নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি শাদা কবুতর

২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৩

ধাপারি খালের মুখে আড়িয়াল বিলে আমাদের একটুকরো বোরো জমি ছিল। একবার ধান কাটা শেষ হলে রোদ পড়ার পর আমি আর নীশু খেতের আইলে গিয়ে দাঁড়ালাম। অমনি কোথা থেকে উড়ে এলো একঝাঁক লম্বা ঠোঁট ও পা-ওয়ালা সারস পাখি। ওরা গজ-ঢঙে হাঁটছিল আর মাটির বুক থেকে ধানের দানা কুড়িয়ে খাচ্ছিল। মাঝে মাঝে আনন্দিত চোখে আমাদের দেখছিল।
সোনার জমিনে থোকা থোকা শাদা বিন্দুর মতো সারস পাখিরা বিচরণ করছিল। আমি আর নীশু খুব অবাক হয়ে ওদের দেখছিলাম। হঠাৎ, চোখের পলকে সারসগুলো ঘুঘু হয়ে গেলো। ঘুট-ঘুট-ঘুট্টস শব্দে ওরা ধান খুঁটতে লাগলো। আমাদের চোখ বিস্ময়ে ছানাবড়া হতে থাকে। আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বিমূঢ় হয়ে যাই।
এবং হঠাৎই ডানা ঝাড়া দিয়ে সবগুলো ঘুঘু একসঙ্গে উড়ে গেল এবং আমাদের মাথার উপর দিয়ে একপাক ঘুরে আবার মাটিতে নেমে এলো। এ কী দেখছি আমরা! স্বপ্ন নয় তো? সারা খেত জুড়ে বাক-বাকুম করে চরে বেড়াচ্ছে একঝাঁক শাদা কবুতর।
দেখতে দেখতে খুব মধুর সুরে ওরা গান গেয়ে উঠলো এবং গান গাইতে গাইতে উড়ে গেল আর আমাদের সামনে একটি সুন্দর পালক রেখে গেল। আমি উবু হয়ে পালকটি হাতে তুলে নিই। পালকটিতে অমরাবতীর সুগন্ধি মাখানো ছিল। আমি নীশুর চুলে পালকটি গুঁজে দিলাম। নীশু স্বর্গীয় হাসিতে আমার বুক ভরে দিল।
সন্ধ্যার কিছু আগে আমরা বাড়ির দিকে পথ ধরলাম। আমি আগে, ছোটো ছোটো পায়ে নীশু আমার পেছনে হাঁটছিল। ও কখনো আমার হাত ধরে হাঁটে; আমি কখনো-বা পেছনে তাকিয়ে নীশুকে দেখছিলাম। নীশু আমার আদরের ছোটোবোন।

একবার পেছনে তাকিয়ে আমি চমকে উঠে দেখি - নীশু নেই।
নীশু!
নীশু!
আমি নীশুকে ডাকতে থাকি। আকুল হয়ে চারদিকে তাকাই। কোথাও নীশু নেই। কোথাও নেই নীশু।
আচানক আকাশ থেকে নীশুর মাথায় গুঁজে দেয়া শাদা পালকটি আমার সামনে ঝরে পড়ে; আমি উর্ধ্বে তাকিয়ে দেখি একটি শাদা কবুতর উড়ে যাচ্ছে, দূর অসীমের দিকে।
পালকটি তুলে নিয়ে আমি বুকের গভীরে গেঁথে রাখি।

৫ জুলাই ২০১৬


মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,





শুধুই বলি------ সুন্দর।

২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই, অতিকায় এক ধন্যবাদ নিন প্রথম কমেন্টের জন্য। শুভেচ্ছা।

২| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: দারুণ !

২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ অপু তানভীর ভাই। শুভেচ্ছা।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০০

জগতারন বলেছেন:
কী পড়লাম?
এ কি একটি স্বপন?
কেমন যেন এক স্বপনের মতন মনে হলো।

২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: না জগতারন ভাই, স্বপ্ন না। গল্পটার গভীরে একটা করুণ কাহিনি গাঁথা আছে। আমার ইমেডিয়েট ছোটোবোন, যে মাত্র দেড় কী দুই বছরের মাথায় মারা গিয়েছিল, সেই পটভূমিকায় এই ক্ষুদ্র গল্পটি লেখা।

গল্পটায় জাদুবাস্তবতা বা ইল্যুশনের ছোঁয়া আছে। এ কথাটা বলে দিলাম পরবর্তী পাঠকের জন্যও, যাতে সবাই গল্পটার রহস্য বুঝে স্বাদ গ্রহণ করতে পারেনে।

আপনাকে ধন্যবাদ গল্পটা পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা নিন।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: নীশু নেই মানে কি?
সে কই গেলো?

২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নীশু উড়ে গেল :(

৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সুন্দর গল্প গল্প মনে হলো
অনেক শুভ কামনা জানাই

২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ লিটন ভাই।

৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আহ! বুকের ভেতর ডাক দিয়ে যায় হলুদিয়া পাখি!

২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হলুদ পাখি নিয়ে আমার একটা গল্পকণিকা আছে। অন্যদিন পোস্ট করবো।

এটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই। শুভেচ্ছা।

৭| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫

শাওন আহমাদ বলেছেন: এভাবেই হারিয়ে যায় সব, সবকিছু। প্রথমে ভাবলাম স্মৃতিচারণ, এরপর স্বপ্ন এবং শেষে সার শরীর কাটা দিয়ে উঠল।

২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য। অনেক ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা।

৮| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩

শায়মা বলেছেন: নিশুর জন্য ভালোবাসা ভাইয়া।

কষ্টের একটা লেখা।

২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিশুর জন্য ভালোবাসা ভাইয়া।

যে হারিয়ে যায়, তার জন্য ভালোবাসা খুব বেশি হয়। ছোটোবেলায় আমার একবার কলেরা হয়েছিল। কী যে দুঃসহ যন্ত্রণা ছিল সেই জ্বরে, সেই ছোট্টবেলার যন্ত্রণার অনুভূতি যেন এখনো আমার শরীরে ও ব্রেইনে গেঁথে আছে। পরের দিন আমি সুস্থ হয়ে উঠলাম, আমার বোন হঠাৎ জ্বরে পরে গেল। তার পরের দিন আমি ফুরফুরে, কিন্তু আমার বোনটি মারা গেল। আমার এ গল্পটি সেই করুণ কাহিনিটির উপর দাঁড়িয়ে আছে।

গল্পটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

৯| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: পালকটি কি এখনো বুকের গভীরে আছে??

২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ পালকটি তো কোনোদিন বুক থেকে খসে যাবার নয় :(

১০| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: নীশু উড়ে গেল


বড় যন্ত্রনাদায়ক।

২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, খুবই বেদনাময়।

আবার আসার জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

১১| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বাহ একটা সাইকেডেলিক গল্প পড়লাম !!

২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাইকেডেলিক! নট কোয়াইট শিওর এটা সাইকেডেলিক ক্যাটাগরিতে পড়বে কিনা। তবে আমি এ ধরনের ইল্যুশনের আরো কিছু গল্পকণিকা ও দীর্ঘগল্প লিখেছি। ভবিষ্যতেও ছাড়বো নে :)

আপনার লেখালেখি ভালো হচ্ছে। আশা করি ব্লগে নিয়মিত থাকবেন। বললাম এ কারণে, সাহিত্য, বিশেষ করে ব্লগে কবিতার এই দুর্দিনে কিছু কবি হঠাৎ এসে আবার হঠাৎ চলে গেছেন। আপনিও যদি তাদের মতোই উধাও হয়ে যান, ভালো কবিতা ও গদ্যের মান আবার কমে আসবে।

এটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৭

শায়মা বলেছেন: এবারে আমার ১০৬ জ্বর হয়েছিলো। জ্বরের প্রকোপ আমি বুঝিনি এমনই গন্ডারের চামড়া আমার তবে পিঠে খুব ব্যাথা হচ্ছিলো সেই ব্যাথার কারণেই ডক্টরের কাছে গেছিলাম।

নইলে আমিও মনে হয় এইবার সাদা কবুতরই হয়ে যেতাম ভাইয়া।

হার্টবিট অক্সিজেনের অবস্থা বড়ই করুণ ছিলো।

২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইন্নালিল্লাহ! এটা তো খুবই ভয়ানক মাত্রার জ্বর। আমার ডাক্তার কন্যা জানালেন, এত উচ্চমাত্রার জ্বরে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারে :(

যাজ্ঞে, গণ্ডারের চামড়াটাকে আরেকটু পাতলা করতে হবে। জ্বরকে এভাবে হেলা করে আদৌ উচিত হয় নি। খারাপ লাগুক বা না লাগুক, ১০৪ অতিক্রম করলেই ডাক্তার বা ওষুধের শরণাপন্ন হতে হবে। নইলে শাদা কবুতর!!! নাহ, বলতে ভালো লাগে না।

১৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সাইকেডেলিক! নট কোয়াইট শিওর এটা সাইকেডেলিক ক্যাটাগরিতে পড়বে কিনা। তবে আমি এ ধরনের ইল্যুশনের আরো কিছু গল্পকণিকা ও দীর্ঘগল্প লিখেছি। ভবিষ্যতেও ছাড়বো নে :)



অবশ্যই ছাড়বেন । আসলে সাইকেডেলিক ব্যাপারটা অনেক বিস্তৃত এই যেমন জীবনানন্দের কবিতা সাইকেডেলিক । তেমনি আপনার এই গল্পটাও সাইকেডেলিক !! আমি আগে সাইকেডেলিক থ্রিলার লিখতাম , এখনও লিখি ! সেগুলো আল্লাহ বাঁচাই রাখলে একদিন দেব !!

আপনার লেখালেখি ভালো হচ্ছে। আশা করি ব্লগে নিয়মিত থাকবেন। বললাম এ কারণে, সাহিত্য, বিশেষ করে ব্লগে কবিতার এই দুর্দিনে কিছু কবি হঠাৎ এসে আবার হঠাৎ চলে গেছেন। আপনিও যদি তাদের মতোই উধাও হয়ে যান, ভালো কবিতা ও গদ্যের মান আবার কমে আসবে।


আমি আসলে তব্দা খেয়ে যাই এটা ভেবে যে আমার কবিতাগুলো কিছুটা হলেও সম্মান পাচ্ছে , কবিতা বলে স্বীকৃতি পাচ্ছে । যদিও কবিতা আমার যখন তখন আসে না । উধাও হয়ে যাবার ইচ্ছে নেই বাকীটা আল্লাহর হাতে !! ধন্যবাদ মূল্যায়নটুকুর জন্য !!


আচ্ছা আমার গান নিয়ে কিছু বলবেন না ? হাহাহাহাহাহাহা !!!!

আপনার প্রতি শুভকামনা রইল !!!

২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: না, আপনার এত তব্দা খাওয়ার দরকার নাই। আপনি ভালো কবিতা লেখেন। লেখালেখি, বিশেষ করে কবিতা সবসময় আসবে না, যেমন আমারও আসে না। তবে, যখন যেটা আসে, জোয়ারের প্রচণ্ড বেগে আসে, তখন সেটা টুকে ফেলাই দ্ধিবুমানের জকা :) আশা করি সবাকার মতো আপনিও সেটা করে ফেলেন/ফেলবেন।

আপনার গান নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। আপনি জেনুইন লিরিসিস্ট, গিটারিস্ট বা মিউজিশিয়ান। মিউজিক সেন্স খুব ভালো। গলা বা কণ্ঠের ব্যাপারে তেমন কিছু বলছি না, তার কারণ, গলা অনেকেরই থাকতে পারে, কিন্তু গান লেখা, সুর করা সবার দ্বারা হয় না। এটা একটা বিশেষ ট্যালেন্ট। আপনি সেই স্পেশিয়াল ট্যালেন্টের অধিকারী।

গান গাইতে থাকুন, ইউটিউবে শেয়ার করতে থাকুন। সুর, লিরিক আসামাত্র ধরে ফেলুন। কিন্তু ব্লগে দিবেন লম্বা বিরতির পর, তাহলে সেটার প্রকৃত মূল্যায়ন হবে। সাপ্লাই বেশি হলে সেদিকে মানুষের দৃষ্টি কমে যায় :) আমি অবশ্য ঘন ঘন সরবরাহে বিশ্বাসী, কেউ খাক বা না খাক :)

১৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:




আমরা ছিলাম একঝাক পায়রা।
নীশুর মতো একটি পায়রা সেখান থেকে উড়ে যায় না ফেরার দেশে।
সেই যে গেলো আর ফিরে এলোনা।
রেখে গেলো একটি পালক।
আমি সেই পালকের মাঝে এখনও তার অস্তিত্ব অনুভব করি।
আমি ছিলাম সেই সাদা কবুতরের আদরের ছোট বোন।
এখনও আমি চোখ বন্ধ করলে তার স্নেহের স্পর্শ পাই, সে এক অন্যরকম অনুভূতি।
তাকে না বলা কত কথা বুকের মাঝে জমা হয়ে থাকে!
নীশুর মতো আমাদের কাছের সকল প্রিয় পায়রাগুলো ভালো থাকুক ওপারে।


২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মর্মন্তুদ ঘটনা। হৃদয়স্পর্শী কমেন্ট।

১৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার এক ফুপু ছিলেন অনেক ছোটবেলায় মারা যান, আমরা যে সেই টুকি ফুপুর কতগল্প শুনেছি আব্বার মুখে। পিঠাপিঠি ভাইবোন ভীষণ গভীরে থাকে টান। আপনার লেখার পালক অ মনে গেঁথে রইলো।

২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের সময় নাইন-টেনে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের 'ছিন্নমুকুল' কবিতাটা ছিল পাঠ্যতালিকায়। একজন টিচার খুব দরদ দিয়ে সেটা আবৃত্তি করতেন ও ব্যাখ্যা করতেন। খুব মন খারাপ হতো তখন। কিন্তু বড়ো হবার পর ঐ কবিতাটার কথাগুলো আরো বেশি করে বুকে বিঁধতে থাকে। এখনো কবিতার লাইনগুলো মনে পড়লে বুক হুহু করে ওঠে।

যে-কাউকে হারানোই খুব বেদনাময়। তবে, অতি ছোটোবয়সে যে চলে যায়, সে সারাজীবনের দুঃখ হয়ে আমাদের বুকে ও গল্পে গেঁথে থাকে।

গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।

১৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৮

দারাশিকো বলেছেন: সারস দেখে এলাম, নীশু নেই বলে দুঃখও পেলাম।

২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সারস দেখে পোস্টে আসার জন্য ও কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ দারাশিকো ভাই। শুভেচ্ছা।

১৭| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২৭

করুণাধারা বলেছেন: অনেকদিন আগে লীলা মজুমদারের লেখা একটা গল্প পড়েছিলাম, "হলদে পাখির পালক।" যদিও কাহিনী একেবারে আলাদা, তবু"শাদা পাখির পালক" পড়ে সেই গল্পটার কথা মনে পড়লো।

আমাদের সবার জীবনেই নিশু থাকে, একসময় হারিয়ে যায়...

২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অকালে নীশুদের হারিয়ে যাওয়া সত্যিই খুব বেদনার। কোনো নীশু এভাবে গল্প না হোক, সেই কামনা।

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা নিন।

১৮| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঘুমু পাচ্ছে খুব :) কাল সকালে কথা হবে ইন শা'ল্লাহ। শুভ ঘুমাহ্ন।

২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উকে উকে :)

১৯| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এটা মনে হয় রিপোস্ট এর আগেও এটা পড়েছি। সম্ভবত একসাথে কয়েকটা এ জাতীয় গল্প পোস্ট দিয়েছিলেন।+++

২৩ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি মাইদুল ভাই, আপনার ধারণা ঠিক। পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২০| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

জটিল ভাই বলেছেন:
পড়ার সময় পরিচিত মনে হচ্ছিলো। তারপর শেষে তারিখ আর মাইদুল ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে নিশ্চিত হলাম আমি ভুল নই।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তবে, আগের বার আপনাদের কারোই কমেন্ট ছিল না। এবার পড়ার পর কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

২১| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মায়াময় লেখা, অনেক হৃদয়স্পর্শ করে যাওয়া লেখা।

লেখক বলেছেন: যে হারিয়ে যায়, তার জন্য ভালোবাসা খুব বেশি হয়। ছোটোবেলায় আমার একবার কলেরা হয়েছিল। কী যে দুঃসহ যন্ত্রণা ছিল সেই জ্বরে, সেই ছোট্টবেলার যন্ত্রণার অনুভূতি যেন এখনো আমার শরীরে ও ব্রেইনে গেঁথে আছে। পরের দিন আমি সুস্থ হয়ে উঠলাম, আমার বোন হঠাৎ জ্বরে পরে গেল। তার পরের দিন আমি ফুরফুরে, কিন্তু আমার বোনটি মারা গেল। আমার এ গল্পটি সেই করুণ কাহিনিটির উপর দাঁড়িয়ে আছে।

গল্পটি পড়ার সময়ই মনে হচ্ছিলো এটা নির্ঘাত লেখকের ছোট্টবেলায় হারিয়ে যাওয়া বোনের গল্প। +++

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটি পাঠ ও সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.