নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আমার অনেক দিনের ইচ্ছে, একজন ফেইসবুকার ও ব্লগারকে নিয়ে একটা গল্প লিখবো। সময়ের অভাবে গল্পটা লিখতে না পারলেও মনে মনে এর প্লট গুছিয়ে রেখেছি।
সে একজন মেয়ে হবে। অতএব, গল্পের নায়িকা সেই মেয়েটি।
মেয়েটি দেখতে খুব সুন্দর। শাড়ি পরে, কখনো-বা সেলোয়ার কামিজ। সুন্দর কণ্ঠ। রবীন্দ্র সঙ্গীত তার প্রিয় হলেও খালি গলায় গাওয়া মডার্ন ফোক গানে সে অনন্য। ভালো কবিতা লেখে। গল্পগুলোও অসাধারণ। কিন্তু তার প্রকাশিত বইটি জেন্ডার বৈষম্যের উপর কয়েকটি গবেষণাধর্মী আর্টিকেলের সংকলন।
সে ভালো রাঁধে; সুন্দর করে খোঁপাও বাঁধে সে। সে নৃত্যকলা শিখেছে। একটা সংগঠনে সে ছেলেদের আবৃত্তি শেখায়।
তার একটা শিল্পী মন আছে। অর্থাৎ, সে আঁকে। হস্তশিল্পেও তার প্রশংসনীয় নৈপুণ্য দেখা যায়। পরিপাটি ঘরটি সুদৃশ্য আসবাবে ছিমছাম সাজিয়ে রাখে। ফেইসবুক ও ব্লগে তার সাজানো-গোছানো ঘর-গেরস্থির ছবি দেখে আমরা চমৎকৃত হই।
দেশভ্রমণ তার শখ। প্রতি তিনমাসে অন্তত দু’বার সে দেশের বাইরে যায়; বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াতে তার খুব ভালো লাগে। বন্ধুরা তাকে আদর করে ‘লেডি বতুতা’ ডাকে। প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতি তার তীব্র আকর্ষণ রয়েছে; এবং এর উপর সে উন্নত মানের প্রচুর আর্টিকেল লিখেছে, যা হৃদয়গ্রাহী ও তথ্যপূর্ণ।
ফেইসবুক ও ব্লগভুবনে সে শীর্ষস্থানীয় সেলিব্রেটি। ব্লগে তার একেকটা পোস্ট ন্যূনতম ৫৫০০ বার পঠিত হয়। একেকটা পোস্টে অন্তত ৩০০টি কমেন্ট পড়ে।
তার আরেকটি বড় পরিচয় আছে। সে বাংলাদেশের একটা বিখ্যাত বাংলা ব্লগের মহামান্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। অনেকের ধারণা, এ কারণেই সে খুব দ্রুত জগৎবিখ্যাত সেলিব্রেটিতে পরিণত হয়েছে।
ফেইসবুকে বিভিন্ন সোশ্যাল মুভমেন্টে তার সাফল্য ঈর্ষণীয়। রুগীদের জন্য রক্ত সংগ্রহ ও রক্তদান কর্মসূচিতে সে অচিরেই গিনেস বুক অফ রেকর্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করাতে সক্ষম হবে বলে সকলের ধারণা।
ফেইসবুকে সে কবিতা লেখে, রম্য লেখে, রাজনীতির বিষয় নিয়ে মতামত বা সমালোচনা লেখে। তিন শব্দের একটা স্টেটাসেও মুহূর্তের মধ্যে কয়েক হাজার ‘লাইক’, কমেন্ট ও ‘শেয়ার’ হয়। প্রতি ১০টা স্টেটাসে তার ২-৩টা ছবি থাকবেই। ছবিগুলোতে কখনো সে একা, কখনো মা বা বোনের সাথে। তার বেশিরভাগ ছবি সাদাকালো। সে কপালে টিপ পরে। তার চুল কোঁকড়ানো নয়। হাত ভরা রঙিন ও ঝলমলে চুড়ি।
মেয়েটির সাথে আমার কীভাবে পরিচয় হলো গল্পে তার একটা ইন্টারেস্টিং বর্ণনা থাকবে। ভার্সিটির বারান্দা দিয়ে দ্রুত ছুটে চলা দুজন বিপরীতমুখী নায়কনায়িকা পরস্পরের ধাক্কা খায়। হাত হতে মাটিতে বই ছিটকে পড়ে। ‘স্যরি, ইট’স মাই ফল্ট’ বলে দুজনে নীচু হয়ে বই তুলতে গেলে মাথায় টক্কর লাগে। পুনর্বার ‘স্যরি’ বলে ওঠে দুজনেই। ... হ্যাঁ, এটা আমাদের সিনেমার গতানুগতিক দৃশ্য। এ দৃশ্য দেখে সিনেমা হলে আমরা অনেক আনন্দিত ও বিনোদিত হতাম তরুণ বয়সে। ভার্চুয়াল জগতে মেয়েটির সাথে প্রথম পরিচয়ের একটা ‘সাংঘাতিক’ ঘটনা ঘটাতে হবে। সাংঘাতিক ঘটনা মেয়েদের মনে দাগ ফেলে সবচেয়ে বেশি। এ থেকেই গল্পের ভেতর মেয়েটার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা দ্রুত বাড়তে থাকবে।
মেয়েটার স্টেটাসে গিয়ে বলা যায়— তোমার চেহারা এত কালো কেন? তুমি কি পেতনি? এ কথায় মেয়েটা মারমুখী হবে। ঝগড়া বাঁধিয়ে দিবে। আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিবে সে এ যুগের অড্রে হেপবার্ন কিংবা কবরী সারোয়ার। তারপর আমাকে বলতে হবে— ‘আপনাকে একটু চেতালাম আর কী! আপনি আসলে অনেক বুদ্ধিমতী। বৈজয়ন্তী বালার মতো।’ এরূপ অদ্ভুত তুলনা বা উপমায় সে আহ্লাদে গলে যাবে। এরপর তার সাথে চ্যাট হবে।
আচ্ছা, এটা তেমন আকর্ষণীয় কোনো ঘটনা হয় বলে কি আপনারা মনে করছেন?
তাহলে এটা বাদ। অন্যভাবে বলি।
ব্লগে তার কবিতার উপর নাতিদীর্ঘ একটা লেকচার দিয়ে বললাম— ‘তুমি কচি খুকি। ভালো লিখছো। চর্চা চালিয়ে যাও, ভবিষ্যতে তসলিমা নাসরিনকে ছাড়িয়ে যাবে। আমিন।’ ... মেয়ে অগ্নিমূর্তি হয়ে উঠলো। ‘আমাকে তনার সাথে তুলনা করলা? আজকে তোমার একদিন কী আমার একদিন...’ তারপর বাহাস শুরু হলো। শেষ পর্যন্ত আমাকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে নিবৃত্ত হলো মেয়ে। এরপর মেয়েটা আমাকে এড়িয়ে চলতে থাকবে, অবজ্ঞা বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে। কিন্তু একদিন উত্তুরে হাওয়া থেমে যাবে, মনোরম দখিনা বাতাস বইতে শুরু করবে। বেপরোয়া নায়কের তেলেসমাতি দেখে নায়িকারা যেভাবে গলে যায়, ভুল করে আমার ব্লগে ঢুকে পড়ে আমার একটা কবিতা পড়ে ‘কবিনি’ সেভাবেই গলে গেলো আর কী!
যেভাবে চাচ্ছি, ঠিক সেভাবে জমছে না। উপরের কাহিনিগুলো বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সত্যিকারে মেয়েটার সাথে যেভাবে পরিচয় ঘটেছিল, লিখতে হবে সেটাই।
একটা মিউজিক ভিডিও’র জন্য সুন্দরী মেয়ে খুঁজছিলাম। আশা করেছিলাম ঝাঁকে ঝাঁকে মেয়েদের ছবি এসে ইনবক্স হ্যাং করে ফেলবে। সারাদিন বাদে মাত্র তিনটি মেয়ের গোটা সাতেক স্টিল পিকচার জমা হলো।
শ— আকর্ষণীয় চেহারা।
ত— কবিতার মতো মেয়েটি।
র— চেহারায় অহঙ্কারের ছাপ, তবে চোখ সরানো যায় না।
আমি সময় নিয়ে তিনজনের সাথেই বিস্তারিত চ্যাট করলাম। তিনজনের মধ্যেই কমন যে বৈশিষ্ট্য আমাকে আকর্ষণ করলো তা হলো তাদের অতি অল্প সময়ে কাউকে আপন করে নিতে পারার ক্ষমতা। চ্যাট করতে করতে মনে হলো এরা যেন আমার অনেক দিনের চেনা। আরো আগে কেন ওদের সাথে পরিচয় হয় নি এ নিয়ে আফসোসে আমার বুক ফেটে যেতে চাইলো।
ধীরে ধীরে একটা মেয়ের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা হলো। ঠিক প্রেমের জন্য এই ঘনিষ্ঠতা নয়, এমন এক সম্পর্কে আমি জড়িয়ে যেতে থাকলাম যাকে কোনোভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না।
সে আমাকে খালি গলায় গাওয়া তার অনেকগুলো গানের লিংক দিল। আমি অভিভূত হলাম। খালি গলায় গাওয়া গানে যে এত মাধুর্য, এ প্রথম আমি তার গান শুনে বুঝলাম। তার কাছে আমার বায়না ছিল, আমার পছন্দের একটা গান খালি গলায় গেয়ে শোনাতে হবে।
কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কেমনে রাখিব তোর মন
আমার আপন ঘরে বাঁধিরে বন্ধু
একদিন হঠাৎ ইনবক্সে তার গানের লিংক। খালি গলায় গাওয়া। তখন নিরালা দুপুর। বিরান, খাঁ-খাঁ মাঠের নিস্তব্ধতার মতো আমার সমস্ত ঘরদোর ঝিম ধরে বসেছিল। আমি শূন্যের উপর বসে নিগূঢ় মনে শুনতে থাকলাম তার গান।
পাড়া-পড়শি বাদী আমার
বাদী কালনো নদী
মরম-জ্বালা সইতে নারি
দিবানিশি কাঁদিরে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
আমি খুব বেশি করে তার গানের প্রেমে পড়লাম। আমি তার প্রেমে পড়ে গেলাম। আমি প্রেমে পড়লাম। আমি চোখ মুদে বসে আছি। আমার সামনে দেয়ালে ঠেস দিয়ে বসে, একগোছা চুল বুকের উপর ছেড়ে দিয়ে যে মহীয়সী নারী দরাজ ও ধীর কণ্ঠে অবিরাম গান গেয়ে যাচ্ছে, আমি তার গান ও রূপমুগ্ধ প্রেমিক। আমি আর কিছু চাই না, মহীয়সী, শুধু তব গান চাই, নিভৃত অন্তর্ধামে সুরসুধাময় তোমাকে চাই।
সম্বিৎ ফিরে পেয়ে হেসে উঠি। হায়, সত্যি সত্যি আমি প্রেমে পড়ে গেছি যে!
আর ঐদিকে? ঐদিকে মেয়েটাও আমার প্রেমে পড়ে গেছে। সে একদিন জানালো আমাকে সে দেখতে চায়। আমাকে দেখার তৃষ্ণায় সে ছটফট করছে। একদিন আমাকে ঢাকায় যেতে বললে ‘আমার সময় নেই’ ভান করলাম, যাতে সে মনে করে আমি অতটা সহজলভ্য নই। নানা কাজে রাতদিন ব্যস্ত থাকি বলে ব্লগ বা ফেইসবুকে তেমন সময় দিতে পারি না; এ নিয়ে মাঝে মাঝে ফেইসবুকে স্টেটাস দিই। ‘এভাবে ডুমুরের ফুল হইয়া যাও কেন? স্টেটাসে তোমার লাইক/কমেন্ট না পেলে আমার স্টেটাসটাই পানসে মনে হয়। অন্তত আমার স্টেটাস পড়বা, কেমন?’ মেয়েটা আমার স্টেটাস পড়ে কমেন্টে এভাবে আমাকে অনুরোধ ও অনুশাসন করে।
একদিন দেখা করতে ঢাকায় যেতে হবে বৈকি।
মেয়েটা একটা প্রাইভেট ভার্সিটির টিচার।
নাহ, একটা কলেজের টিচার।
নাহ, একটা ডাকসাইটে ইংলিশ স্কুলের টিচার হলে বেশি ভালো হয়। সে ভালো ইংরেজি লেখে। চ্যাটিঙের সময় খুব ফাস্ট লেখে। আমি ফাস্ট পড়তে পারলেও ফাস্ট রিপ্লাই দিতে পারি না।
মাস্টারনির স্কুলে যেদিন যাব সেদিন সে একটা নাচের ক্লাসে রিহার্সেল করাতে থাকবে। ও, সে কিন্তু কলাবরিষ্ঠা। এমন কোনো কাজ বা কলা নেই, যাতে তার দখল নেই।
এখানে আরেকটু ভাববার আছে। গল্পটা বিয়োগান্ত করবো, নাকি মিলনাত্মক?
আমরা ট্র্যাজেডিই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। এটা মেয়েটার বাণী। তাই গল্পটা ট্র্যাজেডি করতে হবে।
মেয়েটা ওয়েটিংরুমে এসে আমাকে দেখে উচ্ছ্বসিত হবে এবং ‘ইদ মুবারাক’ বলে আলিঙ্গন করবে।
ওহহো, আমাদের দেশে তো পুরুষ আর নারীতে কোনো আলিঙ্গনের রেওয়াজ নেই, অতএব এই সিকোয়েল বাদ। গল্পের সমাপ্তি খুব নাটকীয় হতে হবে।
কীরকম?
মেয়েটা এসে চেয়ারে বসতে বসতে বলবে, ‘জি, আমার কাছে এসেছেন? আপনার পরিচয়?’
‘আমারে চিনলা না? আমার নাম সোনামিঞা, তোমার ফেবু ফ্রেন্ড।’
মেয়েটা ধীরে ধীরে চোখ কপালে তুলে বলবে, ‘আপনাকে ঠিক চিনতে পারলাম না। কোথা থেকে এসেছেন?’
‘খালি হাসির কথা কও ক্যান? আমি ফেবু থেকে আসছি।’
‘ফেবু কী জিনিস?’
‘ধূর ছাই। খালি শয়তানি করতেছ। ফেবুউউউ ... ফেবুউ। মানে ফেইসবুক।’
‘ও ফেইসবুক? আচ্ছা বলেন ভাই।’
‘আমার তো আজই আসার কথা, তাই না? সক্কালেও তো তুমি কনফার্ম করলা।’
মেয়েটা শেষ পর্যন্ত ক্রাশ না খেয়ে আমার কথায় টাসকি খাবে।
‘স্যরি, আপনার কথা বুঝতে পারছি না ভাই। আজকে তাহলে আসুন, কেমন?’ এই বলে উঠে হনহন করে চলে যাবে। যাবার সময় ওয়েটিং রুমের বুয়াকে মৃদু ভাষায় ভর্ৎসনা করবে, ‘যেনতেন কেউ দেখা করতে চাইলেই কি দৌড়ে গিয়ে ডাকতে হবে? তোমরা বোঝো না কিছু?’
মেয়েটার সর্বশেষ কথায় আমার হৃৎপিণ্ডে রক্তক্ষরণ শুরু হবে। আমি ট্র্যাজিক হিরোদের মতো টলতে টলতে ওখান থেকে বেরিয়ে আসবো।
ফেইসবুক ও ব্লগে একসঙ্গে গল্পটির শুভমুক্তি ঘটবে। তাহমিনা রীমা এবং রহস্যময়ী কন্যা নামক দুজন মেয়ের প্রত্যেকেই ভাববে যে গল্পটা তাদের নিয়ে লেখা। তারা ইনবক্সে লিখবে :
‘ভাইয়া, গল্পে এত তথ্যবিভ্রাট কেন? আমি টিপ পরি ঠিকই, কিন্তু কোনোদিন সাদাকালো ছবি পোস্ট করি না। আমার হাত ভরা চুড়ি থাকে এটা সত্য হলেও আমার চুল কোঁকড়ানো নয়— এটা মিথ্যা।’
‘আপনি সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশিয়ে ফেলেছেন। আমি গান গাই, তবে নৃত্যকলা শিখি নাই। আমি কবিতা লিখি, কিন্তু রান্নাবান্নার রেসিপি দিই না। আমার সাদাকালো ছবিতে আমার বেবিটার কথা কিন্তু লিখেন নি!’
এ ছাড়া অন্যান্য ফেইসবুক ফ্রেন্ডও কমেন্ট এবং ইনবক্সে লিখবেন :
‘সবটুকু পড়ে এটা পানির মতো পরিষ্কার হলো যে, এ গল্পের নায়িকা ‘নীলপরী’ ছাড়া আর কেউ নয়।’
‘মেহজাবিন নুন। ঠিক বলেছি?’
‘আপনি মিয়া চুপাহুয়া রুস্তম। তলে তলে যে এতদূর, তা ঝানতাম নাহ।’
গল্পে সমাপ্তির অংশ আসলে এটাও হবে না। পুরো প্লটটা যা পড়লেন, ঘটনা ঘটতে থাকবে আরো অন্যরকমভাবে।
বাস্তবে যা যা ঘটেছে, গল্পে হুবহু তাই বলে দেয়া হবে। তখন মেয়েটিকে চিনতে কারো এক সেকেন্ডের বেশি সময় লাগবে না। তবে অত্যাশ্চর্য ব্যাপার যেটি হবে তা হলো, এ গল্পটির রচনাশৈলী কেবল দু-একজন মেধাবী পাঠক ছাড়া সবারই মাথার অনেক অনেক উপর দিয়ে উড়ে যাবে।
বলুন তো, মেয়েটি কে?
২০ জুলাই ২০১৫
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা
আপনি আমাকে কাঁদালেন
আই মিন, হাসতে হাসতে কেঁদে ফেলেছি, আই মিন চোখ দিয়া পানি এসে গেছে
পড়ছিলাম আর ৮০'র দশকের কিছু বাংলা ছবির দৃশ্য দেখছিলাম, দৃশ্যগুলো এত তরতাজা, কাহিনিও
স্টান্টবাজি শুধু মুর্খ বা চাকরের মুখে ইংরেজি শুনেই না, মাঝে মাঝে গান গাইয়াও চমক লাগাইয়া দেয়, আর নায়িকা সেই গানে কুপোকাত
আপনাকে ধন্যবাদ এমন রসালো স্বপ্ন দেখানোর জন্য। হ্যাঁ, এটাও একটা দারুণ সিকোয়েল
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৯
ইসিয়াক বলেছেন: আপাতত প্রথম কমেন্ট পড়ে হাসতে হাসতে শেষ।
পোস্ট সকালে পড়ে মন্তব্য করবো.....
শুভ রাত্রি প্রিয় ব্লগার
ভালো থাকুন সবসময় ।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। আপনার সাথে আমিও একটু হেসে নিলুম ইসিয়াক ভাই। শুভেচ্ছা আপনাকে।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৯
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা........মেয়েটি পরীবেগম চিকনিকোমর....কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারীর লাভ ম্যাটার...।
*ব্লগার কাছের মানুষের মন্তব্য পড়ে মজা পেলুম।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
হাহাহাহাহা। মেয়েটি পরীবেগম চিকনিকোমর....কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারীর লাভ ম্যাটার...। মহাকবি ম্যাকবেল পাটোয়ারীর নাম এর আগেও একবার শুনেছিলাম। আপনি, নাকি ভুয়া ওটা বলেছিলেন, মনে পড়ছে না তবে, মকবুল থেকে ম্যাকবেল রূপান্তরে যে আর্ট এবং বুদ্ধিমত্তা আছে, তা নজিরবিহীন
ব্লগার কাছের মানুষের মন্তব্যটা আলাদা একটা পোস্ট হিসাবেও চলে যেতে পারে। তাকে শুভেচ্ছা
এবং অতি অবশ্যই আপনাকেও শুভেচ্ছা
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এযে গল্প তৈরির গল্প!!
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ রে রে রে রে - কথাটা দারুণ লেগেছে - গল্প তৈরির গল্প
শুভেচ্ছা জলদস্যু ভাই।
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: পোস্ট পড়ে তো শায়মা আপুর কথা মনে হল সবার আগে ! আবার লেডি বতুতার নাম শুনে মনে হল জুন আপু । ব্লগের এডমিনিস্ট্রেটর পড়ে মনে হল জানা আপা !
কাছাকাছি এই থিমের আমার গল্প আছে কয়েকটা ! একবার চোখ বুলায়ে আসতে পারেন । এই যে লিংক
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যাক, আপনার যে অনেকের কথাই মনে হলো, ব্যাপারটা খুবই আশাব্যঞ্জক
আপনার গল্পটাও পড়ে এসেছি। ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা রইল।
৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
মেয়েটা ধীরে ধীরে চোখ কপালে তুলে বলবে, ‘আপনাকে ঠিক চিনতে পারলাম না। কোথা থেকে এসেছেন?’
‘খালি হাসির কথা কও ক্যান? আমি ফেবু থেকে আসছি।’
‘ফেবু কী জিনিস?’
‘ধূর ছাই। খালি শয়তানি করতেছ। ফেবুউউউ ... ফেবুউ। মানে ফেইসবুক।’ -----অনেক হাসলাম এবং গল্পটি মজার।
আর গল্পের লিড চরিত্রটা আঁচ করতে পেরেছি ।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক হাসলেন তো আপু!! ভালো করেছেন, হাসলে হার্ট ভালো থাকে
গল্পটি মজার জেনে ভালো লেগেছে। আর লিড চরিত্রটা আঁচ করতে পেরেছেন জেনে আমি বেহুঁশ অবস্থায় আছি
৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০৩
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমার স্কুলে যে তুমি এসেছিলে একদিন সেই গল্পটা লিখবা জীবনেও ভাবিনি!!!!!!!!!
দেখো এই গল্প আগেও দিয়েছিলে । তখন কত কত মানুষ আমার নাম বলেছিলো । আজ শুধু অপু তানভির ভাইয়ু বললো।
আহারে দিন গেলে এমনেই সন্ধ্যা হয় .....
ভাইয়া আরজুপনি আপু, জুন আপু, জানা আপুকে চিনে ফেলা সহজ আর বাকিদেরকে যাদেরকে যা চিনিনি তাদের নিয়ে এক চিমটি লবন আর তিন মুঠি গুড় দিয়ে ওর সালাইন বানিয়ে ফেলেছো তো!!!!!!!!!
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
লিংক-২
লিংক-১
যুগে যুগে এই মহাকাব্য এই ব্লগে শেয়ার করা হয়েছে। তবে, আপনি সকল যুগেই চিহ্নিত প্রিয়মণি ছিলেন
ভাইয়া আরজুপনি আপু, জুন আপু, জানা আপুকে চিনে ফেলা সহজ আর বাকিদেরকে যাদেরকে যা চিনিনি তাদের নিয়ে এক চিমটি লবন আর তিন মুঠি গুড় দিয়ে ওর সালাইন বানিয়ে ফেলেছো তো!!!!!!!!!
হাহাহাহাহা। রেজওয়ানা আপু তো বলেই ফেললেন। কী বললেন সচিত্র প্রতিবেদন দেখুন
৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গল্প শৈলী আর কাঠামো
বিন্যাস পরিকল্পনাতেই
গল্পটির যবনিকাপাত ,
গল্প শেষে প্রশ্ন পাঠে
হলাম কুপোকাত ।
তবে মনে বাজে এটা
নিতান্ত সরল প্রশ্ন , অতি পরিষ্কার,
এক অভিনব গল্প, বহুরূপে অবতার
ত্র্যম্বকের ত্রিনয়ন ত্রিকাল ত্রিগুণ
গুণভেদে ব্যক্তিভেদে দ্বিগুণ ত্রিগুণ
আবর্ত্তন সম্বর্ত্তন গুণকির্তণ আদি
ফেবুশক্তি সামুশক্তি করে বিসম্বাদী
আকর্ষণ বিকর্ষণ সুদর্শন আকৃতি
নৃত্য গীত আঁকায় সর্বকলা প্রকৃতি
সর্বত্র প্রবাহমান বাতচিতে বিদ্যুৎ
মহুর্তেই ভিন্নরূপে সেথায় উদ্ভূত
ত্রয়ী শক্তি ত্রিস্বরূপে প্রপঞ্চে জনম
ইশারায় বুজালাম কিহবে তার নাম।
শুভেচ্ছা রইল
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় আলী ভাই,
এরপর কোনো কমেন্ট লিখলে দয়া করে কমেন্টের নীচে সরল ভাষায় একটা টীকা-টিপ্পনি এবং শব্দার্থের তালিকা দিবেন। এবার পড়তে পড়তে পড়তে আমার কয়েকটা দাঁত নড়ে গেছে। আগে থেকেই কয়েকটা দাঁতে সমস্যা ছিল, সেগুলো নিয়ে এখন একটু টেনশনেও পড়ে গেছি, ওগুলোর আয়ু কতদিন কমে গেছে তাই নিয়ে।
যাই হোক, পড়তে পড়তে হাঁপিয়ে উঠেছিনু। এবং কাব্যসুধা আহরণে আমি মুগ্ধ, অভিভূত ও বিবাহিত হয়ে গেছি প্রিয় আলী ভাই।
শেষ প্রশংসাটা না করলেই নয়। লেখাটার শেষ কথাটার আগের প্যারার লাস্ট সেন্টেন্সটায় আপনি উৎরে গেছেন। শুভেচ্ছা প্রিয় আলী ভাই।
৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সচরাচর ছেলেরা মেয়েদের কল দেয় অথচ আমার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেছিলো। এক মেয়ে মেসেঞ্জারে কল দিত আমার হেঁড়ে গলায় গান শুনতে। অনেকদিন খোঁজ পাই না।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছোটোবেলায় 'অভিমান' ছিনেমায় একটা গান শুনেছিনু। সক্কালবেলায় আপনার এ কমেন্টটা দেখে সেই গানটা শুনেছি। আজও অমৃত মধুর। কী ছিল সেই গানটা?
যার নয়নে যারে লাগে ভালো
যারে ভালো লাগে, তার সবকিছুই মধুর লাগে। কাউকে ভালো লাগা এক বিরাট ব্যাপার। ভালো লাগার মতো নিশ্চয়ই আপনার মধ্যে এমন কিছু আছে, যা দ্বারা অন্য কেউ আকৃষ্ট হতে পারে। সেই গুণটা আপনার জ্ঞাত হতে পারে, জ্ঞাত নাও হতে পারে।
সেই মেয়েটার খোঁজ নাই কেন? খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। স্বেচ্ছায় সে যদি খোঁজ না নেয়, ভুলে যান তাকে। আপনার গানের কথা তার যদি আবার মনে পড়ে, সে আরেকদিন আসবে। তার পরের দিনও আসবে।
ভালো থাকুন।
আর সেই গানটি শুনুন।
১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: গল্প যেহেতু লিখবেন-সে তো মেয়ে নিয়েই লিখবেন!
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহ
এমন জ্বলন্ত সত্য কথা কীভাবে বললেন?
১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: যাক মনে করেছিলাম উনার নাম বললে আমারে দৌড়ানি দেবে।
উনি নিজেই এসে যখন আপনাদের দেখা সাক্ষাতের কাহিনী বলে গেছে তখন আর......
সব গূনে গূনান্বিতা একজনই আছে এই ব্লগে। আর উনি সাক্ষাত হাজির।
ঝগড়া কীভাবে লাগাতে হয় সেই ব্যপারে আপনি বরং চাঁদ গাজী খুক্কু সোনাগাজির কাছে ইন্টিমেট সাজেশন চাইতে পারেন।
উনি বেস্ট এই কাজে। আমি লিখিত গ্যারান্টিও দিতে পারবো।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সব গূনে গূনান্বিতা একজনই আছে এই ব্লগে। আর উনি সাক্ষাত হাজির। আমরা যারা সেই আবহমান কালের, তাদের পক্ষে কলাবরিষ্ঠাকে চিনতে সময় লাগার কথা না এবং দৌড়ানিতে ডরায় নাকি বীর?
ভালো লাগে যে, উনি নিজে এসেই সাক্ষাৎ দিয়ে আমাদের ধন্য করেছেন
একেকটা লেখাকে একেকটা সময়কে ধারণ করে। এ পোস্টটাও এমন একটা সময়কে ধারণ করে, যখন ব্লগিঙ ছিল আরো বেশি সরগরম ও উত্তেজনাকর। এটা লেখা হয়েছিল ২০ জুলাই ২০১৫-তে, আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে। সময় তো বেশ বদলেছে সেই থেকে, তাই না? মানুষ, তথা ব্লগাররাও অনেক বদলেছেন।
ভালো থাকবেন প্রিয় যুনাইদ ভাই।
১২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এক মুঠো শায়মা আপু, এক চামচ জুন আপু'র সাথে এক চিমটি কা_ভা ভ্রাতা মিশে যাওয়ার পর পুরো অংকের খাতা কাটাকুটিতে ভরে গেল। ঘটনা তো ভয়াবহ হতে যাচ্ছে... তার মধে নাইক্যা থুক্কু নায়িকা আবার জেন্ডার বৈষম্যের উপর বই লিখছে
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এক মুঠো শায়মা আপু, এক চামচ জুন আপু'র সাথে এক চিমটি কা_ভা ভ্রাতা মিশে যাওয়ার পর পুরো অংকের খাতা কাটাকুটিতে ভরে গেল। হেহেহেহেহেহেহে। কিছু পারমিউটেশন-কম্বিনেশন করলে একটা পরিষ্কার ক্যারেক্টার অবশ্য দাঁড়িয়ে যায়, আপনি সেইদিকে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন ফর্মুলা কষতে থাকুন। ফলাফল আপনার দোরগোড়ায়
১৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: বেশ মজার।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর কমেন্ট।
১৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৮
শায়মা বলেছেন: হা হা কলাবরিষ্ঠা নাম এখনও মনে আণায় দাও যদিও সবাই ভুলে গেছে ......
আমি অবশ্য এই নাম যেদিন পেয়েছিলাম ভেবেছিলাম জসিমুদ্দীনের নারীর ষোলকলা গল্পের ষোলকলার উপরে চৌষট্টি কলা টাইপ কিছু।
নীলআকাশ ভাইয়ু দৌড়ানির ভুই নাই। যুগে যুগে সামু ব্লগে সকলেই অবিচল বলে গেছে এই নাম।
বোকামানুষ ভাইয়ু পুরা ওর সালাইনের বেশিভাগটাই আমাকে দিয়ে দিলো।
কিন্তু নায়িকার চেহারায় কাভা ভ্রাতার মিল পাইলো কেমনে!!!
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি অবশ্য এই নাম যেদিন পেয়েছিলাম ভেবেছিলাম জসিমুদ্দীনের নারীর ষোলকলা গল্পের ষোলকলার উপরে চৌষট্টি কলা টাইপ কিছু।
এখানে এক কলাবরিষ্ঠাকে দেখা যাবে
১৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৪৭
জটিল ভাই বলেছেন:
যাক্ ভাই, আমি যিনি ভেবেছিলাম ইনি তিনিই
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সঠিক ভাবে ভাবতে পারায় অভিনন্দন আপনাকে
১৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৫
মেহবুবা বলেছেন: কোন পুরষ্কারের ব্যবস্থা কি আছে যদি সঠিক মানুষের নাম বলা হয়?
না থাকলে এত কষ্ট করে শায়মার নাম বলবো কেন?
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ভালো কথাই তো বললেন দেখি, একটা পুরষ্কারের ঘোষণা তো দেয়া যেত। তবে, ধাঁধার উত্তর ফাঁস করে দিয়ে বলবো না যে, গল্পের নায়িকা 'শায়মা'। নামটা গোপনই থাক
১৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সোনাবীজ ভাই, অনেকদিন পর এসে পরিচিতদের খুঁজছি আর আপনার পোস্টে টিপ মারছি! এসে তো চোখে সর্ষে ফুল দেখছি! কারে দিয়া কী লেখলেন, কার জন্য, কারে বুঝাইতে...। অবশেষ কী হলো - ট্রাজিডি, নাকি কমেডি, নাকি ট্রাজিকমেডি!
পাঠকদের মহা ধান্দায় ফেলানো যদি আপনার ইশতেহার হয়ে থাকে, তবে আপনি নির্বাচনে অটোপাশ!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা! গতকাল উপজীব্য উপলক্ষ্যে এক্সট্রা শুভেচ্ছা!
১৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: খলিল ভাই,
আমার মিসির আলী গোয়েন্দিক মন বলছে মেহ্বুবার উত্তর ঠিক জিপিএ ফাইভ বা গোল্ডেন জিপিএ কারেক্ট হয়নি ।আপনার সাথে সেই ব্লগার বা ফেসবুকারের র প্রথম দর্শন বা আলোচনায় খাবারের কোনো পরিসংখ্যান নেই দেখেই ক্লুটার কথা মনে হলো । মেহ্বুবার এনসার সঠিক হলে তার টেবিল ভর্তি আকবরী খাবা দাবারের ব্লগ ফটোর মতো অনেক কিছুই আপনার ভাগ্যেও জোটের কথা ছিল ।সেটা হয়নি বলে ডিডাক্টিভ লজিক এপ্লাই করে সেই সম্বাবনাটা বাদ দিতেই হচ্ছে ! কি বলেন মিসির আলী মন কি ঠিক না বেঠিক ?
১৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আচছা, বলুন ত মেয়েটি কে ?
- এ কোন প্যাচালে ফালাইলেন সোনাবীজ ভাই ? লিকা পড়তে পড়তে যকনই মনে হয়েছে আরে এতো সে ই , যারে আমি চিনি,যে আমার বনি (শায়মা বনি) তারপরেই মনে হয়েছে আরে এ সে নয় । এ যে জুন বোন (লেডি বতুতা)। কি মুশিবত!!!! কইন চেন দেহি।
আপনি এ যুগে এমন সোনায় সোহাগা, ষোল কলা পূর্ণ (যে রমণীর গুনের শেষ নেই ) রমণীর খোজ কি কইরে পাইলেন বা কিভাবে এমন ছবি আকলেন মনে মনে তাই কুটি টেহার প্রশ্ন।
তয় কাছের মানুষ ভাই যেভাবে হের সাথে তার পরিচয়ের পর্ব তুইলে ধরেছেন ইডা ঐলে জোস ঐত তয় তা অইব কিনা জানিনা তয় প্রেম ভংগের বেদনা আমারে ব্যাপোক ব্যথীত করেছে।
কারন, মেয়েটা যে এত বদ আগে জানতাম না । সে ফেবু কিংবা ব্লগে জানপ্রাণ দিয়া ভাইয়া বলে , লাভু করে দেকা অওয়ার পর যে চিনতে অস্বীকার করবে ইডা মাইনে নিতে ব্যাপোক কষ্ট অইলেও মনে মনে ব্যাফোক মজা পাইছে আপনের প্রেমের ঘড়া জলে ঢুইবে যাওয়ার জন্য।
আর তাই যখনই আপনে আদরে গদ গদ অইয়ে নিজের সোনা মিয়া পরিচয় দিয়েও তার মন গলাইতে ব্যর্থ অইয়েছেন তখনই আমি দেখতে পেয়েছি (অনুমান করে নিয়েছি আরকি) সে বলেছিনু - অনেক পরে পাইছি তরে , আইজকা তরে খামু -তর ফেবু প্রেমের স্বাদ আইজকা মিটামু !!!!!!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: ভাল! আপনি ফেইসবুক এবং ব্লগ সেলিব্রেটি নিয়ে লিখুন আমরা আগ্রহ নিয়ে পড়োব।
সব চেয়ে ভাল হয় যদি এভাবে পরিচয় হয়ঃ
মেয়ে সেলিব্রেটী এবং কিছু দেমাগী। আপনি রাস্তা দিয়ে হাটছেন, মেয়েটি ধুমধারাক্কা গাড়ি চালিয়ে এসে পিছন থেকে দিল ধাক্কা! দাঁড়িয়ে বললেন মেম সাহেব গরীবকে কি মানুষ মনে হয় না? মেয়েটি রেগে অগ্নিমূর্তি হয়ে বলল হারাম জাগা, ছোট লোক তুই জানিস আমি চৌধুরী সাহেবের মেয়ে? সাথে ফ্রি ইংলিশে ঝাড়ল! আপনিও কম যান না, পাল্টা জাবাবে বললেন ফারদার ডোন্ট স্পিক ইংলিশ উইথ মি! মেয়ে এবার নমনীয় হয়ে বলল তুমি ইংলিশ জান, তুমি আসলে কে? আপনার সাফ জবাব আমি বিয়ে পাশ, চাকরী পাচ্ছি না। মেয়ে খুশী, আপনি ইংলিশ জানেন শূনে আপনার প্রেমে কাবু হয়ে গেছে। মেয়ে বাসায় ফিরল, মা আহ্লাদিত ডায়লগ দিল দুধ টুকু খেয়ে নে মা, মেয়ের আজ মন ছটফট করছে, বিছানায় উপুর হয়ে শুয়ে আপনাকে কল্পনায় নাচানাচি করে গান গাইছে! আপনি পরে জানতে পারলেন এই মেয়ের বাবাই ছোট বেলায় আপনাদের সম্পত্তি দখল করে বাসা থেকে বের করে দিছে, কাহিনী কমপ্লিকেটেড হওয়া শুরু!