নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
তখন আমার অল্প বয়স, কতই বা আর হবে
মা-চাচি আর খালা-ফুপুর কোল ছেড়েছি সবে
তখন আমি তোমার মতো ছোট্ট ছিলাম কী যে
গেরাম ভরে ঘুরে বেড়াই বাবার কাঁধে চড়ে
সকালবেলা বিছনাখানি থাকতো রোজই ভিজে
ওসব এখন বলতে গেলে লাজ নামে চোখ ভরে
ছোট্ট হলেও বলতে পারি কাজের ছিল ধুম
যেমন ধরো- নাওয়া-খাওয়া-খেলনা এবং ঘুম
তখন আমার বই ছিল না, দাদুর গলা ধরে
সন্ধ্যাবেলা কাটতো মজার চাঁদের ছড়া পড়ে
তোমরা কি কেউ কাগজ দিয়ে নাও বানাতে পারো?
উড়োজাহাজ? ঢাউস-ঘুড়ি? কত্ত কিছু আরো?
গাছের ডালে, কিংবা ধরো ঘরের পাটাতনে
দোলনা বেঁধে দোল খেয়েছো ভাইবোনদের সনে?
আমার ছিল ঘরের পাশে ছোট্ট চিকন খাল
তার পানিতে ভেসে গেছে আমার বাল্যকাল
পুবের ধারে ছোট্ট পুকুর, ঠান্ডা ছিল জল
বর্ষাতে তায় লগ্গি ফেলে খুঁজতে হতো তল
একদিন এক বকের বাসা হঠাৎ দিয়ে হানা
পেয়েছিলাম চোখ-না-ফোটা একটি ছোটো ছানা
ডোবার ধারে ডাহুকপাখির বিষম আনাগোনা
ধানের শিষে ফাঁদ পেতেছি, কিংবা মাছের পোনা
তোমার কি ভাই লাটিম ছিল? আর কী ছিল, বলো?
বড়শিতে কি মাছ ধরেছো? ঝাঁকিজালে, পলো?
আমার ছিল উদোম গায়ে নাচনতোলা দিন
ধানের ক্ষেতে সবুজ দুপুর, বিকেলটা রঙিন
এসব কথা শুনে তোমার ইচ্ছে হতে পারে
সেই যে ছিল সোনার জীবন- কোথায় পাবো তারে?
কেমন তোমার দিন কেটেছে? কোন্ গাঁয়ে? কোন্ দেশে?
কোথায় তোমার মায়ার জীবন ঘর বেঁধেছে শেষে?
আমার এখন মন টেকে না ইটপাথরের ঘরে
মন ছুটে যায় কিশোরবেলার ধু-ধু তেপান্তরে
তোমরা কি কেউ সঙ্গে যাবে? জলদি বলো নাম
বেরিয়ে পড়ো, বেরিয়ে পড়ো, ঐ দেখা যায় গ্রাম
তোমরা ভাবো- আমিও আবার গ্রাম দেখেছি নাকি?
মিথ্যে না তা- মনের ভেতর গ্রামেই পড়ে থাকি
খুব বুঝেছি খুব বুঝেছি তোমাদের কারসাজি
জলদি করো, দোস্তি মানো, দোস্তিতে হও রাজি
অবাক মধুর ছন্দদোলায় চলতে থাকো সবে
ভুলে যাওয়া নিজ ঠিকানায় আবার মিলন হবে
কাঁদছে নদী নীরব ভাষায় শুকনো যে তার বুক
তার গহনে সোনায় ভরা একখানি সিন্দুক
ঐ দেখো তার হাতছানি ভাই, বেরিয়ে পড়ো সবে
উথালপাথাল ঢেউতুফানে প্রাণখোলা উৎসবে
২৪ এপ্রিল ২০১০ রাত ১০:৫১
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মনের অজান্তেই মন ছুটে যায় শিশুবেলায়।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ সৈয়দ কুতুব ভাই।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: আহা বাল্যকাল
দুষ্টুমিতে কেটে যেত
আর পিঠের ছাল
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
সেই যে ছিল সোনার জীবন- কোথায় পাবো তারে?
ধুলোর আজকের কবিতা অনেক ভালো হয়েছে।
একাডেমিক বুকে দেবার মতো।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: জীবন কথা। কী অসাধারণ সুন্দর লেখা!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: বাহ্ অসাধারণ গ্রামের কথা মনে পড়ে গেলো- যদিও আমি গ্রামে খুব কম থেকেছি।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা পাঠ ও কমেন্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাইফুলসাইফসাই ভাই। শুভেচ্ছা।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১২
মেহবুবা বলেছেন: ছোটবেলায় কত কত দিন গ্রামে গিয়েছি, অনেক মজা! কবিতায় +
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু কবিতাটি পড়ার জন্য। তবে, গ্রাম আর গ্রাম নেই, ধীরে ধীরে শহর হয়ে যাচ্ছে সব গ্রাম।
৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২১
স্প্যানকড বলেছেন:
লাটিমের সুতা প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে আঙ্গুলে দাগ পড়ে গিয়েছিলো।
আহা! কি সুন্দর ছিলো সেই সব দিন। ভালো থাকবেন।
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- চেনা সুরে বাঁধা চমৎকার কবিতা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শিশুকালে ফিরে যেতে বারবার মন চায়।