নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
গ্রুপ নাম্বার-২ - বাংলাদেশ যে-গ্রুপে
সবার আগে নীচের ছবিতে পয়েন্ট টেবিলটা দেখে নিন।
এই লিংকে গিয়েও পয়েন্ট টেবিলটা দেখে নিতে পারেন - পয়েন্ট টেবিল
অংকে যাদের মাথা ঘোরায়, তারা প্লিজ স্কিপ করুন। উল্লেখ্য, আমি অংকে ভালো
আগামী ০৬ নভেম্বর, রবিবার ভোরেই সাউথ আফ্রিকার ভাগ্য নেদারল্যান্ডসের সাথে খেলায় স্থির হয়ে যাবে। সহজ প্রতিপক্ষ। কোনো অঘটন না ঘটলে, বৃষ্টি বাগড়া না দিলে সাউথ আফ্রিকা জিতবে এবং সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করবে ৭ পয়েন্ট নিয়ে। তবে, সাউথ আফ্রিকা যদি হেরে যায়, তখন খেলা জমে উঠবে।
আগামী ০৬ নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটা নরমাল কোনো ম্যাচ হবে বলে মনে হয় না। যে জিতবে তারই হবে ৬ পয়েন্ট। কিন্তু সেমির আশা জিইয়ে রাখার জন্য নেট রান রেটে ইন্ডিয়ার চাইতে এগিয়ে থাকার জন্য বিজয়ী দলকে অনেক বড়ো ব্যবধানে জিততে হবে। এজন্য পিচে আগুন জ্বালতে হবে, কিছু ব্যাট ফাডাইতে হবে, ক্রিজ ভাঙতে হবে, মাটি গর্ত কইরা ফালাইতে হবে।
ইন্ডিয়ার সামনে থাকবে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ে জিতলে ইন্ডিয়ার পয়েন্ট ৬-ই থাকবে। তখন বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের বিজয়ী (ইনশা'ল্লাহ সেটা বাংলাদেশই হবে) এবং ইন্ডিয়ার মধ্যে নেট রান রেট সাহেব ভূমিকা রাখবেন। আর ইন্ডিয়া জিতে গেলে, ঐদিকে সাউথ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে গিয়ে থাকলে ইন্ডিয়ার পয়েন্ট ৮ হবে, ইন্ডিয়া সেমিফাইনালে চলে যাবে, আর বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের মধ্যে বিজয়ী দল হবে বাংলাদেশ, এবং রানার আপ, ইন শা'ল্লাহ। আর যদি ইন্ডিয়া জিম্বাবুয়েকে হারায়, সাউথ আফ্রিকা হারায় নেদারল্যান্ডসকে, তাহলে ইন্ডিয়ার ৮ পয়েন্ট, সাউথ আফ্রিকার ৭ পয়েন্ট, আমরা পাকিস্তানকে হারাইয়াই ৬ পয়েন্ট লইয়া বগলে ডুগডুগি বাজাইয়া নাচতে থাকুম
গতকাল ০৩ নভেম্বরে পাকিস্তান ৩৩ রানে সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে নেট রান রেটে বাংলাদেশ ও ভারতের চাইতে অনেক বেশি ফেভারেবল পজিশনে চলে গেছে - এটা বাংলাদেশের জন্য ডিজঅ্যাডভান্টেজ।
সিমিলার কন্ডিশনে সাউথ আফ্রিকার চাইতে বাংলাদেশ গত ০২ নভেম্বরে ইন্ডিয়ার বিপক্ষে অনেক ভালো খেলেছিল। ইন্ডিয়ার ভিত তছনছ করে দিয়েছিল বাঙালিরা, যদিও হার মানতে হয়েছিল শেষ পর্যন্ত। উল্লেখ্য, ঐ ম্যাচের আগের দিন এডিলেইডে শাকিবের স্টেটমেন্ট নিয়ে অনেকেই বিতর্ক করছেন। মিডিয়ায় অনেক উলটাপালটা কথা লেখা হয়েছে, যা শাকিবের বলা মূল কথা থেকে অনেক ফ্যাব্রিকেট করা হয়েছে। আমি পুরা ভিডিওটা দেখেছি। খুব নরমাল ভাবে শাকিব কথাটা বলেছিলেন। এটা ছিল কিছু স্ট্র্যাটেজিক বক্তব্য, যদিও বেশ ক্যাজুয়ালিই তিনি কথাগুলো বলছিলেন। এটা ইন্ডিয়ার উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করার একটা কৌশল, খেলাধুলায় যা অহরহ ঘটে থাকে। একইভাবে, নিজেদের উপর থেকেও চাপ কমে যায় অনেকখানিই। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে কেবল আয়োজক হবার সুবাদে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে কাতার। তো, তারা যদি বলে আমাদের টার্গেট হলো বিশ্বকাপ জয় করা, এটা ইতিহাসের সেরা কৈতক হইয়া যাইব। ফর দ্যট ম্যাটার, জাপান, তিউনিশিয়া, মরক্কোর মতো দলও যদি বলে ফেলে, আমাদের লক্ষ সেমি-ফাইনাল, সেগুলোর ইতিহাসের সেরা কৈতকই হইয়া যাইব। 'ইন্ডিয়া একটা ফ্যাভারিট টিম, তারা চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছে, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে আসি নি। আমরা ভালো করেই জানি, ইন্ডিয়ার বিপক্ষে আমরা জিতলে সেটাকে আপসেট বলা হবে। আমরা আমাদের সেরা খেলাটাই খেলবো, এবং আপসেট ঘটাব।' এই নিষ্কলুষ ও নির্দোষ কথাগুলো শাকিব খুব সাধারণ ভাবে বলেছেন, এবং 'আমরা ভালো করেই জানি, ইন্ডিয়ার বিপক্ষে আমরা জিতলে সেটাকে আপসেট বলা হবে। আমরা আমাদের সেরা খেলাটাই খেলবো, এবং আপসেট ঘটাব।' কথাটার মধ্যে কতখানি জেদ ও ক্ষোভ কাজ করেছে, অনেকেই সেটা ধরতে পারে নি। কিছু অসৎ মিডিয়া ও অসৎ লোক এ কথাগুলোকে আবার বিকৃত করেছে এভাবে - 'আমরা জিততে আসি নি। আমরা ইন্ডিয়াকে হারাতে আসি নি। ইন্ডিয়াকে হারালে সেটা আপসেট হবে'। ইত্যাদি। চিন্তা করুন, মানুষ কতখানি অসৎ ও নিকৃষ্ট হলে একজন ক্যাপ্টেনের কথাকে এভাবে বিকৃত করতে পারেন।
০২ নভেম্ব ঐ ম্যাচে আইসিসি আবারও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজ করেছে; অর্থাৎ, যে-সুবিধাগুলো বাংলাদেশের পাওয়ার কথা ছিল, তা আম্পায়ারগণ বাংলাদেশকে দেন নি। যেমন, কোহলির ফেইক থ্রোয়িং-কে আইনের আওতায় আনা হয় নি, কোহলির আবেদনের প্রেক্ষিতে আম্পায়ার 'নো' বল কল করেছেন; বৃষ্টির ফলে মাঠে কাদা থাকা সত্ত্বেও, শাকিবের আবেদন বা প্রতিবাদে আম্পায়ার ভেজা মাঠে খেলা শুরু করেন, যার মূল্য দিতে হয় লিটন দাসের পা পিছলে যেয়ে রান আউট হওয়ার ঘটনায়। বাংলাদেশের সাথে এরকম সৎছেলে সুলভ আচরণ না করলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো।
ইন শা'ল্লাহ, পাকিস্তানকে হারাতে হবে, এটা হলো আমাদের ইমিডিয়েট টার্গেট। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ হবে ০৬ নভেম্বর রবিবার সকাল ১০টায়। সাউথ-আফ্রিকা নেদারল্যান্ডস ম্যাচ হবে সকাল ৬টায়, ইন্ডিয়া-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দুপুর ২টায়।
**
এবার আপনাদের মাথায় আরেকটু চক্বর লাগাইয়া দিই
বাংলাদেশকে সেমিতে খেলতে হলে নিম্নের তিনটা 'যদি' পার হতে হবে :
*NL beats SA*
ZMB beats India - অনেক বড়ো ব্যবধানে, মানে গো-হারা হারাইতে হবে, কিছু রেকর্ডসহ
BD beats Pak - অনেক বড়ো ব্যবধানে। কত বড়ো ব্যবধানে, তা নীচে হিসাব দেখুন।
যদি NL beats SA, তাতে বাংলাদেশের সামনে থেকে একটা প্রতিযোগী কমে যাবে; সাউথ আফ্রিকা তখন ৫ পয়েন্ট নিয়া সেমির দৌড় থেকে আউট। তবে, সাউথ আফ্রিকা যদি জিতে যায়, তখন সাউথ আফ্রিকা অলরেডি সেমিতে উঠে যাবে ৭ পয়েন্ট নিয়ে। আমাদের সামনে থাকবে কঠিন চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানকে হারানো আর একটা যদি *জিম্বাবুয়ের কাছে ইন্ডিয়ার হেরে যাওয়া।*
কিন্তু, ইন্ডিয়া হেরে গেলেও এবং বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেও বাংলাদেশের পথ ক্লিয়ার হবে না। ঐদিকে জিম্বাবুয়ের কাছে ইন্ডিয়াকে বেশ গো-হারা হারতে হবে, যাতে ইন্ডিয়ার নেট রান রেট নেগেটিভ হয়ে বাংলাদেশের চাইতেও বেশি নেগেটিভ হয়।
এবার আমাদের ক্যালকুলেশন দেখা যাক। ৭৬ ওভারে বাংলাদেশ পক্ষে করেছে ৫৪০ রান এবং একই সংখ্যক ৭৬ ওভারে বিপক্ষে হয়েছে ৬৩৭ রান, পার্থক্য হলো ৯৭ রান (নেট রান রেট -1.276)। ঐদিকে ভারত আছে ৫৮-৬০ রানের প্লাসে। ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন? ইন্ডিয়া যদি ১ রানে হারে, আমাদেরকে পাকিস্তানকে হারাতে হবে আগে ব্যাট করে ৯৭+৫৮+১= ১৫৬ রানের ব্যবধানে এটা একটা রাফ হিসাব। ভারত যদি ১০০ রানে হারে, তাহলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫৬-১০০=৫৬ রানে জিতলেই হবে। বুজেছেন, প্রিয় বন্ধুরা?
এগুলো রাফ হিসাবে। সূক্ষ্ম হিসাব হয়ত এর সাথে ৫-১০ প্লাস মাইনাস হতে পারে।
তো, এই থেকে কী মনে হয়?
আমাদেরকে পাকিস্তানকে হারানোই হবে ইমেডিয়েট টার্গেট। বিশাল ব্যবধানে হারাইতে যাইয়া টাইগাররা আবার নিজেরাই সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড কইরা বসলে সেটা খুব খারাপ হবে, তাই না?
গ্রুপ নাম্বার-১
আগে গ্রুপ-১ এর পয়েন্ট টেবিল দেখে নিন।
এবার চিন্তা করুন, আজ আয়ারল্যান্ড হারালো নিউজিল্যান্ডকে, এবং আফগানিস্তান হারালো অস্ট্রেলিয়াকে। তখন অবস্থা কেমন হবে?
নিউজিল্যান্ড - ৫
আয়ারল্যান্ড-৫
ইংল্যান্ড -৫
অস্ট্রেলিয়া-৫
শ্রীলংকা-৪
আফগানিস্তান-৪
আফগানিস্তান আজ জিতলেও সেমির দৌড় থেকে বাদ পড়ে গেছে আগেই।
শ্রীলংকা আর ইংল্যান্ডের ১টা করে ম্যাচ বাকি আছে এবং তাদের ম্যাচটা হবে গ্রুপের লাস্ট ম্যাচ। দুই দলই জেতার জন্য পিচে আগুন জ্বালাবে, ক্রিজ ভাঙবে, ব্যাট ফাডাইবে, ইত্যাদি ইত্যাদি যাবতীয় কর্ম সম্পাদন করিবে।
ঐ ম্যাচে শ্রীলংকা জিতলে চলে যাবে সেমিতে। ইংল্যান্ড হারলেও ৫ পয়েন্ট নিয়ে আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের সাথে নেট রান রেট নিয়া যুদ্ধ করিতে থাকিবে।
ঐ ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতলে তাদের হবে ৭ পয়েন্ট, চলে যাবে সেমিতে, আর দুই বারের ফাইনালিস্ট শ্রীলংকা বিরস বদনে বাসায় ফিরে এসে তামাক খাবে। উল্লেখ্য, আমার প্রিয় দলের নাম শ্রীলংকা, ব্লগার ও ফেইসবুকার বন্ধুরা সেই আদিকাল থেকেই এটা জানেন। একমাত্র শ্রীলংকা টিমেই আমি বাংলাদেশের ছায়া দেখতে পাই। শ্রীলংকাকে অনুসরণ করে বাংলাদেশও একদিন বিশ্বকাপ জেতার মতো উচ্চতায় উঠবে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এই সাথে এটাও বলে রাখি, পাকিস্তান জিতলে যাদের মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, আনন্দে গুলুগুলু করতে থাকে, আবার পাকিস্তান হারলে কষ্টে যাদের বুক ফাইট্ট্যা যায়, আমি কোনোদিন তাদেরকে আপন মনে করি নাই। এই গোষ্ঠিটাই সেই গোষ্ঠি, যারা কখনো বাংলাদেশের জয় সহ্য করতে পারে না, যাদের কাছে বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তানই প্রিয় দল। আপনি হয়ত অবাক হতে পারেন, ফেইসবুকের নানান থ্রেডে আমি দেখেছি, এই গোষ্ঠিটা পাকিস্তান টিমের প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুইল্যা ফালাইছে, আর বাংলাদেশ টিমের প্রতি অবজ্ঞার অন্ত নাই। এবং এই গোষ্ঠিটাই সেই গোষ্ঠি, যারা বাংলাদেশের পরাজয়ে প্রভূত আনন্দ পায় এবং ট্রল করতে করতে অর্গাজম ঘটাইয়া ফেলে। আপনার হয়ত বিশ্বাস করতে কষ্ট হতে পারে - আপনি এদের অন্তরে ঢুকে দেখুন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে এরা কোন দলের সাপোর্ট করে থাকে। ২০০৩ সালে প্রকাশিত আমার প্রথম উপন্যাস 'স্খলন' যারা পড়েছেন, তারা নিশ্চয়ই দেখেছেন, এ উপন্যাসের একটা বড়ো বিষয় হলো ক্রিকেট, যেখানে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা, ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেটের ইস্যুটা হাইলাইট করা হয়েছে। ঐ উপন্যাসের গোড়াপত্তন হয়েছিল ৯৬ বা ৯৭ সালে অনুষ্ঠিত কোনো এক শ্রীলংকা-পাকিস্তান ওডিআই সিরিজকে কেন্দ্র করে, যেখানে শ্রীলংকা সিরিজ জিতেছিল।
যাক, বাস্তবতায় ফিরে আসি।
আয়ারল্যান্ড টসে জিতে ফিল্ডিঙ নিয়েছে। নিউজিল্যান্ড ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৮৫। ভালো পারফরম্যান্স। আয়ারল্যান্ডের লিটল হ্যাট্রিক করেছেন, টি২০ বিশ্বকাপের ২য় হ্যাট্রিক এটা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৮ ওভারে আয়ারল্যান্ড ৬৮/১ রান করেছে। আয়ারল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে কিন্তু।
এবার আরেকটা অপশন চিন্তা করি, যেটা সম্ভাব্যতার দিক থেকে সবার উপরে থাকবে।
আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান ২ টিমই যদি হেরে যায়, তখন পয়েন্ট :
নিউজিল্যান্ড - ৭
অস্ট্রেলিয়া-৭
ইংল্যান্ড -৫
শ্রীলংকা-৪
আয়ারল্যান্ড-৩
আফগানিস্তান-২
এই অবস্থায় আগামীকাল শ্রীলংকা জিতলেও গ্রুপে ৩ নাম্বার অবস্থান নিয়াই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে। ইংল্যান্ড জেতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে এবং শ্রীলংকাকে গুঁড়িয়ে দিতে চাইবে। শ্রীলংকার যেহেতু সেমির চান্স থাকবে না, তারাও নিশ্চয়ই জীবন দিয়া দিতে চাইবে না জেতার জন্য। তখন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যে নেট রান রেটের ভিত্তিতে অবস্থান নির্ধারিত হবে।
আরো অপশন আছে, যেমন, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড জিতলে কী হবে? নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও শ্রীলংকা জিতলে কী হবে? ইত্যাদি। এগুলো আপনারা একটু কষ্ট কইরা হিসাব কইরা বুইঝা লন। সবই যদি আমি বলে দিই, তাইলে আপনাদের কাজ কী?
গ্রুপ-১ এর আপডেট, রাত ৮ঃ১০ মিনিট, ০৪ নভেম্ব ২০২২
নিউজিল্যান্ড ৩৫ রানে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছে (নিউজিল্যান্ড ১৮৫/৬, আয়ারল্যান্ড ১৫০/৯)। উত্তেজনাপূর্ণ ২য় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৪ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তানকে (অস্ট্রেলিয়া ১৬৮/৮, আফগানিস্তান ১৬৪/৭)। এর ফলে পয়েন্ট টেবিল হলো :
নিউজিল্যান্ড - ৭, নেট রান রেট 2.113
অস্ট্রেলিয়া-৭, নেট রান রেট -0.173
ইংল্যান্ড -৫, নেট রান রেট 0.547
শ্রীলংকা-৪
আয়ারল্যান্ড-৩
আফগানিস্তান-২
নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ৭ পয়েন্ট করে নিয়ে যথাক্রমে ১ম ও ২য় অবস্থানে আছে। শ্রীলংকা অলরেডি আউট হয়ে গেছে সেমি'র দৌড় থেকে। উপরে দেখতে পাচ্ছেন, সব চাইতে ভালো নেট রান রেট হলো নিউজিল্যান্ডের, আর খারাপ নেট রান রেট হলো অস্ট্রেলিয়ার। আগামীকাল শ্রীলংকা-ইংল্যান্ড ম্যাচে শ্রীলংকা জিতে গেলে শ্রীলংকা ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে ৩য় হবে, ইংল্যান্ড ৫ পয়েন্ট নিয়ে ৪র্থ। বৃষ্টিতে পণ্ড হলেও ইংল্যান্ড ও শ্রীলংকা আউট। ইংল্যান্ড জিতলেই গ্রুপে ২য় অবস্থান নিয়ে সেমিফাইনালে চলে যাবে নিউজিল্যান্ডের সাথে, যেহেতু নেট রান রেট অস্ট্রেলিয়ার চাইতে বেটার। অস্ট্রেলিয়া তখন ৩য় অবস্থানে বসে ঘরের মাঠে দর্শক হিসাবে অন্য টিমের সেমি ও ফাইনাল খেলা দেখবে
০৫ নভেম্বর দুপুর ২টায় ইংল্যান্ড-শ্রীলংকার ম্যাচটি হবে সিডনিতে।
বিঃদ্রঃ
যারা ক্রিকেট পছন্দ করেন না, কিন্তু ফুটবল করেন, তারা আপাতত কিছুদিন ঘুরে বেড়িয়ে আসুন, নব-বিবাহিতরা হানিমুন বা মধুচাঁদ ঘুরে আসুন ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। ২০ নভেম্বর থেকে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু। উল্লেখ্য, আমার প্রিয়দল ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা (এবার আপনারা নিজেরা-নিজেরা মারামারি করেন
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এবারের টি২০-তে বাংলাদেশ একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সুপার১২/১০/৮ লেগে এবারই প্রথম বারের মতো জয় পেয়েছে বাংলাদেশ এবং ২টা জয় নিয়ে ৪ পয়েন্ট পেয়ে এখনো সেমিতে খেলার আশা জিইয়ে রেখেছে। ০২ নভেম্বরে ইন্ডিয়ার বিপক্ষে আমরা জিততে জিততে হেরে গেছি, দুর্ভাগ্য, নইলে অবস্থা আরো ভালো থাকতো।
ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।
বাংলাদেশের ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান মাত্র ১-জন (লিটন)। মিডল অর্ডারের অবস্থা যাচ্ছে-তাই। লোয়ার অর্ডারে হিটার কেউ নাই। বোলার ভালো অবস্থায় মাত্র ১-জন (তাসকিন)। সব মিলে লেজে গোবরে অবস্থা।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের ৪-৫-জন প্ল্যায়ার ফর্মে।
তাই, আশা না করাই ভালো।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শাইয়্যান ভাই, উত্তরের কিছু অংশ ১ নম্বর কমেন্টের উত্তরে দেখুন।
হ্যাঁ, আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। আমরা খেলা না দেখে এবং তার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ, খেলা না বুঝেই ফ্লুক কমেন্ট করি, আর প্রত্যাশ্যা করি অবাস্তব - যার ফলে আমাদের আশাহত হতে হয় বেশি। আমাদের প্রত্যাশা থাকতে হবে আমাদের ক্যাপাবিলিটি অনুযায়ী। যাই হোক, বাংলাদেশের অবস্থা মোটেও লেজেগোবরে না। এ টুর্নামেন্টে সাউথ আফ্রিকার সাথে ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে নি। নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে। ইন্ডিয়ার কাছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হেরেছে। এ টুর্নামেন্টের অন্যতম এক্সাইটিং ম্যাচ ছিল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি। লেজে-গোবরে টিম কোনোদিন এ পারফরমেন্স দেখাতে পারে না। পোস্টে এ ব্যাপারে হাইলাইট করেছি।
ওপেনিং ব্যাটসম্যান একটা সমস্যা ছিল বাংলাদেশের। এ টুর্নামেন্টে শান্ত হলো একটা উত্তম আবিষ্কার ওপেনার হিসাবে। হয়ত সৌম্য-শান্ত জুটিই টিকে যাবে। আমাদের মোস্ট ডিপেন্ডেবল বা ভেলুএবল প্লেয়ার হলেন শাকিব, লিটন ও সোহান। কিন্তু এরা কেউই একত্রে ক্লিক করতে পারছেন না। তবে, এ টুর্নামেন্টে একটা বিষয় পরিষ্কার হচ্ছে - ক্রিকেটও ফুটবলের মতো টোটাল গেমে পরিণত হতে যাচ্ছে, এটা এ টুর্নামেন্টের বেশির ভাগ টিমের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ফলে, একজন-দুজন ব্যাটসম্যান-নির্ভরতা আমাদের কমে গেছে। আমাদের সেরা খেলোয়াড়রা জ্বলে না ওঠা সত্ত্বেও ২টায় জিতেছি, ১টায় টাফেস্ট ফাইট দিয়েছি।
পাকিস্তানের এত শক্তি থাকা সত্ত্বেও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান হেরেছে ইন্ডিয়ার কাছেও। আর ইন্ডিয়াকে অল্পের জন্য হারাতে পারে নি বাংলাদেশ। দিনের খেলায় বাংলাদেশ যদি বেটার পারফর্ম করে, অবশ্যই বাংলাদেশ জিতবে। যদিও পরিসংখ্যানে পাকিস্তান অনেক এগিয়ে, ১৭ বারের মোকাবেলায় বাংলাদেশ ২টায় জিতেছে, পাকিস্তান ১৫টিতে।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
নিউজিল্যান্ড- আফ্রিকা ফাইনাল হোক 'নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবো।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি চাই বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ফাইনাল, এতেও নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখার সুযোগ থাকে বাংলাদেশের আশা এখনো শেষ হয় নাই কিন্তু।
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০১
অপ্সরা বলেছেন: খেলা আর অংক দুইটাতেই তো আমার মাথা ঘোরায় ভাইয়া।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তাইলে শুধু খেলা দেখেন তবে খেলা দেখতে দেখতে অংক এমনিতেই বুঝে যাবেন
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৭
পেঁংকু বঁগ বলেছেন:
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: প্রতিবার বিশ্বকাপ আর যাই হোক, বাংলাদেশ টিম আমাদের সমীকরণবিদ বানিয়ে দেয় !
এমন কাজ মাঝে মাঝে আর্জেন্টিনাও করে
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন। টুর্নামেন্টগুলো আমাদের সমীকরণবিদ বানিয়ে দেয়। আর খেলাধূলার উত্তেজনা বা আনন্দ এখানেই। দেখুন, এখনো পর্যন্ত কেউই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারে নি। প্রতিটা গ্রুপেই লাস্ট ম্যাচ পর্যন্ত এই উত্তেজনা বজায় থাকবে
৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ক্রিকেট খেলা দেখা ছেড়ে দিয়েছি।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি খেলা না দেখে থাকতে পারি না যে
৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের দেশের ক্রিকেটারগণ গান শুনলে ভালো খেলবে। টেকা টেকা উড়ে ...... আমার গালে বসো।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি জাস্ট আন্দাজেই ইউটিউবে খুঁজলাম, হয়ত এট একটা পপুলার গানই হবে, পেয়েও গেলাম
৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২১
শেরজা তপন বলেছেন: ওরে বাবা বিরাট ক্যালকুলেশন- আমার মাথা চক্কর দিচ্ছে।
থাক বাংলাদেশের সেমিতে যাবার দরকার নাই
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। বেশি চাপে পড়ে বিরাট ব্যবধানে জিততে যাইয়া টাইগাররা দেখা গেল সর্বনিম্ন রান কইরা ফালাইছে। ব্যাপারটা কেমন হবে তখন? থাক, পাকিস্তানকে হারাইলেই হবে, আর কিছু চাহি না
১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আজকের রাতটাই বাকি।
দেখা যাক, আমার সমীকরণ মিলে না আপনারটা।
একটা বাজি হয়ে যাক?
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
প্রিয় শাইয়্যান ভাই, ক্রিকেট খেলা শুধু দেখাই না, বোঝারও একটা ব্যাপার আছে। ফ্লুক কমেন্ট বা র্যান্ডম কমেন্টের ফলাফল ফকিরের কেরামতির মতো অনেক সময় মিলে যেতে পারে কিন্তু সেই মিলে যাওয়ার কোনো মূল্য নাই। এজন্য প্রতিটা ম্যাচের আগে বা পরে স্পেশিয়ালিস্টগণ অ্যানালাইসিস করেন।
দেখা যাক, আমার সমীকরণ মিলে না আপনারটা। প্রিয় শাইয়্যান ভাই, আপনি ক্রিকেট কতখানি দেখেন বা বোঝেন আমি জানি না। তবে, আপনার জানার জন্য বলছি, ক্রিকেটে সমীকরণ আপনার একরকম, আমার অন্যরকম, শেরজা তপন ভাইয়ের আবার ভিন্নরকম, এমন হয় না। সব সমীকরণ একরকমই থাকে। পুরো পোস্টটি যদি আপনি পড়ে থাকেন, আর অংক যদি আপনার ফেভারিট সাবজেক্ট হয়ে থাকে, তাহলে হয়ত এসব অংকের কারসাজি বা সমীকরণ বুঝেছেন। আচ্ছা তারপরও বলুন, আপনার সমীকরণটা কী? এ সমীকরণ আপনি কোথায় দিয়েছেন? উপরের কমেন্টে তো আপনি কোনো সমীকরণ দেন নি
যাই হোক, গতকালের খেলার পর পোস্টে আপডেট দেয়া হয়েছে। সেটা দেখুন। অংকে আপনি ভালো হলে এগুলো বুঝবেন ভালো। অংকে মাথা ঘোরালে আর এসবে ঢুইকেন না
ফ্লুক বা র্যান্ডম কমেন্টে বাজি ধরা না, অ্যানালাইসিস করার স্কিল ডেভেলপ করতে হবে আমাদের। ফ্লুক কমেন্ট করে বাচ্চারা, খেলা না বুঝেই বা না দেখেই
শুভ কামনা প্রিয় শাইয়্যান ভাই।
১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমার কাছে ইন্ডিয়ার চাইতে পাকিস্তান কে কঠিন প্রতিপক্ষ মনে হয়।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইন্ডিয়া হলো ব্যাটসম্যান ডিপেন্ডেন্ট টিম। অন্যদিকে পাকিস্তান হলো বৌলার ডিপেন্ডেন্ট টিম। আমাদের বৌলিং ও ব্যাটসম্যান ডিপার্টমেন্ট দুটোই ইন্ডিয়া বা পাকিস্তানের উভয় ডিপার্টমেন্টের চাইতে তুলনামূলকভাবে দুর্বল। আমাদের টিমে, আমার মতে, বৌলিং ডিপার্টমেন্ট ব্যাটসম্যান ডিপার্টমেন্টের চাইতে অনেক দুর্বল।
যাই হোক, শক্ত প্রতিপক্ষ কে, তা বোঝার জন্য পরিসংখ্যানের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
টি২০'র ১২ খেলায় ইন্ডিয়ার বিপক্ষে আমরা ১টায় জিতেছি, ইন্ডিয়া জিতেছে ১১টিতে।
১৭ খেলায় আমরা ২টিতে, পাকিস্তান ১৫টিতে জিতেছে।
জয়ের অনু্পাত, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২২%, ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ১৭%
টি২০-তে শক্ত প্রতিপক্ষ হলো ভারত।
ওডিআইতে, ৩৬ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৫টিতে, ইন্ডিয়া ৩০টিতে, নো রেজাল্ট-১টি।
৩৭ খেলায় বাংলাদেশ ৫টিতে, পাকিস্তান ৩২টিতে জিতেছে।
জয়ের অনুপাত, ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ৩৭%, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৬%
ওডিআইতে শক্ত প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
টেস্টে ১১ ম্যাচে ড্র ২টা, ইন্ডিয়া জিতেছে ৯টি।
১৩ ম্যাচে ড্র ১টা, পাকিস্তান জিতেছে ১২টি।
ড্রয়ের অনুপাত ইন্ডিয়ার সাথে ২৬%, পাকিস্তানের সাথে ১১%।
টেস্টে শক্ত প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
পরিসংখ্যানের ফলাফল যদিও খুব হাস্যকরভাবে খুবই কাছাকাছি, বাস্তবক্ষেত্রেও এটা পার্থক্য করা খুব কঠিন হবে, আমাদের অধিক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ কে, ভারত, নাকি পাকিস্তান। কারণ, দুই দলের বিপক্ষেই আমাদের রেজাল্টের চেহারা অতিশয় করুণ।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ সৌরভ ভাই। শুভেচ্ছা।
১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:২৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আর কিচ্ছু বাকি নাই। সরাসরি একটা + রইলো।
- সত্যি করে বলেনতো ভাইজান এই পোস্ট লিখতে কতো সময় লেগেছে?
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জলদস্যু ভাই,
খেলাধুলা আমার অনেক প্রিয়, এজন্য যে-কোনো খেলা শুরু হলেই, বিশেষ করে ক্রিকেট ও ফুটবল, আমি লাইভ কমেন্ট্রি দিতে থাকি আমাদের বন্ধুদের ভাইবার গ্রুপে, কিংবা ফেইসবুকে। খেলার শুরুতে এবং শেষেও একটা সামারাইজ্ড অ্যানালাইসিস দিয়ে থাকি। আপনার কাছে অনেক জটিল মনে হচ্ছে বলে প্রশ্নটা করেছেন। আসলে বিষয়টা অত জটিল না আপনি যত জটিল ভাবছেন। নেট রান রেট, রিকোয়ার্ড রান রেট, ইত্যাদি বের করার জন্য আমি কোনো কোনো টুর্নামেন্টের সময় এক্স-এল শিটে ফর্মুলা বানিয়ে রাখি, ইন্সট্যান্টলি এগুলো হিসাব করার জন্য
এ পোস্টটা হলো ২/৩টা ভাইবার/ফেইসবুক পোস্টের সামারাইজ্ড অ্যানালাইসিস। ক্রিক-ইনফোতে পয়েন্ট টেবিলসহ অন্যান্য অনেক তথ্য দেয়া থাকে। ফলে ইকুয়েশন বের করতে তত বেগ পেতে হয় না।
আপনি বেশ মজা পেয়েছেন মনে হলো গুড কিপিটাপ
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩০
বিটপি বলেছেন: বিশ্বকাপ ফুটবলের আগে আরেক বিশ্বকাপ অনেকটাই জমে গেছে। এই বিশ্বকাপে ১২ দলের মধ্যে একমাত্র জয় না পাওয়া দল হচ্ছে আফগানিস্তান। একটি ম্যাচে তাদের জয়ের আশা ছিল, কিন্তু বৃষ্টি এসে তা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। দূর্বলতম দল নেদারল্যান্ডও জয় পেয়েছে। আয়ারল্যান্ড তার প্রতিবেশী ইংল্যান্ডকে এবং জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ভারতের কানের পাশ দিয়ে গুলি বেরিয়ে গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেই ভালোই ঘোল খেয়েছে। সব মিলিয়ে পুরো টুর্নামেন্টটিই উপভোগ্য হয়েছে।
তবে ক্রিকেট খেলায় আমার খারাপ লাগে এশিয়ানদের প্রাধান্য। ১২ দলের মধ্যে ৫ দলই এশিয়ান। অপর ৭ দলের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া বাদে আর সব দলেই ভারতীয় নয়তো পাকিস্তানী কেউ না কেউ আছে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। ক্রিকেট যে আপনি মনপ্রাণ দিয়ে দেখেন, আপনার এই সিনপসিস থেকে তা স্পষ্ট। আপনার অ্যাসেসমেন্টও সুন্দর।
১২ দলের মধ্যে ৫ দলই এশিয়ান। একেবারে ঠিক। ক্রিকেটের বিশ্বায়নের জন্য মূল দলে আমেরিকা, চায়না, ফ্রান্স, জার্মানি, এসব দলের অন্তর্ভুক্তি খুব প্রয়োজন। তবে, আমেরিকা ছাড়া বাকি দলগুলো ক্রিকেটে অনেক পেছনে। ক্রিকেটের বিশ্বায়ন ও জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্যই ৫০ ওভারের বদলে ২০ ওভারের ম্যাচে এখন জোর দেয়া হচ্ছে। এবারের টি২০ বিশ্বকাপটি ইন ফ্যাক্ট ৫০ ওভারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বদলে খেলানো হচ্ছে। আপনি দেখুন, এবারের টি২০ যত উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, আমার মনে হয় আগের বিশ্বকাপ ৫০ ওভারের উত্তেজনাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই উত্তেজনার হাওয়া পৃথিবীর বড়ো দেশগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে গেলে ক্রিকেটের জন্য তা মঙ্গলময় হবে।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা।
১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি খেলা না দেখে থাকতে পারি না যে
আমি মনে করি খেলা দেখা মানে সময় অপচয় করা। সেই সময়টুকু আমি বই পড়বো। লিখব।
আর খেলা যদি দূর্দান্ত হয়, তাহলে পরে হাইলাইটস দেখে নিবো।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কারো নেশা ঘুরে বেড়ানো, কারো ছবি তোলা, কারো মুভি দেখা, কারো বই পড়া। কিন্তু খেলা দেখা হলো মানুষের একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য। মানুষ নিজে খেলা করতে পছন্দ করে, খেলা দেখতেও পছন্দ করে। যেমন, গান গাওয়া বা গান শোনা।
কিন্তু এগুলো সবই বিনোদনের অংশ। মানুষ যে জ্ঞান আহরণের নেশায় ছোটে, সেটাও তার চিত্তের বিনোদন বা সন্তুষ্টির জন্যই করে থাকে।
আমার কাছে কোনো কিছুই অপচয় না। প্রতিটা এলিমেন্ট থেকে আমি শিখি, প্রতিটা শেখার মধ্যে আমি আনন্দ পাই।
আবার আসার জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি আমার আগের কমেন্টে জিজ্ঞাসা করেছেন - ''আপনার সমীকরণটা কী? এ সমীকরণ আপনি কোথায় দিয়েছেন? উপরের কমেন্টে তো আপনি কোনো সমীকরণ দেন নি।''
---------
ক্রিকেটে সমীকরণ - টমিকরণ কাজে লাগে না, ভাই।
বেশির ভাগ সময়ই এসব ভুল হয়।
সমীকরণ ঠিক থাকলে, কীভাবে আফগানিসটানকে হারাতে অস্ট্রলিয়ার এতো বেগ পেতে হয়? ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো সমীকরণবাদীদের বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বিদায় নিলো!
তাই, বলি, এসবে আস্থা রাইখেন না।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যে টুর্নামেন্টে দুইয়ের অধিক দল লিগ পদ্ধতিতে খেলে, সেখানেই পয়েন্ট টেবিল থাকে। পয়েন্ট, জয়, পরাজয়, ড্র, পক্ষে/বিপক্ষে, ইত্যাদি তথ্য সংযুক্ত থাকে। পয়েন্ট সমান হলে কীসের ভিত্তিতে অবস্থান নির্ণিত হবে, তার জন্য ল আছে, আবার প্রতিটা টুর্নামেন্টে বাই-ল'সও তৈরি করা হয়। টুর্নামেন্ট কমিটিকে এসব রেকর্ড রাখতে হয়।
ক্রিকেটে সমীকরণ - টমিকরণ কাজে লাগে না, ভাই।
বেশির ভাগ সময়ই এসব ভুল হয়।
হাহাহাহা, প্রিয় শাইয়্যান ভাই, আমারে আর হাসাইয়েন না খেলাধুলা বা খেলাধুলার এসব হিসাব আপনার জন্য না। গান বা অন্য বিষয়ে মনোযোগ দিন দেখুন, গতকাল যদি আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারতো, গতকালই অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত হয়ে যেত যে তারা সেমি-ফাইনালে যাচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়া জিতে যাওয়ায় শ্রীলংকা নিশ্চিত হয়ে গেল তারা সেমি থেকে আউট হয়ে গেছে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার আশা সেমির জন্য যদিও ঝুলে থাকলো, কিন্তু তারা ইংল্যান্ডের ভয়ে কাবু হয়ে গেল, যদি ইংল্যান্ড জয়লাভ করে, তবে, নেট রান রেটের ভিত্তিতে ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ড সেমিতে যাবে, অস্ট্রেলিয়া সমান ৭ পয়েন্ট পেয়েও সেমি থেকে আউট হয়ে যাবে। ঘটলো ঠিক এই জিনিসটাই। ইংল্যান্ড আজ হারিয়ে দিল শ্রীলংকাকে। শ্রীলংকার বিদায় তো গতকালই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ইংল্যান্ড আজ জিতে যাওয়ায় তাদের পয়েন্ট হলো ৭, ঐদিকে নিউজিল্যান্ড আগেই ৭ পয়েন্ট পেয়ে বেস্ট রান রেট নিয়ে বসে আছে। আর অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৭ হওয়া সত্ত্বেও রান রেটে সবার পেছনে থাকায় বাদ পড়ে গেল। এই যে হিসাবগুলো বললাম, এগুলো হলো পয়েন্ট টেবিলের খেলা, এগুলো ঠিক সমীকরণ না। আপনি না চাইলেও বা না বুঝলেও অর্গানাইজিং কমিটিকে এ কাজটি করতে হবে।
আর আমি এ কাজে দক্ষ কেন? এমনি এমনিতেই না। জীবনে আমাকে অনেকগুলো বড়ো আকারের টুর্নামেন্ট অর্গানাইজ করতে হয়েছে, এসব হিসাব নিকাশ করতে হয়েছে। কাজগুলো মোটেও সহজ না।
ব্যাপারটা পয়েন্ট টেবিল বা সমীকরণের উপর আস্থা রাখা বা না রাখার না। এটা হলো খেলার একটা অপরিহার্য অংশ।
আপনি সমীকরণ বলতে যেটা বোঝাতে চাচ্ছিলেন, সেটার নাম সমীকরণ না, সেটাকে প্রেডিকশন বলে বিশ্বের প্রায় সবগুলো বড়ো টুর্নামেন্টের ওয়েবসাইটে টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে পাবলিকের প্রেডিকশনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে। ২০১০ বিশ্বকাপ ফুটবল থেকে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমি সেগুলোতে পার্টিসিপেট করেছি।
আর আমার পোস্টের কোথাও আমি কোনো প্রেডিকশন করি নাই, যেটা করেছি তা হলো আলোচনা বা অ্যানালাইসিস।
বিষয়টা জটিল। সবাই ধরতে বা বুঝতে পারবেন না, সেটা আমি জানি। এ ধরনের পোস্ট এটাই আমার প্রথম না। ক্রিকেটেও হয়ত আরো কিছু পাবেন, আর পাবেন ফুটবলের সময়ও।
খেলা উপভোগ করুন, এ হিসাবনিকাশ থেকে দূরে থাকুন
কাল আছে বাংলাদেশের জন্য বিরাট একটা খেলা, পাকিস্তানের বিপক্ষে। মনেপ্রাণে চাই, সবগুলো 'যদি' টপকে আমার বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে সেমি-ফাইনালে।
শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনার আলোচনা বা এনালাইসিসটা ভুল। এটাই বুঝাতে চেয়েছি।
ক্রিকেট হচ্ছে মস্তিক আর আবেগের খেলা।
তা এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।
ব্যাপারস না!!! অলওয়েজ নেক্সট টাইম!!!
০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পৃথিবীর যে-কোনো খেলাধুলায় দলগুলোর অবস্থান নির্ণয়ের জন্য সব সময়ই কিছু সমীকরণ এবং অংক থাকে। থাকবেই। পয়েন্ট টেবিল ছাড়া আপনি দলগুলোর অবস্থান নির্ণয় করবেন কীভাবে? উদাহরণ দিই। এ বিশ্বকাপে একেকটা গ্রুপে ৬টা করে দল আছে, প্রতিটা দলকে ৫টা করে খেলা খেলতে হয়েছে। কোনো দল যদি ৫টায়ই জিতে, সে সরাসরি পয়েন্ট টেবিলের উপরে চলে যায়। কেউ ৪টা, ৩টা, ২টা, ১টায় জিতলে পয়েন্ট ওভাবে পয়েন্ট পেয়ে থাকে দলগুলো, এবং পয়েন্ট অনুযায়ী দলের অবস্থান স্থির হয়।
কিন্তু খেলাধুলা সবসময়ই আপনি যেভাবে চাইবেন সেভাবে হবে না। অন্যান্য টুর্নামেন্টগুলোর মতোই কিছু আপসেট ও চমক এ টুর্নামেন্টেও হয়েছে। এজন্য আলোচনাগুলো এত জমে উঠেছিল। ৯২ এর পর যতগুলো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়েছে, এবারের বিশ্বকাপটা হলো এখনো পর্যন্ত সবচাইতে বেশি অঘটনময়, যাতে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে দলগুলোর অবস্থান নির্ণয় এবং সেমি-ফাইনালিস্ট নির্ধারণের জন্য।
আমার অ্যানালাইসিসে আমি যতগুলো অপশন উল্লেখ করেছি, তার বাইরে খুব ছোটোখাট কিছু অপশান ছাড়া অন্য কোনো অপশন নেই। সেই ছোটো অপশনগুলোর মধ্যে কোনো ঘটনাই ঘটে নাই। অতএব সেই আলোচনা বাদ।
কিন্তু অবাক করা কাণ্ড হলো, অ্যানালাইসিসে যেটা বলেছিলাম, যদি নেদারল্যান্ডস সাউথ আফ্রিকাকে হারাতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের সামনে এক উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিবে। বাংলাদেশের সামনে তিনটা 'যদি' ছিল। আজ সকালে যখন সাউথ আফ্রিকা হেরে গেল, বাংলাদেশের জন্য প্রধানতম 'যদি'র শর্ত পূরণ হলো। বাংলাদেশ শিবিরে কাঁপন শুরু হলো, সমগ্র বাংলাদেশই না শুধু, ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডও চমকে উঠলো। ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড অবশ্য চমকে উঠলো শুধু বাংলাদেশের জন্য না, সাউথ আফ্রিকা হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান দুটো দেশেরই সম্ভাবনা দেখা দিল, অর্থাৎ, সাউথ আফ্রিকা আউট হওয়ায় ইন্ডিয়ার সাথে বাংলাদেশ অথবা পাকিস্তান - এ দু দলের যে-কোনো একটা যাবে সেমি ফাইনালে।
ঠিক এই সম্ভাবনা নিয়েই মাঠে নামলো বাংলাদেশ আর পাকিস্তান। যে-দল জিতবে, সেই যাবে সেমি-ফাইনালে। দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশ জিততে পারলো না।
আমি তো আমার অ্যানালাইসিসে এগুলোই দেখিয়েছি। আর এসব অ্যানালাইসিস যে শুধু আমারই, তা না। যারা ক্রিকেট বোঝেন, তাদের সবার অ্যানালাইসিস বা সমীকরণ হবে একই।
এখন খেলা শেষে এই যে আপনি লাফ দিয়ে এসে যে-কমেন্ট করলেন, আমার কথার জবাব দিন - আপনি কি ক্রিকেট খেলা বোঝেন? বা এই যে হিসাব নিকাশ এখানে দেখানো হয়েছে, এগুলো কি আপনি বুঝেছেন?
আপনি শুধু আমার পোস্ট থেকে একটা লাইন উঠিয়ে বলুন, আমার ঐ কথাটা ঐখানে ভুল লিখেছি আমি।
যদি স্পেসিফিক্যালি কিছু না বলতে পারেন, দয়া করে আর কমেন্ট করবেন না।
১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪২
আরইউ বলেছেন:
মনে হচ্ছে হৃদয়ে পাকিস্তান ধারণকারী দু' একজনার আপনার সমীকরণ খুব একটা পছন্দ হয়নি তাই এটা ওটার অযুহাত নিয়ে এসেছে।
অন্য পোস্টে করা মন্তব্যটা এখানেও প্রাসংগীক বিধায় কপি-পেস্ট করালামঃ
নিজের দেশ একটা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রণ করলে নিজের দেশের বিষয়ে আশাবাদী হতে, সেটা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করতে সমস্যা কোথায় ঠিক বুঝলামনা! এতে কার লেজে আগুন ধরে যাবার পেছনে যুক্তি কী সেটাও পরিষ্কার হলোনা!! হয়তবা পেয়ারা ফাকিস্তান এই সমীকরণে হেরে বিদায় নিতে পারত বলে কারো কারো মনে বেদম দুঃখ কষ্ট ভর করেছিল, হু নোজ।
কাউকে নির্দিষ্ট করে মিন করছিনা বাট এই ধরণের চিন্তা চেতনার জানোয়ারের দলই '৭১ এ বলেছে পাকিস্তানের শক্তি অনেক বড়; বাংলাদেশ তাদের সাথে পারবেনা; বাংলাদেশের পক্ষে সাধারণ জনতাকে উদ্ভুদ্ধ করা অনুচিত। এরাই চিন্তায় চেতনায় রাজাকার!
০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেকগুলো 'যদি' অতিক্রম করে একটা মাত্র অবস্টাকলের সামনে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-ভার্সেস পাকিস্তান ম্যাচ। এই একটা মাত্র ম্যাচে জিততে পারলেই বাংলাদেশ উঠে যায় সেমি-ফাইনালে। বাংলাদেশের কোন লোকটা চায় নি, বাংলাদেশ জিতুক? কিন্তু, সত্যপথিক শাইয়্যান ভাইয়ের এ পোস্টের কমেন্ট, আর এই পোস্টের কমেন্টগুলো থেকে আমি সত্যিই হতাশ। তিনি কি চান না বাংলাদেশ জিতুক? আমার প্রথমে মনে হচ্ছিল তিনি এসব অ্যানালাইসিস বা অ্যাসেসমেন্ট হয়ত বুঝতে পারছেন না। এখন আমাকে ভিন্ন ভাবে ভাবতে হচ্ছে।
১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯
আরইউ বলেছেন:
হৃদয়ে পাকিস্তানী চিন্তা-চেতনা ধারণ করলে এমনটাই হয়! পাকিস্তান জিতে যাওয়ায় ধরে প্রাণ ফিরে পেয়েছে কেউ কেউ। সরাসরিতি আর বলতে পারেনা তবে কমেন্ট পোস্ট দেখলেই বোঝা যায় বাধঁ ভাংগা উল্লাসে তাদের।
০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাংলাদেশের সামনে একটা মাত্র ম্যাচ। সেটা জিততে পারলেই সেমি-ফাইনাল। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। এমন না যে বাংলাদেশ কোনোদিন পাকিস্তানকে হারায় নি। এর আগে বাংলাদেশ ২বার টি২০ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছে। এমনও না যে, কোনো ছোটো টিম কোনো বড়ো টিমকে হারাতে পারে না। এই পাকিস্তানকে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে, যেই জিম্বাবুয়েকে আমরা অনেকবার হারিয়েছি। আজ সকালে নেদারল্যান্ডস হারিয়েছে সাউথ আফ্রিকাকে, যার ফলে আমাদের সম্ভবনা এত প্রবল ভাবে দেখা দেয়। তো, এই একটা মাত্র ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর বাসনায় কোন লোকটা বুকে আশা বাঁধে নি। এ অবস্থায় এ দেশের কোন মানুষটা আশাবাদী হবে না যে, বাংলাদেশ জিতুক? একমাত্র রাজাকার আর বাংলাদেশ বিরোধীরাই চাইবে বাংলাদেশ হারুক, পাকিস্তান জিতুক। আমার প্রশ্ন, সত্যপথিক শাইয়্যান ভাই কোন দলের জেতা উচিত বলে মনে করছিলেন? এই যে আমরা বাংলাদেশের বিজয়ের জন্য এতখানি উত্তেজিত হয়েছিলাম, এটা কি অনুচিত ছিল? আমাদের কি উচিত ছিল বাংলাদেশের বদলে পাকিস্তানের সাপোর্ট করা? কিংবা, পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়াক-আউট দিয়ে পাকিস্তানকে সরাসরি সেমি-ফাইনালে পাঠিয়ে দেয়া?
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের যেই ভঙ্গুর অবস্থা, তাই এখন একপ্রকার খেলা দেখাই ছেড়ে দিয়েছি। মেজাজ খারাপ হয় অযথা। বিশ্বকাপ ফুটবলে আমার প্রিয় দল দক্ষিন আমেরিকার যে কোন দল। এই মহাদেশের যে কোন দলের খেলে দেখাটা খুবই উপভোগ্য হয় হোক সেটা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পেরু, চিলি বা কলাম্বিয়া।