাণ্ডব । সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে ।
বাইরের ঝড় মনের ঝড় মিলেমিশে একাকার ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাইরের ঝড় তো থেমে যাবে, আল্লাহই থামাবেন। মনের ঝড় কন্ট্রোল করতে হবে; কম ঘুমে মনের ঝড় আরো বাড়ে।

ছোটো ছেলেকে বললাম, ফেইসবুকে একটা গল্প পোস্ট করেছি, পড়ে দেখো। ছেলে পড়ে এসে খুব উচ্ছ্বাসের সাথে বললো, গল্পটা খুবই ভালো হয়েছে :) ক্লাস সেভেনের ছাত্র। বাংলায় যারপরনাই দুর্বল। তবু সে গল্পটা নিজেই আমাকে আবার বললো। দেখলাম, ছেলের অ্যাসিমিলেশন খুব ভালো। ছেলের এত হাই পারফরমেন্স অবশ্য আমি আশা করি নাই।

১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:

ধুলোদের বাবা ছেলের সম্পর্কটা মধুর ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছোটো ছেলের সাথে অ্যাটাচমেন্ট বেশি। বড়ো দুইটা নিজ নিজ স্টাডি ও কাজে ব্যস্ত, নিজস্ব ভুবন আছে। ছোটোটারও নিজের ভুবন আছে, গেইমস, গিটার, ইউটিউব, টিভি, বাট, যেহেতু আমি নিজে পড়াই এজন্য তাকে কাছে পাই বেশি। সে খুবই লাভলি।

আজ সন্ধ্যায় ছবি তুললাম ছোটো ছেলের সাথে। সে আমার সমান লম্বা হয়ে গেছে, হয়ত মাত্র আর হাফ ইঞ্চি শর্ট আছে। ক্যামেরায় মেয়ে।



১৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই,
লেখক হওয়ার কিছু শর্ত আছে - লেখক চাইলেই লেখা পরিবর্তন করতে পারেন এই রাইট তার আছে। লেখক চাইলেই লেখার শেষটি সুন্দর করে পাঠকদের মন ভরে দিতে পারেন। অর্থাৎ ভালো একটি ফিনিশিং দিয়ে লেখা শেষ করাটা্ আমিও মনে করি অবস্যেই অবস্যই উচিত। আপনার লেখার ফিনিশিং ভালো হয়েছে।

আমার তরফ থেকে খাবার শেষে মেয়েটির জন্য রইলো বরফ শীতল ঠান্ডা কাঁচের বোতলে এক বোতল সেভেন আপ আর ফিরনি যতো কাপ খেতে পারে।




০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
লেখক চাইলেই লেখার শেষটি সুন্দর করে পাঠকদের মন ভরে দিতে পারেন। লেখকের লেখার স্বাধীনতা নিয়ে বেশকিছু ভালো কথা বলেছেন, তার মধ্যে এ কথাটা খুবই ভালো বলেছেন। আপনি নিজেও একজন লেখক, কাজেই আপনি জানেন যে, লেখক মাত্রই একটা সুন্দর ফিনিশিং দেয়ার চেষ্টা করে থাকেন। আমার ফিনিশিংটা ভালো হয়েছে - আপনার এ কথা থেকে আত্মবিশ্বাস অনেকখানিই দৃঢ় হলো।

মেয়েটার জন্য যে বরফ-শীতল সেভেন আপ দিয়েছেন, এটা তো মেয়েটা খাবেই, কিন্তু আমারও খুব লোভ হচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে বোধ হয় হাফ গ্লাস কোল্ড ড্রিংক্স খেয়েছিলাম, এরপর আর খাওয়া হয় নি। ৫/৭দিন আগেও একবার ইচ্ছে হয়েছিল খাওয়ার, কিন্তু পরে ভুলে গেছি। এখন মনে হচ্ছে অতি শীঘ্রই অন্তত এক কাপ কোল্ড ড্রিংক্স আমাকে খেতে হবেই :)

হৃদয়গ্রাহী কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাই।

১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৭

ওমেরা বলেছেন: গল্পটা খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। একই চোখে জল আর আনন্দ পেয়েছি । আমি আসলে আমার আবেগটা ঠিকমত প্রকাশ করতে পারছি না । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আসলে আমার আবেগটা ঠিকমত প্রকাশ করতে পারছি না । আপনার আবেগটা ঠিকই আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে আপু, নইলে কীভাবে বললেন 'একই চোখে জল আর আনন্দ পেয়েছি'? গল্পের প্রশংসা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ওমেরা আপু।

১৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:



ফেসবুকে ঠিকই ছবি দিয়ে বেড়ানো হয় আর এখানে মুণ্ডু ছাড়া ফটো ।
রেসিস্ট ধুলো ডিসক্রিমিনেশন করে ফেবু ফ্রেন্ডস আর সামু ফ্রেন্ডসদের মধ্যে ।
এটা একটা ক্রিমিনাল অফেন্স । শাস্তি চাই ধুলোর X((


১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার আইডিতে আমার ছবি কখনো শেয়ার করি না। মেয়ের ছবি তো না-ই, ছেলেদের ছবিও গানের ভিডিও ছাড়া অন্য কোথাও শেয়ার করি কদাচিৎ।

টি-শার্ট কিনেছি আমার এক্স-এল, ছোটো ছেলের জন্য এম-সাইজ, যদিও 'এল' কিনতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পাই নি। বাসায় আসার পর তো পুরাই অবাক। ছেলের গায়ে ওটা শর্ট হচ্ছে, তা মা খুব বকাবকি শুরু করেছে :) ছোটো ছেলেরও এক্স-এল-ই দরকার, বাট মিনিমাম 'এল' সাইজ। দুজনে দুটা পরার পর একটু ফটোশুট করার খায়েশ হলো, ব্যাপারটা হলো এই।

এখন কি কোনো শাস্তি হয়? হলে সেটা অবৈধ শাস্তি হবে :)

২০| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৩৩

অন্তরা রহমান বলেছেন: রিয়েল লাইফে কি এমনটা হয়? কি জানি!

১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটা ফেইসবুকেও শেয়ার করেছিলাম। সেখানে কিছু কিছু পয়েন্ট আলোচনায় এসেছে যা এই ব্লগে আসে নি।

বাসায় ওয়ার্কিং স্টাফ থাকে, ড্রাইভার বা ক্লিনিং স্টাফও থাকে। তাদের সাথে আমাদের আচরণ ও আন্তরিকতা এরকম হতে হবে যাতে খাওয়ার সময় ডাইনিং টেবিলে আমার পাশের চেয়ারটাতেই ওরা নির্দ্বিধায় বসে পড়ে, অর্থাৎ, এটা যেন একটা ন্যাচারাল ট্রেন্ড হয়। ওদের জন্য যেন আলাদা নিম্নমানের প্লেট না থাকে। ওদের খাবারের জায়গাটাও যাতে আলাদা ও নিম্ন মানের জায়গা না থাকে। কোথাও বেড়াতে গেলে আমার নিজের সাথেই যেন ওরা বসতে পারে, কোনোরূপ ব্যবধান সৃষ্টি না করে। আমরা যদি সত্যিকারের মানবতা বা মানবিকতা সৃষ্টি করতে চাই, তাহলে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ কমিয়ে আনতে হবে। যেসব উদাহরণ দিলাম, এগুলো বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন, কিন্তু কেউ না কেউ অবশ্যই আছেন, যারা একগুলো মেনে চলেন। যদি ধরে নিই, না, রিয়েল লাইফে এমনটা হয় না, তাহলে আমি মনে করি আমরা এমন একটা মুভ শুরু করতে পারি, তাতে মানবতারই জয় হবে।

গল্প পাঠ ও মূল্যবান প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা রইল।

২১| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:০১

মিরোরডডল বলেছেন:



শাস্তি হবে মানে, এখন দিগুন শাস্তি হবে । X((
অপরাধী শুনানির আগেই ক্রাইমের তথ্য প্রমাণ সব সরিয়ে নিয়েছে । এটা আরেকটা অপরাধ ।

আইডি ওপেন করলেই কাভার পেইজে ঐশী লাবিব আরও একজন খুব সম্ভবত পাইলট এদের ফটো ছিল । আর প্রোফাইলে সানগ্লাস আর পিঙ্ক টিশার্ট (এতো রং থাকতে পিঙ্ক কেনো) ওটা কি ধুলোর বড় দাদা ???
ইভেন ধূলি, কি যে সুন্দর দেখতে , চুলে খোপা বেঁধে শাড়ি পরে একদম বঙ্গ ললনা যেরকমটা হয় !

এই যে ধুলোর ম্যানিপুলেশন করা হলো অপরাধের প্রমান না রাখার জন্য, এটার জন্য দিগুন শাস্তি দাবি করছি X( X((

বাই দা ওয়ে, অলিভ গ্রিন কালার আমার প্রিয় রঙের একটি ।


১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

অপরাধী শুনানির আগেই ক্রাইমের তথ্য প্রমাণ সব সরিয়ে নিয়েছে। এটা কী শোনালো ডুলু? আইডি ওপেন করলেই কাভার পেইজে ঐশী লাবিব আরও একজন খুব সম্ভবত পাইলট এদের ফটো ছিল। হ্যাঁ, এটা ঠিক। কিন্তু এটা তো বহুকাল আগের কথা? তখন কী করে ডুলুর চোখে এটা পড়েছিল, তা ভেবে অবাক হচ্ছি। ডুলু কি টাইম মেশিনে পাস্টে চলে গিয়েছিল?

ইভেন ধূলি, কি যে সুন্দর দেখতে , চুলে খোপা বেঁধে শাড়ি পরে একদম বঙ্গ ললনা যেরকমটা হয় ! দু-একটা এডিটেড/শ্যাডৌড পিকচার ছিল, এগুলো এখনো থাকার কথা বাট আমি খুঁজে খুঁজে ডিলিট করে দিচ্ছি :) এটা সত্য ধরেছেন :)

এই যে ধুলোর ম্যানিপুলেশন করা হলো অপরাধের প্রমান না রাখার জন্য, এটার জন্য দিগুন শাস্তি দাবি করছি :) আমি নিম্ন আদালতে আপিল করিব :)

বাই দা ওয়ে, অলিভ গ্রিন কালার আমার প্রিয় রঙের একটি। ধুলোর জীবনের আরেক নাম অলিভ গ্রিন, এটা তার এত প্রিয়

২২| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:



দু-একটা এডিটেড/শ্যাডৌড পিকচার ছিল, এগুলো এখনো থাকার কথা বাট আমি খুঁজে খুঁজে ডিলিট করে দিচ্ছি

ডিলিট কেনো ?

ধুলোর জীবনের আরেক নাম অলিভ গ্রিন, এটা তার এত প্রিয়

তাহলে পিঙ্ক কেনো প্রোফাইলে ।
ওটা চেঞ্জ করে অলিভটা দেয়া হোক ।



১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এখানে আমার ছবি কোথায়? এটা লাবিবের ছবি। আমার ছবি কি আছে কোনো আইডিতে?

ছোটো দুই ছেলেমেয়ের ফেভারিট কালার পিংক। আমি ওদের দ্বারা ইনডিউস্‌ড হয়েছিলাম ফর এ হোয়াইল, বাট জিনিসটা খারাপ ছিল না, বাচ্চাদের জন্য পারফেক্ট

২৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:



ধুলোটা এতো বোকা কেনো । এই ছবির কথা আমি বলিনি । আমিতো জানি এটা লাবিব ।
যেটা দেয়া হয়েছে অন্য আইডিতে সেটা ।
বাচ্চারা লাইক করে দেটস ওকে । ওটা বাচ্চাদের জন্যই । মেয়েদের জন্যও ছোট বড় যাই হোক ।
বুড়োদের জন্য না :)


১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি তো বাচ্চাই

২৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:
হা হা হা...এবার ঠিক আছে :)

২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কী ঠিক আছে?

২৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:



১১ আগস্ট থেকে ২৩শে আগস্ট, এতদিন পর বললে আমিই ভুলে যাই কি বলেছিলাম :(

সেটা ছিল আমি কালার নিয়ে বলেছিলাম কেনো পিঙ্ক পরবে, ওটা বাচ্চা বা মেয়েরা পরে । অলিভ কালার কেনো পরেনি । তখন যখন বলা হল নিজেই বাচ্চা, সেটার উত্তর ছিলো, তাই যদি হয়, তাহলে ঠিক আছে ।


২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা কী নিয়া আলোচনা শুরু করেছিলাম?

২৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:

হা হা হা ...... ধুলো , আবারও প্রশ্ন !!!! ধুলো কিন্তু এটা ইচ্ছা করে করছে :)

স্ক্রল করে পড়লেই হয় । এরপর কিন্তু মাইর দিবো জানতে চাইলে :)

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক আছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.