নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আমি কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে॥
হারায়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশে দেশ বিদেশে,
আমি দেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে।
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যে রে।
লাগি সেই হৃদয়শশী সদা প্রাণ হয় উদাসী,
পেলে মন হত খুশি, দিবানিশি দেখিতাম নয়ন ভরে।
আমি প্রেমানলে মরছি জ্বলে, নিভাই কেমন করে,
মরি হায়, হায় রে-
আমি প্রেমানলে মরছি জ্বলে, নিভাই কেমন করে,
ও তার বিচ্ছেদে প্রাণ কেমন করে, বিচ্ছেদে প্রাণ কেমন করে
দেখ না তোরা হৃদয়ে এসে, দেখ না তোরা হৃদয় চিরে।
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যে রে।
দিব তার তুলনা কি যার প্রেমে জগত সুখী,
হেরিলে জুড়ায় আঁখি, সামান্যে কি দেখিতে পারে তারে?
তারে যে দেখেছে সেই মজেছে ছাই দিয়ে সংসারে,
মরি হায়, হায় রে-
তারে যে দেখেছে সেই মজেছে ছাই দিয়ে সংসারে,
ও সে না জানি কী কুহক জানে, না জানি কী কুহক জানে
অলক্ষে মন চুরি করে, কটাক্ষে মন চুরি করে
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।
কুল মান সব গেল রে তবু না পেলাম তারে
প্রেমের লেশ নাই অন্তরে-
তাইতে মোরে দেয় না দেখা সে রে।
ও তার বসত কোথায় না জেনে তায় গগন ভেবে মরে
মরি হায়, হায় রে-
ও তার বসত কোথায় না জেনে তায় গগন ভেবে মরে।
ও সে মানুষের উদ্দিশ যদি জানিস, মানুষের উদ্দিশ যদি জানিস
কৃপা করি বলে দে রে, আমার সুহৃদ হয়ে বলে দে রে,
ব্যথার ব্যথিত হয়ে বলে দে রে,
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।
হারায়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশে দেশ বিদেশে,
আমি দেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে।
কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যেরে।
কথা, সুর ও মূল শিল্পী : গগন হরকরা
মিউজিক কম্পোজিশন, ভিডিও নির্মাণ ও আজকের মিউজিক ভিডিওতে কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
এ গানের ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আছে আমার অন্য এক পোস্টে : অহনাকে যে গানটি অহরহ শোনাতাম
গানের লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - আমি কোথায় পাব তারে
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৩৪
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: গান ভালো হয়েছে।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান জামাল গোলাপ ভাই।
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
পাজী-পোলা বলেছেন: আমার গানটা কি হয়েছে ভাই, করেছেন?
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি যদি ভোরের কথা বলি - এ কবিতা থেকে গান করার প্ল্যান করেছিলাম। প্রথম ৪ লাইন অর্থাৎ 'মুখ' করে আমি তো আপনাকে শেয়ার করেছিলাম। আপনার কোনো রেসপন্স না পেয়ে ভাবলাম আপনার মনঃপুত হয় নাই, তাই ওটা নিয়ে আর আগাই নাই।
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার সুললিত কন্ঠে গানটি শুনছি আর এই মন্তব্য লিখছি ।
মন চলে যায় সেই সুদুরে কুমারখালীর সেই শিলাইদহে ।
মনে পড়ছে গগনের উপর রচিত কোন এক ডকুমেন্টারীতে থাকা
গগন ঠাকুর আর রবি ঠাকুরের মিলন ক্ষনের কিছু কথা মালা ।
দুর হতে ভেসে আসা গগনের কন্ঠে ভেসে আসা
যারে ধরি ধরি মনে পড়ি ধরতে গেলাম আর পেলাম না
দেখেছি রূপ সাগরে মনের মানুষ কাচা সোনা
বহু দিন ভাব তরঙ্গে ভেসেছি কতই রঙ্গে ।
আর সে সাথে কিছু পরেই
দুর হতে ভেসে আসা দ্বীজ ভুষনের লেখা ও আনন্দ বৈষ্টমী কন্ঠে গীত
তোমায় হৃদ মাঝারে রাখব ছেড়ে দিবনা না না ছেড়ে দিবনা গানের কথা ।
যা দুর হতে শুনেই বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর মুগ্ধ হয়েছিলেন বাউল গানের সুরের প্রতি ।
এই সেই গগন হরকরা গানের মাঝে যে শক্তি খুঁজে , ছেলের আবদারে গলা ছেড়ে গায়
ভয় কি মরনে রাখিতে সন্তানে .... মাদঙ্গে সাজিসে.... সাজরে আর জাগো হিন্দু মুসলমান
গান ছাড়া যে এক পাও চলতে পারেনা সেই তো গগন হরকরা, সুরটাই বড় করে দেখা যায় তার মাঝে ।
শিলাইদহের বাবলা ফুলের গন্ধ আর পথে ঘাটে মাঠে ময়দানে ভেসে বেড়ানো
গগন হরকরার গানের সুরের মত মুর্ছনা কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা আর ।
তার সাথে প্রথম দর্শনে গগন বলেছিল আমি ডাক হরকরা । বরি ঠাকুর বলেছিলেন
তোমার পেশা জেনে আমার কাজ নেই আমি তোমার নেশার কথা জানতে চাই।
গগন বললেন , কি আর বলব বাবু
দেখেছি রূপ সাগরে খাচার ভিতর অচীন পাখী কেমনে আসে যায়
ছেলে ছাড়া সাতকুলে কেও নাই সাইজীর গান শুনি আর গাই।
বলেছিলেন এই কথা বলে চাকুরীর ইন্টারভিউ দিয়ে ডাক হরকরার চাকুরী তারপরে
এইতো এখানে, বাবু তোমার কাছে ডাকের ঝুলি নিয়ে হাজির। এই হল পেশা আর নেশা ।
শুনলেন রবি ঠাকুর তার গান
আমি কোথায় পাব তারে , আমার মনের মনের মানুষ যেরে
রবি ঠাকুর বললেন
বাহ বাহ আসাধারণ তোমার গান আসাধারণ তোমার লিখা আসাধারণ তোমার সুর
গগণ বাংলা লোক সাহিত্যের কালজয়ী বাউল সংগীত শিল্পী।
গগন হরকরার আমি কোথায় পাব তারে , আর ও মন অসাড় মায়ায় ভুলে রবে
গান দুটির আদলে রবিন্দ্র সঙ্গিত নতুন মাত্রা পায় ।
গগন হরকরার আমি কোথায় পাব তারে গানের সুর ভেঙে রচিত
আমার সোনার বাংলা পায় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গিতের মর্যাদা
রবিন্দ্র নাথের কণ্ঠে আমার সোনার বাংলা গানের প্রথম কলি শুনে ও রবিঠাকুরের প্রশ্নে
তার সেবক বনমালী বলে দিল এই গানের সুর সে গগন হরকরার কন্ঠে শুনেছে
কবি বললেন ঠিক ঠিক ঠিক ধরেছ , এ গানের সুর গগনের গানের সুরেরই অনুরনন।
রবিন্দ্রনাথ তার এই স্বীকৃতির কথা বিশ্ব মাঝারেও প্রকাশ করেছিলেন ।
রবীন্দ্রনাথ গগণের নাম ও তার গানের বিষয়ে তার প্রবন্ধ “An Indian Folk Religion”
এ উল্লেখ করেন। সেখানে ‘আমি কোথায় পাবো তারে’—গানটির উল্লেখ করে রবীন্দ্রনাথ
বলেন, “The first Baul song, which I chanced to hear with any attention,
profoundly stirred my mind.”
লোক সঙ্গিতের ইতিহাসে গগন ইতিহাস হয়ে থাকবেন ।
যখনই গাওয়া হবে আমার সোনার বাংলা তখনই শ্রোতার মনে
গগনের কোথায় পাব তারে গানের সুর বেজে উঠবে ।
এই আসাধারণ সুন্দর অপুর্ব কালজয়ী গানটি আপনার সুরেলা কন্ঠে শুনে মুগ্ধ হলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ, তথ্যবহুল এক কমেন্ট, যা অবশ্যই ডঃ এম এ আলী-এর ট্রেড-মার্ক কমেন্ট। 'আমি কোথায় পাব তারে' গানের ইতিহাস, রবিঠাকুর আর গগন হরকরার মধ্যকার আলাপচারিতা, প্রাসঙ্গিকভাবে আরো কয়েকটা গানের অবতারণা, সত্যিই জ্ঞানপিপাসু পাঠকের তৃষ্ণা মেটাবে না, বরং সেই তৃষ্ণা আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে জানার জন্য।
প্রিয় আলী ভাই, অনেক অনেক, অনেক অনেক ভালো লাগা রইল কমেন্টে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বড়ই চমেৎকার।